এইবার আমেরিকা আসার মূল উদ্দেশ্য সোশাল মিটিং হলে ও এর মাঝেই কেমন করে যেন ওয়েস্ট কোস্টের দিকে একটা রোডট্রিপ এরেঞ্জ হয়ে গেল। সান ফ্রান্সসিস্কোতে কনফারেন্সে যোগ দিতে আসা রাজু আর তিন্নি ছাড়া ও নিউ ইয়র্ক থেকে রনিকে ও পাওয়া গেল এই ট্রিপে। এইবারের ট্রিপের কোন প্লানই আমার করা হয়নি, পাঁচদিনের রোডট্রীপে টাচ এন্ড গো করে যেসব জায়গা দেখা হলো তা নিয়েই আজকের ছবি ব্লগ। সান-ফ্রান্সিস্কো থেকে শুরু করে ইয়োসোমিতে ন্যাশনাল পার্ক দেখে বিশপ হয়ে ডেড ভ্যালির মাঝ দিয়ে ঘুরে এসে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, উইপটকি পার্ক হয়ে সিকুইয়া পার্ক দেখে সোজা সান ফ্রান্সসিস্কোতে এয়ারপোর্টে এসে এই ট্রিপের পরিসমাপ্তি। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার মাইল এর মত ড্রাইভিং করতে হয়েছে সব জায়গা ঘুরে দেখতে।
ট্রিপের বর্ণনা করতে গেলাম না আলসেমির চোটে, তবে ভালো লাগাটুকু সবার সাথে শেয়ার করার অদম্য ইচ্ছেটাকে আটকে রাখতে না পেরেই এই ছবি-ব্লগ লিখতে বসা। ছবিগুলা ওভারভিউ হিসেবে নিলে ভালো হয়। আমার দুষ্টু বন্ধুরা অবশ্য এই জায়গাগুলাতে এসে কয়েকদিন করে থাকার জন্য চিন্তা ভাবনা করছে আবার ও, কিন্তু আমার সেই উপায় নেই। মোটের উপর সবগুলা পার্ক এত বড় যে কয়েকদিন থেকে আস্তে আস্তে ঘুরে না দেখলে আসলে পোষায় ও না। তো আজকে ইয়োসোমিতে ন্যাশনাল পার্কের কিছু ছবি দেখা যাক।
১।ইয়োসোমিতে ন্যশনাল পার্কের পথে
২। গাড়ির উইন্ডশীল্ডে উকিঁমারা পাহাড়
৮। গাছপালার ফাঁক গলে উকিঁ মারে পাহাড়
১০। পাহাড় ছুঁয়ে যায় আকাশের সীমা
১১।সবুজ গাছের সাথে ধূসর পাহাড়ের মিতালি।
১৩। উজ্জ্বল হলদে ঘাস থেকে চাইলে ও চোখ সরানো যায়না
১৪।পাহাড়ের কোলে খেলে যাচ্ছে পড়ন্ত বেলার ম্লান আলো।
ছবি কৃতজ্ঞতা- সীমা, রনি, রাজু, তিন্নি(কার হাতে ক্যমেরা কখন ছিল বলা যাচ্ছেনা বিধায় সবাইকে কৃতজ্ঞতা)
মন্তব্য
চোস্ত হয়েছে।
গোঁসাইবাবু
ধন্যবাদ গোঁসাইবাবু
শ্বাসরুদ্ধকর রকম সুন্দর!
সুন্দরের বেশিরভাগটাই ক্যমেরা ধরতে পারেনি মেঘলা মানুষ।
ছবি দেখে চিৎপটাং হয়ে গেলাম
আহা ইয়োসিমিটে, কবে যাব পাহাড়ে? আহারে!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
গেলে সময় নিয়ে যাবেন, অন্তত বেশ কয়েকদিন না থাকলে গিয়ে হুদাই আমার মত মন খারাপ করবেন পরে।
আপনার ছবিব্লগ এর ছবিগুলো সুন্দর।
শুধু যদি সামান্য কিছু তথ্য থাকতো, অনেক ভালো লাগতো আমার কাছে।
ভালো থাকবেন বন্দনা।
আপনার জন্য শুভকামনা।
----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
'এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর।
এ ভরা বাদর মাহ ভাদর
শূন্য মন্দির মোর।।'
পরের পর্বে চেষ্টা করবো পলাশ ভাই, এখন হাতে সময় কম,বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে বেশ ব্যস্ততা যাচ্ছে।
প্রথম ছবিটা দেখে মনে হলো, আমি হলে ঐ রাস্তার ধারের ছায়ায় বসেই কাটিয়ে দিতাম পুরোটা সময়!
