উনি না বল্লে কি হবে, আমি খবর কাগজ না পড়েও জানি, আর্মি স্টেডিয়ামে আজকে রাতে এক সংগীতানুষ্ঠান আছে, বিদেশ দেশে ভাড়া খাটুনে এক শিল্পির দল এসেছে প্রায় ৩ দিন আগে। বন্ধুদের মুখে মুখে এই অনুষ্ঠানের কথা। আমি অবশ্য কখনই খুব একটা আগ্রহ পাই না, আর পয়সা খরচ করে যাবার তো প্রশ্নই উঠে না। তবে এই ভাড়াটে দলের আসল শিল্পি নাকি আজকে দূপুরে আসবে, হয়ত এর মাঝে রওয়ানা দিয়ে ফেলেছে আমাদের বিমানবন্দরের অভিমুখে। আমার স্ত্রীকে ফোন করে জানালাম শীঘ্রই বাসায় চলে এস বাজার থেকে, টিকিটের লোভ দেখিয়ে, চামে চিকনে যদি কিছু পয়সা বাঁচানো যায়। স্ত্রী আমার বাজারে গেলে তো খবর হয় আমার! টিকিট পেয়েছি শুনে যেন ঐপাসে গুনগুন করে সুর ভাঁজতে শুরু করে আমার স্ত্রী।
সারা ঢাকা শহরের মানুষ নাকি আসবে দেখতে এই অনুষ্ঠান, আমি বিড়বিড় করতে থাকি, মানুষের এত টাকা হয়ে গেছে ইদানিং যে ৫০০০ টাকা দিয়ে একটা অনুষ্ঠান দেখতে আসে? বাহ! আমি নাহয় ফাউ পার্টি, আশাকরি সবাই আমার মতন না। মগবাজারের চিপা থেকে বের হয়ে এসে একটা সিএনজি নেই বেলা ২টা নাগাদ। তারপর শুনি কেউ যাবে না আজকে এরশাদ ওরফে বাংলাদেশ ওরফে আর্মি স্টেডিয়ামের পথে। হায়রে, কতবারই না নাম পাল্টায়, আমি অপেক্ষা করে আছি, কবে যে এটার নাম পাল্টে নিজামী জাতীয় স্টেডিয়াম হয় সেটা দেখার জন্যে। সবাই বলেন, আমিন! সুম্মা আমিন! যাক, অনেক কাকুতি মিনতি করে এক চাচামিয়ার সিএনজিতে চেপে বসি আমি আর আমার স্ত্রী। দ্বিগুন ভাড়া দিতে হবে শুনে খিস্তি খেউড় করতে থাকি আমি মনে মনে, স্ত্রী আবার রাতে মাটিতে নামিয়ে দিতে পারে ভেবে দাঁত মুখ খিঁচে বসে থাকি।
৩০ মিনিটের রাস্তা যেতে যখন ২ ঘন্টা লেগে আরো সময় নিতে শুরু করল তখন বুঝতে পারলাম সিএনজিওয়ালা কেন আসতে চাইছিল না। আর আমাকে নামিয়ে দেবার পর তার ভাগ্যে কোন যাত্রী জুটবে না, কার ভালো লাগে ইচ্ছা করে পেচানো তেনার গাট্টির ভেতরে মাথা ঢুকাইতে। যাক, আড়াই ঘন্টা নাগাদ কোনমনে গড়াতে গড়াতে আমরা স্টেডিয়ামের সামনে নামি। তারপর বুঝতে পারলাম, সামনে বিরাট এক লাইন। আর দুলাভাই আমাকে যে টিকিট দিয়েছেন, সেটা সস্তার থেকেও সস্তা, ঐ টিকিটের লাইন কম করেও ২ মাইল লম্বা। এর তার কনুই এর গুঁতা বাঁচিয়ে কোনমতে গিয়ে লাইনে দাড়াই আমরা দু'জনে। তারপরে আরো ৪৫ মিনিট পরে গেটের মুখোমুখি হই, দেখি ড়্যাবের ২ ষণ্ডামার্কা লোক দাড়িয়ে আছে, আমাকে বলল এইদিকে আসে, বলেই ব্যাপক গতিতে হাতাপিতা শুরু করে দিল। আমি মিনমিন করে বললাম, দাদা আপনার যা আছে, আমারও তাই আছে! তাহলে বেহুদা এই টিপাটিপি কেন? এইসব লাইনে দাড়ালেই আমার নিজের মেয়ে হয়ে জন্মাতে ইচ্ছা করে, আবার তারপরেই মনে পড়ে যায়, গাউছিয়া মার্কেটে ভিড়ের মাঝে বেহায়া পুরুষদের হাতাহাতির কথা, ঘৃণায় চোখ মুখ কুঁচকে আসে আমার।
বহুত কনুই খেয়ে স্টেডিয়ামে সুবিধামত একটা জায়গায় ২ জনে বসে পড়ি, তারপর ১০ টাকার বাদাম কিনে ধীরে সুস্থে চিবাতে থাকি। এরপর শুনি অনুষ্ঠান শুরু হতে আরো অনেক দেরী আছে। একঘণ্টা পর ঝুনঝুন নামে এক পাকি ব্যান্ড উঠে ছাইড়া দে ছাইড়া দে এর মত কি এক বিচিত্র ভাষায় বিচিত্র সব শব্দে ভ্যাবাইতে থাকে। বাংলা বুঝি, ইংরেজি কিছুমিছু বুঝি। এর বাইরে তো কিছুই বুঝি না। তার এদের বিকট চিৎকার শুনে হা করে তাকিয়ে থাকি। এই ঘণ্টা দেখতে মানুষ পয়সা খরচ করে আসে? পাশে থেকে আমার স্ত্রী কনুই চালায়, বলে, এত খচর মচর করতেছ কেন? আনন্দে দেখলাম তার চোখ-মুখ উদ্ভাসিত! বুঝলাম, সে এর মানেও বুঝতেছে, তালে আতালে মাথাও দোলাইতেছে। আমি মনে মনে কই, এই পাকির বাইচ্চার ম্যাৎকার কতক্ষন শুনতে হইবো? যাক, প্রায় এক ঘন্টা ভ্যাবানোর পর এরা আমারে ছাড়ান দিয়া আরেক জুটি উঠল। এগো একজনের নাম আঞ্জুম ধানপাট আর রহিমা কাইতকর! এরা উইঠা নাচানাচি করতে শুরু করল, আর পিছে কেডা জানি গান বাজাইতে শুরু করল। আমি ঠিক বুঝলাম না, এরা আসলে কি করতে চাইতেছে। গান ছাইড়া নাচার কেসটা কি? এগো পড়ে আরো এক জুটি উঠল, এগো নাম আমি বুঝতেই পারি নাই, স্ত্রীরে জিগাইতেই এক মুখ ঝামটা খাইয়া চুপ মাইরা গেলাম।
আমি প্রায় কাতর, কানের ব্যথায়, চউক্ষের ব্যথায়, ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাচি কইরা কানতাম আছি, কিন্তু কে শুনে আমার কথা, সবাই দেখি মুগ্ধ দৃষ্টিতে এইসব ভাড়াইট্টা শিল্পির নর্তন-কূর্দন দেখতেছেন। যে এর চেয়ে মজার কিছু এনারা আগে দেখেন নাই। এরা নামতেই আমার স্ত্রী দেখি ব্যাপক ঝলমলে চোখে ফুন বাইর কইরা আমার শালীরে ফুন দিয়া বলতে শুরু করল, জানিস! এখই আসল ইভেন্ট। এখন সুপার স্টার ...
আমিতো কিছুই বুঝি না, ভুদাইচরিত মানুষ আমি, ফ্যাল ফ্যাল কইরা তাকায়া থাকি। একদল লোক ধরাধরি করে একটা ইয়া মোটা কালো রঙের চোঙ রেখে গেল স্টেজের মাঝখানে। তার পিছনে একদল সুন্দরী মহিলা অতি সংক্ষিপ্ত পোষাকে ঘুঙ্গুর বাইন্ধ্যা দাড়াইলো। আমি তো বুঝতেই পারতেছি না, অজানার উত্তেজনায় ঘনঘন ঢোক গিলতেছি, আর আমার স্ত্রীর হাতটা চেপে ধরি। আগে এরকম কিছু দেখি নাই। এরপর উত্তাল বাজনা শুরু হইল, তারপর দেখি ঐ চোঙটা কেমন নড়ে চড়ে উঠল। আমার আশে পাশে সবাই উঠে দাড়ায় হাতপা ছুড়তে শুরু করল আনন্দে। আমিও দাড়ায় পড়লাম উত্তেজনায়, দেখি এরপর ঐ চোঙ থেকে কাঁপা কাঁপা স্বরে আওয়াজ আসতে শুরু করল। আশে পাশের ঐ জনতা দেখি আনন্দের চোটে আরো জোরে চিৎকার করতে শুরু করল। ব্যাপক চিল্লাচিল্লিতে আমার মাথায় যেন আকাশ ভাইঙ্গা পড়তে শুরু করল, চিল্লাচিল্লির মাঝে স্ত্রীকে বলতে শুনলাম, ইয়েস! ইয়েস! হি ইজ দ্যা কিং, হি ইজ দ্যা কিং চোঙ!
মন্তব্য
বহোৎ খুব
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হা হা হা ! চ্রম !!
লেখা ভাল হয়নি। মনে হয় তাড়াহুড়ো করে লেখেছেন
আরে ভাই, যার হয়ে না নয়ে, তার হয়না নব্বইয়ে! আমার কাম না লিখালিখি, মনের আনন্দের জন্যে লিখি, জাতের কিছু হবার সম্ভাবনা খুবই কম!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনে আন্ডার এস্টিমেট করছেন... আজকের শোর টিকিটের দাম নাকি ২৫ হাজার টাকা উঠছিলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
২৫০০০ টাকা????
এই টাকা দিয়া মানুষ লাত্থি খাইতে গেছে! সাবাস! আসলে বেহায়াগিরির নতুন স্কেল আবিষ্কার হইছে দেখি আজকে বাংলাদেশের ইতিহাসে!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
টিকিট ৩ ধরনের ছিলো, ৩, ১০ আর ২৫। যারা হাত মিলালো, তারা খরচ করেছে মাত্র ২ লক্ষ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কেন বস? শাহরুখের হাতে কি আছে? ঐ হাত কি সুনা দিয়া বান্ধানি যে ধইরা দেখন লাগপ নাকি কাবা শরীফের পাত্থর? হে হে হে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইটা নিয়ে লেখার জন্যই ৫। লেখাও ভালো, তবে তোমার লেখা আরো মজার হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু চোঙের বিষয়টা বুঝলাম না। আজ সকাল থেকেই ঝাউশাখী টেলিবিভিশনে কী যেন একটা হুলুস্থুল চলছিল, পাশের ঘর থেকে আমিও কিং কিং শুনলাম
আরে পিপিদা, এইগুলা বুঝার জন্যে আপনার ছাগরুক খানের পুরানো ছবি দেখতে হইবো। যদি দেইখা থাকেন, তাইলে বুঝবেন গলা কাঁপার ব্যাপারটা। আগে ডায়লগ দিত ঐভাবে, চোঙের ভিতর দিয়া কথা কইলে অবিকল ঐ ছাগলের ডায়লগের মত শুনাইবো। ঐ ব্যাটার পরিচয়টাই ঐখানে দিছিলাম। কিন্তু দুর্বল লেখনির কারণে মাঠে মারা গেছে। দীর্ঘদিন না লিখতে লিখতে এখন আর কিছু বাইর হয় না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
যতটা মজা আশা করেছিলাম ততটা পাইনি কিন্তু..........
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
হ' ঝোকের বসে লিখা! কিন্তুক লেইখ্যা আমি মজা পাইছি!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দূর্বল রম্য। ভালো লাগেনি। আরো ভালো করে লেখা যেত হয়ত। ক্রিয়েটিভ লেখালেখি মনে হয় আসলেই আপনার কাজ না।
এই তো আসল বস আসছেন, এতক্ষনে বুঝতে পারছেন, ক্রিয়েটিভ কিসের? হা হা হা! লেখালেখিই আমার কাম না, ব্লগাই! ব্লগের মানে জানেন তো?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ ভাই, আপনি আপনার মত করে লিখতে থাকেন। কারও নকলতো আপনি করেন না- এটাই একদিন আপনাকে ভাল লেখকে পরিণত করবে
ভালো লেখক হবার কোন সম্ভাবনা দেখি না, ভাল ব্লগার হইতে পারলেই আমি খুশি! লিখে যে আনন্দ পাই, সেটাই অনেকরে ভাই, তারচেয়েও বড় কথা এখানে কত লেখকের লেখা একসাথে পড়তে পারি, তাদের সাথে মেলামেশা, কমেন্ট চালাচালি করতে পারি, এরপরে আর চাইবার কিছু থাকে না!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখার জন্য সাইফ ভাই।
পড়ার লাইগা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখকের সাথে আমার একটা মিল খুজে পেলাম। লেখক দোলাভাইয়ের দেয়া টিকেটে আর্মি স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন আর আমি কিছুক্ষণ টিভির সামনে গেছিলাম। লেখকের সাথে বউ-শালী ছিল আর আমার বাসায় আমার স্ত্রী ও মেয়ে। তাদের অঙ্গভঙ্গিতে বিরক্তি প্রকাশ করলেই মা-মেয়ে প্রায় আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয় আরকি। অবস্থা সুবিধার নয় ভেবে টিভি রুম থেকে বেরিয়ে এসেছি। তয় লেখককে অনেক ধন্যবাদ আমার মনের কথাটা লেখার জন্য।
হা হা হা, মজা পাইলাম আপনার পোড়া কপাল দেইখা, আমি কইলাম আম্রিকা থাকি, তাই কুনুখানে যাওনের সম্ভাবনা নাই একদমই। আর দুলাভাই থাকব কেমনে আমার কোন বড় বোনই নাই ;)। তয় মামাতো ফুফাতো, চাচাতো সিরিজের বোন আছে, তাছাড়া শালী আছে . তয় কষ্ট কইরা পড়ছেন বইলা অনেক অনেক ধন্যবাদ!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা হা হা!!! মজা লেগেছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ গুরু! যাক আপনে তাও বুঝতে পারছেন চোঙের রহস্য, অনেকেই ভুলে গেছেন ছাগরুক খানের সেই দিনের কথা!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
স্ত্রী আমার বাজারে গেলে তো খবর হয় আমার! টিকিট পেয়েছি শুনে যেন ঐপাসে গুনগুন করে সুর ভাঁজতে শুরু করে আমার স্ত্রী।
ভাইয়া এই কয়টি লাইনে কি ভুল কিছু নাই?
যাক, আড়াই ঘন্টা নাগাদ কোনমনে গড়াতে গড়াতে আমরা স্টেডিয়ামের সামনে নামি।
"দেখরে, নয়ন মেলে, জগতের বাহার"
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাই কা-স্বা, বাংলা ভাষা আপনার লাইগা না মুনে হয় এই ভাষাডারে ছাড়ান দেন। আপনার বাংলা ভাষায় জ্ঞান এমন উচ্চমার্গীয় লেভেলে গেছে যে ট্রাক বাসের পেইন্টারের লগে তুলনা করনের মত অবস্থাও আর নাই। আপনে নিজেই নিজের তুলনা। প্রথম যে লাইন্ডা ধরছেন, ঐটা ঠিকই আছে। পরের 'কোনমতে' টাইপো বাদে বাকীগুলা ঠিকই আছে। তাই কইলাম, এই বিশাল জ্ঞান ভান্ডার কোথাও শেয়ার না কইরা নিজের কাছেই রাখেন, নাইলে বাংলা ভাষার নাম পাল্টায়া কা-স্বা ভাষা হইয়া যাইবো, আগেও অনেকে কইছিল আপনারে, একটু পড়েন, দূরে যাইতে না চান, তাসনীম ভাইয়ের ব্লগ পড়েন, শুভাশীষদার ব্লগ পড়েন। যদি মনে করেন সেগুলা পড়লে আপনার ইজ্জত যাবে, তাহলে বই পড়েন। পড়ার সময় চোখ খোলা রাখেন শব্দগুলারে একটা চেনার চেষ্টা করেন। নাহলে কিন্তু ছিদ্রকী সাহেবের মত বলিয়াদীর গোয়ালঘরে স্থান নিতে হবে। আর ১৪ গোষ্ঠীর কথা কেন কইলেন বুঝলাম না, তয় এইটুক কইতে পারি আপনার বাপ-মা তুইলা এওই পর্যন্ত কিছু এই পর্যন্ত কই নাই, কইয়া থাকলে এখানে একটু তুইলা দিয়েন। আর আরেকটা কথা, ১৪ কেন, ২ গোষ্ঠীও যদি আপনার ঠিক থাকত, মনে হয় না বাংলার অবস্থা এত দুর্বল হইত! ভালো থাকেন দাদা, ভালো কইরা পড়াশুনা করেন। 'যদ্যপি আমার গুরু' দিয়া শুরু করেন, অনেক কিছু শেখার আছে বইটাতে, সাবলীল গদ্য, সেই সাথে অসাধারণ এবং অসামান্য অনেক তথ্য, ১০৪ পৃষ্ঠার জাদুর কাঠি একটা!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
তাহসিন ভাই,
আমিও 'চামে' একখান টিকেট পাইছিলাম, কালোবাজারে বেইচা বিভূতিভূষণ সমগ্র কিনছি। এরেই কয় মদ বেইচা দুধ কেনা!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সাবাস বস! আমি আপনার ছোট হই, আমাকে তুমি / তুই বলতে পারেন, কুনু সমেস্যা নাই!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
যথেষ্ঠ ভালো লাগলো তবে একটু আস্তে সুস্থে লিখলে আরেকটু গোছালো হতো। অবশ্য রম্য আবার বেশি গুছিয়ে লিখতে গেলে আর রম্য থাকেনা।
একসময় বাংলাদেশে একটাই রাজা ছিলো। সে ছিলো রাজা কনডম। রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির পর আর রাজা কনডমের আবির্ভাবের আগে আমাদের কোনও রাজা ছিলোনা। দেশে এখন শতেক রকম কনডম পাওয়া গেলেও এখনও মানুষ (অনেক শিক্ষিতকেও দেখেছি) দোকানে যেয়ে বলে আমারে একটা রাজা দেন।
রাজা মানে হচ্ছে মানুষের কাছে যাওয়া, মানুষের ঘরে ঘরে যাওয়া। নিশ্চিন্ত নির্ভাবনায় অপরকে কাছে নিয়ে আসা। তাইতো সবাই রাজা হতে চায়। আমি তো অতি উৎসাহের সাথে শাহ'খান সাহেবকে রাজা বলি। ধন্যবাদ দেই যারা শাহ'খান সাহেবকে রাজা বানিয়েছেন। দেখে প্রীত হই যে তারা শাহ'খান সাহেবকে কোথায় রেখেছেন।
জানেন তো রাজাকে মানবদেহের কোথায় রাখা হয়!
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্যাপক লাইকাইলাম!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন