যোগফল

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: বুধ, ০২/০৯/২০০৯ - ১১:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিছানার কাছের জানালাটা দিয়ে কয়েক টুকরো চঞ্চল আলো ঘরের মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জানালার পর্দাটা হাওয়ায় নড়ছে সেইসাথে মেঝেতে নেচে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট আলোর দস্যু। মাঝে মাঝে পর্দাটা দুরন্ত হাওয়ায় সরে গেলে পরে, দুয়েকটা ছোট্ট পাখি এসে বসে জানালার ধারে। খুব কৌতুহল নিয়ে ঘরের ভেতর উকি দেয়। বিছানায় শুয়ে থাকা নাসরিনকে দেখে নিজেদের মাঝে কী জানি কী কিচির-মিচির করে কথা বলে।তারপরে উড়ে চলে যায়। আবার কিছুখন পরে আরো কিছু পাখি এসে বসে।নাসরিন ভাবে, এরাই কি একটু আগে উড়ে যাওয়া পাখি? ওরাই কি আবার ফেরৎ এল? কেন এল? নাসরিনকে দেখতে?? কেন??

নাসরিন টের পায় মগজের কোথাও সেই জন্তুটা আবারও গর্জন করতে করতে এগিয়ে আসছে। তার বড় ক্লান্ত লাগে। ভীষন ক্লান্ত। আর লড়াই করে যাবার মত শক্তি অবশিষ্ট নেই শরীরে।

আজ নিয়ে ঠিক পাঁচদিন হল এই ২০৩ নম্বর কেবিনে।
পাঁচদিন---
দুইশো তিন---
২+০+৩=৫---

কী চমৎকার মিলে যায় ! হারুন চাচা বলতেন, বুঝলি নাসু, দুনিয়ার কোন কিছুই কিন্তু গণিতের বাইরে নয়। তুই যদি খুব ভাল করে চিন্তা করিস---দেখবি সব কিছুর মাঝে একটা প্যাটার্ণ আছে। দেখবি কী অদ্ভুত ভাবে সব কিছু শেষে এসে মিলে যায়---!!

কে জানে? হারুন চাচার কথা হয়ত ঠিক।
হয়ত ঠিক নয়----
কোনটা আসলে ঠিক? আর কোনটাই বা বেঠিক??
কে ঠিক করে দেয় এইসব ঠিক-বেঠিক???

দরজায় নক পড়ে। ডাঃ হাসনাইন টুক করে মাথা ঢুকিয়ে জানতে চাইলেন, আসব মা ? যেন নাসরিন না আসতে বললে তিনি আসবেন না। ভদ্রলোকের বয়েস পঞ্চাশের উপর। মাথার চুলে কলপ দেয়া।সৌম্যকান্তি।অনবরত পান চিবুচ্ছেন। মুখে সব সময়ে ভুরভুরে জর্দার গন্ধ। নাসরিন জীবনে মাত্র দুইবার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে কোরবানী দেয়া দেখেছে। তাও খুব ছোট থাকতে। তার স্মৃতিতে তেমন কিছু নেই---শুধু এইটা ছাড়া----বাসার সামনের ছোট্ট বাগানটার এক কোনায় নান্টু, বাবা আর বাবুর্চি ভাই মিলে চেপে ধরে আছেন একটা খাসীকে। খাসীটার গলা বেয়ে ফিনকি দিয়ে দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছে। একটা জান্তব গোঙ্গানী, থেকে থেকে পা ছুঁড়ছে, খুরের আঘাতে উড়ছে ধুলো। চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে আছে।কেবল অদ্ভূত ব্যাপার হল, খাসীটার দাঁত দেখা যাচ্ছে। সাদা ধবধবে দাঁত, রক্ত এসে মিশেছে সেখানে---অবিকল কোন পান খাওয়া লোকের দাঁতের মত দেখাচ্ছে। আজ এত বছর পর ডাঃ হাসনাইনের পান খাওয়া দাঁত দেখে তার সেই স্মৃতি ফিরে এল।

--আজ কেমন আছ, মা?
--জ্বী, অনেকটা ভাল।
--বাহ, চমৎকার। তাহলে টুক করে আমার কিছু রুটিন চেক-আপ সেরে নিই?

ডাঃ হাসনাইন ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তাকে সাহায্য করছে এক নার্স। নাসরিন দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে ঘরের ছাদের দিকে নিস্পলক তাকিয়ে রইল।
সেই পরিচিত গা গুলানো অনুভূতিটা আবার ফেরৎ আসছে।
প্রাণপনে সে চেষ্টা করতে লাগল তার চারপাশের সব কিছু থেকে নিজেকে বিযুক্ত করতে। কিন্তু ডাঃ হাসনাইনের প্রতিটি স্পর্শ শরীরে ঢেউয়ের মত বাড়িয়ে দিচ্ছিল সে অনুভূতি। হাতের মুঠো শক্ত করে, দাঁতে দাঁত চেপে নাসরিন বমি-বমি ভাবটা আটকাতে চায়। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙ্গার আগেই ডাঃ হাসনাইনের চেক-আপ করা হয়ে যায়।নার্স তার কাপড় ঠিক করে দিতে থাকে। হাসনাইন এসে পাশে বসেন। জর্দার গন্ধটা যেন তাকে অন্ধ করে দিতে থাকে। নাসরিনের হাতটা নিজের মুঠোয় তুলে নেন। আলতো করে একটু চাপ দিয়ে হাসনাইন অভয় দেয়া কন্ঠে বলতে থাকেন,মা রে, ইউ আর রিয়েলি ড্যুইং ওয়েল, আই এম সো প্রাউড অব ইউ। আই মীন ইট, মা। নাসরিনের কানে এসব কিছুই ঢুকছে না। হাসনাইনের মুঠোর মাঝে তার হাত ঘেমে উঠতে থাকে। গা ঘিনঘিনে ভাবটা আবার ফিরে আসছে।চোয়াল তার শক্ত হয়ে আসে।

হাসনাইন বলে যেতে থাকেন, ইউ আর আ ট্রু ফাইটার ইন ইয়োর হার্ট---ডোন্ট ওরি, এভ্রিথিং উইল বি ফাইন-----

ঠিক এই মুহূর্তটায় নাসরিন নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা। হড় হড় করে বমি করে ভাসিয়ে দেয় চারপাশ। একের পর এক বমির ঢেউ উঠতে থাকে তার দূর্বল অশক্ত শরীরে। যেন নিজের ভেতর থেকে কোন একটা কিছু সে উগড়ে বের করে দিতে চাইছে--- সে অস্পষ্ট শুনতে পায় কিছু ছুটে আসা পায়ের শব্দ, কিছু উত্তেজিত স্বর----জ্ঞান হারাবার আগে তার মাথায় পোকার মত বিন বিন করে একটা কথা ঘুরতে থাকে--- ডোন্ট ওরি, এভ্রিথিং উইল বি ফাইন---

ওরাও তো তাকে তাই বলেছিল---
================================================

নাসরিনের ঘুম ভাঙ্গে বেশ বেলা করে। টেবিলের ওপরে রাখা ঘড়িটা দেখাচ্ছে বিকেল সাড়ে চারটা।আধা ঘন্টা পরেই বাজবে পাঁচটা। উফফ--কেন এই সংখ্যাটা বার বার ফিরে আসে তার কাছে ?? সারা পৃথিবীতে এত সংখ্যা থাকতে পাঁচ কেন তার পিছু ছাড়েনা?

পাঁচটায় ভিজিটিং আওয়ার্স শুরু হয়।

নাসরিনকে দেখতে তেমন কেউ আসেনা। শুধু জামাল আসে প্রতিদিন। পায়ের কাছের সোফাটাতে মাথা নীচু করে বসে থাকে।রাতে আসেন কাউন্সিলার। আর মাঝে মাঝে পুলিশের লোক। সেই একই প্রশ্ন। সেই একই উত্তর। সেই একই যন্ত্রণা।মা এসেছিলেন একদিন। মায়ের হাউমাউ করে হেঁচকি তোলা কান্না তাঁকে চুড়ান্ত বিরক্ত করেছে। বাবা আসেননি। আসেন নি শাশুড়ীও।

পাঁচদিন হয়েছে। নাসরিনের চোখে কেউ এক ফোঁটা পানি দেখেনি। পাথরের মত শক্ত মুখে সে সবার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। ওরা কতজন ছিল---কাউকে কি চিনতে পেরেছেন----ওদের শরীরের কোন বিশেষ চিহ্ন বা দাগ খেয়াল করেছে কি না----

তার খুবলে নেওয়া, থেঁতলে যাওয়া শরীরটা অবারিত করেছে এক ঘর লোকের সামনে। মৃত্যুর চেয়ে শীতল ধাতব কিছু প্রোব বিনা সঙ্কোচে ঢুকে গেছে তার ব্যক্তিগত প্রদেশে---দাঁতে দাঁতে চেপে নাসরিন সব সয়েছে। তারা শরীরের অবশিষ্ট সকল শক্তি জড়ো করে ভীষন একাগ্রতায় চেয়ে ছিল ছাদের দিকে, মুখস্থ করে চলেছিল চটে যাওয়া সিমেন্টের খাঁজ, ধুলো মাখা সিলিং ফ্যানের পাখা---ডানদিকের কোনায় অলস টিকটিকি----

প্রথম দিকে যখনই কেউ তার গায়ে হাত রেখেছে---সে হড় হড় করে বমি করে দিয়েছে। সেটাও এখন অনেক কম। হয়ত কাউন্সিলিং-এ আসলেই কিছু হচ্ছে। কিন্তু জামাল সেই প্রথম দিনের পরে আর তার গায়ে হাত দেয় না। হয়ত স্বামীর হাতের স্পর্শে স্ত্রীর অমন করে বমি করে দেওয়াটা বেচারার ঠিক সহ্য হয়নি----হয়ত রেগে আছে--হয়ত রেগে নেই----কে জানে?

নাসরিন এখন আর এইসব নিয়ে মাথা ঘামায় না।হঠাৎ করেই নাসরিনের ভীষন জজবজে জীবনটা ফাঁকা হয়ে গেল। তার হাতের নাগালের ভেতরে-বাইরে কেবল অপার শূন্যতা। মাঝে মাঝে তিনটা কচি মুখ আবছা ভেসে ওঠে কাছে----তারপর আবার তারা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।এই পাঁচদিনে, এই তিন অপোগোন্ড ছাড়া আর কারো প্রতিই সে কোন টান অনুভব করেনি। অথচ ওরাই আসেনি দেখতে ওকে। কে জানে---শাশুড়ি হয়ত আসতে দিচ্ছেন না। সমাজের ভয়। লোক লজ্জার ভয়। হয়ত জামাল নিজেই আসতে দিচ্ছে না। জামালকে জিজ্ঞেস করলেই হয়। সেটাও তার ইচ্ছে করে না। প্রতিদিন জামাল আসে। ঘন্টা খানেক থাকে। তারপর চলে যায়। কোন কথা হয় না এর মাঝে।

চারজন লোক কী করে পালটে দিল একজন মানুষের গোটা জীবন, সাজানো সংসার, স্পর্শের অনুভূতি---

চমকে ওঠে নাসরিন। চার যোগ এক----আবারো সেই পাঁচ----!!!
এমনি সময় দরজায় নক পড়ে। দরজা ঠেলে উঁকি দেয় তিনটে কচি কচি মুখ---টুম্পা, ঝুম্পা আর রন্টি। পেছনে পেছনে আসে জামাল। নাসরিন প্রায় হতভম্ব হয়ে যায়!! ওরা আসতে পারল?? আসতে দিল??? সে প্রশ্নের জবাব নেবার সময় নেই নাসরিনের এখন। তিনটে দূরন্ত প্রান তাকে জড়িয়ে ধরেছে আস্টেপৃষ্ঠে। দূর থেকে অস্পষ্ট ভেসে আসে জামালের স্বর---এই তোরা এমন করিস না রে, ব্যথা দিয়ে দিবি তো---

তার গলার কাছে কী যেন একটা আটকে আসে। বুঝতে পারে ওদের চোখের জলে আর আদরে ভেসে যাচ্ছে তার গাল, তার মুখ, তার পরনের কাপড়, চারপাশের দৃশ্যপট, তার পাপসমূহ---

তিনটা প্রাণ বুকে ধরে, নাসরিন তাকিয়ে দেখে পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে রয়েছে জামাল---

চোখের ভেতর থেকে জেগে ওঠে যেন উষ্ণ প্রস্রবন--
টুম্পা, ঝুম্পা, রন্টি --- জামাল---আর সে---ঠিক পাঁচজন!


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

অসাধারণ তারেক ভাই, অসাধারণ। চলুক

আপনার নিয়মিত গল্প লেখা উচিৎ বস্ ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনিকেত এর ছবি

বস,
এইটা আমার জীবনের প্রথম গল্প লেখা---
তাই খুব ভয়ে ভয়ে আছি--

তোমার আসলেই ভাল লেগেছে??

কীর্তিনাশা এর ছবি

তোমার আসলেই ভাল লেগেছে??

এই প্রশ্নটায় তো কষ্ট পাইলাম বস্ । ভালো না লাগলে আমার খেয়ে-দেয়ে কী কাম পড়ছে যে বলুম ভালো হইছে। সত্যিই মনে বড় কষ্ট পাইলাম।

এখন এই মনোকষ্ট দূর করতে জলদি এইটার মতো আরেকটা দুর্দান্ত গল্প নামিয়ে দেন। নইলে কিন্তু খেলুম না।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনিকেত এর ছবি

সরি বস।
নতুন লেখা দিমু--শিগগিরই।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

তারা দেয়ার পাওয়ার নাই বস, থাকলে বিশ লক্ষX৫ তারা দিতাম...

জোস ! খুবই সুন্দর...!!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু বস----অনেক ধন্যবাদ!

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

তারা দিতে পারলে ঠিক কতগুলো তারা দিতাম জানিনা... ভাইয়া আরও গল্প চাই... দেঁতো হাসি

---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা , থ্যাঙ্কু বালিকা---

ভাল কথা, তোমার সিগ্নেচারের লাইনটা 'হীরক রাজার দেশে'-র, তাই না???
একটু বদলে দিয়েছ, অবশ্য চোখ টিপি

মামুন হক এর ছবি

আমিও তারা দিছি, কিন্তু সমালোচনা পুলিশের ভয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলাম না দেঁতো হাসি

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা , থ্যাঙ্কু বস।

s-s এর ছবি

চলুক
পাঠক হিসেবে প্রশ্ন, জীবনের প্রথম গল্প হিসেবে নির্যাতিত নারী মূল চরিত্র হিসেবে বেছে নেয়ার পিছনে কি প্রভাবিত করেছে?

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ s-s!

প্রশ্নটা কঠিন---

শুধু এইটুকু বলি---জীবনের কোন একটা পথের বাঁকে এমনই একজনের সাথে দেখা হয়েছিল----

এই লেখা তাঁর জন্যেই----

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সত্যিই এইটা গল্পের ডেব্যু আপনার?! না কি এমনি বিনয়ে বললেন?! হাসি
আর কই কী লিখেছেন জানি না, আপনার লেখা এমনিও তো ভালো গদ্য হয় বস। তার মধ্যে, আমার এখনও আপনার লেখা খুব বেশি পড়া না হ'লেও, মনে ক'রে দেখলাম, আমার পড়া আপনার প্রথম লেখা "অশ্রুনদীর সুদূর পাড়ে" (আপনার বন্ধু 'সান শাইন'কে নিয়ে লেখা)-ই তো বিশ লক্ষ তারা পাবার মতো একটা গল্প হয়েছিল! হুম।
আজকের এই অ্যাস্ট্রোম্যাথমেটিক্যালকুলেশনপাপরিয়্যালিস্টিক গল্পটাও বেশ ভালো লাগলো। হাসি চলুক
[একটু wordzophrenia খেললাম! কিছু মনে করবেন না বস।]

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অনিকেত এর ছবি

আরে সাইফুল ভাই--!!
বস, আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগল।
আসলেই ডেব্যু গল্প। ভয়ে ভয়ে ছিলাম। আপনার এবং আরো অনেকের অভয় বাণী শুনে মনে কিছু ভরসা পেলাম।

ভাল থাকবেন---

তীরন্দাজ এর ছবি

কি বললেন? জীবনের প্রথম গল্প? অসাধারণ! বর্ণনাভঙ্গী, বিস্তার, সবকিছুই! আরো লিখবেন ভাই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অনিকেত এর ছবি

তীরুদা,

বস, আমাকে 'তুমি' কইরা বইলেন!
আপনার কথা আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করল।

ভাল থাকবেন---

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

দুর্দান্ত লিখেছেন!
আরো লিখতে থাকুন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, মতাহির ভাই

ভাল থাকবেন---

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

কিছু মানুষের গল্পকার সত্ত্বা বোধহয় ইশ্বর নিজের হাতে তৈরী করে দেন! অসাধারন লিখেছিলেন চলুক

অনিকেত এর ছবি

ভাইরে,

এমন সব কথা বলে আমাকে বড় লজ্জায় ফেলে দিলে--
বিনয় করছি না বস।

এই আমাদের সচলায়তনেই কত কত অ-সা-ধা-র-ণ গল্পকার আছেন--
তাদের কাছে আমি তো নস্যি--

তবুও তোমার এই শংসাবচন মাথায় তুলে নিলাম।

ভাল থেকো

ভিন্ন প্রসঙ্গঃ

তুমি করে ডাকছি বলে রাগ করছ না তো?

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

তুমি করে ডাকছি বলে রাগ করছ না তো?

হো হো হো

বয়সে ছোটো, তুমি-ই তো ডাকবেন! হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার প্রথম গল্প যদি এই হয়, তাহলে বলবো আপনি আমাদের এতোদিন বঞ্চিত করে এসেছেন।

স্পর্শেরও একটা আলাদা ভাষা আছে, আবেদন আছে, আকাঙ্খা আছে। সব স্পর্শ এক নয়, একই আবেদনের নয়— এটা বুঝতে পারছি। কিন্তু বুঝতে পারিনি '৫' কে ঘিরে গল্পের প্লট আবর্তনের। ৪ও তো হতে পারতো অনিকেত'দা। ৫-কেনো! নাদান পাঠকের নাদানি ক্ষমা করবেন। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা -----

ধু গো বস। আমি সব সময় তোমার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি। লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম।

তোমার মন্তব্য শুনে বুঝতে পারছি, লেখাটা তোমার ভাল লেগেছে।
এতে আমি খুব অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

তোমার পরের প্রশ্নটা নিয়ে আমি নিজেও ভাবছি---

আমি ঠিক নিশ্চিত নই, তবে আমার অবচেতনে একটা ধারণা কাজ করছিল। সেটা খানিকটা এই রকমঃ

আমাদের চারপাশের জগৎটাতে অনেক প্যাটার্ণের ছড়াছড়ি। আমাদের গল্পের নায়িকা ছোটবেলাতেই এই প্যাটার্ণ ভিত্তিক জগতের সাথে পরিচিত হয়েছিল তার হারুণ চাচার হাত ধরে।

এই ঘটনাটা তার মনে রয়ে গেছে। পরবর্ত্তীতে তার জীবনের এক ভয়াল দুঃসময়ে এসে তার বিপর্যস্ত মন যখন উত্তর খুঁজে ফিরছে তার এই অভাবিতপূর্ব দূর্ঘটনার---তখন অজান্তেই সে একটা প্যাটার্ণ খুঁজে ফিরেছে।

তাই সে দেখতে পায়-- 'পাঁচ'--প্রায় সব খানেই।মনের অজান্তেই সে এসে হাজির হয় এই মর্মন্তুদ উপসংহারে-- চারজন পশু কত অনায়েসে বদলে দিতে পারে একজনের তিলে তিলে গড়ে তোলা সাজানো জীবন---

কিন্তু তার এই সাময়িক অপলাপ থেকে মুক্তি আসে অচিরেই---যখন সে দেখতে পায় তার সন্তানেরা বিনা প্রশ্নে তাকে জড়িয়ে ধরে-- স্বামী এসে দাঁড়ায় কাছে---সে বুঝতে পারে----যে পাঁচ সংখ্যাটা তাকে তাড়িয়ে নিয়ে ফিরছে---তার জীবনের একমাত্র প্রশান্তির আশ্রয় কিন্তু ঐ পাঁচই---তার তিন সন্তান, স্বামী আর সে নিজে মিলেই তৈরি করেছে তাদের নিজস্ব শান্তিনিকেতন----

তবে এইটা হচ্ছে গল্পটা দেখার একটা উপায়---আরো উপায় নিশ্চয়ি আছে---

যাক, অনেক বকবক করে ফেললাম।

ভাল থাকো ধু গো বস----

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনিকেত'দা, আমি তো বরাবরই আপনার লেখনীর মহাভক্ত। প্রথম গল্প এটা আপনার, না বলে দিলে সত্যিই বুঝতাম না। আপনার লেখায় এত আবেগ, মায়া আর সারল্য থাকে যে, তা খুব স্পর্শ করে, সহজেই।

পোস্ট হওয়ার সাথে সাথেই পড়েছি, কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে গল্পটা। বিষয়বস্তু, লেখার ধরন, বর্ণনা, সব ভালো লেগেছে। এমনকি ৫ সংখ্যাকে ঘিরে গল্পের এগিয়ে যাওয়াও।

একটা ব্যাপার, '??' অথবা '???' ব্যবহার করেছেন হয়ত তীব্রতা বা ব্যাকুলতা বোঝাতে, না? এটা একটু চোখে লেগেছে। বরং '?' বেশি ভালো দেখাতো, আমার মনে হয়। হাসি

আপনার আরো অনেক অনেক গল্প পড়ার প্রত্যাশায় থাকলাম।

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা ----ঠিক ধরেছ বস।

আমি এই বিশেষ চিহ্নগুলো নিয়ে একটু খেলা করতে ভালবাসি---
তুমি হয়ত দেখে থাকবে, আমি লেখায় প্রচুর "-----" ব্যবহার করি যেটা আরো সার্থক ভাবে প্রতিস্থাপিত করা যেত আমাদের প্রচলিত যতি চিহ্নগুলি দিয়েই। কিন্তু আমার মনে হয়, এই "-------" বা "???" চিহ্ন গুলো আমাদের লেখার মাঝে অনেকটা বৈঠকি ভাব(informal) এনে দেয়---বাক্যগুলোকে কিছুটা মুক্তি দেয়----(দেয় কি??!!!)

ঠিক প্রথাগত সাহিত্যের মানে হয়ত এইগুলো ধোপে টিকবে না।
কিন্তু আমি তো আর প্রথাগত সাহিত্যিক নই----সামান্য এক ব্লগার---

যাই হোক, তোমার মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগল।

তোমার নিজের লেখা কই??

তানবীরা এর ছবি

তায়েকব্বাই, প্রথম গল্পেই বাজিমাত। অপূর্ব। পাঁচতারা খুব কম হয়ে যায়।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ তানবীরা

ভাল থাকবেন---সব সময়----

মেঘলার নতুন কান্ড-কাহিনী শুনতে মন চায়----

জাহিদ হোসেন এর ছবি

খুবই ভালো লেগেছে গল্পটি। আধো আলো আধো ছায়ার মাঝে আপনি বুনেছেন এক চমৎকার কাহিনী। শেষে এসে পাঁচ সংখ্যাটিকে দিয়েই মেলালেন,বাহ!
আমার শেষকথা একটাই। এতদিন লেখেননি কেন? এই অপরাধে আপনার ছয় মাসের ফাঁসি হওয়া উচিৎ। আরো লিখবেন আশাকরি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা

জাহিদ ভাই--আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...
আপনার কথায় আমি সব সময়ে এক অপার স্নেহের ছোঁয়াচ পাই

জীবনে একটা সময় গেছে--যখন স্নেহটা কে বড় অত্যাচার মনে হত

জীবনে এমন একটা সময় এসেছে--যখন হাতড়ে বেড়াই আকাশ পাতাল-- কিছু স্নেহপূর্ণ কথা শুনব বলে---

ভাল থাকবেন জাহিদ ভাই----
অনেক অ--নে---ক ভাল--

মৃত্তিকা এর ছবি

অনিকেত'দা,
প্রথম গল্প হিসেবে দুর্দান্ত লিখেছেন। সত্যিই আপনি সকলকে বঞ্চিত করেছেন এতদিন।

যাক, এই গল্পটিতে নাসরিনের নীরব আর্তনাদ, কান্না, ঘৃণা ও সহ্যের ভাষা খুব সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন, সেটা খুব ভালো লেগেছে। আর সংখ্যার মিলের ব্যাপারটিও বেশ লাগলো!
______________________________
সামনে যদি যাবি ওরে, থাক-না পিছন পিছে পড়ে।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ মৃত্তিকা---

ভাল থেকো----

সচল জাহিদ এর ছবি

গল্প লিখতে পারিনা বলে যারা গল্প লিখে তাদের লেখা দেখে ঈর্ষা হয়, আজকেও হল। অনিকেতদার সব লেখাই পড়ি সাহিত্যের রসের জন্য। আজকেরটাও তার ব্যতিক্রম নয়।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ বস-----:)

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

কারো প্রথম গল্প যদি এমন ভাল হয় তবে কিন্তু তাঁর ক্রমাগত লিখে যাওয়া উচিত। একটা বিষয় অবশ্য একটা খটকা লাগছে যেটা অন্য কোন পাঠকের হয়ত লাগেনি। এখানে মূল চরিত্রের যে রকম মানসিক অবস্থা তাতে একটা দুর্বল সংখ্যাগত প্যাটার্ণ নিয়ে তার মধ্যে যে অবসেশন সেটা কিছুটা কৃত্রিম মনে হয়েছে। হয়ত ঘটনাগুলোকে জোরা লাগানর কাজে এই প্যাটার্নের বিষয়টা সাহায্য করেছে। সেটা যদি এই গল্পের স্রষ্টা হিসাবে আপনার কাছে দরকারি মনে হয় সেক্ষেত্রে এই প্যাটার্নের শুরুটা নাসরিনের জীবনে আরো আগে থেকে (যেমন ছেলেবেলা থেকে) দিয়ে দিতে পারতেন। তাতে তার অবসেশন আরো গ্রহনযোগ্য মনে হত হয়ত। গল্প চলতে থাকুক।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ রিয়াজ, আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে।
আপনার পরামর্শ মনে রইল।
ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আরো সতর্ক হবো

আবারো ধন্যবাদ---

ভাল থাকবেন---

তুলিরেখা এর ছবি

কোটি তারা। ভারী সুন্দর। আশা করি কিছু মনে করবেন না, বলেই ফেলি। প্লট খুব পরিচিত আর কিছুটা বহু-ব্যবহৃত। আপনার লেখার গুণে অবশ্য সেসব মিলিয়ে যায়।
কেন জানি মনে হলো লেখার ধরনের মধ্যে হুমা র ছায়া পেলাম। হাসি
ভালো থাকবেন, আরো আরো এমন সুন্দর গল্প দিতে থাকুন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিকেত এর ছবি

প্রিয় তুলিরেখা,

আপনার মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ---
আমি মানছি, এই প্লট বহু ব্যবহারে জীর্ণ---
কিন্তু এই গল্পটা যতনা সাহিত্যিক প্রেরণায় লেখা, তারচেয়ে বেশি তাড়না হিসেবে কাজ করেছে কারো কাছে অলিখিত দায়বদ্ধতা---

ভাল থাকবেন, সব সময়

নিরন্তর শুভেচ্ছা-----

স্নিগ্ধা এর ছবি

অনিকেত - লেখাটা ভালো লাগলো খুব! লেখার ধরন নিয়ে বারবার বলে আয়ুক্ষয় করতে আর পারবো না! আর, প্রথম গল্প হিসেবে তো দারুণ!!!

পড়তে গিয়ে শুধু দু'একটা কথা যেটা মনে হলো বলি - ডাঃ হাসনাইন এর অংশটুকুর বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছিলো পরে হয়তো দেখা যাবে তারও একটা ভূমিকা বা অবদান আছে মূল চরিত্রের বর্তমান মানসিক অবস্থাকে প্রলম্বিত করার।

সে অস্পষ্ট শুনতে পায় কিছু ছুটে আসা পায়ের শব্দ, কিছু উত্তেজিত স্বর----জ্ঞান হারাবার আগে তার মাথায় পোকার মত বিন বিন করে একটা কথা ঘুরতে থাকে--- ডোন্ট ওরি, এভ্রিথিং উইল বি ফাইন---

ওরাও তো তাকে তাই বলেছিল---

শুধু স্পর্শের কারণে নাসরিনের এই প্রতিক্রিয়া, আমার কাছে অন্তত, খুব স্পষ্ট হয় নি।

তার পাপসমূহ---

আমি জানি আপনি এটা নাসরিনের সাম্প্রতিক ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করে কিছু বলেন নি, কিন্তু তাওও ...... বিশেষ করে যেখানে তথাকথিত সামাজিক 'লজ্জা'র ব্যাপার আছে, সেখানে পাপ টাপ দেখলেই আমার ...... হাসি

অনিকেত এর ছবি

স্নিগ্ধা'পু,

অনেক ধন্যবাদ লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্যে এবং পড়ে এমন মন্তব্য লেখার জন্য---

অহর্নিশ শুভ কামনা---

_প্রজাপতি এর ছবি

তারেক ভাই এটা আপনার প্রথম গল্প না বললে বিস্বাস করা কঠিন হতো।
এত ভাল লেগেছে যে এই প্রথম মনে হচ্ছে কেন তারা দিতে পারছি না।
মনে মনে এক বিলিয়ন তারা আপনাকে ফেডেক্স করে দিলুম।

-----------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু প্রজাপতি---

ভাল থাকো, সব সময়---

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সারাদিন বাইরে ছিলাম, নিউজার্সি থেকে অফিসে গেলাম, গিয়ে দেখি আপনার লেখা। তারপর পড়লাম, জটিল লাগল, সংখ্যাকে ঘিরে গল্প কবিতার মনে হয় কমতি নেই, কিন্তু তারপরেও ভালো লাগল গুরু গুরু , আপনে বস মানুষ তা আবারও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখায় দিলেন। তবে, এখানে গল্পের নায়িকার পাপ হল কোথায়, সেটা বুঝতে পারলাম না, সেই বেচারী একজন ভিক্টিম মাত্র।

আর ডা: হাসনাইন কে না করার ক্ষমতা কিন্তু গল্পের চরিত্রের আছে, এমনকি বাংলাদেশেও রোগীদের সে সুযোগ আছে। কাজেই সে বা তার স্বামী চাইলের একজন মহিলা ডাক্তার পেতে পারতেন, এতে করে আপনার স্পর্শের ব্যাপারটা আরো ফুটে উঠত বলে মনে হয়েছে। আমার কাছে পড়ে মনে হয়েছে, কামুক মনে ডাক্তার এসে পরীক্ষার নামে বেহুদা খোঁচাখুচি করছে। আমার মনে হওয়াই তো আর শেষ কথা না। আর সাধারনত প্রথম ২৪ ঘন্টার পরে পরীক্ষা করে আর কিছু পাওয়া যায় না, কাজেই বার বার পরীক্ষা করতে আসলে বুঝতে আমার ঐ জ্ঞাতি ভাইয়ের মাথায় সমস্যা আছে চোখ টিপি

চলুক

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার গতিশীল গদ্য।
খুবই ভালো লাগল।
ধন্যবাদ অনিকেত।

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার গতিশীল গদ্য।
খুবই ভালো লাগল।
ধন্যবাদ অনিকেত।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই

ভাল থাকবেন

স্পর্শ এর ছবি

আপনার লেখনিতে একটা মায়া মায়া ভাব আছে। আচ্ছন্ন করে ফেলে একদম। চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনিকেত এর ছবি

বস,
অ-নে-ক ধন্যবাদ এমন চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য।

বইখাতা এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো। আপনি দারুণ একটা সায়েন্স ফিকশন লিখেছিলেন - ’অযান্ত্রিক’। (’অযান্ত্রিক’ কি শেষ করেছিলেন ? শেষের অপেক্ষায় ছিলাম।) এরপর আর লিখেননি কেনো ? তাহলে সায়েন্স-ফিকশন-ভক্তরা কী করি ! হাসি
আরো লিখুন গল্প, সায়েন্স ফিকশনও।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ, বইখাতা
খুব ভাল করেছেন 'অযান্ত্রিক' এর কথা মনে করিয়ে দিয়ে--
না, ওটা শেষ করা হয় নি----আপনার ভাল লেগেছে শুনে ভাল লাগল--

দেখি ঐটা এইবার শেষ করা যায় কি না----
আবারো ধন্যবাদ

ভাল থাকবেন, সব সময়

আশালতা এর ছবি

গুরু গুরু

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।