আজ আমরা ৬৪ বছরে পা দিলাম।
এই চৌষট্টি বছর ধরে দিনে-রাতে আমাদের বিবেকের পাশে ছায়া হয়ে রয়েছে দুটি নাম----হিরোশিমা,নাগাসাকি। চৌষট্টি বছর ধরে এই দিনটি মানবসভ্যতার কপালে কলঙ্কের দাগ হয়ে রয়েছে। চৌষট্টি বছর আগে এই দিনটিতেই মানুষ দেখেছিল ক্ষমতালোলুপ রাষ্ট্র-নায়কের হাতে বিজ্ঞানের অপচয় আর বিবেকের নিদারুন অন্ধত্ব।
আর, চৌষ্টট্টি বছর পর আজও আমরা চায়ের টেবিলে ঝড় তুলি----বোমা ফেলাটা আসলেই যুক্তিযুক্ত ছিল কি না, হাজার হাজার জাপানী প্রাণ এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে তাদের নিঃশর্ত আত্মসমর্পনে বাধ্য করাটাই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়েছিল কি না, কোটি কোটি প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার প্রাণের সওদা করাটা বিবেক সম্মত কিনা----- এমনি হাজারো সব তর্ক।
আর চৌষট্টি বছর পরও ৬১% আমেরিকান জানায়----বোমা ফেলাটা আসলে যুক্তিসঙ্গতই ছিল।
১৯৪৫ সালের গ্রীষ্ম। অগাস্টের সেই ৬ তারিখের সকাল প্রায় ২৫০,০০০ জন হিরোশিমাবাসীর জন্যে আর দশটা সাধারণ সকালের মতই ছিল। আর সব সকালের মতই মায়েরা তাদের বাচ্চাদের স্কুলের পোষাক পরিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। অন্য সব সকালের মতই, আমার মত কিছু অলস লোক সাড়ে সাতটায় উঠে এলার্ম বন্ধ করে আবার হয়ত ঘুমুতে গিয়েছিল। হয়ত কিছু কিশোর ভেবে রেখেছিল,আজকেই তাদের প্রেয়সীকে জানাবে এই পৃথিবীর সবচাইতে পুরোনো সে কথাটা। কিছু প্রেমিক হয়ত গতরাতের আশ্লেষভরা স্মৃতিটুকু মনে নিয়ে বুকের উপর ঘুমিয়ে থাকা প্রিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে ভাবছিল, কী করে এই অপ্সরা তার মত এক মর্ত্যের মানুষের প্রেমে পড়েছে! ঠিক তখুনি তিনিয়ান আইল্যান্ড থেকে উড়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের B-29 Superfortress bomber প্লেনটি। প্লেনের নাম Enola Gay,পাইলট পল টিবেটের মায়ের নামে নাম। ঠিক ৮ বেজে ১৫ মিনিটে পল টিবেটের সেই প্লেন থেকে নেমে এল প্রায় ৪০০০ কেজি ওজনের একটা বোমা। ৯,৪০০ মিটার উপর থেকে মুক্তভাবে পতনশীল(Free fall) বোমাটির নাম ‘লিটল বয়’। প্রায় ৫৭ সেকেন্ড ধরে মুক্ত পতনের পর মাটি থেকে ৬০০ মিটার ওপরে থাকতেই বোমাটির ভেতরের জটিল ইলেক্ট্রনিক সার্কিট কাজ করতে শুরু করে। ৬৪ কেজি ইউরেনিয়াম বুকে নিয়ে নেমে আসা এই বোমাটির মাত্র ০.৭ কেজি ইউরেনিয়াম পারমানবিক ফিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। আর তার মধ্য থেকেই তৈরী হয় অপরিমেয় বিধ্বংসী শক্তি। মুহূর্তের মাঝে হিরোশিমার বুকে নেমে আসে জ্বলন্ত সূর্যের খন্ড। ঠিক ৮টা ১৬মিনিটে জাপানীজ ব্রডকাস্টিং করপোরেশান এর টোকিও শাখার অপারেটর খেয়াল করলেন হিরোশিমা অফ-এয়ারে চলে গেছে। ২০ মিনিট পর টোকিও রেলরোড টেলিগ্রাফ লক্ষ্য করলেন হিরোশিমা থেকে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এরমাঝে মিলিটারী হেড কোয়ার্টার থেকে বারবার হিরোশিমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন অফিসাররা। সম্পূর্ণ নিস্তব্ধতা তাদেরকে একই সাথে বিস্মিত ও উদবিগ্ন করে তুলছিল। কিছু তরুন অফিসারদের উপর দায়িত্ব দেয়া হয় হিরোশিমা গিয়ে সচক্ষে সব পরিদর্শন করে এসে রিপোর্ট করতে। অফিসাররা দেরী না করেই রওনা দেন প্লেনে করে। হিরোশিমার ১০০ মাইলের মধ্যে আসামাত্রই তারা দেখতে পান বিশাল ধোয়ার কুন্ডলী পাকিয়ে উঠছে আকাশে। আতঙ্কে অবিশ্বাসে জমে যাওয়া সেই পাইলটরা চক্কর খেতে থাকেন আকাশে। এক সময়ের জনসমাগমে পূর্ণ শহরটি উধাও হয়ে গেছে। বদলে রয়ে গেছে এক গভীর ক্ষত। সারাটা জনপদ যেন ভোজবাজীর মত উবে গিয়ে নামিয়ে এনেছে জীবন্ত নরক। বিস্ময় আর ত্রাসের যুগপৎ আক্রমনে স্থবির হয়ে যায় গোটা দেশ। ষোল ঘন্টা পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচারিত প্রেসবার্তা শুনে তারা জানতে পারেন, তাদের এই ছোট্ট শহরটিকে মানচিত্র থেকে মুছে দিতে নেমে এসেছিল পারমানবিক বোমা। হ্যাঁ, পৃথিবীর প্রথম পারমানবিক বোমার ‘সফল’ বিষ্ফোরনের শিকার হওয়ার অশেষ ‘সৌভাগ্যটি’ তাদেরই হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর প্রেসিডেন্টের বরাতে জানানো হয়
“Sixteen hours ago an American airplane dropped one bomb on Hiroshima, Japan, and destroyed its usefulness to the enemy. That bomb had more power than 20,000 tons of T.N.T.
It had more than two thousand times the blast power of the British Grand Slam, which is the largest bomb ever yet used in the history of warfare”
সারাটা ঘোষনার মাঝে কেবল ঔদ্ধত্য নয়, একধরনের গর্বের সুবাস ছেয়ে আছে।
ঘটনার শেষ এখানে নয়।
তিনদিন পর অগাস্টের ৯ তারিখ সকাল এগারোটায় জাপানের আরো একটি শহর, নাগাসাকি কে মুখোমুখি হতে হয় সেই একই প্রলয়ের, একই ধ্বংসের, একই মর্মান্তিকতার।এবারের বোমাটির নাম Fat man—ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী চার্চিলকে ‘সম্মান’ করে রাখা। এবারের বোমার ধ্বংস ক্ষমতাও আগেরটার চেয়ে বেশি--- লিটল বয় এর ক্ষমতা ছিল ২০,০০০টন টিএনটির সমান, আর ফ্যাট ম্যানের ক্ষমতা ছিল ২২,০০০টন টিএনটি।
হিরোশিমা শহরটির ৬৭% অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায় বোমার আগাতে। নাগাসাকি হিরোশিমার মত একই ভৌগলিক কাঠামোর না হওয়ার কারণে(হিরোশিমা মূলতঃ সমতল ভুমির অঞ্চল ছিল আর নাগাসাকি কিঞ্চিত পাহাড়ি এলাকা) সেখানে ২৭% ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধুলিস্মাৎ হয়,১০% অর্ধেক ধ্বংস হয়। মাত্র ১২% যেকোন রকমের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচে। হিরোশিমায় বোমা পড়ার দিন ২৫৫,০০০ জন শহরটিতে ছিলেন আর নাগাসাকিতে ছিলেন ১৯৫,০০০জন। বিষ্ফোরনের পর জনবলের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব কখনোই সঠিক ভাবে নিরূপন করা যায়নি। তবে মোটামুটি ভাবে হিরোশিমাতে ১৩৫,০০০ জন আর নাগাসাকিতে ৬৪,০০০ জন হতাহতের হিসেব মেলে। ১৯৫০ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায় তখন পর্যন্ত পারমানবিক বোমার শিকার প্রায় ২০০,০০০ জন মারা গেছেন হিরোশিমাতে, ১৪০,০০০জন মারা গেছেন নাগাসাকিতে আর বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে ১০ জন লোক দুই বিষ্ফোরনেই পড়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।
২৪ মার্চ,২০০৯ গার্ডিয়ান পত্রিকা প্রকাশ করে সুটোমু ইয়ামাগুচি’র নাম। ইনি এখন পর্যন্ত ‘অফিসিয়ালি’ স্বীকৃত একমাত্র লোক যিনি দুইটি বোমার আক্রমনেই পড়েছিলেন এবং দুটো থেকেই বাঁচতে পেরেছিলেন। অগাস্টের ৬ তারিখে ব্যবসার কাজে হিরোশিমা গিয়েছিলেন ইয়ামাগুচি। প্রথম পারমানবিক বোমার ক্ষত উর্ধাঙ্গে নিয়ে তিনি পরের দিন ফেরেন তার নিজের শহর নাগাসাকিতে যেখানে দুইদিন পরেই পড়ে দ্বিতীয় বোমাটি।
কিন্তু আসল প্রশ্নটা হল---আসলেই কী দরকার ছিল এই ঘটনাটা ঘটার? আসলেই কী দরকার ছিল কিয়ামতের আগেই পৃথিবীতে কিয়ামত নিয়ে আসার? আর কীইবা দরকার ছিল দু’দুটো বোমা ফেলার যেখানে জাপানিরা প্রথম বোমার ধাক্কাই সামলে উঠতে পারেনি। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আজ এতটা বছর পরেও আমরা এখনো মাথা চুলকে বেড়াচ্ছি।
হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনাকে জায়েজ করার জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। প্রথম কাজটা ছিল প্রোপাগ্যান্ডা প্রচারের। বোমা ফেলার পরপরই মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা শুরু করা হয়---পারমানবিক তেজস্ক্রিয়তার কারনে কোন মৃত্যু ঘটেনি। যারা মারা গেছেন তারা শুধু বোমার ‘আঘাতে’ই মারা গেছেন-- অন্য কোন কারণে নয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায় বড় বড় অক্ষরে লেখা এল ‘হিরোশিমার ধ্বংসস্তুপে কোন তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া যায় নি’! এক অস্ট্রেলিয়ান রিপোর্টার উইলফ্রেড বারকেট(Wilfred Burchett) তার প্রাণবাজী রেখে হিরোশিমায় গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি ঘুরে ঘুরে এই নারকীয় ঘটনার শিকারদের দূর্দশা স্বচক্ষে অবলোকন করেন। তিনিই ছিলেন প্রথম সাংবাদিক যিনি এই প্রোপাগ্যান্ডার মুখোশ খুলে ফেলে দিয়ে জানান কীভাবে লোকজন সেখানে তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়ে ধুকে ধুকে মরছে। পরিনামে অবশ্য তাকে চাকরী, সুনামসহ সবই খোয়াতে হয়।
হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনা জায়েজ করার জন্যে সবচাইতে বহুল ব্যবহৃত যুক্তি হলঃ এই বোমা ফেলার কারণেই যুদ্ধটা থামানো গেছে, বাঁচানো গেছে হাজার হাজার(মার্কিন) প্রান। এইটে না করলে পরে আমেরিকাকে জাপান আক্রমন করতে হতো। হাজার হাজার সৈন্য নিয়োগ করতে হত। কত শত প্রাণ হারাতো। এসব কিছুর বদলে একটা—থুক্কু, দুইটা বোমা ফেলে কার্যোদ্ধার হয়েছে। এত শুধু রথ দেখা কলা বেচা নয়---এ যেন রথ দেখা রথ বেচা। ১৯৪৬ সালে United States Strategic Bombing Survey জানায় ‘পারমানবিক বোমার ব্যবহার না করেই, শুধু মাত্র বিমানবাহিনীর উপযুক্ত প্রয়োগের মাধ্যমেই জাপানকে নিঃশর্তে আত্মসমর্পণ করানো যেতে পারত’। ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল আর্কাইভে সংরক্ষিত দলিলে দেখা যায় ১৯৪৩ থেকেই জাপান আত্মসমর্পনের নানান ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু সেগুলোর কোনটাতেই কান দেয়া হয়নি। ১৯৪৫ সালের ৫ মে টোকিওতে অবস্থানরত জর্মন রাষ্ট্রদূতের এক গোপন তারবার্তা মিত্রবাহিনীর হাতে পড়ে। সে রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ আছে জাপান কী রকম ব্যগ্র হয়েছিল আত্মসমর্পনের জন্যে। তার বদলে মার্কিন সেক্রেটারী অব ওয়ার হেনরি স্টিমসন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানকে জানান যে তিনি ভয় পাচ্ছেন মার্কিন বিমানবাহিনীর তুমুল আক্রমনে জাপান এতটাই নেতিয়ে পড়েছে যে নতুন ঐ বোমাটা টেস্ট করার মত পর্যাপ্ত সুযোগ পাওয়া যাবে কিনা শেষ পর্যন্ত। তিনি পরে স্বীকার করেছেন যে বোমাটা ব্যবহার না করে ওদের আত্মসমর্পণ করানোর কোনরকম চিন্তা বা প্রচেষ্টা তাদের ছিল না। কারন এই যুদ্ধ জাপানের বিরুদ্ধে ছিল না। এই যুদ্ধ ছিল মূলতঃ রাশিয়ার বিরুদ্ধে। যুদ্ধোত্তর এক নতুন পৃথিবীর অবিসংবাদী মোড়ল হবার লোভ তাড়িয়ে নিয়ে ফিরছিল এই দুটি দেশকেই। জেনারেল লেসলি গ্রোভস, যিনি ‘ম্যানহাটান প্রজেক্টে’র(পারমানবিক বোমা তৈরির প্রজেক্টের সাংকেতিক নাম) ডিরেক্টর ছিলেন, পরবর্তিতে জানান, রাশিয়াই যে আসলে আমাদের শত্রু আর তাকে পরাজিত করার জন্যই যে এই প্রজেক্ট চলছে, এই নিয়ে আমার মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিল না।
যে বৈমানিক প্রথম পারমানবিক বোমাটি বহন করে নিয়ে গিয়েছিলেন হিরোশিমায়, পল টিবেট, পরবর্তিতে নানান সময়ে নানান সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে তার মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। অকুন্ঠিত অকম্পিত গলায় তিনি বারবার বলেছেন, তিনি গর্বিত এই কর্মটি করার জন্যে এবং প্রতিরাত্রেই তার সুখনিদ্রা হয়। ২০০৫ সালের মার্চে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাকে যদি আবার এই রকম একটা সুযোগ দেয়া হয়, তিনি আবারো এই কাজটি করবেন।
অনেক সময় এটা বলা হয়ে থাকে----ঠিকাছে বাবারা, তোমাদের বোমা ফেলার যখন এতই শখ তখন কাছেপিঠে লোকালয় থেকে দূরে কোথাও একটা বোমা ফেলে দিলেই হতো। সেইটের প্রলয়ংকরী ক্ষমতা দেখিয়ে জাপানীদের অনায়াসে বলা যেত, দেখলি তো কেমন ক্ষ্যামতা? সারেন্ডার করবি কি না বল, নাইলে দিলাম ছাইড়া তোদের মাথায়----এতে বোমা ফেলার কাজটাও হল, নিরীহ মানুষও প্রাণ হারালো না।এইটে কেন করা হল না? পল ওলাম ছিলেন ওরিগন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানহাটান প্রজেক্টের এক সক্রিয় কর্মী। তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত ১৯৮৩ সালে লেখা এক সৃতিকথায় তিনি এই প্রসঙ্গে তখনকার বিজ্ঞানীদের মনোভাব কেমন ছিল, সে বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেছেন, অধিকাংশ বিজ্ঞানীরাই একটা ‘ডেমন্সট্রেশান ড্রপ’ এর পক্ষে ছিলেন। অনেকে পিটিশন সাইন করেছিলেন এই মর্মে যে বোমা যদি ফেলতেই হয় তাহলে লোকালয় থেকে দূরে কোথাও ফেলা হোক। কিন্তু বড়কর্তাদের অনেকেই এর বিরোধী ছিলেন। বিজ্ঞানী ওপেনহাইমার যিনি সামনে থেকে এই গোটা প্রজেক্টের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তিনি নিজেই লোকালয়ে বোমা ফেলার পক্ষে ছিলেন।পরের কাহিনী তো সকলেরই জানা।
আজ পৃথিবীর নয়টি দেশ পারমানবিক বোমার গর্বিত মালিক—যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,ফ্রান্স,রাশিয়া,চীন,ভারত,ফাকিস্তান,ইজরায়েল ও উত্তর কোরিয়া। সব মিলিয়ে ২৭০০০ কার্যক্ষম পারমানবিক বোমা এই মূহুর্তে পৃথিবীতে ঘুমিয়ে আছে। এদের সম্মিলিত শক্তির পরিমান? আমাদের এই গোটা পৃথিবীকে বেশ কয়েকবার ধ্বংস করার মত!
৬৪ বছর ধরে আমরা যে গ্লানি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি তার থেকে মুক্তির চাবি আমাদেরই হাতে।আমাদের নিজেদেরকে চিনে নিতে হবে ভোরের আলোয়, আমরা আসলে কি? আমাদের গন্তব্য কোথায়? আমার পাশের লোকটার হাত আমি বন্ধুতায় ধরব? নাকি অপার জান্তব আক্রোশে?
এই প্রশ্নটা পুরনো
আর উত্তরটাও সবার জানা---
তথ্যসূত্রঃ অন্তর্জাল ও কিছু গবেষনা নিবন্ধ
ছবি কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অন্তর্জালের বিভিন্ন উৎস
মন্তব্য
অসাধারন লেখা। উত্তম জাঝা!!
মানুষইতো সবচেয়ে হিংস্র পশু
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ পথিক।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ অনিকেতদা
অনেক অজানা বিষয় জানা হলো
ধন্যবাদ বস!
উত্তরটা না জানা থাকলে হয়তো খোজা যেত। উত্তরটাও যেহেতু সবারই জানা...... দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছুই করার নাই।
সেইটাই কথা,আসাদ!
শুভেচ্ছা রইল
যথারীতি ফাটাফাটি. আমার এক লেখা অনেক দিন দেয়া হচ্ছিলনা কারণ কোনো যথার্থ নাম খুঁজে পাচ্ছিলাম না - আজকে আপনার লেখা দেখে নামটা পারফেক্ট মনে হলো - তাই চুপচাপ মেরে দিলাম
খুব ভাল করেছেন, এখন আমার কমিশন দ্যান---
খুবই চমৎকার একটা লেখা! যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধনীতি সারাজীবনই আগ্রাসী, নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচারে ভরা এবং মানবিকতাবোধহীন। অবশ্য সেভাবে দেখলে কোন যুদ্ধই বা ভালো?
বোমা ফেলার পক্ষ সমর্থনে আমি এমনই পড়েছি, জাপান খুবই হার-না-মানা জাত। তারা হারিকিরি করে কিন্তু আত্মসমর্পণ করে না। এই কারণে বোমা মেরে তাদেরকে স্তব্ধ করা হয়েছে (!!!)। এবং এটা খুব নিরীহদর্শন ইতিহাসের বইতেই পড়েছি।
পারমাণবিক বোমার ধ্বংসযজ্ঞ একটা দর্শনীয় বস্তু মনে হয়, ঐ মাশরুমের নীচে বাষ্পীভূত হয়ে যাওয়া মানুষগুলো সেখানে খুবই তুচ্ছ!
ধন্যবাদ অনীক।
হিমুর ভাষা নকল করে বলি- এদের গর্বের উপর আমি ছ্যাড় ছ্যাড় করে মুতে দেই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা---
আসলে মানুষ জাতির পক্ষেই সম্ভব এত নৃশংস কোন কাজ করা। কত হাজার মানুষ পিপড়ার মত এক নিমিষে প্রান হারালো, তারা জানলোও না কে বা কারা তাদেরকে গিনিপিগ বানালো। আমরা না হয় এটাকে দুঃস্বপ্ন হিসেবে ভেবে কিছুক্ষন পর ভুলে যাবো কিন্তু তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা এখনো এ নারকীয়তার দাগ বহন করে চলছে তারা কি কখনও ভুলতে পারবে?
এই লিংকে বোমা আঘাতের কয়েকদিন পর তোলা কিছু অপ্রকাশিত ছবি পেলাম, কিছু ছবি দেখে মনে হলো আমাদের একাত্তুরের গনহত্যার ছবি কিন্তু আরো শতগুন বড় স্কেলে।
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ধন্যবাদ প্রজাপতি।
ধন্যবাদ তোমার লিঙ্কটার জন্যেও।
নিরন্তর শুভেচ্ছা
এত আবেগ দিয়ে এই বিষয়ে আর কোন লেখা আমি পড়িনি। অসাধারণ লেখা। অসাধারণ!
মানুষের মন বড়ই বিচিত্র। ১৯৭১এ আমাদের পারমানবিক বোমা থাকলে হয়তো আমরাও মারতে চাইতাম, এবং এটার পেছনে অনেক যুক্তিও দাঁড় করাতাম। যাহোক, যুদ্ধে শুধুই পাপের চাষ হয়, এর বেশী কিছু নয়।
ধন্যবাদ পিপিদা
বস, ব্যাপারটা আমার কাছে টিপিক্যাল মাথামোটা আমেরিকান এর মতই লাগল, এটা সম্ভবত ৯-১১ নিয়ে বানানো কোন ডকুমেন্টারিতে ছিল, এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছে ব্রিটনি স্পিয়ারস্কে, "বুশ যা করছে এবং করেছে ইরাকে, সে ব্যাপারে তোমার কি মতামত"
সে স্টুপিড ছাগী বলল, সে গর্বিত এবং পূর্ণ বিশ্বাস রাখে বুশের উপর যে সে ঠিক জিনিষটাই করবে। পোষা কুত্তার মনে যাই চলুক না কেন, সে তো আর মালিকের বিরুদ্ধে কথা বলবে না।
বস, জটিল একটা লেখা দিয়েছেন, নিজেকে হাফ "মারিকান" হওয়ায় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে আসল। আর ক্ষমতার দম্ভ দেখানোই যে পারমানবিক বোমা ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল এবং সেই সাথে টেস্ট সাবজেক্ট হিসাবে বেচারা জাপানীদের মেরে সাফ করে রাশিয়ার কাছে "মুই কি হনু রে করা" ভাব নেয়া।
কাজেই যখন জাপানী গাড়ী নির্মাতাদের কাছে মারিকান নির্মাতাদের মার খেতে দেখি, তখন বেশ মজাই লাগে, হোক ব্যাটারা কিছু ব্যাংক্রাপ্ট
অসাধারণ একটা লেখা দিলেন, তারা দিতে পারি না, তাই দিয়ে গেলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
খুব সম্ভবত মাইকেল মুরের 'ফারেনহাইট ৯-১১' ডকুমেন্টারির কথা বলছ তুমি।
আর হাফ 'মারিকান' হয়ে লজ্জার কথা বলছ, বস? প্রতিটাদিন আমার মনে হয় এমন একটা দেশে আমি মনের সুখে ঘুরে বেড়াই যে দেশ আমার দেশের স্বাধীনতার অন্যতম বিরোধী ছিল। তবে সেইসাথে এইটেও ভুলিনা আমাদের যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের সাহায্যে আয়োজিত 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' এইখানেই হয়েছিল।
আমার মনে হয়, সাধারণ মানুষগুলো সবখানেই 'সাধারণ'।কিন্তু সেই সাধারণ মানুষগুলোর গায়ে প্রেতের লেবেল লেগে যায় সে দেশের রাষ্ট্র-পরিচালকদের কারণে।
অনিকেতদা অসাধারণ লেখা, আবেগ আর তথ্যের চমৎকার সংমিশ্রণ যা আমি সবসময় খুঁজি। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ বস।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বস, আসল ধন্যবাদ তোমাকে দেয়া দরকার।
টিপাইমুখ নিয়ে তোমার এই অসামান্য সিরিজটি কেবল প্রশংসার দাবীদার নয়--আমাদেরকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে বেঁধেছে।
হ্যাটস অফ টু ইউ,বস
নিরন্তর শুভেচ্ছা
--- আর এরাই আমাদের সভ্যতা শেখাতে আসে। আমি ফাকিস্তানি আর আম্রিকানদের একই পর্যায়ের বর্বর মনে করি।
হা হা হা ,সত্যি কথা।উপরে সাইফের কমেন্টে লিখছিলাম যে সাধারন মানুষ ভাষা,রাষ্ট্রভেদে একই। সমস্যা হল সেইদেশটির শাসনকর্তাদের অভিরুচি নিয়ে। এবং দীর্ঘকাল একটা 'নির্দিষ্ট' প্রজাতির সরকারের কাছে বন্দী থাকলে, মোটের ওপর সারা জাতির মাঝে কিছু আচরণগত সাযুজ্য লক্ষ্য করা যেতে পারে।
নিজেকে অনেক যুক্তি দিয়েও ফাকিস্তানের পক্ষে কিছু বলাতে পারলাম না। মার্কিনী জনগনের পক্ষে আমার একটাই কথা বলার আছে----এদের অন্তত কিছুটা হলেও বাক-স্বাধীনতা আছে। এর বিপরীতে ফাকিস্তানে বাক-স্বাধীনতার ধারনাটাই এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।
হ, ঠিক কথা। আম্রিকায় বাক স্বাধীনতা (নামকাওয়াস্তে হলেও), ফাক স্বাধীনতা ( সর্বস্তরে) সবই আছে। আর ফাকিস্তান নাম নিয়েও ঐ চোট্টাদের দেশে ফাক স্বাধীনতা নাই, বাক স্বাধীনতার কথা না হয় বাদই দিলাম। আমার মনে হয় ওটার নাম পালটে বাকিস্তান করে দেয়া দরকার, কারণ ওদের সাথে আমাদের এখনও অনেক লেনা দেনা বাকী।
হা হা হা ,
সানন্দে সম্মত হলাম
ওদেরকে আরবীতে তো বাকীস্তান বলেই ডাকা হয় জানতাম। যেহেতু আরবী ভাষায় "প" বর্ণটি নেই, এবং "প" বর্ণকে আরবীতে "ব" দিয়ে রিপ্লেস করা হয়। পেপসী যেমন হয়ে যায় বেবসী।
হা হা হা , একদম ঠিক---
আরবদের নিয়ে প্রচলিত রসিকতাটা হচ্ছে---তারা নাকি প্রায়ই বলে " লেট মি বার্ক দ্য কার অন দ্যাট বার্কিং লট!"
ছোটবেলায় আমার ফোটানো চকলেট বোমের শব্দে যে আনন্দ পেতাম, ৬১ শতাংশ আমেরিকান হয়তো হিরোশিমা'র বোমায় তেমনই নারকীয় আনন্দ পেয়ে থাকে।
হুমমম----
(y)
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বড় হাতের ওয়াই দিতে হবে বদ্দা
প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই, বড়ো হাতেরই হতে হবে, তা না। ছোট হাতের 'ওয়াই'-তেও কিন্তু হয়
পরিশ্রমী লেখা।
হে হে হে ---পড়তে পরিশ্রম না হলেই ভাল---
আপনাকেও ধন্যবাদ, আবির
ভাল থাকবেন।
হিরোশিমা নাগাসাকির প্রলয়কান্ড গোটা মানবজাতির জন্যেই এক ভয়াল কলংক। আশাকরি এ থেকে আমরা সবাই এই জাতীয় ধ্বংসলীলা থেকে বিরত থাকবো। আপনার লেখাটি যথারীতি ভালো লেগেছে, আমাদের সবাইকে যেন চাবুক মেরে আরো একবার জাগিয়ে দিল।
এই প্রসংগে একটা কথা বলি। অনেক আমেরিকানই মনে করে যে এইসব গ্যানজাম জাপানই আগে শুরু করেছে। তারা যদি পার্ল হারবারে বোমাবাজীটা না করতো, তাহলে আমেরিকা কখনোই অ্যাটম বোমা ফেলার মতো অজুহাত পেতোনা। কিন্তু একই সাথে এটাও বলা হয় যে জাপানী বোমারু বিমানগুলো যখন প্যাসিফিক পাড়ি দিয়ে হনলুলুর দিকে এগুচ্ছিল, তখন নাকি আমেরিকানরা সেটি জানতো। কিন্তু তারা কিচ্ছু বলেনি যাতে করে জাপানীরা এসে মহা আনন্দে বোমাবাজী করতে পারে এবং অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ব্যাস-মিলে গেল বোমা ফেলার মতো জুতসই অজুহাত। দ্য রেস্ট ইজ হিস্টরী!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
তারমানে ৯-১১ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি!! পুরাই যা তা অবস্থা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
শুভেচ্ছা রইল
মার্কিন সাম্রজ্যবাদ
ধ্বংস হোক নিপাত যাক।
বস, লেখা অসাধারণ।
পার্ল হারবার ছবিটা দেখেছিলাম এক জাপানী বন্ধুর সাথে। হলিউডি উপস্থাপনায় জাপানী ধ্বংসযজ্ঞ। হল থেকে বেরিয়ে বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সে বলল; হিরোশিমা দেখেছো?
এমনই ভাবে আরেকদিন পাশের পুর্তগীজ তরুনীকে বলেছিলাম আমাদের দেশে তোমাদের নামে বাচ্চাকে ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ানের জন্য বাচ্চাদের একটা ছড়া আছে।
ছড়ার ইংরেজী অনুবাদ আমার ইংরেজী তৌফিকে যতদূর কুলায় তাকে শুনিয়ে তাদের পাশবিকতার কথা বললাম।
সে শুধু বিরক্ত হয়ে বলল; এর জন্য আমি দায়ী নই।
তাইতো! সে কেন দায়ী হতে যাবে? কিন্তু অনুশোচনা বা দুঃখ প্রকাশ করতে পারতো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস খুব দীর্ঘ। ইউরোপিয়ানদের হিসাবে তাতে তিরিশ মিলিয়ন মানুষ প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু কেন?
তার উত্তর কিন্তু এখনো বর্তমান। যুদ্ধ কারো জন্য মৃত্যু, কারো জন্য বাঁচার লড়াই আবার কারো জীবিকা।
মার্কিন সৈন্য ইরাকে মারা যায় পেশাগত ঝুকির কারণে। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। কিন্তু নিরীহ সিভিল ইরাকীরা কী পায়? তাদের দেশের সব জলাশয় আনবিক বোমা না পরেও নিওক্লিয় বিকিরণে দুষ্ট। আফগানিস্থান আর ইরাকের নিহত মানুষের সংখ্যা হিরোশীমা নাগাসাকীর তুলনায় হয়তো কম। তাই বলে মানুষের জিঘাংসা কমে গেছে?
শুধু ইরাক যুদ্ধে মার্কিন যুদ্ধ সমর শয্য রচনা করতে ডিক চেনীর ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী পেয়েছে দশ বিলিয়ন ডলার।
মানুষের কল্যানে মার্কিন জনগন ইরাক যুদ্ধের শতাংশ খরচ করলেও আজকের পৃথিবী অনেক শান্তির হতে পারতো।
কিন্তু শক্তি থাকলে যুদ্ধের কোন কারণ মানুষ সব সময়ই খুঁজে পাবে। আমার মনে হয় সেটা সব জাতির জন্যই খাটে।
অল্প বয়সে যখন খুব কল্যানকর চিন্তা করতাম, তখন আশা করতাম মানুষে মানুষে শান্তি সম্ভব।
এখন মনে হয় এমন কথা যারা বলে তারা মিথ্যুক অথবা উম্মাদ।
এখন পৃথিবীতে যুদ্ধই শান্তি।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ভাই পুতুল,
তোমার এই বিস্তারিত কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ।
তোমার কথাগুলো চাবুকের মত এসে বিঁধল পিঠে--কিন্তু মন ঠিকই জানে----অন্তত কিছুটা হলেও এর মাঝে সত্য লুকিয়ে আছে---আর জ্বলুনিটা সেইজন্যি বেশি।
নিরন্তর শুভেচ্ছা----
লেখাটা অসাধারণ লাগলো। একটু বেশীই ছুঁয়ে গেল, হয়ত আমি নাগাসাকি-হিরোশিমার ওই মানুষগুলোকে কিছুটা জানি বলেই। নাগাসাকি শহরে ৪ বছর বসবাস করেছি, বোমায় আহত অনেক মানুষকে দেখেছি কাছে থেকে। তাদের শারিরীক-মানষিক কষ্ট গুলোও।তাদের বক্তব্য খুব অদ্ভুত---শান্তির জন্য! শান্তির জন্য! হায় শান্তি!
........................................
......সবটুকু বুঝতে কে চায়!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ধন্যবাদ, মণিকা।
আপনি একটা বিরল অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।
একটু লিখুন না এই নিয়ে---আমরা অনেক স্পষ্ট একটা ছবি পাব----
ভেবে দেখবেন একটু?
- বোমা ফেলার পর মার্কিন সরকারের প্রেস রিলিজটা এখানে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসাধারন, বস, অসাধারণ!!!
ত্রিশ লক্ষ তারা তোমার উঠানে----
অসম্ভব মনছোঁয়া লেখা। কী-ই বা বলার আছে। যুদ্ধ বা যে কোনো অজুহাতেই হোক না কেন, এমন নারকীয় ঘটনার মুখোমুখি যেন কাউকেই না হতে হয়।
লেখাটা খুবই ভালো লাগল।
ভালো থাকবেন, অনিকেত'দা।
তুমিও ভাল থেকো বস।
লেখা চমৎকার। অনেক ধন্যবাদ অনিকেত। একটা সময় আমি এই দু'খানা ঘটনা নিয়ে এত ভয়ানক কষ্ট পেয়েছি, যে মনে হতো টাইম মেশিন পেলে আর কোনোখানে না, শুধু ১৯৪৫ সালের ঐ দিনটার ঠিক আগে আগে গিয়ে কোনোভাবে বোমাটা নষ্ট করে দিয়ে আসতাম। কি অদ্ভুত কথা! মনে হতো এই বিস্ময়প্রতিভারা যারা কোয়ান্টামের জগতের দরজা খুলেছেন, তারা এই জিনিস বানালেন সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে সেই কম্পুটারপূর্ব দুনিয়ায়, তারা ঐ ভয়ানক কান্ডের পরে কি অবস্থায় ছিলেন!
বিদেশে এসে জাপানীদের সঙ্গে পরিচয় হবার পরে তাব্ধা হইয়া গেলাম, তারা দেখলাম ব্যাপারটা ওভাবে নেয় না!!! ভিতরের কথা জানি না, কিন্তু বাইরে বলে অনেক লোক নাকি বেঁচে গেছে, নাহলে যুদ্ধ আরো অনেকদিন চললে সব ছারখার হয়ে যেত।
কি জানি আজ থেকে ৫০০ বছর পরে কি ইতিহাস লেখা হবে!
মণিকা রশিদের কাছে অনুরোধ তার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখার জন্য।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ তুলিরেখা।
নিরন্তর শুভেচ্ছা।
গত বৎসর এই দিনে (অগাস্ট ৬) আমি অপেক্ষা করেছিলাম এই বিষয়ে সচলে কোন লেখা পাব সেই আশায়। গত বার আমার আশা হতাশায় পূর্ণ হলেও এবার সেই আশা কিছুটা মিটেছে। ধন্যবাদ অনিকেত। বিজ্ঞান, রাজনীতি আর মানবিকতার পরিমিত মিশেল দিয়ে এমন লেখা খুবই পরিশ্রমসাপেক্ষ কাজ। তার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
১৯৭১-এ পাকিস্তানী বর্বরতার শিকার বলেই বোধহয় আমার কেবলই মনে হয় জাপানের সাধারণ মানুষ এই ব্যাপারগুলোকে কী চোখে দেখেন? তাদের মনোভাব কী? কিছু কিছু জায়গায় অবশ্য জাপানীদের বক্তব্য শুনেছি/পড়েছি - তবে তা শেখানো বুলি বলে মনে হয়েছে। মণিকা রশিদকে অনুরোধ করছি এই ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানোর জন্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রবার্ট ওপেনহাইমারের জীবনীতে এই বিষয়টা বিস্তারিত পড়েছিলাম। এখন আপনার লেখায় আবার মনে পড়লো...।
আবার আরেকটা প্রচলিত গুজব বলে যে পল টিবেট বেছনে তাকিয়ে বলেছিলেন "হে ঈশ্বর ! এটা আমি কী করেছি..."- এটা আসলে ভুল কথা।
এটাই সত্যি।
তথ্যবহুল লেখা অনিকেতদা। পছন্দের পোস্টে নিয়ে গেলাম।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ধন্যবাদ শব্দশিল্পী।
অনিঃশেষ শুভকামনা
আচ্ছা, সেই আরেক তরুণ বৈমানিক তাহলে কে যে কিনা পরে মানসিক অবসাদে চাকরি বাকরি ছেড়ে দিয়ে মারা গেল?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লেখাটার জন্য অনিকেতদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কতকিছু ভুলে পথ চলে চাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ, বস
ভাল থেকো সব সময়
একেকটা যুদ্ধ হয়, আমার শুধু একটাই প্রশ্ন আমার মাথায় আসে...মানুষ যে এখনো কিছুটা পশুত্ব ধরে রেখেছে, তার প্রমাণ কি প্রতিনিয়তই দিতে হবে? প্রতিটা যুদ্ধই অসংখ্য স্বপ্নভঙ্গের গল্প।
অসামান্য এক অভিব্যক্তি!
অনবদ্য এই মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ!
ভাসলাম... ঢেউয়ের অত্যাচার আর ভালো লাগে না, আমারে ভাসায় নিয়া যায় বার বার, আমি আর স্থির হইতে পারি না।
নির্মল বাবুর একখানা লাইন ছাড়া বলার তেমন কিছু পাইলাম না-
নতুন মন্তব্য করুন