সুখে থাকলে ভূতে কিলায় - ৩

সাইফ তাহসিন এর ছবি
লিখেছেন সাইফ তাহসিন (তারিখ: শনি, ২১/১১/২০০৯ - ৩:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাসের জন্যে দাড়িয়ে আছি, বাসের নাম্বার কিউ ৪৬, এটা নিউ হাইড পার্ক থেকে কিউ গার্ডেন পর্যন্ত সারা দিন-রাত যাতায়াত করে, ১৫ মিনিট পরপর। আমি থাকি ২৬৬ স্ট্রিটে, আর পাতাল রেলের স্টেশন ১১২ স্ট্রিটে, ১৪৪ ব্লক বাসে যেতে লাগত প্রায় ৪৫ মিনিট, মহা বিরক্তিকর। বাস আসছে না, এদিকে 'ইটালিয়ান আইসেস' নামে সামনে একটা আইস্ক্রিমের দোকান দেখে এগিয়ে গেলাম মেনু দেখতে। একটা নাম দেখে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল, "চাঙ্কি মাঙ্কি", বানরের সাথে আইস্ক্রিমের সম্পর্কটা কোথায়! কবে বানর ঘাড়ে ফাল দিয়ে উঠে পড়বে এই ভয়ে আরেকবার ঢোক গিললাম।

যাক, এর মাঝে বাস এসে পড়ল, বাসের টিকেট কাটার কোন জায়গা নেই, পয়সা দিয়ে ভাড়া দিতে হবে, জন প্রতি ২ ডলার, অথচ আমার কাছে কোন ভাঙ্গতি নেই। আর কাকে কি বলতে হবে এসব কিছুই আমি বুঝি না, তাই উর্মি হয়ে দাড়ালো আমার অন্ধের যষ্ঠি। সে বাসে উঠেই বলল, আমাদের কাছে টাকা আছে, কিন্তু ভাঙ্গতি নেই, আর আমরা পাতাল রেলের স্টেশনে যাচ্ছি, তাই বিনা টিকিটে সে আমাদের নিবে কিনা? ড্রাইভার ভদ্রলোক মাথা কাত করে রাজী হয়ে গেল। জীবনের প্রথম আমি ইলেক্ট্রিক বাসে উঠলাম। বাস আবার দরকার মোতাবেক সামনের দিক উচু নিচু হয় বয়ষ্ক বা পঙ্গু আরোহীদের সুবিধার্থে।

যাক, আমরা পাতাল রেলের স্টেশন অভিমুখে রওনা হয়ে যাই, আমি এবার বেশ হা করেই রাস্তা, মানুষ, গাড়ি দেখতে থাকি। আহা, সাধের আমেরিকা, যার জন্যে বাবা-মা, ভাই-ভাবী-ভাতিজাদের ফেলে এসেছি। এদিকে আমার স্ত্রী তখন ৩ মাসের সন্তানসম্ভবা, গত ২৮ ঘন্টা ধরে আমরা যাত্রা করে যাচ্ছি বিরতিহীন। বিমানে যা খেয়েছিল, তা মনে হয় পেটের মাঝে ঘোঁট পাকনো শুরু করেছে বেচারীর, তাই হঠাৎ করেই আমাকে বলল, "বাস থামাতে বল, আমার খুব খারাপ লাগছে, আমার বমি আসছে"। বুঝলাম অবস্থা, বেগতিক, কিন্তু কি বলব বাসের ড্রাইভারকে? উর্মি বলল একটা হলুদ বোতামে চাপ দিতে, তাহলে ড্রাইভার বাস থামাবে। দিলাম চিপি, বাস ড্রাইভার পরের ব্লকে নামিয়ে দিল আমাদের, আর প্রজাপতি বাস থেকে দৌড়ে নেমে গিয়ে রাস্তার পাশে হড় হড় করে বমি করে দিল, আমি ওকে ধরে বল্লাম, যা খেয়েছ গত ২৪ ঘন্টায় সবই তো চিনতে পারছি। আমি নামিয়েছি নিচ দিয়ে, আর সেই বেচারী উপর দিয়ে। যাক, আমরা নামলাম ২১৭ স্ট্রীটে, ফ্রান্সিস লুইস বুলেভার্ডের দোড় গোড়ায়। বুঝলাম, আজকে বাসায় ফিরে যেতে হবে, তাই ফিরতি বাসের স্টপে এসে দাড়ালাম। সেখানে ছিল একটা ডলার স্টোর (ডলার স্টোর বল্লেও, আসলে সবই ৯৯সেন্ট, তবে ট্যাক্স দিয়ে ১.০৭ পড়ে), সেও আমার জন্যে এক নতুন অভিজ্ঞতা, দোকানের সব জিনিস ই ৯৯ সেন্ট। সেখান থেকে হাবিজাবি জিনিস পত্র কিনলাম। কিনে এবার ভাঙতি টাকা নিয়ে বাসে উঠে বাসায় চলে আসলাম।

বাসায় এসে ঠিক করলাম, বিছানাটা ঘরের আরেকদিকে নিলে ঘরটা আরেকটু বড় লাগবে, কাজেই সাহায্যে এগিয়ে এলো উর্মি, খাট আলগে দিলাম এক ঠেলা, ঐদিকে খাটের এক কোণা গিয়ে লাগল তার পায়ে, এক নিমিষে পায়ের নখটা উপড়ে গেল গোড়া থেকে। বেচারী পা ধরে বসে পড়ল, রক্তারক্তি অবস্থা। আমি আর কি করব, ফার্স্ট এইড দেবার মত কিছুই নেই আমার সাথে, গেলাম আন্টির কাছে, তিনি তুলা দিলেন, সেটা দিয়ে চেপে ধরে রাখলাম। রক্ত পড়া বন্ধ হলে দোকানে গেলাম, গিয়ে ব্যান্ডেজ, ডিসইনফেক্ট্যান্ট, ব্যাথা কমানোর ওষুধ নিয়ে আসলাম। নিজেকে এত দোষী মনে হতে লাগল যে, বেচারীর দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারছিলাম না। বেচারী গ্রীষ্মের ছুটি বাদ দিয়ে এসেছে আমাদের সাথে থেকে আমাদের জন্যে। এর মাঝে কি এক গিরিঙ্গি বাধিয়ে দিলাম। উর্মি এক সময় ব্যাথায় কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ল।

