আমি একজন নিরাময়াতীত রোমান্টিক মানুষ।
কিন্তু তারপরেও রোমান্টিক ছবিগুলো আসলে আমাকে তেমন টানেনা। তার মূল কারণ হলো হালের হলিউডি সকল রোমান্টিক ছবি আসলে কিছু ফর্মুলা মেনে তৈরি হচ্ছে। আর কোন নির্দিষ্ট ফর্মুলাতে জারিত ছবি দেখে আরাম নেই।কেন? কারণ আপনি সহজেই আগে-ভাগে বলে দিতে পারেন এই ছবিটা কোথায় যাচ্ছে বা চরিত্রগুলো কখন কী করবে।
প্রমাণ চান?? নীচের ফর্মুলাটা পড়ে দেখুনঃ
১। একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ের দেখা হল
২। প্রেম প্রথম দর্শনেও হতে পারে বা দ্বিতীয়,তৃতীয় কি চতুর্থ দর্শনেও হতে পারে---
৩।এই পর্বে শুরু হয় কাহিনী বিন্যাস ও বিস্তার। এখানেও দেখা যাবে গল্পের কিছু প্রচলিত গতিপ্রকৃতিঃ
ক) দেশকাল নির্বিশেষে মানুষের এক নম্বর পছন্দ ভাগ্যের খেলা। হয় আমাদের নায়ক প্রেমভাগ্যে বিশ্বাসী('স্বর্গ হতে আসে প্রেম---') অথবা নায়িকা।কিন্তু কখনোই দুইজন একই রকম বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবেন না। নায়ক বা নায়িকা প্রায় ধর্মভক্তি নিয়ে বিশ্বাস করে ঈশ্বর আমাদের জন্যে 'জুড়ি' বানিয়ে রেখেছেন(Soul mate বা আত্মার আত্মীয় মতবাদ)।
উদাহরণঃ Serendipity,Sleepless in Seattle,It could happen to you,Must love dogs থেকে শুরু করে একেবারে হালের Slumdog millionaire!
খ) নায়কের নৈতিকতার মান প্রশ্ন সাপেক্ষ(পড়ুন,নায়ক লম্পট) আর নায়িকা সুশীল (অথবা তার উলটো)।নায়ক ফুলে ফুলে মধু খেয়ে বেড়ান।আর নায়িকা সেই পরিমানেই 'একগামী'। এই নিয়ে বাকবিতন্ডা, মনোমালিন্য। উদাহরন হিসেবে মনে আসছে When Harry Met Sally-র কথা। অবশ্য এইখানে হ্যারিকে দুম করে লম্পট বলে দিলে ভুল হবে। বরং বলা যেতে পারে মেয়েদের সাথে নিস্কাম বন্ধুত্বে তার ঘোরতর অবিশ্বাস।এছাড়াও Four weddings and one funeral, My best friend's wedding, হালের Knocked up এবং কিছুটা হলেও সাযুজ্য দেখে Notting Hill কেও আমি এই লিস্টিতে ঢুকিয়ে দিলাম।
৪) প্রথমে তুমুল প্রেম।মাঝখানে মিনিট পয়তাল্লিশের ভুল বোঝাবুঝি এবং ছবির শেষে নায়ক-নায়িকার মিলন(৮০% ভাগ ক্ষেত্রে) অথবা বিচ্ছেদ(২০% ভাগ ক্ষেত্রে)। ছবির শেষের দিকে সাধারনতঃ নায়ক বা নায়িকার আত্মোপলব্ধি ঘটে এবং অন্যজনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্যে প্রাণ হাতে নিয়ে বেরোয় পথে। এই সময় নায়কের গাড়ি মাঝপথে নষ্ট হবে, নায়িকা প্লেনে/ট্রেনে চাপবে, নায়ক উর্ধশ্বাসে ছুটবে অসম্ভব ভীড়াক্রান্ত প্ল্যাটফর্মে। অবধারিত ভাবে সেই প্লেন/ট্রেন ছেড়ে যাবে। সারা রাজ্যের হতাশা মুখে নিয়ে নায়ক দাঁড়িয়ে থাকবেন এবং অবশ্য অবশ্যই পেছন থেকে নায়িকা এসে নায়কের কাঁধে হাত রাখবেন। স্বর্গে দুন্দুভি বেজে উঠবে, দেবতারা করবেন পুষ্পবৃষ্টি।
এই ফর্মুলা কেবল হলিউড অনুসরণ করছে বললে ভুল বলা হবে। বলিউড, ঢালিউড সবাই কম বেশি এই ফর্মুলাটা হেফজ করেছেন।
শুক্কুরবার আমার ছবি দেখার দিন। আগে প্রায় কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের মত এই নীতি মেনে চললেও নানা কারণে ইদানিং তেমন নিয়মিত ছবি দেখা হচ্ছে না। ছবি দেখি বা না দেখি---শুক্কুরবার মানেই কী কী ছবি হলে আসল তার খোঁজ নিতে ভুলি না। সেই খোঁজ করতে গিয়েই জানলাম আমার কাছের থিয়েটারে একটা নতুন ছবি এসেছে----
(500) Days of Summer। নামটা পড়েই একটু ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে উঠেছিল। গ্রীষ্মকাল কবে থেকে ৫০০ দিনের হলো? ছবির প্রিভিউ দেখে জানলাম আসলে শীত-গ্রীষ্মের সাথে এর কোন যোগ নেই। এখানে সামার আমার-- থুক্কু ছবির নায়িকার নাম। Romantic comedy দেখেই অন্য ছবির দিকে চলে যাচ্ছিলাম। পথ আটকে দাঁড়াল একটা ছোট্ট লাইন--Official Selection: Sundance Film Festival,2009। সানডেন্সের উপর আমার একটু দূর্বলতা রয়েছে। তাই কিছু দোনোমনো করে শেষমেশ ট্রেইলারটা দেখেই ফেললাম। এরই মাঝে দেখি দরজায় নক। রায়ান দাঁড়িয়ে আছে। রায়ান আমাদের ডিপার্টমেন্টের 'নিজস্ব' হারকিউলিস। বিশাল পাহাড়ের মত শরীর। পাথরের মত মুখ। হুট করে করিডোরে দেখা হয়ে গেলে আপনি রীতিমত হকচকিয়ে যাবেন। পাহাড় থেকে আওয়াজ এল, বিকেলের প্ল্যান কী তোমার?
--ছবি দেখতে যাব, 500 days of Summer !
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
ছবি যেদিন রিলিজ হয় সেদিনই ছবিটা দেখার একটা আলাদা মজা আছে। অনেকটা চুলা থেকে সদ্য নামিয়ে আনা ভাপ ওঠা ভাত খাবার যে আনন্দ---খানিকটা সেই রকম। শুক্কুরবারের রাত ৯টা। ফল সেমিস্টার মাত্র শুরু হয়েছে। নতুন আসা ছাত্রছাত্রীদের মনের জোশিলা ভাব এখনো কাটেনি। কাজেই আজ রাতে অনেকেরই গন্তব্য ক্লাব, ডীস্কো থেক, বার। সেজন্যই খুব একটা জন সমাগম আশা করছিলাম না। তার উপরে ছবিতে যারা অভিনয় করছেন তারা ঠিক একনামে চিনে নেয়ার মত বিখ্যাত হয়ে ওঠেননি এখনো। হলে ঢুকে দেখি আমার আশার চাইতে কিছু বেশি মানুষ জমায়েত হয়েছেন।
ছবি শুরু হল।
ছবির শুরুতেই একজন ভীষন ভারী গলায় আমাদের সতর্ক করে দিলেন,'আপনাদের অবগতির জন্যে আগেভাগে জানিয়ে রাখছি---এইটে কিন্তু কোন প্রেম কাহিনী (Love story) নয়'। শুনে কেন জানি মনে হল ঠাকুর ঘর থেকে কেউ একজন উচ্চস্বরে জানান দিচ্ছেন তার কলা না খাওয়ার কথা!!
আমাদের ছবির নায়কের নাম জোসেফ গর্ডন লেভিট। কম বয়েসী কিন্তু বেশ ভারিক্কি কন্ঠের অধিকারী। নায়িকার নাম জোয়ি ড্যাশেনেল।যারা একটু ভিন্ন ধাঁচের ছবি দেখতে পছন্দ করেন,তারা জোসেফ লেভিটের একটা খুব নামকরা ছবি হয়ত দেখে থাকবেন। ছবিটা হলো Brick। ২০০৫ এ নির্মিত এই ফর্মভাঙ্গা ছবিটাতে মুগ্ধ হবার মত অনেক কিছু রয়েছে। ছবিটার নির্মিতি, গল্প বলার ভঙ্গী সর্বোপরি ডায়ালগ----সব কিছুই আপনার চোখ-কান-মন কেড়ে নেবার মত। ছবিটা আপনার ভাল লাগবে কি না বলতে পারছি না--কিন্তু এটা এমন একটা ছবি যেটাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়া যায় না, এই কথাটা হলফ করে বলতে পারব।
জোয়ি-র সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ এই ছবিটিতেই। আমি শুনেছিলাম জিম ক্যারির একেবারে সাম্প্রতিক ছবি 'Yes Man' এ সে অভিনয় করেছে। কিন্তু জিম ক্যারির ছবি ইদানিং দেখতে ভয় করে বলে দেখা হয় নি সেটাও।
যাক ফিরে যাই আমাদের ছবিতে।
আমাদের নায়ক নায়িকা দু'জনেই একই কোম্পানীতে কাজ করেন। কিসের কোম্পানী? নানান পুজো পার্বণে আমরা যে জিনিসটা দিয়ে সহজেই দায় এড়াতে চাই----ঠিক ধরেছেন, গ্রীটিং কার্ডের কোম্পানী।
আমাদের নায়কের কাজ হল, ঐ কার্ড গুলোতে যে সব চমৎকার চমৎকার দুই/তিন লাইনের কথাগুলো লেখা থাকে---যে কথাগুলো আমার হয়ে আমার প্রিয়াকে জানিয়ে দেয় আমার প্রেমের কথা, যে কথাগুলো আমার হয়ে আমার মা-কে জানায় আমি কত ভালবাসি তাকে, যে কথাগুলো আমার হয়ে সান্ত্বনা দিয়ে আসে আমার শোকাচ্ছন্ন প্রতিবেশীকে---সেই অসাধারণ মন ছুঁয়ে যাওয়া কথাগুলো লিখে দেয়া। নায়কের এক সময় সাধ ছিল একজন স্থপতি হওয়ার। ভাগ্যচক্রে কাজ পেয়েছে এই গ্রীটিং কার্ডের আপিসে।
যাই হোক ছবির শুরুতেই সূত্রধার তার গম্ভীর গলায় জানিয়ে দেন--আমাদের নায়ক একজন ভাগ্যবাদী মানুষ, যিনি অপেক্ষা করে আছেন তার জীবনে সেই 'বিশেষ' নারীটির আগমনের, যে নাকি তার স্পর্শেই শাপমুক্তি দেবে নায়ককে। নায়িকা একেবারেই তার উলটো।
এইটুকু দেখেই আমার হৃদয় খানিকটা ডুবল। মনে হচ্ছে এতগুলো টাকা শুদুমুদুই গচ্চা গেল। সাথে রাতটাও।
কিন্তু কাহিনী যত এগুতে লাগল, খুব অলক্ষে আমাকে টেনে নিতে থাকল তার ভেতরে। শুরুতে আমার উপরে বলা ফর্ম মেনে শুরু হলেও কিছুখনের মাঝেই ছবিটা তার নিজের স্বাতন্ত্র্য দেখিয়ে দিল।
আমরা ক্রমে ক্রমে দেখতে থাকি নায়কের মুগ্ধতা, প্রাথমিক আড়ষ্টতা কাটিয়ে নায়িকার সাথে পরিচিত হওয়া। প্রথম পরিচয়ের সময়কালে এক ক্যারাওকি পার্টিতে নায়ক জানতে পারে নায়িকার বন্ধনবিমুগ্ধতার কথা। জানতে পারে সামার ফিন কোন বাঁধনে জড়াতে চায় না। নায়ক টম হ্যান্সেন প্রশ্ন রাখে, কিন্তু যদি প্রেমে পড়ে যাও, তখন? সামার হেসে জানায়, তুমি কি আসলেই 'এইসবে' বিশ্বাস করো নাকি? টম মৃদু হেসে জানায়, আরে এখানে তো প্রেম নিয়ে কথা হচ্ছে---সান্টা ক্লস নিয়ে তো নয়।
ছবিটার কাহিনী সাদামাটা। কিন্তু যে জিনিসটা আকর্ষনীয় তা হল গল্পটা বলার ভঙ্গী। গোটা কাহিনীটা বলা হয়েছে একজন প্রেমিকের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে। তার মানসিক অবস্থার মতই কাহিনীর বর্ণনাতেও অস্থিরতা। এই মুহুর্ত্তে যদি আমাদের অস্টম দিনের কাহিনী বলা হয়ে থাকে, তো পরের মুহুর্ত্তেই হয়ত ১৪৫-তম দিনের কাহিনী বলা হচ্ছে। এমনি করে করে আমাদের শোনা হয়ে যায় ৫০০ দিনের একটা প্রেমের কথা, কিছু সুখের কথা, কিছু চিরায়ত দুঃখের কথা।
যারা ভাবছেন আমি হয়ত কাহিনীর সব বলেই দিয়েছি, তাঁদের অবগতির জন্যে জানাচ্ছি---জ্বী না, আমি কিছুই বলে দিইনি। যেটা বলেছি সেটা হল গল্পটার একটা উপরি কাঠামো। ছবিটার আসল মজাটা বাকী রয়ে গেল। সেইটা এইখানে বলে রসভঙ্গ করার মত চামার আমি নই। কেবল এইটুকু বলি, বহুদিন পর মনে রাখার মত একটা রোমান্টিক ছবি দেখা হবে আপনার। সাম্প্রতিক হলিউডি (এবং সেইসাথে বাকিসব '-উডি'দের) জন্যে এই ছবিটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে।
প্রেমের গল্পটা বলতে গিয়ে আমাদের গল্পের গরুটা গাছে চড়ানোর দরকার নেই। প্রেমের গল্প আসলে আমাদের জীবনেরই গল্প---এইটুকুই মনে রাখা কাফি। ছবিটার একটা জায়গায় আমাদের নায়ক যেমন বলে, আমাদের উচিত এইসব বানোয়াট জীবন থেকে বেরিয়ে আসা। আমাদের উচিত এইসব গ্রীটিং কার্ড-ফার্ডের ব্যবসা উঠিয়ে দেয়া। কারন এরা আমাদেরকে 'নিজের' কথা 'নিজেদের' মত করে কইতে দিচ্ছে না। যেকথাটা আমি বলতে পারছি না, সেইটা বলছি অন্য একজনের কথা ধার করে। এইভাবে দায় এড়িয়ে অন্যের কথাকে নিজের ভেবে এক পরাশ্রয়ী জীবন যাপন করছি সবাই। এখন সময় হয়েছে, যতই অপরিশীলিতই শোনাক না কেন, নিজের মনের কথা নিজের মত করে বলার। সময় হয়েছে নিজের জীবনটা নিজের মত করে বাঁচার।
ছবিটার পরিচালনা করেছেন Marc Webb। এইটে তাঁর প্রথম পরিচালনা। কাহিনী লিখেছেন Scott Neustadter ও Michael H. Weber। ডিরেক্টর অব ফোটোগ্রাফি ছিলেন Eric Steelberg; আর সম্পাদনা করেছেন Alan Edward Bell। ছবিটির দৈর্ঘ্য এক ঘন্টা ছত্রিশ মিনিট।
[ছবি ও তথ্য সূত্র -অন্তর্জাল]
মন্তব্য
এক্ষুণি দেখতে ইচ্ছা করতেছে। কিন্তু এখানকার হলে এখনো আসে নাই ...
। ধন্যবাদ বস জানানোর জন্য।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
দেখে জানায়েন কেমন লেগেছিল---
নিজের সাথে মিলিয়ে দেখা যাবে---
দেখতে হবে
দেখে জানাবেন কিন্তু কেমন লেগেছে---
দেখতে হবে
এতো ভালো নাকি? তাহলে তো দেখা যায়। খারাপ হলে কিন্তু আপনার কপালে দুঃখ আছে অনেক। কেন? বলছি।
আমার অবস্থা ঘরপোড়া গরুর মতো, রম-কম হলে ভুলেও সে পথ মাড়াই না শেষ অনেকগুলো বাজে অভিজ্ঞতার ফলে। শেষ বার তো প্রচণ্ড শাস্তি পেয়েছি, হি ইজ নট জাস্ট ইনটু য়ু দেখতে গিয়ে। টিভিতে ছবির পুরুষ অভিনেতারা দল বেঁধে সাক্ষাৎকার দিলো আর তাতে বললো এটা নাকি একেবারেই প্রেমু টাইপ ছবি নয়, এটা নাকি ছেলেদের রোমান্টিক কমেডি। সে রকম জিনিস তো আগে দেখিনি, তার উপর মোটামুটি পছন্দের অভিনেতা/-নেত্রীরা অনেকে আছেন দেখে গেলাম দেখতে। অচিরেই থিয়েটারের শীতল ও অন্ধকার আরামদায়ক আসনে গুছিয়ে ঘুম দিলাম এক খানা। সেই থেকে মারপিট আর কমেডি ছাড়া যাই না। কাজেই আবার আশাভঙ্গ হলে, বুঝতেই পারছেন.....
হা হা হা -----
মূলোদা, দিলেন তো এখন ভয় ঢুকিয়ে----
যাই হোক, লেখাতে যেমন বলেছি, ছবিটা একটা চেনা গল্প একটু ভিন্ন-ভাবে উপস্থাপন করেছে। আমি আশা করব আপনার খারাপ লাগবে না।
যাই হোক দেখে জানাবেন কিন্তু কেমন লেগেছ...।
শুভেচ্ছা
টরেন্ট পেলাম শুধু মাত্র সাউন্ডট্র্যাকের!
নামাবোনে তাহলে পরেই!
দেখে জানাবো কেমন লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ বালিকা---
আজকেই দেখলাম খোমাখাতায় কে যেনো এটার ট্রেলার ঝুলিয়ে দিয়েছে।
আপনি ও রেকমেন্ড করলেন, এখন ভালো প্রিন্ট আসলে এটা দেখে ফেলা উচিত।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
নিশ্চয়ি, দেখে আমাকে জানিও কেমন লেগেছে---
আপনি কি notebook বা how to lose a guy in ten days অথবা hitch দেখেছেন?না দেখে থাকলে দেখতে পারেন।
আমিও রোমান্টিক মুভির একজন একনিষ্ট ভক্ত। আমি 500 days of summer দেখিনি কিন্তু নাম শুনেছি আশা করি দেখবো।
আমি নোটবুক আর হিচ দেখেছি। দু'টো দু রকমের ছবি। হিচটা আসলে আমার কাছে ঐ ফর্মুলা ভিত্তিক ছবি বলেই মনে হয়েছে। নোটবুকের কাহিনীটা ভাল হলেও আসলে যে জিনিসটা আমার খুব ভাল লেগেছিল সেটা হল ছবিটার চিত্রায়ন। ছবিটাতে একটা দৃশ্য ছিল যেখানে একজন ক্যানু বেয়ে যাচ্ছে এক বিশাল হ্রদের উপরে----সুর্যাস্তের আলোয় সারাটা হ্রদ সোনালী হয়ে আছে। হ্রদের জলটা দেখাচ্ছে গলে যাওয়া সোনার মত!! নোটবুকের কথা কেউ বললেই সবার প্রথমে আমার ঐ দৃশ্যটার কথা মনে পড়ে।
দেখতে হবে।
ধন্যবাদ অনিকেত।
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই।
রিভিউটা চমৎকার লাগলো। ফাঁক পেলেই দেখে নিতে হবে সিনেমাটা।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
থ্যাঙ্কু ভুতুম---
দেখে জানিও কিন্তু কেমন লেগেছে তোমার---
দুর্দান্ত রিভিউ। চমৎকার লাগল। এবং অনেক অংশের সাথে একমতও বটে। মানে, প্রেমের ছবির ফর্মুলার কথা বলছি। বেশ কয়েক জায়গা পড়ে হেসে ফেললাম।
সিনেমাটা অবশ্যই দেখব। আমার এই ধাঁচের সিনেমা ভাল লাগে। আর আপনি যখন বললেন, তাহলে তো দেখতেই হয়
আরো রিভিউ আসুক।
হা হা হা , থ্যাঙ্কু বস----
ভাল থেকো---
কেমন লাগল যুই ডেশ্চ্যানেল কে? আমার খুব পছন্দের নায়িকা। হিচ হাইকারস গাইড টু দ্যা গালাক্সি তে ছিল, ইয়েস ম্যানে ছিল, ইউলজিতে ছিল। কোন এক কারনে আমার বিয়াফক ভানু নাগে
ছিনিমার প্রিভিউ পড়ে মনে হল দেখতে হবে। এমনিও দেখতাম, কারনটাও আশা করি বুঝে গেছেন, কেন ;)। আর সো কলড রোমান্টিক মুভির ফরমুলা পড়ে ব্যাপক মজা পেলাম
। সেরেনডিপিটি দেখে বেশ বিরক্ত হয়েছিলাম, কোন মেয়ে বা মহিলা নাম শুনলেই আবার লোল ফেলতে থাকে, তাতে আমি আরো বিরক্ত হই।
আর বইখাতা খালাম্মার সাথে একমত, ভুং ভাং বাদ দিয়া তাড়াতাড়ি সাই-ফাইটা শেষ করেন। শতক পোস্ট টা ফাটাফাটি চাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জোয়ি'র অভিনয় আমার বেশ লাগল কিন্তু। মানে, মনেই হলনা সে অভিনয় করছে বলে---খুব সাবলীল--ন্যাচারাল----
অনিকেত প্রেমে পড়েছে
অথবা প্রেম তার উপরে পড়েছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
তবে রে রানা----
দেখবো অবশ্যই ।
প্রিভিউ চমৎকার হয়েছে, দাদা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
থ্যাঙ্কু বস
নব্বইয়ের পর হলিউডের কোন রোমান্টিক বা রোমান্টিক কমেডিই ভাল লাগেনি। বিফোর সানরাইজ আর বিফোর সানসেট ভাল লেগেছে, কিন্তু ওগুলো তো মূলত ইন্ডপেন্ডেন্ট ফিল্ম।
রোমান্টিক কমেডি দেখলে ক্লাসিকগুলাই দেখি। কিন্তু আপনার রিকমন্ডেশেন শুনে এটা দেখতে ইচ্ছা করতেছে। জোগাড় করার চেষ্টা করছি।
: ফর্মুলাগুলো সেইরকম হইছে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
বস, দেইখা জানাইও কেমন লাগল
বেশ!
আগ্রহ বোধ করলাম। লেখায় ভালো বোধ করলাম।
একটা খারাপ কথা ব'লে যাই- স্বভাবই খারাপ, কী করবেন?- আপনি হয়তো খেয়াল করেননি- "সূত্রধার" কিন্তু মিস্ত্রি, আর আপনি যেটা বুঝাতে চেয়েছেন সেটা "সূত্রধর" ।
ছবির অল-উডি ফর্মুলা'য় বিশ লক্ষ তারা, ফিল্মের আগ্রহ জন্ম দেয়ায় বিশ লক্ষ তারা, আর আগ্রহ না মারায় বিশ লক্ষ তারা।
হে হে হে ---বস, আমি বাংলা একাডেমীর ব্যবহারিক বাংলা অভিধান থেকে উদ্ধৃত করছিঃ
সূত্রধার--সংস্কৃত নাটকে নাট্য প্রযোজক।
পরবর্ত্তিতে শব্দটার মানে হয়ে দাঁড়িয়েছে নাটকে নানান সূত্র ধরিয়ে দেন যিনি---
আর ভোরবেলা উঠে ষাট লক্ষ তারা পেয়ে যার-পর-নাই রকমের আহ্লাদিত।
শুভেচ্ছা রইল
ওহ্ স্যরি, আমি আবার দেখলাম নিজেও। আসোলে আমিই হঠাত্ একটু কনফ্যুজড হয়ে গেছিলাম দেখতেছি।
আমার এভাবে বলার আগে নিশ্চিত হয়ে নেয়া উচিত ছিল আবার।
আসোলে- 'মিস্ত্রি'র জন্য 'সূত্রধর' 'সূত্রধার' দুইটাই যায়েজ; তবে, 'অভিনয়-সঞ্চালক'র জন্য অবশ্যই 'সূত্রধার'। আমার ভুলটা এইখানেই হৈছিল। সো, ইউ আর রাইট।
স্যরি, আরো একবার।
সাইফুল ভাই, ধুর মিয়া এইটা কোন ব্যাপারই না----
ভাল থাইকেন বস--!!!
মুভির হাই রেটিং দেখে এবং কতিপয় বন্ধুকে সংগ দেয়ার জন্য থিয়েটারে গিয়ে দেখলাম। আমার কাছে গড়পরতা মুভি মনে হল। খারাপ লেগেছে তা বলছি না, কিন্তু মুভিটা খুব একটা দাগ কাটতে পারেনি কেন জানি। তবে সাথের বালক/বালিকাদের নাকি ভালো লেগেছে।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নতুন মন্তব্য করুন