আজ থেকে আট বছর আগের আমি আর এখনকার আমি-র মাঝে তফাৎ অনেক।
এই ক'বছরে আমার ভুঁড়ি গজিয়েছে, চুলেরা হয়েছে উদ্বাস্তু। এই কয় বছরে আমি মানুষকে অনেক বেশি বিশ্বাস করতে শিখেছি----সেই সাথে অনেক বেশি অবিশ্বাসও করতে শিখেছি। আট বছরে কিছু উদ্ভট জিনিস রাঁধতে শিখেছি---এবং ক্ষুধার জ্বালায় সেইসব অখাদ্য খেয়ে নিজেই নিজের তারিফ করেছি।আট বছরে আমি অনেক 'পরিনত' হয়েছি, পাকিদের দেখলে ইদানিং মুখে থুথু জমে না আগের মত। মাঝে মাঝে ঠাট্টা ইয়ার্কিও করে ফেলি। এই আট বছরে আমার বুকের ভিটে উজাড় হয়েছে, ঘুঘু চরেছে দিনে দুপুরে।এই আট বছরে আমি বুঝতে শিখেছি--জীবন আসলে অন্তহীন সমস্যা সমাধানের এল্গোরিদম---একের পর এক সমস্যা আসবে, তোমাকে সেটা সমাধানের উপায় বের করতে হবে, কোন সময় সমাধান ধরা দেবে--বেশির ভাগ সময়ই ধরা দেবে না। সেইটার গাল ভরা নাম 'অভিজ্ঞতা'।
এই আট বছরে যে ক'টি জিনিস একেবারেই পালটে যায় নি---তাদের মাঝে একটি হল আমার 'বরফ-বিদ্বেষ'। কেন জানি কখনোই আমি বরফকে আপন করে নিতে পারিনি। মনে আছে, প্রথম প্রবাসে আসার পর, প্রথম যেদিন বরফ পড়ল---আমি তখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন। আমাদের পৃথিবীতে আর যে কোন কিছুর কমতি পড়লেও 'পরোপকারী' মানুষের অভাব কোনদিনই হবে না। তেমনি এক পরোপকারী সাত-সকালে ফোন করে আমার কাঁচা ঘুম ভাঙ্গিয়ে খুব আহ্লাদী গলায় জানালেন----কী করছ তুমি? বাইরে যাও, দেখো বরফ পড়ছে
প্রবল ঘুমের কবল থেকে নিজেকে টেনে হিচড়ে বাইরে এনে বরফ দেখে মেজাজটা পুরো খিঁচড়ে গেল। এই তাহলে বরফ পড়া? এই নিয়ে এত ইতং বিতং? আকাশ থেকে সাদা তুলোর মত কিছু পড়ছে। চুপচাপ। কোন শব্দ নেই! আমার চারপাশের সব কিছু ফকফকে সাদা। আমার সামনের পার্কের চেয়ারটা যেখানে রাতের বেলা বসে বসে সাত-পাঁচ ভাবি, আর যখন ধারে কাছে কেউ থাকে না তখন মাঝে মধ্যে একটু-আধটু কাঁদি---সেই চেয়ারটা এক বিশাল তেজী ঘোড়ার চেহারা নিয়েছে---ধবধবে সাদা কেশর দোলানো অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া। এই গতকালও যেখানটা সবুজে ছেয়ে ছিল---এখন সেখানে 'কুচকুচে' সাদা বরফের চাদর। আমার চারপাশের পরিচিত সবকিছু হঠাৎ করেই যেন আমার সাথে ষড়যন্ত্র করে চেহারা পালটে নিয়েছে।
আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম--এই তাহলে 'বিখ্যাত' তুষারপাত??? আকাশ থেকে একটা কিছু ঝরে পড়ছে---কিন্তু কোন শব্দ নেই। কোনো মানে হয়? চারপাশে সাদা সাদা দৃশ্যের মাঝে নিজেকে মনে হচ্ছিল পঞ্চাশের দশকের মূক চলচ্চিত্রের এক অভিনেতা। কোথাও কোন শব্দ নেই---মাঝে মাঝে অনুচ্চ ঝুপঝাপ। আর মুহূর্তে মুহূর্তে বদলে যাওয়া প্রতিবেশ।
