সুখে থাকলে ভূতে কিলায়

সাইফ তাহসিন এর ছবি
লিখেছেন সাইফ তাহসিন (তারিখ: রবি, ০৮/১১/২০০৯ - ৬:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পেটের উপর ধুপ্‌ করে চরে বসে আমার ভাতিজা সামি, আমার প্রাণপ্রিয় বড় ভাতিজা। তারপরে মনে পড়ে যায়, আজকে আমার শেষ দিন ঢাকায়, আজকে রাত ১০টায় ফ্লাইট। ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে নিউ ইয়র্ক। আর ২ দিনের মাঝে না গেলে আমার ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। মুখ আর মনের মাঝে তিক্ততা নিয়ে উঠে বসি। সামিকে জড়িয়ে ধরি, সকাল বেলাতেই চোখ ভিজে আসে সামির কথা ভেবে, আবার কবে দেখব সামিকে, জানি না। কিন্তু বাসায় এমনিতেই সবাই কাঁদুনে টাইপ, এখন যদি আমারই চোখ ভিজে উঠে, তাহলে আর রক্ষা নেই। কাজেই নিজেকে সংযত করে বাথরুমে ঢুকে যাই, প্রাত:ক্রিয়া সেরে নাস্তার টেবিলে বসি। খাবার যেন মনে হয় ব্লটিং পেপার, গলায় আটকে থাকে, নামতে চায় না। পানি দিয়ে গিলে গিলে নামাই। মনে হয় যেন, গলা থেকে পেট পর্যন্ত প্রতি ইঞ্চিতে ব্যারেকেড বসিয়েছে আমার অনুভূতিগুলো।

এমন ভাব ধরে থাকি যেন, আজকে আমার চেয়ে সুখী মানুষ দ্বিতীয়টি নেই, অযথাই দাঁত ভেটকি দিতে থাকি, আর সুযোগ পেলেই ২ ভাতিজাকে নিয়ে বসে থাকি। বড় ভাই অফিসে গেছেন, আম্মা আব্বা দুজনেই বাইরে। শ্বশুরবাড়ীতে ফোন করি, ফোন করে খোঁজ নেই, সেখানে কি অবস্থা, আমার শালী আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাব কিনা? মুখে যত বড় বড় কথা বলি না কেন, ভিতরে তো ভয়ে সিট্‌কে আছি, আজকের পর থেকে মাথার উপরে থাকবে না ছাদ, যে ছাদের নিচে পার করে এসেছি জীবনের ২৬টা বছর। আমার ইচ্ছা ছিল, আজীবন ঢাকায় থাকব, বাবা মা ২ভাই এক সাথে। কিন্তু বিধাতা আমার এই ইচ্ছা শুনে অট্টহাসি দিয়েছেন বারে বারে আর বলেছেন, রসো বাছা, তোমাকে সাইজ করতেছি।

জীবনে কোনদিন টোফেলের পা পর্যন্ত মাড়াইনি, যাতে করে আমার বাপজান বলতে পারে, যা বাইরে যা। ডাক্তার হয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশনের জন্যে পড়া শুরু করে দেই, তারপর তার প্রথম ভাগ পাশ ও করে যাই ৬ মাসের মাথায়। এদিকে বাবার সাথে কাজ করে যাচ্ছি সকাল বিকাল, চরম মাত্রায় ব্যস্ত। এর মাঝে আমার স্ত্রী পেয়ে বসল গ্রিন-কার্ড। না পারি ফেলতে, না পারি রাখতে, কি সমস্যা! পড়াশুনা চলতে থাকে পুরাদমে, এর মাঝে ভিসার জন্যে ইন্টাভিউয়ের ডাক পড়ে। কত ঢং করে ছবি তুলতে হয় এর জন্যে, আগে জানলে কাট মারতে দ্বিধা করতাম না। সেখানে শেষ না, এক আবুল ডাক্তারের কাছে যেতে হল শারীরিক সুস্থতার সার্টিফিকেট আনতে, সেখানে বদমায়েশ ব্যাটা আমাকে খান কতক টিকাও দিল। প্রচন্ড মেজাজ খারাপ করে পশ্চাৎদেশে হাত বুলাতে বুলাতে গালি দিতে দিতে বের হয়ে আসলাম আমরা ২জন। তারপর দিন তারিখ বুঝে গিয়ে হাজির হলাম লাল ইটের দুর্গের পিছের দরজায়। সেখানে ঢুকতে হয় এক মহা চিপা দিয়ে, গাড়ি এর পাশ দিয়ে কোনমতে একটা রিকশা পার হয়, এমন এক চিপা আছে সেখানে। নিচের ছবিতে দেখেন, বাঁশ তোলা রোড নাম তার, যেমন নাম, তেমন জায়গা।

map

মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করার কত যে পথ আছে, এখানে না গেলে বুঝবেন না। গিয়ে দাঁড়ালাম, ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর বলে, সাথে ফোন রাখা যাবে না, দুর্গের ভিতরের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে যাবে কিনা। গাড়ি ছিল বিধায় সেখানে রেখে দিলাম ২ জনের ফোন। তারপর আরো ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ভিতরে ঢুকতে দিল। ভিতরে ঢোকার পর এক দেশী মহিলা সাথে করে আমাদের আনা বিশাল খাম খুলে কাগজপত্র হাতে নিতে নিতে বলল, আজকে তো দেরি হয়ে গেছে, আর একটা ফর্ম থাকার কথা, সেটাতো দেখছিনা। আমার স্ত্রী বলল, আমরা তো কোন চিঠি পাইনি। তখন আমাদের ফেরৎ পাঠিয়ে দিয়ে পরের দিন আবার আসতে বলল। দাঁত খিট্‌মিট্‌ করতে করতে বের হয়ে আসি আমরা। তারপর আবার হাজির হই পরদিন। এবারে সকাল সকাল এসেছি, রোজ রোজ এমন লাইনে দাঁড়ানোর নাটক কার ভালো লাগে? তারপর ঢুকে গেলাম। ঢোকার মুখে খাটাশ সিকিউরিটি যেভাবে হাতাহাতি করল, মনে হল, পারলে ক্যাভিটি সার্চ করে ফেলবে কাপড়ের উপর দিয়েই।

ভিতরে যাবার পর, আবারও এক দেশী মহিলা এসে ইংরেজিতে এমন ভাব ধরলেন যেন, বুশের কন্যা, ভুল করে ভুল গেট দিয়ে ভুল দেশে বের হয়ে গেছেন। তারপর আমাদের নিয়ে একটা বড়সড় রুমে বসিয়ে চলে গেলেন দেশী কুত্তার বিদেশী ঘেউ। তারপর বসে ছিলাম অনেকক্ষণ, বরাবরই অপেক্ষার সময় দীর্ঘ হয়, এরপর আবার আমার স্ত্রীকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে অনেক কুটুর মুটুর ফুসুর ফুসুর ও করল। আরো একঘণ্টা পরে আমাদের ডাক পড়ল। এক আমেরিকান মহিলা এসে আমাদের বলে, হাত তুলে প্রতিজ্ঞা কর, যা বলবা, সত্য বলবা, এমন কথা কইলে তারপর আমার মত ঘাড় তেড়া মানুষ সত্যি কথা বলি কেমনে? আমার তো হো হো করে হাসি চলে আসতেছিল, তবে মহিলা বেশি কথা না বাড়িয়ে বলল, কাইলকা আইসা পাসপোর্ট নিয়া যাইবা। আমি বহুত আশা করে ছিলাম যে ভিসা দিবে না, কাগজপত্রেও ভেজাল ছিল অনেক, কিন্তু যা চাই, তা পাই না, তাই ঠিকই ভিসা দিয়ে দিল।

যাক, আজাইরা প্যাচাল পারতে লাগলে থামতে পারি না, তারপরে গোছগাছ কেমন হয়েছে সেগুলা আবার পরীক্ষা করে দেখতে লাগলাম। ৩ জন মানুষ, ৬টা সুটকেস, বইয়ের ওজন এত বেশি যে বাধ্য হয়ে বইগুলো ভাগ ভাগ করে নিয়েছি। তারপরে ২টা হাড়ি আছে, থালবাটি আছে, এসে কত জিনিষ কিনব, কিনতে কিনতে তো ফতুর হয়ে যাব। এসব আবোল তাবোল কাজ করে মনকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করতে থাকি। এসব ধুনফুন করতে করতে দুপুর হয়ে যায়, এর মাঝে সবাই বাসায় ফিরে আসে। দুপুরে খেতে বসে আবারও সেই একই অবস্থা, এর মাঝে অবস্থা আরো কাহিল করতে গিয়ে আম্মা খাবার টেবিল ডুকরে কেঁদে উঠলেন, সান্ত্বনা দেবার বদলে দিলাম এক কপট ধমক, এখন কান্নাকাটি শুরু হলে একেবারে ছেড়াবেড়া লেগে যাবে। ঝাড়ি খেয়ে আম্মা চুপ করে গেলেও ভাবি খাবার টেবিল ছেড়ে উঠে গেলেন, দেখলাম, ঘরে গিয়ে চোখ মুচ্ছেন। আর এদিকে ব্যারিকেড গুলা এখন আবার ফেরত চলে এসেছে কিনা!

এভাবে নীরব শোক আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে, বাসায় সবাই জমায়েত হতে থাকেন, আমাকে বিদায় জানাবেন বলে। সন্ধায় বাসা থেকে বের হই। এর মাঝে আমার এক ফুফাতো ভাই ফোন করেন, তার সাথে কথা বলতে গিয়ে কি যেন একটা আট্‌কে থাকে গলায়, কথা বলতে পারি না, তাই শুনতে পাচ্ছি না, হেলো হেলো করে ফোনটা রেখে দেই। বিমানবন্দরে পৌঁছে আরেক জ্বালা, বাবার চেনা পরিচিত মানুষ অনেক, এর মাঝে বাবার এক সাংসদ এসেছেন যাতে করে কাস্টমসে সময় কম লাগে, আমরা চলে গেলাম সরাসরি ভিআইপিতে, তাছাড়া কাস্টমসেও পরিচিত এক ভাইয়া ছিলেন, তিনি কাগজপত্র নিয়ে ৫ মিনিটে যাবতীয় ঝামেলা মিটিয়ে দিলেন। কিন্তু গ্যানজাম বাধিয়ে দিল ভোদাই এয়ারলাইনের লোক। টিকিট কেটেছি এমিরেটস্ এ, কাউন্টারে বসা দেশী এক ভাই, তার ভাব দেখে এমন বেআক্কেল হলাম। আমার সুটকেস বলে ওভার ওয়েট, একদম কাটায় কাটায় ৩২ কেজি এর বেশি দিবে না ব্যাটা। আরো বলল, প্রতি স্যুটকেসে ৫০ ডলার করে দিতে হবে, যেভাবে আছে, সেভাবে নিলে, আমি নানা ভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম, আমার বই ছাড়া আমি যাব কীভাবে? এরপরে আমার বাবা এবং সেই সাংসদ আংকেল ও তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু সে কিছুতেই শুনবে না। পরে প্রতি স্যুটকেস থেকে কিছু বই বের করে হাতে নিতে বাধ্য হলাম।

শেষ ২ ঘণ্টা বাবা মায়ের সাথে একটু বসব, এই বদ ব্যাটার জন্যে সেটাও সম্ভব হল না। বহুত ঠেলাঠেলি করে সুটকেসের ওজন কমিয়ে ২ হাত ভর্তি জিনিষ নিয়ে ভিআইপি লাউন্জে ফেরৎ আসলাম। একই অবস্থা আমার বড়, ভাই, এবং ২ আব্বাজানের। সময় না থাকায় দৌড়ুতে হল প্লেনের উদ্দেশ্যে, সাংসদ আংকেলের বদৌলতে আব্বা আম্মা একেবারে প্লেনের গেট পর্যন্ত গেলেন, কিন্তু আমি যে জিনিষটা সারাদিন ধরে এড়িয়ে গেছি, এবার তার সম্মুখীন, বিদায় নিতে হবে বাবা মার কাছ থেকে, বড় ভাইয়ের মামলা এড়ানো গেছে, নাহলে হয়ত কেঁদে কেটে বুক ভাসাতাম সেখানেই। ২ আম্মাই চোখ মুছছেন, এক জনের ছেলে, অন্যজনের ২ মেয়ে, কারো কষ্টই কম না, তবে, শাশুড়ি আম্মা এতদিনে অভ্যস্ত হয়েছেন কিছুটা, কারণ শ্যালিকা আমার ২ বছর যাবৎ বাইরে থাকেন। দুই আম্মাকে ঝট্‌ করে সালাম করে কাট মারলাম, কপট রাগের ভানও করলাম, বললাম, কান্নার কি আছে! আম্মা ততক্ষণে হাউ মাউ শুরু করেন বলে। শ্বশুর আব্বাকেও সালাম করলাম, উনার দেখালাম আজকে মুখচোখ শক্ত হয়ে আছে, তবে দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় তার বোধহয় এখন এতটা খারাপ লাগে না। শেষে বিদায় নেবার পালা আব্বার কাছ থেকে, তাকে সালাম করতে গিয়ে টের পেলাম, সারাদিনের জমিয়ে রাখা দু:খ কষ্ট আর আটকে রাখতে পারলাম না। সারা পৃথিবী গলে ঝরে পড়তে লাগল সবার সামনে।

চলবে...


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

প্রথম যখন দেশের বাইরে আসি, তখন আম্মা অনেক কান্নাকাটি করছিলো, যদিও মাত্র দুই মাসের জন্যে বাইরে যাওয়া। এবার আমি যখন আসি, তখন চিন্তা করে দেখলাম, আম্মা তো অনেক কাঁদবে বাসা থেকে বেরোনোর সময়। মেজ ভাইকে চোখ টিবি দিয়ে শুরু করে দিলাম বিরাট বাড়িকাঁপানো ঝগড়া। আম্মা আর কান্নার চান্স পায় নাই, মহাবিরক্ত হয়ে এসে দিলো এক রামধমক। ঐ হাউকাউ ধমকাধমকির ফাঁকে আম্মাকে একটু আদর করে দিয়ে এক দৌড় মেরে চলে আসছি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আহা! এমন বুদ্ধি পান কেমনে? প্রশ্নটা ক্লিশে হইলেও না জিগায় পারলামনা। আপনে হয়ত বলবেন, যেভাবে লেখার বুদ্ধি মাথায় আসে, সেভাবেই এই বুদ্ধিগুলাও মাথায়া সে। তবে, খালাম্মার জন্যে রইল অনেক ভালোবাসা আর ভক্তি শ্রদ্ধা। বাবা মা কি জিনিষ, তা বোঝার জন্যে একবারের জন্যে হলেও বিদেশে এসে ভূতের কিল খাওয়া উচিৎ।

আর পরবর্তীতে ঢাকা গেলে আপনার বুদ্ধিটা মাহতায় থাকবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি বিদেশ যামুনা। এইখানেই মরমু। মন খারাপ (ধুর মিয়া, আপনেরাও আইয়া পড়েন। ভাল্লাগেনা মন খারাপ )
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আইতে তো মঞ্চায়, আরো মঞ্চায় আজিজে গিয়া চা পানি খাইতে, সচলাড্ডা দিতে, কিন্তু আটকায় গেছি মাইঙ্কা চিপায়, আমারো কিসসু ভালো লাগে না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

"তোমার যেখানে সাধ চলে যাও /আমি এই বাঙলার পারে রয়ে যাবো...."

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চাইলেই কি আর থাকা যায়? চলে যেতে চাইলেও কি চলে যাওয়া যায় রে ভাই/বোন, সেইটা পারলে আজকে এই লেখার প্রয়োজন পড়ত না মন খারাপ, মনে হয় যেন, আমি ২০০৫ এ আটকায় আছি, বাকি সবাই দৌড়ে চলছে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ভ্রম এর ছবি

আসলেই পরিবার বড় হলে আর সবার সাথে এরকম ক্লোজ হলে একসাথে অনেক গুলো মানুষকে কষ্ট দিয়ে আসা হয়। যদিও আমি এতদিন বাবা-মা'র সাথেই ছিলাম তবে এখন তো বাবা দূরে। পড়াশুনার বাহানায় কাছের যাও দুএকটা মানুষ আছে সবাইকে ফেলে একা থাকি। মাঝেমাঝে খুব অপরাধবোধ কাজ করে। মনে শান্তি না থাকলে কি হবে এই পড়াশুনা দিয়ে?
ভিসা, কাস্টমস, এয়ারপোর্ট সংক্রান্ত ব্যাপার গুলো পড়ে অনেক পুরনো কথা মনে পরে গেলো। অনেকেই ভাগ্যবান বলে, পরিচিত মানুষজন থাকার কারনে অল্পতেই এসব হ্যাসাল থেকে পার পেয়ে যায়। কিন্তু যারা একেবারেই সাধারন মানুষ, যাদের পথ গুলোকে একটু সহজ করে দেবার কেউ নেই তাদের পদে পদে কি পরিমান জ্বালা যন্ত্রণা পোহাতে হয়।
লেখা ভালো লেগেছে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

একমত আপনার সাথে, সবাই আমার মত সৌভাগ্যবান নয়, সাধারন মানুষের জন্যে মরার উপর খাড়ার ঘা এর মত চলে কাস্টমসের যন্ত্রনা, তবে আমার জানামতে ছাত্রদের কোন দেশেই ঘাটানো হয় না। লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রবাসিনী এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল হয়েছে সাইফ ভাই। আসলেই সুখে থাকলে ভূতে কিলায়। কেন যে দেশ ছাড়লাম?
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভূতের কিল পিঠে না পড়লে মনে হয় সুখ টের পাওয়া যায় না, ব্যাপারটা অনেকটা "সাবধানের মাইর নাই" এবং "মাইরের ও সাবধান নাই"। দেশ না ছাড়লে কত সুখে ছিলাম, এই বোধটাই আসত না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

১ ...

আমার বাসায় কান্নাকাটির চল কম ... হাসিমুখেই বিদায় নিয়ে আসছি ... চোখ মুছতে দেখেছি শুধু বাসার বুয়া আর ছোটখালুকে ... বুয়ারটা প্রত্যাশিত, সে আমাদের সাথে আছে আমার জন্মের আগে থেকে; খালুরটা বড়ই অপ্রত্যাশিত, মানুষটা আমারে এত পছন্দ করে আগে টের পাই নাই ... আর এয়ারপোর্টের কাচের দরজা ঠেলে ঢোকার ঠিক আগে ছোটভাইটা কোমড় জড়ায়ে হাউমাউ করে কান্না শুরু করলো; বেচারা যাতে এই ধরণের কাজ না করে তাই কাজিনরা আগেই "আজকে বাচ্চারা কান্নাকাটি করবে" টাইপ টীজ করতেছিল কিন্তু শেষ মূহুর্তে সেইসব কাজে লাগে নাই :-|

২ ...

এয়ারপোর্টে পরিচিত কেউ ছিল না কিন্তু কপাল খুব ভালো ছিল, স্মুথলি পার হয়ে গেসি ... একটা সুটকেস ওভারোয়েট ছিল [এখন তো চব্বিশ কেজির বেশি নিতে দেয় না]; যখন বুঝতে পারছিলাম যে কোনভাবেই দুইটারই ওজন চব্বিশের নিচে রাখা সম্ভব না তখন একটা পুরাপুরি চব্বিশ আরেকটা প্রায় একত্রিশ করে ফেলছিলাম যাতে এক্সট্রা টাকা দিলে খালি একটার জন্য দিতে হয় ... কাস্টমসের মহিলা ওজন দেখলো, জিজ্ঞেস করলো কতদূর যাবেন ... বল্লাম বহুদ্দূর, হ্যালিফ্যক্স ... "এইবারই প্রথম?" ... বল্লাম, হ্যা ... মহিলা সীল দিয়ে বললো যান দেঁতো হাসি ... তখনো পোলাপান মার্কা চেহারা ছিল, দেখে মনে হয় মায়া হইসিল খাইছে

পরে এমিরেটসের লাউঞ্জে বসে আরেক লোকের সাথে আলাপ করতেসি, তখন কথায় কথায় এই ঘটনা বল্লাম, সেই লোক তো হাউকাউ শুরু করলো শুনে ... কয়, "ঐ নীল শাড়ি পরা মহিলা? সে তো আমার চার কেজি ওভারওয়েট বলে পুরা চার্জ নিছে, এত করে বল্লাম ছেড়ে দিতে ছাড়লো না ..."

................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভাগ্যিস কিংকং, তোমার বাড়িতে কান্দাকা্টি করার লুক নাই, জানে বাইচা গেছ ভাই। বুকের মাঝে কি যেন একটা দলা পাকায় আসে, অসুস্থ লাগে নিজেরে, মনে হয় যেন, হাউ মাউ কইরা কানতে পারলে জীবনটা অনেক সহজ হইত। আর ছেলেমানুষরে কানতে দেখলে বিয়াফক গিয়াঞ্জাম বাইধা যায়, অন্যদের কান্নাকাটি দেইখা আমি বরাবরই হা হা হি হি কইরা গেসি, ব্যঙ্গ তামাসাও করসি অনেক, সেই সব শোধ করতে হইসিল সেইদিন আমারে কড়ায় গন্ডায়।

আর কাস্টমসের মহিলা সম্ভবত তোমারে দেইখা নিজের ছেলের কথা মনে হইসে, আর আরেকটা ব্যাপার হল ছাত্রদের একটু ছাড় দেওয়ার অলিখিত একটা রীতি। তবে, সেই নিয়মে খুব কম মানুষই পার পায়। তোমার মিয়া কপাল বিশেষ ভালো ছিল। আর দেখি, ইচ্ছা আসে শাহান নামক বদের বদনাকে নিয়ে তোমার ঐদিকে আসার। জানিনা কোনদিন আসা হবে কিনা, তবে গোপন বাসনা আর কি।

=======================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

আলমগীর এর ছবি

দিলাম পাঁচটা কিল।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ আলমগীর ভাই, আপনার আমি বিশাল ভক্ত, আপনার কিল অনেক উপভোগ করলাম। আপনার মমিন সিরিজ আমাকে সচলে লিখতে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গেছে, অথচ আপনে আর লেখবেন বলে মনে হচ্ছে না। যেখানেই থাকেন, ভালো থাকেন, আর ব্যস্ততার মাঝেও লিখতে থাকেন। অসংখ্য ধন্যবাদ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

অনেক কষ্টের কথা মনে পড়িয়ে দিলে বস......
কাজটা ভাল করলে না......

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বিষাদের পয়গম্বরের কাছে থেকে এমন কথা শুনব, আশা করিনি, তবে এটা পরিষ্কার যে, নিজের অজান্তেই এখানে আমার মত প্রবাসীদের বহু কষ্টে চেপে রাখা কষ্টে আবারো আগুন ধরিয়ে দিয়েছি। এজন্যে আমি বিশেষ ক্ষমাপ্রার্থী, আসলে প্রায় সবারই দেশ ছাড়ার ঘটনা কিছুটা হলেও একরকম। তবে প্রবাসী সকল সচল, হাচল এবং অচলদের জন্যে রইল দোয়া যেন তারা শীঘ্রই তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে পারেন। তখন ঢাকা হবে মাত্র ২৪ ঘন্টা দুরের একটা জায়গা, যেখানে চাইলেই যাওয়া যায়।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ে মনটা উদাস হয়ে গেল। মন খারাপ
আমি ভাই দেশেই খেয়ে-পড়ে বাচঁতে চাই। তয় লেখা ভালো লাগছে। আবেগগুলা অল্প কথায়ই সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
/
ভণ্ড_মানব

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ বস লেখা পড়ার জন্যে, মন উদাস করনের লাইগা দুঃখিত।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মামুন হক এর ছবি

আমার বাসার প্রায় সবাই ছিচকাঁদুনে ( বড়ো ভাই ছাড়া),আমি বরাবরই কান্না চেপে রাখি। এই লেখাটা পড়ে কেন জানি সেই বকেয়া কান্নাগুলো বুকের মধ্যে উথাল পাথাল শুরু করে দিলো। বাবা-মা বুড়িয়ে যাচ্ছেন, ভাই-বোন গুলো দূরে সরে যাচ্ছে, ভাগ্নে-ভাগ্নি, ভাতিজা-ভাতিজি সব বড়ো হয়ে যাচ্ছে, আর আমি বোকার মতো বছরের পর বছর দূর প্রবাসে খাবি খাই। ভালো করেই জানি একদিন মনে হবে এতকিছুর দরকার ছিলনা জীবনে...তবুও এই গ্যাড়াকল ভেঙ্গে বেরিয়ে যাবার সাহস হয়না।

সিরিজ চলুক সাইফ। আমাদের অনেকে না বলা কথাগুলো আলোর মুখ দেখুক তোমার লেখনীতে ভর করে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দেখা যাইতেছে নিজের দুঃখ ভাগ করতে গিয়া প্রায় সবারই কাঁচা ঘায়ে নুনের ছিটা দিছি, তবে পরের পর্বগুলাতে দুঃখগুলা আর দিমু না, শুধুই আমার ধরা খাওয়ার ঘটনাগুলা নিয়ে রসিকতা করুম। বেহুদা সবাইরে কষ্ট দিয়া লাভ কি? এমন তো না যে, কারো কষ্টের অভাব পরসে

লেখা পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ আর আপনার মত আমিও ফিরে যেতে পারতেসি না, সেই সাথে দূরে সরে যাইতেছি প্রিয়জনদের কাছ থেকে।

======================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শাহান এর ছবি

মন খারাপ

ভিসা পাওয়ার দিনটা খুব খারাপ। যেদিন লাল দুর্গে ডাইকা হাতে ভিসা ধরায় দিল, বাইরে বের হয়ে নতুনবাজারের মোড়ে দাঁড়ায়ে বুঝার চেষ্টা করতেছিলাম ব্যাপারটা কেমন হইল। অন্য দেশে ঢুকার ছাড়পত্র নাকি নিজে দেশ থেকে বের হওয়ার টিকিট? অনুভূতিটা মোটেও ভাল না। অফিসে ফিরে এই কথা বলাতে সবাই হাসে, এক জুনিয়র কলিগ তো বলেই ফেলে- ভাই বহুত ভাব নিছেন, আর ভাব নিয়েন না।

এর প্রায় ৩ মাস পর সেই জুনিয়র কলিগ নিজেও বিলাতি ভিসা পায়। এরপর ই-মেইলে জানায়, ভাইয়া আপনি ঠিকই বলছিলেন। ভিসা পাওয়ার পর আর কিছুই ভাল লাগে না। ততদিনে আমি দুনিয়ার উল্টাপাশে, দাঁত কেলায়ে হাসি।

আমি এই লাইনে নতুন, মাত্র চার মাস আগে দেশ ছাড়সি। আসার আগের কয়টা দিন এত দৌড়ের উপর যায় যে আসলে ভাল করে বুঝতেই পারি নাই কি হইতে যাচ্ছে। আমি আসার ১০-১২ দিন আগেও অফিস করছি। সুতরাং সময় ছিল খুব অল্প, এই দৌড়-সেই দৌড় - কাঁধে করে যে ব্যাকপ্যাক আনি, সেইটাও ফ্লাইটের দিন দুপুরে কেনা। এরপর সন্ধ্যায় গাড়ি আসার কথা, গাড়ি আর আসে না- বাসার সবার কি টেনশন, আমি নিশ্চিন্ত। শেষমেশ একটু দেরিতে পৌঁছে বিমানের একদম পিছনে সীট পাই।

এয়ারপোর্টে অবশ্য ঝামেলা হয় নাই। আর চোখের পানিমুক্ত বিদায় নিছি, বিদায় নেয়াতক কাউরে চোখ মুছতে দেখি নাই। বাসায় কি হইছে জানি না, আমি চোখের পানি ফেলছি আসার প্রায় ৭-৮ দিন পর- ডিমভাজি করার জন্য পেঁয়াজ কাটতে গিয়া দেঁতো হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মিয়া তোমার তো নাম হওয়া উচিত মিঃ আশিক স্মুথ মাহমুদ। মায়ের কাছ থিকা মামার কাছে আইসো, পরে না আমাগো খপ্পরে পইড়া এখন দিন খারাপ যাইতেছে। তবে যত যাই হোক না, বাবা মা কে ফেলে আসার কষ্ট ভুলে থাকতে পারলে খুব ভালো হতো।

=======================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মুস্তাফিজ এর ছবি

অপেক্ষায় থাকলাম

.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.

...........................
Every Picture Tells a Story

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই, এইটা প্রথম পাতা থিক্কা বিদায় নিলেই আবার দিমু।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

চলুক!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সাহস দিতাছেন বস! তাইলে আইসা পড়ব পরের পর্ব।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাফি এর ছবি

ধারুন হয়েছে সাইফ ভাই। আপনে এমনে লেখতে থাকলে তো আমার মোটকুর দেশের ভাত নাই গুল্লি
আমার বাসায়ও কান্দনের রোগ আছে, তাই আমি ও সাবধানে ছিলাম, নিজেও একই রোগের রুগী। তবে দাদীর কাছ থেকে বিদায় নিতে যেয়ে মনে হল, এই মানুষগুলোকে যে রেখে যাচ্ছি, এসে আবার কাকে দেখব, কাকে দেখবনা। তখন আর নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। তবে আর সবার মতন আমি ও আম্মাকে ব্যপক ধমকাধমকি করসিলাম, মায়ের কাছে আসলে সবি চলে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আরে বস, কি যে কন না, আমি হইলাম ২ দিনের ব্লগার, ভাতেরে কই অন্ন, আমার লেখা পইড়া সচল থিক্কা মানুষজনে জান নিয়ে পালায়না, উলটা আরো সাহস দেয়, তাই দেইখাই সাহস পাই। আপনার লেখায় যে ধার থাকে, তা সত্যিই অসাধারন, তবে চাইনা আপনার মত করে লেখতে, বরং অনুপ্রাণিত হই বার বার আপনার লেখা পড়ে, আর সেখান থেকেই নিজের লেখা উন্নত করার চেষ্টা করি। যদিও সফল হতে পারি নাই, কিন্তু চেষ্টা চালায় যাবো।

আর একদম একই অনুভূতি হয়েছে আমারো, আর দুঃখজনক ভাবে আমার দাদী আমার অনুপস্থিতিতে উপর ওয়ালার কাছে চলে গেছেন, আর তিনি ফিরে আসবেন না। তাই দোয়া রইল আপনার ভাগ্য যেন আমার মত না হয়। আর হ্যা, সকল রংবাজি ঢংবাজি করা চলে আম্মার সাথে, কারন দিনের শেষে হাজার দোষের পরেও তিনি বুকে টেনে নিবেন, মাথায় হাত বুলিয়ে বলবেন, কি করে, কই ছিলি? আমাকে ফেলে থাকতে পারিস? কি খাস? ঠিকমত ঘুমাস না? না খেতে খেতে তো গা হাত পা কাক্লাশের মত হয়ে গেছে। তখন আবার আমি কপট রাগ দেখিয়ে বলব, যাও তো, কানের কাছে প্যান প্যান করবে না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

আবির আনোয়ার [অতিথি] এর ছবি

আমার কান্নাকাটির ব্যাপার ছিল না কারণ আসছি আব্বা আম্মা সহ। অবশ্য আম্মা এবং বাসার অন্যরা ভালই কান্নাকাটি করছে।
আপনেতো ভাইজান তাইলে "লাকি ম্যান অব দ্যা সেঞ্চুরি" (হুমায়ূন আহমেদের ভাষায় বললাম) দুই ধাক্কায় পেয়ে গেছেন। আমার লালদুর্গ সফর প্রায় আড়াই বছর লম্বা। ১৫ বা ১৬ বারের বার ভিসা পাইসি। অনেক পুরান দুঃখের মনে করায়ে দিলেন তবুও সুন্দর লেখার জন্য তারা দিতে ইচ্ছা করতেছে কিন্তু তারা ইনক্লুডিং তারা ভরা রাত দুইটাই তো অনিকেত ভাইর দখলে চোখ টিপি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হায় হায় কন কি? আমার ইন্টারভিউ অবশ্য খুবই স্মুথ গেছিল, আমার জানামতে কারো এত সহজে ভিসা হয়নি, সকলের কাছেই শুনতাম যাবতীয় ভীতিকর গল্প, তাই মনে মনে আশাবাদী ছিলাম, ভিসা হবে না, আমাকেও কোথাও যেতে হবে না। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক।

আর তারা ফারা এসবই ভ্রান্ত ধারনা, তাই এসব সচলদের হাতে থাকাই ভালো, নাহলে আমার বা আপনার মত হাচল বা অচলের হাতে থাকলে অপব্যবহারই বেশি হত।

আর, আপনার কোন লেখা আগে পড়েছি বলে মনে করতে পারছি না, তবে আপনার আড়াই বছরের গল্প শোনার জন্যে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করব, আর আশা করব, সচলায়তন হবে আপনার প্রথম পছন্দ আমাদের সেই গল্প শোনানোর। কাজেই ২ কাপ চা খেয়ে আঙ্গুল মটকে বসে পড়ুন লেখতে। লেখনি ক্ষমতা দুর্বল হলে আমরাই আপনার পাশে দাড়াবো আপনাকে সাহায্য করতে। তাহলে আর দেরী করেন না।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে আমার লেখা পড়ার জন্যে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অবাঞ্ছিত এর ছবি

চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ার মতন শোনাবে, তবে একান্তই যদি ভিসা নিতে অনাগ্রহী হতেন, তবে ইন্টারভিউ এ উদ্ভট কিছু আচরণ করতে পারতেন... অসংলগ্ন কথা বার্তা... অথবা সোজা বলে দিতে পারতেন যে আপনি আসলে যেতে চান না "ওরা" জোর করে পাঠাইতেসে ... অথবা বলে দিতে পারতেন যে কাগজে আসলে কই ভেজালটা আছে দেঁতো হাসি

মজা করলাম হাসি

লেখা চলুক
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো

আরে ভাই, না আসলে জানব কিভাবে কোনটা সুখ আর কোনটা ভূতের কিল? আর তখন ছিলাম ৫০-৫০ অবস্থায়, সেটা আরেক বিশাল ইতিহাস। আর কাগজে ভেজাল ছিল, ছোট খাট ভেজাল না, বিইইইশাল ভেজাল, আমার স্ত্রীর জন্মতারিখ ছিল ভুল, এর পরেও বেটারা ফেরত দিল না, আমি কি করব। তাছাড়া নতুন দেশ দেখার লোভও ছিল। তবে আসার পর পরই বুঝে গেলাম, ন্যাড়া এসে পড়েছি বেল তলায়, আর একটার পর একটা পড়তে থাকল আমার মাথায়।

লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

দুনিয়াটা আসলে বিশাল সাইজের একটা কেক। কোথাও ক্রিম বেশি, কোথাও কেক আবার কোনো ধারে শুধু হোল্ডার আর ডিজাইন খাইছে । এক অংশে স্পঞ্জ তো আরেক অংশে চীজ। কোথাও ব্ল্যাক ফরেস্ট তো কোথাও স্ট্রবেরি। আবার কোনো অংশ একদম ডালডা-ঘুটনি দিয়া প্লেইন স্বাদের কেক।

আপনার কোন অংশ খেতে ভালো লাগবে সেটা আপনি-ই ভালো বুঝবেন। আপনি স্বাদ পরিবর্তন করে পুরানো স্বাদে ফেরৎ যাবেন, নাকি নতুন স্বাদেই সন্তুষ্টি লাভ করবেন, সেটাও আপনি ঠিক করবেন।

তবে, স্বাদ পরিবর্তনের সুযোগ পেলে সেটা অবশ্যই কাজে লাগানো উচিৎ বলেই আমি বিশ্বাস করি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হে হে হে, এক্কবারে হক কথা কইসেন শা. সি. দা, এখন ভিন্ন ফ্লেভারের কেক খাইতে গিয়া গিট্টুর মাঝে পড়ে গেছি, দেশেও যাইতে মন চায় না, থাকতেও মন চায় না। মহা ফাপড় !!!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রানা [অতিথি] এর ছবি

সাইফ, ভাল লাগলো তোমার আর অন্যদের কথা পড়ে । মনে পড়লো আমারো এমন ভরভরন্ত জীবন ছিল যখন দেশ ছেড়েছি নব্বুইয়ের মাঝামাঝি । আব্বা-আম্মা, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-অনাত্মীয়দের নিয়ে । কত কাহিনি, কত স্বাদ, কতরকমের সম্পর্কের মায়াজাল।

সময়ে অনেক কিছু বদলালো। বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, দেশে যাওয়া হয়নি আট বছরের বেশি হতে চললো। বিভিন্ন কারণেই হয়নি । যত দিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে যাওয়াটা আরো কঠিন হচ্ছে । পারবো কি?

আম্মার কবর, বৃদ্ধতর আব্বা, চেনা-অচেনা মানুষ, পরিচিত রাস্তাঘাট, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও অদৃশ্য, বিমূর্ত কিছু একটা আমাকে প্রবলভাবে টানে । স্বপ্নে প্রায়ই দেখি আমি অবশেষে দেশে, এদিক-ওদিক ঘুরছি, অসম্ভব ভাল লাগছে। পরীক্ষা করে নিশ্চিতও হই এটা স্বপ্ন নয়, তারপর একসময় ভুল ভাঙ্গে ।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

রানা ভাই, সিরিয়াস ডরাইসি, ৮ বছর দেশে যান নাই? এতদিন পর দেশে গেলে সম্ভবত দেশের মাটিতে পা দিয়ে জ্ঞান হারায় ফেলব। তবে আপনার স্বপ্ন হোক সত্যি, দেশে ঘুরে আসেন একবার।

আপনার কাছ থেকে কিন্তু লেখা পাবার আশায় বেচাইন হয়ে অপেক্ষা করছি আমরা ৩ জন, কিন্তু সেই লেখা উঁকি দিচ্ছে না, ঘটনা কি? মাঝে তো নিয়মিত মন্তব্য করতেন,তাও দেখি বন্ধ হয়ে গেছে।

যত দিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে যাওয়াটা আরো কঠিন হচ্ছে । পারবো কি?

ভয়ংকর সত্যি, তবে আমাকে পারতেই হবে, এই চিপার থেকে বের হয়ে আসতে পারতে হবে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওডিন এর ছবি

ধুর মিয়া। মন খারাপ

বিএমসিতে নাকি সিএইচকবির সারের জন্মদিন পালন করা হইবো- এইসব গ্রীক ট্রাজেডি একা একা দেইখা মজা নাই! এইটার জন্য হইলেও আইসা পড়েন কয়েকদিনের ছুটি নিয়া শয়তানী হাসি

---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কস্কি মমিন!,

হের এই ভীমরতি দেখার কোন ইচ্ছা নাই, আবু আহমেদ স্যার হইলে আসুম, কোন সন্দেহ নাই। তবে হেভি নাটক হইব বুঝা যাইতেছে। গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ভুতুম এর ছবি

সাইফ ভাই, লেখা ভালো লেগেছে। পরের পর্ব দেন।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ ভুতুম, আসিতেছে পরের পর্ব।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

বর্ষা এর ছবি

লেখা অনেক বেশি ভালো হচ্ছে আজকাল।
আমার ইউ এস ভিসা নিয়েছি টরেন্টো হতে, আমার ব্যাগে সেন্ট ছিলো তাই ব্যাগে গন্ধ ছিলো, ব্যাটা গন্ধ পায় কিন্তু সেন্ট পায়না। ১৫ মিনিট ধরে খুঁজছে। তারপর ঢুকছি, আমারে কয় তুমি তো ইমিগ্রেশনের আগে আবেদন করছ, কেনো লেখছ করো নাই, আমি কই না তো করি নাই তো, ব্যাটা কয় কেন আবুছ মামুদ নামে একজন তোমার জন্য করছে তো। আমি তো আকাশ তথেকে পড়ছি, এইটা কে? আমি বিশাল তর্ক করলাম। তারপর আমাকে স্ক্রিন ঘুরিয়ে দেখালো- আব্দুস সামাদ মাহমুদ, আমার মেজ মামা অনেক আগে অ্যাপ্লাই করে রেখেছেন, যেইটা আমি জানি না। আমি রাম ধমক দিসি- কইছি ঠিক মতো নাম বল্বা----ব্যাটা ঠান্ডা হয়ে গেছে, এদের ঝাড়ি দিলে ভালো কাজে দেয়।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হা হা হা, যেমন কুকুর, তেমন মুগুর। এই না হলে বর্ষা, জায়গা মত টিপি দিলেই এরা বাপ বাপ করে। নায়াগারা ফলস্‌ থেকে ফেরার পথে ইমিগ্রেশ্নে কত প্রশ্ন যে করল, এর আগে এমন দেখিনি কখনও

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

huraera এর ছবি

প্রথমবার মা 365 থেকে পিছনে গূনতেন...এইবার আসার দুইদিন আগে বাবার ক্যা্নসার জেনেও আসতে হয়েছে.....চোখ বোধ হয় আর শুকাবে না....ধন্যবাদ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সমবেদনা জানানোর ভাষা হারি্যে ফেললাম। তবে, আপনার পাশে দাড়াতে চাই, কষ্টের সময় বন্ধু হতে চাই। তাতে কষ্ট কতটা লাঘব হবে জানি না, তবে সচলে এসে আপনে আপনার কষ্ট ভাগ করার জন্যে আমার মত আরো মানুষ পাবেন

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মেহেদী [অতিথি] এর ছবি

ভুল বানান

চরে
কঁদুনে
ব্যারেকেড
দুর্গের
সন্ধায়
হাড়ি
আরক
লাউন্জে

একবার পড়ে এই কয়টা পেলাম।

ভুল বাক্য
আমার শালী আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাব কিনা?
আমার তো হো হো করে হাসি চলে আসতেছিল, তবে মহিলা বেশি কথা না বাড়ায় কইল, কাইলকা আইসা পাসপোর্ট নিয়া যাইবা।

একবার পড়ে এই কয়টা পেলাম।

সেখানে শেষ না, এক আবুল ডাক্তারের কাছে যেতে হল শারীরিক সুস্থতার সার্টিফিকেট আনতে, সেখানে বদমায়েশ ব্যাটা আমাকে খান কতক টিকাও দিল।
ঢোকার মুখে খাটাশ সিকিউরিটি যেভাবে হাতাহাতি করল, মনে হল, পারলে ক্যাভিটি সার্চ করে ফেলবে কাপড়ের উপর দিয়েই।
ভিতরে যাবার পর, আবারও এক দেশী মহিলা এসে ইংরেজিতে এমন ভাব ধরলেন যেন, বুশের কন্যা, ভুল করে ভুল গেট দিয়ে ভুল দেশে বের হয়ে গেছেন।
তারপর বসে ছিলাম অনেকক্ষণ, বরাবরই অপেক্ষার সময় দীর্ঘ হয়, এরপর আবার আমার স্ত্রীকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে অনেক কুটুর মুটুর ফুসুর ফুসুর ও করল।
এসব ধুনফুন করতে করতে দুপুর হয়ে যায়, এর মাঝে সবাই বাসায় ফিরে আসে।
বিমানবন্দরে পৌঁছে আরক জ্বালা, বাবার চেনা পরিচিত মানুষ অনেক, এর মাঝে বাবার এক সাংসদ এসেছেন যাতে করে কাস্টমসে সময় কম লাগে, আমরা চলে গেলাম সরাসরি ভিআইপিতে, তাছাড়া কাস্টমসেও পরিচিত এক ভাইয়া ছিলেন, তিনি কাগজপত্র নিয়ে ৫ মিনিটে যাবতীয় ঝামেলা মিটিয়ে দিলেন। (এই সব ২ নম্বরীতে আপনার কোন আপত্তি নাই। আপনার ইচ্ছার বাইরে কিছু করলে তারা ভোদাই, খাটাশ,আবুল ইত্যাদি)

কিন্তু গ্যানজাম বাধিয়ে দিল ভোদাই এয়ারলাইনের লোক।
শেষ ২ ঘণ্টা বাবা মায়ের সাথে একটু বসব, এই বদ ব্যাটার জন্যে সেটাও সম্ভব হল না।

ভাল মানুষ হতে নিজের ইচ্ছাই অনেক।বিবমিষা দিয়ে কি কিছু করা যায়।নিজের মনোজগৎ বিশাল করে নেয়ার দায় আপনার নিজের।লেখালিখি তো একটা ইবাদত। বাজে জিনিষ দিয়ে পাতা ভরে কি লাভ। যাদের ভালো লাগছে তারা হয়তো আপনার রুচির বাইরে নন।কিন্তু সবাই কি আপনাদের মতো?

ওডিন এর ছবি

বাজে জিনিষ দিয়ে পাতা ভরে কি লাভ। যাদের ভালো লাগছে তারা হয়তো আপনার রুচির বাইরে নন।কিন্তু সবাই কি আপনাদের মতো?

আমার লেখাটা কিন্তু ভালোই লাগসে-তার মানে আমি সবার মত না। তার মানে আমি 'অনেকের'ই মত না। এই ব্যপারটা আমার কাছে আরো বেশি ভালো লাগলো। গড়াগড়ি দিয়া হাসি
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এই ব্যপারটা আমার কাছে আরো বেশি ভালো লাগলো

হে হে হে, এই ব্যাপারটা আমার কাছেও দারুন লাগল, হে হে হে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

@ মেহেদী

ভাল মানুষ হতে নিজের ইচ্ছাই অনেক।বিবমিষা দিয়ে কি কিছু করা যায়।নিজের মনোজগৎ বিশাল করে নেয়ার দায় আপনার নিজের।লেখালিখি তো একটা ইবাদত।

বাজে জিনিষ দিয়ে পাতা ভরে কি লাভ।

যাদের ভালো লাগছে তারা হয়তো আপনার রুচির বাইরে নন।কিন্তু সবাই কি আপনাদের মতো?

আপনার মন্তব্যের টোনটা খুব একটা ভাল লাগল না।
সচলে যারা লেখা দেন, তারা বেশির ভাগই নিজের কথা নিজের মত করে বলতে আসেন। এখানে যেমন খুব উঁচুমানের লেখা আছে, তেমনি আছে একেবারে আটপৌরে ভাষায় রচিত নিত্যদিনের কড়চা। এই বৈচিত্র্যই খুব সম্ভবত সচলায়তনের প্রাণ।

আপনার যদি লেখকের প্রকাশভঙ্গী নিয়ে আপত্তি থাকে,সেইটা নিয়ে বলার অধিকার আপনার অবশ্যই আছে। কিন্তু তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমন করার কোন কারণ দেখছি না।

লেখকের বানান এবং বাক্যগঠনের ভুল ধরেছেন। খুবই ভাল কথা। তবে অন্যের ভুল ধরার আগে নিজের ভুল শুধরে নিয়ে কথা বলা জরুরী। আপনি নিজে যে অল্প ক'টি লাইন লিখেছেন সেগুলোতে বাক্যের অবস্থাটা দেখুনঃ

বাজে জিনিষ দিয়ে পাতা ভরে কি লাভ।

একটা ভুল বাক্য কারণএই বাক্যের শেষে '?' চিহ্ন থাকা জরুরী।

লেখালিখি তো একটা ইবাদত।

'লেখালিখি' কোন শুদ্ধ শব্দই নয়।

বিবমিষা দিয়ে কি কিছু করা যায়।

আবারো একটা ভুল বাক্য কারণ '?' বা '!' চিহ্ন নেই।

কাজেই বুঝতেই পারছেন আপনি নিজেই ভুলের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন। অন্যের ভুল ধরার আগে নিজে সতর্ক হোন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনিকেতদা, আসলে আমারও একটা প্রশ্ন ছিল, "লেখালেখি ইবাদত", এই মহান উক্তি জনাব শাহ পরানপুরি খানকায়ে মাইজভান্ডারি সুফি পীর বাবা মেহেদী এর বয়ান নাকি আসলেও কোন মনিষী দিয়েছেন? আর আমি যেমন অলস, ইবাদত বন্দেগি করার ইচ্ছা বা অভ্যাস কোনটাই আমার নাই দেঁতো হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মেহেদী [অতিথি] এর ছবি

@অনিকেত

উদ্ধৃতি

কিন্তু তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমন করার কোন কারণ দেখছি না।

একটা ভুল বাক্য কারণএই বাক্যের শেষে '?' চিহ্ন থাকা জরুরী।

আপনি যে কয়টা ভুল ধরেছেন- আমার কাছে ভুল বলে মনে হচ্ছে না।আপনি বাংলা বই থেকে দূরে আছেন বোঝা যাচ্ছে- চিহ্ন নিয়ে কিন্তু নানান কিছু হচ্ছে।আমি প্রশ্নের ভঙ্গিতে না বললে ? দিব কেন চোখ টিপি লেখালিখি আর লেখালেখি দুটাই সমান চলে।

আমার বলার মূল বিষয় বানান ছিল না।যদি ও বানান নিয়ে বলা শুরু করেছি।দুঃখিত সেজন্য।

উনার দুই নম্বরী জিনিষ নিয়ে লাফানো আর বাকি পৃথিবীর সবাইকে ভোদাই,বালছাল,বদ,ধুনফুন বলা নিম্নরুচির - আমার শুধু এটাই বলার।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনি বাংলা বই থেকে দূরে আছেন বোঝা যাচ্ছে- চিহ্ন নিয়ে কিন্তু নানান কিছু হচ্ছে।আমি প্রশ্নের ভঙ্গিতে না বললে ? দিব কেন চোখ টিপি লেখালিখি আর লেখালেখি দুটাই সমান চলে।

আপনার মন্তব্য পড়ে অনেকক্ষন গড়াগড়ি দিয়ে হাসলাম, অযথা কাদা ছোড়া আমার স্বভাব না, কিন্তু আপনে মহাজ্ঞানি তো, তাই সাধারন ব্যাপার আপনার চোখে পড়ে না। একটা বাক্যেও আপনার দাড়ি কমার পরে ফাঁক নাই, এটা শিখতে বই পড়া লাগে না, যখন প্রথমে কেউ লেখা শিখে, তখনই এসব সেখানো হয়। অন্তত আমরা সেভাবেই শিখেছি। আর অনিকেতদাকে আপনার দেয়া উত্তরের ভাষা দেখে আপনাকে ত্যাড়া ভাষায় উত্তর দিতে মন চেয়েছিল, কিন্তু আমি নিজেকে তুচ্ছ ব্লগার ভাবতাম, আপনার ২য় মন্তব্য পড়ে সে ভুল ভাঙ্গল, আপনে নেহায়েত কাদা মাখামাখি করতে এসেছেন, সেটা পরিষ্কার হবার পর থেকে আমি হেসে যাচ্ছি। আপনার লেভেল তো দেখি আমারও কয়েক হাজার তলা নিচে। সামান্য দাড়ি-কমা জ্ঞান নেই, তার কাছে অনিকেতদা প্রশ্নবোধক চিহ্নব্যব হার সংক্রান্ত জ্ঞান আশা করেছেন, সে তো ছুচোর গলায় চন্দ্রহারের মত হয়ে গেছে।

আর হ্যাঁ, অনিকেতদা হয়ত বই থেকে দুরে আছেন, কোন সন্দেহ নেই, তবে সেটা সভ্য জগতে চটি নামে প্রচলিত, চটি যদি আপনার বেন্চমার্ক হয়, তাহলে তো লিখালিখি ঠিকই থাকবে। দাড়ি কমার প্রয়োজন ও খুব জরুরী না। কোন সভ্য বইয়ে লিখালিখি বের করে দেখাতে পারলে বরই প্রীত হব। অপেক্ষায় থাকলাম আবারো নতুন কিছু সেখার অপেক্ষায়।

বুঝলাম আমি লেখতে জানি নাম, সেটা কি আমি কখনও অস্বীকার করেছি? মনে পড়ে না, আর কোন ২ নাম্বারি জিনিষ নিয়ে আমি লিখেছি একটু মনে করিয়ে দেবেন কি? লেখার বিপরীত ক্রমানুসারে এর আগে লিখেছি -

* খিচুনি - এখানে আপত্তি, অর্থাৎ আপনে চান, স্কুলে বাচ্চাদের মাইর দেওয়া হোক?
* সুইডেনের মহাজ্ঞানি - নিচে দেখেন।
* রাজাকার - নিচে দেখেন
* জানালা - আপনে খুদে নরমে কাজ করলে গায়ে লাগতেই পারে
* সেবা প্রকাশনী - সয়ং কাজীদাও এই লেখা পড়লে খুশি হতেন
* পরমাণুগল্প - এখানে আপত্তি? তাহলে তো ডাক্তার সমাজের কুলাঙ্গার একজন
* শিবির - নিচে দেখেন

অনেকদুর পর্যন্ত গেলাম, এর মাঝে ২ নাম্বারি কোনটা একটু বুঝিয়ে বলেন তো, কাউকে ভোদাই বলায় যদি আপনার গায়ে লেগে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে আপনে শিবির এর কেউকেটা অথবা সুইডেনের জ্ঞানির জামাতা দেঁতো হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রানা [অতিথি] এর ছবি

ভাই মেহেদী, যদি প্রশ্নবোধক না দেন তাহলে "কি" এর পরিবর্তে "কী" ব্যবহার করতে হবে বলে জানি।

অনিকেতের প্রতি আপনার মন্তব্য "আপনি বাংলা বই থেকে দূরে আছেন বোঝা যাচ্ছে- " পড়ে পড়ে বেশ মজা লাগলো। কারণ কথাটি আর কাউকে নয় অনিকেতকে নিয়ে, বইয়ের ব্যপারে যার দূর্বলতা রাসপুটিনের নারী-দূর্বলতাকেও হার মানায়।

সাইফ নিয়ে বলি । সাইফের কথার ধরণ যাই হোক এটা বোধকরি সবাই বোঝেন যে সে সাফ-দিলের মানুষ। তার বলার ধরণ নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন আগে, সাইফ সবসময়ই তা শ্রদ্ধাভরে নিয়েছে । পুরোনো কমেন্টগুলো আর সাইফের প্রতি-কমেন্টগুলো দেখতে পারেন। আমার ভাল লাগে যে, সাইফ আলোচনা/সমালোচনা বোঝে
কিন্তু একই সাথে অনেকের মত ত্যাড়া কথায় সুরসুর করে পথ পাল্টায় না।

কোনকিছুতে আপত্তি থাকলে সুন্দরভাবে বললেইতো হয়। কারও কথাতে কিছু মনে নিয়েন না ভাই, লিখতে থাকুন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

রানা ভাই, আবারো বলতেছি, আপনার লেখা কই? আপনার মুখ আমার প্রশংসা শুনে এবারে সত্যিই লজ্জা পেলাম, মানুষটা আমি খারাপ, মুখ ও খারাপ, লজ্জা শরমের বালাই নাই, তবে ২ নম্বরি করসি, এটা বলতে পারবে না কেউ ( খুক খুক খুক, মানে এখনো শুনি নাই পরিচিতদের কাছ থেকে)। আপনার মন্তব্যটা আমার মনের জোর বাড়িয়ে দিল অনেক।

তবে এই মহাজ্ঞানি ধরাকে সরা জ্ঞান করতেছেন, বলা যায় না, এখন এসে আপনাকেও কিছু জ্ঞান দিয়ে যাবে, আসলে কোথায় দাড়িয়ে কাকে কি বলছে, কার নামের পেছনে কে আছেন, সেটা না জেনে বড় বড় কথা বলে যাচ্ছেন, আর সেটা দেখে আমি হাসতে হাসতে খাবি খাচ্ছি। যদি জানত আপনার আসল পরিচয়, ৩ বেলা ৯ টা ডায়পার লাগত।

আমেরিকা আসেন তাড়াতাড়ি, ক্যাঙ্গারুর দেশে আর কতদিন!! অনিকেতদার বিবাহ দিতে হবে না? আপনার হাতে ঘটকালিটা হয়ে যাক চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রানা [অতিথি] এর ছবি

অনিকেতের ঘটকালি বোধহয় আমার ভাগ্যে নাইরে ভাই, যতবারই কোন "প্রসপেক্ট" নিয়ে কথা বলি সে পালিয়ে বেড়াতে শুরু করে । আমি যে চেষ্টা চালিয়েছি তাতে সুখী বিবাহিত লোকও দ্বিতীয় বিয়ে করতে রাজি হয়ে যেত। তোমার নিশ্চয়ই মনে আছে, কিছুদিন আগে সচলায়তনে একটি মেয়েকে অনিকেতের কথাতো প্রায় বলেই ফেললাম লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে। আর অনিকেত কি করলো? সাথে সাথেই তার "হুলিয়া" বদলে ফেললো, এমন একটা ছবি লাগালো নিজের যার নিশ্চিত পাঠোদ্ধার সম্ভব নয়। ছবিটি দেখ। হাত দিয়ে মুখ আংশিক ঢাকার অর্থ দু'টোই হতে পারে । ১) সে পাত্রীকে নিজের চেহারা ঠিক দেখতে দিতে চায় না অথবা ২) (আমাদের বোকা বানানোর জন্যই) রুমালে-মুখচাপা জামাইয়ের ভাব নিচ্ছে, বোঝাচ্ছে সেতো প্রস্তুত।

তবে সুখের বিষয় ইদানিং তার বিয়ের অনেকেই চেষ্টা করছেন । হিমুও দেখলাম অনিকেতকে "যোগাযোগ" করতে বলছে। আমিও চেষ্টা অব্যাহত রাখছি মারফতি লাইনে। চারটি মহাদেশ ব্যস্ত হয়ে অনিকেতের বিয়ে নিয়ে । উনি কি রাজী হবেননা?

আমার লেখা? লেখার সত্যিই ইচ্ছে আছে, তবে কোন কারণে "আসছে না"। জানি এ রোগ বড় লেখকদের হয়, তাই খুব চিন্তিত আছি যে তাও নয়। শুনেছি বড় কোন পরিবর্তনে আবার লেখা বেরুতে শুরু করে। যেহেতু আমার আগে লেখা বের হয়নি পরিবর্তনটা খুব বড় মাপের হতে হবে। কি ধরণের পরিবর্তন বলা মুশকিল (শুনেছি ওটাও অনিশ্চিত কিছু হতে হয়), তবে একটা এখনই মাথায় আসছে । সেটা আর কিছু নয়, অনিকেতের বিয়ে। এমনোতো হতে পারে তার বিয়ের দিন কাক কিছু একটা করে বসলো, সেটা নিয়েই আমার প্রথম লেখা । কিছুই জানা যাচ্ছে না সে বিয়ের সিংহাসনে না বসা পর্যন্ত। আর দুনিয়ার যে কোণেই বিয়ে হোক, আমি সেই বিয়ের ঘটক হই বা না হই, আমি থাকবো ইনশাল্লাহ। "বন্ধু তোর বরাত নিয়া আমি যাব"।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ভাল মানুষ হতে নিজের ইচ্ছাই অনেক।বিবমিষা দিয়ে কি কিছু করা যায়।নিজের মনোজগৎ বিশাল করে নেয়ার দায় আপনার নিজের।

হে ভালমানুষের কারিগর ভালোমানুষশ্রেষ্ঠ ভালো ভাই, দয়া করে সবসময় আমার থেকে দুরে থাকবেন। আমিও সাইফ ভাইয়ের মতো খারাপ লোক।
এবং আমি ভালো হতেও চাইনা। অন্ততঃ আপনার পরামর্শ নিয়ে তো না-ই।

আমিও বিবমিষা লিখি। নিজের মনোজগত বিশাল করে নেবার কোনও দায়ও আমার নেই। এবং এজন্য আমি দুঃখিতও নই।

লেখালিখি তো একটা ইবাদত। বাজে জিনিষ দিয়ে পাতা ভরে কি লাভ।

ভাই, আপনার মতো ঈমানদার তো আর সবাই নয়! আর সবার কাছে তো আর আপনার মতো "ভাল জিনিস" থাকে না যে সেগুলো দিয়ে পাতা ভরবে। আসলে ভাল জিনিস কী সেটাই আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা। একটা স্যাম্পল যদি দেখাতেন,,,!

যাদের ভালো লাগছে তারা হয়তো আপনার রুচির বাইরে নন।কিন্তু সবাই কি আপনাদের মতো?

একেবারেই না। সবাই আমাদের মতো না (সচেতনভাবেই আপনার বলা "আপনাদের" সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে নিলাম)। আমি আমার একজন বন্ধুকে নিয়ে যদি অন্য কোন বন্ধুকে কিছু বলতে যাই তাহলে প্রায়শই বলি, "আরে অমুক হালারপুতে কি করছে শুন..."। এতদিন বুঝতাম না, আজকে আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝলাম আমি খারাপ লোক। আমি এজন্যও দুঃখিত নই। আর আমি ভালো হওয়ার চেষ্টাও করব না।

একটা সাবধান বাণী দেই আপনাকে, আমার মনে হয়না সচলে আপনার কখনো ভালো লাগবে। সচলের সব মানুষই কিছু জায়গায় অভিন্ন। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে অভিন্নতার সেই জায়গাটায় আপনার সঙ্গে অন্যদের মিলবে না। আমি এজন্য দুঃখিত যে, এই ব্যপারটিতেও আমি দুঃখিত নই। হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনার্য্য সঙ্গীত ভাই, সচল যে একটা পরিবার, তা আরেকবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় দিলা আমারে আবার, কি যে ভালো লাগল। খুব ছুয়ে গেল তোমার কথাগুলো। আর আমি নিজেই ভুদাইচরিত মানুষ, আমার কথা কেউ এত গুরুত্বের সাথে নেয়, জানতাম না, আমি নিতান্তই একজন দুর্বল ব্লগার। যা বলি, সবই নিজের কথা। এর মাঝে ইবাদত আসল কোথা থেকে, মহাজ্ঞানী পীরবাবা মেহেদী ই জানেন।

আসলে ভাল জিনিস কী সেটাই আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা। একটা স্যাম্পল যদি দেখাতেন,,,!

প্রচন্ড একমত বস। এই লাইনটার জন্যে মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

আমি এজন্য দুঃখিত যে, এই ব্যপারটিতেও আমি দুঃখিত নই।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কঠিন কথা সহজ করে বলার যে অসাধারন গুনটা তোমার আছে বস, সেটার বিরাট ভক্ত আমি। ঢাকা আসলে দেখা হবে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

"আৎকা জুইট্যা আলোচনায় আসার ১০০ উপায়" অথবা "বিখ্যাত হবার টোটকা উপায়" নামক বই মনে হয় আছে বাজারে। বই না থাকলেও পাঠক যে আছে তা তো দেখতেই পাচ্ছেন চোখ টিপি দেঁতো হাসি

জলদি পরের পর্ব ছাড়েন। নইলে ঢাকা আসলে দেখা করমু না দেঁতো হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার ভূল ধরলেন বলে।

বাজে জিনিষ দিয়ে পাতা ভরে কি লাভ। যাদের ভালো লাগছে তারা হয়তো আপনার রুচির বাইরে নন।কিন্তু সবাই কি আপনাদের মতো?

একদম ঠিক, ভালো কিছু লিখতে না পারলে কি করব? আপনাদের মত জ্ঞানিগুনি মানুষেরা না লিখলে ব্লগিং শিখব কার কাছ থেকে? সবাই আমার মত হলে তো সবাই আমার মত বালছালই লিখতেন। আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

আর "আপনাদের" বলতে কাকে বুঝালেন? আমার দোষের জন্যে সচলায়তনের গায়ে কালির দাগ দিচ্ছেন কেন? আমাকে কিছু বলার থাকলে আমাকেই বলবেন, অহেতুক অন্যদের জড়ানোর কোন মানে দেখি না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাফি এর ছবি

বসের লেখা পড়ার অপেক্ষায় আছি আমিও(গুরু)

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি, মনে হয় সে অপেক্ষায় থাকলে একদিন আমার দেশেও ফেরা হয়ে যাবে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেশনুভা এর ছবি

একটু দেরিতে পড়লাম সাইফ ভাই। ঘুরতে গেছিলাম। দেঁতো হাসি

দেশ ছাড়ার অভিজ্ঞতা দুবার। প্রথম বার টানা ২২ মাস ছিলাম। আর দ্বিতীয়বারেরটা চলছে, মাস পাঁচেক হল। প্রেক্ষাপট পুরোপুরি ভিন্ন ছিল; আপনি মনে হয় তা জানেন। না জানলে শাহানরে জিগান। হাসি

শেষবারেরটা বলি। আমার তিন বন্ধু [এর মধ্যেও আবার দুইজন প্রাক্তন ছাত্র; চিন্তা করেন ... খাইছে ] আসছিল; শাহানও ছিল। আব্বা ছিল। শেষবারের মতন যখন কোলাকুলি করি ইচ্ছা করতেছিল ছোট বাচ্চাদের মতন চিৎকার করে কান্না করি আর মাটিতে গড়াগড়ি দেই। তার বদলে আমি হাসিমুখেই সব করলাম।

শুধু "আবার দেখা হবে" বলার সময় গলাটা বেরসিকের মতন কেঁপে গিয়েছিল।

ছোট্ট একটা জীবনে কেন যে এত টুকরো টুকরো কষ্ট।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আরে বস, আমিও ঘুরতে গেসিলাম, মাঝে এক ফাঁকে লেখা পোস্ট করেছিলাম। শাহানের কাছে ছাড়া ছাড়া শুনেছি, তবে জিজ্ঞাসা করব আবার। বিদায়ের ব্যাপারটাই ভয়ংকর।
আর অনেককিছু চাইলেও আমরা করতে পারি না, শেষে এসে পুরা চিপায় আটকায় যাই।
আশাকরি আপনার ভবিষ্যতের দিনুগুলো আরো ভালু কাটবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শামীম রুনা এর ছবি

হুম...তারপরো কেনো সবাই এতো দেশের বাইরে যাবার জন্য পাগল?
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ রুনাপু, পরের পর্ব লেখতে বসেছি।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

দেশ ছাড়ার কষ্ট কী জিনিষ, দেশ ছাড়ার কষ্ট কারে বলে!
দেশ ছাড়ার কষ্ট হইলো তুষের আগুন, বুকের মইধ্যে জ্বলে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধুগোদা, মারহাবা!! আসলেও তুষের আগুন, পানি ঢাইলা দিলেও এই আগুন নিভে না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কষ্ট জিনিসটা একটা নীল সমুদ্রের মতো। সমুদ্রের মেজাজমর্জি অনুযায়ী কষ্ট কখনো খুব উত্তাল থাকে, আবার কখনো ধীরলয়ে একের পর এক মনের তীরে আছড়ে পড়ে। দেশ ছাড়ার কষ্টকে আমার কাছে এই ধীরলয়ের কষ্ট মনে হয়েছে। এখানে ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট যেমন আছে, তেমনি আছে অজানা ভবিষ্যতে পা ফেলার উত্তেজনা। সমুদ্রের শান্ত ঢেউয়ে যেমন গা ভাসিয়ে দেয়া যায়, তেমনই আবার বেশি দূরে যাতে ঢেউটা টেনে নিয়ে না যায়, সেটাও কন্ট্রোল করা যায়। কষ্টে তলিয়ে না যাওয়াটাই এখানে মূলকথা। আমি সাধারণত চেষ্টা করি, দেশে যাওয়াটাকে বাড়তি কোনো গুরুত্ব না দিতে। 'জাস্ট এনাদার বিজনেস ট্রিপ' জাতীয় একটা সেমি-মেকি অনুভূতি নিজের মধ্যে সৃষ্টি করার চেষ্টা করি। আমি যেখানেই থাকি, দেশ অথবা বিদেশ, সেখানের ওপর একটা টান অনুভব করি। দেশ থেকে ফেরার সময় সেই টানটাকে তীব্র করে অনুভবের চেষ্টা করি। প্রিয়জনদের ছেড়ে আসার কষ্টে তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে এটা খুব ভালো কাজ দেয়।

অবশ্য আমার স্টাইল খুব বেশি লোকের কাজে লাগবে না। আমি হলাম গিয়া বাপ-মায়ে খেদানো, পাড়াপড়শী-পিটানো, আজীবন হোস্টেলবাসী, দুইবার কড়া ছেঁকা খাওয়া, কচ্ছপটাইপ নরম মনের শক্ত কাজের, 'কী আছে জীবনে' ফিলোসফির পাবলিক। দেশছাড়ার কষ্টের তীব্রতা মানুষের ফিলোসফির ওপরেও নির্ভরশীল।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বলাইওদার মন্তব্যে বিশাল উত্তম জাঝা!, খুব ছুয়ে গেল আপনার কথাগুলো। আর আগেও বলেছি, আপনার এই ঠান্ডা মাথার বিশ্লেষন আমি খুব ভালো পাই, এমনকি পড়ার পরে গরম মাথাও ঠান্ডা হয়ে যায়। কোনদিন দেখা হলে আপনার পা ছুয়ে সালাম করার একটা তীব্র বাসনা জন্ম নিচ্ছে দিন দিন।

তবে, ভবিষ্যতে ঢাকা গেলে এই বুদ্ধিটা খাটানো শুরু করব যাওয়ার ১ মাস আগে থেকেই। তবে এখানে ৪ বছর ধরে আছি, কেন যেন মনে হয়, ঢাকা গেলে আবার এখানের জন্যে টানা পোড়ন শুরু হবে। প্রবাসী জীবনে এটাই স্বাভাবিক।

ভুল্ভ্রান্তি ভরা লেখা পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ বলাইদা। আর মন্তব্যটা পড়ে মনে একটা শান্তি শান্তি ভাব হয়েছে, সেজন্যে আলাদা করে আবার ধন্যবাদ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হুমম। সবাই উপলব্ধি করে, কিন্তু দেরিতে...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ঠিক কইস বস, বাইরে না আইলে বুঝা যায় না। কি মিয়া, লেখ না কেন? তোমার লেখা পড়ার জন্যে মনটা আকু পাকু করে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

খাইছে, আমি যাই নাই ভালু করছি। আমার এই দেশেই থাকতে মঞ্চায়। যাইবার চাইনা কুনু খানে।

লেখা একেবারে চ্রম ভালু লাগছে। আর দেখলাম ভুল শুদ্ধ করার জগতে নতুন এক পাঠুদা-র এক ঝলক বিজলী মু হা হা হা হা হা।

--------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, তয় একবারের জন্যে হইলেও বাইরে আইসা থাকনের কাম, তাহলে দেশের জন্যে টানটা জোরদার হয়।

পাঠুদা কিন্তু অন্যের ভুল ধরতে গিয়ে নিজে ভুল করেন না, কাজেই উনার লগে নতুন শের-ই-বানান এর ছোট ভাই বিড়াল-ই-বানান মেহেদীর তুলনা করলে পাঠুদা মাইন্ড খাইতে পারেন চোখ টিপি হো হো হো
ভুল করসি, ভুল ধরসে, সেটাতে আমার কোন সমস্যা ছিল না, কিন্তু আমার লগে ভালো ব্লগার কাম লেখক কাম ফটুখেচকদের এক কাতারে ফালায় গালমন্দ করল, সেইটা সহ্য হইল না। লেখা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বস, আপনার ছবি দেখলে মনে হয় হাত ২ খান সোনা দিয়া বান্ধায় রাখি। আপনার, মেহদি, নির্জন স্বাক্ষর, হিমুদা, পিপিদা।

হাত পা খুইল্লা ছবি পুস্টান, দেইখা আমরাও হা কইরা থাকি। লেখা পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অমিত এর ছবি

দেশে যে ক্যান আর ফেরত যেতে ইচ্ছা করে না মন খারাপ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কন কি বস! কয়দিন আগে না ঘুইরা আইলেন দেঁতো হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অমিত এর ছবি

ঐটা আমি না(অমিত আহমেদ-রে একবার হাতের কাছে পাইলে এট্টু রেগে টং । তবে এবার একটা এসপার ওসপার করতেই হবে। হয় কাছামেরে ব্লগিং শুরু করব, অথবা নাম চেন্জ। )
আর বেড়াতে যেতে খুবই ইচ্ছা করে, কিন্তু পার্মানেন্টলি এখনই ফেরত যাওয়ার ইচ্ছাটা আর নাই ( দুই বছর আগেও ইচ্ছাটা ছিল)।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

উপস্, উনি আমারে আইয়া এখনই কেচা দিয়া যাইবেনে, হো হো হো হো হো হো, হাজার হইলেও 'ম্যান ইজ মর্টাল' অর্থাৎ মানুষ মাত্রেই ভুল গড়াগড়ি দিয়া হাসি

বস, আপনার লেখা আসলেই ১টা, নাকি লিখে মুছে দিয়েছেন? সত্যি যদি ১টা লেখা হয়ে থাকে, তাহলে তো রেকর্ড, এত কম লেখা আর কারো আছে বলে মনে হয় না দেঁতো হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অমিত এর ছবি

ছিল আরও কিছু
গন উইথ দা উইন্ড

হিমু এর ছবি

তোর পাছায় গদাম লাত্থি (ফ্রেন্ডলি ফায়ার)।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অমিত এর ছবি

হে হে হে
তাও ভাল লাথি, দিনকাল যা পড়ছে...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, ১ থিকা ২ এ উন্নিত হইবেক না? একটা লেখা ছাড়েন দেঁতো হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নিরব দর্শক [অতিথি] এর ছবি

মেহেদী সাহেব তো "জিনিস" কে "জিনিষ" লেখেছেন, যদ্দূর জানতাম "জিনিস" একটা বিদেশী শব্দ (সম্ভবত ফারসী) আর ষ-ত্ব বিধান অনুসারে বিদেশী শব্দে "ষ" ব্যবহার হয় না।

ভুলভ্রান্তি মানুষের হতেই পারে, তবে কি না - এসব ধরতে আসলে বা কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে চাইলে ভাইজানের নিজের লুঙ্গীর গিট্টুখানও জব্বর কইরা বান্ধন চাই।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভুলভ্রান্তি মানুষের হতেই পারে, তবে কি না - এসব ধরতে আসলে বা কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে চাইলে ভাইজানের নিজের লুঙ্গীর গিট্টুখানও জব্বর কইরা বান্ধন চাই।

চরম সত্যি কথা, আপনার কথাটা খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ বস।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মেহেদী [অতিথি] এর ছবি

উদ্ধৃতি

মহাজ্ঞানী পীরবাবা মেহেদী

তবে এই মহাজ্ঞানি ধরাকে সরা জ্ঞান করতেছেন

ছুচোর গলায় চন্দ্রহারের মত হয়ে গেছে

আপনে শিবির এর কেউকেটা অথবা সুইডেনের জ্ঞানির জামাতা

চটি যদি আপনার বেন্চমার্ক হয়, তাহলে তো লিখালিখি ঠিকই থাকবে। দাড়ি কমার প্রয়োজন ও খুব জরুরী না।

আরো আছে।

তৈলবাজ সাতার গু ঘাঁটনের বিয়াফক গন্ধের বিপদ বুইঝ্যা গেসি।

মাফ চাই।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনে মহাজ্ঞানী, এই সহজ জিনিষটা বুঝতে আপনার এতদিন লাগল!! বেহুদা মাফ না চাইয়া আপনে আমার মত ২ নম্বরি লোকের সাথে লাইগা নিজের লেভেল খারাপ করলেন, সচলের অনেক ভালো মানুষরে আমার মত লেভেলের কইয়া গাইল ও দিলেন। কাজেই ভাইবা কাম করলে হইত না?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রাহিন হায়দার এর ছবি

প্রবাস জীবনের বয়স অল্প, ৪ মাসের একটু কম। ফ্লাইটের ৩ ঘন্টা আগে থেকে মা'র কান্নাকাটি যে শুরু হইসিল, আমি গন্তব্যে পৌঁছায়ে না জানানো পর্যন্ত থামে নি, আক্ষরিকভাবেই! বাবা বলে সারারাত ঘুমাতে পারেনি। আসার আগে কারো সামনে কাঁদি নাই। তবে এই বৈদেশে একদিন হঠাৎ চোখের কোনা ভিজে উঠসিলো। আজব ব্যাপার, বিকাল হলেই কেন জানি দেশের কথা মনে পড়ে। কারণটা এখনও ধরতে পারিনি।

খুব ভাল্লাগলো বস। অপেক্ষায় থাকলাম।

...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

সাফি এর ছবি

জেট ল্যাগ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ বস লেখা পড়ার জন্যে, আপনার এই চোখের কোন ভিজে উঠার ব্যাপারটার মধ্যে দেয় প্রায় সবাই গেছেন। আর গলায় ভাত আটকে যাবার অনুভূতিও প্রায়ই আসে, এগুলা কমে, কিন্তু, যখন কমে, তখন হুট করে ঘাড়ে চেপে বসে, কয়েকদিনের ডোজ একদিনে পুশিয়ে নেয় ইয়ে, মানে.... কয়েকদিন খুব দৌড়ের উপর আছি, তবে খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে ২য় পর্ব।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রায়হান আবীর এর ছবি

হাত তুলে প্রতিজ্ঞা কর, যা বলবা, সত্য বলবা, এমন কথা কইলে তারপর আমার মত ঘাড় তেড়া মানুষ সত্যি কথা বলি কেমনে?

গড়াগড়ি দিয়া হাসি সাইব্বাই রক্স


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

থেন্কু বস থেন্কু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সচল জাহিদ এর ছবি

অনেকবার এড়ানোর চেষ্টা করেছি এইটা পোষ্টটা নস্টাজিয়ার ভয়ে। আমাদের মত দেহ প্রবাসী মন দেশী মানুষগুলোর ভাবনাগুলো একরকম, শুধু শুধু আবেগী হয়ে উঠব আবার। যা ভুলার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত তাই সামনে এসে ভর করে।

ভাল লিখেছ সাইফ। দেরীতে হলেও পড়া শুরু করলাম।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনার আর কি দোষ, আমিও ৪ বছর চেপে রেখেছিলাম, তাতে কোন লাভ হচ্ছিল না, তাই শেষমেষ এগুলো অনুভুতিকে বের করে ভাগ করে দিলাম আমার মত সকল ভুক্তভোগীর মাঝে। অনেক ধন্যবাদ বস লেখা পড়ার জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।