এইমাত্র খবর পেলাম যে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কে ক্যাম্ব্রিজে হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সুত্রে জানানো হয়েছে---তিনি 'ভীষন অসুস্থ'।
৬৭ বছর বয়েসী এই বিজ্ঞানী প্রায় ষাটের দশক থেকেই 'মোটর নিউরন ডিজিজ' নামের এক দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। বহুবছর আগে ডাক্তারদের নিদান দেয়া এই হার-না-মানা যোদ্ধা কেবল যে বেঁচে আছেন, তাই নয়, ১৯৭৯ সাল থেকে ক্যাম্ব্রিজের ডিপার্টমেন্ট অব এপ্লাইড ম্যাথেমেটিক্স এন্ড থিওরেটিকাল ফিজিক্সের লিউকাসিয়ান প্রফেসর(একসময় নিউটন প্রমুখ এই আসন অলংকৃত করেছিলেন) হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জয়যাত্রার। A brief history of Time এর কারনে বিশ্ব জুড়ে খোকা-বুড়ো সকলেই আজ তার নামের সাথে পরিচিত।
বিজ্ঞানী হিসেবে তার মুল্যায়ন কী সেইটে নিয়ে হয়ত বড় বড় তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানীদের মাঝে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু অমানুষিক যন্ত্রনা,স্থবির-প্রায় জীবন আর অকল্পনীয় সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাওয়া এই মানুষটি আমার কাছে হেমিং ওয়ের Old man and the sea এর নায়ক-----আমাদের এই যন্ত্রনা-সঙ্কুল ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ জীবনে এক উজ্জ্বল বাতিঘর।
তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
------------------------------------০------------------------------------
আপডেটঃ
বিবিসি'র বরাত দিয়ে জানা গেছে, হকিং এখন বেশ খানিকটা ভাল বোধ করছেন।তবে নানান টেষ্ট এখনো চলেছে।
--------------------------------------০---------------------------------------
আপডেট ২ঃ
সর্বশেষ খবর হল, হকিং এর শরীরের অবস্থা এখন অনেকটাই ভাল।ডাক্তাররা খুব শিগগিরই তার পূর্নাঙ্গীন সুস্থতা আশা করছেন।
হকিং বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি ক্যাল্টেকে অবস্থান করছিলেন এবং সপ্তাহের শেষের দিকে এরিজোনায় তার একটা বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারনে সেটা স্থগিত ঘোষনা করা হয়। গত শনিবারে তাকে নিয়ে আসা হয় ক্যাম্ব্রিজে। শ্বাসনালীর প্রদাহে ভুগছিলেন হকিং।
এই ঘটনাটা ঘটল এমন এক সময় যখন হকিং ধীরে ধীরে তার গবেষনার স্থান পরিবর্তন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়াটার্লু,অন্টারিওতে। ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা ও সরকারের শিক্ষানীতির উপর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন হকিং-----তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে ক্রমাগত অর্থহ্রাস ও উন্নাসিকতা তাকে দারুন ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করে তুলেছিল। একই সময় কানাডাতে তিনি দেখেছিলেন উৎসাহী গবেষকদের ভীড় আর সহানুভুতিশীল সরকার ব্যবস্থা। এই গ্রীষ্মেই হকিং এর কানাডাতে পুর্নোদ্যমে কাজ শুরু করার কথা।
তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং হাজার মানুষের মনে আলোর মশাল জ্বেলে এগিয়ে চলা এই লোকটির জন্যে আমার ও আমাদের সশ্রদ্ধ প্রণতি।
মন্তব্য
আহারে বেচারা। খবর খারাপ, বেচারা এর যা রোগ এর ব্রত্যান্ত দিলেন, যুদ্ধ করে যাবেন, ভালো হবেন না।
...
সহমত। ধ্রুত সুস্থ হয়ে আবার উনার কাজের মাঝে ফিরে যাক এই প্রত্যাশাই করি।
তাঁর আরোগ্য কামনা করছি। মূলত তাঁর ওয়ার্কি কনডিশনে ফিরে আসা কামনা করছি। তিনি প্রায় চল্লিশ বছর ধরে বিকলাঙ্গ অবস্থায় আছেন। উল্লেখিত দুরারোগ্য অসুখে তাঁর হাত-পায়ের এবং কথা বলার শক্তিও রহিত হয়। অন্যদের সাথে যোগাযোগ ও কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন হুইল চেয়ারের সঙ্গে যুক্ত ভয়েস সিনথেসাইজার ও কম্পিউটার ব্যবহার করে, যা তিনি হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে ব্যবহার করতে পারেন না বরং তার গালের সাহায্যে ব্যবহার করেন। বর্তমানে তিনি বুকে ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি বিজ্ঞানের এমন একজন অধ্যাপক যিনি জীবন্ত কিংবদন্তী, বিজ্ঞানের কল্যাণে যার কাজে ফিরে আসা অনেক বেশি দরকার।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
হকিং আমার কাছে এখনো রহস্যময় মিথিক্যাল ফিগার...
তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। ৬৭ কোন বয়সই নয়।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
হকিং এর বই পড়েই বিশ্বতত্ত্ব ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলাম। সন্দেহ নেই, পৃথিবীর অনেক কিশোরকেই তিনি বিজ্ঞানী হবার স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে সাধারণ্যে পদার্থবিজ্ঞান মানেই যেন হকিং। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আসলেই, ৬৭ কোন বয়স না।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
তাহলে আপনি পদার্থবিদ্যার ছাত্র?
ইয়াহু নিউজে দেখলাম খবরটা। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
হকিং, আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
অত্যন্ত খারাপ খবর । মন খারাপ হয়ে গেল । তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি ।
এই লোকটা মরলে পৃথিবীর কয়েকটা যুগ হঠাৎ করে ইরেজড হয়ে যাবে! ভবিষ্যতের কয়েকটি প্রকাশিতব্য বইয়ের নামই আমরা জানবো না। মহাকাশের দিগ্বিজয়ী দুই একটা মিশন কমে যাবে! আরোও কতোকি হবে কে জানে?!
মানুষ যে কেন মরণশীল .... !
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
আগামী বছর ফিজিক্সে তাঁর নোবেল ডিউ, হকিং নিজেই এরকম আশা করেছিলেন সম্প্রতি চালানো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আদি ইতিহাস জানার ভূ-গর্ভস্থ প্রকল্পের প্রথম দিনের ফলাফল পেয়েই। পরবর্তী ফলাফলগুলো তেমন করে আর মিডিয়ায় আসে নি।
ফিজিক্সে নোবেলের এই এক সমস্যা, ল্যাবে প্রমাণ থাকতে হয়। বেচারার কিছু একটা হলে নোবেল কমিটি'কে পস্তাতে হবে বলে রাখছি।
একজন বিরল মানুষ! শারিরীক বিকলতার কবলে পড়া মানুষদের জন্যে এক বিরাট সাফল্যের উদাহরণ। তাঁর আরোগ্য কামনা করি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
- নো গুড!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুনে থেকে মনটা থম ধরে ছিলো, আর কিছু বলতে পারিনি।
তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরুন, এই প্রার্থনা।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই মানুষটার প্রতি আমার অসম্ভব শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ আছে। খবরটা শুনে বিরাট ধাক্কা খেয়েছিলাম। আজ রেডিওর খবরে শুনলাম এখন নাকি তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে। ভাল হয়ে উঠুন তিনি, এই কামনাই করি।
"ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা ও সরকারের শিক্ষানীতির উপর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন হকিং-----তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে ক্রমাগত অর্থহ্রাস ও উন্নাসিকতা তাকে দারুন ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করে তুলেছিল। "
কোথায়ে পড়েছেন বলবেন কি? হকিং এ বছর রিটায়ার করেছেন । যদিও কেম্ব্রিজ তাকে accommodate করবে, কিন্তু আগের সেই ক্ষমতা থাকবে না। ইতোমধ্যে, Neil Turok, কেম্ব্রিজে হকিং-এর একজন সহকর্মী, কানাডার Perimeter Institute-এর পরিচালকের পদ গ্রহণ করেছেন। হকিংকে বিশাল অংকের একটা অফারও দেয়া হয়েছে। আমার জানা মতে এ জন্যই কানাডার Perimeter Institute-এ চলে যাচ্ছেন হকিং। "ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থা ও সরকারের শিক্ষানীতির উপর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন হকিং" -এটা কোথায় পেয়েছেন বলবেন কি?
উপরোক্ত সংবাদটি globeandmail.com নামের ওয়েবসাইট থেকে পেয়েছি।
আপনার অবগতির জন্যে এখানে সংশ্লিষ্ট অংশটুকু তুলে দিচ্ছিঃ
"In recent years, both Prof. Turok and Prof. Hawking became disenchanted with the British government's alleged lack of commitment to theoretical science, and turned to Canada as what they saw as a more generously funded alternative.
Prof. Turok had been turned down in a government request for $40-million in funds to create a Hawking Institute of Cosmology.
Instead, he departed last year to Canada, where he praised the government for contributing more than $50-million toward the Perimeter Institute, devoted to theoretical physics. The institute was created in 2001 by BlackBerry inventor Mike Lazaridis, who has contributed $150-million to the centre, much of it matched by government funds.
While Prof. Hawking has not discussed his reasons for shifting his work to Ontario (he still retains an honorary position at Cambridge), Prof. Turok last year told the British media that the physicist had become distressed about the British research environment.
“Stephen has been very loyal to Cambridge – he could have gone anywhere he wanted. … Sometimes [Cambridge] does not seem to appreciate how lucky it is,” he told the Daily Telegraph last year. “The British government and Cambridge are in danger of neglecting basic scientific research, which is a mistake. It is a recipe for dull science.”
Shortly after that interview, Prof. Hawking announced his new position in Waterloo, alongside Prof. Turok."
ধন্যবাদ। এটা ঠিক আছে। আপনার আংশিক ভাবানুবাদটি একটু মিসলিডিং ছিল।
নতুন মন্তব্য করুন