তাইপে নগরীতে চার দিন (প্রথম পর্ব)

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি
লিখেছেন এস এম নিয়াজ মাওলা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৪/২০১৫ - ১০:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হ্যারি হুডিনি! পৃথিবী বিখ্যাত জাদুকর। একবার ইউরোপ ভ্রমণে গিয়ে পুরু ইটের দেওয়ালের এপাশ ভেদ করে ওপাশে গিয়ে শার্লক হোমসের জনক স্যার আর্থার কোনান ডোয়েলকে নির্বাক করে দেন। সেই থেকে তাঁদের মধ্যে অসাধারণ এক বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয়েছিলো, যদিও এই বন্ধুত্বের শেষটা খুব হৃদয় বিদারক ছিলো। হুডিনি নিয়ে এই লেখার ভূমিকার কারণ তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশে আসার সময় বিমানে হুডিনিকে নিয়ে দেখা দুই পর্বের এক মিনি টিভি সিরিজ। তন্ময় হয়ে যাত্রার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখছিলাম!

হুডিনিকে নিয়ে বিস্তারিত সময়মত না হয় লেখা যাবে, আমি বরং তাইওয়ান ভ্রমণ নিয়ে কিছুটা স্মৃতিচারণ করি। তাইওয়ান গিয়েছিলাম Asia Pacific Society Of Infection Control এর 7th International Congress –এ অংশগ্রহন করতে। তাই এই ভ্রমণকাহিনীর শুরুতেই উপক্রমনিকা।

উপক্রমনিকাঃ

ছোটবেলা থেকেই কেনো জানি না ডাক্তার – এই পেশার প্রতি খুব একটা আকর্ষন কখনই ছিলো না। আমার বাবা ছিলেন বিচারক, আমি তাই বরাবরই ভক্ত ছিলাম কালো গাউনের। কিন্তু কথায় আছে না, মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক! শেষ পর্যন্ত আমাকে সাদা এপ্রোনই পরতে হলো। অনেকটা মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই হয়ে গেলাম ডাক্তার। পাশ করে দীর্ঘ সাত বছর কাজ করলাম নিউরোসার্জারীর মতো কঠিন এক বিষয়ে। দেশের নামকরা সব নিউরোসার্জনদের সাথে কাজ করে ভালোই লাগছিলো।মাথা, মেরুদন্ড, ব্রেইন- সবকিছু নিয়ে মাখামাখি উপভোগ করছিলাম চরম। ভাবলাম, নিউরোসার্জন বোধহয় হয়েই গেলাম! কিন্তু এবারো সেই ব্যাপার- মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। হঠাৎ করেই ক্ষনিকের সিদ্ধান্তে নিউরোসার্জারী ছেড়ে চলে এলাম পাবলিক হেলথে।মনে হলো মানুষকে প্রভাবিত করার এক বিশাল ক্ষমতা আছে। আর তাই যোগদান করলাম আইসিডিডিআর,বি-এর মতো বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে।ডাক্তার থেকে রিসার্চার!

