তখন ১৯৮৭ সাল, সবে রাজশাহী গভঃ ল্যাবে ভর্তি হয়েছি চতুর্থ শ্রেনীতে। এমনি ভর্তি পরীক্ষা হয় না, সেবার কিছু স্থান বাড়ানোর সুবাদে আমি ভর্তি হয়েছি। এলাকার সেরা স্কুল, ভাবসাবই আলাদা। গর্বে আর মাটিতে পা পড়ে না আমার। নতুন স্কুলে গিয়ে নতুন বন্ধু হবে, তবে নতুন হিসাবে কিছু জটিলতার মাঝে দিয়ে যাবার পরেই না বন্ধু পাওয়া যাবে। নতুন হিসাবে কোন ভুলচুক করলেই সবাই আমকে নিয়ে হাসাহাসি করে, লজ্জায় তখন আমার কান পর্যন্ত গরম হয়ে যায়। কিন্তু, কি করা যাবে, এত সাধ আমার গভঃ ল্যাবে পড়ব। এভাবে চলে যাচ্ছিল দিনকাল, একদিন স্কুলে গিয়ে পরিচয় হল রনি নামের এক চাপাই এর সাথে।
রনি বেচারা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে বলল, "স্যার, ওয়াসুক কইর্যাছিল", স্যার তো রাগে ফোঁস করে উঠলেন, "তবেরে বদমাইশ, আমার সাথে ফাইজলামি করিস, আজকে চাবকে তো পাছার ছাল তুলে ফেলব।" রনি বেচারা মৃদু স্বরে তাও কোঁ কোঁ করে বলতে থাকে, "স্যার গত ৩২ দিন যাবত আমি ওয়াসুস্ত"।
স্যার গর্জে বলেন, "আবার যদি তোর অসুখ হয়, তোকে চতুর্থ থেকে তৃতীয় শ্রেনীতে নামিয়ে দিব বজ্জাত কোথাকার।" আসলেই বেচারা অসুস্থ থাকে, আমি জানতাম না, তবে ওর মুখ থেকেই শুনেছি। বেচারা ১ মাস কাল আসেনি, কাজেই সকল হাসি ঠাট্টার খোরাক এবার রনি হতে লাগল, সবার দৃষ্টি আমার উপর থেকে সরে গেলেও আমার কেমন যেন খারাপ লাগতে লাগল। আমি পুরোপুরি হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারলাম না, সহানুভূতি থেকেই গেল বেচারা রনির জন্যে। পর্যায়ক্রমে অসুস্থ থাকার জন্যে তার নাম পাকাপাকি ভাবে ওয়াসুক হয়ে গেল।
আজ লিখতে বসে আমি কিন্তু রনির নাম মনে করতে পারিনি, গত ৩ দিন ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছি, না পেরে খোমাখাতায় এক স্কুলের বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, "ঐ, ওয়াসুকের আসল নাম কি ছিলরে?" সে আজকে জবাব দিয়েছে যে, আমার সেই দুর্ভাগ্যবান সহপাঠির নাম ছিল রনি। আসলে বেচারা একমাস ভালো থাকত আর এক মাস অসুস্থ থাকত, এভাবে চলে যাচ্ছিল দিনকাল। প্রায় সব পিরিয়ডেই ওয়াসুক মার খায় পড়া না পারার জন্যে, তাতে তার কিছু আসে যায় না, কোন বিকারও হয় না। এভাবে প্রায় ৩ বছর চলে যায়, সেও এভাবে ১ মাস করে স্কুল কামাই দিতে থাকে। সপ্তম শ্রেনীতে গিয়ে ওয়াসুকের ভাবুক নেশায় ধরে। ক্লাসের মাঝে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে পুরাই ভাবের জগতে হারিয়ে যায় ওয়াসুক। আর ঐ বেচারার এমন কপাল, তার এই ভাবুক দৃষ্টি স্যারদের দৃষ্টিও এড়ায় না, ফলে ডাস্টারের বাড়ি পড়তে থাকে তার পিঠে প্রায় নিয়মিত, তবে মার খাবার পর রনি খালি বলে, তার কাহিল লাগছে। এমন ভাবে চলতে চলতে একদিন মার খাবার সময় সে ক্লাসে মুত্রত্যাগ করে দেয়। এতে সবার টনক নড়ে, তবে স্যারেরা এসব ঘটনায় তখন খুব গর্ব বোধ করতেন, কাজেই কাজের কাজ কিছুই হয় না। সেই বেকুবের ঘাড়ে মারের পরিমান দিনকে দিন বাড়তেই থাকে।
এভাবে একদিন বিজ্ঞান ক্লাসে বসে আছি আমরা। ক্লাস নিতে এসেছে ব্যাঙ ওরফে ফরিদ স্যার। পুরাই ব্যাঙের মত করে কথা বলেন, ব্যাঙের মতই বড় বড় চোখ তার। হঠাৎ তিনি লক্ষ করলেন, ওয়াসুক বাইরে ডাবগাছের দিকে তাকিয়ে আছে অনড় দৃষ্টিতে, স্যার তো তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন, তেড়ে গেলেন রনির দিকে, "তোর এত্তবড় সাহস, আমার ক্লাসে ভাবুক হয়েছিস? কবিতা লেখবি? বাবরি চুল রেখে, চটের ব্যাগ ঝুলিয়ে রাস্তায় যা তাহলে" বলেই ডাস্টার ডিয়ে বেধরক মারধোর শুরু করেন। মজার ব্যাপার হল, রনি একচুল নড়ে না, সে যেভাবে বাইরে তাকিয়ে ছিল সেভাবেই তাকিয়ে থাকে, এভাবে ৪-৫ ঘা লাগানোর পর রনি হঠাৎ করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তারপর প্যান্টে পেশাব-পায়খানা করে এক্কেবারে ছেড়াবেড়া করে ফেলে। তখন আমরা এটুকু বুঝি, দুর্গন্ধ বের হয়েছে, এখানে থেকে পালাতে হবে। কিন্তু, এদিকে ব্যাঙের তো আত্মারাম খাঁচা ছাড়া। সে অনেক ভয় পেয়ে যায়, এর ১ মিনিট পরে রনির জ্ঞান ফিরে, তারপর সে কিছুই বুঝতে পারছে না, এমন চেহারা বানিয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে, তারপর মৃদুস্বরে বলে, "কি হয়ালছে, আমার প্যান্টে হাইগলো কে?"।
এবার তো আর কোন ছাড়াছাড়ি নাই, ওয়াসুককে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে, ডাক্তার দেখে বলে, সম্ভবত, তার খিচুনির ব্যারাম আছে। আমরা পরে শুনে তো থ' কারন রনিকে কখনো আমরা খিচুনিরে ভুগতে দেখিনি আর বাসায়ও কেউ এমন হতে দেখেনি বলে জানায় ওয়াসুক। তারপরে আরো জানতে পারি, খিচুনির অনেক ধরন আছে, তারটাতে কোন খিচুনি হয় না, শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে, খিচুনির বদলে শক্ত হয়ে স্থির দৃষ্টিতে বসে থাকে, একে বলে "অ্যাবসেন্ট সিজার", এসব তো আর তখন বুঝতাম না, ভাসা ভাসা মনে ছিল এখন দু'ইয়ে দু'ইয়ে চার মিলাচ্ছি আরকি। এই তাকানো পর্ব শেষ হবার পর খুব কাহিল বোধ করে রোগী, তারপর আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এভাবে চলতে থাকলে একদিন সত্যিকারের খিচুনিতে প্রোমোশন ও হয়ে থাকে অনেকের।
এই বেচারা হয়ত পড়াশুনায় খারাপ ছিল, আর তার মাঝে ১ মাস অন্তর অন্তর সে থাকত অসুস্থ, কিন্তু তার কারন স্যারেরা কোনদিন ক্ষতিয়ে দেখার চেষ্টা করেননি। তারা ধরো তক্তা, মারো পেরেক সুত্রে বিশ্বাসী, আর গাধা পিটিয়ে ঘোড়া বানাবেন, তা না পারলেও নিদেনপক্ষে কিলিয়ে কাঁঠাল পাকাবেন, কিন্তু একবারও চিন্তা করবেন না, আসলে এই ছেলেটার কি কোন সমস্যা আছে? কেন সে এরকম করে? এমনকি পড়া না পারলেই, এই ব্যাটাতো ফাঁকিবাজ, নিজেরা পড়াইতে পারেন না, সে দোষ এসে পড়ে আমাদের মত ভোদাই ছাত্রদের ঘাড়ে। জানি না এভাবে আর কতদিন চলবে!
মন্তব্য
রনির জন্য খারাপই লাগছে। আমাদের শৈশবগুলোতে এরকম অনাদর অযন্ত পেয়ে অনেকেই পরবর্তীকালে বড় ধরনের সমস্যায় ভোগে।
তোমার স্টকে মনে হয় অনেক গল্প আছে, দিতে থাকো, (ব্যস্ত না থাকলে)। তবে ইদানিং পড়ার সময় পাচ্ছি কম।
পিপিদা যখন কইলেন, দিতে থাকব তাহলে। ধন্যবাদ পিপিদা, এমন কত রনি যে এমন গরু পেটানির ফলে সুস্থভাবে বড় হতে পারেনি, আবার কেউ কেউ এটাকে সহজ ভাবে নিতে শিখেছি, যেন এটা একটা মজার ব্যাপার।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খুব দরকারি লেখা। এই ট্রাডিশন শহরের বড়ো স্কুলে একটু কমেছে, কিন্তু মফস্বলে ও গ্রামদেশে এখনো চলেছে পুরোদমে। আমার চেনা এক শিক্ষক তো মুখের আগে হাত চালাতেন, বেত ছাড়া কখনো দেখিনি তাঁকে। এদিকে ফিজিক্সের সংজ্ঞায় শব্দসংখ্যা অবধি বইয়ের সাথে মিলতে হবে, না হলেই বেধড়ক মার!
একদম ঠিক বলেছেন পাঠকদা, আমি স্কুল জীবনে অনেক মার খেয়েছি, খেয়ে মনে করতাম, আরে এই মজার জন্যেই তো স্কুলে আসি, আর স্কুলের স্যারেরাও পৌশাচিক আনন্দ লাভ করেন তাদের এই বিকৃত রুচি চরিতার্থ করে। আর এর মাঝে থাকে অনেকে অসুস্থ, কারো শেখার ক্ষমতা থাকে শ্লথ, এদের উপরে নেমে আসে অত্যাচারের ঝড়। আর মুখস্ত করার ব্যাপারটা নিয়ে কি বলব, ছাত্রজীবনে খালি অর্ধেক মার খেয়েছি মুখস্ত সংক্রান্ত কারনে। এমনকি মেডিকেলে এসেও অনেক পরীক্ষায় ফেল মারতাম এক ম্যাডামের নোট মুখস্ত করিনি বলে। ঐ ম্যাডামতো আর নতুন করে মানবদেহ আবিষ্কার করেননি যে, উনার ভাষায় লাইন মিলিয়ে উত্তর দিতে হবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বেচারা রনি, খারাপই লাগলো তার ওয়াসুককের কথা পড়ে। কোথায় স্কুল শিক্ষকদের উচিত তার ব্যাপারে সহানুভূতিশীল হওয়া উলটা নিয়মিত বেতের বাড়ি ।
---------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
স্কুল যতই ভালো হোক না কেন, এ নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কী ভয়ংকর! এরকম আমরাও অনেক দেখেছি স্কুলে। সরকারী পর্যায়ে সচেতনতা তৈরী-টৈরী করা যেতে পারে, তবে দিনশেষে স্কুলের এইসব শিক্ষকদের জন্য শেষ কার্টুনের মত ফীডব্যাক দরকার আসলে।
আপনার কাছে তো অনেক রকমের গল্প আছে দেখা যাচ্ছে! লিখতে থাকুন আরও।
ধন্যবাদ যুধিষ্ঠিরদা, গল্প সবার কাছেই আছে, কেউ শেয়ার করেন, কেউ করেন না। আমার মতে এসব ঘটনা জানলে হয়ত ভবিষ্যতে আমার আশে পাশে কেউ কিছু করতে পারেন, তবে আমার এই লেখালেখি ১ বিন্দু হলেও সার্থক হবে। আর আপনে আমাকে তুমি করে বললে খুব ভালো হয়। লিখে যাব, আপনারা সাহস দেন বলেই লিখি।
আর যদি এমন করা যেত যে, বাবা-মারা স্কুলে গিয়ে জবাবদিহি করবেন যে, তাদের সন্তানকে কেন মারা হয়, মারলে উনারা কার্টুনের মত উল্টা মার দিয়ে আসবেন তাহলে এই অত্যাচার কমে আসত। কিন্তু ঘটনা তো উল্টা, যেহেতু আমরা মার খেয়ে বড় হয়েছি, স্কুলে গিয়ে উল্টা বলি, হাড়গুলা আমার, বাকি সব আপনারা যারা মাস্টার আছেন, তাদের সম্বল, তাহলে শিক্ষকেরা অনেপ্রেরণা পান ব্যাপক ভাবে। আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষিত লোকজনদেরকে এ পেশায় আনা গেলে হয়ত এমন হত না, কিন্তু সরকার যা বেতন দেন, সেখানে কাউকে চাকুরি করতে বললে তারা যে আসেন সেটাই বেশি। তারপরে আবার গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ঘুষ ১-৩ লাখ টাকা ধার্য করা হয়। আমাদের দেশে রাখাল হতেও যদি কমপক্ষে ১ লাখ টাকা লাগে, তাহলে ভালো কিছু আশা করা একটা নিতান্তই অবাস্তব।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সহমত ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমাদের সকলের জীবনেই হয়ত এই রকম করে একটা 'ওয়াসুক' থাকে---যাদের অসহায় মূহুর্তে আমাদের কিছু করা হয়ে ওঠেনি--- নিজেরাও অসহায় বলে। স্কুলে স্যারের মারপিট খাওয়াটা এতটাই স্বাভাবিক ছিল যে এর উল্টোটা হলেই বরং অবাক লাগত।
আসলে এই ব্যাপারটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।
এইজন্যেই পিতারা তাদের অবোধ শিশুদের শিক্ষকদের হাতে তুলে দিয়ে আসেন এই বলে, স্যার, এর খালি হাড্ডি গুলো আমার---বাকী সব আপনার হাতে সোপর্দ করলাম। আমাদের শিক্ষিত করে তোলার জন্যে আমাদের অভিভাবকদের কী আন্তরিকতা!!
একজন শিক্ষক যদি এই রকমের 'লাইসেন্স টু মাইর' পেয়ে যান, তিনি কেনই বা এর সদব্যবহার করবেন না?? হাজার হোক তার নিজের ব্যর্থতা ঢাকার একটা উপায় তো থাকা চাই, নাকি?
পৃথিবীর সকল 'রনি' দের জন্যে রইল শুভাশীষ!!
চমৎকার মন কেমন করা লেখাটার জন্য সাইফকে তারায় ছাওয়া হাওয়ার রাত উপহার দিলাম----
মন্তব্যে , আমার লেখাটা যে উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা সেটা এত সুন্দর করে গুছিয়ে বলার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ অনিকেতদা। আর স্কুলে গিয়ে মার খেলে বরং এক পর্যায়ে আর ভালো লাগত না আমার। কিন্তু নিজের বাচ্চাকাচ্চা হয়েছে এখন, তাই এই জিনিষটা হজম করা বেশ কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। আমি সৌভাগ্যবান, কারন এখানে স্কুলে পেটায় না, তাদের শাস্তি দেবার ভিন্ন ব্যবস্থা আছে। নিজে যতই বকাঝকা করি না কেন নিজের মেয়েকে, অন্য কেউ এসে তাকে মারবে, সেটা কোন অবস্থাতেই সহ্য করা সম্ভব নয়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র স্যার অনুসরন করতেন TM (টানা মুখস্ত)পদ্ধতি! হুবহু না মিলিয়ে লিখলে নাম্বার দিতেন না কিছুতেই.... *তিথীডোর (ভয়ে ভয়ে মন্তব্য করলাম)
প্রিয় অচল তীথিডোর, ভয় কিজন্যে ঠিক বুঝলাম না, সচলে এসে ভয় পাবেন কেন? এখানে এসে চিত্ত করুন ভয়শূণ্য, আর উচ্চ রাখুন শির। আর হ্যাঁ, সিনিয়ার জুনিয়ার অনেক শিক্ষক এখনও মনে করেন, মুখস্ত বিদ্যা একটা বিশাআআআআআআআআআআআল বিদ্যা, স্কুলে থাকতে আমি ভাবতাম, আমাকে দিয়ে হালচাষ ছাড়া আর কিছু হবে না, শিশুদের মনোবল গুড়িয়ে হিটালরি ট্রেনিং এর ব্যবস্থা যদি কোনদিন বন্ধ হয়, আমার চেয়ে খুশি আর কেউ হবে না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অজস্র ধন্যবাদ সাইফ ভাই! ভয় এবং দূবর্লতা কাটুক...ফের চেষ্টা চালাবো,,,ভালো থাকবেন! *তিথীডোর
"অচল"--হাঃ হাঃ ,দারুন বলেছেন! ভয়;বানান কিংবা ফরম্যাট ভুল করে আবারো না বকাঝকা শুনতে হয় তাই নিয়ে... *"তিথী"ডোর
খুবই লজ্জিত, তিথীডোর। ভবিষ্যতে এমন ভুল থেকে বিরত তাকার চেষ্টা করব। আমিও অচল ছিলাম, বেশি বেশি লিখুন অচল > হাচল > সচল হোন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পড়ে কষ্ট পেলাম। রনির জন্য খারাপ লাগছে।
আমাদের সবার জীবনেই এমন দু'চারটা ঘটনা আছে। আমি পড়তাম মতিঝিলের 'বিখ্যাত' আইডিয়াল স্কুলে যেখানে মুখে আগে হাত চালানো শিক্ষকদের স্বভাব্জাত ছিল। কারণে অকারণে কতো যে বেতের বাড়ি খেয়েছি, এখনও মনে পড়লে রাগ হয়। এক কাষ্ঠ মোল্লা ছিলেন যিনি কিনা হিন্দু ছেলেদেরও টুপি পড়ে ক্লাসে আসতে বাধ্য করতেন। আমরাও স্কুল থেকে বের হবার দু'সেকেন্ডের মাথায় টুপি খুলে ফেলতাম। ক্লাস এইটে একবার এক 'মুক্তিযোদ্ধা' শিক্ষক ব্যক্তিগত কারণে মেজাজ খারাপ থাকায় সামান্য অজুহাতে এক ছেলেকে জোড়া বেত দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেললেন। রুম ভর্তি ৬০জন ছাত্র আমরা আতংকে অধীর হয়ে সেই দৃশ্য দেখলাম। ছেলেটি স্যারের পায়ে ধরে গড়াগড়ি খেতে খেতে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। সেই হারামী শিক্ষককে আজও ক্ষমা করিনি। দুপুরের নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল, ওজু করতে গিয়ে লাইন একটু বাকাত্যাড়া করলেই সপাং সপাং বেতের বাড়ি পড়তো পীঠে। কতদিন বাসায় গিয়ে শার্ট খুলিনি, মা পীঠে বেতের দাগ দেখলে কষ্ট পাবেন তাই। শারীরিক শিক্ষার দায়িত্ব ছিল যার উপরে আমার ধারণা উনি নপুংসক ছিলেন, স্ত্রীর কাছে পৌরুষ জাহিরে ব্যর্থ হয়ে তার পুরো খেদটা ঢেলে দিতেন অভাগা ছাত্রদের উপরে। ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত এমন কেউ ছিলনা যে বছরে দুই একবার তার হাতে বেদম পিটুনি খায়নি। উনি যন্ত্রণায় ছেলেদের ছটফট করাকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতেন। এমনও হয়েছে যে ক্লাস শুরুর আগেই উনি কোন অজুহাতে কাউকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
এইসব বলদগুলা শিক্ষক নামের কলংক। জানিনা দেশে এখনকার ছেলেপেলেরা কেমন আছে সব।
সাইফকে অনেক ধন্যবাদ প্রয়োজনীয় এই লেখাটির জন্য।
পূর্ণ সহমত...
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
মামুন ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলেও এই স্যারেরা নিজেদের বীরত্ব প্রদর্শনে কোন এক কুৎসিৎ আনন্দ পেতেন, আর আমরাও স্যারদের ভয় পেতাম মারের প্রকোপের উপরে। আর এ কারনে ম্যাডামদের ধন্যেপাতা, তেজপাতা মনে হত। কতটা চাপের মুখে মানুষ এমনকরে ভাবতে শিখে, একটু চিন্তা করে দেখেন না তারা।
আপনার অভিজ্ঞতা পরে মনে হল, আমার ামর কাহবার ইতিহাস বর্ননা করা উচিত। সেটা অবশ্য লেখতে রম্যসিরিজ হয়ে যাবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনেকে বলতে শুনেছি দিন কয়েক হলো ওমুক স্যারের শাসন ছাড়া তাই তুই ছন্নছাড়া। কিন্তু যারা ওমুক স্যারের ছাত্র না তারা কি সারা জীবন ছন্নছাড়ারাই থেকে গেছে? 'স্মৃতিচারণঃ খিচুনি' দেখে আমি কিছুক্ষন ক্লান্ত ছিলাম তার পর ক্লিক করলাম বিস্তারিতে.....তারপর অভিজ্ঞতা আমার ছেলে বেলার আর সহপাঠিদের সমসাময়িক। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
এভাবে বার বার বলে আমাদের মানসিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়, জানি না, এভাবে হীনমন্যতা শেখানোর মানেটা কি? লেখাটা পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভীষণ মন খারাপ হল, ভীষণ৷
এখনও এই মারকুটে খুনী শিক্ষক শিক্ষিকা হামেশাই দেখা যায়৷ অভিভাবকদের সচেতনতা না বাড়লে আর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এ জিনিস বন্ধ হওয়া মুশকিল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দময়ন্তীদি, জানিনা, সম্ভবত প্রাইভেট স্কুলগুলোতে এ রকম ঘটনার হার কম। তবে সরকারী স্কুলগুলোতে এখনো এমন চলছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইদিক দিয়ে দেখা যাচ্ছে যে আমি কিছুটা হলেও ভাগ্যবান যে আমার স্কুলে ছাত্রদের মারের কালচারটা ছিল না একদমই।আমি আমার সারা স্কুল জীবনে একবার মাত্র পিঠে একটা থাপ্পড় খেয়েছি (শার্ট ইন না করার জন্য। প্রথমবার বলার পর শার্ট ইন করি, এরপর স্যার চলে গেলেই আবার আগের মত। স্যার সেটা দেখে ফেলায় ঐ অবস্থা) আর একবার আমার একবন্ধুকে খেতে দেখেছি। মজার ব্যাপার হল দুই ক্ষেত্রেই স্যাররা পরে এসে খুবই দুঃখ প্রকাশ করেন।
অমিত ভাই, আপনার সৌভাগ্য চোখ টাটাইলাম, যদিও আমার মাইর খাবার কারন নিতান্তই দুষ্টামি। তবে অনেকের ভাগ্য এতটা ভালো ছিলনা, আশাকরি এখনকার প্রজন্ম যেন আপনার মত সৌভাগ্য নিয়ে জন্মান॥
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খুব সুন্দর লেখা ভাইয়া! খুব খারাপ লাগলো রনির মতো শিশুদের জন্য। আমাদের দেশের এইসব শিক্ষকদের কবে যে সুমতি হবে আর কবে যে তারা সত্যিকারের শিক্ষক হয়ে উঠবেন!
ধন্যবাদ মৃত্তিকা লেখা পড়ার জন্যে। জানিনা কবে সুমতি হবে, তবে হবে নিশ্চয় একদিন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এখানে আমার অনেক কিছুই বলার ছিলো- কিন্তু অনেকে আমার হয়ে সব কথা বলে দিয়েছেন- বিশেষ করে মামুন ভাই আর সাইফ ভাই। আগে অনেকবার ভেবেছি এইসব নিয়ে লিখবো- কিন্তু অপছন্দের স্মৃতিগুলোকে টেনে আনতে ইচ্ছে করে না।
আমি শুধু এইটুকু বলি যে আমি স্কুলের টিচারদের এখনো বিশেষ অপছন্দ করি। যখন শুনি কোন ভদ্রলোক বা ভদ্রমহিলা স্কুলে পড়ান- আমি তাদের সম্বন্ধে ভালো ধারনা কোনভাবেই করতে পারি না। ভেবে নেই এই *#ঁ# তো নিশ্চয়ই কখনো কোন বাচ্চার গায়ে হাত তুলেছে। খুব চেষ্টা করি ধারনা বদলানোর- কিন্তু স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি বেশ কয়েকবার আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ও এই ব্যপারটা প্রভাব ফেলেছে। এটা আমার নিজেরই সীমাবদ্ধতা।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
তারপরেও কর্ণেল কায়সার এবং কতিপয় সভ্য বলদেরে নিয়া লেখ তন্ময়, আমি তো আছি তোমার পিছে, সকল ফাঁক ভরাট করবার জন্যে। কায়সার মিয়ারে নিয়াই বিশাল সিরিজ লেখা সম্ভব॥ তাড়াতাড়ি শুরু কর মিয়া।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কোনো পিচ্চিদের স্কুলের মিসকে বিয়ে করবো ঠিক্কর্সি। তারপর! মুহুহুহুহুহুহুহুহু ... প্রতিহিংসার স্বাদ বড় মিষ্টি!
আপনার মন্তব্য পড়ে এই লেখার বিষাদটুকু নিমিষে উবে গিয়ে রোদ ঝলমলে হাসি বের হয়ে গেল, মন্তব্যে । আপনার কামড়, আচড় এর গতি হবে না হিমুদা?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ঠিক না, একদম ঠিক না...। ছোটভাইদের পাতে আগে মিষ্টিটা তুলে দিতে হয়- জানেন না বুঝি ??
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
কাঙালিনী সুফিয়ার মতো আমিও জোর গলায় বল্তে চাই, "এইটা আবার কেমুন বিছার!?"
দিবে দিবে, বাচ্চা হবার পর ডায়পার পাল্টানোর জন্যে প্রথমে তোমাকে ডাকবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
, গনসচেতনতা ছাড়া এই গ্যান্জাম মিটবে না, কাজেই এটা আমাদের দায়িত্ব। আমাদেরই বুঝিয়ে দিতে হবে, শিক্ষকতা একটি অতীব কঠিন কাজ, প্রচুর খাটতে হবে এবং মারামারি চলবে না। আর ছোট ক্লাসের কথাতো বাদই দিলাম, সেখানে বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলার জন্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ছোটবেলায় দুয়েকটা মার মনে হয় সবাই খাইসে। কিন্তু মাত্রা ছাড়ায়ে গেলে স্যারগুলারে আসলেই আমরা দেখতে পারতাম না - কেউ কেউ ছাত্রদের সাইকোলজি/তাদের সমস্যা বুঝার চেষ্টা না করেই শিক্ষক হয়ে গেসেন; তাদের ভালো লাগার কোন কারণই নাই...
সাইব্বাইয়ের লেখা বেশ কষ্ট দিসে; 'তারে জমিন পার'এর পিচ্চিটার মতই রনইর জন্যে কষ্ট পাইসি...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
একমত, 'তারে জমিন পার' এর মত ছবির অনেক দরকার, সেই সাথে দরকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ লেখাটা অনেক ভালো লাগলো। রনির পরে কি হলো জানো কি?
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
রনি এর পরে চিকিৎসাধীন ছিল মাসখানেক, ক্লাস নাইনে আমি ঢাকা চলে আসি, তারপরে আর যোগাযোগ ছিল না, পরে খবর পেয়েছি, চাপাইতেই থাকে, আশাকরি এখন আর তার ওয়াসুক করে না। আসলে খিঁচুনির চিকিৎসা হল আজীবন ওষুধ (ফেনিটয়েন মার্কা) খাওয়া, রোগে না খাইলেও ওষুধে খাবে জীবনের রঙিন দিনগুলা, এমনই খাচড়া ওষুধ এই ফেনিটয়েন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমাদের স্কুলে এক স্যার ছিলো, সুফিয়ান স্যার। ইংরেজি পড়াইতো। একেবারেই পিচ্চিতোষ স্যার। চিকনা। কিন্তু এই ব্যাটা ছিলো বিরাট বদ। সে মারতো না, আজিব আজিব সব শাস্তি আবিষ্কার করতো। পুরা স্কুল এই ব্যাটার অত্যাচারে জর্জরিত ছিলো।
আমরা দশ কেলাসে উঠলাম, বড় হয়ে গেছি। এখনো যদি সে আমাদের সাথে এইরকম করে তাইলে তো প্রেস্টিজ থাকে না।
কিন্তু সে বহাল রাখলো তার শাস্তি। তখন আমরা নিলাম এক নির্মম প্রতিশোধ। একেবারে দরখাস্ত করে দিলাম তার নামে স্কুল কমিটির কাছে। এই নিয়া বিরাট গিয়াঞ্জাম হইলো স্কুলে। কিন্তু আমরা নট নড়নচড়ন। শেষ পর্যন্ত সেই স্যাররে আমাদের ক্লাস থেকে সরায়ে দেওয়া হইলো।
ততদিনে মজা পায়া গেছি। স্যার থাকতো আমাদের এলাকাতেই। তখনো তো উঁচা দালানের অভাব দেশে, উনি থাকতো একটা টিনশেড ভাড়া বাড়িতে। আমরা শুরু করলাম প্রতিরাতে তার টিনের চালে ভূত চালান। এছাড়াও নানাবিধ অত্যাচার। আমরা রাস্তার মোড়ে আড্ডা মারতাম, আমাদের আশপাশ দিয়া উনি গেলেই আমরা খুবজে টিজিং করতাম।
এক রাতে উনি সপরিবারে এলাকা ছেড়ে পলাইছিলো। এইটা নিয়া আমার বা আমাদের কোনোই অনুশোচনা নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজুদা আমি আগেও অনেকবার বলেছি যে আপনে একটা সুপার বস মানুষ, যাবতীয় অ্যাকশনে আপনারে দেখা যায়। আর জাতির পক্ষ থেকে আপনাকে
খোদ শয়তান পিটায়া ভুত বাইর করার জন্যে। এমন মজা অনেকদিন পাইনাই, আধা ঘন্টা ধইরা হাসতেছি আপনার মন্তব্য পড়ার পর থিক্কা। আপনার মত বিদ্রোহী মানুষ সব স্কুলে একজন কইরা থাকলে আমার আর এই লেখাটার কোন প্রয়োজন হইত না। ঢাকা আইলে বিয়াফক আনন্দ করুম আপনার লগে, কুন সন্দেহ নাই .
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ ভাই, লেখাটা অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে গেল। ভাল লাগল।
কিছু আমানবিক শিক্ষক ছাড়া অন্যান্য শিক্ষক যাঁরা 'বিভিন্ন সাইজের বেত' দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাদান নিশ্চিত করতেন বা করেন তাঁদের তেমন কোন দোষ দেখি না আমি। অথবা তাদের আন্তরিকতা নিয়ে আমি কোন প্রশ্ন করি না।
ছাত্র থাকা অবস্থায় উচ্চ-বিদ্যালয়ের যে সব শিক্ষকদের 'চান্স পেলে একদিন দেখব' বলে মনে করতাম, ছাত্র জীবন শেষ করার অনেক পরে যখন তাঁদের কাছে ফিরে গেছি তখন যে আন্তরিকতায় তাঁরা আমায় গ্রহন করেছে, সেই আন্তরিকতা আমি এই শহুরে জীবনে সচরাচর দেখি না। আমার তথাকথিত 'সাফল্যে' আমার পিতামাতার পর আমার মনে হয়েছে সবচেয়ে খুশি হয়েছে সেই শিক্ষকেরা। যে শিক্ষকের ভয়ে ছাত্ররা একদিন কাঁপত, তাঁর সাথে যখন পরে দেখা হয়েছিল তখন তিনি আক্ষরিক অর্থেই কেঁদেছিলেন।
এটা একটা বদ্ধমুল ধারনা এবং বিভিন্ন সাইজের বেত তাঁরা তাঁদের ঐ ধারনার জন্যই ব্যবহার করেন।
আমার এক সিনিয়র বন্ধু ছিল, যে তাঁর উচ্চ শিক্ষা ইয়োরোপে পেয়েছে, বড় হয়েছে 'আভিজাত্যের' মধ্যে। (খুব স্পষ্টভাষী ছিল)। আমার মনে আছে আমরা দুজন একটা ওয়ার্কশপে গেছলাম - অতিথি হয়ে। সেখানে শিশু-কিশোর বেড়ে উঠা নিয়ে আলোচনা হয়, এই 'বেত' কালচারের খারাপ প্রভাব নিয়ে তথ্য-উপাত্ত দেয়া হয়। এবং আমার বন্ধু পরে রাগ করে আমায় বলেছিল (তাঁর দু-বছরের অতি-আদরের এক কন্যা শিশু ছিল), 'আমার মেয়ে আমার কথা না শুনলে একটা 'চটকনা' দিয়ে...। আমাকে আমার বাচ্চা কীভাবে রাখতে হবে শেখায়, শা...। এই সব ওয়েস্টার্ন কনসেপ্ট...। আমার বাবা-মা আমাকে মানুষ করেনি? দরকার মত ঠিকই 'চটকনা' দিয়েছে। এবং তাই আমি মানুষ হয়েছি'। দেখুন সে কিন্তু তার শিশুর প্রতি অন্ধ-ভালবাসা থেকেই বলেছে চটকনা দিয়ে তাকে ঠিক রাখবে। এই অন্ধ-বিশ্বাস কিন্তু অনেক গভীরে...।
আমার এই উচ্চ-শিক্ষিত বন্ধুর কথার প্রতিধ্বনি শুনেছিলাম মফসলের এক শিক্ষকের কাছে। তাঁর কথা ছিল এসব এনজিও ফেনজিও 'বেত-কালচার' বন্ধ করে আমাদের বাধ্য করে শিক্ষা-দানে বাধা দিচ্ছে...।
আসলে আপনার মন্তব্য পড়ে আমি বেশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। আমার লেখাটার শেষ প্যারা মনে হল আপনে ভালো করে পরেননি, আমি কিন্তু পুরা শিক্ষকগোষ্ঠিকে ঈঙ্গিত করে কিছু বলিনি। আর যদি ধরে নেন তাই বলেছি, তারপরেও কিন্তু কোন শিক্ষকের অধিকার নেই ছাত্রদের গায়ে হাত তোলার। তার উদ্দেশ্য যত ভালই হোক না কেন, মেরে কাউকে কিছু শেখানোর পদ্ধতি কখনই ভদ্র বা সুস্থ বুদ্ধির পরিচয় হয়ে দাঁড়ায় না।
আমার লেখার উদ্দেশ্য কিন্তু ছিল যারা আমার বন্ধুর মত শারিরিক ভাবে কিছুটা প্রতিকূলতার সম্মুক্ষিন, তাকে মানুষ করার জন্যে স্যারদের যত ভালো উদ্দেশ্যই থাকুক না কেন, এটা কি তাকে কোন ভাবে সাহায্য করছে?
আর আরেকটা প্রশ্ন করি আপনাকে, কোন বাচ্চার সাথে তাদের জ্ঞানের সীমা নিয়ে কখনও আলোচনা করেছেন কখনও? উন্নত দেশগুলিতে কিন্তু কেউ কাউকে মারে না, তাহলে এই দেশের বাচ্চাগুলা মানুষ হয় না? জন্তু জানোয়ার হয়ে বের হয়? আর এদের জানার পরিধি দেখে আমি যার পর নাই লজ্জা পেয়েছি বহুবার, আর তেমনি তাদের স্বচ্ছ ধারনা, হাই স্কুলে উঠে তারপর বেয়াদবি করার অভ্যাসটা হয়ত বেশি এখানে, কিন্তু তার সাথে লেখাপড়ার সম্পর্ক কি? আমার বাড়ি ওয়ালা চাচার ছেলের সাথে যখন আমার পরিচয় হয় তখন সে সেভেন্থ গ্রেডে পড়ত, কিন্তু গণিত বলেন, বিজ্ঞান বলেন, জীব বিদ্যা, স্ট্যাট এসব বিষয়ে তার জ্ঞানের স্বচ্ছতা আমাকে বার বার মুগ্ধ করেছে। সেই সাথে পড়াশুনার বাইরেও তার পড়াশুনা অনেক।
তাকে বাসায় বা বাইরে কখন ও কেউ মারেনি, সে জন্যে কি সে উচ্ছন্নে গেছে? সচলে অনেকেই আছেন যারা বাইরে থাকেন, বাচ্চাকাচ্চা আছে, তাদের মতামত পেলে আরো ভালো হত। এখানে স্নিগ্ধাপু, পিপিদা বা যুধিষ্ঠিরদার মতামত জানতে পারলে খুব ভালো হত।
আর সব বাদ দেন, আপনার নিজের বাচ্চাকে কেউ মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েও যদি মারেন, তার হাতে যত ভাল উপাত্তই থাকুক না কেন, আপনার কেমন লাগবে? আমি কিন্তু তাকে একদিম পুতে ফেলব। নিজে অনেক মার খেয়েছি, কিন্তু তার জন্যে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা আমিও হারাইনি, তাও বলে যেটা ভুল, সেটাকে সমাজে প্রচলিত বলে মাথা পেতে নেব কেন?
আর তাছাড়া চটকনা দিয়ে সোজা রাখতে চান কাউকে, একবার চটকনা দেবার পর আপনাকে সে এসে চটকনা দিবে না এমন ভাবছেন কেন? বাচ্চাকাচ্চারা কিন্তু শিখে ২ জায়গা থেকে, প্রথমে তার বাবা-মা, পরে তার শিক্ষক, আর উপাত্তের কথা বলছেন, যে পরিবারে বাচ্চারা মারধোর খেয়ে বড় হয়, তারা সেটা তারা অন্যের উপর প্রয়োগ করেবেই। বাচ্চারা সাথে চিল্লাচিল্লি করলে উত্তরে তারা চিল্লাবে, এ শিক্ষা আপনি তাকে দিচ্ছেন, অন্য কেউ না। কাজেই খুব খিয়াল কইরা। ভবিষ্যত প্রজন্ম কেমন হবে, তার চাবিকাঠি কিন্তু আপনার হাতে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সাইফ ভাই, আমাকে ভুল বোঝার কোন সুযোগ নেই। একটা ব্যাপার ক্লিয়ার করি, আমি এই 'বেত' বা 'চটকনা' কালচারের সাপোর্টার না। আমি এটা বন্ধের জন্য কিছু কাজের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলাম। আমার পারিবারিক ক্ষেত্রে এটা আরও কঠিণ ভাবে মানা হয়।
আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছি এই বিশ্বাসটা (বেত দিয়ে মানুষ করা) এতটা গভীরে চলে গেছে যে এটা থেকে বের হয়ে আসতে সময় লাগবে কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে।
আমার বন্ধু উদাহরণটা এজন্যই দিয়েছি। সে উয়োরোপে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করার পরও এই বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
এবারে পুরা ঘটনা পরিষ্কার হল। অনেক ধন্যবাদ পুরা ব্যাপারটা পরিষ্কার করায়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
স্যাডিস্ট । একটা দুইটা না, অনেক গুলা দেখেছি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কথা সত্য, ইনারা সংখ্যায় একদম কম না। প্রায় প্রতি স্কুলেই ২-৩ জন থাকেন, যাদের মাইরের হাত বেশ 'বিখ্যাত'
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কয়েকদিন আগে ইউনিসেফ এর একটা রিপোর্ট বেরিয়েছে এই ব্যাপারেই। ৯১% স্কুলের ছাত্রছাত্রী শিক্ষকদের কাছে রেগুলার মার খায়, যার ৭% শেষ হয় রক্তারক্তিতে। কিছুদিন একটা প্রজেক্টে কাজ করেছি যেখানে স্কুল শিক্ষকদের ইংরেজি শেখাতাম, একটা চান্স ও বাদ দেই নাই যখন তাদের ভুল ধরে মুখের উপর বলার সু্যোগ ছিলো, "কিস্যুই হয় নাই আপনার, এই বাক্যটা ১০ বার লেখেন!" ...... একটা "এইম ইন লাইফ" খুব চমৎকার ভাবে পূর্ণ করেছি।
আপনারে লক্ষকোটি সালাম, মন্তব্যে , আপানর আমার পার্সোনাল হিরো হইলেন আজকে থেকে। হাসি থামাইতে পারতেছি না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি পড়েছি ঢাকার গভ: ল্যাব এ। নীলক্ষেতের কাছে ছিলাম বলে কিনা জানিনা, মাঝে মাঝে ইস্কুল দুয়েক অতি উৎসাহী শিক্ষক ব্যাগ চেক করতেন। একদিন ব্যাগে ছিল আনন্দমেলার ঈদ সংখ্যা, তো স্যার সেটা পেয়ে নাড়াচাড়া করতে করতেই একটা গহনার বিজ্ঞাপন পেলেন, যাতে একটা রমণীর ফ্রেমের গলায় হার। খুব নিরামিষ না হলেও তেমন গুরুতরো কিছু ছিলনা, কিন্তু ফলশ্রুতিতে পিঠের রক্ত যখন শার্টে লাগলো তখন স্যার থামলেন
হে হে হে, বস, কপাল ভালো হাতে দৈনিক ইনকিলাব এর বিজ্ঞাপনের পাতা ছিলনা। সেইখানে আবার সকল পদের অঙ্গবর্ধক যন্ত্রের বিজ্ঞাপন থাকত কিনা। নাহ, মনে হইতাছে আমার মাইর খাওয়া নিয়া আরেকটা লেখা লেখতেই হইব
আসলে ঐ ব্যাটা রমনীর চিত্র দেখে যে উত্তেজনায় ভুগছিল, তা নেভানোর উপায় না পেয়ে আমাদের পিঠ, পাছা আর হাতের তালু বেছে নিয়ে বিকৃতরুচি চরিতার্থ করতেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মেয়েকে স্কুলে নেই আনি রোজ, ওদের পড়াশোনা আর টীচারদের ব্যবহার দেখলে নিজের ওপর নিজের করুনা হয়।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আবার ইশ্কুলে ভর্তি হয়ে যান মেঘলা মামনির সাথে। মেয়ের সাথে মায়ের কথোপকথন হয় না কেন? দুলাল ভাই কি আপনার মুখ সেলাই করে দিয়েছে নাকি , তাড়াতাড়ি মেঘলা মামনিকে নিয়ে আপডেটেড লেখা দেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি ১৯৯১ সালে রাজশাহী গভ. ল্যাবে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হই।
এরকম একটা চরিত্র আমাদের ক্লাসেও ছিলো। মার খেতো প্রচন্ড। মারকুটে শিক্ষকদের স্ট্রেস দূর করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করতো। সেই ছেলেও কেমন যেন মার-প্রুফ হয়ে গিয়েছিলো, কোন বোধোদয় হতো না হাজার মার খেলেও।
এইরকম গরু পিটিয়ে মানুষ করার শিক্ষাব্যবস্থা এখনও সম্ভবত আছে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
"আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষিত লোকজনদেরকে এ পেশায় আনা গেলে হয়ত এমন হত না, কিন্তু সরকার যা বেতন দেন, সেখানে কাউকে চাকুরি করতে বললে তারা যে আসেন সেটাই বেশি। তারপরে আবার গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ঘুষ ১-৩ লাখ টাকা ধার্য করা হয়। আমাদের দেশে রাখাল হতেও যদি কমপক্ষে ১ লাখ টাকা লাগে, তাহলে ভালো কিছু আশা করা একটা নিতান্তই অবাস্তব।"
পুরোপুরি সহমত সাইব্বাই, একান্তই নিজের উপলব্ধির মতন লাগল কথাগুলো ।
সরকার যদি গাছের গোড়ায় পানি, সার না দেয় তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্মের মেধা বিকাশ হবে কিভাবে? জানি না উপরের গদিতে যারা বসেন, তাদের মাথায় কি আছে? ড্রিল করে দেখার ইচ্ছা অনেক দিনের।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
পিংক ফ্লয়েডের "দ্যা ওয়াল" গানটা শুনেন নাই বা ভিডিওটা দেখেন নাই কে কে ?
কেউ দেইখা না থাকলে তার জন্যে শুধুই দু:খ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখাটা অনেক পরে চোখে পরল। পরার কথাও না। আমার শীতনিদ্রায় মাঝে মাঝে আড়মোরা ভাঙ্গতে জেগে উঠি। তখনি সচলে একটু উঁকি দেওয়া হয়।
তবে পরে হলেও পড়তে পারলাম দেখে আনন্দ লাগছে। আমি নিজেও গবঃ ল্যাবে পড়েছি
একদম স্মৃতি ধরে টান দিলেন সাইফ ... ... অ-নে-ক কথাই মনে পরে যাচ্ছে!
বস, আমাকে তুমি করে বলবেন, আমি বয়সে নির্ঘাত ছোট, সেই সাথে নয়া ব্লগার। কাজেই তুমি বলতে লজ্জা লাগলে তুইও বলতে পারেন। তাছাড়া আপনে এখন তো আর শুধু লু-আরেফীন না, আপনে ডক্টর লুৎফুল আরেফীন। আপনেও গভ: ল্যাব জেনে খুব ভালো লাগছে। মনে যখন পড়েই গেল, লিখে ফেলেন, আনন্দের বা দু:খের, যেটাই হোক না। আপনার স্মৃতির পাতায় বিচরণ করি আমরা কিছুটা সময়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন