হাবিব-ফুয়াদ-অর্নব আর আমরা

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৫/২০০৮ - ১১:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিটি লেখার পেছনেই এক ধরনের 'প্রসব বেদনা' থাকে। লেখাটা মাথা থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত,হাত নিশপিশ করে, গলা কুটকুট করে, ডিস্পেপ্সিয়া হয় এবং আরো অনেক কিছু। লেখাটা শেষ হয়ে গেলেই এক ধরনের ভারমুক্তির আনন্দ হয়।

আজকের বেদনার কারন এক অতিথি লেখকের এই লেখাটি ঘিরে।

-------------------------- xxxxxxxx -----------------------------

আলমগীর ভাই,

বাংলার জনগন আপনার এই মহৎ আত্মত্যাগের কথা আজীবন স্মরণে রাখবে। আমি কিঞ্চিত অনুমান করতে পারি আপনাকে কি পর্যায়ের অমানুষিক পরিশ্রম আর যন্ত্রনার মাঝে দিয়ে যেতে হয়েছে এই গান (নাকি gun ??!!) লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে। এই 'স্বর্গ-বিমুর্ছিত- নরক- উদবেলিত' গান ---- আমাদের দেশের এখনকার সঙ্গীতের অধুনাচিত্র।

আমার একটি পরম শুভাকাংখী ধরনের বন্ধু আছে, যার জীবনের লক্ষ্য হল----এই পৃথিবীতে যত রকমের জঞ্জাল আছে,সে সব কেবল সে নিজে স্বার্থপরের মত 'উপভোগ' করবে না, সাথে সাথে তার বন্ধুদের ও এই 'আনন্দ' ভাগ করে দেয়। মহৎ মানুষ,নিঃসন্দেহে।

সেই মহৎ বন্ধুটির বদান্যতায় আমার প্রথমে 'ঐ' গানটি শোনার সুযোগ ঘটে। আসলে শুধু শোনা বলাটা ঠিক হবে না----সে আসলে আমাকে একটা ভিডিও লিঙ্ক পাঠিয়েছিল।

আমি জানিনা আলমগীর ভাই আপনি কি করে এই অসাধ্য সাধন করেছেন। অধিক শোকে ( বা shock এ) আমি পাথর।

আজ গানটির পুর্নাঙ্গ রূপটি দেখে দ্বিতীয়বার মুর্ছা যেতে হল।

আমাদের দেশে অ-নে-ক দিন ভালো গান হয় না। দেশে যখন ছিলাম, তখন আধুনিক গান গুলো শুনে তীব্র বিবমিষায় মুখ (ও কান) সরিয়ে নিতে হয়েছে। ২০০০ সালে যখন দেশ ছাড়ছি, তখন কেবল আসিফ আকবর উঠতে শুরু করেছেন। ভীষন ঋষভ কন্ঠে, সেই সাথে নানান দৈহিক আক্ষেপ বিক্ষেপের সহযোগীতায় আসিফ গান পরিবেশন করেন। সে গানের যেমন কথা, তেমন সুর। ফার্মগেটের ধুলোয় ঢাকা, ধোঁয়া ঠাসা গিজ গিজে ঘর্মাক্ত মানুষের ভীড়ে হঠাত হঠাত গগন বিদারী কন্ঠে আসিফ আমাদের কানে ঝাপিয়ে পড়তেন---'ও প্রিয়া তুমি কোথায়???'

গান শুনে আমার মনে হত, এই মুহুর্তে যে কোন খান থেকে আসিফের 'প্রিয়া' কে ধরে এনে আসিফের সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে----হতভাগা যদি তাতে আমাদের রেহাই দেয়।

আমি যদি আরেকটু পেছনে চলে যাই, আমার কৈশোর আর প্রায় নিস্তরঙ্গ যৌবন কালে, তাহলে দেখতে পাই, রাস্তা ঘাটে শোরগোল তুলেছেন আমাদের 'ব্যান্ড' সঙ্গীতের সদস্যরা। তখন মাত্র তারা সন্তর্পনে আমাদের জ়ীবনে পা ফেলছেন। কাজেই গানের মধ্যে যত না 'পশ্চিমাভাব' তারচেয়ে বেশি দেশীয় সুর আর ভাবের সম্মিলন। তখনকার এক ঘেয়ে আধুনিক গানের জগতে তারুন্যের প্রতিনিধিত্ব করার মত তেমন কিছু ছিলনা। কাজেই তরুনরা প্রায় হামলে পড়ে ব্যান্ড কে আঁকড়ে ধরলেন।

সে সময়ে আর সব কিশোরের মত আমিও দিশেহারা। এই না-শিশু-না-যুবক কালে নিজেকে সঙগায়িত করাটা খুব জরুরী ছিল। একটা নির্দিষ্ট Identity -র প্রয়োজন ছিল। আমার সামনে পথ ছিল দু'টি---- ব্যান্ডের গানে মনোনিবেশ করা, অথবা সেই চিরায়ত রবীন্দ্র-নজরুলে নিজেকে বেঁধে রাখা। আমার ছোট্ট মাথা অনেক ভেবে চিন্তে দাঁড়িওয়ালা-ঝাকড়া চুলকেই বেছে নিল।

একটা পথ বেছে নেবার ফল-----অন্যপথে ভ্রমন না করা। সে সময় বার বার নিজেকে শেখাতে হত,'তুমি যা পছন্দ করেছ, সেইটাই ঠিক----ব্যান্ডের গান 'বখে' যাওয়া ছেলেরা শুনে',ইত্যাদি। কিন্তু হঠাৎ যখন কেউ শুনছে না, তখন মৃদু গুনগুন----'মাঝরাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়'...কিংবা "দৃষ্টি-প্রদ্বীপ জ্বেলে খুঁজেছি তোমায়"।

আরো পেছনে গেলে দেখতে পাব, এক ক্লাস সিক্স/সেভেনের ছেলে মাথা ঝাকিয়ে শুনছে, কুমার বিশ্বজিতের সদ্য সদ্য জনপ্রিয় হওয়া 'তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে' বা 'চতুর্দোলাতে চড়ে দেখো ঐ বঁধু যায়" (আহা, এই গানটা অনেক দিন শোনা হয় না)।

আমি নিশ্চিত---সেই সময় গুলোতে প্রচুর লোকজন নাঁক কুচকেছেন এই গান গুলো শুনে। এই চিরায়ত বনাম জায়মান সংঘর্ষ অনেকদিনের।

কিন্তু কথা হলো---- কোন জিনিসটা কে আমরা রুচিকর ধরে নেব? আর কোনটা অরুচিকর?

রবীন্দ্রনাথের সময় 'শনিবারের চিঠি' গুলোতে তার গান গুলো নিয়ে যে সব হৃদয়হীন মন্তব্য আসত---আজ তা ভাবলে অবাক লাগে। তখনকার বাইজ়ি বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের 'কেন যামিনী না যেতে জাগালে না' আর '
ওযে মানেনা মানা'---বাইজীদের প্রিয় গান ছিল বলে শোনা যায়। কিন্তু তাতে কি হয়েছে? এখন আমাদের রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে 'আহা উহু' শুনলে বিব্রত হতে হয়।
কেউ বুঝে করে, বেশির ভাগ না বুঝে। আমার খুব প্রিয় একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত হলঃ

" এত দিন যে বসে ছিলেম পথ চেয়ে আর কাল গুনে
দেখা পেলেম ফাল্গুনে............"

এই গানের অন্তরার কথাটি শুনুনঃ

" গন্ধে উদাস হাওয়ার মত
ওড়ে তোমার উত্তরী
কর্ণে তোমার কৃষ্ণচুড়ার মঞ্জরী"

একদিন গানটা গুনগুন করতে করতে আমার বন্ধু ফক্কুলকে বললাম, গানটার এই জায়গাটা দারুন না??
ফক্কুল হাই তুলতে তুলতে বলল, কোন জায়গা?
'ঐ যে গন্ধে উদাস..."
(হাই)
'তুই উত্তরী মানে জানিস?'

কিছুক্ষন স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে ফক্কুল বলল, গান শুনতে গিয়ে যদি ডিকশনারী খুলতে হয়, তাহলে গান শোনার মজাটা কোথায়?

কাট টু ২০০৮।

২০০৭ এ বাংলাদেশে অন্যতম ব্যবসা সফল যে কয়টি গানের এলবাম বেরিয়েছে, তার মধ্যে হাবিব-ফুয়াদ-অর্নব এই ত্রয়ীর নাম সর্বাগ্রেগন্য।

হাবিবের আগমন অনেকটা ধুমকেতুর মত---এমন এক সময়ে, যখন আমাদের ব্যান্ড গুলো তাদের জৌলুস হারিয়েছে, আধুনিক গান তথৈবচ। মানুষ দিনে দিনে ঝুকছে হিন্দি গানের দিকে। হাবিব নিয়ে আসলেন এক নুতুন সাউণ্ড, ভিন্ন ফ্লেভার---- সিন্থেসাইজার, রিভার্ব মাইক্র ফোন, আর 'এ আর রহমান' এ উজ্জীবিত যন্ত্রানুষঙ্গ। তার প্রথম এলবামেই বাজীমাত। আমাদের কোনায় পড়ে থাকা হত দরিদ্র পল্লী গান এক নুতুন মাত্রা পেল। তরুনরা বহুদিন বাদে হিন্দী গানের সাথে পাল্লা দেবার মত কিছু পেলেন। ওই সময়টাতে আমি দেশে গিয়েছিলাম। আমার চমতকার লাগল তার কাজ। বিশেষ করে তার সঙ্গীতায়োজন। 'আমি কুল হারা কলংকিনী' গানটা তে আধুনিক সিন্থেসাইজার নিঃসৃত সুরের সাথে
গ্রামের কবির লড়াই বা যাত্রায় যে বেহালা বাজে, তার সংযোজন-----এক কথায় অসাধারন।

কৃষ্ণ এর পর 'মায়া', তারপর 'ময়না গো', তারপর তার একক এলবাম 'শোনো' এবং একে বারে হালফিলের 'বলছি তোমায়'। হাবিবের সাফল্য নুতুন করে একঝাক নবীন সুরকার এর দ্বার খুলে দিল।

বাপ্পা মজুমদার আমার বিশেষ প্রিয়। তার নিজের বেশ একটা আলাদা রকমের স্টাইল তৈরী হয়ে গিয়েছে। তার কম্পোজ করা গান গুলো শুনলেই বলে দেয়া যায়, এটি বাপ্পা'র। সেই বাপ্পাও দেখলাম কোমর বেধে নেমে গেলেন এই 'নুতুন' ধারাটা আত্মস্থ করে নিতে। তারই ফল---সন্দীপনের ফোক এলবাম, বাপ্পা'র সঙ্গীতায়োজনে। ফর্মুলা এক। সাফল্য ও প্রায় এক রকমের। একের পর এক হাবিবীয় ধাঁচে এলবাম তৈরী হতে লাগল। আমি শুধু খুশি হলাম এই ভেবে, যাক কিছুদিনের জন্য অন্ততঃ হিন্দী-ভুতের হাত থেকে রেহাই পাওয়া গেল।

এরই মাঝে হঠাত করে শোনা গেল অর্নবের গান। তার গানের গলাটি বেশ সুললিত---যাকে বলা যাতে পারে কিন্নর কন্ঠী। তার গান শোনার সাথে সাথে আপনি শান্তিনিকেতনের ট্রেনিং পাওয়া গলার আমেজ পাবেন।
নানা প্রতিভায় কুশলী এই বহুমাত্রিক অর্নবের নিজের এলবামটা আর সব হাবিবীয় ধাঁচ থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রয়াস। সঙ্গীতায়োজনে অর্নব হাবিবের চেয়েও কুশলী।
একটা দুর্দান্ত ট্রেনিং থাকার ফলে অর্নব অম্লান বদনে পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালান চলমান গানের কানটা ধরে।
তার প্রথম সাফল্যের মুখ দেখা 'তুই গান গা'(বাংলা ব্যান্ডের সাথে) আর 'সেযে বসে আছে'---তাকে প্রায় চূড়োয় পৌঁছে দেয়। তার একক 'চাইনা ভাবিস', 'হোক কলরব' এবং এক্কেবারে সাম্প্রতিক 'ডুব'--অর্নবের যোগ্যতা আর জনপ্রিয়তাকে স্পষ্ট করে তুলেছে। তার 'চাইনা ভাবিস' এল্বামে 'অর্ধ-ঝাপ' তালে একটি গান সন্নিবদ্ধ আছে-- 'একদিন তোর কথা শুনবেই নদী"।
আমি জানিনা আমাদের এই সাম্প্রতিক কালের আধুনিক গানে আগে কখনো এই অর্ধ-ঝাপে কোন গান
সন্নিবদ্ধ হয়েছে কিনা। এর জন্য অর্নব অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার।

অর্নবের কিছু আগে আরেক 'অস্পষ্ট' গায়ক তাহসান কিছুদিন বাজারে ঘোরা ফিরা করেছেন। দেশে তখন সবে মাত্র Alternative rock শব্দটা জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। তাহসান নিজেকে খুব সম্ভবত সেই যুগের নবী ভাবতে শুরু করেছিলেন। অস্পষ্ট বাংলা উচ্চারন, র কে ড় বলা (এত যখন আপত্তি, তাহলে বাংলা বর্নমালা থেকে হতভাগ্য 'র' তুলে দিলেই হয়), এবং প্রায় 'অব্যাখ্যাত' আসঞ্জনে ক্লিষ্ট পদাবলী-----আমাদের বেহুলা প্রজন্ম ভেসে গেল বোঝা-না-বোঝার স্রোতে।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ছে তার গাওয়া 'বৃত্তাল্পনা' গানটির কথা। অনেক অনেক বেকুবের চোখে এক ধরনের শ্রদ্ধা-মিশ্রিত অনুরাগ দেখেছি---এই অসাধারন শব্দটি বাংলা ভাষায় যুক্ত করার জন্য।

এতক্ষন যাদের কথা বলেছি, তাদের সকলের অন্তত একটি বিষয়ে সাজুয্য ছিল---গানের লিরিক্টা অন্তত ভয়াবহ ছিল না। এদের মাঝে আমি খুব সম্ভবত অর্নবের গানের লিরিক্স গুলোকে এগিয়ে রাখব। তার--

'চিলতে রোদে পাখনা ডোবায়
মুচকি হাসে শহরতলী......"

গানটার কথা নিঃসন্দেহে অসাধারন।

আমাদের দেশে যখন এই চলছে, বিদেশের মাটিতে একজন প্রস্তুত হচ্ছেন সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে---আমাদের চমকে দিতে। ইনি ফুয়াদ-আল-মুক্তাদির। ভদ্রলোক নুতুন গান তৈরির রিস্কে না গিয়ে, জীবিত গান গুলোর চামড়া ছাড়াতে বসে গেলেন। কালক্রমে তার সাথে জুটি বাঁধল একঝাক পায়রা-----প্রবাসী বাঙ্গালী। এদের মাঝে আনিলা, পুনম, আরমিন মুসা বেশ নজর কাড়লেন। এদের অনেকেই রীতিমত সাধা গলা নিয়ে এসেছেন। বিদেশ-বিভুঁইয়ে বসেও তারা অন্তত বাংলা গানের চর্চা রেখেছেন----সেটার জন্য বাহবা তারা পেতেই পারেন।

আনিলা-পুনম-আরমিন মুসা প্রায় এক ধাঁচের গান নিয়ে নেমে পড়লেন। এদের কান্ডারী ফুয়াদ। তার প্রথম 'রিমেক' (তথা পরিচিত গানের চামড়া ছাড়ানো রুপ) এল্বামটি ছাড়লেন। বেশ সতর্ক নির্বাচন। খুব সম্ভবত 'Revolution' ছিল সেটার নাম। স্পষ্টতই ফুয়াদের অভিপ্রায় উচ্চকিত। এর সাফল্য মোটামুটি দেখবার মত। এর পথ ধরে একের পর এক আসতে থাকল variation # 25, বন্য(প্রথম বাংলা শিরোনামের এলবাম) ইত্যাদি।
ফুয়াদ যখন ঠান্ডা মাথায়, বাংলা সঙ্গীতে বিপ্লব আনার চিন্তা না করে, সুর করতে বসেন তখন কিছু চমতকার মৌলিক গান তৈরী হয়----'গাইব না আর', 'নিটোল পায়ে' প্রভৃতি। কিন্তু সস্তা জনপ্রিয়তার ভূতটা তার মাথা থেকে নামল তো নাই, বরং সিন্দাবাদের ভূতে রুপান্তরিত হল। 'বন্য' এলবামটি যেন তার নামের সার্থকতা প্রমান করার জন্যই এক রাশ 'অজাচারিত' বাক্যবন্ধের সন্নিবেশ ঘটাল। যদি ভুল না করে থাকি, তাহলে আপনার কষ্ট করে 'অনুদিত' গানটা ওই এলবামটির।

যে কোন ধরনের গানের জন্য এখন শ্রোতা তৈরী হয়েছে। ফুয়াদের জনপ্রিয়তা আমাদের দেশ ছাপিয়ে পাশের দেশেও আঘাত হেনেছে (সব জায়গাতেই গরু ছাগল পাওয়া যায়)।

কিন্তু আমার যে গান শুনে গা রি রি করছে, আমার চেয়ে ২০ বছরের ছোট এক কিশোরের কাছে হয়ত সেই গানটাই দুর্দান্ত। সে জানে গানটার লিরিক্স ভয়াবহ---কিন্তু গান শোনাটা সে জায়েজ করে এই বলে যে,'গানটা Funny'! খবর নিলে হয়ত জানা যাবে, তার কাছে ফুয়াদ বাংলা গানের নুতুন ধুমকেতুর আরেক নাম। তার কাছে ফুয়াদের এই প্রয়াস আসলেই এক Revolution ! বড়দের ক্ষিপ্ত আচরন কেবল তার ফুয়াদ-প্রেমে ইন্ধনই যোগায়।

আমি কি করে তাকে বুঝাই---funny এক জিনিস, আর vulgar আরেক জিনিস। হয়ত এই বয়েসে সে এই সব নিয়ে মাথা ঘামাতে ইচ্ছুক নয়। তাই হয়ত তার বয়সীদের আড্ডায় ফুয়াদ যদি রবি ঠাকুরের চেয়েও বিশাল ছায়া (ফুয়াদের শারীরিক আকৃতির কথা বলা হচ্ছে না) ফেলে হাজির হন, আমি মোটেও আশ্চর্য হব না।

আর আমি এটাও জানি, আজ থেকে ২০ বছর পরে সেও হয়ত কোনো ব্লগে লিখতে বসবে---' আজকালকার গানের প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলেই আমার মুখটা তেতো হয়ে যায়"

হায়---------------


মন্তব্য

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

অনেক কিছু বলার জন্য দাঁতে শান দেই, কিন্তু সময়াভাবে আর পোস্ট প্রসব করা হয় না ... বড় বেশি দৌড়ের উপর আছি ...

খালি দুইটা কথা বলতে লগিন করলামঃ

ফুয়াদ যখন ঠান্ডা মাথায়, বাংলা সঙ্গীতে বিপ্লব আনার চিন্তা না করে, সুর করতে বসেন তখন কিছু চমতকার মৌলিক গান তৈরী হয়----'গাইব না আর', 'নিটোল পায়ে' প্রভৃতি

নিটোল পায়ে রিমিক-ঝিমিক গানটা ফুয়াদের মৌলিক না, এইটা (আমার ভুল না হইলে) এস ডি বর্মণের একাধিক গানের ঘুঁটা দিয়ে বানানো ... ফুয়াদের গানটা শোনার (এবং বলতে দ্বিধা নাই খুবই ভালো লাগার) পর এসডি বর্মণের গান দুইটা খুঁজে বের করে শুনলাম ... জানিনা "কুত্তার পেটে ঘি সয়না" জাতীয় ব্যাপার কিনা, আমি ফুয়াদেরটাই বারবার শুনি, এসডি বর্মণেরটা আর শোনা হয় নাই ...

'বন্য' এলবামটি যেন তার নামের সার্থকতা প্রমান করার জন্যই এক রাশ 'অজাচারিত' বাক্যবন্ধের সন্নিবেশ ঘটাল। যদি ভুল না করে থাকি, তাহলে আপনার কষ্ট করে 'অনুদিত' গানটা ওই এলবামটির।

বন্য এলবামটা আমি শুনছি ... এই গানটা মনে হয় সেখানের না ... (এই গানটা আমি এখনো শুনি নাই, লিংক দিতে পারেন কেউ?)

বন্য আর ফুয়াদ নিয়া বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে, দেখি সময় বের করতে পারি কিনা ...

................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

নজমুল আলবাব এর ছবি

আর আমি এটাও জানি, আজ থেকে ২০ বছর পরে সেও হয়ত কোনো ব্লগে লিখতে বসবে---' আজকালকার গানের প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলেই আমার মুখটা তেতো হয়ে যায়"

সর্বশেষ কথা এইটাই। আপনে যেসব গানের কথা টানলেন তার দু একটাই কেবল আমি শুনছি। তাও অন্যে বাজাইছে আমি পাশ কাটাইতে যাইয়া শুনছি টাইপ। মাথায় ঝিম মেরে থাকে জোড়াসাঁকোর বুড়াটা। আর পঞ্চকবি। সুবির নন্দী'র গান যত শুনি তার একভাগও শোনা হয়না আমার সময়ের গান। এইটা আমার ইচড়ে পাকামো হইতে পারে।

সব কিছু শেষ হইয়া গেলে নাকি থাকে শুধু অন্ধকার কথাটা বলছেন যে কবি তিনি মনে হয় এই কথাই বলতে চাইছেন, যতই লাফাও বাপেরা হ্যাশম্যাশ ঠান্ডা মাইরা ম্যান্দা মাইরা ভাবতেই হয়, ঝিমাইতেই হয়, তখনতো কুর্দন ভাল লাগেনা, তখন রবিকাহারেই টানতে হয়।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

শামীম সাগর এর ছবি

জীবনানন্দ দাশ বলেছেন ‘শাশ্বত রাত্রীর বুকে সকলি কেবলি সুর্যোদয়’
আমাদের প্রতিবাদের কন্ঠ সরব থাকলে স্বর্ণলতার ঝাড় সময়ের আগেই সবুজ বৃরে মাথা থেকে সরিয়ে ফেলা সম্ভব
তাইতো মনে আশা নিয়ে গেয়ে উঠি ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে’

দ্রোহী এর ছবি

আমি একটা বাজে মন্তব্য করি? হাসি

ফুয়াদ সাহেবের "নিটোল পায়ে" গানটা একদিন শুনলাম। গানের দ্বিতীয় লাইনে গিয়ে বুঝলাম গানটা শচীন কত্তার।

আমার কাছে মনে হল: শচীন কত্তাকে উপুড় করে ফেলে পুটকি মারলেও এর চাইতে কম অপমান করা হত।


কি মাঝি? ডরাইলা?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বাকাপ দ্রোহী!



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

খেকশিয়াল এর ছবি

গানটা শুইনা অনেকে লাফাইসে, আমার এত মেজাজ খারাপ হয় গানটা শুনলে বলার মত না, আমার এই আজিরা গানটা শুনলেই শচীন কত্তার জেনুইনটা শুনতে ইচ্ছা করে ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতিথি লেখক এর ছবি

'বন্য' এলবামটি যেন তার নামের সার্থকতা প্রমান করার জন্যই এক রাশ 'অজাচারিত' বাক্যবন্ধের সন্নিবেশ ঘটাল। যদি ভুল না করে থাকি, তাহলে আপনার কষ্ট করে 'অনুদিত' গানটা ওই এলবামটির।

মনে হয় না। আমি কখনও এলবাম ধরে শুনিনি তবে ওয়েবের তথ্য মোতাবেক ওই গানটা variation # 25 vol/ver 2 (মাত্র ২/৩ টা গান)

আলমগীর

অতিথি লেখক এর ছবি

ফুয়াদের গানের লিংক

দ্রোহীর কতায় অত্যধিক ঝাঝ।

আলমগীর

মুশফিকা মুমু এর ছবি

অনিকেত আপনার সাথে একদম ১০০% একমত।
আমি আরো একজনের কথা বলতে চাই ইনি হচ্ছেন রুমানা আজাদ। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত শিল্পী আজাদ রহমানের প্রথম কন্যা। ওনার এলবামের নাম "সুরের উত্তরসূরী" যার প্রতিটা গানের কথা এবং সুর করেছেন ওনি। গানের কথাগুলো যে কত উন্নত মানের তার কয়েকটা এক্স্যামপল দিচ্ছি,
"অলীক মায়ার মরীচিকায় সন্ধি
সোনালী আলো আধাঁরে যেন বন্দি
"
or
"মনকাড়া গোধূলির রক্তিম লাজ,
দেখে বলে নিশিথিনী বাঁধ ভাঙো আজ
"
or
"কল্পনায় না বলা কথা, মেলুক পাখা
তোমায় ঘিরে, পৃথিবী হোক আরো মধুর
বাঁধি নতুন কোন সুর
রঙধনু রঙে জীবনটা হোক না আঁকা।

এলবামের নাম "সুরের উত্তরসূরী" এর সাথে মিলিয়ে এলবামে গান করেছেন শিল্পী আজাদ রহমান ও সেলিনা আজাদের দুই মেয়ে, রোজানা এবং নাফিসা আজাদ, শিল্পী বারীণ ও ইলা মজুমদারের ছেলে আমাদের সবার প্রিয় বাপ্পা (উনি এ এলবামের বেশ কিছু গান কমপোসও করেছেন), শিল্পী মাহমুদুননবীর মেয়ে সামিনা ও ফাহমিদা নবী, শিল্পী খান আনাউর রহমান ও নীলুফার ইয়াসমিনের ছেলে আগুন, শিল্পী বশির আহমেদ ও মীনা বশির এর ছেলে রাজা বশির ও মেয়ে হোমায়রা বশির।
এলবামের প্রতিটা গান একটি আরেকটির চেয়ে সুন্দর আর পুরো আইডিয়াটা আমার দারুন লেগেছে যে সব প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত শিল্পীদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে করা। আপনাদের যারা শোনেননি তারা গানগুলো শুনলেই বুঝতে পারবেন।
---------------------------------------------------------
মূর্ছনা, কেটে গেছে সুর
জোছনা, ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

খেকশিয়াল এর ছবি

শুনতে হবে তো !

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমার বিশ্বাস আপনার খুবই ভালো লাগবে। যদিও রুমানা আজাদ এখনও হাবিব, ফুয়াদ বা অর্নবের মত জনপ্রিয় নন। ওনার আরেকটা গানের কিছু অংশ খুব লিখতে ইচ্ছে করছে,
" জল তরঙ্গে সুর আরোহন
রয়েছি নীরব তবু কি যে আলাপন
যে সুরে সন্ধা নিশি রাত হয়
সে রাগিনীতে মিশে ছুঁয়েছি তোমায়"

এমন গীতিকার আর সুরকার আমাদের দেশের আধুনিক গানের জগতে খুব দরকার।
-------------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

খেকশিয়াল এর ছবি

@মুমু : কথা খুবই সুন্দর, শুনতে হবে , আপনাকে ধন্যবাদ ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ইন্টারেস্টিং লেখা -- দুয়েকটা বিক্ষিপ্ত মন্তব্য।

লেখকের আশংকা সব অমূলক নয়। তবে সংস্কৃতিতে 'জাত গেলো, জাত গেলো' রবটা চিরকাল ছিল এবং চিরকাল থাকবে। এইখানে লং-টার্ম বিচার করাই শ্রেয়। যা কালের বিচারে উৎকৃষ্ট, তা টিকে থাকবে, যা কালোত্তীর্ণ নয়, তা ক্ষণিকের আনন্দ দিয়ে পরক্ষণেই হারিয়ে যাবে। নব্বইয়ের দশকে কত ব্যান্ডই তো ছিল - মাইলস ফিডব্যাক রেনেঁসা থেকে শুরু করে ডিফরেন্ট টাচ নোভা প্রমিথিউস আগুন ফাগুন কত কি। অথচ সেই ব্যান্ডের গান কয়টাই বা বেঁচে আছে এখন, আর কেই বা শোনে। ফুয়াদ, অর্ণব, হাবীবের বেলায়ও কালের আইন প্রযোজ্য হবে। কিছু টিকবে, বেশির ভাগই টিকবে না।

শর্ট টার্মে এই সবে আপত্তি করার মত মানুষেরও অভাব হবে না। কিন্তু বাক স্বাধীনতার সাথে শ্রবণের স্বাধীনতা চলে আসে। সুরুচিপূর্ণ হবার পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ হবার অধিকার থাকা উচিৎ। যেমন কারো বিচারে হুমায়ুন আহমেদ কালজয়ী, আধুনিক বাংলার সেরা সাহিত্যিক - আবার কারো কাছে তিনি একজন সস্তা-দরের তৃতীয় শ্রেণীর হালকা-চটুল "অপন্যাসিক"। চল্লিশ পৃষ্ঠার তথাকথিত 'উপন্যাস' ৫০ টাকায় বিক্রি করে বড়লোক হয়েছেন, একই জিনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তিরিশবার লিখলেও পাঠক খায়। প্রশ্ন হলো এখানে কে ঠিক আর কে বেঠিক?

মাকসুদ যেবার ঠাকুরের রিমিক্স করেছিলো, তার কি মুন্ডুপাতটাই না করলো সংস্কৃতির দন্ডমুন্ডের কর্তারা। তাহলে কোথায় বাক স্বাধীনতা, কোথায় শিল্পীর এক্সপেরিমেন্ট করার স্বাধীনতা? এই স্বাধীনতাগুলো তো সিলেক্টিভ নয়।

সংস্কৃতিতে গেটকিপার তাই অপছন্দনীয় এবং নিষ্প্রয়োজন। বড়জোর শিশু কিশোরদের মাঝে সাংস্কৃতিক শিক্ষা আরো জোরদার করা যেতে পারে, যাতে তারা ভালো থেকে মন্দ বিচার করতে শেখে। তবে সেটাও হিট এন্ড মিস মনে হয়। পশ্চিমে যত তরুন তরুনী মোৎসার্ট বেঠোফেন শুনে, তার থেকে অনেক বেশী শুনে স্নুপ ডগের র‌্যাপ বা ব্রিটনির পপ। দেশে কবিতার পাঠক যেমন অল্প, এখানেও কীট্‌স বা ইয়েট্‌স পাঠ্যবইয়ের পাতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। অথচ সবার হাতে হাতে ড্যান ব্রাউনের সবচেয়ে নতুন থ্রিলার।

তারপরেও যা টেকার, টিকে যায়। শেক্সপীয়ারের ৪০০ বছর পুরানো নাটক এখনো হাউজফুল করতে পারে এখানে, যদিও আজকের বিচারে শেক্সপীয়ারের ভাষা বেশ দুর্বোধ্য। আমি নিজ কানে আমার সামনের সারিতে এক দর্শককে বলতে শুনেছিলাম, "আচ্ছা ইন্টারভেলের আগে ঐ জায়গাটায় আসলে ঠিক কি হইলো? ঐ রাজপুত্রটা কি আসলে অমুকের ছেলে না তমুকের ছেলে?" !!!

-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

মোটামুটি এই কথাটাই লিখব ভেবেছিলাম ... থ্যাংক্স বস, কষ্ট কমিয়ে দেয়ায় ...

জাস্ট আরেকটু যোগ করি ... ফুয়াদের সব গান আমার ভালো লাগে না, তবে কয়েকটা লাগে [মনে হয় সচলে আর কেউ নাই যার ফুয়াদের গান ভালো পায়, কিন্তু আমার ভালো লাগে, কি আর করা মন খারাপ ]...

আনিলা/সুমনকে নিয়ে ফুয়াদের "এখন আমি" ভালো লেগেছে, তপুর সাথে "বন্ধু ভাবো কি" এর কয়েকটা গান ভালো লেগেছে, ভ্যারিয়েশন টুয়েন্টি ফাইভের দুই একটা গান ভালো লেগেছে, অনেক আগে "মায়া" নামে বের করা আনিলা-ফুয়াদের এল্বামের দুইটা গান আমি এখনো শুনি ("গতিময় এই শহরে" আর "যদি ভাবো থাকবে একা") ... আর "নিটোল পায়ে রিমিক ঝিমিক"ও আমার ভালো লেগেছে ...

কিন্তু নীতিগতভাবে আমি অন্য কারো গান রিমিক্স করা সাপোর্ট করি না, বুঝি কাজটা ঠিক না ... কিন্তু সেই গানটা যদি শুনতে ভালো লাগে তাহলে কি করতে পারি? ... একটা কথা ভেবেই স্বান্ত্বনা পাই যে এই গানটা টিকবে না, শচীন দেবেরটাই টিকবে, যেটা সুবিনয়দা বলেছেন ...

ফুয়াদ সম্পর্কে আরেকটা অভিযোগ সে মিক্সারজাতীয় হাবিজাবি ব্যবহার করে গান বানায়, এখানে কোন কৃতিত্ব নাই ইত্যাদি ইত্যাদি ... এখানে খালি একটা কথাই বলা যায়, আমরা যখন ব্যান্ডের গান শুনতাম আমাদের বাবা-চাচারা গানের সাথে ড্রাম-টামের কি সম্পর্ক সেটা নিয়ে ব্যাপক হাসাহাসি করতেন ... তাতে কিন্তু ব্যান্ডের শ্রোতাদের কিছু যায় আসে না ... যাদের শুনতে ভালো লাগে তারা শুনবে, যাদের ভাল্লাগে না সে শুনবে না ... এতে বাংলা সংগীতের গুয়া মারা হচ্ছে এ ধরণের কথার আসলে বেইল নাই ...

কোন কিছুকে ঢালাও দোষ দিলে সমস্যার খুব বেশি সমাধান হয় বলে মনে হয় না ... আমার বাসায় মা-খালা-বোনেরা লাইন দিয়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখতো আমি হাজার চিল্লাচিল্লি করেও সেটা থেকে তাদের ফিরাতে পারি নাই ... কিন্তু একান্নবর্তী শুরু হওয়ার পর সপ্তাহে দুইদিন সাস ভি কাভি বহু থি বাদ দিতে কারো কোন সমস্যা হয় নাই ...

কাজেই ফুয়াদরে গালি দিয়ে আসলে লাভ নাই ... ওর গান শোনার লোক আছে, কাজেই ফুয়াদও থাকবে ... আমি বরং যখন দেখি পোলাপানের নাচানাচির অনুষ্ঠানে জাস্ট চিল বা ইয়া আলীর বদলে "তোর জন্য আমি বন্য" কিংবা "যাত্রাবালা" বাজায় আমার তখন ভালোই লাগে ...

[আরেকটা কথা, ড়্যাপটা শুনতে গিয়ে চিনতে পারলাম, দেশ ছাড়ার আগেই কোথাও শুনেছিলাম, ভাল্লাগে নাই, তাই আর শুনি নাই ... যাদের ভালো লাগে তারা শুনুক, কেউ পর্ন দেখতে চাইলে আমার কি, বয়স বাড়লে হয়তো আর দেখবে না ...]

................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

রায়হান আবীর এর ছবি

ফুয়াদের কিছু গান আমার খুব ভাল লাগে। আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে আনিলার "ঝিল মিল ঝিল মিল ঢেউ", কয়েকদিন আগে একটা শুনলাম "আরেফিনের" গাওয়া ফুয়াদের কম্পোজিশনে "বিবাগী এই মন নিয়ে"। অসাধারণ। তাছাড়া নিটোল পায়ে তো আছেই।

তপু ভাইয়ের গলায় অটো টিউনার মারায় ফুয়াদের উপর আমার বিশাল রাগ এখন।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

অতিথি লেখক এর ছবি

নব্বইয়ের দশকে কত ব্যান্ডই তো ছিল - মাইলস ফিডব্যাক রেনেঁসা থেকে শুরু করে ডিফরেন্ট টাচ নোভা প্রমিথিউস আগুন ফাগুন কত কি। অথচ সেই ব্যান্ডের গান কয়টাই বা বেঁচে আছে এখন, আর কেই বা শোনে।

ভাইরে, দিলে দুম করে একটা বারি দিলেন! এখনো যত কনসার্ট হয়, সেসব দিনের জনপ্রিয় গানগুলোই ঘুরেফিরে আসে। আমি এখনো সেসব গান শুনি।

ফেরারী ফেরদৌস

খেকশিয়াল এর ছবি

এইখানে লং-টার্ম বিচার করাই শ্রেয়। যা কালের বিচারে উৎকৃষ্ট, তা টিকে থাকবে, যা কালোত্তীর্ণ নয়, তা ক্ষণিকের আনন্দ দিয়ে পরক্ষণেই হারিয়ে যাবে।

এইটাই আসল কথা মুস্তফী ভাই । নমস্কার ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

এক্সপেরিমেন্টের মধ্যেও একটা ক্লাস থাকতে হয়। আর যে এক্সপেরিমেন্ট করে তার থাকতে হয় একটা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ের মেধা। শুধু মাত্র ভয়েস সিন্থেইজার কিংবা রিভার্ব ইফেক্ট দিয়েই গান হয় না। এসব ইফেক্ট অর্নবও ব্যবহার করেন, কিন্তু তিনি এর বাইরেও জানেন কিভাবে অর্ধ ঝাপতালকে ব্যবহার করতে হয়।

তাই হাবিব তার কদাকার গলার দুর্বলতাকে ঢাকার জন্য যখন বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্য নেন, শুধু হাসিই পায়। একজন ফুয়াদ যখন "পীরিতের কেথা" দিয়ে শ্রোতা কে "জাইত্যা ধইরা মাইরালান", সেটাও হাসির উদ্রেক করেন।

যার মেধা আছে, নিষ্ঠা আছে এবং ডেডিকেশন আছে শুধু তারাই টিকবেন, বাকিদের ঝড়ে পড়া শুধু সময়ের ব্যাপার।

আরেকটা কথা, শচীণ কর্তা বেঁচে থাকলে মনে হয় ফুয়ায়দের কাছে ২ হাত জোড় করে মাফ চাইতেন।
-------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

দ্রোহী এর ছবি

এক্সপেরিমেন্টের মধ্যেও একটা ক্লাস থাকতে হয়। আর যে এক্সপেরিমেন্ট করে তার থাকতে হয় একটা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ের মেধা। শুধু মাত্র ভয়েস সিন্থেইজার কিংবা রিভার্ব ইফেক্ট দিয়েই গান হয় না।

কোপা শামসু। যা কইছেন একেবারে — খাপে খাপ মইজুদ্দির বাপ।


কি মাঝি? ডরাইলা?

খেকশিয়াল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি মইজুদ্দির বাপ কেঠা

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দ্রোহী এর ছবি

কেঠায় আবার? যদ্দুর সম্ভব মইজুদ্দির মার স্বামী। অবশ্য পাশের বাড়ীর ভদ্রলোকও হতে পারেন। ডিএনএ টেস্ট করা ছাড়া কিভাবে বলি?


কি মাঝি? ডরাইলা?

খেকশিয়াল এর ছবি

পাশের বাড়িতে ফুয়াইদ্দা থাকবার পারে, শিগগরি টেস্ট করেন !

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

হিমু এর ছবি

ভূতোদা কি ভূতের রাজার কাছ থেকে পানিপড়া খেয়ে এসেছেন নাকি? কয়েকদিন ধরে যা ঝাড়ছেন না!


হাঁটুপানির জলদস্যু

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এক্সপেরিমেন্টের মধ্যেও একটা ক্লাস থাকতে হয়। আর যে এক্সপেরিমেন্ট করে তার থাকতে হয় একটা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ের মেধা। শুধু মাত্র ভয়েস সিন্থেইজার কিংবা রিভার্ব ইফেক্ট দিয়েই গান হয় না।

ঠিকাছে ...

যেমন হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ লেখাই ফালতু ... এখন কথা হচ্ছে যে যেটা করতে চায় ... কেউ যদি সারাজীবন চানাচুর খাইতে চায় তারে আপনি জোর করে পোলাও-কোর্মা খাওয়াবেন কেমনে?

কেউ যদি ভয়েস সিন্থেইজার কিংবা রিভার্ব ইফেক্ট দিয়ে গান (অথবা গান না, অন্য কিছু) বানাইতে চায় আর কেউ যদি সেটা শুনে আনন্দ পায় তো আমি-আপ্নি কি করতে পারি? বড়জোর সেটা না শুনতে পারি ... সংগীতের স্কেলে সেটার জায়গা কোথায় সেটা সময়ই ঠিক করবে ...

................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

সবজান্তা এর ছবি

ঠিক কথা।

দ্যাখেন সস্তা জনপ্রিয়তার কদর থাকতে থাকতে লাইন থেকে সরে আসতে হয়।

ধরেন হাবিব, প্রথম দিকের অ্যালবামগুলি যত হিট করেছিল, একদম শেষেরটা কি ততটা হিট করেছে? আমি যতদূর জানি করেনি। আগের অ্যালবামের গানগুলি প্রায়ই মানুষের মুখে মুখে শোনা যেত, শোনা যেত পথে ঘাটে, কিন্তু একদম নতুনটার গানগুলি আমি অন্তত তেমন ভাবে শুনিনি এখন পর্যন্ত।

এক ঘেয়ে যন্ত্রের স্বর শুনতে শুনতে মানুষও একদিন টের পাবে এর একঘেয়েমি। ফুয়াদ যেভাবে হাবিবের ভাত মেরেছে কিছুটা, তেমনি সামনে আরো কেউ আসবে যে ফুয়াদেরটা মারবে। এভাবে চলতেই থাকবে, আর এদের কাউকেই মানুষ ইভেনচুয়ালি আর খেয়াল রাখবে না।

তাই সময় থাকতে আসলে সরে আসা উচিত কিংবা স্টাইল পরিবর্তন করা উচিত। একটা ফালতু অ্যানালজি মনে পড়ছে। সাম্প্রতিক কালে বলিউডে খোলামেলার জোয়ার তুলেছিলেন কিন্তু বংগ ললনা বিপাশা বসু। তিনি তার ক্রেজটাকে তুলে সময় মত লাইন পরিবর্তন করে ফেলেছেন কারন তিনি বুঝেছিলেন যে শরীর দেখানোর এই খেলা টিকবে না। কিন্তু তার দেখা দেখি এই লাইনে এসে, শুধু মাত্র প্রদর্শন করেও টিকতে পারননি মল্লিকা শেরওয়াত কিংবা আরো নায়িকারা।

যা টেকার না, সময় তাকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাঁগাড়ে ছুড়ে মারে।
------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

নিঝুম এর ছবি

যেমন হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ লেখাই ফালতু

কেম্নে ???কি কং ভাই? একটু বুঝাইয়া বলবেন??
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

সরি বস, এম্নে বলা ঠিক হয় নাই, হুমায়ূনের শুরুর দিকের অনেক উপন্যাস/ ছোটগল্প/ স্মৃতিচারণ আমারও দারুণ পছন্দের, কিন্তু ওর গত কয়েক বছরের লেখাগুলি পড়ে মেজাজ খারাপ হইছে ... বলার সময় সেইটাই বের হয়ে গেছে ...

লাইনটাকে যদি এভাবে লিখি "হুমায়ূন আহমেদের গত কয়েক বছরের বেশিরভাগ লেখাই ফালতু" তাহলে কি আপত্তি করবেন?
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

নিঝুম এর ছবি

নাহ্‌ তাইলে আপত্তি নাই। এইক্ষেত্রে আমি চাইলে বইগুলার নাম দিয়েও আপনাকে সাহায্য করতে পারব। হা হা হা...

যেমন ধরেন...হিমু রিমান্ডে বা হলুদ হিমু কালো rab. আবার কালজয়ী দুইটা উপ্ন্যাসও লিখা ফালাইসে মধ্যাহ্ন১,২।
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আসলে মধ্যাহ্ন বের হওয়ার পর শুনছিলাম ঊনিশ শতকের পটভুমিতে লেখা, মাথার মধ্যে নিজের অজান্তেই "সেই সময়" আর "প্রথম আলো" চলে আসছিল, সেজন্যেই মনে হয় মধ্যাহ্ন আমার কাছে কালজয়ী মনে হয় নাই ... সমসাময়িক হুমায়ূনের অন্যগুলির চেয়ে অবশ্য অনেক অনেক ভালো ...

তবে "জোছনা ও জননীর গল্প"টা আসলেই দারূণ লাগছে ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

রায়হান আবীর এর ছবি

"জোছনা ও জননীর গল্প" বেশী জোশ।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আর শাওনকে নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে যে বইটা লিখেছে সেটা পড়লে ছিরে ফেলতে ইচ্ছা করে। ঐ বই এ তাদের হাস্যজ্জল একটা ছবি দিয়ে লিখেছে "এই ছবিটা দেখলে কেউ কি বুঝবে আমরা মাত্র ঝগরা করেছি"। আরো একটা শাওন এর ছবি কোনও এক সুন্দর জাগায়, দিয়ে লেখা নায়িকাদের নাকি এক প্রবলেম ক্যামেরা ছারা নাকি অন্য কোথাও তাকাতে পারেনা। উফফফ গা জ্বলে যায়।
-----------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

নিঝুম এর ছবি

আহারে!!বেচারা হুমায়ুন।বউরে নিয়া দুই একটা কথা কইলো।কেউ সহ্য করতে পারে না...
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

খেকশিয়াল এর ছবি

আমার বড় বোনের হুমায়ুন-শাওন নিয়ে একটাই কথা 'ওগরে দেখলেই আমার মেজাজটা খারাপ হইয়া যায় !! মনে হয় কেউ আমারে ঝাড়ু দিয়া পিটাইতাসে !! '

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মুশফিকা মুমু এর ছবি

মেয়ের বয়সি মেয়েকে বিয়ে করবে তারপর আবার তাকে নিয়ে ঢং এর বই ও লিখতে হবে?
----------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

খেকশিয়াল এর ছবি

হিহি মানুষে তো কত হাবিজাবি খায় মদ, গাঁজা, চরস, ভাং, ডাইল, হিরুইন, আবার পেপারে না কই পড়লাম ঘোড়ার কি ইঞ্জেকশন ও নাকি নেয়, টায়ার পোড়াইয়া গন্ধ শুঙ্গে, পাউরুটি দিয়া জাম্বাক মিলায়া খায়, আমি খালি ভাবি এই হনুমান থুরি হুমায়ুন কি খাইসিল যে এই কামটা করল ইয়ে, মানে...
-----------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নিঝুম এর ছবি

প্রিয় মুশফিকা মুমু,
বিয়েটা তো একজন মানুষের সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত ব্যাপার। হুমায়ুনের লেখার সাথে এর সম্পর্ক কি? আর প্রেমের আবার বয়স কি? প্রেম তো এইসব বাছ-বিচার করে না। হুমায়ুন তো ইচ্ছা করলে শাওন কে ছেড়ে তার ইমেজ রক্ষা করার চেষ্টা করতে পারত। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন ভালো মানুষ আর ভালোবাসেন বলেই করেন নাই। কারো ব্যাক্তিগত ব্যাপারের সাথে তার কাজ কে না মিলানোই ভালো ।
আমার নিজের অভিমত জানালাম ।আপ্নি মনে কিছু নিবেন না।

---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

রেনেট এর ছবি

হুমায়ুনের অন্ধভক্ত নিঝুম, প্রেমের কোন বয়স নেই, এবং বিবাহিত স্ত্রী রেখে মেয়ের বান্ধবীর সাথে প্রেম, দুটো একই পর্যায়ে বোধহয় ফেলা যায় না। হুমায়ুন ব্যক্তিগত জীবনে কি করলো তাতে আমার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু তার লেখার মান সত্যিই শূণ্যের কাছাকাছি নেমে এসেছে। আমি নিশ্চিত, হুমায়ুন ভক্ত যারা, তারা সবাই হুমায়ুনের পুরানো বইগুলোর জন্যই ভক্ত। নতুন হাবি জাবি লেখার জন্য নয়।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

উফফফ গা জ্বলে যায়।

মুমু আপা, আস্তে কন্‌! নাইলে আপনারে শাওনের সতীন ভাববার পারে!

ফেরারী ফেরদৌস

মুশফিকা মুমু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
কি আর বলব, হুমায়ুনের বই পাগলের মত পড়তাম, সেই নীল হাতি থেকে শুরু .... আর এখন মনেহয় .... থাক আর বললাম না।
------------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অনিন্দিতা এর ছবি

আমার কথা হচ্ছে আজকের সময়ের ছেলেমেয়েরা যদি ক্রমাগত গানের নামে এসব জঘন্য , অশ্লীল বিষয় শুনতে থাকে, ভাল গানগুলো না শোনে বা তাদের শোনানোর উদ্যোগ না নেওয়া হয় তাহলে তাদের গান শোনার রুচিটা কিভাবে তৈরী হবে?মিডিয়া সহ স্পন্সররাও তো ওদের সাথে তাল দিচ্ছে। তাহলে রবীন্দ্র,নজরুল সহ পঞ্চকবি কি মুষ্টিমেয় শ্রোতার কাছেই আটকে থাকবেন?

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

ভয় পায়েন না ... আমার গান শোনা শুরু হইছিল হিন্দি "বাজিগার ও বাজিগর" আর "ওলে ওলে" দিয়ে ... আজকে আমি এ আর রাহমান ছাড়া আর কোন হিন্দি গান শুনি না ... আর বাংলা ফুয়াদ-হাবিবও শুনি, অর্ণব-কৃষ্ণকলি-প্রেয়ার হল-তান-মেঘদলও শুনি, জেমস-বাপ্পা-অঞ্জন-মৌসুমি ভৌমিক শুনি, আবার রবীন্দ্রও শুনি ... ইংলিশেও তাই, এককালে ব্রিটনি-ভেংগাবয়েজ শুনতাম, তারপরে ব্রায়ান এডামস-জর্জ মাইকেলদের পার হয়ে কর্স-ইভানেসেন্স-মিটলোফ-ইউটু-নোরা জোন্স-জন ডেনভার, তারপরে ইয়ান্নি-কেনিজি-এনিগমা-ব্ল্যাকমোর্স নাইট-এনয়া-স্যাট্রিয়ানি-ভেনেসা মোয়ি, আবার সময় সময়ে লিংকিন পার্ক-ফোর্ট মাইনর, এমনকি রামস্টেইন আর সিস্টেম অফ দ্য ডাউনও ... কিভাবে কিভাবে জানি সবই ছোঁয়া হয়ে যায় ...

কাজেই জোর করে শোনানোর কিংবা না শোনানোর কিছু নাই, আপনি আপনার মত শুনবেন, এই প্রজন্ম দেখবেন ঠিকই একদিন পাশে দাড়ায়ে শুনতেছে ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

রায়হান আবীর এর ছবি

ঠিক...ঠিক।

নিঝুম এর ছবি

আচ্ছা সবাই মনে হয় বালাম রে ছাইড়া দিল
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আপ্নে শুরু করেন ... বালাম কেমনে বাংলা গানের সর্বনাশ করতেছে দেঁতো হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

রায়হান আবীর এর ছবি

আসলেই বালাম রে নিয়া পুস্টানো দরকার। এতো বস একটা পাবলিক কয়েকদিন ধইরা বেশী তপড়াইতেছে। গান শুনলে মরে যাওয়ার শখ হয়।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

বালামের প্রথম এলবামের কিছু গান বেশ ভালোই। গানের কথাও ভালো সুরও ভালো। ওর কান্না কান্না গান ভালোই লাগে হাসি কিন্ত ওপরের পোষ্টে কে যেন বলল এক ঘেয়েমি হয়ে গেলে বাজার থাকবেনা। ওর দ্বিতীয় এলবাম মনেহয় তেমন ভালো হয়নি কারন নতুন কোনও চেইন্জ আসেনি।
----------------------------- -------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

নিঝুম এর ছবি

না না আমি বলি কেম্নে??আমার বউ তাইলে...খামাখা ঝামেলায় পইড়া লাভ টা কি বলেন???
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অতিথি লেখক এর ছবি

হে বীর, হও আগুয়ান !

ফেরারী ফেরদৌস

অনিকেত এর ছবি

প্রথমেই সকলকে ধন্যবাদ, তাদের মন্তব্যগুলোর জন্য।

কিছু মন্তব্য, আমার নিজের পক্ষ থেকেঃ

------- ফুয়াদের 'নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক' গানটা আমি মৌলিক মনে করেছি এই জন্য যে, গানটাতে শচীন কর্তার কিছু গানের('নিটোল পায়ে' এবং 'তুমি এসেছিলে পরশু') কিছু লাইন ব্যবহৃত হলেও মোটের ওপর গানটার লিরিক্স ভালো। পুরো গানটা শচীন কর্তার না হলেও এই মিশ্র লিরিক্সের নুতুনত্বকে আমার ভালই লেগেছে। আর শুধু নিটোল পায়ে নয়---তার 'গঙ্গা' (উপলের গাওয়া),'মেয়ে', 'নবীনা' এমনকি বন্য এলবামের শীর্ষ সঙ্গীত 'তোর জন্য আমি বন্য' প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা। ফুয়াদের কাছে যদি আমার কৃতজ্ঞতার কিছু থাকে, তবে সেটা হবে কিছু নুতুন সম্ভবনাময় কন্ঠের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। উপল আর শান্ত , এই দুই কন্ঠ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে উপলের। ভদ্রলোক কেবল ভাল গান করেন তা নয়, চমতকার গান ও লিখেন। যতদূর জানি, ইনি এক সময়কার প্রখ্যাত শিল্পী প্রবাল চৌধুরীর সাথে সম্পর্কিত।

------ আলমগীর ভাই কে আবারো ধন্যবাদ তার গানটির উৎস সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি দেবার জন্য।

------ 'দ্রোহী' আসলেই বিদ্রোহ করতে পছন্দ করেন বলে মনে হল তার খাপ-খোলা মন্তব্য শুনে। দ্রোহীর মত শ্রোতা থাকলে আমার মনে হয়, ফুয়াদের দল নুতুন কোন কুকীর্তি করার আগে বার দশেক ভাববে। সেইটাই কম কি?

---- মুমু আপনাকে ধন্যবাদ একটি চমৎকার সংবাদ দেবার জন্য। আপনার কাছে কি কোন লিঙ্ক আছে? 'সুরের উত্তরসূরী' - এর?

---- রাগিব ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে আমি প্রায় একমত। হাবিব-ফুয়াদ-অর্নব নিশ্চিত ভাবে আমাদের দেশের ৫% থেকে ১০% লোকের প্রতিনিধিত্ব করে। মমতাজের নাগাল এদের চাইতে অনেক বেশি দূরে।ফুয়াদের দল ৫% শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করলেও বিপদটা হল, এই ৫% শতাংশ মিডিয়ার ৮০% দখল করে আছে। মমতাজ ক্যাসেট বিক্রী দিয়ে এদের যেকোন সময় কাত করে দিতে পারলেও মমতাজ ফুয়াদ---দু দলের Target Audience কিন্তু একেবারেই আলাদা। মমতাজের প্রথম দিককার গান গুলোর লিরিক্স ছিল ভয়াবহ। এমনকি সাম্প্রতিক কালে তার হিট 'বুকটা ফাইট্যা যায়' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য।

----বালাম তার Self titled এল্বাম দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন আমাদের সঙ্গীত ভুবনে। এলবামের প্রায় সব ক'টি গানের সুর প্রায় এক ধরনের (হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসের মত, একই গল্পের নিরন্তর আবর্তন)।কথা মোটামুটি ভালই। খুব সম্ভবতঃ আমাদের তরুন সমাজ এক দেশি 'আতিফ আসলাম' এর প্রত্যাশায় ছিলেন। বালাম তাদের নিরাশ করেন নি। প্রচন্ড 'আতিফ' প্রভাবিত গায়কী। গলাটা তার-সপ্তক ছুঁয়ে আসে ঈর্ষনীয় মসৃনতায়। বালাম সেটা জানেন, এবং সেটার বারবার প্রদর্শনীতে তার আপত্তি নেই। তার নুতুন এলবাম, তার বোন জুলির সাথে, একেবারেই সুবিধার হয়নি, শুনে আমার তাই মনে হয়েছে। দ্বিতীয় এলবামেই তার ক্লান্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

না নেই কিন্তু আমার এলবামটি আছে, আপনি যদি এলবামটি সংগ্রহ না করতে পারেন তবে আমি গানগুলো ইমেইল করে দিতে পারি হাসি
-----------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অর্নবের গান শুনলে মনে হয়- এই লোকটা চাইলে এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো কিছু করতে পারে।

হাবীব, ফুয়াদের গান কখনো শুনি নাই। কারো শুনছি তারা দুইজন নাকি গান গায় না। যন্ত্রকে দিয়ে গান গাওয়ায়। তাইলে আমি তাদের গান শুনব ক্যাম্নে।

বাংলা গান এত বেশি এত সমৃদ্ধ যে, হাবীব ফুয়াদকে নিয়ে আলোচনা করার চেয়ে এই কয়েক মিনিট হাসন রাজার একটা গান শুনে ফেললে ভালো হবে।

আসুন, যারা যন্ত্র দিয়ে গান গায় তাদের নিয়ে আলোচনা বাদ দিয়ে । অসাধারণ কিছু কণ্ঠ দিয়ে গান গাওয়া মানুষদের কথা আলোচনা করি।
ধরুণ নেত্রকোনার রশিদূদ্দিন বয়াতী, উকিল মুন্সী কিংবা সিলেটের বাউল সম্রাটকে নিয়ে আলোচনা করে একটু তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত এর ছবি

আলোচনা তো দেখি শ্যাষ। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে যে গান নিয়ে বাছবিচারের পর্যায়টা পার হয়ে এসেছি। সবাই আকাশ দেখে নিজের মাপে আর সব শিল্প সবার জন্য না। তাই রবিশন্কর যেমন দরকার, মমতাজ, আসিফ এদেরও দরকার আছে। খালি এটা মনে রাখা দরকার যে একজনের কাজ অন্যকে দিয়ে হয় না আর কলাগাছের ভেলা সাগরে ভাসায় লাভ নাই। ধুমাদ্ধুম পার্টিতে যেমন আমাকে চয়েস দেয়া হলে আমি বন্যকেই বেছে নিব, সেরম নিস্তব্ধ সন্ধ্যায় আমার আইপডে বাজবে রবিবুড়ো অথবা বিলায়েত খানের রাগ ঈমন।

হিমু এর ছবি

এই বিশেষ রাগের ওপর আসক্তির কারণটা কী? হোয়াই নট রাগ পিলু হাসি?


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমিত এর ছবি

লেখার পরই আমার মনে হইছিল পুরান পাপী কিছু লুক এবার লড়াচড়া শুরু করব।
চল আমরা একলগে বইসা রাগ পিলু +রাগ ঈমন শুইনা দেখি ক্যামন লাগে।

হিমু এর ছবি

কে এক আদিপাপী সেদিন বললো যে কোথায় নাকি সে রাগ মিশ্র পিলু ঈমন শুনে আসছে। আসলেই, ওস্তাদরা যখন বাজান তখন যে কত কারুকার্য হয়!

তুই কি আমারে চামে পাপী ডাইকা গুনাহ কামাইলি?


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমিত এর ছবি

আল্লাহর দুনিয়ায় গুণাহর দাম কি এতই কম হয়া গেল ? ইকোনমির অবস্থা দেখি আসলেই বেড়াছ্যাড়া !

হিমু এর ছবি

হ, যেই হারে পাবলিক ভুলভাল রাগ শোনে ওয়াজ ফালাইয়া ...


হাঁটুপানির জলদস্যু

শাহীন হাসান এর ছবি

ভাল-লাগলো সবার আলোচনা। সংগীত নিয়ে আমার নিজেরও যথেষ্ট আগ্রহ আছ। এর সহায়ক হিসেবে যোগ হলো আপনার
লেখাটি...
অনিকেত।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ শাহিন ভাই।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

খুব ভাল পোস্ট। মনের কথা বলে দিলেন। সময়াভাবে বেশি কিছু লেখা হয়ে ওঠে না এইসব ব্যাপারে। আপনার পোস্টের পর তার প্রয়োজনও নেই আর। সাথের মন্তব্যগুলোও বেশ উপযোগী।

সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসে, নবীন-প্রবীনে দ্বন্দ্ব হয়। প্রবীনেরা পছন্দ করে না দেখেই নবীনেরা পছন্দ করে, এমন হয় অনেক। ঊল্টোটাও। তবে 'কালচারাল স্টেডি-স্টেট' কিন্তু সব সময় মোটামুটি একই রকম ছিল সব সময়। প্রশ্ন হল, মূল্যবোধের সেই টেকটনিক প্লেটগুলো সরে যাচ্ছে কিনা।

হাবীবের নামের পাশে কৃষ্ণই টিকে থাকবে, "আম্মার প্রেম" নিয়ে গাওয়া নিত্যনতুন গানগুলো না। সে যে বসে আছের আবেশ অর্ণবের নামে সাথে সাথে থাকবে সব সময়। সংস্কৃতির প্রয়োজনীয় আধুনিকায়নেরই অংশ ছিল সেগুলো।

পূর্বের সময়গুলোয় চটকদার গানগুলো শ্রোতাসমাজের সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তা ও সংস্কৃতিমনস্কতার কাছে কুপোকাত হয়েছে। আবেগ ও মুগ্ধতার গতি-জড়তায় অনেক অখাদ্যও পেটে চলে যায়, তবে কালের পরীক্ষায় সেগুলো কোনদিনই উত্তীর্ণ হয়নি।

সমস্যা হল, আগের যুগগুলো তাৎক্ষণিক আনন্দের ছিল না। আমাদের সামগ্রিক মূল্যবোধগুলোও তাই আগের মত নেই। হয়তো সে-কারণেই ঠাকুরের আমলের বাঈজীমহলের গানের চেয়ে এ-যুগের ভরা মজলিশের গান নিয়ে চিন্তা বেশি।

-------------------------------------
হারে রে রে রে রে আমায় রাখবে ধরে কে রে?

অনিকেত এর ছবি

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

fmsiub এর ছবি

'সুরের উত্তরসূরী' --->

http://www.shopnil.com/banglasong/index.php?p=Album%20Mixed%2FSurer%20Uttorsuri

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আরেহ দেঁতো হাসি অনেক ধন্যবাদ fmsiub দেঁতো হাসি
------------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অয়ন এর ছবি

বেশীরভাগ কথাই বুঝি নাই। কারণ যেই গানগুলা নিয়া আলোচনা হইলো তার মধ্যে "সোনা" বন্ধু ছাড়া আর একটা গানও "সোনা" হয় নাই ।

অতিথি লেখক এর ছবি

মুশফিকা মুমু লিখেছেন:
আরেহ দেঁতো হাসি অনেক ধন্যবাদ fmsiub

সুরের উত্তরসূরী
আপনাদের কথা শুনে আর লিংক দেখে কয়েকটা গান শুনলাম।
আগুনের প্রথম গানটা সুন্দর। ফাহমিদার গান অজানা কারনে আমার ধাতে সয় না। সবচেয়ে দুঃখের কথা, এত শিল্পী সমৃদ্ধ এলবামে একাধিক গানে গলার সাথে গানের টিউন মিলেনি। একাধিক গানের বেইজ পুরো অফ নোট!

ছোট মুখে বড় বড় কথা বলে ফেললাম।

আলমগীর/বাংলাকর্ড

মুশফিকা মুমু এর ছবি

বলেন কি আপনি অ্যাঁ খুব মন খারাপ লাগল শুনে মন খারাপ
আমার কিন্তু আগুনের গানটাই একমাত্র ভালো লাগেনি। আর ফাহমিদার গানটা আমার অনেকগুলোর মাঝে প্রিয়। টিউন মিলেনি একথায় একমত হতে পারলাম না ...
----------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অনিকেত এর ছবি

সকল কে অনেক ধন্যবাদ।

---মুমু এলবামটি পাঠিয়ে দেবার আগ্রহ প্রকাশ করার জন্য আবারো ধন্যবাদ। এই বার আপনি 'ফসকে' গেলেন, পরের বার আপনাকে ধরব।

----গানটার লিঙ্ক পাঠানোর জন্য আলমগীর ভাই কে ধন্যবাদ

ফাহমিদা'র গান অনেকেরই শুনেছি ভালো লাগে না। আমার
তার গান কিন্তু খারাপ লাগে না। কিন্তু সমস্যা হল, ফাহমিদা খুব সংকীর্ন একটা গলিতে ঘোরা ফেরা করেন। খুব বড় রাস্তায় তাকে চলতে দেখি না। খুব সম্ভবতঃ তাঁর নিজের স্বস্তির ব্যাপার জড়িত। তাঁর বোন সামিনা খুব সম্ভবতঃ তার চেয়ে জনপ্রিয় কিন্তু দুজনের স্বরচারিত্র(Timbre) প্রায় এক রকম। সামিনা অনেক বেশি 'আশা ভোসলে' প্রভাবিত। সে খারাপ না। খারাপ লাগে তখন, যখন গায়নরীতি অনুসরন করতে করতে তিনি আশার উচ্চারন রীতিও অনুসরন করা শুরু করেন।

ফাহমিদার 'চারটা দেয়াল,হঠাৎ খেয়াল' এলবামটা আমার বেশ লেগেছে। ভালো লেগেছে বাপ্পা'র সাথে করা এলবামটাও। বিশেষত 'ঘুমের গল্প' গানটাতে। ফাহমিদার কন্ঠ এই টাইপের গানে অসাধারন শোনায়।

আর আমার মনে হয়, ফাহমিদা এইটা ভালো করেই জানেন।

ovaga এর ছবি

আলমগীর ভাইয়ের পোস্টটা গেল কই?!?

নিঘাত তিথি এর ছবি

পোস্টটা এবং মন্তব্যগুলো একসংগে আজ পড়লাম। ভালো লাগলো। আমি সব গানই শুনি, মানে যা হাতের কাছে পাই। স্বাভাবিকভাবেই ভাল্লাগলে কোন বাছ-বিচার করি না, এমনিতেই মনের মধ্যে টিকে যায়। নাইলে নাই। সুবিনয় মুস্তফীর মন্তব্যর সাথে পুরোপুরি একমত, যা বলতে চাই তার সবই তিনি বলে দিয়েছেন। পরে কিংকর্তব্যবিমূঢ়, সবজান্তা, ইশতিয়াক রউফ সবার মন্তব্যেই খুব দারুণ কিছু বিষয় উঠে এসেছে।

দ্রোহী ভাইকে ফুয়াদের "নিটোল পায়ে" গান সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানাতে ইচ্ছা হচ্ছে। এটা মোটেও বাজে মন্তব্য নয়! এরচাইতে খারাপ যদি কিছু থাকে তেমনটাই অনুভূতি হয়েছিলো আমার শুনে। পার্থও শচীনকর্তার গান করেছিলো কিছু (নিটোল পায়ে সহ), খুব সততার সাথে সে চেষ্টা করেছিলো সুর অবিকৃত রাখতে। তাকে অভিনন্দন।

সুবিনয় মুস্তফীর মন্তব্যে মাকসুদের রবীন্দ্রসংগীতের প্রসংগে একটু বলি, ওই সময় বিশ্বভারতীর কপিরাইট আইন ছিলো বলেই কিন্তু রবীন্দ্রভক্তরা এত বেশি হম্বিতম্বি করতে পেরেছিলেন। এখন সেই আইন নেই, এখন কিন্তু রবীন্দ্রসংগীতেরও র‌্যাপ হচ্ছে (হায় ধরনী দ্বিধা হও)!!! এখন কিন্তু হা-হুতাশ করা ছাড়া কেউ কিছু বলতে পারছে না। এখানেও সেই একই কথা খাটে, প্রত্যেকেই নিজ নিজ মাপের আকাশ দেখবে, এই তো।

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

হিমু এর ছবি

বহুৎ হইসে! আর না! সচলেরা, থোন এইসব হেবো-ফুদুরে ফালাইয়া। সচলে কে কে গান গাইতে পারেন হাত তোলেন। আমরাই একখান অ্যালবাম বাইর করুম। গান লিখবেন সবুজ বাঘ, সুর করবেন কোয়ল্ন ঘরানার বিখ্যাত ওস্তাদ গোধূল ধূসর খান, গুঁতা দিলে গীটারিস্ট বাইর হইবো সাত-আটজন। অ্যালবামের নাম হবে গাতকায়তন। আগ্রহী গায়কগায়িকারা চার লাইন কইরা গান গাইয়া পাঠান আমারে অডিশনের জন্য।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অনিকেত এর ছবি

আইডিয়াটা মন্দ না!

অতিথি লেখক এর ছবি

একটি অনলাইন বাংলা ফোরামে অন্তাক্ষরী(বাঙালীতো, তাই হিন্দিতে বলে আন্তাকসারি) খেলা চলছে। সেখানে অজাচারিত ক'লাইনের মাঝে শচীনকর্তার দুলাইন সেঁধিয়ে তাকেই মূল গান ধরা হয়। ক্ষীণ প্রতিবাদের বিপরীতে শিরা-ফোলানো কায়দায় ফুয়াদ-সঙ্গীতের মৌলিক অস্তিত্ববানতা, ভালত্ব ও প্রিয়তার কুযুক্তির নর্তন চলে। ওগুলো "খুব্বি প্রিয়" আর শচীন দেব বর্মণরা "সবই মায়া"। দ্রোহীকে বড় প্রয়োজন ওখানে।

নুশেরা তাজরীন

আলমগীর এর ছবি

হিমু লিখেছেন:
আগ্রহী গায়কগায়িকারা চার লাইন কইরা গান গাইয়া পাঠান আমারে অডিশনের জন্য।

ভাই
রিমিক্স দিমু না অরিজিনিয়াল কিচ্ছু দিতে হইব?

আলমগীর

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।