সাধুজন । সাধুকথার সন্ধানে - ২

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৫/২০১৫ - ৫:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিনি কহিলেন-
ওর বৈশিষ্ট্য ওর একাকীত্ব।
সকল কিছুর ভেতরে সে একা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ও যদি কারও সামনে দাঁড়িয়েও থাকে- তাকে কেউ দেখতে পায় না।
জীবনে ওর বিচলিতভাব প্রকাশ পায় না।
ও জ্ঞানহারা হয় না। সজ্ঞানে থাকে। এই কারণে তাকে আলাদা মনে হয়।
যেমন ধরেন ও আসবে বলে কত কথা হচ্ছে।
ওর বসার জায়গা আছে।
ও আসলো ঠিকই কিন্তু ওর জায়গায় ও বসলো না। ওর স্বভাবই ওরকম।
যেই জায়গায় ওর থাকার কথা ছিল, ও সেই জায়গায় না বসে তার পাশে বসে আছে।
ওর সম্পর্কে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বোঝা যায় না।
কিন্তু ভাল লাগে। লোকটা ভাল। কিন্তু চিনি না।
আর কথা বলে খুব। একা একা। তার কথা বলা দেখলেই মনে হয় কার সঙ্গে যেন কথা বলছে।
আর কথাগুলো খুব সাবলীলভাবে বলছে।
সে সবার সঙ্গে কথা বললেও বোঝা যায় সে একা একা কথা বলছে।
এই কারণে এই চরিত্রটা সম্পর্কে নির্দিষ্ট খোঁজ পাওয়া যায় না। দেখা যায় কিন্তু ধরা যায় না এরকম একটা চরিত্র।
মনে হয় যেন অধিকারের কিন্ত বলা যায় না।
ওকে দেখলে অনেককিছু মনে হয়। কিন্তু সে কথা আর বলা হয় না।
এসব যে কেন হয়, ও বুঝতে পারে। ওর প্রভাবটা কি জানে। ওর যে কারণে দুঃখবোধ হলো, কেউ জানলে মনে করবে ভোদাই।
পাগল। ও একটা পাগল।
যখন ও কিছু দেখে, ও অনেককিছু দেখে, জন্মগত প্রব্লেম, যা দেখে তার পেছনে ছোটে। দেখতে গেলে দেখা যায় ও একাই ছোটে।
এইজন্য চরিত্রটা খুব একা। কিন্তু সুনিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত।
ওর উপস্থিতির একটা সাংঘাতিক বিকার আছে।
অটোমেটিকালি। ওর এক্সপ্রেশনটা গুরুত্বপূর্ণ। ও উপভোগ করে ব্যাপারটা।
একারণে সে খুব অচেনা ক্যারেক্টার। তাকে দেখা যায় কিন্তু পড়া যায় না।
তাকে পড়া যায় চারপাশ দিয়ে।
সে কোন না কোনভাবে চলে আসে। চারপাশের আলাপে কোন না কোনভাবে চলে আসে।
এই চলে আসাটা ..
সে খুব মজা করে গল্প করতে পারে।
তার সামনে আসলে অন্যরা উলঙ্গ হয়ে যায়।

চিত্র : মুহাম্মদ শফিউল ফারুক উজ্জ্বল

ছবি: 
04/06/2007 - 1:18অপরাহ্ন

মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শেষ লাইনটা...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।