আবার ও ইউরোট্রিপ-১

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৬/০৮/২০১৩ - ২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই ছেলেবেলায় কবে কোন এক অপ্রকৃতগ্রস্ত মহিলা বলেছিল, আমার নাকি বিদেশযাত্রা নাই কপালে, শুনে যারপরনাই হতাশ হয়েছিলাম। কেন জানি হাত দেখতে পারে এমন কাউকে পেলেই জিজ্ঞেস করতাম আমার-বিদেশযাত্রা আছে কি না। এত কিছু থাকতে বিদেশযাত্রার কথাই কেন জানতে চাইতাম ঠিক নিজে ও বলতে পারবোনা। এই পাগলামি করেছি বুয়েটে পড়ার সময় ও, এক বন্ধু একবার বলেছিল তার কোন এক বন্ধু হাত দেখতে পারে, তার কথা নাকি বেশ ফলে ও যায়। কিন্তু তাকে হাত দেখাতে হলে আবার অমুক জায়গায় তার সময়মত যেতে হবে। সেখানে ও গিয়েছিলাম, সে ও নাই বলেছিল। সবাই কমবেশি নাই বলতো। এই না কে হা করতেই কি না জানিনা আমার বারবার ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। পাগলের মত খালি ঘুরতে ইচ্ছে করে। মনে হয় এই বিশ্বের এক ফালি জায়গা ও যেন বাদ না যায় যেখানে আমি পা ফেলি নাই।

এই বছরে আর কোন কনফারেন্স উপলক্ষে নয়, এমনি এমনি ইউরোপ ঘুরতে যাবার প্লান করে ফেললাম। ফাজিল বন্ধুরা নানা বাহানায় শেষ পর্যন্ত তাদের প্লান থেকে সরে দাঁড়ালে ও আমি অটুট ছিলাম নিজস্ব প্লানে। কেমনে কেমনে যেন একটা ব্যবস্থা-পাতি ও করে ফেললাম। ভিসা ও পেয়ে গেলাম সহজেই। ভিসা করতে গিয়ে দেখি যেই লোক কাগজ জমা নিচ্ছে সে নাকি বাংলাদেশ ঘুরে আসছে, আর মেলা ভালো ভালো কথা বললো আমার দেশ নিয়ে, দেশের মানুষ নিয়ে। শুনেই কেমন যেন বুক ভরে গেল।

একা একা এত লম্বা টুর করবো ভাবতেই একটু কেমন লাগছিল, তাই কিছু বেশি টাকা গচ্চা দিয়ে স্পেন ,পর্তুগাল এর একটা গাইডেড টুর নিয়ে নিলাম। সমস্যা একটাই এই টুর বার্সেলোনা নিয়ে যাবেনা। তাই সেইটুকুর প্লান একা একা করে ফেললাম। বিখ্যাত তারেক অণুকে বলতেই সে অবশ্য তার বদান্যতার চূড়ান্ত করলো, কোন এক হেন্ডসাম বন্ধুকে বললে সেই ঘুরিয়ে দেখাবে বলে আমাকে জানিয়ে দিল। আমার দিলেই সমস্যা, লুকজনরে জ্বালাবোনা বলেই টুকটাক কিছু ইনফরমেশন নিয়ে রাখলাম। চটপট হাই-স্পীড ট্রেনের টিকেট কেটে ফেললাম গাদা-খানিক টাকা খরচ করে। মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনা গিয়ে আবার মাদ্রিদে ফিরে উড়াল দিতে হবে। অফিস থেকে মেলা যন্ত্রণা করে ছুটি ও মিললো অবশেষে। বসের চেহারা দেখতে হবেনা, লম্বা ছুটিতে যাবো ভাবতেই লাইফ কেমন বিউটিফুল হয়ে উঠে।

গরীব মানুষ তাই খুঁজেপেতে কমদামের টিকেট কেটেছি, সাত ঘণ্টা দুবাইতে বসে মাছি মারা লাগবে হুদাই আর সিঙ্গাপুর টু দুবাই, দুবাই টু মাদ্রিদ মিলে মোট ১৪ ঘণ্টা উড়তে হবে। তাতে অবশ্য খুব একটা মন খারাপ না, কমে পেয়েছি তাতেই মহা-খুশি।

ভাবনার চেয়ে দ্রুতগতিতে সময় পেরিয়ে গিয়ে লাল শুক্রবার চলে আসলো। অফিসের গাছগুলার খাবারের ব্যবস্তা করা নিয়ে ঝামেলা হয়ে গেছিল প্রায়। আমার পোলিশ কলিগ ও ছুটিতে পোল্যান্ড যাচ্ছে বলে এই বারে মালীর দায়িত্ব কাকে দেয়া যায় সেটা নিয়ে একটু বেড়াছেড়া লেগে গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে ক্লিনার আন্টিকে ধরে টরে রাজী করালাম আমার অনুপস্থিতে গাছগুলাকে একটু আদরযত্ন করে যাতে। বাসার গাছগুলার ব্যবস্থা ও হয়ে গেল আর একজন বন্ধুর বদান্যতায়। লম্বা টুরে যাবার এই এক যন্ত্রণা, নিজের পেটের দানাপানির ব্যবস্থা হোক বা না হোক, গাছগুলার জন্য একটা ব্যবস্থা করে দেয়া লাগে।গাছের ব্যবস্থা করতে গিয়ে এরে ধর তারে ধর সে আর এক মহা-যন্ত্রণা। যাই হোক,অবশেষে তেমন কোন বড় ঝামেলা ছাড়াই উড়াল দিতে পারলাম।

প্লেনে চেপেই দেখি আমার সিটের সামনে তিন সিটের জায়গায় দুই খানা সিট, ইমার্জেন্সি এক্সিটের জন্য ঠিক আমার সামনের সিট নাই। মনে মনে একটু শঙ্কিত হয়ে গেলাম, এই সাতঘন্টা মুভি না দেখলে করবোটা কি। তবে পা ছড়ায়ে আরাম করে বসা যাবে সেটা ও ব্যাপক আরামের। সামনের সিটে দেখলাম ফ্যাকাসে চামড়ার লম্বু্মত এক ব্যাটা বসছে, উঠেই সে একটু পর পর পিছনে তাকায়ে খালি হাসে, আমি ও মিচকি করে একটু হাসি, ব্যাটা দেখতে অবশ্য বেশ হ্যান্ডসাম। একটু পর দেখি আমার মত কিন্ডলে বই পড়ে, আবার উঁচায়ে তার কিন্ডল আমারে দেখায়।বুঝলাম এই ব্যাটা জ্বালানোর জন্য রেডি হচ্ছে। কি আর করা আমি কিন্ডলে নাক ডুবায়ে দিই। কিছুক্ষণ বাদেই সে পিছনে ফিরে জিজ্ঞেস করলো কই যাই, সে লন্ডনে যাচ্ছে বলে আবার ও হাসি। কই যাবো উত্তর করতে করতে পাশদিয়ে চলে যাওয়া বিমানবালা আফাকে জিজ্ঞেস করলাম আমার মনিটর কই, সে সিটের তল থেকে খুঁজেপেতে মনিটর বের করে দিল,আমি প্রায় ঝাঁপিয়ে পরে মুভি সার্চ করতে লেগে গেলাম। দুখানা মুভি দেখে, খেয়ে খানিক ভাত ঘুম দিয়ে দিব্যি সাতঘন্টা কাটিয়ে দুবাই এয়ারপোর্টে পৌঁছে গেলাম। ট্রান্সফার এর সময় এক কলিগের সাথে দেখা, সে ও লন্ডনে যায় দেখি। আমার সে এক ফাটা কপাল কৌ রে দেখতে লন্ডনে যাইতে চাইলাম, আমারে ভিসাই দিলনা। কলিগরে টাটা দিয়ে এয়ারপোর্টময় ওয়াইফাই এর ভাল একটু সিগনালের আশায় ঘুরে ফিরে ব্যর্থ হয়ে একটু কাত হবার জায়গা খুঁজে বের করে ফেললাম, এক জায়গায় দেখি বিচের আধশোয়া হবার চেয়ার পেতে রাখছে এরা।একটাতে জাঁকিয়ে আধশওয়া হয়ে এইবার আবার কিন্ডল খুলে বসলাম। লোকজনকে দেখি এই চেয়ারে জাঁকিয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে ভোঁসভোঁস করে নাক ডেকে যাচ্ছে দিব্যি। আমি ও ব্যাগটাকে কোল বালিশ বানিয়ে চোখ বুঝে থাকি কিছুক্ষণ।

ভোরের দিকে আবার পরবর্তী ফ্লাইটের জন্য বোর্ড ইন করলাম। এইবার দুইপাশে দুই ভাবলেশহীন ভদ্রলোক বসেছেন। আমি ও বিকার-হীনভাবে দুইপা সীটে কোনরকমে উঠিয়ে ঘুমানোর এন্তেজাম করে ফেললাম। ঘুম ভেঙ্গে দেখি পাশের ভদ্রলোক আমার খাবার তার ট্রেতে করে নিয়ে বসে আছেন। ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে মুখে হাসি ফুটিয়ে খাবার এগিয়ে দিলেন। আমি ও হাতমুখ ধুয়ে নিয়ে খাবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পড়তে ধন্যবাদ দিয়ে দিলাম। খানিক্ষন বাদেই ল্যান্ড করে ফেললাম মাদ্রিদে। সেরম বড় এয়ারপোর্ট। ব্যাগ নেবার জন্য আবার ইন্টারনাল শাটল ট্রেন নিতে হল। দুনিয়া হেঁটে এসে পরে ব্যাগেজ কালেকশনের জায়গার দেখা পাওয়া গেল অবশেষে। বাইরে বেরিয়ে টুর এর লোকজন খুঁজতে লেগে গেলাম। হোটেলে ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে গেল প্রায়।রুমে ঢুকে মন ভাল হয়ে গেল। ফোন করে ডেস্কে খোঁজ নিলাম আমার রুমমেট আসবে কখন।ফ্রেস হয়ে নিয়ে টিভি খুলে বসতে না বসতেই দরজা খোলার শব্দ, আমার রুমমেট ব্রিগিতা চলে আসছে। কথাবার্তা বলে বেশ ভাল লাগল। সে নার্সিং এর কোর্স শেষ করে গ্রাজুয়েশন ট্রিপ দিতে এসেছে আমেরিকা থেকে। দুজনে এরপর বের হয়ে গেলাম ওয়েলকাম পার্টিতে জয়েন করতে। গিয়ে দেখি এলাহি কারবার, সবমিলিয়ে ৫২ জনের গ্রুপ। বাচ্চাকাচ্চা সহ কিছু পরিবার ছাড়া ও এল্ডারলি কাঁপল আছে বেশ কিছু। পরিচয় পর্ব শেষ হতেই কিছুমিছু মুখে দিয়ে নিয়ে সবাই মিলে বাসে উঠে পরলাম এদিক-সেদিক ঘুরে দেখার জন্য। অল্প কিছু ছবি তুলতে পারলাম, সেগুলাই আজকে শেয়ার দিই।

IMG_5875

IMG_5864

IMG_5905

IMG_8446

IMG_8493

IMG_8559


মন্তব্য

সাইদ এর ছবি

ভাস্কো-দা-গামার দেশে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন?? সবাই শুধু লিসবন আর আল্‌গারভ্‌ দেখতে আসে বা সময় থাকলে পোর্তো। কিন্তু উত্তর পর্তুগাল আর ম্যাদেইরা হল দেখার জন্য সবচেয়ে ভাল

বন্দনা এর ছবি

হুম সাইদ ভাই, আমি ও লিসবন, আলগারভ আর ফারোতে গিয়ে আসলাম। এইবারে গ্রুপ টুর নিয়েছিলাম, তাই এটার প্লানিং আমার হাতে ছিল না। আস্তে আস্তে লিখবো কই কই ঘুরে এলাম। কিছু জায়গা বাকি থাক আর একবার যাবার জন্য।

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

এইযে ম্যাডাম, আমার ইউরোট্রিপ শেষ হওয়ার আগে আপ্নে আপনের দোকান খুললেন কেন? রেগে টং

মন্তব্য পরে করতাছি, এখন চান্দি গরম আছে। রেগে টং

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

বন্দনা এর ছবি

আপ্নি তো জানতাম কানাডাবাসী, কবে আবার ইউরোপে আসলেন, শুনলাম কৌ এর সাথে ব্যপক ঘুরাঘুরি করছিলেন।চান্দি গরম কেনে??

আলতাইর এর ছবি

ওই বাউলা গৃহস্থালী...আপনের ইউরোট্রিপ শ্যাষ না করলে ওই ইটা কইলাম আপনের চান্দিত ফালামু!!!!

চরম উদাস এর ছবি

ইউরুপ ভালো না, ইউরুপের সবাই নাস্তিক আর বেপর্দা ইয়ে, মানে...

বন্দনা এর ছবি

চউদা আমি তো আস্তিক না, তাই ইউরোপ খুব ভালা পাই দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি

এইডা একটা কাম করলেন! ড্যানিয়েল বেচারা দুই পায়ে খাড়া ছিল, পুরাই ক্যাতালানের হ্যাভিয়ের ভারদেম। দেঁতো হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

নাহ ইউরোট্রিপের ছবি জমল না। তারেকাণুরে দেইখা কিছু শেখেন

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বন্দনা এর ছবি

তারকাণু একপিস হয়রে ভাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা ছবি দুই-ই ভাল লাগল। তবে ত্রিমাত্রিক কবি-র কথার গুরুত্ব আছে কিন্তু হাসি
- একলহমা

বন্দনা এর ছবি

তারেকাণুরে হিংসা করার যোগ্যতা ও আমার নাই রে ভাই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

সত্যপীর এর ছবি

ছবি এক্কেরে ক্যালেন্ডার কোয়ালিটি হৈছে. কিপিটাপ.

পরেরটা ছাড়েন.

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

হাহাহা, পরেরটা আবার লাল শুক্রবারে দিবনে, মেলাদিন কিছু লিখিনা, আব্জাব কিহু লেখা দরকার ছিল পর্ব শুরু করলাম, শেষ করতে পারব কিনা জানিনা পীরসাহেব, এদিকে অফিসে আবার ছেচা দিতাছে ছুটি থেকে আসার পর।

বন্দনা এর ছবি

হুম মক্কার মাণুষ হজ্ব পায়না। আপনি কি জার্মানিতে থাকেন নাকি??

ফ্রুলিংক্স এর ছবি

ঘুরতে যাবোযাবো করেও যাওয়া হয় না।
ইউরোপ আমার কাছে মোটামুটি একই রকম। বর্তমানে কিছু নতুন দেশ ইউরোপে আসছে। ওখানে প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন। আশা আছে ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু ঘরের কাছেই, ভিসার সমস্যা নাই। শুধু টিকেট কেটে উঠে গেলেই হলো। তাই কোথাও যাওয়া হয় না।

জার্মানীতে দেখার কিছুই নাই। শুধু unlimited speed -এ গাড়ি চালানো ছাড়া।
চলুক...

বন্দনা এর ছবি

মন্তব্য লাফাং দিছে , আপ্নারে করা মন্তব্য পীরসাহেবের কাছে গেছেগা।

ফ্রুলিংক্স এর ছবি

আপাতত জার্মানীতে

আলতাইর এর ছবি

খালি এই ট্রিপ ওই ট্রিপ এর ফটু দেইখা লম্বা লম্বা নি:শ্বাস ফেলি. আমগো কপালে কিসসু নাই.সচল পর্যটক গণ সকলেই একেকটি অভিশাপ

বন্দনা এর ছবি

হায়হায়, এখন ও তো কিছুই দেইনাই, গল্প তো মাত্র শুরু করলাম, এর মাঝে কান্নাকাটি শুরু কইরা দিলে হবে আলতাইর ভাই।

আলতাইর এর ছবি

আহা!!! মন খুইলা ইক্টু হিংসাও কর্তে পারুম না বইনডি???

বন্দনা এর ছবি

আচ্ছা করেন করেন যান, অনুমতি দিয়ে দিলাম

আলতাইর এর ছবি

আরে আপনেরে একলা কইছি নিকি? সব রথী মহারথী গো একত্রে কইছি। মন খুইল্লা একটু হিংসাও দেখাইতে পারুম না বইনডি???

আলতাইর এর ছবি

আইচ্ছা...এই ডামাডোলের মইদ্দে একটা জিনিস মাত্তর চৌক্ষে পড়লো। এইটা কি নীড়পাতার পঞ্চাশ হাজারতম পোস্ট?? না মানে এড্রেসবারের শেষে 50000 লেখা দেখাচ্ছেতো তাই জিগাইলাম আরকি।

বন্দনা এর ছবি

হুম মনে হচ্ছেতো তাই, আপনি বলার পর লক্ষ্য করলাম।

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

ছবিগুলো ভালো লাগলো। একটু বর্ননা দিলে কি আরো ভালো হতো না! পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

-নিয়াজ

বন্দনা এর ছবি

পরের পর্বে চেষ্টা করবো , সময় এর অভাব ভাইয়া।

তিথীডোর এর ছবি

ইয়ে, লেখা ঠিক জমল না। ইয়ে, মানে...
ট্রাভেল লগ পড়তে পড়তে মানসভ্রমণের একটা 'হাউশ' তৈরী হয়। সেটা এলো না এক্কেবারেই!

ফরম্যাটিং আর টাইপোতে আরেকটু মনোযোগ দিও আফা। বিশেষত 'কাপল'কে কাঁপল লিখলে তো ভারি মুশকিল! চোখ টিপি

ছবিগুলো খুব সুন্দর। চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বন্দনা এর ছবি

না লিখতে লিখতে মনে হয় হাত দিয়ে আর লিখাই বের হয়নারে। আপনার পরামর্শ মাথায় রাখার চেষ্টা করবো আফামনি।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা দেখে স্পেন দেখার জন্য মন ছুটে গেছিল। বুঝতে পারছি আপনে সেইটা উস্কে দেবেন আরো। চলুক।

বন্দনা এর ছবি

হুম আমিও কদিন আগেই দেখলাম মুভিটা। বার্সেলোনা বেশ ভালো লেগেছে, আস্তে ধীরে লিখবো ভাইয়া।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ধুস, সবাই খালি এই ট্রিপ সেই ট্রিপ এর ছবি দেয়!

____________________________

বন্দনা এর ছবি

আপনি ও ছবি দেন প্রোফেসরসাব।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লেখা চলুক , আরও লেখা চাই পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
ইসরাত

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ ইসরাত। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এদের এতো ঘুরাঘুরি দেখলে পিত্তি জ্বলে যায়। ছোটবেলার মতো বলতে ইচ্ছে করে 'ঠ্যাং ভেঙ্গে হাতে ধরায়া দিমু কইলাম' রেগে টং

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বন্দনা এর ছবি

আগে তাইলে তারেকাণুরে পাঙ্গা দেন নজুভাই, আমার সিরিয়াল মেলা দূরে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হু, কিন্তুক তারে পাইবেন ক্যাম্নে? দেখা যাবে ঠ্যাং আছে পম্পেই, আর হাতখানা ব্রাজিলে চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

কৌস্তুভ এর ছবি

কই পরের পর্ব কই?

বন্দনা এর ছবি

আলসেমি লাগেরে ভাই।দিমু দিমু।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।