সচলায়তনে লিখছি বেশি দিন হয়নি। প্রথম প্রথম লেখা যখন ছাপা হত, আপা দেশ থেকে এস এম এস পাঠাত। ফোনে বাবা জানাতেন তার অভিমত। বাসায় ইন্টারনেটের অবস্থা শোচনীয়। বাবা আর আপা, এই দুই জনই কেবল যন্ত্রটা নাড়া চাড়া করেন।
বেচারী মা আমার। কেবল উকি ঝুকি দিয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝে বাবাকে, বোনকে জিজ্ঞেস করা। কি লিখেছে সে? কি লিখেছে?
একদিন তোমরা আমাকে একটু আমার ছেলের লেখা পড়তে দিও।
বাবা মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে যান। বোন বোঝায়। আরে দেখই তো, কি রকম স্লো কানেকশন। তার উপর কারেন্ট আসছে যাচ্ছে। আমরা কেবল জরুরী কিছু মেইল চেক করতেই অনলাইন যাই। মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে ওর লেখা পড়ি। আর ও কি লিখেছে, তা তো তোমাকে এসে বলি, তাই না?
মা মাথা নাড়ে। কিছুদিন আগে একটা লেখা দিয়েছিলাম। ভালো ছেলেদের অনুপযোগীতা নিয়ে। মা যখন জিজ্ঞেস করল বাবা কে, যে কি লিখেছি। বাবা দুই লাইনে বুঝিয়ে দিল----ঐ তো সে বলছে, আমাদের এখন তথাকথিত ভাল ছেলের দরকার নাই। আমাদের এখন দরকার.........
মা আবার মাথা নাড়ে। বাবা তার ব্যস্ততায় ফিরে যান। বোন ফিরে যায় তার কাজে। সারাটা দিন মা টুকটুক করে ঘুরে বেড়ান ঘরে। রান্না শেষ হয় তো কাপড় কাচা। সেইটা শেষ হয় তো এইটা। দেখতে দেখতে দিনটা ফুরুৎ.........
কিছুদিন আগে মা মনে হয় বেশ ভালো করে বাবা কে চেপে ধরেছিলেন। তখন উপায়ন্তর না দেখে, বাবা তাকে বসিয়ে দিয়েছেন কম্পিউটারের সামনে। অনলাইনে ঢূকে সচলায়তনে আমার লেখা বের করে দিয়েছেন। আমার মা খুশিতে আট খানা হয়ে আমার আগডুম বাগডুম লেখা পড়েছে। পরে যখন ফোন করেছি, তখন বার বার বলছে লেখার কথা।
ফোনটা রেখে কেন যে মনটা এত খারাপ হল। এক মাত্র এই এক জনের কাছে আমার নিঃশর্ত নিরংকুশ আশ্রয়, এক মাত্র তার কাছে আমি গর্বের ধন। সারা পৃথিবী যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখনো তিনি রয়ে গেছেন হাত বাড়িয়ে।
প্রতি বছর বাবা'র জন্মদিন ঘটা করে পালন করা হয়। বাবা শহরের নামীদামি লোকদের একজন। শুধু পারিবারিক গন্ডিতে নয়, সারা দিন ধরে চলে লোক জনের আসা যাওয়া। অভিনন্দন। ফুলের তোড়া। ফুলের সুবাসে ম' ম' করছে সারাটা ঘর। মা আমার ব্যস্ত আপ্যায়নে।
এইবার আমরা ভাই বোন দুই জনে মিলে ঠিক করেছি--- মা এর জন্মদিনটা ঘটা করে পালন করা হবে।
ভেবেছিলাম ঠিক রাত বারোটায় ফোন দেব দেশে, যেমন দিই বাবা'র সকল জন্মদিনে। কিন্তু সুপারভাইসারের সাথে মিটিং। শেষ করে বেরুতে বেরুতে দেখি, দেরী হয়ে গেছে অনেক। রাগে দুঃখে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করল। বেচারি মা। হয়ত অপেক্ষা করে ছিল, আমার ফোনের। হয়ত রাত করে শুয়েছে। ঘুমোয়নি অনেক ক্ষন। যদি ছেলে ফোন করে। বাবা হয়ত নিচু স্বরে বলেছেন, মনে হয় কাজে ব্যস্ত----মা ও তাড়াতাড়ি নিশ্চয়ি সায় দিয়েছে।
আমার জীবনে অনেক কিছু করা হয়ে উঠে নি। হাসি ফোটানো হয়নি কিছু প্রিয় মুখে। নানান ব্যর্থতা নানান পরাজয় সঙ্গে নিয়ে আমি বাঁচি। সারা দিনের কাজ সেরে যখন বাড়ি ফিরি, প্রায় প্রতিটা দিনই মনে হয়, কি অনুল্লেখ্য আমি। কত উপেক্ষনীয়। কিন্তু নিজেকে টেনে দাড় করাই প্রতিটি সকালে----অন্তত একজন এখনো এই অপদার্থের উপর ভরসা করে আছেন বলে। ভরসা করে আছেন, একদিন আমার এখানের পড়া শুনা শেষ হবে। আমি হয়ত ফিরব দেশে। হয়ত না। কিন্তু তখন আমার হয়ত এত অর্থকষ্ট রইবে না---এখন যেমন আছে। আমার মা এর আর কোনো কামনা নেই আমার মংগল কামনা ছাড়া।
এই লেখাটা এখুনি শেষ করে মা কে ফোন দেব দেশে। তার আগে চোখ থেকে মুছে নিতে হবে জল। বার বার পানি খেয়ে বসে যাওয়া কন্ঠস্বর ঠিক করতে হবে। মা কে কোন ভাবেই বুঝতে দেয়া যাবে না যে তার অপদার্থ ছেলে তার জন্মদিনের সকালে বিনা কারনে হু হু করে কেদেছে। জোর করে গলায় ফোটানো হাসির আমেজে জিজ্ঞেস করব...কেমন কাটছে গো তোমার জন্মদিনটা? বাবা কি দিল তোমায়? আপা? খুব সযত্নে এড়িয়ে যাব আমার নিজের কথা।
কিছুই তোমাকে দেবার মত নেই মা। তাই লিখলাম এই লেখাটা। আমার যে আর কিছুই দেবার মত নেই মা। তোমাকে প্রানভরে দেব এমন ঐশ্বর্য এই পৃথিবীতে কই?
এই লেখাটা মা কেবল তোমার জন্য। শুধু তোমার জন্য। তোমার এই অপদার্থ সন্তান তোমাকে বলতে চায়, কেবল তোমার জন্য আমার নিজের সকল পরাজয় তুচ্ছ মনে হয়। কেবল তোমার জন্য আমার প্রতিটা সকালে জেগে ওঠা।
শুধু তুমি আছ বলে নিজেকে সবচাইতে সফল মানুষ মনে হয়।
শুভ জন্মদিন মা............
মন্তব্য
শুভ জন্মদিন মা।
কি মাঝি? ডরাইলা?
চোখে জল চলে আসলো আপনার লেখাটা পড়ে। কিছুদিন আগে আমার মায়ের জন্মদিন ছিল, কিন্ত ফোন করে মাকে আমার শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। তাই আজকে সবার সাথে আমিও বলি- শুভ জন্মদিন মা
-সু
আমার মায়েরও জন্মদিন আসছে ঠিক এক সপ্তাহ পর। খুব ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে।
সহব্লগার নিঝুম কিছুদিন আগে বলেছিলেন তাঁর বাবার কথা, ছেলের লেখা পড়ে আনন্দের কথা। সচলায়তনের সংকলনটা দেখে আমার বাবাও খুব খুশি হয়েছিল। এর পর সাহস করে নিজের লেখাগুলোর পড়তে দিয়েছিলাম। আমার রাশভারি বাবাকে জীবনে প্রথমবারের মত উচ্ছ্বসিত হতে দেখেছিলাম। আমি মনে হয় না অতটা আনন্দিত হয়েছিলাম আগে কখনও।
মায়ের বেলায় একেবারে উলটা। মাকে নিয়ে লেখাটাও তাকে এখনও দেখানোর সাহস করতে পারিনি। আপনার এই লেখাটা পড়ে মনে হল, মায়ের জন্মদিনে তাকে ইমেইল করে দেবো লেখাটা।
শুভ জন্মদিন মা।
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ছুঁয়ে গেলো...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
- এই লেখাটা মা যখন পড়বেন তখন তাঁকে বলবেন মন্তব্যগুলোও পড়তে। তাঁর এতোছেলে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো, এটা তিনি জানবেন না!
এবারের জন্য মন খারাপ করবেন না। নেক্সট টাইম সুপারভাইজার যদি ফ্লোরে গইড়াইয়াও কাঁদে তারপরেও একটা মিনিটও দেরী করবেন না। সময়মতো বের হয়ে মা'কে ফোন করবেন। হেরপরে যদি সুপারবিস্কুট আপনারে কিছু বলে তাইলে আমাকে বইলেন। দিবো নে ডর দেখাইয়া
মা'কে অনেক অনেক লাল, নীল, বেগুনী শুভেচ্ছা জন্মদিনের।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখাটা আমি ঠিকমত পড়তে পারলাম না...
চোখের সামনে যখন এক বুক সমুদ্র জমা হয়। তখন কী আর সহজে সবকিছু পড়া যায়?
''মা''
এই একটা শব্দ আসলে... কেন যে আমার এইরকম লাগে!!!!
আমি জানি না।
কে জানে?
হয়তবা জানতে চাইওনা কোনদিন
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
খুব ভাল লাগ্লো।
দেখলেন কতজন মা কে শুভ জন্মদিন জানাল? ফোনে কথা হলে মাকে জানিয়েন তার অনেক বাচ্চা কাচ্চা এই ব্লগে।
খুব ভাগ্যবতি মা আপনার
শুভ জন্মদিন জানাবেন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনাদের মা-ছেলে দু'জনের জন্যেই...
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
মায়ের যে কোনো জন্মদিন থাকতে পারে আজ প্রথম খেয়াল করলাম
আমার মা হয়তো নিজেই ভুলে গেছেন তারও একটা জন্মদিন ছিল বছরে কোনো একদিনে
তিনি শুধু মনে রাখেন তার জন্ম দেয়ার দিনগুলো
মা দের যে একটা জন্মদিন থাকে, তাদের যে একটা নিজস্ব নাম থাকে, এই বিষয়গুলো কজনইবা মনে রাখেন । আপনার মা সেদিক থেকে কিছুটা সৌভাগ্যবান, আপনি অন্তত তাঁর জন্মদিনটা মনে রেখেছেন। মা ছেলে দুজনকেই অনেক অনেক শুভেচ্ছা, শুভকামনা...
নন্দিনী
চোখ ভিজে গেলো।
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার মাকে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অসাধারণ... কান্না পেয়ে গেলো... সত্যি অসাধারণ...
আমি আপনার চেয়েও অধম... এই ঢাকা শহরেই থাকি... তাও ব্যস্ততায় মায়ের কাছে যাওয়া হয় না... আজকে সময় পেলে একবার যাবো... খুব ইচ্ছে করছে... আর এই ইচ্ছেটা আপনার লেখা থেকেই তৈরি হলো... আবারো ধন্যবাদ।
আমার মায়ের জন্মদিন কবে আমরা জানি না... মাও জানেন না... খুব ইচ্ছে করতেছে তার জন্য একটা বানাইন্যা জন্মদিন করি...
আর এই লেখা পইড়াই মনে হইলো আর কিছুদিনের মধ্যে মা আমার দূরে চলে যাবে... তার মেজ ছেলের কাছে... আম্রিকা... দেখা না হলেও এক শহরে থাকার নির্ভরতাটুকু আছে... কিন্তু আম্রিকা চলে গেলে? তখন বোধহয় খুব মিস করবো...
নাহ্... আজ যেতেই হবে মায়ের কাছে।
আপনার মায়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এরপর আর কিছু বলার নাই। আপনার মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
শুভ জন্মদিন মা
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
খুব ভাল লাগল লেখাটা পড়ে। মার প্রতি ভালবাসা মনে হয় সবচেয়ে খাটি।
ভাল লাগল লেখাটা পড়ে। মায়ের জন্য ভালবাসা সবচেয়ে খাঁটি। আপনার মার জন্মদিনে শুভেচ্ছা।
অনিকেত, আপনার মায়ের জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা।
লেখাটা পড়ে কেঁদেছি তবে সেটা বড় কোনও বিষয় না, আমার চোখের জল সম্ভবতঃ সবচেয়ে সস্তা তরল পদার্থ এই পৃথিবীতে, আমি খুউব সহজেই কেঁদে ফেলি। তবে আরোও অনেকের কান্না দেখে মনে হচ্ছে আপনি সত্যিই কাঁদানোর মতো কিছু একটা লিখে ফেলেছেন ... তাও জোর করেই হাসলাম, হাজার হলেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা -- হেসে হেসেই জানানো উচিত
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
অসাধারণ! হৃদয় ছুঁয়ে গেল, চোখে পানি আসি আসি ভাব।
সবার সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলব, শুভ জন্মদিন মা! ধন্য মায়ের ধন্য ছেলে আপনি, এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি।
অতন্দ্র প্রহরী
আমার আসলে বলার মত ভাষা নেই।
আপনাদের সকলকে আমার ভালোবাসা।
কত অচেনা মানুষ, কত অদেখা জন
কিন্তু কি আশ্চর্য! যে অপার মমতায় আপনারা সকলে এই কথা গুলো লিখলেন, আমার মনে হল.........নাহ সব কথা বলার দরকার নেই।
ধন্যবাদ দিয়ে আপনাদের ভালবাসার অপমান করতে চাই না।
কেবল এইটুকু প্রার্থনা, এই পৃথিবীর সকল মা সুস্থ থাকুক,আনন্দে থাকুক, সন্তানের ভালবাসায় সিঞ্চিত হোক তার মনের আঙ্গিনা।
ভাল থাকুন সকলে।
এই মাত্র একটা এস এম এস মেসেজ এলো।
বোন পাঠিয়েছে।
বলেছে, মা আপনাদের সবার মন্তব্য গুলো নাকি পড়েছে। বলেছে আমি যেন তার সকল সন্তানকে তার ভালবাসা জানাই।
জানিয়ে দিলাম।
প্রিয় বিষাদগ্রস্থ এবং হতাশাবাদী অনিকেত,
আপনার সব বিষাদী লেখা পড়তে পড়তে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।কিন্তু আজকের লেখা পড়ে খানিক্টা চিন্তিত হলাম।এমন চমতকার ছেলে যার কিনা এত চমতকার একজন মা আছেন তিনি কেন এত মন খারাপ করা লেখা লিখেন?
মায়ের জন্য অনেক ভালোবাসা রইল। তিনি অনেক,অ-নে-ক দীর্ঘজীবি হোন ,এই শুধু চাই।
ভালো হোক।মঙ্গল হোক।
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
ওপাড়ার ব্লগে একটা সিরিজ লিখছিলাম ছদ্মনামে। তাতে বন্ধুবান্ধবদের কথা লিখলাম, দু চারটে বিশেষ ঘটনার কথা লিখলাম। তারপর ভাবলাম শেষ দুটো পর্ব লিখবো বাবা-মা কে নিয়ে। বাবা, যাঁকে আমি সযতনে এড়িয়ে চলেছি সারা জীবন, তাঁকে নিয়ে লেখা পর্বটি বেশ বড় হোল। তারপর বসলাম মাকে নিয়ে লিখতে।
ওমা-কিছুই যে লিখতে পারিনা। কিভাবে আমি বর্ণনা করবো শান্ত মায়াময় চোখ দুটিকে, কিভাবে লিখবো তার নরম গলার স্বরটিকে বা তার আশ্চর্য্য রকম স্নেহশীলা, দয়ালু এবং আমুদে মুখটিকে। আমার আঙুল থেমে যায়, শব্দরা দেশান্তরী হয় এবং আমি স্তব্ধ হয়ে বসে থাকি। মা কে কি কখনো ভাষার বাঁধনে বাঁধা যায়? কেউ কি কখনো পেরেছে?
আপনার লেখাটি পড়ে আমারো মনে হোল যে মাকে বলবো তাকে নিয়ে লেখাটি পড়তে।
সব মাকেই শুভেচ্ছা। আহা- আবার যদি ছেলেবেলাটি ফিরে পেতাম! যদি একটিবার মাকে বলতে পারতাম,"মাগো-তুমি আমার পাশে বসে থাকো একটুক্ষণ। আমার কিচ্ছু ভাল্লাগছে না।"
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
'মা'-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা । দো'য়া রইল বছরের এই দিনটি যেন বার বার ফিরে আসে অনিকেত এবং সকল গর্বি ত "'মাত্বাধিকারী"-র জীবনে । ফিরে আসে যেন এর যুগল দিনটিও ।
-মাকে আমার পড়ে যে মনে
অতিথি লেখক হিসাবে থাকার সময় লেখাটি পড়েছিলাম,হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। মন্তব্য করা হয়নি।
মাঝে মাঝে মাকে স্বপ্নে দেখে ঘুম ভেঙ্গে যায়, চুপচাপ বসে থাকি কিছুক্ষণ। কিছুই ভাল লাগে না। মনে হয় সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে দেশে চলে যাই।
প্রিয় ব্লগে রেখে দিলাম লেখাটা।
মা ভালো থাকুন।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
অসাধারণ!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কাকতালীয় ভাবে পরশু দিন মাকে জিজ্ঞেস করছিলাম তার বার্থডে কবে, আর এই লেখাটা চোখে পড়লো আজকে। এই ধরনের লেখাগুলো বিদেশ থাকা অবস্থায় চোখে পড়া ঠিক না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আজকে পড়লাম...
মাকে নিয়ে কিছু লেখা, বলা, সবই অর্থহীন। ভাষায় তাঁকে ছোঁয়ার যোগ্যতা নিয়ে কেনো সন্তান জন্মায় না...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কী অসাধারন সব লাইন অনিকেতদা।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বন্দনা---
ইয়ে আমার জন্য চক্কোলেট আসবেনা অনিকেতদা, তিথীর জন্য দেখলাম ঝুড়িভর্তি চক্কেট আসছে আপনার সাথে।
লেখাটি পড়ে মনটা খারাপ হোল, মার কথা মনে হচ্ছে বারবার। আবার ভাল লাগলো তুমি মাকে কি সুন্দর করে ভালবাসা জানালে।
নিজে মা বলে জানি, আমার মেয়ের গলার স্বর শুনার জন্যই অনেক সময় আমি ফোন করি। দেশে মাকে ফোন করলে উনিও বলেন তোর গলা শুনেই মন ভাল হয়ে গেছে।
কামনা করি দীর্ঘদিন বাবা মার সান্নিধ্য পাও।
(গুড়)
facebook
কিছু লেখার সামনে দাঁড়ানো যায় না.....দাঁড়িয়ে স্থির থাকা যায় না.............
_____________________
Give Her Freedom!
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বস!
এরপরে আর কিছুই বলার থাকে না আসলে , সত্যিতো , মা আছে বলেই । কিন্তু এই কথাগুলো মুখে বলতেই কত বাধে আমাদের। বিদেশীদের দেখি উঠতে বসতে সবাইকে বলে "লাভ ইউ" । কিন্তু আমরা সবাই অসম্ভব(বোকার মত ) আবগপ্রবন হওয়ার পরও এই একটা কথা মুখে আনতে এক জীবন পার করে দেই। কেউ কেউ লিখে প্রকাশ করে না বলার দুঃখটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করি। কেন যে আমরা এমন !
ভাইয়া, আপনি এবং আপনার আম্মু দুজনই অনেক অনেক ভাল থাকুন।
পড়ার জন্যে আর শুভ কামনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ধুসর জলছবি। আপনার নিক-টি বেশ লাগল
ভাল থাকুন সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে---
সত্যি অসাধারণ!!
পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ স্যাম
পড়তে পড়তে হঠাৎ দেখি মনিটরটা ঝাপসা দেখাচ্ছে। তখন বুঝলাম অশ্রুতে ভরে গেছে চোখ।
চমৎকার একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ।
-অয়ন
ধন্যবাদ অয়ন।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
আমার অশীতিপর বৃদ্ধা মা আমার সাথেই থাকেন। দীর্ঘদিনের অভ্যস্থতায় আর প্রতিদিনের একঘেয়েমিতে তেমন করে আর মা'র জন্য কিছু করা হয়না। আপনার লেখাটি, ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত করে দিলো।
ধন্যবাদ, আপনাকে। আপনার মা'র জন্য রইল শুভকামনা।
পড়ার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ প্রৌঢ় ভাবনা
শুভেচ্ছা জানবেন
অসাধারণ । আমার মা কে ঠিক এভাবেই বলতে চাই -
-এক জোনাকি
অসাধারণ । আমার মা কে ঠিক এভাবেই বলতে চাই -
-এক জোনাকি
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ এক জোনাকি!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
নতুন মন্তব্য করুন