বেশ কিছুদিন আগে,এই সচলায়তনেই বলেছিলাম আমার এক বন্ধুর কথা---সান শাইন। আসল নাম সন শিয়েন। তাইওয়ানের ছেলে। আমাদের ইউনিভার্সিটিতে এসেছিল এক্সচেঞ্জ স্টুডেন্ট হিসেবে।
এমন মজাদার দিলখোলা মানুষ খুব কম দেখেছি আমি। দেখতে শুনতে সে বেশ শিশুতোষ। কৈশোরের ছাপ মুখটা ছেড়ে যায়নি এখনো। কিন্তু বয়েস এদিকে তিরিশ। এমনিতেই মঙ্গোলয়েডদের বয়স ঠাহর করা মুসিবত। সন শিয়েনের বালক-বালক চেহারার কারনে সেটা আরো দূরূহ। সন শিয়েন কেবল চেহারায় নয়, আচরনেও অনেকটা শিশুই থেকে গেছে। যেকোন জিনিসের প্রতি তার একধরনের অপার বিস্ময় মিশ্রিত কৌতুহল---যা আমি হারিয়েছি হাজার বছর আগেই। এই পাথরের শহরে, পাথরের মানুষ আর পাথরের ঈশ্বরের ভীড়ে এখনো গোপনে নিভৃতে বয়ে চলে সতেজ অনাবিল প্রানের নদী---এই উষর প্রান্তরে এখনো কোথাও ফোটে রক্ত-গোলাপ। আমার জন্যে এই রকম একজনের দেখা পাওয়াটা বড্ড জরুরী ছিল।
আমার একটা মুদ্রাদোষ হল, প্রায় সকলকে 'বস' বলে ডাকা। আমি আমার সুপারভাইসারকে 'বস' ডাকি। তার সামনে পোষ্ট-ডকটাকে 'বস' ডাকি, এর মাঝে কোন বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলে, তাকেও বস ডাকি। আমার সুপারভাইসার প্রথম দিকে খুব অস্বস্তিতে ভুগতেন। একবার ডেকে বললেন, ইয়ে, তুমি যে হারে সবাই কে 'বস' 'বস' করো, আমি তো মাঝে মাঝে কনফিউজড হয়ে যাই--তুমি কখন কার সাথে কথা বলছ।
সন শিয়েন কিছুদিনের মাঝেই আমাকে বস ডাকা শুরু করে দিল।আমি তারে বস ডাকি। সে আমাকে বস ডাকে। সন শিয়েনের একটা ডাকনাম আছে-চেন।
প্রথমদিকে সে যখন অফিসে ঢুকত, আমি তখন চেঁচিয়ে বলতাম,Chen, my man! চেন কিছুদিন খুব হো হো করে হাসল। কয়েকদিন পর, সে আবার অফিসে ঢুকছে। আমি যথারীতি বলেছি,Yo, Chen, my man!! সে দিব্যি আমার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বলল,Hey Tareque, my girl!! শুনে আমার চক্ষুস্থির!! আরে এই চায়না ম্যান তো সহজ জিনিস নয়--আমার মত দাঁড়িওয়ালাকে সে গার্ল বলে সম্বোধন করছে!!
যা হোক, কয়েক মাস পরে সন শিয়েন দেশে রওনা হল। দেশে যাবার আগে টেক্সাসে গিয়েছিল কী এক কনফারেন্স উপলক্ষে। ফিরে আসার সময় আমার জন্যে একটা উপহার নিয়ে আসল। দেখা গেল উপহার নিয়ে সে নিজেই ভীষন উত্তেজিত! বারবার বলে, জানো তোমার জন্যে একটা দারুন জিনিস এনেছি।খুব দারুন। আমি নিশ্চিত তোমার দারুন ভাল লাগবে। বার দশেক শোনার পরে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়ে সন শিয়েন, বারবার এইটা বলে আমার লোভ না বাড়িয়ে, আমাকে জিনিসটা দিয়ে দিলে ঝামেলা মিটে যায় না??
সে মাথা চুলকে বলল, তা যায়--কিন্তু এই না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার ব্যাপারটা আরো মজার। তোমাকে বলছি তোমার জন্যে একটা দারুন জিনিস এনেছি, অথচ তোমাকে দিচ্ছি না---আর তোমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, কী এমন জিনিস এনেছি আমি---যত সময় যাচ্ছে, তত তুমি অস্থির হচ্ছো---নাহ এইটার মজাই আলাদা !!! আমি খুব ভাল মানুষের মত মুখ করে বললাম, তোমাকে কে জানি প্লেনে তুলে দিতে যাবে সন শিয়েন?? ওহ হ্যা, সে তো আমি !!! কী জানি, সেদিন আমার গা ম্যাজম্যাজ করতে পারে। আমার আবার গা ম্যাজম্যাজ করলে গাড়ি চালাতে ভাল লাগে না-----
এই ঔষধে কাজ দিল। সন শিয়েন ত্রস্ত হাতে আমার উপহার এনে দিতে দিতে বলল, আরে আমি তো এমনি ঠাট্টা করছিলাম। উপহার পেয়ে, মোড়ক খুলতে খুলতে আমি বললাম, হ্যা, হ্যা, সে তো আমিও---
মোড়ক খুলে আমার চক্ষুস্থির!! ছোট্ট একটা পেপার ওয়েট। সেইটা এমন আশ্চর্যজনক কিছু না। যেটা আশ্চর্যজনক সেটা হল, ঐ পেপারওয়েটের মাঝে যা আছে। স্বচ্ছ গ্লাসের এই পেপার ওয়েটের বুকের মাঝে জমাট আছে---একদলা ষাঁড়ের গোবর!! পেপার ওয়েটের গায়ে আবার সোনালী লেবেলে লেখা 100% original Texas Bull shit!!! শুধু তাই নয়, পেপার ওয়েটের তলায় যা লেখা আছে তার মর্মার্থ খানিকটা এইরকম--"এতদ্বারা টেক্সাস গরু সমিতি কর্তৃক প্রত্যয়ন করা হইতেছে যে, এইখানে যে ষন্ডের পুরীষ পরিবেশিত করা হইয়াছে, তাহা শতকরা ১০০ ভাগ খাঁটি পুরীষ। শুধু তাই নহে, এই ষন্ডগুলিকে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক জৈব খাদ্য পরিবেশন করা হইয়াছিল---কোন প্রকার কৃত্রিম খাবার খাওয়ানো হয় নাই !!!"
আমি তোতলাতে তোতলাতে বললাম, ব্যাটা, তুই আমাকে শেষমেষ 'বুল শীট' দিলি?? সন শিয়েন কে দেখে মনে হল হাসতে হাসতে মারাই যাবে। কিছুখন পর দমটম নিয়ে বলল, শোকর গুজার করো হে, কেবল বুল শীট এনেছি, যদি জর্জ বুশের 'ইয়ে' নিয়ে আসতাম, তখন????
প্লেনে যখন তুলে দিয়ে আসছি, তখন সে একেবারে অন্য এক সন শিয়েন। চোখ ছলছল করছে। মাঝে মাঝে বাচ্চাদের মত নাক টানছে। আমি তার অভিভাবকের মতই কাঁধে হাত রেখে বলছি--আরে মন খারাপ করছ কেন? এই মাত্র কয়েকটা মাস। দেখতে দেখতে কেটে যাবে----! সন শিয়েন কয়েক মাস পর আবার ফিরবে আমাদের মাঝে।
কয়েক মাস পরের কথা। সন শিয়েনের পাত্তা নাই। এর মাঝেই চলে আসার কথা। আমাকে বলে গেছে, আসার আগে আমাকে জানাবে। আমি তাকে আনতে যাব এয়ারপোর্টে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই। এইদিকে আমার কাজের চাপও বেড়েছে। একদিন অফিসে বসে কাজ করছি, হঠাৎ করে আমার কম্পিউটার মনিটরের পেছন থেকে সন শিয়েনের মুন্ডু ভেসে উঠল !! আমি আঁ আঁ করে চিৎকার দিয়ে চেয়ার থেকে পড়ে যাবার দশা। সন শিয়েন এই বিরল মুহূর্তটুকু ক্যামেরা বন্দী করতে ব্যস্ত। আমি নিজেকে সামলাতে সামলাতে বললাম, কিরে ব্যাটা ফাজিল---এইভাবে কেউ কাউকে চমকায় নাকি?? আমি বুড়ো মানুষ, দূর্বল চিত্ত একজন। যদি হার্টফেলটেল করে ফেলতাম? উত্তরে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরতে ধরতে বলল, বস, তোমাকে বড্ড মিস করেছি। তার উষ্ণ আলিঙ্গন থেকে নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বললাম, আরে ছাগল করছিস কি? কেউ দেখে ফেললে আমাকে নির্ঘাৎ 'গে' ভেবে নেবে, সবে মাত্র কিছু বালিকাকে পটিয়ে এনেছি প্রায়, হায়রে আমার এতদিনের 'পইচ্চম', সব বুঝি গেল---
সন শিয়েন আবার তোড়ে জোড়ে কাজ শুরু করল। এইবার সে এসেছে মাত্র তিন মাসের জন্যে।এরই মাঝে এক দুপুরে দেখি আরেকটি চৈনিক বালিকাকে সাথে করে সন শিয়েন গুটি গুটি পায়ে অফিসে এসে ঢুকছে। বেশ মিষ্টি দেখতে মেয়েটির মুখটা হাসি হাসি।চোখে কোন রকম জড়তা নেই। নিজে থেকেই হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল, আমি চাও ঝিয়ে। সন শিয়েনের বন্ধু। আমি কিছু বলার আগেই সন শিয়েন আমার ঘাড়ে বিরাট থাবড়া মেরে বলল, এ হল আমার বস, তারেক, আমার 'বেষ্ট' বাডি!
কথায় কথায় জানা গেল, বাজার সদাই করতে গিয়ে নাকি দুইজনের দেখা হয়েছে। সন শিয়েন এমনিতে খুব চালাক চতুর হলেও--কিছু কিছু ব্যাপারে একেবারে নিরেট গোলা লোক! চাও ঝিয়ে তাকে এইসব দৈনন্দিন ব্যাপারে ট্রেনিং দিচ্ছে। চাও ঝিয়ে নিজেও এই ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। মাস্টার্স করছে। চার মাস পরেই গ্রাজুয়েট করবে।চীনা লোকদের নিয়ে আমার একটা ধারনা ছিল যে --এরা বড় সংঘবদ্ধ জাতি। নিজেদের চেনা গন্ডির বাইরে কারো সাথে পারতে তারা মেশে না, কথাও বলে না। যে কারনে বছরের পর বছর আমেরিকায় থেকেও তাদের ইংরাজী শুনলে রীতিমত কান্না পায়। চাও ঝিয়ে দেখা গেল এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। খুব মিশুক মেয়ে। সবসময় মুখে একটা হাসি ঝুলে আছে। ভাল ইংরাজী বলে। আড্ডাবাজ। খোলা গলায় হাসে। সব মিলিয়ে মেয়েটাকে আমার বেশ ভাল লাগল।
কিছুদিনের মাঝেই দেখা গেল, ওদের দুইজনে বিরাট ভাব! প্রায় রোজ দুপুরে চাও ঝিয়ে আমাদের অফিসে এসে হাজির। তারা দুইজনে বাইরে খেতে যায়। এইটাও বেশ অদ্ভূত। আমার দেখা মতে, চীনারা ভীষন কিপ্পুস! কখনো তাদের কিছু 'বাজে' খরচ করতে দেখা যায় না। দিনের পর দিন তারা তাদের রান্না করা
বিকটগন্ধী খাবার দুপুর বেলা লাউঞ্জে বসে খায় কিচমিচ করতে করতে। আমি মাত্র হাতে গোনা ক'টি বার ওদের ডাঙ্কিং ডোনাটসে কফি কিনতে দেখেছি। চাও ঝিয়ে আর সন শিয়েন দুই জনেই খুব বাইরের খাবার পছন্দ করে। দুয়েকবার তারা তাদের রান্না করা খাবার নিয়ে এসেছিল অফিসে। গন্ধের চোটে সবাই ভেগেছে।
এরমাঝে একদিন অফিসে ঢুকে দেখি চাও ঝিয়ে সন শিয়েনের সাথে আলাপে ব্যস্ত। আমি ঢুকতেই সন শিয়েন তার প্রথামত সম্ভাষণ জানাল, হ্যালো বস! চাও ঝিয়ে খুব উৎসুক হয়ে ইতিউতি চাইতে লাগল--বস কই? ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তাকে বুঝিয়ে বললাম, কিভাবে আমি আমার সকল চেনা মানুষকে বস বলে ডাকি এবং কিভাবে সন শিয়েন আমার মুদ্রা দোষে আক্রান্ত হয়েছে। দুই দিন পর আবার অফিসে ঢুকছি। এইবার কানে ভেসে এল একটা কোরাস সম্ভাষণ,হ্যালো বস। দ্বিতীয়টি এসেছে, বলাই বাহুল্য, চাও ঝিয়ের কাছ থেকে!!
একদিন বিকেল বেলা সন শিয়েন কে একলা পেয়ে চোখ মটকে জিজ্ঞেস করলাম, কি হে শ্যাম কালিয়া? রাধা তো দেখছি মজেছে...! সন শিয়েন চোখ গোল করে বলল, শ্যাম কালিয়াটা আবার কেঠা? ভারতীয় পুরাণ ও সংশ্লিষ্ট কিছু প্রেমের কাহিনী নিয়ে ছোট্ট একটা ক্রাশ কোর্সের পর জিজ্ঞেস করলাম, তো ঘটনা কদ্দুর?? সন শিয়েন বেশ লজ্জা পেয়ে লালটাল হয়ে বলল,চাও ঝিয়েকে তার খুব মনে ধরেছে।মেয়েটার সব কিছুই তার ভাল লাগে। সব চাইতে যেটা ভাল লাগে সেটা হল---চাও ঝিয়ে কখনো তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে না। যেটা নাকি তার প্রাক্তন প্রেমিকা সব সময় করত। আগেই বলেছি সন শিয়েন ঠিক পুরো দস্তুর 'সামাজিক জীব' নয়। জীবনের অনেক কায়দা-কানুন প্যাঁচ-ঘোঁচ সে বেচারা টের পায় না। ফলে অনেক সময়েই নানান জায়গায় গোল পাকিয়ে ফেলে। এই নিয়ে তার প্রাক্তন প্রেমিকা তাকে সব সময় নাকি গালমন্দ করত। সে নাকি বলত, সন শিয়েন কে দিয়ে কোন কালে কিচ্ছু হবে না---
সেই জায়গায় চাও ঝিয়ে তার সাথে রাগারাগি তো করেই না, বরং উলটো বুঝিয়ে সুজিয়ে দেয়। আমি হাতে কিল মেরে বললাম, সাবাস, লাগে রহো 'চায়না' ভাই----
পরের দিন দুপুর বেলা আমি অফিসে কাজ করছি। চাওঝিয়ে এসেছে। সন শিয়েন কে নিয়ে বাইরে খেতে যাবে। হঠাৎ দেখলাম সে সন শিয়েনকে কী জানি বলল আর সন শিয়েন বাধ্য ছেলের মত গুটগুট করে রুমের বাইরে গেল। তারপর চাও ঝিয়ে এক লাফে আমার কাছে এসে হাঁটু গেড়ে বসে বলল, বস তোমাকে একটা কথা একান্তে জিজ্ঞেস করতে চাই---করব কি? আমি বললাম,নিঃসন্দেহে। চাও ঝিয়ে খানিকটা ভেবে, অনেকটা মাথা চুলকে, শেষে কানটান লাল করে বলে ফেলল, বস, তোমার কি মনে হয় সন শিয়েন আমাকে পছন্দ করে?? আমি হো হো করে হেসে ফেললাম। চাও ঝিয়ে আহত গলায় বলল, আমি হাসির কথা কী বললাম?? আমি হাসি সামলাতে সামলাতে বললাম,তুমি এতদিন ধরে সন শিয়েনের সাথে ঘুরছ। তোমার তো বুঝে ফেলা উচিত সে কী রকম মানুষ এবং কী তার মনের কথা। আমার মনে হয় না সন শিয়েন তার আবেগ তেমন একটা লুকিয়ে রাখতে পারে বলে।যাই হোক, আমার ধারনা তুমি জানো, ভাল করেই জান--শুধু নিশ্চিত হতে চাইছ।তো তোমার প্রশ্নের উত্তর হল, হ্যা, ঐ গাধা তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।
এই একটা সামান্য কথা ঐটুকু মেয়ের মুখে যে স্বর্গের দীপ্তি এনে দিল, তাতে লক্ষ কোটি সূর্য অন্ধ হলো। আমাকে জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে বলল, বস, তুমি গ্রেট। তারপর দৌড়ে চলে গেল বাইরে সন শিয়েনের খোঁজে। সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ভাবলাম, কত লক্ষ কোটি বছরের পুরোনো এই বিশ্ব চরাচর, কত লক্ষ বছরের পুরোনো মানব সভ্যতার ইতিহাস---অথচ কী আশ্চর্য, এত বছরেও যে জিনিসটা অমলিন রয়ে গেল, এত বছরেও যে জিনিসে মরচে ধরল না এতটুকু--সেটা হল প্রেমে পড়া মানব-মানবীর সুখের উদ্ভাস!! লক্ষ কোটি বছর গিয়েছে, আরো হয়ত যাবে লক্ষ কোটি মন্বন্তর---কিন্তু যুগে যুগে সন শিয়েনরা খুঁজে পাবে তাদের চাও ঝিয়ে কে আর প্রতিবার প্রেমের উদ্ভাসনে জ্বলবে সহস্র আলোকবর্তিকা !!
সেদিন বিকেলে সন শিয়েন ফিরে এসে জানাল, তারা এখন 'অফিশিয়ালী' রাধে-শ্যাম! আমি চোখ মটকে বললাম--মিয়া গোটা ব্যাপারটা যে আমার সামগ্রীক তত্ত্বাবধানে হয়েছে, সেটা মানো তো নাকি? গুরু দক্ষিণা চাই কিন্তু। সন শিয়েন ব্যগ্র গলায় বলল, অবশ্যই বস। বল, কি চাও তুমি। আমি আমার ফিচেল মার্কা হাসি হেসে বললাম, তেমন কিছু নয়, যেদিন তোমরা প্রথম চুমু খাবে, সেদিন আমাকে ইটালিয়ান রেষ্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াতে হবে। ওদের চুমু খাবার সাথে আমাকে ইটালিয়ান রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর সম্পর্ক কি, সেইটা নিয়ে সন শিয়েন কে মোটেও চিন্তিত মনে হল না। সে উজ্জ্বল মুখে জানাল, অবশ্যই বস, অবশ্যই।
এদিকে সন শিয়েনের যাবার দিন ঘনিয়ে আসছে। ব্যস্ততাও তার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কিন্তু রোজ তারা দুই জন ঠিক সময় করে বেরোয়।একসাথে কিছু সময় কাটায়। এর মাঝে একদিন আমার বসের(সুপারভাইসারের) কাছে একটা কাজ দেখাতে যাচ্ছি, বেশ তাড়াহুড়োর মাঝে আছি।আমার অফিস থেকে প্রায় দৌড়ে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছি এমন সময় সন শিয়েনের সাথে দেখা। সে দেখলাম চট করে আমার পথ আগলে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, বস, কখন তুমি ফ্রী? তোমাকে ইটালিয়ান রেস্টুরেন্টে খাওয়াতে চাই-------
দেখতে দেখতে সন শিয়েনের যাবার দিন ঘনিয়ে এল। আবার আমি তাঁকে এয়ারপোর্টে নামাতে যাব। সন শিয়েন দিনের মধ্যে চৌদ্দ বার এসে এই জন্যে কৃতজ্ঞতা জানায়। শেষে বিরক্ত হয়ে বললাম, আর একবার যদি এই নিয়ে ধন্যবাদ দিতে আসে, তাহলে সে যেন অন্য কোন ব্যবস্থা করে--আমি নিয়ে যাব না। যাবার আগের দিন সন শিয়েন জানাল, তাকে বিদায় দিতে চাও ঝিয়েও আসতে চায়। আমার কোন আপত্তি আছে কি না। উত্তরে তাকে গাট্টা মেরে বোঝাতে হল যে আমার আপত্তি নেই।
যাবার সময় সন শিয়েনকে আমি একটা উপহার দিলাম। উপহারটা কি সেইটা নিয়ে বিশদ আলোচনায় না গিয়ে শুধু এইটুকু বলি---সে আমাকে যে উপহার দিয়েছিল, আমার উপহারটা ছিল সেইটার একটা উপযুক্ত জবাব !
এয়ারপোর্টে এই কপোত-কপোতী কে খানিকটা একলা থাকার সুযোগ করে দিলাম। বেশ খানিকখন পর তারা দুইজনেই চোখ মুছতে মুছতে এসে বলল, তারা রেডি।
এয়ারপোর্ট থেকে যখন ফিরছি, তখন গাড়ির পেছনের সীটে মূর্ত্তির মত বসে আছে চাও ঝিয়ে। গাড়ির ভেতর অজয় চক্রবর্ত্তী গাইছেন, যত পাহারাই দাও, মন পালাবে----
এরপর কেটে গেছে, আরো কিছুদিন। হঠাৎ একদিন ফোন পেলাম চাও ঝিয়ের। বলল, বস একটা জরুরী কথা আছে। মিনিট দশেক সময় দিতে পারব কি না। আমি বললাম অবশ্যই। আমার ডিপার্টমেন্টের বাইরে গাছের ছায়ায় বেঞ্চে বসে আমি তার অপেক্ষা করতে লাগলাম। চাও ঝিয়ে এল। বড় ম্রিয়মান তার মুখ।ছোট ছোট চোখগুলো জলে ভরে আছে।নরম রোদ গালের উপর পিছলে পড়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পথ হারিয়ে ফেলা অশ্রুনদীর পদচিহ্ন। আমার মনে প্রবল কুডাক ডাকতে শুরু করল।এর পরের দশ মিনিট ছিল আমার জন্যে বড় কষ্টের। বড় যন্ত্রণার। চাও ঝিয়ে জানায়, সন শিয়েন নাকি তার দেশে যাবার পর থেকেই কী রকম যেন বদলে যাচ্ছিল। বারবার নাকি জিজ্ঞেস করত, তাদের এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে প্রচুর আত্মত্যাগের প্রয়োজন। চাও ঝিয়ে সেটা পারবে কি? এমনি আরো হাজার প্রশ্ন। চাও ঝিয়ে শুধু বলত, আমরা তো সব জেনেশুনেই এই পথে এগিয়েছি। এই কয় সপ্তাহের মাঝে এমন কী হল যে, সন শিয়েন এইসব প্রশ্ন করা শুরু করল? শেষে গতকাল সন শিয়েন মোটামুটি পরিষ্কার ভাবেই জানায়, সে আর এই সম্পর্কটাকে প্রেমের পর্যায়ে রাখতে ইচ্ছুক নয়। সে কেবল একজন বন্ধু হয়ে থাকতে চায়।
আমি শোকে দুঃখে মুহ্যমান হয়ে রইলাম। কি এমন ঘটল এই কয় দিনে, যে সে এইরকম সিদ্ধান্ত নিল? আর সন শিয়েন সাধারনতঃ বাড়ি পৌছেই আমাকে মেইল করে জানায় যে সে ঠিকঠাক পৌছেছে। এবার সে কিছুই করে নি। আমি অনেক চিন্তা করে শেষে চাও ঝিয়েকে বললাম, শোনো, আমার মনে হয় আমরা এখানে কিছু জিনিস মিস করছি। সে নিশ্চয়ই কোন ঝামেলায় আছে। আমি তাকে চিনি। ভাল করেই চিনি। এইরকম পাষন্ডের মত কাজ তার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমি বলি, আমার স্থির বিশ্বাস, সে আসলে তার থিসিস লেখা নিয়ে চাপের মাঝে আছে। তার উপর, কিছু দিনের মাঝেই তাকে আবার মিলিটারী ট্রেনিং এ যেতে হবে। সব মিলিয়ে, আমার ধারনা, সে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। চাও ঝিয়ে ম্লান হেসে বলে, এইসব নিয়ে তার সাথে আমার অনেক কথা হয়েছে। এগুলো কারন নয়। আসলেই সে আর এই সম্পর্ক টেনে নিয়ে যেতে চায় না-----
এক উজ্জ্বল আলোর দুপুরে, আমরা দুজন মুখ অন্ধকার করে বসে থাকি। চাও ঝিয়ে খানিকটা আনমনেই বলে ওঠে, জানো বস, সবাই আমাকে মানা করেছিল। সবাই বলেছিল, এইটা হবার নয়, টিকবে না। আমার বাবা-মা রাগারাগি করেছে। তুমি তো জানো, তাইওয়ানের সাথে চীনের সম্পর্ক কি রকম।
কিন্তু আমি সেসব কিছুই শুনিনি। একমাত্র তুমি ছিলে, যে বলেছিল এগিয়ে যেতে। লজ্জায় ক্ষোভে বেদনায় আমার মাথা হেঁট হয়ে আসে। সে বুঝতে পেরে বলে ওঠে, বস, সে জন্য তুমি মন খারাপ করো না। তুমি উৎসাহ দিলেও শেষ পর্যন্ত এইটা আমাদের দুইজনেরই সিদ্ধান্ত। আর আমরা কেউ তো বাচ্চা নই।
যা করেছি, আমরা বুঝে শুনেই করেছি। খালি একটা কথা মনে হয়, আমি কেন বার বার ভুল মানুষ পছন্দ করি, বস? কেন এমনসব মানুষের সাথে সম্পর্ক হয়, যারা আমাকে পরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যায়??
আমি বলি, চাও ঝিয়ে, তুমি ভুল মানুষকে এই প্রশ্ন করছ।তুমি যে যন্ত্রণায় ভুগছ, সে নরকে আমি পুড়ছি হাজার বছর ধরে। আমি বারবার ভুল ফুল তুলতে গিয়েছি, বার বার কাঁটায় বিঁধে রক্তাক্ত হয়েছি। ভুল মানুষকে ভাল লাগার মাশুল দিয়েছি বারবার পুড়ে গিয়ে, ছাই হয়ে। কিন্তু একটা জিনিস জানো চাও ঝিয়ে? আমি কখনো বদলাই না। কারন আমি জানি, আমি যদি বদলাতে যাই, তাহলে আমি আর আমি থাকব না। আমি হয়ে যাব অন্য সবার মতই 'হিসেবী' 'সতর্ক'।যতবার চাক ভুল হোক। আমি যেকোন সময়, যেকোন দিন চোখ বুঁজে আমার হৃদয়ের ব্যালটে ভোট দেব। তাতে আমি হারি, আমার ভরাডুবি হোক, যাই হোক।হৃদয় এর কন্ঠরোধ করে 'সঠিক' সিদ্ধান্ত নেবার চেয়ে হৃদয়ের দাবী মেনে নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া---এইতো আমি! আমার কেন জানি মনে হয়, তুমিও সেই রকম। কাজেই অন্য কেউ তোমাকে কী বলবে জানিনা--কিন্তু আমাকে যদি জিজ্ঞেস করো, আমি বলব, কখনো হৃদয়ের উপর হাল ছেড়ে দিও না। সে তোমাকে স্বস্তি দেবেনা সত্যি, সে তোমাকে আগুনে পোড়াবে সত্যি, কিন্তু শেষ সময় তুমি অন্তত নিজেকে বলতে পারবে---সারাটা জীবন তুমি হৃদয়বান একজন মানুষ ছিলে----সার্বক্ষনিক হিসেব করে চলা কোন যন্ত্র নয়।
চাও ঝিয়ে আমার কাছ থেকে বিদায় নেয়। আমি তাকে বলি, সন শিয়েনের উপর আস্থা না হারাতে। আমি বলি, সন শিয়েন যা বলছে, সেসব সুস্থ মস্তিষ্কে বলছে না। কিছুদিনের মাঝেই সে সম্বিৎ ফিরে পাবে। চাও ঝিয়ে কিছু বলে না। কেবল ম্লান হাসে।
-------------------------------০----------------------------------
আজ সকালে আমার মেইল বক্সে একটা মেইল এসেছে। সন শিয়েনের।
তাতে লেখা, বস আমি আমার থিসিস লেখা নিয়ে বড় ব্যস্ত ছিলাম----প্রায় মাথা খারাপের মত হয়ে গিয়েছিল। তুমি নিশ্চয়ি শুনেছ চাও ঝিয়ের কাছ থেকে আমাদের কথা।
বস, এখন আমি বুঝতে পারছি, সে আমার কাছে কী ছিল। এখন আমি বুঝতে পারছি, সে ছাড়া আর বাকী সকল কিছু কত অর্থহীন। কিন্তু আমি বড় দেরী করে ফেলেছি বস।হয়ত খুব বেশি দেরী। কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। আমি চাও ঝিয়ে কে ফোন দিচ্ছি। তুমি ভাল থেকো------
সন শিয়েন
মন্তব্য
শুধুমাত্র আপনার এই লেখাটিতে কমেন্ট করব বলে লগইন করলাম। এত চমৎকার লেখেন আপনি যে মুগ্ধতার রেশ কাটে না।
আশা করি, সন শিয়েন আর চাও ঝিয়ের আবার মিলন ঘটবে।
বাস্তবিক হলেও লেখার গুণে পুরোদস্তুর সফল একটি প্রেমের গল্প এটি।
থ্যাঙ্কু ফারুক ভাই।
আমিও চাই এই পাগল দুটো এক হয়ে যাক---দুই জনেই খুব চমৎকার মানুষ!
হ্যা, আসলেই খুব চমতকার লেখনী আপনার! দারুন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরু দা, অনেক ধন্যবাদ এমন সদয় মন্তব্য করার জন্যে।
ভাল থাকবেন---
অসম্ভব মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা, অনিকেত'দা।
"যতবার চাক ভুল হোক। আমি যেকোন সময়, যেকোন দিন চোখ বুঁজে আমার হৃদয়ের ব্যালটে ভোট দেব। তাতে আমি হারি, আমার ভরাডুবি হোক, যাই হোক। হৃদয় এর কন্ঠরোধ করে 'সঠিক' সিদ্ধান্ত নেবার চেয়ে হৃদয়ের দাবী মেনে নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া---এইতো আমি!" - আমিও অনেকটা এরকমই ভাবি। মানুষে বিশ্বাস হারানো পজিটিভ কিছু বলে আমার মনে হয় না। তারচেয়ে বারবার ভুল করা স্বস্তির।
আপনাকে আরো একবার .... স্যরি। সঠিক শব্দটা পাচ্ছি না।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝি না আমরা অনেকেই। আশা করি সানশাইনের খুব বেশি দেরি হয়ে যায়নি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
থ্যাঙ্কু শিমুল। শুভেচ্ছা রইল---
একটু লম্বা কিন্তু সুন্দর গল্প। যেগুলোকে আমরা আদর করে কিউট বা সুইট বলি,সেইরকম। পাঁচ দিলাম।
এবার আসল কাজ। বাবামা স্যার লাঠি নিয়ে আমার পিছে লাগসে জানেনই তো, আমিও একটু পয়েন্ট কামাই।
১। দেখতে শুনতে সে বেশ শিশুতোষ= শিশুতোষ যদ্দুর জানি সমাস নিষ্পন্ন শব্দ, শিশুদের তোষণ করার উদ্দেশ্যে যা করা হয় বা লেখা হয় সেরকম, যেমন শিশুতোষ ছড়ার বই। সেক্ষেত্রে শিশুতোষ শব্দটি এখানে বেমানান। বাবামা স্যার আরও বিস্তারিত বলতে পারবেন।
২। বয়েস = বয়স
৩। কারনে= কারণে
৪। দূরূহ= দুরূহ
৫। আচরনে = আচরণে
৬। যেকোন = যে কোনো
৭। কৌতুহল= কৌতূহল
৮। প্রানের= প্রাণের
৯। উষর = ঊষর
১০। সুপারভাইসারকে= সুপারভাইজারকে
১১। পোষ্ট-ডকটাকে = পোস্ট-ডকটাকে
১২। সুপারভাইসার = প্রাগুক্ত
১৩। ভীষন= ভীষণ
১৪।১৫।১৬।১৭ দারুন - দারুণ
১৮।১৯।২০। হ্যা = হ্যাঁ
২১।২২- পেপার ওয়েট = পেপারওয়েট
২৩। কিছুখন= কিছুক্ষণ
২৪। মুন্ডু = মুণ্ডু
২৫। ক্যামেরা বন্দী = ক্যামেরাবন্দী
২৬। দূর্বল = দুর্বল
২৭। তোড়ে জোড়ে = তোড়েজোড়ে তাও এই শব্দটির এই রূপ ব্যবহার নিয়ে আমি নিশ্চিত নই, শব্দটি তোড়জোড়। একসাথে । কোনো স্পেইস নেই মধ্যে।
২৮। ধারনা= ধারণা
২৯। ৩০। - ইংরাজী = ইংরেজী/ ইংরেজি , এটা বাবামা স্যারের প্রমিত বানান ধরলে হ্রস্ব ই কার, কিন্তু আমি দীর্ঘ ই কারেও স্বচ্ছন্দ
৩১। অদ্ভূত = অদ্ভুত
৩২। মুদ্রা দোষে = মুদ্রাদোষে
৩৩। সাবাস= সাবাশ
৩৪। হ্যা = হ্যাঁ
৩৫। অফিশিয়ালী = অফিশিয়ালি
৩৬। সামগ্রীক= সামগ্রিক
৩৭। গুরু দক্ষিণা = গুরুদক্ষিণা
৩৮। সুপারভাইসারের = সুপারভাইজারের
৩৯। খানিকখন = খানিকক্ষণ
৪০। মূর্ত্তি = মূর্তি
৪১। চক্রবর্ত্তী = চক্রবর্তী
৪২। টিকিয়ে = টিঁকিয়ে
৪৩। সাধারনতঃ = সাধারণতঃ
৪৪।৪৫ পৌছে= পৌঁছে
৪৬। পাষন্ড = পাষণ্ড
৪৭। মিলিটারী = মিলিটারি
৪৮। ধারনা= ধারণা
৪৯। কারন = কারণ
৫০। টিকবে= টিঁকবে
৫১। ভুগছ = ভুগছো
৫২। কারন= কারণ
৫৩। চাক = চাই
৫৪। কন্ঠরোধ= কণ্ঠরোধ
৫৫। সার্বক্ষনিক= সার্বক্ষণিক
৫৬। নিশ্চয়ি = নিশ্চয়ই
+ ৫৬ পেলাম মনে হয় , স্যার লাঠি না নিয়ে আসলেই হয় ।
ভাগ্য ভালো আমার মেট্রিক-ইন্টারের বাংলা খাতা আপনাদের হাতে পরে নাই
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমিও বেঁচে গেছি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পরে নাই = পড়ে নাই
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এক্কেরে মনের কথা, বস!
@ s-s,
(২.) বয়েস-কে বয়স করলেন আপনি- বয়েস কিন্তু ভুল নয়, লেখার কায়দা।
(২৫.) ক্যামেরাবন্দী = ক্যামেরাবন্দি
(৪১.) বানানের নিয়মানুযায়ী চক্রবর্তীই শুদ্ধ হওয়ার কথা, শব্দ হিসেবে।
তবে কি, চক্রবর্ত্তী-রা আমার জানামতে তাদের টাইটেলের বানান সারাজীবন চক্রবর্ত্তী-ই লিখে এসেছেন, সো প্রপার নাউন বলে এটাই বরং সঠিক ধরা উচিত।
(৪২. + ৫০.) টিকিয়ে এবং টিকবে-কে চন্দ্রবিন্দু দিয়ে টিঁকিয়ে এবং টিঁকবে করলেন! কিন্তু আসোলে অনিকেতদা'র-টাই ঠিক এক্ষেত্রে।
চন্দ্রবিন্দু হয় না তো এগুলোতে।
(৫৩.) চাক-কে চাই করলেন আপনি! লেখক 'চাক'ই বলতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই, ভুল-কেই সাবজেক্ট হিসেবে নিয়ে (যতো চাক ভুল হোক)।
অপ্রচলিত হলেও এটাকেও মনে হয় ভুল বলা যাবে না।
এমনিতে অবশ্যই অবশ্যই অনেক সাধুবাদ আপনাকে।
অনেক সঠিক ভুল ধরেছেন আপনি।
এত বড় একটা লেখা পড়ে পরে আবার এই সূক্ষ্ম বিচারের ধৈর্য পোষণ করা একটা বিশাল ব্যাপার!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
বয়েস কিন্তু "বলার" কায়দা, লেখার নয়। যদি সানশাইন বলতো "দেখো আমার বয়েস হলো ৩০তারপরেও আমায় বাচ্চাদের মতো দেখতে" সেখানে ঠিক হতো। নইলে বয়স। বন্দি/বন্দী দুটোই ঠিক, বললাম তো প্রমিত রীতির জন্য নম্বর নয়, দু'টো র মধ্যে স্পেইসের জন্য নম্বর। অজয় কি"চক্রবর্ত্তী" লেখেন, নইলে তো রবিন্দ্রনাথ লেখার মতো হয়ে যাবে ব্যাপারটা ,আমি ঠিক জানিনা, একটু জানাবেন - আর চাক এখানে নামপুরুষে লেখা কিন্তু কাহিনীটি উত্তমপুরুষে বর্ণিত, সুতরাং পুরুষে অমিলের জন্য, তবে এটা নিয়ে বাবামা স্যারই ভালো বলতে পারবেন, আসলে জানতে চাই আমিও আপনি যেটা বললেন। আর সবশেষ কথা হলো, বানান ধরাটা যে কি বাজে ব্যাপার কিন্তু ধরতে শুরু করলে যে কত্ত কিছু শেখা হয় সেটা চিন্তার বাইরে। সচলে কিন্তু একদম পোয়েটিক সাজেশন দিচ্ছি, কেউ না চাইলে না ফলো করলেও নো প্রবলেম, কিন্তু আলোচনায় যদি আমি নিজে আর অন্য কেউ শেখে এটা তো খুব ভালো। কোনো ভাবেই মাইন্ড খাইবেন না, প্লিজ। লেখক বা পাঠকগণ। দলে দলে আমার পোস্টে আসিয়া বানান ভুলে আমায় সিক্ত করুন , সবাইরে ওপেন দাওয়াত দিলাম। ভালো থাইকেন।
আমিও কিন্তু সত্যি সত্ উদ্দেশ্যেই ঢুকলাম এটায়, আপনাকে অফেন্ড করা মোটেই উদ্দেশ্য ছিল না, এখনও নয়।
তবে/তবু,
বলার কায়দা আমাদের এমন আধুনিক লেখালেখিতেও বিবর্তিত কায়দা হতে পারবে না- সেটা কিন্তু মানতে পারছি না।
বন্দি/বন্দী'র ব্যাপারটাতে কনফ্যুশন একটু রয়ে গ্যালো ঠিকই, আই'ল গেট ব্যাক টু ইউ অন দ্যাট।
আর, অজয়ও মনে হয় ওভাবেই ল্যাখেন চক্রবর্ত্তী। ওটা আমি শতভাগ নিশ্চিত তো নই, আমি বলেছি প্রায় সব চক্রবর্ত্তীদেরই ওভাবে লেখার কথা, তবে অজয়গুরু যদি এক ত-এ লেখেন, আমি ভুল মানবো। কিন্তু, এখানে রবিন্দ্রনাথের উদাহরণটা আমি বুঝলাম না, সিন্সিয়ারলি।
লাস্টলি, কাহিনী উত্তম পুরুষে বর্ণিত হলেই যে সেই উত্তম পুরুষের বর্ণনায় অন্য নামপুরুষ আসবে না- সেটা কেমন কথা! ক্লিয়ার হতে পারলাম না আপনার এই পয়েন্টটাতেও। উত্তম পুরুষের কাহিনীতে সন শিয়েন যেমন তৃতীয় পুরুষ হিসেবে এসেছিল, সেমতে 'ভুল'ও কি অন্য সাবজেক্ট হিসেবে তৃতীয়/নাম পুরুষ হতে পারতো না ভ্যালিডলি?!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এই যে বস, এরকম অসাধারন পোস্টের মাঝে আপনার বানান বিষয়ক পোস্টটা কি খুব জরুরী ছিল? "বাবামা" পোস্টেও তো দিতে পারতেন, আমার খুদ্র মনের খুদ্র চিন্তার কথা বললাম, মুজিব ভাইও কিন্তু আপনার পোস্টে শুদ্ধি পোস্ট কোরে নাই।
বস, বাবামা পোস্ট মন্তব্যের চোটে হাতী হইয়া যাচ্ছে ভাই, ওইটা খুলতে অনেক ক্ষণ লাগে, তা ছাড়া এখানে দিলে লেখক পরে বানানগুলো শুদ্ধ করার একটা রেফারেন্স পয়েন্ট পায়, আর এটা কিন্তু একটা খেলা , আপনি মাইন্ড খাইয়েন না, অতি চিপায় আছি, বাবামা স্যার ৫১৫ পয়েন্ট নিয়া সগৌরবে ছক্কা পিটাইতেসেন , অনেক শিখছি উনার কাছ থেকে, ভাইটু রাগ করিবেন না, রাগ করিলে আরও কিছু বানান ভুল ধরিয়া আপনার পোস্টও কালিমা (নাকি লালিমা) লিপ্ত করা হইবেক- এইটা হইলো পোয়েটিক থ্রেট,পোয়েটিক তুইতোকারি যেমন সচলে চালু, সেইরম ---
বড়ই সত্য, বানানে আমি খুবই দুর্বল, আর মুজিব ভাই যেভাবে কোপাইতেছে, মনে হয় না কেউ বেচে থাকবে ১ মাস পর। ঝোঁকের বশে আপনাকে কথা শুনায় ফেলসি, এখন খুব খারাপ লাগতেসে, লজ্জাও লাগতেসে। তাও আবার জবাব দিসি খান সাহেবের পোস্টে, ২ জনের কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী।
বস, আপনার ছক্কা পেটাইতে হলে আমার ডিফেন্স এর প্রথম পোস্টে যান গিয়া, ওইখানে ১ কোটি বানান ভুল, এত বেশী ভুল যে, ভয়ে কেউ বানানে হাত দেয় না, হা হা হা।
একেবারে পুঁতে ফেলেছেন বস।
আমি জানতাম বানানের ক্ষেত্রে আমি বাজে। কিন্তু এতটা বাজে জানতাম না।
ভাল কথা, আপনার নাম s-s --- আপনি আবার sun shine নন তো?? হে হে হে
শোনেন বস, এগুলো কিন্তু পোয়েটিক তুইতিকারির মতই পোয়েটিক ভুল ধরা, সুতরাং মাইন্ড খাইবেন না, তাহলে সানশাইন থেকে সানসেট হইয়া যাইবো। লেখার জন্য ৫ তো দিসিই , লাগে আবার দিমু , না কি কন?
চমৎকার লেখা, বরাবরের মতই
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
থ্যাঙ্কু রেনেট। তোমার নিজের লেখা কই????
দারুণ লাগল লেখাটা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
থ্যাঙ্কু বস। শুভেচ্ছা রইল--
লেখাটা দারুণ সুইট হয়েছে।
খুব ভালো লাগলো, মর্ম ছুঁয়ে গেল
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
থ্যাঙ্কু বস! শুভেচ্ছা রইল---
হৃদয় এর কন্ঠরোধ করে 'সঠিক' সিদ্ধান্ত নেবার চেয়ে হৃদয়ের দাবী মেনে নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া---এইতো আমি!
আমিও।
অনেক বড় গল্প, মনে হয় পুরো দিন লাগলো পড়তে!
অনেক ভালো লেখা বস।
অল দ্য বেস্ট ফর সন শিয়েন অ্যান্ড চাও ঝিয়ে, অ্যান্ড ফর ইউ অ্যাজ ওয়েল।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, সাইফুল। ভাল থাকবেন!
ভালো লাগলো। আমার তারা দেয়ার ক্ষমতা থাকলে আপনাকে পাঁচ দিতাম। আপনার আরো লেখা আশা করছি।
থ্যাঙ্কু বস! আপনার নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে!! শুভেচ্ছা রইল!!
হা হা হা ! সেই ঐতিহাসিক বস!!!
নামটা আমার গ্রামের। ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
অতি সৌন্দর্য লেখা
অনিকেত ভাইজান কি আজকাল ঘটকালী
(সৌন্দর্য করে বললে কিউপিডগিরি) করায় ব্যস্ত নাকি?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হা হা হা , থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু রানা!
কিন্তু ঘটকালীতে করছ মানা??
বস ঐ পোলা তাইওয়ান থাকলে আমারে টোকা দিতে কন। মজনু মিয়ারে দেখতে মন চাইতেছে। তাইওয়ানের পুলাপান এমনই। আমার এমুন কোন উইক এন্ড যায়না যে দুই একটা লায়লা- মজনুর প্রেম য ন্ত্রণা শুনতে না হয়। খালি শুনলেই চলেনা নানা রকম অমুল্য প্রেম বিষয়ক উপদেশ মাগনা বিলাইতে হয়। বিশেষ কইরা এখানকার নারীজাতি লইয়া বিষম সমস্যায় আছি, এক কথা চৌদ্দ বাদ বলার পরেও আবার রাইত বিরাইতে ফুন কইরা জিগায় মিয়াভাই আফনে কি শিওর যে হ্যায় আমারে ভালো পায়?
হা হা হা ----
পাঁচ তারা দিয়ে গেলাম।
অদ্ভুত ভাল লাগলো পড়ে।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
থ্যাঙ্কু কনফু---
শুভেচ্ছা রইল!
আহা বস, এটা কি কালকের পেট পীড়ার ফলাফল নাকি মন পীড়ার ফলাফল, কি অসাধারন একটা লেখা। ২ বার পড়লাম, আরো কয়েকবার পড়তে হবে, আহা আহা। তারা যে কবে দিতে পারবো???
হা হা হা ----
আসলে ওই দুটো মানুষের জন্যই বড় খারাপ লাগছে বস।
এদের দুই জনের মাঝে কেউ যদি 'বদ' হতো তাহলে হয়ত মন কে সান্ত্বনা দিতে পারতাম--কিন্তু দু'জনেই অসম্ভব ভাল মানুষ!
চমৎকার দুটো লোক--অথচ একসাথে থাকতে পারছে না--
বল, কষ্ট লাগে না??
পুরা ব্যাপারটা আরো খারাপ হয়ে দারায় যখন আমি মানুষটাকে ( টাকে না বলে ২জনকে বলা উচিত) চিনি, বেচারা মনে হয় ঐ ধনন্তরি জিনিস পাইয়া নিজের নাট টাইট দিয়া বসছে, তাই এই বিভ্রাটের জন্ম। বেটা ভেজাল করলে আমরা মামুন ভাইকে লেলায় দিবো সানশাইন এর পিছে মুহা হা হা হা
আমি আসলে প্রেমের কাহিনী বেশি এপ্রিশিয়েট করার মানুষ নই, তবে খারাপও লাগেনি!
একটু নিটপিক করি (আর এই ফাঁকে আপনে আমার টাইপখানও বুইঝা লইতে পারবেন): মানব সভ্যতার ইতিহাস টেনে টুনে ৭০,০০০ বছরে নেয়া যায় হয়তো। আপার লিমিট হল ১২০,০০০ বছর, তয় আমি রাজি না সেটা 'মানব' মানতে, মানবের আগের 'জিনিসের'। সুতরাং খুব বেশি হইলে আমরা ১ লক্ষ বছরের পুরোনো।
ঠিক মানতে পারলাম না বলে দুঃখিত।
উইকিতে গিয়ে দেখতে পারেন--সেখানে বলা হয়েছে ২০০,০০০ বছরের কথা--যেটা আমার কথানুসারে 'কত লক্ষ' কেই গ্রাহ্য করে ।
আর দ্বিতীয় কথা হল, এখানে 'কত লক্ষ বছর' আমি আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করিনি--সেটা আশাকরি বুঝতে পেরেছেন, যদিও উভয়ার্থেই এটা সঠিক অভিব্যক্তি।
আর কিছু শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ দিয়ে দিলাম--পরে আপনার কাজে লাগতে পারে।
এপ্রিশিয়েট ঃ সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা।
নিটপিকঃ গুরুত্বহীন প্রসঙ্গের অবতারণা করা, বা আপাত গুরুত্বহীন বিষয় নিয়ে আপত্তি তোলা।
আপার লিমিটঃ এটা তো আপনি জানেনই আশা করছি--
বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজতে এই লিঙ্কটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
শুভেচ্ছা!
অনিকেত, আপনার দেয়া লিংকটি খুবই কাজের হয়েছে।
আচ্ছা, optimization এর ভালো বাংলা প্রতিশব্দ কি হতে পারে? ঐখানে খুঁজে পেলাম না।
অসাধারণ লিখেছেন অনিকেত! ভীষণ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ রাজর্ষী দা।
আমার নামের বানানটা এমন বিগড়িয়ে দিলেন দাদা? ওটা হ্রস্ব ই-কার হবে।
এক টানে পরে কখন যে শেষ হয়ে গেল আপনার লেখাটা টের পেলাম না ।
আসলেই মনকে ছুঁয়ে গেলো ।আপনার লেখাটা অনুবাদ করিয়ে নায়ককে পড়ানো
উচিত।
সন শিয়েন ,চাও ঝিয়ের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়ে যাক এই কামনা
করছি।
থ্যাঙ্কু এমি--তোমার মন্তব্যের জন্যে।
আমি কিন্তু তোমার কাছ থেকে একটা লেখার আশা করে আছি।
অসাধারণ!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
থ্যাঙ্কু বস!
শুভেচ্ছা
অসাধারন লাগল!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
থ্যাঙ্কু মা-মু বস।
আমি নিশ্চিত,বয়েসে আমি অ-নে-ক বড় হবো। কাজেই এখন থেকে তোমাকে 'তুমি' করেই বলব, ঠিক আছে? (প্লাস বড় ভাইগিরি ফলাতে পারব--হে হে হে ---)
শুভেচ্ছা রইল। আবৃত্তি কই?
অদ্ভুত সুন্দর৷ অসাধারণ৷
জানেন অনিকেত, আমিও ঐ ম্যাক্সিমে বিশ্বাস করি যে "মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ' ৷ তাতে যা হয় হোক, কি আর করা যাবে৷
----------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এইটাই হল সার কথা---
শুভেচ্ছা রইল!
খুব ভাল লাগল, বস্!
সন শিয়েন আর চাও ঝিয়ের জন্য শুভ কামনা।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ধন্যবাদ মাশীদ (বস)---
শুভেচ্ছা রইল
খুব ভাল লাগল। মানুষের হৃদয়টা আসলেই আজব।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আসলেই বস। নজরুলের ভাষায়
"মিথ্যে শুনিনি ভাই
এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই"
শুভেচ্ছা রইল--
বস, এইটা কি দিলেন, অর্ধেক মানে বুঝতেই মাথা ঘুরতেছে, লেখেন কেমনে মিয়া? স্বর্গরশ্বি দিয়া লিখেন নাকি?
ইয়ার্কি করো মিয়া?? শেষে কইয়া দিমু তোমার কালকের রান্না কথা সবাই রে
তখন বুঝবা ঠেলা--হে হে হে ---
মিয়া আমার রান্না খাইয়া পেটের পীড়াতেই না এই লেখার জন্ম, হে হে হে
কী যে ভাল লাগল! এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। আপনার লেখার 'সহজ' ভাবটা খুব টানে। কীভাবে যে লেখেন এভাবে!
অসম্ভব মুগ্ধ আমি, লেখাটা পড়ে।
তোমার কমেন্ট পড়ে আমি আরো মুগ্ধ !
ভাল থেকো বস, সব সময়।
শুভেচ্ছা
খুব ভাল লাগল অনিকেত।
শেষ পর্যন্ত আপনার এ লেখার happy ending এর ইঙ্গিত পেয়ে ভাল লাগছে।
যাক নাটক, সিনেমার বাইরে বাস্তবেও তাহলে মানুষ এমন করে নিজের কাছে, প্রিয় মানুষের কাছে ফিরতে পারে।
এই ঘটনাটাই অনবদ্য। এমন দু'জন মানুষ--অথচ মিলতে পারছে না। আমি মনে প্রাণে চাই, তারা তাদের ঝামেলা কাটিয়ে প্রাণের মেলায় ফিরে যাক।
আপনার সহৃদয় কমেন্টের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা রইল!
হে হে হে - ফাইনালি আপনি একটা সুখি সুখি কাহিনী লিখতে পারসেন, এতে যে আমি কী পরিমাণ আচ্চয্য, তা আর কী বলবো!!
আর ওই দুইজনকে বলে দিয়েন - প্রেম করবে আর মাঝে মাঝে মাথায় খুন চেপে যাবে না, কিংবা মনে হবে না যে এই মুহূর্তের চাইতে কষ্ট আর কিছুতেই পাওয়া সম্ভব না, কিংবা "একে কীভাবে পছন্দ করলাম" এই প্রশ্নে নিজেই হতভম্ব হয়ে বসে থাকা হবে না - এত্তো হাউস যেন না করে! মানে, মোট কথা, টোটাল প্যাকেজটা নিয়েই ডীল করতে হবে, নো ছাড়াছাড়ি
আরেকটা প্রশ্নঃ আপনার সুপারভাইজার আপনাকে পিটায় না?
আপনাকে 'আচ্চয্য' করতে পেরেছি এতে আমি নিজেই 'আচ্চয্য'!!
আর আমার সুপারভাইজার আমাকে খুবই 'স্নেহ' করেন--হে হে হে ---
ভদ্রলোক আবার ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলা বলতে জানেন----আমাকে একদিন গালাগালি করলেই পরের দিন দেখা হলে বলেন, 'আমি ডুঃখিতো, ঠাড়িক, আমি চামার ছিলাম'--হা হা হা একটা মাত্রই বাংলা গালি জানেন মনে হয় 'চামা'---তাও সেটা নিজের ব্যাপারে ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন--
হে হে হে --মোদ্দা কথা--আমাকে আমার সুপারভাইজারের হাতে হেনস্থা হতে দেখতে পাবার সুখ তুমি পাবে না শয়তান--মু হা হা হা ----
সন শিয়েনকে দেয়া আপনার কাঁচের পেপারওয়েটের ভেতরে কার গু ছিলো ?
হিমু ভাইয়ের ফিচলে বুদ্ধির শেষ নেই
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হা হা হা হা ,
ইয়ে মানে এইটা কি বলতেই হবে হিমু ??!!
অনিকেত,
খুব সুন্দর লাগলো বস।
চীনে বেড়াতে যাবেন? যদি যান, তাইলে কইয়েন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধন্যবাদ তুলিরেখা। প্রস্তাবটা মাথায় রইল।
ভাল থাকবেন, সব সময়।
শুভেচ্ছা---
আগে তাইওয়ান না আসলে চীনে যেতে দেয়া হবেনা! ধ র্মঘট আহ্বান করা হবে সব বন্দরে।
আপামনি কি টিকেট দিবেন, তাহলে অনিকেতদার সাথে আমিও যামু
সাইফ
- নিজের ভাবনার সঙ্গে মিলে যায় বলে লেখাটার কয়েকটা কথা কোট করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো অমিকেত'দা, কিন্তু তাতে করে বাকি গল্পটাকে বৈমাত্রেয় ভাই করে ফেলা হয়।
আপনার লেখার শেষে এসে বুঝতে পারলাম, যারা সারাজীবন "হিসেবী সতর্ক" থাকে না তারা শেষ পর্যন্ত ঠিকই এমন কাউকে, কোনো বন্ধুকে খুঁজে পায় যে বা যারা কিনা আগের সব কাঁটার ক্ষতগুলোকে নিমিষেই সারিয়ে দেয়।
অপার স্বস্তি মিললো এই ভাবনাটা থেকেই। লেখাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ অনিকেত'দা
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এত চমৎকার করে এই কথাগুলো আমি কখনোই বলতে পারতাম না ধু গো, অথচ এইটাই ছিল এ লেখার মূল সুর।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
ভাল থেকো, সব সময়।
শুভেচ্ছা
অসাধারণ লেখা। অসাধারণ।
বানান ভুল নিয়ে কিছু যায় আসে না। লেখার শক্তি ওসব দেখার চোখ কোনদিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে!
ওদের খবর জি-টকে আপনার কাছ থেকে জেনে নেব অচিরেই।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
থ্যাঙ্কু বস--এমন সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে!
ভালো থাকুন সব সময়।
শুভেচ্ছা----
দাদা, গত কয় সপ্তাহে সচলায়তনের একটা পোস্টও ঠিকঠাক পড়তে পারি নাই। সময়ের অজুহাতে। খালি চোখ বুলায়ে গেছি। গোটা কয়েক লেখায় কমেন্ট করছি। সময় বড় সমস্যা।
আপনার এই লেখাও খুলছিলাম চোখ বুলানোর জন্যই। কিন্তু পুরোটা কখন জানি পড়ে ফেললাম।
আর আজকেই আবিষ্কার করলাম, আমি আপনার এক বিরাট ফ্যান। বি-রা-ট...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওহে নজরুল, তুমি করেছ কী ভুল
এমন মিথ্যে কথা বলে দিলে বিলকুল??
হায়,ভুল--সবি ভুল----!!
নজু ভাই, আপনে আমার ফ্যান যদি হন, আমি আপনার এসি--তাও হাজার বছর আগে থেকেই----!!
ভাল থাকবেন, শুভেচ্ছা রইল!
আমি হাতে কিল মেরে বললাম, সাবাস, লাগে রহো 'তারেক' ভাই----
কিন্তু এই অস্থিরমতি ছেলে মেয়েটার জীবন ভাজা ভাজা করে দিবে। একটা থিসিসের চাপ যে নিতে পারে না, সংসারের চাপ সে ক্যামনে নিবে ?????
গল্পের ফুটনোটটা পড়ে গল্পটাকে সিনেমা মনে হচ্ছে। সান শাইন যেটা করেছিল সেটাই বাস্তব বাকিটা অবাস্তব ............।
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হা হা হা,
কথা সত্য তানবীরা। কিন্তু চাও ঝিয়ে হচ্ছে সন শিয়েনের জন্যে একেবারে উপযুক্ত মেয়ে। সন শিয়েন গোল পাকায়, চাও ঝিয়ে গোল মেটায়। সন শিয়েন একের পর এক ঝামেলা পাকিয়ে চলে, চাও ঝিয়ে অপার মমতায় সে জট ছাড়াতে আসে----আবার উলটো ছবিটাও আছে। চাও ঝিয়ে খুব সহজে ব্যাকুল হয়, সন শিয়েনের মাথা তখন ঠান্ডা।
আসলে ওদের দু'জনকে আপনি যদি সামনা সামনি দেখেন---আপনার মনটা দেখবেন বিনা কারনেই শান্ত হয়ে আসবে...।
আর কিছু না হোক, শুধু এই কারনেই আমি ওদের এক সাথে দেখতে চাই।
আর ভাগ্যিস, সন শিয়েন আমাকে মেইল করেছিল! নাহলে এই লেখাটা লেখা হতো কি না সন্দেহ! বিয়োগান্তক ঘটনায় তো ছেয়ে আছে চরাচর।
একটু আশার আলো আমরা তো সবাই দাবী করতেই পারি--তাই না??
ভাল থাকবেন, তানবীরা।
শুভেচ্ছা
সেইরকম লেখা বস ! (বস বলাটা আমারো বাতিক, চাপা না, সত্যি!)
একটানে পড়লাম।
থ্যাঙ্কু শাহান বস!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাঁধিয়ে রাখার মতো একটি লেখা! মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
অনেক ধন্যবাদ সুমিমা।
শুভেচ্ছা জানবেন!
নতুন মন্তব্য করুন