দ্য লাস্ট সাপার

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৪/২০১৫ - ৭:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বার চারেকের মত মিলান যাওয়া হলে ও লাস্ট সাপারটা দেখি দেখি করে ঠিক দেখা হয়ে উঠেনি। প্রথমবার জানা ছিল না বিধায় অগ্রিম টিকেট না করার জন্য শেষ মুহূর্তে আর টিকেট পাওয়া গেলনা। ঠেকে গিয়ে শিখলাম যে এই মুরাল দেখতে হলে মেলা আগে থেকে বুকিং দিতে হবে, লোকজন নাকি মাস চারেক আগ থেকেই বুক করে ফেলে। যাই হোক এবার কনফারেন্স এর সুবাদে লাস্ট সাপার দেখা হবে এই আশায় বসে ছিলাম। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি দিয়ে ইমেইলে জানতে পারলাম যে প্রথম একশ জন রেজিস্ট্রেশন-কারীর মাঝে না থাকায় এইবার ও এই মুরালটা দেখা হবেনা আমার। কিন্তু ভাগ্য প্রসন্নই বলা যায়, শেষ মুহূর্তে এক ভদ্রলোক তার টিকেটখানা আমার হাতে প্রায় গছিয়ে দিয়ে গেল তার ফ্লাইট মিস হয়ে যাবে বলে। গত দু সপ্তাহ এই অধমের এমন অসহ্য রকমের বিশ্রী কেটেছিল, যে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না যে সত্যি সত্যি লাস্ট সাপারটা দেখতে পাবার মত এমন বিরল কিছু ঘটতে চলেছে।

যাই হোক কনফারেন্সের শেষের দিন, দুপুরের খাবার এর পরপরি সবাই মিলে লাস্ট সাপার দেখতে রওনা হলাম। মিলানো কাডোরনাতে নেমে দলবেঁধে হাঁটতে লাগলাম সান্তা মারিয়া দেল্লা গ্রাতজে চার্চের দিকে। প্রায় মিনিট দশের পরেই পৌঁছে গেলাম চার্চের সামনে। গ্রুপ দুই এর গাইড এসে টিকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো তার নাম আনা এবং আজকের এই ভিজিটে লাল-চুলা এই ভদ্রমহিলা আমাদেরকে গাইড করবে। বুয়েটের পোংটা বন্ধুগুলা পাশে থাকলে নির্ঘাত বলতো, আগুন লাগছেরে চুলে। যাই হোক ভিতরে যাবার আগে লিওনার্দোকে নিয়ে কিছু ইনফো শেয়ার করবে বলায় আমরা সবাই আনাকে ঘিরে দাঁড়ালাম।

বেশ কিছু প্রচলিত গল্প আছে লিওনার্দোর ছেলেবেলাকে ঘিরে, তার মাঝে আনার কাছ থেকে শোনা গল্পটাই উইকির সাথে মিলিয়ে-ঝিলিয়ে বলি। লিওনার্দোর জন্ম হয় ইতালির ফ্লোরেন্সের কাছাকাছি ভিঞ্চি নামের শহরে ১৪৫২ এর এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে। কৃষাণি মা ক্যাটরিনা আর নোটারি বাবা পিয়েরোর এলিজিটিমেট সন্তান লিওনার্দো তার জন্মের পর পাঁচ বছর পর্যন্ত মায়ের কাছে আঙ্কিও তে ছিল। এর মাঝে বাবা পিয়োরোর দুই বিয়ের পর ও কোন সন্তান না হওয়াতে লিওনার্দোকে নিজের কাছে নিয়ে এলেন।

প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ না পেলে ও লিওনার্দো জিওম্যট্রি, ল্যাটিন আর ম্যাথসটা নিজের আগ্রহেই শিখে নেন। লিওনার্দোর করা পেইন্টিং দেখে বাবা পিয়েরো ঠিকই ছেলের প্রতিভা টের পেয়েছিলেন, আর তাঁকে পাঠিয়ে দিলেন তখনকার বিখ্যাত আর্টিস্ট ভেরোক্কিওর ওয়ার্কশপে। এই ওয়ার্কশপে সেই সময়কালের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিরা কাজ করতেন তার মধ্যে বট্টিচেল্লি, ডোমেনিকো, পেরুজিনো ও ছিলেন। এখানে লিওনার্দো শিখলেন কেমিস্ট্রি, ড্রাফটিং, মেটালার্জি, প্লাস্টার, কাস্টিং, মেকানিক্স, কারপেন্ট্রি, ড্রয়িং, স্কাল্পচার, পেইন্টিং আর মডেলিং এর মত জটিল সব জিনিস প্রায় দশক ধরে।

১৪৭৮ তে লিওনার্দো সর্বপ্রথম পেইন্টিং করার কমিশন লাভ করেন যেটা দ্য এডোরেশন অফ মেজাই নামে পরিচিত। এক সাথে অনেক কাজে হাত দেয়া এবং শেষ না করার ব্যাপারে লিওনার্দোর বেশ বদনাম ছিল। এবং সেই বদনাম রাখতেই কাজটি শেষ করার আগেই মিলান পাড়ি দিলেন লিওনার্দো। মিলান যাবার আগে মিলানের ডিউক লুদোভিকোকে লেখা চিঠিতে লিওনার্দো তার এঞ্জিনিয়ারিং স্কিলের পাশাপাশি সবার শেষে উল্লেখ করেছিলেন যে এমনকি তিনি পেইন্টিং ও করতে পারেন।এই চিঠির কথা ইতিহাসে বেশ উল্লেখিত এই জন্য যে এত ভালো পেইন্টার হবার পর ও উনি নিজের এই প্রতিভাকে তার অন্যান্য প্রতিভার থেকে কম গুরুত্ব দিতেন। ১৪৮২ থেকে ১৪৯৯ পর্যন্ত মিলানে থাকার অবস্থায় লিওনার্দো সৃষ্টি করেন তাঁর বিখ্যাত দুই শিল্পকর্ম দ্য লাস্ট সাপার এবং ভার্জিন অফ দ্য রক। লুদোভিকোর জন্য করা তাঁর অন্যান্য কাজের মাঝে রয়েছে মিলানের ডোমো, ইকুয়েস্ট্রিয়ান মনুমেন্ট, এবং গ্রান কাভাল্লো। ফ্রেন্সেস্কো স্ফোরযার স্মরণে নির্মাণ করা ব্রোঞ্চের এই ইকুয়েস্ট্রিয়ান মনুমেন্ট এর জন্য লিওনার্দো ব্যয় করেন প্রায় ১২ বছরের মত। পরে ১৪৯৪ তে ফ্রান্স এর রাজা চার্লস এর আক্রমণের হাত থেকে মিলানকে বাঁচাতে লুদোভিকো মনুমেন্ট এর ব্রোঞ্ছ দিয়ে যুদ্ধের ক্যানন নির্মাণ করার জন্য নির্দেশ দিলে মনুমেন্টটি ধ্বংস করে ফেলা হয়। এরি মাঝে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে, ডিউক লুদোভিকো ক্ষমতা হারান এবং লিওনার্দো মিলান থেকে পালিয়ে ভেনিস চলে যান তার সহকারী লুকাকে নিয়ে। সেখানে মিলিটারি এঞ্জিনিয়ার এবং আর্কিটেক্ট হিসেব কিছুদিন কাজ করার পর আবার তিনি ফ্লোরেন্সে ফিরে আসেন। এই সময়ে তিনি সিরিজ অফ পোর্টেট করেন যার মাঝে আছে বিশ্ববিখ্যাত মোনালিসা। ফ্রান্সের এর অধীনে থাকাকালীন সময়ে এই পোর্টেট এর জন্ম হওয়াতে প্যারিসের লুভ মিউজিয়ামে এটি শোভাবর্ধন করছে এখন ও। ২০১০ এ প্যারিস গিয়ে মোনালিসা দেখে কেন যেন হতাশ হয়েছিলাম, এত ছোট্ট একটা পেইন্টিং তাও নাকি আবার আসল ভার্সনটা দর্শকদের দেখতে দেয়া হয়না নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে। অথচ এত এত কথা শুনেছি মোনালিসা নিয়ে, ঠিক মন ভরেনি ছবিটা দেখে।

ফ্রান্সের অধীনে থাকাকালীন সময়ে ফ্রেন্স রুলার ফ্রান্সিসের অনুরোধে লিওনার্দো চীফ পেইন্টার হিসেবে যোগদান করে ১৫১৬ তে ফ্রান্সের আম্বোয়াসেতে চলে আসেন। ১৫১৯ এ রাজা ফ্রান্সিস এর হাতে মাথা রেখে মারা যাবার আগ পর্যন্ত উনি এখানেই ছিলেন।
তার মৃত্যুর প্রায় ২০ বছর পর ফ্রান্সিস তাঁর সম্পর্কে বলেছিলেন "There had never been another man born in the world who knew as much as Leonardo, not so much about painting, sculpture and architecture, as that he was a very great philosopher."

তার বৈবাহিক অবস্থার তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, অনেকের ধারণা মতে উনি হয়তো হোমাসেক্সুয়াল ছিলেন। অন্য ধারণা মতে লিওনার্দো বিয়ে করতে চাননি কারণ তিনি মনে করতেন পরিবারে দেয়ার মত সময় তাঁর ছিল না। মৃত্যুর আগে লিওনার্দো তাঁর শিষ্য মেলযিকে তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে নির্বাচিত করে যান।

লিওনার্দোর গল্প শেষ হতেই আমাদের গাইড আনা ২৫ জনের দলকে ভিতরে নিয়ে গেল। এক্কেবারে লাস্ট সাপারের কাছে পৌঁছাবার আগে দুই স্তরের নিরাপত্তা রাখা হয়েছে যাতে বাইরের আবহাওয়ার জলীয়বাষ্পের কারণে ভিতরের পেইন্টিং নষ্ট না হয়ে যায়। দুবার আমাদেরকে আটকে বাতাস পরিশোধন করা হয়েছিল বেশ কিছুক্ষণ ধরে। গাইডের ভাষ্যমতে এই মুরালটা প্রায় ছয়বারের মত রিস্টোর করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ এ ব্রিটিশ আর আমেরিকানদের ফেলা বোমায় গির্জার অধিকাংশ দেয়াল ধ্বসে পরে। লাস্ট সাপার যে দেয়ালটিতে পেইন্ট করা সেটি ও সেই সময়ে ধ্বসে পরে। রিস্টোরেশনের আভাস প্রায় স্পষ্ট টের পাওয়া গেল মুরালটির কাছে যেতেই। পেইন্টিং সম্পর্কে ইনফো দিতে গিয়ে আনা আমাদের জানালো যে লাস্ট সাপার কিন্তু ফ্রেস্কো না যদি ও অনেকেই ভুল করেন এই ব্যাপারে। কনভেন্টের খাবারঘরের ১৫বাই ২৯ ফিট দেয়ালে করা এই মুরালটি রেনেসাঁন্স সময়ের মাস্টারপিস বলা যায়। ভিজা দেয়ালে পেইন্টিং করলে খুব দ্রুত শুকিয়ে যায় বিধায় সেই কাজটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ করতে হয় আর সেটা বেশ ঝামেলার। তাই ঝামেলা এড়াতে লিওনার্দো যে কিনা বেশ অলস হিসেবে পরিচিত, শুকনো দেয়ালে পেইন্ট করার নতুন কায়দাকানুন রপ্ত করেন যেটাকে মুরাল বলা হয়। শুকনো দেয়ালে রঙ ভালোমতো না বসার কারণে লিওনার্দোকে শেষ করার পর আবার এটাকে মেরামত করতে হয়েছিল। বলা বাহুল্য যে লিওনার্দোর এই কৌশল পেইন্টিং এর স্থায়িত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।এখন যেই পেইন্টিং আছে দেয়ালে,আসল পেইন্টিং এর খুব অল্পই তাতে অবশিষ্ট রয়েছে।

লাস্ট সাপার নিউ টেস্টামেন্টের উল্লেখিত ঘটনার একটা গ্রাফিকাল রি-প্রেজেন্টেশন মাত্র, এবং লিওনার্দোর আগে বেশ অনেকেই এটা এঁকেছেন। জেসাস তাঁর বারোজন শিষ্য নিয়ে সাপার করার সময় যখন উল্লেখ করলেন যে বারোজনের একজন তাকে বিট্রে করবে সূর্যোদয়ের আগে, তখন সবার প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন কেমন ছিল সেটাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে মূলত। লিওনার্দো এই মুরালটিতে ডানপাশে থাকা জানালার আলো ঠিক যেভাবে ছবিটিতে পরার কথা সেই এঙ্গেলে ছবির উপর আলো ফেলেছেন। ছবিটিতে বেশ বড় একটা লম্বা চৌকোণা টেবিলের মাঝখানে জেসাসকে কেন্দ্র তার বারোজন শিষ্য চারটি ভাগে ভাগ হয়ে সাপারে বসেছেন। সামারী করলে দাঁড়ায়, পেইন্টিংটিতে শান্ত এবং সৌম্য ভঙ্গিতে বসে থাকা জেসাসকে ঘিরে তাঁর বারোজন শিষ্যের রাগ দুঃখ অবিশ্বাস-মাখা চেহারার প্রতিফলন হয়েছে। এত জীবন্ত লাগছিল দেখতে, শুধু মনে হচ্ছিল খেতে থাকা অবস্থায় এদেরকে জাস্ট ফ্রিজ করে ফেলা হয়েছে।এমনকি টেবিলের উপর বিছানো কাপড়ের কারুকাজ, স্বচ্ছ ওয়ানের গ্লাস, পানির জার এবং কমলার সসে মাখা হাঁসের মাংসে পর্যন্ত লিওনার্দো তাঁর সুচারু প্রতিভার ছাপ রেখে গেছেন।

সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল ছবিতে জুডাস এর রি-প্রেজেন্টেশন। লিওনার্দোর আগে করা প্রায় অন্য সবার লাস্ট সাপার ছবিতে জুডাসকে আলাদা করে রিপ্রেজেন্ট করা হয়েছে তার বিট্রেয়াল এর তথ্য দেবার জন্য। কিন্তু লিওনার্দো জুডাসকে গতানুগতিক-ভাবে প্রেজেন্ট করতে চাননি। অন্য সবার মুখে ছবিতে আলো ফেললে ও জুডাসের মুখটা কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন করে এঁকেছেন তার বিট্রেয়ালের প্রতিচ্ছবি হিসেবে। ছবির নিচের দিকে তাকালে টেবিলের নিচ দিয়ে সবার পা দেখা গেলে ও জেসাসের পা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঠিক জেসাসের পা এর জায়গাটাতে কোন বেকুবের বুদ্ধিমতে নতুন করে একটা দরজা বানানো হয়েছিল যেন ১৬৫২ তে, পরে সেই দরজা ভরাট করা হলে ও সেখানে কেমন একটা আর্চ এর মত শেইপ এখন ও দেখা যায়।

কেমন কেমন করে যেন আমাদের গ্রুপের বরাদ্ধ করা পনেরো মিনিট কেটে গেল। তড়িগড়ি করে খাবার দেয়ালের ওপর-পাশে থাকা ক্রুসিফিক্সিওন ফ্রেস্কোতে একবার চোখ বুলিয়ে বের হয়ে আসতে হল। জীবনের শ্বাসরুদ্ধকর পনেরো মিনিট যেন চোখের পলকে পেরিয়ে গেল। বের হয়ে আসার পথে শপ থেকে লাস্ট সাপারের ছোট্ট ভার্সন কিনে নিলাম স্মৃতি হিসেবে রাখবো বলে। কাকতালীয়-ভাবে এই এপ্রিল মাসটাতেই আবার লিওনার্দোর জন্মদিন ও পরে গেছে। তাই ভাবলাম এত গুণী একজন মানুষকে আর তাঁর বিস্ময়কর সৃষ্টিকে নিয়ে কিছু একটা লিখি। লিওনার্দো তার সময়ের মানুষজনের চেয়ে কয়েক-ধাপ এগিয়ে চিন্তা করতে পারতেন, সেই ১৪শ শতাব্দীতে উনি আকাশে উড়ার মডেল চিন্তা করেছেন, মানুষের এনাটমি, প্রকৃতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।একিসাথে এতগুলা শাখায় বিচরণ করা এমন মানুষ ইতিহাসে খুবি বিরল।

তথ্যসূত্র
১।http://www.visual-arts-cork.com/famous-paintings/last-supper-leonardo-da...
২। http://www.history.com/topics/leonardo-da-vinci
৩। http://en.wikipedia.org/wiki/Leonardo_da_Vinci
৪।http://www.italia.it/en/travel-ideas/unesco-world-heritage-sites/santa-m...
৫। http://www.biography.com/people/leonardo-da-vinci-40396#humble-beginnings
৬। http://en.wikipedia.org/wiki/The_Last_Supper_(Leonardo_da_Vinci)
৭। আনার মুখনিঃসৃত বাণী


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

"এত ছোট্ট একটা পেইন্টিং তাও নাকি আবার আসল ভার্সনটা দর্শকদের দেখতে দেয়া হয়না নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে।"
-এটা জানা ছিল না।
শুকনো দেয়াল, ভেজা দেয়ালের ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না। কোনটায় রং বেশিদিন থাকে?

ঘোরাঘুরি চলুক (আরও বেশি বেশি কনফারেন্সে যাওয়া হোক দেঁতো হাসি )

->তড়িগড়ি

বন্দনা এর ছবি

আমি যতখানি বুঝেছি তা হল, দেয়ালের ব্যাকগ্রাউন্ড শুকনোর পর তার উপর পেইন্ট করলে সেটা দেয়ালের উপর ভালোভাবে বসে না, একটা আলগা স্তর মত হয়ে যায়। কিন্তু যদি ব্যাকগ্রাউন্ড একটা রঙের করার পর সেটা ভেজা থাকতে থাকতে তার উপর পেইন্ট করা হয় সেই রংটা ভালোমত ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ এর সাথে মিশে যায়, পরে শুকিয়ে এলে সেটা আলাদা কোন স্তর তৈরি করেনা। যেমন একবার রঙ করা দেয়ালের উপর আর একবার রঙ করলে সেটা ভালোভাবে বসেনা, কিছুদিন পরে ঝরে পরে তেমনি কিছু একটা মনে হয়ে্ছে।
আর এত ঘনঘন কনফারেন্সে গেলে, এরপর লোকের কাছে হাত পাতা লাগবে যে!! চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক হাসি আপনার সাথে সাথে দেখা হয়ে গেল আমারও আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দেবদ্যুতি

বন্দনা এর ছবি

আপনাকে ও ধন্যবাদ দেবদ্যুতি। হাসি

আয়নামতি এর ছবি

যাক লেখা বের হলু তাহলে! চলুক
এসব জায়গাতে আমি ভয়ে যাইনা তেমন।
গাইড যখনই গুরুগম্ভীরভাবে নিদির্ষ্ট বিষয়ে বক্তিমা শুরু করেন সবার ভাবসাব দেখে আমার কেন জানি তখন হাসতেই হয় খাইছে
মোনালিসার আসল ফটুকে এক মহিলা কফি ছুঁড়ে নষ্ট করায় নাকি আসল কপিটা সরিয়ে বর্তমান কপিটা রাখা হয়েছে।
ভাগ্যিস সেই মহান ব্যক্তির বাতাস যান ছুটে যাবে বলে টিকেটখান পাওয়া গেলু! আরো বেড়ান্তিস হোক, লেখালিখিও হাসি

বন্দনা এর ছবি

লেখা আজকাল বের হতে চায়না, আর মাঝে এক্টূ ব্যস্ততা ও ছিল আয়নাদি। আমার কিন্তু গাইডের কথা শুনতে বেশ ভালু লাগে, এত সুন্দর করে বলে ওরা শুনতে শুনতে মনে হয় ঠিক ঐ সময়ে চলে গেছি। আমাদের গাইডটা ও বেশ ফানি ছিল, লালচুলের মত তার মেজাজটা ও সেরম ফুরফুরা আর কী।
কফির ছুঁড়ে মারার কথা জানতাম নাতো!!!!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

জীবনে কখনও-সখনও অপ্রত্যাশিত ভাবে এমন সুযোগ এসে গেলে হঠাৎই নিজেকে বড্ড ভাগ্যবান মনে হয়। আপনিও তেমনই এক ভাগ্যবান!
লেখলিখি ঘুরাঘুরি চলুক। হাসি

বন্দনা এর ছবি

হুম যারে বলে কুফা লাগা, আমার কুফা লাগা সময়ের ঠিক পরপরি একটু ভালো সময় পাওয়াতে নিজেরে বেশ ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল।পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাবনাদা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দারুণ হাততালি

[ নাম ট্যাগানো ছবিতে জন (মেরী না) এই টাগটার মাজেজা কি? ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

বন্দনা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- পড়বার জন্য।
আপনাদের মত যাদের মনে কিন্তু আছে এটা তাদের জন্য। জন একটু দেখতে মেয়েলি ছিলেন যেটা নিয়ে ড্যান ব্রাউন গল্প ফেঁদেছেন যে এই ছবিতে আসলে একজন মহিলা আছেন, এইজন্য ছবিতে আগে থেকে ট্যাগ করে দিয়ে কনফিউশন দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি ছবিটা নেট থেকে নিয়েছি কে কোন-জন সেটা বোঝবার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্রাউন কিন্তু মেরি মাগদালিনের গল্পটা বেশ লিখেছেন! রোজলাইনের গল্প, আমার খুব পছন্দ হয়।

দেবদ্যুতি

বন্দনা এর ছবি

হুম আমার ও বেশ ভালোই লাগে ড্যান ব্রাউনের লেখাগুলা।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ব্রাউনের কিচ্ছা আমিও পড়েছি। ছবি দেখে আমারও মেরি-মেরিই লাগে, জন না। তার ওপর ট্যাগ দিয়া আরও "কলা খাই না" টাইপ হয়ে গেছে আরকি। ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

বাহ, দারুন পোস্ট।

স্বয়ম

বন্দনা এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ স্বয়ম।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভিঞ্চির এনাটমি বইয়ের কথা শুনেছিলাম কিন্তু কোনদিন দেখিনি বইটি । পরে একদিন জানলাম আর্টিস্ট ভিঞ্চি আর এনাটমিস্ট ভিঞ্চি একই ব্যক্তি ।
ভালো লাগলো পড়ে ।

কালা মাহুত

বন্দনা এর ছবি

হুম এই লোক যে এত কাজের কাজী আমি নিজে ও জানতামনা।

তানিম এহসান এর ছবি

ভাল, চলুক!

বন্দনা এর ছবি

লাস্ট সাপারের পর ও আবার চলবে, এটা কি বলেন তানিম ভাই। খাইছে

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

নিজে কখনও দেখা হবে বলে তো মনে হয়না, তাই তোমার পিছে পিছে আমিও দেখে নিলাম! দেঁতো হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

বন্দনা এর ছবি

এখন ও তো বালিকাই আছো, কত্ত সময়ে পরে আছে সামনে, কবে সুযোগ চলে আসবে টের ও পাবেনা।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ফিরে আসাটা ফাটাফাটি হলো কিন্তু।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

বন্দনা এর ছবি

মেলাদিন পরে লিখলে লিখা কেমন খাপছাড়া লাগে। হাসি তাও জোরাজোরি করেই লিখলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক তথ্য সমৃদ্ধ। অনেকগুলো অজানা তথ্য জানা হলো। এধরণের লেখায়, তথ্যে সাথে অনুভূতির সংমিশ্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুভূতি প্রকাশের উপাদানটি একটু বেশী হলে আরও সমৃদ্ধ হতো।

স্নেহাশীষ রায়

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনার সাজেশনের জন্য। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

গগন শিরীষ  এর ছবি

কনফারেন্সওয়ালাদের আমি বেজায় হিংসা করি! আপনারা কি সুন্দর কত জায়গায় যেতে পারেন! ভাল লেগেছে, বন্দনা!

বন্দনা এর ছবি

লোকজন হিংসা করলে কেমন যেন বুনো একটা আনন্দ হয়। ভাল লেগেছে শুনে প্রীত হলাম।

রণদীপম বসু এর ছবি

হ, নিজের চোখে দেখার মতো সবাই কি আর এমন ভাগ্যবান হয় ! কী আর করা ! আপনার চোখেই দেখে নিলাম আবারো !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ রণদা।

মন মাঝি এর ছবি

মৃত্যুর পর লিওনার্দো তাঁর শিষ্য মেলযিকে তাঁর সম্পত্তির অধিকারী হিসেবে নির্বাচিত করে যান।

মৃত্যুর পর কি লিওনার্দোর কিছু করার ক্ষমতা ছিল? চাল্লু

****************************************

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পরের ভুতাণুগল্প সংকলনে রাইখা দিয়েন চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

বন্দনা এর ছবি

আপনারতো পুরাই শকুনের চোখ!!! গুরু গুরু

এক লহমা এর ছবি

এই ছবি দেখতে পাওয়া যথার্থই সৌভাগ্যের।
নববর্ষের শুভেচ্ছা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

বন্দনা এর ছবি

আপ্নাকে ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা লহমাদা।!

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

বন্দনা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লিওনার্দো আমার কাছে বরাবরই এক রহস্যের ভাণ্ডার।
আপনার তথ্যবহুল লেখাটা ভালো লাগল। আর দীর্ঘদিনের একটা ইচ্ছা পূরণ করতে পারলেন, সেজন্য অভিনন্দন। হাসি

বন্দনা এর ছবি

ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।