২৫এ জুলাই অর্ধঘুমে অর্ধ-জাগরনে ৭টায় উঠে এক হাতে দাঁত মাজতে মাজতে আর অন্যহাতে স্ক্রাব পরতে পরতে শুরু হয় শনিবারের সকালটা। ঘোড়ার ডিমের সকাল ৮টায় কাজ আছে, মেজাজটাই খিচড়ে গেল দিনের শুরুতেই। রওনা হলাম অফিসের পথে, ঘুমের মাঝেই গাড়ী চালাতে চালাতে, কিন্তু অফিসের কাছে গিয়ে খুব মজার একটা জিনিষ দেখলাম। একটা কাঠ-বিড়ালীকে চড়ুই এর মত সাইজের একটা পাখি তাড়া করেছে, আর সেই কাঠ-বিড়ালী “চাচা আপন প্রাণ বাঁচা” দৌড়ে পালাচ্ছে। যাক এই ভাবে অফিসে ঢুকেই একটা রোগী পার করে কোনমতে সচল খুলে দেখি চরম গরম অবস্থা। একাধারে রেনেট, প্রহরী আর কিংকং এর পোস্ট, পড়া শুরু করতে গিয়ে মনে পড়ে গেল অনিকেতদার কথা, “তুমি মনে হয় একমাত্র মানুষ যে সচলে বসে থাকার জন্যে ঘন্টা হিসাবে টাকা পাও”। মনে পড়তেই হো হো করে হেসে উঠলাম, আর আমার সহকর্মীরা “পাগলের পুর্বাবস্থা” মনে করে আস্তে করে হেটে দূরে সরে গেল।
যাক এত বক বক করে যা বুঝাতে চাইছি যে, আমার প্রাত্যহিক জীবনে সচল কতটুকু অংশ জুড়ে আছে। আমি ডেলাওয়ারে যখন আসি, তখন বাংলাদেশী কাউকে চিনতাম না আমার এক বন্ধু ছাড়া। এক বছরের ও বেশী কেটে যায় এভাবে। এরপর একদিন খোমাখাতায় আমাদের “মৃত্তিকা” বার্তা পাঠায় যে সেও একই শহরে থাকে, আমি ছুটে যাই দেখা করতে। তারপর দেখা সাক্ষাৎ চলতে থাকে, তারপর গত পহেলা বৈশাখে দাওয়াতে গিয়ে পরিচয় হয় অনিকেতদার সাথে। স্বভাবতই আমার কথাবার্তা শুনে উনি উপরোক্ত কাঠ-বিড়ালীর মত জান হাতে নিয়ে পালাতে উদ্যত হন, কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, উনি আমার হাত থেকে বেশী দুর পালাতে পারেন না। আমি বাসা পরিবর্তন করে এসে হাজির হই উনার হাউজিং কমপ্লেক্সে। তারপর তো শুরু হয়ে যায় যত্রতত্র উৎপাত, বলা নাই কওয়া নেই, যখন তখন ফোন করে, বস, চলেন এখানে যাই, সেখানে যাই, উনি একটু একা থাকতে পছন্দ করেন, আর আমি হই হুল্লা পছন্দ করি। উনি যত না করেন, আমি তত বেশী করে ঠেসে ধরি।
এর পর শুরু হল আমার এক্সপেরিমেন্টাল রান্নার যুগ, নিজে যা রাঁধি, নিজেই খেতে পারি না, জোর করে প্রজাপতি আর অনিকেতদাকে খাওয়াই, উনি এরকম নানা অত্যাচার মুখ বুজে সয়ে যেতে থাকেন, এর পরে হঠাৎ করেই অর্নবের কন্সার্টের খবর পেয়ে আমরা ২ জন গিয়ে হাজির হই ডিসি, সেখানেও ঘটে যায় এক কেলেংকারী, আমার ভুলে আমাদের প্রায় ১ ঘন্টা দৌড়ে যেতে হয় কনসার্টের হলঘরে। ফিরে এসে সচলে হাতে খড়ি হয় আমার অনিকেতদার লেখার মাধ্যমে। তারপর ধীরে ধীরে নিয়মিত পাঠক, তারপর লেখা। পুরা ব্যাপারটাই ঘটেছে একজন শিশুর হাঁটতে শেখার মত, আর অভিভাবকের ভুমিকায় বুঝতেই পারছেন কে ছিল। আজকে কাজ সেরে বাসায় ফিরে দেখি রেনেটদা আমার হয়ে কাজ করে ফেলেছেন, তখন খুব ভালো লাগছিল, যে উনার মত সুন্দর করে কিছু একটা লেখা আমার পক্ষে সম্ভব হত না। কিন্তু ঘন্টাখানেক যেতেই আস্তে আস্তে আমার নিজেকে স্বার্থপর মনে হতে লাগল। যিনি আমাকে হাতে ধরে সচলে আনলেন, আজকে এই বিশেষ দিনে উনাকে নিয়ে একটা লেখা দিতে আমি কিনা কার্পণ্য করছি। তাই এই যাই পারি না কেন, লিখতে বসলাম।
অনিকেতদাকে নিয়ে কি লিখব তা এখনো বুঝে পাচ্ছি না, তা আপনারাও পরিষ্কার বুঝতে পারছেন, কাজেই মনে হয় আং ফাং তাং লিখেই বিদায় নিতে হবে। প্রথমে যেটা আমার মনে আসে, সকল কথায় উনার যে হাস্যরস উপভোগ করবার ক্ষমতা, তা যে ভাবেই প্রকাশ করা হোক না কেন! আমি নিজে খুব জোরালো ভাবেই মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি, এতে উনি অসন্তুষ্ট হলেও তা চেপে রেখে হাসতে কখনই কুন্ঠা বোধ করেন নি। আর উনার কবিতা জ্ঞান এতই ব্যাপক যে, যে কোন মূহুর্তে যে কোন পরিবেশ উপযোগী কবিতা অথবা ছড়া যেন তৈরি থাকে। এর পাশাপাশি উনার বাংলা এবং হিন্দি গানে উনার জ্ঞান, শুধু গান, বাজিয়েদের জীবন বৃত্তান্তই নয়, তাদের পাশাপাশি আনুসঙ্গিক সকল তথ্য উনার ঘিলু নামক হার্ড ড্রাইভে মজুত আছে এবং তার খুঁজে বের করতে তিনি গুগুলের চেয়েও বেশী পারদর্শী।
এর চেয়েও চমকপ্রদ হল উনার গানের প্রতি খোলামেলা ভাব, নানা ভাষায় নানা রকমের উদ্ভট গান শুনিয়েও উনাকে ভড়কানো কঠিন। তবে একটা কথা উল্লেখ না করলেই নয়, উনার যুনে বাংলা গানের যা সংগ্রহ, তা দেখে আমি এখনো অবাক বিস্ময়ে হা করে গান শুনতে থাকি আর এই ফাকে মাছি আমার পেটে ঢুকে পড়ে। অন্যতম গান ছিল মমতাজের “বন্ধু আমার পানের দুকানদার” “ডেঞ্জারম্যান” বা সাবিনা ইয়াসমিনের “এক বালিশে দুই মাথা”। তবে কোথাও গেলে আমাদের ভ্রমনে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ হয় উনার হাস্যরস, উনার গানের সংগ্রহ আর উনার জ্ঞানের ভান্ডার থেকে আসা গানের নেপথ্য কাহিনী। যে কোন বাঙলা গান শুনতে চেয়ে শুন্য হাতে ফিরে যেতে হয়নি আমাকে। আর অনিকেতদা আমাকে একটা নতুন জিনিষ শিখিয়েছেন, যেটা হল, মন ভালো করার পন্থা। উনার কাছ থেকে ভাবতে শিখেছি, বের হয়ে আসতে পেরেছি চিরাচরিত সেই “নিজে দুরবস্থায় থাকলে নিজের চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা” আরেকজনের কথা মনে করে খুশি হবার চেষ্টা। উনার সম্পর্কে বলতে গেলে সিরিজ লিখতে হবে, তাই আজ উনার গুনাবলীর আর বর্ননা না করে বিদায় নেবার চেষ্টা করি।
প্রবাস জীবনে এসে আমাদের বড়ভাই, প্রতিবেশী, বন্ধু সব কিছুই একজনের মধ্যে দিয়ে আমরা না চাইতে পেয়ে গেছি। আমাদের প্রতিদিনের ছোটখাট আনন্দ, বেদনা, উল্লাস সবকিছুর সাথেই আমাদের সাথে উনি যুক্ত হয়ে গেছেন। আর আমাদের কাছে উনি যতটা না কাছের প্রিয় মানুষ তার চাইতে উনার উপর বেশী দাবী ফলায় আমাদের মেয়ে। উনি যখনই আমাদের বাসার সিড়ি বেয়ে দরজার কাছে আসতে থাকেন, সামারা কিভাবে জানি আগে থেকে টের পেয়ে যায়। লাফিয়ে সে দরজার কাছে হাজির হয় তা খুলে দেয়ার জন্য এবং বাসার অন্য কেউ যদি ভুল করে দরজা খুলে ফেলে তাহলে আর রক্ষা নাই, চিৎকার করে মাটিতে গড়াগড়ি শুরু হয়ে যায়। এরপর শুরু হয়ে যায় অনিকেতদার সাথে তার নিজস্ব হিব্রু ভাষায় বকর বকর, বাড়তি আরো কোলের উপর কখনো ক্ষান্ত না হওয়া লম্ফঝম্ফ, দাড়ি ধরে টানাটানি। আমরা অনেক সময়ে বিরক্ত হলেও উনার ধৈর্যচ্যুতি হতে কখনো দেখিনি। আরেকটা মজার ব্যাপার হলো সামারাকে এখানে আমাদের আরো কিছু বন্ধু আছে যাদের একেকজনকে আমরা মামা, আংকেল, আন্টি বিভিন্ন নামে ডাকা শিখাতে সক্ষম হলেও, অনিকেতদাকে এরকম কোন বিশেষন যুক্ত করে ডাকা শিখাতে পারিনি। আমরা যে ভাবে ডাকি সে ঠিক সেভাবেই ডাকা শুরু করেছে। এভাবে আমাদের অনিকেতদা হয়ে গেল সামারার অতি প্রিয় ‘তারেকক বাই’।
তার ছোট ছোট মুখ দিয়ে Happy birthday বলিয়ে আমরাও শুভেচ্ছা জানাই সামারার এবং আমাদের অতি প্রিয় তারেক ভাইকে। এই দিনটা ছন্দে ছন্দে কাটুক এবং আগামী দিনগুলোতে আপনার জীবন যেন রংধনুর মতো আরো সুন্দর ও আলোকিত হয়ে উঠে সেই কামনা করি।
মন্তব্য
ফেসবুকে ভিডিওটা দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। জন্মদিনে এর চেয়ে ভালো উপহার আর হতে পারেনা।
দারুণ কিউট সামারাকে আমার পক্ষ থেকে অনেক, অনেক আদর
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আর বইলেন না রেনেটদা, আমার খোমাখাতা আর ইউটিউবের একাউন্ট কানেক্ট করা, তা জানতাম না, ভিডিও আপলোড করে বসে আছি, এর মাঝে আপনার কমেন্ট পেয়ে তো ভিমরি খাবার জোগাড়, সাথে সাথে খোমাখাতা থেকে মুছে দিয়েছি, লেখার সাথে দিব বলে। আশা করি মাইন্ড করেন নি। আর কি বলব,
অনিকেতদা, আবার ও শুভ জন্মদিন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অসামান্য এক সচল-পরিবারকে অনেক ধন্যবাদ প্রাণবন্ত একটা পোস্টের জন্য। সাইফ ভাই শেষ পর্যন্ত লেখা নামালেন। ধন্যবাদ ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। প্রজাপতি আপু আর সামারার ক্লিপটা দেখে শিশুতোষ একটা আনন্দে ভরে গেলো মন।
তারেক ভাই, দ্বিতীয় বারের মত জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো। তৃতীয়বারের মতও আসছে।
তিন...
দুই...
এক...
সারাদিন আজকে সামারা খুব উত্তেজিত, একটু পরপর এসে আমাদের বলছে, আজকে তারেক ভাইয়ের হেপি বার্থডে। শেষমেষ ঘুমাতে যাবার আগে তারেক ভাইয়ের জন্যে অপেক্ষা করছিল, উনি এসেছে, সামারা এসে দরজা খুলেছে, তারপর ঘুমাতে গেছে। খুব সুন্দর কেটেছে আজকের দিনটা। আর তোমার সাথে কথা বলে আরো মজা হয়েছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ইশতি কাল তোমার সাথে কথা বলে অনেক ভালো লাগলো। তোমার আর রেনেটের যে আসার কথা ছিল তার কি হলো? তুমি কি ডেলাওয়ার বাইপাস করে একেবারে হাওয়াই চলে গেলে ?
ইয়ে, ইশতিকে আনার জন্য যেনো কী কী incentive-এর কথা বলা আছে লেখায়?
এর যেকোনো একটার নমুনা দেখালেই গাড়ি চালু করছি। তেল ভরাই আছে।
লেখকের মর্জিতে লেখায় ঈষৎ পরিবর্তন আনা হলো। নামের সাথে ক্যারেক্টার ম্যাচ না করায় ইশতি চরিত্রের নাম পালটে রেনেট করা হলো, এবং রেনেটের নাম ইশতি।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
, হা হা হা, মাগার অনিকেতদা তো বউ ফেলে শালী নিয়ে উধাও হতে গিয়ে মামার সাথে মামদোবাজী করতে ব্যস্ত আছেন বলে শুনেছি আর আমার শালীতো ধুগোকে দান করেছি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তোমরা তো কেউ কারো চেয়ে কম যাওনা দেখি। কিন্তু সেইফ, ছবিটা এত বড় করে দিয়েছ কেন হে? মনিটরতো এত বড় নয়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভিডিওটা দেখে একা একাই ঘর কাঁপায়ে হাসতেছি ... উইকেন্ডে বাসায় কেউ থাকে না, নাহলে সবাই ভীড় জমাইতো কি ঘটনা দেখার জন্য
দুর্দান্ত একটা ভিডিও, সাইফ ভাই ... আপনাদের তিনজনকেই জাঝা
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ধন্যবাদ, কিংকং, আরেকটু হইলে অনিকেতদা মাইর ই দিত। উনি আসলে বুঝতে পারতেছিল না, রাগ করবে না অবাক হবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আবারো শুভ জন্মদিন অনিকেত ভাই।
ভিডিও'টা দেখে (হেসে গড়াগড়ি)
বস, আপনে তো হাইসা খালাস, অইদিকে অনিকেতদা যখন এই ভিডিও দেখবে, আমাকে ঝাড়ু না জুতা কি দিয়ে পিটাবে, কে জানে???
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কী দারুণ !
সামারা তো দেখি ফাটাফাটি কিউট বাচ্চা। অনিকেত দা'র জন্মদিনে আবারো শুভেচ্ছা, আর সামারার জন্য অনেক আদর
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বস, ফাঁকতালে মেয়ের ক্রেডিট নিতেছি নিজে , বেচারী ঘুমায় পড়বে দেখে সকালে ভিডিও করে রেখেছি, নাহলে শিশুমনে কষ্ট থেকে যাবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শুভ জন্মদিন অনিকেত দা। সামারা সোনামনিকে আদর।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বস, আদর দিয়ে দিলাম, অবশ্য আমার কোন কৃতিত্ব নেই, সব প্রজাপতি আর সামারা এর উর্বর মস্তিষ্কের ফসল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হাহাহাহাহা... সামারাকে অনেক আদর সহ অনিদাকে আবারও জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আদর পৌছায় দিবনে সকালে ঘুম থেকে উঠলে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
উদ্ধৃতি
"আনুসঙ্গিক সকল তথ্য উনার ঘিলু নামক হার্ড ড্রাইভে মজুত আছে এবং তার খুঁজে বের করতে তিনি গুগুলের চেয়েও বেশী পারদর্শী।"
-একশত ভাগ খাঁটি কথা!
শুভ জন্মদিন অনিকেত'দা। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন সারাজীবন।
সাইফ ভাই, সামারার ভিডীওটা অতিরিক্ত সুন্দর! আমরা পর পর ৬ বার দেখলাম এবং প্রতিবারই একই রকম আনন্দ পেলাম, মাশাআল্লাহ্!
ধন্যবাদ মৃত্তিকা, তোমরা আসলে পারতা, স্রিনি কেক নিয়ে আসছিল। মজা হইসে অনেক। আমরা অনিকেতদাকে রীতিমত জেরা করেছি এক ঘন্টা, আহারে বেচারা অনিকেতদা!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এক টানে লেখাটি পড়লাম। এখন কি লিখি মন্তব্যের ঘরে?
লেখা চমৎকার, যাকে নিয়ে লেখা এবং যিনি লিখেছেন তারা দুজনেই চমৎকার, ভিডিওটি খুবই ভালো লেগেছে।
এত মানুষের ভালোবাসা অর্জন করা সহজ জিনিস নয় (হিংসে লাগছে)।
আবারো বলি জন্মদিন শুভ হোক।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
জাহিদ ভাই, আসলে অনিকেতদা মানুষটা এমন যে, উনাকে নিয়ে লিখলে লেখা ভালো হবেই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অফিসে ইউটিউব ব্যান। তাই স্মিত হাসিতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। বাসায় গিয়ে গড়াগড়ি হাসি'র উইশ রইবে এনশাল্লাহ। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
আহারে, প্রক্সি দিয়ে ঢুকতে দেয় না আহারে!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমিও দশবার ভিডিওটা দেখলাম। সামারাকে নিয়ে আমার মুগ্ধতা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।
অনি ভাইয়ার জন্মদিন , সামারা নাচে তা ধিন ধিন!
শুভ জন্মদিন দাদাবাবু
বস একটা ছড়া ঝাড়েন, জমপেশ ছড়া
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পিচ্চি বড়ই সৌন্দর্য !!!
সাইফ ভাইকে ধন্যবাদ এই লেখা এবং ভিডিওটির জন্যে।
এবং... শুভ জন্মদিন অনিকেত'দা !!!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
আমাকে ধন্যবাদ না দিয়া তাড়াতাড়ি লেখা নামাও মিয়া। আরেকবার তোমার শিল্পে মুখোমুখি হই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ কে ধন্যবাদ দেবার মত স্পর্ধা আমার নেই।
আমার এই অকিঞ্চিতকর জীবনের আরো অকিঞ্চিতকর একটি দিন কে আনন্দে হাসিতে প্লাবিত করে দেবার পেছনে যে ক'টি মানুষ বিগত ক'টি দিন ধরে নানান প্ল্যান এঁটেছে---সাইফ সেই গ্রুপের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। যদিও আজ সে বার বার আমাকে বলছিল---আমাকে এইভাবে 'হেনস্থা' করার পেছনে তার কোন ভূমিকাই নেই। সব নাকি তার স্ত্রী প্রজাপতির আইডিয়া। বলাই বাহুল্য, খুব একটা বিশ্বাস যোগ্য হয়ে ওঠেনি তার এই বক্তব্য।
সাইফ আর প্রজাপতির সংসারে আমি এক নিয়মিত উৎপাত।বলা নেই কওয়া নেই---আমি তাদের বাসায় গিয়ে হাজির হই। ভাল-মন্দ কিছু খেতে ইচ্ছে হলে, কোথাও বেড়াতে যেতে হলে---শুধু মুখ ফুটে বলাটাই যথেষ্ট। বিনা বাক্য ব্যয়ে সাইফ আর প্রজাপতি রেডি। ইলিশ মাছ খেতে মন চাইছে----কিছুদিনের মধ্যে সাইফ ফোন করে জানাবে, বস চলে আসেন--ইলিশ রান্না হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে দিনে। জি-টকে সাইফকে বললাম, বস খিচুড়ি হলে যা জমত না---! ব্যস। রাতে খিচুড়ির নেমতন্ন।
ভরপেট খেয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে ভাবি---কোন পূন্যের ফলে আমি এমন সৌভাগ্যের অধিকারী হলাম কে জানে?
সাইফ ঠিক যতটা প্রগলভ, প্রজাপতি ঠিক ততটাই শান্ত,স্থিতধী।অন্তত প্রথম দুই একদিন আপনার তাই মনে হবে। পরে জানতে পারবেন---সাইফ বেচারা আসলে শুধুমুদু লাফালাফি করে ধরা খাচ্ছে। মূল 'ক্রিমিনাল' হল প্রজাপতি। সে তার অমায়িক হাসি আর আপাত শান্তশিষ্ট ভাব দেখিয়ে আপনাকে এমনি ধোঁকা খাওয়াবে---যে আপনার মনে হবে, এই মেয়ের মাথা থেকে এমন দুষ্টুমীর আইডিয়া আসতেই পারে না। কিন্তু ভ্রাতঃ ধৈর্য্য ধরুণ।একটু অপেক্ষা করলেই দেখতে পাবেন---প্রজাপতি তার ডানা মেলছে---তার পাখায় সাত রঙ্গা রামধনু লুকিয়ে আছে।মেয়েদের সাথে কথায় পেরে ওঠা এমনিতেই মুস্কিল। প্রজাপতির সাথে পেরে ওঠা শুধু মুস্কিল নয়---প্রায় অসাধ্য।প্রজাপতি রন্ধন-বিদ্যায় সাক্ষাৎ দ্রৌপদী। সামান্য সাধারণ কোন আয়োজন তার হাতে পায় অমৃতের ঠিকানা।
কিন্তু আমার কাছে সাইফদের বাসার মূল আকর্ষন চমৎকার খাওয়া-দাওয়া আর প্রাণখোলা আড্ডা নয়। মূল আকর্ষনটির নাম---সামারা। আমার সারাটা সপ্তাহ প্রচন্ড খারাপ কাটলেও একবার যদি সামারার সাথে দেখা হয়ে যায়---ব্যস, দুঃখ-কষ্ট সব উধাও। আমি যখন তাদের বাসার সিঁড়ি বেয়ে গুনগুন করতে করতে উঠতে থাকি, তখন পরিষ্কার শুনতে পাই সামারা ছুট দিয়েছে দরজার দিকে।বেল টেপার সাথে সাথে শুনতে পাবেন সে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দরজার উপর। ছোট্ট মানুষ। খুব কষ্টে দরজার হাতল নাগাল পায়। কিন্তু সেইটা তাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। যেখানেই থাকুক---আমি বেল বাজিয়েছি, সামারা ছুটতে ছুটতে এসে দরজা খুলে দিয়েছে। দরজা খুলেই আমার দিকে তাকিয়ে একটা দুষ্টুমী ভরা হাসি দেবে।আর কেউ যদি ভুল করে তার আগে দরজা খুলে ফেলে---তাহলেই সর্বনাশ! চিৎকার করে কান্না-কাটি।আমি তখন কান্না থামানোর জন্যে আবার দরজার বাইরে যাই। বেল বাজাই। শুনতে পাই সামারা দৌড়ে আসছে দরজা খুলে দিতে। দরজা খুলেই দেখবেন এক হাতে চোখ মুছতে মুছতে হাসি মুখে তাকিয়ে আছে সে।
শিশুদের সাথে আমার কেন জানি কখনোই খাতির হয় না। আমি যখন প্রথম আমেরিকা আসি--তখন আমার আস্তানা ছিল ইলিনয়তে। সেখানে এক বাংলাদেশি পরিবারের সাথে পরিচয় হয়। তাদের ছিল দুইটি সন্তান----অঙ্গন আর বর্ষণ। বর্ষণ ছোট। আমি যখন তাকে দেখি---সে তখন বছর দেড়েকের। অল্প অল্প কথা শিখেছে। আমি উঠেছি আমার বন্ধু ফক্কুলের বাসায়। দেখা গেল, ফক্কুলের সাথে তার বিরাট খাতির। এম্নিতে সে খুব মিশুক। সবার কোলেই যায়। কিন্তু ফক্কুলের জন্যে তার আলাদা টান। আমি বেশ কোমর বেঁধে লাগলাম বর্ষনের মন জয় করার জন্যে। বেশ খাতিরও করে ফেললাম। সমস্যা হল অন্য জায়গায়। কিছুতেই আমার নামটা তাকে দিয়ে বলানো গেল না। তার মা-বাবা যতই তাকে পাখি-পড়া করান, বল বাবা, তারেক ভাই----বল, তা-রে-ক ভাই, বল---
বর্ষন বেশ খানিকখন ভ্রুঁ কুঁচকে থেকে তারপরে বলত---'ফক্কুল'!
----আরে ফক্কুল না রে---বল তা-রে-ক---
----ফক্কুল !
--- তা-রে-ক ভা-ই
--ফওওওক্কুল!!
এক বরফে ঢাকা ভোরে তারা দেশের পথে রওনা দিলেন। প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে সেদিন। আমরা প্রায় সারা রাত ধরে তাদের মালামাল গুছিয়েছি, ঘর-দোর সাফ করেছি। শেষে যখন ট্যাক্সিতে তারা উঠে বসলেন---ঘড়িতে তখন বাজছে ভোর চারটা। বর্ষণ সাধারনতঃ এই সময়টা ঘুমিয়ে কাদা থাকে। আজকে নানান গোলযোগে বেচারার ঘুম হয়নি। নানান গরম কাপড়ে মোড়া বর্ষণের শুধু মুখ খানা দেখা যাচ্ছে। গাড়ি যখন চলতে শুরু করেছে। সবাই হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছি। আমার কী মনে হল---দৌড়ে গেলাম গাড়ির কাছে। ইশারায় কাঁচ নামাতে বললাম। দেখলাম বর্ষণ হাসি মুখে তাকিয়ে আছে। গাড়ি তখনও চলছে। আমি সাথে সাথে তাল মিলিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে বললাম, ভাই রে লাস্ট রিকোয়েস্ট! একবার অন্তত আমার নামটা বল---
তার মা-ও দেখলাম তাকে চেপে ধরেছেন----বল আব্বু, তা-রে-ক ভাই---বল,বল--
বর্ষণ ভুবন-ভুলানো একটা হাসি দিল। ফোকলা দাঁতের ফাক থেকে আওয়াজ এল----ফক্কুল---!!
সামারার সাথে দেখা হবার পর---আমার সেই পুরোনো ভয়টা ফিরে এল। এইটাও যদি আমার নাম না বলতে পারে। এখানে আরেক দম্পতি থাকেন----তন্ময় আর নওশীন। সামারা দিব্যি তাদের 'ত-আঙ্কেল' আর 'নু-আন্টি' বলে ডাকে।
কিন্তু আমাকে কিছুই বলে না। তার বাবা-মা তাকে বেশ ক'বার 'তারেক আঙ্কেল' ডাকানোর চেষ্টা করেছেন। কাজ হয়নি।
আশা যখন প্রায় ছেড়ে দিয়েছি এবং নিজকে প্রবোধ দিচ্ছি এই বলে যে, যাক নাম ধরে না ডাকুক। অন্তত 'ফক্কুল' বলে তো আর ডাকছে না----
তখনই এক সন্ধ্যায় সামারা পরিষ্কার গলায় বলল---'থায়েক বাই'
আনন্দে আমার চোখে পানি চলে আসল।
হোক লর্ড ক্লাইভের উচ্চারণ। হোক 'তারেক' বদলে 'থায়েক' আর 'ভাই' এর বদলে 'বাই'-----কিন্তু এই প্রথম একটা শিশু নিজের মনে ভুল উচ্চারণে আমাকে ডেকেছে---আমার এই ময়না পাখি আমাকে নাম ধরে ডেকেছে---
'থায়েক বাইইইই'
সেই থেকে আমি তার 'থায়েক বাই'। তার বাবা-মা দুয়েক বার শুধরে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার রক্তচক্ষুর সামনে সে প্রচেষ্টা আর বেশিদূর এগোয় নি। আমি যতবার শুনি ততবার বুকটা ভরে ওঠে----থায়েক বাই-----থায়েক বাই
প্রজাপতি আজ আমাকে পৃথিবীর সব চাইতে দামী উপহারটা দিয়েছে-----সামারার নিজের কন্ঠে আমার জন্যে গাওয়া জন্মদিনের গান---
বহুদিন পর----এই পৃথিবীতে জন্মানো নিয়ে আমার আফসোস করতে ইচ্ছে হল না---বহুদিন পর ক্রুগোর নায়ক কিম জুরানের মত আমারও মনে হল, 'খুব বেশি যদি খুঁতখুঁতে না হই,তাহলে স্বীকার করতেই হবে যে,বেঁচে থাকা ব্যাপারটা মোটামুটি খারাপ না!'
ধন্যবাদ সাইফ-প্রজাপতি-সামারা
ধন্যবাদ সচলায়তন----
- প্রজাপতি কাহিনী পড়লাম, এবার বল্লা, ভীমরুল নিয়ে কিছু বলুন অনিকেত'দা!
সামারা'র গলায় গানটা নিয়ে আর কী বলবো। ভোর বেলা যখন শুনলাম, ফোক করে হেসে দিয়েছি। তাকে নিয়ে অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু নাটুকে শোনাবে বলে আর সেদিকে গেলাম না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বল্লার সাথে অনিকেতদা দেখা হয়েছে, ভীমরুলের সাথে হয় নাই, এজন্যে উনি চাইলেও লিখতে পারতেসেন না, =))। নাটুকে হলেও ধুগীয় বর্ননা শোনার মজাই আলাদা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পরে আরেকটু হলে আসলেও চোখে পানি চলে আসছিল।
অনেক ধন্যবাদ এত ভালো ভালো কথা লেখার জন্য যদিও প্রজাপতির
বিষয়ে বলতে গিয়ে কবি একটু অতিরঞ্জন করে ফেলেছেন।
ওরে দুষ্টু প্রজাপতি, তোমার চোখে কী রানা ভাইয়ের মত পানি আসল নাকি আসল পানি আসল? অনিকেতদার জন্মদিন নিয়ে হাসিঠাট্টা করার জন্যে তেব্র পেতিবাদ জানাইলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই কমেন্টটা আর কারো হৃদয় আবেগে আপ্লুত হয়েছে কিনা জানিনা, তবে আমার হয়েছে, আর আমার অশ্রু লুকানোর কোন চেষ্টাই আমি করিনি। ধন্যি এই সচল পরিবার।
থায়েক বাই মহা ভাগ্যবান এক অতিমানব
আরে মামুন ভাই, বেডা মাইনষের চউক্ষে পানি আসলে চলে? তাড়াতাড়ি চক্ষু মুইছা একখান অনুগল্প দেন মিয়া, হাইসা আমরা পরিবেশ হালকা করি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
একটু বেশী হইয়া গেলনা বস? তবে আপনার কমেন্ট পড়ে আমি আবার আবেগআপ্লুত আর বাক্যহারা হয়ে গেলাম। স্পর্ধা অবশ্যই আছে, বড় ভাই হিসাবে আপনার সে অধিকার সবসময়ই ছিল এবং আছে। তবে মাইর দিতে গেলে কিন্তু আমারও ঠ্যাং আসে!!
দৌড়ায় পালায় যামু, =))
আর প্রজাপতির পাখনায় কত পদের দুষ্টামি লুকানো আছে, তা যদি মানুষ জানত, তাহলে দুষ্ট বালিকাও নিক পাল্টায় শিষ্ট বালিকা নাম নিত সত্যের এই রূপ সকলের সামনে উম্মোচন করার জন্যে অনিকেতদাকে
তবে, এইটাও অনস্বীকার্য, প্রজাপতি যদি কখনও এই রঙের বড় পুজারী আমি, আমি চাই, প্রজাপতি এমনই থাকুক আজীবন সাদাকালো দুনিয়ার বাচিয়া থাকার কী মানে?
আর সামারা এর কথা কী বলব? তার আনন্দ ফুর্তি দেখে মনে হয়েছে জন্মদিন যেন তারই ছিল, অনিকেতদার না। ছেড়ে দেয়া স্প্রিং এর মত লাফাইসে গত দুই দিন। আর মজার কথা হল যে, আমার মেয়ে খুব মা-ভক্ত, জন্মের পর প্রথম ৬ মাস আমার কাছেই আসত না, এমনকি অন্য কোন ছেলে মানুষের কাছেও না, তন্ময়ের কাছে যেতেই তার প্রায় ৩-৪ মাস লেগেছে, অথচ অনিকেতদার কাছে ছুটে গেসে প্রথম দর্শনেই, আর তারপর থেকেই নানা রকমের পাগলামী আর আব্দার।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শুভ জর্মদিন অনিকেত। জগৎ যদিউ ভ্রান্ত ধারমা, তারপরো কিন্তু আনন্দ কম না।
বাঘমামা, অনেকদিন আপনার গদ্য আইতেসে না, এইদিকে কানাঘুষা শুনলাম, হুরমুজ বিএসসে যখন মারা গেসিল, তখন নাকি তার বউ পুয়াতি আসিল? আরো শুনলাম, হের পুলাও বলে গরুর গুস্ত খাইতে খুব ভালো পায়, পামু নাকি হুরমুজের পুলার গুস্ত খাউয়ার গপ্প!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
---আহা, আহা---যা বলেছেন বাঘা দা---
অনেক ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্যে----
শুভ জন্মদিন
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
টুটুল ভাই,
অশেষ ধন্যবাদ---
ভাল থাকুন সব সময়
- হেপি বাড্ডে "টা-ই বাই"
দ্য গ্রেট সামারা, তার পিতামাতা এমনকি মাথায় ঝাঁকা নিয়ে খাড়ানো তার বাবার শ্যালিকাকেও শুভেচ্ছা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা, ঢাকায় আসেন বস, শালি দিয়া দিমু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ ধুগো, বল্লার জন্য পাত্র খোঁজা হচ্ছে। ভাল কেউ নজরে থাকলে জানাতে ভুলেন না কিন্তু।
পোস্ট এবং ভিডিও ভাল লাগলো।
ভিডিওটা বিকালেই দেখসিলাম। ফেসবুকে। এত্তো কিউট! এত্তোওওওও কিউট! মনে হলো যেন গালটা টিপে একটু আদর করে দেই। সামারা একটা অসাধারণ মেয়ে। আপনারা ওকে নিয়ে কতটা গর্বিত, ভাবতেই খুব ভালো লাগল। আর, তারেক বাই ভীষণ ভাগ্যবান যে, এমন অসামান্য জন্মদিনের উপহার পেয়েছেন উনি।
লেখাটাও দুর্দান্ত, সাইব্বাই। ইদানিং পোস্ট দিচ্ছেন না যে তেমন একটা, ব্যাপারটা কী? নিডো-রোগে আক্রান্ত নাকি?
আর বইলো না, ভালো কিছু লেখতে পারতেসি না, কিছু পয়দা হইলেই পোস্ট করব
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আবারো শুভ জন্মদিন অনিকেত দা !
আপনি ভাই বারবার জন্ম নেন। তাইলে আমরা বারবার দারুণ দারুণ লেখা ছবি ইত্যাদি পেতে থাকবো, হা হা হা !
সাইফকে একটা বিশেষ ধন্যবাদ। ছোট্টমণিটার জন্য অনেক অনেক আদর......
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা, আপনার আদর, ভালোবাসা পৌছে দিলাম সামারা মামনিকে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আবারো ধন্যবাদ রণ দা!
বিগত ক'দিন ধরে আমি যে আনন্দের স্রোতে ভাসছি---তাতে আমার মনে হচ্ছে প্রতিদিন একবার করে জন্ম নিতে!!
আর একটা সত্যি কথা কী জানেন?
এখন থেকে প্রতিটি সকালে আমি নতুন করে জন্ম নেবো---
নিরন্তর শুভেচ্ছা
দারুণ একটা পোস্ট, অসাধারণ একটা ভিডিও! এই সচল-ফ্রীক ফ্যামিলিকে সালুট। আমি প্রায় নিশ্চিত, আর কিছুদিন পর সামারাও লেখা শুরু করবে
আমি নিতান্তই ভাগ্যবান, ডেলাওয়ারে আসার পর এইসব মানুষদেরকে কাছে পাইছি ...
তারেক ভাই কে নিয়া নতুন করে বলার কিছু নাই, সাইফ ভাই পোস্টেই বলে দিছেন। তারেক ভাইয়ের সাথে অল্পদিনের পরিচয়, তবে কষ্টিপাথর কিন্তু দেখলেই চেনা যায়।
থায়েক বাইইই ... আপনি ভাল থাকুন। আরেকবার শুভ জন্মদিন।
ঐ বেটা ফাজিল, ভুং ভাং আর কতদিন চলবে, একটা লেখা দাও মিয়া। ছোট ভাই হিসাবে তোমাকে সাহায্য করাটাই স্বাভাবিক, আমরা অতিরিক্ত কিছু করি নাই। আর যেহেতু বলতেছ আমাদের প্রতি তুমি কৃতজ্ঞ, তার প্রমান স্বরূপ একখানা লেখা নামায় দিলে ব্যাপক খুশি হইতাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
থাবড়ের উপর রাখবেন একদম। দেখেন না, কিংকু-প্রহরী-ইশতি ত্রিমূর্তি মিলে সারাক্ষণ সাবধান করছি? এইটা মহা পিছলা কেস। পোস্ট হয়তো মুখস্ত সচলের, কিন্তু লেখে না। এমনে করেই পিছলায় যাওয়ার ধান্ধা করবে শুধু। দেইখা রাইখেন, তবে থাবড়ের উপর রাইখেন...
ছোট ভাই, তারপর দেশ ছেড়ে এসেছে, মাইর দিব না, লেখা না দিলে, বেকায়দা ডেটিং রত ছবি তুলে সচলে পুস্টায় দিব :)। ডেটিং না করলেও অসুবিধা নাই, ফটোশপ আছে না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ঠিক! ওর জন্য সকাল-দুপুর-বিকাল খালি থাবড়... তাইলে পোস্ট না দিয়ে যাবে কই! নাইলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওর নিডো সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়া হবে
সমস্যা হইল, পুলাতো দুধই খায় না, নিডো আটকায় কাজ হইলে তো প্রথম দিনেই সাপ্লাই বন্ধ করে দিতে হবে। আদরের ছোট ভাই, মাইর দিতে পারতেছি না, আরো কার্যকরী পন্থা বের করতে হবে। তারপর মাইন্কা চিপায় ফালায়া লেখা দেওয়াইতে হবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দুনিয়ার সবকিছুতেই ব্যালেন্সের দরকার আছে। এক জায়গায় এতগুলা লেখক/লেখিকা থাকলে হাউকাউ লেগে যাবে। নিরপেক্ষ পাঠকের মতামত থাকাটাও জরুরি। আর সচলের পোস্ট আমার মোটেও মুখস্ত না, আমি ৯৫% লেখাই পড়ি নাই। আমার জানামতে সচলে লেখকের অভাবও পড়ে নাই যে আমারে দিয়া আব্জাব লিখাইয়া সেইটা দিয়া পেইজ ভরাইতে হবে।
তবে "বন্ধু বদমাইশ" বলতে কি বুঝায় সেইটা আমি হাড়ে হাড়ে টের পাইতেছি
সচলে কমেন্ট করাটাই হইছে জীবনের বড় ভুল, কানে ধরলাম ...
মিয়া তোমার জন্যে ডেলাওয়ারের স্টাটিসটিক্স খারাপ হয়ে যাইতেসে, তুমি লেখা দিলে ডেলাওয়ারে লেখকের সংখ্যা ১০০% হয়, কাজেই টাল্টি বাল্টি বাদ দিয়া লেখা দাও, যত তর্ক করতেস লেখা দেওয়ার বিপক্ষে, এর চেয়ে কম কষ্টে লেখা বের হয়ে যাইত ৪-৫টা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাই রে, লিখতে পারলে তো বহুত আগেই লিখতাম
এটাই বোধহয় বেস্ট-কেপ্ট-সিক্রেট। কেউই কিন্তু লিখতে শিখে/জেনে লিখি না আমরা। (অধিকাংশের ক্ষেত্রে সত্য।)
আশেপাশের দুনিয়া দেখে যা মনে হয়, তা-ই লিখে ফেলো। শুরুটা সবার সেভাবেই হয়। পাঠক নিজেই তোমাকে গাইড করে নিয়ে যাবে এর পরের পথটুকু। তোমার লেখার কোন দিকটা ভালো, কী ধরনের লেখা তোমার হাতে ভালো আসে, সেগুলো পাঠক-প্রতিক্রিয়া থেকেই টের পেয়ে যাবা।
দিনলিপি দিয়েই শুরু করে দাও না! আমার প্রথম দিনগুলোর সময় কোনো ব্লগ ছিলো না। সেই কথা এখন স্মৃতিচারণ করে লিখি। কিংকু আর হিমু ভাই তো আমার দেখা সেরা দুইটা দিনলিপি সিরিজ লিখছেন। সেখানে কোনো রকম সাহিত্যগুণ কিংবা লিখতে-জানা প্রয়োজন নেই। নিজের দু'টা চোখে পৃথিবী যেমন দেখছো, তেমনটাই লেখো। জীবন নিজেই বদলাচ্ছে এখন। অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার আগে এই পরিবর্তন নিয়েই লেখো। আমরা সবাই তো বাইরে এসে কষ্ট পাওয়া নিয়ে লিখি। তুমি তো তুলনায় অনেক আরামেই আছো। মুদ্রার অন্য পিঠ নিয়েই লেখা শুরু করে দাও। [মাস্টার মশাই, এইটা কিন্তু ট্রিক-কোয়েশ্চন। এখন ঠিক-ঠাক একটা ভালো কথায় ভরা পোস্ট না দিলে সেইফ-প্রজাপতি-অনিকেত ত্রয়ী যা বুঝার বুঝে নেবেন। ]
দেশ ছাড়া
অ্যাপ্লিকেশন করার সময় ঠেকে শেখা
কালচারাল শক
খাওয়া-দাওয়া
আবহাওয়া
খেলা
সামারা
হাইস্পিড ইন্টারনেট
চুরি (ওয়্যারলেস)
পাশ করার পরের এক-দেড় বছর ধরে কাজের নামে ঠনঠন করে বেড়ানোর বদলে আরও ভালো ভাবে কাজে লাগানোর উপায়
নাও, এগুলা নিয়ে লিখেই শুরু করো।
বিঃদ্রঃ সেইফ ভাই খেয়াল রাইখেন তো কানটা শক্ত করে ধরসে, নাকি ফাঁকি মারতেসে...
ইশতি, তোমার লেখাটা পুরা গেমের ওয়াকথ্রুর মতই প্রান্জল, যে কোন নতুন লেখক লেখিকার জন্যে এই মন্তব্যটা আমি মাথায় রাখবো এখন থেকে আর কোট করে দিব প্রয়েজনমত, আর সাহান মিয়া যতই মোচড়া-মুচড়ি করুক না কেন, লেখা না দিয়ে পার পাবে না বলেই আমার বিশ্বাস, সে যে ভালো লিখে এবং লিখবে তা তার কথা শুনেই বোঝা যায়, দিনপন্জি সুপার হিট হবে কোন কারুকার্য ছাড়াই, আসলে তার মনে কিছু ক্ষোভ আছে, সম্ভবত সে কারনে সে লেখা দিতে চায় না। দেখ, রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে তাকে রাজী করাতে পার কিনা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
থ্যাংক্স ইশতি ... কি আর কমু ...
শাহান,
অনেক ধন্যবাদ রে ভাই--
এই প্রসঙ্গে এইটাও জানিয়ে রাখি--এইসব মিষ্টি কথায় চিড়ে ভিজবে না।
চটপট লেখা ছাড়ো মিয়া
আপনার মেয়েটা খুবই কিউট! অনেকবার দেখলাম ভিডিওটা। সামারাকে এবং অনেক অনেক আদর...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ধন্যবাদ, বস। আপনার আখের রস তো দেখি আর শেষ হয় না , অফুরন্ত সুরার ভান্ডআর থিকা আমারেও এক গেলাস দিবেন নাকি?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জন্মদিনের শুভেচ্ছা, অনিকেত।
ধন্যবাদ রাজর্ষি দা----
ভাল থাকুন, সব সময়---
যদিও অনেককককককক দেরি হলো, তারপরও শুভ জন্মদিন। ভালো থাকুন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
, বস, বেটার লেট দ্যান নেভার, চিন্তা কী?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ গৌতম---
শুভেচ্ছা রইল
পিচ্চিটা তো হেভি কিউট... বয়স কতো? মন মেজাজ খ্রাপাছিলো... এইটা গোটা কয়েকবার দেইখা এখন দিলখুশ...
অনেক ধন্যবাদ সাইফ ভাই
আর তারেক ভাইকে আবারো শুভ জন্মদিন...
আর এই দারুণ আইডিয়ার জন্য প্রজাপতিকে বিরাট জাঝা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজুদা, সামারা এখন সাড়ে তিন হয়েছে, যাক আপনার মন ভালো করতে পেরেছি জেনে ব্যাপক আনন্দ পাইলাম। আর অনিকেতদার জবাব থেকেই বুঝতে পারছেন এই ধনন্তরি বুদ্ধি প্রজাপতির উর্বর মস্তিষ্কের ফসল। আমি বলেছিলাম, প্রজাপতি লেখুক, আমি নিচে কমেন্টাবো, কিন্তু মাইরের ভয়ে নিজে লেখে নাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নজু ভাই, আবারো ধন্যবাদ আপনারে---
সাইফ, তারিক ভাই আর কয়দিন মাইনষের পুলাপাইন দিয়া চালাইবো, উনার জন্য কিছু ব্যবস্থা করো। তুমি দেখি ঐ গানের অবস্থায় চালাইতেছো, তুই সাইফ মাইয়া নিয়া সুখে করিস ঘর ............
তারিক ভাইরে আরো একবার হেপী বাড্ডে
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
, আসলে এখানে কী কবি মাইয়া বলতে বউ না কন্যা বুঝাইসে
উনি রাজী হইলেই আমি জাহির করব মাইয়া আর কাজী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ তানবীরা----
অনিকেত দা কে কোনদিন সামনাসামনি দেখিনাই। কোনদিন দেখা হবে কীনা সেইটাও এইমুহুর্তে বলা যাইতেসেনা। কিন্তু যে কথা বলতে সামনাসামনি হবার দরকার নাই সেটা হলো সচলে আমার অসম্ভব প্রিয় মানুষদের মধ্যে অনিকেত দা একজন।
সামারা তো একদম ছোট্ট পরী। যেন পাখা ছাড়াই পৃথিবীতে এসে ঘুরে বেড়াচ্ছে মনের আনন্দে । ভিডিওটা ব্যাপক। আমি কয়েকবার শুনে ফেল্লাম এর মধ্যে। তবে ব্রাউজার জনিত ঝামেলায় ভিডিওটা ঠিক মত দেখতে পারলাম না। পরে আবার চেষ্টা করবো। অডিওটা শুনেই আমি হাসতে হাসতে শ্যাষ। কি সুইট করে অনিকেতদার নামটা বললো!!
সবশেষে, অনিকেত দা'কে আবারো জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এত মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছেন। সার্থক জন্ম বুঝি একেই বলে!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
স্বপ্নাহত, অনিকেতদার প্রতি সামারার এ ভিডিও করতে আমাদের কিছুই করতে হয় নি, শুধু ক্যামেরা তাক করে ধরা ছাড়া, তাহলেই বুঝেন, উনি আমার মেয়ের হৃদয়ে কতখানি স্থান অধিকার করে আছেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
স্বপ্নাহত বস,
তোমার এমন দয়ার্দ্র কথাগুলো পড়ে চোখ আমার আসলেই বাষ্পাচ্ছন্ন হয়ে এল---
অনেক ধন্যবাদ--না জেনে, না দেখে এমন এক অচেনা লোককে এমন মায়াভরা কথা বলার জন্য----
মঙ্গল হোক--
অনিকেত খুবই ভাগ্যবান, সামারার মতো একজন দেবশিশুর পক্ষ থেকে এরকম একটা অসাধারণ বার্থডে গ্রিটিংস পেয়েছে। সাইফকে ধন্যবাদ। প্রজাপতিকেও।
এবং
অনিকেতের মন্তব্যটা এতোটাই জীবন্ত যে "আমার ছোট মেয়ে" শেঈষা-র কথা মনে পড়ে গেলো, অন্ধ্রপ্রদেশে চলে যাওয়া আড়াই বছর বয়েসী শেঈষা,আমার ছোট মেয়ে,যার ছবি দেখে কানাডায় আমার দিন শুরু হয়।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
এইরে, শেঈষার কথা বলতে গিয়ে অনিকেতকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেই ভুলে গেলাম! জন্মদিনে অনেক অনেক শুভকামনা অনিকেত।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটনদা, আপনার মন্তব্য আমার পোস্টে, আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না, 'শেঈষা' এর কথা জেনে খুব দু:খিত হলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
রিটন ভাই,
আমি আসলেই ভাগ্যবান----!!
যারা আমাকে কাছে থেকে জানেন-চেনেন, তারা বুঝবেন----'আমি ভাগ্যবান' এই কথাটুকু নিজের সম্পর্কে বলা আমার জন্যে কত কঠিন কাজ! এই কিছুদিন আগেও, কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতাম, আমার middle name হল 'হতভাগা'!!
সেই আমি আজ বুক ফুলিয়ে বলতে পারছি---আমি ভাগ্যবান।
আমি ভাগ্যবান--কারণ সামারার মত একটা দেবশিশু আমাকে এমন একটা অপূর্ব অভিজ্ঞতা উপহার দিয়েছে।
আমি ভাগ্যবান---কারন, আমি জীবনে কখনো ভাবিওনি এতগুলো অদেখা-অচেনা জন---আমার আপনজনদের চেয়েও আপন হবেন!
আমি ভাগ্যবান---কারণ আমি স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি---রিটিন ভাই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসবেন।
আমি আসলেই ভাগ্যবান----
ওলে বাবা খুকী কি সুইট! ভীছন মিত্তি৷
অনিকেতকে বিলম্বিত শুভ জন্মদিন৷ আপনি ঠিক আপনর মতই থাকুন সারাজীবন৷ অনেক শুভকামনা রইল৷
----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ দময়ন্তী---
নিরন্তর শুভ কামনা---
নতুন মন্তব্য করুন