মৃত্যুর হাতছানি - ২

সাইফ তাহসিন এর ছবি
লিখেছেন সাইফ তাহসিন (তারিখ: শুক্র, ১৯/০৩/২০১০ - ১০:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মৃত্যুর হাতছানি

১.

মাটিতে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে আব্দুল করিম ভাবলেন, এটা একটা দুঃস্বপ্ন, একটু পরেই গা ঝাঁকি দিয়ে জেগে উঠে বিছানার পাশে রাখা পানির গ্লাসে হাত বাড়িয়ে হাঁফ ছাড়বেন আর স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে তার এই স্বপ্নের কথা বলবেন, কিন্তা বাস্তবে সেরকম কিছুই ঘটল না। তারা ঘুমাচ্ছিলেন, হঠাৎ যেন চাদরে গা পেচিয়ে যাবার অনুভূতি হল, এমন স্বপ্ন প্রায়ই দেখেন, ছটফট করেন কতক্ষন, তারপর ঘুম ভেঙ্গে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার অপেক্ষা করতে লাগলেন। কিন্তু কয়েকবার গা ঝাকা দিয়ে যখন নড়তে পারলেন না, তখন নিশ্চিত হলেন, তারা আসলেই জেগে আছেন আর তাদের শুধু মুখ না, হাত-পাও বাঁধা। কিন্তু ঘুম ভেঙ্গে দৃষ্টি পরিষ্কার হতেই দেখলেন তার পাঁচ হাত দূরে তার স্ত্রীও একই ভাবে মেঝে শুঁকছেন, আজ রাতে হুইস্কি একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিলান, আর তার স্ত্রী ঘুমালে মরা হাতির মতন, তাই একজনও টের পাননি, কখন কে যেন তার বাসায় ঢুকে তাদের বেঁধে ফেলেছে। তখন পিছন থেকে গলা ভেসে এল, খুব দৃঢ় কন্ঠস্বর এবং খুব ধীর স্থির, যেন কোন দাওয়াতে বসে গল্প বলছে। পেছনের জন তার সামনে এসে দাড়ালো, তারপর কোন ভণিতা ছাড়াই বলতে শুরু, তার নাম আসিফ আর তার সহকারীর নাম মইন। তারা আজকে তাদের বাসায় ডাকাতি করতে এসেছে, চুপচাপ পড়ে থাকলে তাদের কোন ক্ষতি হবে না। করিম সাহেব অপেক্ষা করতে লাগলেন, আর শুনতে পেলেন ওরা দুজনে তার সিন্দুক খালি করছে। একটু পরে মইন এসে তার গায়ে ক্লজেট থেকে আনা জনি ওয়াকারের বোতল খালি করতে শুরু করল। তারপর তারা তাদের শোবার ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বাসার দরজা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেল। করিম সাহেবের আর্ত চিৎকার কেউ শুনতে পেল না, কারন তার চাকর-বাকরেরা থাকে বাসার পিছনের একতালা বিল্ডিং এ।

২.
আমি ফয়সাল, ঢাকা নর্থ ডিভিশনে ১০ বছর ধরে চাকরি করছি, গত ৩ বছর ধরে ডিটেক্টিভ পদে উন্নিত হয়েছি, আমার সহকারী নাসেরের এতদিন লাগেনি, চৌকস আর বুদ্ধিমান হবার কারনে অনেক তাড়াতাড়ি প্রোমোশন পেয়ে তার সহকারী পদে আছে আজ প্রায় এক বছর। আমি প্রায় প্রতি শুক্রবার ধানমন্ডি ২ নাম্বারের স্টার কাবাবে আসি, ডিউটি না থাকায় আজকে এসে হাজির হয়েছি আমি। আর আরো এসেছে আমার ৩ বন্ধু আরিফ, আসাদ আর ইকবাল। আরিফ পেশায় সাংবাদিক, ক্রাইম রিপোর্টার পদে চাকুরী করছে আজ প্রায় ৮ বছর। আসাদ আছে হাই কোর্টে, সরকারী পক্ষের উকিল তার চাকুরীর বয়স আরো কম, আর ইকবাল আমার স্কুলের বন্ধু, সে আছে ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্ত বিভাগে, তাই সে আমার পেশার সাথেও নিয়োজিত। এখানে এসে আমরা চেষ্টা করি কাজ পিছনে ফেলে আসতে, আর যতই ভালো বন্ধু হোক না কেন, আরিফের সামনে মুখ খুললে আমার চাকুরী মগডালে উঠে যাবে, কারণটা সহজ অনুমেয়, পত্রিকায় ছাপানোর জন্যে পারলে আরিফ আমাকে তিনবার আমাকে আমিন বাজারের কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দিবে। কিন্তু মুখে তা স্বীকার করবে না, আবার সরাসরি জিজ্ঞেস করতেও পিছুপা হবে না। আর এই বন্ধুত্ব দুই তরফা, কারণ তার অবস্থানের সদ্ব্যবহার আমিও করেছি অতীতে, কয়েকবার চিপায় আটকে গিয়ে আরিফের সংবাদপত্রে তা ফাঁস করে দিয়েছি। পুলিশ হবার কারনে অনেক সময়ই রাজনৈতিক অবস্থানের কারনে কাউকে ছেড়ে দিতে হয়, এর জন্যে মর্ম যাতনায় ভুগলেও কিছু করতে পারি না। মাঝখান থেকে খাগড়াছড়ি নয়ত বান্দরবানে বদলি হয়ে যেতে হয়। আজকেও সবাই বসে ৪ টে বোরহানী আর শিক চেয়েছি, এমন সময় আমাদের ডিসি নর্থ আবুল হোসেন স্যারের ফোন, "ফয়সাল? তারেকের কেসে একটা নতুন সুত্র পাওয়া গেছে, তুমি কই? আমি জানি তুমি গত ৩ মাস ধরে এই কেস নিয়ে খেটে যাচ্ছো। শ্যামলীর অফিসে চলে আসো, আমি নাসেরকে ফোন করব তোমার কল রেখেই"।

৩.
আমি ৩০ মিনিটে আসছি বলে ফোন রেখে বোরহানীর গ্লাসটা টেনে নিলাম, মনে মনে বললাম, ধুর ছাই! কাবাবটা খাওয়া হল না! বের হয়ে আমার হোন্ডা সিডিআই ১০০ তে চড়ে বসলাম, একশ সিসি মটরসাইকেলটা এমনভাবে দাবড়াতে লাগলাম যেন শয়তানে তাড়া করেছে। তারেকের কেস, এমন আজব কেস আমি আমার ১০ বছরের চাকুরী জীবনে দেখিনি। রাত ৮টায় রাতের খাবার সময় ডাকতে গিয়ে তার মা শাহানা রহমান আবিষ্কার করেন যে সে তার ঘরে নেই। তিনি ভাবলেন, ছেলে মনে হয়ত বাইরে গিয়েছে, চলে আসবে, তাও নিচে ফোন করে দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করলেন, কখন তারেক বের হল? দারোয়ান জানালো, ছোট সাহেব তো বের হননি, অন্তত সে দেখেনি। তবে ৬ টার পর সে চা বিরতিতে গিয়েছিল, আর দিনের বেলা গেটে তালা দেওয়া থাকে না, তাই কেউ চাইলে বের হতে পারে, তবে সে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করে জানাবে এখুনি। ৫ মিনিটের মাঝে শাহানা জেনে যান যে তার ছেলেকে নিয়ে কেউ বাইরে যায়নি আর কেউ তাকে বের হয়ে যেতেও দেখেনি। সামাজিক অবস্থানের কারনেই তারা ধরে নিলেন, তার ছেলেকে কেউ অপহরণ করেছে, আর অজানা আশংকায় তার বুক কেঁপে উঠল। তিনি কাঁপা হাতে ফোন তুলে স্বামী ওয়াদুদ রহমানকে ফোন করে সব খুলে বললেন। এক ঘন্টার মাথায় পুলিশ এসে ঘিরে ফেলল তাদের গুলশানের বাড়িটা, আরো আধাঘণ্টার মাঝে আমরাও। এমন হাইপ্রোফাইল লোকজনের হামকি ধমকির কোন তুলনা নেই। প্রথম যখন ফোন পাই, আমি ধরেই নিয়েছিলাম, বড়লোকের ছেলে, ফুর্তি করতে গেছে, আর মাঝখান থেকে আমাদের আলাজিহবা ধরে টানাটানি চলছে। কিন্তু যখন গুলশানে গিয়ে পৌছালাম, দেখি ঘটনা বেশ খারাপ, তারেক তার কোন বন্ধু, আত্মীয়সজনের বাসায় যায়নি, তার কোন বন্ধুবান্ধবও কোন ধারণা দিতে পারল না ছেলেটা কোথায় যেতে পারে।

আমরা গিয়ে আস্তনা গাড়লাম গুলশানে, সব ফোন ট্যাপ করা হোলো, এরপর অপেক্ষার শুরু, যারা অপহরণ করেছে তাদের যোগাযোগের অপেক্ষা। কিন্তু সময় বয়ে চলল, পরেরদিন সব সংবাদপত্রের শিরোনাম হল তারেকের খবরটা, আর সেইসাথে সাড়া পড়ে গেলে যখন তার নিচেই ছাপা হল, যদি তারেকের সন্ধান দিতে পারে কেউ, তাকে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে। কিন্তু এভাবে ৩ দিন চলে গেল, কিন্তু কোন খবর পাওয়া গেল না। এদিকে আমাদের জান যায়, প্রতি ১০ মিনিটে ফোন আসতে লাগল যে তারেককে দেখা গেছে ওমুক জায়গায়, খবর উড়া হোক আর ধুরা, আমাদের তো মাফ নেই, গিয়ে হাজির হয়ে সেটার সত্যতা যাচাই করতে হয়। কয়েকদিন দৌড় ঝাপের পরেও কোন সন্ধান পাওয়া গেল না তারেকের। এভাবে দিন গড়িয়ে সপ্তাহ হল, তখন আমরা হাত গুটিয়ে নিতে বাধ্য হলাম, সবাই ধরে নিল, তারেককে যারা অপহরণ করেছে, তারা হয়ত তাকে মেরে ফেলেছে অথবা দূর্ভাগ্যক্রমে মারা গেছে। একইভাবে ২ সপ্তাহ পরে সংবাদপত্রের প্রথম পাতা থেকে তারেকের অন্তর্ধান রহস্য আস্তে আস্তে ২য় পাতা ৩য় পাতা হতে হতে নাই হয়ে গেল, আজ ৩ মাস ধরে মনের কোণায় এই কেসটা আমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছে। এমন কতজন হারিয়ে যায় দৈনিক, তার কি কোন ইয়ত্তা আছে! কারন তাদের পেছনে বিত্তশালী কেউ নেই কলকাঠি নাড়ার জন্যে। তবে আবার সুযোগ মিলতে যাচ্ছে আমার এই কেসে আরেক হাত নেবার।

৪.
স্যারের অফিসে গিয়ে হাজির হবার ২ মিনিটের মাথায় এসে হাজির হয় নাসের। স্যার বেয়ারাকে ডেকে চা দিতে বলেন, তাতে আমি বুঝে যাই, ঘটনা বেশ ঘোরালো, নাহলে স্যারের যে আর্মি মেজাজ, ঠিকমত কথাই বলতে চান না, সেখানে বসিয়ে চা খাওয়াচ্ছেন, উপর মহলের চাপ ও আছে নিশ্চয়। আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা যে কেন আর্মি থেকে আসেন, বুঝি না, আর সাথে করে নিয়ে আসেন তাদের নিয়ম কানুন আর মেজাজ। সময় সময় মনে হয়, আমাদের মানুষ গণ্য করেন না। আমরা বসতেই স্যার বলা শুরু করলেন, তারেকের কেসটাতে নতুন সুত্র মিলেছে, আজকে সকালে একটা ফোন আসে, উড়া ফোন, সেখানে বিস্তারিত বর্ননা দেয় এক লোক, সে রাতে তারেক কি পরে ছিল, এমনকি জুতার রঙ পর্যন্ত, পেপারে বা অন্য কোন বিবৃতিতে জুতার বর্ননা দেওয়া হয়নি, একারনেই এই সুত্রটাকে যাচাই করে না দেখে পারছি না। আর ফোন রাখা মাত্র নাম্বারটাকে আমরা ট্রেস করেছি, মোহাম্মদপুরের একটা পানের দোকানির ফোন, সেই দোকানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তবে খুব একটা কাজের কাজ হয়নি, এমন কোন বর্ননা মিলেনি যা দিয়ে সেই লোককে সনাক্ত করা যায়। তবে আমাদের যে অপারেটর কল রিসিভ করেছে, সে বেশ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিল সে, যে ৩ মাস পরে কেন ফোন করল লোকটা। সে নাকি বলেছে যে বিবেকের দংশন আর সইতে পারছিল না লোকটা আর অন্যদিকে বউ বাচ্চা সংসার আছে, তাদের কিছু হোক সেটাও চায়নি।

অজান্তের দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে আমার, লাখ টাকা দামের প্রশ্নটা করে ফেলি, তা কোথায় দেখা গিয়েছিল তারেককে? স্যার মুচকি হেসে বলেন, ধানমন্ডি ৪ নাম্বারে, তৃষ্ণা নামের এক হাই লেভেল সোসাইটি গার্লের বাসায়। আমার কাছে খবর আছে, সব বড়লোকের ছেলে পেলেরা সেখানে যায় ফুর্তি করতে, আর তারা ছাড়াও অনেক প্রভাবশালী সরকারী চাকুরের আনাগোনা দেখা গেছে। তার মানে আমাদের ডআক পড়েছে এখন গিয়ে এই তৃষ্ণা ম্যাডামকে সরকারের অতিথি করে নিয়ে আসার জন্যে। অন্য কেউ হলে হয়ত আমাদের ডাক পড়ত না, কিন্তু এই ম্যাডামকে আবার অনভিজ্ঞ হাতে নাড়াচাড়া করলে চাকুরি খোয়াতে হবে কোন সন্দেহ নেই, তাই আমাদের ডাকা, মশা মারতে কামান দাগার মত হলেও আমি মনে মনে খুশি হয়ে উঠলাম, কারন সঠিক ভাবে প্রশ্ন করতে পারলে হয়ত এই রহস্যের সমাধান হয়েই যাবে। আমি আর নাসের স্যারের অফিস থেকে সরকারের দেওয়া নতুন মিতসুবিশি ল্যান্সার গাড়িটা নিয়ে বের হলাম, ওয়ারেন্ট নেই, তাই আরেস্ট করে তো আনা যাবে না।

৫.
ধানমন্ডি ৪ নাম্বারের সেই বাড়ির সামনে পার্ক করে দাড়ালাম আমি, পাশের সিটে নাসের। নিজে সিগারেট ধরিয়ে আমাকেও একটা দিল, উত্তেজনায় যেন নাসেরের হাত একটু কাঁপছে। ভেতরে ঢুকলাম না আমরা, কারন দেখতে পেলাম বাসার সামনে হলুদ রঙের হামার দাড়িয়ে আছে। ভালো করেই জানি, ঢাকায় এই রঙের হামার মাত্র ৩ টাই আছে, কাজেই তাদের ৩ জনের একজনের মালিককে ঘাটিয়ে পানি ঘোলা করার কোন প্রয়োজন অনুভব করলাম না, বরং অপেক্ষা করতে লাগলাম এই ব্যাটার ভাগার জন্যে। প্রায় আধাঘন্টা অপেক্ষা করার পর গাড়িটা বিদায় হল। আমরাও এক মিনিট পরে গিয়ে দরজায় বেল বাজালাম। কোন সাড়া নেই, আবার বাজাবো, এমন সময় দরজা খুলে গেল, সামনে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটাকে দেখে বাস্তবিকই আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে গেল। সদ্য ফোঁটা ফুলের মত একটা মেয়ে যেন শিশির মেখে দাড়িয়ে আছে। বিশ্বাস করতে কষ্ট হল যে, এই মেয়ের পক্ষে দেহব্যবসা করা সম্ভব। আর চেহারায় কেমন একটা সারল্য ফুটে আছে, বলতে বাধ্য হলাম, তৃষ্ণার উপস্থিতিতে কেমন উত্তেজিত বোধ করলাম। কিন্তু দায়িত্বের কথা মনে পড়ে গেল যেন, বলতে শুরু করলাম, "আমি ডিটেক্টিভ ফয়সাল, আর আমার সহকারী নাসের, আমাদের কিছু প্রশ্ন ছিল, একটু সময় হবে?"

তৃষ্ণা আমাদের ভেতরে নিয়ে বসালো, আমি জিজ্ঞেস করতে শুরু করলাম, আপনে কি তারেকের অন্তর্ধান রহস্য সম্পর্কে জানেন? কিন্তু মেয়েটার চেহারায় কোন ভাবান্তর দেখা গেল না, আমি আবারো জিজ্ঞেস করলাম, আপনে কি তাকে হারিয়ে যাবার আগে দেখেছেন? তাতেও কোন উত্তর দিল না দেখে জিজ্ঞেস করলাম, সে কি আপনার কাছে কখনো এসেছে? তখন মেয়েটা হেসে বলে, আমার কি এমন ভাগ্য হবে যে, তারেকের মত বিখ্যাত কেউ আমার বাসায় পা রাখবে? পাশ থেকে নাসের বলে, এখানে কি আঠারো বছরের কম বয়েসের কেউ আসে কখনো? তৃষ্ণা হেসে বলে, এটা তো এয়ারপোর্ট না যে সবাই পাসপোর্ট নিয়ে আসবে, আর তা দেখে আমি সবার বয়স নির্ধারণ করবো। এ পর্যায়ে আমরা বাধ্য হয়ে বলি, তাহলে আপনে বলছেন, তারেক আপ্নার এখানে আসেনি? এর পরেও যখন কোন উত্তর দেয়না মেয়েটা, আমি বলি, আপনাকে একটু থানায় যেতে হবে আমাদের সাথে, আমাদের কিছু জিজ্ঞাসাবাদ আছে। আপনে যদি রাজি না থাকেন তাহলে ওয়ারেন্ট সহ আবার আসব আমরা। যদি নিজেকে নির্দোষ মনে করেন, তাহলে তো আপনার কোন ভয়ের কারন দেখছি না থানায় যেতে।

৬.
কাজেই ১০ মিনিটের মধ্যে তৃষ্ণাকে নিয়ে আমরা শ্যামলি রওয়ানা দেই, গন্তব্য স্যারের অফিস। সেখানে পৌছে তৃষ্ণাকে নিয়ে গেল নাসের জিজ্ঞাসাবাদ করার রুমে নিয়ে বসাতে, আমি গেলাম স্যারকে এখন পর্যন্ত যা ঘটল সব জানাতে। ৫ মিনিটের মাথায় গিয়ে হাজির হলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে, আমি হাজির হতেই নাসের বলতে শুরু করল, এখানে যা আলোচনা হবে, তা কিন্তু আদালতে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং আরো অনেক কাগজি কথাবার্তা। আমি বেশ বিরক্ত হলাম নাসেরের উপরে, কি দরকার ছিল অ্যারেস্ট তো করিনি, এরপর এসব শুনলে মুখে ছিপি এটে বসে থাকবে! ভিডিও ক্যামেরা চালু করে প্রশ্নবান শুরু করলাম আমরা, আগে হাজত বাসের অভিজ্ঞতা আছে কিনা, উকিল চায় কিনা, তারপর বল্লাম, আমাদের কাছে খবর আছে, আপনার কাছে তারেক এসেছিল অন্তর্ধানের রাতে। কিন্তু কোন ভাবেই স্বীকার করানো গেল না যে সে তারেককে সামনাসামনি দেখেছে। আমি বল্লাম, তারেকে হৃৎপিন্ড দুর্বল ছিল, হয়ত উত্তেজনার মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে গেছে,এতে তো আর আপনার দোষ ছিল না। এভাবে প্রায় ২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেও আমরা কিছুই বের করতে পারলাম না, কত রকমের ছলনার আশ্রয় নিলাম আমরা কিন্তু কিছুতেই চিড়া ভিজল না।

এ পর্যায়ে নাসের হুট করে বলে বসল, যদি বলি আমাদের কাছে সাক্ষী আছে যে আপনার বাসায় তারেককে ঢুকতে দেখেছে! তৃষ্ণার গলা কেঁপে গেল, মুখ কিছুটা ঝুলে গেল, বলে ফেলল, সাক্ষী! কি বলছেন? হতেই পারে না! কিন্তু ততক্ষনে আমরা যা বুঝার বুঝে নিয়েছি। আমরা বললাম, খুলে বলেন কি ঘটেছিল, আমরা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করব যেন আপনার কোন ঝামেলা না হয়। এবারে তৃষ্ণা দু'হাতে মুখ ঢেকে কাঁদতে শুরু করল। আমি টিস্যু পেপার ধরিয়ে দিলাম, আর অপেক্ষা করতে লাগলাম। প্রায় ১৫ মিনিট কান্নাকাটির নাটক করার পরে তৃষ্ণা বলল, ঠিকাছে, ক্যামেরা বন্ধ করলে আমি খুলে বলব পুরা ঘটনা। নাসেরের প্রশংসা করলাম মনে মনে, আসলেও ব্যাটার সময়জ্ঞান মারাত্মক। এক্কেবারে সঠিক সময়ে জাল পেতে তা আবার গুটিয়ে এনেছে। আমি উঠে গিয়ে ক্যামেরা বন্ধ করে দিলাম, তৃষ্ণা বলতে শুরু করল পুরো ঘটনা।


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

উফফফ
এই জায়গায় গল্প কেউ থামায়???

এই বারের পর্ব আমার অনেক ভাল লাগল বস। প্রথম পর্বে যদিও 'মশলাদার' জিনিস ছিল কিন্তু কেমন একটু অগোছাল ছিল। এইবারের পর্ব অনেক আঁটসাট।

আল্লাহর ওয়াস্তে পরের পর্বটা একটু জলদি দিয়েন----

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস! এর পরে কি হইছে তা তো প্রথম পর্বের বলেছি, তারপরে কি ঘটেছিল সেটা আসবে পরের পর্বে ;)। সস্তা টেকনিক পাঠক ধরে রাখার দেঁতো হাসি. দেখা যাক, আজ রাতে আবার বসার ইচ্ছা, আপনারা একটা করে লেখা দিয়ে প্রথম পাতা থেকে আমার লেখাটা সরায় দেন, তাহলে পরের পর্ব দিয়ে দিব অতিসত্তর
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেনেট এর ছবি

দেরীতে দেয়ায় চরিত্রগুলোর নামধাম সব ভুলে গিয়েছিলাম...তাই মাঝে মাঝে আবার প্রথম পর্বে ফেরত যেতে হল...

এই ত্রুটি ছাড়া এই পর্ব জোশ লাগলো।

আল্লাহর ওয়াস্তে পরের পর্বটা একটু জলদি দিয়েন----
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হে হে হে, আহারে রেনেট মিয়া, আবারো খাইষ্টা পর্বটা পড়া লাগল চোখ টিপি যাউকগা পড়ার লাইগা অনেক ধন্যবাদ। তবে এইবার নাম ভুলে যাবার আগেই পরের পর্ব দিয়ে দিব।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

টিউলিপ এর ছবি

এই রকম ক্লাইম্যাক্সের মাঝে গল্প থামানোয় প্রবল ধিক্কার।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হা হা হা, ভাই বা আপা, এত ধিক্কার দিলে পরের পর্ব দেবার সাহস পামু?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মামুন হক এর ছবি

ভালো হয়েছে, তবে আরও ভালো হতে পারতো ( সৌজন্যে শামাপোকা) দেঁতো হাসি
নাহ ফাইজলামি না, এই পর্ব আসলেই দারুণ হয়েছে!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কথা ঠিক মামুন ভাই, আরো ভালো হইতে পারত, কিন্তু লেখক সাইফ না হইয়া সাইফের গুরু মামুন হওয়া লাগত, আখের মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত কিনা তবে গাইতে গাইতে গায়েন, হয়ত আস্তে আস্তে লেখার উন্নতি হবে। তবে আপনাদের কারনে সেটা শূণ্য গোয়াল থেকে দুষ্ট গরুতে উন্নিত হয়েছে, ভালোমতো লাঠিপেটা করলে 'গাধা পিটায়া মানুষও' হইতে পারে দেঁতো হাসি. লেখা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ গুরু।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওডিন এর ছবি

পড়বো না পড়বো না করেও পড়ে ফেললাম। আরেকটু বড় করলে কি সমস্যা ছিলো???
হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আগের পর্বের মাথায় এনে শেষ না করলে সিকোয়েন্সে গ্যাঞ্জাম লেগে যাবে বলে এখানেই ঝুলায় ভাগলাম। তবে পরের পর্ব কালকেই পাইবা, নিশ্চিত থাকতে পারো।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তিথীডোর এর ছবি

প্রথম পর্ব একটুও ভাল্লাগেনি!!
এ পর্ব দারুণ লাগলো... হাসি
পরের কিস্তি চাই, জলদি!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ তিথীডোর, এই পর্ব ভালো লেগেছে জানতে পেরে ভালো লাগল। আর হ্যাঁ, ৩য় পর্ব দিয়ে দিব কালকে। তয় খ্রাপ হইতে পারে, বলা যায় না, তবে লিখতে ইচ্ছা করতেছে আজকে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শেখ নজরুল এর ছবি

গল্প ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমাগো নজরুল ভাই দেখি, অনেকদিন ঘাপটি মাইরা ছিলেন মনে হয়। লেখা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দ্রোহী এর ছবি

দ্বিতীয় পর্ব পড়লাম। এবার প্রথম পর্ব পড়ি গিয়ে। দেঁতো হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভালু করছেন বস, আসলে এখানেই গল্পের শুরু, এরপরে ২য় পর্ব আসছে। তয় কালু চশমা পইড়া নিয়েন, আগের পর্বটা বেশ খাইষ্টা আছে চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

_প্রজাপতি এর ছবি

দ্বিতীয় পর্বটা পড়ে ভাল লাগলো, দুএকটা টাইপো আছে ।
এটার ঘটনা ভুলে যাওয়ার আগেই পরের পর্ব ঝটপট নামিয়ে ফেলুন।
-----------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

টাইপো গুলো ধরিয়ে দিলে ভালো হয়, নাহলে আবার পরের পর্বে ভুলগুলো থেকে যেতে পারে। টাইপো না হয়ে আমার স্বল্প দৈর্ঘ্যের বানান জ্ঞানও দায়ী হতে পারে। আর আপনার লেখা কই? সেই যে হাচল হয়ে ডুব দিলেন, এক্কেবারে গন গনাগন গন! তাড়াতাড়ি লেখা ছাড়েন একটা, নাহলে ছবি ব্লগ দেন অন্তত। শুনলাম নতুন ক্যামেরা কিনেছেন!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

চমতকার লাগলো !

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

শিমুলাপু, আপনে কইতেছেন! অনেক ভালো লাগতেছে! আমি তো ভাবলাম আগের পর্বের জন্যে কানমলা দিয়ে যাবেন, সেইটা দেন নাই দেইখা বেশ আশ্বস্ত হইলাম খাইছে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

পথহারা এর ছবি

আপনি তো ভাই ভালো মানুষ না! এই জায়গাতে গল্পটা থামানোর কোনো মানে হয়?!? ধুর, মজাটাই বিলা কইরা দিলেন। আপনি তো মনের সুখে মাথার ভিতর গল্পটা নিয়ে ঘুরছেন, জলদি খালাস করেন, এত টেনশন ভাল্লাগেনা!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এর পরের ঘটনা তো প্রথম পর্বেই দিয়েছি, কষ্ট করে সেটা পড়ে নেন একটু। তবে কষ্ট কইরা পড়লেই জাইনা ভালু লাগল। লেখাটা শেষ করতে না পারার জন্যে আমিও কিন্তু অনেক হাঁসফাস করতেছি, কিন্তু টাইপিং স্পিড খুব খ্রাপ, তাই চাইলেও অনেক বড় পর্ব নামাইতে পারি না। তবে, দেখাযাক পরের পর্বটা আরেকটু বড় হবে। কিন্তু আপনে পড়ের পর্ব পড়বেন তো, নামে পথহারা, লেখাটা শেষ করার আগে পথ হারাইয়েন না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

kutubi এর ছবি

গল্প দুটি চমৎকার। লেখককে ধন্যবাদ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ নামহীন অতিথি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

s-s এর ছবি

সাইফ দাদা, অনেকদিন পর আবার এলাম সচলে। আপনার এই লেখাটা অনেক গোছানো হয়েছে , সেটা দেখলাম। খুব ভালো লাগলো। এক্কেবারে তরতর ক রে লিখে যান। থাম্বস আপ!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সেজুতিদি, অনেক ধন্যবাদ এবার অনেক ভয়ে ভয়ে লেখা দিলাম, আবারো আগের বারের মত আবর্জনা হয় কিনা সে নিয়ে কিছুটা ভয় ছিল, সন্দেহও ছিল, তবে যেভাবে ভরসা দিলেন, তাতে মনে সাহস পাইলাম অনেক, আগামী পর্ব দিতে দেরী হবে না এত। অবশ্য নানা রকম জটিলতার মধ্যে ছিলাম, যার জন্যে এত দৌড় ঝাপ করলাম, সেখানে ডাঁহা ডাব্বা মেরেছি, এ বছরো কিছু হল না, রেশিডেন্সির জন্যে আরো এক বছর জুতার তলা ক্ষয় করতে হবে। এই সপ্তাহে সেই ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়ে আবার লিখতে বসলাম।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

এই বারেরটা আসলেই ভাল হইছে। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি নামান, সাইফ ভাই।

===অনন্ত ===

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ঠিকাছে, তাড়াতাড়ি আসতেছে। লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

তোমাকে সমালোচনা করে ভালো লাগে...কথার দাম দাও, আর পরামর্শ শুনো বলে... সত্যি বলি সাইব্বাই, আমি বেশ ভয়ে ভয়ে ছিলাম পড়া শুরুর আগে... এখন ভয় কেটে গিয়ে ভালো লাগা বোধ ফিরে আসলো...
সামনের বার আরও ভালো হোক... না হয় দেরী করেই দিও, আবার নাহয় ফিরে এসে এটা পড়বো...কিন্তু এটার চেয়েও ভালো হবে এই আশা করাটা যেন সার্থক হয়... দেঁতো হাসি চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ওরে দুষ্ট বালিকা, এত ডরাইলে চলবে? তবে আমি কিন্তু আসল বইয়ের লেখকের ছায়া ধরেই হাটতেছি, তাই সেই ব্যাটা ডুব দিলে আমিও দিব চোখ টিপি, তবে দুঃখজনক ভাবে সেরাম কোন সিন নাই সামনে, থাকলেও হয়ত ভ্রান্ত ধারমায় ফালায়া দিমু। লেখা ভালু লাগছে জানতে পাইরা ভালু লাগল। চেষ্টা করব তবে মোল্লার দৌড় কিন্তু মসজিদ পর্যন্ত, তবে কালকে রাতের মধ্যেই আগামী পর্ব দিব। আজকে রাতেই বসার ইচ্ছা আছে।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ভক্ত  এর ছবি

ভাই একবছর ধরে আপনার ৩য় পর্বের অপেক্ষা করলাম। কই কিছুইতো দিলেন না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।