উৎস তার পোস্ট দিছিল আমার লগে একটা ব্যক্তিগত আলাপের এক্সটেনশন হিসাবে। তাতে অআমি কইছিলাম যে বদরুদ্দিন উমর আর ফরহাদ মজহার কোনভাবেই হোমোজিনিয়াস টাইপ না। উমর সাহেবের ল্যাখায় তাত্ত্বিক ফাক থাকলেও থাকতারে কারণ ঈশ্বরের নিজের কথাই ত্রুটিমুক্ত না। তবে তিনি মেইন স্ট্রিম ইন্টেলেকচুয়াল। ক্যাম্ব্রীজের র্যাঙলার। মুসলীম লীগের দেশ বিভাগকালীন সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশিমের পোলা। শুরুতে ইসলামী লাইনে ছিলেন। বিলাতে গিয়া আরপিডিগো প্রভাবে পইড়া আস্তে আস্তে মার্কসবাদী হইয়া যান। তারপর দেশে আইসা প্রথমে ইউনিভার্সিটিতে ঢুকেন। তারপর চাকরি ছাইড়া সার্বক্ষণিক রাজনীতি আর রাজনৈতিক লেখালেখি শুরু করেন। আজ পর্যন্ত তাই করতাছেন। এমনিতে ঘাউরা স্বভাবের লোক হইলেও একদিন কইছিলেন যে ইন্টেলেকচুয়াল স্ট্রাগল কোনদিন শেষ হয় না। তার খুব সিরিয়াস লেখায় রিজনিংএর পরিবর্তন দেখলে সেই কথাই মনে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ কইরা পলিটিক্যাল সাইন্সে, তার রেফারেন্স দেওয়ার মতো বইপত্র অনেক। তার লেখার বিরুদ্ধে অনেকের অনেক কথা থাকলেও ফটকামীর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত কেউ করে নাই। এই জন্যই আমি সেদিন কইছিলাম এই দুইজনের নাম পাশাপাশি কইলে মজহার অযাচিতভাবে জাতে উঠে আর উমর সাহেব অপমানিত হয়। লেখালেখি কইরা সে কি করতে পারছে এইটা জটিল প্রশ্ন। লেইখা আদৌ কোন লাভ আছে কিনা সেইটাও একটা প্রশ্ন। এইসব প্রশ্ন আমাগো জন্মের অনেক আগেও ছিল। তারপরেও তো লিখতাছি। তুমিও লিখতাছ। হয়তো হুদাই!
মন্তব্য
নাহ, লেখালেখি করে লাভ আছে। লেখালেখি একটা মাধ্যম, কথাবলার মতই। আমি নিজে উমর আর মজহার সমন্ধে তাদের কলামের বাইরে কোন কিছু জানি না। কোন বইও পড়ি নাই। কলাম পড়ে তাদের সমন্ধে বিভিন্ন সময়ে বিরূপ মনোভাব তৈরী হয়েছে। এমনিতেও স্বাধীনতার পরে বামপন্থীদের ভুমিকা ঠিক সহানুভুতির চোখে দেখা হয়ে ওঠে না আমার। তারা ঠিক কি অর্জন করতে চেয়েছিলেন, আর কি অর্জন করেছেন এটা বুঝে উঠতে পারি না।
এই বিষয়টার একটা ট্র্যাজেডি হইলো একদিকে তত্ত্বীয় মার্কসবাদ অন্যদিকে সাংগঠণিক রাজনীতির ঐতিহাসিক বিবর্তন না জাইনা কথা বলা মুস্কিল হইয়া যায়। এইটার কোন শর্টকাট রাস্তা নাই। এই আর কি।
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
উৎসের আগ্রহটা গেল আর কি?
কি আর করা...
এই এক সমস্যা...
সহজ করে জটিল কথা বলা খুব কঠিন।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
নতুন মন্তব্য করুন