ছবি-ব্লগ ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাবনাদা। আমাদের ও খুব মন খারাপ লেগেছিল এইভাবে হুট-হাট দেখেই চলে আসতে হল বলে।
ফাঁকিবাজি পোস্ট। লেখা কই?
ছবিগুলা ভালোই হয়েছে তবে ওভার এক্সপোজড আর ভ্যারিয়েশন কম মনে হল। তাতে অসুবিধা নাই, অসুবিধা হলো আপনার লেখা না থাকাটা।
আমার ক্যমেরা আমার সাথে মামদোবাজি করতেছে পিপিদা, ডিসপ্লেতে একরকম দেখাচ্ছে, পিসিতে নিলে ছবি অন্যরকম।
১ নম্বর ছবির রাস্তাটা দেখেই তো ওর উপর দিয়ে গাড়ি চালাতে ইচ্ছে করছে। (নতুন ড্রাইভার তো!!)
আহা আহা! ছবিগুলো দেখেই তো মন ভালো হয়ে যায়!!
পরের পোস্টগুলো জলদি আপু!! তর সইছে না আর!
____________________________
প্রোফেসর সাহেব। আমি ও নতুন ড্রাইভার কিন্তু এখন ও চালানোর অনুমতি পাইনা।
ছবি গুলো সুন্দর! আমি এরকম একটা ছবি ব্লগ লিখব বলে এখন থেকেই প্ল্যান নিচ্ছিলাম। এবছরের অক্টোবরে ফ্লাই করে লাস ভেগাস যাব। তারপর সেখান থেকে ড্রাইভ করে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, ব্রাইস ক্যানিয়ন, মনুমেন্ট ন্যাশনাল পার্ক এবং সবার শেষে ঘুরে উলটো দিকে ডেথ ভ্যালি এবং ইয়সেমিটি পার্ক। হাজার খানেক ছবি তোলার ইচ্ছা রাখি।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
তাহলে তো বেশ হল, আপনি আশা করি ঠিক মত বর্ণনা করে লিখবেন সোহেল ভাই। অপেক্ষায় থাকবো।
পিপি-দার সাথে একমত।
ও ঘরে বসে গিন্নী তানপুরা নিয়ে গলা সাধছে আর সেই ভেসে আসা সুরে ভাসতে ভাসতে এ ঘরে সোফায় বসে আমি আপনাদের আকাশ-পাহাড়-বনের মেশামেশির ছবির মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছি। আহা! এই না হ'লে বেড়ানোর আনন্দ!
তবে ছবির বালকের বা বালকদের ছবি দেখে একটু মৃদু চিনচিনানি হ'ল - ছিল, ঐ বয়স একদিনি আমারো ছিল। তবে ব্যাথারে বেশী আমল দিলাম না। এখনো ইয়োসোমিতে ঘোরা হয় নি। এই অবস্থায় চিনচিনানি বাড়িয়ে হৃদয়রে ব্যতিবস্ত করার কোন মানে হয়না!
পরের পোস্টে আরেকটু বর্ণনা সহ আরো ফটোর আশায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
চেষ্টা করবো লহমাদা।
ফটুকগুলো সুন্দর হয়েছে! বন্দনার ফাঁকিবাজিও
আচ্ছা ১১ নং ফটুকের লোকটার নাম কি রনি? চেনা লাগছে
ধন্যবাদ দিদি, । আর একবার ট্রায়াল এন্ড এরর করলে পেয়ে যাবা নামটা।
facebook
ছবির জন্য
আর লিখাত নাই তাই............ দেখি পরেরবার পাই কিনা
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
অভিমন্যু
আহ্! বড়ই সৌন্দর্য ছবিগুলো
আমারও এক লহমা দার মত বুকে একটু চিনচিন করছে। তবে অন্য কারণে। আমি কবে যাব এমন একটা জায়গায় এই কারণে
ফাহিমা দিলশাদ
আমারও পিপিদার মতো মনে হলো এবারের ছবিতে ভ্যারিয়েশন একটু কম। যাই হোক, ব্যাপার হল যে ইদানিং আমি আর ভ্রমণ ব্লগটগ-বইটই পড়ি না। নিজে বেড়াতে পারি না তো সেভাবে, তাই এগুলা পড়লে-দেখলে হিংসা টিংসা হয়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন