এক---------
ভালো মানুষ কারা?
ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষন 'সুনাম'। ভালো ছেলে।
শান্তশিষ্ট। মুখচোরা। কারোর সাথে গায়ে পড়ে, এমনকি পায়ে পড়েও ঝগড়া করে না। পড়াশোনায় ও খুব খারাপ নয়। বদ নেশা নেই। গ্রীষ্মের ছুটিতে যখন অন্য ছেলেরা যখন প্রানের আনন্দে মুক্তির দিগন্ত ছুঁয়ে আসছে, আমি তখন ঘরের কোনায় লাইব্রেরী থেকে নিয়ে আসা বিশ্বকোষের পাতা উল্টাচ্ছি। আমাকে নিয়ে বাবা- মা কে কোনরকম দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি----মানে যে দুশ্চিন্তা গুলো সাধারনত বাড়িতে ছেলে-পিলে থাকলে বাবা-মা করে, সেগুলো। যেমন? যেমন-- কার সাথে মিশছে, মদ-গাঁজা ধরেছে নাকি, রাস্তায়/পাশের বাড়ির মেয়েকে জ্বালাচ্ছে নাকি,গুরুজনের সাথে বেয়াদপী করেছে নাকি-----এ জাতীয় 'স্বাভাবিক' উদবেগের কারন কখন ঘটেনি।
তাই, আমার বাবা-মা, পাড়া-পড়শি সহ আপামর জনসাধারনের মতের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে আমি নিজেকে একজন 'ভালো ছেলে' বলেই জানতাম। ভাল ছেলেরা একসময় বয়সে ভারী হয়। তখন তাদের 'স্বাভাবিক' নিয়মে ভাল 'লোক' হবার কথা। খুব সম্ভবত হয়েও ছিলাম।
কিন্তু গোলটা পাকালো পরে। বয়সটা আরেকটু পোক্ত হতেই বুঝতে পারলাম----'ভালো ছেলে' আসলে এক ধরনের গালাগাল। ক্লাসে ভাল ছেলে মানে অনেক খারাপ কিছু---ছেলেটা মেয়েলি, চড় মারলে হয় কাঁদে নয় স্যারের কাছে ছুটে বিচার দিতে। কখন উলটো চড় দিতে আসে না। টিফিন পিরিয়ডে নিজের টিফিন ব্যাগ খুলে মায়ের দেয়া টিফিন খায়, কখনো অন্যদের সাথে বেরিয়ে গিয়ে চানাচুর,ছোলা, ঘুগনি খায় না।
অতি দ্রুত আমি তথাকথিত ভাল ছেলের ভয়াবহ দিক গুলো আবিষ্কার করা শুরু করলামঃ
---- ভালো ছেলে হতে সাহসের প্রয়োজন নেই। Infact সাহসহীনতা ভালো ছেলের প্রধানতম বৈশিষ্ট।
----- ভাল ছেলেদের কেউ পছন্দ করে না।
----- ভালো ছেলেরা নিরামিষ। Vanilla টাইপ।
------ 'সংকিত পদযাত্রা'= ভালো ছেলেদের হাটার style।
------ ভালো ছেলেদের দিয়ে প্রেম হয় না। প্রেম করতে হলে যথেষ্ট সাহসের দরকার। ভালো ছেলের সেইটা নেই। তার
ঊপর ভালো ছেলেদের 'নিরামিষাশিত্ব' মেয়েদের একে বারেই টানে না।
------ ভাল ছেলেরা 'Predictable' । ঠিক চোখ বুজে আপনি বলে দিতে পারবেন একজন ভাল ছেলে কোন কোন পরিস্থিতিতে কি আচরন করবে। এর মত বড় অভিশাপ আর হয় না।
সমস্যা হল এই গুরুত্বপুর্ন আবিষ্কার আসলে আমার জন্যে একটু দেরী করেই ঘটেছিল(হয়ত ভালো ছেলে বলেই)। আমি যখন
এই সব বুঝে উঠলাম, ততদিনে আমার শৈশব, কৈশোর হারিয়ে গেছে। আমার পক্ষে কিছুতেই আর সেই দিন গুলোতে ফেরা সম্ভব না। আমার পক্ষে আর সম্ভব না পাশের বাড়ির মেয়েটাকে সাহস করে কিছু বলা, আমার পক্ষে আর সম্ভব না কিছু 'ইতর' শ্রেনীর বড় মানুষকে দাবড়ে দেয়া। আমি এক পঙ্গু অথর্ব লোক। আমি এক ভাল লোক।
আমরা যারা এই রকম ভালো, তারা নিজেরাই নিজেদের পোষমানা প্রান নিয়ে খুব সুখী থাকার ভান করি। আমরা এতই ভালো হয়েছি যে, আমাদের সামনে একটা অসহায় লোকের ছিনতাই হতে দেখলে আমরা না এগিয়ে গিয়ে পুলিশের আশায় এদিক -সেদিক তাকাই। আমরা এমন ভাল মানুষ যে বইমেলাতে আমাদের চোখের সামনে ভীড়ের মাঝে কিছু দুর্বৃত্ত হাত লাঞ্ছিত করে কিছু অনাঘ্রাতা কুড়ি। আমরা দেখেও না দেখার ভান করি। রাতে বাড়ি ফিরে প্রানপনে নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করি---এখানে আমার করার কিছুই ছিল না, ওরা অনেকজন ছিল।
ভাল ছেলে, ভাল মানুষ---নির্বোধ প্রকৃতির হয়। ভাল হবার জন্যে বুদ্ধির দরকার নেই। এক চিমটে সাহস আর অনেক খানি মেরুদন্ডহীনতা-----ব্যস, পেয়ে গেলেন আপনাদের ভাল মানুষ।
তথাকথিত দুর্বৃত্ত হতে যে পরিমান সাহসের দরকার, যে পরিমান প্রত্যুতপন্নমতিত্ব দরকার---হাজার ভাল লোক এক করেও তার সমান করা যাবে না। বিশ্বাস হচ্ছে না? যান, কাল থেকে আপনার পাড়ার প্রধান দুর্বৃত্ত, প্রধান মাস্তানের দায়িত্ব আপনাকে দেয়া হল। পারবেন? ঘড়ি ধরে দশ মিনিট ও টিকতে পারবেন না।
বৈরী সময়, বৈরী পরিবেশ----- বাজে ছেলেরা, বাজে লোকেরা হাসতে হাসতে পার করে দেয়। ভাল মানুষ গুলো হিমশিম খেয়ে যায়। অনেকে হাল ছেড়ে দেয় আর কেউ যদি শেষ পর্যন্ত টিকে যায় ---তাঁর ভাল মানুষির সেই হল শেষ দিন।
ভাল মানুষেরা ভেড়া। বাজে লোক গুলো শার্দুল-প্রায়। ভাল মানুষেরা হল পানি। 'বাজে '-রা হল কোক। ভাল-রা মিথ্যে বলতে পারেনা-----তারা সত্যবাদী। কারন মিথ্যে বলতে যে পরিমান বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন আর সাহসের প্রয়োজন, সেইটা তাদের নেই।
আমার মনে হয় যথেষ্ট হয়েছে---আপনারা বুঝে গেছেন আমি কি বলতে চাইছি।
আমি সেদিন বসে বসে ভাবছিলাম, যদি ১৯৭১ এ আমি থাকতাম, আমি কি যুদ্ধে যেতাম? বেশি ভাবতেই হলনা। আমি যেতাম না। আমি পালিয়ে বেড়াতাম গ্রামে গঞ্জে।
পরে যখন বিবর্তনবাদের সাথে পরিচয় হল, আমি তখন অবাক হয়ে ভাবতে বসলাম যে আমার তো এখন বেঁচে থাকার কথা না। আমার মত লোকদের তো বিলুপ্ত হয়ে যাবার কথা। যোগ্যতার লড়াইয়ে আমাদের ঝড়ের মুখে কুটোর মত উড়ে যাবার কথা। পরে খবর পেলাম, আরশোলারা বহুদিন থেকেই নাকি পৃথিবীতে আছে----প্রবল পরাক্রমশালী, মহাকায় ডাইনোসররা হারিয়ে গেছে শুধু।
তাই বলে এমন ভেবে নেবার কারন নেই যে আমি নিহিলিষ্ট। না, আমি চাই আমার মত শান্ত সুবোধ সন্তান ঘরে ঘরে জন্মাক। বিশ্ব ভরে উঠুক আমার মত আইন মেনে চলা নির্বিবাদী মুখচোরা ভাল মানুষে।
ইদানিং কেবল ভাবনা হয়, আমি আমার ছেলেকে কি শোনাব? আমি তো রাতের বেলা পুজোর জন্য ফুল চুরিতে কখনো যাই নি। আমি তো আমার সেই বন্ধুর মত,দিনে দুপুরে ট্রাফিক পুলিশের আদেশে মগবাজার মোড়ে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকিনি।
আমি ওদেরকে কি বলব? কি গল্প শোনাব যাতে তারা বাবার দুষ্টুমির কথা শুনে হেসে কুটি কুটি হবে? আর একই সাথে কোন এক অজানা কারনে বাবার গর্বে বুক ভরে ঊঠবে।
চিন্তায় আছি।
মন্তব্য
***উলুম্বুশ**
চিন্তায় ফেলে দিলেন ভাইয়া। একই সমস্যাতো এখানেও। তবে এইভাবে গল্প করা যায়না আমার কিছু খারাপ বন্ধু ছিল। আমি তাদের সাথে দাঁড়িয়ে থেকে কিছু খারাপ কাজ ও দেখেছি। ওদের সিগারেটের ধোঁয়া শুকেছি। এইরকম গল্প কি পছন্দ করবেনা?
আপনার প্রশ্ন তো এখন আমাকে আবার ভাবিয়ে তুলল।
কেন জানি মনে হচ্ছে, এই সব second hand experience তাদের কে তুষ্ট করার জন্য যথেষ্ট হবে না।
একটু একপেশে হয়ে গেছে বিশ্লেষণ ,,,
যেমন ধরুন, পাড়ার বড় মাস্তানটাকে এনে আপনার কাজে বসিয়ে দিলে সে একমিনিটও টিকবেনা ,,,,যেমন ধরুন আমার মতো রাতের ব্যাডমিন্টন খেলাকে কোনভাবেই বাদ দিতে পারেনা এমন দুষ্টু চাইলেই আপনার মতো গণিতে ৯০ এর ঘরে বা ইংরেজীতে ৮০ এর ঘরে মার্কস পাবেনা ,,,, বা চাইলেই একটা বদঘুষখোর লোক ছেলের /মেয়ের "গোমড়া বিদ্রোহী" মুখ দেখে বা প্রতিবাদ শুনেও অফিসে গিয়ে ঘুষের একটা অফার ফিরিয়ে দিতে পারবেনা ,,,,
সক্ষমতা/অক্ষমতা সবারই আছে ,,,ভালদের ভালটা হলো নিদেনপক্ষে তারা বলতে পারে "আমি তো কারো ক্ষতি করিনি" ,,,
সমস্যাটা সম্ভবতঃ অন্য জায়গায় ,,, ভালো থাকতে থাকতে একটা ছেলে বা মেয়ে প্রসংশা পেতে শুরু করে ,,, এটা খুব হয় টিন এজের সময়ে ,,, তখন সে মনের ভিতর একটা বিরাট ভুল নিয়ে বড় হতে থাকে ,,,,চারদিকের প্রসংশাগুলো যখন তাকে ঘিরেই হয়, তখন সে নিজেকে "ওমনিপোটেন্ট" ভাবা শুরু করে ,,, ভাবে জগতের সবকাজে সেই সেরা হবে ,,,, বেশী দিন লাগেনা, বিশের দশকের মাঝামাঝি আসতেই প্রতিটা মানুষ তার সীমাবদ্ধতা টের পায় ,,, এসময়টা খুব কঠিন ,,,হতাশা ঘিরে ধরে ,,,, নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে যে রূপকথাময় ধারনাগুলো থাকে সেগুলো ধীরে ধীরে ভেঙে পড়তে শুরু করে ,,, এই যা।
সব কেচেকুচে বলা যায়, ভালোমানুষই ভালো, সেজন্যই আপনি চান আপনার সন্তানটাও সেরকমই হোক।
শুধু শুধু বাচ্চাটাকে ফুলচুরি শোনানোর দরকার নেই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
একমত@ জ্বিনের বাদশা।।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আপনার মন্তব্যের একটি প্রতি-মন্তব্য করেছি নীচে। সেইটার আরেকটা প্রতি-মন্তব্য (অর্থাৎ প্রতি-প্রতি-মন্তব্য) করলে বেজায় খুশি হই।
আর আরেকটা কথা। রোজ ভাবি জিজ্ঞেস করব। কিন্তু করা হয়ে উঠেনা। আপনার ঐ ঘড়ি বিষয়ক লাইনটি কি সৈয়দ হকের ?
অনিকেত, আপনার লেখার ধরন, আপনার লেখায় যে রসবোধ বা পরিণতমনস্কতা ফুটে ওঠে তা আমার পছন্দ, সেকথা আগেও বলেছি। কিন্তু তারপরও বলতে হচ্ছে ব্যক্তি হিসেবে আপনার ‘বিষাদ্গ্রস্ততা’ বা আপনার ’হতাশাবাদ’ (আপনারই কথা অনুযায়ী) আপনার লেখাগুলোকে আবেগ এবং নেতিবাদ এর ভারে একটু বেশী ভারাক্রান্ত করে ফেলছে বলে মনে হয়। আবেগ তো অবশ্যই থাকবে এবং প্রকাশিতও নিশ্চয়ই হবে , তবে আরও একটু নৈর্ব্যক্তিক সুর থাকলে ভাল হতো আর কি।
বনফুল না কে যেন (ঠিক মনে নেই) বলেছিলেন ব্যর্থ লেখকরাই সমালোচক হয় - আমার নিজের দশা দেখে তা বেশ বুঝতে পারছি কোন পোস্ট লেখার নাম নেই খালি মানুষের লেখার খুঁত ধরে বেড়াচ্ছি (ছিহহহ)।
আপনার কথা শিরোধার্য্য।
ওরে ফুল চুরি তো চুরি নয়! তুমি ভালো মানুষই বটে!
আপনার নাম নিয়ে খানিকটা অনধিকার চর্চা করে ফেলেছি নীচে। আশা করছি রাগ করবেন না। করলে জানিয়ে দিয়েন। আপনার নামের মহিমা কীর্তন করে আরেকটি পোষ্ট দিয়ে দেব।
লেখার ভেতরের মানুষটার এই বোধগুলো আমাকে ছুঁয়ে গেলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইটি আমার অনেক প্রিয় একটা লাইন। চমৎকার কথা।
আমার প্রতিক্রিয়া জ্বিনের বাদশা এবং স্নিগ্ধার মন্তব্যগুলির যোগফল।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ, প্রথমতঃ লেখাটা সময় নিয়ে পড়ার জন্য, আর দ্বিতীয়তঃ মন্তব্যগুলো পেশ করার জন্য।
@জ্বিনের বাদশা, আপনার মন্তব্যের প্রতি পুর্ন শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমি আসলে মনে হয় আমার বক্তব্যটা ঠিক করে পৌঁছাতে পারিনি। আমি যা বুঝাতে চাইছিলাম তা হল, স্থান কাল নির্বিশেষে সকল সমাজ ব্যবস্থা নির্ঝঞ্ঝাট মানুষদের ভাল মানুষ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে। আমাদের কে এমন ভাবে মাথায় গজাল মেরে এই সব ধারনা গুলো ঢুকানো হয় যে ভালো মানুষ হবার 'মোহে' আসলে আমরা নিম্নতর শ্রেনীর মানুষে পরিনত হই। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আসলে এমন হওয়া উচিত যে আমার মত লোকেরা চরমভাবে নিরুৎসাহিত হয়। কারন আমাদের মত মানুষেরা সমাজ বদলে কোন ভুমিকা রাখে না। আমরা কেবল existing system টা কে রক্ষা করে চলি। সমসাময়িক সমাজের যে খুঁত গুলো রয়েছে, সে গুলো নিয়ে বড় জোর ব্লগে ব্লগে গলাবাজী করে বেড়াই (এখন যেমন করছি)। আমার মনে হয়, আমার মত এইসব ভালো মানুষদের জন্যই আজ আমাদের এই দুর্দশা।
@স্নিগ্ধা (কি, এখন খুশি?) আপনার মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। আমি ভালো পোলা। আমার জানের ডর আছে। আপনার ভয়েই এখন থেকে 'খুশি খুশি' ইতিবাচক লেখা লিখব।
@রাবাব, আপনার নামটা বেশ সুন্দর। Musical Instrument এর নামে নাম----খুব একটা বেশি দেখা যায় না। আপনার নাম দেখে আরেকটা জিনিস মাথায় এলো----- আপনি কি দেখেছেন যে আপনার নামের শেষ অক্ষরের নীচে একটা বিন্দু বসিয়ে দিলেই আপনি 'রাবার' হয়ে যাবেন ???!!!! ফুলচুরি প্রসংগে বলছি, মানছি যে ঐটাকে হয়ত চুরি হিসেবে ধরা যাবে না। কিন্তু চুরি হিসেবে ভেবেই কিন্তু মুল আনন্দটা আসে। চুরি নয় বলে ঘোষনা করলে, আমার অনেক বন্ধু বেজায় বেজার হবে।
@ শিমুল, আপনাকে ধন্যবাদ। একই সাথে আমি শংকিত। দয়া করে আমার মত 'ভাল' হতে যাবেন না যেন। আমাদের এখন অনেক অনেক খারাপ লোক দরকার।
@ জুবায়ের ভাই, আপনি যে মাঝে মাঝে এই নাচীজ বান্দার লেখা পড়েন, এবং শুধু তাই নয়, মাঝে মাঝে মন্তব্য করেন, আপনি কি জানেন.........সেই সব দিন গুলো আমার খুব ভালো কাটে?
আজ অবশ্য ঘাড়ে ব্যাথা আছে একটু(না না না , আপনার মন্তব্য পড়ে ব্যাথা পাইনি)। তারপরো, এখন অনেকটা ভালো বোধ করছি।
ধন্যবাদ অনিকেত ... তবে আবারও একমত হতে পারছিনা ...নির্ঝঞ্ঝাট মানুষদের ভালো লোক বলে ভাল কথা ... তারমানে কি ঝঞ্ঝাট করা ভালো? ... দেখুন, পরিবর্তন আনার সাথে ভালো-খারাপের সম্পর্ক নেই ,,, আর সবার পরিবর্তন আনতে হবে এমন কথাও নেই ,,,, সবাই যদি এভাবে ভাবে "আমার যতটুকু কাজ সেটা ঠিকমতো করি, আমার দ্বারা কারো যেন ক্ষতি না হয়" তাহলে কিন্তু পরিবর্তনের দরকার হয়না ,,, কথা হলো মানুষ এভাবে ভাবতে পারলে ইউটোপিক সোসাইটি হয়ে যেত ,,, কিন্তু কিছু খারাপ মানুষ থাকার কারণে ইউটোপিক হতে পারছেনা ,,,, এখন আপনি কাকে ইউটোপিয়ার কাছাকাছি ভাববেন, খারাপকে, না ভালোকে?
Emperor's Club মুভিটা দেখতে পারেন ... খুব সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করেছে ,,, একটা ডায়ালগ আছে এমন, জীবনের শেষে এসে সবাইকে আয়নার সামনে নিজের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয় ,,,, তখন হারজিতটা নিশ্চিত হয় ...
এটা ঠিক তথাকথিত ভালোদের সাহস আর পরোপকারের গুনগুলো
থাকলে একেবারে জবাব নাই হয়ে যায়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন