পল খুব ছটফট করতে থাকে, তার গা খুব চুলকাতে থাকে, গলা শুকিয়ে আসে, হেঁচকি উঠতে থাকে, পেটের মধ্যে কে যেন ছুঁচোর মত দৌড়াতে থাকে, শ্বাস কষ্ট শুর হয়ে যায়, সে কিছু চিন্তা করতে পারে না, তার কী হচ্ছে? সে যেন অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে থাকে, চিৎকার করে উঠতে চায়, সব যেন ধোঁয়া ধোঁয়া লাগতে থাকে, কিন্তু সে পরিষ্কার করে চিন্তা করতে পারে না। অনেক চেষ্টার পর তার চিৎকারের বদলে এক মুখ রক্ত বের হয়ে আসে, সব কিছুই তার কাছে দুঃস্বপ্নের মত লাগতে থাকে, তারপর আসলেই সে ঘুম থেকে জেগে উঠে, কিন্তু সাথে সাথে তার মনে পড়ে যায়, স্বপ্ন ভাঙলে কি হবে, তার যন্ত্রণা গুলো তাকে ছেড়ে যায় নি। এবং সে বুঝতে পারে যে, আসলে ঘুমের ঘোরে সে স্বপ্নেও তার জ্বালা যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতে পারে নি, এবং তার স্বপ্নকে সত্যি করে তার মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে গলগল করে রক্ত, আর পরক্ষনের তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, তারপরে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
কেমন যেন চাপা গোঙ্গানীর আওয়াজে পলের স্ত্রী জেগে উঠে, তারপর পলের অবস্থা দেখে সাথে সাথে ফোন করে ৯-১-১, ৪ মিনিটের মাথায় ই-এম-এস অ্যাম্বুলেন্স দাবড়াতে দাবড়াতে এসে হাজির হয়, তারা এসে তার জান বাঁচানোর জন্যে ঝাপিয়ে পড়ে, দু-হাতে স্যালাইন লাগিয়ে দেয়, আরেকজন তার ই-সি-জি করে ফেলে, আগামী ১০ মিনিটের মাঝে তাকে অ্যাম্বুলেন্সেও তুলে ফেলা হয়, হাস্পাতালে ফোন করে আরেকজন বলে, একজন শেতাঙ্গ ৬০ বছর বয়স্ক রক্তক্ষরনের মাধ্যমে জ্ঞান হারিয়েছে, এখন শকে আছে, কোনমতে তার প্রান পাখি খাঁচায় আটকে আছে, তার শ্বাসনালিতে নল দেয়া হয়েছে যাতে রক্ত শ্বাস নালিতে আর না ঢুকতে পারে, হাস্পাতালের জরুরী বিভাগে তার জন্যে যেন একটা টিম তৈরি হয়ে থাকে, তারা ১০ মিনিটের মাঝে পৌছে যাবে, এই ফাকে যেন অন্ত্র-বিশেষজ্ঞ হাজির থাকে, তার রক্তক্ষরনের কারন তার খাদ্যনালিতে বর্ধিত শিরা, কারন সে একজন পরিচিত মদারু। রাত ৩ টার সময় নীরবতার বুক চিরে অ্যাম্বুলেন্স চোঁখ ধাঁধাঁনো আলো জ্বেলে ছুটে যেতে থাকে হাসপাতাল অভিমুখে।
পল যখন হাস্পাতালে পৌছে, তাকে দু হাতের স্যালাইনের ব্যাগ পাম্পের সাথে যুক্ত করে জোর করে ঢুকানো শুরু হয়, আগামী ৪ ঘন্টায় তাকে দেয়া হয় আরো ২ ব্যাগ স্যালাইন, আর ৪ ব্যাগ রক্ত, সেই সাথে তার রক্তচাপ ধরে রাখার জন্যে দেয়া হয় ওষুধ, অন্ত্র বিশেষজ্ঞ এসে তার রক্তক্ষরনের স্থান গুলোতে পরিয়ে দেয় এক রকমের ব্যান্ড, যা রক্তক্ষরন বন্ধ করে দেয়। তারপরেও তাকে নিয়ে সারারাত যুদ্ধ চলে, ভোরের দিকে পল আস্তে আস্তে সাড়া দিতে থাকে, সকালে সে চোখ খুলে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে থাকে, সে কোথায় আছে। কিন্তু সে কথাও বলতে পারে না, কেমন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে থাকে সে, এর মাঝেই পরমা সুন্দরী নীল স্ক্রাব পরিহিতা এক রমনী তাকে এসে কি যেন বলতে থাকে, সে কিছুই বুঝে না, শুধুই ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। তারপর আবার সে অতল গহ্বরে তলিয়ে যায়, বেলা ১২ টার দিকে তার ঠিকভাবে জ্ঞান ফিরে আসে তীব্র ব্যাথার চোটে, জ্ঞান ফিরে আসার পর সেই সুন্দরী এসে তার স্বাসনালী থেকে নল বের করে দেয়, তারপর সে বলে, তার গলা, গা, হাত পায়ে অনেক ব্যাথা, তখন ঐ সুন্দরী তাকে বলে, তোমার তো যকৃতের বারোটা বেজে গেছে, ব্যাথা কমানোর কোন ওষুধ তারা দিতে পারছে না, অন্য ওষুধ যা আছে, তা দেয়া হয়েছে, কিন্তু এর বেশী কমবে না, তাকে সহ্য করতে হবে ব্যাথা।
পল টের পায়, তার অন্ত্রে এখনো নল দেয়া আছে, আবার রক্তক্ষরনের ভয়ে ডাক্তার নল রেখে দিয়েছে, প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় তা ভ্যাকিউম করে টেনে টেনে দেখা হচ্ছে রক্ত বের হয় কিনা। নার্স তাকে আরো বলে, পল প্রায় মারা গিয়েছিল, তার স্ত্রীর ঘুম না ভাঙ্গলে সে আজকে বেঁচে থাকত না। তাকে নিয়ে যমে মানুষে টানাটানি চলেছে সারা রাত, তার পারিবারিক ডাক্তার রন আসবে বেলা ৪ টার দিকে তাকে দেখতে, সকালে এসে দেখে গেছে, তখন সে অচেতন ছিল। সে এসে তাকে বুঝিয়ে বলবে তার কি হয়েছিল, কাজেই এই সময়টা একটি বিশ্রাম নেবার চেষ্টা কর।
পল শুয়েশুয়ে ভাবতে থাকে, কি ছিল, আর কি হয়ে গেল। সে তো এমন ছিল না, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকাতে সে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিল, তার কত হাঁকডাঁক, প্রতি রাতে পার্টি, আজকে ভেগাস, কালকে নিউ ইয়র্ক, পরশু এল এ, অফিসের কাজে তাকে যেতেই হয়, কাজ শেষে পার্টি, পার্টিতে গেলে হুইস্কি না খেয়ে সে থাকতে পারে না। আস্তে আস্তে তার এমন অবস্থা হল যে, অফিসেও লুকিয়ে লুকিয়ে তার কয়েক পেগ মদ না খেলে সে কাজই করতে পারে না। কিন্তু কেউ বুঝতে পারতো না, হয়তো বুঝলেও কিছু বলেনি, এক পর্যায়ে এমন অবস্থা হল যে, সকালে ঘুম থেকে উঠে এক পেগ হুইস্কি না গিললে সে চোখই খুলতে পারে না, তার ব্রিফকেসে যোগ হল ছোট একটা ফ্লাস্ক। কিন্তু ধরা পরে গেল পল পুলিশের হাতে, এক রাত হাজত বাস তো আর অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে চাপা থাকল না, তাকে বলা হল কাউন্সিলার দেখতে, তার এ সমস্যা ঠিক না হলে, তাকে চাকুরি থেকে অব্যহতি দেয়া হবে, কিন্তু নেশা কি এসব বুঝে?
কোন ভাবেই যখন পল তার নেশা ছাড়তে পারল না, আস্তে আস্তে তার সব সুযোগ সুবিধা হারাতে শুরু করল, তার ড্রাঈভিং লাইসেন্স গেল, তার চাকুরিও গেল ৩ মাসের মাথায়, সবাই মুখ ফিরিয়ে নিলেও মদের বোতল এন তার চিরসঙ্গী হয়ে ঝুলে রইল। তার ডাক্তার রন, তাকে অনেকভাবে বুঝানোর চেষ্টা করল, নানা রকম রিপোর্ট দেখিয়ে বুঝাতে চাইল, যে সে মদ খাওয়া না ছাড়লে তার হাতে আর খুব বেশী সময় নেই। কিছুতেই তার পরিবর্তন হল না, সে আর তার সঙ্গীর মাঝে যে এক অছেদ্য বন্ধন। এক পর্যায়ে তার যকৃতের কোষ গুলো মারা যেতে যেতে কর্মক্ষম কোষের সংখ্যা এতই কমে যায় যে, তার বিলিরুবিন বেরে জন্ডিস দেখা দেয়, তার রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতাও কমে যেতে থাকে, তার হাঁত কাপা শুরু হয়, বুকে কেমন লাল লাল জরুলের মত দেখা দেয়, চাপ দিলে সেগুলো চলে যায়, আবার আসে, তার স্তন বড় হতে থাকে, এক পর্যায়ে অন্ডকোষ ও ছোট হতে থাকে। আর সেই সাথে পায়ে আর পেটে পানি জমা শুরু হয়। এক পর্যায়ে রন বলে, তোমার যকৃতে আর প্রায় কোন কর্মক্ষম কোষ নেই বল্লেও চলে, আর তার মাঝে সিরোসিসের সকল লক্ষন দেখা দিয়েছে, তোমার রক্ত জমাট বাঁধছে না বিধায় বায়োপ্সি (অঙ্গের কলা বের করে পরীক্ষা) করতে পারছি না, তুমি রক্তক্ষরনেই মারা যাবে।
হঠাৎ রনের গলা শুনতে পেয়ে পল বর্তমানে ফিরে আসে, পরিচিত মানুষের গলা শুনে তার যেন কেমন অভিমানে মনটা অস্থির হয়ে উঠে। রন ঘরে প্রবেশ করে, পল আর চোখের পানি আটকে রাখতে পারে না, সে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে, আর বলতে থাকে, রন, তুমি যদি আমাকে আগে বলতে, আমি এরকম ভাবে মদ খেতাম না, আমি অবশ্যই কোন রাস্তা খুজে বের করতাম! রন, দীর্ঘশ্বাস ফেলে, “মনে মনে বলে, তোমাকে আমি কম বলিনি, এখন অনেক দেরী হয়ে গেছে, আর ফেরার পথ নেই, তুমি যদি আর ৩-৬ মাস বাঁচো, সেটাই তোমার পরম ভাগ্য, কিন্তু যতদিন বেঁচে থাকবে, নানা রকমের জ্বালা যন্ত্রনা নিয়ে বেঁচে থাকবে” মুখে হাসি টেনে আনে, বলে, “আরে, পল, তোমার দেখি জ্ঞান ফিরেছে, আমি তো খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, এখন কেমন বোধ করছ? আজকে তোমাকে দেখতে আমার সাথে একটা ছাত্র ও আছে। তোমার যদি অসুবিধা না তাকে, তাকে কি আমি ঘরে ডাকতে পারি?”
From Pictures |
তারপর রন বুঝিয়ে বলতে থাকে, তার এই হঠাৎ রক্তক্ষরনের কারন কী, পল যা বুঝে তার সারমর্ম হল, রন আগের তাকে সাবধান করেছিল, তারপর সিরোসিসের রোগীদের এই ভয় থাকে, তার যকৃতের বিশেষ শিরা, যার নাম পোর্টাল শিরা, রক্ত অন্ত্র হতে যকৃতে আনে, তারপর তা যকৃত থেকে নিম্নঃমহাশিরায় নিয়ে যাবার সময় মধ্যচ্ছদা দিয়ে ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাবার মত পাকস্থলীর উপরের মাথায় আর অন্ননালীর গোড়ায় কিছু রক্ত সঞ্চালন করে। সেখানে অবৈধ চোরাকারবারী শুরু হয়েছে, ঐখান দিয়ে ব্যাপক পরিমানে রক্ত পাচার হওয়ায় সেখানকার শিরা গুলো ফুলে উঠেছে, আর তার ঝিল্লিগুলো অতিরিক্ত প্রসারিত হওয়ার কারনে ওইখান দিয়ে রক্ত খাদ্যনালীতে চলে আসছে। ফলে সে নিজে নিজের রক্ত খেয়ে বেড়াচ্ছে, ফলে তার হিমোগ্লোবিন যেমন কমে গেছে, এর উপরে “মরার উপরে খাড়ার ঘাঁ” এর মত তার যে এসডিটির থেকে ক্ষত হয়েছিল, তারা সঙ্গমে মিলিত হয়েছে। আর বড় সমস্যা হল যে, বাড়ী গিয়ে সে যদি আবার মদ্যপান করে, এখানে আবার রক্তক্ষরন শুরু হবে। আর তার এই একই জিনিষ পায়ু পথেও আরেক খানা আছে। ভাগ্যিস এবার সেখান থেকে রক্তক্ষরন হয় নি।
পল তখন কীরা কেটে বলে, আমাকে একজন পাদ্রী ডেকে দাও আমি ক্ষমা ভিক্ষা করে আজ থেকে মদ খাওয়া ছেড়ে দিব। রন হেসে বলে, সে তো খুবই ভালো কথা, ঈশ্বর তোমাকে সুমতি দিয়েছেন, তুমি যদি চাও অবশ্যই সে ব্যবস্থা আমি করে দিব। তোমাকে কিন্তু কয়েকদিন থাকতে হবে, তোমার পেট থেকে সুই দিয়ে কয়েক লিটার পানি বের করতে হবে। পায়ের পানিটাও কিছুটা কমাতে হবে। কিন্তু বিলিরুবিন এত বেশী যে এটা কিছুটা না কমলে খুব বিপদ। আর পানি বেশী খেতে দিতে পারছি না, কারন তা গিয়ে তোমার পেটে জমা হবে, ঐদিকে পানি কম হলে, রক্তে বিলিরুবিনের ঘনত্ব বেড়ে গেলে তা গিয়ে তোমার বৃক্কের সব নেফ্রন ব্লক করে দিবে। দেখা যাক, ছোট ছোট ধাপে তোমার একটা একটা করে সমস্যা দূর করতে হবে।
এসব বলে রন বাইরে এসে নোট লিখতে থাকে, ছাত্রটি জিজ্ঞেস করে, এই বেচারার তো খুবই খারাপ অবস্থা, আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না, কোন চিকিৎসাই তো নেই। রন বলে, হুমম, এখন তার শেষ দিন পর্যন্ত যে কোন ভাবে তার কষ্ট কমানোর চেষ্টা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই। আর তার যকৃত ট্রান্সপ্লান্টো করা যাবে না, শুধু ঐ ট্রান্সপ্লান্ট লিস্টে নাম উঠানোর জন্যে তাকে ৯ মাস মদ ছাড়া থাকতে হবে, সে তো বাঁচবেও না ৯ মাস। আর দেখেছো রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট, ক্রিয়েটিনিন ও অনেক বেশী, বৃক্ক কাজ করছে না বললেই চলে, সারাক্ষন বিলিরুবিন বেশী থাকতে থাকতে তা বৃক্কের বারোটা বাজিয়েছে। আর বিলিরুবিনে যখনই মস্তিষ্কে যাবে, তখনই সে আবল তাবল বকা শুরু করবে। দেখা যাক, কালকে কি অবস্থা দাঁড়ায়। এক সপ্তাহ ধরে চলে নানা রকমের চিকিৎসা, পলের বিলিরুবিন কিছুটা নেমে আসে, সে যখন কিছুটা ধাতস্থ হয়, তখন সে বাড়ী ফিরে যেতে চায়, রন মনে করিয়ে দেয়, সে প্রতিজ্ঞা করেছে, মদ ছোঁবে না।
বাড়ী ফিরে আসে পল, তার কিছু করার নেই, সারাদিন বিশ্রাম নেয়া ছাড়া। তার আত্মীয়সজন ছেলে মেয়ে সবাই আসে তাকে দেখতে, পলের সম্মানে কেউ কোন আল্কোহল খায় না, পার্টি শেষে যে যার মত চলে যায়, পল আবার একা হয়ে যায়, ঘরে শুয়ে থাকে। তারপর সে মনে মনে সংকল্প নেয় যে, আর সে মদ ছোঁবে না, রাত ৮টার দিকে সে শুয়ে পড়ে কিন্তু, তার ঘুম আসে না, খালি এপাশ ওপাশ করতে থাকে। তার চিরসঙ্গী তাকে কী এক আকর্ষনে টানতে থাকে, তার প্রেমিকা যেন তার উপরে এক মায়াবী জাল বিস্তার করে ফেলে। রাত ১১ টার দিকে পল আর থাকতে পারে না, কেবিনেটের এক কোণায় লুকিয়ে রাখা জ্যাক ড্যানিয়েলের বোতলটা বের করে চলে যায় স্টাডি রুমে, কোমল স্পর্শে হাত বুলিয়ে দিতে থাকে বোতলটার গায়ে, যেন অষ্টাসশী উদ্ভিন্নযৌবনা এক তরুনী তার বাহুডোরে। তারপর খুলে ফেলে বোতলটা, মনে মনে বলে পল, এক পেগ, আর খাবো না, রাত ১ টা নাগাদ বোতল খালি করে আরেকটা বোতল খুলে ফেলে পল। রাত ২টার সময় তার স্ত্রীর ঘুম ভেঙ্গে যায়, খুজে বের করে সে পলকে, দেখে মাটিতে শুয়ে গোঙ্গাচ্ছে পল একটা জবাই করা মুরগীর মত। আবার সে ফোন হাতে তুলে নেয়, ডায়াল করে ৯-১-১।
মন্তব্য
সবই বুঝি! কিন্তু মনতো মানে না!!!!
হা হা হা, সিমনদা, দেহও মানবে না এক সময়, প্রতি সেকেন্ড মনে হবে দু:স্বপ্ন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাল লাগল আপনার লেখাটি।
মেঘলা জীবন
ধন্যবাদ, কিছু সত্য ঘটনা আমাকে পীড়া দিচ্ছে অনেকদিন যাবৎ, সে গুলোকে ঘাড় থেকে নামানো জরুরী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি এইসব খাই না।
রেজা ভাই, দারুন। কারো খপ্পরে পড়ে শুরু করে ফেলেন না
তবে পরিমিত পরিমানে ওয়াইন (১-২পেগ দৈনিক) সেবনে তেমন ক্ষতি নেই। আসলে ওয়াইন বানানো হয় আঙ্গুর থেকে, যার মাঝে থাকে প্রোফাভোনল নামে একটি শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্যে ভালো। হাস্যকর কথা হল, তার জন্যে ওয়াইন খাবার প্রয়োজন নেই, খাস আঙ্গুর খেলেই চলে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তোমার লেখাটা অসাধারণ হয়েছে সাইফ। সত্যিই চমৎকারভাবে তুমি মেসেজ দিয়েছো। এর পরেও এদের উন্নতি না হলে এদের জন্য ৯-১-১ -এ কল করা বন্ধ করে দেয়া উচিত। এরা মদ খেয়ে যন্ত্রপাতি নষ্ট করে ফেলবে আর পাবলিকের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এদের জীবন বাঁচানোর নামে অপচয় আর কতকাল?
পিপিদা, একদম মনের কথা বলেছেন, তবে এটাও ঠিক, মদ খাওয়ার জন্যে কিন্তু সে মৌলিক অধিকার হারায়নি, কাজেই চিকিৎসা থেকে তাকে বঞ্চিত কোরা যাবে না। তাও আমার লেখা পড়ে যদি একজন মানুষও সচেতন হন, তাও আমার জন্যে অনেক বড় পাওয়া হবে সেটা। আর চিন্তাও করতে পারবেন না, এই বেটাদের দাড়া করিয়ে ফেরৎ পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই এরা আবার ফেরৎ আসে, পুরাই বুমেরাং। তবে, মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রচন্ড কষ্টে ধুকতে থাকে, সেটা হয়ও জনগনের চোখের আড়ালে। শুধু একটা জিনিষই চিন্তা করেন, যদি ২৪ ঘন্টা আপনার গা চুলকায়, কেমন লাগবে?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হুমম, ওটাতো কথার কথা বলেছি.. কেউ মরে যাচ্ছে আর ডাক্তার তার চিকিৎসা করবেনা-- এমনটা হয় কখনো ?
দরকারী লেখা সাইফ। অনেক ধন্যবাদ আমাদের সচলাসক্ত ডাক্তার সাহেবকে। জরুরী জণসাস্থ্য বিষয়ক একটা সিরিজ করার কথা ভেবে দেখতে পারো।
বস, আপনে সাহস দেন দেখেই এই লেখাটা দিলাম, এই গল্পটাতে একটা অক্ষরও বানানো নয়, শুধু নাম গুলো পরিবরতন করে দিয়েছি, আসল ঘটনা আরো নির্মম, যেমনটা বলে সবাই, "ট্রুথ ইজ স্ট্রেন্জার দ্যান ফিকশন", আমার উচিত ছিল একটা ভিডিও ডকুমেন্টরি তৈরী করা। কনফিডেন্সিয়ালিটি এগরিমেন্টের জন্য এসব করা যায় না। তবে এ ধরনের প্রতিরোধযোগ্য ব্যাপার নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে, দেখা যাক, সাড়া পেলে আরো লিখব।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ডাকতর সাহেবের লেখা পড়ে ডরাইছি, ভাগ্যিস আমি বা আমার কাছের মানুষজনের এ বদঅভ্যাস নেই।
হইতে কতক্ষন!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মদের ব্যাপারটা বুঝলাম মদ খারাপ জিনিস এর থেকে দূরে দূরে থাকাই ভালো।
কিন্তু অনেকের আবার সমস্যা আছে ভাত, কেক - মাংস - চিংড়ি - মিষ্টি অনেক অনেক বেশি খায়। তার থেকেও অনেক ধরনের মৃত্যুগামী রোগের সৃষ্টি হয়। সিটার কি করা ???
আমার বেলায়ই প্রযোজ্য ভাত আমারে খায় না আমি ভাতরে খাই ???
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপু, খুবই মূল্যবান কথা, ভাত আমাদের সবাইরেই খায় , আমার কাছে ভাতের অপর নাম যেন জীবন। তবে সবকিছুই পরিমিত পরিমানে খাওয়া দরকার। আর অন্যদের দোষ দিব কী, আমি নিজেই এত চিংড়ি খাই যে সবাই মনে করবে আজকেই মহাপ্রলয়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- চিংড়ি আমিও খাই, একেবারে হাভাইত্যার মতো! তবে ওভারঅল খাওয়া জিনিষটা আমি জয় করতে পেরেছি। মানে না খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারি দিব্যি। অবশ্য এটা অনেকদিনের তপস্যার ফল। এখন কেবল ঘুমটাকে বশ মানাতে পারলেই কেল্লাফতে। আমি মহাপুরুষদের দলে নাম লেখিয়ে ফেলতে পারবো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগোদা, জটিলস্য জটিল, মহাপুরুষ হবার পোর তো গান্জায় দম দিয়া এক টানে এক কলকে সাফ করতে হবে, ঐটা প্র্যাকটিস করতে থাকেন, হুট করে যদি ঘুম জয় করে ফেলেন??
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাল লেখা বস !!
কিন্তু একই সাথে ভীতিকর!!!(যদিও জানি ভয় দেখানোটাই তোমার উদ্দেশ্য এখানে--)
আমি ভাবছিলাম বোতল-ফোতল ধরে ফেলব কি না---কারণ তোমার লেখা পড়ে মনে হল, মদ খেলে পেটের নানা ক্ষতিকর জীবানূও মারা যায়। কাজেই দেহযন্ত্রের শোধনের জন্যে মনে হয় সুরাপান খারাপ না -- কি বল?
একেই বলে "ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।"
শেষ পর্যন্ত সচলেও ডাক্তারী বিদ্যা? শেষে হইতো দেখা যাবে টেলি মেডিসিনের মত সচল মেডিসিন ও চালু হইছে....www.sachal/911.com!!
যাই হক..ভাল লাগল আপনার লেখাটা পড়ে।
কোপা শামসু, ধন্যবাদ, তোমার মন্তব্য পড়ে ব্যাপক মজা পেলাম, সচলের মাধ্যমে যদি কারো উপকার করা যায়, তাহলে আমি অবশ্যই রাজী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনিকেতদা, আপনার জবাবটা ভুল করে আলাদা হয়ে গেসে।
আরে আমার গুরু হাজির, আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে পেটের মাঝে ঘুটুর ভুটুর শুরু হয়ে গেল। , বোতল ধরতে চাইলে ক্ষতি নাই কোন, সেটা মালের বোতল না হলেই হইল। খালি বোতল দিয়া বাঁশীও বাজাইতে পারেন, আর বিপদে বোতল ভেঙ্গে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন, ভাঙ্গা বোতল বাগায় ধরে বলবেন, "দেহ পাবি কিন্তু মন পাবি না, শয়তান, মু হা হা হা" কারন মন তো আপনার বোতলের কাছে জিম্মি , দেহ সংশোধনের জন্যে জাফলং জায়গাটা খারাপ না। আর বিকালে ডান্ডা দিয়া পাখির পালক বাইড়ানি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হুমমম, মদের সাধ্য নাই আমাকে খেতে পারে, কারণ মিষ্টি = মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাকে খেয়ে, হজম করে, একদম 'নাই' করে ফেলসে - কাজেই এইসব তুশ্চু শিশিরে আমার কিবা ভয়
স্নিগ্ধাপু, মিষ্টির কথা বলে খিদা লাগিয়ে দিলেন, কতদিন মিষ্টি খাইনি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মদের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারে তীব্র প্রতিবাদ।
খুব শীঘ্রই নজরুল ভাইকে সভাপতি করে এবং জর্মন প্রবাসী বদ্দা এবং হিমু ভাইকে কোন উচ্চ পদে আসীন করে এর প্রতিরোধ কমিটি ঘোষণা করা হৈতে পারে।
এছাড়া অন্যান্য সামাজিক এবং মানবাধিকার সংস্থা, যেমন জাকাজা-র থেকেও এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বক্তব্য আশা রাখি।
ইতি
সবজান্তা
মদ্যপায়ী সংগঠন
ভারপ্রাপ্ত ফাউন্ডার মেম্বার
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
জব্বর বলেছেন বস, বেশী করে খান, তাহলে আপনাদের নিয়ে পরবর্তী পর্ব লেখতে পারব , কিন্তু পরিমিত পরিমানে সেবন করে ফেলেন না যেন, তাহলে কিন্তু আমার কোন ভাত থাকবে না , আর "মদ্যপায়ী সংগঠন" এ সদস্য হইতে আমারো মঞ্চায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- জাকাজা এই মর্মে কোনো শক্ত-নরম কোনো বক্তব্যই দিবে না। কারণ, তিন সদস্য বিশিষ্ট মূল স্টিয়ারিং কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠই রস-ই-ইক্ষু কিংবা শরবত-ই-দ্রাক্ষা'এর ব্যাপারে তীব্রভাবে উদাসীন।
তবে এই ব্যাপারে নেক্সট মিটিং-এ আলোকপাত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ভবিষ্যতে জাকাজা ঠিক কী রকম স্টেপ নিবে। সেই পর্যন্ত আপনারা যতো পারেন কাইজ্যা করেন, মাথা ফাডাফাডি করেন, জাকাজা কাউরে কিছু বলবে না। তবে তলে তলে আনঅফিসিয়ালী উভয়পক্ষকেই উষ্কানী দিলে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যাবে না।
আদের্শক
মাননীয় জনাব ধুগো
বয়োজ্যোষ্ঠতার (গায়ের জোরে না) বলে সভাপতি
পাগলা পানীয় নিয়ন্ত্রণ কমিশন
জাকাজা ভায়রা ভাই পরিষদ
(একটি বির্বিবাদী আন্তঃমহাদেশীয় শালি হান্টিং কর্পোরেশন)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
, ধুগোদা
আমার দাদা, তোমার দাদা, ধুগোদাদা,
ধুগোদাদার চরিত্র, ফুলের মত পবিত্র
একশন একশন, ডাইরেক্ট একশন
আসলেই যাইতেসি এখনও, আপনে না আইলে সচলে কুন প্রাণ থাকে না, খালি ভ্রান্ত ধারমার ব্লগ মনে হয়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা হা হা ,
বস, তুমি পারও রে ভাই----
ভাইয়া, শুরুতে একটা স্পয়লার লাগায় দিতেন, এই পোস্ট সুরাপানকারীদের জন্য না ... হে হে ..
না না, সুরাপানকারীদের সাথে কওন গ্যান্জাম নাই, আমার ফোকাস "অ্যালকোহলিক" দেরকে ঘিরে, আর কেউ যাতে সুরাপানকারী থেকে অ্যালকোহলিকে প্রমোশন না হয়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মজার একটা ঘটনা মনে পড়লো।
মধ্যবিরতি আর পানি পানের বিরতি-কে একসাথে কে যেন বলেছিল "মদ্যপানের বিরতি চলছে।"
বস, জটিল বলেছেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- চুদূরী শরাফত ভাইরে ছাড়া এইরম ক্ল্যাসিক মন্তব্য কেউ দিতেই পারে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আবার জিগায় !!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পুরমাত্রার "অ্যালকোহলিক"দের চাইতে ধুমপানকারিদের সংখ্যা অনেক!শরীরের কথা ভাবলে,সিগারেট খাওয়া বন্ধ করা আরো জরুরি। সিগারেট ছাড়াতে পারাটা,মদ ছাড়ার চাইতে কম কঠিন না।
পয়সা থাকলে ওয়াইনে চুমুক দেয়াটা খানিকটা উপকারি,কিন্তু সিগারেট?
ভাইরে, আপনার কথা বর্নে বর্নে সত্যি, নেশাকারীর সংখ্যাও অনেক বেশী, আমার লেখাটা কিন্তু উপদেশ মূলক না বস, শুধু অ্যালকোহলিকের ভবিষ্যত সম্পর্কে কিছু জ্ঞান দেয়া। আর ধুমপান এবং অন্যান্য ভাবে ব্যবহৃত তামাকের ভবিষ্যত কোন ভাবে ভালো নয়। আর ধুমপান সম্পর্কে মোটামুটি সবাই কমবেশী জানেন, এবং জেনেশুনে তারা ধুমপান করেন, কাজেই অপকারিতা বর্ননা না করে কিভাবে ধুমপান ত্যাগ করা যায় এ নিয়ে বিশদ লেখার ইচ্ছা আছে। আর ধুমপান আর মদের মাঝে তুলনা করলে আমি সিগারেট ছাড়ার ব্যাপারে জোর দিব, এ ব্যাপারে নি:সন্দেহ থাকতে পারেন।
আর ছাড়ার ব্যাপারে একটা কথা বলি, তাহলে বুঝবেন, একটা অসুধ আছে, সেটা খাবার পর মদ খেলেই আপনি অসুস্থ হয়ে যাবেন, কিন্তু ধুমপানের ক্ষেত্রে সেরকম সাফল্যমন্ডিত কোন অসুধ নেই, আর সদ্য ত্যাগ করা ধুমপায়ীর আশে পাশে ধুমপান করলে তা তাকে এমনভাবে আকর্ষিত করে যে, ২-৩ বার ছেড়ে দেয়ার পরেও আবার ফিরে আসেন তিনি সিগারেটের কাছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ডরাইছি !
আমি আর খাবো না।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিমুলাপু, কম কইরা খান, নাহলে কিন্তু আবার বিভিন্ন সমিতি আমার পিছে লাগবো, খালি এক বসায় এক বোতল পাগলা পানি নামায় দিয়েন না ;)।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনার পোস্টটি খুবই ইনফরমেটিভ। তবে এই ইনফরমেশন কি যারা মদ খায় তাদের খুব একটা অজানা? তা বোধকরি নয়। আসলে নেশার জিনিস ছাড়তে পারাটা বড়ই কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। আমি হঠাৎ করে একরাতে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম দশ-এগারো বছর আগে, আর কোনদিন খাইনি। তবে প্রথম কয়েকদিন খুব কষ্ট হয়েছিল।
পরিমিত মদ্যপানের সুফল নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে, তবে সেই সব সুফলের অনেককিছুই বোধকরি আঙুর খেলেও পাওয়া যায়।
পরে ছাড়তে কষ্ট হবে এই ভেবে বোতলটা আর ধরা হয়নি আমার কোনদিন।
আপনার লেখার জন্যে সাধুবাদ রইলো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই, আমাকে তুমি বললে খুব ভালো হয়, আপনার সাথে একমত, এসব তথ্য তাদের অজানা নয়, আর বিদেশে থাকলে তাদের বছরে একবার ডাক্তারের কাছে যেতে হয়, তখন তাদের অনিচ্ছা থাকলেও উপদেশ শুনতে হয়, ফলে না জানার কোন কারন নেই। আর আপনার মানসিক জোর দেখে আমি রীতিমত বিস্মিত। একবারে ধুমপান ত্যাগের ঘটনা খুবই বিরল। আর ধরে ছাড়তে হবে ভেবে বোতল ধরেন নি শুনে হাসতে হাসতে আমার মুখ দিয়ে খাবার বের হবার জোগাড় )। আর আপনার কথা পুরোপুরি সত্যি, আঙুর খেলে সাথে বোনাস কিছু ভিটামিনও পাবেন, আর অ্যালকোহলের ক্ষতিকর এফেক্ট গুলো আপনাকে স্পর্শ করবে না। জাহিদ ভাই, আপনার প্রশংসা আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
উপরে করা আমার মন্তব্যে একটু সত্য গোপন করা হয়েছে। বোতল ধরার একটি অপপ্রচেষ্টা করেছিলাম কয়েকজনের পাল্লায় পড়ে। সেই গল্প করেছিলাম অন্যত্র। এখানে পাবেন সেটি । তারপর আর ও পথে পা মাড়ানো হয়নি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
গল্পের ডিটেইল পড়ে খুবই মুগ্ধ হলাম। দারুণ।
ধন্যবাদ, প্রহরীদা, আশা করি আরো ডিটেইল লেখা দিতে পারব ভবিষ্যতে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখাটা খুব ভালো লাগলো, অনেক লেখা ফর্মের জন্য ভালো লাগে কিন্তু এর কনটেন্ট এতো সমৃদ্ধ যে পড়ে মুগ্ধ হলাম। আপনার ডাক্তারি জীবনের গল্প নিয়ে একটা সিরিজ করুন না। দেশে ও বিদেশে নানা ধরনের রোগীদের কান্ডকারখানা নিয়ে রোগন জুশ।
পাঠকদা, আমার লেখা যদি কারো উপকারে লাগে, অবশ্যই লেখবো, আমি ডিটেইলস এর অনুসারী বস, আর এসব আমার পেশাগত জ্ঞান, আরো ভিভিড করে লেখতে পারি, কিন্তু সবাই শো-অফ মনে করবে, আর চোখে দেখা জিনিষের বর্ননা করা সহজ :)।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তুমি এই ঢঙেই লিখতে থাকো। বেশি সিরিয়াস লেখা দিলে পাঠক মনে করে তাকে জ্ঞান দেয়া হচ্ছে (নিজেকে দিয়েই যাচাই করলাম)
ধন্যবাদ বস, এরকম সাড়া পাইলে লেখেও মজা আছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাইয়া, তোমার লেখা পড়ে যদি কেউ শো অফ ভাবে তাইলে আমাকে খবর দিও... রংবাজ সায়কা হাজির হো জায়েগা... তারপরে ধুম ধাম, ঢিশুয়া ঢিশুয়া... শেষে পুলিশ এসে বলবে, 'আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না!... :(] আমার জামিনের দায়ীত্ব তোমার, [আম্মুকে বলা যাবেনা! আম্মু জেনে গেলে আমি শ্যাষ!]
লেখা ঝাক্কাস হইসে ভাইয়া, তবে আরেকটু বেকুবদের ভাষায় লিখলে আমার কমন পড়ত। হারায় গেসিলাম মাঝখানে! ...অনেক লক্ষ তারা! [আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটারে, ইয়াহ!]
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ওরে দুষ্টুরে, জামিন নাহয় নিলাম, কিন্তু তোমার প্রেমিক প্রবর আমাকে দৌড়ানি দিবে না তো? , আহারে, মাঝখানে হারায় গেলা!! দুই পেগ পাগলা পানি নামায় দিতা, রাস্তা আপনা আপনি সামনে চলে আসত পরীক্ষা কেমন হল? নতুন লেখা দাও
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দৌড়ানি দেবার মত তেমন কেউ নাই... তাই রংবাজী করতে আমারও কুনু সমিস্যা নাইক্কা! হারায় গেলেও আবার পথ খুঁজে ফেরত আসছি [আমার সারাজীবনের সখ ছিল ডাক্তার হব, কিকরে কিকরে এই ঘোড়ার ডিমের বিবিএতে এসে পড়লাম, আল্লাহ মালুম!] পাগলা পানি ভালু লাগেনাই... কুক খাইতে পারতাম...
পরীক্ষার ব্যাপারে বরং আমি আমার মুখ বন্ধ রাখি, নাহলে ধুম করে কিছু একটা বলে ফেললে পরে আবার গন খাব! এবারে শুধুমাত্র মৌখিক টা নিয়ে ভয়ে আছি। আমাদের বদের হাড়ি শিক্ষক গুলো সাবান ছাড়া এবার আমাদের বাইরায় বাইরায় ধুয়ে ফেলবেন...
নতুন লেখা... খিকয! কেউ না কেউ আমার প্রতি ব্লগে মন্তব্য করেন যে আমার বিয়ে করে ফেলা উচিত! আমার কথা বার্তায় মনে হয় আমাকে অতটা ডেস্পারেট মনে হয়। তিনখান আগডুম বাগডুম আধা অবস্থায় আছে, ঐগুলা পোস্ট করব। তারপর যদি কখনও বিয়ে করি তারপরেই লিখব। তবে আছি এবং থাকব... অন্তর্জাল জীবন থেকে হারাব না!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার ভাত মারা বুদ্ধি
যারা বলবে, তাদের আমার নিচের মতামত কোট কোরে দিবা, "বিয়া করতে হবে কেন? সুন্দরী দুষ্ট বালিকার ছবি দেখলে তার সাথে ইটিস পিটিস করতে মন চায় নাকী? যাদের মন ইটিস পিটিস করে, তারা অন্যখানে গিয়া রাস্তা মাপেন =))"
আবার
দেশে পোলাপাইন কি সম** হইয়া গেল নাকী? সুন্দরী বালিকা বলে একা????
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সবই বুঝি...গল্পটা পড়ে দুঃখ লাগল!...যাই এক পেগ আর ২টা বিড়ি মাইরা আসি!।।এসব জিনিস যত ধ্বংস করা যায়...মানবজাতির জন্য ততই মঙ্গল...
দুনিয়াতে সবচেয়ে খারাপ ৩ টা নেশা (আমার মতে) বিড়ি, বিড়ি, বিড়ি! (এর পরে হয়ত নারী আর মদ!)
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
, এক পেগ আমারে দিতে পারো , অবশ্য মাইয়াগো নামধারী ড্রিংক গুলা গিলতে বড়ই মিষ্টি, যেমন মার্গারিটা, রিটা
নারী তো নেশা না, এটা এখন গুন হয়ে গেসে, বিখ্যাত হইতে হইলে নারী সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি করতে হবে যেমন আমাদের আজিজ মো: ভাই, হুমা কাগু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- ক্যারা রে, ক্যারা!! বিড়িরে খারাপ কয় ক্যারা?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিড়ি খারাপ কইসে বস, সিগারেট ভালু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখাটা ভালো লাগলো। শিখলামও অনেক!
অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ স্পর্শ, আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে, আপনি কি শীত নিদ্রায় আছেন?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভালো লেখা, চমৎকার ভাবে জনগন কে সাবধান বানী পৌছে দিলেন। ভালো লাগলো।
(কিন্তু আপনার কোক আমারে খায় না আমি কোক রে খাই, এটা কে লিখবে ভাইয়া? হে হে হে)
এজন্যেই তো বলতেছি, লেখা দাও, নিজের নামে ঢোল তো কম পিটাইলাম না, এর পরে সচল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিবে সবাই, বলবে, বেটা ফাজিক নিজের কথা বলার জন্যে ব্লগস্পট আছে, যা ভাগ!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
____________
অল্পকথা গল্পকথা
ধন্যবাদ বস
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন