মামার সাথে মামদোবাজী - ১
মামার সাথে মামদোবাজী - ২
নেড়া কয়বার বেল তলায় যায়, এ প্রশ্ন আমি নিজেকে করিয়াছি বহুবার, আর জানি না কেন যে বেল বার বার আমার মাথাতেই পতিত হয়। কয়েকবার বেল পতনের পর বেল আর নিউটন উভয়কে দোষ দিতে দিতে এক সময় কাহিল হইয়া তাহাও বাদ দিয়াছি। আপনারা বলিতে পারেন, তা বাবা, বেল যখন তোমার মাথাকেই এত ভালো পায়, তখন তুমি মাথা বাচাইয়া বেল হইতে দূরে থাকিলেই পারো, তখন আমাকে বলিতে হয়, আগ্যে, সে চেষ্টাও করিয়াছি, কিন্তু বেল যে আমার মাথার প্রেমে হাবুডুবু খাইতেছে, তাহা তো আর আমি জানি না, জানিলে হেলমেট পরিয়া পথ চলিতাম, আর বেল আসিবা মাত্র মাথা বাড়াইয়া ঢুঁশ দিয়া দিতাম। আমার এতক্ষনের বকবকানিতে আশাকরি বুঝিয়া গেছেন ঘটনা কোন দিকে যাইতেছে? তাহলে আর বকবক না পারিয়া আসল কথায় চলিয়া আসি।
আপনারা যারা আমার মত সৌভাগ্যবান তাহারা তো জানেন যে, মামা কতৃক প্রেমপত্র পাইলে তাহার পরে আদালতে গিয়া হাজিরা দিতে হয় নাহইলে পত্র মারফত নিজেকে দোষী স্বীকার করিয়ইয় লইতে হয়, তখন আদালত ফাইন জানাইয়া দেয়, তাহা চেক দিয়া পাঠাইয়া দিতে হয়। আমার বাড়ীওয়ালা চাচা বলিলেন, তুমি আদালতে যাও, তোমার ভর্তুকি নিয়া কোন পয়েন্ট না দিয়া আমাকে ছাড়িয়া দিবে। কাজেই আমি ওই টিকিটের তারিখ দেখি, ভাগ্যক্রমে ওই দিনই আমার শ্যালিকার কলেজে ফেরার দিন পড়িয়াছে। সে ওই দিনই ঢাকা হইতে আসিবে, তারপর তাহাকে আমি নিয়া ঐ আদালতে যাইব, তারপর তাহাকে নামাইয়া দিয়া চলিয়া আসিব। আমার ওই চাচা বলিতে ভুলিয়া গিয়াছিল যে, আমার না গেলেও চলিবে, টিকিট খানায় সহি করিয়া মেইল করিলেও চলিবে। কাজেই সেদিন বিকালে আমি রওয়ানা দিলাম ওই আদালত অভিমুখে।
আদালত যাইবার পর জানিতে পারিলাম যে, আমার না আসিলেও চলিত, আমাকে আবার আসিতে হইবে, আজিকে শুধু শুনানির দিন তারিখ দিবে আমাকে। ওই দিন নাকি ওই পুলিশ বেটাও আসিবে আমার সাথে বোঝাপড়া করিতে। শুনিয়া আমার মুখের ভেতরটা তিক্ততায় ভরিয়া গেল, যেন আমাকে কেউ জোর করিয়া কেউ করল্লা খাওয়াইয়া দিয়াছে। অতঃপর আমি আমার শ্যালিকাকে নিয়া গেলাম তাহার কলেজে, তাহার মাল সামাল নামাইয়া দিলাম। ওইদিন কুয়াশাও নামিল যা তা রকমের। এর মাঝে আমার শ্যালিকার বান্ধবীর দুরালাপনি আসিল, সে বেচারী নিকটস্থ স্টেশনে আটকা পড়িয়াছে, সে যেহেতু জানে যে আমি আজকে কাছাকাছি আছি, জানিতে চাহিল যে আমি কী তাহাকে স্টেশন হইতে উঠাইয়া কলেজে নামাইয়া দিতে পারিব কিনা? আমি বলিলাম, কোন ব্যাপারই না, আমি সঠিক সময়ে আসিয়া হাজির হইব, তুমি অপেক্ষা করিতে থাকো।
এই বলিয়া আমি বাহির হইলাম আমার বোন কে লইয়া, কিন্তু বাহির হইয়াই বুঝিলাম, আজিকে কুয়াশা আমার সাথে “আজিকে পাশা খেলিবরে” মার্কা অবস্থা। কিন্তু কিছু করিবার নাই, তাই আস্তে আস্তে যাইতে থাকি, স্টেশনটা আধা ঘন্টা দূরে, কিন্তু এমঅন কুয়াশা যে আমি গাড়ী গতিসীমায় চালাইতে থাকিলাম, এমন অবস্থা যে, তাহাও পারি না। এর মাঝে আমি রাইনবেক নামে একটা শহরে ঢুকিয়া পরি, শহরের ভেতরে গতিবেগ ছিল ২৫ মাইল, আর সামনে একজন একখানা নৌকা টো করিতেছিল, কাজেই আমার ২০ মাইলের বেশী জোরা যাওয়া সম্ভব হইতেছিল না। শহর হইতে বাহির হইয়াই আমি গতিবেগ বাড়াইয়া দেই, কারন আমি দেখিতে পাইতেছি, রাস্তার পাশে গতিবেগ লেখা ৪৫ মাইল। হঠাৎ দেখি পেছন হইতে মামু বাত্তি জ্বালাইয়া পু পু করিতে করিতে আসিতেছে, আমি দাঁত বাহির করিয়া বলি আমার বোনকে, দেখ দেখ, কাহার যেন সর্বনাশ হইতে যাইতেছে, মামু বেটা কেমন করিয়া তারিয়া আসিতেছে, কিন্তু আসে পাশে কোন গাড়ী দেখিতে না পাইয়া আমার বুকের মাঝে কেমন যেন করিয়া উঠে, আমি রীতিমত ভদ্রভাবে আস্তে আস্তে যাইতে থাকি, কিন্তু মামু বেটা কাছি আসিবার পর দেখি গতিবেগ কমাইয়া ফেলে, তারপরও আমি দাড়াইনা, কারন, আমি তো জানি, আমি ৪৫ এর স্থানে আছি, আমাকে কোন কারনেই মামু চুম্বন করিবে না আজিকে। কিন্তু এর পরে মামু ডিপার দিয়া আমাকে সংকেত দিতে থাকে যে, সে আমাকেই দাড় করাইতে আসিয়াছে। আমি তো মহা বেকুব, আজ আবার কি হইল?
মাত্র ৩ দিন আগে রোড টেস্ট পাশ করিয়াছি, এখনো লাইসেন্স হাতে পাই নাই, সাথে আছে একখানা রসিদ, যাহার মধ্যে লেখা আছে, আমি ৩ দিন আগে পাশ করিয়াছি, আমার লাইসেন্স ডাক মারফত আসিবে। এর মাঝে কী এক বিভ্রাটে না পড়িলাম। মামু তো গাড়ী দাড় করান মাত্রই আসিয়া বলিল, “লাইসেন্স এন্ড রেজিস্ট্রেশন”, আমিও বাহির করিয়া দিলাম সকল কাগজপত্র, বিস্ম্যয়ে তো আমার মুখ ঝুলিয়া পড়িয়াছে!! আমি কিছু জিজ্ঞাসা করিবার আগেই মামু কহিল, তুমি কি জানো তোমাকে কেন দাড় করাইয়াছি, আমি মনে মনে খিস্তি দিয়া দাঁত বাহির করিয়া বলিলাম, কেমনে জানিব হে প্রান সখা? সে আমাকে বলিল, তুমি ২৫ এর স্থানে ৪৫ এ গাড়ী ছুটাইতেছ? আমি তো আকাশ হইতে পড়িলাম, “হাউয়ার পুয়া কয় কী?” আমি বলিলাম, মামু, তাহা হইতেই পারে না, ঐযে দেখ, লেখা আছে ৪৫ মাইল। মামু বলিলে, না তুমি তো উহা পার হও নাই, তুমি যেখান হইতে বাহির হইতেছিলে সেইখানে ২৫ ছিল গতিসীমা। আমার তো পুরাই আক্কেল গুরুম। আমি নানা রকম করিয়া চোখ মুখ ঘুরাইয়া ইনাইয়া বিনাইয়া বুঝাইতে চাহিলাম, বলিলাম, দেখ আমি আসলে বুঝি নাই, নতুন দেশে আসিয়াছি, বুঝিতে পারি নাই। কিন্তু মনে হয় ব্যাটার শিফট শেষের দিকে, সারাদিন অন্তর্জাল ঘাটিয়া যেইসব আসন পাইয়াছে, আর স্বর্গমাসীদের*** উম্মুক্ত চিত্র দেখিয়াছে, তাহার উপুর্যপরি ভাবে খাটাইবার জন্য সে তাড়াতারি বাড়ী যাইতে চাহে। তাহাদের একটি অলিখিত কোটা আছে, ১০ খানা প্রেমপত্র ঝাড়িতে হইবে প্রতি শিফটে, আমি সেই নিয়মের কবলে পড়িয়াছি।
কোন কথাই মামু শুনিল না, উল্টা বলিল, তোমার কিছু বলিবার থাকিলে আদালতের জজ সাহেবকে বলিতে। মেজাজটাই খারাপ হইয়া গেল, এত দেখিয়া শুনিয়া পথ চলিতেছি, কিন্তু মামারা আমার পিছু ছাড়িতেছে না। আমার বোনের বান্ধবীকে তুলিলাম, তাহাকে তাহার স্থানে নামাইয়া দিলাম, আমার বোন বলিল, আপনে থাকিয়া যান। কিন্তু ২ সপ্তাহ আগে মাত্র মেয়ের জন্ম হইয়াছে, বিকাল হইতে বাহিরে আছি, মনটা বড়ই আনচান করিতেছে, তাই আমি রাজী হইলাম না, আবার বাহির হইলাম, একেবারে বাড়ী যাইয়া কন্যাকে ধরিয়া তাহার পর ঘুমাইব। কুয়াশা ততক্ষনে এমন ঘন হইয়াছে যে, বোতলে ভরা যাইবে। রেড হুক পার হইতেই দেখি পেছনে আরেকটি গাড়ী আমার পেছনে, পুলিশের গাড়ী যেহেতু সেখানে ফোর্ড ক্রাউন ভিক্টোরিয়া, তাই আমি সতর্ক হইয়া গেলাম, একদিনে ২বার ধরা খাইলে আমার আর এদেশে গাড়ী চালানো লাগিবে না। এই করিতে করিতে আমি একটি লাল বাতিতে আসিয়া দাড়াইলাম, সারাদিন অনেক ধকল গেছে, তার মধ্যে কঠিন কুয়াশা, আর দুপুরের পর হইতে কিছু পেটে পড়ে নাই, ভাবিতেছিলাম, কী একখানা দিন না গেল। টিকিটের মিমাংসা করিতে গিয়া আরো একখানা খাইয়াছি। আমার স্ত্রী জানিতে পারিলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হইয়া মারা যাইবে।
ওই লাল বাতিটার সাথেই আরেকটা লাল বাতি আছে, রাস্তাটা একখানা সুক্ষকোনের ন্যায়, ছবি দিয়া দিলাম, দোষ আমারই, অন্যবাতিটা লাল হওয়া মাত্রই আমি ব্রেক ছাড়িয়া দেই, আর যাই কই, হঠাৎ দেখি পিছনের গাড়ীর ভেতর থেকে লাল বাত্তি জ্বলিয়া উঠে। কাজেই লাল বাতি পার করিয়াই আমাকে দাড়াইয়া পড়িতে হয়। মামু তো গাড়ী দাড় করান মাত্রই আসিয়া বলিল, “লাইসেন্স এন্ড রেজিস্ট্রেশন”। তার পদবি দেখিলাম, শেরিফ। বুঝিলাম, আজ ভাঙ্গা শামুকে না, পা কাটিয়াছে রাঘব বোয়ালের দাঁতে।
মামু আমার কাগজ দেখিয়া বলিল, নতুন চালক হইয় লাল বাতি মারিতেছ, আর কয়েকদিন পর কি করিবে? আমার তখন জান যায় যায় অবস্থা, মাথা কাজ করিতেছিলনা, কি বলিব, তাহাও বুঝিতে পারিতেছিলাম না, তাই মিন মিন করিয়া বলিলাম, দেখ, আসলে আমি খুব ক্লান্ত আর এমন কুয়াশা যে, মাথা কাজ করিতেছে না, আমার বোনকে নামাইতে আসিয়াছি, ওই দিকে আমার স্ত্রী কন্যাকে নিয়া একা আছে, আমার খুব বিপদ, আমাকে নিউ ইয়র্ক সিটি খুব শীঘ্রই পৌছাইতে হইবে। আমাকে এইবারের মত ক্ষমা করিয়া দাও, আমি প্রতিজ্ঞ করিতেছি, আর কখনো অধৈর্য্য হইব না। এই মামুর যেহেতু অভিজ্ঞতা বেশী, আর মেয়ের কথা শুনিয়াই মনে হয় মন নরম হইল, সে বলিল, কিন্তু এমন করিয়া লাল বাতি মারিলে তো তুমি নিজের লাল বাতি জ্বালাইয়া ফেলিবে। শহরে আর ফিরিতে হইবে না, এবারের মত তোমাকে ছাড়িয়া দিতেছি, কিন্তু ভবিষ্যতে কিন্তু আর মাফ পাইবে না। আমি তাহাকে ধন্যবাদ দিয়া আরো কিছু গুনগান করিয়া আটকাইয়া রাখা শ্বাস আর গাড়ী দুইয়ি ছাড়িলাম।
মন্তব্য
এটা অসামান্য!
পুরো লেখাটাই দুর্দান্ত লাগলো। আগের গুলোর চেয়েও ভালো।
হা হা হা, বস, আপনার দোয়ায় পরের বার সে চেষ্টা করব। ধন্যবাদ বস।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইটা বেস্ট। বেশ কিছু জায়গা আছে যেগুলো কোট করে বাঁধিয়ে রাখা যাবে। অতি খাসা লেখা। সচলায়তন আরেকটা রসিক লেখক পেল মনে হয়।
পিপিদা, লজ্জায় লাল হইবার মত অবস্থা হইয়া যাইতেছে আপনার প্রশংসায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আরে আপনিই তো দেখি সেই বাবা। প্রথম দুইটা লেখা অতিথি হিসেবে ছিল বোধ হয়, তাইনা?
ইয়েস বস, আরো কিছু লেখা ছিল অতিথি হিসাবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খাসা
তবে, শুধুমাত্র সচলে পোস্ট দেয়ার লোভে মামার সাথে মামাদোবাজী করতে যাবেন না যেন
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
বস, সচলে কেন কোন স্বর্গমাসী আসিয়া ডাকিলেই আর নতুন কিছু পয়দা করিতে পারিব না, আরো ২টি পর্ব বাকী আছে, ওই গুলোর ঠেলা এখনও সামলাইতেছি, ইন্সুরেন্স যা বাড়িয়াছে দাদা, কি বলিব, মাঝে মাঝে বলিতে ইচ্ছা করে, "কী বলিব মা দু:খের কথা, যায়নি এখনও পাছার ব্যাথা"। আরেকবার মামদোবাজী করিলে আমার লাইসেন্স বাতিল হইয়া যাইবে। তাই গত আড়াই বছর যাবৎ শামুকের ন্যায় গাড়ী চালাইতেছি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধীরে বহো মেঘনা ........................
তবে বয়েজ হ্যাজ প্রন টু মেক মিসটেকস। বাসায় একজন আছেতো দেখি সবই । আবার উলটা রোয়ার ঝাড়ে, গাড়ি থাকলে ফাইন আসবেই >>>>>
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আসলেও সত্যি, মাথা থাকলে যেমন ব্যাথা হবে, তেমনই গাড়ী চালাইলে ... .... ...
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কথাটা মনে হয় সবার জন্য ঠিক নয়। আমি একবার হাটঁতে গিয়েও টিকেট খেয়েছিলাম।
এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
, কেমনে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জবরদস্ত হয়েছে
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
আজমীর
Smile costs nothing but gives much, so keep smiling.
Kids are always cute.
ধন্যবাদ বস, ঢাকা যেয়েও কি ফ্লাই করতেসেন টু লো?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- যেই হারে টিকিট খাইাছেন, আপনারে দিতে দিতেই মামু-খালাগো বেবাক টিকেট শ্যাষ হৈয়া যাইবে। জনগণ আর কী পাইবে তখন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগোদা, এই শালাগো টিকিটের শেষ নাই, বেরাছেরা কইরা দিল আমারে, তাও পিছে ঘুরঘুর করে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ওহো, ওহো---
দারুন হচ্ছে বস----!!!
এইটা মনে হচ্ছে আগেরটাকেও ছাড়িয়ে গেছে---
লাগে রহো সাইফ ভাই-----
আরে বস, ধন্যবাদ, আমি আপনারে আওয়াজ দিতে নিয়েছিলাম, আপনে ব্যস্ত দেখে আর জ্বালাইনি, রাতে দেখানোর জন্য জমা করে রেখেছিলাম। চেষ্টা করতেছি মান ঠিক রাখার, দেখা যাক ধরে রাখতে পারি কিনা??
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সকালে উঠেই এই লেখাটা পড়লাম, বরাবরের মতোই পাঙ্খা হয়েছে!
পিপিদার মতো আমিও বলি বাঁধিয়ে রাখার মতো কিছু উদ্ধৃতি আছে এই এলেখাটায়। চলুক বস তোমার মামদোবাজী, মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী!
কঠিন দিসেন বস, ধন্যবাদ, মন্তব্যে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমিই ভালো, গাড়িই চালাইতে পারি না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজুদা, হা হা হা, ভালো বলসেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই পর্বটা জটিল লেগেছে। আপ্নে সারাজীবনে মোট কয়টা টিকেট খাইছেন আর কয়টার টাকা পে করছেন কন দেখি?
দ্রোহীদা, পুলিশের তারানি টিকিট খাইসি ৫ টা, পাত্তি ঝাড়তে হইসে ৪টায়, কিন্তু মাঝের একটা এমনই গরম ছিল যে কী বলব । তবে আজমীর ভাইজান মনে হয় আমার চেয়ে বেশী খেয়েছেন, উনার হিসাব ৯ খান খাইসেন উনি, কাজেই উনি এক্ষেত্রে আমার বস
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হাহাহাহাহাহা... সেরাম হইসে...
আমি গাড়ি চালানোই শিখিনাই, চালাইলে আমি যে বেহুঁশ মানুষ, খানিক পরে গাড়ি বা আমি কাউরেই আর খুজে পাওয়া যাইবেক না...:|
--------------------------------------------------
একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বালিকায় কয় কী, ঢাকায় তো মানুষ বেহুঁশ হইয়া গাড়ী চালায়, আমার তো মনে হয়, বালিকা গাড়ী চালাইতে গেলে হুঁশ ফিরা আসবে . বালিকারে ধইন্যবাদ, লেখা পড়িবার জইন্যে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পাঙ্খা!!!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভুতুমদাদা, আপনার লেখা পাইতেসি না, আপনার লেখা পড়লে না বোঝা যায়, আসল পাঙ্খা কারে কয়!! আমার টাতো পেলাস্টিকের নকল পাঙ্খা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
চালাইতে থাকেন। মামদোবাজ লোকজন আমার ব্যপক পছন্দ।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিমুলাপু ধন্যবাদ, আর দুটো পর্ব, তারপরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে মামদোবাজী, যদি না আবার ধরা খাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এতো টিকেট খান, রনোদা'র যোগাসনগুলা রেগুলার কইরেন, তা না হলে মোটা হইয়া যাবেন। দুর্দান্ত লেখা!!!
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
ধন্যবাদ রুনাপু,ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করেন, অনেক কষ্টে শনি ওরফে মামুর দৃষ্টি আমার উপর থিকা সরাইসি, আর যেন ফিরা না আসে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ইহাও পড়িলাম। এইখানে একটা ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করছেন বটে কেন আপনে দুষ্টামি করেন। তয় ব্যাখ্যাট মনোঃপুত হয় নাই। সব দোষ বেলের।
ভলভো চালান! বাস!
হা হা হা, সিরাত ভাই, ভালু কইসেন
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, বস। আপনার লেখাগুলি অনেক সিরিকাস, কমেন্টানির সাহস পাই না, আপনে সাহস দিলে কমেন্টামু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অন্যের দুর্দশায় আনন্দ পাওয়া নাকি ঠিক না। কিন্তু আমি যে ভীষণ আনন্দ পাইলাম লেখা পড়ে!
নতুন মন্তব্য করুন