(প্রথম পর্বের পর)
আগের পর্বেই জেনেছি বিদ্যুত আর চুম্বক একে অপরের মাসতুতো ভাই। দু'জনের মাঝে ভারী মিল। কেবল একটা জায়গায় গোল বেঁধেছে। বিদ্যুত নিয়ে কাজ করার সময় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন--দুই ধরনের আধান আছে--ধণাত্মক আর ঋণাত্মক। চুম্বকের ক্ষেত্রেও দুই রকমের ইস্পিশাল 'জিনিস' আছে---উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। সমস্যা হল--বিদ্যুতের ক্ষেত্রে চাইলেই আলাদা আলাদা করে ধণাত্মক বা ঋণাত্মক আধান পাওয়া যেতে পারে। যেমন ধরুন, আপনার বাসার একটা শুকনো কাঁচের গেলাস। এখন গত ঈদে কেনা সিল্কের পাঞ্জাবীটা পরে কাঁচের গেলাসটাকে আপনার সিল্কের পাঞ্জাবীর কোনা দিয়ে ঘষতে থাকুন। বেশ কিছুক্ষন ঘষার পর কিছু ছোট ছোট কাগজের টুকরো গেলাসটার কাছে আনুন। দেখবেন, একটু আগেও নিরীহ গোবেচারা থাকা কাঁচের গেলাস এখন আর তত 'নিরীহ' নেই! ছোট ছোট কাগজের টুকরো গুলোকে সে তুমুল ভাবে আকর্ষন করছে। এই যে কাঁচের গেলাসকে আমরা সিল্কের কাপড় দিয়ে ঘষলাম, এতে করে ঐ গেলাসের গায়ে আমরা ধণাত্মক আধান 'সংক্রামিত' করে দিয়েছি। এই আধানের জোরেই গেলাসের গায়ে ডেকেছে শক্তির বান!কাঁচের গেলাসে পাঞ্জাবী ঘসতে ইচ্ছে করছে না? কুছ পরোয়া নেই। চিরুনী দিয়ে চুল আঁচড়ান কিছু খন। তারপর চিরুনীকে আনুন ঐ কাগজগুলোর কাছে। দেখবেন একই ঘটনা ঘটছে(এখন শীতকাল, তাই এইটা পরীক্ষার সবচেয়ে উত্তম সময় এখনই)!
আপনি কিন্তু চাইলেই এইরকম করে চুম্বকের আলাদা উত্তর মেরু বা দক্ষিন মেরু খুঁজে পাবেন না। উত্তর মেরু-দক্ষিন মেরু সব সময় জোড়ায় জোড়ায় করে আসে।
চুম্বক নিয়ে কাজ করে খুব বিখ্যাত হওয়া এক বিজ্ঞানীর নাম হল মাইকেল ফ্যারাডে। ফ্যারাডে ছিলেন একেবারে প্রথম সারির একজন নিরীক্ষাবাদী বিজ্ঞানী(experimentalist)। ইনিই সেই লোক যিনি বিদ্যুত আর চুম্বকের লদকা-লদকি প্রেমের ঘটনা বাজারে চাউর করেছিলেন। ঠিক ঐসময়েই স্কটল্যান্ড থেকে আসা ২৪ বছরের এক তরুন তার গবেষনা কর্মের প্রতি দারুন আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। ছেলেটার নাম জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল। আমরা যে সময়টার কথা বলছি সেটা হল ১৮৫৫ সাল, রবীন্দ্রনাথের তখনো জন্ম হয়নি। ম্যাক্সওয়েল আর তার চল্লিশ বছরের বড় ফ্যারাডে, এই দুই অসম বয়েসী প্রতিভাবান মানুষের মাঝে গড়ে ওঠে একটা দারুন বোঝাপড়ার সম্পর্ক। এই দুই বিজ্ঞানীই পরস্পরের জন্যে শেষদিন পর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন দারুন শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রম। ম্যাক্সওয়েল ফ্যারাডের মত এক্সপেরিমেন্টালিস্ট ছিলেন না। তাঁর কাজ ছিল কাগজ কলম নিয়ে। ১৮৫৫ তে যে প্রেমের শুরু তার সার্থক পরিনাম ঘটে দীর্ঘ দশ বছর পর------১৮৬৫ সালে ম্যাক্সওয়েলের এক যুগান্তকারী গবেষনা নিবন্ধ প্রকাশ করার মধ্যে দিয়ে। রবীন্দ্রনাথের যখন মাত্র হাতে-খড়ি ঘটছে, তখন ম্যাক্সওয়েল আমাদের জানান, এই বিদ্যুত আর চুম্বক কে এতদিন আমরা যতটা ঘনিষ্ট ভেবেছি, আসলে তা ঠিক নয়। আসলে তারা *ভীষন* রকমের ঘনিষ্ট!! মাত্র চারটে সমীকরণ লিখে ম্যাক্সওয়েল বললেন,'ওয়েল', এতদিন ধরে যে জেনে এসেছ বিদ্যুত আর চুম্বক যে একজন আরেক জনের উপর নির্ভরশীল, ঘটনা আসলে সেইখানেই শেষ নয়! মাঝে মাঝে মওকা পেলে তারা একেবারে মিলেমিশে যায়। তখনই সৃষ্টি হয় বিদ্যুত-চুম্বকীয় ক্ষেত্রের। এইটে এমন একটা উঠোন যেখানে মাদুর পেতে একই পংক্তিতে বসে বিদ্যুত আর চুম্বক।
আপনারা যারা এতদূর পর্যন্ত এসে ভাবছেন, এ তো দেখছি ধান ভানতে শিবের গীত গাইতে বসল। আপনাদের করজোড়ে জানাচ্ছি, আজ্ঞে না। আমরা যে মোকামে যেতে চাইছি এই কাহিনীগুলো হল সেখানে যাবার সড়ক।
ফিরে যাই আমার শিবের গীতে।
ম্যাক্সওয়েলের সেই যুগান্তকারী নিবন্ধটি শুধু যে একটা টাটকা নতুন 'ক্ষেত্রের' সন্ধান দিল তাই নয়, ম্যাক্সওয়েল আরো বললেন যে আমাদের চিরচেনা 'আলো' আসলে একরকমের 'বিদ্যুত-চুম্বকীয় তরঙ্গ'---অর্থাৎ বিদ্যুত আর চুম্বক একসাথে মিলে মিশে এই তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। কিছুদিন পরে হার্জ নামের এক বিজ্ঞানী সেইটা হাতে কলমে প্রমান করেও দেখালেন।
ম্যাক্সওয়েলের এই চারটে সমীকরণ তাবৎ দুনিয়ায় বিখ্যাত হয়ে ওঠা সমীকরণগুলোর অন্যতম। যদিও জনপ্রিয়তার মানদন্ডে আইন্সটাইনের বিখ্যাত E=MC^2 -এর ধারে কাছেও এরা নেই। কিন্তু আপনি যেকোন পদার্থবিদ কে এই চারটে সমীকরণের কথা জিজ্ঞেস করে দেখুন---দেখবেন তার চোখ বেশ খানিকটা স্বপ্নালু (স্বপ্নে 'আলু' দেখলে যেমন হয়) হয়ে উঠবে। সমীকরণগুলোর দুটো হল চুম্বক নিয়ে, আর বাকি দুটো বিদ্যুত নিয়ে। দুই 'ভাই' একেবারে সমান-সমান 'ভাগ' পেয়েছে এখানে!!
কিন্তু যে জায়গাটায় বিদ্যুত ভায়া কিঞ্চিত এগিয়ে গেল সেটা হল ঐ 'একক আধান/মেরু' বিষয়ে। সমীকরণে উল্লেখ আছে যে একক আধান পাওয়া সম্ভব। কিন্তুচুম্বকের একক মেরু পাওয়া নিয়ে সবাই স্পিকটি নট। মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এল আরেক দল। ইয়াং আর মিলস নামের দুই লোক ‘গেইজ’(Gauge) ক্ষেত্র বলে কী জানি একটা আবিষ্কার করলেন এবং খুব মাথা নেড়ে আমাদের বললেন, আসলে একক মেরু না থাকাটাই কিন্তু ভাল। তাদের পাতার পর পাতা অংক দেখে ভিরমি খেয়ে বাকিরাও স্বীকার করতে বাধ্য হলেন যে অংক বলছে বিদ্যুত ক্ষেত্র আর চুম্বক ক্ষেত্র দুইজনেরই জন্মদাতা হিসেবে ঐ গেইজ ক্ষেত্রকে চালিয়ে দেয়া যায়। আর সেটা করার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্তই হল----চুম্বকের একক মেরু থাকা চলবে না!দিস্তার পর দিস্তা কাগজ ভরে লোকগুলো এত অংক করেছে, সেটা তো আর মিথ্যে হতে পারে না।
এমনই সময় রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ করলেন পল ডিরাক নামের এক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। পদার্থবিজ্ঞানের জগতে যে ক’জন লোক আসলে রাজকুমারের সম্মান পেয়ে থাকেন তাঁদের মাঝে ডিরাক অন্যতম। এখনকার সময়ের বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং ক্যাম্ব্রিজের যে ভীষন সম্মানিত লিউক্যাসিয়ান পদটি অধিকার করে ছিলেন এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত---একসময় এই একই আসন অলংকৃত করেছিলেন পল ডিরাক।
ডিরাক ১৯৩১ সালে এসে হাত-টাত নেড়ে জানালেন, ‘সুন্দর সুন্দর’ সমীকরণ দেখে ভুললে চলবে না। আরো তলিয়ে দেখা দরকার তাদের বাহির-অন্তর। তলিয়ে দেখতে তিনি নিজেই মালকোচা মেরে নেমে পড়লেন মাঠে। ডিরাক কিছুদিনের মাঝেই দেখালেন যে ঐ ‘সুন্দর’ গেইজ ক্ষেত্রকে টিকে থাকতে হলে আসলে আরেক বড় ওস্তাদের হুকুম তামিল করতে হবে। সে ওস্তাদের নাম কোয়ান্টাম মেকানিক্স। না না, এইটা প্রথমালুতে বিজ্ঞাপন দেয়া ‘কোয়ান্টাম মেথডের’ কিছু না। বরং কোয়ান্টাম মেকানিক্স হচ্ছে আসল লোক যার কারণে এইসব ‘কোয়ান্টাম মেথড’ থেকে শুরু করে হালের জেমস বন্ডের ছবির নামে (Quantum of Solace) পর্যন্ত ‘কোয়ান্টাম’ শব্দের ব্যবহার করা হচ্ছে---চমক আর সম্ভ্রম জাগাতে।
ডিরাক জানালেন, গেইজ বাবাজিকে যদি কোয়ান্টাম মেকনিক্সের অনুমোদন পেতে হয় তাহলে কিন্তু চুম্বকের একক মেরু কে অস্বীকার করলে চলবে না। অবশ্য সেই একক মেরুটার আবার যেকোন ‘শক্তি’র মেরু হলে চলবে না। ডিরাকের খাতার অংক দেখাচ্ছিল বেশ বড়সড় একটা মান। যদি একক মেরু সত্যিই থেকে থাকে এবং তার শক্তি যদি ডিরাকের হিসেব মত বড়সড় হয় তাহলে খুব সহজেই একক মেরু খুঁজে পাওয়া যাওয়া উচিত।
এইরকমই একটা গ্রীন সিগনালের অপেক্ষায় ছিলেন এক্সপেরিমেন্টালিস্টরা। ডিরাকের কথা মাথায় নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়লেন চুম্বকের একক মেরু খুঁজে পাবার আশায়। নানা মুণির নানা মত। একেক জন একেক ভাবে খোঁজার চেষ্টা করতে লাগলেন। কেউ কেউ বললেন, একক মেরু পেতে হলে সারা রাত আকাশের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকতে হবে! আমাদের পৃথিবীর বায়ু মন্ডলে প্রতি মুহূর্ত্তে আঘাত হানছে মহাজাগতিক রশ্মি। এই বায়ুমন্ডলের সাথে সংঘর্ষের ফলে সেখানে প্রতি নিয়ত নানান ধরনের কণা জন্ম নিচ্ছে। আমরা যদি খুব ভাল করে খেয়াল করতে পারি তাহলে একদিন ঠিকই একক মেরু দেখে ফেলতে পারব। বিশ্বখ্যাত বার্ক্লে ইউনিভার্সিটির লোকজন তো একবার আনন্দে প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন---যখন তাদের পরীক্ষাগার থেকে এইরকম একটা কণার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। পরে জানা গেল, এই লোক সেই লোক নয়---এ অন্য লোক!
ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা সুপারকন্ডাকটর বলে একটা জিনিস আবিষ্কার করেছেন। না, বাসের কনডাকটরের সাথে এর কোন মিল নেই। সুপারকন্ডাকটর হল এমন কিছু পদার্থ যার মধ্যে দিয়ে বিদ্যুত চালনা করলে অনন্তকাল ধরে সেই বিদ্যুত বইতে থাকবে। তার কোন লয় নেই, ক্ষয় নেই। এমনিতে আমাদের বাসায় যে কারেন্টের তারে করে বিদ্যুত এসে পৌছায়, সেই তারে আসতে আসতে আমাদের বিদ্যুতের জান বেরিয়ে যায়। সেই তারগুলো যদি সুপার কন্ডাকটর হত, তাহলে চিন্তা করুন তো দেখি, কী মজাটাই না হতো। আমাদের দেশ কেন সারা পৃথিবী থেকে বিদ্যুতশক্তি উৎপাদনের খরচ দারুন ভাবে কমে যেত।
বিজ্ঞানীরা ভাবলেন এই সুপারকন্ডাকটর কে কোনভাবে কি কাজে লাগানো যেতে পারে একক মেরু বের করার প্রক্রিয়ায়? দেখা গেল, আপনি যদি সুপারকন্ডাক্টর একটা তার নিয়ে একটা গোল মত রিং তৈরী করেন তাহলে সেই রিং এর মধ্যে কোন চুম্বক মেরু ঢোকালেই সেই রিং এ একটা বিদ্যুত চলতে শুরু করে। সাধারন তার হলে কিছুখনের মাঝেই সেই বিদ্যুত নেতিয়ে পড়ত। কিন্তু সুপারকন্ডাক্টর ‘সুপার’ বলে সেখানে একবার বিদ্যুত চলতে শুরু করলে সেটা চলতেই থাকে। বিজ্ঞানীরা হাতে কিল মেরে বললেন এইবার ব্যাটা পালাবি কোথা? যদি একক মেরু থাকে তাহলে সেটা যদি কোনভাবে আমাদের ঐ রিং এর ভেতর দিয়ে যায় তাহলে সে একটা নির্দিষ্ট মানের বিদ্যুত তৈরি করবে ঐ রিং এ। আর সেই বিদ্যুত মেপে আমরা বলতে পারব, আসলেই একক মেরু কি এর মধ্য দিয়ে গেছে নাকি যায় নি।
বললে বিশ্বাস করবেন না, ১৯৮৪ সালের ভ্যালান্টাইন ডে-র মত এমন মধুর ভ্যালেন্টাইন ডে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়াস ক্যাব্রেরা-র জীবনে আর আসে নি! সেই ১৯৮৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী, ঠিক বিকেল দুটোয়, ক্যাব্রেরার সুপারকন্ডাক্টর রিং এর মাঝে হঠাৎ করে বিদ্যুত চালনা শুরু হল। ক্যাব্রেরা ধড়ফড় করে উঠে বিদ্যুতটা মেপে দেখলেন। ! একবারে যতটা বিদ্যুত তৈরি হলে একক মেরুর সন্ধান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়---ঠিক ততটুকুই বিদ্যুত দৌড়াচ্ছে সেই রিং এ!!!
আনন্দে ক্যাব্রেরার চোখে পানি চলে আসল।
তখন যদি তিনি জানতেন ভবিষ্যত কি নিয়ে অপেক্ষা করছে তার জন্যে---
(সামনের পর্বে খতম, খোদার কসম!!)
মন্তব্য
চমৎকার লেখায় অসাধারন তথ্য !!! পরের পর্বের অপেক্ষায় !!
দিশা___
ধন্যবাদ দিশা।
গোগ্রাসে গিললাম। অপেক্ষায় আছি
স্পার্টাকাস
থ্যাঙ্কু স্পার্টাকাস।
অনেক শুভেচ্ছা
রসগোল্লা মুখের ভেতর দিয়ে বললেন, "আজকে খাইসনা। পরের সপ্তাহে খাইস..." পাঠকের হৃদয় নিয়ে ছিনিমিনি খেলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমার ধৈর্যে কুলাবেনা ভাই। আপনার বাসার ঠিকানা দেন আমি এখনই এসে বাকি কাহিনী শুনে যাব...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হা হা হা , ভাই সঙ্গীত
পরের পর্ব জলদি ছেড়ে দেব।
তিষ্ঠ ক্ষনকাল......
অনিকেতদা, অসম্ভব সহজ-সরল ভাষায় অনেক কঠিন একটা বিষয় কী দারুণভাবেই না তুলে ধরলেন! আমি মুগ্ধ! নবম-দশম শ্রেণী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত এই বিষয়গুলো এতো কঠিনভাবে পড়ানো হয় যে, অনেকে পরে ছোটখাটো প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারে না। আপনি যেভাবে লিখেছেন, বইগুলো যদি, অন্তত মাধ্যমিক স্তরে, সেভাবেই লেখা হত, কী দারুণ উপকারটাই না হতো!
একটা প্রস্তাব দিতে পারি? বিজ্ঞানের এসব বিষয় নিয়ে কিশোরদের জন্য বই বের করার চিন্তা করবেন? দারুণ কাজ হবে সেটা! আপনার বইয়ের প্রচার-সম্পাদকের প্রয়োজন হলে আমি আছি।
×
কিছু জিনিসের আরও ব্যাখ্যা জানতে চাই। আচ্ছা, সুপারকন্ডাকটরে যদি বিদ্যুতের কোনো ক্ষয় না-ই থাকে, তাহলে যেটা বললেন, তারের বদলে বিদ্যুত প্রবাহে সেটা ব্যবহার করা হয় না কেন? সেটা কি তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব কিন্তু বাস্তবে অসম্ভব— এমন কিছু? নাকি এই প্রযুক্তি অনেক খরচসাপেক্ষ? আর ইয়ে (বোকার মতো প্রশ্ন হতে পারে এটা), রেডিও-টেলিভিশন-কম্পিউটার ইত্যাদিতে আমরা যে সমস্ত ক্যাপাসিটর দেখি, সেটার সাথে সুপারকন্ডারটর প্রযুক্তির কি কোনো যোগসূত্র আছে?
আর সুপারকন্ডাকটরে যদি বিদ্যুতের ক্ষয় না-ই থাকে, তাহলে সেটি শক্তির নিত্যতা সূত্রের বিপরীতে অবস্থান করে না? কারণ নিত্যতা সূত্র অনুযায়ী, শক্তির সৃষ্টি-বিনাশ না থাকলেও অন্যরূপে তো পরিবর্তিত হয়!
এ বিষয়ে কি রিচার্ড ফাইনম্যানের কোন কাজ ছিল?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অনিকেতদা কিছু কওয়ার আগে হালকা মস্তানি করি ভুল-চুক হইলে মার্জনীয়।
কারণ যেটা বলছেন সেটাই। সাধারণ তাপমাত্রায় কাজ করে এমন সুপার কন্ডাক্টর এখনও তৈরি হয়নি। ফিজিক্স টিচারের কাছে শুনছি, এটা যে পারবে তার নোবেল কনফার্ম।
@ আলমগীর,
শুধু নোবেল না, আরো বড় কিছুর প্রচলন করতে হবে তার সঠিক মূল্যায়ন করতে হলে।
@ গৌতম,
শক্তির নিত্যতা সূত্রের পরিপন্থি হচ্ছে কিভাবে ! বিদ্যুৎ প্রবাহের কোন বাধা বা রোধ শূন্য হয়ে যাওয়ায় পুরো বিদ্যুৎটাই জায়গা মতো খরচ হবে, কোন অপচয় হবে না। অর্থাৎ বিদ্যুৎ শক্তি পুরোটাই আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত হবে।
@ অনিকেত দা,
কী দুর্দান্ত একটা লেখা যে দিলেন আপনি, তা আমি বুঝাই কী করে ! আপনি যদি বুঝতেন, তাইলে কি লেখাটাকে আচমকা ঠেকিয়ে দিয়ে আমাদেরকে বাঁদর নাচে ফেলতেন ?
[তবে অফটপিকে বলি, মুপা দা এখানে ঢুকলে আপনার খবর আছে !]
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
@ রণ'দা,
অনেক ধন্যবাদ দাদা, আমার সঙ্গে থাকার জন্যে,আমার হয়ে উত্তর গুলো দেবার জন্য।
আচ্ছা, আপনারও কি গরু হারাইয়াছিল আমার মত? মানে, আপনিও কি ফিজিক্সের ছাত্র নাকি??
অনার্স কেমিস্ট্রি। ফিজিক্স ও ম্যাথ সাবসিডিয়ারি। মাস্টার্সে ফিজিক্যাল-ইনরগ্যানিক কেমিস্ট্রি।
(আমি যখন এমসি-তে প্রথম অনার্সে ভর্তি হই, তৎকালীন ওই সিলেট সরকারি বিশ্ববিদ্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় আজিজ স্যার। তাঁকে চিনতে পারছেন তো !)
তবে ২২/২৩ বছর আগে চট্টগ্রাম ভার্সিটি ছাড়ার পর তালাক দেয়া সেই বিদ্যার দৌড়ের বর্তমান বহর জানালে অনার্স-মাস্টার্স তো দূরের কথা, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডও হয়তো তার সার্টিফিকেট ফেরৎ নেবার শমন জারি করতে পারে। তাই সেই গল্পের মতন- 'বাবা মদন আর নিচে নামিস না' অবস্থাতেই থেকে যাই।
বিজ্ঞানকে সাহিত্যের মতো ব্যাখ্যার চমৎকার কুশলতাটাকে আশা করি অব্যবহার্য রাখবেন না আপনি, এই চাওয়া সবসময়ই থাকবে আমার।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
@ গৌতম,
অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্যে এবং সহৃদয় মন্তব্যের জন্য।
আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি।
আসলে ঘটনাটা হল, যেসব জিনিস সুপারকন্ডাক্টরগিরি দেখাতে পারে তাদের ঐ গুন প্রকাশিত হয় সাধারনত অনেক নিম্ন তাপমাত্রায় গিয়ে। যেমন ধরুন পারদ। -২৬৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এ নিয়ে গেলে পরেই পারদ সুপার কন্ডাকটর হয়ে ওঠে। আলমগীর এবং রণ'দা এই নিয়ে চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেখলাম। তাঁদের দুইজনকেই ধন্যবাদ।
আমার বোঝার ভুল হতে পারে,তাই সেইটা মাথায় নিয়েই বলছি, আপনি কি জানতে চাইছেন রেডিও-টিভি-পিসি-তে যে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় সেইখানে সুপারকন্ডাক্টর ব্যবহার করা যায় কি না? প্রথমতঃ ক্যাপাসিটরের কাজটা একটু আলাদা। যেকোন সার্কিটে বা যে কোন ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামে ক্যাপাসিটর থাকে মূলতঃ একটা উদ্দেশ্য মাথায় নিয়ে। সেটা হল, ক্যাপাসিটর নিজের মাঝে আধান জমা করে রাখে। আর সে কারনেই তাকে মাঝে মাঝেই 'বিকল্প পাওয়ার স্টেশন' হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর সুপারকন্ডাকটর তো জানলেনই, সে বিদ্যুত পরিবহনটা ঝামেলা হীন করে।
কাজেই আপনার প্রশ্নের(যদি ঠিকঠাক বুঝে থাকি) উত্তর হবে, না এখনো সেরকম কিছু হয় নি।
এইটা আসলেই চমৎকার একটা প্রশ্ন। কেবল এই প্রশ্নটার জন্যেই আমার পরিশ্রমটা সফল মনে হল। ঠিক ধরেছেন, শক্তির নিত্যতা নিয়ে কথাটা ভাবার মত। তবে মজাটা হল, সুপারকন্ডাকটর বলছে, তার মাঝে দিয়ে যখন বিদ্যুত শক্তি চালনা করা হবে---সেই শক্তি অজর অমর। কাজেই শক্তির কোন ক্ষয় এখানে হচ্ছে না। আপনি যতটুকু শক্তি দিয়েছিলেন, ঠিক ততটুকুই সেখানে থাকবে। একবিন্দু বাড়বে বা কমবে না (আদর্শ ক্ষেত্রে)। আর শক্তির নিত্যতার সূত্র বলছে মোট শক্তির পরিমান সব সময়ে নির্দিষ্ট,স্থির। আমাদের সাধারন তারের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুত চলতে গেলে অনেক বাঁধার সামনে পড়ে, সে কারণে শক্তিক্ষয় ঘটে। সুপারকন্ডাকটরে সেই যন্ত্রনা নেই। এই কারনেই সুপারকন্ডাকটর এত লোভনীয়।
যতদূর মনে পড়ছে, এই বিষয়ে ফাইনম্যান মাত্র একটা নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সুপারকন্ডাকটরের রহস্য ভেদের জন্যে তিনি একসময় প্রচুর খেটেও ছিলেন। পদার্থবিজ্ঞানের এই পাগলা যুবরাজ অনেক সাফল্যের মালিক হলেও---এইখানে তাকে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছিল।
অসাধারন লাগছে...পরের খন্ড জলদি চাই।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে লেখুননা আপনার মতো করে।
অনেক ধন্যবাদ শাকিল।
ভাল থাকবেন
ধূর মিয়া! এইরকম জায়গাতে কেউ গল্প থামায়? মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল! জলদি সামনের পর্ব সাপ্লাই করেন, তার আগে মেজাজ ঠিক হওনের কোনো গ্যারান্টি নাই।
তবে, যতটুকু লিখেছেন ততটুকু জোশ হয়েছে, একদম ডুবে গেছিলাম! পরের পর্ব জলদি আপ করেন, নইলে ভাইসা উঠতে পারুম না!
