জানি না, ঠিক কতটা পাপ করলে কপালে এমন যন্ত্রনা জুটে। যথারীতি মহা আনন্দে হেসে খেলে দিন চলে যাচ্ছিল আমার, ৩ তলায় থাকি আমি, ২ তলায় দিলারা আপা আর নিচ তলায় অনিকেতদা। কথায় কথায় আমরা একত্রিত হচ্ছি, আমি অখাদ্য কিছু রান্না করলেই উনাদের ডেকে ডেকে মহা আগ্রহ নিয়ে খাওয়াচ্ছি, দিলারা আপাও ভালো কিছু রান্না করলেই, নিয়ে চলে আসেন উপরে, আমরা মিলে ঝিলে খাই। এর চেয়ে সুখের দিন যেন আর হয় না। এর মাঝে হঠাৎ একদিন দিলারা আপাকে উনাদের এক পাকি প্রফেসর বিদ্যুৎ-বার্তা পাঠালেন, "তোমার দেশ থেকে একজন প্রফেসর আসছেন, তিনি বুয়েটের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান॥ তিনি আসবেন ডিসেম্বর মাসে, ২ মাসের জন্যে রিসার্চ করতে। আমি বললাম, খুবই ভালো কথা। আরো জানা গেল, তার জন্যে পাকি ব্যাটা আমার পাশের অ্যাপার্টমেন্টটাই পেয়ে গেছেন। আমি শুনে অনেক খুশি, দেশি মানুষ এসে আমার পাশের বাসায় থাকবে, এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে?
আমি আগ বাড়িয়ে বললাম, উনি কবে আসবে জানালে আমরা গিয়ে নিয়ে আসতে পারি, কিন্তু অনিকেতদা যখন জানতে পারলেন, উনার চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে এল। বুঝলাম, ঘটনা মনে হয় সিরিয়াস। তিনি বললেন, "উনি" তোমার পাশের বাসায় উঠবেন? তোমার খবর আছে। তারপর জানালেন, উনি যখন বুয়েটে এম-ফিল করেছেন, তখন এই বান্দা লেকচারার ছিল। কিন্তুর তার ঠাঁট বাটের ঠ্যালায় নাকি থাকা যেত না। শুনে তো আমার মাথা চক্কর দেওয়া শুরু হল। তারপরেও আশায় বুঁক বাধলাম, দেশি ভাই, হাজার ঝামেলা করলেও মুখ বুঁজে সহ্য করা যাবে। অনিকেতদা বলল, মিয়া ২ মাসের জন্যে অন্যখানে পালায় যাও জানে বাঁচতে চাইলে, আমি হেসে উড়িয়ে দিলাম। ভাবলাম, রসিকতা করছেন উনি আমার সাথে। ১ সপ্তাহের মাঝে জেনে গেলাম উনি আসছেন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে।
উনি জানালেন যে সপরিবারে আসছেন, সাথে ৬ টা লাগেজ থাকবে, এবং তিনি দিলারা আপাকে ধরেছিলেন বিমান বন্দর থেকে আনার জন্যে, কিন্তু পরে সেই পাকির মিনিভ্যান থাকায় সে রাজি হয়ে যায়। আমাদের আর যেতে হয় না, যেদিন উনি এসে পৌছাবেন, সেদিন প্রজাপতি আর দিলারা আপা ভাগাভাগি করে ব্যাপক পরিমানে রান্নাবান্না করল, "উনি" থাকলে অনিকেতদা আসবেন না, তাই উনাকে জানালাম না সে কথা, শুধু রান্নার বিবরণ দিয়ে ডাকলাম রাতে খেতে। রাত ৮ টার দিকে এসে হাজির হলেন 'উনি'। তার চাবি দিলারা আপা নিয়ে রেখেছিল আগে থেকেই, ফলে সে এসে সরাসরি ঢুকে গেল বাসায়। আমার স্ত্রী তাকে জানিয়ে দিয়ে আসল যে, তারা হাতমুখ ধুয়ে বিশ্রাম নিতে থাকুক, খাবার রেডি হলে আমরা তাঁকে জানাবো। এর মাঝে টেবিল রেডি করতে লাগল ২ ম্যাডাম মিলে।
এর মাঝে সবাই এসে হাজির হলেন বাসায়, দিলারা আপা, তার ৬ মাসের বাচ্চা নাড়ু, তার স্বামী মুসা ভাই, আর অনিকেতদা। তারপর "উনাকে" ডাকা হল, তিনি আসলেন, প্রথম পরিচয়ে উনাকে বেশ ভালই লাগল। অনিকেতদা যদিও উনাকে দেখেননি টাইপ ভাব করে এক কোণে বসে রইলেন। খাবার রেডি থাকায় উনার সাথে কথা বলার সুযোগ হল না, সবাই খাবার টেবিলে ঝাপিয়ে পড়লাম। খাওয়া শেষে এল উনার সাথে বাতচিত করার পালা। উনি প্রথমেই জানতে চাইলেন, কোথায় কি আছে? সহজ করে বুঝিয়ে দিলাম, কোনদিকে গেলে গ্রোসারি, কোনদিকে ইউনি। সাথে সাথে এও বললাম, শীতের মাঝে তো অনেক কষ্ট পাবেন, মাটিতে শুতে হবে, যদিও হিটিং ফ্রি। আমার স্ত্রী তাকে কাথা বালিশ, কম্বল, বদনা দিয়ে দিল। তবে কথা প্রসঙ্গে উনি জানালেন, জীবন কেটেছে তার বিদেশে বিদেশে, সুইডেন তো তার 'সেকেন্ড হোম', তাছাড়া জাপান, লন্ডন, জার্মানি তো তিনি যখন তখন যেয়ে অভ্যস্ত।
উনি প্রশ্ন আমাকে করলেন, গাড়ি কিনতে পাওয়া যায় কোথায়, আমি বুঝিয়ে বললাম, গাড়ি কিনতে চাইলে আপনার বেশ লম্বা পন্থার ভেতর দিয়ে যেতে হবে। প্রথমে লাগবে সোশ্যাল সিকিউরিটি, তারপর ঠিকানার প্রমাণ, তারপর যেতে হবে ডি-এম-ভি (ডিভিশন অফ মোটর ভেহিকেল), সেখান থেকে লাইসেন্স করে তারপর গাড়ি কিনতে হবে, এমনিতে গাড়ি কিনতে পারবেন কিন্তু চালাইতে গেলে মামু ধরবে। তারপর শ্বশুরের আতিথেয়তা গ্রহন করতে বাধ্য হবেন। শুনে তিনি বললেন, আমার তো আন্তর্জাতিক লাইসেন্স আছে, আমি বলতে বাধ্য হলাম, বাংলাদেশের ঐ জিনিষ কোন কাজের না, তারা যদি মহাজাগতিক লাইসেন্স ও দিয়ে থাকে, তাতে চিড়া ভিজবে না, আমেরিকানরা মহা বেকুব এইসব ব্যাপারে। তারপরে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনে এতদিন সুইডেনে ছিলেন, ঐখানের লাইসেন্স নাই? সেটা দেখালে গাড়ি ভাড়া করতে পারবেন। বলে, 'না, আমি তো সেখানে লাইসেন্স করি নাই'। শুনে মনে মনে কইলাম, মিয়া মুড়ি খান গিয়া, কিন্তু তার সামনে মূলা দাঁত বের করে বললাম, তাহলে তো কিছু করার নাই।
তাকে আর যা যা লাগে প্রাথমিক ভাবে, সব বুঝিয়ে দিলাম, উনি বিদায় হলে অনিকেতদা বলল, কেমন বুঝলা? দেখেছ, কিভাবে বিদেশের কথা শুনায় গেল? আমি বুঝলাম, এই বলা শেষ বলা না, আরো বহুবার শুনতে হবে এই প্যাচাল। পরের দিন দিলারা আপা তাকে নিয়ে গেল আমাদের লোকাল গ্রোসারিতে। আমিও হাঁপ ছেড়ে বাচলাম, কারন আমাকে উনার প্যাঁচাল শুনতে হয়নি বলে। তবে দিলারা আপার দেখলাম মুখ থমথম করছে, অর্থাৎ উনি চরম বিরক্ত হয়েছেন। বললেন, ব্যাটাতো মহা চাপাবাজ, সে বলে ২ মাসের রিসার্চে এসেছেন, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি, ২ মাস তো লাগে সেটআপ করতে, তবে উনি প্রফেসর মানুষ, উনার হয়ত অনেক প্রতিভা, উনি হয়ত ঠিকই সিস্টেম করে ফেলবেন। যাক, বিকালে আমাকে ডেকে পাঠালেন মেয়েকে দিয়ে, তার কিছু কাজে আমার সাহায্য লাগবে, কাল রাতে ঘুমাতে পারেন নি, আমাকে কোন বড় দোকানে নিয়ে যেতে হবে, সেখান থেকে খাট কিনতে হবে, মাটিতে শুতে পারছেন না। আমি বললাম, ঠিকাছে আপনাকে গরীবের বন্ধু ওয়ালমার্টে নিয়ে যাবো শনিবারে।
এর মাঝে অবশ্য উনার মিসেস কে নিয়ে যেতে হল আবার গ্রোসারি করতে, কারন আমি নিজেই যাচ্ছিলাম, ভদ্রতাবশত নিয়ে গেলাম উনাকে আর উনার ২ মেয়েকে। উনারা বলে কি চাল কিনেছে, সেটা মুখে দিতে পারছেন না, তাছাড়া আরো খুটিনাটি জিনিষ দরকার। আমি বললাম, কোন সমস্যা নেই, আপনাদের জানাবো, যখনই যাই না কেন। আমাদের লোকাল গ্রোসারিতে গিয়ে উনি বললেন, আমাকে একটু দেখিয়ে দেবেন, কোথায় কোনটা ঠিক খুজে পাই না। আমি আর বললাম না, আপনাদের সেকেন্ড হোম, সুইডেন, আর আমি তো সেদিনকার আসা বাঙালি। উনি সিরিয়াল কিনতে গিয়ে বললেন, আসলে সুইডেনে থাকতে আমার মেয়ে যে সিরিয়ালটা খেতো সেটা খুজতেছি, আমি অবাক হয়ে বললাম, সেটা পাবেন এমন ধারনা কিভাবে হল, একই ধরনের জিনিষ পাবেন, কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু একই ব্র্যান্ড পাবার সম্ভাবনা কম। তারপর প্রশ্ন করলাম, আপনার মনে আছে সেটা কি ধরনের সিরিয়াল ছিল? চালের না গমের না ময়দার? চিনি দেওয়া? ফাইবার কম না বেশি? উনি এমনভাবে তাকালেন যেন আমি হিব্রু ভাষায় কথা বলছি। যাক, এভাবে চাল, তেল ইত্যাদি খুজতে গিয়েও আমাকে আবার সুইডেনের গল্প শুনতে হল। নিজেকে কষে ৩ খানা কাল্পনিক চড় মারলাম উনাকে সাথে করে আনার জন্যে।
মাছ কিনতে গিয়েও সেই একই গল্প, সুইডেনে থাকতে তেনারা যে মাছ খেতেন, সেটা খুঁজতে লাগলেন, ততক্ষনে আমি চরম বিরক্ত, যাই বলি না কেন, খালি সুইডেন চলে আসে আমার সামনে। এক পর্যায়ে উনাকে বললাম, আসলে আমেরিকানরা মাছ খুব একটা খায় না, তাই এখানে খুব একটা ভ্যারাইটির মাছ পাবেন না। তবে তেলাপিয়া, স্যামন, ক্রোকার, ব্লু ফিশ, ট্রাউট, স্ন্যাপার, হোয়াইটিং, কড, চিংড়ি সহ আরো ৫-৬ পদের মাছ পাবেন এখানে। এর যেকোনটাই কিনে খেতে পারেন, কোন আজে বাজে গন্ধ নাই। তাছাড়া কাঁকড়া এবং ফিলেও আছে। কাটাকাটির ঝামেলা নাই। তিনি মুখ বাকা করে বললেন, এসব মাছ তারা খান না, সুইডেনে যে মাছটা খেতেন, সেটা এখানে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার তখন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গার অবস্থা, বললাম, আপনে ম্যানেজারের সাথে আলাপ করতে পারেন, তাদের বললে, তারা স্পেসিফিক কোন মাছ এনে দিতে পারে। সেদিন বুঝে গেলাম, সুইডেনের এই ভূত আমাকে এখন নিয়মিত দেখতে হবে।
এসে পড়ল শনিবার, উনি খাট কিনতে চেয়েছেন, নিয়ে যাব বলে কথা দিয়েছি, তাই সকালে উনাকে জানালাম তৈরি হয়ে নিতে। বের হয়ে উনাকে বললাম, খাট কিনলে তো অনেক খরচা হবে, আর ২ মাস পরে তা বিক্রি করাও আরেক ঝক্কি হয়ে দাড়াবে। তারচে এখানে আসবাব ভাড়া পাওয়া যায়, সেখানে যেয়ে দেখতে চান কিনা? তাছাড়া আরেকটা স্থান আছে সেখানে ব্যবহৃত আসবাবপত্র বিক্রি হয়, সেখানেও ঢুঁ দেওয়া যায়। উনি রাজি হয়ে গেলেন, তাকে নিয়ে গেলাম রেন্ট-এ-সেন্টারে। সেখানে গিয়ে ভাড়ার পরিমান দেখে আমি নিজেই ঘামতে শুরু করলাম। ২ মাসের জন্যে শুধু ম্যাট্রেসের ভাড়া যা চাইল, তা দেখে মনে হল, আমি আজীবন মাটিতে শুয়ে কাটিয়ে দিতে পারব। বুঝলাম, এখানে দাঁত ফোটানো আমার বা উনার কাজ না। এর মাঝে তিনি বলে ফেললেন, সুইডেনে থাকতে তার বাসায় ফার্নিচার সব সুইডেন সরকার দিয়েছিল, রাগ চেপে আমি বললাম, আপনাকে তো বলেছিলাম ফার্নিসড্ বাসা ভাড়া নিতে। যাক সেখানে থেকে গেলাম গুডউইল নামে একটা দোকানে, এখানে পুরানো জিনিষ বিক্রি হয়। সেখানে গিয়ে ম্যাট্রেস পাওয়া গেলেও তার দাম একদম কম না, ফলে রাস্তা মাপতে হল, কাজের মধ্যে উনি একটা টেবিল কিনলেন, আর একটা লেদারের জ্যাকেট কিনলেন। জ্যাকেটখানা যদি দেখতেন, বাইকারদের জ্যাকেট, শততালি দিয়ে বানানো, উনার বিশেষ পছন্দ হল জ্যাকেটটা, উনি বললেন, সুইডেনে থাকতে এমন একটা জ্যাকেট তার ছিল। আমি চোখ আকাশে তুলে বললাম, আচ্ছা। আর কি বা বলার আছে, আমি যদি ঐ জ্যাকেট পরে এখনও আমার বাপের সামনে যাই, নির্ঘাত ২ খানা চড় আমার গালে বরাদ্দ হবে। সে জ্যাকেটটা হয়ে গেল উনার জাতীয় পোশাক।
সবখানে ব্যর্থ হয়ে আমরা গেলাম ওয়ালমার্টে, উদ্দেশ্য নরম ফোম বা গদি যদি পাওয়া যায় ধরা ছোয়ার মধ্যে। সেখানে গিয়ে ৩ ইঞ্চি ফোম পাওয়া গেল, তাও এক পিস ১০০ ডলারের উপরে, সেটার মধ্যে শুলে গা ব্যাথা যে হবে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই, ফলে আমরা গেলাম হাওয়াই বিছানার খোঁজে। মোটামুটি ৯৫ ডলারের মাঝে পাওয়া গেল ২ খানা হাওয়াই বিছানা, আমি আরো কুবুদ্ধি দিলাম, ২ মাসই তো থাকবেন, ব্যবহার করেন, যাবার সময় ফেরৎ দিয়ে দিয়েন, রিটার্ন পলিসির ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললাম। তারপর অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনে সুইডেনের মানুষ, সেখানে রিটার্ন পলিসি নেই? যাক অপমান হজম করে তিনি হাওয়াই বিছানা কিনে ফেললেন, তারপর বললেন, চল, গ্রোসারি সেকশনটা একটু ঘুরি। আমি বললাম, চলেন, এদের তেলাপিয়া মাছটা কিন্তু সাধারনত ভালো হয়, তিনি ভ্রু কুচকে বললেন, না, তেলাপিয়া কোন মাছ হল নাকি, ও মাছ আমি খাইনা। আমি আর উচ্যবাচ্য করে সময় নষ্ট করলাম না। উনি কি খাবেন না খাবেন, সেটা তার ব্যক্তগত ব্যাপার। গ্রোসারি সেকশনে গিয়ে তিনি কোক কিনলেন, জানালেন সুইডেনে থাকতে খুব কোক খেতেন কিন্তু ঢাকার কোকতো খুব পানসে, গ্যাসও কম থাকে তাই আর খান না। তারপর চিপস কিনতে গিয়ে বললেন, লেস চিপস ২১.৭ সেন্ট পার আউন্স তারমানে ৩২ আউন্সে ৭ ডলার, হিসাব ঠিকই । আমি দেখলাম, সামনে বড় বড় করে লেখা আছে, ২ ব্যাগ ৭ টাকা। আমি এমনি ভোদাই, বুঝতে পারলাম না, উনি কি বললেন। পরে বুঝতে পারলাম, উনি প্রতি আউন্স হিসাব কোরে গুনে বের করেছেন, তারপর দাম ঠিকাছে, সেটা যাচাই করেছেন। আমি বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যাই, এখানে দাম ভুল থাকবে, সেটা উনি আশা করেছিলেন?
ফেরার পথে বরফ পড়া শুরু করল, বরফ দেখলে আমি খুব উত্তেজিত হয়ে যাই, অনেক ভালো লাগে হাতে গরম কফির কাপ নিয়ে বরফ পড়া দেখতে। কাজেই হুসহাস টান দিয়ে বাসায় চলে আসি। যাক, বাসায় এসে উনার হাওয়াই খাটে হাওয়া ভরে দেই। একটা তার ঘরে, অন্যটা তার ২ মেয়ের ঘরে। আর দোয়া করতে থাকি ইনার সাথে যেন আমার ছুটির আরেকটা দিন কাটাতে না হয়। কিন্তু যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধা হয়, কাজেই সন্ধার সময় তিনি তার মেয়েকে পাঠালেন, আমাকে ডাকার জন্যে, অথচ উনার দরজা থেকে উনার দরকার দুরত্ব ৮ ইঞ্চি। গরুজন মানুষ, ডেকে পাঠিয়েছেন, তাই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে হাজির হলাম, গিয়ে দেখি দিলারা আপাকেও তিনি ডেকে পাঠিয়েছেন। মনে মনে প্রমাদ গুনলাম, আবার কোন ভ্যাজালে পড়লাম। যেয়ে শুনি তিনি বলছেন, আসলে তিনি এখানে এতটা ঠান্ডা পড়বে, তিনি চিন্তা করতে পারেন নি। আমি এমনিতেই দুর্মুখ, ফট করে বলে ফেললাম, আপনে না সুইডেনের ঠান্ডা খাওয়া মানুষ। তিনি ভ্রু কুচকে তাকালেন আমার দিকে। কিন্তু কিছু বললেন না। তারপর তিনি দিলারা আপাকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা সেন্টিগ্রেড থেকে ফারেনহাইটে তাপমাত্রা পরিবর্তনের সূত্রটা যেন কি ছিল? আমার আবারো ভোদাই হবার পালা, ইনি পদার্থবিদ্যার প্রফেসর, আমার কাছে ব্যাপারটা অনেকটা জ্বর হলে কি খাব টাইপের প্রশ্ন বলে মনে হল। এতটাই বিরক্ত হলাম যে সূত্রটা ঠাস করে আমার মুখ থেকে বের হয়ে গেল।
তারপরে তিনি বললেন, আসলে তিনি আমাদের ডেকেছেন, কারন তার গল্প করার সাধ হয়েছে। গল্পে গল্পে তিনি জানালেন, বুয়েটের পদার্থবিদ্যা বিভাগ তার কঠোর সাধনার ফসল, আজগর সাহেব শুধু পলিটিকস পরে গেছেন, তিনি ছিলেন আসল ট্যালেন্ট। তিনি পি এইচ ডি করেছেন সুইডেনে, তার কাজের সম্মানে সেখানে থেকে অনেক রিসোর্স দেওয়া হয়েছে বুয়েটকে, শুধু তার জন্যে। আমি এতদিন এটুকু বুঝেচি, উনার কথায় মাথা নেড়ে যাওয়াটাই ভালো। আপনারা এখানে যারা বুয়েটের ছাত্র আছেন, তারা ভালো জানবেন। আশা করব আপনাদের কাছ থেকে সত্যমিথ্যা যাচাই এর সুযোগ মিলবে আমার এসব তথ্যের। এরপর তিনি আসল কথা পাড়লেন, তার এক বন্ধু থাকেন পেনসিলভেনিয়ার ইরি শহরে। তিনি সেখানে কিভাবে যাবেন? আমি বললাম, বাসে যেতে পারেন, গাড়িতে যেতে পারেন, ট্রেনে যেতে পারেন। উনি বললেন, উনার টিকেটটা কেটে দিতে, উনি নগদে আমাকে পয়সা দিয়ে দিবেন। আমি বাসায় গিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে আসলাম। উনাকে দাম দেখে জানালাম, ১৫ দিনে আগে টিকেট কিনলে শ'চারেকের মধ্যে টিকেট কেটে ফেলতে পারবেন ৪ জনের। তিনি বললেন, এত বেশি? আমি আরো জিজ্ঞেস করলাম, আপনি সুইডেনে থাকতে ক্রেডিট কার্ড বানান নি? আমাকে টিকেট কেটে দিতে বলছেন? তিনি বললেন না, তাকে নাকি দেওয়া হয়নি।
আরেকদিন বিকালে হঠাৎ ফোন, বরফের জন্যে তিনি আটকা পড়েছেন ডিপার্টমেন্টে, আমি কি একটু উনাকে নিয়ে আসতে পারব কিনা? আমি বললাম, অবশ্যই, এটা কোন ব্যাপারই না। যাক, ফেরার পথা উনি জানালেন, আজকে তিনি জান হাতে নিয়ে ল্যাবে কাজ করেছেন, এটা শুনে আমি ধরে নিলাম, তিনি মনে হয় ল্যাবে কারো সাঠে গ্যান্জাম বাধিয়েছেন। আসলে তা না, তিনি একটা বৈদ্যুতিক কয়েলে অ্যালয় গলিয়েছেন, সেটা নিয়ে নাকি তার রিসার্চ। মজার ব্যাপার হল, মেশিনটা আমি দেখেছি দিলারা আপার কল্যানে, সেখানে আপু গত ৭ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। পরে যখন আপুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বলেছেন, আরে ধুর, ঐ মেশিনে কাজ করার স্ট্রিক্ট সেফটি রুল আছে, সেটা ফলো করলে কোন ভয় নেই। পরে একদিন 'উনি' নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে, জাপানে বা লন্ডনে কোন ল্যাবে তিনি কাজ করেন নি, তাকে নাকি করতে দেওয়া হয়নি, শুধু গিয়েছেন, চা নাস্তা খেয়েছেন, ২-৩ মাস গেজিয়ে আবার ঢাকায় ফেরৎ গেছেন।
তিনি কাজ করে যেতে থাকেন, এর মাঝে আমার মেয়ের সাথে তার ২ মেয়ের বেশ খাতির হয়েছে, প্রায় বিকালে তারা যায় খেলার মাঠে, সেখানে গিয়ে বানরদন্ড (মাংকিবার) ধরে ঝুলাঝুলি করে, স্লিপারে পিছলা খায়, দোলনায় দোল খায়। এসব করতে গিয়ে একদিন তার ছোট মেয়ে পড়ে যায়, ফোনে আমার স্ত্রী জানায় এ ঘটনা, আমি বলি, প্রাথমিক চিকিৎসা দাও, ১ ঘন্টার মধ্যে আমি এসে পড়ব বাসায়। যেয়ে দেখি, বানরদন্ডে বাদরামি করতে গিয়ে বেচারি পরেছি আরেক বানরদন্ডে, থুতনি আর ঠোটের মাঝে খেয়েছে বাড়ি, কেটে একদম দুফাঁক। যাক, দেখেই বুঝলাম, সেলাই লাগবে, তৈরি হয়ে নিতে বললাম, বাসায় 'উনি' ছিলেন না, তাই ভাবীকেই বললাম, চলেন আমার সাথে। শিখিয়ে পড়িয়ে দিতে লাগলাম, কিভাবে কি বলে এটা ফ্রি করানো যাবে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হবার পথে দেখি 'উনি' হেলে দুলে আসছেন। ভাবীকে নামিয়ে দিয়ে উনাকে উঠিয়ে নিলাম গাড়িতে। সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলাম, কি কি বলতে হবে। আরো বুঝিয়ে দিলাম, ঘটনা আর গল্প যেন সদৃশ্য হয়, নাহলে কিন্তু চাইল্ড এবিউজের মামলায় ফেঁসে যাবেন। এখানে কোন বাচ্চা ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে গেলে এটা সাধারন নিয়মানুযায়ী করা হয়ে থাকে। তাছাড়া ঠিকমত বুঝিয়ে বলতে না পারলে বিল দেওয়া লাগবে কম করেও ৭০০-১০০০ ডলারের মধ্যে। এর মাঝে তিনি বলা শুরু করলেন, আমার তো ইন্সুরেন্স আছে, সুইডেন সরকার স্পন্সর করেছে। বলেন তো কেমনটা লাগে, যার জন্যে করি চুরি, সেই বলে চোর। তখন ইচ্ছা হয়েছিল দরজা খুলে একটা ধাক্কা মারি। যাক, সেবারে আমার কু-মন্ত্রনায় তাকে আর বিল দিতে হয় নি। আর সেলাই কাটার সময় তার মেয়ের হায়রে কান্না।
এভাবে তার দিন চলে যেতে থাকে, আর চলে যাবার সময়ও আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে। হঠাৎ করে তিনি আমাকে ডেকে পাঠান, তাকে ইরি যেতে হবে। আমি যেন টিকেট কেটে দেই। আমি বললাম, আপনার তো টিকিট ১৫ দিন আগে কাটার কথা ছিল, তিনি বললেন যে তিনি পাকিকে দিয়ে টিকেট কাটানোর কথা ভেবেছিলেন, সে বলে ডিসকাউন্ট পায় ইউনি থেকে। আমি আবার সব খুজে বের করি, গ্রে-হাউন্ডে টিকেট কাটলে রাউন্ডট্রিপ ৪৭০ ডলারে সারা যাবে ৪ জনের । তিনি বলেন, ইসমত শাহ (সেই পাকি) তাকে আরো কমে টিকিট দেখিয়েছিলেন। আমার রাগে মাথায় রক্ত উঠে যায়, আমি চিবিয়ে চিবিয়ে বলি, ঠিকাছে, মনে হয় আসলেই উনি ডিসকাউন্ট পান অনেক বেশি। কাজেই উনাকে বলি, আপনে বরং ঐ পাকির কাছে যান। পরদিন অফিসে যাবার পর আমাকে ফোন করে আমার স্ত্রী জানালো যে আমাকে টিকেট কাটতে হবে, তখন আমার মেজাজ এমন খারাপ হল যে কি বলব, শুধু বললাম, তাকে তার ইসমত শাহ এর কাছে যেতে বল। ঘটনা ছিল খুবই সহজ, ঐ মাথামোটা পাকি রাউন্ড ট্রিপের জায়গায় টিকেট কেটেছে একমুখি, ফলে টিকেটের দাম আপাত দৃষ্টিতে কম মনে হয়েছে, সে ব্যাটা শেষমেষ যাবার আগের দিন ৩৫০ ডলার দিয়ে ৪ জনের একমুখি টিকেট কিনে বসলেন, আমিও মনে মনে ভিলেনের হাসি হাসলাম, পাকির কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করলে এমনি হবে। তবে তাকে আরো ৩৫০ টাকা খরচ করে ফেরৎ আসতে হয়েছিল, আর তাতে তার সুইডেনি বুদ্ধি দেখে আমি ব্যাপক আনন্দ পেয়েছিলাম। আমাকে যতই খারাপ ভাবে না কেন আপনারা, তাতে আনার আনন্দ এক বিন্দুও কমবে না। আর আমি কি কম খাচ্চর, সে ভুল করেছে, সেটা তাকে বাস স্টেশনে যাবার পথে কম করেও ১০ বার শুনিয়েছি, লোক দেখানো হা-পিত্তেশ ও করেছি, এতগুলো টাকা!! আমি আর অনিকেতদা মনের আনন্দে খালি নাচতে বাকি রেখেছিলাম সেবার।
অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে, ২ মাসের ঘটনাতো অনেক, তাই বেছে বেছে ব্যক্তিগত আঘাত হয়ে যাবে, সেগুলো বাদ ডিয়ে বাকি ঘটনাগুলো বলতেছি। উনি বিদায় হলেন ফেব্রুয়ারি মাসে, তারপর মার্চ মাসে আমাদের বাড়িওয়ালি আমাকে ডেকে পাঠালেন, আমি যেতে পারিনি, তাই গেল আমার স্ত্রী, ষে এসে আমাকে যা বলল, শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম। আমাদের শ্রদ্ধেয় 'উনি' ২ মাসের বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ করেননি, এখন গ্যারান্টর হিসাবে কাউকে না পেয়ে বাড়িওয়ালি আমাদের ধরেছে। আমি বললাম, গিয়ে শার্লিকে (আমাদের বাড়িওয়ালি) বলতে, সে যেন মুড়ি খায়। কে বিল দিল, কে দিলনা, সেটা দেখার দায়িত্ব কি আমার নাকি? উনি যদি এরকম সুইডেনগিরি না ফুটাইতেন, তবে সত্যি আমি তার সেই বকেয়া শোধ করে নিজের দেশের দুর্নাম ঘুঁচিয়ে ফেলতাম। কিন্তু আপনারাই বলেন, সেটা কি করা ঠিক হবে? পরে শাহানের কাছে খবর পেলাম, দূর্ভাগ্যক্রমে 'উনি' নাকি তাদের পড়িয়েছেন আই-ইউ-টি তে, সেখানেও নাকি একই অবস্থা। এখানে থেকে ফিরে গিয়ে তিনি নাকি বলে বেড়াচ্ছেন, তার কাজ দেখে ইউ-ডি তাঁকে এখানে টেনিউরশিপ অফার করেছে, কারন ২ মাসে নাকি তিনি রেকর্ড পরিমান কাজ করেছেন। শাহানের প্রফেসর তাকে বলেছে, তুমি 'উনার' সাথে দেখা করতে পারো, তুমি তো ইউ-ডিতে যাচ্ছো, সেখানি নাকি তার খুব নাম আছে।
মন্তব্য
হায়রে "সুইডেন " !!! *তিথীডোর
অাপনার নিকের বানানটা কি ঠিক অাছে? অামি তো তিথি জানতাম।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কনফুসিয়াস--আমি তো আজীবনই " তিথী ", শ্রদ্ধেয়া নিঘাত তিথির সন্গে গুলিয়ে ফেলছেন না তো ? *তিথীডোর
তিথীডোর,
ঠিকাছে।
তিথি মানে জানি, কিন্তু তিথী মানে কী বলবেন কি?
অগ্রিম ধন্যবাদ।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
যতদূর জানি ; তিথি/তিথী শব্দের অর্থ একই-- A lunar day (চান্দ্র দিন ) আমি দ্বিতীয় বানানটা বেছে নিয়েছি | "আষাঢ় সজলঘন আঁধারে / ভাবি বসে দূরাশার ধেয়ানে / আমি কেন তিথীডোরে বাঁধা রে / ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে..." ধন্যবাদ !
প্রিয় তিথীডোর,
আমিই গুলিয়ে ফেলছি কিনা এই নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম, পরে নিশ্চিত হলাম। লুনার ডে-র বাংলা যেটা, সংসদ অভিধানে দেখলাম সেই শব্দটা আসলে তিথি, তিথী নয়। আপনার উদ্ধৃত অংশে যে তিথীডোর লেখা, এই নামে বুদ্ধদেব বসুর একটা বিখ্যাত উপন্যাস আছে, ওখানেও বানান দেয়া আছে তিথিডোর। তিথী শব্দটা অভিধানে কোথাও খুঁজে পেলাম না।
সম্ভবত নাম হিসেবে তিথী ঠিক আছে, যেহেতু নামের বানানে ভুল বলে কিছু নেই। আমার নিজের নামের বানানও নানা জনে নানা ভাবে লিখে। তবে আপনি যদি অর্থ খুঁজতে যান, তাহলে বলবো, শব্দটা তিথিই হবে, তিথী নয়।
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
হুমম, এক যে ছিল দেশ সুইডেন,
ছিল তার এক মহাজ্ঞানী পন্ডিত,
নাকেতে চশমা লাইগাইয়া
গাইত খালি আজাইরা গীত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ ভাই-- শ্রীকান্তের সেই নুতনদার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে....হাঃহাঃহাঃ ! *তিথীডোর
একটু দ্বিধায় পড়ে গেছি লেখাটা পড়ে। একবার মনে হচ্ছে, নামটা উহ্য থাকলে ভালো হতো, এমনটা বলি। তারপর মনে হচ্ছে, হাজার হোক, শিক্ষক মানুষ, শিরোনামটা একটু মোলায়েম করার অনুরোধ করি। আবার মনে হচ্ছে, ভুক্তভোগীর বয়ানে এই লেখাটা অনেক জোরালো। বড়বড় মানুষদের আরো সেনসিবল হওয়া উচিত, এবং তা না হলে ভুক্তভোগীদের অধিকার আছে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলার। ব্লগ আমাদের সেই সুযোগটা দেয়। তা-ও কী যেন খচখচ করছে মনের মধ্যে।
অন্যদের মন্তব্যের অপেক্ষায় আছি।
ঠিকাছে বস, ইমেইল দিতাছি, নামটা এখনি সরায় দিতেছি, শিরোনাম পাল্টায় দেবার অনুরোধ জানাইলাম। কতক্ষন লাগবে কে জানে??
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা, চিনে ফেলসি
তবে সাইব্বাই, নামটা সরায়ে দেন ... এমনিতেই আইডেন্টিফাই করা যাবে
এর নাম শুনলেই একটা ঘটনা মনে পড়ে ... ফাস্ট ইয়ারে আমাদের এক ছেলে একদিন পাঁচ মিনিট দেরি করে ক্লাসে আসছে; সে শুরু করসে ঝাড়ি ... অনেকক্ষণ ঝাড়ি টাড়ি দিয়ে লাস্টে বলে, যারা বোর্ডে স্ট্যাণ্ড করসে তাদেরকে দেখবা, তারা কত টাইমলি ক্লাসে আসে হ্যানো ত্যানো ... আমরা হাসি, কিছু কই না ...
সে ঝাড়ি বন্ধ করে আবার পড়ানো শুরু করলো, তারপর কি মনে হইলো, পড়া থামায়ে বলে, এইখানে স্ট্যাণ্ড করা কে কে আছ দাঁড়াও তো দেখি ... আমার সেই ফ্রেণ্ড সবার আগে লাফ দিয়ে খাড়ায় গেল ...
ব্যাটার চেহারাটা দেখার মত হইসিলো
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
পুরা লেখা নাম ছাড়াই লেখেচিলাম কিংকং, তারপর মনে হল, যারা বুয়েটের না, তারা নাও চিনতে পারেন, তবে হ্যাঁ কাজটা খারাপ হইসে। আসলে এই ব্যাটার কথা মনে পড়লে কিছুটা লজ্জাই লাগে, হাজার দোষের পড়েও কিন্তু বেশির ভাগ যায়গায় বাঙালিদের সুনামই বেশি। এই ব্যাটা এসে আমাদের জাতিগত দুর্নাম কামাই করে গেছেন।
শাহানের কাছে এ ব্যাটার কিছু গল্প শুনেছি, হাসতে হাসতে বেরাছেরা অবস্থা হয়ে গিয়েছিল, ভাত খাচ্ছিলাম হাসতে হাসতে বিষম খেয়ে যা তা অবস্থা আরকি। ব্যাটা ফাজিল শাহান আমাকে নাম সংক্ষেপ করার গল্পটা বলতেছিল। ফ আর ক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আনন্দ পাইলাম
আপনার লেখার হাতটা ভাল। নাম না পড়া অবধি স্যারকে অবশ্য চিনি নাই।
আলী আসগর স্যারকে ভাল লাগত, লেকচার কিছুই বুঝতাম না। হয়ত বোঝার কথাও না। তবে লোকটারে ভালো পাইতাম!
শিরোনামের বিষয়ে হিমুর সাথে সহমত।
আলী আসগর স্যার খুবই ইন্টারেস্টিং লেকচার দিতেন। মানুষটাও ভালো। পোস্টের "উনি" ১ ক্রেডিট থার্মোডাইনামিক্সের অর্ধেক পড়াইসিল আমাগো। খারাপ পড়ায় নাই, কিন্তু সুইডেন সুইডেন কইরা কানের খৈল নড়ায় দিতো।
ধন্যবাদ বস! আপনার লেখার বিশাল ফ্যান আমি। শিরোনাম, শেষ লাইন, ক্যাটেগরি পাল্টানোর অনুরোধ জানিয়ে ইমেইল দিয়েছি।
আপনাকে আবারো বাবা হবার অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আরেফীন, হিমু এবং অন্যরা, যারা ডঃ আলী আসগরের প্রাক্তন ছাত্র এবং তাঁকে পছন্দ করেন, তাদেরকে বলছি। আমাকে কি বলতে পারেন ছাত্রদের জন্য, বুয়েটের জন্য এবং পদার্থবিজ্ঞান বিষয়টার জন্য উনার অবদান কী কী? আমি এই ব্যাপারে অজ্ঞ মানুষ, আমাকে আলোকিত করুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নামটা বলা না বলায় আসলে কিছু যায় আসে না, ফা_ (নামের প্রথম অক্ষরগুলা দিয়ে একটা খ্রাপ শব্দ হয়)'রে চিনতে খুব একটা ভুল হওয়ার কথা না।
উনার এই ব্যাপক সুইডেনপ্রীতি কি কোনও ধরণের ইনসিকিউরিটি থেকে আসছে নাকি সেটাই বোঝার চেষ্টা করছি। মনে উনি যে ফব ( ফ্রেশ অফ দা বোট) না, সেটাই সবাইকে বোঝানোর জন্য হয়ত।
আরে বস, কইয়েন না, এই ব্যাটা ২ মাস আমার পাশের বাসায় ছিল, তাতেই আমার জান লইয়া টানাটানি, বুয়েটে যারা পড়তে আসে, তাদের কথা ভেবে আমার কষ্ট হয়। বুয়েটে আর ঢাকা মেডিকেলে আসে সারা বাংলাদেশ থেকে ছেঁকে তোলা প্রতিভাগুলো, তাদের তদারকির ভার যদি দেওয়া এমন লোকজনের হাতে, তাহলে আমি সমূহ বিপদের সম্ভাবনা দেখি।
আর তার সব কথা হয় শেষ হইত সুইডেন, নাহলে শুরু হত সুইডেন দিয়ে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
<সুইডেন>
হিজিবিজিবিজিবিজি
<'/সুইডেন>
আমরা ডাকতাম সুইডেন আস্লাম।
উপযুক্ত নাম, কোন সন্দেহ নেই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ মডুদাদা !!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ,
হে হে নাম সরাইলেও চিন্যা গেছি। এই চিজের বর্ণনা শুইনাই বুইঝা গেছি। আমরা হেরে ফ??ক (FAK) ডাকতাম। আচ্ছা তোমারে হের পিএইচডির এক্সপেরিমেন্টের কথা কয়নাই বা স্লাইড দেখায়নাই ?? আমাগো ক্লাসে খালি হেই গপ্পই করতো।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আরে জাহিদ ভাই যে, না স্লাইড দেখায় নাই, তবে একবার বলার চেষ্টা করেছিল, আমি খালি কথা ঘুরায় বার বার তাকে দিকভ্রান্ত করে দিতাম
ধন্যবাদ বস, আমি একাই ভুক্তভোগী না জানতে পেরে ভালো লাগছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি সন্দেহ কর্তেসিলাম যে এইটা ফাক হবে- এখন শিউর হইলাম। ইনার বাসা মনে হয় আমার আশেপাশেই- বেশ কয়েকবার রাস্তায় দেখসি...।
১-১ এ আমাদের ফিসিক্স কোর্সটা উনি নিসিলেন। উনি প্রচুর কথা বললেও আমরা কিছহুই বুঝতাম না- কারণ প্রতিনিয়ত টপিক পাল্টাইতো তাঁর। প্রশ্ন অবশ্য বাঁধাই ছিলো, 'কমন' পড়তো। এই জন্যে পোলাপাইন আর তারে পচায় নাই- ভুইলা গেসে...।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
সাইফব্বাই সবেতো শুরু হইছে, বিদেশে থাকো, এমন অনেক নমুনা দেখতে পাইবা
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তনু আফারে এইখানে দএইখা খুব ভালো লাগল। হ, নমুনা এমনিতেও কম দেখতেছি না, ইনার কঠা এখানে লেখলাম, কারন মোটামুটি সবাই সচলে ইনাকে চিনতে পারবেন বলে . আসলেই একখান বান্দা আইসিল দুনিয়াতে, অনিকেতদার ভাষায়, "ওয়ান পিস মেড, কারিগর ডেড"
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বহুদিন পরে তোমার লেখা পড়লাম। আরো বেশী বেশী লেখ না কেন? লেখা পড়ে অবাক হইনি তেমন। এরকম মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়।
কি আর করবা। বিদ্যুত বিলটা কয়েকজনে মিলে সম্ভব হলে চাঁদা তুলে দিয়ে দাও। দেশের দূর্নাম হবে, ওনার লজ্জা তাতে বাড়বে না।
বি.দ্র. আমার এখানে আসার আগে তোমার থেকে মুচলেকা নিব যাতে তুমি আমারে নিয়া এরকম কিছু না লেখ
পিপিদা, আমি মানুষটা খ্রাপ, কিন্তু এত খ্রাপ না যে আপনার বাসায় এসে আপনার দুর্নাম করব , আপনার রসিকতার জবাব রসিকতাতেই দিলাম। আসলে কিন্তু আমারে বাসায় ঢুকতে দিলে আমি লিস্টে করে রাখব, আপনে কি কি করসেন, আর কি কি করেন নাই , হিহ হিহ হিহ। তারপরে ফেরার পথে প্রজাপতিকে গাড়ি চালাইতে দিয়ে লেখতে বসব, পাছে যদি ভুলে যাই
তবে, পিপিদা, আমার হিসাবে সম্মান অর্জন করে নিতে হয়, উনি সেটা পারেন নাই, এমন মানুষের সাথেও আমার পরিচয় হয়েছে যা চুলের গোড়াতেও ১ কোটি শয়তান বাস করে, কিন্তু ব্যক্তিত্ব আছে, তাদের নিয়ে কিন্তু লেখি নাই . কাজেই আপনার কোন ভয় নাই। আসলে ফাউ ফাউ উইন্ডজর ঘুরার পায়তারা কশতেছি কিনা, তাই এত কথা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দারুন মজা পেলাম কাহিনীটা আবার শুনে!
ভাগ্যিস, আমি আপনাদের নিকট প্রতিবেশী ছিলামনা
খুব দুরেও ছিলা না, ভাগ্যিস উনি কনোভারে বাসা পান নাই, নাহলে এই লেখাটা তুমি লেখতা আমার বদলে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা হা ...
আমি লাইব্রেরীতে বইসাও দাঁত কেলানো বন্ধ করতে পারতেছি না; আশপাশের লোকজন তাকায় তাকায় ভাবতেছে এই পোলার সমস্যা কি?
চরম লিখছেন সাইফ ভাই
আমি ইউ.ডি. তে আসার আগে দিয়া দেশে আমার ডিপার্টমেন্টের হেড আমারে কইল তুমি এক কাজ কর, তুমি 'উনা'র সাথে কথা বল, উনি মাত্র ইউ.ডি. থেকে কাজ করে ফিরছেন। ডেলাওয়ারে থাকা-টাকা'র ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবেন। আমিও যেই আইলসা, 'উনা'র সাথে মাঝে মাঝেই দেখা হয় আইইউটিতে, তারপরও কথা বলব বলব করেও আর বলা হয় নাই। এরপর তো চলেই আসলাম ডেলাওয়ারে।
আসার পরে বুঝলাম ভাগ্য ভাল 'উনা'র সাথে কথা বলে আসি নাই ... 'উনি' নিশ্চয়ই আমারে সাইফ ভাইয়ের নাম্বার দিত- বলত গিয়া এর সাথে যোগাযোগ করবা। আমি যদি 'উনা'র রেফারেন্স দিয়া সাইফ ভাইয়ের সাথে কথা বলতাম আসার আগে, তাইলে কি হইত সেইটাই চিন্তা করতেছি
মানুষকে আপন করে নেবার যে অসাধারন গুনটা তোমার আছে, সেটার কথা নাহয় বাদই দিলাম, প্রথমদিন থেকেই সামারা তোমার ভক্ত হয়ে গেছে, তুমি এমন ১০ জন "উনি" এর কাছ থেকে রেফারেন্স নিয়ে আসলেও ঠিকই ভালো বন্ধু হয়ে যেতে, হয়ত ১ দিনের জায়গায় হ্যত ১ মাস লাগত। তাছাড়া মেনর মিলের ব্যাপারটাও আছে, সেই সাথে গান শোনার মিল, খেলাধুলায় আগ্রহ, মানসিকতা এসব মিলে তুমি হইলা অসাধারন, তোমার সাঠে পরিচিত হতে পেরে আমি যার পর নাই আহ্লাদিত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হায় হায় রে বস! দিয়েছ তো হাটে হাড়ি ভেঙ্গে!!!
আমার বুয়েটে এমফিলের সময়টা এই লোকটার কারণে বেশ মজায় কেটেছিল।তখন ভদ্রলোক মাত্র সুইডেন থেকে ফিরেছেন। সুইডেনের অভিজ্ঞতা আর নব্যলব্ধ পি এইচ ডি বেল্টে চড়িয়ে তিনি বেশ গুরুতর আকার ধারণ করেছিলেন। তার কথা বার্তার এতই 'ওজন' যে আশেপাশের স্থান-কালে একটা সূক্ষ্ম বক্রতা দেখা দিত(আইন্সটাইনের জেনারেল থিউরী অব রিলেটিভিটি স্মর্তব্য)। সমস্যা হল সেই বক্রতা কেবল আমাদের উপহাসকেই আকর্ষন করত---শ্রদ্ধাকে নয়।
আমার সুপারভাইজার ছিলেন ডঃ আলী আসগর।
অত্যন্ত ভাল একজন মানুষ। সাদাসিধা মানুষ। সবসময়ে হাসি হাসি মুখ।
এমফিলের সময় তার বাড়িতে কাজ নিয়ে গেছি অনেকবার। সারাটা বসার ঘরে বই আর বই!! দেখলেই মন ভাল হয়ে যেত। আমি এত জ্বালাতাম, স্যারকে কখনো রুষ্ট হতে দেখিনি। সেই আলী আসগর স্যারের সাথে এই সুইডেন ফেরত লোকটার কথাবার্তার নমুনা দেখলে মাথায় আগুন ধরে যেত। স্যার কে বলতাম---আপনি কেন ঐ লোককে এত পাত্তা দেন? জবাবে স্যার শুধু প্রশ্রয়ের হাসি হাসতেন।
লেখাটা সুইডেন ফ- কে নিয়ে। কিন্তু মনে স্মৃতি ভীড় করল আলী আসগর স্যারের। মনে আছে, স্যার একদিন বলেছিলেন--পাকিদের মধ্যে সবচাইতে ভাল যে লোক-সে হল হাড়ে হাড়ে বজ্জাত, বাকিগুলোর কথা আর নাই বললাম!!!
সেদিন থেকে স্যারকে আমি মাথায় করে রেখেছি!!
ধন্যবাদ, সাইফ বস, লেখাটার জন্যে।
সুইডেন ফ- এর সুত্র ধরে আমার একজন প্রিয়তম মানুষের কথা মনে পড়িয়ে দেবার জন্যে এক তারায় ছাওয়া রাত উপহার দিলাম!!!!
কী খাইসেন কন্দেখি ? কমেন্ট পুরাই ০.৪৫ ম্যাগনাম!
বিনা অনুমতিতে আপনার আর দিলারা আপার নাম ব্যবহারের জন্যে আগেভাগে মাফ চাইয়া লই। তবে হ্যাঁ হাটে হাড়ি আমি না ভাঙ্গলে অন্যকেউ না কেউ একদিন ভাঙ্গত ঠিকই। কাহাতক সহ্য করা যায়। তবে, আমার নিজের মেডিকেলের স্যারদএর কীর্তিকলাপ নিয়ে সিরিজ লেখার ইচ্ছা আছে, দুনিয়াতে কত পদের চিড়িয়া আছে, না দেখলে বুঝা যায় না। আর "উনার" বক্রতার কথা কি বলব, তাকে নিয়ে ১০ পর্বের সিরিজ লেখা কোন ব্যাপারই না, তাছাড়া রতনে রতন চিনে, কাজেই তার পরিবারের গল্পও পুরা সেরকম, কিন্তু সেগুলা শেয়ার করতে চাই না ভরা মজলিশে। তবে কখনও যদি দেখি সচলের কারো 'এনকাউন্টার' হয়েছে উনার পরিবারের সাথে, তখন লেখতে বাধ্য হব। কাজেই ব্যাচেলর ভাইজানেরা উনার পরিবারের সদস্যদের হইতেও সাবধান
আর ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে এই লেখা পড়ার জন্যে, আপনে মোটামুটি সব ঘটনাই জানতেন, এটা আপনার জন্যে কিছুটা মেটালিকার গ্যারাজ ডে'স রিভিজিটেড ধরে নিতে পারেন। আসলে এই লেখাটা হয়ত লেখা হত না, একটা কারন আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে সেটা হল, তার নিজের গুরুজনদের প্রতি কোন সম্মান নেই মনে, তাকে আমি বাইরের মানুষ হয়ে সম্মান করি কিভাবে?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সুইডেন যে ওনাকে নোবেল ধরিয়ে দেয়নি সেটা নিয়ে আক্ষেপ করেন না? নাকি সেটাও সেধেছিল, উনি নেননি?
নোবেল পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন অতিথি হিসেবে। ঐটা নিয়ে প্রচুর শুন্তে হইসিল।
প্রফেসর ইউনুসের সাঠে গোপন যোগাযোগ ছিল নাকি? এইখানে ডাক পাইল কি ভাবে? নাকি গেটের মুখে ব্যানার নিয়ে দাড়ানোর ডাক পাইছিলেন কিন্তু বুঝতে পারেন নাই? স্কুলে থাকতে রাজশাহীতে বড় কেউ আসলে আমাদের কাঙালের মত রাস্তায় নিয়ে দাড় করায় দেওয়া হত ছোট একটা পতাকা হাতে, সারাদিন রোদের মাঝে দাড়ায় থেকে পা ব্যাথা হত আর ঘিলু গলে হাটুতে নেমে আসত। আমি জানি না, আমাদের দেশে এইভাবে শিশু কিশোরদের অত্যাচার করার বুদ্ধিটা কোন উর্বর মস্তিষ্কের চিন্তা প্রসূত।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
উনি মহাজ্ঞানি, নোবেল নিলে উনার অবমাননা হবে , বুঝেন নাই ব্যাপারটা, একটা উদাহরণ দেই, তাহলে পরিষ্কার হবে। ধরেন বুয়েট থেকে গোল্ড মেডেল পাইলেন, পুরষ্কার দিবে কে? খালেদা জিয়া? অথবা শেখ হাসিনা! ২ জনেরই অফিসিয়ালি অনেক ডিগ্রি আছে, কিন্তু অফিসিয়ালি খালেদা ৮ পাস, আর হাসিনা ইন্টারপাস, বি এ পরীক্ষাই দেয় নাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনাকে ভালই ট্রাবল দিয়েছে দেখা যায়, তবে আমরা পড়ে ব্যাপক অানন্দ পেলাম।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কনফু বস, ব্যাটা মহা ভ্যাজাইলা। আগামীতে উনি অসি গেলে আপনার নাম ঠিকানা পৌছায় দিবনে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- নামও দেখি নাই, কামও অবলোকন করি নাই। বুয়েটিয়ানগো লাইগা পরান কান্তাছে। অরে আমার ছালেকামালেকারা তোরা কী এক আদমের পাল্লায় পইড়া ৫টা বছর কাবার করলি রে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ বস, আমারো মন প্রাণ কান্দে এগো লাইগা, আমি ২ মাসেই কাহিল, ৫ বছর সহ্য করতে হইলে আমি গেঞ্জি ছাপাইতাম, উনার নামের আদ্যাক্ষর দিয়া, তারপর সেইটা পইড়া ক্লাসে যাইতাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ হিমু দা । আপনার কথায় নিশ্চিত হলাম এটা FAK .
এমন অভিজ্ঞতা আমারও আছে জাহাঙ্গীরনগরের এক অধ্যাপককে নিয়ে। ভদ্রলোক তিন মাসের জন্য ফেলো হিসেবে আম্রিকা এসেছিলেন। তিন মাসে শহরের সব বাংলাদেশীকে অস্থির করে ফেলেছিলেন। প্রথমে সবাই তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলেও পরে অবস্থা এমন হয়েছিল যে কোথাও তাকে দেখা গেলেই সবাই উলটো দিকে হাঁটা দিতো। আর ফোনের ব্যাপারেও আছে মজার ঘটনা। তখন ২১ শে ফেব্রুয়ারীর এক অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সবাই এক জায়গায় কাজ করছিলাম। এমন সময় এক জুনিয়র ছেলের সেলে একটা ফোন আসলো। সে ফোন উঁচু করে সবাইকে দেখালো স্ক্রিনে লেখা আছে- 'ডু নট পিক আপ'। আমরা জিজ্ঞেস করলাম- এটা কার ফোন? জানলাম সেই অধ্যাপকের। তারপর থেকে আমরাও তার নাম্বার ফোনে 'ডু নট পিক আপ' হিসেবে এন্ট্রি করলাম অধ্যাপকের কাণ্ডকীর্তি নিয়ে বিস্তারিত আলাপে গেলাম না। তবে চিন্তা করে দেখুন, বাংলাদেশের একজন অধ্যাপক মাত্র তিন মাসের জন্য বিদেশে এসেছেন; কতটা অসহনীয় হলে নিজ দেশের লোকজন সবাই তাকে এড়িয়ে চলতে পারে। এই লোককে দেখার আগে আমার 'ফুলব্রাইট স্কলারশিপের' উপর একটা আস্থা ছিলো। কিন্তু এই ছাগুও যদি ফুলব্রাইট স্কলার হয়, তবে মোড়ের মুদি দোকানদারও একজন স্কলার। তখনই আসলে জানতে পারলাম দেশ থেকে সাধারণত পলিটিক্যালি ব্যাকিং লোকজনরাই এইসব স্কলারশিপ পায়। পার্টির চামচামি করে এই লোক বোধহয় দেশে ভিসি-টিসিও হয়ে গেছে। হা লজ্জা।
বলেন কি? ফুলব্রাইটেও এসব হয়?
তানভীর ভাই, জটিল বলেছেন। ইনিও আরো বেশিদিন থাকলে একই অবস্থা হত বলেই মনে হয়। তবে ফোনের ট্যাগটা খুব ভালো লাগল, আগামীতে উনি ফেরত আসলে এই কাজ করবনে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি ভালই লিখছেন। সুইডেন আসলামের নাম শুনেছিলাম এখন একজন
সুইডেন বুয়েট শিক্ষকের কথা জানলাম।
আর একটা কথা।পারসোনালি নিয়েন না। ওয়ালমার্ট আর গুড উইলের লিঙ্ক না দিলে ও চলত।
শুভাশীষ দাশ
ধন্যবাদ, সচলের সবাই তো আমেরিকায় থাকেন না, তার আকিভাবে বুঝবেন, কার কথা বলছি, এজন্যেই লিংকগুলা দেয়া। সম্পূর্নতার একটা ব্যাপার আমি ধরে রাখতে চেষ্টা করি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এক্কেরে সহমত!
একদিন 'সেইরকম' একটা ডেনিমের জ্যাকেট পড়ে অফ ডিউটিতে আড্ডাবাজি করতে গিয়া বাঘের সামনে পড়সিলাম ...কে জানতো নয়টার সময়ও উনি স্কয়ারের বেইসমেন্টে ঘুরাঘুরি করেন? তারপর থেকে দেখা হইলেই আমারে উনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেন- কাপড়চোপড় জুতামোজা ঠিক আছে কি না!
লেখায় (এইটা আজকাই শিখলাম)
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হা হা হা, আহারে বেচারা ওডিন, পড়স গিয়া বাঘের সামনে। মিয়া, এখনও আমার কাপড় চোপড় ঠিক না থাকলে যে ঝাড়ি দেয়, আত্মা কাইপা যায়।
http://www.sachalayatan.com/zahid_hossain/25091
http://www.sachalayatan.com/zahid_hossain/25090
http://www.sachalayatan.com/zahid_hossain/25089
http://www.sachalayatan.com/zahid_hossain/25087
এই লেখা চারটা পড়, জাহিদ ভাইয়ের লেখা, এমন বাঘ আমাদের দেশে এক্কেবারে কম না। খুবই হৃদয় ছোঁয়া লেখা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ ভাই,
আপনার লেখা পড়ে খুবই মজা পেলাম। আহা রে, কি ঝামেলাই না দিসে ঐ লোক আপনাদের। আচ্ছা, সে সুইডেনে কি করেছেঃ লাইসেন্স নাই, ক্রেডিট কার্ড নাই?
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
একই প্রশ্ন আমারো ছিল আপু। বিদেশে গেলে মানুষ প্রথমে লাইসেন্স আর ক্রেডিট কার্ডটাতো করবে, আরো আছে, উনা বড় মেয়ে হয়েছে সুইডেনে, সুইডেন তার সেকেন্ড হোম অথচ না উনি সুইডিশ পারে, না উনার মেয়ের আছে সুইডেনের নাগরিকত্ব। আমার দুই মামা শ্বশুর আছে সুইডেনে (২ জনেই আমার থেকে বয়সে ছোট) প্রথমে গিয়েই সুইডিশ শিখেছে। আসলে উনার গল্প গুলায় বিশাল বিশাল ফাঁক, এত বড় ফাঁক যে আমাদের শাহেনশাহ বসও সেখানে দিয়ে পড়ে যাবেন গর্তে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
উনার পদার্থ ক্লাস আমরাও করছিলাম প্রথম সেমিস্টারে। সুইডেন সুইডেন করতেন তবে আপনার লেখায় যেভাবে তুলে ধরলেন আমার সেরকম মনে হয় নি। তবে ক্লাসে নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস থাকার কারনে হয়তো ওগুলো মিস করে ফেলছিলাম।
আর আমাদের ব্যাচ উনারে মুটামুটি ভাৈ পায়। আমরা পরীক্ষায় বালছাল লেইখা আইলেও কেন জানি A+ ঠি্কই পায়া যাইতাম।
/
ভণ্ড_মানব
হে হে হে, ঘুমের কথাটা ভালু কইসেন, আমার কেসও তাই, বাড়িত বইয়া সারাদিন গেম খেলতাম, আর যে সব বেক্কলে ক্লাস খারাপ লইত সেই ক্লাস গুলায় নাক ডাকায় ঘুমাইতাম। আর আপনার কপাল ভালো বইলা পার পাইয়া গেছেন, উনার বক্রোক্তিগুলা এখনো মনে আছে, আমার তো মনে হইসে পারলে তিনি সবার গেলে চিপে ধরতেন। কখনও উনাকে বুয়েট নিয়ে ভালো কিছু বলতে শুনি নাই, উনার এক কথা, এখানে দলাদলি, চামচাবাজি ইত্যাদি ইত্যাদি আরো কত কথা। আসলে নিজে ভালো কিসু করতেন না, অন্যেরা ভালো কিছু করলে সম্ভবত উনার গা জ্বালা করত।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাই,আমারে যে ল্যাব ভাইবাতে কি জিগাইসিল,আল্লাহ মালুম।আমারে আবার কলেজ নিয়া খোঁটা ও দিসে।খালি পাশ করার লিগা তারে কোন কথা কই নাই।সে যে আসলেই একটা জিনিস ছিল,এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ না।এখনও তারে দেখলে ৩ হাত দূর দিয়া যাই,সালাম ও দেয়া হয় না(যদিও ছোটবেলা থেকেই সালাম দেয়ার ব্যাপারে আমার কিছু সমস্যা আছে)।কে জানে কখন জেনারেল আর স্পেশাল থিওরি শুরু কইরা দেয়...............
কেউ_না
চ্রম হইসে ভাইয়া! মজাইসি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আসল মজার কথা গুলাতো কইতাম পারি নাই, ওগুলা কইলে খুব বেশি ব্যক্তিগত কথা বলা হয়ে যায়। কাজেই নাই মামা বাদ ডিয়া কানা মামা নিয়াই মজা লুটে নাও
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আসল মজার কথা গুলাতো কইতাম পারি নাই, ওগুলা কইলে খুব বেশি ব্যক্তিগত কথা বলা হয়ে যায়। কাজেই নাই মামা বাদ দিয়া কানা মামা নিয়াই মজা লুটে নাও
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
FAK তো কঠিন পেইনবাজ লোক। ছাত্র থাকার সময় ওনার ক্লাসে কিছুই বুঝতাম না। এই চুম্বক পড়ায় পরক্ষণেই আবার তড়িত। উল্টা পালটা অবস্থা। শিক্ষক হওয়ার পর দেখলাম সে মার্কশীট ও ঠিক মতন করতে পারে না। হাজার হাজার ভুল।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আরে রেশনুভা ভাই, আপনাদের তার সাথে কাজ করতে হয়েছে সেটা জেনে আমি যার পর নাই ব্যথিত হয়েছি বারবার। শাহানের কাছে প্রায়ই শুনি এই ইয়াকুবের গল্প। বিশেষ করে তার ট্রেনের কারনে দেরী করে ক্লাস নিতে আসার গল্পটা। যখনই মনে পড়ে যায়, তখনই ভ্যাক ভ্যাক করে হাসি।
আর হ্যা, প্রকৃত রেশনুভার জন্যে রইল অফুরন্ত ভালোবাসা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হয়ত পৌঁছে দিতে পারব কোন একদিন। অবশ্যই পারব, তাই না?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ফ এর ক্লাস করে সবচেয়ে যেইটা এঞ্জয় করছি তা হইল- উনি একটা সফটওয়ার এ রোল নাম্বার র্যান্ডমলি জেনারেট করে মার্ক দিতেন। আমি এইটায় ব্যাপক সুবিধা পাইছি
স্পার্টাকাস
হা হা হা, ভালু কইসেন। আপনার কথায় আমার স্কুল জীবনের একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেল, সেটা শেয়ার করে যাই, আমি রাজশাহী গভ: ল্যাবের ছাত্র তখন, ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি, ইংরেজির স্যারের নাম হক স্যার ওরফে হক ব্যাটারি। তিনি পরীক্ষার খাতায় নাম্বার দিতেন এভাবে, প্রথমে ১০ এ ৮ দিতেন, তার স্ত্রী এসে বলতেন, এহে কি করলে, এত নাম্বার দিয়ে দিলে? তিনি ১ মার্ক কেটে ৭ দিতেন, তারপর যথাক্রমে তার বড় ছেলে, মেয়ে এবং সবশেষে ছোট ছেলেও যখন একই কথা বলত ততক্ষনে নাম্বার নামতে নামতে ৪-৫ এ এসে পড়েছে। এখন বুঝুন, যারা ভালো ছাত্র তারা না ১০ এ ৮ পাবে, যারা আমার মত ফাঁকিবাজ, তাদের কি অবস্থা!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লংকায় ও ভিখেরী আছে
বুয়েটে ও গাঁধা আছে!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বস, অপেক্ষা করেন, নিজের স্যারদের নিয়া সিরিজ শুরু করব, তখন উনাকে সাধু মনে হবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার ‘মহাজ্ঞ্যানী’র লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো ও খারাপ লাগলো! তাই ধন্যবাদ জানাবো কিনা বুঝতে পারছি না। ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে আর খারাপ লাগলো ‘সুইডেন’ এর সাথে এক মহা খচ্চরের যোগসূত্র দেখে। বছর কয়েক ধরে সুইডিশ টেকনোলোজীতে তৈরী এক বিছানায় খুব আরামে ঘুমাচ্ছিলাম। কাল রাতে আপনার আপনার ‘মহাজ্ঞ্যানী’র কথা পড়ে সুইডেনের ওপরই মনটা খারাপ হয়ে গিয়ে ঘুমটা নষ্ট হয়ে গেল। আমার মনে হয় আশেপাশে এধরণের চরিত্রের সংখ্যা খুব কম না। আচ্ছা আপনি বুকে হাত দিয়ে হলপ করে বলুনতো দীর্ঘ দু’মাস যাবত আপনি সেই নচ্ছারকে সাহায্য করে কোনই তৃপ্তি পাননি?
ত’হলে শুনুন আমার কথা। ক’বছর আগে আমেরিকার কোন বড় শহরে সম্মেলন উপলক্ষে গিয়ে ঢাকার এক বিখ্যাত প্রফেসারের সাথে দেখা আরো কিছু বাংগালির সাথে। তিনি প্রথমেই বিরাট একটি পদের উল্লেখ করে বিজনেস কার্ডটি দিয়ে বলে দিলেন তার দুটি ইমেইল এড্ড্রেস আছে, যার একটি নাসা (NASA)’র। অথচ আমরা সবাই জানি তিনি দেশ থেকে পালিয়ে এক বাংগালির ল্যাবে নাসার একটি প্রোজেক্টে নিজের খেয়ে কাজ করছিলেন। প্রায় আড়াই’শ ডলারের রেজিষ্ট্রেশণ ফি বাঁচাতে তিনি আরেক বাংগালির নেম-রেজিষ্ট্রেশণ কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ালেন চার দিন, আর আসল লোক ডুপ্লিকেট কার্ড নিয়েছিলেন নিজের প্রথম নামটি বাদ দিয়েই। তাঁর প্রচন্ড উৎসাহে পঁয়ষট্টি থেকে পঁচিশ বছর বয়সী একই ফিল্ডের প্রায় পনেরজন বাংগালী ঠিক করলাম একটি ভাল-দামী রেষ্টুরেন্টে খেতে যাব। অর্ডার নেয়া/দেয়ার আগে সেখানে অপেক্ষার সময়ে দেয়া চিকেন উইং গুলোর আনেক কটাই তিনি সাবাড় করে দিলেন সবার কথা চিন্তা না করে। অর্ডার দেয়ার সময় ঘাড় বাঁকিয়ে নিচু স্বরে বললেন, ‘বুঝলে, আমার পেটে খিধে নেই, আমি আজ কিছু অর্ডার দেব না’, তাঁর বিল আমাদের গুনতে হয়।...... এত সবের পরও আমরা কিন্তু তাঁকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারি না, তার এমন কিছু গুণ আছে যা কাছে টানে, আমরা তাঁর সাহচর্য্য উপভোগ করি!
‘সুইডেনের মহাজ্ঞ্যানী’ নিশ্চয়ই তাঁর চেয়েও খারাপ? আপনাকে সহানুভুতি জানাই।
প্রশ্নটা বেশ গুরুত্বপূর্ন, আর হ্যাঁ, হাজার অপছন্দ করলেও কেউ সাহায্য চাইলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এতে রাতে আমার অস্বাভাবিক রকমের ভালো ঘুম হয়েছে
আপনার এই ভদ্রলোক ও তো দেখি 'উনি' এর জ্ঞাতি ভাই , অন্তত ভায়রা ভাই। আসলে ইনাদের বেঞ্চমার্ক করা দুষ্কর। তবে, কিছু না বলা ঘটনা থেকে গেছে যে একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার যা নিকটে থাকার কারনে আমি জানতে পেরেছি, সেগুলা বলতে পারলে হয়ত আসলেই তুলনা করা যেত।
আর আপনার ঘুম নষ্ট করে কেন যেন অপার্থিব সুখ পেলাম এই জেনে যে, ধরা আমি একাই খাইনি এই ২ দিনের দুনিয়াতে। অনেক ধন্যবাদ আপনার গল্পটা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পড়া শেষে বুঝতে পারলাম, আপিন চরম খ্রাপ মানুষ।
একজন জ্ঞানী মানুষরে নিয়ে এমন মজা......মজা লাগো পড়ে।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
, রুনাপু, আপনে বুঝে গেলেন আমি লুক কত খ্রাপ । , আপনাকে ক্ষনিকের আনন্দ দিয়ে আমিও নিজে বাড়তি কিছু আনন্দ পেলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সেমাই কন্ডাকটরে নিজের নাম, বাবার নাম ব্লা ব্লা এইসব লিখে A মেরে দিয়েছি উনার কল্যাণে!
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
রায়হান ভাইজান AKA হয়রান ভাইজান, হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইসব লেখার ক্ষেত্রে আমার 'একদা এক দেশে এক রাজা ছিলেন' নীতি পছন্দ। সুতরাং নাম কাটলেও তাকে চেনার সহজ উপায়টা বাতলে দেয়ায় লেখার ১ মার্ক কাটা গেলো। সমস্যা হলো, এরকম ঝামেলায় যারা পড়েছেন, তাদের ভোগান্তি অন্য কারো বোঝা একটু টাফ। এই লেখায় সেই ভোগান্তির সুর, সাথে কিছুটা প্রতিশোধের বিষয় লেখকের অজান্তেই হয়তো এসে গেছে।
উপরিউক্ত সমালোচনার বাইরে, লেখাটার মূল্য অনেক। দেশে অবস্থিত একটা আপাত সার্থক লোকের চিন্তা ভাবনার সাথে দেশের বাইরের আলো হাওয়ায় খাপ খাওয়ানো মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যটা ফুটে উঠেছে। আমি পদার্থবিদ্যার এই ভদ্রলোককে চিনি না, আমাদের সময়ে হয়তো তিনি সুইডেনেই ছিলেন। কিন্তু কাছাকাছি চিন্তাভাবনার লোক বুয়েটেই অনেক আছে। এরাই বুয়েটে প্রাইভেট ভার্সিটি সিস্টেম বা পোষ্যদের কোটা সিস্টেমকে মোটেই অ্যাবসার্ড মনে করে না; বরং বাপের তালুকটাইপ সুবিধা মনে করে। দেশের বাইরে পিএইচডি করেও বিদেশের আচার আচরণের ভালো দিকগুলোর তেমন কিছুই শেখে না; নিজের কূপটাকে বরং গভীর মনে করে আমোদ লাভ করে।
আমার প্রশ্ন হলো, এরকম আচরণের কারণ কি? হীনমন্যতাবোধ? নাকি চাপাবাজিতে অভ্যস্ততা? দেশে যেমন চাপাবাজি হচ্ছে উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত এবং মূলত চাপাবাজি বা শো-অফের জোরে দেশে এরা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার কনফিডেন্সই কি এদেরকে আরো চাপাবাজিতে উৎসাহ যোগায়?
আমি একটা গুণকে অনেক হাইলি রেট করি; তাহলো নিজেকে অন্যের চেয়ে ছোট বা বড়ো না ভাবা। এ বিবেচনায় হীনমণ্য(ন?)তা আর আত্মম্ভরিতা মূলত মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। প্রত্যেকের উচিত নিজের যথাযথ অবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা এবং তার ওপর ভিত্তি করে অবস্থার উন্নয়নের চেষ্টা করা। এটা করতে পারলে সম্ভবত জীবনটা একটু সহজ হয়। তবে বাংলাদেশে জিনিসটা টাফ। আমার বিয়ের সময় কনে পক্ষকে বুঝিয়ে বলতে হয়েছে, আমি স্কলারশীপটিপ কিছু পাই নাই, আগে যা শুনছেন সব ভুল, বিদেশে কামলা খাটি, দিন আনি দিন খাই, কামলার ফাঁকে ফাঁকে 'সময় পেলে' পড়াশোনা করি। ভাগ্য ভালো, তাতে সম্বন্ধ আটকায় নাই। তবে এরকম সত্য বচনে অনেকের সম্বন্ধই আটকায় এবং সেই ঝুঁকি অনেকেই নিতে চায় না। তাতে অবশ্য ঝুঁকিটা সুদেআসলে ফিরে আসে। যেমনটা এই লেখার প্রধান চরিত্রের ক্ষেত্রে হয়েছে। হুদা হুদা চাপা না মেরে সত্য কথা বললে যে কেউ তাকে ছোট ভাবতো না, এই বোধটাই ভদ্রলোকের হয় নাই।
তবে একটু মোটা দাগে বলতে গেলে, বাঙালি অতি চালাক। অতি চালাকের গলায় শেষ পর্যন্ত দড়ি পড়েই, দড়িটা অনেক সময় দেখা যায় না; কিন্তু যখন দেখা যায়, তখন ফাঁসটা শক্তভাবেই আঁটকে গেছে। এই শক্ত ফাঁসে এখন আঁটকে আছে পুরোটা বাংলাদেশ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা, আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হল আমার মত ছূঁচোর গলায় চন্দ্রহার জুটেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরকরে 'উনি' এবং উনাদের এমন মানসিকতা পোষনের কারনটা ব্যাখা করায়। আপনার এহেন মন্তব্যের বিশাল ভক্ত আমি। বরাবরই চমৎকৃত হই আপনার এমন গোছানো মন্তব্য পড়ে।
আর প্রতিশোধ বা জিঘাংসা কিছু একটাই তো ছিল এই লেখায় হাত দেবার কারন, এজন্যে অবশ্যই আমার সংকীর্নতাকে নিঃসন্দেহে দোষ দেওয়া যায়, হয়ত বুয়েটের গায়ে অনর্থক কালিমা লেপন করে ফেলেছি এই লেখাটা দিয়ে, তবে একই অবস্থা কিন্তু প্রায় সবখানেই। আর ডাক্তারদের মাঝে কিন্তু নার্সিসিজম আরো অনেক বেশি, ভণ্ডের পরিমান ও অনেক বেশি। যে কোন মুহূর্তে আমি আমার বাংলাদেশ মেডিকেলের ভণ্ডদের এই মুখোশ উম্মোচন করে দিতে পারি এবং আরো অনেকের। সে ইচ্ছাও আমার আছে, অদূর ভবিষ্যতে সেটা করব, খালি নিজের পথঘাট টা গুছিয়ে নেই, নিজের যখন একটা প্রতিষ্ঠিত স্থান থাকে, তখন কেউ বলবে না, হিংসাবসত এমন কাজ করছি। কতিপয় ভণ্ডের জন্যে আমাদের প্রফেশনের দুর্নামের আজ শেষ নেই, আমি সেই দুর্নাম কিছুটা হলেও ঘোচাতে চাই।
আপনার বিয়ের ঘটনার সমইয়ের বর্নিত ঘটনায় আপনার সৎ সাহসের বর্ননা শুনে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা কয়েকগুন বেড়ে গেল আজকে, আপনাকে লাল স্যালুট। এ বিষয়ে এত ঘটনা জানি যে লেখতে শুরু করলে বিশাল এক সিরিজ হয়ে যাবে। তাতে আমার ছিদ্রান্বেষী ডিগ্রী পাকাপোক্ত হওয়া ছাড়া আর কিছুই হবে না। আর সত্য কথা বলার সাহস সবার থাকে না, উনার যে নেই, সেটা আমার হিসাবে সহজ অনুমেয়। আর চাপাবাজি করে আজ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বড় ব্যক্তি তিনি, চাপা মারার মত সহজ রাস্তা বাদ দিয়ে তিনি কঠিন রাস্তায় আসবেন কেন? তাছাড়া উনার ইমেজ নষ্ট হয়ে যাবে না, যখন তিনি ফিরে গিয়ে বলবেন "আসলে ইউ-ডি তে আমাকে এমন সব কাজ কতে দিল, আমার ৫০ বছরের জীবনে এসব তো কখনো করিনি, এক্কেবারে লুঙ্গি খেল গেল বলে। তাই কোন মতে ছেড়াবেড়া কিছু একটা করে ফিরে এসেছি"। তা না করে তিনি বললেন, "আসলে আমি এমন কাজ করেছি, উনারা ভয়ে ল্যাবে আসতে সাহস পাননি, আমি একাই একশ', ল্যাবে গেলেই সবাই ল্যাব ছেড়ে দিতেন শ্রদ্ধার চোটে, ২ মাস পরে যখন চলে আসি, গ্রীক ভদ্রলোক (ইউ-ডির পদার্থবিদ্যার চেয়ারম্যান) আমাকে টেনিওরশিপ অফার করে ফেললেন।" ধুগোদার সাথে গলা মিলিয়ে বলতে ইচ্ছা করে, "চাপা মারা চলিবে, কিন্তু চাপায় মারা চলিবে না"। অনুমতি ব্যতিত জাকাজার উক্তি কোট করায় ধুগোদার কাছে মাফ চেয়ে নিলাম
সবার তো আপনার মত সৎ না, কেন খামোখা রিস্ক নিতে যাবেন। বলাইদা মন্তব্যে , কাছে পিঠে থাকলে আপনার পায়ের ধুলা নিয়ে আসতাম। আপনে কিন্তু লিখছেন না অনেকদিন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ইশশিরে ! সচলে কয়েকদিন না ঢুকায় লেখাটা আগে পড়া হয় নি বলে একজন জ্ঞানী লোকের না জেনেই বাকি জীবনটা কাটাতে হবে !
পরের জন্মে যখন বুয়েটে ভর্তির লাইন ধরবো, তখন কি এই জ্ঞানীলোক সুইডেন ছাইড়া বুয়েটে থাকবো ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এত চাপায় অর্জিত এই আসন উনি ছেড়ে যাবেননা রণদা, কাজেই, নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, আপনে ৩০ বছর পরেও তাকে পাবেন রাজগদিতে। যেখানেই থাকুক ঢাকা বা সুইডেন, আপনার কানের খৈল নড়ায় ছাড়বে সুইডেনের কথা বলে। আর উনার আবার সবকিছুই শেষ হয় মহাশুন্যে, সে গল্প বলার জন্যে আমি রেশনুভা ভাইকে অনুরোধ করব। আমি বললে সেটা শোনা কথা হয়ে যাবে, উনারা প্রাথমিক ভুক্তভোগী। আর অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই গোত্রের 'মানুষ' আমরা সবাই কমবেশি দেখেছি। আগে আমি ভেতরে ভেতরে খুব রেগে গেলেও মুখে ভালো ব্যবহার বজায় রাখার চেষ্টা করতাম। শেষে দেখলাম তাতে করে আমারই ক্ষতি, কারণ এরা ভাবসাব দেখে বুঝতে পারলেও নিজের সুবিধার কথা ভেবে কিছুই বোঝে না এমন ভান করে থাকে, মাঝখান থেকে আমার মেজাজ সারাক্ষণ খারাপ থাকে। তাই এদের ঢিট করার উপায় হলো মুখের উপর জানিয়ে দেওয়া যে এতো ভণ্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। সেটা সোজা ভাষায় বলা কঠিন, কারণ অভদ্রতা করার অভ্যেস সবার তো থাকে না। তবে ব্যঙ্গবিদ্রুপটা খুব কাজে দেয়। বাক্যচিমটি খেয়ে উঁ না করা অবধি চিমটি দিয়ে যান মাঝে মাঝেই, তাতে আপনার দাঁতের জোরটাও বাড়বে, উইটের প্র্যাকটিস হবে, মনে মনে কুলকুল করে হাসতে পারবেন (ফলে মুড দুর্দান্ত থাকবে), আর ভবিষ্যতের আড্ডার জন্য খোশগল্পের উপাদানও জুটে যাবে। খালি একটাই সতর্কতা নেওয়া দরকার, যাঁর রেফারেন্সে এই মহানুভব আপনার কাছে এসেছেন তাঁকে একটু জানিয়ে দেওয়া। নইলে বজ্জাত লোকটি গিয়ে আগেই তাঁকে লাগাবে, কাজেই ঐ টুকু সেট-আপ করার খাটনিটা করতে হয়, তারপর তো পরমানন্দ!
পাঠুদা, আপনার শেখানো বুদ্ধিটা ভবিষ্যতে আমাকে ব্যাপক সাহায্য করবে। আর কি বলব, বয়সে বড় হলে অনেক কিছুই মুখের উপর বলতে পারি না, এমনকি আমার মত দুর্মুখের ক্ষেত্রেও মাঝে মাঝে তা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তবে, আমার ধারনা ছিল, শিক্ষাদীক্ষা মানুষকে মহান করে, আসলেও হয়ত করে, এই 'উনি' তার ব্যতিক্রম বই আর কিছু নন। আপনাদের অভিজ্ঞতা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বেশি, আর পরচর্চা যেহেতু অভদ্রতা, তাই আপনাকে শেয়ার করতে বললাম না। আর হ্যাঁ, লেখাটা সেজন্যেই, সবার কাছে প্রামান্য দলিল হয়ে থাকবে।
অনেক ধন্যবাদ পাঠুদা কষ্ট করে লেখাটা পড়ার জন্যে। আর আবারো ধন্যবাদ, আপনার আয়ডিয়াটা জটিল রকমের পছন্দ হয়েছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ওনার বাড়ী বেড়াতে গিয়ে টেবিলে খুব সস্তা প্লাস্টিকের পেন যদি পান তো তুলে নাকের কাছে তুলে খুব সিরিয়াস মুখ করে বলবেন, "এটা সুইডেন থেকে কেনা না?"
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনি তো খুবই কুটনি দেখছি !
তুলিদি, সেরকম কাজ করেছি প্রথমেই। উনার সুইডেন প্রীতি এতই বেশি যে, উনি বুঝতেও পারেননি যে আমার কথায় রসিকতার টোন ছিল। আর যেমন মিয়া, তেমন বিবি, ২ জনেই সুইডেনের প্রেমে অন্ধ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এক বাবাজী ছিলেন দেশে আমাদের কালেজে, তার আবার ছিলো বুদাপেস্ট বাতিক।
বুদাপেস্টে এই করেছিলাম, বুদাপেস্টে ঐ করেছিলাম।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইনাকে তো উনার জমজ ভাই বলে মনে হইতেসে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনেকদিন পরে লিখলা, তাও পরনিন্দা বিষয়ক পোস্ট
এগুলাতে মজা পাইনা। তবে তুমি ভালৈ ভুগছো মনে হচ্ছে, আর নইলে এইটা নিয়া লিখতা না। এখন নগদে মজার মজার কয়েক্টা লেখা ছাড়ো দিকি ভালো মানুষের ছায়ের মতো। আমার কথায় আবার মাইন্ড খাইওনা কইলাম
মামুন ভাই, ছিদ্রান্বেষী মানুষ আমি, পরনিন্দা না করলে করুম কি , তবে মাইন্ড খাই নাই, অন্যের দোষ ধরতে গিয়া নিজের দোষ দৃষ্টির আড়ালে চলে গেলে তো আমার সাথে 'উনার' পার্থক্য থাকবে না। লেখুম লেখুম, চিন্তা কইরেন না, আপনে হইলেন আমার গুরু, আপনে লেখবেন, আপনের পিছে পিছে আমিও লেখুম। তয় আমি তো আপনার মত গুনি না যে চাইলেই ধুরুম ধারুম লেখতে পারবো। ১ খান লিখলে ১ সপ্তাহ দম নেওয়া লাগে , আপনার সাথে দৌড়ায় পারবো না তবে চেষ্টা করব।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এক্স-এল কিংবা ডবল-এক্স-এল সাইজের হওয়ার কারণে আমি বাংলা বিহার উড়িষ্যা'র অনেক ম্যান্ডেটরি বই পড়িনাই।
সাইব্বাই, বড়মুখ নিয়া আপ্নের লেখা পড়তে ঢুইকা পোস্টের সাইজ দেইখ্যা আমার মুখ ভয়ে চুঁ হয়ে গেছিলগা। তবু, নিতান্তই বহুদিন আপ্নের লেখায় কমেন্ট করা হয় নাই (আসোলে, অনেকের লেখাতেই, কারণ সচলে অনিয়মিত আছি বেশ) ব'লে সেই অবিচারটা বন্ধ করনের লেইগ্যা জরুরি জ্ঞান কইরা পইড়াই ফালাইলাম নিজের বুকে তিনটা বড় ফুঁ দিয়া সাহস জমায়া।
হ, পইড়া নিঃসন্দেহে বড়ই মজা পাইছি আপ্নের বর্ণনা আর রম্য-বাঁচোয়া দৃষ্টিভঙ্গিতে।
লেখা অনেকই স্বাস্থ্যবান, সবদিক দিয়াই, খালি কিছু বানানের বিষয় ছাড়া।
অমন লুক্জন দেখছি কিছু আশেপাশে। তবু পুরাপুরি অভ্যাস হয়নাই এখনও। অস্বস্তি লাগে এইসব গিয়ানীদের এমনসব পরিচয়ে।
আপ্নেরা অনেক সামাজিক, অনেক ভালো। ভালো থাকেন বস।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনার মন্তব্য পইড়া ব্যাপক মজা পাইলাম, ইদানীং লিখতে গেলে লেখা বড় হয়ে যায় কেন যেন। আর কষ্ট করে লেখা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বস। অফিস থেকে লেখা পোস্ট করায় স্পেল-চেকার সদ্ব্যবহার করতে পারি নাই, তবে যখন সম্পাদনা করার অধিকার পাব, সাথে সাথে ঠিক করে দিব। বহুত জ্বালাইসি মডু দাদাদের এই লেখার জন্যে এর মধ্যেই। এমনিতেই আলগা ঝামেলার শেষ নাই, তারমাঝে আমি বেহুদা যন্ত্রনা দেই।
আপনেও ভালো থাকবেন আর ব্যস্ততা কমলে লেখা দেন বস। আপনার মন্তব্যের নিরপেক্ষতা আমাকে সবসময়ই অনুপ্রেরণা যোগায়।
=======================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভালো লাগলো জেনে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
বিশাল আকৃতির এই লেখা এবং এর সাথের মন্তব্যগুলো পড়ে আমি বুয়েটের ছাত্র হিসেবে বিব্রত, আরেকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত।
সত্যি বলতে কি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম আরো ''ফকা'' আছে, আমার বুয়েট এর পদার্থ বিজ্ঞানেই আরেক লোক ছিল (আছেন হয়তো) ল্যাব ক্লাসে টিচিং এসিস্ট্যান্টদের কঠিন প্রশ্ন করে, আটকে ফেলে, সবার সামনে উপহাস করে বিমলানন্দ উপভোগ করতো।
সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রায়) প্রতিটি বিভাগে এই ধরনের অন্তত একটা করে লোক আছে। ঢাবি'র কথা ও জানি। তালিকা বাড়াই না আর।
ক'দিন আগে ঘটা করে দেশে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হল, সেখানে আতকে উঠার মতো পরিসংখ্যান আছে, তো এইসব লোকেরা সুস্থতার ভান করে, কিন্তু তারা মোটেও সুস্থ না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় তাই মানসিক সুস্থতা যাচাই করা আবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে।
এমন জ্ঞানের বাটখারা ইন্টেলেকচুয়ালদের থেকে শত হাত দূরে থাকি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আপনে দূরে থাকতে চাইলে কি হবে, উনাদের এসে ঘাড়ে চড়ে বসার অভ্যাস আছে তো!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শিক্ষককে যদিও চিনলাম না (আমার চেনার কথাও না), তবে লেখা পড়ে মজা পেলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
একদিন বুয়েটের পদার্থবিদ্যা বিভাগ ঘুরে আসেন গৌতমদা, সুইডেনের গল্প শুনলেই বুঝতে পারবেন আপনে আমার 'উনি' কে পেয়েছেন
লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খাইছে! এমন ভেজাইল্লা লোক হতে শত হস্ত দূরে থাকাই শ্রেয়।
-- শফকত মোর্শেদ
একদম ঠিক বলেছেন। বেল তলায় না গেলে কি আর কেউ বেল চিনে? এখন ফান্দে পইড়া বগা কান্দে অবস্থা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খাইছে! এমন ভেজাইল্লা লোক হতে শত হস্ত দূরে থাকাই শ্রেয়।
-- শফকত মোর্শেদ
নতুন মন্তব্য করুন