- তোমার চিঠি আছে।
- আমার চিঠি! কে পাঠালো? কৈ- দাও দেখি।
- এই যে!
- কই?
- এইযে আমার চোখে।
- তোমার চোখে আমার চিঠি!!
- হ্যা চোখ মেলে দেখ, আমার মধ্যেই সে তোমাকে অনেক কথা বলে পাঠিয়েছে।
- কে?
- প্রকৃতি। আমি হলাম তোমার কাছে প্রকৃতির চিঠি। তুমিও তাই। তুমি আমার কাছে প্রকৃতির চিঠি।
দুইজন দুজনের চোখে চোখ রাখলো। দুজন দুজনের জীবনের দিকে তাকালো। তারা টের পেলো সত্যিই তারা একজন আরেকজনের কাছে প্রকৃতির চিঠি। আমরা সকলেই একজন আরেকজনের কাছে চিঠি। প্রতেকের জীবনই অন্য সবার জন্য একটা বার্তা,একটা ম্যাসেজ।
তোমার চিঠি পড়ি। বিদায় নিয়ে বের হই। পথে নেমে চোখ মেলে দেখি- দশদিকে শুধু চিঠি আর চিঠি। চিঠি পড়তে পড়তে চিঠি হয়ে চিঠির ভেতর দিয়ে আমি হেঁটে যাই।
মন্তব্য
শেষের লাইনটা ভালো লেগেছে!
(একটা টাইপো আছে: টিঠি)
শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ- টিঠি আর নেই। কোথায় হারিয়ে গেল--
দ্বাদশ চরণের Message-কে 'বার্তা' লিখুন। বাংলা গল্পে ইংলিশে লেখা শব্দ দৃষ্টিকটু লাগে। শেষ বাক্যের 'টিঠি'-কে 'চিঠি' করুন।
ইমেল যখন সবে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে তখন বাংলাদেশ ডাকবিভাগ একটা বিজ্ঞাপন দিতো - 'চিঠি লিখুন, ইহা স্থায়ী'। এখন বাংলাদেশে দাপ্তরিক কাজ ছাড়া কেউ আর চিঠি লেখেন না। 'প্রেমপত্র' ব্যাপারটা 'নাই' হয়ে যাওয়াটা একটা দীর্ঘ ইতিহাসের পরিসমাপ্তি। হাতে হাতে মোবাইল ফোন, আর বিকাশ/রকেটে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা থাকলে 'সারেং বউ' উপন্যাসটার অর্ধেকের বেশি 'নাই' হয়ে যেতো অথবা উপন্যাসটা পুরোপুরি অন্যভাবে লিখতে হতো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ। Message চেহারা পাল্টিয়েছে, ভোল পাল্টায় নি।
আর চিঠি সে নিজে চেহারা আর ভোল- দুটোই পাল্টালেও, হৃদয় পাল্টায় নি। কিন্তু ও হারিয়েও যায় নি। সেই হৃদয় নিয়ে দিব্যি টিকে আছে।
নতুন মন্তব্য করুন