ফুঃ---এই বরফ নিয়ে এত্ত মাতামাতি? আমার দেশের কাল বোশেখি ঝড় বা এমনি এমনি ঝুপ করে নেমে আসা বৃষ্টির কাছে কোথায় লাগে এই সাদা ফ্যাকাশে বরফের স্তূপ? আমাদের বৃষ্টি পড়া--কী গরিমাময়, কী গর্বিত, কী উদ্ধত,কী ভয়ংকর সুন্দর---সেইসাথে কী সুরেলা! তার চালচলনে রাজার মেজাজ। পন্ডিত ভীমসেন যোশীর সাপাট তানের মত প্রখর,পৌরুষদীপ্ত মেঘগর্জন, সাথে ভেজা আর্দ্র মদির বাতাস যেন শোভা গুর্তুর শৃঙ্গাররসসিঞ্চিত বেপথু মীড়ের বেহলাওয়া-----আহা--- এর কাছে কোথায় লাগে এই নিরক্ত নিরানন্দ মূক বধির তুষারপাত?
এমনি যখন আমার ভাবনার স্রোত----ঠিক তখুনি আমার কাধে আস্ত একটা বরফের ঢেলা নিপতিত হল। কটমটিয়ে ঘুরে তাকিয়ে দেখি ফুট খানেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে এক ক্ষুদ্র মানবক। সেই অপরাধীটির মুখে কোনরকম অনুশোচনা নেই। বরং তাকে বেশ ব্যস্ত মনে হল বরফের ঢেলা কুড়াতে। আমি যে একটা লোক, কী বৃত্তান্ত, কেনই না বিনা উস্কানীতে আমাকে বরফের ঢেলা মেরে এহেন অপদস্ত করা হচ্ছে---সে বিষয়ে শিশুটি একেবারেই সচেতন বলে মনে হল না। উপরন্তু তার সামগ্রিক ব্যস্ততা দেখে মনে হল এখনি নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে না পারলে আমাকে আরো কয়েকটি বরফের গোলার মুখে পড়তে হবে।
সেই আমার প্রথম তুষারপাত দর্শন। এর পরে যখনই দেখেছি---ততবারই আমি বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকেছি---মনে মনে বলেছি--ফুঃ, আমার দেশের বৃষ্টির কাছে---ফুঃ
যার সাথেই দেখা হয় বরফের দিনে, তাদের সকলকেই জানাই আমার 'বরফ-বিদ্বেষ' এর কথা। অধিকাংশই আমার কথায় হাসে। আমি আরো বিরক্ত হই। মাঝে মাঝে কেউ কেউ সহমর্মিতা দেখায়। আমি তখন চূড়ান্ত বিরক্ত হই।
যে কথাটা আমি তাদের কখনোই বলি না---সেটা হল---বরফ হল একমাত্র জিনিস যা আমাকে মনে করিয়ে দেয়---আমি দেশ থেকে কত দূরে পড়ে আছি। আমি প্রতিনিয়ত নিজেকে ভুলিয়ে রাখি। আশেপাশের মানুষজন, কথাবার্তা, জীবনাচরন---সকল কিছুই আমি এক সময়ে উপেক্ষা করে যেতে পারি। আমার নিজের তৈরী জগতে এদের কারোরই প্রবেশাধিকার নেই। আমার মনের দরজা-জানালা এঁটে রেখেছি-----চোখ কান বন্ধ করে অবিরাম বলে চলেছি---আশে পাশে এসব কিছুই সত্যি নয়---আমি আসলে দেশেই আছি---আমি আছি আমার সেই গাঁয়ের মাঠের ধারে---আশে পাশের এ সকল কিছু 'দূর্বিষহ মাতালের প্রলাপ'-----
বরফ হল একমাত্র জিনিস যা আমাকে একটানে এনে ফেলে দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে---অকরুণ শীতলতায় আমাকে গ্রাস করে নিতে নিতে জানিয়ে দেয়----আমার দেশের ভোর থেকে আমি কত দূরে---আমার মায়ের রান্না করা পাবদা মাছের ঝোল আজ কত দিন খাওয়া হয় না----কত দিন জমাট আড্ডা দিইনা আমার বাবা'র সাথে----
তাই বরফ আমি ঘেন্না করি প্রানপনে-------
-------------------------------------------------------------------------
আজ রাতে তুমুল তুষারপাত হচ্ছে। আমার ঘরের জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে আকাশ থেকে নেমে আসছে কোটি কোটি শংখশুভ্র বর্শার ফলা। এমনি সময় সাইফের ফোন---বস কী করেন? রাত বাজে বারোটা। ঘুমুতে যাবার প্ল্যান। কিন্তু সাইফের গলা শুনে মনে হল তার কোন প্ল্যান আছে। ভয়ে ভয়ে বলি, নাহ তেমন কিছু না--কেন মিয়া?
--তাইলে চলে আসেন বস, বরফ দেখতে যামু----
--বরফ দেখতে যাবে মানে?
--- আরে বস, পুরা 'কোপাকুপি' বরফ পড়তাসে----আপনার কাম-কাজ না থাকলে চলেন---একটা চক্কর মাইরা আসি---জাষ্ট পনেরো মিনিট---
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। ক্যামেরাটা কাঁধে ঝোলাতে ঝোলাতে বললাম, আসছি দাঁড়াও-----
মন্তব্য
বরফ আমিও দেখি নাই। তবে বুঝতে পারছিলাম পেছনের কারণটা এরকমই হতে পারে! বিদেশে এই একটা কারণেই যেতে ইচ্ছা করে না, কারণ এখনও আমার কাছে ঢাকা পৃথিবীর সেরা শহর। এই ঘিঞ্জি, জ্যামে ভরপুর, ময়লা শহরটাকেই ভালো লাগে!
===
অনীক আন্দালিব
অনীক, আপনি অনেক ভাগ্যবান!!
গত শুত্রবার অবধি আমরাও বরফে ডুবে ছিলাম। শনিবার থেকে সে বরফ গলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
সেকি তীরুদা, আপনাদের বরফগুলো এদিকে পাঠিয়ে দিলেন বুঝি???
আপনার অনুভূতি মন খুব ছুঁয়ে গেলো, অনিকেতদা।
যদিও বরফ পড়া দেখিনি, তবু বলি, আমাদের বৃষ্টির আসলেই তুলনা নেই।
ভালো থাকুন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
থ্যাঙ্কু শিমুল--
আসলেই, আমার দেশের বৃষ্টির কাছে কোথায় লাগে এইসব---ফুঃ
অনিকেত, আপনি এরকম কেন?! এক্কেবারে 'ঘেন্না' ? গতকাল থেকেই তো জানি আজকে কী হতে যাচ্ছে - তারপরও ভোরবেলা যখন চারপাশে তাকিয়ে দেখি ভালো করে কিছু বোঝাই যাচ্ছে না কোথায় আকাশ আর কোথায় দাঁড়াবার জায়গা, পুরোটাই ঘোলাটে, ছাই ছাই সাদা সাদা - কেমন যেন সুররিয়ালিস্টিক, মনটাই ভালো হয়ে গেলো!! আর এখন ? এখন পুরো বন্দীদশা। রাস্তাও দেখা যাচ্ছে না। চারপাশ ধবধবে, ঠান্ডা, কনকনে - এখন, গরম দু মগ চা আর গান - আহ্হ্হ্
স্নিগ্ধা'পু, আপনি এরকম কেন? বরফ দেখে "মনটাই ভালো হয়ে গেলো!!" ???
নাহ, আপনাকে দেশে বৃষ্টির সময় পাঠাতে হবে---তখন টের পাবেন কত গমে কত আটা---
আপনার ভাব দেখে মনে হচ্ছে আমি 'বিদিশী' (এমনকি 'বিদেশী'ও না)!!! আমি কী দেশের বৃষ্টি দেখি নাই নাকি? নাকি বৃষ্টি নিয়ে আহ্লাদীপনা আমার কিছু কম আছে?! ক্ষিহ্ মুশ্কিল! কিন্তু তাই বলে বিদিশী বরফ ভাল্লাগতে পার্ব্বে না? কেনু, কেনু, কেনু???
হে হে হে
কেনু, কেনু, কেনু ???
বৃষ্টি নিয়ে আহ্লাদীপনা দেখান আগে----তারপর বলব
আর 'বিদিশী' বরফ ভাল না লাগার কারনটাও বলে দিয়েছি----এখানটা যে বেদিশা বিদেশ---সেইটা মনে পড়িয়ে দেয়-----
রাগিব ভাই, এদিকে চলে আসেন বস----গাড়ি ভর্ত্তি করে কাড়ি কাড়ি তুষারকণা দেবার মত অবস্থায় আছি---হে হে হে ----
এ: ঘেন্না বড় শক্ত শব্দ৷ বরফের মত নরমসরম জিনিষকেও কেউ ঘেন্না করে?! আমি বাপু বরফ খুউব ভালবাসি৷ যতদিন দিল্লী অঞ্চলে ছিলাম, শীতকালে ঠিক টুকরোটাকরা ছুটি জমিয়ে হিমালয়ের উপরের দিকে কোথায়ও একটা যেতাম বরফ দেখবার, গড়াগড়ি খাবার জন্য ৷
দাঁড়ান না, আমার দেখা সুন্দর সুন্দর বরফের গল্প নিয়ে আমিও একটা পোস্ট দেবো৷ দেবোই দেবো৷
হুমম...........
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হা হা হা ---জলদি জলদি দিয়ে দিন-----
ভালো লাগাটা জানিয়ে যাই--
তারপরেও আমি বলি বরফ আমার ভালো লাগে।
আরেকটু যোগ করি-- লেখার প্রথম প্যারাটা কবিতার মত মনে হচ্ছে।
থ্যাঙ্কু বস----!
ধুর মিয়া... আপনে কোনো কামের না... আমি ছোটবেলা থেকা তুষারপাত দেখার জন্য মুখায়া আছি। ফ্রিজ ছাড়া বরফ হওন দেখার আশায় আছি।
একবার রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪ হইলো। আমি রেডি হইলাম রাজশাহী যাইতে। কারন আরেকটু আগাইলেই সেখানকার পানি বরফ হবে। সেইটা দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চাইলাম। কিন্তু তারপরে আর আগাইলো না।
(যদিও এর অন্য একটা দিক এখন বলতেছি না, কারন ৪এ পৌঁছানোর পরে রাজশাহীর লোকদের, যারা শৌখিন না, যাদের শীত করে, তাদের কথা আলাদা)
আমি তুষারপাত দেখার অপেক্ষায় এখনো আছি। তবে বৃষ্টির চেয়ে মজার জিনিস আর কিছুতে নাই
আমি এখনো বৃষ্টি হইলে রাস্তায় নামি। বৃষ্টি হইলেই আমারে ঘরে আটকায়া রাখা যায় না। এখনো। এই বুড়া বয়সেও।
আমি এখনো উত্তরার রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কবিতা বলি। লোকে পাগল বলে... তবুও...
আসছে আষাঢ় মাস... মন তাই ভাবছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা ---
বস, একবার ঘুরে যান এইখানে বরফের সময়----আরো ভাল---থেকে যান আমার মত---আট আটটি বছর----তারপর এসে দেখা করব আপনার সাথে--জিজ্ঞেস করব বরফ কেমন লাগে-----তখনও যদি বলেন(স্নিগ্ধা'পু-র মত) যে বরফ ভাল লাগে, দেখলেই মন 'ভালু' হয়ে যায়---তখন শক্ত কইরা মাইর দিব----
অঞ্জন দত্ত আর নিমাদির এ্যালবামটা শুনছিলেন না?
আমি সেইমতো...
সবকিছু ছাড়া থাকতে পারি, ঢাকা শহর ছাড়া থাকতে পারি নাই।
পারবো না।
জীবনে এক নাগাড়ে ঢাকা ছাড়া থাকছি সর্বোচ্চ দুইবার। একবার ৮৮র বন্যায় গেছিলাম গাজীপুরে। এক সপ্তাহের জন্য।
আরেকবার সিঙ্গাপুরে ১০ দিনের জন্য।
কানে ধরছি। এতো দীর্ঘ সময় আর কখনোই ঢাকা ছাড়া থাকুম না। বরফ দেখতে গেলে দেখেই ফিরে আসবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একই সাথে মন খারাপ আবার মন ভালো করে দেয়া লেখা।
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
থ্যাঙ্কু ফারুক ভাই----
আসেন কোলাকুলি করি। বরফের চেহারা যদিও কালেভদ্রে দেখি তবু আমার কাছে এটা দু' চউক্ষের বিষ! আর বরফে ড্রাইভ করা তো একটা পানিশমেন্টের মত। জান নিয়ে টানাটানি। এর মধ্যে সৌন্দর্যের কী আছে কিছুই বুঝি না! যদি কাজ-কাম না করে সারাদিন বাসায় বসে জানালা দিয়ে ঝিরঝির তুষারপাত দেখা যেত, তখন না হয় সৌন্দর্যের কিছু একটা আছে সেটা বুঝতাম। কিন্তু গোলাম হোসেনদের জন্য সে সৌভাগ্য তো আসে নি কখনো!
কতা সইত্য---
আজকের অবস্থা দেখছেন!! এখন একটু কমলো তুষারপাত...
=========================================
অনিকেত প্রান্তরে ভেসে বেড়াই
'
=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা
তবে তুষারপাত আমার খারাপ লাগে না। কিন্তু বাস্তবিকতা ভিন্ন।
=========================================
অনিকেত প্রান্তরে ভেসে বেড়াই
'
=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা
অনিকেত, তানভীর, এবং আরো যারা যারা আমার বরফগানে ক্ষিপ্তমতো হয়ে গেছিলেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাই - আহাম্মক আমি, সারাদিন ধরে হা হা হি হি করে দিন পার করতে গিয়ে ভুলেই গেছিলাম যে আজকেই ড্রাইভওয়ে পরিষ্কার করে না রাখলে কালকে শুধু যে খবরাছে তাই না, হয়তো খবরের কাগজে আপনারাও পড়বেন " বরফে আছাড় খাইয়া জনৈকা বাংলাদেশীর করুণ হাল" -
অতএব, আমাকে এখন এই কনকনে ঠান্ডার মধ্যে গাব্দা গাব্দা শীতবস্ত্র চাপিয়ে, সেলফোনটা অবশ্যই পকেটে ভরে (পড়ে গিয়ে উঠতে না পারলে বন্ধুবান্ধবকে যেনো ফোন করতে পারি), আমার প্রিয় বরফেরই সাথে যুদ্ধে নামতে হবে -
মেধাবী কথাটা মিস হল কেন? এমনিতে যেমন-তেমন, বাইরে কোথাও অপঘাতে মরলে কিন্তু অটো-মেধাবী। খিয়াল কৈরা...
ইশতিয়াক - আপনি, আপনি, আপ্পন্নিহ্ ......... মানে আপনার কমেন্ট পড়ে আমি বাক্যহারা!!! আমি বলসি "আছাড় খাইয়া করুণ হাল" আর আপনি আমাকে একবারে "অপঘাতে" "মেরে" ফেললেন??!!
ও, আপনি দাওয়াত ভ্যালিড আছে কিনা জানতে চাইসিলেন না? অবশ্য, অবশ্যই ভ্যালিড আছে - আসেন খালি একবার .........!!!
হে হে হে ---স্নিগ্ধা'পু খেপসে-----খুউব মজা---
সাবাস ইশতি!
ইশতি তুমি এগিয়ে চলো
আমরা নাই তোমার সাথে
হে হে হে ---
ঐ হল... ফিগারেটিভলি মরা আর কি! ধপাস করে ধরনীর কাছাকাছি যাওয়া, এবং পতনের পর "মরে গেলাম রে!" বললেই অটো-মেধাবী।
হে হে হে ---খুউব ভালো হইসে-----
অনিকেতদার লেখা পড়তে বড় ভালো লাগে
আমার ধারণা আপনি গু নিয়ে লিখলেও সেখান থেকে সুগন্ধ বের হওয়া শুরু করবে।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হা হা হা ------
রেনেট--ভাই রে---এই কমেন্ট পুরা 'কোপা সামসু'----
হা হা হা ------
(আতান্তরে ভাবছি আসলেই ঐ 'বস্তু' নিয়া কি লেখা দিয়া দিব নাকি? হা হা হা ----)
কিন্তু তোমার লেখা দেখিনা কেন? বহুদিন পড়া হয়না---জলদি একটা ছাড়ো বস---
রাতে চাঁদের আলোর নিচে ঝুরঝুর করে তুষার পড়ছে, হাওয়া-বাতাস সেই একেবারেই - এমন পরিবেশে একবার রাস্তায় হেঁটে বেড়িয়েছিলাম ঘণ্টাধিক সময় ধরে। সবকিছু অবাস্তব মনে হচ্ছিলো চারপাশে। নেমে এসেছিল রূপকথার কাল। আহা! আমার মতো চ্রম বে-রোমান্টিকও ভুলতে পারে না সে-কথা। এমন পরিবেশে (চাঁদের আলো না থাকলেও)এখনও সুযোগ পেলে ঘুরতে বেরোই।
রূপকথা ধাঁচের আমার একটা প্রিয় ছবি (ফটোগ্রাফি নয় এবং ছবিটি তুষারপাতেরও নয়) জুড়ে দিচ্ছি।
তবে তুষারভক্ত হলেও বরফপ্রীতি আমার নেই। আসলে রোমান্টিকতা হিসেবে না আনলে বৃষ্টিও অনেক ক্ষেত্রে বিরক্তির কারণ হতে পারে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ছবিটা সেরম...খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস...
আমি আশা করে থাকি, কবে এমন তুষারপাত দেখবো। আর আপনি ওদিকে বৃষ্টিবিহনে কেঁদে যান।
তুষারপাত আর বরফে ঢাকা মাঠ-ঘাট দুটোই আমার প্রিয়, সবুজ প্রান্তরে দেশী বৃষ্টির মতোই। তবে বরফ গলার কাদা একেবারে অসহ্য।
আপাতত পাঁচ তারা।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
"ঘেন্না"! আমার তো তুষার খুবই ভাল্লাগে। যদিও দেখিনি জীবনেও, কিন্তু খুবই শখ আছে তুষারপাত দেখার। সিনেমা-টিনেমায় দেখে আগ্রহ জন্মেছে। ভাবতে ভালই লাগে যে- "চারপাশে বরফের মাঝে আমি দাঁড়িয়ে আছি। সাদা তুলার মতো তুষারকণা পড়ছে চারদিকে, হাত বাড়িয়ে ধরছি..."
আমার তো এখনই তুষার দেখতে যেতে ইচ্ছা করছে।
লেখা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বললাম না। বরাবরের মতোই খুবই দারুন হয়েছে। ক্যামেরা নিয়েই তো বের হয়েছিলেন, তাহলে ছবি কই?
ছবি দিতে পারি নাই রে বস।
তবে ফেসবুকে দিয়েছি---তোমার কী ফেসবুক একাউন্ট আছে?
- বৃষ্টি আর তুষারপাতের তলনায় মনেহয় আমি সবচাইতে কনফিউজড হয়ে যাবো কোনটাকে সেরা ভাববো সেই ভাবনায়! আমাদের দেশের বৃষ্টির আসলেই কোনো তুলনা নেই যেমনটা নেই এই দেশের তুষারপাতের। কিন্তু এই দেশের বৃষ্টি যেমন অসহ্য লাগে তেমনি আমার দেশে তুষারপাতও আমার কাছে প্রত্যাশিত না। আবার আমার দেশের বৃষ্টির পরের কাঁদা প্যাকপ্যাক যেমন বরক্ত লাগে তেমনি তুষারপাতের পর জমে থাকা বরফ আর স্যাঁতস্যাঁতে রাস্তাঘাটও চরম বিরক্তি ঘটায়। শুধু ভালো লাগে আমার দেশের বৃষ্টির সময়টা আর এখানকার তুষারপাতের সময়টা।
আপনার লেখায় কয়েকটা জায়গায় নিজেরই ভাবনার কেমন প্রতিফল মনে হলো অনিকেত'দা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থ্যাঙ্কু বস----
তোমার কাছ থেকে গানের উপর আরেকটা লেখা আশা করে আছি---
ভালো থেকো
- গান নিয়ে লিখবো আমি, তবেই হয়েছে অনিকেত'দা!
আমি তো বরং আপনাকে খোঁচাটা দেয়ার চেষ্টা করলাম। নতুন দিনের গান শিরোনামে যদি আরও কিছু পাই আমরা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
স্নিগ্ধা আপু নামক জনৈক 'মেধাবী' বাংলাদেশী
আছাড় খেয়ে উঠতে পেরেছিলেন তো?
নাকি অপঘাতে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হা হা হা -----
আমি তো এসেই পড়লাম!!!!
পুতুল
-( শিরোনামহীন)
সুস্বাগতম পুতুল---
আমিও খুব শীতকাতুরে
বস, লেখাটা যখন দিয়েছিলেন, তখনও আমি কমেন্টানো শুরু করি নাই, তখন ভাবতাম সচল না হয়ে লেখা যায় না। যাক, ঐ রাতে কিন্তু ভালই মজা হয়েছিল, আবার বরফ পরুক, আবার হামলা করব আপনাকে, আর ছবি শেয়ার করি ২-১ টা, আপনার আপত্তি না থাকলে। হাজার হলেও ছবির স্বত্তাধিকারী আপনে। (বানানটা মনে হয় ভূল হল )
আমিও , শীতের গুষ্টি কিলাই!
facebook
হে হে হে --আম্মো--
ফিনল্যান্ড এ থেকে তারেক অনু শীতের গুষ্টি কিলায়, হায় আল্লাহ, আর কি শুনতে হবে।
শনি রবিবারে বরফ পড়লে আনন্দই লাগে। জানালা দিয়ে সাদা সাদা তুলোর মত ঝিরঝির করে পড়ছে, দেখতে খুব ভাল লাগে।
খারাপ লাগে যখন গলতে শুরু করে প্যাচপেচে হয়ে যায়।
দেশের বৃষ্টির সাথে কি তুলনা হয়? বহু বছর ধরে শীতে দেশে যাই। দেশের বৃষ্টিও দেখিনা কতকাল।
বৃষ্টির শব্ধ আবার কবে শুনব কে জানে। কখনো কখনো মনে হয় এখানেই টিনের চালের একটা ঘর বানাতে।
লেখা যথারীতি সুখপাঠ্য।
থ্যাঙ্কু নীলু'দি!!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
নতুন মন্তব্য করুন