চৌঠা জুলাই উপলক্ষে আমার এক বড় ভাই এবং এক ছোট ভাই পরিবার নিয়ে আসলেন আমার কাছে, তাদের নিয়ে গেলাম আশে পাশে, ঘুরাঘুরি, আনন্দ আড্ডায় অসাধারণ কাটল দুই দিন, কাল রাতে আমাদের বাসা খালি করে চলে গেলেন তারা যার যার পথে। মাঝে রেখে গেলেন চার গিগাবাইট ছবি। তারই কিছু দেখাব বলে ঠিক করলাম। আপনাদের ভালো লাগবে কিনা জানি না। দ্বিতীয় দিন উনাদের নিয়ে গেলাম বাল্তি কম (বাল্টিমোর)। পেছন থেকে শুরু করছি যাত্রা।
এ ছবিটি একুরিয়ামের
কাল সন্ধায় গিয়ে হাজির হলাম বাল্টিমোর ইনার হারবার এলাকায়, আমার বাসা থেকে মাত্র ৫০ মাইল, কাজেই ৪৫ মিনিটের বেশি লাগে না যেতে। এস্থানে যারা গেছেন তারা জানেন যে, হারবারের চারপাশকে ঘিরে তৈরি করা এ আকর্ষনীয় স্থানটিতে দুবেলায় ভীড় হয় দর্শনার্থীদের। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মানুষ আসে এখানে বিজ্ঞান মিউজিয়াম, একুরিয়াম, ডলফিন শো, আর হারবারের রাইড উপভোগ করতে। এখানে একটি সাবমেরিন (ইউএসএস টরস্ক), একটি বানিজ্যিক ছোট জাহাজ (চেসাপিক), আর একটি প্রাচীন আমলের যুদ্ধ জাহাজ (কনস্টেলেশন) আছে, এগুলোর ভেতরে যাওয়া যায়, এছাড়া আছে পেডেল নৌকা, যাতে করে সবাই হারবারে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন মনের সুখে।
আর সন্ধায় শুরু হয় হারবারে নানা রকমের লাইভ শো, আর আলোক সজ্জায় সজ্জিত হারবারে মানুষ উপচে পরে প্রতিদিন তাই এসময়ে। আমি দুসময়েই গিয়েছি, আমার কাছে রাতের দৃশ্যই বেশি ভালো লাগে। হারবারের পানিতে প্রতিফলনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় এক অসাধারণ পরিবেশ। ছবি দেখেই না হয় আপনারা বিবেচনা করুন, আমি বিকাল এবং রাতের ছবি দিয়ে দিচ্ছি, ছবির মান খুব একটা সুবিধার নয় বলে আমি খুবই হীনমন্যতায় ভুগছি।
হারবারের ছবি যতবারই দেখি, মনে হয়, যেন কাচের মাঝে ভেসে আছে ইয়টগুলো, আর দীর্ঘশ্বাস ফেলি, আহারে, মানুষের কত পয়সা, এরকম ফাটাফাটি পরিবেশে ইয়ট ভাসিয়ে রেখেছে। যখন মন চাইবে মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় ডানা ঝাপ্টাতে পারলেও অকূল সমুদ্রে পাল তো তুলতে পারবে।
শেষের তিনটি ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন মুরিং করবার জায়গা গুলতেও শিল্পের ছোঁয়া। এগুলো খুব সম্প্রতি করা হয়েছে, আগে ছিল না। এমনকি এখন রাস্তা পারাপারের স্থান গুলোতেও আঁকা হয়েছে নানা আকৃতির জেলি ফিশ, অক্টোপাস আর জলজ প্রানী। শেষ ছবিটির গাছটি লাগানো হয়েছে হারবারের এক কোনায়, যা আমাকে মনে করিয়ে দিল দেশের কথা।
সচলে আমার কমপ্যাক্ট ক্যামেরা দিয়ে আনাড়ী ভাবে তোলা ছবিগুলো প্রকাশের মাধ্যমে ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়ে আমি যার পর নাই লজ্জিত, এখানে দক্ষ ক্যামেরাবাজদের নিখুত ছবি দেখে আর লোভ সংবরন করতে পারলাম না, সেজন্যে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আগে ভাগেই। যদি পিপিদার ১% গুনও আমার মাঝে থাকতো তাহলে ছবি পুস্টায় দাঁত বের করে বলতাম, ভাইগ্না , ছবি কেমন দেখতাছ। কারো যদি ভালো লেগে থাকে তাঁকে দিলাম এখানে ঘুরে যাবার আমন্ত্রন।
মন্তব্য
আসলেও, আর গিফট শপ যে একবারে নেই তা না, আর সবসময় তো ভীড় লেগেই থাকে, এনিয়ে ৬ বার গেলাম, একবার ও তো খালি দেখলাম না ইনার হারবার।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সুন্দর ছবিগুলো।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ভুতুম, ধন্যবাদ, পিপিদা কখনো এখানে আসলে উনাকে নিয়ে যাব হারবারে, তখন সবাই বুঝবে, ছবি কত প্রকার ও কি কি!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খুব ভাল লাগলো...লেখা টা,অনেক কিছু জানতে পারলাম।তা সাইফ তোমরা কেমন আছো? আমাকে হইতো চিনতে পারবে,আমি আখতার বিএম ১২ এ ছিলাম ...বাড়ি চাপাই নবাবগঞ্জ যার "স" এবং "শ" উচ্চারণ নিয়ে সবাই হাসি তামাশা করত ...কি মনে পরে? সে যাই হোক আমি কিন্তু এখন ঠিক মত সব উচ্চারণ করতে পারি।তোমাদের জন্য রইল অনেক শুভ কামনা।ভাল থেকো।
আরে দোস্ত তোমারে না চেনার কি আসে, তুমি তো আমার ফেসবুকে আসো, আর জীবনের নানা রকম জটিলতায় ২ বছর পিছায় গেসিলা, কিন্তু আবার সেই ট্রেনে উঠে পড়স ঠিকই, রোমি আর ববি কে মনে আসে, বি এম ১৪? এই বার হারবারে আমার সাথেই ছিল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মুরিং করার থাম্বা গুলো দেখে ভালো লাগলো। এরা কত কিছুতেই শিল্পের ছোঁয়া দিয়ে দেয়! রাতের ছবি হাতে নিয়ে তোলা একটু কঠিন। ভালই আসছে তো।
প্রথম ছবিটি কোথায় তোলা? ছবিতে লেখা বাংলায় কিভাবে হলো? ওটার বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো।
বস, আসলেও সব কিছুতে শিল্পের ছোঁয়া, আর প্রথম ছবিটা ইনার হারবারেই, বিস্তারিত বলি তাহলে, হারবারের পেভমেন্টটাতে একটু পর পর বিভিন্ন ভাষায় ফলক বসিয়ে লেখা আছে একই কথা, যেহেতু সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষাগুলো স্থান পায় সবার আগে, এজন্যে বাঙলাও পেয়েছে, আমি ম্যাপে লাল বৃত্ত করে একে দিয়েছি, ছবিতে ক্লিক করুন, বড় করে দেখতে পাবেন।
আরেক স্থানে (সম্ভবত একুরিয়ামের ভেতরে) বাঙলায় স্বাগতম লেখা আছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী