শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(শাবিপ্রবি) যখন যাত্রা শুরু করেছিল তখন মাত্র তিনটি বিভাগ ছিল---পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন আর অর্থনীতি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাজেই সেশন জট নেই। যারাই ভর্তি হবে তারাই 'বিদ্যুত বেগে' বেরিয়ে আসবে। আর রেজাল্ট ভাল করতে পারলে তো কথাই নেই। একটা চাকরীও জুটে যেতে পারে এখানে।
এ জাতীয় স্তোক বাক্যে বাসার সকলকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আমি শাবিপ্রবিতে ভর্ত্তি হয়ে গেলাম। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। আমরা প্রথম ব্যাচ। জনা চল্লিশেক ছাত্র-ছাত্রী। উৎসাহে সকলে টগবগ করছে। ডিপার্ট্মেন্টের হেড হলেন ডাক সাইটে শিক্ষক ও পদার্থবিদ অধ্যাপক অরূন কুমার বসাক। চমৎকার বাচন ভঙ্গি।বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার আগে একটা মিটিং এর মত আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সিলেটের খ্যাত-অখ্যাত সকলেই আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। সে অনুষ্ঠানে বসাক স্যার পদার্থবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে একটা বক্তব্য রাখেন। সেটা শুনে আমি মুগ্ধ! শুধু আমি না---মনে হল উপস্থিত সকলেই মুগ্ধ।সেটা বোঝা গেল দীর্ঘ দেড় মিনিট ব্যপী হাততালি শুনে।
যাই হোক, আমরা বিপুল উৎসাহে ক্লাশ করা শুরু করলাম। মনে মনে আমরা প্রত্যেকেই একেকটা খনি---প্রতিভার খনি। খালি দড়ি দড়া বেধে মনের ভেতর নামব আর কাড়ি কাড়ি হীরে নিয়ে উঠে আসব।ব্যস।
সাধারনত যেমনটা হয়---প্রত্যেকেই ভাবতাম আমরা প্রত্যেকে আইন্সটাইনের যোগ্য উত্তরসুরী কিংবা আইন্সটাইন আমাদের মাঝে অবতাররুপে আবির্ভুত হয়েছেন।
আমার দেখা গেল আইন্সটাইনের সাথে বিশাল মিল---তবে প্রতিভার অংশটুকু ছাড়া। আইন্সটাইন কখনোই তার শিক্ষা জীবনে ভাল ফলাফল করতে পারেন নি। আমি দ্রুত বুঝে গেলাম--আমার কপালেও তাই ঘটতে চলেছে। খুব সম্ভবতঃ আইন্সটাইনের সাথে এটাই হতে যাচ্ছে আমার একমাত্র মিল!
যার মধু বাক্যে বিমোহিত হয়ে উষ্ণ হৃদয়ে ক্লাশে যাওয়া শুরু করেছিলাম---সেই বসাক স্যার কিছু দিনের মাঝে স্বমুর্ত্তি ধারন করলেন।দেখা গেল অনুষ্ঠানে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা লোকটি আসলে অত্যন্ত কড়া মেজাজের লোক। তার উপর 'বীভৎস' রকমের মেধাবী। কঠোর পরিশ্রমী আর নিয়মানুবর্ত্তি এই মানুষটি আমার ও আমাদের পরবর্ত্তি বছর ক'টি প্রায় ভাজা ভাজা করে ফেলেছিলেন।
উচ্চ-মাধ্যমিকে যে পদার্থবিজ্ঞান আমার কাছে অসাধারন লাগত, এবং যে বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফলাফল দেখে মাঝে মাঝে নিজে নিজেই চমকে গিয়েছি---সেই বিষয় হঠাৎ করে অচেনা হয়ে গেল। শুধু অচেনা বললে ভুল হবে---বলা উচিত এক অচেনা আততায়ী হয়ে উঠল।এ যেন বহু দিনের প্রেমিকা হঠাৎ করে অ্যামনেশিয়া আক্রান্ত হয়ে আমাকে সম্পুর্ন ভুলে গেছে। শুধু তাই নয়, ছুরি হাতে আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে খুন করে ফেলবে বলে। সেই সময়টা তে একটা গজলের কথা খুব মনে পড়তঃ
"যিসকি খাতির শেহের ভি ছোড়া
যিনকে লিয়ে বরবাদ হুয়ে
আজ ওহি হামসে বেগানে বেগানে সে রেহতে হ্যায়"
---" যার প্রেমে পড়ে বে-ঘর হলাম
যার তরে এই জীবন পাত
আজ আমি নাকি বেগানা পুরুষ
ভুলেও করে না দৃষ্টিপাত"
আমার ধারনা ছিল না জীবন এতটা রুক্ষ এতটা নির্দয় হতে পারে। এতদিন পর্যন্ত আমি ছিলাম একেবারে আদর্শ 'পুতুপুতু' টাইপ গৃহপালিত অপোগন্ড। সেই আমাকে যেন একেবারে হ্যাঁচকা টানে বড় মানুষ করে দেয়া হল।অনেকটা প্যাঁচা কে ধরে বেধে ভরদুপুরে আকাশে উড়িয়ে দিলে যে দশা হয়। আমি অবিকল দিনের আলোয় অন্ধ পেচকের মত এখানে ওখানে গোত্তা খেতে লাগলাম।একা একা নিজ মনে বড় হলে সাধারনতঃ যা হয়---আমার people skill কেবল শুন্য ছিল বললে ভুল হবে। সেটা নিঃসন্দেহে নেগেটিভ ছিল। আমি আক্ষরিক অর্থেই অকুল সাগরে পড়লাম।
আমি জানি না আপনাদের কত জনের এই রকম প্রথম কোন ব্যাচের ছাত্র হবার 'সৌভাগ্য' হয়েছে। আমি কায়মনে প্রার্থনা করি কাউকে যেন এ অবস্থায় পড়তে না হয়।
কেন?
শুনুন তাহলে----
শাবিপ্রবির নানান ভবন তৈরির সময় রাজমিস্ত্রীরা (বেচারাদের 'রাজ' মিস্ত্রী কেন বলে কে জানে?) নিজেদের থাকার জন্য ঝুপ্সি মতন একটা কিছু তৈরী করেছিল। টিনের চাল দেয়া। পলকা দেয়াল।ঘরের মাঝে সোজা হয়ে দাঁড়ালে ছাদের সাথে মস্তকের তফাৎ দাঁড়ায় হাত দুয়েক। আমরা যারা শাবিপ্রবির প্রথম বলির পাঠা, তাদের 'সংরক্ষনের' জন্য বরাদ্দ ছিল ঐ ঝুপড়ি। রাজ মিস্ত্রীরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার জন্য একেবারে 'আদিম' প্রজাতির কিছু টয়লেট বানিয়েছিলেন। সেগুলো উত্তরাধিকারী সুত্রে আমাদের ভাগ্যে পড়ে। পাশাপাশি দুটো টয়লেটের মাঝে পাতলা টিনের দেয়াল। এমনি পাতলা যে পাশেরটিতে যিনি আছেন তার নিশ্বাস ফেলার শব্দ পর্যন্ত পরিষ্কার শোনা যেত। অস্বস্তির সাথে বলতে হচ্ছে, অনেকেই শাক সব্জী পরিমান মত না খাওয়ায় সকালে যখন 'খাজনা' দিতে যেতেন তখন বাংলা বাগবিধি "খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি" ---- বার বার মনে পড়ে যেত। এই বাগবিধিটির এমন নিদারুন প্রয়োগ আমাকে দেখতে হবে(বা শুনতে হবে), তা কস্মিন কালেও ভাবিনি।
সারা ক্যাম্পাস তখন খা খা রকমের খালি। দূরে দূরে কিছু নির্মায়মান বিল্ডিং এর আবছা কাঠামো ছাড়া যতদুর দৃষ্টি যায় জন-মনিষ্যি হীন। আমাদের সেই 'হোষ্টেল' পরবর্ত্তিতে ক্যাফেটেরিয়াতে পরিনত হয়েছে যার এক পাশে সোনালী ব্যাঙ্ক।
কিন্তু যখনকার কথা বলছি তখন সেসব কিছুই হয়নি। "হোষ্টেলের" তিনটা ভাগ। অনেকটা ইংরাজী L অক্ষরের মত। L এর লম্বা বাঁশের মত অংশটা আবার মাঝামাঝি দুই ভাগে ভাগ হয়েছে।L এর 'জুতো'র দিকের অংশে ছিল এখনকার ক্যাফেটেরিয়ার 'প্রপিতামহ'। আমরা যারা গুটিকতক 'আবুল' সেই জন-মানুষ হীন তেপান্তরে বাসা বেঁধেছিলাম----তাদের অন্নের যোগান দিত সেই ক্যাফেটেরিয়া।
আমার পরিষ্কার মনে আছে, সেই সন্ধ্যে বেলা যেদিন দুরু দুরু বক্ষে আমার হোষ্টেল জীবনের সুত্রপাত হয়েছিল।তখন সন্ধ্যে প্রায় হয়ে আসছে। দূরে পাহাড়ের আড়ালে সূর্য্যদেব বাড়ি যাবার জন্যে তৈরি হচ্ছেন। আমার চোখের সামনে যতটুকু জায়গা দৃশ্যমান-----তার অর্ধেকটা জুড়ে আকাশ। সেই আমার প্রথম বারের মত সত্যিকারের আকাশের সাথে দেখা। প্রথম বারের মত হোষ্টেলে উঠছি, অনেক ভয়াবহ কাহিনী শুনেছি হোষ্টেল জীবন নিয়ে যার কিছু আবার ভৌতিক। এক দঙ্গল অচেনা অজানা মানুষের সাথে থাকব। রাতের বেলা কি খাব, খাবার কি কোন ব্যবস্থা আছে, এখানে নিজেকে কি রাধতে হয়, ঘুমুব কোথায়, বাথরুমটা কোনদিকে----এজাতীয় পাগল করে দেয়া মুহুর্মুহু প্রশ্নবানে বিদ্ধ এ মন হঠাৎ করে সব ভুলে ফ্যালফ্যাল করে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল। শরতের নির্মেঘ আকাশে অপার্থিব এক লালিমা ছড়িয়ে সুর্য দিনের কাজ সেদিনের মত শেষ করলেন।
এমন সময় পিঠে বিশাল থাবড়া।
কোঁকাতে কোঁকাতে তাকিয়ে দেখি বিশাল এক ছেলে,পরনে কমলা রঙের মশারীর মত দেখতে ছিদ্র-ছিদ্র স্যান্ডো গেঞ্জি আর অস্বস্তিকর রকমের খাটো লুঙ্গি। আমার দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে বিনা প্ররোচনায় আরেক রদ্দা বসিয়ে দিল ঘাড়ে। আমি আতঙ্কে ব্যথায় প্রায় অজ্ঞান হবার দশা। এর মাঝে দেখি সে দৈত্য বিজবিজ করে কি জানি বলল। আমি ঘাড়ে হাত বুলোতে বুলোতে খানিকটা নিরাপদ দূরত্বে সরে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কি বলছ বুঝতে পারিনি, আবার বলবে?
---বিজবিজ বিজ
-- কি বললে?
দৈত্যের মুখের হাসি দেখলাম চট করে নিভে গেল। আমি প্রমাদ গুনলাম। হোষ্টেল জীবন শুরুর আগেই কি নিজের জীবন হারাতে হবে?
(চলবে)
মন্তব্য
কিছু নাম-ধাম নিয়ে আসেন, এত সাবধানী হচ্ছেন কেন?
আর মানসদা (রসায়ন) রে নিয়া একটা কিছু লেইখেন, আমি ঘটনা অনেক পরে জানছি। যে ক্যান্টিরে খাইতেন, সেখানে পরে আরও অনেকে অনেক কিছু খাইছে। এর মধ্যে রিপু নামে একটা ছেলেকে (ছাত্রদলের কোন্দলে) টাটা বন্দুক দিয়ে ঝাঝরা করে দেয়া হয় ঠিক সেই ঘরটাতেই। রিপু এখনও স্প্লিন্টার বহন করে চলছে।
ভাল লাগল।
থ্যাঙ্কু বস।
এইবার নির্ভয়ে তোমার সকল অপকর্মের খতিয়ান এইখানে দিয়া দিব ---নাম উল্লেখ পুর্বক---হে হে হে
আমার বিশেষ কিছু নাই, এক এরশাদ টিলায় একটা ঘটনা ছাড়া। তাও সেসময় আপনি বের হয়ে গেছেন। আমি বরং অনেক কিছু ছাড়তে পারি (থ্রেট)।
বেড়ে হচ্ছে, আপনার দুর্ভাগ্যের কাহিনী শোনার আরো সৌভাগ্যের অংশীদার হওয়ার অপেক্ষায় আছি
হা হা হা , সাথে থাকার জন্যে থ্যাঙ্কু বস
হুম ............... মজা লাগল ।
নিবিড়
শুনে আমারো ভাল লাগল
ভাল থাকবেন
আপনার অনেক লেখাই পড়তে পড়তে নিজের কাহিনীর মত লাগে। কোনদিন সামর্থ্যে কুলালে আপনার সাথে দেখা করব। সিরিজ চলুক।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
রেনেট----চলে এস যে কোন দিন।
ভাল থেকো সব সময়।
কেডা...........?
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
কোন ডা?
হেহ হেহ হেহ, কেন যেন অপার আনন্দ লাভ করলাম !
রদ্দা টদ্দা আর খান নাই?
হের লাইগাই তো কই, ছবিতে আপনার ঘাড়টা এতো শক্তসমত্ত লাগছে কেন ?
আচ্ছা এটা কতো সালের ঘটনা কন তো ? বিরাশিতে আমি এমসি-তে রসায়ন অনার্স কোর্সে ভর্তি হই। তখনো নিশ্চয় শাবি চালু হয় নি। নইলে জেলা ছাত্রইউনিয়নের পক্ষে আপনাকে আমারও তো রদ্দা মারতে যাওয়ার কথা !
খুবই আশ্চর্যের কথা যে আমি সালটা ভুলে গেছি। অথচ বাড়ি গেলে শাবির গেইটের সামনে দিয়েই বাসটা চলে যায় সুনামগঞ্জের দিকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনি যখন অনার্স করেন সেই যুগের পরে আসে বৃটিশ যুগ
তারপরে পাকিস্তান যুগ তারপরে বাংলাদেশে মুজিব-জিয়া এরশাদ যুগ শেষ হয়ে নির্বাচিত খালেদার প্রতম যুগে শুরু হয় শাবিপ্রবি...
হা হা হা
এম.সি'র রসায়ন তো চিনি। মেঘনাদ, সুশান্ত স্যার এর নাম মনে আছে। আর মনে আছে সল্ট টেস্টিং-এর জয়নালের কথা।
তবে শাবি তো বহু পরের ঘটনা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমার 'সচল পেন্সিলে আঁকা' সিরিজের প্রথম লেখাটাতেই এমসি কলেজ আর মেঘনাদ স্যার জড়িয়ে আছেন।
লেখাটা এখানে। এ লেখাটা 'মৌচাকে ঢিল' ম্যাগাজিনে বিশেষ আংটি সংখ্যায় 'সমুদ্র দর্শন' শিরোনামে প্রকাশিত হয় আগস্ট'০৮ এ।
ফার্স্ট ইয়ারের সল্ট টেস্ট কি আর আমরা করেছি ? করেছে তো জয়নালের নাক আর জিহ্বা !
সর্বশেষ মেঘনাদ স্যারের সাথে আমার দেখা হয় ফেনী রেলস্টেশনে ২০০৫ সালের শেষের দিকে। বৌদি মারা যাওয়ায় স্যারের সেই ব্যাঘ্র রূপটাও বুঝি শুকিয়ে গেছে ! স্যারের সাথে অনেক ব্যক্তিগত স্মৃতি রয়েছে। একজন সৎ শিক্ষকের প্রতিকৃতি আঁকতে গেলে প্রথমেই আমার মনে আসে মেঘনাদ স্যারের কথা। আগামীতে ইচ্ছা আছে স্যারকে নিয়ে লেখার।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণ দা,
এইটা ১৯৯০-৯১ এর ঘটনা।
আমরা (অর্থাৎ প্রথম ব্যাচ) ১৯৯৫ সালেই মাষ্টার্স করে বেরিয়ে পড়ি।
নামধামসহ লিখেন
টিচার স্টুডেন্ট স্টাফ
প্রথম দিককার অনেক টিচার অনেক স্টুডেন্ট অনেক স্টাফ এবং অনেক ঘটনা আমারও চিনি এক আধা চামচ
০২
এইববার বলেন তো শাবিপ্রবির প্রথম ইনহাউস প্রেম কোনটা?
হে হে হে
খুব মজার লেখা! আমার ভার্সিটির সাথে বেশ মিল রয়েছে। আমিও জাহাঙ্গীরনগরের ফিজিক্স এ প্রথম ব্যচ (অতি প্রাচীন!)। আমাদের রকিব স্যার অনেকটা আপনার বসাক স্যারের মতেই।
তবে হোষ্টেলের অবস্থা অনেক ভালো ছিল।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এই রাকিব যদি এম এ রাকিব হয়, যিনি একসময় রাজশাহীর ভিসি ছিলেন, পিসিসির সদস্য ছিলেন, শাবিতে ইসিএসের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান, এবং শেষ আইউবিতে ছিলেন- তাহলে আরো অনেক কাহিনী বের হয়ে আসবে।
সইত্য কতা
আরে তীরু দা---হাত মেলান!!! আরেক পদার্থবিদের দেখা মিলিল!
আলমগীর যেমন উল্লেখ করেছে, আপনাদের রাকিব স্যার যদি আমাদের সেই রাকিব স্যার হন--তাহলে আরো একটি অদ্ভুত যোগাযোগের ঘটনা বলতে হবে।
অসাধারণ! খুব ভালো লাগলো। তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব পোস্ট করুন।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
ধন্যবাদ ভাই।
ভাল থাকবেন।
অপেক্ষা করতে আর ভাল্লাগেনা। আপনিও অপেক্ষায় রাখলেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হা হা হা ----
আইচ্ছা যাও, আর রাখুম না।
ভালো কথা, ছবির রাজকন্যাটা কে? এর অপেক্ষায় থেকে থেকেই বুঝি আজ এই অবস্থা? এ্যাঁ?
'গোপন কথা, একবার শুনে ভুলে গেলেই ভালো হয়'
- এরকম একটা গান আছে না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কি জানি রে ভাই
তবে গানের কথাটা মনে ধরেছে
এখন বলো--কার শ্যালিকার কাছ থেকে এই গান শুনেছ??
সে কি আর বলা যায় অনিকেতদা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চলুক।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
অপেক্ষায় আছি আপনাদের অনেক অজানা কাহিনী জানার জন্য
কল্পনা
.................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আমিই ভালো... লেখাপড়াই করি নাই... এইসব ঝামেলাই নাই জীবনে...
ছোট ছিলাম... নাইলে উপদেশ দিতাম এইসব কইরেন না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এ দেহি সব্বনাইশ্যা কান্ড! সচলে মেলা পদার্থবিদ!
আর তো যাতা বগ মাইরা পার পামু না দেহি!
হু... সচলায়তনে আমি ছাড়া আর কোনো অপদার্থ নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওই মিয়া, সব ক্রেডিট একলা একলা নেওয়ার শখ কেন! রাস্তা ছাড়েন!
হে হে হে
অনিকেত'দা, যে কাহিনী শোনাইলেন, ওইরকম অবস্থায় থাকতে হইলে আমার তো পুরা খবর হয়া যাইত। আরো অজানা কাহিনী শোনার অপেক্ষায় থাকলাম। তবে পরের পর্বে পারলে কিছু মেয়ে আনেন
ইনশাল্লাহ, দোয়া রাইখ বস
সদরুদ্দিন চৌধুরী কি প্রথম ভিসি ছিলেন ? জাফর ইকবাল আর ইয়াসমিন হক কখন ঢোকেন, অরুণ বসাক থাকতেই? জাফর কি পদার্থবিদ্যার ক্লাস নিতেন?
এখনকার ভিসি আমিনুল ইসলামও তো পদার্থবিদ। শুনেছি জামাতের। তার সঙ্গে জাফরের বনিবনা কেমন ?
এঁদের সবাইকে আমি খুব ভালো চিনি। তাই সমসাময়িক ছাত্রদের অভিমত জানতে খুব কৌতূহল হচ্ছে।
সুপ্রিয় বজলু ভাই (ভয়ে ভয়ে ভাই ডেকে ফেলেছি---)
আপনি ঠিক ধরেছেন---
সদরুদ্দিন চৌধুরী ছিলেন প্রথম ভিসি।
জাফর স্যার যখন আমাদের শাবিপ্রবিতে যোগ দেন, ততদিনে শাবিপ্রিবিতে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। সদরুদ্দিন নেই, বসাক স্যার ও নেই। এমনকি আমরাও নেই, মানে আমাদের ততদিনে মাষ্টার্স পরীক্ষা দেয়া হয়ে গেছে।
জাফর স্যার পদার্থবিদ্যার ক্লাস নিতেন কি না বা নেন কি না---আমার জানা নেই। তবে নেয়াটাই মনে হয় স্বাভাবিক।
বর্তমান ভিসি কে আমি চিনি না। তবে তিনি যদি জামাতের হয়ে থাকেন---জাফর স্যারের সাথে খুব একটা মধুর সম্পর্ক আশা করাটা অন্যায় হবে।
পদার্থবিগ্গান পড়ুয়া দেখলে আমি হা করে তাকিয়ে থাকি।
আমার বদ্ধমুল ধারনা
হুমায়ুন আহমেদ এর নায়েকরা ছাড়া
আর কেউ পদার্থ পড়েনা।
তবে লেখা মাশাল্লাহ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হা হা হা,
ভাইরে, পৃথিবীর সবচাইতে অপদার্থরা সাধারনতঃ পদার্থবিজ্ঞান পড়ে। আপনার বিশ্বাস না হলে আমার পরিবারে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন---সেখানে আমি এক সর্বজন স্বীকৃত অপদার্থ!
লেখা ভাল লাগায় আপনাকেও শুকুর-আলহামদুলিল্লাহ!!
নতুন মন্তব্য করুন