শত শত বছর আগের কথা।
স্কুলের সিড়িতে শিক্ষকের সাথে বসে আছি।
এমন সময় খবর এলো, সিনিয়র দুই ভাই এক বড় আপুকে নিয়ে মারামারি করেছে।
এই বড় আপুটা খুব ভাল। কী লক্ষী! চোখ ভরা কথা।
তাকিয়ে দেখি, শিক্ষক হাসছেন। স্মৃতির মধ্যে টুপ করে ডুবে গিয়ে ফিরে আসা হাসি। মিটিমিটি।
একবার এক উৎসবে, শিক্ষক বলতে শুরু করলেন- “একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমাদের বড় শিক্ষক (আমরা তাকে পাই নি। তিনি তার আগেই মারা গিয়েছিলেন।) উৎসবের মধ্যমণি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমাকে একলা দেখে কাছে এসে দেখে বললেন, কী ব্যাপার একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছো যে। দ্যাখো এই বয়সেও মেয়েরা আমার পিছে লাইন ধরে থাকে।” তিনি কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থাকলেন। তারপর আবার বললেন, “আমরা খুব একা। সবাই অন্য জায়গায় থাকি।”
এরপর শত শত বছর কেটে গিয়েছে।
বড় আপুর গল্প শুনি। সবই দুঃখের কাহিনী। ভুলে যাই।
একদিন বাসস্টপে অপেক্ষা করছি, সেই বড় আপুর সাথে দেখা।
একলা। চোখের মধ্যে জল। জ্বলছে।
জলের আগুন নিভিয়ে দেই, ইচ্ছে হলো।
সাথে সাথে একজন মনে করিয়ে দিল, আমার বাস এসে গেছে। উঠতে ফেল করলে, আমাকে রেখেই সে চলে যাবে।
সেই সিনিয়র ভাইদের মুখ ভেসে উঠলো। ভয় হলো, আবার যদি মারামারি বাঁধে।
চলে এলাম।
আসতে আসতে মনে পড়লো, শিক্ষকের বলা শেষ কথাগুলো...
...............
(প্রাসঙ্গিক ভাবনা : নারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে লেখা আহ্বানের শিরোনাম দেখে, একটা মেয়ের মুখ মনে করতে চাইলাম। বড় আপুর এই গল্পটার কথা মনে হলো। আমি ভাবছি, এর কোথায় কোথায় আমার পুরুষজন্মের ছোঁয়া আছে। )
মন্তব্য
- কমপক্ষে এই জায়গাটাতে আছে। আরো হয়তো খোঁজা যেতো। থাক, ওটা আপনি নিজেই খুঁজে বের করুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মুখটা ভীষণ ঝাপসা এই গল্পে, কিন্তু সেই ঝাপসা মুখটা পরিচিত...
ডাকঘর | ছবিঘর
বহুদিন পর আপনার লেখা, ভাল লাগলো।
বাহ্
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নতুন মন্তব্য করুন