সকালে ঘুম ভাঙালো সেলফোন। সিগারেটের হুতাশে কেটেছে রাত, কষ্টেসষ্টে ঘুম। তারপরও অনেক নিরাপদ। কিন্তু এতটা নিরাপদ ছিল না ঢাকা নগরী। রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ যখন ফিরছি আমি আর সুমন মাহমদু, রাস্তায় তখনও রিক্সা চলছে, প্রাইভেট কার আছে। সেনাবাহিনী আমাদের থামিয়েছে একদম খিলগাও চৌধুরীপাড়া মোড়ে। কার্ড দেখে ছেড়ে দিয়েছে। বাড়ি ফেরায় স্বস্তি। তার খানিক আগে প্রচণ্ড আতঙ্ক নিয়ে অফিস ছেড়েছি।
নটার দিকে অফিসের নিচে ইটিসির ঠিক সামনে সিগারেট খাচ্ছিল আমাদের স্পোর্টস রিপোর্টার মাসুদ পারভেজ। সঙ্গে এহসান লেনিন। সনত বাবলা ও আনিস একটু পেছনে ছিল। একটা জটলা মতো, কারণ ৬-৭ জন সিকিউরিটি গার্ড, দুজন সিএনজি ড্রাইভারও মজুত। সেনাগাড়িটা সিনেমা স্টাইলে থামল। বিডি নিউজের রিপোর্টার পরিচয়ের জবাব এল 'সো হোয়াট' সমেত গজারির লাঠি-হকিস্টিক-বন্দুকরে বাটসহ তুমুল প্রহারে। লেনিন হাটতে পারে না। পারভেজ মোটাসোটা সুদেহী। ও যে মার খেয়েছে তা আমি আপনি খেলে মারা যেতাম নির্ঘাত। বাবলা-আনিসরা পালিয়ে বেচেছে।
আমাদের গাড়ি যখন বনশ্রী মুখী। একইসময় বা একটু পরে বিপ্লব রহমান-আসিফ আহমেদর রম্য আর লিটন হায়দারকে নিয়ে আরেকটি সিনএনজি ধানমন্ডী ২৭-এর মোড় ঘুরতেই ঘেরাও হয়। কলার ধরে তিনজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মোহাম্মদ পুর থানায়। পথে এক সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিককে বাইকসহ অমানুষিক মারের স্মৃতি নিয়ে থানায় যায় তারা। সেখানে বৈশাখী চ্যানেলের হেড অব নিউজ আনিস আলমগীর সহ জনাবারো সাংবাদিক ছিল। সবাইকে গরাদে ভরা হয়েছে। ক্রাইমের সিনিয়র রিপোর্টার লিটন ঘণ্টাখানেক আগে চা খেয়ে গেছেন ওসির রুম থেক! তিনঘন্টা হাজত খেটে বাড়ি ফিরেছে তারা। রাস্তায় অনেককে একইরকম নাজেহাল হতে হয়েছে আইডি কার্ড থাকার পরও।
সকালে অফিসে আসার পথে বারকয়েক চেকিংয়ে পড়েছি। উল্টা করে আইড কার্ড চেক করে বলেছে ঠিকাছে। জাহিদকে শুনতে হয়েছে সাংবাদিকের চেহারা এত খারাপ কেন! সকালে অনেকবার গাড়ি আটকে রাখা হয়েছে। কাগজ পত্র ছেড়া হয়েছে। নেটের লাইন নেই। নিউজ আপলোড করা যাচ্ছে না।
সকাল ১১টায় শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের ওপর রেইড হয়েছে। বেছে বেছে পেটানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের।
বলা যাবেনা কিছু। উস্কানীমূলক লেখা কিনা জানিনা। সাংবাদিকদের থানায় নামানোর সময় বলা হয়েছিল- বলেন বলেন, আপনাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে? না, না, খুবই ভাল ব্যবহার করেছেন আপনারা। এ লেখায়ও তাই বলি। বাংলাদেশে আমরা খুবই ভাল আছি। সব ঠিকঠাক। কোন ঝামেলা নেই। গন্ডগোল নেই। দেশের মানুষ অতিসুখে দিনাতিপাত করিতেছে
মন্তব্য
লেখা তো শেষ হলনা। আপনাকে কি ধরে নিয়ে গেল নাকি?
হ
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ভীত ও অসহায় বোধ করছি।
এ সময় রাবণের ও রাক্ষসের।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আপনাকে ধন্যবাদ আই post এর জন্য।
কি যে শুরু হইছে! শেষ কি কে জানে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
Apnar likha porey besh bhaalo laaglo. Conclusion ta specially. Jeney raakhben je emon o Bangladeshi achey jara apnar shaathey ek moth je censorship desher jonney bhaalo noy!
এতো সুখও আমাদের কপালে ছিলো!
পুরনো বাংলা ছবির আবেগবিহ্বল নায়িকার মতো বলতে হয়, "এতো সুখ মোর সইবে কি?"
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
মেঘ
বাংলাদেশে আমরা খুবই ভাল আছি। সব ঠিকঠাক। কোন ঝামেলা নেই। গন্ডগোল নেই। দেশের মানুষ অতিসুখে দিনাতিপাত করিতেছে
মেঘ
Where had you been when the street fucker tried to screw the nation for a silly incident and You the journalists used that incident as ur bread for the next day?
Mr. SIJAN,
Whome u r callin' street fucker???
U must be a son of some rich male of one mom.
U donno how the poor people of our BD r starvin' today.
Get down to the street from the roof top ........and watch their painful life. Den u'll understand......what is life.
নতুন মন্তব্য করুন