সচলে অনেকেই স্মৃতিচারন করেছেন কিন্তু কেউ মনে হয় না তার প্রথম স্মৃতি নিয়ে এখন পর্যন্ত লিখেছেন, অথবা লিখেছেন যা আমার চোখে পড়েনি, আমি তো আর সচলে প্রথম থেকে নেই, তাই এরকম রায় ঘোষনা করাটাও বোধহয় বোকামী হচ্ছে। আসলে আমার উদ্দেশ্যটা খুব সহজ, আমার সবচেয়ে পুরানো স্মৃতি যেটা আমি পরিষ্কার মনে করতে পারি এবং তার পরের আরো কিছু ঘটনা সবার সাথে ভাগাভাগি করতে চাই। বুঝতেই পারছেন, আবারো স্বার্থপরের মত বিনা অনুমতিতে বকর বকর শুরু করতে যাচ্ছি। কেউ যদি কষ্ট করে পড়েন, তাদের জন্যে অগ্রিম ধন্যবাদ দিয়ে রাখলাম।
স্মৃতি ১
তখন আমার বয়স তিন বছরের একটু বেশী, থাকতাম রাজশাহী শহরে, লক্ষীপুর মোড়ের এক বাসায়, বাড়ীওয়ালা ভদ্রলোকের নাম ছিল আব্দুল খালেক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, অবশ্যই এসব আমার মনে ছিল না, স্মৃতি তো তৈরি হওয়া একটি চলমান ব্যাপার, কাজেই পরে আরোহিত জ্ঞান মস্তিষ্ক মিলিয়ে ফেলে, পুরাই ঢাকাঢাকি ব্যাপার। আমরা থাকতাম নিচতলায়, উনারা উপর তালায়। তিনি আমার দাদার বয়সি ছিলেন। কেউ যদি রাজশাহী শহর সম্পর্কে অবহিত হন তাহলে বলি, হাস্পাতাল থেকে মোড়ের দিকে এসে মোড় থেকে ডানে গেলে প্রথম যে গলিটি পরবে, সেটা দিয়ে ঢুকলে, একটু ভিতরে একটি দোতলা বাড়ী পরবে। আমার ধারনা ঐ বাড়ীটি ভেঙ্গে এখন চার তলা বাড়ী বানানো হয়েছে। স্মৃতিটি হল, হঠাৎ আমার বাবা আমাকে আর আমার ভাইকে ঘুম থেকে দেকে তুললেন, তারপর জানালে দিয়ে বাড়ীর পিছনে দেখালেন সাদা একটি বক। তখন ১৯৮২ সাল, রাজশাহী শহরের তেমন কোন উন্নতি হয়নি। আমাদের বাড়ীর পেছনে ছিল জলাভূমি আর কচুরি। আমার বাবার খুব শিকারের নেশা ছিল, তারপরে আমাদের ঈশারায় কান চেপে ধরতে বলে বন্দুক তাক করলেন, তারপর ভিড়িম!!!
স্মৃতি ২
এ ঘটনাটা প্রথমটার খুব কাছাকাছি সময়ে ঘটেছে।আমরা দুই ভাই, আমাদের জীবনের শেষ বার মাথা বেল করা হয় সেই সময়। মোড়ের বাজার ঠেকে শেফু ডেকে আনে এক নাপিতকে, সে বেটা আমার আর আর ভাইকে বাসার সামনে পোর্চে একটা চেয়ারে বসিয়ে মাথা কামিয়ে দেয়। তখন কিছুই বুঝতাম না, কাজেই মাথা কামানো নিয়ে কোন জটিলতার সৃষ্টি হয়নি, কিন্তু আমার এখনো চোখের সামনে ভাসে সেই দৃশ্যটা, আমার বড় ভাইয়া চেয়ারে বসে আছে, তার মাথা কামানো হচ্ছে, আর আমি আমার দাদার কোলে বসে আছি, উনি খবরদারি করছেন, যাতে করে নাপিত বেটা আবার চুলের সাথে কান ও ২-১ টা না কামিয়ে দেন।
স্মৃতি ৩
তৃতীয় ঘটনাটি আমার দাদার জন্যে খুবই অস্বস্তিজনক, আমার বাবা তখন রাজশাহী মেডিকেলের শল্যবিভাগে নতুন কাজ শুরু করেছেন, তখন নিজের চেম্বারে রোগী দেখার ব্যাপারাটা ঠিকমত শুরু হয়নি, কিন্তু তিনি বেশ আগ্রহ নিয়ে চেম্বারের জন্যে বাসার বাইরের একটি ঘর আলাদা করেছেন, কেউ আসলে সেখানে বিকালে তিনি রোগী দেখেন, সাথে আছে সংলগ্ন শৌচাগার। আমি খুবই দুরন্ত ছিলাম, সারাদিন বাইরে দৌড়াদৌড়ি করতাম, প্রস্রাব পেলেই দৌড়ে চলে যেতাম বাইরের শৌচাগারটিতে। অন্যকেউ সেখানে যেত না, বাসার সবাই ভেতরের টাতেই কাজ সারত। আমি এরকম একদিন দৌড়ে ছোট কাজ করতে গিয়ে দেখি আমার দাদা ভেতরে। আমি কিছু না বুঝে, এহ হে, গন্ধ !!!!
স্মৃতি ৪
বাবার এক বন্ধু ছিলেন, নাম মকবুল আংকেল। ছোট থাকতে বাসায় কেউ আসলেই গিয়ে দৌড়ে তার কোলে গিয়ে উঠতাম, তারপর নানা বকর বকর, কথার কোন শেষ নেই, আবোলতাবোল হাবি জাবি। কিন্তু কোন ছড়া পারতাম না। খালি দুষ্টুমি করতে দিলে আমি খুশি। এরকম একদিন মকবুল আংকেল এসেছেন আমাদের লক্ষীপুর মোড়ের বাসায়, তিনি একা নন, বাসায় সম্ভবত দাওয়াত ছিল, বসার ঘর ভরতি মানুষ, আমার বাবা মাও আছেন সেখানে, আর তাদের অনেক বন্ধু বান্ধবরা গল্প করছেন। বেশী লোক দেখলে আমি আবার ঘাবড়ে যেতাম, বাবা আমাকে ধরে নিয়ে এসেছেন সবার সামনে, নিয়ে আসতেই মকবুল আংকেল কাছে ছিলেন, উনি আমার গাল টিপে দিতে গেলেন, আর আমি উনার চুলের গোছা ধরে এক টান, উনি পরতেন পরচুলা, ফলে যা হবার তাই হল। আবার বাবা তো লজ্জায় শোকে পাথর হয়ে গেলেন, আমার মা আবার খুব বিচক্ষন, তিনি একলাফে, আমাকে ধরতে আসলেন, কিন্তু আমি তো বিজয়ের আনন্দে দৌড়ে পগার পার।
স্মৃতি ৫
এই সব স্মৃতিই আমার চার বছর বয়স হবার আগের। আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছেন আমার একমাত্র মামা, তার তখন ২ সন্তান, একটি ছেলে, একটি মেয়ে, মেয়ের বয়স বোধহয় ছিল ৩ মাস, মামা আসবে এই উত্তেজনায় আমি টগবগ করে ফুটছি, কিন্তু তারা আসতে আসতে হয়ে গেল অনেক রাত, স্বভাবতই আমি ঘুমিয়ে গেলাম। পরদিন স্কালে উঠে দেখি মামা হাজির। আমার মামাতো ভাই আমার এক বছরের বড়। আর বোনটা ৩ বছরের ছোট। নাস্তার টেবিলের উপরে দেখি আমার মামাতো বোন সুমাইয়া বসে আছে, আমরা নাস্তা খেতে বসেছি, হঠাৎ বিকট এক শব্দ, পরে বুঝলাম, আমার বোনটা বায়ু ত্যাগ করেছে। সেটা ছিল সজ্ঞানে শোনা আমার প্রথম বায়ুর আওয়াজ। সুমাইয়া এখন ৩ বাচ্চার মা, কিন্তু তারপরেও তাকে দেখলেই আমার সেই সকালের কথাটা মনে হয়, আর মনে করিয়ে দিতেও আমি কোন কুন্ঠা বোধ করি না।
স্মৃতি ৬
আমার মামাতো ভাই আছে, আমার বড় ভাই আছে, তিনজনে মিলে সারাদিন দোড়াদৌড়ি করতে পারি না, কারন আমার বড় ভাই তখন স্কুলে যায়। ভাইয়া নেই, আমি আর আমার মামাতো ভাই দৌড়াচ্ছি, এদিকে নানু চিতই পিঠা বানাচ্ছে, আমার নানা আবার জন্ম নিয়ন্ত্রনে বিশ্বাসী হওয়ায় আমার মা আর মামারা দুই ভাইবোন, আর কেউ নেই। আসলে আমার বেচারা নানা মারা গেছিলেন আমার মা’র বয়স যখন ৫ বছর। কাজেই মামার পড়ে আর কারো জন্ম হবার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হয়নি আমার নানুর। কাজেই ২ ছেলেমেয়ে একত্র হয়েছে, এই আনন্দে নানু পিঠা বানাচ্ছেন, চিতই পিঠা বানাতে হয় মাটির চুলায়, নাহলে নাকি ভালো হয় না, যে লাকড়ি ধড়িয়েছে নানু, সেটা কাঁচা, কাজেই খুব, ধোঁয়া হচ্ছে, তাই তিনি রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছেম। কিন্তু আমার দেখার ইচ্ছা, কিভাবে পিঠা বানায়! আমি রান্না ঘরের দরজা ধাক্কা দিতে থাকি, এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে নানু দরজা খুলে দেন, কিন্তু দরজা উঠে যায় আবার ডান পায়ের বুড়া আংগুলের উপর, নখটা পুরাই ক্যাঁচা লেগে যায়। বাবার আর কোন উপায় থাকে না, ঐটা সাড়াসী দিয়ে টেনে তোলা ছাড়া।
স্মৃতি ৭
সেদিন সকাল বেলা আমার বড় ভাইয়ের স্কুলের দেরী হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তার মোজা ময়লা ছিল, কাজের লোক ধুয়ে দিতে ভুলে গেছিল, পরে সকালে ধুয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভাইয়ার স্কুলে যাবার সময় হয়ে গেছে, সে চিল্লাচিল্লি করতে করতে তার থেকে পেড়ে নিয়ে ভেজা মোজা পড়ে ফেলে, পড়ার পর বুঝতে পারে যে, এটা একদমই ভেজা, পরে যাওয়া যাবে না। কি করা যায়, মাথায় বুদ্ধি ঝিলিক দিয়ে গেল তার। আর আমি হলাম নীরব দর্শক। বাসায় আসার পর থেকে এবং স্কুলে যাওয়া পর্যন্ত আমি একদম আমার ভাইয়ের গায়ে গা লাগিয়ে থাকতাম। সে বেচারা মোজা শুকানোর জন্যে স্ত্রি গরম করে ফেলল, তারপর, মোজা খুলে আবার পড়তে দেরী হয়ে যাবে বলে, গরম স্ত্রি ধরে ফেলল, তারপরে তার স্বরে চিৎকার। আমি খুব ভাইয়াপ্রান হওয়ায় হাউমাউ করে কানতে লাগলাম কিছু না বুঝেই, তখন আমার ভাইয়া নিজের জ্বালা ভুলে আমাকে স্বান্তনা দিতে লাগলো যে, তার কিছু হয়নি।
স্মৃতি ৮
তিন বছর বয়সে মনে পড়া স্মৃতি মনে হয় আর নেই, এটাই শেষ, আমার বাবা মা তখন চেম্বারে ভালই রোগী পাচ্ছেন, কাজেই লক্ষীপর মোড়েই অন্য একটি বাসা নিলেন, তিন তলা বাসা, নাম “লুরসাব ভিলা” (এখন ও আছে বাসাটা)। নামের মাজেজা খুব সহজ, মালিক বিদেশে চলে যাচ্ছেন, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, তার চার ছেলে মেয়ে লুনা, রনি, সানি, বনি। লুনা বড় মেয়ে, বাকি তিনটে ছেলে। লুনা আপু আবার দেখতে দুর্দান্ত ছিলেন। যাক যা বলছিলাম, বাসার দোতলায় রোগী দেখবেন, তিন তলায় আমরা থাকবো। আগের বাসা ছাড়ার কারন, সারাক্ষন রোগী বাসায় জ্বালাযন্ত্রনা করে। কাজেই বাধাছাদা করে আমরা লুরসাব ভিলায় চলে আসি। আমার স্কুলে যাবার সময় হয়নি, পৌনে চার মাত্র বয়স। সারাদিন বাসায় একা একা থাকি, বাঁদরামী করি, নানা রকমের অকাজ কুকাজ করি, আর সেগুলো লুকিয়ে লুকিয়ে রাখি। আর সারাদিন আমার বাবা মার কাছে রোগী আসেন, তারা এসে দোতলায় বসে থাকে, আমি একবার সাহস করে দোতলায় চলে যাই। গিয়ে দেখি ইয়া পেট মোটা এক মহিলা বসে আছেন, আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করার সাহস পাই না, আশে পাশে ঘুর ঘুর করতে থাকি। আমার খোজে কাজের মহিলা সাজেদা আসে দোতলায়। এসে সেই মহিলার সাথে গল্প জুড়ে দেয়। আমি ভাঙ্গা ভাঙ্গা শুনে যা বুঝতে পারি, তা হল, মহিলা “পোয়াতি”। নতুন শব্দ সেখার আনন্দে আটখানা হয়ে গেলাম, দাঁতের সাথে সাথে আলাজিহ্বা বের হয়ে গেল। এসে নিক ভাইয়া, তাকেও সেখাতে হবে, কিন্তু রাজশাহী গভঃ ল্যাব ছুটি হয় বিকাল চারটায়। আমই এদিকে দম ফুটে মরার অবস্থা। বাবা মা এসে খেতে বসলেন বেলা ৩ টার দিকে। আমি আর পারলাম না, গিয়ে খুব উত্তেজিত ভাবে বাবাকে বললাম, “আব্বা, জানেন আজকে না এক বেটি আসছে, সে না পোয়াতি হয়েছে” !!!
লেখা পড়ে যদি পেট না ভরে তাহলে ভিডিও টা দেখেন।
http://www.facebook.com/video/video.php?v=96430200935&subj=718955935
মন্তব্য
হেহেহে, মজা পাইলাম। ছোটবেলার কাহিনী সবসময়ই মজার হয়। আরো মনে করেন, আরো লেখেন।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভুতুম, মনে তো আছে, আর ছোটবেলার কাহিনী গুলো খুবই মধুর, সমস্যা একটাই, ৪ থেকে আমার গল্প লেখলে তা বদমায়েসির হ্যান্ডবুক হয়ে যাবে। দেখি, এ লেখায় ভালো সাড়া পেলে আরো লেখব
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হেহে...সব পোলাপাইনই ছোটবেলায় হাই থাকে...
মজা পাইলাম...চালাইয়া যান!
----------------------
সুরঞ্জনা, ওইখানে যেওনাকো তুমি...ওইহানে হাপ আছে, কামুড় দিব!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হাই থাকে বলেই তারা বাচ্চা, রক্তের মধ্যেই নানা রকমের মাল মসল্লা দৌড়ায় কিনা , তবে আমার মত ইচড়ে পাঁকা থাকে কিনা জানি না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমিও মজা পাইলাম, আরো মজার মজার লেখা আসুক! মামদোবাজি ছাড়া
আপনে কইতাসেন? তাহলে আর ভয় কী, দ্রিমু দ্রিমু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
৩ মাস বয়সের পিচ্চি নাস্তার টেবিলে বসে কিভাবে?
আমার ছোটবেলার কিছু স্মৃতি অনেকদিন ছিলো। গত কয়েকমাসে কোনো একটা ঝামেলা হয়েছে, ছোটোবেলার কেন গতদিনেরও অনেক জিনিস ভুলে যাচ্ছি। পোস্ট ভালো লিখেছেন। আরেকটু বড় হওয়ার সময়ের স্মৃতিও লিখুন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঠিকই বলেছেন বলাইদা, সম্ভবত এখানে আমি স্মৃতি দ্বারা প্রতারিত, ৬ মাস বয়সে শিশুদের জন্যে বসা হল ডেভেলপমেন্টাল মাইলস্টোন। তাহলে বেচারীর বয়স ৬ মাসের অধিক ছিল তখন . ধন্যবাদ, বলাইদা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হে হে !! কী আর বলবো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
কিসু কইয়েন না, খালি দেখতে থাকেন, যদি আরো লেখি আরকি, আমার বদামি দিয়ে বেঞ্চমার্ক করতে পারবেন আর সবাইরে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হুমম।
কী হইল পিপিদা? নিজের শিশুকালের স্মৃতি কী ব্যাড সেক্টরে পরসে? রিকভার করতে পারতেসেন না? স্মৃতি যদি না আসে, ভিটামিন বি-১২ খাইয়া দেখতে পারেন, পুরানো দিনের স্মৃতি রক্ষনাবেক্ষনে ইহার ভুমিকা অনেক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তুমি এখানে আসলে তোমারে দিয়ে ট্রিটমেন্ট করাতে হবে। তোমরা তো আবার দুইজনই ডাকতার
একঘরমে দো পীরের মতো হয়না তো আবার?
পিপিদা আছেন বলিয়াই সত্যের দুনিয়া গদ্যময়। ঠিক আছে চিকিৎসা করে দিব আপনে চাইলে , তারপরে লেখা দিবেন তো?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হুমম দিতে হবে। আসলে হয়েছে কি, অনেক কিছু নিয়ে লেখার পরিকল্পনা করছি.. সেগুলোর প্লট তৈরী করতেই সময় চলে যাচ্ছে। একটু গুছিয়ে আসি, তারপরে অতীত নিয়ে লেখা দিব।
স্মৃতিটাইপ জিনিস সবসময় ভাল্লাগে। আর এরকম বাচ্চাকালের স্মৃতি তেমন একটা পড়া হয় নাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ধন্যবাদ পরিবর্তনশীল, আসলে মৌলিক কিছু পয়দা করতে পারি না, তাই অতীত হাতড়ে যা আসে, তাই লিখি, খ্যাতির লোভ তো ঠিকই আছে। এসব পুরানো কাসুন্দি ঘেটেও যখন সাড়া পাই, তখন খুব ভালো লাগে। আপনার লেখার খুব বড় ফ্যান আমি, কিন্তু আপনার লেখা তো "সে আসে ধীরে" এর মত , বস, আরেকটু তাড়াতাড়ি লেখা দিলে খুব খুশি হতাম। আপনার "সচলস্য" সচলের অন্যতম ফাটাফাটি লেখা। বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম, কিন্তু যখন অনিকেতদার নাম দেখলাম, খুব বড় ধরা খেলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনেতো দেখি ছোটবেলা থেকেই পাকনা আছিলেন
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তা আর কইতে , বাপে কয়দিন পর পরই ধোলাই দিত, মাগার এখন মনে হয়, ধোলাই পর্যাপ্ত পরিমানে দিতে পারে নাই, তাহলে এমন যাত বান্দর হইতাম না। আর আমারে তুমি বা তুই তুকারি করলে ভালো লাগত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনে আমারে আপনে কইবেন আর আমি আপনেরে তুই - তুকারি করবো ? আপনের এক মেয়ে আমারো এক মেয়ে। আপনের মেয়ের বয়স সাড়ে তিন আমি মানলাম আমার মেয়ের বয়স সাড়ে ছয়, সেজন্য আপনে আমারে কিছুতেই আপনে আপনে করতে পারেন না
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমার মেয়ের বয়স সাড়ে পাঁচ, তাহলে আমিও সাইফের মতো আব্দার নিয়ে আসি
ঠিক, পিপিদার দাবী কোন অংশে কম না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- মেয়ে তো দূরের কথা, আমার মেয়ের মারেই এখনো স্বচউক্ষে দেখি নাই। তাইলে আমারে সম্বোধনের ব্যাপারে ত্রঞ্চায়েতের ফায়সালা কী?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তানবীরা কিন্তু হতে পারে।
তনু আপার নামে ভুল ধারনা প্রচারনার জন্যে পিপিদার নামে তেব্র পেতিবাদ জানাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি ডাকার অন্যতম কারন কিন্তু আপনার বয়স বা আপনার মেয়ের বয়স না, আপনার লেখার মান এবং সচলে আপনার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা ব্যাতিরেকে আর কিছু নয়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সচলে আপনার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা ব্যাতিরেকে আর কিছু নয় , আমিতো এখনো মরি নাই
মানুষরে আপনে আজ্ঞে করতে আমার নিতান্তই অসুবিধা হয়। আমারে কেউ আপ্নে আপ্নে করলেও আমার জানি কেমন কেমন লাগে।
এইটা পিপিদার উদ্দেশ্যেও বলা হইল
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমিতো মজা করেছি মাত্র। আমি জানি আপনি তানবীরা শুনতেই বেশী পছন্দ করেন।
এইডা কিতা কইলেন পিপিদা, তনু আপা কত্ত সুন্দর নাম , তারে তুমি কইলে রীতিমত অফমান করা অয় , হক্কলে কন 'আমিন' তারফর তুমি কইয়া ডাক পাড়েন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তুমির পিছে পিছে কিন্তু অনেক বাঁদরামীও আসবে, তানবীরাপু। মাগার সিগনাল দিলা যখন, তখন তাই সই , আপনে আপনে করতে আমারও গলা খুসখুস করে, কিন্তু ভিক্স খাই, নস্যি টানি আর কমেন্টাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার এই লেখাটিও বরাবরের মত চমৎকার ও সাবলীল হয়েছে। পড়ার সময়ে হাসতে হাসতে কয়েকবার চেয়ার থেকে পরে যাবার জোগাড় হয়েছিল।
আপনিতো জন্ম থেকে বদ দেখছি। কালের সাথে সেই গুনটা আরো পরিপক্ক হয়েছে। আপনার ছোটবেলার আরো কিছু বদামীর গল্প শুনিয়ে আমাদের আরো মনোরন্জন করবেন এই কামনা করছি।
, আসলে আমি কিন্তু এখন দ্বিধান্বীত, আমি কী বেশি বদ ছিলাম, নাকি আপনে? কালের গুনে হয়ত আমার বদামি পরিপক্ক হয়েছে, আপনারটা কোন দিকে গেল? সে ব্যাপারে প্রতক্ষ্যদর্শী হিসাবে অনিকেতদার মতামত জানতে চাইছি । আপাতত হাড়ির খবর আর বের করা ঠিক হবে কিনা ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে আশাতীত সাড়া পেয়েছি, আপনার মূল্যবান মতামতের জন্যে ধন্যবাদ, প্রজাপতি, আশা করছি, আপনিও আপনার শৈশব কৈশরের কিছু গল্প আমাদের শুনাবেন, সেই প্রত্যাশা আর আবেদন কিন্তু আমার সকল সচল, হাচল আর অচলদের কাছেও থাকল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- টেবিলের দুইপাশে বসেন জনগণ। আমি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনে নরওয়ের ভূমিকা পালন করি। কাইজ্যা কইরেন না। অহ্, একজন সাক্ষী হইলে ভালো হয়, দুইজন হৈলে আরও ভালো। ডাকবেন নাকি দুইজনরে ইউ.এন আর ই.ইউ হিসেবে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনে যখন আগ্রহী, আপনে মেম্বরছাবেরে নিয়া হাজির হন , কাজিয়া ফয়সালা হউক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ছোট ছোট স্মৃতি, ছোট ছোট সুখ...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিমুলাপু, ঠিকই ধরেছেন, অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম, যদি ভুলে যাই, এসব ছোট ছোট সুখ দু:খের কথা, তাই সচলে ডায়রি করে ফেললাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তিন বছর বয়সের স্মৃতি আমারো মনে আছে। এতদিন ভয়ে প্রকাশ করিনি, লোকে পাগল ভাবতে পারে। এখন ডাক্তার সাহেবেরও যেহেতু মনে আছে, হয়তো এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে সেসব স্মৃতি বলার মতো কিছু নয়। মনে আছে ঘরের পর্দার রংটুকু, কিংবা পেয়ারা গাছ থেকে কেউ পেয়ারা পাড়ছে, কিংবা হাওয়াইমিঠাই রঙের সেই ঘুড়িটার কথা, মনে আছে হরিপদ'র ছেলের সাথে ঘুড়ি ওড়ান শেখার কথা। আরো কিছু টুকটাক মনে আছে যেগুলো আমার ছেলেবেলার কাহিনীতে কিছুটা এসেছে।
বস, একটু কেন? ঝাইড়া দেন, আমরাও আনন্দটুকু ভাগ করি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ট্যাগের মধ্যে রাজশাহী দেখে তাড়াহুড়া করে পড়তে ঢুকে গেলাম আপনার পোস্ট। রাজশাহী হচ্ছে আমার জন্মশহর। আর বাপ-দাদা চৌদ্দগুষ্টিও থাকে রাজশাহীতে। রাজশাহী শহরটা খুবই ছোট। পুরো শহর চিনে নিতে ঘন্টা দুয়েকের বেশি লাগার কথা নয়। লক্ষীপুর এলাকাটা মোটামুটি চিনি। বুঝতে কষ্ট হয়নি আপনি কোন জায়গায় বর্ণনা দিয়েছেন লেখায়। রাজশাহী ঘিরে আমার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সেসবের কিছু কিছু মনে পড়ে যাচ্ছিল আপনার লেখা পড়বার সময়। আমার অনেক ভালবাসায় মাখা শহর রাজশাহী। রাজশাহীর কথা মনে পড়লে মনটা উতলা হয়ে যায় অকারণেই।
-------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ভাই ভুতের বাচ্চা, আমার বাবা রাজশাহীতে বদলি হন যখন আমার বয়স ২ বছর, তারপর আমি ঢাকায় আসি ১৪ বছর ব্য়সে, কাজেই আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন মূহুর্ত কেটেছে রাজশাহীতে, গভ: ল্যাব স্কুল, পদ্মার পাড়, টি-বাঁধ, আই-বাঁধ, এসব সোনালী স্মৃতির জন্যই জীবনটাকে অমূল্য লাগে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাল হয়েছে বস।
উঠন্ত মুলো পত্তনেই চেনা যায়---তোমার শৈশব, তোমার বর্তমানের সাথে মানানসই(হে হে হে ---) হতে দেখে একরকম আনন্দই পেলাম। আমার ধারণা ছিল যারা সাধারণত ছেলেবেলায় দুষ্টু হয়---বড়বেলায় এসে তারা শান্ত-সুবোধ হয়ে পড়ে। তোমার এই আগাগোড়া 'দুষ্টুমিময়' জীবন দেখে মনে হচ্ছে এই ধারণাটা পাল্টাতে হবে।
বোঝাই যাচ্ছে আমি এক 'ভ্রান্ত ধারমার' লোক---
মঙ্গল হোক---
এর জলন্ত প্রমান আরেকজন কিন্তু আছে আপনার আশে পাশে। সবাই আগাগোড়া 'দুষ্টুমিময়' জীবন যাপন করে না।
অনিকেতদা, সচলে এনে আপনি আমার জীবনের লেখালেখির দ্বার উম্মোচন করেছেন, এত বড় উপকারের কোন প্রতিদান দিতে পারব না। লেখাগুলোর মান যেমনই হোক না কেন, এগুলো আমার কাছে অমূল্য, সারাজীবনই থাকবে। শৈশব, কৈশরে দুষ্টুমি আর অকালপক্কতাই ছিল আমার জীবনের প্রান, সবাই বলত, আমি থাকলে নাকি বাসায় প্রাণ আসে, আর ইতিহাস যে ফিরে ফিরে আসে তার সবচেয়ে বড় সাক্ষীতো আপনে নিজে। আমার কন্যা হয়েছে আমার চেয়েও দুই কাঠি সরেস, আমি যদি হই বুনো ওল, আমার স্ত্রী বাঘা তেতুল, আর মিলনের ফলাফল হয়েছে একেবারে বারুদ .
আর আপনে একা না, যেহেতু দুনিয়া জুড়া পচুর গিয়ান্জাম, আমরা সবাই ভ্রান্ত ধারমায় কমবেশী ভুগি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি যদি হই বুনো ওল, আমার স্ত্রী বাঘা তেতুল, আর মিলনের ফলাফল হয়েছে একেবারে বারুদ...
কস্কি মমিন !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার মেয়ের কার্যকলাপের বর্ননা দিলে বুঝবেন, কোন গ্রেডের বারুদ নিয়া কাজ কারবার করি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বাহ! কি ভালো লেখাটি!
ছেলেবেলার কথা মনে করার চেষ্টা যখন করি, তখন শীর্ষেন্দুর "পারাপার" উপন্যাসের রমেনের কথা মনে হয়। তার অন্ধ দাদু বলতেন যে চোখ বন্ধ করে চিন্তা করলে নাকি মানুষ একদম শিশু বয়েসের কথা মনে করতে পারে। আরো চিন্তা করলে নাকি জন্মের পূর্বের স্মৃতিরাও ধরা দেয়। কে জানে কথাগুলো সত্যি কি না? আমি একবার চোখ-টোখ বন্ধ করে চেষ্টা করেছিলাম, কিছুক্ষণ পরে দেখি ঘুমিয়ে গেছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই, আমি আপনার কত বড় ভক্ত তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়, আপনার মত করে অনুগল্প আর কেউ লিখতে পারে না, যখন প্রশংসা শুনি আপনার মত মানুষের মুখে, তখন মনে হয় এই লেখাটা সার্থক, আর ভুলে যাবার ভয়েই লেখালেখি করা, হয়ত একদিন সকালে উঠে আর মনে করতে পারব না, আমার এই স্মৃতিগুলো :(। আপনার ঘুমিয়ে পড়ার কথা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। আপনার লেখা প্রতিটি লাইন আমার কাছে শিল্পের মত লাগে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার "ভুলে যাবার ভয়েই লেখালেখি করা" মন্তব্যটির সাথে একদম একমত। আসলে এই কারণেই আমিও লেখা শুরু করি ব্লগে বছর দুয়েক আগে। তখন মনে করলাম যে আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনটি কেমন কেটেছিল, সেটি লিখে রাখা দরকার, কেননা আমি নিজেই ভুলে যাচ্ছিলাম অনেককিছু। লিখিত অবস্থায় থাকলে অন্ততঃ জিনিসটি কিছুটা স্থায়ীত্ব পাবে। কয়েক পর্ব লিখবার পর খেয়াল করলাম যে কিছু লোকে আমার ব্যক্তিগত বকবকানি বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়ছে এবং লেখা দিতে দেরী হলে আমাকে নানারকম হুমকি-টুমকিও দিচ্ছে। যাই হোক-লেখা চললো এবং একসময় অবাক হয়ে খেয়াল করলাম যে কুড়ি পর্ব লেখা হয়ে গেছে কিভাবে যেন। এখন আমি নিশ্চিন্ত ভাবে সব কিছু ভুলে যেতে পারি। ওই সিরিজটি লিখেছিলাম অন্য একটি ব্লগে "নির্বাসিত' নিকে। কয়েকটি পর্ব অবশ্য সচলেও পোস্ট করেছিলাম। সিরিজটির প্রথম পর্বটি পাবেন এখানে । সময় থাকলে পড়ে দেখতে পারেন। আগেই বলে দিচ্ছি যে সিরিজটি অনেক বড়।
শুরু করলাম, আপনার এই স্নেহ আমাকে সব সময় লিখতে অনুপ্রেরণা দিবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
স্মৃতিময় লেখা। আপনার লেখাটি পড়ে নিজের শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। আপনার লেখাটি মন ছুঁয়ে গেল।
নিবন্ধন নাম - মেঘলা জীবন
ইমেইল -
মেঘলা জীবন, আপনার মন ছুঁতে পেরে খুব ভালো লাগল, কিছু স্মৃতি আমাদের শোনান, আমরাও আপনার কিছু শৈশবের আনন্দ ভাগ করি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
রাগিব ভাই, দুর্দান্ত দুটো স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভিডিওতে কমেন্ট করার সিস্টেম কী?
ঐটাতো খোমাখাতায়, প্রবেশ করে কমেন্ট দেন, ঐটা আমার মাইয়ার একাউন্ট
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বলো কি, তোমার মেয়েরও একাউন্ট আছে নাকি? তোমরা তো হাইটেক মনে হচ্ছে।
বস, হটমেইল, জিমেইল, পিকাসা, ফ্লিকার, যুটো, ইয়াহু সবই করে রাখসি, পরে যদি নিক না পায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা .. দারুণ ব্যাপার তো! আমিও জিমেইলেরটা করে রেখেছি।
- আমি ঠিক করছি, নিজের পুলা মাইয়ারে তো আর জাগা-সম্পত্তি-বাড়ি-গাড়ি কিছুই দিয়া যাইতে পারুম না, নিজের ইন্টারনেটের এ্যাকাউন্টগুলাই উইল কইরা দিয়া যাবো। মরার আগ মুহূর্তে মেয়ের হাতে উইলের ফাইলটা দিয়ে বলবো, "শাবদানে রাখিশ মা। তোর বাবার কুকীর্তির আলমনামা যত্ন করে রাখিস, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিয়ে যাস..." এতোটুকু বলেই ঘাড় কাৎ করে কড়াৎ করে মরে যাবো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগোদা, আপনার কুন থুলুনা নাইকা, কঠিন উইল জুগাড় কইচ্ছেন , তারপরে আপনার ফুলাফাইন আইর ফুলাফাইনের লেখায় কমেন্টাইব, হি হি হি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধুগো'র উইলটা দেখতে মঞ্চায়। সাক্ষী কে কে ছিল?
জনৈক সচলের শালী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমার তিন বছর বয়সের স্মৃতি শোন।
উঠানে আমার মা আরো কিছু চাচি ফুপুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।
আমি গিয়ে তাদের জ্বালাই কারো মাথা থেকে উকুন এনে আমাকে দেয়ার জন্য।
আমার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে এ ওর মাথা থেকে উকুন এনে আমাকে দেয়, আর আমি মাটিতে ফেলে সেটাকে দুম দুম করে কিলাই, কিন্তু উকুন তো ধূলায় হারিয়ে যায়, আমার হাজার কিলেও মরেনা, হারানো উকুন খুঁজে না পেয়ে আমি আবার আরেকটার বায়না ধরি।
মা চাচীরা গল্পে ব্যস্ত তাই কেউ খেয়াল করেন নি এতক্ষন, হঠাৎ একজনের মনে হলো-আরে মামুন এত উকুন দিয়ে কী করে! তারপর পেছনে তাকিয়ে আমার কিলাকিলির দৃশ্য দেখে তো হাসতে হাসতে সবাই গড়াগড়ি।
বলা বাহুল্য আমার মা-চাচী-ফুপুরা এই গল্প যত্র তত্র মনে করিয়ে আমাকে লজ্জা দিতে এখনও বিয়াফক পছন্দ করেন
ধন্যবাদ মামুন ভাই আমার লেখাটাকে সমৃদ্ধ করার জন্যে। আপনে মিয়া আসলেও ছোটবেলার মত যদি সমাজের উকুন গুলারে এভাবে কিলাইতে পারতেন, খুহব ভালো হইত, তবে, একবারে কম যান নাই, "অসির চেয়ে মসি বড়" ফর্মুলায় আপনে দুর্নীতিবাজদের যে প্যাঁদানি দিতাছেন, তাইবা কয়জন দিসে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- আমার মনে পড়ে একবার আমি টার্জান হওয়ার জন্য বায়না ধরছিলাম। কিন্তু নাঙ্গা টারজান। মা যতোই বলে হাফপ্যান্ট পর নাইলে হাজাম এসে *** কেটে নিয়ে যাবে, আমি ততোই টারজানের মতো চিৎকার দিয়ে বলি, "টারজান কি হাফপ্যান্ট পরে নাকি?"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগোদা, আপনার জন্যে অপেক্ষা করেছিলাম, আপনে এসে ধুগীয় অভিজ্ঞতা দিবেন এই আশায়, এবং যথারীতি আপনি আপনার স্টাইল বজায় রাখায় আপনাকে । আপনার এই টারজান প্রীতি ঠান্ডা হল কিভাবে? মানে, আমি হাজাম পরবর্তী সময়ের কথা বলছি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- হাজাম পরবর্তী সময়ে অটোমেটিক ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিলো, কারণ তখন হাসিনারা এসেছিলো যে আমাদের পাশের বাসায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি মূলত বর্তমানে বাস করি। স্মৃতিচারণ করতে খুব একটা বিশেষ ভাল্লাগে না। এক্কেবারে পিচ্চিকালের কথা ভাবলে অনেক স্মৃতিই মনে পড়ে (আমার মাথায় আবার অপ্রয়োজনীয় স্মৃতি জমা হয়ে থাকে দীর্ঘদিন), কিন্তু ভাবতে চাই না। ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও করি না।
আপনার লেখাটা দারুণ লাগল।
প্রহরীদা, ধন্যবাদ, চান্কু ল্যান্ডে যাবার পোর থেকে আপনার লেখা পাচ্ছি না, তাড়াতাড়ি কিছু একটা ছাড়েন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই দুনিয়ায় আমার লেখা পড়তে চাওয়ার মানুষও আছে দেখি
তারচে সাইব্বাই, আপনি লেখেন, আমরা পড়ি। আপনার লেখার মধ্যে আলাদা একটা জোশ আছে। দারুণ লাগে পড়তে, খুব মজা। পুরা জিহাদী জোশ
এইডা একটা কথা হইল? তোমার আগের লেখার কথা তো বাদই দিলাম, শুধু শেষের লেখাটাই (ভোরের অপেক্ষায়) ১০ বার পড়া যায় পরপর, তাও একটু পুরানো লাগে না, একই রকম শিহরন বয়ে যায় শিড়দাড়া বেয়ে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- বিডিআর চীনদেশে গিয়া 'জ্ঞানী' হইয়া গেছেন অর্থ্যাৎ তিনি জ্ঞানার্জন করে ফেলেছেন। (কীসের উপর, এইটা আমারে জিজ্ঞেস কইরেন না। শরমে আমার কইলজা শুকায়া যায়! জাকাজা ইন্টেল কখনো ভুল ইনফো দেয়?) আর এখন ইতিহাস মোতাবেক তিনি 'খ্রাপ' হইয়া গেছেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসলেও, প্রহরীদা দেখি চান্কু চিক (মুরগির ছানা) দেইখা ভ্রান্ত ধারমায় ভুগতেছেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন