এমন বোকামী করে কেউ?
আপনিতো লেখক। বই পড়েন। আপনিতো মূর্খ নন।
মানছি ক্ষমতায় থাকলে দেখার জানালাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
মানছি ইতিহাসের শিক্ষা, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।
কিন্তু আপনিতো ইতিহাসবীদ সালাহউদ্দীন আহমেদের সান্নিধ্য পেয়েছেন। আপনিতো বেগম সুফিয়া কামালের স্নেহ পেয়েছেন।
ক্ষমতায় গিয়ে আপনি কেন অন্ধ হবেন?
আপনি আপনার বাবাকে দেখেছেন।
আপনি রাজপথে ছিলেন।
আপনি বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
এই ষড়যন্ত্র করে যে কিছু হয় না তাও দেখেছেন। তার প্রমাণও আপনি, আপনার এই প্রধানমন্ত্রিত্ব।
দেখেছেন কীভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে ক্ষমতার মসনদ কীভাবে তাসের ঘরের মতো লুটিয়ে পড়ে।
তাহলে?
দেশের সব বাচ্চা রাস্তায় আর আপনি আপনার অফিসে বসে আছেন এখনও? আপনি তো জননী। রাস্তায় সন্তান যখন আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে তখন আপনি কী করে পারলেন, তাদের কাছে গিয়ে তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের সাথে কথা না বলে থাকতে?
আপনি কী করে ছাত্রলীগকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বোঝানোর দায়িত্ব দিলেন?
এর ফল কী হলো?
আপনার লোকজন বলবে, এসব গুজব।
আসলেই গুজব। ছাত্রলীগ মেয়েদের ধর্ষণ করেছে, খুন করেছে- আসলেই অপপ্রচার। কিন্তু একটা কথা ভাবুনতো বন্ধু- লোকে এই গুজব বিশ্বাস করলো কেন?
আপনি ছাত্রলীগের ওপর অনেকবার অভিমান করেছেন। ওদের প্রধানের পদ ছেড়েছেন। কেন? ভুলে গেলেন। ভুলে গেলেন, ওদের মাথা চলে না হাত চলে? ওরা এখনও সভ্য হয় নি, এটা আপনি জানেন না তাতো নয়।
আপনি কখনও ছাত্রলীগের পোস্টার দেখেছেন? মন দিয়ে? , ভেবেছেন- শোক দিবসে ছাত্রলীগের পোষ্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবির চেয়ে নিজের ছবি বড় করে দেখানো এই লোকগুলো কেমন মানুষ? বিশ্বজিতের ছবিটা কি ভুলে গেলেন? নিশ্চয় ভোলাটা উচিত হবে না। এমন ঘটণাটাতো একটা নয়। গুজবটা কেন মানুষ বিশ্বাস করেছে?
হ্যাঁ, তারা এটা করে নি। এজন্যই আপনি বললেন, গুজবে বিশ্বাস করবেন না। হ্যাঁ আসলেই তারা খুন করেনি। ধর্ষন করেনি। কিন্তু তারা এটা করতে পারে। মানুষ তাদের এভাবেই চেনে। আপনি জননী। এদের মানুষ করার দায়িত্ব আপনার। ওরা মানুষ হবে, এটা নিশ্চয় আপনি চান। আমি জানি, আপনি সত্যিই তা চান। কিন্তু মানুষতো ওরা এখনও হয় নি। ওদের ছোটছোট ছেরেমেয়েদের বোঝানোর জন্য নয়, ওদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে যাওয়ার কথা বললে মঙ্গলময় হতো।
আার আপনি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বোঝানোর জন্য বলছেন। কিন্তু কোথায় বললেন? কাদের সামনে বললেন। কোন এক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, আমলা মন্ত্রী আর আপনার সভাসদদের সামনে। এখানে না বলে ছেলেমেয়েদের কাছে গিয়ে বললে কি ভালো হতো না? ওরা মায়ের কথায় ভরসা পেতো। বলতেন,
বাবারা- এটাতো একদিনে সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যাটার সাথে অনেকগুলো বিষয় আছে। কিন্তু কথা দিচ্ছি আমি আজ থেকে আমি এটা নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাববো। এই যে ড্রাইভার, ওদের তো একদিনে শিক্ষিত করা যাবে না। ওদের জন্য আমরা অনেক ড্রাইভিং ইশকুল করবো। নতুন গাড়ি আনবো। পুলিশরা এখন তেকে সব ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করবে। আর যা করার তোমরা আমাকে বলো। আমি সব সময় তোমাদের সাথে যোগাযোগ রাখবো। তোমরা বাড়ি ফিরে যাও।
আপনার কি মনে হয় না ওরা বাড়ি ফিরে যেতো? ওরা বাড়ি ফিরে যেতো।
কিন্তু কে যে কী বোঝায়, আপনিও তাদের কথা শুনে বসে আছেন। তাতে কী হলো। আপনার আওয়ামী লীগের মিছিল তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে দিলো ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা।
ভয়ের কিছু আছে কি?
