একটা মন ভালো করা খবর

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: রবি, ১৯/০৭/২০০৯ - ১০:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপনারা যারা গণিত অলিম্পিয়াডের খোঁজ খবর রাখেন তারা নিশ্চয়ি জানেন যে ২০০৫ থেকে বাংলাদেশ এই গণিত অলিম্পিয়াডে যাচ্ছে। আজ থেকে বছর দশেক আগে প্রফেসর জাফর ইকবাল, বুয়েটের ডঃ কায়কোবাদ এবং জামিলুর রেজা চৌধুরী,প্রথম আলোর মনির হাসান যে গণিত আন্দোলন শুরু করেছিলেন----আজ এতদিন পরে তার ফসল উঠে আসল আমাদের আঙ্গিনায়।

জার্মানীর ব্রেমেনে অনুষ্ঠিত ৫০তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের দুই কিশোর-কিশোরী ছিনিয়ে এনেছে ব্রোঞ্জ পদক।এর পাশাপাশি আরো তিনজন পেয়েছে বিশেষ পুরস্কার।

দেশ জুড়ে গণিতের জনপ্রিয়করণের যে প্রচেষ্টা তৃণমূল পর্যায়ে শুরু হয়েছিল---একের পর এক দেশের সকল প্রান্ত থেকে খুঁজে আনা হচ্ছিল খুদে গণিত প্রতিভাকে আজ এতদিনে আমরা সেই প্রচেষ্টার একটা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেখতে পেলাম।

নানার বৈরীতার মুখে দাঁড়িয়ে একরাশ নিবেদিত প্রাণ লোক তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এই ক'টি কিশোর-কিশোরীকে। এদের প্রশিক্ষণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ডঃ মাহবুবুল আলম মজুমদার একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান পদার্থবিজ্ঞানী। দেশে-বিদেশের নানান নামকরা প্রতিষ্ঠানে(যার মাঝে আছে MIT, DAMTP of Cambridge University এবং আরো অনেক) এই মানুষটি রেখেছেন তাঁর প্রতিভার ছাপ। তারপর স্রেফ দেশের টানে ফিরে এসেছেন। বহুদিন বাইরে কাটানোয় তাঁর বাংলাটা এখনো অত শক্ত না হলেও একটা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়েই তিনি নেমেছিলেন মাঠে। দেশের ভেতর থেকে খুঁজে নিয়ে আসা মণি-মাণিক্যগুলো পালিশ করে তাদের আলোর দ্যুতি বাড়ানোর এক কঠিন শ্রম সাধ্য কাজ নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়েছিলেন। তাঁর এবং তাঁদের সতর্ক প্রশিক্ষনে গড়ে উঠেছে আমাদের এই খুদে গণিত-প্রতিভারা।ডঃ মাহবুব জানিয়েছেন,আমাদের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট মেধাবী এবং তারা অনেক পরিশ্রম করেছে। যার ফলে আমাদের এই প্রাপ্তি।

আমাদের এই নানা সমস্যায় জীর্ন,দীর্ণ,অপদস্ত এই দেশমাতা বহুদিন পর একটু হাসির মুখ দেখেছেন। আন্তর্জাতিক বিদ্ব্যৎ সমাজে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। নজর রাখো বিশ্ব, আমরা আসছি---!!


মন্তব্য

তানভীর এর ছবি

বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন!!

ফারুক হাসান এর ছবি

খুবই আনন্দের খবর! বাংলাদেশ দল ও এর পেছনের কারিগরদের সবাইকে অভিনন্দন।

আকতার আহমেদ এর ছবি

অভিনন্দন!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ডঃ মাহবুবুল আলম মজুমদার জিন্দাবাদ, আর লেখা দেবার জন্যে অনিকেতদা কে উত্তম উত্তম জাঝা!, আমি ত ভাবতাম, আমরা গনিতে চাঙ্কুদের সমকক্ষ না, তা স্বর্ণপদক কোন দেশ পেল?

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শামীম এর ছবি

চলুক
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছোটবেলায় কোন এক ক্লাশে জানি পরীক্ষায় নিশ্চিত ৩ এর নামতা আসবে। সেটা মুখস্ত করতে হবে। পরীক্ষার আগের সারাদিনেও বড়ভাই সেই নামতা আমারে দিয়া মুখস্ত করাইতে পারলো না। পরদিন পরীক্ষায় আইলো নামতা। আমি লিখে দিয়া আসলাম। ভাই তো অবাক, কেম্নে পারলি? আমি বললাম আমি তো মুখস্ত বলতে পারি না, কিন্তু লিখতে দিলে পারি। কেম্নে পারোস? তখন আমি আমার ম্যানুয়াল পদ্ধতি তারে জানাইলাম- ধরো ৩ এক্কে ৩, তারলগে আঙ্গুলের কড়ে তিনবার গুনলে যতো হয় ততো হইলো ৩ দুগুনে। এভাবে এভাবে আমি নামতা লিখতে পারি। কিন্তু যেহেতু বলাটা লাইভ, আঙ্গুল গণনা পদ্ধতি সেখানে কাজ করে না।

খুব ছোটবেলার এই ঘটনাটা মনে পইড়া গেলো।

অভিনন্দন বাংলাদেশ টিম... চরম অভিনন্দন। শুনলেই মনটা ভইরা যায়...

ধন্যবাদ অনিকেতদা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুধীর (অতিথি) এর ছবি

ভাই, আপনের ব্রেইনের ডাইন-বাম হেমিস্ফিয়ারেরর মধ্যে কিছু ফাইবার কাটা পড়চে। তবে আপনি 'তারে জমিন পরের' বাচ্চাডা বা ঐশ্বরিয়ার পতির মত ডিস্লেক্সিক না।

আমারে ক্লাস টুতে অংক টিচার ফেভার কইরা যোগের নামতার সোজা অংক জিগাইল ঃ ৯+২ কত? আমি তো মহা নার্ভাস। একবার লুকাইয়া হাতে , ৯,১০,১১ করি, আবার ভেরিফাই করি ঃ ২,৩,৪, ,১১।

৫ মিনিট দাঁড় করাইয়া রাখল আমারে। কি অপমান।

ভাব্লাম এস, এস, সি তে শোধ নিমু। মিস, পাইলাম ৯৮ আর ৯৭। এইচ, এস ,সি তে আবার মিস ঃ ৯৮, ৯৯। ভার্সিটিতে সাবসিডিয়ারীতেও একই ব্যাপারঃ ৯৭,৯৮,৯৯।

বুঝলাম আমার মাথায় ছুট্ট একটা পোকা আছে। অংক হৈব না। তবে আশার বেফার হৈল আসলে কেলাস ফাইভের পরে যে অংক শিখচি, জীবনে কামে আসে নাই।

অলিম্পিয়াডে মাহবুব সাব কি শিখাইচে একবার দেইখা লমু। ফর ফান। মাহবুন এম, আই,টি তে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং শিখছিল।পরে কেম্ব্রিজে ফলিত গণিত। ঢা বির ফিজিক্সের পদের জন্য এপ্লাই করছিল। তখন বোধ হয় চেয়ারম্যান ছিল র,ই,ম, আমীনুর রশীদ। তা রশীদ স্যার তারে তাঁর নিজের জ্ঞান মাফিক গাউস থিওরেম জিগাইলেন। মাহবুব হেইডারে জটিল কইরা ভেক্টর দিয়া না লিখ্যা ডিফারেনশ্যাল ফর্ম দিয়া লিখল। রশীদ স্যার কিছু বুঝলেন না। তারে ইন্ন্টারভিউতে ফেল করাইয়া দিলেন।

জাতির কত লাভ হৈল। ঢা বিতে থাকলে খালি পলিটিক্স করবার লাগত। রশীদ স্যার অখন উন্মুক্ত মানে বেবাক খালি ভারসিটির ভিসি, নাহিদে বানাইছে। কাম কাজ নাই, রোজ সাভারে পাজেরো জীপে গিয়া জমি দেখে।

পুরাতন ছাত্র এর ছবি

সুধীর, আমার জানা মতে আমিনুর রশীদ স্যার না ইন্টারভিউ-এ উপস্থিত অন্য কেউ বা কারা সমস্যা করেছিলো। জানিনা তুমি কোথায় এই বিপরীত তথ্য পেলে। এই নিয়ে ইন্টারনেটে কয়েকজন প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছিল। বিভিন্ন হাত হয়ে তা এক পর্যায়ে মাহবুবর কাছে পড়লে সে একটা reply লিখে। সেখানে সে রশীদ স্যারের প্রশংসাই করেছিল বলে মনে পড়ে (যদিও সে অন্য কারও কথা কিছু বলেনি।)

কেম্ব্রিজে Department of Applied Mathematics and Theoretical Physics-এ মাহবুব ফলিত গণিত নয়, তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যা পড়েছে। আর যতদূর জানি এম আই টি-তে অফিসিয়ালি ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মেজর রেখেও পদার্থবিদ্যাই পড়েছে বেশি । তত্ত্বীয় পদার্থবিদ Alan Guth -এর সাথেও এই সময় সে একটি project-এ কাজ করে। কেম্ব্রিজে পিএইচডি শেষে Imperial College-এর পদার্থবিদ্যা বিভাগে Research Fellow হিসাবে যোগদান করে।

তাই (আমার শোনা) ঢাবি-র পদার্থবিদ্যা বিভাগের যুক্তিগুলো ছিল হাস্যকর । তোমার সাথে একমত, এতে দেশের ভালই হয়েছে।

সুধীর (অতিথি) এর ছবি

সরি, যদি রশীদ স্যারের নামে ভুল বৈলা থাকি। দেখা যাইতেছে, এই ঘটনাতে পরে সবাই লজ্জা পাইসে, আর একে অন্যরে দোষ দিতেছে। তবে এইটা ঠিক যে চেয়ারম্যান নোট অব ডিসেন্ট দিলে সিন্ডিকেটে সি্লেকশন বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়া ঝামেলা করে। রশীদ স্যার আমার এক বন্ধুরে কৈসে মাহবুব একটু এরোগেন্ট বিহেভ করসে। অরিজিনাল সার্টিফিকেট চাওয়াতে ক্ষেইপা বলসে, আমি এইখানে ইন্টারভিউ দিতে আসছি, পোস্ট পাইলে কেরাণিরে সনদ দেখামু।
এইটা হগলে [ রশীদ স্যারেও] মাইন্ড করসে।

চিঠিতে সব অরিজিনাল আনার কথা থাকে। বেচারা আম্রিকায় মানুষ, বোধ হয় বাংলা পড়তেও পারত না সেই সময়।

অন্য আর যদি কারণ থাকে, আমি জানি না। মাহবুবের বাবা বদি মজুমদার সাহেব এদেশে হাঙ্গার প্রজেক্টের হেড আর 'সুজনের' বস । হেই পলিটিক্সও এর মধ্যে থাকতে পারে।

যাই হোক আমরা ফাঁকিস্তানরে বহুদূরে ফালাইয়া আসছি। ফাঁকি দিয়া অংক হয় না। এরপরে যদি টিপাইমুখ বন্ধকারী দেশের মুখ বন্ধ করতে পারে, আমি নিজে পুরস্কার দিমু।

ফিজিঙ্কস অলিম্পিয়াডের কোন খবর আছে ?

পুরাতন ছাত্র এর ছবি

সুধীর, আমার জানা মতে ব্যাপারটা ইন্টারভিউ এটিকেটের ছিল না মোটেই। "অরিজিনাল" সনদ নিয়াও না (সেটা যদি হয় তাহলে ব্যাপারটা আরও দুঃখজনক)। রশীদ স্যার তোমার বন্ধুকে কি বলেছেন আমি জানি না, তবে যারা তাকে চিনে তারা বলবে মাহবুব "ক্ষেইপা" কথা বলার লোক না।

মাহবুবের বাবা এদেশে হাঙ্গার প্রজেক্টের হেড বা সুজনের বস হবার ব্যাপারটা ইন্টারভিউ বোর্ডের অন্যদের গাত্রদাহের কারণ হতে পারে । তা সঠিক কিনা সে প্রশ্ন বাদ দিয়েই বলছি, মাহবুব বিদেশে বড় হওয়া ছেলে, তাকে দেশে বড় হওয়া ছেলেদের মত বাপের প্রতিচ্ছায়া বা বাপের চিন্তা-চেতনার স্বাভাবিক উত্তরসূরী ভাবাটা শ্রেফ বালখিল্যতার পরিচয়।

ভাল প্রশ্ন করেছ। ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ এখনো অংশগ্রহণ করা শুরু করেনি।
গণিত অলিম্পিয়াডের মত এত জনপ্রিয় না হলেও এতে অংশগ্রহণ করাটা দারুণ হবে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনেক কিছু জানতে পারলাম, পুরা ঘটনার বিবরনী এর একটা লিংক কি কেউ দিবেন দয়া করে?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সাবাশ বাংলাদেশ!

আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কম রানে শেষ করে দিতে পারলে হয়তো আরেকটা সাফল্য ধরা দেবে বাংলাদেশের জন্য। টেস্ট সিরিজ জিততে পারলে মানসিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অনেক এগিয়ে যাবে।

নিবিড় এর ছবি

দারুন একটা খবর। অভিনন্দন বাংলাদেশ ম্যাথ অলিম্পিয়াড দল আর এই সাফল্যের পিছনের মানুষ গুলোকে চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

গৌতম এর ছবি

অভিনন্দন, এই সাফল্যের সাথে জড়িত প্রতিটি সামনের ও পিছনের মানুষদের- যাদের কয়েক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের এই পুরষ্কার।

আশা করি, এই পুরষ্কারের ফলে আমাদের গণিতভীতি কাটবে অনেকখানি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রানা [অতিথি] এর ছবি

ডঃ মাহবুবুল আলম মজুমদার বয়সে বেশি নন । ২০০৩ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন
Cambridge University-এর Department of Applied Mathematics and Theoretical Physics থেকে String Cosmology -এর উপর ।

জন্ম বাংলাদেশে হলেও বড় হয়েছেন মূলতঃ আমেরিকাতে। দুবার সারা আমেরিকা ব্যাপী
Essay competition-এ প্রথম হন, পুরষ্কার গ্রহণ করেন রিগান ও বুশ (সিনিয়র)-এর কাছ থেকে । হাই স্কুলের শেষবর্ষে Westinghouse Science Talent Search-এ দেশব্যাপী ৪০ জন বিজয়ীর একজন তিনি । তারপর MIT-তে undergrad করেন।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ রানা, আমাদের এই তথ্যগুলো দেবার জন্যে---

সাইফ তাহসিন এর ছবি

রানা ভাই, আড়ালে আবডালে আর কতদিন, আপনার মতো প্রতিভা যদি লুকিয়া থাকে লেখা না দিয়ে, তাহলে কিন্তু আপনার যান-পেহচান নিয়ে আমার পরের লেখা আসতেছে, তথ্য যোগাড় করব আপনার দোস্তদের কাছ থেকে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রানা [অতিথি] এর ছবি

তুমিওতো অনিকেতের মত আমাকে প্রতিভা বলে বিপদে ফেললে ভাই। আগে দোনামনা থাকলেও এখন নিশ্চিত যে আর লেখা ঠিক হবে না । এত বড় গুপ্ত ক্ষমতা "জনসমক্ষে প্রকাশ করা" ঠিক হবেনা। আর বিনা লিখেই যদি "প্রতিভা" আর "অলোকসামান্য প্রতিভা" (বাইশ বছর আগে অনিকেত নিজের কাব্যতাড়নায় বলে ফেলেছিল) হই, আর কী দরকার !

তবে কারো সাধতে বাধা নেই। অনুরোধ ভাল লাগে, তা বিনীতভাবে প্রত্যাখান করার মধ্যে রয়েছে এক বিরল পরিতৃপ্তি ।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আসলেই একটা মন ভালো করা খবর! অভিনন্দন সংশ্লিষ্ট সবাইকে!

সবজান্তা এর ছবি

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি এই দেশের, এই শহরের দম বন্ধ করা পরিবেশে ক্রমাগত বিষণ্ণ হই। যেদিকেই তাকাই, হতাশ ছাড়া কিছুই আর হতে পারি না, এই দেশে হওয়া সম্ভবও না। পায়ের তলের সবটুকু জমি সরে যাওয়ার পরও যখন এমন সংবাদ পাই, সত্যি আনন্দ হয়।

অভিনন্দন সবাইকে। গণিতের মতো তথাকথিত ভীতিকর বিষয়ে এই অর্জন আরো অসংখ্য কিশোর কিশোরীকে গণিত ভালোবাসতে শেখাক।

অভিবাদন গণিত অলিম্পিয়াড দল।


অলমিতি বিস্তারেণ

অমিত আহমেদ এর ছবি

প্রথম যখন বাংলাদেশে গনিত অলিম্পিয়াড উদ্যোগ শুরু হয় তখন খুব একটা আমোদিত হইনি। মনে হয়েছিলো এতো জ্ঞানী লোক মিলে গনিত অলিম্পিয়াড করছেন কেনো, এর চেয়ে বড় মাপের কাজ তো করা যেতো। পরে দেখলাম, কাজ তো হচ্ছে। সব চেয়ে বড় কথা হলো আগামী প্রজন্মকে নিয়ে কাজ হচ্ছে। এই কাজটা তো কেউ করেনা এদেশে।

বাংলাদেশ গনিত অলিম্পিয়াড দলকে অনেক শুভেচ্ছা। সেই সাথে জড়িত সবাইকেও।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

সকাল সকাল একটা মন ভালো করা খবর পড়ে মনটা আসলেই ভালো হয়ে গেলো - অনিকেতকে ধন্যবাদ হাসি আপনারা প্লিজ মূল সাইটে (এখনো আপডেট কেন হয়নি বুঝলাম না ) গিয়ে জয়ী দলকে নিজ থেকে অভিনন্দন জানান: লিঙ্ক এখানে দিলাম

সাইফ তাহসিন এর ছবি

স্কোপদাদা, নিক সচলের পরেই শীত নিদ্রায় গেলেন নাকি? লেখা দিন, আপনাকে অর্ধ সচল হাবর অভিনন্দন রইল

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

আরে - এই চিপার মধ্যে যে অভিনন্দন জানাইয়া রাখসেন তা তো খেয়াল করি নাই. ধন্যবাদ. ইচ্ছা করে প্রচুর লেখা দেই - মাথায় আইডিয়া গিজ গিজ করে, লেখার টাইম বের করতে পারি না মন খারাপ

তানভীর এর ছবি

লিস্টে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ৫৮ তম হয়েছে ২ টা ব্রোঞ্জ ও ৯ টা সম্মানসূচক পদক নিয়ে।
এর আগের বছরগুলিতে অবস্থান ছিল 75 80 80 85 . সে হিসেবে এ বছর পারফর্মেন্স বেশ ভালো।
অন্য কয়েকটি দেশের অবস্থান-
চায়না- ১ম
জাপান- ২য়
রাশিয়া- ৩য়
দঃ কোরিয়া- ৪র্থ
উঃ কোরিয়া- ৫ ম
যুক্তরাষ্ট্র- ৬ ষ্ঠ
ভারত- ২৮ তম
পাপীস্তান- ৮৫ তম
ইরান- ১৫ তম
ইসরায়েল- ৪৬ তম

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শেষের দিক থেকে বোল্ড করা লাইনটা পড়ে হাসতেই আছি হাসি
পাপীস্তান- ৮৫ তম

রানা [অতিথি] এর ছবি

আরও মজা ৫৮ ঠিক উল্টা ৮৫!! হাহা।

রেনেট এর ছবি

পাপীস্তান গড়াগড়ি দিয়া হাসি
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অনিকেত ভাই, পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। এ পোস্টও অনেককে গণিত অলিম্পিয়াডে আগ্রহী করে তুলবে অবশ্যই।

তবে একটা প্রতিযোগিতার বটম হাফে থাকার জন্য একটা দলকে বাড়াবাড়ি রকমের উচ্ছ্বাস দেখাতে আমি রাজি নই। উৎসাহের দরকার আছে, তবে সেটা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে কাজে ঢিলেমি আসে। যতোটা প্রাপ্য ততোটাই দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

এ রকম প্রতিযোগিতায় পর পর কয়েক বছর বটম হাফে থাকা আমাদের শিক্ষার দৈন্য প্রকাশ করে। বাংলাদেশের সুসংবাদে কারো চেয়ে আমার আনন্দ কম হয় না। তবে আমরা যদি দেশকে আসলেই কোনোকিছুতে টপে দেখতে চাই, তাহলে এরকম অতি-উচ্ছ্বাস ক্ষতির বাইরে কিছু করবে না। অঙ্ক আর ফুটবল এক জিনিস না। ফুটবলে শারিরীক সামর্থ্য লাগে, প্রোগ্রামিং কনটেস্টে আমরা পিছিয়ে পড়ি টেকনোলজিতে পিছিয়ে থাকার কারণে; কিন্তু আমরা অঙ্ক শিখি কথা বলতে শুরুর পর থেকেই। এরকম দুয়েকটা ব্রঞ্জ মেডেলের জন্য কাউকে হিরোর মর্যাদা দিলে তাকে তার অর্জন সম্পর্কে ভুল ধারণা দেয়া হয়।

আগের বছরের চেয়ে রেজাল্ট বেটার - থ্যাঙ্ক্স।
১০৪ জনে ৫৮ নম্বর - উই হ্যাভ টু ইমপ্রুভ আ লট।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আরে বলেন কি? উচ্ছ্বাস তো চেপেই রাখলাম। বেশি উচ্ছ্বাস ইদানিং আর দেখাইনা। বয়স বেড়েছে না?

হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পিপিদা, আমারো চুল পাকতেছে। মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দুর্দান্ত এর ছবি

তবে একটা প্রতিযোগিতার বটম হাফে থাকার জন্য একটা দলকে বাড়াবাড়ি রকমের উচ্ছ্বাস দেখাতে আমি রাজি নই।

ফলাফলকে না হোক, এই কমবয়সী পোলাপানের আগ্রহ আর অর্জনটাকে কিছুটা উতসাহ দিন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দুর্দান্ত ভাই,

আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার ওভারঅল রেজাল্ট বেটার। ৪২ মার্ক্সের মধ্যে আমাদের ব্রঞ্জ বিজয়ীরা ১৭ ও ১৪ পেয়েছে, বাকি ৩ জন ১৩, ১০ ও ৯। ব্রঞ্জবিজয়ী ২ জনই ৬টা প্রবলেমের মধ্যে ২টা কারেক্ট করতে পেরেছে। এজন্য অবশ্যই উৎসাহ প্রাপ্য।

কিন্তু অতিউচ্ছ্বাস আমাদেরকে অলস করে তোলে। উৎসাহ যেমন দরকার, তেমনিভাবে তাদের পারফর্ম্যান্সের জন্য ফলস ইমপ্রেশন দিয়ে লাভ নেই। এ রেজাল্ট নিতান্তই মিডিওকার। প্রি ম্যাচিউর উচ্ছ্বাসের ফল কি তা প্রচন্ড প্রতিভাধর কিন্তু খেলার সময় ইনকনসিস্টেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমের দিকে তাকালে বোঝা যায়।

অল্পবয়সী প্রতিযোগী নিয়েও আমি পুরোপুরি ক্লিয়ার না। বয়স ২০ বছরের কম এবং কোনো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয় নাই - এটাকেই কনডিশন মনে হলো। এটা সঠিক হলে ১৫/১৬ বছরের স্কুল পড়ুয়াদের পরিবর্তে কলেজ থেকে প্রতিযোগী রিক্রুট করা বেটার। স্কুলের সাথে কলেজের পড়াশুনার মানের / সিলেবাসের একটা মোটামুটি ভালো মাপের পার্থক্য আছে। যেসব প্রশ্ন দেখলাম, তা বাংলাদেশের স্কুলে খুব একটা পড়ানো হয় না। সিলেকশন প্রোসেসটা কিভাবে কাজ করে, আমি নিশ্চিত না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রেনেট এর ছবি

বাংলাদেশ দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

হিমু এর ছবি

এই ট্রেন্ড ধরে রাখতে পারলে সামনে হয়তো শ্রীলঙ্কা আর ভারতকে টপকানো যাবে। বাংলাদেশের টার্গেট হওয়া উচিত তা-ই, উপমহাদেশে শীর্ষস্থানে থাকা। জয়ীদের অভিনন্দন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সকালবেলা খবরটা পড়েই মন ভালো হয়ে গেলো।
এর সাথে জড়িত সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন। হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তানবীরা এর ছবি

হুমম, আমারো সেই কথা
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অংকে চিরকালই ভীতু আমি। সব পরীক্ষায় অংকে কোনোমতে পাস। আর দেখেন আমার ভাই বেরাদররা অংকে পুরস্কার পায়। ওদেররে প্রাণঢালা অভিনন্দন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অংক দেখলেই আমার গাও কাঁপাইয়া জ্বর আসে। মন খারাপ

এই জটিল জিনিষরে যারা জয় করতে পেরেছে তাদেরকে অবশ্যই অভিনন্দন, তবে এটা যেনো আতিশয্য না হয়ে যায়। আমাদের ইতিহাস এ ব্যাপারে ভালো সাক্ষ্য দেয় না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

জাহিদ হোসেন এর ছবি

লগ-ইন করেই প্রথমে এই খবরটাতে বড়ই আনন্দ পেলাম। খবরটি পোস্ট করবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আশাকরি বাংলাদেশ এইভাবে আরো এগিয়ে যাবে সামনে। মনটাই ভালো হয়ে গেল একদম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ফিরোজ জামান চৌধুরী (অতিথি)

বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন!!

বিপ্রতীপ এর ছবি

নজর রাখো বিশ্ব, আমরা আসছি---!!

চলুক

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

সৌরভ এর ছবি

অভিনন্দন ছোট মানুষ দুটোকে, সেই সাথে তাদের পেছনে থাকা সব অক্লান্ত মানুষকে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

দিগন্ত এর ছবি

খুব ভাল খবর হাসি ... অভিনন্দন।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ফ্রুলিক্স এর ছবি

প্রতিটা গনিত অলিম্পিয়াড জার্মানিতেই হোক হাসি
গনিত দলকে ফ্রাঙ্কফুটে রিসিভ করে বেশ ভালো করে পোলাও, মোরকার রান, নাখটিশ দিয়ে রাতের খাবার খাইয়ে শুতে যাবার আগে বলেছিলাম যদি এইবার কিছু না পারো তাহলে ফ্রাঙ্কফুট দিয়ে দেশে যাবার সময় জোর করে জার্মান খাবার খাইয়ে দিবো। মনে হয় ভয় পাইছিলো চোখ টিপি

বলাই ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে একমত। অতিউচ্ছ্বাশ করতে ভয় পাই মন খারাপ

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

অভিনন্দন বাংলাদেশের টীমকে।

দুর্দান্ত এর ছবি

অভিনন্দন বাংলাদেশ টিমকে। ২০১১ তে আমস্তার্দামে হচ্ছে আই ও এম। দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত হলে আর বাংলাদেশ দল আসলে, দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

মনটা আনন্দে ভরে গেলো। অভিন্দন বিজয়ী এবং নেপথ্য কারিগরদের!
এরকম এক- একটা মন ভালো করে দেয়া সংবাদের প্রতীক্ষায় থাকে মন সর্বদাই।

সিরাত এর ছবি

পত্রিকায় সকালে দেখলাম। বেশি ভাল লেগেছে কারণ আমার গণিত নিয়ে লেখাটার ধারে কাছে সময়ে ঘটেছে। হাসি

চলুক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভীষণ ভাল লাগল। এইসব সাফল্যই একদিন অনেক বড় কিছু হয়ে ধরা দিবে আমাদের কাছে, এটা বিশ্বাস করি। দেশের আগামী প্রজন্ম এই সাফল্য থেকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পাক। উত্তরোত্তর গণিত ও বিজ্ঞানমনষ্ক হয়ে বেড়ে উঠুক তারা।

সবার প্রচেষ্টা, গণিতের জন্য ভালবাসা আর একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

আগামীতে আরো ভাল ফল আসুক, এই শুভকামনা থাকল।

দারুণ খবর শেয়ার করার জন্য এবং মন ভাল করে দেয়ার জন্য অনিকেত'দাকে অনেক ধন্যবাদ।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

অবশ্যই মনের ভেতর একটা ভাললাগা দখিনা হাওয়া দোলা দিয়ে যায় যখন দেশের গলে সাফল্যের মাণিক জ্বলে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

স্বপ্নহারা এর ছবি

দেশের এই জিনিয়াসগুলান রে ঠিকমত পরিচর্যা করতে হবে!
-----------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

আমি যতটা খুশি হয়েছি, ততটাই দুঃখ পেয়েছিলাম খবর শুনে, আর একটু হলেই তিনটা ব্রোঞ্জ পেয়ে যেত আমাদের এই দল।
ভাগ্য...

মামুন হক এর ছবি

বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন! অনি ভাইয়াকেও হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।