অনেকদিন কিছু লিখি না, নানান রকমের ঝামেলা এসে মাথায় ভর করেছে একসাথে, প্রতিদিন ভোর ৫টায় উঠে দৌড়াতে হয় দূরে এক হাসপাতাল, ১ ঘন্টার রাস্তা উড়ে যাই যেন ৪৫ মিনিটে, আর আল্লাহ-বিল্লাহ করি, যেন মামু না ধরে। এর মাঝে সবাই অনবরত জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছেন লেখি না কেন। রোজ বাসায় ফেরার পথে ভাবি, আজ গিয়ে কিছু লেখব, কিন্তু বাসায় এসে কোনমতে দিনের প্রথম ভাত গলাধ:করণ করে মেয়ের সাথে কতক্ষণ খুটুর মুটুর করে আবার ঘুম দেই, লেখব কখন? তারমাঝে সচলে বেশ কয়েকদিনে কোমর বেধেই যেন ঝগড়া করলাম কয়েকজনের সাথে। একজন তো আবার আর এক লেখা পড়েই আমার চরিত্র বিশ্লেষণ করে ফেলল। যাক, প্রথম সুযোগেই আবার অপরের বদনাম শুরু করেছি। মানুষের ছিদ্র খুঁজতে কেন যেন ব্যাপক মজা লাগে। কোথাও কাউকে পেলেই হেঁড়ে গলায় বদনাম শুরু করে দেই। তাই ঠিক করলাম, বেহুদা মানুষের ছিদ্র অন্বেষণ না করে নিজের ছিদ্রই খুঁজি না কেন?
আমি নিজেকে খুব রসিক মনে করি, সবাইকে নানাভাবে যন্ত্রণা দিতে পারলে আমার বিটকেল দাঁত থেকে আলাজিহ্বা পর্যন্ত সবই বের হয়ে যায়, কিন্তু দেখা যায়, অন্যকেউ সেই রসিকতা করলে প্রায় সময়ই সেটা গ্রহণ করতে পারি না, গরম কড়াইয়ে পানি পড়লে যেমন ছ্যাঁত করে লাফিয়ে উঠে, আমিও যেন সেভাবেই সমালোচকের ঘাড়ে চড়ে বসি। তারপর আবার বনমানুষের মত বুকে বাড়ি দিয়ে বলি, আমার চামড়া অনেক মোটা, কারো কথায় আমার কিছু আসে যায় না!!
কাজের সুবিধার্থে ধুমধাম মিথ্যা কথা বলি, এমনকি চোখের পাতাও পড়ে না, এমন হয়েছে যে, যার সাথে চাপা মারছি, তাকে নিয়েই হয়ত চাপা মারছি, এক পর্যায়ে সেও দ্বিধান্বিত হয়ে যায়, আসলেও সত্যি নাতো? অবশ্য বেশীর ভাগ সময় তা মজা করার জন্যই করে থাকি। তবে মজা বেশী হয় যখন আমার মারা চাপা, চামের উপর বামে দিয়া লেগে যায়। একটা উদাহরণ দেই, তাহলে বুঝবেন, আমার শালীর এক দোস্তের সাথে অন্তর্জালে বকবক করছি, আজাইরা প্যাচাল পারতেছি, কথা বলতে ইচ্ছা করতেছে না, নানা ভাবে ইংগিত দেবার পরও যায় না। হঠাৎ মাথায় দুষ্টামি ভর করল, বললাম, "শুনলাম, তোমার বয়ফ্রেন্ডের বলে মাথায় সমস্যা" যেহেতু আমি জানি, ঐ মেয়ের বয়ফ্রেন্ড নেই, কাজেই আমি জানি সে হেসে উড়িয়ে দিবে, সে তো ঐদিকে মহা গম্ভীর, আর কথা বলে না, খালি একই প্রশ্ন, কে বলল আপনাকে? অমুকে বলেছে? তমুকে বলেছে? তারপর আমার শালীকে অন্তর্জালে পেতেই তাকে আক্রমন, একটু পরে আমার শালী ফোন করেছে, আপনে কি বলেছেন "____" কে, আমাকে দোষ দিচ্ছে, যেন আমি বলে দিয়েছি, ঢাকা থেকে ফোন করতেছে একটু পরপর। আমি তো হাসতে হাসতে শেষ।
নোটিস দিয়ে বাসায় হাজির হয়ে ভাত খেয়ে বের হওয়া মনে হয় আমার মহৎ গুনাবলীর মধ্যে আরেকটা, আর এই গুনের ফলাফল ভোগ করেছে আমাদের মৃত্তিকা সহ আরো অনেকেই। কেউ রাঁধতে না পারলেও মাফ নাই, অফিস থেকে গাড়ি করে তুলে নিয়ে খাবারের দোকানে গিয়ে হাজির। তারপর জিজ্ঞেস করব, কি খাবা? তারপর বিল দেবার সময়, ইয়ে মানে, আমার কাছে ক্যাশ নাই, বিলটা একটু দিতে পারবা? এমন শিকারে পরিণত হয়েছে মনে হয় সবচেয়ে বেশী অনিকেতদা।
রাঁধতে পারি না কিছুই, অথচ খাবার সময়, নাক সিঁটকিয়ে বলে ফেলব নির্লিপ্তভাবে, "এহ হে, খাবারে লবণ বেশি হয়েছে বা কম হয়েছে" অথবা, "ধুর এইটা কি কোন রান্নার জাত হল, মুখেই দিতে পারছি না", অথচ নিজে রান্না করলে ধুরুম ধারুম প্লেটে উঠিয়ে দিব, আর মুখ ফুটেও বলব না, আমি রান্না করেছি, পাছে যদি কেউ না খায়। হাবিজাবি রান্নার প্রায়ই অপচেষ্টা করতে থাকি, আর এই যন্ত্রনার শিকার হয় আমার স্ত্রী। বেচারী আগে মুখে দিত, আমার চিকেন মারসালা (মারসালা ওয়াইন দিয়ে জ্বাল দিতে হয়, ভাজি করার পর) খাবার পর থেকে পথ ভুল করেও আর এসব মুখে দেয় না। আমি যেসব জিনিষ খাই, সেগুলাই যেন দুনিয়ার সেরা খাবার, যেটা খাইনা, সেটা আমার সামনে কেউ খেলে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপে ব্যাপকভাবে নাজেহাল হতে হয়। যেমন, সেদিন কাকড়ার শেদ্ধ ঠ্যাঙ নিয়ে বসলাম, প্লায়ার দিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাচ্ছি, আর আসে পাশে বসা সবাই তটস্থ হয়ে আছে, কখন সেই পানি গিয়ে গায়ে লাগবে, অথচ আমার কোন বিকার নাই।
রান্না নিয়ে আরেকটা ঘটনা বলি, যেটা আমি খাইনা, কেউ আমাকে জোর করে খাওয়াতে পারবে না, আমার স্ত্রী আর শাশুড়ি এপর্যন্ত আমাকে খাইয়ে শান্তি পেল না, কারন উনারা যেসব পছন্দ করেন, আমি সেসব খাইনা। আমার স্ত্রী পটল আর সাজনা খায় না, এই নিয়ে কত যে কথা শুনালাম, ২-৩ বার ভুং ভাং দিয়ে খাইয়েও দিয়েছি পটল। যাক, এদিকে আমার স্ত্রী গরুর জিহ্বা খায় না, খাওয়া তো দুরের কথা, দেখলেই তার বমি পায়। তার মনে হয়, একটা গরু দাড়িয়ে হাম্বা হাম্বা করতে করতে জিহ্বা বের করেছে, আর আমি লাফিয়ে গিয়ে কামড়ে ধরেছি গরুর জিহ্বা, দুর্ভাগ্যবশত গত ৪ বছরে আমি সন্ধান পাইনি জিহ্বার, হঠাৎ সেদিন শপ-রাইট নামের এক বিপনীবিতানে গিয়ে দেখি, বিশাল বিশাল গরুর জিহ্বা। স্ত্রী সাথে যায়নি, এই সুযোগ, চুপচাপ কিনে এনে সোজা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিয়েছি। তারপর নানা কসরত করে রান্না করেছি। আমি খুব ভালো ভাবেই জানি, আমার স্ত্রী আমার অপছন্দের কিছু রান্না করতে গেলে বাসা মাথায় তুলে ফেলতাম। এজন্যে আমি আমার স্ত্রীর ধৈর্যের কাছে চিরঋণী। সেই সুযোগে আমি আবার ইদানিং তাকে সাধাসাধিও করি জিহ্বা খাবার জন্যে।
আমাকে আপন কেউ যদি কিছু বলেন, তখনই সাথে সাথে ঘাড়টা ত্যাড়া হয়ে যায়, যত ভালো কথাই বলুক না কেন! যেই বাইরের কেউ সে কথাটা বলে, তখন যেন এই শূন্য নারিকেলের খোল ভেঙ্গে শব্দ মাথায় ঢোকে, আমার প্রিয়জনেরা আমাকে হজম করেন কিভাবে, সৃষ্টিকর্তাই মনে হয় জানেন। আর তর্ক করার কথাতো বল্লামই না। কারনে অকারনে তর্ক করে আগে ব্যাপক মজা পেতাম, এখন আর পাই না। কিন্তু এসব ছিদ্রতো অতিশয় ছোট, সবচেয়ে বড় ছিদ্র হল আমার রাগ। কাথা বলতে বলতে হঠাৎ করেই রাগ উঠে যায় আমার মাঝে মাঝে, বা বেমক্কা কেউ যদি ধাক্কা দেয়, আর আমার চশমা যদি বেসামাল হয় তাতে, তাহলে কথাই নেই। কদিন আগে বাসা পাল্টালাম, বাক্স নামাচ্ছি একা একা, সিড়িতে বাক্সের গুতা লেগে চশমা পড়ে গেল, এমন রাগ উঠল যে কি বলব। নিজের সাথেই ব্যাপক খিস্তি খেউড় শুরু করলাম, পাশের বাসার মহিলা দৌড়ে চলে এসেছে, কাকে খিস্তি দিচ্ছি দেখার জন্যে। অনেক সময় খিস্তি হয়ত দেই না, কিন্তু হঠাৎ করেই মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হয়ে যায়, তখন সামনে যে থাকে, ২-১ টা বিশ্রী ধমক অন্তত জুটে।
গাড়ি চালাতে গেলে রাগ খুব একটা উঠে না, চাপ দিলে বেশির ভাগ সময় পাল্টা চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকি বা থাকার চেষ্টা করি। যারা আমার মামদোবাজি সিরিজ পড়েছেন তারা জানেন ৫নং এর ঘটনা। এরপর থেকে চাপ খেয়ে চাপ দিতে পাগল হয়ে যাই না। কিন্তু তারপরেও রাগের বহি:প্রকাশ হিসাবে গাড়ি শিকার হয়েছে বহুবার। দেশ থেকে "সুইডেন ফিরোজ" আসল ডেলাওয়ারে, ব্যাটা একটা আস্ত গাড়ল। তার গল্প নাহয় আলাদা করে লেখব। যারা বুয়েটের ছাত্র তারা মনে হয় আমাকে কাঁচা খেয়ে ফেলবেন আমার ঐ লেখার দেবার পর। যাক, তাতে কোন সমস্যা নাই। তিনি বু্যেটে বর্তমানে পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান। ইনার স্ত্রীকে আর ২ মেয়েকে নিয়ে গেলাম আমাদের শহরের মলে, তারা জানেন যে, রাতে আমাদের নিউ ইয়র্ক যেতে হবে, আমি উনাদের কতক্ষন ঘুরার পরে বললাম, আমি গাড়ি নিয়ে J C PENNY এর সামনে দাড়াচ্ছি, আপনারা ১৫ মিনিটের মাঝে চলে আসেন। আমি বাইরে গিয়ে এসে দাড়িয়ে আছি, সিকিউরিটি এসে আমাকে কয়েকবার তাড়িয়ে দিল, কিন্তু এই ভদ্রমহিলার আর কোন খবর নেই, আমি আমার স্ত্রীকে ফোন করে তাড়া দিচ্ছি, আর সে বলে, এইতো ৫ মিনিট। এভাবে ৪৫ মিনিট যখন পার হয়েছে, তারা এসে হাজির গেটে। এরপর তাদের গাড়িতে উঠিয়েই ধুন্দুমার টান, পুরা ঢাকাই ফ্যাশানে টান। তিনি নানা রকমের দোয়া দুরুদ পড়া শুরু করলেন, আমাকে কয়েকবার উপদেশ দেবারও চেষ্টা করলেন, এদিকে আমার স্ত্রী চুপ, কারন সে তো জানে, ঘটনা, খারাপ। আমি মলের পার্কিং লট থেকে ধোঁয়া উড়াতে উড়াতে ২ গাড়ির মাঝে খান দিয়ে সাই করে টান দিয়ে গিয়ে আই-৯৫ এ উঠলাম, তারা পোঁ পোঁ করে হর্ণ বাজালো, তাতে কি আমার রাগ পড়ে? আই- ৯৫ এ উঠেই একটানে ৯০ মাইল, তারপর এর ওর ফাঁক দিয়ে সাই সাই করে ওভারটেক করতে থাকলাম। বাসায় এসে যখন নেমেছি, চারদিকে টায়ার পোঁড়া গন্ধ, আর পেছনে বসে মা-মেয়ে ৩ জনের গা হাত-পা ঘেমে গিয়েছে। এরপর তারা আর আমার গাড়িতে উঠে নাই।
চলবে?
মন্তব্য
ভাল লাগল। চলুক....।
ধন্যবাদ বস, নামায় দিব আরেক ভাগ তাহলে তাড়াতাড়ি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি তো দেখি লুক্ষ্রাপ!
মজার ব্যাপার হচ্ছে যেই দোষগুলির কথা বললেন, তার অনেকগুলোই আমার মধ্যে বর্তমান, আবার আপনারই মতো নিজের এই দোষগুলোর কথা বেশিরভাগ সময় স্বীকারই করতে ইচ্ছে করে না।
চলুক!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
একটা কথা আছে না-- স্বভাব যায়না মরলে। টায়ার পোড়ানোর কথা পড়ে মনে হলো
পিপিদা, আপনার লেখাও পড়ি না, আপনার ছবিও দেখি না, এটাকি সেমিস্টার শুরুর ফলাফল? নাকি সেই সাথে আরো অনেক ব্যস্ততার ফলাফল। আর টায়ার পুরানো খুবই খারাপ কাজ, খুব বাজে গন্ধ বের হয়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
চলব কীরে? গাড়ি যেম্বে চালাস, কালামুন ঘুড়াউ অম্বে চালা।
বাঘমামা, হরিঙের গুস্ত খাইয়া অহনি ফাল দিয়া পড়তাসি, বিজ্ঞানের পিন্ডি চটকায় তারপর থামুম। তুমার দেওয়া আমলক্কি খাইয়া রোজার মাসে খালি ক্ষিদা লাগে, এমন আমলক্কি খাইতে মন্চায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পড়ে মজা পাইলাম। লেখালেখি চলুক।
ঠিকাছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাইজান, তুমার সাথে মিল পাইতেসি! মাইনষের দোষ খুঁজতে বিয়াপক মজা! সিরিজ নামাও, তাড়াতাড়ি!
---------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ওরে দুষ্ট বালিকা, সিরিজ নামাইবো তুমি লেখা দিলে তারপর। কাজেই ঝাপায় পড় কিবোর্ডে, নামায় দেয় লেখা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লজ্জা লজ্জা!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপনে কার লগে ঝগড়া করতেসেন? দেন না লিংক পড়ি!
আপনে লোকটা হাইপার, তয় ভালাই। আমাদের আইবিএতে একটা আছিলো আপনার মত। তবে সেদিক দিয়ে লেখার ক্ষেত্রে আমিও হাইপার।
লেখা চালাইতে থাকেন। আমেরিকার নানা জায়গা নিয়ে একদম 'দ্য ওয়্যার' মার্কা কিছু লেখা দেন!
সাইফ ভাইয়ের আমার মন্তব্য নিয়া কিছু কওয়ার নাই? চেতলেন নাকি? তাইলে সরি।
সচলায়তনে মাঝে মাঝে মনে হয় কিছু ক্যাম্প হইয়া যাইতেসে। বা হয়তো আমিই সেল্ফ-এক্সক্লুডেড। হু কেয়ারস?!
জিহবা খান নাকি আপনে? খাইতে কেমন?
তোমারে জবাব দিসিলাম, সেটা কেন জানি আসে নাই, সকালেই দিসিলাম, চেতি নাইরে ভাই, কামের মাঝে জবাব দিসিলাম, হয়ত, কোন কারনে জমা হয় নাই, পিছলায় গেসে। জিহ্বা খাইতে গরুর হার্টের মতই, আরেকটু নরম, তবে ব্যক্তিভিত্তিক ভালো খারাপ লাগে। যেমন সাহান খুব আগ্রহ নিয়েই খাইল, অনিকেতদা নাম শুনেই ঐদিন আমার বাসায় আসে নাই
আর তোমারে আলাদা করার প্রশ্নই উঠে না, আমাদের সবাইকে এক হইতে হবে, আমরা এখানেই যদি এক হইতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশ গড়বে কে?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সকালের জবাবটাই আবার দেই, আসলে ঝগড়া না, বেহুদা খোচাখোচি করতেসি, ত্যাড়া কথা বলতেসি, দিনের শেষে মন খারাপ লাগে, এখানে আমরা একটা পরিবার, সেখানে এসে কেন খোচাই, কি লাভ? নিজেরো মন খারাপ হয়, যারে খোচাই তারও নিশ্চয় ভালো লাগে না আমার বলা আজেবাজে কথা শুনতে। দিব রে ভাই, লেখা দিব, অনেক লেখা জমে গেছে, তুমি মিয়া ইদানিং লেখতেছ কম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আরে দুইটা উত্তর একসাথে চলে আসছে দেখি! ধুরর! ব্যাপার না। টেকনিক্যাল কারনে হাউকাউ, বুঝছি। আমি কিছুই মনে করি নাই।
ব্যাটা, আবার জিগায়----
এক্কেরে উইড়া চলবে।
প্রথমে কিছু 'বাজে' কথা (সমালোচনা পুলিশ ব্যাটন হাতে ঘোরা ফিরা করছেন-- খালি ভাল বললে ওদের আবার ভাল লাগে না)।দুইটা জিনিস।তোমার বানানের ক্ষেত্রে বিস্ময়কর রকমের উন্নতি সাধন হয়েছে। আজকের লেখায় চোখে পড়ার মত তেমন কিছু দেখলামই না। কেবল এক জায়গায় দেখলাম 'কথা' কে 'কাথা' বলেছ। হে হে হে ----
দ্বিতীয় যে জিনিসটা---সেইটা হল লেখার স্টাইল নিয়ে। তোমার একেকটা প্যারাগ্রাফে মনে হল যতিচিহ্নগুলো বেড়াতে গেছে। তুমি যদি একটা দীর্ঘ বাক্যকে ভেঙ্গে ছোট ছোট কিছু বাক্যে দিতে পার, তখন পড়তে আরাম হয়। আর তোমার জন্যেও সেটা ভাল, কারণ দীর্ঘ বাক্যের শেষে অনেক সময়েই শুরুর ভাবটা বজায় থাকেনা।
এইবার কিছু ভাল কথা।
আমার 'নতুন' স্টাইলে যদি বলি তাহলে বলতে হবে, 'অসাধারণ' পেরিয়ে পঞ্চাশ মাইল!! 'পুরোন' স্টাইলে যদি বলি, তাহলে বলতে হবে, এই লেখায় বিশ লক্ষ তারা----
অন্যের দোষ নিয়ে কথা বলতে আমাদের কোন সমস্যাই হয় না। চোখের নিমিষে আমরা প্রায় দেবকোটির একজন মানুষেরও সত্তুরটা দোষ খুঁজে এনে দিতে পারি। আমাদের সাথে আড্ডা দিতে আসলে স্বয়ং ভগবানও বেইজ্জত হয়ে বাড়ি যাবেন। সমস্যা হয়, যখন নিজেদের দিকে তাকাই। নিজেকে কেবল নিখুঁত নয়, মাঝে মাঝেই অতিমানব ভেবে ভুল হয়। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের এক লেখায় মনে হয় পড়েছিলাম, বাঙ্গালির দুইটি 'কাতরতা' রয়েছে----পরশ্রীকাতরতা আর পরস্ত্রীকাতরতা।
তোমার এই লেখাটার প্রশংসা আলাদা করে করতে হয়---কারণ তুমি আমাদের জাতিগত আচরণবিধি লঙ্ঘন করার সাহস দেখিয়েছ। সহজ ভাষায় সটান গদ্যে দোষকীর্তন করেছ, অন্য কারো নয়, নিজেরই।
স্রোতের বিপরীতে বাইতে গেলে শুধু সাহস নয়, বাহুতে জোর থাকা লাগে।
তোমার এই লেখা সেইসব 'দোষ' গুলোর বিজ্ঞাপন হয়ে রইল।
মাভৈঃ
চমৎকার মন্তব্য!
----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
, জব্বর বলেছেন বস, আমার সাথে একদিন অফিসে বসে থাকলে বুঝতে পারতেন এহেন কাতরতা আমার বেশ ভালই আছে।
বানানের অর্ধেক কৃতিত্ব আলমগীর ভাইয়ের, আর বাকী অর্ধেক আমার, এবার ঘুম চোখে নিয়েও পুনরায় পড়ে তারপর পোস্ট করেছি।
আর এমন গঠনমূলক সমালোচনা পাবো নিজের ছিদ্র ঘাটতে গিয়ে, তা কখন ও ভাবিনি। কাজেই এখন আর পেছনে ফেরবার পথ নেই, বাকি ছিদ্র গুলোও উম্মোচন করার চেষ্টা করব। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করলাম না আর, সচলে আগমন থেকে লেখায় হাতে খড়ি সবই হয়েছে আপনার জন্যে। আশা করব ভবিষ্যতে এভাবে আমাকে আপনার মত অন্যরাও উন্নতির পথে আমাকে চলতে সহায়তা করবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধুর মশাই, ভালই তো মানুষের বদনাম করা শুরু করেছিলেন, বন্ধ করলেন কেন? বদনাম ছাড়া কি এধরণের লেখা জমে? বদনাম হোল (আমারটি ছাড়া) আড্ডার ও গল্পের টক-মিষ্টি-ঝাল অংশ। তবে নিজের বদনাম করেছেন, আপাততঃ তাতেই সন্তুষ্ট! আমার ‘সদ্গুণ’ গুলোর সাথে মিলিয়ে দেখছি।
গরুর জিহ্বার ব্যাপারে আমার পরিবারের পছন্দ-অপছন্দ আপনাদের ঠিক উল্টা। তবে আপনি বহু আগে শোনা এক ফরাসী কৌতুক মনে করিয়ে দিলেন, গাল দেবেন না কেউ দয়া করে। রেস্তোঁরার পুরনো ও প্রাত্যহিক এক খদ্দেরকে নতুন এক কর্মচারী গরুর জিভের তৈরি একটি খাবার এনে দেয়াতে তিনি ক্ষেপে গিয়ে গলা উঁচিয়ে বললেন, ‘তোমাকে কি কেউ বলে দেয় নাই যে, প্রাণীর মুখের জিনিষ আমি পছন্দ করি না?’ অতঃপর কর্মচারীটি তাকে ডিমের তৈরি একটি খাবার এনে দিল।
ব্যাপক মজারু রসিকতা। সেই সাঠে মজারু মন্তব্য, আসলে এক পর্বে সব শেষ করে দিতে মন চাইল না , আপনেও সদ্গুন মেলানোর আরো সুযোগ পাবেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার নিজের বদ্গুণাবলী সুন্দর করে লিখেছেন, পড়তে বেশ লাগল। কিন্তু যারা ভুক্তভোগী তাদের জন্য সমবেদনা রইলো।
-------------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
আসলে কেবলেতো শুরু করলাম, যেমন সাড়া পাচ্ছি, মনে হয় আমার ছিদ্রান্বেষন আরো কিছুদিন চলবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা হা ---ভালই বলেছ প্রজাপতি---!!
- হুমম
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কত্তা, শইলডা বালা?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সচলায়তনে একে একে আত্নসমালোচনা শুরু হলো, ব্যাপারটা কি?
লেখা পড়তে বেশ মজা পাচ্ছি! নিজের দোষের কথা, বদঅভ্যাসের কথা জানান দেয়া খুব সাহসীকতার কাজ, তার উপর রসিকতা করে লেখা আরও কঠিন।
চলবে কিনা? আবার জিগস্!
বি দ্রঃ ইয়ে, তবে কতো পর্বে গিয়ে যে শেষ হবে...
খুক খুক খুক, ইয়ে মানে, বড়ই নাজুক প্রশ্ন করে ফেলেছ, আসলেও কত পর্ব লাগবে ঠিক জানি না, আমার তো আবার ছিদ্রের শেষ নেই চেষ্টা করব রেখে ঢেকে লেখার
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখাটা ওই গরুর জিহবা'র রান্নার মতই ভাল হইছে
হা হা হা, জিহ্বা প্রজেক্ট সফল হওয়ায় আজকে গরুর কলিজা ভুনা করার প্রজেক্ট হাতে নেবার সাহস পাইসি। দেখা যাক, কি হয়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ, নিজের ছিদ্রান্বেষন এর দুইটা দিক আছে। যারা সবল তারা ছিদ্র নিয়াই চলব, কি হইছে টাইপ মনোভাবের, যেটা তুমি ভালু।
আর একটা আছে দুর্বল টাইপ। যারা নিজের দোষ সম্বন্ধে নিজে জানে না, যতোক্ষন না অন্যে ধরিয়ে দেয়, কারন তারা দুর্বল চিত্ত। আর বারবার অন্যে দোষ ধরিয়ে দিয়ে দিয়ে তাদেরকে আরো দুর্বল চিত্ত কিংবা আত্মবিশ্বাসহীন করে ফেলে। সেটা হলাম আমি।
কাথা বাদ দিলে বাকি ঠিকাছে ঃ)। তবে কাথা = কথা একটা মজার টাইপো ঃ)
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
, তনু আপা, বেশ মজাক পাইলাম আপনার মন্তব্য দেইখা। আর আপনে ২য় দলে পড়েন বলে মনে হয় না, পড়লে আপনে এখানে লিখতেন না, ১-২ লেখার সমালোচনা পেয়েই জান হাতে নিয়া পালাইতেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মজা পাইলাম। খুবই।
ধন্যবাদ মূলোদা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ইন্টারেস্টিং লেখা তো
অফটপিক - আপনি আমাদের উর্দুভাষি গজলভাইকে
এতো চ্রম ঝাড়ি দিয়েছেন
মনটাই ভালু হয়ে গেছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মেহেরাপু, অনটপিক বা অফটপিক, যেভাবেই দেখেন না কেন, ঐ গজল দেখা মাত্র আমার মাথায় রক্ত চড়ে গিয়েছিল। খামোখা সবার পিছে লাগি, তাই ভেবেছিলাম, কিছুই বলব না, কিন্তু বেশিক্ষন থাকতে পারি নাই, যখন শুনলাম, সেই বেটা আবার নিজের পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করেছে, আন্তর্জাতিক সঙ্গীতবোদ্ধা যখন, আন্তর্জাতিক ভাষার ব্লগে গিয়ে লেখুক, এখানে পাকি-সংক্রান্ত যে কোন জিনিষের এভাবে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়ে যাব আমি, আর আশা করি অন্যদের ও অনুভুতি আমার মতই হবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই মাত্র এই কমেন্টের সূত্রধরে সাইবাইয়ের ঝাড়ি দেখে আসলাম
আমার মেজাজ অত্যাধি খারাপ না হইলে আমি কাউরে কটু কথা বলি না...ঐ অতিথি ভাইকেও বলতে গিয়া শেষ মুহুর্তে সামলায়া নিসি...জানতাম, আমি ঝাড়ি না দিলেও কেউ না কেউ দিবে...
তবে কুত্তার লেজ কখনও সোজা হয় না, সে তো জানা কথাই।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
লেখাটা পড়েছি অনেক আগেই...চমৎকার লেখা
তবে, মানুষ আপনাকে মাথাগরম, ইত্যাদি যাই বলুক না কেন, আমার কিন্তু সরাসরি কথা বলে আপনাকে লাজুক টাইপের মনে হলো
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
, আসলে প্রথম সাক্ষাতে কাউকে আসল চেহারা দেখাইনা , যখন আমার সাথে পেঁচায় যায়, তখন আস্তে আস্তে বড়শি দিয়ে খেলায় খেলায় মাছ মারার মত করে পেইন দেই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
"এর মাঝে সবাই অনবরত জিজ্ঞাসা করে যাচ্ছেন লেখি না কেন"
আপনার জনপ্রিয়তা এবং চাহিদার কথা পড়ে হিংসায় জ্বলছি।
"আমি নিজেকে খুব রসিক মনে করি"
হিংসা আরো বাড়ল।
মন্তব্য করতে গিয়ে কিছুটা আত্মবিশ্লেষন করে ফেললাম। সেই কারণে আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্য।
ফকা দা, হিংসা পরম ধর্ম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই ফকা ভাইরে আমার খুব ভাল্লাগে। উনার কমেন্ট মিস্কর্তেছিলাম এখানে।
আসলেই,
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জবর!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
সুজন ভাই, আপনার মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ছিঃ ছিঃ সাইফের এত্ত দোষ, আর আমি কিনা ভালু ভেবে বন্ধুত্ব পাতাইছিলাম! এখন তো আফসোসে হাত কামড়াই, এত্ত খ্রাপ মানুষ হয় !!
সাইফ তুমি আসলেই একটা পশ্চাদ্দেশের ছিদ্র
( লেখায় পাঁচতারা, তুমি মানুষ যতই খ্রাপ হও)
মামুন ভাই, প্রকৃত বন্ধু বইলাই সত্যি কথাটা কইলেন , তবে আর যাই করেন না কেন বস, হাত কামড়াইয়েন না, আপনে তো আর মাইকেল মধু না, হাত গেলে আপনার লেখা লিখবে কেডা?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দিব্বি পড়ছিলাম৷ কিন্তু গরুর জিভ !!
ইইইইইইইকককসসস্ ! এইটা প্রথমবার দোকানে দেখার পর থেকে কতবার ভেবেছি গরুর মত একটা সুস্বাদু প্রাণীর জিভ থাকার কি দরকার ছিল!
চলুক .
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দময়ন্তীদি, খেকজ, আসলেও ভাতের উপরে যেমন কোন খাবার নাই, মাংসের ক্ষেত্রেও গরুর উপরে কিসু নাই, তবে, জিহ্বার অবস্থান চিন্তা করলে এবং যেহেতু এটাকে বাইরে থেকে নড়তে চড়তে দেখা যায়, অস্বস্তি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার মত মস্তিস্ক বিকৃত লুকজনের আবার এমন জিনিষ কেন যেন ব্যাপক ভালো লাগে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মজার টপিক, মজার লেখা।
গরুর জিহবা আমারও অত্যধিক প্রিয়।
অফটপিকঃ শাহান তাইলে ভালোই আছে। বেচারা ডেডলাইনের চাপে অস্থির।
"Life happens while we are busy planning it"
তুমি আবার সাহানের দোস্ত, বাহ দুনিয়াটা কত ছোট , বন্ধুতে বন্ধুতে দেখি ব্যাপক মিল, এইদিকে আসলে খাওয়াবোনে গরুর জিহ্বা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বস, লেখাতো ভালো লাগলো- তয় এই লেখা আমার জন্যে ব্যাপক কুফা। দুইদুইবার কমেন্ট দিতে গিয়া কারেন্ট চইলা গেসিলো- তিন নাম্বার চেষ্টায় কমেন্ট দিলাম
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
আহারে, যাক, তাও ভালো কারেন্ট গেসে, পিসি ক্র্যাশ করে নাইকা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
'আপনি তো দেখি লুক্ষ্রাপ! '---একমত। অবশ্যি চলবে।
আবার জিগায়, তুমি আমার দোস্ত মানুষ, পুরানো বন্ধু খুজে পাবার আনন্দে নাচতে ইচ্ছা করে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
চলবে মানে! পরের অংশ কই? তাড়াতাড়ি ছাড়েন
ওরে দুষ্ট, আমার ছিদ্র এত পছন্দ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জটীল লেখা তো!! তোমার এখনকার লেখার চেয়ে মনে হচ্ছে পুরোনো লেখাগুলো বেশি ইন্টারেস্টিং। মনযোগ কমে গিয়েছে মনে হয়!
গরুর মাংস, কলিজা, ফ্যাপড়া(শুদ্ধ বাংলা?), হার্ট, এমনকি ভুড়ি পর্যন্ত আমার সাংঘাতিক পছন্দ!! খালি আমি নিজে রান্না করলে পছন্দ না
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
জটীল লেখা তো!! তোমার এখনকার লেখার চেয়ে মনে হচ্ছে পুরোনো লেখাগুলো বেশি ইন্টারেস্টিং। মনযোগ কমে গিয়েছে মনে হয়!
গরুর মাংস, কলিজা, ফ্যাপড়া(শুদ্ধ বাংলা?), হার্ট, এমনকি ভুড়ি পর্যন্ত আমার সাংঘাতিক পছন্দ!! খালি আমি নিজে রান্না করলে পছন্দ না
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
নতুন মন্তব্য করুন