না। কয়েকদিন পর সবাই ঘরে ফিরে যাবে। সব শান্ত হয়ে যাবে। ইশকুল ক্লাশ, পরীক্ষা শুরু হবে। সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন। সমস্যাটা সামাল দেয়া গেলো।
কিন্তু?
সব কথা ছেড়ে দিয়ে ভাবুন, আপনার ডিজিটাল বঅংলাদেশে যেই জেনারেশনের জন্য, যেই জেনারেশন মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুকে গ্রহণ করে সেই জেনারেশন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগকে ঘৃণা নিয়ে বড় হবে। এটা খুব বড় ক্ষতি হলো। আপনার জন্য। আপনার রাজনীতির জন্য। আওয়ামী লীগের জন্য।
এত বড় ভুল কেউ করে?
বন্ধু হিসেবে, আপনার ভালো হোক চাই বলেই আমি আপনাকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
আমি ভাবছি আমার সেই প্রিয় বন্ধু, যার হাতে আজ দেশের ভার- সে এমন ভুল করছে কীভাবে?
আপনাকে অনেক উপাধিতে ভূষিত করেছে আপনার ভক্তরা। ডটার অব পিস। মাদার অব ডেমেক্রেসী। আরও কি সব। শুনতেও রুচি হয় নি। আপনার ভালো লাগে এসব শুনতে? আপনি না রবীন্দ্রনাথ পড়েছেন? নজরুল পড়েছেন। সেও না হয় রাজনীতির খেলা। মেনে নিলাম। কিন্তু সত্যিকারের রাজনীতিটাও তো করতে হবে। আপনারতো জনগণের হৃদয়ের ভাষা বুঝতে হবে।
জনগনের ভাষা বোঝার জন্য আপনার মনে হয় কয়েকদিন ছুটি দরকার। জানি আপনার ছুটি নেই। দেশের কথা মানুষের কথা মনে করে করে আপনার শরীর আর মন আজ বড় ক্লান্ত যে। তাই হয়তো সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসছে। কাজগুলো ভুল হয়ে যাচ্ছে। তাই ছুটিটা দরকার। ছুটি শুধু কাজ থেকে না, চারপাশের চেনা মানুষ থেকেও। যে সব মুখ দিয়ে আপনার চারপাশ ঘেরা থাকে তাদের থেকেও। একেবারেই রাজনীতি করে না, যাদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই- রাজনীতি থেকে, ক্ষমতার বলয় থেকে যারা দূরের, কিন্তু আপনাকে ভালবাসে তাদের সাথে কাটানো দরকার। প্রধানমন্ত্রী নয়, মানুষ হিসেবে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় আড্ডা দেয়া দরকার। জানি ক্ষমতার উচ্চ শিখরে বন্ধুরা হারিয়ে যায়। কিন্তু আপনি ফিরিয়ে আনুন সেই বন্ধুত্বকে। জীবনের স্বাভাবিক দৃষ্টিকে। জানালা খুলে দিন।
তাহলে দেখবেন কিছুই হারায় নি।
না হলে হয়তো অনেক কিছুই হারিয়ে যাবে।
মন্তব্য
লাইনে লাইনে স্নেহ উপচে পড়ছে মনে হল। গুজব, ইন্ধন সবই মানলাম। সাথে এইটাও মানি বাচ্চাদের রক্ত কিন্তু শেখ হাসিনার হাতেই লেগে আছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটি ঘটণাকে অনেক ভাবে দেখা যায়। প্রত্যেক দেখার একটি দৃষ্টিকোণ থাকে। দৃষ্টিকোণের কারণে কথা, কথার বলার ধরণ বদলে যায়। আমাদের যখন কেউ এমন অবস্থান থেকেও কথা বলতে পারি, যেন সে ভুল বা অন্যায় থেকে বোধোদয়ের মাধ্যমে বের হয়ে আসার পথ খুঁজে পায়।
প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই আলো এবং অন্ধকার আছে। আমরা কারও মনের অন্ধকারকে চিহ্নিত করে, সমালোচনার মাধ্যমে তার বোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করতে পারি, আবার তার ভেতরের সুপ্ত, চাপা পড়া, ঘুমন্ত আলোকে উস্কে দিয়েও তার বন্ধ দৃষ্টিকে খুলে দেয়ার চেষ্টা করতে পারি।
একজন বন্ধু কোনটা করবে? বন্ধুর কথাটা এ কারণে বলা যে, লেখাটি বন্ধুর জায়গা থেকে কথা বলা।
সমালোচনা বা বিচারের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা এটি নয়। যে কারণে বন্ধুত্বের মঙ্গলকামনার সুরটি এখানে অনিবার্যভাবেই চলে এসেছে। কারণ বন্ধুতো বন্ধুর মঙ্গল চাইবেই।
পারস্পেক্টিভ একটা ইস্যু অবশ্যই এবং সেটা লেখার সুর নির্ধারণ করেছে। আমি ভাবছিলাম আমার কোন বন্ধু যদি শিশুদের রক্তে হাত রাঙ্গায় তাহলে আমি এরকম ভাবে তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে লাইনে আনতে যাবো কিনা। আমি যাব না। আমি সে বন্ধুকেই ত্যাগ করবো। সেরকম হলে পুলিশেও খবর দিতে পারি। কারণ নাগরিক হিসাবে অপরাধের বিচারে সহায়তা করা আমার কর্তব্য।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ইন্টারেস্টিং! কিন্তু, ত্যাগ করবো বললেই তো সবসময় করা যায় না (অন্তত যদি একই দেশে থাকি)। কিছু বন্ধু আছে যাদের ত্যাগ করতে গেলে তার জায়গায় নতুন / বিকল্প বন্ধু অপরিহার্য। আমার কৌতুহল হচ্ছে জানতে, এই ক্ষেত্রে আপনার বিকল্প বন্ধুটা কে হবে? বাস্তবসম্মতভাবে তেমন কেউ বাকি আছে আর, নাকি লোম বাছতে কম্বল উজাড় অবস্থা হবে? আর "পুলিশ"টাই বা কে হবে এক্ষেত্রে?? নাকি এরকম ক্ষেত্রে চেনা বন্ধুই মন্দের ভালো?
****************************************
এরকম বাইনারি হাড়িকাঠে আমার মাথাটা জোর করে গুঁজে দেয়া কি ঠিক? অমুকে আমার বন্ধু না অতয়েব অ্যাভাইলেবল কারও মধ্যে আমাকে বন্ধু, যেটা কে সেটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় নিশ্চিতভাবে অনুমেয়, বেছে নিতে হবে কেন? ক্রিটিক অবস্থানটা কীরকম হয়? নাকি ক্রিটিক অবস্থানটা বাইনারির অপর প্রান্ত?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমি আসলে অল্টার্নেটিভটা কি জানতে চেয়েছিলাম। নিজের, দেশের, পরিবারের, সবার - বর্তমান ও ভবিষ্যত, এমনকি জীবন ও অস্তিত্ত্ব যেখানে বিপন্ন ও প্রবল প্রশ্নের মুখে, অথচ আরও খারাপ বৈ কোনো শ্রেয়তর বাস্তব বিকল্প দৃশ্যমান নয় - সেখানে স্ট্যাটাস কুয়োকে প্রত্যাখ্যানের ফলাফল বা তার শ্রেয়তর বা অন্তত অশ্রেয় নয় এমন বিকল্প কি হতে পারে - বা অতি সংক্ষেপে বললে ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে পড়বো কিনা এবং উনুনে না পড়ার উপায় কি হতে পারে - তা অগ্রিম জানতে চাওয়ার আকাংখাটাকে আমার কাছে অত্যন্ত স্বাভাবিক ও মানবিক বৈ "বাইনারি হাড়িকাঠ" বলে মনে হয় নি। আপনার কাছে মনে হয়ে থাকলে দুঃখিত।
আপনি জানতে চেয়েছেন, কিন্তু "ক্রিটিক অবস্থান"-টা কি আমি আসলে জানি না। দুঃখিত। ঐ যে গল্পের একটা সাঁতার না-জানা লোক পুকুরে পড়ে গিয়ে ডুবতে-ডুবতে বাঁচাও-বাঁচাও বলে চেঁচাচ্ছিল আর নদীর পাড়ে বসে আরেক লোক তাঁকে সাহায্য না করে উলটে নিরপেক্ষ-নৈর্ব্যক্তিক ও প্রশান্তচিত্তে ডুবন্ত লোকটাকে শুনিয়ে শুনিয়ে কেন তার সাঁতার না জেনে পুকুরের কাছে যাওয়াটাই মহা অন্যায় হয়ে গেছে সেই অপরাধটারই সবিস্তারে ক্রিটিকাল এনালিসিস কিম্বা নৈতিকতা বিশ্লেষণ করতে বসে গেল - গল্পের এই পাড়ে বসা লোকটার অবস্থানটাই কি "ক্রিটিক অবস্থান"? আমি জানি না, তবে আমার মনে হয় বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই বোধহয় ঐ ডুবন্ত মানুষটার অবস্থানে, তাদের কপালে বোধহয় পাড়ে বসা ভদ্রলোকের এইরকম অবস্থানে থাকার সৌভাগ্য নেই! তারা হাতের নাগালে পাওয়া যেকোন খড়কুটো ধরেই বাঁচতে চাইবে, তা সে যদি সত্যি-সত্যিই খড়কুটো হয় যা ধরে আসলে বাঁচা সম্ভব নয় তা-ও এবং এ ব্যাপারে পাড়ের ভদ্রলোক যতই নিষেধ করুন না কেন -- যদি এবং যতক্ষণ না পাড়ে বসা ঐ ভদ্রলোক বা অন্য আউ কোনো বাস্তবসম্মত বিকল্প তাকে দেখাতে পারছেন। যতক্ষণ তিনি সেটা দেখাতে না পারছেন, ততক্ষন তাঁর এইসব অবস্থান কি ঐ ডুবন্ত মানুষটার জন্য অন্তত ইর্রেলেভ্যান্ট না? আমি জানি না। "ক্রিটিক অবস্থান"-টা কি এরকম কিছু?
****************************************
সুন্দর চিঠি। এই চিঠি ঠিকানায় পৌঁছালে বড় ভালো হতো।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
প্রধানমন্ত্রীকে উল্লেখ করে কোন কথা বলতে গেলেই আমাদের মাঝে দুই দল হয়ে যায়ঃ একদল মা, স্নেহময়ী জননী, মাদারে হিউম্যানিটি, মাদারে অমুক তমুক না বলে কথা বলতে পারেন না। আরেকদল সম্পূর্ণ বিপরীত--গালিগালাজ ছাড়া আর কিছুই মুখে রোচে না।
আসল সত্যটা সবসময়েই ধুসর অঞ্চলে থাকে--অন্তত এই ক্ষেত্রে।
আপনি যে স্নেহময়ী, প্রেমময়, 'বন্ধুবৎসল' প্রধানমন্ত্রীর রূপ তুলে ধরছেন তা আপনার ব্যক্তিগত অনুরাগের প্রতিফলন এবং অনুরাগ-রঞ্জিত কলমে আদুরে ভাষায় আর্জি পেশ করেছেন।
দুর্ভাগ্যক্রমে, এখন এই মুহূর্তে যা হচ্ছে, যা হয়েছে এবং সামনে যা হবে তার কোন কিছুতে আপনার বর্ণিত রূপের প্রধানমন্ত্রীকে পাবেন না।
আপনি কি কখনো, স্রেফ তর্কের খাতিরে, ভেবে দেখেছেন যে--আসলে প্রধানমন্ত্রী পদে যিনি বসে আছেন তিনি আসলে বাকী সব রাজনীতিবিদের মতই ক্ষমতালোভী, হিংস্র, নিষ্ঠুর, ক্ষেত্রবিশেষে বেপরোয়া একজন মানুষ---যিনি আসলেই বাচ্চাদের ভাল-মন্দ নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন?!
এইটা একবার ভেবে দেখলে কেমন হয়?!
আপনার কথাটি অস্বীকার করার কিছু নেই। নিঃসন্দেহে যখন শিশু কিশোর সন্তানেরা সরকারের ভাষায় কোমলমতি শিশুরা যখন রাস্তায় এসে জড়ো হয়েছে, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তখন যদি প্রধানমন্ত্রী তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে অশোভনভাবে নিজের সন্তানের নামে সরকারী স্থাপনার উদ্বোধনে ব্যস্ত থাকেন, ছাত্র নামের পেটোয়া বাহিনীকে সেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বোঝানোর নামে লেলিয়ে দিয়ে আরেকটি দলের ওপর দায় চাপিয়ে দিতে পারেন- তাকে এভাবে চিহ্নিত করাই যায়।
কিন্তু এই লেখাটির উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রীর প্রকৃতি বিশ্লেষণ নয়। লেখাটির উদ্দেশ্য ছিলো- সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাঁর ইতিবাচক ভূমিকাকে খুঁজতে সাহায্য করা কারণ আমাদের শিশু সন্তানেরা এই বয়সেই রাজনীতিতে বিদ্যমান ঘৃণার সংস্কৃতির মধ্যে ঢুকে পড়ুক, এটা নিশ্চয় আমরা চাইবো না।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
আপনিও এই দুই দলের কোন একটিতে আছেন নিশ্চয়ই? এটাই এ দেশের প্রধান সমস্যা! এ দেশের জন্মলগ্ন থেকে, হয়ত তারও আগে থেকে।
প্রথম দিন রমিজউদ্দিন স্কুলের ছাত্রদের প্রতিবাদটা ছিল সত্যিকারের ইতিবাচক ক্ষোভ। দ্বিতীয় দিন থেকে এর সাথে রাজনীতি মিশতে থাকে। সপ্তম দিনে এসে এটা অনেকের কাছেই প্রায় পুরোপুরি সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিনত হয়ে যায়। কোমলমতি ছাত্রদের আবেগকে পুঁজি করে সরকারকে ফেলে দেয়ার তীব্র আকুতি ঝরে পড়ে বহু জনের আচরণে। সে দিকটাও ভেবে দেখার বিষয়।
আরেকটা ভেবে দেখার বিষয় হেলমেট পরে লাঠি হাতে ছাত্রলীগের অবস্থা আয়ত্বে আনার চেষ্টা।
..................................................................
#Banshibir.
মেধাবী প্রচেষ্টা! প্রতিপক্ষের ইটার আঘাত থেকে নিজেদের মস্তক ও মস্তিষ্ক রক্ষাকল্পে দারুন উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিয়েছে। যদিও এই পদ্ধতির মৌলিকত্ব নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
কেউ কেউ বলছেন,
এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল,
ছড়িয়ে পড়েছিল
সেনাবাহিনী পরিচালিত ইশকুল থেকে
কে ান পরিকল্পনার অংশ হিসেবে
এবং সরকারকে জনগণ থেকে ছিন্ন বিিচ্ছন্ন করার মানসে
যাদের প্রথম সাফল্য ছিল
প্রধানমন্ত্রীর কথা এখন আর কথা না
তিনি কথা দিয়ে রাখতে পারেন না
অথবা রাখেন না
এমন একটা বিশ্বাস জনগণের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া
সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যালু শূন্য করে দেয়া।
প্রথমদিনের বিক্ষোভ ছিল সতস্ফুর্তভাবে তাৎক্ষণিক আবেগ থেকে উৎসারিত। দ্বিতীয় দিন থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে স্কুল ছাত্রদের বড় বড় ক্লোজড গ্রুপের তৎপরতা থেকে, এইসব গ্রুপে প্রচুর কলেজ ছাত্রও ছিল। তবে থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, যাদের কেউ কেউ কোটা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ন অ্যাক্টিভিস্ট ছিল। আরও পরে তার মধ্যে অন্যান্য এলিমেন্টও ঢুকে পড়ে।
নতুন মন্তব্য করুন