সচলায়তনে আমি এখনো যন্ত্র সঙ্গীতের উপর কোনো পোষ্ট দেখিনি। অন্ততঃ বিগত এক বছরে এ রকম কোন পোষ্ট চোখে পড়ে নি।
তাই ভাবলাম আমার এই গানটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই।
খুব সহজ একটা Techno Beat এর উপর এই গানটা কম্পোজ করা। মিশ্র ভৈরবীতে। সন্তুর আমার বড় পছন্দের যন্ত্র। আমার খুব শখ ছিল এই যন্ত্রটি বাজাতে শেখার।আমাদের দেশে এমনিতেই যন্ত্র সঙ্গীতের কাহিল অবস্থা। টেলিভিশনে 'রাগ রঙ' অনুষ্ঠানটি নিয়মিত উপহাসের বিষয়। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় রাতে হলের টিভি রুমে একবার 'রাগ রঙ' দেখছিলাম( তখন suicidal ছিলাম কি না, কে জানে!!!)। কাহিনীর পরের অংশটুকু আমার জন্যে তেমন সম্মানজনক নয়। এইটুকু শুধু বলি বহুদিন টিভি রুমে যেতে পারিনি। এই ধরনের নিদারুন 'উৎসাহ ব্যঞ্জক' পরিস্থিতিতে যখন দেখি কেউ স্রোতের প্রতিকূলে দাঁড়িয়ে ক্ল্যাসিকাল গানের সমজদার--- আমার বুকটা একেবারে ভরে ওঠে।
যাই হোক বলছিলাম সন্তুরের কথা। কাশ্মীরের এক তরুন প্রথম যখন এই যন্ত্রটি ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের আসরে নিয়ে আসেন, যথারীতি নানান উপহাস জুটেছিল। অবশ্য কিছু কিছু সমালোচনা আসলেই সঠিক ছিল। সন্তুরের মূল সমস্যা ছিল--- অন্যান্য তার যন্ত্রের তুলনায় (সেতার, সরোদ বা বেহালা) এতে মীড়ের প্রকাশ খুব সীমিত। তখন ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতে সেতার, সরোদ, বীণা, বেহালা, সারেঙ্গী, এস্রাজ আসর আলো করে আছে। একেক দিকপাল একেক যন্ত্রের
জগতে কুলধিপতি। নুতুন কোন যন্ত্রের হঠাত করে সেই 'অভিজাত' বলয়ে প্রবেশ--- খুবই কঠিন ছিল। তরুন শিবকুমার শর্মা কিন্তু হাল ছাড়েন নি। তাঁর অনলস সাধনায় সন্তুর এখন মার্গীয় যন্ত্র সঙ্গীতের অন্যতম জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র। শুধু তাই নয় অন্ত্যন্ত বিনয়ী, মুখ চোরা
অন্তর্মুখিন এই মানুষটি আজকের বিশ্বে ভারতীয় ক্ল্যাসিকাল সঙ্গীতের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। পন্ডিত শিবকুমার শর্মার হাত ধরে সন্তুর যে কোন সময় যেকোন স্থানে নামিয়ে আনতে পারে সাত সাতটি অমরাবতী। মানুষের বুকের অন্তর্লীন ঝরনাটিকে পন্ডিত শিবকুমার শর্মা তার সন্তুরের তারে বেঁধে নিয়েছেন।
আমার প্রবল বাসনা সত্ত্বেও এই জিনিসটি আর শেখা হয়নি--- যেমন পুরন হয়নি আমার আরো সব আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন। আমার সৌভাগ্য বলতে হবে---বর্তমান যুগের প্রযুক্তি পারঙ্গম বিশ্ব আমার সে সাধ আংশিক হলেও পূরন করতে পেরেছে। আমি Midi keyboard এর সহায়তায় আর কিছু প্রথম সারির software এর কৃপায় একটু আধটু সন্তুর বাজাতে পারি! এই গানটিতে আমার সেই সদ্য শেখা বাজনার কিছু নমুনা পাবেন। আমার খুব ভালবাসার এই জিনিস আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে মন চাইল।
গানটি, আগেই যেমন বলেছি, মিশ্র ভৈরবীতে নিবদ্ধ। খুব সম্ভবত সকলের সবচাইতে পছন্দের রাগ এই ভৈরবী। রবীন্দ্রনাথ তার 'ছিন্ন পত্রাবলী' তে লিখেছিলেনঃ " পৃথিবীর যে ভাবটা নির্জন, বিরল,অসীম সেই আমাদের উদাসীন করে দিয়েছে। তাই সেতারে যখন ভৈরবীর মিড় টানে আমাদের ভারতবর্ষীয়
হৃদয়ে একটা টান পড়ে।"[i]
কিঞ্চিত Fusion এর ছায়া পাওয়া যাবে---confusion না হলেই বাঁচি। কেমন লাগল, জানাবেন।
-----------
গানঃ 'নুতুন দিনের গান'
সুর ও সঙ্গীতায়োজন --- অনিকেত
পুনশ্চঃ
অনেকে হয়ত শুনতে পারছেন না গানটি। আমি এখন download এর option দিয়ে রেখেছি। চাইলে নামিয়ে নিয়ে শুনতে পারেন।
মন্তব্য
বাহ! আপনি দেখি দারুন মিউসিশান
অসাধারণ লাগল, অসাধারণ! *****
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ধন্যবাদ মুমু
Bhai eita to pura joshila!!!!
Music er kissu bujhina, somojhdar hoyto noi, kintu darun laaglo... keep it up.
ধন্যবাদ। আপনার নাম কিন্তু আরো বেশি 'জোশিলা'
আশা করছি খুব শিগগীর 'সচল' আনি হয়ে যাবেন।
ভাল থাকবেন।
আজকাল উচ্চাংগ সংগীতের খড়া চলছে। মনে আছে দেশে একবার কোন এক টিভি চেনেলে ১৫ মিনিটে তিনটি রাগ শুনেছিলাম! রাগের এত অবহেলা দেখে একটু কষ্ট পেয়েছি বৈকী!
আজকাল লোকের হাতে না আছে শেখার সময় না আছে শোনার সময়! ৫ মিনিটেই পেশাদারী শিল্পীকে আধা তালে আহীর ভৈরবী গাইতে হয়েছে।
রাগের আলাপ, চলন, জালা এত কম সময়ে বেধে দিলে রাগ দম নেবে কখন!
সন্তোরের বিশেষ সমস্যা গমকে। আমাদের গানে গমক না থাকলে কেমন যেন নিরামিশ লাগে!
শর্মাজীর সাধনায় হয়তো পাশ্চাত্যের পিয়ানোর সরলিকী সন্তর অনেকের শ্রুতি গোচর হয়েছে। কিন্তু হারমোনিয়ামের মত আমাদের বৈঠক খানায় শোভা পাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।
আপনার চেষ্টাটি ভাল লেগেছে।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ পুতুল। আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত হয়ত নই। সন্তুরের প্রথম দিককার রূপ আর এখনকার রূপের মাঝে অনেক তফাত। শিবকুমার শর্মার অক্লান্ত পরিশ্রমে সন্তুরে এখন মীড়ের কাজ কিছু উঠে আসলেও অন্যান্য String Instrument এর তুলনায় কিন্তু এখনো অনেক পিছিয়ে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল---সন্তুরের বিবর্তন ঘটছে। কাজেই হয়ত সামনের দিন গুলিতে আমরা আরো একটু পরিশীলিত সন্তুরের দেখা পাব।
হারমোনিয়ামের সাথে সন্তুর বেচারা কোন ভাবেই তুলনীয় নয়। হারমোনিয়ামের সর্বব্যপী জনপ্রিয়তার মূল কারন কিন্তু দুটো----- বহুদিন ধরে আমাদের সঙ্গীত জগতে অবস্থান, সে তুলনায় সন্তুর তো দুধের শিশু। আর দ্বিতীয়ত হারমোনিয়াম বাজানোর জন্য আপনাকে কুশলী শিল্পী না হলেও চলবে (তার মানে অবশ্য এই না যে আমি বলছি হারমোনিয়াম বাজানো শেখার কিছু নেই)--- সে তুলনায় সন্তুরের জন্য আপনাকে রীতিমত কাঠখড় পুড়িয়ে সাধনা করতে হবে। ঠিক একই কারনে অন্যান্য তার যন্ত্রও কিন্তু হারমনিয়ামের জনপ্রিয়তা পায়নি।
আমার আরো মনে হয়, যুগের পরিবর্তন আমাদের সঙ্গীত রসাস্বদনে বিরাট ভুমিকা রাখে। আপনি যেমনটা লিখেছেন--- আমাদের থির হয়ে বসে শোনার সময় কই। সেই সাথে MTV তে কোন জনপ্রিয় শিল্পীকে গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে গান গাইতে দেখা যায় না----তার বদলে তার গলায় ঝুলছে গিবসন গিটার। এরই সুদুরপ্রসারী
প্রতিক্রিয়া হিসেবে এখন আমাদের দেশে ঘরে ঘরে গিটার বাজিয়ে বেড়ে উঠছেন। হারমোনিয়াম আশ্রয় নিচ্ছে ঘরের ধুলো ঠাসা কোনটিতে।
"আমার আরো মনে হয়, যুগের পরিবর্তন আমাদের সঙ্গীত রসাস্বদনে বিরাট ভুমিকা রাখে। আপনি যেমনটা লিখেছেন--- আমাদের থির হয়ে বসে শোনার সময় কই। সেই সাথে MTV তে কোন জনপ্রিয় শিল্পীকে গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে গান গাইতে দেখা যায় না----তার বদলে তার গলায় ঝুলছে গিবসন গিটার। এরই সুদুরপ্রসারী
প্রতিক্রিয়া হিসেবে এখন আমাদের দেশে ঘরে ঘরে গিটার বাজিয়ে বেড়ে উঠছেন। হারমোনিয়াম আশ্রয় নিচ্ছে ঘরের ধুলো ঠাসা কোনটিতে।"
ঠিক বলেছেন। বাদ্যযন্ত্রের দোকানে হারমোনিয়ামের চেয়ে গীটারই বেশী দেখা যায়। এক সময় হারমোনিয়াম বাদনের সুবিধার কারনে জনপ্রিয় হয়েছিল। গীটার সহজ নয় (অন্তত হারমোণিয়ামের তুলনায়) তবু লোকে বাজাচ্ছে। হয়ত যুগের পরিবর্তনের কারনে। কিন্তু দুটোই বিদেশী যন্ত্র, সন্তরের মত।
আজকাল বাউলরা বেহালা বাজায়, সারেঙ্গীর জটিল বাদন কৌশল কেউ শিখতে চায় না।
হয়তো আপনার কথাই ঠিক সন্তর জনপ্রিয় হতেও পারে। সন্তর-এ তাল রাখাটাও একটু সহজ। কারন তালে তালে তারের উপর টোকা দিতে হয়।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
শিরোনামে একটা টাইপো - শব্দটা "নুতুন" হয়ে গেছে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই।
ও আচ্ছা, অনিকেত! এখন মুজুদা বলছে 'নুতুন' টাইপো আর আপনিও ধন্যবাদ দিচ্ছেন, না? আর আমি যখন একবার 'নুতুন' নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম তখন তো উড়িয়েই দিয়েছিলেন
হে হে হে হে
কিন্তু জিনিসটা কেমন লাগল সেইটা তো বললেন না......
ফিউশন আমি শুধু পছন্দ করি বললে কমই বলা হবে, কারণ ইদানিংকালে যার কম্পোযিশন প্রায় প্রতিদিনই লাগাতার শুনে যাই সে ও একজন ফিউশন আর্টিস্ট -প্রেম যশূয়া। করুনেশও আমার বড়ই প্রিয়।
অতএব, আপনার এই উদ্যোগের প্রতি সপ্রশংস, সহর্ষ অভিনন্দন!
এবার সমালোচনা
আপনার বাজানো সন্তুর এবং অন্যান্য অংশ বেশ ভালো লেগেছে, কিন্তু আবহের টেকনো বীট টি কেমন যেন (আমার কাছে) যায় নি মনে হচ্ছে। অন্য আরেকটা টেকনো বীটের ব্যবহার করলে যেন আরো ভালো লাগতো, এরকম মনে হচ্ছিলো। তবে আপনার সঙ্গীত বিষয়ক জ্ঞানের বহর এবং বাহার উপলব্ধি করার পর, এ বিষয়ে বোধহয় আমার কোন কথা বলাই উচিত নয়, আমি একজন ছাপোষা 'শুনিয়ে' মাত্র!
(অন্য প্রসঙ্গঃ আমার একবার শিবকুমার শর্মার সন্তুর সামনা সামনি শোনার সৌভাগ্য হয়েছিলো, অপূর্ব! )
আপনার 'সমালোচনা' বেশ লাগল। মানে একেবারে বুকে গিয়ে বিঁধল। হে হে হে
প্রথমে বলে নেই---এই গোটা কম্পোজিশন আমার গতকাল রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত সময়ে করা। অধিকাংশ পিস একবার বাজিয়ে রেকর্ড করা। অর্থাৎ যা বলতে চাইছি--- কম্পোজিশনে আসলে খুব একটা চিন্তা ভাবনা দেয়া হয়নি। ঝোকের মাথায় Spur of the moment এ করা। কাজেই আপনার টেকনো বিট বিষয়ক ব্যাপারটি মাথায় রইল।
ভাল হইছে শুভ ভাই। তবে ক্রসফেড খানিক বেশী হইছে। আমি কইলাম রাগারাগির কিছু বুঝি না।
হা হা হা হা , এইটা ভালো কইসো 'রাগারাগি'---হে হে হে হে
সন্তুরে কয়টা তার থাকে, টিউনিংটা কী থাকে বলতে পারেন? কোন সাইট আছে? কিনতে গেলে দাম কেমন? পাশ্চাত্যের গানেও দেখি মাঝে মধ্যে ব্যবহৃত হয়।
সন্তুর আসলে ১০০টা তারের যন্ত্র, সে জন্যই নাম সন্তুর(সও + তার ধরে নিতে পার)। দাম একবার দেখেছিলাম ২০০ ডলারের মত। জীবনে যদি কখনো ঋনের স্তুপ থেকে মাথা তুলতে পারি তাহলে একটা প্ল্যান আছে জিনিসটা কেনার।
সুন্দর... ভালো... এরকম করলে ভাগ দিয়েন মাঝে মাঝে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই
শোনার খুব ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু ডাউনলোড অপশন আসছে না!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জলিল ভাই, অনলাইনেই কিন্তু ডাউনলোড না করেই শুনতে পাবার কথা। যাই হোক আপনার জন্যে ডাউনলোডের ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি ভাল লাগবে।
ধন্যবাদ। ডাউনলোড শুরু করলাম।
আসলে অনলাইনে শুনতে পাচ্ছিলাম না।
এটা বোধ হয় আমার কম্পু সমস্যা অথবা আমি কম্পুকানা!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
কোন ব্যাপার না জলিল ভাই।
শুনে জানিয়েন কেমন লাগল।
অনেক ভালো লাগল অনিকেতদা।
সচলায়তনে মনে হয় আমিই একমাত্র যার অন্য কোন গুণ নেই।
আপনাদের সবার বহুমুখী প্রতিভা দেখে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হচ্ছি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এইটা কি বললে বস?
এত্ত সুন্দর তোমার লেখার হাত, আর তুমি বলছ যে তুমি গুনহীন!!!
দুঃখিত, তোমার সাথে একমত হতে পারলাম না বস।
আর গানটা তোমার ভালো লেগেছে, শুনে আমারো খুব ভালো লাগল।
ভালো থাক।
সংগীতের কিছুই বুঝি না। শুনতে ভাল লেগেছে।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
ধন্যবাদ, দ্রোহী।
আপনার ফিউশন সত্যি ভালো হয়েছে, তবে আমারও ভাগ্য খুব ভালো, সংগীতের কিছু না বুঝলেও বড় বড় ওস্তাদ্, পন্ডিতজীদের বাজাতে শুনেছি।
দেবোত্তম, অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
ক্লাসিকাল মিউজিকের সমঝদার - এমন দাবি স্বপ্নেও করি না। তবে শুনতে ভালো লাগে তাই শুনি। অল্প কিছুদিন আগেই সচলে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। তেমন সাড়া না পাওয়াতে ধরে নিয়েছিলাম যে, সচলে ক্লাসিকাল সঙ্গীত তেমন পছন্দ কেউ করে না।
আপনাকে দেখে খুব আনন্দ লাগলো !
আপনার সন্তুর বাজানোটা চমৎকার হয়েছে। তবে যেই বীটের উপর কাজ করেছেন ওটা আরেকটু স্লো হলে আমার মনে হয় আরো চমৎকার হত।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ সবজান্তা। আমি কিন্তু মনে মনে ধরেই নিয়েছিলাম যে আপনি ক্ল্যাসিকাল সঙ্গীতের সমঝদার। কেন এমন মনে হয়েছিল কে জানে। এখন স্বস্তি লাগছে এই ভেবে যে যাক আমার ধারনাটা ভুল নয়। আর আনন্দ লাগছে এই ভেবে---আরো একজন পথের সাথী খুজে পেলাম।
আপনার সাথে একেবারেই একমত। Tempo টা আরেকটু কম হলে ভালোই হত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বি টি ভি তে সম্ভবত রাত এগারটার দিকে দা এক্সফাইলস্এর পর একটা অনুষ্ঠান হতো । উচ্চাং সংগীতের আসর । আমরা ভাই বোনেরা সবাই বুঝে নিতাম , ঘুমানোর টাইম হয়েছে । তাই আমাদের ঘড়ির দরকার হোত না । এছাড়াও বিভিন্ন যন্ত্র সংগীতের প্রোগ্রাম দেখলে সেসময় একটা লম্বা ঘুম দেয়া , অতি পবিত্র একটি কাজ বলে মনে হোতো । তারপর একটা সময় মন বদলায়, চিন্তা বদলায় , দেখা গেলো যশুয়া সাহেবের কিংবা জনাব হরিপ্রসাদ সাহেব কে নিয়ে সারাদিন পড়ে আছি । অবলীলায় ঘুমহীন হয়ে শুনে যাচ্ছি আমার এক কালের ঘুমময় সংগীত গুলো । আজকাল অবশ্য শ্রী দূর্বাদল সাহেবের বেহালা তা না হলে বাচ্চু কিংবা জো স্যাট্রিয়ানির গীটার শোনা হয় ।
এই যে এত কিছুর প্রসংগ তুলে বক বক করলাম । তার আর কিছুই নয় । শুধু এইটুকু বলবার জন্যই - আপনার কম্পোজিশন টুকু আমার খুব ভালো লেগেছে । কিছুর মাঝে হারানোটা সোজা কথা নয় । আমি হারালাম । হারাতেই ভালো লাগলো । যখন আবার চিন্তা করলাম , দেখলাম। আপনি একটা ফাঁকি দিয়েছেন। দুই মিনিট একত্রিশ সেকেন্ডের গান পোষায় না ...
আরো চাই ।
-------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
গতকালই মাত্র এই সাইটে এসেছি মিউজিকের উপর সমালোচনামূলক একটা লেখা খুঁজে পেতে আর আজেকই আপনার এই কম্পোজিশনটা পেলাম। সংক্ষিপ্ত সময়ে করা হলেও(আপনার দেয়া তথ্য অনুযায়ী) খুবই ভাল লেগেছে । আরও ভাল কম্পোজিশন ভবিষ্যৎতে পাব এই আশা করছি।
ধন্যবাদ লুসিফার
ধন্যবাদ নিঝুম।
তোমার ভালো লাগা আমাকে অনুপ্রানিত করল। আশা করি পরবর্ত্তিতে ২ মিনিটের বেশি কিছু একটা দিতে পারব।
ভালো থেকো বস!
কানে আরাম পেয়েছি, তবে এসবের গ্রামার জানি না।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
হা হা হা
নতুন মন্তব্য করুন