কেন আমার আর ভয় নেই?

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: শনি, ২০/০৬/২০০৯ - ৩:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার সুপারভাইসার তিন সপ্তাহের ছুটিতে। সুপার ভাইসার চলে গেলেই যেটা সকলের একেবারে ধর্মীয় অনুশাসনের মত পালন করা উচিত এবং সাধারনত করা হয়ে থাকে---সেটা হল, নিজে কিছু দিনের জন্য 'উধাও' হয়ে যাওয়া।

সেই 'মহান' রীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমি গত কাল থেকে 'ডুব' দিয়েছি। ঘুম থেকে উঠছি সাড়ে আটটায় ঠিকই---কিন্তু সেটা কেবল এলার্ম বন্ধ করার জন্যে। একেবারে ২ টার দিকে পেটের ক্ষুধায় তিষ্টাতে না পেরে ফাইনালি বিছানা ছাড়ছি। চারটের দিকে ডিপার্টমেন্টে যাই--মুখে একটা স্বর্গীয় হাসি ঝুলিয়ে। অনেকের ভেতরটা পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। আমার সুখ দেখে। কেউ কেউ তার নিজের সুপারভাইসারের দিকে বিষদৃষ্টিতে তাকায়----শালা কোথাও যায় না কেন?

আজকেও সেই ধারাই বজায় রেখে তিনটার দিকে উঠেছি। জিমেইল খুলেই দেখলাম---রেনেটের একটা মেইল। সে ফেসবুকে নাকি আমার জন্যে কী একটা মেসেজ রেখেছে। সেখানে গিয়ে দেখি---রেনেট আমাকে একটা লিঙ্ক পাঠিয়েছে। সাথে ছোট্ট করে লেখা---" অনিকেতদা, এই ফেসবুক গ্রুপটা ঘুরে আসেন...ধারণা ছিলনা জাফর ইকবালকেএত মানুষ ঘৃনা করে..."

আমি গেলাম। জাফর স্যার আসলে কী ভাবে নিজ হাতে এই দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছেন---সেই নিয়ে কতিপয় 'জন হিতৈষী' একটা ফোরাম খুলেছেন। ফোরামের মহান উদ্দেশ্য ও সেটার যথার্ততা নিরূপণের উদ্দেশ্যে তারা বেশ দীর্ঘ আলোচনা ফেঁদেছেন।

সেই আলোচনা থেকে কিছু 'চুম্বক' অংশ তুলে দিচ্ছিঃ

"একাত্তরে তার বাবা নিহত হয়েছে, এই আবেগ মানুষের কাছে বিক্রি করে জাফর ইকবাল পরিনত হয়েছেন পুরোপুরি একজন ভন্ডের প্রতিকৃতিতে । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রিকারী জাফর ইকবালের ভন্ডামীর একটা বড় নমুনা হলো পদার্থবিদ্যায় পড়াশুনা করে কম্পুটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকতায় নিয়োগ লাভ ।"

"জাফর ইকবাল একজন লেখক । যতগুলো বই তিনি লিখেছেন, বিশেষ করে সায়েন্স ফিকশন - কোনটাই তার মৌলিক লেখা না । বিদেশি গল্প থেকে থীম ধার করে লিখেছেন বাংলায় ।"

"সায়েন্স ফিকশন গুলোতে নাস্তিকতা , ইশ্বর তথা স্রষ্টার অস্তিত্বহীনতা , বেহেশত-দোজখ প্রভৃতি ইসলামী টার্মের প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ , কাল্পনিক মহাজাগতিক প্রানীকে "ইশ্বর" এর সাথে তুলনা করা - এসব তার লেখার মুল উপসঙ্গ ! খুবই চতুরতার সাথে জাফর ইকবাল তার বইয়ে মুসলমানদের "আল্লাহ" শব্দ ব্যবহার না করে "ইশ্বর" শব্দ ব্যবহার করে তরুনদের মনন কে নাস্তিকতার প্রতি সহানুভূতিশীল করার চেষ্টা করে থাকেন । তার গল্পগুলোতে থাকে ইশ্বরবিহীন মহাজগতে শান্তি শৃঙ্খলা বিদ্যমান- আর যেখানেই ইশ্বরের উপন্থিতি দেখা যায়- সেখানেই প্রানীতে-প্রাণীতে হিংসা-ভেদাভেদ তৈরী হয় । এই হলো জাফর ইকবালের ধর্ম বিষয়ক টার্গেট ।"

"বইয়ের ভিলেন চরিত্র থাকে বেশিরভাগ সময় দাড়ি-টুপিঅলা । সেই দাড়িঅলার দাড়ি নিয়েও থাকে তার এবং গল্পের চরিত্রদের ব্যাঙ্গবিদ্রুপ । "

এবং সব শেষে তারা তাদের আলোচনার ইতি টেনেছেন এই বলেঃ--

"মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রায়ই বিরোদ্গার করেন এই ব্যক্তি । অতি সম্প্রতি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, মাধ্যমিক স্তরে ধর্মশিক্ষাকে বাদ দিয়ে দিতে হবে । তাহলে নাকি দেশ উন্নতি করবে ! ! !

জাফর ইকবালের চটকদার অনুবাদ সাহিত্য পড়ার সময়ে তরুন-তরুনী ভাইবোনদের প্রতি এটুকু আহবান রইলো, একটু সচেতন হন । সচেতন হন আপনার বিশ্বাস-চিড়ায়ত বাংলার মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের বিরোধী কোন আদর্শের সাথে আপোষ করছেন না তো ?

জাফর ইকবালের ইসলাম বিদ্বেষী চরিত্র সবার কাছে পরিস্কার হোক। সবাই বুঝতে পারুক দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার কুটিল চক্রান্তকারী এই তথাকথিত প্রগতিশীল ব্যক্তির টার্গেট কতটা জাতিবিধ্বংসী !"

প্রায় সাথে সাথে আমার কাছে গোটা ব্যাপারটা বেশ পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
এই তাহলে ঘটনা!! শিক্ষামন্ত্রী নাকি বলেছেন যে ২০১০ সাল নাগাদ শিক্ষা পাঠক্রমে বেশ কিছু জরুরী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন। আপনি যদি গত ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশে থেকে থাকেন অথবা বাংলাদেশের রাজনীতির একজন পর্যবেক্ষক হয়ে থাকেন---তাহলে আপনার এই সংবাদে আশ্চর্য হবার মত কিছুই নেই। প্রতিবার সরকার বদল হয়---সাথে সাথে বদল হয় বইয়ের পাঠ্যসূচী, কিছু প্রখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্টানের নাম, বদলে যায় কিছু পার্কের নাম, বদলে যায় কিছু সেতুর নাম---- এমনকি বদলে যায় কিছু মানুষের 'কাম'!

এ আর নতুন কী?

কিন্তু এতে জাফর স্যার আসছেন কোত্থেকে?

জাফর স্যার নাকি বলেছেন যে নবম-দশম শ্রেনীর পাঠ্যসূচী থেকে ধর্ম কে আবশ্যিক বিষয় না করে বরং বিজ্ঞান কে সে স্থান দেয়া উচিত।

ব্যস-----

কিছু কিছু লোকের ক্ষোভাগ্নিতে ঘৃতাহুতি। জাফর স্যার হয়ে গেছেন ধর্ম তথা ইসলামের শত্রু।

এ আর নতুন কী? আপনি নিশ্চয়ি ভাবছেন।

নতুন যা হয়েছে সেটা হল---আমি যখন ফেসবুকে রেনেটের মন্তব্য পড়ছি, তখন দেখলাম এরই মধ্যে আরো চার-পাঁচটা মন্তব্য এসে গেছে এই বিষয়ে। এর একটা মন্তব্য আমার অনুজ-প্রতীম সাইফের। সে এরই মাঝে লাফ-ঝাঁপ দিয়ে এই গ্রুপের খবর নিয়েছে। এই গ্রুপের নামে 'Abuse report' করেছে। শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি---ঐ গ্রুপের যারা নিয়ন্ত্রক তাদেরকে সে ইমেইল করেছে প্রতিবাদ জানিয়ে। সাইফের প্রকাশভঙ্গি খুব খাপ-খোলা। তার মন্তব্যটা এখানে দেবার লোভ সামলাতে পারছি না (সাইফ, বস দুঃখিত, তোমার অনুমতি ছাড়াই দিচ্ছি--আশা করছি কিছু মনে করবে না)ঃ

"Eta to purai bhua, shibir er pa chata kutta der banano ekta group, already abuse report korechi, sachal e ekta lekha diye shobaike bolun abuse report korte, eta FB admin ra muche dite badhdho thakbe, jodi onek gulo reponse jogar korte paren.
khali tai korei thami nai, ami oi group er 2 creator profile ke report korlam, shala banchot der size na korle shanti nai mone"

লেখাগুলো ঠিক যেভাবে ছিল --সে ভাবেই তুলে দিয়েছি।

আমি কিছুখন এইসব মন্তব্যের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
খুব ধীরে ধীরে নিজেকে বললাম, আর ভয় নেই, আর কোন ভয় নেই!!
এখন আমাকে আর চিন্তা করতে হবে না 'দেশটা গোল্লায় চলে যাচ্ছে কি না' এই জাতীয় বিষয় নিয়ে। আমাকে আর চিন্তা করতে হবে না বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের ফ্লাগ দেখে, কিংবা 'মেরী মি আফ্রিদী' প্ল্যাকার্ড লেখা ললনা দেখে। আমাকে আর চিন্তা করতে হবে না দেশের সর্বাধিক প্রচলিত পত্রিকার মেরুদন্ডহীনতা নিয়ে। আমাকে চিন্তা করতে হবে না দেশে রেখে আসা আমার ছোট ভাগ্নে ভাগ্নীদের নিয়ে---যদি তারা মৌলবাদী হয়ে যায় এই ভয়ে রাতের ঘুম হারাম করার ও প্রয়োজন নেই আর।

কারন?

কারন, আমি জেনে গেছি--এখন আর ধর্ম ব্যবসায়ীরা, রাজাকাররা, মুক্তচিন্তা-বিরোধী, স্বাধীনতার শত্রুরা এখন আর বিনা প্রতিবাদে, বিনা প্রতিরোধে এগিয়ে যেতে পারবে না। এখন প্রতিটি প্রতিক্রিয়াশীল এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে অন্ততঃ দু'জন করে রেনেট আর সাইফ---

প্রতিরোধে, প্রতিবাদে শক্ত চোয়াল আর খর দৃষ্টি নিয়ে

আমার আর ভয়ের কিছু নেই---


মন্তব্য

সচল জাহিদ এর ছবি

জঘন্য। এই সব গ্রুপ যারা খোলে তাদেরকে উচিৎ শিক্ষা দেয়া উচিৎ।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনিকেত এর ছবি

প্রিয় জাহিদ,

'ওদের' গ্রুপ খোলা তো থামানো যাবে না---
বরং যেটা আমাদের করা উচিত--এবং যেটা আমরা করছি---প্রতিবাদ করা,রুখে দাঁড়ানো---সেইটাই সর্বোত্তম পন্থা

'ওদের' কে জানিয়ে দেয়া--বার বার ঘুঘু কে ধান খেয়ে যেতে দেয়া হবে না--!!

সাইফ এর ছবি

খুব সহজে শিক্ষা দিতে পারেন, রিপোর্ট করুন ঐ গ্রুপের বিরুদ্ধে, আমি চেক করেছি, যে ২ জন ঐ গ্রুপ তৈরি করেছে, তারা ভূয়া প্রোফাইল ব্যবহার করছে, কত বড় ভন্ড, নিজের নামে কিছু বলার সাহস পর্যন্ত নেই, কত আশা ছিল, গোলাম আজম আর নিজামীর মত নরপশুর মৃত্যুর সাথে সাথে রাজাকার সমাজের সমাপ্তি ঘটবে, কিন্তু বাঙালী হয়ে কেউ রাজাকারের পা চাটবে এটা বিশ্বাস করতে এখনও কষ্ট হয়।

অনার্য্য সঙ্গীত [অতিথি] এর ছবি

মনটা খুব খারাপ হলো
তীব্র রাগ

কি করব !!!!

কুত্তার গু গুলারে পাইলে...!!!!

অনিকেত এর ছবি

অনার্য্য সঙ্গীত,
এ আগুনটা পুষে রাখো-----

সাইফ এর ছবি

আশা করি, যেভাবে আমাদের উপর আপনে ভরসা করছেন, সেভাবে তা রক্ষা করতে পারি। আর আমার কমেন্ট ফেসবুকে বলে অনেক ভদ্রভাবে দিয়েছিলাম, এসব রাজাকারের বাচ্চাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে আর প্রতি পদে আর কথা নয়, জবাব দিতে হবে মাইরের মাধ্যমে, আমাদের মোটো হবে "রাজাকারের তালিকা চাই, মাইরের উপরে ওষধ নাই"

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা ----

রানা মেহের এর ছবি

স্কুলে পড়া বোনের ছেলে যেভাবে পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থন করে
খুব একটা ভরসা পাইনা

তবু অনিকেত রেনেট সাইফ তিনজনকে অভিনন্দন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অনিকেত এর ছবি

সুপ্রিয় রানা,

তোমার বোনের ছেলের উদাহরণ যেমন আছে---তেমনি, সাইফ-রেনেট এদের উদাহরণ ও আছে। এইটাই আশার কথা। বিপক্ষ থাকবেই। কিচ্ছু করার নেই এতে। তোমার বোনের ছেলেরও এতে দোষ নেই। আমরাই ব্যর্থ হয়েছি তাকে বন্ধু চেনাতে। কিন্তু এইযে অন্ধকারের মাঝেও কিছু আলোর ইশারা---এইটাই আমাদের কে ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী করে---

আমরা হাল ছাড়িনি---ছাড়বো না---

হিমু এর ছবি

রিপোর্ট ভরে দিয়ে আসলাম।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু----

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

রিপোর্ট করলাম। অপপ্রচার ও ধর্মব্যবসার অভিযোগে। নজরে আনার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অনিকেত দা'।

ভয় কেন পাবেন? জগতে চিরকালই ুতিয়া ছিল। তাই বলে তো কিছু থেমে থাকেনি। হাসি

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু ইশতি----

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দিলাম রিপোর্ট ঠুকে। যে শালা বিরাট ভাষণ লিখছে সে নিজেই তো বুঝে নাই কী লিখছে! হ্যানত্যান বালছাল বললো

সচেতন হন আপনার বিশ্বাস-চিড়ায়ত বাংলার মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের বিরোধী কোন আদর্শের সাথে আপোষ করছেন না তো ?
-এখানে। আরে চিরায়ত (চিড়া-মুড়িআয়ত তো না) বাংলার ঐতিহ্যের সাথে জামাত ক্যামনে টিকে? আচ্ছা, জামাতকে বাদই দিলাম, ইসলাম, পাক-পূণ্যভূমি বলে যে ভটরভটর করে গেলো, সেটাও তো টেকে না! বাংলার সাথে ইসলামের চেয়ে তো সনাতন ধর্মই বেশি যায়, ইতিহাস বলে। চিরায়ত বাংলা'র অধিবাসীরা তো নিজেকে 'বাঙাল' বলেই পরিচয় দিতো নিজেকে কোনো ধর্মের লেবাসে জড়ানোর আগে। তো সেই চিরায়ত বাংলা বা তার ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলার সময় ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা কোন ধরণের ফাইজলামী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ ধু-গো!

তানবীরা এর ছবি

এই প্রথম কিছু রিপোর্ট করলাম ফেসবুকে। ভাল্লাগসে যে আমিও একজন মানুষ হই।

তবে জিনিয়াস পুলাপাইন। কিভাবে ধর্ম প্রচার হয় সিনেমার মধ্যে দুইহাত তুইল্লা মুনাজাত আর গান একসাথে টান দিয়া ঐটা না লিখলেও ইশ্বর লিখলে যে নাস্তিকতা হয় ঐটা বুইঝঝা ফালাইছে। খোদা হাফেজ না আল্লাহ হাফেজের দল।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, তানবীরা

মামুন হক এর ছবি

চমৎকার লেখার জন্য অনিকেত বসকে বিলিওন বিলিওন তারা।
সাইফ পুরাই আগুন দিয়া বানানো পোলা, যেমনে শিবির চক্রের মামদোবাজীকে ওভার বাউন্ডারী মেরে স্টেডিয়াম পার করে দিল দেখে আশা আর গর্বে বুক ভরে গেল।
একটা কথা পরিস্কার যে রাজাকারদের থামাতে হলে আমাদের অল আউট অ্যাটাকে যেতে হবে, বেশি দেরী হয়ে যাবার আগেই।

সাইফ এর ছবি

বস, আবেগের চোটে একটু বেশী দিয়া দিলেন দেখি, আর যাই করেন, রিপোর্ট ঠুকতে ভুলবেন না। এই রাজাকারের বাচ্চাদের মাফ নাই, চিন্তা করেন, গ্রুপের পোলাপাইন এক একটার চুল দাড়িও উঠে নাই, এখনি রাজাকারি শুরু করসে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

রিপোর্ট করা হলো।

'ক্যাটেগরী' লাইন প্রসঙ্গে, জাফর ইকবাল সম্ভবত নামের আগে 'মুহম্মদ' লিখেন, 'মুহাম্মদ' নয়।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, শিমুল।

বানানটা ঠিক করে দিচ্ছি।

কনফুসিয়াস এর ছবি
অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, কনফু---

এমি এর ছবি

রিপোর্ট ঠুকে আসলাম । গা ঘিনঘিন করছে এটা ভেবে যে আমাদের নিজের দেশেরই কেউ এরকম কুকীর্তি করছে ।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ এমি, সহযোগিতার জন্যে---

সবজান্তা এর ছবি

আরে ! একই লেখার বিষয় তো আমি সামহোয়্যারইন ব্লগে অনেক আগেই দেখেছি বলে মনে পড়ে।

যাই, রিপোর্ট করে আসি। তবে আমি নিশ্চিত যে ঘাসের মধ্যে গ্লুকোজ খুব বেশি মাত্রায় আছে, শালার ছাগুরা এতো মারা খাওয়ার পরও ক্লান্ত হয় না কেন !


অলমিতি বিস্তারেণ

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, সবজান্তা---

অকালকুষ্মন্ড এর ছবি

রিপোর্ট করে দিলাম।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ---

অনীক আন্দালিব এর ছবি

দিলাম রিপোর্ট ঠুকে। এরকম শিবিরীয় প্রোপাগাণ্ডা দেখে হাত পা নিশপিশ করে। এইগুলারে "ধইরা দেওনে"র জন্য। একই ভাষার পোস্ট সামুতে দেখছিলাম। ওখানেও মাইনাসের বন্যায় ভেসে গেছিলো।

অনিকেত, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! তবে খেয়াল করার বিষয়, ফেসবুক ছাড়াও এই গ্রুপ কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে গেছে। নিচের কমেন্টটা খেয়াল করুনঃ

caution : we r on the battle field :
___________________________

dear members , some fans of Zafor Iqbal is trying to report our group to facebook authority. as we have total members only 350+ that is less than 1000, facebook may delete the grp. then, what should we do ?

1. at first, everyone is requested cordially to join our googlegroup ..everyone...(http://groups.google.com/group/zafor-iqbal-is-working-against-islam ) if we do it, in future we can think unitedly about what should we do..

2. we will make several groups using the same name and description. for being informed about new groups, u can do 2 things. a) if u join google group, easily u will be informed b) searce in facebook with the same name if u find missing our current grp.

3. the most important , start inviting ALL YOUR FRIENDS + MAIL address contacts and everyone u know. Those, who are admin of different grps, send messg to ur grps. if we can cross 1000 members in the group- then our grp will be safe....

এভাবেই শিবিরীয়, জামাতী, পাকি'র-পা-চাটা কুত্তাগুলা ঘেউ ঘেউ করে। আপনার এই পোস্টটাও তেমনি ছড়িয়ে দিতে হবে বলে মনে করি। (বা এই প্রোপাগাণ্ডা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার জন্য আরও কিছু করা যায় কি না বলেন)

অনিকেত এর ছবি

অনীক, প্রথমেই ধন্যবাদ মন্তব্যটা করার জন্যে।

আমি সব সময় দেখেছি---দূর্বৃত্তরা অনেক বেশি সংগঠিত হয়, ভাল লোকেদের চেয়ে। খুব সম্ভবত নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদেই তাদের এ অবস্থা। ভাল মানুষেরা সেই তুলনায় অনেক কম সংগঠিত। তারা মনে করে----আরে আমরা তো সত্য ন্যায়ের পথেই আছি--আমাদের কী ভয়?

সব কিছুর জন্যেই সংগ্রাম করতে হয়। এই সময়ে----সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে আরো বেশি। আমার তাই মনে হয়---'ওদের' মত করে নয়---'ওদের' চেয়ে ভালো কোন উপায়ে আমাদের মত প্রকাশ করতে হবে। 'ওদের' বধ করতে---ওদের অস্ত্রই ব্যবহার করতে হবে-------

অনীক আন্দালিব এর ছবি

তারা মনে করে----আরে আমরা তো সত্য ন্যায়ের পথেই আছি--আমাদের কী ভয়?

এই ভাবনা থেকেই আসলে আমাদের অবস্থান, বা ভালো'র অবস্থান দূর্বল হতে শুরু করে। একটা পর্যায়ে, অলসতা বা নিষ্ক্রিয়তার কারণেই, 'খারাপে'র দৌরাত্ম্য অনেক বেশি বেড়ে যায়।

আমার মনে হয়, ফেসবুক, তথা ইন্টারনেটেই, ব্লগ/ফোরাম/ইউটিউব-এ শিবিরীয় কর্মকাণ্ডের, কুকীর্তির স্থায়ী দলিল, প্রমাণাদি থাকা উচিত। এই গোষ্ঠীটি স্বাধীনতার পর থেকে কী পরিমাণ সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের সমাজে ইনফিল্ট্রেট (বাংলা মনে পড়ছে না) করছে, এবং ধর্মের লেবাস পড়ে কীভাবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-বিরোধী প্রোপাগাণ্ডা চালাচ্ছে সেটা তুলে ধরতে হবে। এবং অবশ্যই প্রমাণ সহকারে, লিখিত, অকাট্য প্রমাণ। তাদের বক্তব্য, নিউজ পেপার ক্লিপিং, ছবি (এটা খুব শক্তিশালী প্রমাণ) ইত্যাদির একটা ভার্চুয়াল আর্কাইভ গড়ে তোলা এখনই প্রয়োজন। নাহলে আজকে যে শিশুটি জন্মাছে সে বড় হয়ে ইন্টারনেটে শিবিরকেই 'ভালো' এবং আমাদের 'খারাপ' মনে করবে‍!

এই ব্যাপারে সবারই অংশগ্রহণ দরকার। মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভ হয়েছে। এখন দরকার মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের কুকর্মের ফিরিস্তি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। ভীষণ জরুরী একটা কথা বলেছেন। সচলের সকল সদস্যকে এই ব্যপারে সচেতন হবার জন্য অনুরোধ করছি।
---- মনজুর এলাহী ----

রেনেট এর ছবি

সত্যি বলতে কি, প্রথম যখন গ্রুপ পেজটা নজরে আসে, তখন ক্রোধে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। একটু ঠান্ডা হওয়ার পরই অনিকেতদার কথা মনে এল। জানতাম, উনিই উপযুক্ত লোক এ বিষয়ে সুন্দর ও শক্তিশালীভাবে আলোকপাত করার জন্য।
আমার ধারণা ভুল হয়নি।
আর সাথে পেয়ে গেলাম সাইফ ভাই সহ গোটা সচল পরিবারকে।
এখন মাথাটা একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে হাসি

অনিকেতদাকে অজস্র ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অনিকেত এর ছবি

রেনেট---সমস্ত ধন্যবাদ তোমার প্রাপ্য!!
তুমিই এই ব্যাপারটা নজরে এনে দিলে---

শুভেচ্ছা ও শুভাশীষ---

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

এরা কিছুদিন আগে সামহোয়ারইনে গণধোলাই খেয়েছিল।

উজানগাঁ এর ছবি

রিপোর্ট করে আসলাম। লেখাপড়া জানা ছেলেরা এমন করলে ক্যামন লাগে কন তো !!

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, উজানগাঁ---
লেখাপড়া জানা লোকেরাই তো এইসব বেশি করে---

অনার্য্য সঙ্গীত [অতিথি] এর ছবি

আমি এইসব গ্রুপকে ব্যান করার জন্য একটা গ্রুপ খুলেছি। দয়া করে জয়েন করবেন।

বেগুনী-মডু এর ছবি

অনার্য্য সঙ্গীতের অনুরোধক্রমে সঠিক লিংকটি দেওয়া হল এখানে

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, অনার্য্য সঙ্গীত--

খেকশিয়াল এর ছবি

করলাম রিপোর্ট। ওই গ্রুপে কিছু ছবি তুলে দিয়েছে, যেগুলো এই পোস্ট এর কিছু লাইন, ধুসর গোধুলির একটা মন্তব্যের কিছু লাইন এর স্ক্রীন শট। আর ওয়ালে মনে হয় এই রিপোর্টিং এর ভয়ে ওরা গুগলে বা কোথাও আবার একটা গ্রুপ খুলেছে।

------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, খেকু দা---
আমিও গিয়ে দেখলাম---

পালিয়ে বেড়াবে আর কত----আমরা জেগে আছি সীমান্তে---

অভিজিৎ এর ছবি

দারুন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অনিকেত। এভাবেই দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হয়।

আমার কোন ফেসবুক একাউণ্ট নেই। থাকলে রিপোর্টের আমিও মিছিলে সামিল হতাম নিঃসন্দেহে।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, অভিজিৎ দা---

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

এই লেখা পড়ার আগেই সবজান্তার ফেসবুক থেকে জেনে রিপোর্ট করে দিয়েছি।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, পান্থ--

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

Reported

অনিকেত এর ছবি

Thanks!!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আগে শিখে নিই কাজটা ক্যামনে করে, তারপর আমিও করছি।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমিও রিপোর্ট ঠুকেছি। ভূঁতের বাচ্চাকে ধন্যবাদ, গ্রুপটাকে রিপোর্ট করার আহ্বান জানিয়ে মেসেজ পাঠানোর জন্য।

অনিকেত'দা, সত্যিই আর ভয় নেই। এখনকার মানুষ আগের চেয়ে আরো অনেক বেশি সচেতন। আর যারা জাফর ইকবালের মতো মানুষ সম্পর্কে এই ধরণের কথা বলতে পারে, তাদের সম্পর্কে বলার কিছুই নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো। জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক গ্রুপ খোলা হয়েছে সে খবর তো পুরোনো। নতুন খবর হোল, রাজাকার-শিবিরের ওই গ্রুপটাকে ব্লক করতেই সবাই একাট্টা হয়ে কাজ করছেন। ঠিকানা দিলাম, ভাই। রিপোর্ট করার কাজটা আসেন একসাথেই করি।
http://www.facebook.com/inbox/?ref=mb#/group.php?gid=251662406035&ref=mf

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।