আমি আর আমার স্ত্রী একবারে রাতে ঘুমালাম, যাতে করে জেট ল্যাগ না ধরে, আমি গত ২০ ঘন্টায় ঘুমাইনি, ঘুমের সাইকেল বেড়াছেড়া হয়ে গেছে, কিন্তু রাতে ঘুমানোর কারনে পরদিন সকালে আমি একদম ঝরঝরে হয়ে উঠে পড়লাম। উঠে উর্মির নখের ক্ষত ড্রেসিং করে দিলাম, নাস্তা খেলাম সিরিয়াল দুধ দিয়ে, গত দিন কিনেছিলাম ডলার স্টোর থেকে। আমাদের সোশ্যাল সিকিউরিটি অফিসে যেতে হবে, সে ফর্মও ঢাকা থেকে প্রিন্ট করে এনেছিলাম, এখানে এসে কোথা থেকে প্রিন্ট করব, কোথায় ইন্টারনেট পাবো, কত ভেজাল। অবশ্য বাড়ি ওয়ালা আংকেল উনার ওয়াই-ফাই এর পাসওয়ার্ড দিয়ে দিলেন, কিন্তু উর্মির ল্যাপটপে ওয়াই-ফাই অ্যাডাপ্টার না থাকায় উনি একটা পিসিএমাইয়া কার্ড ধার দিলেন। নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম, একই চাপা মেরে আমরা বাসে উঠলাম ফ্রি, তারপর পাতাল রেলের স্টেশনে এসে ৩ জনেই মাসিক পাস কিনে নিলাম। তখন মাসিক পাস ছিল জনপ্রতি ৭৬ ডলার, আমার তো আত্মা ধুকপুক শুরু হয়ে গেল। খালি টাকা যাচ্ছে পানির মত। তারপর পাতাল রেলে করে আমরা এসে পরলাম ম্যানহ্যাটন।

সোশ্যাল সিকিউরিটি অফিসে গিয়ে লাইন দিলাম, আমি আর আমার স্ত্রী। হাঁস ফাঁস আওয়াজ শুনে দেখি, একটা ইয়া বড় কুকুর দাড়িয়ে আছে আমার পাশে, তাকে ডায়পার পড়ানো, গায়ে বেল্ট বাঁধা, আর তার বেল্ট ধরে আছে এক মহিলা। সেই মহিলার সাইজ দেখে আমার পৃথিবী দুলে উঠল, প্রায় আমার মত ১০ জনকে জোড়া দিলে এমন সাইজ হবে কিনা সন্দেহ আছে। মহিলা হাটতে পারে না, তাই তাকে দেওয়া হয়েছে সয়ংক্রিয় চেয়ার, সেটাতে আছে জয়স্টিক, সে সেটা নাড়লেই চেয়ার গাড়ির মত চলে, ডানে বায়ে ঘুরে। আমি তো পুরাই বেকুব এসব দেখে। যাক, এক মহিলা এসে আমাদের ডাক দিল, দরখাস্ত জমা দিলাম সেখানে সোশ্যাল সিকিউরিটির জন্যে। সে বলে দিল যে, কম করেও এক মাস লাগবে। আমার তো মাথায় পুরাই বাজ, বাঁশ, থান ইট পড়তে লাগল। এক মাস বসে থাকব, কাজ করতে পারব না! যাক, এর মাঝে উর্মি বলল, কাজ করতে পারবেন না যখন, তখন চলেন, শহর চষে বেরাবো ৩ জনে মিলে। আমি মাথা নেড়ে সায় দিলাম, আসলে আমি তখন পুরাই কিংকং।

কি করা যাবে, সোশ্যাল সিকিউরিটি ছাড়া তো এদেশে এমন অবস্থা যে গণসৌচাগারে পানি নেয়া যাবে না, এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে আমাকে। আমি কি করব, কিছুই বুঝে উঠতে না পেরে ঐ অফিস ছেড়ে বের হয়ে আসি, উর্মি আমাদের ৩৪ স্ট্রিটে নিয়ে যায়, ড্যাফিস, ম্যানহ্যাটন মল, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় 'মেসি' দেখালো, তারপর ম্যানহ্যাটন মলে স্প্রিন্ট-মোবাইলের দোকানে গেল মোবাইল নিতে, ৩ জন, তাই ফ্যামিলি প্ল্যান নিব আমরা, এরকম হল প্ল্যান, কিন্তু না মুখের উপর বলে দিল, ২ টা হলে দিবে, ৩ টা সেট দিবে না। মহা যন্ত্রনা পড়া গেল, কি করব! মনের দুঃখে মলের খাবার জায়গায় গিয়ে হাজির হলাম, চাইনিজ খাবার ইচ্ছা। এখানে এসে দেখলাম, সব দোকানের সামনে একজন স্যাম্পল নিয়ে দাড়িয়ে আছে, আমিও ২-১ টা করে স্যাম্পল চেখে দেখতে লাগলাম। জাপানী এক দোকানের খাবার মুখে দিয়ে পেট উল্টে আসতে নিল, আহারে বাংলাদেশের খাওয়া। জাপানী খাওয়া যে আলাদা, সেটা আমার মাথায়ই ছিল না। তাই ভাবলাম, চাইনিজ নিশ্চই আরো ভালো হবে, তাই সাহস করে চাইনিজ দোকানের সামনে এগিয়ে গেলাম, সেখানেও স্যাম্পল নিয়ে ঘুরছে এক মেয়ে, আমি দাঁত খিলালে পরানো মুরগির কি একটা আইটেম যেন মুখে দিলাম, সে প্রত্যাশা ভরে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, তাই কাষ্ঠ হাসি দিয়ে ফুট মেরে এক দৌড়ে বাথ্রুমে গেলাম। গিয়ে ওয়াক করে ফেলে দিলাম ঐ মুরগি, মনে হয়েছিল, মুরগি না, মুরগির পাছায় একটা চর্বির দলা থাকে, সেটা মুখে দিয়ে দিয়েছি। যাক মুখ ধুয়ে ফেরৎ আসি, চাইনিজ জাপানী স্যাম্পল খেয়ে মনে মনে পণ করলাম, আর খাবোনা এসব। এগিয়ে গেলাম ম্যাকডোনাল্ডের দোকানে। সেখান থেকে বার্গার, ফ্রাই, আর কোক নিয়ে এলাম। ফ্রাই আর কোক খেয়ে মুখে হাসি ফিরে এল, কিন্তু বার্গারে কামড় দিতেই যেন কারেন্টের শক খেলাম। বার্গার তো না, কাঁচা মাংসের গোলা আর চিজ ছাড়া আর তো কিছুই নেই এর মাঝে। মাংসে জোরে চিপ দিলে মনে হয় রক্ত বের হয়ে আসত তখনো।

কথা না বাড়িয়ে কোনমতে ফ্রাই আর কোক শেষ করে বের হয়ে আসলাম, তবে মজা লাগল কোকের গ্লাসের সাইজ দেখে, গ্লাস তো না, ঢাকার তুলনায় বালতি পুরা, তারপরে আবার ভরে দিবে মাগনা। আমি আবার কোক অ্যাডিক্ট। তবে এখানে সব পানীয়ই সোডা, সেটা শিখে নিলাম প্রথম দিনেই। তারপরে ভগ্ন মনোরথ হয়ে গেলাম জ্যাকসন হাইটস ওরফে বাঙালী পাড়ায়। সেখানে গিয়ে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা হল, সবখানে বাংলা লেখা, চারপাশে মানুষ বাংলায় কথা বলছে, একজন দেখলাম পান খেতে খেতে পিচিক করে পিক ফেলে দিলেন, তারপর খাস নোয়াখাইল্লা অ্যাক্সেন্টে 'চ'বর্গীয় গালি দিয়ে আরেকজনের সাথে গল্প করতে লাগলেন। তবে, ভালো লাগল বাংলায় লেখা সাইনবোর্ডগুলো, খামারবাড়ি, হাট-বাজার, কাবাবিশ, আলাউদ্দিন, তিতাস, আড়ং আরো ক'ত। আমরা প্রথম বাজার করতে এসেছি, ঢুকে গেলাম সব্জি-মন্ডি নামের এক দোকানে। সেখানে স্ত্রী আর শ্যালিকাকে রেখে আমি গেলাম পাশের দোকান, খামারবাড়িতে। সেখানে গিয়ে কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না, এক দেশি ভাই বলে উঠলেন, "কি মাছ নিবেন?" বাংলা শুনে নিমিষে জড়তা কেটে গেল, কিছু মাছ আর মাংস কিনে ফিরে এলাম আগের দোকানে। সেখানে দেখি ২ ম্যাডাম মিলে অনেক বাজার করে ফেলেছে। সব এক করে তো আমরা ৩ জনেই হা হয়ে গেলাম। ৩ ব্যাগ চাল, চিনি, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, সব্জি সব মিলিয়ে অনেক ব্যাগ। ৩ জনে ভাগ করে নিলাম, আমার মেয়েকে পেটে নিয়ে প্রজাপতি ২ হাত ভরে ব্যাগ নিয়ে হাটা দিল পাতাল রেলের স্টেশনের দিকে।

কোনমতে হাচড়ে পাচড়ে গিয়ে উঠলাম ট্রেনে, তারপর নামার সময় ভুল করে আগের স্টেশনে নেমে গেলাম আমরা, ৩ জনের হাত ভর্তি ব্যাগ। কাজেই সব টেনে টুনে আবার উঠতে হল আরেক ট্রেনে। তারপরেও যদি কপালে কিছু শান্তি থাকত, তখনও বুঝে উঠি নি, কোনটা ট্রেনের সামনের দিক, কোনটা পিছনের। কাজেই প্ল্যাটফর্মের কোন দিক দিয়ে ট্রেনে উঠছি, তার উপর নির্ভর করবে, নামার সময় কোন স্টেশন দিয়ে মোড়ের কোন পাশ দিয়ে রাস্তায় বের হব। ফলে যখন ট্রেন থেকে নামলাম, বের হয়ে আর কিচ্ছু চিনতে পারি না। আসলেই দুনিয়া জুড়া পচুর গিয়াঞ্জাম। সকালে এক স্টেশন দিয়ে ঢুকলাম, বিকালে সেটা পাল্টায় কিভাবে, কোন ভাবেই হিসাব মেলাতে পারছিলাম না, এর মাঝে হাত ভর্তি বাজার। আসলে এখানে সব এত বড় বড় যে, প্ল্যাটফর্মের সামনের মাথা দিয়ে বের হয়ায় শেষ মাথা দেখতেই পাচ্ছিলাম না সেখান থেকে। যাক, তীর দিয়ে দেখানো আছে এক জায়গায়, কিউ ৪৬ এইদিকে। কাজেই বাজার নিয়ে গিয়ে দাড়ালাম বাসের স্টপের সামনে। ঐ বাসের আবার বিভিন্ন ধরন আছে, কোনটা সবখানে দাড়ায় না, কোনটা একদম শেষ স্টপ পর্যন্ত যায় না, এসব তো আর আমি, প্রজাপতি বা উর্মি কেউই জানি না। উর্মি বেচারি এমনিতেই পায়ের ব্যাথায় কাহিল, আর সে তো থাকে আপস্টেট নিউ ইউর্কে, কাজেই সে শুধু জানে কিভাবে ম্যাপে দেখে কোন ট্রেন কোন দিকে যায় সেটা হিসাব করতে। ফলে, পরবর্তী বাস আসতেই আমরা হুড়মুড় করে উঠে পড়লাম। বাসে বসেও শান্তি নেই, ৩-৪ ব্লক পর পর বাস দাড়ায়, আর আমার বাজারের ব্যাগ গুলো নিজেদের মত চলাফেরা শুরু করে দেয়। আবার বাস চালু হলে উল্টাদিকে দৌড়, আর পাশের সিটে বসা এক সুন্দরী এমন রক্ত হিম করা চাহনি দিল, আমি বুঝে গেলাম, ব্যাগ তার গায়ে লাগলে এক্কেবারে, 'আজকে তার একদিন কি আমার একদিন'। কাজেই সিটে বসে সব ব্যাগ হাতে ধরে রাখলাম।

তারপরে ২১৭ স্ট্রীটের সেই বাস স্টপে এসে দাড়িয়ে পড়ল। ড্রাইভার বাস বন্ধ করে এসে আমাকে বলে, নেমে যাও। আমি কি বলব, বাজারের ব্যাগ সামলাচ্ছি গত ৮০ ব্লক ধরে, মেজাজ প্রচন্ড খাট্টা, তার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে বললাম, আমার ২৬৬ স্ট্রিটে যেতে হবে। সে বলল, নেমে পরের বাস নাওগে, এই বাস আর যাবে না। আমি চিরতা খাওয়া চেহারা বানিয়ে বাস ছেড়ে নামলাম। সবই হজম করা যায়, কিন্তু প্রজাপতি এখন বিশ্রাম করার কথা, তাকে দিয়ে বাজারের ব্যাগের একাংশ টানাচ্ছি, কয়বার বেচারীকে কষ্ট দিব? জেদ চেপে গেল, বুঝলাম, যত খরচই হোক না কেন, গাড়ি কিনতে হবে। নেমে গেলাম বাস থেকে, পরের বাস আসল আরো ২০ মিনিট পরে, বাজার নিয়ে যখন বাসায় ঢুকি তখন প্রায় সন্ধা। যত না শারীরিক কষ্ট পেয়েছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি মানসিক কষ্ট। আহারে ঢাকায় থাকতে কি সুখে না ছিলাম।

সেদিন রাতে উর্মি আর আমি আন্তর্জাল ঘেটে গাড়ি বের করলাম একটা, উর্মির কলেজের এক শিক্ষক গাড়ি বিক্রি করবেন আপস্টেটে। তাই সই, ২ দিন পরে দেখা করব, সেভাবে ঠিক ঠাক হল। পরের দিন গেলাম আবার মোবাইলের দোকানে, ২ টা ফোন দিবে, তাতেই রাজী হয়ে গেলাম, একটা আমার স্ত্রীর কাছে, আরেকটা উর্মির কাছে। তারপর গেলাম জেপি মর্গান চেজ নামের একটা ব্যাংকে, একাউন্ট খুললাম ২ জনেই, তারপর আবার গেলাম জ্যাকসন হাইটস, গত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, তাই খুব ওজন বুঝে বাজার করলাম। তারপর ফেরার পথে সামনে পিছনে বুঝে পাতাল ট্রেনে উঠলাম। কিন্তু, কি সমস্যা, বেটা বদমাইশ আবারো আমাদের সেই ২১৭ স্ট্রিটে নামিয়ে দিল। আমি তখন পারলে গিয়ে ড্রাইভার ব্যাটাকে মারি। কিন্তু বড় বড় করে লেখা আছে, এদের মারা নাকি রাস্ট্রীয় পর্যায়ের অপরাধ। যাক, আবার হা করে দাড়িয়ে থাকলাম বাস স্টপে ২ হাত ভর্তি বাজার নিয়ে, আজ তাও কপাল ভালো যে আমার স্ত্রীর হাত খালি। যাক, খিস্তি করতে করতে বাসায় ফিরে এলাম। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, এর পরেও যতবার বাজার করে ফিরেছি, প্রতিবারই বাস আমাদের ২১৭ নাম্বার স্ট্রিটে নামিয়ে দিয়েছে। বাজার না থাকলে কখনো এমন হত না। পরে একজন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আসলে সব কিউ-৪৬ বাস হলেও তাদের জাত ধর্ম আছে। কপালের টিপ দেখে চিনতে হবে, কোনটা কোন বাস, বুঝেন তো ঠেলা।

তারপরের দিন হ্যারি পোতার এর পঞ্চম বই মুক্তি পেল, আমরাও গেলাম বই মুক্তি নিয়ে মানুষের পাগলামি দেখতে। বার্ন এন্ড নোবলস্‌ নামে এদের বই এর চেইন দোকান আছে, বাড়ির কাছে যেটা, সেখানে গিয়ে হাজির হলাম, দোকানের ভেতরে ঢুকলেই মন ভালো হয়ে যায়, সুন্দর করে সোফা বসানো আছে, যে কোন বই নিয়ে আপনে সেখানে বসে পড়তে পারেন, কেউ না করবে না। দোকানের ভেতরে লোক গিজ গিজ করছে, আমরা কিছুক্ষন বই ঘাটাঘাটি করলাম, হ্যারি পোতার কেনার জন্যে ঐ ছাগলের একটা চশমা আর একটা পোস্টার দিল তারা ফাও। সেগুলা বগল দাবা করে বাড়ি ফেরত আসলাম। বাসায় বসে করার কিছু নেই, তাই উর্মি আর প্রজাপতি গেল উপরতালায় আন্টির সাথে গেজান্টিস করতে। আমি ল্যাপটপে বসে ঘুটুর মুটুর করতে থাকি। কিছুক্ষন বাদে তারা এসে পড়ল, বলব, আন্টি একটু বাইরে যাবে, আর তারা আন্টির কাছ থেকে সিয়ার্স নামে এক দোকানের সন্ধান পেয়েছে, সেটা নাকি আমাদের বাসার থেকে কয়েক ব্লক। বসে বসে খই ভাজার চেয়ে সেখানে থেকে ঘুরে আসা যায়। তাই, আমরা হাটা দিলাম সেদিকে। কিন্তু কিসের ১০ মিনিট, আধা ঘন্টা হাটার পরেও যখন কিছু দেখতে পেলাম না, তখন ৩ জনেই রাস্তার পাশে ঘাসে বসে হাপাতে লাগলাম। আগে বোঝা যায় নি যে ঢাল বেয়ে উঠতে হবে। তাই অর্ধেক রাস্তা যেয়েই আমরা রণে ভঙ্গ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথ ধরি। বাসায় এসে রাতের খাবার খেতে গিয়ে বুঝলাম আমার সামনের দাঁতে ব্যাথা। ২ ট্যাবলেট অ্যাসপিরিন খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

পরদিন সকালে উঠে দাঁত মাজতে গিয়ে তো আক্কেল গুড়ুম। আয়নায় নিজের মুখ চিন্তে পারছিলাম না। মুখের ডান পাশ ফুলে ঢোল হয়ে গেছে। খুব ভয় পেয়ে গেলাম। আমাদের উপরতলার আংকেলের মেয়ে মেডিকেলে পড়ে, তাই তার কাছে উপদেশ চাইলাম, সে বলল, জরুরী বিভাগে যেতে। আমার কাছে জরুরী বিভাগ মানে মৃতপ্রায় বা অর্ধমৃত মানুষের যাবার জায়গা, কিন্তু এখানে কিভাবে কি হয়, তা জানি না, তাই গিয়ে হাজির হলাম। সকাল নয়টা নাগাদ সেখানে পৌছালাম, গিয়ে বললাম, দেখো আমার কোন ইন্সুরেন্স নাই, কিছু নাই, চাকরি বাকরিও নাই, টাকা চাইলে কিন্তু বিপদে পড়ে যাবো। তারপর শুরু হল অপেক্ষার পালা, কম করেও ৫০ জন রোগী বসে ছিল আমার সাথে। বসে থাকতে থাকতে যখন প্রায় আমার দেহের নিম্নভাগ থেকে শেকড় গজাবে গজাবে করছে, তখন ডাক পড়ল। ভয়ে ভয়ে গেলাম, কি না কি শুনতে হয়। এক মহিলা এসে আমাকে এক ঘরে নিয়ে বসালেন, তারপর ১৫ মিনিট পরে একজন এসে পরিচিয় দিলেন, তিনি এখানকার একজন ডাক্তার। তারপর আমার গাল টিপাটিপি করলেন কিছুক্ষন, আমি আগ বাড়িয়ে পরিচয় দিলাম যে আমি একজন ডাক্তার, কিন্তু তার মুখে দেখলাম, বিদ্রুপের হাসি। পরে যখন মেডিকেল টার্মে হড় হড় করে কথা বলে যেতে শুরু করলাম, তখন সে অবিশ্বাসের দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল, যেন বাংলাদেশের মানুষের জন্ম হয়েছে রেস্টুরেন্টে কাজ করার জন্যে। যাক, সে আমাকে আসছি বলে চলে গেল, তারপর ১০ মিনিট পরে এসে একটা হলুদ কাগজ দিয়ে বল, তোমাকে ওষুধ দিলাম, এটা খাও আর ডেন্টিস্টের সাথে দেখা করবে কালকে। আমি ধন্যবাদ দিয়ে বের হয়ে আসি।

বের হয়ে উর্মি আর প্রজাপতিকে দেখালাম, আর হেসে বললাম, দেখ, কি ওষধ দিয়েছে আমাকে, 'কেপোরেক্স', এই ওষধ কাজ করে না আমাদের দেশে আজ প্রায় ১০ বছর, ব্যাক্টেরিয়াগুলো এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। উর্মি জিজ্ঞেস করল আমাকে কোন বিল দিয়েছে কিনা? আমি বল্লাম, কই কিছু তো দিল না। এরপর উর্মি ভালো করে সেই হলুদ কাগজ নেড়ে চেড়ে বলল, এই যে, ৪০০ ডলার। শুনে আমি বললাম, "কত!" সে মুখ করুণ করে বলল, "চাআআআর শঅঅঅত ডলার", আমার মনে হল, কেউ আমাকে মাসুদ রানা স্টাইলে সোলার প্লেক্সাসে বিরাশী সিক্কার এক পাঞ্চ বসিয়ে দিয়েছে। হাটু ভেঙ্গে পড়ে যাবো বলে মনে হল। আর বিড়বিড় করে বললাম, ৪০০ ডলারে না একটা গাড়ি দেখলাম সেদিনকে? রাতে আংকেলকে জানালাম ঘটনা, তাকে আরো বললাম, মানুষের তো সস আনতে বার্গার ফুরায়, আমি তো পুরাই বেকার। গাল টেপার জন্যে ৪০০ ডলার দিব কিভাবে? তিনি সব শুনে বললেন, কোন ভয় নেই, তুমি কালকে পারলে আবার যাও, গিয়ে ওদের হিসাব বিভাগে গিয়ে বল, আমার চাকরি নাই, খাওয়ার কষ্টে আছি, আমার পক্ষে এক পয়সাও বিল দেওয়া সম্ভব না। ৪০০ কেন, ৪০ টাকাও দিতে পারব না।

(চলবে)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

"হাসতে নাকি জানে না কেউ কে বলেছে ভাই ?/এইযে দেখো সাইফ ভাইয়ের পোষ্টে হেসে যাই..." *তিথীডোর

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ *তিথীডোর, এই (*) এর কাহিনী কি? এটা কি কানে গোজা সদ্য প্রস্ফুটিত জবা? নাকে গেন্দা ফুল? চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

" এশটাইল ",হাঃহাঃহাঃ ...*তিথীডোর

...অসমাপ্ত [অতিথি] এর ছবি

আপনিও তো ২১৭ নাম্বার স্ট্রিটে লেখাটাকে থামিয়ে দিলেন!

জলদি পরের পর্ব আসুক। হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভাইরে, প্রায় ১০ মাসের জন্যে আমার জীবনই আটকিয়ে গিয়েছিল ঘোড়ার ডিমের ২১৭ নাম্বার স্ট্রীটে। এখনো ঐখান দিয়ে গেলে নিজের বুকে নিজেই থুতু দেই, আর পারলে ২ ব্লক ঘুরে যাই, যদি আবার গাড়ি বন্ধ হয়ে আটকে যাই। পুরাই আতংক একটা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রাহিন হায়দার এর ছবি

আসলেই দুনিয়া জুড়া পচুর গিয়াঞ্জাম।

চলুক, সাইব্বাই! চলুক
...........................................
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ রাহিন বস! তোমাকে তুমি করে বল্লাম, কারন তোমার এক শিক্ষকের কাছে তোমার অনেক গুনগান শুনলাম, সে বেচারাও আমার অনেক ছোট, আশা করি কিছু মনে করবে না। এইটা কিন্তু আমাগো সবুজ বাঘের বিখ্যাত ডায়লগ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মামুন হক এর ছবি

আরে মিয়া এমন জায়গায় এসে থামাইয়া দিলা,কাজটা ঠিক হৈলনা। পড়তে পড়তে লেখার মধ্যে ঢুকে গেসিলাম, আত্মজীবনীমূলক লেখা বড়ো হলেও ক্ষতি নাই।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মামুন ভাই, এইখানে থামাইতে চাই নাই, কিন্তু রাত ৪ টা পর্যন্ত এপর্যন্ত লেখা হয়েছিল, ঘুমে ঠিক স্ক্রিন দেখতে পাইতেছিলাম, পরে আবার কোন বেফাঁস ঘটনা পড়ে ফেলব, তাই কেটে পড়েছিলাম, আর কোন চিন্তা নাই, এইটা প্রথম পাতা থেকে বিদায় হলেই আরেকটা দিয়ে দিব। আপনে কিন্তু আমাকে তাগাদা দিয়ে নিজেই ভাগতেছেন। আপনার কিন্তু আমার সাথে সাথে লেখা দেবার কথা। আর মাত্র ১৭ টা লেখা আসলেই আমার এই লেখা বিদায় নিবে, কাজেই তাড়াতাড়ি লেখা দেন। তাছাড়া নিজের কথা ছাড়া তো কিছুই লিখতে পারি না, তাই এটা মনে হয় বেশ অনেকদিন চলবে।

লেখা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আপনে ভালো করেই জানেন, সচলে লেখালেখির জন্যে আপনার অবদান কতখানি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌ঐ মুরগি, মনে হয়েছিল, মুরগি না, মুরগির পাছায় একটা চর্বির দলা থাকে, সেটা মুখে দিয়ে দিয়েছি

পেটে খিল ধরে গেল হাসতে হাসতে........হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ বস, আপনার লেখায় কিন্তু সবসময় একটা ব্যতিক্রমধর্মী ফ্লেভার থাকে, খুব ভালো লাগে, আশা করব নিয়মিত লিখবেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সমুদ্র এর ছবি

দারুণ লাগতেছে। প্রথম প্রবাস জীবনের শুরুর ঘটনাগুলা খুবই মজার হয়, তবে এমন মজা করে লিখতে পারে কয়জন! হাসি

"Life happens while we are busy planning it"

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ সমুদ্র বস! হ্যাঁ, তোমার কথা ঠিক, তবে পড়তে বেশি মজা লাগে, কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ কিনা চোখ টিপি দেঁতো হাসি, সুখ দুঃখ মিলিয়েই আমাদের জীবন, তাই সেই কথাগুলো জানতে পারলে নিজেকে একা লাগে না। তোমার কথা শুনি শাহানের কাছে।

আমি চেষ্টা করি, দেখা যাক, কতদুর কি করতে পারি। তবে ভাই তুমি এত কম লিখ কেন? ব্যস্ততা? একটা কাঁঠাল সুপারভাইজারের মাথায় ভেঙ্গে দাও চোখ টিপি, এই ব্যাটাদের জন্মই মনে হয় গ্র্যাড স্টুডেন্টদের পেইন দেবার জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সমুদ্র এর ছবি

এইসব ব্যস্ততা, মায়া-ব্যস্ততা; লেখা হয়না আর কি খাইছে
কাঁঠাল খুজে পাইলে শিওর ভাঙ্গবো যান, কথা দিলাম!

"Life happens while we are busy planning it"

নিবিড় এর ছবি

এরকম জায়গায় এসে অপেক্ষায় রাখলেন মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কি করুম বস, মানুষটা আমি চ্রম খ্রাপ হো হো হো, তবে দিয়ে দিব, এখন হালকা পাতলা ফ্লো এসে গেছে, দিন গুলো ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। ৩য় পর্ব লিখতে গিয়ে অনেক ডিটেইলস্‌ মনে পড়ে গেছে। লেখা পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এর পরে কী হলো?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

জানতে চাইলে একটু কষ্ট করে পরের পর্ব পড়তে হইবেক চোখ টিপি অনেক অনেক ধন্যবাদ, আগে মামুন ভাই এবং পরে আপনে, আপনারা ২ বন্ধু আমাকে অনুপ্রেরণা আর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন দিয়ে যাচ্ছেন বলেই লেখা এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি ফ্লো ধরে রাখতে পারব।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

লীন এর ছবি

তারপর...?

______________________________________
লীনলিপি

______________________________________
লীন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

তারপরে গিয়েছিলাম ফাইনান্সিয়াল অ্যাডভাইজারের কাছে। সেটাই আসবে পরের পর্বে। অনেক ধন্যবাদ বস লেখা পড়ার জন্যে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ফারুক হাসান এর ছবি

তারপর??

সিরিজের নামকরণ এই পর্বে সার্থুক হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হ বস, এর পরে আর মনে হয় না হাসির কিছু পাইবেন, শুধুই দুঃখ কষ্টের পাচালী। নিউ ইইয়র্কের ঐ ১০ মাস আমার জীবনের এক দুঃস্বপ্ন। একমাত্র ভালো ঘটনা ছিল সামারা মামনির জন্ম হওয়া, কিন্তু সেখানেও বিশাল গিয়াঞ্জাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

সাইব্বাই, কুনু থামাথামি নাই। লেইখা যান। জবর & জম্পেশ। ছচলে যখন PDF আউটপুটের অপ্সন চালু হবো তখন এই সিরিজটারে PDF বানায়া বগলে লয়া ঘুরুম।

এরকম করে ক্যামনে যে লেখেন !! এই বাংলায় আসলে একটা আওয়াজ দিয়েন, আপনারে দেখার শখ জাগসে ( মাইনকা ভেটকির ইমো )।

===========================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আরে বস, আপনে কেমুন আছেন? না থামলে এক সময় সবাই বিরক্ত হইয়া আইয়া কইব, অই হালায়, অফ যা। এক পুরানা প্যাচাল আর কয়দিন পারবি। পিডিএফ বানাইবেন মুর লেহা, খুশিতে ফাল দিবার ইচ্ছা করে বস। মুই কি হনুরে!!

আর মজা লাগবার লাগছে যাইনা আমিও ব্যাপক আনন্দ পাইলাম, ঢাহা আইলে অবশ্যই আওয়াজ দিমু, কুন সন্দেহ নাইকা। আর আমার চেয়ে মজা কইরাও কতজনে লেখে, তাগো পাশে আমি তো দুধভাত। যেমন আমাগো লু-আরেফীন ভাই, হিমুদা, রেনেট
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

বইখাতা এর ছবি

আহা ! এমন জায়গায় থামলেন ক্যানো !

সাইফ তাহসিন এর ছবি

যাতে কইরা আমার লেখা পড়তে আসবেন আবার বইখাতাপু, তারপর এসে লেখা দিতে মঞ্চাইতেও পারে, বিনিময়ে আমরাও আপনার আরেকটা লেখা পেয়ে যাব হাসি, আপনার মত বাস্তব নিংড়ানো লেখা যদি লেখতে পারতাম, তাহলে নিজের গল্প বলে বলে মানুষের কানের খইল নড়াইতাম না চোখ টিপি

অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনারে দেখতে মঞ্চায়, আমার খালাম্মা আসলেও কি খালাম্মা নাকি ছোট্ট খুকি?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

বন্যরানা [অতিথি] এর ছবি

তারপর??
৪০০ ডলারই দিয়েছিলেন?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

একটু ধৈর্য ধরেন বস, বেশি না ২ দিন, একটু গুছিয়ে বলার চেষ্টা করব পুরা ঘটনাটা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আহা ! রাতে এসে নেটে ঢুকেই এই লেখাটা দেখলাম। এখনো পড়িনাই। এখন ভীষন ক্লান্ত, ঘুমাবো। কালকে আয়েশ করে বসে লেখাটা পড়বো। হা হা হা...
(নতুন কোন বই/সিনেমা/গান কিনলেও সেটা না উপভোগ করা পর্যন্ত এই অনুভুতিটা হয় আমার...আসলে নিজেকে টিজ করতেও দারুন মজা...)
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আরে বস, তুমি পড়বা সেটা জেনেই আমার খুব ভালো লাগল, রেস্ট নাও, আমার লেখা তো আর পালায় যাবে না, এমন করে একটু একটু করে উপভোগ মাঝে মাঝে আমিও করি। যেমন ঢাকা থেকে যখন আচার আর গরুর মাংস পাঠানো হয় আমার জন্যে, আমি সেটাকে ৩ মাস রসিয়ে রসিয়ে খাই চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

২১৭ নম্বর স্ট্রীটে যেতে মঞ্চায়।
ফাটাফাটি লেখা ......... পরের পর্বের অপেক্ষায়...........

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নিউ ইয়ররক আইসা ডাক দিয়েন, নিয়া যামু আপনারে ২১৭ লম্বর রাস্তায়। লেখা পরার জন্যে ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শাহান এর ছবি

চরম হচ্ছে সাইফ ভাই! জায়গায় জায়গায় হাসতে হাসতে আমি শ্যাষ দেঁতো হাসি

নিউ ইউর্কে মাত্র একবার গিয়াই বুঝছি, ভেজাইল্লা জায়গা। কিন্তু যত যাই হোক, জায়গাটায় প্রাণ আছে, অনেকটা আমাদের গুলিস্তান/ফার্মগেটের মত। মজাই লাগে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ শাহান, তোমার সাথে পুরোপুরি একমত, থাকতে গেলে বিশেষ ভেজাইল্লা জায়গা, তবে বেড়াইতে গেলে খুব মজার জায়গা। তোমার লেখা কিন্তু ডিঊ হয়ে ওভারডিঊ হয়ে আছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আগ বাড়িয়ে পরিচয় দিলাম যে আমি একজন ডাক্তার, কিন্তু তার মুখে দেখলাম, বিদ্রুপের হাসি

আল্লাহ মালুম, এরা কতদিন এইরকম সেলফসেন্টারড থাকবে!?!

মনজুর এলাহী

প্রবাসিনী এর ছবি

তারপর? তারপর? তারপর?

এরপরেরটা লিখে ফেলেন।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লিখে ফেলব, তোমার লেখা কই?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ছলুক্‌ সাইব্বাই...
খ্যারি অন ...শেষ পর্যন্ত কত দিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন ??

______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

২০০০ ডলার, ৪০০ টাকার টায় সবই ছিল, তবে অনেক পুরানো আর মাইলেজ অনেক বেশি ছিল। ঐটা কিনলে আরেক জন্য মানুষ লাগত পিছন থেকে ঠেলা দেবার জন্যে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দ্রোহী এর ছবি

আপ্নার লেখা পইড়া জ্যাকসন হাইটসকে মিস করতেছি।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হ বস, বিয়াফক জায়গা, মনেই হয় না ঢাকার বাইরে আছি ঐখানে দাঁড়ায় থাকলে। আলাউদ্দিনের চা খাইবেন আর গেজাইবেন চোখ টিপি পুরা ঢাআকি স্টাইল, খালি যদি একটা চায়ের টং থাকত!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আম্রিকার এইসব কাহিনী জানা-শোনার পরেও কিন্তু আম্রিকায় লোকজনের যাবার আগ্রহ সেই আগের মতোই 'স্বপ্নের'!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কেন্দ্রীয় প্রবণতা চোখ টিপি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আরে বস, স্বপ্নদোষ কার না আছে চোখ টিপি, এখানে এসে তারপর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়, কারো হয় সত্যি, ইটের উপরে ইট, এক্কেবারে থানইট।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনি যেহেতু এইডাই মেলাদিন ধরে লেখবেন...আমারও তাই আরো মেলাদিন সচলে গুতাগুতি করা থামবেনা... দেঁতো হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস!, তোমার মন্তব্যে আমি এইবার সিরিয়াসলি সম্মানিত বোধ করতেছি হাসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গাড়ি কিনে চালায়া দেশে পালায়া আইতে চাইছিলেন কিনা সেইডা আগে কন... দেঁতো হাসি
আর লেখা বরাবরের মতই... দেঁতো হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চিন্তাটা যে আম্থায় আসে নাই, এমন কমু না, তবে আমি আবার শেষ দেখতে পছন্দ করি, এজন্যে থাইকা গেলাম, তারপর ভাগ্যের ফেরে অনিকেতদার সাথে দেখা, সেখান থেকে সচল চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

দুর্দান্তিস----!!!
এক্কেবারে ছুটান্তিস--!!!!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ঠিকান্তিস বস!! দেঁতো হাসি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মৃত্তিকা এর ছবি

হা হা হা............
খুবই মজা পেলাম এমন সহজ সরল লেখায়! কয়েক জায়গায় হাসি যেমন পেলো, আবার কষ্টও লাগলো প্রজাপতি আপুর শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে। যাক, অনেক ধাক্কা খেলেও অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন আপনারা। সত্যিই, এদেশ জুড়ে পচুর গিয়াঞ্জাম!!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মৃত্তিকা, মা মেয়ে ২ জনেই অনেক কষ্ট করেছে এখানে এসে, সে তুলনায় আমি পেয়েছি মনের কষ্ট আর তাদের ২ জনের পাওয়া কষ্টের উপলব্ধি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কেন জানি ধারনা ছিল, ডাক্তাররা সাধারনতঃ হিজিবিজি ভাবে ঔষধের নাম ছাড়া আর কিছু লিখতে পারে না; কিন্তু আপনার লেখাগুলো পড়ে ধারনা বদলে যাচ্ছে। লেখায় প্রান খুজে পাওয়াটা খুব জরুরী, যা আপনার লেখায় পাওয়া যাচ্ছে।
-- শফকত মোর্শেদ (ঈশান)

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ঈশান ভাই, খুব ভালো লাগল আপনার মন্তব্যটা পড়ে। আসলে আমরা মাল কামাইতে এত ব্যস্ত থাকি যে লেখার সময় কই চোখ টিপি চিন্তিত

অনেক ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্যে ভাই। সচলে লেখার আগে আমার ধারনাও ছিল না যে, আমি কিছু লিখতে পারি, আপনাদের মন্তব্য পড়লে মনে হয়, হয়ত আসলে কিছু একটা লিখতে পারি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বাহ! দুর্দান্ত চলতেছে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ বস!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওডিন এর ছবি

বস, এমুন জায়গায় থাইমা গেলেন, আমি তো আবার নিরুদ্দেশে হইতাসি- পড়ুম কেম্নে?? বারো ঘন্টা সময় দিলাম- পরের পর্ব পড়া যাইতে চাই!

আর আপনে পোতারপ্রেমিক হইলেন কবে থিকা? আমি কেন যানি একদম সইহ্য করতে পারি না হ্যারি ব্লাডারকে। খাইছে

---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

সাইফ তাহসিন এর ছবি

প্রথম পাতায় ২টা লেখা দেওয়া অপছন্দনীয়, তাই বাছা তুমি মিস করবা হয়ত পরের পর্ব। আমি পোতার প্রেমিক না রে ভাই, আমার শ্যালিকার নখ উপড়ায় দেওয়ার জন্যে শ্রাদ্ধ স্বরূপ বইটা তাকে আমি কিনে দিসিলাম। এজন্যেই পটার না বলে পোতার চোখ টিপি, তুমি তো সহ্য করতে পারো না, আর আমি ঐ ব্যাটার নামা শুনলেই আক্ষরিক অর্থেই নামের স্থানে চুল্কানি বের হয়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

বর্ষা এর ছবি

চলুক
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ছি বর্ষা, বুড়া আঙ্গুল দেয় না চোখ টিপি হো হো হো
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক... ভালোইছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ নজ্রুলিস্লাম!! সচলাড্ডার ছবি কই বস? নাকি সবার বাসায় আসা বন্ধ করে দিসেন?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বন্ধ করলেই কি এরা মানে? এই তো সেদিনো বাড়িভর্তি আড্ডা হলো... এমনিতেই ভালোমন্দ কিছু লেখি না এখন... খালি হাবিজাবিই লেখতেছি... আবারো সচলাড্ডা নিয়া লিখে অচল হইতে চাই না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কি কন বস! আপনার লেখা সবকিছুই তো দেখি চ্রম মজার হয়। সচলাড্ডা নিয়ে না লিখেন নাটক নিয়ে লেখা দেন তাহলে। অথবা বর্ত্মান দিনকাল নিয়ে লিখেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কি কন বস! আপনার লেখা সবকিছুই তো দেখি চ্রম মজার হয়। সচলাড্ডা নিয়ে না লিখেন নাটক নিয়ে লেখা দেন তাহলে। অথবা বর্তমান দিনকাল নিয়ে লিখেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা.....সেরম চম্রাইছে।

স্বপ্নদ্রোহ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ বস!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

মনে হয়েছিল, মুরগি না, মুরগির পাছায় একটা চর্বির দলা থাকে, সেটা মুখে দিয়ে দিয়েছি।

পুরা লেখাটাই মজার। চমৎকার!!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আরেফীন ভাই, অনেক ধন্যবাদ বস।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তমিজ উদদীন লোদী এর ছবি

খুব ভালো লাগলো লেখাটি।
আপনার এই লেখাটি যদি নিউইয়র্কের কোনো পত্রকায় ছাপতে চাই তবে অনুমতি দেবেন কি?

মানব সন্তান এর ছবি

ছাপার অনুমতি আপনি পাবেন। অসুবিধা নাই। তবে একজন প্রুফ-রীডারকে এক সপ্তাহের জন্য বেতন দিয়ে রাখার চিন্তাটা মাথায় রাখবেন। আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হা হা হা, অনেক ধন্যবাদ, সেধে আঙ্গুল দিচ্ছেন সেজন্যে নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে ;)। আপনার এই অতি আগ্রহ দেখে বেশ সন্দেহ হচ্ছে। মনে হচ্ছে প্রুফ রিডিং এর চাকরি খুজতেছেন, নিজের অ্যাডভার্টাইজ নাই করলেও পারতেন এভাবে।

ছাপার অনুমতি আপনি পাবেন। অসুবিধা নাই।

আপনে অনুমতি দেবার কে?

আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।

আমার হয়ে কথা বলার জন্যে উৎসুক বসে আছেন, ঘটনা কি চিন্তিত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অবশ্যই, কোন সমস্যা নাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তানবীরা এর ছবি

তোমার গল্প পড়ে মনে হলো, "নিজেকে হারিয়ে যেনো পাই ফিরে ফিরে"
শুধু পার্থক্য হলো তোমার সাথে প্রজাপতি আর উর্মি ছিলো, আর আমি হাতে লেখা "নির্দেশনামা" নিয়ে সব করেছি একা একা। ভিনদেশি ভাষায়।

********************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সচল জাহিদ এর ছবি

মুগ্ধ হয়ে পড়ছি ।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

খালি পড়লে হবে? আপনার অভিজ্ঞতার কাছে আমি তো দুধভাত, আপনেও লেখা শুরু করেন বস আপনে অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেন, অসাধারন হবে আপনার স্মৃতিচারণ। কিছু অভিজ্ঞতাও ধার পাবো আমি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।