১৫ আগস্ট ১৯৭৫ : জলপাই লিগেসীর শুরু.....

সাধক শঙ্কু এর ছবি
লিখেছেন সাধক শঙ্কু (তারিখ: বুধ, ১৫/০৮/২০০৭ - ১:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৫ আগস্ট ১৯৭৫শেখ মুজিব নিহত হওয়ার সময় বিশাল ক্যাচাল চলতাছিল ।আম্লীগের অবস্থা খুবই খারাপ । জাসদ/সর্বহারা/পূর্ব বাংলাগো ক্ষমতা দখলের বা দখল কইরা টিকা থাকনের যোগ্যতা ছিল কিনা সেইটা নিয়া নানারকম ক্যাচাল আছে, আপাতত ওদিক যামু না ।তয় কাকাগো দিলে ডর আছিল ঠিকই।তাগো কইলজায় তখন ভিয়েতনামের ঘাও থক্ থক্ করতাছে ।জাসদ তাগো তৈরী হইলেও কর্মীরা যে কখনোই নেতাগো খেদাইয়া অন্যকোন দিক যাইবো না সেই ভরসাও নাই।কম্বোডিয়াতে যেমন ছিল ।আবার তাজউদ্দিনরে খেদাইলেও আম্লীগ কেজিবির কথা বেশী শুনা শুরু করছিল।বিশেষ কইরা বাকশালের টাইমটা আম্লীগে ভালো একটা পেজগী চলছে।সিআইএ/কেজিবি একলগে কাম করছে।কেজিবি অনেকগুলা ওয়ার্নিং দিছিল শেখ মুজিবরে। শেখ মুজিব সেগুলা শুনে নাই আম্লীগ ভক্তগো মতে বাঙ্গালী আমারে মারবোনা ধারণা থিকা, আমার মতে দেখিনা কি করে মনোভাব থিকা।কারণ সিআইএ তখন একলগে অনেক নাও এ ঠ্যাং দিয়া রাখছে।ইতিহাসবীদরা খালী বেচারা মোশতাকরে গাইল পাড়ে।মোশতাক একলা এত কিছু করা পারলে তো শেখ মুজিব নেতাই হইতে পারতো না ।তাজউদ্দিনরে মন্ত্রীসভা থিকা সরানোর পরে যারা পাট্টি দিছিল তারা সবাই সিআইএর লগে যোগাযোগ রাখতো।এগো মধ্যে অনেকেই বাকশালের সময় জেলে গেছিল।যাই হোক মোট কথা ১৯৭৫এর সামরিক অভূত্থান কতিপয় "বিপথগামী" বা কতিপয় "দেশপ্রেমিক" অফিসারের কাম না এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত।শুধু মোশতাকের মন্ত্রীসভায় যারা যোগ দিছিল তারা না । আরো অনেকে নিস্ক্রিয় থাইকা সমর্থন দিছে।তারাই র্বতমান আওয়ামী লীগ।যারা যারা সেই সময় সিআইএর টোপ খায় নাই তারা হয় পলাইয়া গেছে নাইলে মরছে।যেই ৪ নেতারে জেলের মধ্যে বেয়নেট চার্জ কইরা মারা হইছে তারা কেজিবির লোক না হইলেও সিআইএর দালালী করতে চায় নাই।ক্যান চায় নাই সেইটা জটিল প্রশ্ন।চাইলে বাইচা যাইতো।

বছর দেড়েক আগে একবার কেজিবির কোন এক পুরানা র্কমর্কতার কাগজপাতি ঘাইটা নানারকম কথা শোনা গেল।কথাগুলা তেমন নতুন কিছু না।তবে বুইড়া অজয় রায় কয় এগুলা ঠিক না। কেজিবির তথ্য ভুল ৭৫এর সামরিক অভ্যুত্থানের লগে সিআইএ জড়িত না ইত্যাদি।বুঝলাম বুইড়া মানু কততা কয়।আর সিপিবির উর্বর মস্তিস্কের পরিচয় পাওন যায় এই মন্তব্য থিকা।)

তারপর আর কি! ১৫ আগস্ট থিকা ৭ নভেম্বর বেশ ছককাটা কায়দায় আউগাইছে।খেলোয়াড়রা ভাবছে আমরা খেলি আর পাপেট মাস্টার ভাবছে হালার রামছাগল!

২.

১৯৭৫-১৯৮১।জিয়া প্রথম র্কতব্য হিসাবে জাসদের কর্মী-সর্মথক আর পূর্ব বাংলা-র্সবহারা খতমে মন দিছে।জাসদের নেতারা সিআইএ আর র র টেকা খাওয়া।তাই তাগো কোন সমস্যা হয় নাই।সিপিবি নিষিদ্ধ।এই সময় হারাম থিকা হালাল হইতে সিপিবি অনেক খেইল দেখাইছে।শেষ র্পযন্ত "কি্ছু কিছু পেরগতিশীলতা" কথায় কাম হইছে।পিনোচেট ইশটাইলে ঢালাও বিরাষ্ট্রীয়করণ নাম দিয়া ফ্যাক্টরি বন্ধ কইরা রিয়েল এস্টেট জিন্দাবাদের উন্নয়ন আর তার লগে রেবন সানগ্লাস পইড়া বগল দেখাইয়া খাল কাটা।পাকিস্থান আমলের শুরুতে খারাপ ছাত্রদের আর্মীতে নেওনের নতিজা জিয়াউর রহমানের ইংরেজীতে সবাই খুশী।যুবকদের বেকার হাতকে র্কমীর হাতে রূপান্তরীত করায় পুরানা কম্পোজিটার প্রেসগুলার বিজনেস খুব জমছিল।এত রশীদ বই কোনদিন ছাপা হয় নাই।একরকম ভোটও হইল।পাছা ঘসতে ঘসতে ৩/৪ টুকরা আম্লীগ আর বাকি যা কিছু ছিল আর যা কিছু থাকার কথা ছিল না সবাই আইলো।কেউই এক পিস না।কমপক্ষে ৩ পিস।শুধু নতুন জলপাই পাট্টি এক পিছ।



১৯৭৩ সালের একটা বিচিত্রায় দেখছিলাম শেখ ফজলুল হক মণি কইতাছে আম্লীগই দেশের একমাত্র পার্টি বাকিসব আম্লীগ ভাইঙ্গা বাইর হইছে।রীতিমতো ফ্যাসিস্ট বক্তব্য নি:সন্দেহে।তবে যাগো পেত্তিবাদ করার কথা তারা তখন ত্রিদলীয় জোটে।তাই কেউ আওয়াজ দেয় নাই।২৯১টা সীট লইয়া আম্লীগ তখন দ্যাশটারে নিজের তাল্লুক ভাবতো।১৯৭৫ এর পরে জাসদ আর র্সবহারা খতম করার লগে লগে একটা এন্টি আম্লীগ বিরোধীদল বানাইতে ফেরত আইলো সিআইএর পুরাণা ওয়াফাদার মুসলীম লীগ আর জামাত।তোয়াহা সাহেবরা নিজেগো পার্টির নামে বাইর হইয়া গেলে ভাসানী ন্যাপের পায়ের নীচে আর মাটি অবশিষ্ট ছিল না।বাকশাল চলার সময়েও ভাসানী নিজে হাতে শেখ মুজিবরে বাইড়া খাওয়াইছে ।যাই হোক ভাসানী মইরা গেলে পরে এই পাট্টির ভবিষ্যত পুরাই অনিশ্চিত ছিল।সেই ভাসানী ন্যাপ+মুসলীম লীগ+আম্লীগের একাংশ= প্রথম জাগোদল পরে আইজকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।শেখ মণি যে কইছিল আম্লীগ ছাড়া আর কোন পাট্টি নাই, সেই জাগা এরাই কাভার কইরা নিছে।আম্লীগের ১৯৭২-৭৫ আমলের পুরা প্রতিক্রিয়া ধারণ কইরা তৈরী হইছে বিএনপি।এই কারণে জলপাই ক্ষ্যাতে জন্ম হইয়াও হ্যারা পরে বাংলাদেশের পেরধান ২ দলের একদল ।একটা বিষয় খিয়াল কইরা, জামাত কিন্তু কোনদিন লিকুইডেশনের দিক যায় নাই।তারা একটা রিজার্ভ ফোর্স হিসাবে বাড়ছে কাছিমের মতন।