হা হা হা , পড়ার জন্যে ধন্যবাদ সচেতন নাগরিক।
স্বীকার করে নিতেই হবে, 'সচেতন' ভাবেই লেখাটা ঐখানে থামিয়ে দিতে হয়েছে। কাজের প্রচন্ড চাপ। তারই ফাঁকে ফাঁকে লিখছি কেবল আপনাদের মত কিছু উৎসাহী পাঠক রয়েছেন বলে। তবে শেষ পর্ব জলদিই দিয়ে দিব। কারণ কাজটা শেষ হলেই মাথা থেকে একটা ভার নেমে যাবে।
ভাল থাকুন
আহ, খুব বাজে জায়গায় ছেড়ে দিলেন অনিকেতদা!
আর গৌতমদা, আমি যদ্দুর জানি, সুপারকন্ডাকটর জিনিসটা সাধারণত খুব শীতল অথবা সংকুচিত অবস্থাতেই তার আসল রঙটা দেখায়, সেজন্য এটার ব্যবহারিক প্রয়োগ এখনো হয় নাই। আর এতে বিদ্যুতের ক্ষয় নাই বলতে বোঝায় এর রোধ শূণ্য। তাই এর মধ্যে কোন বিভব পতন (Voltage drop) হয় না।
অনেক ধন্যবাদ সাবিহ ওমর--আমার লেখাটা সময় নিয়ে পড়ার জন্য এবং আমার হয়ে গৌতম'দা কে উত্তরটা বলে দেবার জন্য।
ভাল থাকুন।
মডারেশনের ঠেলায় পড়ে আমার কোন কমেন্টই টাইম্লি পৌঁছায় না
ডিরাকের আগ পর্যন্ত মোটামুটি আবছা জানা ছিল। সেমিকন্ডাক্টর পড়তে গিয়া ডিরাক যে মাথা খারাপ করছিল, তারপরে আর কোন আগ্রহ পাই নাই। সে জন্য ডিরাক থেকে শুরু করে বাকীটা আমার জন্যে নতুন।
খুবই খুবই খুবই ভাল লাগলো। খতম করার দরকার নাই। সিরিজ আকারে লিখতে থাকেন।
অনেক ধন্যবাদ বস।
নিরন্তর শুভেচ্ছা
আমিও আলমগীর ভাইয়ের সাথে গলা মিলাই। বস সিরিজ শেষ না করে এভাবে বিজ্ঞানের খটমটো বিষয়গুলিকে এভাবে সহজ ভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরেন। গৌতমদার কথা্টাও ভেবে দেখতে পারেন।
বিজ্ঞান ভালো না বুঝলেও তোমার লেখাটা গোগ্রাসে গিললাম।
বস, প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ার জন্যে।
আর দ্বিতীয়তঃ বড় শক্ত স্নেহের বাঁধনে বেঁধেছ বস। বয়েসে আমি বড় এবং শর্তমতে স্নেহ সর্বদা নিম্নগামী। কেবল এইখানেই দেখলাম উজ্জ্বল ব্যতিক্রম!
তোমার এবং তোমার মত কিছু মানুষের অপার স্নেহের ছায়ায় আছি বলেই, মাঝে মাঝে বেঁচে থাকাটা ওতটা খারাপ লাগে না।
অনেক ধন্যবাদ, অশেষ কৃতজ্ঞতা।
মন্তব্য দুইবার আইসা পড়ছিল। বদলাইয়া কী লেখুম ভাবছি
হা হা হা , আমিও অপেক্ষা করছি---
আপনি বস্ ... আবারও প্রমাণ পেলাম
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
অনেক অনেক ধন্যবাদ জিনের বাদশা ভাই।
আপনি যে কষ্ট করে লেখাটা পড়েছেন এতেই আমি ভীষন খুশি।
ভাল থাকেন, সব সময়।
বলতে পারবো না কিছু। ভাষা পাচ্ছি না।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হা হা হা
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, বস
ইলেকট্রিসিটি ও ম্যাগ্নেটিসম একই সূত্রে গাঁথা মালা---প্রানবন্ত ভাবসম্প্রসারণ ঃ)
ধন্যবাদ কৃতী, ভাল থাকুন সব সময়।
না না , এত তাড়াতাড়ি শেষ করার দরকার নাই । আরো অনেক গুলো খণ্ড আসুক, আরো অনেক মজার মজার জিনিস জানার সুযোগ হোক ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ধন্যবাদ, বস
ভাল থেকো
ওয়াও, কী লেখা আর কী বিশ্লেষন ধর্মী মন্তব্য।
কী বলে যে কৃতজ্ঞতা জানাবো........
- বুদ্ধু
অনেক ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্যে।
ভাল থাকুন সব সময়।
আমার জীবনের স্বপ্ন ছিলো পদার্থবিদ হবো। কিন্তু বাবা-মা, গুরুজনের জন্য পড়তে পারলাম না, সেই পুরানা কাসুন্দি প্রকৌশল-ই পড়তে হচ্ছে।
সুপার কন্ডাক্টরটা জিনিসটা এক সময় প্রবল ভাবে নাড়া দিয়েছিলো, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক -এ একটা প্রামাণ্য চিত্র দেখার পরে। তখন বিষয়টা নিয়ে অনেক পড়াশুনা করসিলাম। সুপার কন্ডাক্টরের সবচেয়ে বড় ব্যবহার এখন পর্যন্ত 'চৌম্বক উত্তোলন' (magnetic levitation ). এটা ব্যবহার করে ঘর্ষণ বিহীন যান বানানো সম্ভব।
অনিকেতদা আপনার মতো লখতে পারি না, পারলে আমার এই স্বপ্নের বিষয়টা নিয়ে অনেক কিছু শেয়ার করতে পারতাম।
অনিকেতদা, ছোট মুখে একটা বড় কথা বলি,
ধনাত্মক আধান সঞ্চালন করা যায় না, ঋণাত্মক আধানের ঘাটতিতে ধনাত্মক আধান বলে না ? আমি যতোটুকু বুঝি আর কি। তো নিচের বাক্যটাতে কি কাঁচ থেকে সিল্কে ইলেক্ট্রন স্থানান্তরিত হয় তাই না?
বস ছোট মুখে অনেক বড় কথা বলে ফেললাম, ভুল হইলে মাফ করে দিয়েন।
আর আপনার লেখা পড়ে সবকিছু নতুন করে দেখতেছি। শিখতেছি। আমি অল্প কিছু সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন যে স্কুল এবং কলেজে থাকতে কিছু অসামান্য শিক্ষকের সান্নিধ্যে আস্তে পারছিলাম, যারা ব্যপারগুলো সত্যি কার অর্থে জানতো, এবং বুঝাতে পারতো। তাই চেষ্টা করি এখন যখন কাউকে বুঝাই তাদের মতো করে বুঝাতে।
দোয়া করবেন।
---নীল ভূত।
ভাই নীল ভূত,
প্রথমেই অশেষ ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে।
ধরেই নিচ্ছি আমি বয়েসে বড় এবং তোমাকে তুমি করে বললে রাগ করবে না।
সে শর্তানুযায়ী তোমাকে তুমি করে বলে বলছি
কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয় আবার বেঠিকও নয়। প্রথমে বলি কেন ঠিক নয়।
ধনাত্মক আধান 'সঞ্চালন' বলতে তুমি যদি ধনাত্মক আধানের পরিবহন বুঝিয়ে থাক, তাহলে বলা যায় যে ধনাত্নক আধানও কিন্তু সঞ্চালিত হতে পারে এবং হয়ও। যেমন ধর অর্ধ-পরিবাহীদের(semiconductor) কথা। ভেজাল দেয়া (doped) ওইসব অর্ধপরিবাহীতে কিন্তু ধনাত্মক আধানের 'গর্ত' (hole) রয়েছে যেগুলো কিন্তু আসলে 'স্থান পরিবর্তন' করে। তুমি যেহেতু প্রকৌশল বিদ্যার ছাত্র,তুমি নিশ্চয়ই আমার চেয়ে আর ভাল জানো এই নিয়ে। এইটা হল, একটা উদাহরণ। এইরকম আরও উদাহরণ দেয়া যায় যেখানে ধনাত্মক আধান 'সঞ্চালিত' হয়।
আর তুমি যদি 'সঞ্চালন' বলতে 'সংক্রমন' (induction?) বুঝিয়ে থাক, তাহলে ঠিক এই নির্দিষ্ট উদাহরণের ক্ষেত্রে তুমি ঠিকই ধরেছ। কাঁচ মূলত আধান-বিহীন। তাকে সিল্কের কাপড় দিয়ে ঘষলে তার গা থেকে কিছু ইলেক্ট্রন ছুটে যায়। সেই কারণেই কাঁচ ধনাত্মক হয়ে ওঠে। এই কথাটাই আমি লেখাটায়
বাক্যে বলার চেষ্টা করেছিলাম। খেয়াল করে দেখো, আমি শব্দটা 'সংক্রামিত' বলে ব্যবহার করেছি এবং উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতর রেখেছি। কারণ আমি জানি যে তোমার মত বিজ্ঞানের ব্যাপারে উৎসাহী পাঠকের চোখে এইটা পড়তে পারে। এবং আমার ধারণা মিথ্যে নয়। আমি খুবই খুশি যে তুমি বা তোমার মত আরো অনেক লোক লেখাটা মমতা নিয়ে পড়ছেন। শুধু তাই নয় সেটা নিয়ে কিছু ভাবনা-চিন্তাও করছেন।
তোমার মন্তব্যের জন্যে আবারো অনেক ধন্যবাদ।
তোমার কাছ থেকে সুপার-কন্ডাকটরের উপর একটা লেখা আশা করে রইলাম।
লিখে ফেল ঝটপট।
অনিকেতদা,
আপনি এতো মমতা দিয়ে মাখিয়ে কথা বলেন কিভাবে? আমার খুব ইচ্ছা করছে আপনাকে একবার কাছ থেকে দেখি। আপনি আমার মাথায় হাত বুলায় দেবেন। আর হ্যা আমি আপনার চেয়ে ছোট। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষ শেষ করলাম এইবার।
আপনাকে একটা সুখবর দিয়ে রাখি (ভাববেন না গর্ব করার জন্য বলছি, আপনাকে ভালো লাগছে তাই বলছি), আমার একটা পেপার পাবলিশ হইছে, ICDRET তে বর্জ্য জ্বালানী এবং বাংলাদেশে এর সম্ভবনার উপর।যদিও পেপার বানানোর মতো কিছুই না, কিন্তু জীবনের প্রথমতো তাই একটু আদেখ্যিতা করলাম। ১৯ তারিখ তার প্রেজেন্টেশান আছে। দোয়া করবেন কিন্তু।
ধনাত্মক আধান পরিবহন বলতে আমি একদম র' প্রোটন কে বুঝিয়েছিলাম, যে প্রোটন গুলো ইলেক্ট্রনের মতো দৌড়াদৌড়ি করতে পারে না।
আবার ও ধন্যবাদ, আমার মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ার জন্য।
---নীল ভূত।
আমিও একটু ছোটো মুখে বড় কথা বলে ফেলি। ভুল হলে ধরিয়ে দিয়েন। হাজার হোক আমি ফিজিক্সের ছাত্র না, সেই মেট্রিকেই যা পড়েছিলাম।
হোল গুলো স্থানান্তরিত অনেকটা এই ভাবে…
ধরুন পাচটা চেয়ার আছে ১, ২, ৩, ৪, ৫। ১, ২, ৩, ৪ নম্বর চেয়ারে চারজন ইলেক্ট্রন বসে আছে। ৫ নম্বরটা হোলো হোল (এটি ধনাত্মক আধান যুক্ত)। এখন ৪ নম্বর চেয়ার থেকে মহামান্য ইলেক্ট্রন ৫ নম্বর চেয়ারে গেলেন। ৪ নম্বর চেয়ারটা এখন এটি ধনাত্মক আধান যুক্ত, এখন ৪ নম্বর চেয়ারটী হোলো হোল। এভাবে ইলেক্ট্রন গুলো পিছনে দিকে স্থান পরিবর্তন করতে থাকলে হোলগুলো সামনের দিকে যেতে থাকবে- ৫, ৪, ৩, ২, ১ এই ভাবে।
হ্যাঁ ঠিক আছে, তো আপনার পয়েন্টটা কি ? এটা নিয়ে কেউ তো দ্বিমত করে নাই।
---নীল ভূত।
ভাই এখানে দ্বিমতের কথা আসছে কেনো? আমি আপনার পয়েন্টাই যাস্টিফাই করতে চেয়েছি যে আদতে পজিটিভ চার্জ পরিবাহিত হয় না। এটাকে ঝগড়ার দিকে মোড় না দিলেই খুশী হব।
ভালো থাকবেন।
কোন একজন।
আরে মিয়া আগে কইবেন তো,
আরে নাহ, ঝগড়া না, আমি ভাবছি আপনি বুঝি বলতে চাচ্ছেন, আমি ওইটা কই নাই।
আর, ধন্যবাদ।
--- নীল ভূত।
অনিকেত'দা...