গত বছর আমরা হাসপাতালে বা স্বাস্থ্য পরিষেবায় সৃষ্ট সংক্রমণ প্রতিরোধের উপর কাজ করেছিলাম। শব্দটা বোধহয় খুব খটমটে হয়ে গেলো! ইংরেজীতে ব্যাপারটা আরো সহজে বোঝা যায়- Healthcare Associated Infections Control and Prevention, এটাও নতুন নাম! পুরানো ইংরেজী নাম হচ্ছে- Nosocomial Infections বা Hospital Acquired Infections। আমাদের প্রকল্পের একটি পোশাকি নাম ছিলো “স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতকরণ প্রকল্প” বা Health System Strengthening Program। আরেকটু সহজ করে বলি- প্রমাণ ভিত্তিক দক্ষতা, নিয়মানুগ এবং কার্যকারিতার উপর জোর দিয়ে একটি পরিকল্পিত মডিউল চালু করে স্বাস্থ্য সেবাকে অধিকতর উপযোগী এবং নিরাপদ করার লক্ষ্যে “স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতকরণ প্রকল্প”-এর সূচনা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করে স্বাস্থ্য পরিষেবায় সৃষ্ট সংক্রমণ বা হেলথকেয়ার এসোসিয়েটেড ইনফেকশন প্রতিরোধে এবং স্বাস্থ্য সেবায় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ল্যাবরেটরী ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাত ধোয়া, ধারালো বস্ত বা সিরিঞ্জ ব্যবহারের নিয়মবিধি, হাসপাতাল পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণুমুক্ত করণ পদ্ধতি, বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের সঠিক প্রক্রিয়া এবং সঠিক নার্সিং পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদান এবং হাত কলমে প্রশিক্ষন দেওয়াই হচ্ছে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশে প্রতি বছর “স্বাস্থ্য পরিষেবায় সৃষ্ট সংক্রমণ”-এ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী আক্রান্ত হোন। ফলে এসব রোগীদের বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে, এন্টিবায়োটিক ওষুধের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং বেড়ে যাচ্ছে রোগীর চিকিৎসা খরচ ও অনাকাঙ্খিত মৃত্যু, যা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল (MDG) পূরণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ সরকার অনেকদিন যাবত এই সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এই কাজকে সমন্বয় সাধন করে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই আইসিডিডিআর,বি-এর ক্লিনিক্যাল গভর্ন্যান্স ইউনিটের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লেইনের সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত ময়মনসিংহে অবস্থিত কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশে ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করণ প্রকল্প’-এর পাইলট পর্ব শুরু হয়। পাইলট প্রকল্পে চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবায় জড়িত অন্যান্যদের উপরোক্ত বিষয়ে শিক্ষাদান এবং হাতে-কলমে প্রশিক্ষন দেওয়া ছাড়াও হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরও সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতন করে তোলা হয়। একই সাথে এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল, বিশেষ করে এমডিজি ৪ ও এমডিজি ৫-এর অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এই কাজের উপর আমরা বেশ কিছু সারাংশ বা এবস্ট্র্যাক সংক্রমন সম্পর্কিত বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থায় পাঠিয়েছিলাম এবং সবগুলো সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে আমাদের এবস্ট্র্যাকগুলো গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপিত হয়েছিলো। যেমন- 9th Healthcare Infection Society International Conference 2014, Lyon, France, Australasian Society for Infectious Diseases Annual Scientific Meeting 2015, Auckland, Newzeland, 7th International Congress of Asia Pacific Society of Infection Control 2015, Taipei, Taiwan, 15th International Congress of the International Federation of Infection Control 2015, New Delhi, India এবং 42nd Annual Conference of Association for Professionals in Infection Control and Epidemiology 2015, Nashville, TN, USA। এর মধ্যে আমেরিকারটিতে আমাদের এবস্ট্র্যাকটি Best International Abstract Award পেয়েছে, যেটি দেওয়া হবে আগামী জুন মাসে। যা হোক, তাইওয়ানের সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো মার্চ মাসের ২৬ থেকে ২৯ পর্যন্ত। এবারের এই ভ্রমণ সিরিজটি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে নগরীকে নিয়েই।

যাত্রার পূর্বে বিভ্রাটঃ

যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো তাইওয়ানের সম্মেলনটিতে আমরা অংশগ্রহণ করবো, তখনই এক বিশাল সমস্যা এসে হাজির হলো। সমস্যাতে যাওয়ার আগে ‘আমরা’ খোলাসা করি। ‘আমরা’ এর প্রথম ব্যক্তি এই আমি, দ্বিতীয় ব্যক্তি আমার আরেক সহকর্মী ডাঃ শেখ মাহমুদ কামাল ভাস্কর এবং সর্বশেষ কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – আমাদের বস, নাম না হয় উহ্যই থাকুক। শুধু জেনে রাখা ভাল, তাঁকে আমরা ‘আপা’ সম্বোধন করি! ভাস্কর সম্পর্কে কিছু বলি। ছেলেটি আমার চেয়ে বছর চারেকের ছোট হবে, এবং সবচেয়ে বড় কথা, সে আমার মেডিকেল কলেজেরই ছাত্র ছিলো। তাই একসাথে চাকরী করার আগে থেকেই তাকে আমি চিনতাম। ক্লিনিক্যাল গভর্ন্যান্স ডিপার্টমেন্টে আমরা দুইজনই টীম হিসেবে কাজ করি।

এবার আসি সমস্যার কথায়- সমস্যাটি হলো ভিসা। বাংলাদেশের সাথে তাইওয়ানের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ভিসার জন্য যেতে হবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। তাই প্রথমেই ভারতের ভিসার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু বিধি বাম! পাসপোর্ট চেক করতে গিয়ে দেখি পাসপোর্টের মেয়াদ আছে আর মাত্র তিন মাস, অথচ মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস না থাকলে ভারতের ভিসা পাওয়া যাবে না! মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট জমা দিলাম। এবার আরেক সমস্যা। করবো করবো করে আমার প্রাগৌতিহাসিক যুগের পাসপোর্টটিকে আধুনিক করার সময় বা সুযোগ হয়ে উঠেনি। তাই ঠিক করলাম একেবারে এমআরপি পাসপোর্ট করে ফেলি, মেয়াদও যেহেতু প্রায় শেষ। পুরানো পাসপোর্ট বিসর্জনের শোক কাটিয়ে ছয় দিন পর যখন নতুন ডিজিটালাইজড পাসপোর্ট হাতে পেলাম- দেখি আমার নামটাই সেখানে ভুল! আরো ছয় দিনের ধাক্কা। অবশেষে যখন সঠিক নামের পাসপোর্টটি হাতে পেলাম- তাইওয়ানের ভিসা নেওয়ার জন্য হাতে সময় আছে চার পাঁচ দিন। এই সময়ের মধ্যে ভারতের ভিসা পাওয়া সম্ভব হবে না চিন্তা করে আমি আর ভাস্কর আপাকে অথোরাইজ করে আমাদের পাসপোর্টগুলি দিয়ে দিলাম। আপার আগে থেকেই যেহেতু ভারতের ভিসা করা ছিলো- উনি সময়মতো চলে গেলেন দিল্লীতে। এখানেও কাহিনী! এক দুইদিন সময় নষ্ট হয়েছে তাইওয়ানে যাবো কি না – এই ব্যাপারে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে। কে যেনো একজন আপাকে বলেছিলেন- তাইওয়ানের সিল পাসপোর্টে লাগলে চীনে যাওয়া যাবে না! সে যাই হোক, শেষ পর্যন্ত আপা দিল্লীতে গেলেন এবং তিন দিন পর ফোন করে জানালেন আমাদের তাইওয়ানের ভিসা হয়ে গেছে!

বিমানের টিকেট পর্বঃ

তাইওয়ানের ভিসার আবেদনের পূর্বেই আমাদের আরো তিনটি জিনিস নিশ্চিত করতে হয়েছিলো। যে সম্মেলনে যাবো- সেটার রেজিস্ট্রেশন, বিমানের ফিরতি টিকেট এবং হোটেল বুকিং। বিমানের টিকেট বুকিং দেওয়ার সময় আইসিডিডিআর,বি থেকে আমাদের তিনটি পছন্দ দেওয়া হলো- সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স এবং ক্যাথি প্যাসিফিক/ড্রাগন এয়ার।

আপা প্রথমেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স নিজের জন্য পছন্দ করলেন। তখনই আমি আর ভাস্কর ঠিক করলাম- আমরা দুইজন অন্য বিমানে যাবো। আপার সাথে গেলে ব্যাগ টানতে হবে! মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের চিন্তা মাথাতেও আনলাম না! যে হারে এদের বিমানগুলো গুম হয়ে যাচ্ছিলো, ভরসা পাচ্ছিলাম না। তাই আমাদের পছন্দ হলো ক্যাথি প্যাসিফিক। আপাকে যখন ক্যাথি প্যাসিফিকের কথা বলতে যাবো, তার আগেই উনি বলা শুরু করলেন, “সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের খরচ অনেক বেশি! আমি যাচ্ছি টাইমিং-এর জন্য।তোমরা ছেলে মানুষ, তোমাদের জন্য রাতে ফ্লাইট কোনো সমস্যা হবে না। আবার তোমাদেরকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে যাওয়ার জন্যও আমি বলবো না, যেভাবে দুর্ঘটনা হচ্ছে। আর বাকী থাকে ক্যাথি প্যাসিফিক। আচ্ছা, তোমাদের যেটা ইচ্ছে!” বুঝতে পারলাম, আপা চাচ্ছেন- আমরা যাতে ক্যাথি প্যাসিফিকেই যাই, এবং কারণটাও বুঝলাম- এই তিনটার মধ্যে ক্যাথি প্যাসিফিকেই টিকেট মূল্য সবচেয়ে কম!

(অনেক অনেক দিন পর আবার ব্লগে এলাম! গ্রীক মিথলজি লিখতে লিখতে কখন যে ক্লান্ত হয়ে ব্লগ থেকে বিদায় নিয়েছিলাম বুঝতেই পারি নি! সিরিজ লেখা কখনোই আমি শেষ করতে পারি না। এখানে যেমন গ্রীক মিথলজি নিয়ে সিরিজ ২৯ পর্বে এসে আটকে গেছে, অন্য জায়গায় আমার মেডিকেল কলেজ জীবন আটকে আছে ১৩ পর্বে আর লিবিয়ার পথে পথে ১১ পর্বে! জানি না- তাইপে নগরী নিয়ে এই সিরিজটাও শেষ করতে পারবো কি না! তবুও চেষ্টা! আর সবচেয়ে বড় কথা - এই লেখার মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতিতে ছেদ পড়ছে-এই আনন্দেই আমি আত্মহারা!)

ছবি: 
22/04/2011 - 6:37পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

মুদ্রা সংগ্রাহক এর ছবি

ধুর এইটা কিছু হইল ! ! শুরু না হতেই শেষ ! ! কেবল জমিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম ইয়ে, মানে...

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

দুঃখিত ভাইয়া। সময় স্বল্পতার কারণে একটু সংক্ষিপ্ত হয়ে গেলো।পরের পর্বগুলো চেষ্টা করবো আরো বড় লেখার।
ভালো থাকুন অবিরত।

-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?

রানা মেহের এর ছবি

দুজন মিলে ব্যাগ টানলে যদি আপার সাহায্য হয়, ব্যাগ টানতে অসুবিধা কোথায়?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

ব্যাগ টানতে সমস্যা হচ্ছে এই কারণে যে, নিজেদের ব্যাগ টেনেই কুল পাচ্ছি না, অন্যের ব্যাগ টানবো কিভাবে! আর সবচেয়ে বড় কথা, এখানে ব্যাগ টানাটা একটা সিম্বল। বসের সাথে এক সাথে যাওয়ার আরো অনেক হ্যাপা আছে। পরবর্তী পর্ব গুলোতে দেখবেন কি কি হ্যাপা সয়েছি!

যা হোক, ভালো থাকুন অবিরত।

-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?

মেঘলা মানুষ এর ছবি

এট্টুক? চিন্তিত

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

সামনে আরো আসবে! অনেকদিন পর লিখলাম তো, জড়তা এখনো কাটে নি!

ভালো থাকুন অবিরত।

-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম... আপনারেও তারেকাণু কামড়াইছে?
যাক গিয়া, প্রথম হাচল পোস্টের অভিনন্দন হাততালি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

হা হা হা
কেমন আছেন ভাইয়া?
ধন্যবাদ এবং ভালো থাকুন অবিরত।

-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?

এক লহমা এর ছবি

হাচলাভিনন্দন!
কিন্তু ডাক্তার, সামনের বার এইরকম কৌপীন মার্কা পোস্টাইলে আপ্নের কপালে দুষ্কু আছে!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

ভাইয়া, ঐ যে বললাম সময় স্বল্পতা আর অনেকদিন না লেখার জড়তা! নেক্সট পর্ব বিশাল হবে- কথা দিচ্ছি।

ভালো থাকুন ভাইয়া, সবসময়ের জন্য।

-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কৌপীন মার্কা পোস্ট

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

তাইওয়ানে যাবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের সবচে' বড় বাধা ভিসা। এটা নিয়ে আমি লম্বা গল্প ফাঁদতে পারি, কিন্তু সেই গল্প বলাটা খামাখা হবে। আপনাকে যে এই পেইনটা নিতে হয়নি সেটা আপনার সৌভাগ্য। সিরিজ চলুক।

অটঃ আগে মনে হয় একবার বলেছিলাম (নাকি বলিনি!), গ্রীক মিথলজি নিয়ে আপনার সিরিজটা ই-বুক বের করার কথাটা বিবেচনায় রাখুন। কারণ, গ্রীক মিথলজি নিয়ে কেউ পড়তে বা কাজ করতে চাইলে তখন ওটা একটা ভালো রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। সেক্ষেত্রে তাকে আবার গোড়া থেকে খোঁজ করতে হবে না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তানিম এহসান এর ছবি

তাপ্পর? হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

কোনো কথা হইলো এইটা? পোস্টার দিয়া গেলেগা চলবো?

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

স্বয়ম

অতিথি লেখক এর ছবি

এ এক দারুন অভিজ্ঞতা।
তাইপে নগরীতে ভ্রমণের আরও বিস্তারিত বর্ণনা চাই।।।
ফয়সাল সিকদার

অতিথি লেখক এর ছবি

এ তো দেখছি পাঠকের সকল আগ্রহ অঙ্কুরেই বিনাশ হইয়া গেলো! এত ছোট লেখায় কি মন ভরে! তবে আপার ব্যাগ টানার বিষয়টা কিন্তু একটু খটকা লাগলো! এই যুগে আবার ব্যাগ টানতে হয় নাকি ভাই! সব তো ট্রলি সিস্টেম!!!
[সামশাদ]

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সাথে পরিচিত একজন এর খুব মিল আসে। সে ও কথা শুরু করলে ভুমিকা ও উদাহরন দিয়া কাটায় দেয়। আগ্রহী হয়ে আসছিলাম। নিরাশ হয়ে গেলাম

আবু সালেহ মোঃ ফযলে রাব্বী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।