সাইজ ডাজ ম্যাটার

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ৩১/১০/২০১২ - ৭:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কদিন হল বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছি। কারণ আমার ডোরপোক বাড়িওয়ালা আমাকে একমাসের নোটিসে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছে। শুনেই আমার যথারীতি মাথা আউলা। ঈদের তিনদিন বন্ধে মোটামুটি জনা পঞ্চাশ এজেন্টকে ফোন করে করে একবেডের বাসা পেলাম অবশেষে। তো এই শনিবারে বাড়িওয়ালা এসেছে আমার সাথে কথা বলতে, এমন হঠাত করে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় সে বেজায় দুঃখিত সেটা জানাতে। এই কথায় সেই কথায় হুট করে জিজ্ঞেস করছে আমার বাসায় কি কোন বাচ্চা আসে নাকি, বাইরে ব্যটা নাকি বাচ্চাদের জুতা দেখেছে। আমি তো আকাশ থেকে পরার ভান করলাম, বাচ্চা আসবে কোথা থেকে। দরজার বাইরে আমার প্রায় চারজোড়া জুতা আছে, সুবিধা-মত একেকদিন এক এক জোড়া পায়ে গলিয়ে বেরিয়ে যাই। ততক্ষনে বুঝে ফেলছি কাহিনী কি হইছে, তো বললাম, ‘বাচ্চা আসবে কোথা থেকে ওগুলা সব আমারই জুতা’। ব্যাটার আর কি দোষ দিব, আমার পায়ের যেই বিরল সাইজ, তাতে দোকানে গেলে জুতা মেলা ভার। পছন্দ হয় কিন্তু সাইজ হয়না, এইজন্য জুতার দোকানে গিয়ে ফেরত আসতে হয়েছে অনেকবার। দরদী দোকানীরা আমাকে দয়া করে পরামর্শ দিয়েছে আমি যেন বাচ্চাদের সাইজ ট্রায় করে দেখি। অপমানে লাল হয়ে ঐসব দোকানে আর মুখ দিয়ে ও দেখিনা তাই।

অফিসে যেদিন প্রথম গেলাম, ল্যাবে গিয়ে সবার সাথে পরিচয় পালা শেষে ল্যবসুজ আর এপ্রন আনতে ফ্যাসিলিটির এঞ্জেলা নামের এক ভদ্রমহিলার কাছে যেতে হল। মহিলা আমাকে জুতার সাইজ জিজ্ঞেস করতেই বললাম ৪ সাইজ। তো সেই ৪ সাইজের জুতা পায়ে দিয়ে এক পা দিতেই সেফটি সুজের ভারে আমার পা জুতা থেকে বেরিয়ে এলো, কিন্তু জুতা আগের জায়গায় পরে রইলো। এইবার মহিলা আমাকে নিয়ে বেদম হাসাহাসি শুরু করে দিল, আমার নাকি বেবি-ফিট, আর তার কাছে বেবি-ফিটের কোন সেফটিসুজ নাই। আমি বললাম, ‘তাহলে আমি কি-করবো’। মহিলা বলে, ‘অর্ডার করে কিনে নাও, তোমার সাইজের সুজ আমার কাছে নাই’। আমি জানতে চাইলাম দাম কেমন হতে পারে, সে বলে, ‘২০০ ডলারের মত হবে’। আমার তখন মূর্ছা যাবার জোগাড়, এত টাকা দিয়ে মেটাল-হুডের গদামমার্কা সেফটিসুজ কেনার কোন ইচ্ছে আমার নাই। সে একটু পরে আমাকে বলে, ‘তুমি ইনার সোল কিনে ভেতরে দিয়ে পরে দেখো লাগে কিনা নইলে তোমাকে নিজেরটা নিজে কিনে নেয়া লাগবে’। এই বলে জুতা কাহিনী শেষ করলো। এইবার সে আমাকে নিয়ে গেল এপ্রনের ক্যাবিনেটের কাছে। সাইজ জিজ্ঞেস করতেই বললাম, ‘আমার এস লাগবে, এস-এস হলে আর ও ভাল’। সে খুঁজে পেতে একটা এস সাইজ বের করে আমাকে পরতে দিল। পরে দেখি আমার অবস্থা মক্কার হাজীদের মত। এপ্রন হাঁটুর বেশ নিচে, তারপর হাত দুটো ঢেকে গেছে। এইবার সে আমাকে নিয়ে আর একদফা হাসিহাসি করে বলে, ‘ দূর তোমার তো কোন সাইজই নাই, এস ও তোমার লাগেনা, আমার কাছে এর চেয়ে ছোট এপ্রন নেই, আর এভাবে হাত ঢেকে থাকলে তুমি এটা পরে ল্যবে কাজ করার জন্য এলাউড না’। আমার মেজাজ বিলা হতে থাকে তার গা জ্বালানো হাসি দেখে। আমি তাড়াতাড়ি হাত ফোল্ড করে নিয়ে বললাম, ‘আমি এভাবেই কাজ চালাতে পারবো’। সে বিশ্রী করে হেসে বলে, ‘কালকে জুতায় ইনারসোল দিয়ে পরে এসে আমাকে দেখাবা, ঠিক না হলে তোমাকে এভাবে ল্যাবে কাজ করতে দেয়া হবেনা’। এরপর থেকে আসতে যেতে দেখা হলেই বেটি আমাকে বেবি-ফিট বেবি-ফিট করে ত্যক্ত করে মারে।

কদিন হয় ল্যবে আমার একটা ট্রেনিং চলছে মেশিন কিভাবে অপারেট করবো তার উপর। মেশিনের সাইজ মোটামুটি আমার বেডরুমের অর্ধেক হবে। ট্রেইনার আমাকে একদম ধরে ধরে সব শিখাতে চাচ্ছে, আমি তাই ভালোমতো মেশিনের সবকিছু নেড়েচেড়ে দেখে নিচ্ছি। কিন্তু গণ্ডগোল বাঁধল আমি অপারেটিং প্যানেলের সামনে দাঁড়িয়ে মেশিনের অনেককিছুই হাতের নাগালে পাইনা, এইজন্য আর কিছু নয় আমার হাইটটাই সমস্যা করছে। আমার দিকে একবার তাকিয়ে ট্রেইনার তাই একটা চউকিমত এনে দিল আমি যেন তার উপর দাঁড়িয়ে সবকিছু হ্যন্ডেল করতে পারি আর বললো, ‘ইউ আর টু স্মল। আমার কিছু বলার নাই, আমি আসলেই পাঁচ-ফিটের ছোট্ট একটা মানুষ। শুধু এই অপারেটরই না, অফিসের অনেকেই নানা-সময় নানাভাবে ইনিয়েবিনিয়ে বলেছে আমি আসলেই অনেক স্মল, একটু হিল-দেয়া জুতা পরলেই পারি। এই কথা শুনতে শুনতে ত্যক্ত হয়ে গেলাম জুতার দোকানে, হিল আছে এমন পামসু কিনবো। তো আমার আবার সেই সাইজ সমস্যা, পছন্দ হয় সাইজ হয়না। এরপর দোকানি ভেতরে ইনারসোল দিয়ে জুতা ঠিকমত ফিট করে দিল। আমি নাচতে নাচতে বাসায় আসলাম।পরদিন ড্যংড্যং করে সেই জুতা পরে অফিসে গেলাম। অফিস আসতে আসতেই আমার পায়ে ব্যথা শুরু। জুতার কিনারা পায়ের চামড়া কেটে বসে যাচ্ছে যেন। এরপর সারাদিনের মাপামাপা হাঁটার ফলাফল, সারা পায়ের মাসল ব্যথা, আর পায়ের পাতার অবস্থা আর ও কাহিল। এইভাবে দুদিন পর আমি লম্বা হবার আশা ত্যাগ করে এই জুতা ছেড়ে অন্য জুতায় ফেরত গেলাম।

গেলমাসে আমাদের অফিসের ক্লাব থেকে কেপ্টেন্স বল নামে একটা খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। তো পুরা অফিসে চারটা গ্রুপ, প্রতি গ্রুপে ৪ জন মেয়ে ও ৪ জন ছেলে মাস্ট থাকতে লাগবে। তো আমি যেই গ্রুপে পরলাম তাদের মেয়ে সংকট তাই বারেবারে মেইল দিয়ে ঘ্যনঘ্যন করছে খেলতে যাবার জন্য। জীবনেও এই খেলার নাম শুনি নাই বলে রেহাই পাবার চেষ্টা করে ও কাজ হোল না। আমাদের গ্রুপ-লিডার ইউটিউবের একখানা ভিডিও পাঠিয়ে দিয়ে বললো এটা দেখে নাও তাহলেই হবে। যাই হোক এখানে বল হাতে হাতে পাস করে নিজ নিজ কিপারের কাছে নিয়ে যেতে পারলেই পয়েন্ট পাওয়া যায়। তো খেলতে গিয়ে দেখলাম আশেপাশে লম্বা লম্বা মানুষজনের যন্ত্রণায় বলই পাইনা, মাঠের এই মাথা থেকে ঐ মাথা দৌড়ানোই সার। এক-দুইবার যাও বল পেলাম কার ও কাছে পাস করতে পারিনা সবাই মিলে এমনভাবে ঘিরে ধরে যে নিজের দলের লোকের চেহারা ও দেখতে পাইনা ঠিকমত। একটা গেমের পর আমার সুইটু কিউটু কিন্তু বাঁটু বস আমাকে ডেকে বলে শোন সাইজ ডাজনট ম্যটার, আমরা মাথার উপর দিয়ে পাস করতে পারিনাতো কি হইছে, আমরা দুপায়ের মাঝদিয়ে বল পাস করবো নেক্সট গেমে। আমি বলি, ‘সাইজ ম্যটার আসলে, এই খেলা আমার মত বাটকু মানুষের জন্য না’। সে আমার কথা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে দুপা ফাঁক করে দাঁড়িয়ে গেল। ‘আসো আমরা প্রাকটিস করি’ বলে বল আমার দিকে ছুড়ে দিল। আমি ও কথা না বাড়িয়ে তার দুপায়ের মাঝ দিয়ে বল ছুড়ে দিলাম শরীরের তাবত শক্তি এক করে। কিন্তু বল গিয়ে লাগলো বসের বলসে। বসের ভ্যাবাচেকা মার্কা চেহারা দেখে আমি বললাম, ‘আগেই বলছিলাম বস যে সাইজ ম্যটারস, তোমার আমার মত বাঁটু মানুষের পায়ের হাইট ও কম, তাই বল আর ওপাশেই যেতে পারছেনা’। বস ও এইবার মাথা নেড়ে আমার কথায় সায় দিয়ে অনুশীলনে ক্ষান্ত দিল।


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হ, অনেক জ্ঞানী কথা কইছেন, সাইজ ডাজ ম্যাটার। আমি ভাবতেছি চরম উদাসদা কী কমেন্ট করে!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চ্রমুদাস বসে Rammstein রে টান দিয়া বসতে পারে, কৌন যায় না!!! দেঁতো হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি
বন্দনা এর ছবি

কবিসাহেব, আমি মেলদিনের সাফারার মন খারাপ , কলেজে থাকার সময় বাস্কেটবল খেলতে পারিনাই এই একি কারণে, আমারে খেলতেই নিতনা বাটকু বলে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এটাই তো সুযোগ নতুন কিছু করার। দেখেন 'বাস্কেটবল ফর হবিটস' বা 'হবিটস বল' (চোখ টিপি) শুরু করা যায় নাকি!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বন্দনা এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ব্যবি ফিট কিন্তু খারাপ না, আমরা শৈশবে ফিরে যেতে চাই, আপনি শৈশবের একটা অংশ তো ধরে রাখছেন হাসি বিন্দাস থাকেন, সাইজ মেটার হৈলেও হাইট কুনো মেটার না!! দেঁতো হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

বন্দনা এর ছবি

বিন্দাস থাকার চেষ্টা করতেছিরে ভাই মৃত্যুময় মন খারাপ

সুলতান এর ছবি

জী, সাইজ ডাজ ম্যাটার। আমি টের পাই শার্ট কিনতে গেলে। কিন্তু কি আর করা। সবই তার ইচ্ছা।

বন্দনা এর ছবি

আমার মত আর একজঙ্কে পাওয়া গেল তাহলে, সবই কপাল।এখন অবশ্য বুটিকহাউজের জামাগুলার এস সাইজ ভালোই বানায়, সালোয়ার কামিজ কিনতে আমার সমস্যা হয়না, কিন্তু জুতা নিয়ে আসলেই ব্যাপক ঝামেলা।

দাদারাকিব এর ছবি

ইয়ে, মানে... কথা সত্য।।

বন্দনা এর ছবি

হু হু দাদাভাই।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হয়, সাইজ ডাজ ম্যাটার !! মন খারাপ
কথা কিন্তু সত্য।

আমি তেমন একটা ভুক্তভুগি নই, কিন্তু অনেককে দেখেছি।

বন্দনা এর ছবি

আর বইলেন না কালকে তো এক কলিগ এসে তার পায়ের সাথে আমার পা এর সাইজ মিলিয়ে হেসে কুটিকুটি হল।সারাক্ষন এই যন্ত্রণা আর ভালো লাগেনা। আপ্নার নামটা দেখে বুঝতে পারছিনা আপু বল্বো না ভাইয়া!!

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

সেফটি শু এর দাম ২০০ ডলার? কস্কি মমিন!

বন্দনা এর ছবি

মেটালহুড দেয়া জুতা ভাইয়া , বেসিকালি লেবাররা আউটডোরে যেই ধরনের জুতা ব্যবহার করে ঐ ধরনের, এইজন্য বেশ এক্সপেন্সিভ। এক এক টা জুতার ওজন মনে হয় দেড় থেকে দুই কেজি হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

রূপাই[অতিথি]
ভাইরে আমার জুতার সাইজ ইয়া মোটা ।সবাই বলে হাতির পা ।

বন্দনা এর ছবি

আমি ও অবশ্য একজঙ্কে দেখছি বেশি বড় পা তাই সে ও জুতা কিনতে পারেনা। যাক মন খারাপ কইরেন না আমরা সব একদলে আমাদের পায়ের কোন সাইজ নাই।

মেঘা এর ছবি

দেঁতো হাসি আমি অভদ্রের মত হেসে ফেলেছি এই লেখা পড়ে। বেশি লম্বুদের মধ্যে বেশির ভাগ বাঙালীর সাইজ অনেক ছোট। ব্যাপার না। বেবী ফিট অনেক কিউট। মন খারাপের কোন কারণ নাই। দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

বন্দনা এর ছবি

লোকে আমার পা দেখে হাসে, আপনি তো লেখা পড়ে হাসছেন ব্যাপারনা। বেবিফিট কিউট নাকি, কেউ বলেনাতো।

চরম উদাস এর ছবি

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

হো হো হো

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

গান্ধীর তিন বান্দর এইহানে কি করে? অ্যাঁ

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাইদ এর ছবি

Hear no চউদা, see no চউদা, speak no চউদা চোখ টিপি

বন্দনা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

বন্দনা এর ছবি

উদাসদা আপনি পারেন ও, তবে আমার ছবি পছন্দ হইছে, সো কিউট গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মেঘা এর ছবি

হো হো হো এটা কোন কথা! এই লোকটা এইরকম ক্যান?

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

কড়িকাঠুরে এর ছবি

ইয়ে, মানে... - ওরা কী বলস বাচাইতে কান-চোখ-মুখ ঢাকছে... খাইছে

বন্দনা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সত্যপীর এর ছবি

ইন্নালিল্লা...বসের বলস ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

দেঁতো হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

বন্দনা এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

সাইজ ডাজ ম্যাটার সাম টাইমস। লেখা ভালো লাগলো ।

ইস বস ব্যাটা যদি আগে ভাগেই বুঝত তাহলে হো হো হো

অমি_বন্যা

বন্দনা এর ছবি

আর বইলেন না জাপানী বস তো কোন কাজে না নাই, ভাবছিল এইখানে ও টেকনিক ফলাইবো, কিন্তু লাভ হইলোনা।

শাব্দিক এর ছবি

চীন জাপানের শিশুদের গল্প মনে নাই? লোহার জুতা পড়িয়ে রাখা হত পা ছোট রাখার জন্য, যাতে বুদ্ধি বাড়ে। লম্বা মানুষের বুদ্ধি কই থাকে জানেন তো? বুদ্ধিমতি যদি অটো হয়ে থাকেন তাতে ক্ষতি কি?
অ্যাসেম্বলিতে সবসময় সামনে দাড়ালেও নিজের ৫ ফুট হাইট নিয়ে আমি কিন্তু বেশ খুশী।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

রংতুলি এর ছবি

চিন, জাপানের মেয়েদের লোহার জুতা পরিয়ে রাখা হতো, কারণ সেখানে মেয়েদের ছোট পা সৌন্দর্য্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হত। হাসি

শাব্দিক এর ছবি

ও হ্যাঁ, তাই তো, মনে ছিল না ইয়ে, মানে... । কিন্তু আমাদের দেশের কুসংস্কার আছে খাট মানুষের বুদ্ধি বেশি, বিশেষ করে যেসব মেয়েদের পা ছোট তাদের।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

রংতুলি এর ছবি

মাঝে মধ্যে বেশি লম্বা হওয়াও মেলা দুঃখের, গ্রুপ ছবিতে এক সাইজের মানুষের সাথে লম্বাটাকে সবসময় বেখাপ্পা লাগে। স্কুল, কলেজে সমবয়সীরাও তালগাছ ডাকে! মন খারাপ

বেচারা বস!! জীবনেও আর বলস সরি বল খেলবে না!! চোখ টিপি

বন্দনা এর ছবি

হুম আমরা ও আমাদের লম্বু বন্ধুদের তালগাছ, আর মোটকু বন্ধুদেরকে মুটকী সিঙ্গারা ডাকতাম দেঁতো হাসি । কিন্তু এখন তো আমাকে উঠতে বসতে শুনতে হয় যে আমি বাটুল মন খারাপ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সাইজ ডাজন্ট ম্যাটার! বাংলাদেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাস্কেটবল প্লেয়ার বাবলার সাইজ ছিলো ৫'-২", বাংলাদেশের অন্যতম সেরা গোলকিপার মোহসীনও বাটকু সাইজের ছিলো। আমি নিয়ে ৫'-৫" সাইজ নিয়ে ইন্টারস্কুল ফুটবলে দাপটের সাথে গোলপোস্ট আগলে বেড়িয়েছি, হুন্ম! চোখ টিপি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

বন্দনা এর ছবি

এই সাইজ নিয়ে বাস্কেট বল,কি বলেন রাতঃদা!!!!! আমাকেতো সাইজ দেখেই বাস্কেটবলে নেয়নাই মন খারাপ

দ্রোহী এর ছবি

পাপিয়া পান্ডে জাইত্যা ধরলে বুঝবেন সাইজ ডাজ ম্যাটার নাকি ডাজন্ট!

অতিথি লেখক এর ছবি

বিদেশে সর্বত্র এই সমস্যা। পড়াশোনা প্লাস কাজকম্ম সূত্রে ইওরোপের অনেক দেশে থাকতে হয়েছে, দেশের সাথে সাইজ মেলে না।

অদচৌ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।