জাস্ট হ্যাটস অফ !!!!
সত্যি বলছি- এর ধারে কাছে দিয়ে ম্যাট্রিক/ইন্টারের বইগুলা লেখা হতো বিজ্ঞান পড়ার আগ্রহ অনেক বেড়ে যেতো...এই পর্বটা আগের চেয়ে বিষয়বস্তুতে অনেক কঠিন হলেও আপনার লেখা বরং সুস্বাদুতর হয়েছে।
আপনি সিরিয়াসলি একটু চিন্তা করেন এইভাবে একটা বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচিত বিষয়গুলারে সিরিজ করার।
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ আমার প্রিয় গল্পকার।
প্রস্তাবটা মাথায় রইল।
আবারো সহজবোধ্য ভাষায় পদার্থবিদ্যা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
থ্যাঙ্কু বস,
শুভেচ্ছা রইল।
বলি অনিকেত, আপনে পাইছেন কী? এইখানে থামলেন! আপনেরে খুঁটিত বাইন্ধা কানে পালক দিয়া হুড় হুড়ি যহন দিবার যোগাড় করমু, তহন বুইঝেন!
এহনি খাওয়া ঘুম বাদ দিয়া বাকীটা জুইড়া দেন। প্লীজ!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হা হা হা
অনেক ধন্যবাদ তুলিরেখা এই লেখাটা সময় নিয়ে পড়ার জন্য এবং এই অধমকে উৎসাহ দেবার জন্য।
ভাল থাকুন, সব সময়
স্বপ্নালু (স্বপ্নে 'আলু' দেখলে যেমন হয়)
হাসতে হাসতে বিষম খেলাম।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
বাই দি ওয়ে, গাড়ি খুলতে গেলে, দরজায় হাত দেয়া মাত্র ঝটাক করে শক খাই, কি করবো বলুনতো।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ তানবীরা।
'শক' এড়াতে কোন ধাতব বস্তু আগে স্পর্শ করুন। যেমন চাবির গোছা।
সেইটা ছুঁয়ে নিয়ে তারপর দরজা খুলুন।
দেখেন কাজ করে কি না---
অনিকেতদা,
আমিতো চাবি দিয়েই দরজা খুলি, তাও শক খাই। আমার বাসার গেট ও লোহার, সেটাও খুলি, তাও শক খাই। যে সে শক না, মাঝে মাঝে স্পার্কও করে, নিজেরে এক্স-মেন এর মতন লাগে
লেখা কেমন হইসে সেই আলাপে যামুনা, তয় যদি আগামী পর্বে শেষ কইরা দেন, তাহলে কইলাম সাইফ ভাইরে দিয়া রাত বিরাতে আপনারে ভয় দেখানোর ব্যবস্থা করুম
অনিকেতদাএমনিতেই ভয়ে ভয়ে থাকে কখন তারে কোন ধরা খাওয়ায় দেই, সেই প্যানিকের ঠেলায় গত ২ সপ্তাহের মধ্যে আমার সাথে দএখা পর্যন্ত করে নাই। তারপরে যে থ্রেট দিস, হার্ট এটাক না করলেই হয়
আর চাবি দিয়ে বড় কোন মেটালে ডিসচার্জ না করলে কড়াৎ কইরা শক খাই, ফুলকি আমিও দেখছি। শীতকালে তো আল্লাহর ৩০ দিন শক খাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বস চাবি দিয়ে দরজা খোলার আগে শধু চাবিটা একবার ছোঁয়া দিয়ে নেবেন। চাবির রিংটা যদি পরোটাই মেটাল হয় তাহলেও একটু শক খাবেন। আর গেটের ব্যাপারে একটা স্থায়ী সমাধান হতে পারে, গেটের সাথে ধাতব কিছু একটা দিয়ে মাটির সাথে সংযোগের ব্যবস্থা করে দেয়া, যাতে গ্রাউন্ড হয়ে যেতে পারে চার্জটা।।
---নীল ভূত।
হা হা হা ,
নীল ভূতের সাথে একমত...
গেটের পাল্লাতো মাটিতেই গাড়া থাকে
বস, আমি যতোদুর জানি, শষ্ক বাতাসের সাথে ঘর্ষণের দরুন ওই সব ধাতব বস্তুতে স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এখন স্থির বিদ্যুৎ বড়ই বজ্জাত ধরণের, যেইখানে জন্মায় ওখানেই থাইকা যাইবার চায়। তাই ওরে মাঝে মাঝে গোত্তা দেয়া লাগে।
আপ্নারা খেয়াল করছেন কিনা জানি না, দেখবেন যেইসব ট্রাকে তেল মবিল নিয়া আসা যাওয়া করা হয়, তার পিছে একটা শিকল প্রায় মাটি ছুই ছুই করে ঝুলে (মাটি ছোঁয় না, ঘর্ষনে তাপ উৎপন্ন হতে পারে এই জন্য)। ওইটা দেয়া হয় যাতে ট্রাকের গায়ে যেই চার্জ তৈরি হয় তা যাতে মাটিতে যেতে পারে। নাইলে রাস্তার মাঝখানে কোন একদিন দেখবেন, বুউউউউম।।
গেট আর গাড়িতে ও একই ধরণের ঘটনা ঘটে। আশা করি বোঝাতে পারছি। না পারলে অনিকেতদারে বলেন, উনি আরো ভালো করে ব্যাখ্যাটা দিতে পারবে...
--- নীল ভূত।
অনিকেতদা তো পুরাই আগুন লাগায় দিয়া ফুট মারলেন, আশা করি তপন চৌধুরির গানটা মনে আছে। আজকে অফিসে এত ঝামেলা ছিল যে সচল খোলার সময় পাই নাই, বাসায় এসে দেখলাম, আপনার লেখা ঝুলতেছে। একই কথা আবার বলি, অসাধারন পেরিয়ে কয়েকশত মাইল পাড়ি দিয়েছে, আকাশের সব তারা নামায় এনে এখানে লাগিয়ে দিতে ইচ্ছা করতেছে।
এত সহজ করে লেখা সম্ভব, না পড়লে বিশ্বাস করতাম না, আগের পর্বকে দুধভাত লাগতেছে, আরেক পর্বে যদি লেখা শেষ করেন তাহলে কইলাম মামু লেলায়া দিমু, শাদি.কম এ আপনার নামে রেজিষ্টার করমু, তারপরে আরো যা যা কামে আবার দক্ষতা আছে, সেগুলাতো করবই। কাজেই বাঁচতে চাইলে এই সিরিজ বন্ধ করা চলবে না। লেখা যেমন মজারু হয়েছে, তেমনি তথ্যবহুল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বস অনেক ধন্যবাদ।
তুমি যে এত দৌড়াদৌড়ির মাঝে সময় নিয়ে পড়েছ, সেইজন্যেই কৃতার্থ বোধ করছি।
ভাল থাকো বস, সব সময়!
পড়লাম। বুঝলাম। জানলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
পড়ার জন্যে আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ দুর্দান্ত।
ভাল থাকুন সকল সময়
দারুণ ! দারুণ !
ধন্যবাদ ! ধন্যবাদ!
রসালো বিজ্ঞান দারুন উপভোগ করলাম । পোলাপানকে এভাবে শিখালে কত মজা পেতো ওরা ।
(দীর্ঘশ্বাসের ইমো)।
দুইলেভেলে দক্ষতা থাকলেই কেবল এমন করে লেখা সম্ভব ।
চমৎকার !
অনেক ধন্যবাদ, ইমতিয়াজ!
ভাল থাকুন, সব সময়।
লেখা চলুক। দৌড়াক।
ধন্যবাদ, বস।
আপনার ছবিটা আমাকে সব সময়ে বিমলানন্দ দেয়।
আমি নিশ্চিত আইন্সটাইন নিজে বেঁচে থাকলে তিনিও কম আমোদিত হতেন না!!
নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল।
দুর্দান্ত লেখা ভাইজান আপনার 'বিষাদের পয়গম্বর' হওয়ার কোন দরকার নেই (ও লাইনে মেলা লোক খাবি খাচ্ছে ) । আপনি এমন পয়গম্বরই হয়ে থাকুন।
ধন্যবাদ বস, সময় নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য।
আর তারচেয়ে বেশি ধন্যবাদ, আমাকে নিয়ে এমন কিছু স্নেহার্দ্র কথা বলার জন্যে।
ভাল থাকবেন বস।
শুভেচ্ছা অহর্নিশ।
বিদ্যুৎ আর চৌম্বক এইদুইটাই ছিল আমার অপছন্দের চ্যাপ্টার।
তবে পছন্দ অবশ্যই হইতো যদি কেউ আপনার মতো ব্যাপারগুলা বুঝায়া দিতো। অনেক ধন্যবাদ অনিকেতদা।
আপনি পদার্থের উপরে এরকম চ্যাপ্টার ভিত্তিক সিরিজ করে ফেলেন না। রাগিব ভাই যেমন কম্পিউটার শিক্ষার উপরে করছেন। সবার জন্যই উপকার হবে, বিশেষ করে যারা নতুন শিখছে বিষয়গুলো।
ভালো থাকবেন।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
ধন্যবাদ বস।
তোমার কথা আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাল।
শুভেচ্ছা অহর্নিশ---
(পুরো কমেন্টটাই অফ টপিক)
অনিকেতদা,
আপনাকে একটা সুখবর দিয়ে রাখি (ভাববেন না গর্ব করার জন্য বলছি, আপনাকে ভালো লাগছে তাই বলছি), আমার একটা পেপার পাবলিশ হইছে, ICDRET তে বর্জ্য জ্বালানী এবং বাংলাদেশে এর সম্ভবনার উপর।যদিও পেপার বানানোর মতো কিছুই না, কিন্তু জীবনের প্রথমতো তাই একটু আদেখ্যিতা করলাম। ১৯ তারিখ তার প্রেজেন্টেশান আছে। দোয়া করবেন কিন্তু।
---এই কথা গুলা উপরে লিখছিলাম, কিন্তু আপনি আমাকে দোয়া দেন নাই, তাই আবার বাধ্য হয়ে আরেকটা কমেন্ট করলাম।
কেন জানি আপনাকে আমার অনেক ভালো লেগে গেছে। আমার নিজের কোন বড় ভাই নাই। আপনাকে কেনো যেন বড় ভাইয়ের মতো লাগছে। আমার এই আদ্যেখিতা বড় ভাইয়ের প্রতি একটা অধিকার মনে করে নিয়েন। প্লীজ।
---নীল ভূত।
হা হা হা
সরি বস, ঐ সময় কমেন্ট করা হয় নাই।
--অবশ্যই। ইন ফ্যাক্ট তুমি যে আমারে খালু বা মামা বা চাচা গোত্রে ফেলে দাও নাই, এই আনন্দেই আজ রাতে ঘুম হবে না---হা হা হা ---
আর দোয়া'র কথা আবার বলতে হয় নাকি পাগলা?
দোয়া সব সময়ই আছে!
এত অল্প বয়েসেই পেপার-টেপার বের করে দেখি কেলেংকারী করে ফেলেছ!! আমি খুব খুশি। বিজ্ঞানে উৎসাহী এক ছোট ভাই পাওয়া---আর যে সে ছোট ভাই নয়, একেবারে পাব্লিশড অথর---এইটা বিশাল ঘটনা!!
আমি আসলেই খুব খুশি, নীল ভূত!!
ভাল থেকো।
শুভেচ্ছা অহর্নিশ!!
আপনি দেশ এ আসলে অবশ্যই আপনার সাথে আমি দেখা করব... আর ধন্যবাদ , আমার অত্যচারটুকু সহ্য করার জন্য।
--- নীল ভূত।
- ভয়ানক আনন্দ নিয়ে এই পর্বটাও পড়ছি গতকালকে। এই সিরিজটা আরও বড় হলেও ক্ষতি নাই অনিকেত'দা। চালিয়ে যান।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধু গো-ও-ও-ও
থ্যাঙ্কু বস, লেখাটা সময় করে নিয়ে পড়ার জন্য---
মিউজিক্যাল র্যাটের নতুন পর্ব কবে আসছে???
দাদা, প্রথমে স্যালুট আপনাকে। কারণ তো বলার কিছু নেই, উপরে সবাই বলে দিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, অনুরোধ রইলো এ লেখাগুলো প্রিন্ট মিডিয়াতে দিন, বই বের করতে পারলে আরো ভালো।
তৃতীয়ত, আবারো অনুরোধ, জনপ্রিয় বিজ্ঞানবিষয়ক লেখালেখি চালিয়ে যান। আমাদের দেশে এই সাহিত্যের ভীষণ অভাব। জনপ্রিয় বিজ্ঞানের লেখা পড়ে যে কিশোর বড় হবে, তার মাথায় অবিজ্ঞানের ভূত ঢুকার সম্ভাবনা অনেক কম।
ধন্যবাদ আরাফাত লেখাটা পড়া এবং মন্তব্য করার জন্যে।
আপনার পরামর্শটা মাথায় রইল।
ভয়ানক। পুরাই মুরিদ হইয়া গেলাম!
নতুন মন্তব্য করুন