আজকে অফিসে বসে আছি, কাজের চাপ একদমই নেই, বসের সাথে হাসি ঠাট্টা করছি, ফাঁকে ফাঁকে জি-মেইলে খুটমুট করছি, মাঝে মধ্যে মামুন ভাই বা অনিকেতদা ভুল করে অনলাইন এসে পড়লেই ফেঁসে যাচ্ছেন আমার কবলে পড়ে, আমার কাজ নাই, ভদ্রতা করে বলতেও পারছেন না, আমার কাজ আছে, পরে কথা হবে। ফলে আমার বকবক শুনতে হচ্ছে, এর মাঝেই আমার স্ত্রী অনলাইন এসে পড়ল। আমি কিছু বলার আগেই মেসেজ দেয়া শুরু করল,
- আছো?
- আছি
- ভাবী ফোন করেছিল। (ঢাকা থেকে, আমার ১ টাই ভাবী, উনি আবার সন্তান সম্ভবা, একদম শেষ মাথায় আছেন)
- কি বললো?
- খারাপ খবর আছে! (শুনেই আমার মনটা কেমন করে উঠল)
- দাদী?
- হুমম, ১২.২০ এ
- সকালে? না রাতে?
- রাতে, দেড় ঘন্টা আগে
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি, আমার দাদী সারা খাতুন গত ১৮ মাস যাবত বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন, সেই সাথে তার অ্যালজেইমার্স ও হয়েছে, কিছু মনে রাখতে পারছিলেন না, শেষ ২ মাস যাবত তিনি খেতেও পারছিলেন না, স্যালাইন সহযোগে তাকে নানা পুষ্টি সরবরাহ করা হচ্ছিল, অনেক কষ্টে কাটছিল তার দিন। আজকে শেষমেষ তার জীবনের ইতি ঘটেছে। হয়তো আমি তার কষ্ট আর সহ্য করতে পারছিলাম না, কিন্তু আমার চোখে এলোনা কোন জল, ধরে এলনা গলা, স্বাভাবিক গলায় স্ত্রীকে বললাম, “বেচারী অনেকদিন যাবত কষ্ট পাচ্ছেন, এর চেয়ে কি চলে যাওয়ায় ভালো না?” আমার নিজেই নিজের গালে একটা চড় মারতে ইচ্ছা করল। আমার অনুভূতিগুলো এমন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে কেন?
আমার দাদী নিজেও জানেন না, তাঁর ব্য়স কত হয়েছিল, তাঁর ৮ ছেলে মেয়ে, এর মাঝে প্রথমজন ১ বছর বয়সে মারা যান, তখন আমার দাদা রেলওয়েতে বেশ ভালো চাকুরি করতেন, কিন্তু তিনি সেই চাকুরি ছেড়ে দিয়ে গ্রামে ফেরত আসেন, প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতার চাকুরি নেন, এবং বাকি সময়ে হাল চাষ করতেন, এভাবেই আমার বাবা এবং অন্যান্য ছেলেমেয়েদের মানুষ করেন। অনেক অভাব অনটনের মাঝেও তাঁরা ৩ ছেলেকে যথাক্রমে ডাক্তার, সাইন্টিস্ট, এবং ডেপুটি সেক্রেটারী বানিয়েছেন, সেই সাথে সৎ এবং নিষ্ঠাবান । আমার ফুফুদের সে সৌভাগ্য হয়নি, শুধু আমার সেজ ফুফু স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ৭১ বছর বয়সে ১৯৮৭ সালে আমার দাদা ব্লাড ক্যান্সারে মারা যান। তখন থেকে যেন দাদীর ভেঙ্গে পড়ার শুরু। তখন আমার ব্য়স ৮ বছর।
আমার দাদীকে আজীবন জীর্নশীর্নই দেখেছি। যখনই গ্রামের বাড়ী গেছি, উনি হয় চাপকলের পাড়ে নাহলে রান্নাঘরের আশে পাশে আছেন। সারাক্ষন কি যেন খুজছেন, একে বকছেন, তাকে ডাকছেন। কিন্তু আমাকে দেখা মাত্রই হেসে বলতেন, দাদু তুমি আসছো? আমি সালাম করে খবর নেয়া শুরু করতাম, প্রতিবারই এভাবে ঘটেছে আমার জ্ঞান হবার পর থেকে বিদেশে আসা পর্যন্ত, কিন্তু যত খাতির, সব সেখানেই শেষ, কারন আমরা সব ভাইবোন মিলে ৩১ জন, এত নাতিপুতির সাথে আলগা খাতির করলে তো তার দিনই শেষ হয়ে যাবে। প্রতি কোরবানির ঈদে আমরা সবাই গ্রামের বাড়ী যাই, এর অন্যথা হয় না। আর ফেরার সময় উনি অশ্রুসজল চোখে এসে গলা জড়িয়ে ধরে বলতেন, দাদু, আর কয়েকটা দিন থাইকা গেলে হইত না? তখন আমার ও যেন গলা জড়িয়ে আসতো, কথা বের হত না কোন!!
শেষবার আমার দাদীকে আমি দেখেছি ২০০৭ এর ফেব্রুয়ারী মাসে, ঢাকায়, আমার ছোট চাচার বাসায়, আমাদের বাসায় এসে উনি ৩-৪ দিনের বেশী থাকতে পারতেন না, বাসায় তো কেউ থাকে না সারাদিন, সবারই কি এক অকারণ ব্যস্ততা ! আমার ছোট চাচার এক ছেলে এক মেয়ে, আমাদের ভাই বোনদের মাঝে সর্বকনিষ্ঠ, দাদী ওদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। আমাদের বাসা সোবহানবাগ মসজিদের পাশের গলিতে, আর ছোট চাচার বাসা রাস্তার উল্টাপাশের গলিতে, সরকারী কলোনীতে। খুব কাছে থাকায় আমরা যখন তখন গিয়ে দেখে আসতে পারি, তাই আমরাও আপত্তি করতাম না। শেষবার যখন চলে আসলাম, তখন কী বিদায় নিয়েছিলাম? বলতে পেরেছিলাম, দাদী আপনার এই নাতি আপনাকে কত ভালোবাসে?
অথচ যখন আমার স্ত্রী আমাকে এই দুঃসংবাদটা দিল, চোখে এলো না এক ফো্টা জল, শুধুই একটা দ্বীর্ঘশ্বাস! এর কারন কি দুরত্ব নাকি আমার পশ্চিমা অসামাজিক জীবন যাপনের ফলাফল। অফিসের ভেতরে কেন যেন কয়দিন যাবত নেটওয়ার্ক থাকছে না, আমার বাবা কে টেলিফোন করা দরকার, অথচ আমার অফিস থেকে বের হয়ে আসতে ইচ্ছা করে না। চোখে মুখেও হয় না কোন ভাবান্তর, আমি আমার মত কাজ করে যেতে থাকি। তারপর হাতের কাজ শেষ করে আমার বসকে চুপিসারে বলি ঘটনা, তিনি আমাকে বলেন, ঠিক আছে, তুমি চলে যেতে পারো এখনই। আমি ধন্যবাদ দিয়ে বের হয়ে আসি। বের হয়ে এসেও আমার বাবাকে টেলিফোন করি না, স্বার্থপরের ন্যায় চুপচাপ বাসা চলে আসি।
আমার বাবা খুব শক্ত কিন্তু আবেগপ্রবণ একজন মানুষ, একটি উদাহরণ দেই, তাহলে বুঝবেন, আমার বাবা মা দুজনই পেশায় ডাক্তার, আমার মায়ের জরায়ুতে একটি সমস্যা দেখা দেয়, আমার বাবা কারো উপরে ভরসা করতে পারবেন না, আর অতীতের করুন ইতিহাস থাকায় বাবা সেই একি ঝুকি আবার নিতে চান না, তাই অপারেশনের প্র্য়োজন দেখা দিলে তিনি নিজেই তা করেন, তার হাত একবারো কাঁপেনি, অথচ, কারো সাথে আমার ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বা নাতনীর কথা মনে পড়লে তিনি চোখ মুছতে থাকেন। এখন ফোন করলেই আমার বাবা কান্নাকাটি করবেন, আমি তাঁকে সান্তনা দিব কি বলে? ডাক্তার হিসাবেতো রোগীকে “সরি” বলে পার পেয়ে যাই, বাবাকে কি বলব? তাঁর মত শক্ত একজন মানুষ কে ভেঙ্গে পড়তে দেখা আমার পক্ষে মানিয়ে নেয়া প্রায় অসম্ভব একটা ব্যপার। আমি এত স্বার্থপর হলাম কী করে?
বাসায় আসতেই মেয়ে এসে বরাবরের মত ঝাপিয়ে পড়ে গায়ে “বাবি বাবি” করতে করতে, আর আমি কিনা নিজের বাবার কাছ থেকে লুকিয়ে বেড়াচ্ছি, নিজেকে খুব নিকৃষ্ট জাতের অমানুষ মনে হতে থাকে। এর মাঝে আমার বাবা ফোন করেন, স্ত্রী ফোন ধরেই কান্না শুরু করে, তারপর আমাকে ফোন দেয়, ওইপাশ থেকে আমার বাবা কাঁদছেন একজন শিশুর মত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে, আমি একদম ভাষা হারিয়ে ফেলি, কিছুই বলতে পারি না, অথচ তারপরেও আসে না আমার চোখে জল, আমার অসহায় বাবা কাঁদতে কাঁদতে কোন রকমে বলেন, “মা আর নেই”, আমি বেকুবের মত ফোন কানে দিয়ে বসে থাকি, কিছুই আসে না আমার মাথায়। আজ আমার বাবার দুঃখ ভাগ করার কেউ নেই পাশে, আর আমি এখানে বিদেশে বসে ঘোড়ার ডিম পারছি।
বাবা আর আমার দুই চাচা, আমার বড় ভাই, আম্মা, চাচি, ফুফু সবাই রওনা হয়ে গেছে গ্রামের বাড়ীর পথে। আমার দাদীকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে আমার দাদার কবরের পাশে।যাবার পথে আমার দাদীর শবদেহ বহনের গাড়ীটি নষ্ট হইয়ে গেলে আমার মেজ চাচা দাদীকে তুলে নেন নিজের গাড়ীতে, কোলের উপর, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আমার দাদীকে আজ বাংলাদেশ সময় বেলা ১টায় দাফন করা হয়েছে। অথচ, আমি এখন ও কোন শব্দ খুজে বের করতে পারছি না, করতে পারছি না বাবা বা ভাইকে একটা টেলিফোন, আমি এখনো বুঝতে পারছি না, আমার অনুভূতিগুলো এমন ভাবে হারিয়ে গেল কিভাবে? আমি কি আসলেই একটা অমানুষ?
মন্তব্য
জানি না কী বলবো। সহানুভূতি রইলো।
..............................................................
ধন্যবাদ বস, জানিনা আবার মানুষ হব কিভাবে!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অমানুষ নন। অমানুষ কেউই নই আমরা। অধিক শোক তো পাথরই করে দেওয়ার কথা, তাই না? আমি এই চাপা থাকা বেদনাগুলোর উথলে ওঠাকে ভয় পাই খুব।
ধন্যবাদ বস, পাশে এসে দাড়ানোর জন্য
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কাঁদতে পারার চেয়ে কাঁদতে না পারার কষ্টটা অনেক বেশি।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আগে কখনও বুঝিনি এমন হতে পারে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
........................................................................................................................
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মানিক ভাই, ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এটা আমিও খেয়াল করেছি।
অনেক সামান্য কারণে চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে।
অথচ প্রিয়জনের মৃত্যু যেন স্পর্শ করছেনা। কেমন বোধহীন হয়ে যাই।
নির্বিকার ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাই।
কষ্ট গুলো কোথায় লুকিয়ে পড়ে কে জানে।
শোক কাটিয়ে উঠুন সাইফ।
চেষ্টা করছি, দেখা যাক কি হয়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নারে ভাই, অমানুষ হওয়া অনেক কঠিন। এটা শোকের কাঠিন্য। আপনি ও আপনার বাবা-চাচা-ফুফুরা আশা করি দ্রুত-ই এ শোক কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
ধন্যবাদ, আপনার কথাই যেন ঠিক হয়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সহানুভূতি থাকলো। প্রার্থনা থাকলো আপনার পরিবারের সকলের জন্য।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কী আর বলি ................
আমিও শব্দ খুজতেছি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ, আমার সহমর্মীতা রইল----
প্রার্থনা করি তুমি, চাচা,সবাই--এই শোক সামলে উঠবেন তাড়াতাড়ি----
শুধু অনুরোধ রইল, একটু কষ্ট করে হলেও চাচার সাথে এই ক'টা দিন একটু বেশি যোগাযোগ রেখো। তোমরাই এখন তাঁর মানসিক আশ্রয়---
ধন্যবাদ বস, দেখি সাহস সঞ্চয় করে ফোন করবো এখন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সান্তনা দেয়ার ভাষা আমারো নে্ই । সবাইকেই এভাবে বিদায় নিতে হয়, শুধু কারো আগে আর কারো পরে । কিন্তু কাছের কেউ যখন চলে যায় আসলেই মেনে নিতে কষ্ট হয় । কিন্তু আপনার বাবাকে পারলে এই কয়দিন ফোনে কথা বলে হলেও পাশে থেকেন । এতে হয়তো আপনাদের দুজনেই কষ্টটা কমবে - আপনার শোক প্রকাশ করতে না পারাটা আর উনার বাধ না মানা শোক কাটিয়ে উঠাতা ।
ধন্যবাদ এমি, বাবার সাথে কথা হল, তিনি একটু ধাতস্থ হয়েছেন, চেষ্টা করব উনার সাথে প্রতিদিন কথা বলতে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ তুমি অমানুষ না, খুবই ভালো একজন মানুষ।
দাদীর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। তোমাদের পরিবারের সবাইকে সহমর্মিতা জানাই।
ধন্যবাদ মামুন ভাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মৃত্যু অনেক সময় মানুষকে স্তব্ধ করে দেয়।
আপনার এবং আপনার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি রইলো। ______________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
ধন্যবাদ, রুনাপু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সমবেদনা রইল... আর প্রার্থনা রইল দাদীর জন্য... আমরা কেউই অমানুষ নই, আজকাল আবেগ প্রকাশ করতে পারিনা এই যাহ... বাবাকে একটু সময় দিন... নিজেকেও একটু সময় দিন। নিজেকে অমানুষ ভেবে অহেতুক কষ্ট পাবেন না...
ভাল থাকবেন...
--------------------------------------------------
একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ শিষ্ট থুক্কু দুষ্ট বালিকা, সচলের সবার কাছে আমি ঋনী হয়ে থাকলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
;(
ধন্যবাদ, শিমুল ভাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পড়তে শুরু করলাম কী ভেবে আর শেষে এসে কী হলো!!!!!!!!! আপনার ও আপনার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
আসলে সহানুভুতি জানানোর ভাষা খুব বাজে শোনায়। একজন মানুষকে মৌখিক সহানুভুতি দেখানোর চাইতে তার পাশে চুপ করে কিছক্ষণ বসে থাকাটা অনেক বেশি ভালো কাজ।
দ্রোহীদা, ধন্যবাদ, আপনার কথাগুল ছুয়ে গেল। এখন অনেক ভালো বোধ করছি, আর আমার বাবাও বেশ ধাতস্থ হয়েছেন, দুঃস্ম্যের সঅময় সবাই পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য বিশেষ করে ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
------------------
------------------
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ, পাশে এসে দাড়ানোর জন্য
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নাহ্ সাইফ ভাই, আপনি অমানুষ নন মোটেই। চমৎকার একজন মানুষ আপনি। লেখাটা ভীষণ ছুঁয়ে গেল। ভীষণ।
নতুন মন্তব্য করুন