এই নতুন জলপাই পাট্টি নির্বাচন কইরা নিজেরে হালাল কইরা নিয়া চলতাছিল একরকম, মানে মাইনসে দেখতাছিল যে চলতাছে।মাইনসে দেখতাছিল না কুর্মিটোলার ভিতরে লাশের পর লাশ পড়তাছে।কারণ কি? ওই যে পাপেট মাস্টার চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া।এই ঢুশঢাসের মধ্যেই একদিন কমলভাই অক্কা পায়।পার্টির জোড়াতালিগুলা ছ্যাড়ছ্যাড় করতে থাকে।প্রেসিডেন নির্বাচনে সাত্তার সাবে ক্ষমতায় বহে।নানান ক্যাওজের ফাঁকে আবার রেফারির ফুঁ।২৪শে মার্চ ১৯৮২।

৩.

কমল ভাই খুব জরুরি কিছু পরির্বতন করছে নাইলে বাংলাদেশের আজকের "উন্নতি" সম্ভব হইতো না । প্রথম জরুরি কাজ সেনাবাহিনিরে খতনা দেওন। একেকটা ঢুশঢাশে হাজার খানেক কইরা হালাক হইছে মুক্তিযোদ্ধা অফিসাররা। এইটার একটা ভালো ফিনিশিং দিছে চাচ্চু। চাচ্চু প্রসঙ্গে পরে আমু। পরের জরুরি কাজ রাজনীতিরে জটিল করা। যাগো অস্তিত্বই থাকার কথা না তাগো ডিম ফুটনোর ইংকুবেটর বানাইয়া দিছে। ভুল কইলাম। ইংকুবেটর বানাইয়া দিছে শেখ সাবে। মাদ্রাসা বোর্ড কইরা। তবে মোরগ-মুরগীর নিরাপত্তা ছিলনা। কমলভাই তাগো নিরাপদ কুরকুরানির সিস্টেম কইরা দিছে। এর লগে খুবই জরুরি পরিবর্তন বিরাষ্ট্রিয়করণের নামে ফ্যাক্টরি বন্ধ, ট্রেড ইউনিয়ন গুলা লুম্পেনাইজ করা যাতে পরর্বতী সরকার সেই কারখানাগুলা বন করা পারে।

অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ যেই পরির্বতনের ভিত্তি তৈরী করতাছিল সেইটা টপ টু বটম খতম করা। তিনি সফল হইছেন। প্রত্যেকটা পদক্ষেপে। খালি নিজেরে রক্ষা করা পারেন নাই। এই একটাই র্ব্যথতা তার। তিনি বুঝেন নাই কুর্মিটোলায় তিনি ছাড়া আরো কুতুব আছে।


মন্তব্য

অমিত এর ছবি

এই তো গেল ইতিহাস। এরপরে এখন থেইকা আগামী ১৫ বছরে কি হইতে পারে সেইটার একটা বিশ্লেষণ দেন।

______ ____________________
suspended animation...

সাধক শঙ্কু এর ছবি

অমিত,
পুরা ব্যাপারটাই নির্ভর করে মাইক্রো পলিটিক্যাল সেট আপের উপর। যদি এই লোকগুলাই (মানে যারা এখন পর্যন্ত আমাগো আসল রাজনৈতিক শ্রেণী) এই কায়দায় টিকা থাকে তাইলে হয়তো বছর কয়েক পর নানারকম দরকষাকষি কইরা একটা পরিস্থিতির লগে পাবলিকের ক্ষোভ মিলাইয়া একটা গণ আন্দোলন মতো করবো, তারপর আবার এমন টাইপ নির্বাচিত সরকার আইবো যারা পরবর্তী জলপাই এর সম্ভাবনা টিকাইয়া রাখে।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

বিশ্লেষণের সঙ্গে একমত না হয়ে উপায় নেই। খুব ভালো লাগলো, বিশেষ করে জায়গামতো যুৎসই শব্দগুলির প্রয়োগ। প্রমিত বাংলায় লিখে তা করা যেতো না।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

ঝরাপাতা এর ছবি

মোহমুক্ত বিশ্লেষণ বলে যে একটা টার্ম আছে সেটার দেখা মিললো লেখাটাতে।


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

কেমিকেল আলী এর ছবি

দাদার ভাষাটা আসলেই জোস

সুজন চৌধুরী এর ছবি

ভালো।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দুর্দান্ত ।
এ কেবল আলোচনার শুরু । এটা এখানেই থেমে না গিয়ে আরো দীর্ঘায়িত হোক ।

সংযুক্তি হিসাবে আসতে পারে, পাকিস্তান আর্মির হয়ে ন্যাটোতে কর্মরত এয়ারভাইস মার্শাল এমজি তোয়াব'কে ৭৬ এ বিমানবাহিনী প্রধান হিসাবে নিয়ে আসা । সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাষ্ট্রীয় আনুকুল্যে ইসলামী জলছার আয়োজন,তোয়াবের প্রধান অতিথি হওয়া,পালিয়ে থাকা দালালদের জলছায় এ উপস্থিত হয়ে ছয়দফা দাবী পেশ- পতাকা বদলানো,জাতীয় সংগীত বদলানো,দেশের নাম বদলানো...

জলপাই আর আলবদর দের সেই জশনে জুলুছ ।।

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাধক শঙ্কু এর ছবি

১৯৭৬ তো পুরাটাই একটা ধোয়া। রাস্তাঘাট মেরামত কইরা পাবলিকরে খুশী রাইখা লগে লগে হোমওয়ার্কগুলা করা হইছে। একের পর এক যেই সামরিক ফরমানগুলা জারী হইছে সেগুলার ভাষা দেখলে মাথায় হাত দিতে হয়। কিন্তু জলপাই জাদুতে তখন হাওয়া অন্যদিকে। আমি যা জানি সেগুলা ইতিহাস বই পইড়া। ১৯৭৬ সাল সময়টা যদি ওই সময়টা যারা সচেতনভাবে দেখছে তারা কেউ বর্ননা করতো তাইলে ভালো হইতো।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

সুজন চৌধুরী এর ছবি

____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

সুজন চৌধুরী এর ছবি

হাসান মোরশেদ
একটু ঝাইরা কাশেন মজা পাইছি।
মোল্লাগো একবিন্দু মাটি ছাড়োন যাইবো না
যার যা আছে লোইয়া ঝাপায় পড়েন।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

চমৎকার তথ্যবহুল আলোচনা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সুজন চৌঃ
সাধক নিজেই তোয়াব আমদানী বিষয়ে লিখবেন,আশা করি ।

লেঃকর্নেল এম এ হামিদের বর্ননায়,১৫ আগষ্ট সারাদিন ক্যান্টনমেন্টের ভিতরের চিত্র ফুটে উঠেছে ।
আগ্রহী পাঠক পড়ে দেখতে পারেন,নিচের লিংকে ক্লিক করেঃ

সেদিন সেনানিবাসের ভিতরে

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সৌরভ এর ছবি

হুমম।
ভিন্ন ধরন আর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা রক্তাক্ত সময়।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সেইরকম পোস্ট।
সাধক শঙ্কু, আপনার লেখা নিয়মিত চাই।

নজমুল আলবাব এর ছবি

সচলে এত আরামের পলিটিক্যাল লেখা আর পড়িনাই।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অচেনা এর ছবি

সংক্ষিপ্ত তয় চমেতকার চলুক

-------------------------------------------------
আমি ভালবাসি বিজ্ঞান
আমি ঘৃণা করি জামাত॥

ভাস্কর এর ছবি

আমার কাছে কিছু জায়গা জেনারালাইজ মনে হইছে...সিআইএ টোপ দিছে আর সবাই তাই ষড়যন্ত্রে মাতছে, যারা রাজী হয় নাই তারা মরছে নয় পলাইছে...এইভাবে কইলে আসলে আওয়ামি ইতিহাসই সামনে চইলা আসে। আওয়ামি শাসন বিরোধী উগ্রপন্থী কিম্বা বঞ্চিত অংশ'ও নিশ্চিত শেখ মুজিবের নাম-নিশানা মুছনে ব্যস্ত থাকনের কথা। সিআইএর টাকা না খাইয়াও অনেকেই আওয়ামি বিরোধী অবস্থানে থাকবারই পারে...

--------------------------------------------------------
অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ যেই পরির্বতনের ভিত্তি তৈরী করতাছিল সেইটা টপ টু বটম খতম করা। তিনি সফল হইছেন। প্রত্যেকটা পদক্ষেপে। খালি নিজেরে রক্ষা করা পারেন নাই। এই একটাই র্ব্যথতা তার। তিনি বুঝেন নাই কুর্মিটোলায় তিনি ছাড়া আরো কুতুব আছে।

...এই জায়গাটা নিয়াও খানিকটা খচখচ আছে...

খানিক আগে তুমি যদিও শেখ মুজিবের ভূমিকার কথা কইছো, কিন্তু শেষ প্যারা পইড়া মনে হয় ঐ ভূমিকাটা উহ্য হইয়া যাওনের সম্ভাবনা দেখা দ্যায়। মুক্তিযুদ্ধ যেই পরিবর্তনের ভিত্তি তৈরী করছিলো ঐটার টপ থেইকা শেখ মুজিব নিজেই ক্ষয় ধরাইতে শুরু করছিলেন...জিয়া যেইটা আরো উৎসাহে, আরো জোরদার শেষ করছেন।


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সাধক শঙ্কু এর ছবি

নিজের ল্যাখাটা আরেকবার পড়লাম। ওই সময় যারা যারা সক্রিয়ভাবে মোশতাকের পক্ষে গেছিল তারা হয় প্রত্যক্ষভাবে সিআইএ র টেকা খাইছে নাইলে খাওনের চান্সে আছিল। এইটাই ইতিহাস। এইখানে কওয়া হইছে আওয়ামী লীগে যারা মুজিব হত্যায় খুশী হইছিল তাগো কথা।

শেষ প্যারার মন্তব্য লইয়া কিছু বলার নাই। ওইটা তোমার ব্যক্তিগত অনুভব। আমি কি লিখছি সেইটা বুঝতে যদি পুরা পোস্ট পড়া লাগে, সেইটা নিতান্তই আমার লেখার পদ্ধতির কারণে। ভাতের ডেগচির উপমা রাজনৈতিক লেখায় ব্যবহারের অযোগ্য করাই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

ভাস্কর এর ছবি

সাধক শঙ্কু লিখেছেন:
নিজের ল্যাখাটা আরেকবার পড়লাম। ওই সময় যারা যারা সক্রিয়ভাবে মোশতাকের পক্ষে গেছিল তারা হয় প্রত্যক্ষভাবে সিআইএ র টেকা খাইছে নাইলে খাওনের চান্সে আছিল। এইটাই ইতিহাস। এইখানে কওয়া হইছে আওয়ামী লীগে যারা মুজিব হত্যায় খুশী হইছিল তাগো কথা।

এইটাই ইতিহাস বইলা সিআইএর ভূমিকা জোরদার ভাবে বলা গেলেও আসলেই কি রাজনৈতিক ঘটনা এইরম ঘটে? কারন বহিঃশক্তির ইন্ধন আসনের সুযোগই পায় মূলতঃ আভ্যন্তরীণ ক্ষোভের বিচ্ছুরণে...সেই ক্ষোভের নেতিবাচকতা যেমন থাকে, একইসাথে সত্য সত্যই যৌক্তিক ক্ষোভেরও অস্তিত্ব খুঁইজা পাওয়া যায়। আমি আমার মন্তব্যে অবশ্য সার্বিক শক্তিরেই বুঝাইছিলাম তা মাইনা নিয়াই কই আওয়ামি লীগেও ঐ ক্ষোভের অস্তিত্ব এক্কেরে উড়াইয়া দেওন যায় না, তাজউদ্দিনরে নিয়া কিম্বা শেখ পরিবারের স্বজনপ্রীতি নিয়া তখন আওয়ামি লীগেও ক্ষোভের উপস্থিতি থাকনটা কি অসম্ভব মনে হয়?

কেবল লেখার পদ্ধতির কারনে পুরা পোস্ট পড়তে হইবো এই সিদ্ধান্তটা বুঝলাম না। যেমন বুঝলাম না ভাতের ডেগচির উপমা বিষয়ক উল্লেখ...রাজনৈতিক লেখা হইতে হইলে কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে ব্যাপারটা জানতাম না। নাকি তুমি একাডেমিক লেখার কথা কইলা?


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সাধক শঙ্কু এর ছবি

আগে ডেগচির উপমা প্রসঙ্গ কিলিয়ার করি। ভাতের একটা দানা টিপলেই পুরা ডেগচির পরিস্থিতি বোঝা যায় এইটা রাজনৈতিক লেখার ক্ষেত্রে ঠিক না। শুধু কনক্লুশন থিকা লেখক সম্পর্কে অনেকে সিদ্ধান্ত নিত পারে হয়তো কিন্তু তাতে লেখকের কোন দায় নাই। সেইটা পাঠকের পাঠ-পদ্ধতির ত্রুটি।

আমি যা লিখ্যি তাতে কি সত্যিই অভ্যন্তরীন উপাদানগুলা বাদ গেছে? অভ্যন্তরীন দন্দ্ব সংঘর্ষ না বুইঝা দক্ষ ব্যবসায়ী কোন মার্কেটে টাকা লাগায় না। মাইক্রো লেভেলের ঘটনাগুলাই উঠা আহে ম্যাক্রোতে, চেহারা বদলাইয়া। আওয়ামী লীগের অর্ধেকের বেশী বা প্রায় ৮৫% হইল চারুবাবু যাগো খতম করতে চাইছিল তারা। কিছু হয়তো ছিলেন আবেগপ্রবণ ....দৃশ্যত প্রগতিশীল লোকজন, কিন্তু তাগো দিয়া একটা পার্টির ইনফ্রাস্ট্রাকচার বেঝা যায় না। এগুলা ঠিক আছে । এগুলা যে আমার লেখায় অস্পষ্ট সেইটা আমার মনে হইতাছে না। তোমার মনে হইতাছে। ক্যান সেইটা এখনো বুঝি নাই।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

ভাস্কর এর ছবি

আমিতো আওয়ামি পার্টির ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়া কিছু কইনাই...আমি যেইটা কইতে চাইছি, ঢালাওভাবে সিআইএ'র দালালী বা প্ররোচনার কথা কইলে শেখ মুজিবের প্রতি যেই ক্ষোভের অস্তিত্ব ছিলো সেইটারে অস্বীকার করা হয়...ভেতরের ক্ষোভের পুরাটারে সিআইএ কিন্না ফেলতে পারছে এইটা মনে হয় না। সিআইএ ছাড়াও অন্য পরিস্থিতিটাও ছিলো আমি সেইটাই বলতে চাইছি...

পাঠপদ্ধতির ত্রুটি কিনা জানি না...তয় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়া তৈরী হওয়া সম্ভাবনা জিয়াই টপ টু বটম নষ্ট করছে এই লাইনটা আমার কাছে প্রশ্নসাপেক্ষই লাগে সেইটা পুরা পোস্টে অনেক কিছু লিখলেও কিচ্ছু আসে যায় না। আমি স্পষ্টতঃই কইতে চাই শেখ মুজিবই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বরখেলাপ করছে প্রথম...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সাধক শঙ্কু এর ছবি

আবারো ভুল বুঝলা কমরেড। আমি হাই লাইট করছি সামরিক অভূত্থানরে। সেইটার পারস্পেস্টিভগুলারে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার সাথে জনগণের ক্ষোভের কোন সম্পর্ক নাই। সেইটার শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে ঘটে নাই। ঘটছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

সুজন চৌধুরী এর ছবি

সাধক ১মত।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

ভাস্কর এর ছবি

তোমার পোস্টের মূল সুরটা আমি বুঝতে পারছি সাধক...যেই কারনে আমি কইছিলাম কিছু জায়গারে আমার সাধারনীকরণ মনে হইছে। আমি জনগণের ক্ষোভ ব্যাপারটারে অনেক বড় বিষয় হিসাবে আনতে হয়তো চাইনা, শেখ মুজিব হত্যাকান্ডরে জনগণ সমর্থিত কোন ঘটনা মনে করি না, কিন্তু আবার শেখ মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের অস্তিত্বরে অস্বীকারও করতে পারি না...কারন ঐটারে কেবল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কোন অধ্যায় হিসাবেও দেখতে পারি না। আমি মনে করি সিআইএ ঘনিষ্ঠ না হইয়াও ঐ সময়ে ক্ষমতার অনেকেই শেখ মুজিব বিরোধী থাকনের সম্ভাবনা রাখে, সেইটা যেই পার্স্পেক্টিভেই দেখো, তাগো যেই শ্রেণীগত অবস্থানেই দেখো...সিআইএ'র দালালী বিষয়টারে হাইলাইট করলে ঐ পার্স্পেক্টিভটা সহ আরো অনেক পার্স্পেক্টিভই চাপা পরনের সম্ভাবনা রাখে।


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সুজন চৌধুরী এর ছবি

ভাস্কর
তোমারে খুব বেশি প্রি-অকুপায়েড মনে হইতেছে।

আমার মনে হয় একই ইতিহাস তুমি তোমার ভাষায় লিখো তাইলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

ভাস্কর এর ছবি

আমার মনে হয় না আমার লিখনের প্রয়োজন আছে...আমি কেবল সাধকের সাধারনিকরণটারে নিয়া প্রশ্ন তুলছি, সিআইএ'র একচেটিয়া পরিকল্পণার দৌড়াত্মটা আমার কাছে একটু অসম্ভবই লাগে।


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

যদি আমার বুঝতে ভুল না হয়, ভাস্করের মন্তব্য থেকে এমন একটা সম্ভাবনার সুযোগ তৈরী করা যায় যে শেখ মুজিব হত্যাকান্ড সি আই এ বা বহিঃশক্তি পরিকল্পনা জাতীয় কিছু না,রাষ্ট্রের চরিত্র বদলে দেয়ার মতো ভয়ংকর কোনো উদ্দেশ্যমুলক নয়- এটা স্রেফ আওয়ামীলীগের ভেতরের কিছু মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষোভজনিত ঘটনা ।

ভাস্কর কি এই সম্ভাবনার কথা বলতে চেয়েছেন,একটু স্পষ্ট করে বললে বুঝতে সুবিধা হতো ।

আরেকটা বিষয়ঃ

মুক্তিযুদ্ধ যেই পরিবর্তনের ভিত্তি তৈরী করছিলো ঐটার টপ থেইকা শেখ মুজিব নিজেই ক্ষয় ধরাইতে শুরু করছিলেন...জিয়া যেইটা আরো উৎসাহে, আরো জোরদার শেষ করছেন।

এই মন্তব্যকে ভিত্তি করে কি এরকম একটা সিদ্ধান্ত আসা যেতে পারে যে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলো ধ্বংস করতে জেনারেল জিয়া আসলে মুজিবের সাক্সেসর ছিলো মাত্র? মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নস্যাৎ এর মুল অপরাধী আসলে শেখ মুজিব?

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ভাস্কর এর ছবি

আমার বক্তব্য থেইকা যদি মনে হয় আমি সিআইএ বা বহিঃশক্তির নীলনকশাটারে নাকচ কইরা কেবল মুজিব বিরোধী ক্ষোভের কথা কইতে চাইছি, তাইলে আমি দুঃখিত। আমি সুমনের একচেটিয়া সিআইএ বিষয়টারে নিয়া প্রশ্ন তুলতে চাইছি...বলতে চাইছি এর বাইরেও মুজিব বিরোধী ক্ষোভেরও অস্তিত্ব ছিলো ঐ টাইমে।

আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনারে নস্যাৎ করনের আন্দোলনে কে মূল অপরাধী কে কম এই বিবেচনাটাই আমার কাছে ঠিক মনে হয় না। জিয়া অবশ্যই পুরা প্রক্রিয়াটারে পরিনতি দিতে উদ্যোগী ছিলো, মুজিব শুরু করছে এইটাও সত্য...এরশাদ আরো আগাইয়া নিছে, খালেদা আর হাসিনা দুইজনেই সেই কর্মের সাক্সেসর। আজো মুক্তিযুদ্ধের চেতনারে বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান।


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সাধক শঙ্কু এর ছবি

কমরেড,
আমার লেখাটার শিরোনাম ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ : জলপাই লিগেসীর শুরু ঐখানে হাইলাইট করা হইছে সামরিক অভ্যুত্থানরে। জনগণের মধ্য আওয়ামী লীগ বিরোধী ক্ষোভ তো ছিলোই। নাইলে বি.এন.পি. সাপোর্টার পাইলো কৈত্থিকা? কিন্তু জনগণের ক্ষোভ ১৫ আগস্টের সামরিক অভ্যুত্থান ঘটায় নাই। ঐটা সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তেই ঘটছে। আমার আর কিছু বলার নাই।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

ভাস্কর এর ছবি

সেইটা আমারো মনে হইছিলো শুরুতে, কিন্তু পরে সিভিলিয়ানরাও একই ব্যখ্যার আওতায় চইলা আসনের কারনে আমি আমার পয়েন্টটা তুলতে চাইছি।

১৫ অগাস্টে শেখ মুজিবের হত্যাকান্ড বিষয়টা আমার বক্তব্যের মধ্যে আসলে ছিলোই না। আমি ষড়যন্ত্রের পুরা ব্যাপারটাই দেখতে চাইছি, যেইটা তুমিও লেখায় কোন না কোন ভাবে আনছো। আমার মনে হয় আমারো আর কিছু বলার নাই।


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সাধক শঙ্কু এর ছবি

ঠিকাছে এইবার বিড়ি খাও দেঁতো হাসি


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এটা একটা জরুরী পোষ্ট ছিলো, এইদিনে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাধক শঙ্কু এর ছবি

এইটা নিয়া মনে হয় এখন আর কেউ সচলে বাহাস করবো না। আর দাড়িনাই মালানারা আসলে বাহাস পারে না। কারণ তথ্য/বাস্তবতা কোনটারেই ক্রিটিক্যালি দেখতে তাগো হুজুরের নিষেধ আছে। তাগো কাছে ইতিহাস মানে সম্পদশালীদের এঙ্গেল থিকা দেখা কিছু ফ্ল্যাট তথ্যসম্ভার। যেই তথ্যগুলি সম্পদশালীদের সুবিধা মতো বাড়ানো কমানো হইছে। দাড়ি নাই হুজুররা বাই ডিফল্ট ইতিহাসরে দেখে চলমান শাসক শ্রেণীর লাভবান ছানা হিসাবে। ইতিহাসরে ক্রিটিক্যালি দেখা মানে তাগো কাছে পুরানা কাসুন্দি ঘাঁটা। কিম্বা ইমোশোন মেমরি দিয়া ছিমপেথি ডোরো করা।

মনে পড়ে? পুরানা দিন? চোখ টিপি


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

সাধক শঙ্কু এর ছবি

আবার ঠেলা দিলাম। আসলে বহুদ্দিন কোন বাহাস হয় না। সচলায়তনে কোন মার্শাল ল সাফুটার থাকলে একটু ছ্যাচা দিয়া আরাম পাইতাম।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

সাধক শঙ্কু এর ছবি

মুজিব হত্যা মামলার রায় হইছে আইজকা। মনে হইল ঠেলা দিলে ভালো। নতুন পোস্ট দিমু রায় কার্যকর হইলে।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।