আমাদের ব্লগীয় সংস্কৃতি

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: মঙ্গল, ২৩/০৩/২০১০ - ৮:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কড়া কথা বলে ফেলতে পারাটা একটা গুনের পর্যায়ে পড়ে বলে শুনেছি।
আমি মনে করি না আমার মাঝে সেই গুনটা তেমন পরিমানে আছে। আমার শক্তির একটা বড় অংশ নষ্ট হয় কথা পালিশ করে বলতে গিয়ে। এতে কথা গুলো শুনতে ভালই শোনায়---কিন্তু সেইসব কথার কৃত্রিমতাটাও কানে বাজে।
রুঢ় আচরন করতে পারাটাও নাকি একটা গুণ। আমার মাঝে এই গুনটাও খুব বেশি পরিমানে নেই।আমার মাঝে মাঝে মনে হয়,রুঢ় আচরণ করতে গেলে যে সাহসটুকুর দরকার আমার সেটা নেই বলেই আমি রুঢ় হতে পারি না।
আজ আমি আমার এই দুই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব এই লেখাটায়।এই লেখাটা অনেকেরই ভাল লাগবে না।এবং আমি নিশ্চিত অনেকের কোপানলে পড়তে যাচ্ছি আমি। কিন্তু কারও না কারো এই কথাগুলো বলা দরকার ছিল। আমি আপনাদের সকলের ক্ষোভ মাথা পেতে নেবার জন্যে প্রস্তুত।

আমার কথাগুলোর বেশির ভাগই হবে সচলায়তনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। যারা এর মাঝেই এসব ক্যাচাল শুনে শুনে তিতিবিরক্ত তাঁদের কাছ থেকে আমি মাত্র কিছু মুহূর্ত ধার করে নিতে চাই। আর চাই একটু মনোযোগ।

বিগত কয়েক মাসে সচলায়তনে কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে যেগুলো আমাদের অনেকেরই মনের শান্তি নষ্টের কারণ হয়েছে। আমি সচলায়তনের একজন সামান্য ব্লগার। নিজেকে এই লেখক গোষ্ঠির একজন ভাবতে খুব ভালবাসি। আরো বেশি ভালবাসি এই সচলায়তনটা কে নিজের বর্ধিত পরিবার বলে ভাবতে।আমি জানি পরিবারের সদস্যদের মাঝে মাঝেমধ্যেই ভুল বুঝাবুঝি হয়,মান-অভিমান হয়,রাগারাগি হয়। মাঝে মাঝে কথা বন্ধ হয় একে অন্যের সাথে। যেমন অতি সম্প্রতি মাহবুব মুর্শেদের সাথে একটা বাহাসে আমি নিজে জড়িয়ে পড়েছিলাম। আমি সাধারনতঃ রাগারাগি না করলেও সেদিন কোন এক কারণে আমার ভেতরের ছোটলোকটা বেরিয়ে এসেছিল। আমি মুর্শেদকে একটা ব্যক্তিগত মেইল করি যেখানে তাঁকে বলি আমার কোন লেখায় উনি যেন কোন কমেন্ট না করেন।মুর্শেদ আমার এই চন্ডাল মূর্ত্তি দেখেও নিজেকে সংবরন করেন এবং ফিরতি মেইলে
জানান যে উনি আসলে আমাকে ক্ষিপ্ত করে তোলার কোন উদ্দেশ্যে কোন কথা বলেন নি। যে কথাগুলো পড়ে আমি অগ্নিশর্মা হয়েছিলাম, সেগুলো ছিল নিছকই নির্দোষ ফাজলামো।এরচেয়ে গুরুতর মাত্রার ফাজলামী আমি অহরহ মানুষের সাথে করি। যাই হোক, মুর্শেদ একজন অত্যন্ত ভদ্র মানুষ বলেই তিনি আমার এই চামারের মত আচরণ মেনে নেন এবং আমার লেখায় কমেন্ট করা বন্ধ করে দেন।আমার রাগ পড়তে বেশি দিন লাগেনি। কিন্তু এর পরবর্ত্তী আত্মদংশনের জ্বালা কমছিল না কিছুতেই।মুর্শেদ আমার লেখায় কমেন্ট করা বন্ধ করে দিলেও আমি উনার লেখায় কমেন্ট করেছি। ভেবেছি, যদি তারো রাগটা পড়ে যায় তাহলে হয়ত আমাকে কিছু বলবেন আর সেই সুযোগে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।আরো একটা উপায় ছিল। সেটা হল আবারো তাঁকে ব্যক্তিগত ইমেইল করে মাফ চাওয়া। কিন্তু আমি চাইছিলাম নিজেকে শাস্তি দিতে। চাইছিলাম সবার সামনে তাঁর কাছে আমার দুর্ব্যবহারের জন্যে ক্ষমা চাইতে।অতি সম্প্রতি আমি সে সুযোগ পেয়েছিলাম---আড্ডাঘরের সৌজন্যে। সেখানে আমি সবার সামনে তার কাছে আমার কৃতকর্মের জন্যে মাফ চেয়েছি। পরে জিটকেও মাফ চেয়েছি।

মুর্শেদ আমাকে ক্ষমা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
বিগত কয়েক মাসে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যা আমার মনে গভীর ভাবে দাগ কেটেছে। আমি নীচে এক এক করে সেগুলো উল্লেখ করব। এই তালিকাটা অবশ্যই কালানুক্রমিক নয়। এবং এই ঘটনাগুলো ছাড়াও আরো অনেক ঘটনা নিশ্চয়ই ঘটেছে যা আমার নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে।কাজেই কোন ভাবেই এই লিস্টিটা পুর্নাঙ্গ কিছু নয়। বরং একে সাম্প্রতিক সচলায়তনে ঘটে যাওয়া কিছু অনাকাংখিত ঘটনার স্ন্যাপশট ধরে নিতে পারেন।

স্ন্যাপশট ১:
সিরাত কাহিনী।সিরাত কে আমার কখনোই কুটিল কোন মানুষ বলে মনে হয় নি। বরং মনে হয়েছে ঠিক তার উলটো। আমার মনে হয়েছে সে বেশ ‘নাইভ’। হ্যাঁ, এইটা সত্যি যে হঠাৎ হঠাৎ তার লেখার স্রোতে জোয়ার আসে। হ্যাঁ, এইটা সত্যি যে তার ওই হঠাৎ আসা ‘ব্লগোচ্ছাসে’মাঝে মাঝেই আমাদের নীড়পাতা টালমাটাল হয়েছে। হ্যাঁ, এইটাও সত্যি যে তার লেখা শুরুতে খুব গোছালো ছিল না,প্রচুর ইংরেজী শব্দ থাকত,থাকত বানান ভুল।এইটা নিয়ে লোকজন মাঝে মধ্যেই তার উপর চড়াও হত। আমি নিজেও ওই বাহিনীর একজন ছিলাম।সিরাত প্রথমে আমাদের কথা আমলে না নিলেও শেষের দিকে তার লেখার বিস্ময়কর রকমের উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু এরই মাঝে ঝামেলা পাকাল সে।সবাই কেমন যেন ফুঁসে উঠলেন তার বিরুদ্ধে। একের পর এক বাক্যবানে জর্জরিত করা হল তাঁকে। ফলাফলঃ অনেক দিন আমরা তার কোন লেখা পাই না।যত যাই হোক, সিরাতের মত এত বহুধা-বিচিত্র বিষয় নিয়ে সচলায়তনে কেউ লেখে না। এখন আমরা সেইরকম লেখা আর পাই না।
স্ন্যাপশট ২:
নাভিদ সালেহ নামের একজন অতিথি এখানে একটা লেখা দিলেন।আমাদের ইশতির চেনা এই ভদ্রলোক।সে বেচারা ভদ্রলোককে রীতিমত ধরে-বেঁধে নিয়ে এসেছিল সচলায়তনে।দেখা গেল আমরা সবাই খেপে উঠলাম তার লেখাটা নিয়ে। মধ্যমমানের মানুষের সীমাবদ্ধতা আর আসল প্রতিভাবানদের অভাব এই নিয়ে বোধকরি লেখাটা ছিল। আমাকে স্বীকার করতে হবে যে লেখাটা খুব সহজপাচ্য হয়ত ছিল না কিন্তু কোন একটা কারণে দেখা গেল আমরা সবাই খুব অপমানিত বোধ করছি এই লেখা নিয়ে। হয়ত মনে করেছিলাম আমাদেরকে ‘মধ্যম’ মানের লেখক বলে তিনি উপহাস করছেন! ব্যস আমরা তাঁকে ছিড়ে-খুড়ে দিলাম। কিছু কিছু সচল, যারা ভদ্রলোককে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন, তারা একটু পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করতে গিয়ে শেষে নিজেরাই তোপের মুখে পড়ে গেলেন।ভদ্রলোক নীরবে প্রস্থান করলেন। রেখে গেলেন একরাশ উচ্ছ্বসিত ‘বিজয়ী’ সচল আর কিছু অপমানিত মুখ।

স্ন্যাপশট ৩:
কামরুজ্জামান স্বাধীন নামের এই ভদ্রলোকটি সচলায়তনে এক নিয়মিত রসিকতার জোগানদার। তার দূর্বল বাক্যগঠন, নাম ভাড়িয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং আরো অন্যান্য ‘গুরুতর’ অপরাধের মাসুল হিসেবে আমরা তাকে পাঞ্চিং ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার শুরু করলাম। এই লোকটি মাঝে মধ্যে এর প্রতিবাদ করতেন। এতে আমরা আর মজা পেয়ে গেলাম।বিপুল উৎসাহে ঝাপিয়ে পড়লাম তাকেও ছিন্নভিন্ন করে দিতে।

স্ন্যাপশট ৪:
আশরাফ নামের আরো এক অতিথি এখানে লিখতেন। ভদ্রলোক বাংলাদেশ বানানটা ‘বাঙলাদেশ’ হিসেবে লিখেছিলেন।আমরা তেড়ে ফুঁড়ে তাকে চেপে ধরায় তিনি বললেন যে আসলে ওইভাবে লিখলে শব্দটা তার কাছে অনেক ‘কোমল’ শোনায়। ব্যস, এই কথাটাও মাটিতে পড়ার সুযোগ পেল না। শুরু হয়ে গেল তাকে নিয়ে নানান ধরনের মশকরা।‘কোমল’ শব্দটা নানান ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উচ্চারণ করিয়ে তাকে অপদস্থ করার চেষ্টা চলতে লাগল। এ সমস্ত দেখে আমার মনে হল আমি আবার হাইস্কুলের জীবনে ফেরৎ গিয়েছি ----অপরিপক্কতা আর নিষ্ঠুরতা যে সময়টা শাসন করত এবং আমরা কত অনায়াসে নির্দয় আচরণ করে যেতাম বন্ধুদের সাথে। অজুহাতটার নাম ছিল ‘ইয়ার্কি’!
এরকম আরো অনেক উদাহরণ হয়ত আমি দিতে পারি। এর কিছু কিছু উদাহরণে আমি নিজে অংশ নিয়েছি। কিছু কিছু উদাহরণে আপনি আছেন। আর কিছু কিছু উদাহরণে আছি আমরা সবাই।

আমার কখনোই মনে হয় নি সচলায়তন আসলে বিরুদ্ধ মতের ব্যাপারে সহনশীল। এইটা একটা নির্দিষ্ট শ্রেনীর চিন্তাচেতনার ধারক,বাহক ও প্রকাশক।সচলে অন্যান্য অনেক বিষয়ের সাথে আরো একটা বিষয়ের উপর ভীষন জোর দেয়া হয়---সেটা হল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ।এই জিনিসটা আমি নিজেও খুব উপভোগ করতাম। এক ধার থেকে মৌলবাদীদের আমরা চামড়া ছিলি। একজনে ছিলি।বাকীরা তারিয়ে তারিয়ে সুখ নেই।রাজাকারদের গুষ্ঠি উদ্ধার করি।
এসবই ঠিক ছিল। সবাই একসাথে এই সুখ ভাগ-বাটোয়ারা করে নিতাম।কিন্তু আমি খুব অস্বস্তির সাথে খেয়াল করা শুরু করলাম যে আমাদের স্বদেশপ্রেমটা ধীরে ধীরে উগ্র স্বদেশ প্রেমের দিকে মোড় নিচ্ছে।যে কোন কিছুর উগ্রতাই পরিতাজ্য। সেটা ধর্মের ক্ষেত্রে হোক কী স্বদেশের ক্ষেত্রে।আমার মনে হতে লাগল আমরা আসলে নিজেদের এক ধরনের অসুস্থ ‘পজিটিভ ফিডব্যাক’ দিচ্ছি।আমাদের আচার আচরনে সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফ্যাসিস্ট ইতালী বা নাৎসী জার্মানীর বেশ মিল পাওয়া যাচ্ছে (জানিনা এই কথাটা বলে আরো কত জনের হাসির খোরাক হলাম!)।

অল্প কিছুদিনের মাঝে আমরা মোটামুটি এইটা ধার্য্য করে দিলাম যে আপনি যদি সচলীয় রীতিতে স্বদেশপ্রেমী না হোন তাহলে আপনি একটা ছাগু!এইটা মোটামুটি অবধারিত। এই বিষয়ে সামান্যতম ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমার্হ নয়। এইটা হল অনেকটা এইরকমঃ হয় আপনি বরাহশিকারী নয় ছাগু।মাত্র কয়েক বছর আগে এক মর্কট এই জাতীয় ভাবধারার প্রকাশ ঘটিয়েছিল। আমরা তখন খুব মাথা নেড়ে বলেছিলাম এই বাঁদরের জন্যেই পৃথিবীটা উচ্ছন্নে গেল।উগ্র স্বদেশ প্রেম আমাদের অন্ধ করে দিল। দেশটার জন্যে আসলে কী করা যায়, সেসব ভাবনা নিয়ে চিন্তিত খুব কমই।কাল্পনিক ছাগুনিধন আর বরাহ শিকারের যুদ্ধংদেহী রণহুংকার থেকে থেকে আমাদের প্রাঙ্গনকে প্রকম্পিত করতে লাগল। ভাবে মনে হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সহ সারাদেশের মৌলবাদীদের হাতে এইবার লোটা ধরিয়েই ছাড়ব।

এই ধারার সর্বশেষ সংযোজন গত কালের এই পোষ্টটি। সচলায়তন আরো একটি ব্লগ ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা বিদ্রোহী দল।আমি নিশ্চিত দুই পক্ষেই যথেষ্ট কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে। সচলায়তনের শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি অন্যান্য ব্লগ সাইটের চোখ টাটাতে থাকল। আমি অবাক হয়ে দেখলাম এক ধরনের বালখিল্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে গোটা জিনিসটা নিয়ে।মাঝখানে মনে হয় এক রকমের ‘সেরা ব্লগ’ জাতীয় প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।গত কালের মুর্শেদের পোষ্ট পড়ে দেখলাম সেখানে এক অতিথি খোঁচা মেরে আমাদের জিজ্ঞেস করছেন প্রতিযোগিতার ফলাফল। তাকে আবার পালটা খোঁচা দিয়ে উত্তর দিয়েছে হিমু।

যাই হোক, যা বলছিলাম। পোষ্টটা ছিল সুমন রহমান নামের এক ভদ্রলোকের মুভি রিভিউ নিয়ে। ভদ্রলোক দেখা গেল, ছবি না দেখেই ছবি নিয়ে বেশ একটা রিভিউ ফেঁদে বসেছেন।সেইটা নিয়ে মুর্শেদ এই পোষ্ট দিয়েছিলেন। অদ্ভূতরকমের হাস্যকর পরিস্থিতি। পরে আরো জানতে পারলাম এই সুমন রহমান নাকি একজন প্রথিতযশা কবি,গাল্পিক ইত্যাদি ইত্যাদি।কিন্তু সেসবের চাইতে বড় হয়ে উঠল সচলায়তন নিয়ে তার করা অতীতের কিছু বক্রোক্তি। ভদ্রলোক সচলায়তনকে বলেছেন শিক্ষানবিসদের চারণ ক্ষেত্র,নব্য যশোপ্রার্থী লেখকদের প্রজননভূমি। আপত্তিকর মন্তব্য নিঃসন্দেহে।কিন্তু তাতে এত খেপে ওঠারই বা কি আছে? আমরা শিক্ষানবিস? ঠিক আছে। আসলেই তো আমরা শিক্ষানবিস। আমরা সবে শিখছি।তাতে অসুবিধা কোথায়?? আমরা না শিখে যদি বারফট্টাই করতাম তাহলে সেটা দোষের হত। যাই হোক, সুমন রহমান নিঃসন্দেহে সচলের একজন চিহ্নিত শত্রু। কাজেই তার এহেন পদস্খলনের কাহিনী ফলাও করে প্রচার না করাটাই আশ্চর্যজনক হত।
এবং স্বস্তির বিষয় হল,আশ্চর্যের কোন ঘটনা ঘটেনি।
তার বদলে যেটা হল, সেটা খুব দুঃখজনক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ চাচার ছেলে জিফরান এসে পোষ্টটা নিয়ে আপত্তি জানায়। ব্যস, অগ্নিতে ঘৃতাহুতি।দেখা গেল অচিরেই আমরা তাকে কেবল ছাগু-টাগু বানিয়ে ক্ষান্ত হলাম না। তাকে গো আযম, নিজামীদের সাথে তুলনা করা শুরু করলাম। সে বলেছিল, সুমন রহমান একজন বাটপাড় হতে পারেন, কিন্তু তাঁর কিছু কবিতা/গল্প তার প্রিয়।
হৈ হৈ করে উঠলাম সবাই।জিফরান বেশ কিছুখন শান্ত ভাবে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে শেষে ক্ষান্ত দেয়। কিন্তু বিষোদ্গার অব্যাহত থাকল। এরই মাঝে মামুন ভাই প্রায় একই টাইপের মন্তব্য করে ধু গো-র রোষানলে পড়লেন। দেখলাম তাকেও চট করে গো আযম আর নিজামীর সাথে তুলনা করা হয়ে গেল।
সবার শেষ শিকার এবং সম্ভবত সবচাইতে দুঃখজনক শিকার আমাদের সবজান্তা। সবজান্তা সব জানার কথা থাকলেও সে এইটা জানত না যে এখানে প্রথাগত উচ্চারণের বিরুদ্ধে কথা বলাটা অনুচিত। তার ফল হাতেনাতে পেল।
আমি সচলায়তনে যে ক’টি ছেলেকে খুব আপন করে ভাবি---ধু গো তাদের অন্যতম।অফুরান প্রাণ,ভীষন রসিক এই ছেলেটি নিঃসন্দেহে সচলায়তনের সব চাইতে জনপ্রিয় কিছু লোকের একজন। আমি তাজ্জব হয়ে দেখলাম অন্য এক ধু গো কে।
আমার মনে হল এই ধুগো কে না দেখলেই ভাল হত। আমি বিভিন্ন সময় দেখেছি ধুগো এবং হিমু কে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এইসব পরিস্থিতিতে নেমে পড়তে।তারা দুইজনেই প্রচুর মুখখারাপ করে। যখন যুক্তি দিয়ে পোষায় না তখন তারা মুখ খারাপের আশ্রয় নেয়। এবারো সেটার অন্যথা হল না।সবজান্তাকে পই পই করে বুঝিয়ে দেয়া হল তার অজ্ঞতার কথা।ছেলেটা শুদুমুদু শুনলো এক গাদা বাজে কথা, যেটা তার কখনোই শোনার কথা না।
এ পর্যন্ত যা বললাম, সবই আপনারা জানেন। সবই ঘটেছে আপনার আমার সবার সামনে। দিনের পর দিন এখানের পরিবেশ হয়ে উঠছে বৈরী।এখানে এখন কিছু প্রচলিত গালির মাঝে সম্প্রতি গুঁতোগুঁতির শীর্ষে রয়েছে ‘সুশীল’ শব্দটি।আমার অব্জারভেসান হল, আপনি সচলীয় রীতি মাফিক কথা না বললেই আপনি একজন ‘সুশীল’। সচলে আমার জানা মতে সব চাইতে বেশি বক্রোক্তি করে হিমু।হিমুর সাথে আমার কখনো ঝগড়া হয়নি। কিন্তু মনে হল ঝগড়ার গাছটা আমি এই মাত্র পুতঁলাম। হিমুর গুনের সীমা নেই।কিন্তু সে স্পষ্টতই একজন মাথা গরম লোক।তার ধ্যান ধারণার বিপরীত কোন মতকে সে সহজ ভাবে নেয় না। সেইটা অনেকেই পারে না। আমিও পারি না। তবে হিমু যেটা অহরহ করে সেটা হল সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে অহেতুক শ্লেষ আর ব্যঙ্গের আশ্রয় নেয়। তার বেশ ক’টি বাঁধাধরা জবাবের মডেল হচ্ছে খানিকটা এই রকমঃ ওহ, আপনি বলছেন আমি অমুক জিনিসটা কেন করছি না? ভাই আপনি আগে গিয়ে করে দেখান, তারপর আমরা দল বেঁধে আপনার পেছনে দাঁড়াব।হাস্যকর রকমের যুক্তি! কিন্তু কোন কারণে এইটা তার কাছে কখনোই হাস্যকর মনে হয় না।এই রকম একটা প্রতিভাবান ছেলের এইরকম একটা অপচয়!

আমি একটু আগেও যেমন বলেছি---হিমুর চাইতেও আমি বেশি দুঃখ পেয়েছি ধুগোর আচরণে। এবং আমি আজ অনেকখন ভাবার চেষ্টা করেছি শেষ কবে আমি হিমু বা ধু গো-কে তাদের আচরনের জন্যে ‘দুঃখিত’ বলতে শুনেছি।উত্তরটা হল, কখনোই না। আমার এই উত্তরটা ভুল প্রমানীত হলে আমার চেয়ে খুশি কেউ হবে না। সচলে একমাত্র একজন মাথা গরম লোককে আমি জানি যে মাথা গরম করলেও পরক্ষণেই সে মাফ চেয়ে নেয়—না আমি নই। সে লোকটা হলেন মুর্শেদ।তাকে আমার আন্তরিক অভিবাদন।

আমি সনির্বন্ধ অনুরোধ করব হিমু এবং ধুগো কে তাদের আচরণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার জন্যে।মাঝে মাঝে ক্ষমা চাইলে নিজেকে ছোট করা হয় না, বরং উল্টটাই হয়।
আমি আমার শেষ অনুরোধ রাখব শুভাশীষ’দা-র কাছে। আপনি দয়া করে বাচ্চাদের মত আচরন করা বন্ধ করুণ। আপনি যেভাবে আশরাফ সাহেবের ‘কোমল’ শব্দ এবং রিয়াজ ভাইয়ের ‘হেজিমনি’ নিয়ে বালখিল্যতায় মেতে উঠেছিলেন---সেইটা শুধু আপনি নন, আমাদের কাউকেই মানায় না।

আমি কখনোই ভাবিনি আমাকে এইরকম একটা লেখা দিতে হবে।আমি নিশ্চিত এই এক লেখা দিয়ে আমি নিজেকে সচলায়তনের সবচাইতে বড় শত্রুদের একজনে পরিনত করলাম।আজকের পর থেকে আমাকে সুশীল ছাগু সহ এতদ সংশ্লিষ্ট আর নানান বিশেষনে ভূষিত করা হবে।
হোক।
কিন্তু সব কিছুর পরও একবার শুধু নিজেকে জিজ্ঞেস করে দেখেন--- এই যে সংস্কৃতি আমরা লালন করছি সচলায়তনে এইটা কতটুকু স্বাস্থ্যকর।
সবার শেষে আমার নিজের ক্ষমা চাওয়ার পালা।
আমি নাম উল্লেখ করে কথা গুলো বলতে চাই নি। আমি চাইলেই উদ্দিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ইমেইল করে ব্যাপারগুলো জানাতে পারতাম। সেটা করিনি এই জন্যে যে, এই জিনিসগুলো আমাদের বাকি সবারও জানা দরকার।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে হিমু ধুগো এবং শুভাশীষ’দার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
এবার আমি আপনাদের সমালোচনা শোনার জন্যে প্রস্তুত।


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনরা লেখা পড়লাম। একটু অবাক হয়েছি। কিছু কথা বলার আছে। একটু সময় নিয়ে বলি। বির্তকিত বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।
ভাল থাকবেন।

রেনেট এর ছবি

অনেকদিন ধরে মাথায় ঘুরতে থাকা বিচ্ছিন্ন চিন্তাগুলো সুন্দর করে একসাথে বলে দিয়েছেন।

সচলদের অপরিপক্ক আচরন ক্রমে ক্রমে বেড়েই চলেছে। এরকম অসহিষ্ণু সচলায়তনের প্রেমে আমি পড়িনি।

শুভবুদ্ধির উদয় হোক সবার।

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পড়লাম। না বস্‌, আমার ভুল হলে আমি ক্ষমা চেয়ে নেই।

কোমলতা নিয়ে আমি বেশিদূর এগোই নি। আপনার কাছে বালখিল্য মনে হলেও আমি যখন কমেন্ট করেছি আমার সেইরকম মনে হয়নি। মনে হয়েছিল এভাবে একটু স্যাটায়ার না করলে কিছু করা যাবে না।

রিয়াজ আমার ব্যাচের ছাত্র। ওর সাথে আমার মেইলে যোগাযোগ আছে। হেজেমোনি রিয়াজের কাছ থেকে আমি পিক করি নাই। এই শব্দটা ব্লগীয় না আন্তর্জাতিক স্ল্যাঙ্গাত্মক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার উদ্দেশ্য ঠিকাছে। তবে বিপরীতের ব্যাপারগুলো কিছুটাও না আনলে বিশ্লেষণ একতরফা হয়ে যায়।

আপনার আর আরো যাঁদের কাছে আমার আচরণ বাচ্চাদের মতন লেগেছে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

অনিকেত এর ছবি

শুভাশীষ'দা,
লেখাতে ক্ষমা চেয়েছি একবার।
এখন আবারো চাইছি। আমার মন্তব্য আপনাকে আহত করেছে আমি নিশ্চিত।
কিন্তু আপনি যেভাবে আমার সমালোচনা গুলো গ্রহন করেছেন সেটাতে কেবল আপনার মহত্বই প্রকাশ পায়।

আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে হাত জোড় করে ক্ষমাপ্রার্থী।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমার আগের কমেন্টটা ঠিক স্পষ্ট করতে পারিনি বোধহয়। আপনি যে দুইটা ইস্যুতে আমার বাচ্চাপনা দেখেছেন, আমার নিজের কাছে সেটা মনে হয় নি। সঠিক মনে হয়েছে বলেই মন্তব্য করে জানিয়েছি। আশরাফ মাহমুদের ঙ দিয়ে বাংলাদেশ বানান লেখা নিয়ে আমার বিরক্তি আমি তাঁর কয়েকটা পোস্টে গিয়ে জানিয়েছি। কোমলতার দোহাই দেওয়ায় শ্লেষ না করে আর পারিনি। আমার আচরণ খারাপ লাগল, অথচ উনার ত্রিভুজীয় আচরণে রা করলেন না। এটা একপেশে লাগল। সময় সুযোগ বুঝে আশরাফ মাহমুদের বিশালহৃদয় মানুষ সেজে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আমি নিকুচি করি। সরি। আবার কড়া কথা হয়ে গেল।

আর হেজেমোনির ব্যাপারটা নিয়ে তো বললাম-ই। সেটাও আপনি একতরফা আমার ঘাড়ে চাপালেন। যাই হোক এটা মানি আমি ভুলে-শুদ্ধে মানুষ।

অন্য একটা বিষয়। যেখানে যেখানে আপনার আপত্তি সেখানে জানালেই আপনার বক্তব্য স্পষ্ট থাকে, সব মিলিয়ে একটা উপপাদ্য তৈরি করে কয়েকজনকে আসামী করলে প্রপাগাণ্ডা বলে ঠাউর হয়।

তবে শেষ পর্যন্ত আমি আপনার উদ্দেশ্য অসাধু বলার সাহস পাই না। একটু সচেতন হওয়ার দরকার আছে। মন্তব্যে। কাজে।

ভালো থাকুন। সচল থাকুন। সচল রাখুন। হাসি

মামুন হক এর ছবি

অসহিষ্ণুদের মধ্যে আমিও একজন। কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী এবং ভবিষ্যতে আচরণ শুধরে নেবার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কিছু কথা এসেছে যেগুলোর সাথে আমার অবজারভেশন অনেকাংশে মেলে। সেগুলো আমি মেইলে স্ব-স্ব ব্যক্তিকে জানাবো। আপনার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার উল্লিখিত বেশ কয়েকটা বিষয়ে আমার অবস্থান আমি সময়ে সময়ে কয়েকটি মন্তব্যে এবং কয়েকটি মেসেজে কাউকে কাউকে জানিয়েছি। আশা করি আমি এবং আমরা সবাই নিজেদের সীমাবদ্ধতাগুলোর দিকে আরেকবার দৃষ্টি দেবো এবং সেখানে প্রশ্নবিদ্ধ কিছু থাকলে তার নিরাময়ের চেষ্টা করে যাবো।

সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু তাকেই করা উচিত যে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়। আমি আমার সীমাবদ্ধতা অনেকটাই জানি, তবুও আমার কোন ভুল আপনার চোখে পড়লে দয়া করে আমাকে জানিয়ে দেবেন।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ পিপি দা

হিমু এর ছবি

১.
মন্তব্য করতে গেলে দেখি পেইজ রিফ্রেশ হচ্ছে, তাই ছোটো করে একটা কথা জানাই।

সুমন রহমান তার সেই উপসম্পাদকীয়তে আমাদের শিক্ষানবিশ বলেছেন কি বলেন নাই, তারচেয়ে গুরুতর ব্যাপার যেটা ছিলো, অস্বাভাবিক সেনা সমর্থিত সরকারকে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন আমাদের শায়েস্তা করতে, কারণ আমরা নাকি রাজাকার খুন করার জন্য চাঁদা তুলছিলাম সচলে। আপনি বোধহয় সচলে তখনও আসেননি, তাই ব্যাপারটা জানেন না। জানলে হয়তো কিছু রোষের ব্যাপার বুঝতে আপনার সুবিধা হতো। আমরা এই প্রসঙ্গটা তুলি না তেমন, কিন্তু রোষের কারণ মূলত সেটাই, একটা বিশ্রী গুজবকে ফ্যাক্ট বানিয়ে অ্যামবুশ করার জন্য। শিক্ষানবিশ প্রসঙ্গটা ব্যাপারটার আরো হালকা পার্ট, সম্ভবত বিদ্রুপের সুবিধার জন্যেই বহুলব্যবহৃত।

২.
আপনার পর্যবেক্ষণগুলোর পাশে আমি দাঁড়াতে রাজি আছি। হয়তো আমরা ক্রমশ অসহিষ্ণু হয়ে যাচ্ছি। হয়তো আমাদের মাঝে মাঝে পুরনো পোস্টে নিজেদের আচরণ আবার দেখা দরকার। আমি মাঝে মাঝেই পুরনো পোস্ট পড়ি, এবং স্বীকার করতে লজ্জিতও নই যে আমার আচরণ উগ্র।

কিন্তু আপনার স্ন্যাপশটগুলোর পাশে আমাকে রেখে যে অভিযোগ আপনি করলেন, তা আমার জন্যে অস্বস্তিকর। আমি স্বস্তিবোধ করতাম যদি আপনি প্রয়োজনে আমার মুখ খারাপ করা বা "যুক্তিতে না পেরে গালির আশ্রয়" নেয়ার কিছু স্ন্যাপশট দিতেন। সেটা বোধহয় আমার নিজের জন্যে আরো উপকারী হতো। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, আপনার উল্লেখিত পাঁচটি স্ন্যাপশটেই আমি একজন মুখ খারাপকারী গুণ্ডা। আমার স্মরণশক্তি মন্দ নয়, আপনার অভিযোগকে তা সমর্থন করে না।

সচলায়তনে আমি বহুবার মুখ খারাপ করেছি, কিন্তু "যুক্তিতে না পেরে" করেছি, এরকম উদাহরণ আমি নিজে দেখতে উৎসুক। আপনি আমাকে সময় দিন, আরো কিছু স্ন্যাপশট দিন এমন।

আমি আরো লক্ষ্য করলাম, আমাদের সবাই আশা করি, আমরা সমালোচনা করবো নিরুত্তর পরিবেশে। যেখানে সমালোচনার কোনো সমালোচনা আসবে না। যদি আসে, তবে সেই পাল্টা সমালোচনা একটি নিন্দনীয় ব্যাপার হিসেবে গণ্য হবে। এর কারণ কী? আপনি বলছেন আমি সমালোচনার জবাবে ব্যঙ্গ বা শ্লেষ দিয়ে উত্তর দেই, যেন আমাকে করা সমালোচনাগুলো থাকে নির্বিষ ও নিরীহ, এবং আমার উত্তর থাকে যুক্তিরহিত। আপনি কিছু স্ন্যাপশট দিন প্রয়োজনে।

আপনি যে উদাহরণটি দিয়েছেন,

তবে হিমু যেটা অহরহ করে সেটা হল সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে অহেতুক শ্লেষ আর ব্যঙ্গের আশ্রয় নেয়। তার বেশ ক’টি বাঁধাধরা জবাবের মডেল হচ্ছে খানিকটা এই রকমঃ ওহ, আপনি বলছেন আমি অমুক জিনিসটা কেন করছি না? ভাই আপনি আগে গিয়ে করে দেখান, তারপর আমরা দল বেঁধে আপনার পেছনে দাঁড়াব।হাস্যকর রকমের যুক্তি!

আমি একে "আপনি আচরি ধর্ম অন্যেরে শিখাও" বলে জেনেছি এবং এর চর্চা করতে চেষ্টা করি। এটি কেন হাস্যকর, আমি বুঝতে পারিনি। আশা করি আপনি আমাকে আলোকিত করবেন।

আপনি আর আমি ভিন্ন টাইম জোনে থাকি, আর অন্যদিকে ধূসর গোধূলি আমার টাইম জোনে থাকে, এবং মাঝে মাঝে আমার মতো রাত জাগে, ফলে একটি পোস্টে কাছাকাছি সময়ের ব্যবধানে আমাদের মন্তব্য দেখা যায়। একই ঘটনা আরো কয়েকজনের মধ্যে ঘটতে পারে। তার মানে এই না, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কিছু করছি। আমি আপনার এই পর্যবেক্ষণে খুবই বিমর্ষ বোধ করেছি।

আর একটা ব্যাপার, জিফরান খালেদের বক্তব্যকে তার পিতৃপরিচয় জেনে বিচার করি না আমি। বোধহয় সেটা জিফরানেরও কাম্য না। আর সুমন রহমানকে যতবার জিফরান আড়াল করবার চেষ্টা করবে, আমি বিশ্বস্ততার সাথে জিফরানকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবো।

৩.
সুমন রহমান সম্পর্কিত পোস্টে আমার কোনো বক্তব্যের জন্যে আমি তিলেকমাত্র লজ্জিত, দুঃখিত বা অনুতপ্ত নই।

অন্যত্র কেউ আমার কোনো বক্তব্যে আঘাত পেয়ে থাকলে সেই পোস্টে মন্তব্য করুন, আমি জায়গামতো দুঃখ প্রকাশ করে আসতে প্রস্তুত।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অনিকেত এর ছবি

হিমু,

তোমার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

আপনি বোধহয় সচলে তখনও আসেননি, তাই ব্যাপারটা জানেন না। জানলে হয়তো কিছু রোষের ব্যাপার বুঝতে আপনার সুবিধা হতো।

---এইটা ঠিক কথা।

আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, আপনার উল্লেখিত পাঁচটি স্ন্যাপশটেই আমি একজন মুখ খারাপকারী গুণ্ডা। আমার স্মরণশক্তি মন্দ নয়, আপনার অভিযোগকে তা সমর্থন করে না।

আমার লেখার উদ্দেশ্য এমন ছিল না হিমু। তোমাকে গুন্ডা হিসেবে দেখানোর জন্যে তো নাইই। স্মরণশক্তি আমারো মন্দ নয়(যদিও বুড়ো হয়ে যাচ্ছি বলে হয়ত তাতে মরচে ধরতে পারে)।

আমি তোমার সব ক'টি প্রশ্নের এক এক করে জবাব না দিয়ে একটা জেনারেল জবাব দিই?

তোমার সম্পর্কে যে অভিযোগ গুলো তুলেছি আমি, আমি সেগুলো বানিয়ে বলিনি, বিশ্বাস কর। হয়ত তুমি নিজের ক্ষেত্রে ব্যাপারগুলো টের পাও না। সেটা হতেই পারে। তোমার একজন সহযোদ্ধা এবং বন্ধু হিসেবে আমার মনে হয়েছে এইটা তোমাকে জানিয়ে দেয়া দরকার। সেই সাথে আমাদের আরো অনেকে এই পথে পা বাড়াচ্ছেন। আমার লেখাটা তাদের যদি একটু টনক নাড়ায় তাহলে ভালই হয়।

অনুযোগ করলে তার প্রমান দেয়া জরুরি। আমি জানি সেটা। কিন্তু আপাতত আমি প্রমান খুঁজে বের করার দায়িত্ব তোমার উপরেই দিলাম। তোমার যদি মনে হয় আমি ভুল বলেছি বা আমার কোন গভীর উদ্দেশ্য ছিল জন সমক্ষে তোমাকে এবং বাকিদের ছোট করে দেখানোর, তাহলে আগে যেমন বলেছি, এখনো আবার বলছি---আমি ক্ষমা প্রার্থী।

তবে আমি আসলেই আসলেই আসলেই তোমাকে অনুরোধ করব নিজের দিকে একটু ফিরে তাকাতে। তোমার যদি মনে হয় তোমার আচরণ বিধি যথার্থ, তাহলে সেইরকমই থাক।

আমার মনে হয়েছিল, এই কথাগুলো তোমাকে কেউ বলে না এবং কারো একজনের বলার দরকার ছিল। আমি তোমাকে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

হিমু এর ছবি

আসলে ক্ষমা প্রার্থনা আর দুঃখ প্রকাশের মধ্যে তফাৎ আছে। ক্ষমা লোকে চায় দণ্ড এড়াতে বা লঘু করতে। দুঃখ প্রকাশ করে যেখানে দণ্ডের প্রশ্ন নেই, কিন্তু বিবেকদংশনকে প্রশমনের সুযোগ আছে, সেখানে। আপনি পদে পদে ক্ষমা চাইলে একসময় আপনার ক্ষমাপ্রার্থনার মূল্য কমে আসবে।

আপনি একটা পোস্ট দিয়েছেন সচলায়তনে, সেটা কয়েক হাজার লোক পড়ছে। আপনার পোস্ট পড়ে একজন নতুন পাঠক পটভূমি বা ইতিহাস না জেনে আমাকে একজন মুখ খারাপকারী গুণ্ডা হিসেবে চিনবে। আমি যখন আপনাকে আপনার বক্তব্য ধরে ধরে কিছু প্রশ্ন রাখলাম, আপনি স্পেসিফিক না হয়ে জেনারেল উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন।

স্পেসিফিক উত্তর দিলে আমি আর আপনি, দুইজনই উপকৃত হতাম। আশা করি একজন বন্ধু, সহযোদ্ধা [কাঁধে কাঁধ না মিলিয়ে হলেও] এবং সহসচল হিসেবে আপনি আমার এই উপকার করবেন।

আমি যদি অন্যায়ভাবে কারো সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকি, আমি দুঃখ প্রকাশ করবো। আমি যদি কোনো দণ্ড পাওয়ার যোগ্য আচরণ করে থাকি, আমি ক্ষমা প্রার্থনা করবো। কিন্তু পাইকারি হাওয়াই অভিযোগের বিপরীতে কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে নামকাওয়াস্তে জেনারেল উত্তর নিয়ে আমি সন্তুষ্ট থাকবো না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

রিখি এর ছবি

তোমার সম্পর্কে যে অভিযোগ গুলো তুলেছি আমি, আমি সেগুলো বানিয়ে বলিনি, বিশ্বাস কর। হয়ত তুমি নিজের ক্ষেত্রে ব্যাপারগুলো টের পাও না। সেটা হতেই পারে।

আমি ব্লগে নতুন। কিন্তু এইটুকু জানি হিমুকে অনেকে ভয় পায়। সে প্রতিভাবান বলে, সে মডারেটর বলে এবং অনেক পোস্টে সে 'হিমু' নিকে নিজেই লিখেছে 'মডারেটর' হিসেবে বলছি-এই ধরণের কথা। হিমুর কথায় আক্রমণাত্মক ভংগী আছে যেজন্য হিমুর রোষানলে পড়া কেউ কিংবা হিমুর সাথে তর্ক শুরু করে দেওয়া কেউ এক পর্যায়ে রণে ভংগ দিতে বাধ্য হন। কারণ হিমুর মধ্যে এই ভাব সবসময় কাজ করে যে He is ALWAYS right and everyone else is wrong. And he is THE Himu, the BEST writer and finally THE moderator.
আমি অনিকেতদার কাছে কৃতজ্ঞ এবং আরো অনেকেই কৃতজ্ঞ। যারা চুপচাপ হজম করে যান কিন্তু গণপচানি খাওয়ার ভয়ে এইসব কথা বলতে পারেন্না। এটাও ঠিক হিমুর পদাঙ্ক অনুসারীর সংখ্যাও বাড়ছে।
সর্বোপরি, সচলের হাবভাব এইরকম, পাব্লিক চলে গেলে ওদের-ই লস্‌, আমার কি? আসলেই। সচল তো অনেক অনেক উপরে উঠে গিয়েছে, সাদাসিধা লেখক যদি মনখারাপ করে এখানে লেখা বন্ধ করে দেন কার কি আসে যায়? সেসব লেখকের লেখায় যদি তারাও পড়ে থাকে, সেসব তো সচলেরি ক্রেডিট। একজন লেখক চলে গেলে কি হবে, সচলে অমন হাজার লেখক আসে, হুহ, সচল কি কারো পরোয়া করে নাকি?
এই ভাব যদি আপনারা বদলাতে পারেন তো ক্ষতি হবেনা বরং লাভই হবে।
(আমার মনে হয় এই মন্তব্য ছাপানো হবেনা, কিন্তু না হলে আমি নিশ্চিত হবো আমার বক্তব্যগুলো আসলেই সঠিক)।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লিখলেন তো লিখলেন অনেক কিছুই আবার শেষে একটা শর্তও দিয়ে দিলেন। মন্তব্য যেহেতু প্রকাশিত হয়েছে তার মানে কি বক্তব্যগুলো ঠিক নয়? হাসি

একটু জানতে ইচ্ছে করছে এই মন্তব্য কতদিনের অভিজ্ঞতাপ্রসূত? আপনাকে ২/১ সপ্তাহ ধরে দেখছি বলে আমার মনে হচ্ছে।

রিখি এর ছবি

এই তো দেখুন না, ব্র্যাকেট করে কিছু লিখিনি তাই নীচে ইশতির মন্তব্যে (১৬ নম্বর মন্তব্য সম্ভবতঃ) আমার জবাবটাও এখনও ছাপেনি ওরা।
অল্প কিছুদিন হয় এখানে এসেছি, যা তেলেসমাতি দেখার এই অল্পকিছুদিনেই যে দেখে ফেলেছি!
আর পেছনের কিছু পোস্ট দেখতে হয়েছিল আমার কিছু বন্ধুসচলের রেফারেন্সে, সেসব ঘাঁটতে কিন্তু সচলে পুরাতন হওয়া লাগেনা।

শরতশিশির এর ছবি

এগুলো কী ধরণের নোংরা ব্যক্তি আক্রমণ? পিপিদা কত সংযতভাবে উত্তর দিয়েছেন দেখতে পাচ্ছেন আপনি? আপনার ভাগ্য ভাল অন্য কেউ উত্তর দেয়নি, কিম্বা আসলে দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেনি।

এতখানি 'ইমোশানাল ইম্যাচোরিটি' নিয়ে আপনি এখানে লেখতে আসেন কীভাবে? যেখানে মাত্র কয়েকটা সপ্তাহে পড়েছেন কয়েকটা মাত্র পোস্ট আর মাত্র লেখা শুরু করেছেন, সেখানে বিনয়ের চাইতে এত ঔদ্ধত্য দেখানো কি উচিত? আমি নিজে প্রায় দু'বছর ধরে পড়ি, রেজিস্টার করেছি ছয় মাসের উপরে, সেই আমিই লেখা দিতে প্রস্তুতি নিয়ে দিতে চাই সবসময়।

না, একদম ভাল লাগলো না, রিখি। আর, আমি নিজে যখন ক'দিন আগ পর্যন্ত 'অতিথি লেখক' ছিলাম, তখন আপনার মতো আমার মন্তব্যগুলোও মডারেটেড হয়ে আসতো, ফলে দেখা যেতো খানিক্ষণ পরে। সেটা তো নীতিমালাতে লেখা আছে, রেজিস্টার করলে প্রথম ইমেইলেও তা আসে পয়েন্ট দিয়ে।

আশা করি, সামনে আপনার আরও সুচিন্তিত মতামত দেখতে পাবো আমরা, কেমন?

ভাল থাকবেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই রকম একটা লেখা প্রয়োজন ছিলো। আমি সচলে আছি ২০০৭ থেকে। দিনের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকতো সচল, চিন্তায় থাকতো সবসময়ই। ইদানীং সেই পরিস্থিতি বদলেছে বেশ অনেকটা।

আমি একটা সময় খুব সক্রিয়ভাবে সচলায়তনের জন্য লেখক "রিক্রুট" করতাম। সম্ভাবনাময় লেখক, কিন্তু ব্লগের সাথে পরিচিত নন, এমন লোকেদের আমি সচলায়তনের কথা জানাতাম। তেমনই দু'জনের নাম আপনার প্রথম দু'টি স্ন্যাপশটে দিলেন -- সিরাত এবং নাভিদ সালেহ। এই দু'জনের প্রতিই সচলেরা দল বেঁধে যেমন জঘন্য আচরণ করেছেন, তাতে আমি খুব বীতশ্রদ্ধ হয়েই নিজেকে সচলায়তন থেকে বেশ দূরে রাখি এখন।

সিরাত মোটামুটি ঘোষনা দিয়ে নাস্তিক। হিটলারীয় কোনো কিছুর প্রতিও তেমন আকর্ষণ নেই। একেবারেই মাটির মানুষ একটা ছেলে। তাকে সচলে জামাতি এবং রেসিস্ট বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাভিদ সালেহ দেবতার মতো একজন মানুষ। আজ থেকে বছর দশেক পর হয়তো কৃতি বাংলাদেশি হিসেবে তাঁর নাম দেখবো আমরা পত্রিকায়। বিজ্ঞানের জগতে বিচরণ করেন, কিন্তু সেখানেও যথাসম্ভব চেষ্টা করেন দেশের জন্য কিছু করতে। সেই মানুষটা বহু বছরের জড়তা ঝেড়ে বাংলায় দু'কলম লিখেছিলেন আমারই অনুরোধে। বিনিময়ে চূড়ান্ত হেনস্তা হতে হলো তাঁকে। এরকম কিছু আমি সচলায়তনে আশা করি না। যাঁরা এটা করে আরাম পান, সচলায়তন ক্রমে তাঁদের সীমিত মান ও মাপেই আটকা পড়ে যাবে।

এই মানুষগুলো সচলায়তনে আমার দাওয়াতে এসেছিলেন, আমার অতিথি তাঁরা। আমি যেমন অন্যের অতিথির প্রতি দুর্ব্যবহার করি না, তেমনি আমিও আশা করি যে আমার অতিথিদের কেউ এক হাত নেবেন না। এই সৌজন্যটুকু অনেক সচলের মধ্যেই আজ অনুপস্থিত। সিরাতের অনেক অনেক লেখার মধ্যে আচমকা দুর্দান্ত কিছু লেখা পেতাম, সেগুলো আর পাই না। নাভিদ সালেহ ক'দিন আগে বলছিলেন একটা দারুণ লেখার কথা, সেটাও আর পাবো না। (মাকিয়াভেলি-র দেখিয়ে যাওয়া পথে বনাম বঙ্গবন্ধু নিয়ে একটা লেখা। পশ্চিমা প্রথাগত নেতৃত্ব-কাঠামোর তুলনায় বঙ্গবন্ধু কতটা ভিন্ন ও অনন্য, তা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে লেখার কথা ছিলো। আফসোস করে বলছিলেন যে আর মনে হয় না এমন কিছু লেখা হবে।)

কোনো পক্ষেই অতি-উৎসাহ ভালো না। ধুমধাম লোকজনকে 'ছাগু' ডাকার আধিক্য আমারও চোখে লাগে খুব। আমিও এতো অসহিষ্ণু সচলায়তনের প্রেমে পড়িনি।

কনফুসিয়াস এর ছবি

ইশতিয়াকের মন্তব্য বড্ড বেশি ব্যক্তিগত কথন হয়ে গেল!

এই দু'জনের প্রতিই সচলেরা দল বেঁধে যেমন জঘন্য আচরণ করেছেন, তাতে আমি খুব বীতশ্রদ্ধ হয়েই নিজেকে সচলায়তন থেকে বেশ দূরে রাখি এখন।

তোমার এই কথার মানে কী? এগুলো পূর্বপরিকল্পিত ছিলো? আপত্তি জানালাম।

সচলায়তনে তোমার বা তোমার অতিথিদের কেউ শত্রু নয়। তোমার দাওয়াতে কেউ তোমার বাসায় গেলে তারা একান্তই তোমার অতিথি, আমার মনে হয় না কোন সচল সেখানে গিয়ে অকারণে তাদের সাথে "দুর্ব্যবহার' করবে। কিন্তু তারা যখনে সচলায়তনে এসে লিখেন, নিজের বক্তব্য বা মতামত দেন, এবং সেই মন্তব্যের দায়িত্ব নিতে অসামর্থ্য হন, এর পেছনে তুমি কোন স্যাবোটাজ খুঁজলে আমার কিছু বলার নেই।

আগের কথাটাই আবার বলি, আমি বলবো তোমার অতিথিরা যদি এখানে দুর্ভাগ্যজনক (আনফরচুনেট) কোন পরিস্থিতির শিকার হয়েই থাকে, তার অনেকখানি দায় তোমারও। ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়ার যে প্রেশার, সেটা সম্পর্কে ভাল করে জানানোটাই দরকার ছিল আগে।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

না, আমি পূর্বপরিকল্পিত বলিনি কোথাও। তবে, বেশ কিছু গ্রুপিং সচলেই হয়ে গেছে, এই সত্য এড়িয়ে যাওয়া যায় না। একই সাথে, ঐ পোস্টে পূর্বপরিচয়ের সূত্রে বাজে কথা এলেও কেউ কিছু বলেনি। যা হয়েছে তা সবার সামনেই হয়েছে। এগুলো আপনি দেখেও উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলে তো আমার কিছু করার নেই আর।

মেনে নিচ্ছি যে এটা আমারই দোষ যে আমি সচলায়তন সম্পর্কে একটা ছোটখাটো অভিসন্দর্ভ পড়িয়ে নিতে পারিনি কাউকে। ভুলে গেছিলাম যে ব্লগিং না শিখে সচলে ব্লগ লিখতে নেই। মেনে নিলাম আপনার আপত্তি, আর কীই বা করার আছে?

অম্লান অভি এর ছবি

সচলায়তনকে ভালোবাসি সেই সাথে বেশ লেখার জন্য কিছু জনকে। অবশ্যই তাদের অনেককে বর্তমানে দেখি না। হয়তো ব্যস্ততা অথবা অন্য কিছু। এই লেখাটা দেখে আমারও একজনের কথা মনে পড়ল তার নাম জুলফিকার কবিরাজ (তার খলিতেও কিছু আঞ্চলিক রসদ আছে যা আমরা আর পাব এই ব্লগাসরে)। তাকে হয়তো অসংলগ্ন লেখার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে সচল অতিথি থেকে। আমার কষ্ট কারণ আমি তাকেঁ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম ব্লগাসরে। একটি ছোট প্র্রতিবাদ জানানোর ইচ্ছা আমারও ছিল কিন্তু পূর্ণাঙ্গ অবস্থানে না গিয়ে প্রতিবাদ বা উচ্চারণ গতি বা পথ খুজে পায় না।
আর হ্যাঁ আমি মাঝে মাঝে সব রাগ উচ্ছ্বাস আর আবেগ ঢেলে দেই সচলাযতনের বুকে হয়তো আপন ভাবি তাই। যদি সেই প্রকাশে কখনো কাউকে দুখ দেয়, তবে তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।
আকতারের বন্ধুর মাধ্যমে আমি এখানের পথ পেয়েছি আকতারকে ধন্যবাদ, যদি কখনও কোন কুট কথা হজম করতে হয় তাকে আমার জন্য তার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা।
এই টপিকটা উৎথাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টদাতাকে। ইশতি ভাই আপনাকে আশ্রয়ে নিয়ে প্রশ্রয় পেলাম প্রকাশের।
সেই বাতে আড্ডাঘরে আমি ছিলাম কিন্তু খেই ধরতে না পেয়ে মন্তব্য করি নাই। তবে মুর্শেদ ভাইয়ের পোষ্টে আমারর মন্তব্য আছ। আমি মুর্শেদ ভাইয়ের পোষ্টকে সমর্থন করি। কারণ হয়তো উনি চায় একজন ভালো গল্পকার বা কবি আরো ভালো ভাবে প্রকাশিত হোক। হয়তো খবরের লিংকে মন্তব্য কলাম এমন করে লিখলে তা প্রকাশ হতো না। তাই হয়তো সচলায়তনের পাতায় প্রকাশ।
একটি প্রস্তাব কোন কুটক্তি যদি কেউ করে থাকে (হিমু ভাইয়ের বক্তব্য অনুযায়ী তবে তা সম্ভবতঃ) ব্যক্তিগত ইমেলে হলেও সচলদের জানিয়ে রাখ ভালো। তবে শুধু তার সম্বন্ধে ভ্রান্ত অথবা খণ্ডাংশ নিয়ে কেউ কখনো কথা বলবেন না। আমি যেমন জানি না কি জন্য সচলায়তনে বাংলাদেশ থেকে কিছু দিন ঢোকা যাচ্ছিল না। অনেকের সাথে কথা হয়েছে কিন্তু মূল ব্যাপারটা এখনও জানি না (হয়তো আমি সেই জানার অধিকার গোষ্ঠির কেউ নই তাই )। তথৈবচঃ অতিথি হিসেবে বেশী বললে ক্ষমা প্রার্থনা করলাম।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

অনিকেত এর ছবি

ইশতি অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে।

টিউলিপ এর ছবি

আমি সচলায়তনে মোটামুটি নিয়মিত ঘোরাঘুরি করি সম্প্রতি, তবে আসাযাওয়ার উপরে ছিলাম অনেক আগে থেকেই। মূলত বাইরে আসার পর থেকে ভালো বাংলা লেখা পড়ার তাড়নায় এখানে দিনে অনেকটা সময় কাটাই।

কিন্তু সম্প্রতি এখানকার পরিবেশ হতাশ করে মাঝেমাঝে। জানি অন্য ব্লগের তুলনায় এখানে অনেক ভালো পরিবেশ, তারপরেও আমি lesser evil পছন্দ করতে চাই না, আমি চাই সচলায়তন অন্যদের জন্য একটা মাইলফলক হয়ে দাঁড়াক। আর সেজন্য একটু পরমতসহিষ্ণুতার বোধ হয় দরকার আছে। আমি বলি না রাজাকারবিরোধী - মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের অবস্থান থেকে সচলায়তন সরে আসুক, কিন্তু সাহিত্যে বা স্বাধীন চিন্তায় চরমপন্থা দেখতে খারাপ লাগে।
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে ধন্যবাদ টিউলিপ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমার কখনোই মনে হয় নি সচলায়তন আসলে বিরুদ্ধ মতের ব্যাপারে সহনশীল

কিছু বিষয় আমার মনে হয় সচলয়াতনে নীতিগতভাবে ডিসাইডেড। সেগুলো বাদে বাকী সকল ক্ষেত্রে বিরুদ্ধমতকে স্বাগত জানানো উচিত। মুক্তবুদ্ধি চর্চার ক্ষমতাসম্পন্ন এতগুলো মানুষ একসাথে আর অন্য কোথাও দেখা যায় না। যুক্তির চেয়ে বড় অস্ত্র আর কিছুই নাই। এই প্রতিভাবান মানুষগুলো বিভিন্ন মত-আলোচনায় কেবল যুক্তির চর্চা করবে, এটা আমার একটা স্বপ্ন, একটা এজেন্ডা। সিরাতের সবচেয়ে র্যাশনাল আচরণগুলো আসে কিন্তু তাকে খোঁচানোবিহীনভাবে, যুক্তি দিয়ে উত্তর দিলে, সে যুক্তি তার মতের বিরুদ্ধে হলেও।

ব্যক্তিকে তোপের মুখে না ফেলে কর্মকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে ইচ্ছে মত সমালোচনা, তুলোধুনো করলে মোটামুটি সবারই ক্ষমতা আছে ভুল স্বীকার করে শুধরে নেয়ার। ব্যক্তিকে বাতিল করার ব্যাপারটার সাথে একটা শুদ্ধি-অভিযান-জাতীয়, আর্য-আর্য ভাব আছে।

আপনার লেখাটার অনেক প্রেক্ষাপট অজানা। অনেককিছু হয়ত নির্ভুল বলেনও নি। কিন্তু আপনার এই লেখার মূলভাবটিকে উদারভাবে নেয়া হলে আমি তো কেবল আশার আলোই দেখতে পাচ্ছি।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ ধ্রুব। ভাল থাকুন

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

আমাকে ব্লগার 'অনিকেত' একবার 'ছাগু' ডেকেছিল, আমি জাফর ইকবালকে নিয়ে সঠিক কিছু (ওভাররেটেড) বলার জন্য। আমি অনেক যুক্তি দিয়ে ভদ্রভাবে কিছু পয়েন্ট দিয়ে কমেন্ট লিখেছিলাম তার ব্লগে। অন্ধভক্ত হওয়া কি ভাল? সঠিক সমালোচনা করলে কি কেউ ছাগু হয়ে যায়? আমার তো মনে হয়, এখানে অনেকেই বিভিন্নভাবে সীমাবদ্ধ। ঠিক যেরকম ভাবে মৌলবাদীরা আচরন করে তাদের ধারনার বাইরে কেউ কিছু বললে, এখানেও সেরকম সহনশীলতার অভাব আছে বলেই আমার ধারনা। আমি এখানের একজন অনিয়মিত পাঠক। ভাল থাকবেন।

অনিকেত এর ছবি

ভাই রাসেল,
আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি আমার সে দুর্ব্যবহারের জন্য।
ঐ লেখাতেও বলেছিলাম যে আমি জাফর স্যারের ভীষন এক ভক্ত।
তাই অনেক ক্ষেত্রে আমি অন্ধ। কিন্তু আমি চেষ্টা করছি সকল কিছু নির্মোহ ভাবে দেখার।

আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে আবারও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

সোয়াদ [অতিথি] এর ছবি

সচলায়তনের সবচেযে বড়ো শক্তি হচ্ছে এমন একটা পোস্ট বিনা বাধায় প্রকাশিত হওয়া, এবং একে উপলক্ষ করে, ( এখন পর্যন্ত হাসি )বিনা ঝগড়ায় আলোচনা হওয়া।

প্রথম পাতায় এই পোস্টের ঠিক ওপরে, জামাতিদের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে করা পোস্টটা আপনারা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। ঈশ্বরে বিশ্বাসী হলে বলতাম এটা সচলায়তন এর সদস্য, এবং সমমনা সকলের প্রতি একত্রিত হবার আসমানি আহ্বান।

অনিকেত এর ছবি

লেখাটা পড়ার জন্যে ও মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ, সোয়াদ

নাশতারান এর ছবি

আমি এখানে বেশ নতুন। অনেক ইতিহাসই জানা নেই। খোলা ময়দানে কারুর সমালোচনা এই মুহূর্তে আমার মুখে মানায় না। তবে এমন একটা পোস্ট দরকার ছিলো বলে বিশ্বাস করি। সবারই দৃষ্টিকোণ ভিন্ন। সে হিসেবে অনিকেতদার বক্তব্যের সাথে সবাই হয়তো একমত হবেন না। অনেক অসঙ্গতি, ফাঁকফোঁকর খুঁজে পাবেন। তবুও এর উছিলায় এমন অনেক কথাই উঠে আসবে যা দীর্ঘদিন কেউ বলেনি।

দলছুট এবং কোমল উচ্চারণের ব্যঙ্গস্রোতে আমিও গা ভাসিয়েছি কিছুদিনের জন্য। বুলী করা আমার স্বভাব নয়। তবুও করেছি এবং মজা পেয়েছি। দুষ্টু ছেলেরা যখন দলবেঁধে পাথর ছুড়ে ব্যাঙ মারে সেটা কোন বিদ্বেষ নিয়ে করে না। এটা একধরনের নির্মম বিনোদন।

সিরাতের লেখা শুরুতে পড়তে চেষ্টা করতাম। শেষের দিকে নিয়মিত টপকে যেতাম। বানানের ব্যাপারে আমি ভীষণ খুঁতখুঁতে। আশরাফ সাহেবের বানান বিষয়ক সৃজনশীলতাতেও অস্বস্তি বোধ করতাম। কোমলতা বিষয়ে উনার গোয়ার্তুমিতেও বিরক্ত হয়েছিলাম।
তবুও উনারা যে দীর্ঘদিন কিছু লিখছেন না সেটা দুঃখজনক। এটা সচলায়তনের সাথে যায় না। আমি যখন একেবারেই নতুন ছিলাম এখানে, সবেমাত্র বুঝে উঠতে চেষ্টা করছি এখানকার মেজাজ তখন এক সচল আমাকে বলেছিলেন এটা একটা লেখক তৈরির কারখানা। অন্যদের কথা জানিনা, আমার বেলায় এটা সত্যি। লেখালিখি থেকে দূরে ছিলাম বেশ লম্বা একটা সময় ধরে। সচলায়তনই আমাকে আবারো লিখতে তাড়া দেয়। জানি তেমন কিছুই হয় না আমার লেখাগুলো। হয়তো হবে কোন একদিন। না হলেও ক্ষতি নেই। চিন্তায় চলমান থাকাটা অনেক বড় শক্তি। গঠনমূলক মুক্তচিন্তার মূলে পুষ্টি জোগানো সচলায়তনের ধর্ম।

সেখানে কারুর আহত হয়ে কুঁকড়ে যাওয়াটা কি দুঃখজনক নয়?

সচলায়তন আমার একমাত্র ব্লগ। শুধু তাই না, এটা আমার প্রথম ব্লগ।

একঝাঁক সৃষ্টিশীল মানুষ এখানে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মত্ত। সবাই গুণী এবং চিন্তাশীল। শুধুমাত্র মেজাজের তাপমাত্রার ভিন্নতার কারণে হঠাৎ হঠাৎ আগুন ধরে যাওয়া অবশ্যই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আমি বলছি "আমাদের"। কারণ আমি নিজেকে সচলায়তনের একজন ভাবতে ভালবাসি।

ঝগড়া ঝাঁটি, মন কষাকষি হোক। কিন্তু সেটা মিটে যাওয়ার পথও খোলা থাকে যেন। কেউ যেন মুখ ফিরিয়ে না নেন কিছুতেই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বুনো হাঁস।
ভাল থেকো।

শরতশিশির এর ছবি

আমার দেখে ভাল লাগছে যে তুমি নিজে থেকে সেকেন্ড প্যারাগ্রাফে স্বীকার করে নিয়েছো নিজের এটিচ্যুডটা। আমি বেশ অবাক আর সত্যি বলতে কী, কিছুটা কষ্টও পেয়েছিলাম তখন দেখে। আমরা বারটা বছর পরম সহিষ্ণুতা (বিশেষ করে সব ধর্ম-বর্ণ-মতের প্রতি) আর নিজেকে প্রতিনিয়ত ছাপিয়ে ওঠার শিক্ষা নিয়েছিলাম। সেটা কখনও ভুলে যেয়ো না। ঢাকায় আসলে তোমার সাথে দেখা হলে এ নিয়ে আমি অবশ্যই বলতাম।

দল বেঁধে র‌্যাগিং নিম্ন রুচির প্রকাশ। আমরা কখনও করেছি বলে মনে পড়ে না। তোমাকে যদি স্কুলে কিম্বা কলেজে কেউ করে থাকে, কিম্বা যদি কখনও সেটার কাছাকাছি অভিজ্ঞতা দেখে থাকো, সেগুলো মনে রেখো। সচলে তোমাকে আসতে বলেছিলাম তোমার লেখার ক্ষমতা দেখেই। কাজেই হুজুগে পড়ে সেটা না করাটাই পরেরবার উচিত হবে।

ভাল থেকো। যদি দুঃখ পেয়ে থাকো, আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

নাশতারান এর ছবি

আপু, স্কুলে কিম্বা কলেজের র‌্যাগিং এর বৈশিষ্ট্য হল এখানে নতুনদের বিনা ওজরে নিছক মজা করার জন্য পচানো হয়।

দলছুট যদি র‌্যাগিং এর শিকার হয়ে থাকেন তবে সেটা তার নিজ গুণে। নিজেকে একজন অকাট মূর্খ হিসেবে তিনি উপস্থাপণ করেছেন সচলায়তনে নিজের লেখনী এবং অ্যাটিচ্যুডের মধ্য দিয়ে। আমি যে তাতে বিনোদিত হয়েছি সেটা হয়তো আপত্তিকর "ছুঁচো মেরে হাত ময়লা করা" অর্থে (অশোভন মনে হলে মাফ করবেন, আপু। এর চেয়ে উপযুক্ত উপমা খুঁজে পাই নি)। এই যে এখন দলছুট লিখছেন না অথবা তার লেখা মডারেশন পার হয়ে আসতে পারছে না এটা দলছুট এবং সচলায়তন দুইয়ের জন্যই উপকারী।

সিরাত আর আশরাফ সাহেব দু' জনের ব্যাপারেই আমার প্রত্যাশা ছিল যে তারা নিজেদের এবং অন্যদের ভুলগুলো (উনাদের দৃষ্টিতে) ভুলে স্পোর্টি স্পিরিট নিয়ে আবারো লিখতে বসবেন। সিরাতের ব্যাপারে জানি না। কিন্তু আশরাফ সাহেব বদলান নি। এই পোস্টে উনার মন্তব্যগুলো দেখুন। আর উনার শেষ পোস্টে দেখুন। এতদিন পরে মোক্ষম সময়ে তিনি ফিরে এসেছেন শোধ নিতে। যথারীতি "বাঙলাদেশ" বানানের ধু্যো তুলে। উনি যে বিতর্কের শিকার হয়েছিলেন তা এই অযৌক্তিক গোয়ার্তুমির কারণেই।

বার বছর আমরা যে পরমসহিষ্ণুতার শিক্ষা পেয়েছি তা মানবতার প্রতি, অন্যায় আর অজ্ঞতার প্রতি নয়। আমার অর্জিত শিক্ষাই আমাকে প্রতিবাদ করতে বাধ্য করে।

আমার অ্যাটিচ্যুডটা বুঝতে পারছেন তো, আপু? যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আমি নিজেই অনেক কষ্ট পাব।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সচল নিয়ে সচল হয়েছি ১ মাসও হয়নি। কিন্তু অস্বীকার করতে পারছিনা একান্ত নিজের বেশ অনেকটা সময় সচলকে দিচ্ছি। সচলও আমাকে খালি হাতে ফেরায়নি এখনো পর্যন্ত, লেখা-মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য মিলিয়ে সময় বেশ কাটছে।

নতুন হিসাবে একটা ব্যাপার চোখে লেগেছে, যেটা অনিকেতদা বলেছেন। রাগের প্রকাশটা এখানে বড় তীব্র। মনে হয়েছে মেজাজ খারাপ হলে এখানে গালি দেয়া যেতে পারে, দোষ নেই তাতে!

কথায় আছে, "সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।"
যতদূর মনে পড়ছে, "লেখকরা জাতির বিবেক।" ক'দিন আগে পড়লাম তাঁরা 'ভাষাশিল্পী'। আর ক'দিন আগে কার লেখায় যেনো পড়লাম সচলের যাত্রা শুরুর পেছনে এই লেখক হওয়ার ইচ্ছাটা ছিলো এক অনন্য অনুপ্রেরণা।

আমার কাছে কখনোই একজন লেখককে সাধারণ মানুষ মনে হয়নি। সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশী সংবেদনশীল মন, বাড়তি ছবি দেখার চোখ, গোছানো আবেগ আর নিজের চিন্তাটুকু শব্দে গেঁথে অনেক মানুষের আয়নায় বদলে দেয়ার মুন্সিয়ানা লেখককে অসাধারণের কাতারবন্দী করে।

আর লেখকের দায়বদ্ধতাও বোধ হয় সেখানেই। একজন সাধারণ মানুষ হয়েও তাঁকে অসাধারণ হতে হয়। শুদ্ধির ডাক দিতে হয়, অনুসরণীয় হতে হয়। ভুল যেনো না হয় তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়।

মূল কথা হলো লেখকেরা আমার কাছে সম্মানের, শ্রদ্ধার। তাঁদের কোন খুঁত থাকবে এ আমার মানতে বাঁধে।

যতদূর জানি, রাগ সামলাতে জানা অতি প্রয়োজনীয় একটা গুণ। রাগ মানুষের স্বাভাবিক চিন্তায় প্রভাব ফেলে, একে লাগাম পরিয়ে রাখা তাই অতি জরুরী।

নতুন লেখক হিসেবে কিছু বলিনি, সচলের গুণমুগ্ধ একজন পাঠক হিসাবে মুখ খুলেছি এটুকু মনে রাখলে খুশী হব।

মর্ম

অনিকেত এর ছবি

লেখকের দায়বদ্ধতাও বোধ হয় সেখানেই। একজন সাধারণ মানুষ হয়েও তাঁকে অসাধারণ হতে হয়। শুদ্ধির ডাক দিতে হয়, অনুসরণীয় হতে হয়। ভুল যেনো না হয় তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়।

অনেক ধন্যবাদ মর্ম।

তিথীডোর এর ছবি

সচল আমারো প্রথম এবং একমাত্র ব্লগ!
প্রথমদিকে কত বকা খেয়েছি বানান, ফরম্যাটিং নিয়ে... মনখারাপ করে থেকেছি আবার ভুলেও গেছি!
ঘুমচোখ খুলেআমার রোজকার প্রথম কাজ হলো নীড়পাতায় চোখ বুলানো-- কি কি নুতন লেখা এলো কিংবা মন্তব্য...
ছাইপাঁশ লিখিয়ে বা খুদে ব্লগার হয়েও দাবী করতে ভালোবাসি এ পরিবারের আমিও একজন!

সিরাত ভাইয়ের বাবাকে নিয়ে লেখাটা পড়ে মুগ্দ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম!
আশরাফ বয়সে ছোট হলেও আমি তার লেখার ভক্ত!
রাফিভাই লগ ইন করাটাও ছেড়েছেন, লেখা তো দূর!
"ন হন্যতে"র মতো আরো অনেক অনেক দূর্দান্ত পোস্ট লিখিয়ে সবজান্তাও বিদায় নিচ্ছেন??

অনিকেতদাকে ধন্যবাদ পোস্টের জন্য আর বিনীত অনুরোধ থাকছে সব্বার কাছে---
পরিবার ছেড়ে কেউ হারিয়ে যাবেননা প্লিজ!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নাশতারান এর ছবি

সবজান্তা অনেক দিন হল লিখছে না জানি। সেটা সম্ভবত ব্যস্ততার কারণে। তাই বলে বিদায় নিচ্ছে এমন কোন ঘোষণা কি সে দিয়েছে? সাম্প্রতিক কিছু বাকবিতন্ডার জের ধরে এমন একটা উপসংহারে পৌঁছুনো কি ঠিক?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর এর ছবি

কোন উপসংহার বা সিদ্ধান্তে পৌঁছুইনি বুনোপা...
মুর্শেদ ভাইয়ের পোস্টের ১০৭ নং মন্তব্যের সুত্র ধরে আশংকা প্রকাশ করেছি মাত্র!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নাশতারান এর ছবি

দেখো, এমন আবেগী মন্তব্য আশংকাকে উপসংহারের দিকে ঠেলে না দেয় যেন ...

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ তিথী

শরতশিশির এর ছবি

তোমাকে আগেও একবার কী যেন বলেছিলাম, মনে আছে? স্পেকুলেশান জিনিসটা ভাল নয়। চিন্তাভাবনা মন থেকে আগে মাথায় নিও, তারপর যুক্তি দিয়ে বলো, কেমন?

আশা করি কিছু মনে করো নি। কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি সত্যি দুঃখিত। কেয়ার না করলে বলতাম না, তাই না? হাসি

ভাল থেকো।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পোস্টে প্রবলভাবে আমরা'র প্রতিনিধিত্ব দেখতে পাচ্ছি -

দেখা গেল আমরা সবাই খেপে উঠলাম তার লেখাটা নিয়ে।

ব্যস আমরা তাঁকে ছিড়ে-খুড়ে দিলাম।

আমরা তাকে পাঞ্চিং ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার শুরু করলাম।

এতে আমরা আর মজা পেয়ে গেলাম।বিপুল উৎসাহে ঝাপিয়ে পড়লাম তাকেও ছিন্নভিন্ন করে দিতে।

আমাদের আচার আচরনে সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফ্যাসিস্ট ইতালী বা নাৎসী জার্মানীর বেশ মিল পাওয়া যাচ্ছে

অল্প কিছুদিনের মাঝে আমরা মোটামুটি এইটা ধার্য্য করে দিলাম যে আপনি যদি সচলীয় রীতিতে স্বদেশপ্রেমী না হোন তাহলে আপনি একটা ছাগু!এইটা মোটামুটি অবধারিত।

কারো সাথে যদি কোনো অন্যায়/ভুল আচরণ করা হয়ে থাকে তবে সেটাকে ইউনিক ঘটনা হিসেবে দেখা উচিত। জনাব অনিকেত যদি সে রকম আচরণ করেন তবে তিনি ঐ ঘটনার জন্য দুঃখিত বলতে পারেন (পোস্টে যেমন বলেছেন), এবং চাইলে সেসব ঘটনকারীদের নাম ধরে ডেকে ডেকে বলতে পারেন - আপনিও 'স্যরি' বলুন।
কিন্তু সেটা না করে অনিকেত যেভাবে কয়েকটা ঘটনা পরম্পরা সাজালেন, এবং 'আমরা' বলে সচলায়তনের সবাইকে সেসব ঘটনার সঙ্গে জড়ালেন - সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করতে পারছি না।

এ পোস্টের ভূমিকাসহ পরের সব অংশে বেশ কিছু সুবচন আছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু, পাঠক হিসেবে আমার মনে হচ্ছে - নাভিদ, সিরাত, স্বাধীন, আশরাফ স্ন্যাপশট আনা হয়েছে মূলতঃ জিফরান খালেদের জন্য সমবেদনা এবং সমর্থন সৃষ্টির প্রয়াসে। পোস্টের বটম লাইন অন্ততঃ সেরকম ইংগিতই দেয় যে - যারা যারা জিফরান খালেদের বিপক্ষে কথা বলেছ, তারা ঠিক করো নাই।

হয়তো আসল অপরাধটা এস এম মাহবুব মুর্শেদেরই! কেনো আপনি রিভিউয়ের পালটা রিভিউ করতে গেলেন???

অবাক হলাম পড়ে-

এই ধারার সর্বশেষ সংযোজন গত কালের এই পোষ্টটি। সচলায়তন আরো একটি ব্লগ ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা বিদ্রোহী দল।আমি নিশ্চিত দুই পক্ষেই যথেষ্ট কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে।

সচলায়তন আরো একটি ব্লগ ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা বিদ্রোহী দল!!! এ যে সুমন রহমানই বলেছিল প্র-আলোর কলামে।
আর অনিকেত, আপনি নিশ্চিত দুই পক্ষেই যথেষ্ট কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে? কনফিডেন্ট?

ব্লগীয় সংস্কৃতির এ ধোঁয়াটে - উদ্দেশ্য প্রণোদিত মূল্যায়নসূচক পোস্ট আত্মসমালোচনা নয়, বরং সচলায়তন নিয়ে অপপ্রচারে রসদই জোগান দেবে।

মামুন হক এর ছবি

ব্লগীয় সংস্কৃতির এ ধোঁয়াটে - উদ্দেশ্য প্রণোদিত মূল্যায়নসূচক পোস্ট আত্মসমালোচনা নয়, বরং সচলায়তন নিয়ে অপপ্রচারে রসদই জোগান দেবে।

---শিমুল ভাই, বিনীতভাবে একটা কথা বলি, এই অপপ্রচারের জুজুর ভয় থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত। সচলায়তনের শক্তি আমাদের মেধা, আমাদের লেখা, আমাদের চিন্তা-ভাবনা, আমাদের দেশপ্রেম, লেখক-পাঠকের শান্তিপূর্ণ অর্থবহ সমাবেশ। বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ সচলায়তনের বিরুদ্ধে রাতদিন ছিছিক্কার করুক, ঢোল বাজিয়ে অপপ্রচার চালাক, বংশদণ্ড নিয়ে এখানে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকুক তাতে সচলদের অস্থির হবার কোন কারণ আমি দেখিনা।

লোকে আমাদের বদনামের রসদ পাবে তাই আত্মসমালোচনা করা যাবেনা এমন হওয়া উচিত নয় বলে মনে করি।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

মামুন ভাইয়ের কমেন্টে একশোভাগ সহমত চলুক
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মামুন হক,
বিনীতভাবে বলি, আমার লেখার যে অংশ কোট করেছেন তা আবার মন দিয়ে পড়ুন। আত্মসমালোচনায় বিন্দুমাত্রও নিষেধ নেই।

কিন্তু, অনিকেতের এ লেখাকে আমি আত্মসমালোচনা বলে বিবেচনা করিনি। করি না। পোস্টের 'আমরা'র মোড়কে আমি যেতে রাজী না। সচলদের আচার আচরণের সাথে "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফ্যাসিস্ট ইতালী বা নাৎসী জার্মানীর বেশ মিল পাওয়া যাচ্ছে" - এতে আমি একমত না।
"সচলায়তন আরো একটি ব্লগ ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা বিদ্রোহী দল" - এ এক চরম মিথ্যাচার।

পোস্টের সাথে সহমত জানিয়ে এসব মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করার মিছিলে আমি নেই। আপনি যদি একমত হন - তবে সেটা আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আবারও বলি - এসব ভুল/মিথ্যা তথ্য বারবার বললে বিভ্রান্ত হবে নতুন আসা সচল দল। লাভবান হবে - সচলের ওপরে তীক্ষ্ম চোখ রাখা শকুন দল।

আত্মসমালোচনা হোক, আপনার সাথে পূর্ণ সহমত, কিন্তু দোহাই লাগে - আংশিক সত্য আংশিক মিথ্যার মিশ্রণের আত্মসমালোচনা নয়...

অনিকেত এর ছবি

@ মামুন ভাই,
পূর্ণ সহমত জ্ঞাপন করলাম

অনিকেত এর ছবি

শিমুল,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার মনে হয়ে 'আমরা' বলতে আমি কি বুঝিয়েছি, আপনি সেটা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন। তবুও রেকর্ডের জন্যে বললাম, আমরা এখানে আমাদেরই বুঝিয়েছে। আমরা এখানে তারা যারা এইসব কাজে অংশ নিয়েছি, অথবা চুপ করে থেকে গেছি, অথবা যাদের কাছে এইসব আচরণ অস্বাভাবিক বলে মনে হয় নি।
আপনার যদি মনে হয় আপনি সে গোত্রে পড়েন না---তাহলে তো ভালই।

কিন্তু, পাঠক হিসেবে আমার মনে হচ্ছে - নাভিদ, সিরাত, স্বাধীন, আশরাফ স্ন্যাপশট আনা হয়েছে মূলতঃ জিফরান খালেদের জন্য সমবেদনা এবং সমর্থন সৃষ্টির প্রয়াসে।

শুধু ব্যাপারটা পরিষ্কার করার জন্যে বলি---জ্বী না এই উদ্দেশ্যে লেখাটা নয়। আর এই মন্তব্যটাও একটা উদাহরণ হয়ে রইল যেখানে আলোচনা ভিন্ন খাতে চালানোর চেষ্টা চালান হয়।

আমার লেখাটার মূল উদ্দেশ্য ছিল, আমাদের ( আবারো বলছি, আপনি যদি এর মাঝে না থাকেন তাহলে তো নাই রইলেন) আচরনগত পরিশুদ্ধির প্রয়োজন পড়েছে। আমি সচলায়তনের সামগ্রিক ইতিহাস জানি না এইটা সত্যি। কিন্তু ইতিহাসটা এখানে বিষয় নয় বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

স্বীকার করি যে সিরাত-কে আমিও এককালে বেশ শক্ত কথা বলেছি। অনিকেত যেই ইস্যুগুলো নিয়ে লেখলেন সেগুলো দরকারী - হয়তো অনেক পাঠকই ফিল করেন, কিন্তু দেখতে দেখতে সয়ে গেছে বা দিন বদলের আশা তারা বাদ দিয়েছেন। এভাবেই চলছে, চলবে। (কমেন্টের চেয়ে তারার সংখ্যা এই লেখায় বেশি!)
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

s-s এর ছবি

সেটাই।
আমি সিরাতকে কটু কথা বলেছি জামাতকে সে বেনিফিট অফ ডাউট দিতে চাওয়ায়, কিন্তু তার লেখার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কখনো গালি দেবার কথা চিন্তাও করিনা। তারপরও আমার আচরণে দুঃখ পেয়ে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করছি।
নাভিদের লেখাটা (নাভিদ নয়, এটা বলে রাখাটা খুব জরুরী, কারণ দেখা যাচ্ছে এখানে আমাকে ভুলভাবে ট্যাগিং করাটাও একটা সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে যাচ্ছে) ভীষণভাবে স্নবারিতে পরিপূর্ণ ছিলো এবং এখনও আমি সেটাকে তাই মনে করি। কিন্তু তাকে কোথাও "গালি" দেওয়া হয়নি, তার লেখাটা স্নব/ উন্নাসিক সেটাই বলেছি। এর জন্য দুঃখিত নই।
গালাগালির সংস্কৃতি পছন্দ করিনা, কিন্তু সুবিনয়ের মত দেখতে পাই চলছে, চলবে----
(**** তারা আমি দিয়েছি, কমেন্ট করিনি প্রথমে, কারণ নেভার এন্ডিং ঝগড়া উত্তর-প্রতিউত্তর দেবার মত সময় আর ইচ্ছে দুইয়ের অভাব*****)

অনিকেত এর ছবি

@ সেঁজুতি,
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে।
ভাল থাকুন

অনিকেত এর ছবি

সুবিনয় দা,
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

শুধুই পাঠক এর ছবি

সুমন রহমানকে একজন প্রতিভাবান সাহিত্যবেশ্যা ছাড়া কিছু মনে করি না, কাজেই তার ব্যাপারে কিছু বলার নাই।

সিরাতকে খোচানো হইছে তার লেখার কারণে। সিরাত ভালো অনেক কিছু লিখছে, সাথে সাথে বালছালও লিখছে। এখন তার চমত্কার কিছু লেখার জন্য তার বালছালের নিন্দা করা যাবে না এই যুক্তিটা পছন্দ হয় নাই। সিরাত অনেক পুরান ব্লগার। সিরাত যখন ব্লগস্পটে নতুন নতুন লেখা শুরু করলো তখন থেকে আমি সিরাতের ব্লগ পড়ি। কিন্তু কম্যূনিটি ব্লগিং করার মতো মানসিক পরিপক্কতা সিরাতের আসে নাই। এইখানে নিজের লেখার ভার নিজেকেই বহন করতে হয়।

সিরাত মোটামুটি ঘোষনা দিয়ে নাস্তিক। হিটলারীয় কোনো কিছুর প্রতিও তেমন আকর্ষণ নেই। একেবারেই মাটির মানুষ একটা ছেলে। তাকে সচলে জামাতি এবং রেসিস্ট বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইশতিয়াক রউফ ভাই, সিরাত নাস্তিক না শান্তিকামী, এটা কি আসলেই আমার জানার প্রয়োজন আছে? সে যদি এইখানে এসে বলে যে শিবিরের ব্যাপারে আমাদের দ্বিতীয়বার ভাবার প্রয়োজন আছে, তাহলে এমন মাটির মানুষ আমি পুছলাম না।
নাভিদ সালেহ দেবতার মতো একজন মানুষ। আজ থেকে বছর দশেক পর হয়তো কৃতি বাংলাদেশি হিসেবে তাঁর নাম দেখবো আমরা পত্রিকায়।

ইশতিয়াক রউফ ভাই, তাতে কি হইলো? ব্যক্তিগত জীবনে কে কেমন, কার সফলতা বেশী এই হিসাব ব্লগিংএ কেন আসবে? সেই হিসাবে তো রাগিব হাসান, মুনিরুল আবেদীন কিংবা সুমন কুমার নাথরা ছাড়া কারও ব্লগিংই করা উচিত না।

কামরুজ্জামান স্বাধীনের ব্যাপারে সচলের মডারেটররা যেটা করেছেন সেটা খুবই আপত্তিকর লেগেছে। অত্যন্ত নিম্নমানের হবার পরও বার বার তার লেখা প্রকাশ করা হয়েছে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ব্যক্তিগত জীবনে কে কেমন, কার সফলতা বেশী এই হিসাব ব্লগিংএ কেন আসবে?

হিসাবে আনতে বলি না আমিও। হয়তো আমি একটা অদ্ভুত টাইমফ্রেমে এখানে এসেছি দেখেই এমনটা বলছি। ২০০৭-এ সচলায়তনেই প্রথম ব্লগিং আর কেউ শুরু করেছিলেন কিনা জানি না। সেই থেকে আমি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে "অর্গানিক গ্রোথ"-এর কথা শুনেছি। একে একে যাঁরা সচল হিসেবে এসেছেন, তাঁরা কারও না কারও মুখে সচলের নাম শুনেই এসেছেন। বাকি সচলদের উপর এই আস্থা ছিলো যে তাঁরা নিশ্চয়ই যাকে-তাকে ডাকছেন না। সেই আস্থা থেকেই নতুন কারও লেখায় অনেক ফাঁক-ফোকর থাকলেও উপেক্ষা করে গেছি। ক'দিন পর আপনা থেকেই নতুনদের লেখা অনেক ঋজু হয়েছে। এই সহনশীলতাটুকু এখন অনুপস্থিত। আমি স্রেফ এটুকুর কথাই বলছি। ঝানু ব্লগার হলে লোকে জেনে যায় কী কী বললে এখানে আগুন ধরে যাবে। নতুন কারও তো সেই জ্ঞানটুকু থাকে না। এই অসহনশীলতার কারণে সম্ভাবনাময় লোকজনের জন্য দুয়ার বন্ধ হচ্ছে। এখনও যে নতুন ব্লগার আসছে না, তা নয়। কিন্তু সংখ্যা বাড়লেও মান বাড়ছে না।

অনিকেত এর ছবি

@ শুধুই পাঠক, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

আলমগীর এর ছবি

একমত না অনিদা। আপনি সেই ঘটনাগুলো তুলে এনেছেন যেগুলো আপনাকে বা আপনার প্রিয় কাউকে আহত করেছে। বিপরীত ঠিক ততগুলো উদাহরণই দেয়া সম্ভব।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ আলমগীর তোমার মন্তব্যের জন্য।
তুমি আমার লেখাটার পয়েন্ট পুরোপুরি মিস করে গেছ।

আপনি সেই ঘটনাগুলো তুলে এনেছেন যেগুলো আপনাকে বা আপনার প্রিয় কাউকে আহত করেছে। বিপরীত ঠিক ততগুলো উদাহরণই দেয়া সম্ভব।

--অবশ্যই সত্যি! কিন্তু লেখাটার পয়েন্ট তো সেটা না।

লেখাটার উদ্দেশ্য হল, এই ধরনের আচরনগত স্খলন, সেটা যে পক্ষেই হোক, যার বিপক্ষেই হোক, কোন ভাবে কাম্য নয়। আমাদের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আরো উদার আর সহনশীল হতে হবে। এখানে যে তিনজনের কথা আমি উল্লেখ করেছি, তাঁরা নানা সময়ে এই রকম কাজে জড়িয়ে পড়েছেন বলে আমি দেখেছি। আমি তাদের নাম আলাদা করে উল্লেখ করার জন্যে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি। এখানে আবারো চাইলাম।

আলমগীর এর ছবি

হবে হয়তো। বাদ্দেন।
মাত কর তু অভিমান ধরনের একটা গান নামায়া দেন, শুনে মন হালকা করি।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পোস্টটির দরকার ছিল,অনিকেত দা। সমর্থন রইল।

-স্নিগ্ধা করবী

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ স্নিগ্ধা

মুস্তাফিজ এর ছবি

লেখার মূল সুরের সাথে একমত। কোন কোন ক্ষেত্রে যদিও বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন তারপরও বলবো আমাদের সহনশীল হওয়া উচিত (সহনশীলতা বলতে আমি মধ্যপন্থা অবলম্বন বুঝাচ্ছিনা)।

...........................
Every Picture Tells a Story

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ব্লগ নতুন এক মিডিয়া। এই মিডিয়ার চরিত্র কী দাঁড়াবে তা নির্ভর করছে এ ধরণের আত্ম অনুসন্ধানের ওপর। রিভিউয়ের রিভিউটি কাগজ বনাম অনলাইন বিতর্ক। এ সবই জরুরী। সচলায়তন পড়ি, খুব ভাল লেখা আসে। বছর পাঁচেক লাগবে কাগজকে পিছে ফেলে যেতে। আর গালিগালাজ প্রবণতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিরক্তি থেকে আসে। সেটা আমাদের সময় পর্যায়ে যাবেনা আমি নিশ্চিত। তবে খিস্তি খেউড় অনেকটা আন্তরিক আড্ডার জরুরী রসদ। সচলায়তনের আড্ডা শতবর্ষী হোক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ মাসকাওয়াথ ভাই।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

নীড়পাতায় সচলায়তন সৃষ্টির ইতিহাসটুকু লিখে রাখা জরুরী হয়ে গেছে।
না হলে সচলায়তনের জন্মকথা নিয়ে ইচ্ছেমতো কথা বলাটা চলতেই থাকবে।

অনিকেত বস, সবিনয়ে বলি-

সচলায়তন আরো একটি ব্লগ ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা বিদ্রোহী দল
এই কথাটা সর্বৈব মিথ্যে। সচলায়তন যাদের হাতে সৃষ্টি হয়েছে, তারা অন্য কোন ব্লগ ভাঙ্গেনি। ঐ সময়ের একমাত্র ব্লগীয় প্লাটফর্মে তাদের কেউ কেউ লিখতো। মতাদর্শিক প্রয়োজনেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ব্লগারদের কয়েকজনের সম্মিলিত উদ্যোগ সচলায়তন। জুন '০৭ তে আনুষ্ঠানিক উন্মোচন হলে ও অন্ততঃ এর বছর খানেক আগেই থেকেই সচলায়তনের সৃষ্টি। সুতরাং অন্য কোন ব্লগ ভাঙ্গার দায় সচলায়তনের ঘাড়ে না চাপানোর অনুরোধ থাকলো।

মতাদর্শিক প্রয়োজনে সচলায়তনের জন্ম বলেই এবং মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধী, বাংলাদেশের ইতিহাস এসব প্রসঙ্গে সচলায়তন ন্যুনতম ছাড় কোনদিন দেয়নি এবং দেবেনা বলে- কোন ধরনের জামাতী বেনিফিট অফ ডাউট অথবা উত্তরাধুনিক ধোঁয়াশা সচলায়তন সহ্য করবেনা বলে- এই প্লাটফর্ম সকলের জন্য সহনীয় ছিলোনা, এখনো নয়। কি আর করা? সব জায়গা সবার জন্য তো হয়না।

সুমন রহমান এর পক্ষে সাফাই গেয়ে গত তিনদিন থেকে বহু মন্তব্য চলছে সচলায়তনে, আপনার এই পোষ্টে ও দেখি একই সুর। এটা লজ্জা বস।
যারা জানেননা তাদের জানিয়ে দেয়ার জন্য ইতিহাসটুকু লিখে রাখা দরকার হয়ে যাচ্ছে।
শুরু থেকে সচলায়তনের পথ চলা এতো সহজ ছিলোনা। এই যে আজ এতো এতো নতুন নতুন ব্লগার লিখছেন, নীড়পাতা সাজছে চমৎকার সব রঙ এ- এতো সহজে সবকিছু হয়নি স্যার।
নাম ধরে বলতে আমি কোন দ্বিধা করিনা।

ব্রাত্য রাইসু, মাহবুব মোর্শেদ, সুমন রহমান- এইসব উত্তরাধুনিক মকারেরা প্রকাশ্যে সচলায়তনের ধ্বংস কামনা করেছে- ব্লগে, ফেসবুকে, এমনকি জাতীয় দৈনিকের পাতায় আমাদের এই সামান্য আয়োজন নিয়ে বিষোদ্গার করেছে।

সামরিক তত্বাবধায়ক আমলে যখন সচলায়তন নিষিদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশে, সচলায়তনের উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক খোঁজখবর নিচ্ছে সামরিক গোয়েন্দারা- এই গোষ্ঠী তখন প্রচার করছে সবই আমাদের সাজানো নাটক!

অগ্রজ সচল জুবায়ের ভাইয়ের মৃত্যুতে যখন গোটা সচল পরিবার শোকাহত তখন এই মকার'টা আমাদের শোক'কে ব্যঙ্গ করেছে 'ব্লগীয় শোকের রাজনীতি' বলে।

যতো বড় পন্ডিত হরিদাস পাল হোক- এদের নামে কোন জয়ধ্বনি যদি এখানে উচ্চারিত হয় তাতে আমার আপত্তি আছে, প্রবল আপত্তি আছে। আপনি আমাকে হিটলার, মুসোলিনী যা খুশী বলতে পারেন। নিশ্চিত ভাবেই আমি ঈশ্বরপুত্র যীশু নই, আপনি হয়ে থাকলে প্রণম্য!

নাভিদ সালেহ এবং অন্য যে সব প্রসংগ উল্লেখ করেছেন- মন্তব্য করবোনা। মনোযোগ দেয়া হয়নি।
তবে ব্লগ পরিমন্ডলে কারো পূর্ব পরিচয় যে কাজে আসেনা এটাতো আপনি জানেনই। প্রত্যেকে ট্রিট পান পাঠকের কাছে, তার লেখা অনুযায়ী। পাঠক তার ইচ্ছেমতো মন্তব্য করবে, লেখককে এটা ডীফেন্ড করতে হবে। এটা যদি তার নার্ভের উপর চাপ তৈরী করে তাহলে দুঃখিত এই খেলা তাঁর জন্য নহে।

আর কোন একটা লেখায়, মন্তব্যে, প্রতিমন্তব্যে তর্ক-বিতর্ক, মতান্তর, মনাত্বর হলেই 'আর লিখবোনা, চলে যাবো'- এইসব ছেলেমানুষী থেকে বের হয়ে আসার মতো পরিপক্কতা এতোদিনে বাংলা ব্লগের ব্লগারদের অর্জন করে ফেলার কথা।

আজ আমি রাগ করে চলে গেলে কারো কিচ্ছুই আসবে যাবেনা, আপনি গেলে ও কিচ্ছু হবেনা, অমুক তমুক গেলে ও হবেনা, সচলায়তন আজ আছে- কাল না থাকলে ও বাংলা ব্লগিং বন্ধ হবেনা, একদিন হয়তো ব্লগিং ও পুরনো হয়ে যাবে আরো নতুন কোন কিছু আসবে মানুষের কথা বলার, মত প্রকাশের।

ভালো থাকুন।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কনফুসিয়াস এর ছবি

হাসান ভাই'র মন্তব্যের সাথে একমত।
সচলায়তনের ইতিহাস আসলেই লিখে রাখতে হবে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে যখন কেউ কেউ কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির মত কাল্পনিক ঘটনার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে পড়ে!

আরেকটা কথা, ব্লগ ছেড়ে কেউ চলে যেতে চাইলে তার দায় পুরো ব্লগ বা বাকি 'আমাদের' উপরে চাপানোটা আমার পছন্দ নয়। আজকে হাসান ভাই'র সাথে আমার মনোমালিন্য হলে আমরা একে অপরের সাথে মারামারি কাটাকাটি এমনকি মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু ওনার উপর রাগ করে আমি সচলায়তন ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে তার দোষ সচল বা বাকিদের উপরে আসবে কেন?

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিঘাত তিথি এর ছবি

চলুক
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

যাক ফরজে কিফায়া শেষ দেঁতো হাসি.

আমি আর এই বিষয়ে কিছু না কই ....



অজ্ঞাতবাস

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

"ব্লগ পরিমন্ডলে কারো পূর্ব পরিচয় যে কাজে আসেনা এটাতো আপনি জানেনই। প্রত্যেকে ট্রিট পান পাঠকের কাছে, তার লেখা অনুযায়ী। পাঠক তার ইচ্ছেমতো মন্তব্য করবে, লেখককে এটা ডীফেন্ড করতে হবে। এটা যদি তার নার্ভের উপর চাপ তৈরী করে তাহলে দুঃখিত এই খেলা তাঁর জন্য নহে।"
পুরোপুরি একমত।

"আর কোন একটা লেখায়, মন্তব্যে, প্রতিমন্তব্যে তর্ক-বিতর্ক, মতান্তর, মনাত্বর হলেই 'আর লিখবোনা, চলে যাবো'- এইসব ছেলেমানুষী থেকে বের হয়ে আসার মতো পরিপক্কতা এতোদিনে বাংলা ব্লগের ব্লগারদের অর্জন করে ফেলার কথা।"
ঠিক।

"আজ আমি রাগ করে চলে গেলে কারো কিচ্ছুই আসবে যাবেনা, আপনি গেলে ও কিচ্ছু হবেনা, অমুক তমুক গেলে ও হবেনা, সচলায়তন আজ আছে- কাল না থাকলে ও বাংলা ব্লগিং বন্ধ হবেনা, একদিন হয়তো ব্লগিং ও পুরনো হয়ে যাবে আরো নতুন কোন কিছু আসবে মানুষের কথা বলার, মত প্রকাশের।"
সত্যি কথা।

উপরের উদ্ধৃতি আর পর্যবেক্ষণগুলো আমার নিজের চিন্তার মত লেগেছে।

---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

অনিকেত এর ছবি

হাসান ভাই,

অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ে ধৈর্য্য নিয়ে মন্তব্য করার জন্যে।
আমি আসলেই সচলায়তনের অনেক ইতিহাস জানিনা।
আমার অজ্ঞানতার জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।

কিন্তু একটা কথা আমি বলতে চাই হাসান ভাই।
আপনি আমার লেখার সুরটা ধরতে পারেন নি।

ইতিহাস নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এখনো নেই।
আমার কথা ছিল সাম্প্রতিক কালে যেভাবে আমরা আচরণ করছি। এখানে অত্যন্ত চড়া সুরে সকল অনুভূতি বাঁধা হয়ে আছে। এবং তার চাইতে বড় জিনিস এখানে দেশপ্রেম বা এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটা বাধা ধরা টাইপ তৈরী হয়েছে। কথায় কথায় রাগের অসংযত প্রকাশ ঘটছে।

আমার আপত্তি সেইটা নিয়েই।

এর পরও যদি মনে হয় যে এখানে যা চলছে সেটা স্বাস্থ্যকর, তাহলে তাইই সই। কিন্তু আমার মনে হয়েছে কারো একজনের এই ব্যাপারটা নিয়ে বলা উচিত। তাই বলা।

আপনিও ভাল থাকুন।

সাদামাটা [অতিথি] এর ছবি

বাংলা টাইপিং এই প্রথম। ভুল গুলো মাফ করে দেবেন। অনিকেত-কে ধন্যবাদ।

একজন নতুন পাঠক হিসেবে এখানকার কিছু শক্তিমান লেখক-এর "হাগা", "বাল-ছাল", "লুংগি তোলা"- টাইপের শব্দ ব্যবহার খুব চোখে লেগেছে। তাঁরা যুক্তির দুর্বলতা থেকে এটা করেন, তা নয়; তবে যুক্তির সাথে সাথে মুখ খারাপ করাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। এর মাঝে একটা বেপরোয়া ভাব আছে।পছন্দ হলে থাকো নাহলে রাস্তা মাপো। তাই কেউ কেউ হয়তো তাল মানিয়ে চলতে অভ্যস্ত হয়ে যান।

বুয়েটের বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে গেলে খুনসুটির সময় এখনো হয়তো ঐ ধরনের শব্দগুলো আমিও ব্যবহার করি। কিন্তু সেটা শুধুই একান্তে।

ইশতিয়াক যে সহনশীলতার প্রশ্ন আগেই তুলেছেন, সেটা নিয়েও ভাবার দরকার আছে। ক'দিন আগে হিমু-কে দেখলাম একজনকে ছাগু বল্লেন ইশতিয়াকের সাথে সহমত জানিয়ে আরো কিছু লেখার জন্য। ওনার (নাম মনে নাই) ইতিহাস জানিনা, সেটা সত্য-ও হতে পারে, কিন্তু তার সাথে রাগিবের (যিনি কিনা উইকিতে ছাগুদের বিরুদ্ধে লিখছেন) খুব ভালো পরিচয় দেখে খটকা লাগে। উনি আসলেই ছাগু? নাকি এ শব্দটা এখন বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়।

বিভিন্ন যুক্তি-প্রতিযুক্তি আসবে, কিন্ত অনিকেতের তুলে ধরা বিষয় নিয়ে সচলায়তনকে ভাবতে হবে তাতে সন্দেহ নাই।

বেশ কয়েকবার উল্টা পাল্টা টিপ লেগে লেখা মুছে গেলেও ধৈর্য্য নিয়ে আবার লিখলাম। কেন? বেকার কিন্তু নই হো হো হো
আমার মত নতুন পাঠক ছাড়াই সচলায়তন এত দুরে এসেছে, এবং অনেক দুরে-ও যাবে, এটাই আশা করে লিখলাম।

ফয়সাল ইবনে হাই
উলংগং, অস্ট্রেলিয়া

হিমু এর ছবি

ফয়সাল ইবনে হাই, আপনি কি ছাগুবান্ধব রিয়াজউদদীনের কথা বলছেন? রাগিব হাসানের সাথে ভালো পরিচয় থাকলে ছাগু বা ছাগুবান্ধব হওয়া যাবে না, এটাই কি আপনার যুক্তি? আপনি রাগিব হাসানের সাথে পরিচয় কত জোরালো, সেটা না খুঁজে ছাগুবান্ধব রিয়াজউদদীনের বক্তব্য মন দিয়ে পড়লেই তো পারেন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

মামুন হক এর ছবি

আপনি কি ছাগুবান্ধব রিয়াজউদদীনের কথা বলছেন?

--অনিকেতদা সম্ভবত আপনার এ ধরনের আচরণগুলোর কথাই বলতে চেয়েছেন।
রিয়াজ সাহেবের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশার কথা আমি নিজেও আপনার সাথে আলাপ করেছি। কিন্তু আপনার বা আমার কারওর কাছেই সলিড কোন প্রমাণ নেই যে উনি শিবিরকর্মী বা জামাতের লোক। আপনি হয়তো প্রজ্ঞার কারণে কেউ ক বললেই কাউখালী বুঝে ফেলেন, কিন্তু আর দশজনেরতো সে এলেম নাই। তাদের কাছে হয়তো আপনার এই রুক্ষতা ভীতিপ্রদ মনে হবে।

রিয়াজুদ্দিন সাধারণ অতিথি থেকে মডারেটরদের বিবেচনার মধ্য দিয়ে হাফ সচল হয়েছেন, যদি আপনি নিশ্চিত হন যে উনি স্বাধীনতাবিরোধীদের পেয়ারের লোক তাহলে ওনাকে পত্রপাঠ বিদায় করে দিলেইতো হয়, জনসমক্ষে কোন প্রমাণ দেখানোরও দরকার নেই। আপনাকেই দেখেছি কোন কোন ব্লগে ওনার সাথে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্নোত্তরে অংশ নিতে, আবার মেজাজ খারাপ থাকলে ওনাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করতে। উনিও আপনাকে রুক্ষভাবে জবাব দিয়েছেন সে ঘটনাও দেখেছি।

এই প্রবনতা হানিকর বস।

হিমু এর ছবি

আপনার ওকালতি দেখে আমি মুগ্ধ এবং অ্যালার্মড।

ছাগুবান্ধব রিয়াজউদদীনের ব্যাপারে আপনি কতটা "সলিড" প্রমাণ হলে তারপর নড়বেন চড়বেন, সেটা নিয়ে আমি আপনাকে উপদেশ দিতে গিয়েছি কখনো? আপনি তাকে জামাতের রোকন সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে না দেখলে হয়তো কনভিন্সড হবেন না। আমি হয়তো তার কথাবার্তা মন দিয়ে পড়েই কনভিন্সড হতে পারি।

আর দশজনের চোখে আমার এই "রুক্ষতা" "ভীতিপ্রদ" হলে আমি বলবো, তাদের আরো মন দিয়ে ছাগুবান্ধব রিয়াজউদদীন সাহেবের কথাবার্তা পড়তে হবে, এবং সক্রিয় ওকালতির আগে খুউব খিয়াল করতে হবে। আর এই আর দশজন যদি রিয়াজের মতো হয়, তাহলে তো খুবই ভালো। ছাগুবান্ধবদের একটু দৌড়ের ওপরই থাকা উচিত।

আপনি তাইওয়ানে বসেই আমার "মেজাজ" নিয়ে এত সমঝদারিত্ব অর্জন করেছেন জেনে আমি মুগ্ধ। মা কসম ঠাকুর, মেয়েরা যদি আপনার মতো হইতো! আমি রিয়াজউদদীনকে "আক্রমণ" করি যখন তিনি তার ছাগুবান্ধব কথাবার্তা শুরু করেন। এর সাথে আমার মেজাজের কোরিলেশন সামান্যই। তিনি ভিন্ন প্রসঙ্গে যখন কথা বলেন, তার সাথে "আক্রমণাত্মক" হওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয় না।

জেনেশুনে ন্যাকা সাজা হানিকর প্রবণতা। ন্যাকা সেজে ওকালতি করা আরো হানিকর প্রবণতা বস। আর ছাগুবান্ধব লোকজনের ওকালতি করা প্রলয়ঙ্কর হানিকর প্রবণতা।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

মামুন হক এর ছবি

ভালোই বুঝলেন। আমিতো কারো পক্ষ নিয়া ওকালতি করি নাই। আপ্নেই কেমন যানি আফগানিস্তানে আম্রিকান সৈন্যদের মতো জাম্পি মুডে আছেন, বিন্দু মাত্র সমালোচনা সইতে পারেন না। ভালো থাকেন। এই জাতীয় অপমানজনক মন্তব্যের পর আপনার সাথে আমার আর কোন প্রকারের সংশ্রব রাখা নূন্যতম আত্মসম্মান বোধের পরপিন্থী।

আপনার সাথে আর কোন তর্কে যাবার ইচ্ছা নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ লাগল ঝগড়া। কই যাই?!

--- আশাহত

হিমু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

কবুল কিসে? হাসি

---আশাহত

হিমু এর ছবি

দুইজন লোকের কথার মাঝখানে মাথাটা সবসময় ঢুকিয়ে দিতে হয় না হাসি

আরেকটা ব্যাপার, আশাহত ভাই। সচলে আরো নিয়মিত হন। তাতে করে একটা সুবিধা পাওয়া যায়। বিশেষ বিশেষ পোস্টে হাজির হওয়ার দৃষ্টিকটুত্ব এড়ানো যায়। এইরকম মজার কাইজ্যায় তখন আরো নিঃসংকোচে মাথা আর বাম হাত ঢুকানো যায়। কাপিশ?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

কাপিশ। দুইজনের ঝগড়ার মাঝে ঢুকার উদ্দেশ্য ছিল না। ঝগড়া নিয়া পোস্টের মধ্যেই ঝগড়ায় অসহায় লাগল, তাই বললাম, "কই যাই?!"

সরি, ভাই।

আপনাকে "কবুল কিসে?" বলাটা "মন্তব্য করুন" টিপে দিয়েই বুঝলাম ভুল হল, ভাবছিলাম কথাটা আমাকে বলছেন। তাই পাতা রিফ্রেস হওয়ার আগেই দিলাম ব্রাউজার বন্ধ করে, আশায় যে কমেন্টটা যাবেনা। তারপরেও অপেক্ষা করছিলাম যে যদিও আসে, sorry বলব। দেরি করে ফেললাম দেখতেই পাচ্ছেন।

সাহিত্যের গুণাগুণ একটু কম বুঝি, বোঝার জন্যই এখানে ঘুরঘুর করি, গল্প পড়ি বেশি। সীমিত জ্ঞান নিয়ে কেবল "সহমত" বা "(y)" বা এমন কিছু টাইপ কমেন্ট করতে ইচ্ছা করে না, আরও কিছু বলতে পারলে করি।

--- আশাহত

হিমু এর ছবি

ভালো আর খারাপ লাগার কোনো কিছু পেলে নিঃসঙ্কোচে বলে যাবেন। লিখতেও পারেন। প্রত্যেকদিনই দেখবেন ছোটো ছোটো কিছু জিনিস জমে যায়, অন্যকে জানানোর মতো। চার পাঁচটা এক করে দেখবেন সেটা একটা পোস্টের কঙ্কাল হয়ে গেছে। তাতে একটু রক্তমাংস যোগ করে দিলেই হয়ে যায়।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

উৎসাহ, অভয়ের জন্য ধন্যবাদ হাসি চেষ্টা করব।

---আশাহত

রিখি এর ছবি

হেহেহে মামুন ভাই, আপ্নের আর বলার দরকার নাই। অনিকেত ভাইয়েরও আর খুঁজে পেতে হিমু সাহেবের তেড়িয়ামি'র প্রমাণ দেওয়ার দরকার নাই।
সুমন রহমান ভাল লেখক হওয়া সত্ত্বেও ওনার চারিত্রিক বিশ্লেষণ করে ওনারে পচানি যদি জায়েজ হয় তবে হিমু সাহেবের চারিত্রিক বিশ্লেষণও জায়েজ।
কিন্তু বাংগালির স্বভাব। যে অন্যের কাছে চারিত্রিক পরিশোধন আশা করতে পারে, সে নিজে কিন্তু হাজারো খুঁত নিয়ে বারবার ডিফেন্সেই থাকবে। বদলানোর চেষ্টা করা তো দূরে থাক, কানে দিয়েছি তুলো পিলিসি টাই আঁকড়ে বসে থাকবে।
(পিপি ভাই, এই মন্তব্য কি ছাপানো হবে?)

শরতশিশির এর ছবি

রিখি, আপনি রেজিস্টার্ড তো, না? একটা কি দু'টো লেখাও লেখেছিলেন মনে হয়, তাও সেটা পোস্টের মধ্যে ছিল, যতদূর মনে পড়ে। আর, তাই অতিথি লেখক হয়েই মন্তব্য করুন না! এত যদি মনে হয় আপনার কমেন্ট ছাপানো হবে না, তো দেওয়ার দরকার নেই। সবগুলোই মনে হচ্ছে এসেছে, বিশেষ করে এই পোস্টে।

আর, আগে করা হিমুকে উদ্দেশ্য করে আপনার মন্তব্য বেশ তীর্যক ছিল, আমি আপত্তি জানিয়ে গেলাম। আগের কোন একটা পোস্টে আপনার সাথে খানিক তর্ক হয়েছিল ওর দেখেছিলাম। কিন্তু, সেই রেশ কিম্বা ক্ষোভ, এখানে এসে ঝাড়াটা 'ইম্যাচোর' লাগলো বেশ।

আশা করি বুঝতে পারছেন কী বলছি।

ভাল থাকবেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

রানা মেহের এর ছবি

মামুন ভাই

আপনি রিয়াজউদ্দিন সাহেবের কথা ঠিকঠাক পড়ে দেখেছেনতো? তিনি আসলেই জামাতি নন। তাদের থেকেও ভয়ঙকর। জামাতিদের দেখেই চিনতে পারার মতো চোখ আমাদের আছে। সমস্যা হয় এইসব পাপিদের চিনতে।
যারা যুদ্ধাপরাধিদের বিচার শুরু হবার আগেই জামাতের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়। যারা দেশে ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোকে ধর্মপ্রান মুসলমানদের ওপর আক্রমন বলে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
হিমু আসলে উনাকে কম বলে। উনাকে ছাগুবান্ধব না বলে সরাসরি ছাগুই ডাকা উচিত।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

আমি আমার বহুদিন একান্তে ভাবা বিষয়টার প্রতি জনসমর্থন দেখে আশান্বিত, যাক, আমি তাহলে ছাগু চিনি হাসি

---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

স্বাধীন এর ছবি

কেউ যদি ছাগুবান্ধব হয় কিংবা ছাগু হয় তিনি কিভাবে সচল পরিবারে থাকতে পারেন? যদি কেউ সচল পরিবারের (সচল/হাচল/অতিথি) অংশ হয় তবে তাকেও কিভাবে ছাগু হিসেবে ট্যাগিং করতে পারি। আমার মনে হয় এই প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। ছাগুবান্ধব বা ছাগু কাউকে সচলে না রাখা হোক, অথবা সচল/হাচল/অচল কাউকে যে কোন বিশেষনে ভূষিত করার চর্চা বন্ধ হোক। মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এই মন্তব্যের সাথে ২০০% সহমত। কথায় কথায় ছাগু/ছাগুবান্ধব, এই ধরণের ট্যাগিং আর ইন্টিমিডেশন বন্ধ হোক, না হলে সেই লেখকের সচলত্ব বাতিল করে দেয়া হোক। যে কোন প্রকার ছাগুর এখানে জায়গা হবার কথা না।

আরো বৃহত্তরভাবে দেখলে যে যেভাবে দেশকে ভালোবাসতে চায়, বাসুক। সচলে এই বিষয়ে থট পুলিশ-গিরি ধীরে ধীরে বাড়ছে আমার মতে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

অনিকেত এর ছবি

@ ফয়সাল ভাই,
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পোস্ট ভালো লেগেছে, কারণ, কারো কারো কাছে ইদানিং এই নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে এবং প্রশ্নগুলো চেপে না রেখে আলোচনা করে ফেলাই ভালো। তবে পোস্টের বক্তব্যের সাথে আমার সচলাভিজ্ঞতা পুরোপুরি যায় না। বরং বক্তব্যের দিক দিয়ে পোস্টটি একেবারেই একপেশে। পোস্টে উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিষয়েই বলি:

১। সিরাতকে যারা আগে থেকে চিনে, তারা জানে সে ভালোমানুষ বা অকুটিল। কিন্তু এখানে আমপাঠকের কাছে বিচারটা পুরোপুরি লেখার ওপর। তার অধিক সংখ্যক ইংরেজি শব্দের ব্যবহারে (যে দোষটা আমারও কমবেশি আছে) পাঠক বিরক্ত হয়ে ফিডব্যাক দিতো, এটাকে প্রথমে তেমন আমলে না নেয়ায় পাঠক বিলা হয়। তবে সে রোষানলে পড়ে মূলত জামায়াত শিবির নিয়ে সংবেদনশীল কথা বলায়। এখানে তার বক্তব্যটা অজানাপ্রসূত কিনা, এটা বিচার করতে পাঠক প্রথমেই বাধ্য নয়। সুখের বিষয়, দুই বিষয়েই সিরাতের আচরণ পরে অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে এবং আমার মনে হয়, এখন আর কেউ গিয়ে তাকে খামাখা খোঁচায় না; বরং তার পোস্ট অধিকাংশ পাঠকই আগ্রহ নিয়ে পড়ে। সচলে হোক আর পত্রিকায় হোক, পেশাদার লেখক না হলে কেউ নিয়মিত বছরের পর বছর লিখে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। সিরাত কয়েকদিন লিখছে না, এটা দেখেই সে 'সচল' বুলিংয়ের শিকার হয়ে মনোক্ষুণ্ণ, এ কার্যকারণ সিদ্ধান্ত টানাটা সঠিক মনে হয় না।

২। নাভিদ সালেহর পোস্টের ভালো দিক ছিলো মেধার মূল্যায়ন নিয়ে বক্তব্য আর খারাপ দিক ছিলো অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীদেরকে অনেকটা মেধাবীদের জন্য উৎসর্গীকৃত দাস হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা। অন্তত পোস্টটি পড়লে প্রথম দৃষ্টিতে সেরকমই মনে হবে। নাভিদ নিজে সেই বক্তব্য ক্লিয়ার করে নি। পাঠক খেপলে এক্ষেত্রে লেখকের দায়। সেই লেখক কার পরিচিত আর কতবড়ো বিজ্ঞানী বা বাস্তবে কতো সজ্জন কিংবা নোবেল প্রাইজ পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে এটা বিবেচনায় আনতে পাঠক বাধ্য নয়।

৩। কামরুজ্জামান স্বাধীনের ক্ষেত্রে প্রথম দায় মডুদের। অধিকাংশ পাঠকের কাছেই যে পোস্ট নিম্নমানের, তা বারবার প্রকাশ করার মানে হয় না। এখন, পোস্টের নিম্নমান নিয়ে পাঠক মন্তব্য করলে লেখক নিজেই যদি পাঠককে উল্টা আক্রমণ করেন, তাইলে পাঠকের একটাই দোষ, তাহলো সেই পোস্টে আবার যাওয়া। কামরুজ্জামান স্বাধীনকে কেউ দলবেঁধে ব্যক্তি আক্রমণ করতে য়ায নি; বরং কি করলে লেখার মান ভালো হবে, সেই ফিডব্যাক দিয়েছে। তিনি তাতে কর্ণপাত তো করেনই নি; বরং বাক্যবাণে পাঠককে উত্যক্ত করতে চেয়েছেন। নিরীহ ভালো মানুষ সাজা সব মানুষই ঠিক নিরীহ ভালো মানুষ নয়। উনার উত্তর-প্রত্যুত্তরগুলো ভালো করে পড়লেই এটা বুঝা যায়।

সবজান্তা বা আশরাফের ঘটনা ফলো করি নাই। মন্তব্যের ক্ষেত্রে হিমুর শব্দচয়নে আরো যত্নবান হওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয়। সামহোয়্যারইনের হিমুর সাথে সচলের হিমুর পার্থক্য হলো এখানে সে মডু। দায়িত্বের সাথে সীমাবদ্ধতাও আসে। সে হয়তো নিজেকে পাঠক ভেবেই মন্তব্য করে; কিন্তু অন্যপক্ষ সেটাকে ক্ষমতাসীন মডুর মন্তব্য হিসেবে রিড করতে পারে।

সুমন রহমান হলেন প্রতিভাধর কবি-সাহিত্যিক-গালিবাজ। তিনি অত্যন্ত প্রতিভার সাথে গালি দিতে পারঙ্গম। অন্য এক ব্লগে আমাকে 'কামড়াইয়েন না, জলাতঙ্ক হবে :)' এরকম শৈল্পিক গালি দিয়েছিলেন, তিনি নিক ভাড়াইয়া আমাকে জামায়াতের চরও বলেছিলেন। তবে আমি অতো শিল্পটিল্প বুঝি নাই, সরাসরিই কুত্তার বাচ্চা কইয়া পালটা দেওনে দৌঁড়াইয়া প্রতিভা বাঁচিয়েছেন। এই মাল সচলায়তন ব্যানের সময় কি করছিলেন, সেইটা আমার নোতুন করে বলার কিছু নাই। তবে জুবায়ের ভাইয়ের মৃত্যুর পরে সেটা নিয়ে লেখা সুমন রহমানের উত্তরাধুনিক ছোটোলোকিই সম্ভবত আমার দেখা ব্লগজগতের সবচেয়ে বড়ো নোংরামি।

এমনকি সচলায়তন বিষয়ে প্রথম আলো-তে লেখা আমার নিবন্ধের গীবতেও সামিল হয়েছিলেন তিনি।
- জুবায়ের ভাইকে নিয়ে সুমন রহমানের উক্তি।

আমাকে 'প্রতিভা'র সাথে শৈল্পিক আঙ্গিকে কুত্তা বলা সুমন রহমান আমারব্লগ নিয়ে লিখেছেন,

আমারব্লগ আমি মাঝে মাঝে পড়ি। আমার বিবেচনায়, এই ব্লগে একমাত্র গালাগালি ছাড়া এমন কিছু দেখি নাই যা কোনো মডারেটেড ব্লগে করা সম্ভব নয়। গালাগালিগুলো বাদ দিলে বাদবাকি লেখাগুলো তো প্রথম আলো-র মত সুশীল পত্রিকাতেও ছাপা সম্ভব বলে আমার ধারণা! ফলে আমার ধারণা যারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ধুয়া তুলছেন তারা ইচ্ছামত গালাগালি করাকেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলে ভাবছেন। ফলে, এই প্রেক্ষিতে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এক শ্রেণীর সাইকোপ্যাথদের যত্রতত্র মাস্টারবেশনের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক অর্থে তার কথা ঠিক। তবে সেখানে 'সাইকোপ্যাথ' এর ইনস্ট্যান্স হিসেবে সুমন রহমান বসে যাবেন। কারণ, তিনি গালাগালিকেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলে মনে করেন এবং সেখানে যানও তার সেই 'স্বাধীনতা'র চর্চা করতে। অথচ সচল থেকে হিমু যেমন সেরা গল্পকারের পুরস্কার পায়, আমারব্লগের তনুজাও তেমনি সেরা কবির পুরস্কার পায়। স্পষ্টতই সেখানের নোমডারেশন বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সব ব্লগারই সাইকোপ্যাথ না।

এই সুমন রহমানটাইপ ভন্ডদের আশ্রয়স্থল হিসেবে মতির পিআলো খুব ভালো যায়গা। এস এম মাহবুব মুর্শেদের পোস্ট মূলত এই চিহ্নিত ভন্ডের ভন্ডামি উন্মোচনের একটা প্রয়াস। অবশ্য পোস্টের শিরোনামে সুমন রহমান না দেখে প্রথম-আলো দেখলেই আমি বেশি খুশি হতাম। তবে সেই খুশি হওয়াটা যেমন পাঠকের স্বাধীনতা, তেমনি ফোকাসের বিষয়টাও লেখকেরই স্বাধীনতা।

আমি খুব অস্বস্তির সাথে খেয়াল করা শুরু করলাম যে আমাদের স্বদেশপ্রেমটা ধীরে ধীরে উগ্র স্বদেশ প্রেমের দিকে মোড় নিচ্ছে।যে কোন কিছুর উগ্রতাই পরিতাজ্য।

যে কোনো কিছুর উগ্রতাই খারাপ হবে কেন? তাইলে পৃথিবীতে আর যুদ্ধবিগ্রহ থাকতো না। অন্যায়ের প্রতিরোধ বলেও কিছু থাকতো না। আপনি এটাকে নাৎসীদের সাথে মিল দেখছেন, আমি দেখছি নাৎসীদের প্রতিরোধকারী পন্থা হিসেবে। এখানে যে জিনিসটা আপনার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে, তাহলো কোনটা আক্রমণ আর কোনটা প্রতিরোধ বা প্রতি-আক্রমণ। নাৎসীদেরটা আক্রমণ ছিলো, একইভাবে বরাহদের স্বাধীনতাযুদ্ধকালীন সুকীর্তিও আক্রমণ। আমরা যেটা চাই, তাহলো সেই আক্রমণের প্রতিরোধ করতে। কারণ, স্বাধীনতার পরাজিত অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যারা শান্তির ধর্ম ইসলামকে গুলায়া বড়ি বানাইয়া তারপর সেইটা বিক্রি করে রাজনীতি করে, তাদের সাথে মিঠাকথা বলে কোনো লাভ নাই, তখন উগ্র দেশপ্রেমেরই দরকার হয়। আপনার উগ্র দেশপ্রেম পছন্দ না, ভেরি গুড। আমাকে হেদায়েতের চেষ্টা করুন, সেটাও ওকে। আমি হেদায়েত না শুনলে চুপ থাকুন, আপনার তরিকামতো স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আপনি কাজ করে যান; কিন্তু আমি উগ্র দেশপ্রেমিক বলে আপনি যদি এমন বক্তব্য দেন, যেটা বরাহদের পক্ষে যায়, তাইলে আপনি ফায়ারিং লাইনে এসে গেলে সেটার দায় আমি কেন নিবো?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ বলাই'দা আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার উগ্র দেশপ্রেম পছন্দ না, ভেরি গুড। আমাকে হেদায়েতের চেষ্টা করুন, সেটাও ওকে। আমি হেদায়েত না শুনলে চুপ থাকুন, আপনার তরিকামতো স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আপনি কাজ করে যান; কিন্তু আমি উগ্র দেশপ্রেমিক বলে আপনি যদি এমন বক্তব্য দেন, যেটা বরাহদের পক্ষে যায়, তাইলে আপনি ফায়ারিং লাইনে এসে গেলে সেটার দায় আমি কেন নিবো?

আমি আপনাকে আমার কোন দায় নিতে বলিনি এখানে।
আপনার 'উগ্র দেশপ্রেম' নিয়ে যুক্তিটাও খুব একটা শক্তিশালী বলে মনে হল না। সে যাই হোক, আপনার ভিন্ন মত হতেই পারে।

ভাল থাকুন

হাসিব এর ছবি

পোস্ট ভালো লাগে নাই । কারন এখানে লেখক যেই স্ন্যাপশটগুলোর কথা বলছেন সেগুলোর পুরো গল্পটা উনি বলেন নাই । অর্ধেক গল্প ভবিষ্যতে সচল পাঠকদের মনে কিছু ঘটনা সম্পর্কে ভুল ধারনার জন্ম দিতে পারে । বলাই, হাসান মোরশেদ, হিমুর মন্তব্যে কিছু কথা উঠে এসেছে । আমার কিছু বলা ছিলো । কিন্তু একই বক্তব্য বারবার বলা মাঝে মাঝে ক্লান্তিকর বলে এখানেই থামলাম ।

অনিকেত এর ছবি

পোষ্ট পড়ার জন্যে ধন্যবাদ হাসিব ভাই।

বইখাতা এর ছবি

আপনি সাহসী মানুষ অনিকেতদা। 'সচলায়তন' আমার পড়া প্রথম ব্লগ এবং প্রথম পড়াতেই খুব ভালো লেগে গেছিল যার কারণে এখানে বারবার আসা, অন্য কোথাও যেতে ইচ্ছা করেনি। সচলায়তন পড়ি, এখানে লিখি প্রায় নয়-দশ মাস হলো। যদিও লিখেছি গুটিকয়েক বলার-মত-না ধরণের লেখা, কমেন্টও করা হয় খুব অনিয়মিত; এরপরেও খেয়াল করেছি, সচলায়তনকে নিয়ে আমার আশেপাশে কেউ কথা বললে নিজের চিন্তা বাদ দিয়ে শুনি কী বলে - ভালো কিছু বললে খুব ভালো লাগে, খারাপ কিছু বললে খারাপ লাগে, সচলায়তনের গুণগানও করেছি কারো কারো কাছে; কখন থেকে জানিনা নিজের অজান্তেই নিজেকে সচলায়তনের অংশ ভাবতে শুরু করেছি। তাই চাই না এখানে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক যেটা কৌতূহলী হয়ে যারা সচলায়তন পড়তে আসে তাদের নিরুৎসাহিত করবে।
যখন থেকে সচলায়তন পড়ি, তখন থেকে এ পর্যন্ত কিছু কিছু উদ্ভূত পরিস্থিতি, মন্তব্য, আচরণ আমারও অপছন্দ হয়েছে, খারাপ লেগেছে, মনে হয়েছে - এমনটা না হলেই স্বস্তি পেতাম। আপনি যা যা লিখেছেন সবকিছুর সাথে সবাই একমত হবেন না, যাদের নাম বলেছেন তাদেরও নিশ্চয়ই বলার মত অনেককিছুই আছে, তবে সার্বিকভাবে চিন্তা করলে আমার মনে হয়, এ পোস্টটার প্রয়োজন ছিল।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ বইখাতা

দুর্দান্ত এর ছবি

এই লেখার সাথে আমি সহমত নই। অন্তত সিরাত ও নাভিদ এর সাথে ব্লগের বাইরেও কথা হয়, এবং আমি যদি তাদের কথা বুঝে থাকি, যে ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির কথা আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে, এই দুজন আপনার এই নেতিবাচকতার সাথে একমত কিনা, সেটার পরীক্ষার অবকাশ আছে।
পূর্বপরিচয়, সামাজিকতা ও বংশবিচার যার যার ড্রয়িংরুমের জন্য রাখা থাকুক।
যে লিখবে, তাকে যেকোন সমালোচনার জন্য প্রস্তুত থেকেই লিখতে হবে - সেটা ব্লগ হোক আর মন্তব্য, সচল হোক আর মডু।

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

ইয়াপ, যে লিখবে, তাকে যেকোন সমালোচনার জন্য প্রস্তুত থেকেই লিখতে হবে - সেটা ব্লগ হোক আর মন্তব্য, সচল হোক আর মডু

---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ দুর্দান্ত

পথহারা এর ছবি

কে অতীতে কি ছিলো, বর্তমানে কি আছে বা ভবিষ্যতে কি হবে - এইসবের চেয়ে সে ব্লগে কি লিখলো সেইটাই মুখ্য বিষয় এবং সেইটাই তার আসল ব্যক্তি পরিচয় ব্লগীয় পরিমন্ডলে। অনিকেতদার সব কথার সাথে এইজন্য একমত হতে পারলাম না। তবে তিনি কিছু কথা অবশ্য ঠিকই বলেছেন। শক্তিশালী কিছু ব্লগার তাদের মন্তব্যে হাগামুতা-যুক্ত কিছু শব্দ ব্যবহার করেন, যদি যুক্তিকে আরো শক্ত করার জন্যও শব্দগুলো ব্যবহার করা হয় তারপরও তা মেনে নেওয়া যায় না। নিশ্চয় শোভন শব্দ ব্যবহার করেও যুক্তিকে শক্ত এবং মজাদার করে তুলা যায়।
পরিশেষে - সুমন রহমান নিপাত যাক, তারা প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসকারী, কারণ তারা যে কাগজে লেখে তা বানাতে বনের গাছ উজাড় করা লাগে!! সেইদিন খুব বেশি দূরে নয় যখন সবাই এই সত্য উপলব্ধি করতে পারবে এবং পরিবেশবান্ধব ব্লগিংকেই লেখার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করবে। ব্লগিং দীর্ঘজীবি হোক!

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ পথহারা

কনফুসিয়াস এর ছবি

অনিকেতদার এই লেখাটার পেছনের উদ্দেশ্য মহৎ, বুঝতে পারছি। কিন্তু যে ঘটনাগুলোর উল্লেখ এসেছে এখানে, সেসবে সব দিক দিয়ে আলো ফেলা হয়নি, তাই এই লেখা পড়ে একপেশে ও ভুল ধারণার অবকাশ রয়েছে।

অনিকেতদার পোস্টে বারবার 'আমরা' প্রসঙ্গ এসেছে, এটা ভাল লাগেনি। এখানে, এই প্ল্যাটফর্মে সবাই নিজের নিজের মত প্রকাশ করে, আন্ডারগ্রাউন্ড কোন দল বানিয়ে কারও বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করে না।
ব্লগের ব্যাপারটা ছাপা মাধ্যমের চেয়ে আলাদা তো বটেই। এখানে লেখার জন্যে খানিকটা ভিন্ন ধরণের মানসিক প্রস্তুতির দরকার পড়ে। নিজের বক্তব্যের দায়িত্ব নিতে না জানলে ব্লগে লেখা মুশকিল, কারণ এখানে কেউ প্রশ্নহীন নয়।
যে কজনের প্রসঙ্গ এসেছে পোস্টে, তাদের একজনের ক্ষেত্রে আমি দেখেছি যোগাযোগে সমস্যা। অন্য আরেকজন সম্ভবত ব্লগীয় পরিবেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হয়েই স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে মন্তব্যকারীদের প্রশ্নের জবাবও দিতে পারছিলেন না। এখন এই মানুষগুলো ব্যাক্তিজীবনে নাস্তিক নাকি দেবতা, সেটা তো কারো জানার উপায় নেই। এখানে প্রকাশিত লেখাটাই আমার পরিচয়, লোকে প্রশ্ন করলে এই লেখাটাকেই করে, ব্যক্তি আমাকে করে না।

আমার যেটা মনে হয়, একটা বড় জায়গায় অনেক লোক একসাথে থাকলে সবাই একমতের মানুষ হয় না, খানিকটা ঠাসাঠাসি হবে, ঠেলাঠেলিও হবে। সচলায়তনের সাম্প্রতিক অস্থিরতা সেরকমই কিছু ব্যাপার। এ সবের ফলে সব গেল গেল বলে বিচলিত হবার কোন কারণ দেখি না। ঝুট ঝামেলা বা মনোমালিন্যকে একপাশে সরিয়ে রেখে এগিয় যাওয়াটাই মুখ্য।
তবে এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, হোক, আত্মসমালোচনাও হোক, কিন্তু সেই সমালোচনাও যেন বস্তুনিষ্ঠ হয়, এমনটাই আশা।
************************

পুনশ্চঃ পোস্টে আপত্তি জানিয়ে গেলাম। আরও একবার ভাল করে পড়ে মনে হয়েছে অনেকগুলো অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়া হয়েছে এই পোস্টে, যেটা মিসলিডিং।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ কনফুসিয়াস।
তোমার আপত্তি জানানোটাও মাথায় নিলাম।

আর সব কিছু শুনেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, তুমিও আমার লেখার মূল কথাটা ধরতে পারো নি। আমি যে স্ন্যাপশট গুলো দিয়েছি সেগুলো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র যেগুলো কোন কারনে আমার মনে রয়ে গেছে।

আমার আপত্তির কারণ খুব সাধারণ। এখানে যেভাবে বিরুদ্ধমতের মোকাবেলা করা হয় সেটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। একজনের মত আমার সাথে না মিললে তার ঘাড়ে চড়ে বসার তো দরকার দেখি না। যার যার আপত্তি ভদ্রভাবে বললেই হয়।

আমার দ্বিতীয় আপত্তি ছিল এখানে কিছু কিছু জিনিসে চড়া সুরের ঝংকার। আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে দেশপ্রেমের একটা মডেল খাড়া হয়েছে। এবং সবাইকে প্রকারান্তরে উৎসাহিত করা হচ্ছে সেই মডেল অনুসরণ করতে।

আমি যে কোন ধরনের উগ্রতার বিপক্ষে। সেইটা যদি তোমাদের মত না হয়---তাহলে আমার কিছু করার নেই। এই অনর্গল প্রলাপ কথন আর উগ্রতার বিরুদ্ধে আমার আপত্তিটাই লেখাতে আমি জানিয়েছি।

যেমন তুমি তোমার আপত্তি এখানে জানিয়ে গেছ।

সাবিহ ওমর এর ছবি

এই পোস্টে উল্লিখিত সবগুলো গিয়াঞ্জামেই আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি এবং নির্লজ্জভাবে ইন্সটিগেটরের ভূমিকা পালন করেছি। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি, এই কাজে আমি সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছি অন্য 'সিনিয়র' সচলদের কাছ থেকে। এক জায়গায় লিখতে হলে, কিছুকাল থাকতে হলে কিছুটা অভিযোজন করতে হয়। সচলের মন্তব্যের সাম্প্রতিক (সত্যযুগের কথা জানি না) ঘাত-প্রতিঘাতময় পরিবেশে আমিও আক্রমণাত্মক মোডে নিজের টোন সেট করেছি।

সচলেরা হয়ত এতে অভ্যস্ত, বা এটাকে যথেষ্ট ভাল অবস্থা বলে মানতে চান। আপনারা অনেক দিন ধরে বাংলা ব্লগের (পঙ্কিল?) জগতে আছেন। কিন্তু একেবারে বাইরের মানুষ বা অতিথি লেখকেরা কি এর জন্য তৈরি? আপনারা হয়ত বলবেন তাকে মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু নতুনেরা তা জানবে কি করে? আমি এখানে আসার দুই দিনের মাথায় প্রথম পোস্ট দিয়েছি, তখন আমি এমনকি এটাও জানতাম না ছাগু কাকে বলে!

অতিথি লেখক বাদ দিই, সচলায়তনের অনিবন্ধিত পাঠক সংখ্যাও এখন কম না। এমনকি তাদের কাছেও সচলায়তন মতপ্রকাশ ও মুক্তচিন্তার একটা শক্তিশালী মাধ্যম। তারা আমাদের কাছ থেকে ছিলাছিলির চেয়ে অনেক বেশি কিছু আশা করে। তাই আমাদের বোধহয় (প্লিজ তলোয়ার খাপে ঢুকান) আরেকটু 'সুশীল' হওয়া দরকার। এটা একটা ট্রেড-অফের মতন ব্যাপার। কোন্দল করা একটা সুখপ্রদ ব্যাপার, কিন্তু ওতে সময় আর শ্রমের অপচয়ই বেশি হয়। সচলেরা প্রতিভাবান, কর্মনিষ্ঠ। তাদের শ্রম আর সময়ের দাম আছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কিন্তু একেবারে বাইরের মানুষ বা অতিথি লেখকেরা কি এর জন্য তৈরি?

অধিকাংশ অতিথিই এর জন্য তৈরি। যেমন, এই মুহূর্তে প্রথম পাতার ২০ টি লেখার মধ্যে ১০ টি পূর্ণ সচলদের, ৯ টি অতিথি বা অতিথি-সচলদের এবং ১টি মহামান্য সন্দেশের বাণী। এই অতিথিদের কয়টা পোস্টে গিয়ে কেউ আক্রমণ করছে? একটাও না। সচলের ওভারঅল পরিসংখ্যান মুর্শেদ বলতে পারবে, তবে আমার বিবেচনায় পূর্ণ সচলদের চেয়ে অতিথিদের লেখার সংখ্যাই এখানে বেশি। মন্তব্যেও তাই। সচলায়তন প্রসারের পিছনে এই অতিথিদের অংশগ্রহণ অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এত অধিক সংখ্যক লোক সচলের পরিবেশ বুঝতে পারলে দুয়েকজন যারা লেখায় সমালোচনার শিকার হোন, তাদেরটা আসলে উদাহরণ না, ব্যতিক্রম।

একটা নোতুন পরিবেশে গিয়ে আপনাকে প্রথমেই সবকিছু জানতে হবে, এমন কথা নেই। এখানে স্বাধীনতার বিরুদ্ধ পক্ষে যাওয়ার মতো কিছু না লিখলে সাধারণত কেউ ঘাটায় না। এর বাইরে, মুই কি হনু রে ভাব দেখাতে গেলে সচলায়তন কেন, নিজের বাপের টাকায় ব্লগ খুলেও শান্তি পাওয়া যাবে না। চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাবিহ ওমর এর ছবি

অধিকাংশ অতিথি ডলা খান না কারণ তারা নির্দোষ আত্মজীবনীমূলক লেখা বা কবিতা দিয়ে শুরু করেন। লেখা নিয়ে কাটাছেড়া তখনই হয় যখন তাতে সামাজিক বা রাজনৈতিক বিষয় উঠে আসে। কাটাছেড়া হওয়া ভাল। কিন্তু এখানে যেরকম সমালোচনা হয় তাতে মূল বক্তব্যের চেয়ে একটা লাইন বা একটা শব্দ অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়ে যায়।

একটা কথা অনেক সচল বারবার বলেন (বোধহয় বিশ্বাসও করেন), তা হল দুধে এক ফোঁটা চোনা পড়লে পুরা দুধ নষ্ট। একজন ব্লগারের জন্য এটা কতটুকু ঠিক? আমি তো অন্তত মহাপুরুষ না। আমি এখানে পিএইচডি ডিসার্টেশনও লিখতে বসি নাই। তাই আমি অনেক ভুল করি। সমসাময়িক একটা ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে আমি যে প্রতিক্রিয়া দেব, বাস্তবে তার উল্টোটা ঘটে যেতেই পারে। আবার যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ায় বা নিছক প্রকাশভঙ্গীর কারণে অনেক কিছু খারাপ শোনাতে পারে। কিন্তু এটা শোধরানোর সময় কি দেওয়া হয়? শুরুতেই প্রবল ব্যক্তিগত আক্রমণ করে লেখককে ধরাশায়ী করে দেওয়া হয়। এখন সেও তো মানুষ, সে যা করে ডিফেন্সিভ হয়ে নিজে যা বোঝাতে চায় নাই, তাই নিয়েই লড়ে যেতে থাকে। অন্যদের কথা জানিনা, কিন্তু একটা লেখার কমেন্ট পড়তে পড়তে আমার মতামত আস্তে আস্তে গড়ে ওঠে। যেকোন রকম ব্র্যান্ডিং যেটা ইগোকে আহত করে তা এই প্রক্রিয়াটাকে বাধা দেয়। আমি শুধু এই নিশ্চয়তাটা চাই যে সচলে মন্তব্য করার সময় একজন ব্লগারের এই দুর্বলতাটাকে আমলে নেওয়া হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক "লাইক" মারলাম। ১০০% সহমত!

-- আশাহত

শরতশিশির এর ছবি

তাহলে সাবিহ, এখন থেকে আর তীর্যক আক্রমণ করবেন না আশা করি। নাভিদ ভাইয়ের ব্লগে যেভাবে লেগে গিয়েছিলেন (আমি জানি নাভিদ ভাইকে চেনেন এখন আপনি, আমি তো আগে থেকেই চিনি) এবং পরে আরেকটা লেখাতে নিজে থেকেই ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন সেটা নিয়ে, মনে আছে। আর কালকে তো আরেকটু হলে আপনি আমার সাথেই লাগিয়ে দিচ্ছিলেন - আমি হতে দেইনি দেখে আপনি অহেতুক তর্ক আর চালাতে পারেন নি। চোখ টিপি

এত ভাল লেখেন আপনি, তাই চলুক। ভাল বিতর্ক বরং আমরা করি না হয়, নিছক সময় আর মেজাজ নষ্ট করা তর্কের চেয়ে।

ভাল থাকবেন। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ঘটনা আসলে ঐরকমই। হাসি
আপনার মন্তব্য থেকেই বুঝা যায়, ইন জেনারেল কাউকে আক্রমণ করা হয় না, যখন সামাজিক বা রাজনৈতিক বিষয়ে (ধোঁয়াশাপূর্ণ) বক্তব্য উঠে আসে, তখন সেটার প্রতিবাদ বা সো-কলড 'আক্রমণ' করা হয়। মূল বক্তব্যের সাথে একটা লেখার প্রত্যেকটা অংশই কোনো না কোনোভাবে জড়িত। সুতরাং কোনো কোনো লাইনে এসেই বরং লেখার মূল বক্তব্য ভালোভাবে বুঝা যায়। যেমন,

"সদা সত্য কথা বলিবে। সকলের সহিত সম্মানপ্রদর্শন করিবে, বড়দিগকে সালাম দিবে ও ছোটোদিগকে স্নেহ করিবে। উদাহরণস্বরূপ, গন্ডগোলের বছরে দায়িত্ব পালন করা বিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক মাওলানা মতিউর রহমান নিযামী উনার শিশুকালে প্রত্যেকের সহিত আদব-লেহাজের সহিত সুমিষ্ট স্বরে বাক্যালাপ করিতেন।" - এই লেখাটার বক্তব্য কি সদা সত্য কথা বলা নাকি রাজাকার নিযামীর গুণকীর্তন করা, তা বুঝতে উদাহরণের লাইন দরকার।

লেখক নোতুন বলে তাকে আদর করে মাথায় হাত দিয়ে বুঝাতে হবে, একটু কড়া কথা বললেই সেটায় সে 'ধরাশায়ী' হয়ে যাবে, এরকম দুগ্ধপোষ্য শিশু হলে তো প্রবলেম। আমার কাছে পাঠকের মন্তব্যকেই বরং শোধরানোর পক্ষে সবচেয়ে ভালো প্রভাবক মনে হয়, তা মন্তব্য যতো রূঢ়ই হোক না কেনো। তা না করে 'নিজে যা বোঝাতে চায় নাই' ইগোর বশে তাই নিয়েই লড়ে যেতে থাকা আবাল সচলে দেখতে চাই না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অনিকেত এর ছবি

@সাবিহ ওমর
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

স্পর্শ এর ছবি

আসল কথা হলো মাথা ঠান্ডা রেখে ইজি থাকতে হবে।
এই লেখার মূল সুরের সাথে একমত। চলুক

BTW: 'মিথ্যা' আর 'ভুল' এর মধ্যে পার্থক্য আছে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ স্পর্শ

অতিথি লেখক এর ছবি

আত্মসমালোচনা দারুন ওষুধ। সচালয়াতনের সমালোচনা করার যোগ্যতা আছে কিনা জানি না/ করা উচিত কিনা এটা নিয়েও কনফিউজড । তবে এটা বুঝি এই আত্মসমালোচনার নিমতিতা ওষুধ সচালায়তনের জন্য বেজায় উপকারী।
ব্লগের মান বিচার করতে গেলে অন্যান্য কম্যুনিটি থেকে সচালায়নের মান অনেক উপরে নি:সন্দেহে। আমি মোটামুটি সবগুলোতে চোখ বুলাই । এর একটা কারণ নি:সন্দেহে শক্ত মডারেশন ব্যবস্থা ।
তবে সবকিছুরই একটা সময় আছে । এ্যাডাপ্ট করার ক্ষমতাও থাকা উচিত পরিস্থিতি অনুযায়ী ।
স্বীকার করতে দ্বিধা নেই সচলের ক্যাচাল দেখতে বড়ই উপাদেয়।
এর কারন ঝগড়ার সময় সংসদ, বস্তি, ব্লগ, রাস্তা সবই সমান হয়ে যায় । ভাষাটা একটু কন্ট্রোলে থাকে হয়তো । ডমিনাট্রিক্সের সিল্কের চাবুকের মতো । তখন আমার মনে হয় আসলেই মানুষের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই দেঁতো হাসি । সচল, অচল,প্রবাসী, বাংলাদেশের সবাই সমান ।
এই বিনোদন বন্ধ হওয়া উচিত না কোন মতেই !
আসলে খুচাখুচি না থাকলেও চলে না -- তবে সেটা নির্মম পর্যায়ে যাওয়ার আগেই রোখা উচিত । এই কারনেই আত্মসমালোচনা আর ভুল স্বীকার করা উচিত।
আমি বেশ কিছুদিন আগের পোষ্টও পড়েছি । অবাক হলাম এরচে অনেক বড় বড় ঘটনাতেও আজ যারা উগ্র, তারাই বিনয়ী আচরন করেছেন।
নিশ্চয়ই এর মাঝে কোন বিবর্তন হয়েছে। হয়ত তিক্ততা থেকে।
উগ্রতাও এক প্রকার ডিফেন্স মেকানিজম।
কেউ নিজ থেকে না পাল্টালে পাল্টে ফেলা যায় না ।
সবজান্তাভাবধারী আর যারা নিজেদের দোষত্রুটির উর্দ্ধে মনে করে তাদের কি হাল হবে দেখাটা খুবই ইন্টারেষ্টিং হবে।
----
আমার কাছে সচালায়তন প্লাটফর্মের চে সচলায়তন নামটা নিয়ে বাড়াবাড়ি সবচে দৃষ্টিকটু লাগে।
অবশ্য আমি অচল আমার সমালাচনাতে কোন কিছুই যায় আসে না। পাঠক হিসাবে এটাই আমার উপলদ্ধি।
----
পোষ্টের মোটামুটি সবগুলো পর্যবেক্ষনের সাথে একমত ।
তবে আশরাফের ব্যাপারটা একটা কথা না বলেই পারছি না--
গতকয়েকদিন ধরে মুজতবা আলী সমগ্র পড়ছি ।
সেখানে দেখলাম লিখছেন "বাঙলাদেশ"। মুজতবা আলী জীবিত থাকলে আর কোন মতে সচলায়তনে তাকে নিয়ে আসা গেলে --
জায়গা মতো তার কোমলতা নিয়ে তাকে উপদেশ দেয়া হতো নিশ্চয়ই । যারা উপদেশ দিচ্ছেন তারাই আবার গল্প-কবিতার মতো কোমল বিষয় নাড়াচাড়া করছেন -- হয়তো শক্ত হয়ে উঠে বংশবিস্তার করবে এই আশায়।
মুজতবা আলী ব্লগে আসলে তাকে নিয়েও ছিচ্ছিক্কার পড়ে যেতো ভাষারীতি আর বানান রীতি নিয়ে । বেচারা মরে বেচেছেন -- আশরাফের সেই সৌভাগ্য হয়নি।

---

ঝগড়া হবে সমালোচনা হবে আবার খুনসুটি হবে এ নিয়ে সচালয়াতন চলবে। এইভাবে হোক সেইভাবে হোক কোনটা সঠিক এটা কেউ জানে না ।
ভবিষৎ এর সচলাতনের জন্য শুভকামনা ।

--
ইমতিয়াজ মির্জা

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মুজতবা আলী '"বাঙলাদেশ" লিখতেন, 'বাংলাদেশ' রাষ্ট্র সৃষ্টির আগে না পরে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি যেখানে পড়েছি সেটা মনে হয় আগেরই রচনা।
৭১ পরেও তো বেচে ছিলেন মুজতবা আলী সে সময় লিখেছেন কিনা বলতে পারছি না ।
আর যদি লিখতেন তাহলে কি হতো ?
কোমল কোন উপাধি দেয়া হতো ?

--
ইমতিয়াজ মির্জা

হাসান মোরশেদ এর ছবি

'যদি' লিখতেন তাহলে তাঁকে ও দেয়া হতো নিশ্চিত থাকেন।
একটা রাষ্ট্রের নাম সাংবিধানিকভাবে যা আছে, তার ভিন্নতা করা যায়না- এটা বুঝতে বেশী জ্ঞান লাগেনা, কান্ডজ্ঞানই যথেষ্ট।

আপনার আমার মতো দু'চারজনের এটার খামতি থাকতে পারে, সৈয়দ সাহেবের যথেষ্টই ছিলো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

দেয়া হতো
এটাই যথেষ্ঠ !

আলী সাহেবের কান্ডজ্ঞানের উপর আমার ভরসা আছে।তার রসবোধের উপরেও । উনাকে উপাধি দেয়া হলে হিমু ভাই এর চে সরেস কোন রম্য আমরা উপহার পেতাম সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত ।

--
ইমতিয়াজ মির্জা ।

হিমু এর ছবি

আলীসাহেবের পাণ্ডিত্যের ওপর এইটুকু আস্থা রাখুন, যে "কোমল শোনায়" এই যুক্তিতে তিনি ইচ্ছামতো বানান বিকৃত করতেন না।

আর যদি করতেন, সেটার দায়ও তিনি নিতে রাজি হতেন বলেই আমার বিশ্বাস।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্নিগ্ধা এর ছবি

ইমতিয়াজ মির্জা - আপনার নাম মন্তব্যে দেখি কিছুদিন ধরে। সাধারণত আমি চেষ্টা করি অতিথিদের কটু কথা না বলতে। কিন্তু,

স্বীকার করতে দ্বিধা নেই সচলের ক্যাচাল দেখতে বড়ই উপাদেয়।
এই বিনোদন বন্ধ হওয়া উচিত না কোন মতেই !
এই কথাগুলো পড়ে মনে হলো, অনেকে যে অতিথিদের নিয়ে সন্দেহ করেন, সেটা বোধহয় এইসব কারণেই!

সচলের ওপর আপনার মেজাজ খারাপ থাকতেই পারে। তাই বলে, এইরকম সংকীর্ণ আচরণ কেন করতেই হবে আপনাকে?? একটা ব্লগ আপনি সময় নষ্ট করে পড়েন, বলছেনও যে এটার মান ভালো, কিন্তু একইসাথে আবার যেহেতু একজন সচলায়তনকে সমালোচনা করে পোস্ট দিয়েছেন - সঙ্গে সঙ্গে এসে আপনারও দুটো 'বাঁকা কথা' বলে যেতে হবে কেন??

ওপরে দেখুন - সচলরা ছাড়াও আপনার মতো আরও অতিথি আছেন যারা সমালোচনা করেছেন এরকম কোন বিনোদনের আনন্দলাভের আশা ছাড়াই। ঠিক, এটাই সচলায়তনের 'মান'।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপু -- আপনি মনে হয় আমার পুরো মন্তব্যটা পড়েননি ।
অতিথি বলে আমি সমালোচনা করতে পারবো না এটাই বা কোথায় পেলেন ?
অবশ্য অবস্থা দৃষ্টে ব্যাপারটা হাতি কাদায় পড়লে চামচিকায় লাথি মারার মতো শোনাচ্ছে মন খারাপ । সেটা আমি কমেন্তের শুরুতেই বলে নিয়েছি ।

পোষ্টটা তো উপকারী -- সাথে আমার মন্তব্যটাও উপকারী । সচলের উপরে আমার মেজার খারাপ হলেই কি আর না হলেই কি ?

আপনি সোজাসুজি ধরে নিলেন আমি "মেজাজ খারাপ" থেকে কমেন্ত করলাম ?
সচলায়তনের প্রতি ভালোবাসা একটু কমালে আমার মন্তব্যটা আপনারো ভালো লাগবে।
বেশী ভালোবাসা কখনো ভালো নয় খাইছে
---
আফটার অল> চিত্ত হেথায় ভয়শূন্য -- উচ্চ হেথায় শির
আপনিই ভয়ে ভয়ে কমেন্ত করেন আর আমার অবস্থাটা একবার চিন্তা করে ক্ষমাঘেন্না করে দিন হাসি

--
আর সিরিয়াসলী ,
মতপ্রকাশ করতে গিয়ে আপনার কোন অনুভূতিকে আহত করলে ক্ষমাপ্রার্থী।

হিমু এর ছবি

অনিকেত এগুলোকেই বলেন "সমালোচনা" আর তার উত্তর দিতে গেলে সেটা হয়ে যায় "ব্যঙ্গ আর শ্লেষ"।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনি নিজে আমার মন্তব্য পুরোটা পড়েছেন তো? যেখান থেকে রেফারন্স দিলেন যে আমিই ভয়ে ভয়ে কমেন্ট করি, তাহলে আপনি তো করতেই পারেন - সেখানে আমার 'বেশি ভালোবাসা'র প্রমাণ যদি বা থাকেও, আমি যে 'সমালোচনা'কে ভালো মনে করি সেটাও কি থাকার কথা নয়?!

আপনার মেজাজ খারাপ আমি ধরে নেই নি। আপনি ততোটা নিয়মিত মন্তব্য করেন না যেটা থেকে আপনার সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা তৈরী হবে বা হয়েছিলো। আপনার মন্তব্যের টোনই কিন্তু আমাকে সেরকম ভাবিয়েছে। আপনি নিজেই আবার পড়ে দেখুন।

না, 'আমার' কোন অনুভূতিকে আহত করেন নি। একদমই না। আমি আসলে ক্লান্ত। এই একইসাথে 'যা ঠিক মনে হবে তা সাহস করে ব্লগেও বলা উচিত' আবার 'সচলায়তনকে অনুচিত কথা বললে সেটার প্রতিবাদ' এই দুই এর ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করতে করতে আমি ক্লান্ত!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

প্রাসঙ্গিক মনে হল তাই একটা মন্তব্য করতে চাইছি।

অতিথিদের প্রতি মডারেটরদের সাথে সংশ্লিষ্ট নিকের কেউ যখন কঠোর ভাষায় মন্তব্য করে তখন আমার খারাপ লাগতো। এখনো লাগে। বিশেষত আমি দেখেছি হিমু অনেক সময় কিছু মন্তব্য করে যেগুলো আমার কাছে বেশ কঠোর এবং রূঢ় মনে হয়। এরকম সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা মনে পড়ছে যেখানেও আমি অতিথিদের পক্ষ নিয়ে মডারেটর কাউকে কাউকে মেইল দিয়েছিলাম। দু:খজনক হলো সেই এক অতিথিই পরবর্তীতে তার আসল চেহারা বের করে ফেলেছে। আমি তার নাম উল্লেখ করতে চাইনা। স্পষ্টতই দেখঅ যাচ্ছে আমি যেটা আগে থেকে বুঝতে পারিনি, হিমু কিংবা অন্য কেউ সেটা আগেই বুঝতে পেরেছে। দিনান্তে দেখি হিমুই ঠিক। (জানিনা, হিমুর পক্ষ নিলাম বলে কোথাও কেউ আমাকে নিয়ে কেউ কিছু লিখে ফেলে কিনা। তেমনটা হলে হয়তো আমিও খড়কুটার মতো উড়ে যাবো)।

আমি চাইনা কারো সাথেই কঠোর আচরণ করতে, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে ওরা (হিমু, মুর্শেদ, ধুগো) আমার থেকেও দুরদর্শী, সেকারণেই হয়তো প্রথম পদক্ষেপেই তারা সেসব অতিথির চরিত্র বুঝে ফেলে। তবে সবসময় মানুষ সঠিক আচরণ করতে পারেনা, মাঝে মাঝে আমরা সবই ভুল করে ফেলি। আমার নিজস্ব কিছু অবজারভেশন আছে, যেগুলো আমি ইমেলে জানাবো।

এত কিছু বলার কারণ হলো আমাদের এই অতিথি-- যাকে আমি এতদিন সুশীলই ভাবতাম। কিন্তু তিনিও দেখুন কী সুন্দর তার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করে দিলেন। বড়ই বিচিত্র আমাদের মন।

অতিথি লেখক এর ছবি

সুশীল কথাটা তো গালি হিসাবে ব্যবহার হয় । আমাকে সুশীল ভাবতেন বলে কি বোঝালেন ?

আমি খুবই দু:খিত আপনাদের সুনজরে পরার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারলাম না।
তবে আমি নিজেও খুব কৌতুহলী আসলে আমার "উদ্দেশ্য" কি ছিলো ?

আমি ভাবলাম যেটা ভাবি সেটা বলে দেখি। আপনি আরো কি গুপ্ত উদ্দেশ্য খুজে পেয়েছেন বলবেন কি ?
শুনে ধন্য হতাম ।

--
ইমতিয়াজ মির্জা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি সুশীল বলতে সেই গালি-সুশীল বোঝাইনি। আমি নিজেকে সুশীল মনে করি।

আপনার উদ্দেশ্য তো আপনিই ভালো জানেন। আর আপনি কী জানেন তা আপনার মন্তব্য থেকে জানতে পারি। আমি তো অন্তর্যামী নই যে আপনি কি ভাবছেন সেটা আমি বুঝতে পারবো। উপরের একটি মন্তব্যেই তো বলেছেন আপনি কি চাইছেন।

গুপ্ত উদ্দেশ্য আছে কি নেই তা আমি জানিনা। আপনার মন্তব্যের সূত্র ধরেই এটা বলেছিলাম।

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

পিপিদা, আমি নিজেকে মনে করি একেবারেই অপরিপক্ক নাবালক - ব্লগিং সম্পর্কে আরো বেশি। কিন্তু যার কথা বললেন তার ব্যাপারে কিন্তু দিনের একেবারে প্রথমভাগেই আমি সেই ধারণাটাই করেছিলাম যেটাকে আপনি পরে ঠিক দেখছেন। আসলে প্রথম দুয়েকবার মুখ হা করলেই মানুষের চরিত্র খোলাসা হয়ে যায়, এবং এটা সচলের সবারই পারা উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।

---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

হিমু এর ছবি

আলীসাহেব "বাঙলাদেশ" লিখলেই সেটা সঠিক হয়ে গেলো? আজ আলীসাহেব বেঁচে থাকলে কি বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানানরীতি নিয়ে কোনো আলোচনায় না গিয়েই নিজের মনের মতো বানান লেখা শুরু করে দিতেন বলে আপনি মনে করেন?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি বলিনি আলীসাহেব লিখলে সঠিক হতো। মত বিরুদ্ধ কিছু লিখলে সচলে তিনি কি ট্রিটমেন্ট পেতেন সেটাই আবার বক্তব্য ছিলো ।
---
কেউই কোন কিছু না -- এই ভংগিটা কিন্তু ভয়ের ব্যাপার।
কোন একসময় এই ভূত আমাদেরও তাড়া করতে পারে । আমারাও কোন কিছুই না!
--
আমার মনে হয় উনি বিরুদ্ধবাদীদের কথা মনযোগ দিয়ে শুনতেন -- যেভাবেই লিখুন না কেন।
তার জ্ঞান দিয়ে প্রমিত,অপ্রমিত সব ভাষারীতিই আলোকিত হতো এবং হচ্ছে ।

--
ইমতিয়াজ মির্জা ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মির্জা সাহেব, 'বাংলাদেশ' তো সচলের মত না। আপনি, আমি যে রাষ্ট্রের নাগরিক সেই রাষ্ট্রের সংবিধানের মত।
অন্য ভাবে লিখলে সেটা সচলের মত বিরোধী হয়না, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধানের মত বিরোধী হয়।

আর আসলেই কেউ কিছু না। দুই দুনিয়ার দুনিয়া- মির্জা, সৈয়দ, আমির, ফকির সবই সমান।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হিমু এর ছবি

কিছু কিছু নাম ব্যবহার করার আগে, একটু চিন্তা ভাবনা করতে হয়।

সুনীল গাঙ্গুলি একবার Arthur Rimbaud কে "হ্র্যাম্বো" লিখেছিলেন কাগজে। ফরাসীতে সুদক্ষ আলীসাহেব ক্রুদ্ধ হয়ে একে ছাগলের ম্যাৎকারের সাথে তুলনা করেছিলেন চিঠি লিখে। তিনি বানানের ব্যাপারে "বিরুদ্ধবাদী"দের ছেড়ে কথা বলেননি কখনো। আমি তাঁর ভক্ত, তাঁকে এক্ষেত্রে অনুসরণের ইচ্ছা রাখি।

আলীসাহেব সচলায়তনে লিখলে বিরুদ্ধবাদীদের কথা অবশ্যই মন দিয়ে শুনতেন, এবং কেউ যুক্তিবিবর্জিত ছাগলামি করে গেলে তাকে তুলাধুনা করতেন বলে আমার গভীর বিশ্বাস। আলীসাহেবের লেখার বড় ভক্ত আমি, কিন্তু তার মানে এ-ই নয়, তাঁর প্রতিটি কথাই বেদবাক্য হিসেবে ভক্ষণ করতাম।

আমরা কেউই কিছু না, "কিছু" বলে যদি কিছু টিকে থাকে, তা যুক্তি। যুক্তির বিপরীতে আবেগ বা বিশ্বাসের স্থান খুব সংকীর্ণ।

বড় বড় মানুষের নাম উচ্চারণ করে নিজের অযুক্তি ঢাকার প্রচেষ্টাকে কেউ ভালো চোখে দেখে না। আশরাফ মাহমুদের ঐ পোস্টটিতে গিয়ে দেখবেন, বাংলা ব্যাকরণ এবং প্রচলিত বানানরীতি থেকে তাঁকে অসংখ্য যুক্তি দেয়া হয়েছে, তার প্রত্যুত্তরে তিনি "হৃদয়ে লেখা নাম" "কোমল শোনায়" "কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন" "হুমায়ূন আজাদও তো লিখতেন" এই ধরনের খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে গেছেন। আপনি আশরাফ মাহমুদের বন্ধু হোন, শুভেচ্ছা থাকবে, কিন্তু তার দুর্বল যুক্তিগুলোর বন্ধু না হোন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষ দেশ ভ্রমন করলে তার জ্ঞান বাড়ে। একদেশের গালি একদেশের বুলি । মুজতবা আলীকে কখনোই আমার একরোখা, সংকীর্ন মনের লোক মনে হয়নি। তার ভক্তেরও এমন হওয়া উচিত না। অবশ্য কোন কোন ভক্ত মাছের কাটা বাছার মতো মাছটুকু ফেলে কাটাটুকু খেয়ে ফেলে।
আসুন আমরা তেমন ভক্ত না হই ।
---

জগতে যদি যুক্তিই কেবল টিকে থাকতো তাহলে এতো এতো বই পুস্তক, মুভি, জ্ঞান আদান প্রদানের সব গুলো মাধ্যমগুলো কেবল যুক্তিতে পূর্ন থাকতো । আবেগের অস্তিত্ব থাকতো না ।
আবেগ না থাকলে "পুরনো বাড়ীর" মতো কোন লেখাও বের হতো না।
সমস্যা সেখানেই "আমার" আবেগ বড়ো -- আমি সেটা "যুক্তি" দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলেই দুনিয়ার সব গ্যান্জাম শুরু হয়।

--
ভাষারীতি আর বানান নিয়ে আমার জ্ঞান ক্ষুদ্র (বিনয়ার্থে না আসলেই তেমন কিছু জানি না)।
আশরাফের তর্ক করে সেটা তার বদভ্যাস । তবে তার অবস্থানটা ছিলো লেখকের লেখার স্বাধীনতা নিয়ে। সেখানে সংবিধান দিয়ে সিদ্ধ করে লেখাকে আটকানোর কোন মানে দেখিনি। (বাংলাদেশ শব্দটি প্রতিষ্ঠিত ও প্রচলিত। আমারও বাংলাদেশই ভালো লাগে)।
আমার মনে হয়েছে সে যদি লিখতে চায় তবে প্রমিত ভাষা রীতি অজুহাত তুলে তাকে আটকানো একধরনের সর্দারী।
আর ১০০ বছরে আগের প্রমিত রীতি অনুসরন করলে দেখবেন ওসবের কোন অস্তিত্ব নাই এখন ।
ভাষার উপর কোন দিন বাধ দেয়া যায় না। কারন একটা প্রজন্ম চলে গেলে সেই সময়ের অনেক কিছু হারিয়ে যায়। নতুন প্রজন্ম নতুন ভাষায় কথা বলে ।
এসব পাল্টাবেই ।
--
ইমতিয়াজ মির্জা ।

হিমু এর ছবি

১.
মির্জা সাহেব, আমি আপনাকে উদাহরণ দিলাম, বানানরীতি নিয়ে আলীসাহেবের স্পর্শকাতরতার। আপনি এর সাথে সংকীর্ণতাকে মেলাচ্ছেন আমাকে সংকীর্ণমনা ডাকার জন্যে। মুজতবা আলীর নামের আড়ালে আপনি "বাঙলাদেশ" বানানের অযুক্তিকে লুকাচ্ছেন। এটা এক ধরনের অসততা।

২.
জগতে একটা বানান রীতির ওপর লেখা পুস্তক দেখান, যেটা আবেগের ওপর ভর করে লেখা হয়েছে। বাকি যেসব পুস্তক মুভি আছে, ওগুলো এখানে অপ্রাসঙ্গিক।

বাড়ী নয়, বাড়ি। বাড়ী বানান এখন অশুদ্ধ। এটা ২০১০ সাল।

৩.
লেখকের স্বাধীনতা মানে বাংলাদেশকে বাঙলাদেশ লেখার স্বাধীনতা নয়। আমি আপনাকে ঈমথিয়াঝ মিড়ঝা লিখতে পারি না স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে।

যদি সর্দারি বলেন, তো সর্দারি। শুদ্ধ বানানে লিখতে চাওয়া বা বলাও সর্দারি। এরকম বহু সর্দারির প্রয়োজন আছে সমাজে, তাতে করে অনেক জটিল কাজ সহজ হয়।

ভাষার ওপর বাঁধ দিতে চায়ও না কেউ। তবে শুদ্ধ বানানরীতি অনুসরণ করতে চায় সকলেই। আবেগ এবং অযুক্তির দোহাই দিয়ে আর ১০০ বছর পর ভাষার কী দশা হবে, সেইদিকে আঙুল তুলে আপনি আজকে বাঙলাদেশ লিখে গেলে সেটা নির্বোধ গোঁয়ার্তুমি কেবল। ১০০ বছর পর হয়তো পৃথিবীতে একজনের গাড়ি আরেকজন নিয়ে বেচে দেবে, তাই বলে আজকে আপনি যদি আমার গাড়ি বিক্রি করে দিতে চান, আমি তো প্রতিবাদ করবোই, তাই না?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্পর্শ এর ছবি

এই কমেন্টের প্রেক্ষাপট জানিনা।

তবে হুমায়ুন আজাদও 'বাঙলাদেশ' লিখতেন। এতেও অবশ্যই কিছু জাস্টিফাই হয়না।
আসল কথা হলো একটা 'ঙ' আর 'ং' নিয়ে কী এমন জোরাজুরি। বুঝি না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

হিমু এর ছবি
নাশতারান এর ছবি

ইমতিয়াজ মির্জা, সচলায়তন নামটা আমার যারপরনাই উপযুক্ত মনে হয়েছে শুরু থেকে। এ নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি আপনার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে একটু ভেঙ্গে বলুন।

আপনার দেঁতো হাসি দেখেই বেশ বুঝতে পারছি যে আপনি মজা পাচ্ছেন। সেটা কোন সমস্যা নয়। আপনি কীসে মজা পাবেন সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিছু মানুষ সবযুগেই থাকে যারা পথে ঘাটে অন্যায় হতে দেখলে এগোয় না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা নেয়। গণপিটুনিতে ফাঁক ফোঁকর গলে দু একটা কিল বসিয়ে দেয়। আর বাড়িতে ফিরে ভাত খেতে খেতে বলে, "দেশটা একদম রসাতলে গেলো !"

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

হিমু এর ছবি

সচলায়তন শব্দটা লিখতে গিয়ে যার কীবোর্ড ভেঙে যাওয়ার দশা [আটবার লিখে দুইবার শুদ্ধ বানানে লিখতে পেরেছেন], তার মুখে সচলায়তন নামটা নিয়ে সমালোচনা চায়ের সাথে টা হিসেবে বেশ ভালো লাগে।

তবে এটা হচ্ছে বক্রোক্তি। অনিকেতদার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এখন আমার ক্ষমা চাওয়া উচিত।

ও ভাই ইমতিয়াজ মির্জা ... শুনেন আমার গান ... প্রভুজিইইইই, তুম চন্দন হাম পানি ♪♫



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

দশটা কমেন্তের জবাব একসাথে দিতে গেলে আপনি কি বোর্ড না সামনের টেবিলটাই ভেংগে ফেলতে পারতেন ।

ক্ষমা চেয়ে আর নিজেকে ছোট করবেন না -- ক্ষমা, ভুল ইত্যাদি বাংলাহিমুএকাডেমির প্রমিত শব্দকোষে নেই চোখ টিপি

বস --
আপনার জন্য একটা জটিল গান পেয়েছি -- একদম পাংখা !

গোলি মার ভেজে মে (এত কথার দরকার কি)
কে ভেজা শোর করতা হে (এত কথা শোনারই বা দরকার কি)
ভেজেকি সুনেগা তো মরে গা কাল্লু (হিল্লু)

খাইছে

--
সত্য ছবির গান। আপনার তো আবার মুভিটুভি নিয়ে আইডিয়া কম(টুয়েলভ এ্যাংরি মেন এর অনুবাদ দ্বাদশ(!) ক্রুদ্ধজন [শৈল্পিক ভ্রান্তিমালা ] ) । এই ছবিটা দেখে ফেলেন । আপনার সাথে ভালো মিল পাবেন। বন্ধুত্ব , এ্যাকশন সব পাবেন চোখ টিপি

--
ইমতিয়াজ মির্জা

হিমু এর ছবি

মির্জা সাহেব, আপনার বাংলা [নাকি বাঙলা?] জ্ঞানও আপনার বন্ধু আশরাফ মাহমুদের মতোই। আপনি যখন দ্বাদশের পর বিস্ময়বোধক চিহ্ন দেন, তখন বুঝলাম, আপনি সীমিত জ্ঞানকে সম্বল করে তর্ক করে যাবেন।

শিখতে তো আমাদের কারো আপত্তি নাই, নাকি? দ্বাদশ শব্দের দুটো অর্থ আছে, একটা বিশেষ্য [বারো অর্থে], আরেকটা বিশেষণ [বারোতম অর্থে]। ইংরেজিতে একে বলে কার্ডিনাল নাম্বার আর অর্ডিনাল নাম্বার। আপনি গুগল মেরে দেখে নিতে পারেন এগুলোর মানে কী। জাতীয় ক্রিকেট একাদশ যখন বলা হয়, তখন যেমন এগারোজন বোঝানো হয়, এগারোতম খেলোয়াড় বোঝানো হয় না।

থাক, আপনাক সংসদ অভিধানের একটা লিঙ্ক দেই। আপনি আমার ওপর আস্থা রাখতে না পারলেও তাদের ওপর পারবেন হয়তো।

আর রয়েসয়ে, দেখেশুনে, জেনেবুঝে, ভেবেচিন্তে কমেন্টের জবাব দিলেই দেখবেন সমস্যা কমে যায়। "যাই বেটাদের একটা খোঁচা দিয়াসি" চিন্তা মাথায় নিয়ে মাঠে নামলে তো সমস্যায় পড়বেন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাই বলবো সাহেব বলবো এই চিন্তায় আছি ।
হিমু সাহেব,
আমার জ্ঞান সীমিত । ভুল করি - ভুল থেকে শিখি। নতুন কিছু শিখলাম । ধন্যবাদ ।
আরেকটুজ্ঞান দান করেন নাহয়, "একাদশ জাতীয় ক্রিকেট আর জাতীয় ক্রিকেট একাদশ" কি এই অর্থ বুঝায় যায়? আমি বলছিলাম "দ্বাদশ ক্রুদ্ধজন" মানে বারোতম রাগীলোককে বুঝায়। "ক্রুদ্ধজন দ্বাদশ" হলে একটা কিছু হয়তো বোঝায় । সেটা কি বুঝায় আমি বুঝতে পারছি না।

"আপনাক" কি বস ? আমার নাহয় কিবোর্ড ভেংগে ফেলার রোগ আছে।

নাহ -- আমি তো খোচাখুচির চিন্তায় কমেন্ত করি নাই ।
যেটা মনে হৈলো সেটাই লিখতে গিয়ে দেখি কমেন্তের পর কমেন্ত।

শাখের করাত । উত্তর দিলেও খোমা লুকানি সুশীল আর না দিলে কাওয়ার্ড ?

ব্যাফক গ্যান্জামে পড়লাম বস!

হিমু এর ছবি

দ্বাদশ ক্রুদ্ধজন বারোতম রাগীলোককে বোঝায়, আবার বারোজন রাগীলোককেও বোঝায়। আপনি যদি দু'টি থেকে একটিকে সঠিক বলেন, আর অন্যটিতে বিস্ময়বোধক লাগান, তাহলে কি চলবে?

আপনাকে আরো উদাহরণ দেই। তারাপদ রায়ের কবিতামালা আছে একটা, নাম "সপ্তদশ অশ্বারোহী", সতেরোটি কবিতার সমন্বয়ে। আপনি যদি বলেন, সপ্তদশ অশ্বারোহী মানে তো সতেরোতম ঘোড়সওয়ার, আপনি সঠিক। কিন্তু এর অর্থ সতেরোজন অশ্বারোহী, সেটিও সঠিক। আপনি বিস্ময়বোধক লাগিয়ে এটাকে ব্যবহার করতে গেলে সমস্যায় পড়বেন।

আপনি আমার ওপর আস্থা না রাখলে অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন, তৎসম সংখ্যা কেমন।

কীবোর্ডের ফাটল ধরিয়ে দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। আপনার একটা চন্দ্রবিন্দু আমার কাছে চলে এসেছে, ওটা শাখের মাথায় বসিয়ে শাঁখের করাতটা ধার দিতে থাকেন।

আপনি খোঁচাখুঁচির চিন্তা করে কমেন্ট করলেও কিন্তু দেখবেন অনেক ঝামেলা কেটে যাচ্ছে। চিন্তাভাবনা না করে কমেন্ট করলেই এই তর্ক চলতে থাকে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলায়তন নামটা নয়। সচলায়তন নামটা নিয়ে বাড়াবাড়ি ।
সচলায়তন নামটা খুবই ভালো।
এই পোষ্টে গুনে দেখুব সচল কতো বার লেখা হয়েছে।
ক্লান্ত হয়ে যাবেন ।
--

বাহ ! যারা গণধোলাই দিলো তারা যে হাতে সুখ মিটালো সেটা উপভোগ করলো তা নিয়ে কোন কথা নাই ? আমি দাড়িয়ে দাত কেলিয়ে দেখলে দোষ!
আপনি কি বুঝতে পেরেছেন আমি কি বলতে চেয়েছি । সচলের ঝগড়া-ঝাটি হাবি জাবি লোক সম্মুখে আসলে মানুষ এমন দাত কেলিয়ে মজা পাবেই । সেটা ধরিয়ে দেয়া এতো অন্যায় হয়ে যাবে বুঝতে পারি নি।

আপনি আমার স্বরুপ উম্মোচন করতে পেরেছেন আপানাকে সাধুবাদ :)।
বেকাররা অবশ্য গনপিটুনিতে অংশ নিয়েই বেশী মজা পায় ।
আর তারা বাসায় ফিরে বলে আর "দেশ উদ্ধার করে এসেছি"।

আপনার দেশ উদ্ধার জারি থাকুক ।

--
ইমতিয়াজ মির্জা

নাশতারান এর ছবি

এই পোষ্টে গুনে দেখুব সচল কতো বার লেখা হয়েছে।
ক্লান্ত হয়ে যাবেন ।

সচলায়তনে বার বার সচল লেখা হবে না তো কী লেখা হবে?
গুণতে গেলে তো ক্লান্ত হবোই। এমন ক্লান্তিকর কাজ কেন করব?
আপনি গুণতে গিয়েছিলেন বুঝি?

যারা গণধোলাই দিলো তারা যে হাতে সুখ মিটালো সেটা উপভোগ করলো তা নিয়ে কোন কথা নাই ? আমি দাড়িয়ে দাত কেলিয়ে দেখলে দোষ!

আপনাকে তো দোষ দেই নি, ভাই। আপনার এর বেশি কিছু করার সাধ্য নেই সেটাই বলেছি। আপনি তো মানুষ, ঈশ্বর তো নন। সব মানুষেরই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। দাঁত কেলানো যদি আপনার স্বভাবজাত হয়ে থাকে সেখানে কার কী করার আছে? তাছাড়া এখানে তো কোন গণধোলাই হচ্ছে না। ওটা একটা উপমা ছিলো মাত্র। এই পরিস্থিতির সাথে সুবিধেমত খাপে খাপে মিলিয়ে নিলেন দেখছি !

সচলের ঝগড়া-ঝাটি হাবি জাবি লোক সম্মুখে আসলে মানুষ এমন দাত কেলিয়ে মজা পাবেই ।

এখানে মানুষ শব্দের আগে একটা ব্যাকেটে একটা "বাইরের" আছে।

অর্থাৎ সচলের ঝগড়া-ঝাটি হাবি জাবি লোক সম্মুখে আসলে (বাইরের) মানুষ এমন দাত কেলিয়ে মজা পাবেই ।

আপনাকে সাধুবাদ জানাই এমন অকপটে নিজের পরিচয় তুলে ধরার জন্য। আপনি যে সচলবান্ধব নন সেটা জানলাম। এতদিন দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। এবার কলহের গন্ধ পেয়ে ফাঁক বুঝে ঢিল ছুঁড়তে এসেছেন।

বেকাররা অবশ্য গনপিটুনিতে অংশ নিয়েই বেশী মজা পায় ।

বেকার কাকে বললেন? আমাকে?

এটা সরাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণ।

আমি কিন্তু আহত হলাম না। কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি আমাকে আঘাত করার মত আর কোন হাতিয়ার খুঁজে পাচ্ছেন না আপনি। এই আঘাতের মধ্য দিয়ে বরং আপনার অসহায়ত্ব প্রকাশ পেল।

একটা গল্প শুনুন।

ক্লাস ফাইভে আমি প্রথম চশমা নিই। ইয়া বড় বড় গোল গোল ফ্রেমের চশমা। একদিন বাসে করে নানুবাড়ি যাচ্ছি। বাসে এক পিচ্চি মেয়ে আমাকে দেখে প্রথমে ঠায় চেয়ে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর বলা নেই, কওয়া নেই হুট করে বলে বসলঃ "যা, তুই ফকির!"

বেচারি আসলে ভয় পেয়েছে আমার ভয়ালদর্শন চশমা দেখে। তাই একটা গালি দিয়ে নিজেকে সাহস যোগালো।

আপনি যে ভীষণ সাহসী সেটাও বুঝলাম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

স্নিগ্ধা এর ছবি

পোস্টটা নিয়ে অনেকেই একমত/দ্বিমত/ভিন্নমত হবেন, হবারই কথা, সেটাই তো হওয়ার কথা যে কোন বিষয় নিয়েই। কিন্তু, তার চাইতেও বড় কথা - অনিকেতের মতো একজন নরম ধরনের মানুষ হঠাৎ কী কারণে এরকম একটা পোস্ট লিখতে গেলো, এটা বোধহয় একটু ভাবার সময় এসেছে আমাদের।

উপরের মন্তব্যকারীদের কিছু পয়েন্টের সাথে আমি একমত। যেমন, ব্লগে যে যা লিখবে সেটার প্রেক্ষিতেই তার মূল্যায়ণ হওয়া উচিত, ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা পূর্ব পরিচয় না। ঠিক। কারুর সাথে কারুর গোলমাল হলে সেই দায় পুরো 'সচলায়তন'এর উপর কেন বর্তাবে, ঠিক। কিন্তু, ...

অনিকেতের বলা ঘটনাগুলার সাথে আমার নিজের ওই ঘটনাগুলা নিয়ে যে পার্সপেক্টিভ, সেটার সবটা মেলে না। মেলার কথাও না - কারণ আমি 'স্নিগ্ধা', 'অনিকেত' তো নই। কিন্তু, পোস্টের মূল সুর, বা বলা ভালো ইদানিংকালের সচলের যে ট্রেন্ড নিয়ে অনিকেতের আশঙ্কা অথবা হতাশা - সেটার সাথে আমি একমত। কিছুদিন আগে সিরাতকে একটা মন্তব্যে বলেছিলাম "কথাগুলা বললাম কারণ এখনও আমার চিত্ত ভয়শূন্য"। আমার সেই কথাটা একটা ভার্চুয়াল চড়ের মতো আমার নিজেরই গালে এসে পড়েছে, কারণ আমি এখন ভয় পেতে শুরু করেছি।

না, আমার সাথে কেউ কোন দুর্ব্যবহার করেনি। আমাকে সরাসরি কেউ কোন ব্যক্তিগত আক্রমণ করেনি। আমার একদম শেষ বিতর্ক/মতপার্থক্য ছিলো মুর্শেদের সাথে, এবং সেটা খুবই ভদ্রভাবে শেষ হয়েছে। কিন্তু, ওই পোস্টে মন্তব্য করার আগে আমি অনেকটা মানসিক যন্ত্রণা বা বলা ভালো টেনশনে ছিলাম - ঐ পোস্ট সংক্রান্ত যে জনমত দেখা যাচ্ছে, সেখানে গিয়ে ফট করে একটা উলটা কথা যে বলবো, তারপর আমাকে বাঁচাবে কে?! সবচাইতে আয়রনিক ব্যাপার হলো - সুমন রহমানকে আমি বেশ ভালো মত অপছন্দ করি। সচলায়তন নিয়ে যা বলেছে বা করেছে সেগুলা তো আছেই, কিন্তু জুবায়ের ভাইকে নিয়ে যে কথাটা ঐ লোক লিখেছিলো, তারপর থেকে তাকে মোটামুটি ডিসগাস্টিং লাগে আমার। এবং সেই বিতৃষ্ণা পাবলিকলি প্রকাশ করাতে সুমন রহমান আমার নাম ধরে ব্লগে বাজে কথা লিখেছে। লিখেছে বেশ করেছে, লিখতে থাকুক।

কিন্তু, আমার পয়েন্ট তো সুমন রহমান ছিলোই না! কিছুদিন আগে উৎপল শুভ্রকে নিয়েও বোধহয় পোস্ট দেয়া হয়েছিলো। বা এরকম অনেককে (যাদেরকে পাবলিক স্ফিয়ারে লোকে চেনে) নিয়েই দেয়া হয়। তাতে আমার কোন অসুবিধা নাই। আমার বক্তব্য ছিলো যে সে যেহেতু অতীতে সচলকে নিয়ে নানারকম পলিটিক্স বা প্রচার করেছে, তাই তার নাম ধরে শিরোনাম দেয়াটা আমার ভালো লাগে নাই। ঠিক যে রকম সচলে যে অন্য ব্লগের কোন কিছু নিয়ে পোস্ট দেয়া বা আলোচনা করাটা নিরুৎসাহিত করা হয়, সেই একই কারণে। কথা এটুকুই, এবং যাকে উদ্দেশ্য করে বলা, অর্থাৎ পোস্ট লেখক সেটা ম্যাচিওরভাবে হ্যান্ডেল করেছে। কিন্তু, অন্যান্য কিছু মন্তব্যকারি যে কয়জনকে সুমন রহমানের চামচা, বা ইত্যাদি আরো কিছু নামে ভুষিত করলেন তার মধ্যে আমি পড়ি নাকি পড়ি না আমি আর নিশ্চিত নই। আর জিফরান আর সবজান্তাকে কেউ কেউ যে ভাষায় যেভাবে মন্তব্য করলেন, সেটা পড়ে আমার আবারও ভয় হচ্ছিলো - আমাকে কেউ যদি এর অর্ধেকও কিছু বলে, সেটা নেয়ার ক্ষমতা আমার নাই! আমি মোটামুটি কুটার মত উড়ে যাবো।

আমি জানি, আমি যদি গো আজম বা নিজামি এদের সমর্থক হই, তাহলে শুধু উড়ে যাওয়া কেন, আমাকে কামানের মুখে গোলার সাথে বেঁধেই নাহয় উড়িয়ে দেয়া উচিত। কিন্তু, আমি কি তাইই? বা, জিফরান বা সবজান্তা কি তাই?? এদের এতোদিনের বিভিন্ন প্রসঙ্গে বিভিন্ন বক্তব্য কি তাই বলে?? তাহলে কেন কারুর কোন কিছুতে মেজাজ খারাপ হলেই এই ট্যাগিং করা হবে? বুঝলাম ছদ্মবেশী ছাগুদের ঠেকানোর জন্য সতর্কতা দরকার, তাই বলে সেটার মাত্রা কি এখানে এসে দাঁড়াবে?

সচলায়তনের মডারেশন নিয়ে আমি অতীতে বহু কথা বলেছি। বহুবার জানিয়েছি যে এই মডারেশনের ফলেই এখানে একটা মার্জিত, শালীন, ইন্টেলেকচুয়ালি স্টিমুলেটিং লেখালেখির পরিবেশ তৈরী হয়েছে। এখনও তাই বলি। এই পোস্টেই অনেক অতিথি, অতিথি সচলও সেকথা বলেছেন। কিন্তু, একইসাথে এটাও বলি - মডারেশনের সাথে জড়িত কেউ যখন অতিরিক্ত রূঢ় আচরণ করে তখন সেটা দেখে আমি ভয় পেতে শুরু করি। "থাক বাবা, গোলমালে জড়ায় কাজ নাই, সবার সামনে আমাকে অপমান করে দিলে, তখন??" আজকাল এটাই ভাবি।

একাধিকবার বলেছি - সচলায়তন, as a space, আমার খুব, খুব পছন্দের একটা জায়গা। বহু সচলের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক হওয়া ছাড়াও শুধুমাত্র 'মান'এর দিক থেকেই সচলায়তন আমার কাছে বিশেষ। কোনদিন কোথাও সচলায়তনের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়, বা সচল কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এরকম কিছু করিনি, বলি নি। এটার প্রতি আমার একটা প্রচন্ড ইমোশোনাল ইনভলভমেন্ট ছিলো।

সেই কারণেই আবারও বলি, মাঝে মাঝে আত্মসমালোচনার দরকার আছে। একমত হওয়ার তো একটুও দরকার নেই। ভিন্নমত হয়েই নাহয় একটু ভাবার চেষ্টা করি, অপরপক্ষ কোন একটা কথা কেন বললো।

এখনো পর্যন্ত সচলায়তন আমার জীবনে ইম্পর্ট্যান্ট বলেই এতো কথা বলা। নাহলে খামোখাই এই বিতর্কিত পোস্টে কথা বলে মানুষের বিরক্তির কারণ হতাম না। এই কথাটাও বোধহয় একটু ভেবে দেখতে পারেন, তারা - যারা আমার এই মন্তব্য পছন্দ করবেন না। আমার এতো এতো পছন্দের মানুষ এখানে, যে এটা নিয়ে কোনরকম নেতিবাচক কথা বলতে ভালো লাগে না। তারপরও বলেই ফেললাম, সেটাই হলো গিয়ে কথা .........

আলমগীর এর ছবি

স্নিগ্ধাদি
আপনি বহু তর্ক করেন, রিস্কি তর্কও করেন। কিন্তু আপনি জানেন কোথায় থামতে হবে।

সবজান্তাকে আমি স্নেহ করিই বলব। সাম্প্রতিক পোস্টে যা হয়েছে তা তার না বুঝতে পারার সমস্যা কোথায় থামতে হয়। আগেও হয়েছে।

এ পোস্টটা কয়েকবার পড়লাম। শুভভাইকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তাই বলব উনার মনোকষ্ট থেকেই উনি এটা লিখেছেন। পাশাপাশি সচলায়তনের সৃষ্টিতে যারা জড়িত তারা যদি মনে করে এ পোস্টটার ভিন্ন অর্থ আছে, তাদের আমি দোষ দিব না। সচলের পেছনে হিমুসহ অন্য মডুরা একেকজন যে পরিমাণ সময় দেয় আমরা দশবিশজন মিলেও দিই কিনা সন্দেহ আছে।

সামারি কী দাঁড়াল?
মামু সুমন রহমানের সমালোচনার সমালোচনা লিখল।
জিফরান 'দাঁড়াও ছুলি' দেখে বুঝল মামুর উদ্দেশ্য বদ এবং সুমন রহমানের সাফাই গাইল, এবং অপদস্ত হলো।
সবজান্তা জিফরানরে বাঁচাইতে আসল (যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে চিনে), সাফাই গাইল এবং অপদস্ত হলো।
অনিকেত দা তার কিছু প্রিয় নিকদের কষ্ট দেয়া/পাওয়া নিয়ে কষ্ট পাইলেন।

ব্লগতো আর পেটে ভাত দেয় না, আনন্দ নেয়ার পাশাপাশি একটু তর্কাতর্কি খারাপ কি।

সবজান্তা এর ছবি

আগের কথা বরং না-ই জানতে চাই। আপনি বরং সাম্প্রতিক ঘটনাতেই বলুন, আমার কোথায় থামা উচিত ছিলো ?

আরেকটা কথা এখানে জানিয়ে রাখি- জিফরান ভাইকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি বলে তাঁর অপদস্থ হওয়া নিয়ে আমি এগিয়ে এসেছি, কথাটা পুরোপুরি সত্যি না। ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেক সিদ্ধান্তেই প্রভাব ফেলে- সেটা শুধু আমার না, সবারই ফেলে বলেই জানি। আমি এখানে শুধু আমার একটা চিন্তার পক্ষে স্ট্যান্স নিয়েছি। জিফরান ভাইয়ের সাথে আমার যতোটুকু ঘনিষ্ঠতা আছে, তার চেয়ে বেশি না হোক, অন্তত কম হিমু ভাইয়ের সাথেও নেই ( অন্তত আমি তাই ভাবি)। আমি কিন্তু হিমু ভাইয়ের মতের বিরুদ্ধে গিয়েই মন্তব্য করেছি সে পোস্টে। অন্তত সুমন রহমানের বিভিন্ন ঝামেলার ব্যাপারে কী পরিমাণ তথ্য আমি জানি, সেটা হিমু ভাই সম্ভবত জানেন। আমি যখন মন্তব্য লিখতে শুরু করি তখন থেকেই জানি ওই মন্তব্যের ফল কী হতে পারে- জেনে শুনেও লিখেছি। এখন যদি সঠিক সময়ে থামতে জানা মানে বলতে আপনি বুঝিয়ে থাকেন, বিবাদ সৃষ্টি হওয়ার আগ মুহূর্তে ঝামেলা এড়াতে নিজেকে প্রত্যাহার করা, তাহলে সত্যিই আমি থামতে জানি না। কারণ আমি যা নিজের বিবেচনায় ঠিক মনে করি, তার জন্য আমি তর্ক চালাতে প্রস্তুত, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত না করেই।

আপনি আমাকে স্নেহ করেন জেনে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। ব্লগের বাইরেও আপনার বিভিন্ন সময়ের সাহায্যে আমার অনেক উপকার হয়েছে। কিন্তু আপনার এই বক্তব্যে বিশেষত জিফরান ভাইয়ের 'সাফাই গাইতে আসা নিয়ে অপদস্থ হওয়া' বক্তব্যে আমার চূড়ান্ত দ্বিমত জানিয়ে গেলাম। দরকারে আরো একবার পড়ে আসুন। আমি কারো হয়ে সাফাই গাইতে আসি নি। জিফরান ভাই ঠিক না ভুল, তা আমি বলি নি। আমি শুধু তর্কের নামে তাঁকে জোর করে সুমন রহমানের মূরীদ বানিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেছি।

সেখানে যদি তর্ক করার মতো পরিবেশ থাকতো তবে আমি আমার দৃষ্টিতে সাম্প্রতিক সময়ে আমার কিছু পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করতাম। কিন্তু এখন আর সেগুলি বলার মতো অবস্থা কিংবা ইচ্ছা কোনটাই আমার নেই।

এই মন্তব্যেই ভিন্ন প্রসঙ্গের আরেকটি উত্তর দিয়ে যাই-

হাসান মোরশেদ ভাই দেখলাম উপরের মন্তব্যে বলেছেন,

আর কোন একটা লেখায়, মন্তব্যে, প্রতিমন্তব্যে তর্ক-বিতর্ক, মতান্তর, মনাত্বর হলেই 'আর লিখবোনা, চলে যাবো'- এইসব ছেলেমানুষী থেকে বের হয়ে আসার মতো পরিপক্কতা এতোদিনে বাংলা ব্লগের ব্লগারদের অর্জন করে ফেলার কথা।

আমি জানি না এই মন্তব্যটা আমার উদ্দেশ্যেই করা কিনা। সাম্প্রতিক সময়ে এমন ইঙ্গিত ছাড়া আর কেউ দিয়েছে কিনা মনে করতে পারছি না। তাই মন্তব্যটি আমার জন্য প্রযোজ্য ধরেই বলতে চাই, আমার সেই মন্তব্যটি লক্ষ্য করে থাকলে দেখবেন আমি সেখান উল্লেখ করেছি, ব্যক্তিগত নানা চিন্তাভাবনার কারণে আমি অনেক দিন ধরেই কিছু লিখছি না। আমি সম্ভবত কোথাও বলি নি যে আমি সচলায়তন ছেড়ে চলে যাচ্ছি কিংবা এ ধরনের কিছু। তবে একথা ঠিক যে, সচলায়তনে লিখার কিংবা মন্তব্য করার কমফোর্ট লেভেলে কোথাও একটা হেরফের অবশ্যই হয়েছে। আমি আপনাকে অন্তত এইটুকু আশ্বস্ত করতে পারি কোনদিন যদি লেখালিখি বন্ধই করে দেই, সেটা অন্তত ঘোষণা দিয়ে কিছু হবে না। কোন পরিস্থিতিতে কী আচরণ করতে হয়, সেটুকু বোঝার মতো পরিপক্বতা আমার আছে, এটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

আলমগীর এর ছবি

হিমুর আলমাহমুদ আনার পরই থামতে পারলে ভালো হতো।

সাফাই কিনা:
একটা লেখায়/মন্তব্যে কে কী প্রকাশ করতে চাইল তারচে কে কী তার অর্থ করল সেটাই ধরা পড়ে।

ভাল থাকো।

-----
পুনশ্চ: ফেভার কোন বিষয় না। সচল সূত্রে যতজনের সাথে পরিচয় তার মধ্যে কেবল তোমাকে আর ইশতিকেই আমি তুমি করে বলি।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

একটা মেইল করার ইচ্ছা ছিলো আপনাকে। বিবিধ ব্যস্ততায় করা হয়ে ওঠেনি। ঝগড়ার উত্তেজনায় কোনো বেয়াদবি হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন। মন্দ উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু বলিনি। মৌলিক অমিল এবং কিছু শক্ত দ্বিমত ছিলো (আছে এখনও খাইছে )।

তুলিরেখা এর ছবি

আমি পালিশকরা কথা বানানো কিছুটা কৃত্রিম মানুষ। এতদিনে অনেকেই সেটা বুঝেছেন হয়তো, হয়তো অনেকের একঘেয়েও লাগে। আসলে এইরকম হাবভাবকে নিজেই আমি এককালে তেড়েফুড়ে ন্যাকামি বলতাম। কিন্তু তারপরে বহুদিন কেটে গেল, যে পাড়ায় লেখালিখি করতাম সেই পাড়াটা মিউচুয়াল অ্যাডমিরেশন ক্লাব হয়ে গেল, সে পাড়া ছেড়ে দিলাম মানুষগুলোর রকমসকম দেখে।

সচলে এসে খুব ভালো লেগেছিলো, মনে হয়েছিলো নানারকমের মানুষ নানারকমের কথা মুক্তভাবে বলছেন, মডারেশনও আছে বাজে জিনিস ছেঁটে ফেলার, মিথস্ক্রিয়া জোরদার, এত এত ভালো ভালো লেখক, সব খুব ভালো লাগতো। পুরানো কিছু কিছু লেখায় সেসব কথা বলেওছি।

যদিও কিছু কিছু জিনিস দেখে খারাপ লাগতো, কোনোদিনও কিছু বলতে পারিনি যদিও। আজকে অনিকেতের এই লেখাটা দেখে মনে হলো সমর্থনটুকু জানিয়ে যাই, অন্যভাবে আর তো লড়তে পারবো না।

আমার সমর্থন রইলো অনিকেত।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ তুলিরেখা

অতিথি লেখক এর ছবি

এমন একটা পোস্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সচলায়তন দিয়ে আমার ব্লগ পড়া শুরু, এখান থেকে সামু আর অন্য ব্লগেও গিয়েছি। মানের বিচারে নীরব পাঠক হিসেবে এটুকু বলতে পারি, সচলায়তন আমার জন্য গ্রাম থেকে নতুন আসা একজন মানুষের শহর দেখে মুগ্ধ হওয়ার মত (উদাহরণটা হয়ত ভাল হল না), এমনটা সামুতে পাইনি।

কিন্তু কয়েকদিন ধরেই এখানকার পরিবেশ একটু অন্যরকম লাগছিল। ভেতরের কাহিনী অত জানিনা, কিন্তু প্রথম দেখায় কয়েকটা জিনিস দেখে ঘাবড়ে যাচ্ছিলাম, "সচলে ঢুকলাম, না সামুতে ঢুকলাম?!" কিছু জিনিস খারাপ লাগলেও বলতে পারিনাই হাতে লাঠি নিয়ে কামানের সামনে পড়ে যাওয়ার ভয়ে।

কিন্তু এখন যেহেতু আরেকজন বলেই দিল, আমি বলতে চাই যে আমি সহমত।

---আশাহত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হা হা . . ভাই (বোন) আশাহত, এত আশাহত হলে কি চলে? পরিস্থিতি কি এতই খারাপ ছিল যে এটাকে সামু বলে ভুল হচ্ছিল?

এখন বলে ফেলেন কোন কোন জিনিস দেখে আপনি ঘাবড়ে যাচ্ছিলেন। নির্ভয়ে বলেন। কেউ লাঠি কামান নিয়ে আসলে আমি আপনাকে ডিফেন্ড করবো, যান।

শুধু একটা অনুরোধ, কিছু বলতে-চাই বলতে-চাই বলে কিছু না বলে মন্তব্য করে দেয়াটা ভালোনা। সচালায়তন ছাড়া আর কোথায় না রেজি করে মন্তব্য করা যায় বলেন তো?

কিন্তু এখন যেহেতু আরেকজন বলেই দিল, আমি বলতে চাই যে আমি সহমত।
পুরোটা পড়ে সহমত জানাচ্ছেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

১) আমি "ভাই" হাসি

২) এই পোস্টেই একটা জায়গায় ":( লাগল ঝগড়া। কই যাই?!" বলে কমেন্টাইলাম বেশ কিছুক্ষণ আগে, আসলো নাকি জানিনা। সেটা একটা উদাহরণ।

৩) একজন লোকের একটা বানানে ঙ আর ং (অভ্রতে এইটা গোল্লা ছাড়া আলাদা কেমনে লেখে? কেউ বলবেন?) নিয়ে এত "তেনা প্যাঁচানি" এইখানেই দেখছি, মূল পোস্টের খবর হয়ত অত জানিনা। এটাও একটা উদাহরণ।

৪) আমার "সামু অ্যালার্ম" বেজেছে সুমন রহমানের নাম ধরে পোস্ট দেখে। পোস্টটার যুক্তি ছিল (কিছুটা পড়েছি, মন্তব্য অংশে তখনো কিছু আসেনি, নীরব পাঠক হিসেবে কিছু নিজেও বলিনি), কিন্তু উপরে কারো একজনের মন্তব্যে নাম ধরে পোস্ট দেওয়াটা খারাপ লেগেছে দেখলাম আমার মতই। এমন পোস্ট সামুতে ভুরিভুরি।

৫) সামুর খুব একটা ভক্ত আমি নই। বড় কারণ, দুই মাসের উপরে গেল, এখন "ওয়াচ" এই আছি, মন্তব্য দিতে পারিনা। কিন্তু এইখানে? নিজে পোস্টও দিতে পারি (দুটা দিয়েছিলাম, তারপর মাথা খালি খাইছে)

৬) গালাগালি, খিস্তিখেউড় আন্তরিক আলোচনার একটা অংশ আমিও মনে করি। কিন্তু "ছাগু" গালিটা এখানে মাঝেমাঝে একটু সহজে বের হয়ে আসতে দেখেছি (সামুর মত পানির খোলা ট্যাপ না যদিও)।

৭) আগের মন্তব্যটা একটু শোধরানো দরকার, "অতিথি লেখক" হিসেবে পারছিনা। পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে একমত।

৮) আমি চামড়াপাতলা মানুষ, আগেই বলেছি, চামড়াপাতলা হবার জন্য ক্ষমাও চাচ্ছি। তাও বলি "রেজি ছাড়া মন্তব্য করা যায়" কথাটায় একটু সন্দেহ লাগল হাসি সন্দেহই রাখলাম, আমার নিজের চামড়ার দোষও হতে পারে।

৯) "আশাহত" অন্য কিছু কারণে, যেমন ধরেন, রাজাকারের বিচার নিয়ে। সচলায়তন নিয়ে আশা এখনও আছে। কিন্তু এমন অবস্থা চালু থাকলে হয়ত একদিন থাকবে না, তার আগে যেন আমার ইন্টারনেট কানেকশন ছুটে যায় হাসি

---আশাহত
---------------------
বানান ভুল থাকলে দুঃখিত।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ আশাহত

রণদীপম বসু এর ছবি

যে ক'দিন যাবৎ ব্লগিং করি, তাতে এটুকু মনে হয় একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছি যে, ব্লগে কিছু কিছু পোস্ট থাকে যা নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং কিছু পোস্ট শেষপর্যন্ত অসম্পূর্ণই থেকে যায়, যেখানে মন্তব্যগুলো কোন ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে না। এর বাইরে কিছু পোস্ট থাকে যেগুলো তার মন্তব্যগুলো ধারণ করে একটা পূর্ণাঙ্গতার দিকে এগিয়ে যায়। ওখানে পোস্টের সাথে মন্তব্যগুলোও পোস্টের অনিবার্য অংশ হয়ে যায়। নইলে পোস্টটা হয়ে যায় অসম্পূর্ণ, অপূর্ণাঙ্গ বা অনক্ষত। অনিকেত দা'র এই পোস্টটাও শেষোক্ত পর্যায়ের বলেই আমার ধারণা। (এটাকে কি গ্রুপ-পোস্ট বলা যায় ? হা হা হা !) পোস্টের দারুণ ও অনিবার্য মন্তব্যগুলো না এলে পোস্টটাকে অপূর্ণাঙ্গের দায় নিতে হতো বলে মনে হয়।
তাই অনিকেত দা সহ সকল মন্তব্যকারীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি পোস্টের অংশ হিসেবে।
তবে অনিকেত দা'কে পোস্টের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেও সাহসী কাজের জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই এজন্যেই যে, পোস্টের সাথে সহমত বা দ্বিমত যাই পোষণ করি না কেন বিষয়টার একটা অনুরণন চলবে মাথার মধ্যে কিছুদিন। যা পরবর্তীতে আমাদের ভাবনায় প্রভাব ফেলার চেষ্টা করবে। কোথাও একটা শ্লেষাত্মক কটু মন্তব্য করার আগে অন্তত আরেকবার একটা স্মিত ভাবনা অজান্তেই এসে যাবে- ঠিক করছি কিনা।
এটাই বোধ করি আত্মসমালোচনা। এটা ঠিক যে আমরা (হিউম্যান বিং) যখনই কোন বিতর্কে নেমে যাই, নিজেকে বিজয়ী দেখতেই পছন্দ করি। এটা নেতিবাচক বিষয় অবশ্যই নয়। তবে জয়ের প্রক্রিয়াতে উপস্থাপনের নান্দনিকতাটাই রুচির প্রকাশ বলে মনে হয়। তবে এখানে ভুল বুঝার অবকাশ থেকে যায় বলে বলতে হচ্ছে, নান্দনিকতার অর্থ এই নয় যে একজন যুদ্ধাপরাধীকে বিনয় সহকারে বলতে হবে- জনাব আপনি যা করছেন তা অত্যন্ত গর্হিত কাজ, দয়া করে তা থেকে বিরত থাকুন। আমার বক্তব্য হচ্ছে- যেখানে যেটুকু শ্লীলতা দাবী করে সেটুকু যাতে রাখতে পারি।
আমি বুঝাতে পারলাম কিনা বুঝতে পারছি না, তবে আশা করছি বিষয়টা উপলব্ধিতে নেবেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রণ'দা

তাসনীম এর ছবি

অনিকেতদার মূল বক্তব্যের সাথে সহমত। পুরো পারস্পেক্টিভ জানলে একটা ঘটনা বিচার করা সহজ, কিন্তু খুব কম পাঠকই সেটা জানেন। হঠাৎ সচল খুললে অনেকেরই মনে হতে পারে এখানে রূঢ় ভাষার প্রয়োগ হয়। দলছুটের লেখা প্রকাশ করে তাকে নিয়ে তামাশাটা আমারো পছন্দ হয় নি। বিভিন্ন কারণে অনেক ভাল লেখক সচল ছেড়ে চলে গেলেন, যে কারণেই হোক, এটাতে সচলের ক্ষতি হয়েছে দুইভাবে। প্রথমতঃ সচল ভালো লেখক হারিয়েছে, দ্বিতীয়ত সচলের সহিষ্ণুতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বাইরের মানুষ আমাদের কি ভাবে এইটা বিবেচনায় রাখলে সচলের মংগল বই অমংগল হবে না।

সিরাতের বহুমুখি লেখার আমিও পাঠক ছিলাম, এক মন্তব্যেই মানুষের সব কিছু বিচার কোন সঠিক বিবেচনা নয়। তেমনি নির্মলেন্দু গুণের মত সাহসী লেখকেও আমি সাহিত্যবেশ্যা মানতে নারাজ। আমার নিজেরো খারাপ লেগেছে তাঁর নয়া দিগন্তে লেখা, কবিরও কিন্তু বাঁচতে পয়সা লাগে। আমি বুঝি যাঁরা মডারেট করেন তাঁরা বয়েসে তরুণ, দারুন একটা প্যাশন আছে সচল নিয়ে, আমি সম্মান করি সেই প্যাশনকে এটাই সচলের প্রাণশক্তি। মডুদের দিনরাত খাটনির ফসল এই সচল, অনেক অনেক অসাধারণ লেখা উৎপাদন করেছে সচলায়তন। কিন্তু নীটশে আর আল-আম্রিকি নিয়ে লেখার কারণে কাউকে কটু কথা বললে বা হুট করে কাউকে ছাগু বললে সেই প্যাশনটা ফুটে উঠে না, বরং অসহিষ্ণুতা বেশি চোখে পড়ে।

আমার মনে হয় মাঝে মাঝে এরকম পোস্ট আসা উচিত, আমরা যেন চিন্তা করতে পারি।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শুধুই পাঠক এর ছবি

কবিরও কিন্তু বাঁচতে পয়সা লাগে

এই যুক্তির পর আর কি বলা যায়?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এই যুক্তির পরে শুধু একটা প্রশ্নই আবার করা যায় :

নির্মলেন্দু গুণের লেখা ছাপানোর পত্রিকার কি এতোই অভাব পড়ছে যে তারে লয়া দিগন্তের মতো ছাগু পত্রিকায় লেখা লাগবো?



অজ্ঞাতবাস

হিমু এর ছবি

১৯৭১ সালেও লোকের বাঁচতে পয়সা লাগতো। রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে নারীধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ আর লুটপাটে পাকবাহিনীকে সহায়তা করলে মাসে তনখা মিলতো। কিন্তু অনেকেই এই প্রতিশ্রুতিশীল পেশায় যোগ দেয় নাই।

চলেন সবাই বাঁচার পয়সা যোগাড় করার জন্য জামাতে যোগ দেই।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাঁচতে হলে পয়সা সবারই লাগে, তাহলে তো সবারই উচিত জামাতীদের কাছে বিক্রি হওয়া তাই না? ভালো বলছেন...
নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আমারও ভীষণ প্রিয়, কিন্তু যেইদিন থেকে শুনছি তিনি নয়া দিগন্তে লেখছেন তাকে শুধু বর্জন করেই ক্ষান্ত হইনি। অন্যদেরকেও বলছি বর্জন করতে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তাসনীম এর ছবি

বাঁচতে হলে পয়সা সবারই লাগে, তাহলে তো সবারই উচিত জামাতীদের কাছে বিক্রি হওয়া তাই না? ভালো বলছেন...

আমি কোথাও সেটা বলিনি, আপনি সেটা ধরে নিয়েছেন।

উনার নয়া দিগন্তে লেখা আমাকেও আহত করেছে, উনি যদি ক্রমাগত লিখতে থাকেন তাহলে আমিও উনাকে বর্জন করব। কিন্তু এক লেখনিতে উনার সব অর্জন আমি ফেলতে পারি না।

ধন্যবাদ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনি সেটা বলেননি বুঝলাম, তাইলে কী বলছেন? বাঁচতে হলে পয়সা লাগবেই, আর তার জন্য জামাতী পত্রিকায় লেখতে হয় না। নির্মলেন্দু গুণের উচিত আমাকে দেখে শেখা। আমি কীরকমভাবে তবু জামাতী পত্রিকায় না লিখেও পয়সা কামাচ্ছি এবং বেঁচে বর্তে থাকছি।

গুণের লেখা নয়া দিগন্তে ছাপা হইছে বলে আমি তারে বর্জন করতেছি না। তার এই মানসিকতাটাই আমি ঘৃণা করছি। মানসিকতা বোঝার জন্য তো একটা বা একাধিক লেখার প্রয়োজন নাই। কয়টা লেখা ছাপা হলে আপনি তাকে বর্জন করবেন? আপনি বুঝতে দেরী করবেন বলে আমাকেও আপনার মতো ধীরগতির ভাবতে চান কেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তাসনীম এর ছবি

না ভাই ধীরগতি বা দ্রুতগতির কিছু না। গুণের কাজের ডিফেন্স আমি দিচ্ছি না।

গুণের সারাজীবনের কাজের সাথে মেলে না এই ব্যাপারটা, এটাকে আমি এক্সেপশন ভেবেছিলাম ট্রেন্ড নয়। আমি এই ব্যাপারটা মনে হয় মন্তব্যে বোঝাতে পারি নি। সমস্যা মনে হয় আমারই।

আপনাকে আপসেট করার জন্য দুঃখিত। আপনি নিজেও লেখক, হয়ত চিনেন উনাকে, উনাকে জিজ্ঞেস করুন কেন উনি লিখেছেন নয়া দিগন্তে এবং জানান তাতে উনার পাঠক কিভাবে আহত হয়েছেন।

এই বিষয়ে আমার মন্তব্যের সমাপ্তি এখানেই। আশাকরি ভুল বোঝাবুঝি অবসান হবে এতে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

@তাসনীম ভাই,

যদি বাঁচতে হলে পয়সা লাগবে দেখে জামাতের পত্রিকায় লিখতে হয়, তাহলে সেরকম বাঁচা না বাঁচাই ভাল।

একজন লেখক/ শিল্পী কে স্রেফ "শিল্প" টা তার প্রফেশন, এভাবে ভাবতে পারি না। একটা জাতি, সময়, দেশ কে যারা ধারণ করেন তারা এত ঠুনকো হলে সবকিছু ভেঙে পড়ে, আর সেই লেখকের মৃত্যু ঘটে।

তাসনীম এর ছবি

যদি বাঁচতে হলে পয়সা লাগবে দেখে জামাতের পত্রিকায় লিখতে হয়, তাহলে সেরকম বাঁচা না বাঁচাই ভাল।

একজন লেখক/ শিল্পী কে স্রেফ "শিল্প" টা তার প্রফেশন, এভাবে ভাবতে পারি না। একটা জাতি, সময়, দেশ কে যারা ধারণ করেন তারা এত ঠুনকো হলে সবকিছু ভেঙে পড়ে, আর সেই লেখকের মৃত্যু ঘটে।

এটা বলা সোজা, করা কঠিন। এই মার্কেটপ্লেস শিল্পকেও পণ্য করেছে, আমাদের ভালো না লাগলেও এটাই সত্য।

আমি আগেও বলেছি, গুণের নয়া দিগন্তে লেখা আমাকেও আহত করেছে, কিন্তু সব অর্জন এক লেখনিতে ধুয়ে যাবে না। বার বার হলে সেটাকে প্যাটার্ণ ভাবতে হবে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

নির্মলেন্দু গুণ এবং অন্যরা যদি নিজেদের দোষ স্বীকার করে সরে না আসেন তাহলে কি উনাদের তাবৎ সৃষ্টির পাশাপাশি এটাও লেখা থাকবে না যে উনারা আমাদের প্রতারিত করেছেন? কবিতার মধ্য দিয়ে জোগানো স্বপ্ন ও সাহস কড়ির দামে বেচে দিয়েছেন?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

নিশ্চয়ই থাকবে। উনি যা করেছেন তার দায়িত্ব উনার, সেখান থেকে দায়মুক্তি নেই। দোষগুন মিলিয়েই মানুষ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মহাস্থবির এর ছবি

তেমনি নির্মলেন্দু গুণের মত সাহসী লেখকেও আমি সাহিত্যবেশ্যা মানতে নারাজ। আমার নিজেরো খারাপ লেগেছে তাঁর নয়া দিগন্তে লেখা, কবিরও কিন্তু বাঁচতে পয়সা লাগে।

শেষ অংশটা ছাড়া বাকিটার সাথে একমত।

আনিসুজ্জামান, যিনি গো.আ.-এর বিপক্ষে গণআদালতে দায়ের করেন অভিযোগপত্র; গুণ, যিনি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢুকে ভুট্টোর কানের কাছে তার অস্ত্রধারী দেহরক্ষীদের সামনে চিৎকার করে ওঠেন 'জয় বাংলা' বলে বা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম জনসমক্ষে পাঠ করেন শোকাবহ পংক্তিমালা, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, যিনি ভাষা আন্দোলনের সময় থেকে জড়িত ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের সাথে এবং আজীবন লিখে গেছেন স্বৈরতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে; তাঁদের একটি লেখার জন্যে তাঁদের সবকিছুকে অগ্রাহ্য করে থুথু ছুঁড়বো তাঁদের মুখে, ভাসিয়ে দিতে চাইবো নিষ্ঠীবনসাগরে বা তাদের মুখে মূত্রত্যাগ করবো, এতোটাই তাঁদের অপরাধ? তবে, আবারো বলছি, তাঁদের দিগন্তাশ্লেষ ভাল লাগে নি মোটেই।

কিন্তু, একটু কারণটাও কি জানতে চাওয়া যায় না?

এখানে অনেকেই আছেন যাঁরা তাঁদের সাথে জড়িত বা পরিচিত। তাঁরা কি একটু পেছনের খবরটা জানাতে পারেন না?

নয়া দিগন্তের পক্ষে কোনভাবেই নই। কিন্তু, ওতে একটি লেখা ছাপলেই কি (আবারো বলি, হাঁড়ির খবর জানতে চাই) এতোবড় অশ্রদ্ধা প্রাপ্য হবে তাঁদের, যাঁদের এমনকি মুক্তিযুদ্ধেও বা অন্যত্রও ছিল অবদান?

জাহানারা ইমামও ছিলেন জিয়ার মন্ত্রিসভায় বা উপদেষ্টাপর্ষদে (এখন ঠিকটা খেয়াল নেই), রবীন্দ্রনাথ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মুসোলিনি-কে, হয়তো সামগ্রিক ব্যাপারটা না জেনেই।

তাঁদেরও কি একটা কাজ দিয়ে যাচাই করবো তাঁদের সারাজীবন?

জামাত-শিবির গোষ্ঠীর সাথে যারা আদর্শগতভাবে জড়িত নয়, শুধুই স্পৃষ্ট, তাদের পাষণ্ড হিসাব করতে গেলে দেখতে হবে ইসলামি ব্যাংকে টাকা রাখে কে বা কারা, কারা ইবনে-সিনায় বা রাবেতায় চিকিৎসা করায় বা দেয়, কারা মানামে বা ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ে বা পড়ায়, কারা কারা পড়ে শিবির নিয়ন্ত্রিত প্রায় অর্ধডজন কোচিং সেন্টারে ইত্যাদি ইত্যাদি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে ৫০০ ভাগ একমত, কিন্তু, এভাবে গণহারে যদি চিহ্ন দিয়ে ছিন্নভিন্ন করতে চাই, তাহলে সেটাই বোধহয় হবে, যেটা নয়া দিগন্তও হয়তো চাইছে, আমাদের নিজেদের মধ্যেই বিভেদবপন। ফরাসি বিপ্লবের সময়ও কিন্তু একে অপরকে বিপ্লবের বিরোধী, শত্রু বলে আখ্যা দিয়ে একে একে নেতারা সবাই গিলোটিনে মস্তকার্পণ করেন এবং মাঝখান থেকে নেপো দইটি মেরে যান।

আত্মসমালোচনা দরকার আমাদের সবারই। কেউই বোধহয় এর ঊর্ধে নই।

ধন্যবাদ অনিকেত।

রানা মেহের এর ছবি

তারেক ভাই

প্রথমেই জানাচ্ছি আপনার লেখার উদ্দেশ্য অবশ্যই ভালো। সচলকে ভালোবেসেই সচলের ওপর ক্ষুব্ধ হওয়া যায়। কি্ন্তু যেই উদাহরনগুলো এসেছে আর যেভাবে আপনি সচলায়তনকে ফ্যাসিবাদি মুখপত্র বলে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন, একদমই সহমত নই।

সিরাত কুটিল নন নিশ্চয়ই। কিন্তু তার মিথস্ক্রিয়ায় প্রচুর ঝামেলা আছে। তার লেখায় একধরনের অহঙকার থাকে। তার বই পড়ার সীমানার। তার জানার অসীমতার। তারপরো তার অহঙকারকে কূর্ণিশ করতাম যদি তিনি তার জানাকে আমার কাছে কিংবা আমার মতো সাধারণ পাঠকের কাছে পৌছে দিতে পারতেন।
তিনি তা পারেন না। বলা ভালো করেন না। আরো বলা ভালো করার প্রয়োজন মনে করেন না।সচলেরই একটা লেখায় তিনি বলেছিলেন সচলায়তনের পাঠক তার লেখা বোঝার মতো উপযুক্ত নন।
"আমরা সবাই তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলাম"। তাই? সত্যি?

রেটিং নিয়ে তার কান্নাকাটি। তালিবানদের দের প্রতি ঘোষনা দিয়ে ফ্যাসিনেশন। তার পর এই লেখায় বিক্ষুব্ধ আচরণ, সবই কি 'আমাদের' করা?

সিরাত সম্পর্কে আমি বা আপনি কী ভাবি সেটা খুব জরুরী নয়। কিন্তু যে অসহিষ্নুতার অভিযোগ আপনি করলেন সেই সমস্যা কিন্তু অন্য অনেকের চেয়ে সিরাতের অনেক বেশী।

নাভিদ সালেহকে নিয়ে কী ঘটেছিল, ধরতে পারছিনা।দেশে থাকায় সচলের অনেকটা বাইরে ছিলাম। মন্তব্য করছিনা।

ভাইয়া
আপনার লেখার সবচেয়ে বিরক্তিকর অংশ হচ্ছে কামরুজ্জামান স্বাধীন নামের যন্ত্রনাকে একজন কে ফুলের মতো নিষ্পাপ করে সচলদের ভিলেইন বানিয়ে দেয়া।

তিনি বারবার বিভিন্ন নামে বিভিন্ন নামে এসে বিভতস ভাবে ধরা পড়ে এসে কামরুজ্জামান স্বাধীন নামে এসে স্থির হয়েছেন। পুরো প্রক্রিয়ায় একবারের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবার প্রয়োজন মনে করেননি। যারা তার লেখার ব্যাপারে কিছু বলার ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছেন পিছপা হননি তাদেরকে অশ্লীল ভাবে আক্রমন করতে। তাকে আপনি একটা গোপাল ভাড় ভাবতে পারেন। আর সচলেরা হয়ে গেল তাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেয়া হায়েনা?

আশরাফ সাহেবের কাহিনীও বলতে পারছিনা। তবে বাংলাদেশ কে কোমল করে বাঙলাদেশ বলাটা কেন এত জরূরী হলো বুঝতে পারলামনা।

'বিরুদ্ধ মতের ব্যাপারে সহনশীলতা' বলে ‍আপনি আসলে কী বোঝাতে চাইছেন পরিষ্কার করে বলেননি। কোন বিরুদ্ধ মতকে সচলায়তনের শান্তভাবে গ্রহন করা উচিত একটু বলবেন কি?

ভাইয়া দেশপ্রেম নিয়ে আমাদের উগ্রতা আছে। ঘরপোড়া গরু বলেই আছে।এখনো স্বাধীনতাবিরোধীরা প্রকাশ্যে কথা বলে। তাই এই উগ্রতা আসে ভয় থেকে। আরো বেশী কিছু হারাবার শঙকা থেকে। এই করে হয়তো অনেক কিছু হারাই। কিন্তু না করে যেই ভয়াবহ ক্ষতি হতো সেই ক্ষতি এড়ানোর জন্য এই উগ্রতাটুকু থাকা প্রয়োজন।

দেশ নিয়ে সচলায়তন চিন্তা কম করে, তাই না? ভালো বলেছেন ভাইয়া। যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের দাবী নিয়ে সচলের উচ্ছাসকে বিদ্রুপ করেছেন। আচ্ছা দেশের ভালো চিন্তা করার সাথে এর বিরোধ কোথায় একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?

সচলায়তন আরো একটি ব্লগ ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা বিদ্রোহী দল।আমি নিশ্চিত দুই পক্ষেই যথেষ্ট কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে

এরকম বিকৃত একটা তথ্য কোথায় পেলেন ভাইয়া?

জিফরানের কথা বলতে গিয়ে তার বাবার কথা আনাটা খুব আপত্তিকর মনে হলো।জিফরান শান্ত ছিল অনেক। কিন্তু সে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেনি। সুমন রহমান ভালো গল্প কবিতা লিখতে পারেন হয়তো। তবে তাতে উনার নৈতিক অসততা কেন প্রশ্নের মুখে পড়বেনা সেই প্রশ্নের উত্তর সে দিতে পারেনি।

আর সুমন রহমান সচলায়তকে শিক্ষানবিসদের চারনক্ষেত্র বললে আমার গায়ে এতো লাগতোনা যদিনা তিনি তার সাথে নিজেকে শিক্ষাগুরু প্রমান করতে চাইতেন।

পুরো লেখায় ‍একটা জায়গায় এসেই আটকে গেছি। সবজান্তায়। সবজান্তার সাথে সত্যি খুব অন্যায় আচরন হয়েছে। খুব আশা করি ধুগো ক্ষমা চাইবে সবজান্তার কাছে।

হিমু আর ধুগোর বিরুদ্ধে খুব অন্যায় একটা অভিযোগ করেছেন ভাইয়া।
তাদের দুজনেরই মুখ খারাপ করা নিয়ে অনেকবার বিব্রত হয়েছি। কিন্তু কখনো মনে হয়নি তারা যুক্তিতে না পেরে এমন করছে। প্লিজ। ধুগোর একটা আচরনকে নিয়ে পুরো ধুগো কে জেনারালাইজড করবেন না।

বের হতে হবে ভাইয়া। নহলে এই দীর্ঘ হাতি মন্তব্যকে টেনে টেনে ডায়নোসর বানাতাম।
ভালো থাকবেন

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অনিকেত এর ছবি

রানা,
তোমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ভাইয়া
আপনার লেখার সবচেয়ে বিরক্তিকর অংশ হচ্ছে কামরুজ্জামান স্বাধীন নামের যন্ত্রনাকে একজন কে ফুলের মতো নিষ্পাপ করে সচলদের ভিলেইন বানিয়ে দেয়া।

এইটা তোমার মন্তব্যের সবচাইতে ---না, বিরক্তিকর নয়, ইন্টারেস্টিং অংশ।
আমার লেখার কোথাও তো তাকে 'ফুলের মত নিষ্পাপ' করে উল্লেখ করিনি।
এইটা তুমি নিজে থেকেই করে নিলে কেন?

'বিরুদ্ধ মতের ব্যাপারে সহনশীলতা' বলে ‍আপনি আসলে কী বোঝাতে চাইছেন পরিষ্কার করে বলেননি। কোন বিরুদ্ধ মতকে সচলায়তনের শান্তভাবে গ্রহন করা উচিত একটু বলবেন কি?

বিরুদ্ধমতের প্রতি সহনশীলতা-টা কি সেইটা যখন বুঝিয়ে বলতে হয় তখন আমি শঙ্কিত বোধ করি। আমার স্ন্যাপশট গুলোতে আমি বলেছি আমার কথা। এখানে বার বার সেটা বলতে চাই না। তুমি পড়ে আবার দেখতে পার।
ছোট্ট করে বলে দিইঃ বিরুদ্ধমতের প্রতি সহনশীলতা বলতে বিরুদ্ধমতের প্রতি সহনশীলতাই বোঝায়--অন্যকিছু বোঝায় না। সেই বিরুদ্ধমত 'যে কোন' বিরুদ্ধ মত হতে পারে। তোমার দৃষ্টিতে যদি মনে হয় এইখানে সকল প্রকার মতামতের (কেবল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গে নয়) প্রতি সহনশীলতা দেখান হয়---তাহলে দুঃখের সাথে বলতেই হবে, হয় তুমি অন্ধ নাহলে সহনশীলতা সম্পর্কে তোমার কোন ধারণাই নাই।

সুমন রহমান নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমার বক্তব্য ছিল তাকে নিয়ে যে লেখাটা এসেছিল সেটা নিয়ে। আমার মনে হয়নি সেইটা কোন ভাল পোষ্ট। এ নিয়ে মুর্শেদ ভাই পরে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। কিন্তু সবাই সেখানে এক ডাল থেকে আরেক ডালে লাফাতে লাগল।

দয়া করে নিজে গিয়ে দেখ। পারলে দুইবার তিনবার করে দেখো।
এরপরেও যদি তোমার মনে হয় যে আমরা সহনশীল, তাহলে আমার বলার কিছু নেই।

হিমু, ধু গো বিষয়ে আমি আমার মতামত লেখায় দিয়েছি। তোমাকে নতুন করে ব্যাখ্যা দেবার প্রয়োজন মনে করছি না।

ভাল থেকো।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সেই বিরুদ্ধমত 'যে কোন' বিরুদ্ধ মত হতে পারে।

'যে কোনো'র সংজ্ঞায় 'স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষের' মত পড়বে কিনা, অনিকেত দার কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করছি। যদি সেটাও 'যে কোনো'র মধ্যে পড়ে, তাইলে মন্তব্যটিতে আপত্তি জানালাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এরকম পোস্ট লেখার আগে অবশ্যই কিছু ব্যাপারে আরো জেনে নেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। সচলায়তন তৈরির ইতিহাস বিশেষ করে।
সুমন রহমান কাণ্ড না জেনে এরকম লেখাটাও ঠিক মনে হয়নি। এগুলো স্পর্শকাতর বিষয়। অনেকেই আপনার লেখা থেকে ভুল তথ্য তুলে নিতে পারে।

গত দুদিন ধরেই শুনছি সবজান্তা জিফরান খালেদ বিষয়ক কিছু তথ্য। কিন্তু যেহেতু সেই পোস্ট বা মন্তব্যগুলো এখনো পড়া হয়নি। তাই সে বিষয়ে কোনো কথাই বলছি না।

উগ্র দেশপ্রেম নিয়ে আপনার আপত্তি থাকলেও আমি গর্বই করি। ব্লগজগত ভরে আছে ছাগু দিয়ে। নামে বেনামে ছদ্মনামে। 'ভাই আপনি তো মনে হয় শিবির করেন, এগুলো করা ভালো না' টাইপ কথা দিয়ে এদের তাড়ানো যাবে না। যেমন কুকুর মুগুরটাও তেমনই হতে হবে। এক্ষেত্রে উগ্রতা দেখলে কিছু করার নাই।

'মডু সংশ্লিষ্ট নিক' [এতক্ষণে ভুলে গেছি এটা মূল পোস্টে পড়েছি নাকি মন্তব্যে] কথাটায় আমার আপত্তি আছে। ব্যক্তি নিকে যারাই আসে, আমি তাদেরকে নির্ভেজাল ব্লগার ভাবতেই পছন্দ করি, ঠিক আমার মতো। মডুদের নিক আলাদা।

ছাগু চেনার জন্য দিল্লি যেতে হয় না। এতোবছরের চেনা ব্লগ জগতে ম্যাৎকার শুনলেই ছাগু চিনে ফেলা যায়। যারা চিনতে দেরী করবেন, সেটা তাদের সমস্যা। কিন্তু তাই বলে অন্যদের চেনাকে ঠেকিয়ে রাখার প্রবণতা কেন?

বিশ্বাস করেন, গো আ নিজামী মুজাহিদের চেয়ে আমি এখন বেশি চিন্তিত নব্য ছাগুদের নিয়াই। গোআরা মরে যাবে, মাঠে মাঠে চড়ে বেড়াবে ছাগুরা। এদের বিরুদ্ধে উগ্রতা শুধু না, আরো তীব্রতা দরকার। উগ্র দেশপ্রেম থেকে আমাদের 'অতিউগ্র দেশপ্রেমের' দিকে ধাবিত হতে হবে।

নতুনরা এসে [যারা প্রেক্ষাপট জানে না] কী মনে করবে ভেবে বসে থাকলে তো হবে না ভাই। আমরা জামাত শিবিরকে যেভাবে তীব্র ঘৃণা করি, এটা অনেকের কাছেই অমানবিক লাগতে পারে, যারা প্রেক্ষাপট জানে না। সেইসব মানবাধিকারধারীর জন্য আমি করুণাই করবো। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডর বিচারে মৃত্যুদণ্ড নিয়াও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা প্রশ্ন তুলছিলো। মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে আমি কোনো অমানবিক কাজ করতে পারবো না।

সিরাতের কথা বলেছেন। আমি তার পোস্টে কখনই কোনো বকাবকি করি নাই, তাই আমি আপনার 'আমরা'র মধ্যে পড়ি না। জাফলংয়ের ঝর্ণার ছবি দেখে সিরাত যখন বললো এরকম ঝর্ণা শিলঙের পথে ঘাটে দেখতে পাওয়া যায়, অথবা যখন সে শিবিরকে বেনিফিট অব ডাউট দিতে যায়, তখনই তার প্রতি আমার যাবতীয় আগ্রহ চলে যায়। আমি এর পর থেকে তার কোনো লেখাই পড়ি নাই। মন্তব্য তো দূরের কথা।

কামরুজ্জামান স্বাধীনের প্রথম দুয়েকটা লেখায় মন্তব্য করেছি। বানান নিয়ে পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু যখন দেখেছি সে এগুলোতে কান দিচ্ছে না, নিজের মতোই চলছে চলবে। সেখান থেকেই তাকে বিদায় জানিয়েছি।

নাভিদ সালেহ্ ঘটনা আমার জানা নাই। অথবা ভুলে গেছি। তাই এসম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না।

আর আশরাফ... জ্বী, আমি নিজে তাকে প্রচণ্ড ব্যাঙ্গ করেছি। কিন্তু তাতে আমি মোটেই লজ্জিত না। যে একটা দেশের নাম নিয়ে ব্যাঙ্গ করতে পারে, তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করাকে আমি দায়িত্ব বলেই মনে করি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ নজু ভাই, আপনার মতামতের জন্য।

স্বাধীন এর ছবি

অনিকেত'দা

এ রকম একটি সাহসী পোষ্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। অন্তত এর মাধ্যমে সবাই আবার নিজ নিজ কৃতকর্ম আরেকবার যাচাই করে নিতে পারবো। তবে আপনার লেখাটি মূল বক্তব্য যুক্তি সহকারে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে আমি বলবো। প্রথমত আপনি যে স্ন্যাপশটগুলো দিয়েছেন প্রতিটিতেই আমার বিচারে সচলদের প্রতিক্রিয়া সঠিক ছিল। একটু ভালভাবে খেয়াল করে দেখুন এই ছয়মাসে শত শত ব্লগের মাঝে আপনি চারটি বা ছয়টি এ রকম পোষ্ট পাবেন যেগুলোতে সচলদের প্রতিক্রিয়া বেশি। সংখ্যার বিচারে এটি কিন্তু খুব অস্বাভাবিক নয়। এবার খেয়াল করুন সেই সব প্রতিক্রিয়ায় কতটুকু সচলদের দায়িত্ব আর কতটুকু পোষ্ট লেখকের দায়িত্ব। আপনি যে স্ন্যাপশটগুলো দিয়েছেন প্রতিটি ঘটনাই আমি গত ছয়মাসে পর্যবেক্ষন ও অংশগ্রহন করেছি। তাই একজন অংশগ্রহনকারী হিসেবে আমার মতামত তুলে ধরছি।

সিরাতের ব্যপারে রানা মেহের উনার মন্তব্যে অনেক কিছুই বলেছেন যা আমার নিজেরও পর্যবেক্ষন। আপনি যদি পাঠককে (পাঠক যত নাদান আর নাইভ হোক না কেন) সম্মান না দিতে পারেন তবে বিনিময়ে আপনিও সম্মান আশা করতে পারেন না। নাভিদের লেখাটিতে অনেক দুর্বলতা ছিল যেটা মন্তব্যে উঠে এসেছে। প্লাটো বা নিৎসের যোগ্যতমের শাসনের কথা উল্লেখ করলেই কেউ ক্ষেপে যাবে সেটা ঠিক নয়। কিন্তু লেখায় যদি সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপার থাকে এবং মিডিওকারদের প্রতি তাচ্ছিল্য থাকে তবে আমজনতা ক্ষেপবেই এবং প্রতিক্রিয়া জানাবেই। এটা তো ব্লগ, পত্রিকা নয়। ইশতির জন্য খারাপ লাগছে যে এই দু’জনই এসেছিল তার আমন্ত্রনে, কিন্তু তাঁদের লেখার দুর্বলতা ইশতিকে নিজের ঘাড়ে না টানার জন্য অনুরোধ করবো। একই বিষয় নিয়ে ইশতি যদি লিখতো সেটার প্রকাশভঙ্গি ভিন্ন হতো এবং প্রতিক্রিয়াও ভিন্ন হতো। সেটা ব্যক্তি ইশতির জন্য নয়। লেখকের সাথে পাঠকের একমাত্র যোগসুত্র হচ্ছে তার লেখা, সেটি করতে ব্যর্থ হলে তার দায়ভারও লেখকেরই, পাঠকের নয়।

কামরুজ্জামানের বা দলছুটের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। পাঠকের মতামতকে গ্রহন না করে বরং তাঁদেরকে প্রতিপক্ষ ভাবলে, প্রতিক্রিয়া তো হবেই। তবে দলছুটের ব্যাপারে মডারেটদের দায়িত্ব ছিল যেটা দলছুটের শেষ লেখায় বিভিন্ন জনের মন্তব্যে উঠে এসেছে।

আশরাফ মাহমুদ, উনার ব্যাপারে বলবো, উনার প্রধান ব্যর্থতা উনি এক রকম অসততার আশ্রয় নিয়েছিলেন। উনি যুক্তি দিয়েছিলেন বাংলা একাডেমি দুই বাংলাদেশই সঠিক বলেছেন। পরে যখন হিমু এবং নজরুল ভাই বাংলা একাডেমির অভিধান স্ক্যান করে দেখায় তারপর উনার কোন যুক্তি নেই। আপনি সমাজে কোন পরিবর্তন করতে চাইলে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে প্রতিক্রিয়া আসবে। সুতরাং দেখতে পারছেন আপনার প্রতিটি স্ন্যাপশটে প্রতিক্রিয়া আসাটাই স্বাভাবিক ছিল এবং সেটাই হয়েছে। একই কথা প্রযোজ্য মুর্শেদের গত পোষ্টে। কেউ যখন নিজ পেশার প্রতি দায়িত্বশীল না হয়ে লেখা দিবে, পাঠক তার সমালোচনা করবেই। আর কেউ যখন সেটিকে সহমত জানাবে তখন তাঁর উপরেও প্রতিক্রিয়া আসবে।

তবে হ্যাঁ, ধূসর গোধুলীর মন্তব্যটি ভাল হয়নি। এই এক বছরে আমার এই প্রথম ধূগো’র এ রকম কোন মন্তব্য চোখে পড়লো। আশা করি ধূগো তা অনুধাবন করবে। এবার আসি হিমুর প্রসংগে। সব কিছুতে হিমুকেই চোখে লাগে কারণ হিমুই সব প্রতিবাদে এগিয়ে যায় সব সময়। যেহেতু আমরা অন্যরা সময়ের অভাবেই হোক, কিংবা দেখেও না দেখার কারণে হোক মন্তব্য করিনা তখন হিমুই সবার আগে যায় মন্তব্য করতে। হিমু এখনো অবিবাহিত সেটাও একটি বিশেষ কারণ (হাসি)। কিন্তু হিমু যুক্তিতে না পেরে মুখ খারাপ করেছে এরকম অভিযোগ ঠিক নয়। এ কথা ঠিক সে ব্যাঙ্গ করে মন্তব্য করে অনেক সময়, কিন্তু সেটা প্রতি মন্তব্যের খাতিরেই।

তবে মডারেশন নিয়ে আমার একটি প্রশ্ন আছে এবং সেটা হিমুর জন্যও প্রযোজ্য। কারো নামের আগে নির্দিষ্ট কোন ট্যাগিং বা যে কোন বিশেষণ যুক্ত করা কি সচলায়তনের নিয়মের পরিপন্থী কিনা জানতে চাই। হিমুর পক্ষ হয়ে রিয়াজের সাথে তর্ক করেছি একটি ব্লগে। বুঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারপরেও রিয়াজের নাম বলার সময় তাঁর আগে যে কোন ধরণের বিশেষণ যুক্ত করার বিপক্ষে আমি। যদি কারোর মতে এটা প্রামানিত হয় যে রিয়াজের মতাদর্শ সচলায়তনের জন্য নয় তবে একজন সচল হিসেবে আপত্তি জানাতে পারি মডারেটদের কাছে। মডারেটররা মনে করলে তাকে সচল হতে বহিষ্কার করা যেতে পারে। অবশ্যই আমি যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সহমত পোষনকারী কাউকে সচলে দেখতে চাই না। আবার সেই সাথে এই চর্চাও দেখতে চাই না, কেউ যে কোন সচল/হাচল/অচলকে কোন বিশেষণে ভুষিত করে মন্তব্য করছে। সে রকম মন্তব্যকেও আপত্তিকর হিসেবে অভিযুক্ত হতে হবে। হিমুকে এই দিকটি ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মডারেশন প্রসংগে আরেকটি বিষয়। ইমতিয়ার মির্জাকে চিনি না, কিন্তু সন্দেহ হচ্ছে উনি বাহিরে বসে মজা দেখার দলের কেউ। আমার প্রস্তাব হল এ ধরণের মন্তব্যগুলো শুরুতেই কেন আটকে দেওয়া হয় না? মডারেশনা তাহলে কিসের উদ্দেশ্যে? এখানে মির্জা সাহেবের উদ্দেশ্যই মোটেই সচলের শুদ্ধিতা নয়। বরং তার সাথে হিমুর ঝগড়া ব্লগার হিমুর ক্ষতি করছে যেটাকেই আমার মির্জা সাহেবের উদ্দেশ্য বলে মনে হয়। হিমুকে এই দিকটিও ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই।

সবশেষে অনিকেত'দা কে আবার ধন্যবাদ জানাচ্ছি লেখাটির জন্য। লেখাটির বক্তব্য সঠিক মনে না করলেও লেখাটির মূল উদ্দেশ্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। এত বড় মন্তব্যে কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

অনিকেতদা', আমার অংশটুকু না উল্লেখ করলে ভালো হতো। অনেকে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন বলে এখন তো মুছতে-ও পারবেন না। যাইহোক, কিছু কথা বলার সুযোগ-ও হলো।
প্রথমত, আমি অতিথি নই, আমাকে সচলত্ব দেয়া হয়েছে অনেক আগে। এবং "লিখতেন" শব্দটা অতীতকাল শোনায়, আমি এখনো এখানে লেখার ইচ্ছে রাখি। আপাতত সাময়িক অবসরে আছি, অভিমানে আছি।

সচলে আমার সবকিছু একটু দ্রুত হয়েছে। প্রথম পোস্টের পরপরই 'অতিথি লেখক' হলাম। ২৩-২৪টি পোস্ট করে সচল। এর প্রতিদান-ও দেয়া দরকার মনে করে নিয়মিত পোস্ট দিতাম, একটি পোস্ট প্রথমপাতা থেকে সরলে অন্যটি আসত; মিথষ্ক্রিয়া বাড়ালাম। অনেককে ফেইসবুক, অন্য ব্লগে আমন্ত্রণ করেছিলাম এখানে আসার জন্য। সেইরকম কয়েকজন এখনো আছে (তাদের নাম গোপন রাখছি সংগত কারণে)। অন্য অনেকে যেমন ভাবে পরিবার সেরকমই একটা ভাব। অনেক বন্ধুসাথী তুল্য সহব্লগার পেয়েছি, বড় ভাই সুলভ কেউ কেউ এবং সর্বোপরি একটি ভালো লেখা/লেখকের স্থান।
অন্য সবকিছুর মতো রোষানলে পড়ার বিষয়টি-ও দ্রুতই হয়েছে।
=====================
আমি বানানটি ঠিক কোমলতার জন্য লিখি না। এই পোস্টে কোমলতার ব্যাপারটি প্রথম আসে। হিমু ভাই জিজ্ঞেস করলেন যে আমি নরোম বা ঘনোর মতো বাঙলাদেশ বানানটি কোমলতার জন্য লিখি কিনা। আমি জানতাম তিনি প্রায়ই শ্লেষ/ব্যাঙ্গ করেন, ভেবেছিলাম সেরকমই। আমি-ও মজা করে বললাম যে একটু কোমল লাগে বৈকি। সেই কোমল লাগাকে গুঁটি কয়েকজন সচল কঠিনভাবে লুফে নিবেন তা ভাবি নি! অপরিণামদর্শী।

কেন লিখি বা বাঙলাদেশ বানানটির পিছনের কারণ আমি এখানে বলেছি। উপযুক্ত রেফারেন্সসহ। কোন বক্তব্যই নিজস্ব নয়, বরং নিজস্বভঙ্গিতে বলা। সেকারণে, বলছি, বাঙলাদেশ বানানটি আমার নিজের তৈরী করা হলে আমি অনেকের অনুরোধে আগেই বন্ধ করে দিতাম। হাজার হাজার জন লিখছেন এই বানানে, কারণ এটি ভাষিক দিক থেকে অশুদ্ধ নয়।
আলোচনার জন্য অই পোস্টে যাক সবাই। এই পোস্টটি আরেকটি তর্কক্ষেত্র না হোক।
=============================
আমি একটা মন্তব্য করে লগআউট করেছিলাম, আর প্রবেশ করি নি। একদিন চোখ বুলায়ে দেখলাম হিমু ভাই আমাকে ত্রিভুজের তর্কপন্থার সাথে তুলনা করেছেন (এবং ১৬৭ টি মন্তব্য থেকে অগোচরে চুপিসারে ৩টি মন্তব্য কেউ ডিলিট করে ফেলেছে!)। অই মন্তব্যটি অন্যত্র করলে বা অন্যকেউ করলে নির্ঘাত ঘ্যাচাং করা হতো ব্যক্তি আক্রমণের কারণে, যেহেতু তিনি সর্বসর্বা- আমি চুপই ছিলাম।
মন্তব্যটি পড়ে আমার হাসি পেয়েছিল, অবসাদ বা মনখারাপ-ও হয়েছিল। হাসি পেয়েছে এইকারণে যে এককালে সামুতে আমি (ও আমরা অনেক সহব্লগার) ছাগু ট্যাগিং করতাম। সেইরকমই একটি মিসফায়ারিং ছিল রিসাত'কে নিয়ে (সচলায়তনের রিসাত না)। যাইহোক, আমি তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে পেয়েছি। সেই কারণে এইসব ট্যাগিং আর করি না; ১০টার ভিতরে ৬-৭টা লাগে, কিন্তু যেগুলো লাগে না তাদের জন্য লজ্জা লাগে- নিজের জন্য তো বটেই।

আমাদের পরিবারে যারা মুক্তিযুদ্ধে শরিক হয়েছিল/মুক্তিযুদ্ধ করেছিল তারা আজ অনেকে মৃত/আপাত দূরে আছেন কিংবা আমার ভিতরে যারা এই জাতির ইতিহাস-মর্যাদা-সম্মান ইত্যাদির বীজ বপণ করেছিল তারা কাছে নেই। ভাগ্যিস আমাদের পরিবারের কেউ নিয়মিত ব্লগ পড়ে না, হিমু ভাইয়ের এই ট্যাগিং দেখলে কী হতো তা কল্পনা করতে পারছি না। এক বন্ধু ফেইসবুকে মেইল দিয়েছিল, "দোস্ত, কেন যে তর্কে নামলি। তুই তো বাংলাদেশ আর বাঙলাদেশ দুই বানানে লিখিস, তবে হঠাৎ এরকম তর্কে নামলি কেন? তারচে' বরং নদী নারী নিয়ে কবিতা, সাহিত্যাবাজি কর। এইকালে যারা ভিড়ের মাঝে রাজাকার ট্যাগিং করতে পারে তারাই খাঁটি দেশপ্রেমিক, অথচ পাশ দিয়া রাজাকারগুলা গাড়ি নিয়ে যায়, কিচ্ছু করে না।"
হ্যাঁ, আমি বাংলাদেশ বানানে-ও লিখি। কিন্তু সবাই যখন বাংলাদেশ বানানটিই চাপিয়ে দিতে চাইল তখন ভাবলাম যে এরা কি আমার লেখালেখির স্বাধীনতার সীমা টানতে চাইছে? একটু জেদ এসেছিল, বলতে দ্বিধা নেই।
আমি জানি আমার বন্ধু মুক্তিযুদ্ধ, স্বদেশপ্রেম বিষয়ক আমার বিভিন্ন কবিতা-গল্প-গানের কথা বলেছিল। এইসব যখন লিখি অনুভব করি আমি আমার নিজের কথা লিখছি, আমার পূর্বপুরুষদের কথা, যেখানে আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে সেইসব স্থান ও মানুষের কথা। আমি তাকে উত্তরে শুধু বলেছিলাম, 'যদি কেউ একদিন বুঝতে পারে।' আমার ব্লগের শিরোনামে লেখা "আমার রচনাই আমি।" হ্যাঁ, আমি আমার কর্ম-রচনা-অসংখ্য আমার আমি দিয়ে চিহ্ন রেখে যাব আমি ছাগু না মুক্তিযুদ্ধ/স্বদেশপ্রেমী কারো উত্তরপুরুষ। অন্য কেউ ট্যাগিং করে আত্মপ্রসাদ ভোগ করুক, নিজের জ্ঞান ও মানুষ্যত্বের সংঙ্কীর্ণতার পরিচয় দিক। ক্ষতি নেই।
=================
না, আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।

নজরুল ভাই: সচলে প্রথম ভাললাগা মানুষটি আপনিই। আপনি আমার নাম নিয়ে যা করেছেন তার বিপরীতি বলতে চেয়েছিলাম 'ভাইয়া, আপনাকে আমি বড়ভাই হিসেবে দেখি, ছেলেমানুষ নই।' হ্যাঁ, আপনি এখনো আমার চোখে সেই ডাঁসা ডাঁসা নজরুল ভাই, কোন রাগ ক্ষোভ নেই।

শুভাশীষদা': আপনি রম্য/ব্যাঙ্গ করছিলেন তা আমি বুঝতেছিলাম। আমি-ও প্রতিউত্তর দিচ্ছিলাম। তবে বাঙলাদেশ সংক্রান্ত হিজেমোনির সূচনাকারী আপনিই। আপনি বা আপনারা বাংলাদেশ বানানে লিখুন, আমি বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ দুই বানানেই লিখব। না, আপনার উপর ব্যক্তিগত কোন রাগ নেই। আমার উপর-ও রাখবেন না।

হিমু ভাই: আপনি রাগচটা সেটা বুঝতে পারি। তবে একটা কথা না বলে পারছি না, আপনার প্রায় মন্তব্যে প্রকাশ পায় যে আপনি মডারেটর/ক্ষমতাধর ইত্যাদি। আপনার মন্তব্যে শুধু অতিথি লেখক নন, অনেক সচল-ও ভীত। আপনি সচলায়তনের কর্ণধার- আতঙ্কের-ও বোধকরি। একজন রাগচটা মানুষ হিসেবে আমি নিজেই আপনার মতো একজন রাগচটা মানুষকে ক্ষমা করে দিলাম। জানি আপনি হয়তো বিপুল বিক্রমে আমাকে ও আরো অনেককে ট্যাগিং করবেন। কিন্তু একটা কথা না বললেই নয় যে আপনি ছাগু শব্দটাকে ব্যক্তিগত আক্রোশে ব্যবহার করে শব্দটার মূলভাবই পরিবর্তন করে ফেলছেন। আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েই সূক্ষ্মভাবে হারিয়ে দিলাম।
========================

রিসাতের সময় আমি ব্লগে ছিলাম। নিজেই দেখেছি। মূলত ক্যাঁচাল থেকে দূরে থাকতে গিয়ে কিছু বলা হয় নি। সে জামাতি বা নাজিপনার লোক- এরকম মানি না।
========================

অনিকেতদা', মঙ্গলে থাকুন। এবং সকলে।

========================
[অপ্রাসঙ্গিক: একজন মারফত জানিয়েছিলাম, জানি না শুনেছেন কিনা- 'মনে পড়ে' গানটি খুব ভালো লেগেছে। এরকম আরো চাই।]
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

আপনি আমার হাতে ডাণ্ডা আছে ভেবে ভয় পেলে সেটা আপনার নির্বুদ্ধিতা। আর আমার যুক্তির জবাব দিতে না পেরে "আপনি মডু তাই ভয় পেলুম" গোছের অবস্থানে গেলেন দেখে বিরক্ত লাগলো।

আমি রাগচটা বা রগচটা কোনোটাই নই। কিন্তু যুক্তির উত্তরে কেউ যখন যুক্তির বদলে আবেগ বা বিশ্বাস নিয়ে ত্যানা প্যাঁচাতে থাকে, এবং প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে সেই ত্যানা পর্বতসম করে তোলে, তখন তাকে ছাগু বা ত্রিভুজ ডেকে ফেলি মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে গিয়ে। তবে এ কথা সত্য, যাকে তাকে ত্রিভুজ ডাকা ঠিক নয়। খুব কম লোকই এই উপমা অর্জন করে নিতে পারে। আপনি একজন শক্ত ক্যান্ডিডেট ছিলেন, এ-ই আর কি।

আপনি ক্ষমা করে দিয়েছেন জেনে চোখে আনন্দাশ্রু বয়ে গেলো। যাই গামছা দিয়ে মুছে আসি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আপনার মন্তব্য পাঠপূর্বক আবারো মনে হলো যে আপনি মন্তব্যের মূল বক্তব্য অপেক্ষা মন্তব্যের চিপার বক্তব্য বেশি বুঝেন। এটাই বোধহয় সমস্যা। আমি কি কোথাও বলেছি যে আমি ডান্ডার ভয়ে ভীত? বলেছি অতিথি লেখক এবং কয়েকজন সচল। আমি যাদের এখানে আমন্ত্রণ করেছিলাম তাদের কয়েকজন এখন অতিথি লেখককে লিখছেন। যেহেতু তাদের আমি ডেকে এনেছি শঙ্কার কথা আমাকে বলেছে, আপনি অন্য সব জিনিস বেশি বুঝলে-ও বুঝতে পারছেন না আপনার আচরণের প্রভাব কী এবং সচলায়তনের ইমেজের উপর-ও তা পড়ছে।

আমি প্রতিবাদ জানিয়ে লগ আউট করেছিলাম, আর প্রবেশ করি নি। আপনি আমার লগিঙ-ডেইটা দেখতে পারেন (ইচ্ছে করলে প্রকাশ-ও করতে পারেন)। ব্যক্তিগত, অ্যাকাডেমিক ব্যস্ততা-ও ছিল। পরে দেখি আপনি আমার প্রস্থানের পর মন্তব্য করেছেন, আজ প্রবেশ করেই আপনার 'যুক্তি'র জবাব দিয়েছি।
কথা হলো ট্যাগিং বা ডাকাডাকি আমি-ও করতে জানি। তবে আপনি আমার ভাষিক বিচ্যুতি কমই পাবেন। আমি ছোটবেলায় শিখেছিলাম, "ব্যবহারে বংশের পরিচয়।" আমি রেফারেন্স দিলে সেটা আবেগবহুল হয়ে যায়, আর আপনি কোন কথা বললে সেটা ওহীর মতো মনে হবে- এইরকম কুধারমা মনে রাখবেন না।

গামছা আমি-ও ব্যবহার করি, ভালো জিনিস। আপনার আনন্দে আমি-ও একটু সুখের কান্না কাঁদলাম।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

আপনার ভাষিক বিচ্যুতি কম, আমিও স্বীকার করি। বিচ্যুতিটা মূলত যুক্তির দিকেই বেশি। যুক্তির বদলে আপনি একবার দেখান আবেগ, একবার দেখান কেষ্টুবিষ্টুর উদাহরণ, তারপর বলেন হৃদয়ে লেখা নামের কথা।

আপনার পর্বতসম মন্তব্যের এক চিপায় কেবল আমাকে উদ্দেশ করে বলা কথারই উত্তর দিলাম। পুরোটার উত্তর দিতে গেলে গরীব হয়ে যাবো।

আপনার রেফারেন্সগুলো হচ্ছে অন্য ব্লগের কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য, হুমায়ূন আজাদ, যার বইয়ের নাম আপনি উল্লেখ করতে পারেননি নির্দিষ্ট করে, আর আপনার হৃদয়ে লেখা নাম, যদিও সেটা অন্যের নাগালের বাইরে। বাকিটা জোলো আবেগ। আমি ওহী নাজিল করতে চাইনি বলেই বাংলা একাডেমির অভিধানের পাতা স্ক্যান করে দিয়েছি। ওহী লাগলে বলবেন, কাসেলে একটা গুহা আছে শুনেছি। নাহয় বসলাম একটু গিয়ে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হে হে।

যুক্তির বদলে আপনি একবার দেখান আবেগ, একবার দেখান কেষ্টুবিষ্টুর উদাহরণ, তারপর বলেন হৃদয়ে লেখা নামের কথা।

সেই আদিকাল থেকে আপনি মন্তব্যের মূল বক্তব্যের চে' চিপার বক্তব্যে আগ্রহী। আপনি আমার পোস্টের সবগুলো মন্তব্য পড়েন। রেফারেন্স কই দিই নি, দেখান। আমি হুমায়ুদ আজাদের বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছি, আহমদ শরীফের বইয়ের, নরেন বিশ্বাসের সিডি ও বইয়ের। অভিধানের ভুক্তির স্ক্যানলিপি-ও পেশ করেছি আজ। এখন আপনি বলেন কোন খাজাবাবার রেফারেন্স দিলে আপনি মেনে নিবেন?

হ্যাঁ, আপনি সব জায়গায় জিততে চান। কিন্তু মাঝে মাঝে হেরে যাবেন, মনে জ্বালা আসবে। এই জ্বালাটুকু আপনাকে টিকিয়ে রাখবে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

ভাইডি, শশশশশশ! আস্তে! অ-য় অনিকেত আসলো তেড়ে! শেষে কিন্তু ক্ষমা চাওয়ানোর জন্য ... হুঁ হুঁ!

আপনার অভিধানের কোথাও "বাঙলাদেশ" না দেখে আমি আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই আপনার কাছে। শেষ পর্যন্ত আপনি বুঝতে পেরেছেন, অভিধান বাঙলাদেশ সমর্থন করে না।

আপনি কোনো খাজাবাবার রেফারেন্স দিলেও আমি আপত্তি করবো না। আপনার হৃদয়ে লেখা নাম যেখানে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত সেখানে খাজাবাবা, মাইজভাণ্ডারি, স্বামী নিত্যানন্দ ... আমি সবই মেনে নিতে রাজি আছি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমার সাথে তর্ক চলছে, এখানে অনিকেতকে কেন টানা?
বাঙলা শব্দটি আছে, এটা দৃষ্টিগোচর হয়েছে তো? এবার শব্দজোড় করেন বাঙলা + দেশ = বাঙলাদেশ। যেমনটি বাংলা + দেশ = বাংলাদেশ লেখা হয়।
আপনি তো দেখি নিজের অবস্থান জায়েজ করার জন্য ভাষার মৌলিক জিনিসকে তুলোধুনা করছেন। প্রমিত রীতি না হয় দূরের কথা।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

ভাই একটা কথা বলেন দেখি, বাঙলা শব্দটা আছে বলেই এখন দেশের নাম বাঙলাদেশ লেখতে হবে? এটা কী ধরণের যুক্তি হল?
অনেক জায়গাতেই 'বাঙ্গালা' লেখা হয়, এবং এটাও ব্যকরণসিদ্ধ। যেমন ধরেন 'সংসদ বাঙ্গালা অভিধান'। এখন আপনি কি বলবেন যে 'এক জায়গায় দেখলাম বাঙ্গালা লেখা হচ্ছে, তাই এখন থেকে আমিও বাঙ্গালাদেশ বলব বা লেখব' ?

---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আর আপনি যে তর্কে নামলেন আপনার এই বিষয়ে কোন গবেষণাকর্ম আছে? নেই, আপনি যেমন অন্যদের যুক্তি পুঁজি করছেন তেমনি আমি-ও বাঙলা ভাষার শ্রেষ্ঠতম ভাষাবিদ/ব্যাকরণবিদ/উচ্চারণবিদদের বক্তব্যকে প্রকাশ করছি। আপনিই কেবল সংবিধানের জুজুতে আছেন, প্রমিতরীতির গুহায়।
আরে সংবিধান সংবিধান করছেন অথচ বেজন্মা জামাতিগুলো সংবিধান বেচে দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে! শুনেন, আমাদের স্বভাব হলো সঠিক জায়গায় চিকিৎসা না করে সর্বাঙ্গে ঔষুধ দেয়ার চিন্তা করা।
আর হ্যাঁ, ভার্চুয়ালি ট্যাগিং করে, অন্যকে আক্রমণ করে, অমতকারীকে ছাগু ডেকে আপনি একটা আদর্শকেই নষ্ট করে ফেলছেন। দুঃখিত, এটা আমাকে বলতে হচ্ছে।

(ঘুমাতে যাই। কাল না হলে পরশু কথা হবে।)
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

স্নিগ্ধা এর ছবি

আশরাফ মাহমুদ - আপনার সাথে আমার কোনরকম শত্রুতা বা খারাপ সম্পর্কের কোন ইতিহাস নেই, ঠিক? এবার আপনাকে একটা কথা বলি -

তবে আপনি আমার ভাষিক বিচ্যুতি কমই পাবেন। আমি ছোটবেলায় শিখেছিলাম, "ব্যবহারে বংশের পরিচয়।"
ছিহ!!!!

বংশ ফংশ আবার কী?? ব্যক্তির কথা বা কাজ দিয়ে তাকে বিচার করুন, মূল্যায়ণ করুন, সমালোচনা করুন - এখানে তার বংশ বা পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা কেন আসবে?? আপনার ভাষিক বিচ্যুতি ঘটে কিনা জানি না - বিচারবুদ্ধির ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে!

আপনি যদি এইকথা - আপনি নিজে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করে নিজের বংশের মর্যাদা বা সম্মান প্রমাণ করেন - এই হিসাবেও বলে থাকেন, আমার কথা ওই একই। কোন মানুষের ব্যবহার কিংবা কাজকর্মের ব্যাপারে, বংশ টংশ আসে কী করে??

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

জ্বি, সেটাই। অনুগ্রহ করে আপনি আমার পোস্টে যান। উনি আমাকে বলেছেন আমি ছাগুপনা করছি, ত্রিভুজের মতো যুক্তি দিচ্ছি। সূচনাকারী উনি। আমাকে একটা ইট পারলে হয়ত চুপ থাকব, বারবার মারলে পাটকেল তুলে নেয়া ছাড়া উপায় নেই।
মতের মিল না হলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাউকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী কাউকে ছাগু ডাকবেন- এটাতে কি বংশ টানা হয় না? দিদি, আপনিই বলেন।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

রেনেট এর ছবি

একথা হিমুভাই অস্বীকার করতে পারবেন না, তার অনেক মন্তব্যেই দম্ভ প্রকাশ পায়, এবং এও সত্যি, এই দম্ভটা এতটা প্রকাশ পেত না (অথবা তিনি করতেন না) যদি তিনি মডারেটর না হতেন। লেখক হিমুর দেয়ার অনেক কিছুই আছে, কিন্তু মন্তব্যে কথা চালাচালিতে হিমুভাইয়ের ধৈর্য্যের অনেক ঘাটতি আছে বলেই আমি মনে করি।

কোন স্ন্যাপশটের দিকে যাবো না। কারণ ব্যবহার শোধরাতে হবে হিমুভাইয়ের---শোধরানোর হলে তিনি নিজেই শোধরাবেন, আর না শোধরানের হলে হাজার স্ন্যাপশটেও কিছু হবে না।

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

হিমু এর ছবি

দম্ভ যদি তোলা ভরে মাপা যেতো, আমি স্বীকার বা অস্বীকারের দিকে যেতাম। যেহেতু এই দম্ভের ব্যাপারটা সাবজেকটিভ, কাজেই আমি বলবো এটা আমার পাশাপাশি রেনেটেরও সমস্যা। আমি হাজার শুধরেও লাভ নেই, যদি রেনেট না শোধরায়। আমি খুক করে কাশি দিলেও তখন সে লাফ দিয়ে উঠে বলবে, ঐ যে মডু কাশে!



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

রেনেট এর ছবি

প্রতিমন্তব্য আসবে জানতাম। হিমুসুলভ তীর্যক মন্তব্যে আসবে ভেবেছিলাম। কিন্তু আমাকে হতাশ হতে হল দেঁতো হাসি
এই মন্তব্যের মত 'স্বাভাবিক কথার স্বাভাবিক উত্তর' বেশিরভাগ সময় দিলে প্রথম মন্তব্যটা কখনও করতে হত না।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

হিমু এর ছবি

স্বাভাবিক উত্তরই থাকে। অস্বাভাবিক লোক সেটা ধরতে পারে না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

স্বাধীন এর ছবি

একথা হিমুভাই অস্বীকার করতে পারবেন না, তার অনেক মন্তব্যেই দম্ভ প্রকাশ পায়, এবং এও সত্যি, এই দম্ভটা এতটা প্রকাশ পেত না (অথবা তিনি করতেন না) যদি তিনি মডারেটর না হতেন। লেখক হিমুর দেয়ার অনেক কিছুই আছে, কিন্তু মন্তব্যে কথাচালাচালীতে হিমুভাইয়ের ধৈর্য্যের অনেক ঘাটতিই আছে বলে আমি মনে করি।

একজন সচল যখন এমন মন্তব্য করেন তখন লেখক/সচল/ ......... হিমুকে বলবো নিজেকে নিয়ে আরো ভাবার প্রয়োজন আছে। দম্ভই সকল পতনের মূল সেটা লেখক হিমু আরো বেশি জানে বলেই বিশ্বাস করি। আর সচলায়তনের প্রয়োজনেই হিমুকে আরো সংযত হবার অনুরোধ করি। এ সবই ব্যক্তি হিমুকে বলা, যার সাথে কখনো দেখা হয়নি, কিন্তু আরো অনেক অদেখা সচলের মতই আপন বলেই ভাবি। রেনেটের মন্তব্যে আমারও সহমত।

হিমু এর ছবি

অসংযত হয়েছি কোথায়, একটু দেখিয়ে অনুরোধটা করলে আমি উপকৃত হবো।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটার মুলভাবের সাথে একমত। আত্মসমালোচনার দরকার আছে মনে হয়।

স্বপ্নদ্রোহ

অনিকেত এর ছবি

হিমু এর ছবি
রেনেট এর ছবি

এই মন্তব্যই অসংযত মন্তব্যের প্রকৃষ্ট উদাহরন।

নো স্ন্যাপশট রিকোয়ার্ড।
--------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ভাই, উনাকে কে বুঝাবে! বুঝে-ও না বোঝার ভান করলে কী আর করা।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

তোমার মন্তব্যটা একপেশে জাজমেন্টের ইউনিক ইনস্ট্যান্স।

অনিকেত পোস্টে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামার ব্যাপারে কী যেন বলছিলেন? আবার পড়ে আসি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

রেনেট এর ছবি

এখানে বলে রাখা ভালো, আমি অনিকেতপন্থীও না, হিমু পন্থীও না...

যুক্তি তর্ক চলবে, চলুক।

তবে এইরকম আক্রমনাত্মক মন্তব্য কোন সচলের কাছেই আমি আশা করিনা।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অনিকেতদা,
অন্যকে দাম্ভিক বলার আগে লক্ষ্য রাখা উচিৎ আপনি নিজে দাম্ভিক কিনা। কিংবা হিমু ছাড়া অন্য মন্তব্যকারীর ক্ষেত্রে আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

যেহেতু আপনি আপনার পোষ্টে আমার আর আপনার প্রসঙ্গ তুলেছেন সেজন্য আমাকে করা আপনার ব্যক্তিগত মেসেজটা নিয়ে বলি। জাহিদ হোসেনের একটা পোস্টে আমি একবার জানাই যে সমালোচনার প্র্যাকটিসটা চালু রাখা উচিৎ। সরাসরি নাম ধরে কারো কথা বলিনি। সেখানে আপনি আর মামুন ভাই লাগলেন আমার পিছনে। ধুসর গোধুলী একটা এক্সপ্লানেশন দিলে বললেন, 'আপনে জবাব দেন কেন?' পরে আরেকটি পোস্টে আমি বলেছিলাম, "অনিকেত ভাই বোধহয় একটু সহজে এক্সাইটেড হয়ে যান।"

এর প্রতিউত্তরে ব্যক্তিগত মেসেজে, আপনি বলেছিলেন, আমার মন্তব্যের টোন আপনার কাছে বিশ্রী লেগেছে এবং আমার আগের মন্তব্যগুলোতে একই টোন দেখেছেন। তারপর বলেছেন, আপনার মন্তব্য না পড়তে। নইলে আমার সম্মানটুকু নীচে নেমে যেতে পারে। আপনার কোন লেখায় বা মন্তব্যে আমার মন্তব্য না দেখলে আপনি খুশী হবেন।

এখন আমাকে বলেন, একটা পোস্টে আমার করা মন্তব্য, যেটা সরাসরি আপনাকেও বলা হয়নি, আপনি সহ্য করতে পারেন না। আর এখন এসে আরেকজনকে গ্রো আপ করতে বলেন, দম্ভ কমাইতে বলেন! এখন সচলায়তনের সেভিয়ার এর একটা ভূমিকা নিতেছেন!

মামুন হক বা সাইফ তাহসিনের ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কি? সাইফকে তো অনেক লাগাম ছাড়া মন্তব্য করতে দেখি। অথচ তার সাফাই গেয়ে এই আপনারেইতো পোস্ট দিতে দেখছিলাম। কেন তার জন্য তো আপনি তারে কখনও দায়ী করেন নাই? মামুন তো উল্টা সিধা অনেক কথাই বলেন। বাঘার পোস্টে মামুন তো সরাসরি কয়েকজন সদস্যকে ঝাড়ি দিছেন। তাদের কিছু বলেন না কেন? তারা আপনার কাছের লোক বলে? বিষয়টা ডাবল স্ট্যার্ন্ডাড হয়ে গেল না?

হিমুর স্বপ্ন, আইডিয়া , অরূপের নেতৃত্ব, আমার শ্রম, পিছনের আরো কয়েকজনে ডিসাইসিভ উপদেশ আর আপনাদের লেখার উপর ভিত্তি করে সচলায়তন দাঁড়িয়ে আছে। সচলায়তনকে একদল লোক ব্লক করে দেয়। আরেকদল এসে ভাবে সচলায়তন হল পানির মত, এতে উত্তরাধুনিকতার রং ঢেলে দিলে সচলায়তন তাদেরই প্লাটফরম হয়ে যাবে। একদল এসে গালি দেয়। একদল বলে বেড়ায় এরা শিক্ষানবীস। আরেক দল সচলায়তন ধ্বংস করতে অরূপকে বের কার পিছনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। হিমুকে বের করার জন্য নীল নকশা আঁটে। এরপর হয়ত আমার পালা।

এর মাঝে হিমু, অরূপ, আমি আর অন্যান্য মডুরা যুদ্ধ করে যাচ্ছি। নিজের ব্যক্তিগত সময় দিনের পর দিন ব্যায় করে এই প্রেসার সামলাচ্ছি। মডুরা যখন বছরের পর বছর যুক্তি দিয়ে মাঝে মাঝে একটা দুইটা অস্থির মন্তব্য করে বসে, তখন আপনি এসে হিমুর সাত হাজার মন্তব্যের মধ্যে, একটা দুই পোস্টের উদাহরন টেনে নিয়ে বলছেন হিমু দাম্ভিক!??

বরং আপনার নির্বুধিতা দেখে আমি অবাক হয়ে যাই! হিমুর জায়গায় আপনি থাকলে তো মনে হয় কবেই উল্টো পাল্টা কিছু একটা করতেন। ক্ষমা তো চাওয়া উচিৎ আপনার!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

তুলিরেখা এর ছবি

আমার খারাপ লাগছে দেখে যে একজনের ভদ্রসভ্য কথাগুলোকে রেসট্রিকটেড করে দেওয়া হলো আর আরেকজন উগ্র ভাষায় উত্তর দিলেন, সেটা খোলা পাতায় দেখা যাচ্ছে।
আমি জানতাম সচলায়তন সবার, সব সচলের, অতিথিদেরও, এখন দেখছি ভুল জানতাম। এখানে কারু কারু বিশেষ অধিকার।

কিজানি, হয়তো এবার এখান থেকেও ....

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

রেনেট এর ছবি

রেস্ট্রিকটেড সম্ভবত অনিকেতদা নিজেই করেছেন...বাইরের লোকে এসব কথা যাতে বিনে-পয়সায় না পড়তে পারে সে চিন্তা করে...

কিন্তু হিমুভাই সেই চিন্তা করেন্নাই
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

হিমু এর ছবি

রেনেট, তুমি বিদ্বিষ্ট জানি, কিন্তু ফ্যাক্ট টুইস্ট করো কেন? লগড ইন থাকলে কোন কমেন্ট রেস্ট্রিকটেড, সেটা বোঝা যায় না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

রেনেট এর ছবি

হিমুভাই, আপনি লগ ইন ছিলেন---এই অবস্থায় দেখা যায় না--এতকিছু মাথায় রেখে বলিনি।

ফ্যাক্ট টুইস্ট করার কোন ইচ্ছাও ছিল না।

দুঃখিত।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনারা কী শুরু করলেন রে ভাই? একটু ভাবনা চিন্তা করে বলেন, এভাবে আগুনে ঘী ঢালার মত কাজ করলে তো হবেনা রে ভাই। একটু বেনিফিট অব ডাউট দেন।

অনিকেত ভাই যে রেস্ট্রিক্ট করেছেন সেটা তো আমিও বুঝিনি। অতিথিরাই কেবল েসটা বুঝতে পারেন। আর রেস্ট্রিক্ট করলে আগে থেকে সেটা লিখে দিতে হয়, সবাই তো তাই করতে দেখেছি।

হিমু এর ছবি

আমি এই পোস্টে আর কোনো মন্তব্য করতে যাচ্ছি না। আপনাদের জন্যে মন্তব্যের ঘর উন্মুক্ত থাকছে। বিনা উত্তরে যার যেমন অভিরুচি, বলে যেতে পারেন।

উত্তর আমি পরে দেবো। অন্যত্র।

হ্যাপি হান্টিং।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সাবিহ ওমর এর ছবি

হিমু ভাইয়ের একটা খান্ডারনি বউ দরকার...

সাফি এর ছবি

আসেন সব ভুইলা সবাই মিলে একটা গান শুনি দেখি। ভলয়্যুম কমিয়ে দিতে ভুলেন না আবার -

*এই মাত্র দেখলাম অতিথি হয়েও আমি কমেন্ট সম্পাদনার সুযোগ পাচ্ছি। আন্তরিক ধন্যবাদ এডমিন/মডুদের।

অমিত এর ছবি

এইবার থামেন আপনারা।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আগের দফায় স্রেফ দু'টা স্ন্যাপশট নিয়ে বলছিলাম। এবারে পুরো পোস্ট নিয়ে ছোট মুখে কয়েকটা কথা বলি।

সচলে ইদানীং অসহিষ্ণুতা বেশ বেড়েছে -- পোস্টের এই মূল মর্মের সাথে আমি পূর্ণ সহমত পোষন করি। যাঁরা ফোড়ন কেটে আনন্দ পান, তাঁরা তাতে থামবেন বলে মনে হয় না। তাঁদের সাথে কনুই দিয়ে ঠেলাঠেলি করে টিকতে না পেরে অনেকেই পেছনেই থেকে যাবেন।

তবে পোস্টটার শেষাংশে তথ্যগত বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা/ত্রুটি আছে। সুমন রহমান প্রসঙ্গে কেন সচল'রা বিরক্ত, তা আশা করি অনিকেত দা' বুঝে গেছেন। পোস্টের মর্ম বুঝেও ঐ অংশের তথ্যগত ত্রুটির কারণে অনেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আমি ছোট, সাহস কম, তাই অনেক চড়-চাপড়ও সহ্য করে যাই। সচল ব্যানের সময় সুমন রহমানের অনেক চামুণ্ডা আমাকে বিভিন্ন ভাবে দায়ী করেছিলো নিজামীদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই বলায়। এই কথা বলায় নির্ঝঞ্ঝাটে কবিতা-গল্প লেখার পরিবেশ নষ্ট হয়েছিলো। হিমু ভাই ও ধুগো তখন খুব জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন আমার পাশে। দু'জনেই খাপখোলা তলোয়ার, কিন্তু আমার দুর্বলচিত্ত মনকে ঋজুতা দেয় এই তলোয়ারগুলোই। আপাতদৃষ্টিতে অনেক বক্তব্যই বেশি খোলামেলা হয়ে গেলেও এই সাহসটুকুর প্রদর্শন প্রয়োজন।

কাজটা সবার দায়িত্ব, কিন্তু এই ক'জন বাদে কাউকে ফলাফলের তোয়াক্কা না করে পালন করে যেতে দেখি না। সেই জন্য সাধুবাদটুকুও প্রয়োজন। হিমু ভাইয়ের বক্রোক্তিগুলো না থাকলে জামাত-মনস্ক ছাগুদের সামলানো যেত না। এগুলো খুব 'সুশীল' না, মানি আমিও। তবে, হিমু-ধুগো-কে সিঙ্গেল-আউট করলে ক্ষতিগ্রস্ত আমরাই হবো। বাছাই করা প্রয়োজন তাঁদের কত ভাগ বক্রোক্তি নন-ছাগু/জামাতী ইস্যুতে ছিলো।

দু'জনকেই তাই অনুরোধ রাখলাম একটু ক্ষান্ত দিতে। হিমু ভাই ডাজ নট ডিজার্ভ দিস। একে একে সবাই এসে ঢালাও ভাবে ওনাকে দোষ দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তাঁদেরই বুকে না কুলানো কাজগুলো হিমু ভাই করে দিয়ে যান প্রতিনিয়ত। হিমু ভাই খেয়াল রাখেন বলেই নয়া দিগন্তের লেখার ঘটনা আমাদের চোখে পড়ে, এবং আমরা আফটার-দ্য-ফ্যাক্ট এসে হৈ-চৈ করি। নতুন অতিথিদের কামড়ে ধরার কাজটাও হিমু ভাই করেন না। কেউ ফালতু মন্তব্য করলে তাকে তালি দেওয়ার কাজটাও হিমু ভাই করেন না। এগুলো এত সহজে ভুলে যাওয়াটা ঠিক না। পুরো লেখার মেসেজটাই হারিয়ে যাচ্ছে।

এই মন্তব্যটা অনেক আগেই করা উচিত ছিলো। উছিলা হিসেবে জ্বর, এবং প্রকৃত কারণ হিসেবে স্বার্থপরের মতো নিজের বিষয়গুলো বলাকে দেখিয়ে গেলাম।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কাজটা সবার দায়িত্ব, কিন্তু এই ক'জন বাদে কাউকে ফলাফলের তোয়াক্কা না করে পালন করে যেতে দেখি না। সেই জন্য সাধুবাদটুকুও প্রয়োজন। হিমু ভাইয়ের বক্রোক্তিগুলো না থাকলে জামাত-মনস্ক ছাগুদের সামলানো যেত না। এগুলো খুব 'সুশীল' না, মানি আমিও। তবে, হিমু-ধুগো-কে সিঙ্গেল-আউট করলে ক্ষতিগ্রস্ত আমরাই হবো। বাছাই করা প্রয়োজন তাঁদের কত ভাগ বক্রোক্তি নন-ছাগু/জামাতী ইস্যুতে ছিলো।
আমি একমত জানিয়ে গেলাম। হিমুকে বড় করছিনা, কিন্তু হিমু এ্যাবসেন্ট থাকলে সচলও আর সচল থাকেনা। কয়দিন আগেই সেটা আমি লক্ষ্য করেছি। যার ইনভল্ভমেন্ট এত বেশী, তার ভুল-ভ্রান্তি করার সম্ভাবনাও বেশী। যে লোক পাবলিকের সাথে মেশে বেশী তার দোষ-ত্রুটিও বেশী চোখে পড়ে। আমার মত যারা চুপচাপ থাকে তাদের দোষ বের করা কঠিন। একটা কথা আছে বোবার কোন শত্রু হয়না। বিপরীতটা ঠিক হিমুর বেলায় মিলে যাচ্ছে, যেটা ওর এভাবে কাম্য নয়।

দেখি এখন থেকে আমারও মুখ খুলতে হবে।

পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে একমত। আমাদের আরও সহিষ্ণু হতে হবে, কোন সন্দেহ নাই। এবং আমাদেরকেই সেই লীড নিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে।

আলমগীর এর ছবি

ইশতি
একথাটা আমি একাধিক ভেবেছিলাম বলব। আবার ভাবলাম, যেহুতু একটা অস্থির অবস্থা না বলাই ভাল। সুমন রহমান নিজেকে দেশপ্রেমিক ভাবুন। কিন্তু তারচে অর্ধেক বয়েসী কারো আবেগী মন্তব্যে যদি সহিংসতা খুঁজে পান তবে তাকে শ্রদ্ধা করতে সমস্যা আছে আমার। (আমি তার লেখা সোনা না হীরক সেটা দেখতেই যাব না)।

একই কারণে হিমুর পোস্টে জিফরান যখন সুমন রহমানের ধারণাকে সঠিক মনে করে, এবং মামুর ফেসবুকের ব্যক্তিগত কমেন্টকে সচলায়তনে তুলে আনে, তখন তার সততার দাবী টিকে না, অবস্থানও স্পষ্ট হয় না।

(ফারুক ওয়াসিফ সচল ছেড়ে যাবার পর একই ধরনের কাজ করেছেন, তার ক্ষেত্রেও এ কথা বলেছি।)

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, আপনারা থামেন। অনুরোধ করছি। জায়গাটায় গরমের জন্যে থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে। নিজের ঘরে ঝগড়া লাগলে কার ভালো লাগে বলেন, যেই লাগাক?

হিমু ভাই, উচিত কথা বলছি নাকি জানিনা। আপনার পরে অন্য কোথাও উত্তর দেওয়ার কথায় মনে হল এই তিতা বিষয় নিয়ে আরেকটি পোস্ট হতে যাচ্ছে। অনুরোধ রাখব এমনটি না করার। আমি ভুল বুঝে থাকলে দুঃখিত।

আরেকটা (সম্ভবত অনুচিত) কথা হিমু ভাই, ছোটবেলায় জেদ ধরলে সবাই বোঝানোর চেষ্টা করত এই বলে, "সবাই যখন বলছে, একটু ঠান্ডা হয়ে চিন্তা করে দেখ।" আমি আপনার বা অন্য কারো পক্ষেবিপক্ষে কিছু বলবনা, কারণ অনেক ঘটনাই জানিনা, কিন্তু আপনার জায়গায় আমি হলে একটু ভাবতে বসতাম। এইটাও একটা অনুরোধ। আপনার এবং যাদের নিয়ে এই বিবাদ, তাদের সবার কাছে।

---আশাহত

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

১. একজন আর কিছু শুনতে চায় না - যা শোনার শুনে ফেলেছে - শুধু একটা ক্ষমা-প্রার্থনা তার শুনতে হবে - আর কিছু না।
২. একজন সেই ক্ষমা-প্রার্থনা করবে না - কারণ সে যা বলে সংগত কারণেই বলে বলে দাবি করে।
৩. আর শেষে হলো পাঠক - অন্তহীন এই ত্যানা প্যাচানি দেখছে হতাশ - এই সব আর পড়তে চায় না।
auto

ভাই - আমি কিছু না - ঝড়ের বাতাসে যেমন পাতা উড়ে - আমি সেই রকম উড়ে এসে জুড়ে বসা পাঠক। ক্লান্তিকর দিনের মধ্যে মাঝে মাঝে সচল পড়ি - এরকম একটা সুন্দর প্লাটফর্ম তৈরির পেছনে যাদের অবদান আছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কিছু অসঙ্গতি অবশ্যই আছে - তবে মহামানব সহ-ব্লগারের সন্ধানে কেউ ব্লগিং করে বলে মনে হয় না (করতে পারে - নতুন বলে হয়ত আমি জানি না)।

কিন্তু দিনের শেষে ব্লগিং কিন্তু ব্লগিং-ই - এত সিরিয়াস হবার কি আছে? একজন বলে জাইগা, আরেকজন কথা বলা বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন, মাঝখানে ডালে ডালে চেপে থাকা পুরাতন আগুন ছড়াচ্ছে। লাভ কি হচ্ছে? বাঙালি চিপায় পাইলে কাউরে ছাড়ে না - এই পোস্ট তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এত কিছুর পর কিছু পরিবর্তন হবে বলে ধারণা করছেন?

auto
অনিকেত চিন্তার কিছু খোরাক দিয়েছেন, সবগুলোর সাথে অনেকেই এক মত না, অনেকে আবার সহমত পোষণ করেন - সব মিলিয়ে এক শব্দে কোনো সঠিক উত্তর নেই। তা যদি কেউ চিন্তার খোরাক মনে করেন - ভালো। না মনে করলেও ভালো। কারো উপর তো জোর করে আমার মতামত চাপিয়ে দিতে পারি না - কেন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে? মূল মেসেজ সবাই পেয়েছে - নতুন কিছু বলার না থাকলে আর ত্যানা প্যাচানোর অর্থ কি? মডুদের এই ব্লগে কমেন্টানোর অপশন বন্ধ করে দেবার বিনীত অনুরোধ জানালাম।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তোমার মন্তব্য পছন্দ হলো। তবে এই পোস্টে মন্তব্য সম্পূর্ণ বন্ধ না করে মডারেট করা দরকার মনে করছি। বিশেষ করে বেহুদা কোট করা বক্তব্যহীন মন্তব্যগুলো। রঙিন বা আংশিক রঙিন মডুরা একটু দেখবেন কি?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনাকে ধন্যবাদ দিয়েই শুরু করি অনিকেত'দা! আত্মসমালোচনা মূলক পোস্টের দরকার আছে, অবশ্যই আছে। মন্তব্যে অনেকেই পোস্টের মূলভাবের সঙ্গে সহমত জানিয়েছেন, এরকম পোস্টের দরকার ছিলো জানিয়েছেন, ধন্যবাদ তাঁদেরও।

অবশ্য বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন আপনার পোস্টের উদ্দেশ্য ভালো হলেও তথ্যগুলো মিসলিডিং, বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা সচলে নতুন এবং/অথবা কেবল এই পোস্টটা এবং এর আশেপাশে দুয়েকটা পোস্ট পড়বেন।

আমি আপাতত সে দিকে না গিয়ে আপনার পোস্টের কয়েকটা বাক্যে মন দিই বরং।

এরই মাঝে মামুন ভাই প্রায় একই টাইপের মন্তব্য করে ধু গো-র রোষানলে পড়লেন। দেখলাম তাকেও চট করে গো আযম আর নিজামীর সাথে তুলনা করা হয়ে গেল।
ভুল অনিকেত'দা।
ধুসর গোধূলি লিখেছেন:
এখন এই প্রতিভার সূত্রে আপনি কী মনে করেন? গো আ, মইত্যা এদেরও কিন্তু প্রতিভা কম না মামুন ভাই। তারা কী করলো না করলো সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার কী দরকার। শুরু করি চলেন তাদের মাথায় তুলে নাচানাচি। প্রতিভার কদর করি।
আপনার উল্লেখ করা "তুলনা" আর ধুগোর করা উক্তির মাঝে বিশাল একটা ফাড়াক আছে অনিকেত'দা, ধরা পড়ে?

মামুন ভাই সেই পোস্টে তাঁর প্রথম মন্তব্য করলেন, যার একটা লাইন হলো,

মামুন হক লিখেছেন:
ক্ষোভ ঝাড়াই মূখ্য উদ্দেশ্য হলে সেটা ভিন্ন কথা।
আবার, একই মন্তব্যে তিনি লিখলেন
মামুন হক লিখেছেন:
অতীত ইতিহাস জানা না থাকলে এ ধরনের পোস্ট থেকে সাধারণ পাঠকদের আসলে পাবার তেমন কিছু নেই।
খুবই সত্যি কথা। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিলো। কিন্তু গোল বাধলো আলমগীর ভাইয়ের একটা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা মামুন ভাইয়ের পরের একটা কমেন্টে
মামুন হক লিখেছেন:
লিংকগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ আলমগীর ভাই, অনেক কিছু জানা হলো।
গোলটা হলো, মামুন ভাই সুমন রহমান সম্পর্কে জানতেন না। এবং না জেনেই, আই রিপিট— না জেনেই তিনি প্রথমে মন্তব্য দিয়ে বসেছেন, মুর্শেদের পোস্টের উদ্দেশ্য ক্ষোভ ঝাড়া (হলে অন্য কথা)! এবং সঙ্গত কারণেই ঐ পোস্ট তাঁর ভালো লাগেনি। তাঁর প্রথম মন্তব্যের টোন আর উল্লিখিত পরের মন্তব্যের টোনটা খেয়াল করতে আপনাকে অনুরোধ জানাই।

যাইহোক, আমার মতে মামুন ভাইয়ের জন্য সবচেয়ে শোভন হতো তিনি যদি মুর্শেদের পোস্টে ক্ষোভ ঝাড়াটাই মূখ্য হিসেবে না দেখে কারো কাছ থেকে সুমন রহমানের ব্যাপারে জেনে নিতেন এবং তারপর মন্তব্যটা করতেন!

ঘটনাটা এ পর্যন্ত এসে থেমে গেলে হয়তো আপনার এই পোস্টের প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতো। কিন্তু তা না হয়ে মামুন ভাই জিফরানকে ডিফেন্ড করতে এগিয়ে এলেন।

মামুন হক লিখেছেন:
প্রায় জোর করেই জিফরানকে সুমন রহমানের মুরীদ, ভক্ত ইত্যাদি বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। ব্যাপারটা আপত্তিকর এবং বিরক্তিকর।
এখানে একটা প্রশ্ন উদয় হলেও সেটা না করে বরং সবিনয়ে জানতে চাই, কোনো কিছু আগে থেকে না জেনে, আগ বাড়িয়ে হুট করে একটা বেফাঁস মন্তব্য করে বসাটা অনেকের জন্য কতোটা আপত্তিকর এবং বিরক্তিকর, সেটা কি মামুন ভাই বোঝেন!

সম্ভবত বোঝেন না। কারণ 'সুমন রহমানের প্রতিভা আছে তো সব ঠিক' তত্ত্বের পর জিফরানকে যারা সুমন রহমানের অনুসারী বলেছে (সেটা অগ্রজ লেখক, কবি— যে অর্থেই হোক না কেনো) তাদের কথাকে বিরক্তিকর, আপত্তিকর আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

আর আপনার কাছে বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করি অনিকেত'দা, জিফরান যে সচলে পোস্ট/মন্তব্য করে, সে কি জিফরান হিসেবে করে নাকি "বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ চাচার ছেলে জিফরান" হিসেবে করে? যদি "শুধুই" জিফরান হিসেবে করে তাহলে আপনিই বলেন, সুমন রহমান সম্পর্কে সবকিছু জানার পরেও সে যখন কেবল প্রতিভার দোহাই দিয়ে সুমন রহমানের সবকিছুকে জায়েজ করতে চায়, "দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য"— এইটা জানার পরেরও যখন সে প্রতিভাতেই মগ্ন থাকতে চায়। তখন কেউ যদি 'জিফরানের কাছে তাহলে প্রতিভাটাই আসল!', বলে মনে করে, আপনি কী করে দোষ দিবেন?

আর জিফরান যদি "বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ চাচার ছেলে জিফরান" হিসেবেই সচলে পোস্ট / মন্তব্য করে থাকে বলে মনে করেন তবে আমিও মনে করি, কেবল "বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ চাচার ছেলে" বলে সে যা-ই বলবে তাই আমি মেনে নেবো কেনো!

বাকি থাকে সবজান্তার ব্যাপার। প্রিয় কারো কোনো কথা, উক্তি ভালো না লাগলে কেমন লাগে সেটা আপনার পোস্টেই আপনি উল্লেখ করেছেন। নানা কারণে সচলায়তনের কল্যানে যাঁদেরকে খুব কাছের মনে করি সবজান্তা তাঁদের একজন। তারপরেও সবজান্তাকে উদ্দেশ্য করে (যেটা কেবল একটা সাধারণ আশঙ্কাময় সম্ভাবনাই বুঝাতে চেয়েছি) আমার কিছু আপাত কুটুক্তি বেরিয়ে যাওয়ার কারণ হয়তো সে বুঝে থাকবে আপনার এই পোস্ট প্রকাশিত হওয়ার অনেক আগেই।

অনিকেত'দা, একটা কথা স্বীকার করবেন কিনা জানি না, আপনার এই পোস্টটা অনেকের মুখের বাঁধন খুলে দিয়েছে। অনেককেই সুযোগ পেয়েছে, "পাইছি আজকা, ল্যাংটা মেরেই যাই!" মনোভাব প্রকাশের।

আপনি নিজেই পোস্টে উল্লেখ করেছেন এমন ধুগোকে কখনো দেখেননি, আবার পরমুহূর্তেই লিখেছেন হিমু-ধুগোকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে 'মুখ খারাপ' করতে দেখেছেন!

ধুগোর কথা বাদই দিন। ফাউল আদমি। অন্তত মুর্শেদের পোস্টের বেশ কিছু আর এই পোস্টের গোটা কয়েক মন্তব্য পড়লেই সেটা বোঝা যায়। কিন্তু হিমুর সাধারণ জনগণের সাথে অযৌক্তিক মুখ খারাপের অন্তত একটা হলেও উদাহরণ দিয়েন। আমার তাকে চিনতে সেটা সাহায্য করবে।

এই পোস্টেরই একটা মন্তব্যে ড. জাফর ইকবাল প্রসঙ্গে আপনি উল্লেখ করেছেন প্রিয় কোনো মানুষের ব্যাপারে একজন মানুষ কতোটা অন্ধ হতে পারে, বিরুদ্ধে বলা কাউকে অত্যন্ত ভদ্র হয়েও "ছাগু" বলে গালি দিতে পারে, আপনি নিজেই তার প্রমাণ। অথচ চোখের সামনে একটু একটু করে জন্ম নেয়া সচলায়তনকে ঘিরে কারো অন্ধত্ব থেকে যদি মুখ দিয়ে শ্লেষাত্মক শব্দ বেরও হয়, আপনি তাকে এই সচলেরই পাতায় পোস্ট দিয়ে জোর করে হলেও "ক্ষমা" চাইতে বলতে পারেন। আপনি এটা ভাবতে পারেন না কিংবা ভাবেন না যে এই শ্লেষাত্মক শব্দ ব্যবহারের কারণেই, তার কঠোর "ছ্যাবলামি"র কারণেই আমি, আপনি, আমরা আম পাব্লিকেরা "সচলের পরিবেশ অন্যান্য ব্লগের চেয়ে পরিচ্ছন্ন" মনে করতে পারি!

পারি না অনিকেত'দা, যে ছেলেগুলির অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে সচলায়তন আজকের এই চেহারা নিয়ে গর্বের সাথে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, তাদেরকে কেউ কোনো ল্যাং মারা কথা বললে সহ্য করতে কষ্ট হয়। চোখের সামনে জন্ম নিয়ে একটু একটু করে বড় হওয়া সচলায়তনের কোর প্যানেলে ঢুকতে চেয়েও ব্যর্থ হওয়া সুমন রহমান যখন "যেখানে দেখিবে সচল, সেখানেই মারিবে ল্যাং" থিয়োরি অবলম্বন করে তখন সেই সুমন রহমান "কোথাকার কোন সুমন রহমান হয়ে যায় না!" আর যখন দেখি পুরানা আমলের কোনো সচল এই সুমন রহমানের ল্যাং মারা ইতিহাস জানার পরেও তার সাফাই গায়, তখন মেজাজ, মর্জি, মাথা— কোনো কিছুই ঠিক থাকে না। রাখতে পারি না।

আপনার পোস্টটি পড়ার পর কয়েকবার মনে হয়েছে কিছুই বলবো না! এরকমপোস্টে কিছু বলার নেই। কারণ পোস্টটি শেষ বিচারে, হিমু-ধুগোকে "যেকোনো মূল্যেই" এখানে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা।

সেজন্যই শুরুতে বলছিলাম, আত্মসমালোচনা মূলক পোস্টের দরকার অবশ্যই আছে অনিকেত'দা তবে আপনার এই পোস্টটির মতো তথ্যগত অসম্পূর্ণ পোস্টের দরকার ছিলো না। যদিনা অন্যের চোখে হিমু-ধুগোকে বিব্রতাবস্থায় হাজির করতে চেয়ে থাকেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

যুধিষ্ঠির এর ছবি

১. এই পোস্টের কিছু কিছু কথার সাথে আমি একমত হলেও পোস্টটি আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। কারো না কারো এই কথাগুলো বলার দরকার ছিলো, আছে, থাকবেও। কিন্তু সেটা আলাদা পোস্ট দিয়ে স্ন্যাপশট দিয়ে হতে হবে কেনো? যে যে পোস্টের কথা এখানে উঠেছে, সেখানে মন্তব্যে "আমাদের" আত্মসমালোচনাগুলো হলো না কেনো? আলাদা পোস্ট দেয়ার প্রয়োজন বুঝতে পারলাম না। পোস্টগুলো তো আর মুছে দেয়া হয় নি। হিমু যেখানে যেখানে "গালাগালি" করেছে সেখানে আপত্তি জানানোটাই শ্রেয় ছিলো না? তাহলে তো আর হিমুকে উদাহরণ চাইতে হতো না। স্ন্যাপশট দিয়ে তো অনেককে আংশিক ধারণা দেয়া হলো, বিশেষতঃ শুধু অনিকেতের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে। ব্যাপারটা তো সবার জন্য ফেয়ার হলো না।

২. স্বীকার করি, আমি অনেক সময়ই হিমুর মন্তব্যের ধরনে অসন্তুষ্ট হয়েছি, যুক্তিতে বা বিষয়বস্তুতে কখনোই নয়। আমি হিমুর যেসব মন্তব্য পড়েছি (সবগুলো পড়িনি, অবশ্যই) সেখানে যেসব কারণে মন্তব্যগুলো করা হয়েছে তার প্রয়োজনীয়তা আর ব্যাপ্তি হিসেব করে দেখেছি, আর কোন প্রতিবাদের অনুপস্থিতিতে সেই অপ্রিয় ধরনের মন্তব্যই আমি গ্রহন করবো। কারণ আমি নিজে প্রতিবাদ করতে পারিনি, প্রতিবাদের জন্য জরুরী তথ্য আমার হাতে ছিলো না অথবা অন্য কোন কারণ। সেখানে অন্য কেউ প্রতিবাদ জানালে সেটা আমার পছন্দের ভাষায় হতে হবে এমনটা আশা করি না।

৩. হিমুর উদাহরণ চাওয়ার ব্যাপারটিকে আমি সমর্থন করি। অনিকেত, আপনি যেটা বলেছেন, হয়তো সেটা ঠিক, হিমুর হয়তো বোঝার ক্ষমতা নেই কোথায় ভুল হয়েছে। দু-একটা উদাহরণ দিতে তো সত্যি সময়ের প্রয়োজন হয় না। আমি যদি এ পোস্টটা লিখতাম, তাহলে ক্ষমা না চেয়েই লিখতাম, আর যে কোন উদাহরণ দেখানোর জন্য প্রস্তুত থাকতাম। কম প্রস্তুত অবস্থায় বা কম সময় হাতে নিয়ে এরকম অভিযোগের পোস্ট নামানোটা আমার প্রথম পয়েণ্টের মত এখানেও পোস্টের প্রয়োজনীয়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

৪. সিরাতের প্রসঙ্গে ওর একটা পোস্টে করা হিমুর শেষ মন্তব্যটাই কোট করি... "সিরাত নাইভ কি না, অপরিণতমস্তিষ্ক কি না, অপ্রাপ্তবয়স্ক কি না, এগুলি বিবেচনার ধারে কাছেও আমি নাই। আমার বিবেচনায় একটাই জিনিস, সিরাত ছাড় দিচ্ছে কী আর কাকে, সেটার বেনিফিশিয়ারি কারা। উপরে কমেন্টে দেখবেন, জনৈক ছাগুবান্ধব রিয়াজুদ্দিনকে নিয়ে একটি সচিত্র ব্যাখ্যা আঁকায় সিরাতের প্রতিক্রিয়া। ঐখানেই বোঝা যায়, এত এত সস্নেহ পরামর্শের ভিড়ে কোন পার্টিকুলার সাপোর্ট সিরাত বেছে নিয়েছে। মিষ্টি কথার গুল্লি মারি। সচলে ছাগ্লামি দেখলেই ডলা। আমরা এইখানে ছাগল পালার জন্য দিনের একটা বড় সময় ব্যয় করি না। ছাগ্লামির জন্য দ্য হোল ওয়াইড ওয়ার্ল্ড ইজ আউট দেয়ার। পিরিয়ড।"

অভব্য মন্তব্য? হতে পারে। যৌক্তিক? অবশ্যই। আর কেউ এরকম সরাসরি সত্য বলেছেন? না। হিমু এই মন্তব্যগুলো করে একটা কন্সিসটেন্সি নিয়ে, কোন বিশেষ সময়ে বা কোন বিশেষ ব্যক্তি নিয়ে নয়। এটি গত কদিনে শুরু হয়েছে তা না, বরং আমার সচল জীবনের শুরু থেকেই এটা দেখে এসেছি। হিমুর অভব্য মন্তব্যের সামনে আমাকেও পড়তে হতে পারে কোনদিন, আমি যদি সে সুযোগ তৈরী করি, এবং সে আমাকেও ছেড়ে কথা বলবে না এই আস্থা এবং ভয় দুটোই আমার আছে। সেই শঙ্কা নিয়েই হিমু যেভাবে আছে, আমি সেভাবেই তাকে দেখতে চাইবো - ভদ্রসভ্য হতে গিয়ে প্রতিবাদের ধার কমে যেন না যায়।

৫. সিরাত প্রসঙ্গে "ফলাফলঃ অনেক দিন আমরা তার কোন লেখা পাই না।" আপনার এই কথাটাতে আপত্তি। সিরাত আগেও গেছে, ঘোষনা দিয়েই গেছে, প্রতিজ্ঞা করেছে প্রথম পাতায় পোস্ট দেবে না, নীড়পাতায় দুটো পোস্ট দেবে না বলেছে, আবার সে প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গেওছে। ফিরেও এসেছে। সিরাতকে নিয়ে আমি চিন্তিত না। সিরাতকে বলা কোন কথার জন্যই আমি লজ্জিত বা ক্ষমাপ্রার্থী নই।

৬. নাভিদ সালেহর জন্য একটা কথাই বলার আছে। আমাদের উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজী পাঠ্যবইয়ে পড়েছিলাম। ইয়েভগেনি ইয়েভতুশেঙ্কো'র একটা গল্প ছিলো যেখানে উনি বলেছিলেন, একেবারে সঠিক বাক্যটা মনে নেই যদিও, "আপনি যদি লেখক হতে চান, শুধু ভালো লিখলেই হবে না, যা লিখবেন সেটার জন্য দাঁড়িয়ে লড়াই করার হিম্মতটুকুও থাকতে হবে।"

৭. আশরাফ মাহমুদের "বাঙলাদেশ"-এর ব্যাপারে একটাই কথা, এটা একেবারেই গ্রহনযোগ্য নয়। পিরিয়ড।

৮. হাসান মোরশেদ আর সচলের জন্মের সময়ে যারা ছিলেন, তাদের কাছে অনুরোধ "নীড়পাতায় সচলায়তন সৃষ্টির ইতিহাসটুকু লিখে রাখা জরুরী হয়ে গেছে" শুধু মুখে না বলে লিখে ফেলুন। এটা জরুরী। ডার্টি লণ্ড্রী লুকিয়ে রাখার অজুহাত আর চলে না। আমি প্রায় দু'বছর সচলায়তন অনুসরণ করেও এ জিনিসগুলো নিয়ে পুরোপুরি পরিস্কার হতে পারিনি।

হাসিব এর ছবি

ঠিকাছে ।

৩,৪ নাম্বার পয়েন্টে একটা নোট - আমরা যারা পাকা দালানে বাস করি তাদের অনেকেরই মনে থাকে না এই পাকা দালানের প্রতিটা ইট কাউকে না কাউকে কাদার মধ্যে দাড়িয়ে গড়তে হয়েছে । পাকা দালানে বাস করে ঐসব কাদাঘাটা মানুষকে নোংরা বলাটা সোজা । একইরকমভাবে কারো পোস্ট মন্তব্য ইত্যাদিতে যখন বোটকা গন্ধ বের হয় তখন কেউ কেউ দুরে দাড়িয়ে কাদা থেকে নিজেদের রক্ষা করেন আর কেউ কেউ ঐ কাদার মধ্যে নেমে যুদ্ধ করতে থাকেন । নতুন পরিবেশবাদি তুর্কীরা যারা গত প্রায় ৫ বছরে গড়ে ওঠা ব্লগিও রেটরিকের স্টাইল সম্পর্কে অবগত নন তাদের কাছে ঐসব আপত্তিকর মনে হতে পারে । তাদের কাছে সিরাতের বৈচিত্রময় ছাগলামি আপত্তিকর মনে হয় না কিন্তু ঐ ছাগলামির বিরুদ্ধে কিছু বললে সেগুলো আপত্তিকর মনে হয় । ব্লগে ঐজাতীয় গা বাঁচানো লোকদের একটা নাম আছে - সুশীল

হাসিব এর ছবি

-- রিপিটেড মন্তব্য মুছে দিলাম --

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মূল পোস্ট নিয়ে আলোচনা করি। অনিকেতদার উদ্দেশ্য মহৎ এতে সন্দেহ নেই। আমার-অনিকেতদার একটা উদাহরন, চারটা স্ন্যাপশট আর আমার সর্বশেষ পোস্ট এই নিয়ে আলোচনা শেষে অনিকেতদা বিশেষ কয়েকজনের ক্ষমা দাবী করেছেন। অছ্যুৎ বলাই সবচেয়ে চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্ন্যাপশট গুলি সর্ম্পকে। তাই সেদিকে আর যাবো না।

অনিকেতের লেখায় টানা উদাহরন গুলি আমি মনে করি ভুল উদাহরন। কিন্তু এটাও স্বীকার করি যে সচলায়তনের অসহিষ্ণুতা দেখা যাচ্ছে কিছুটা। যখন ঘন্টার পর ঘন্টা একই বিষয় যুক্তি দিয়ে বোঝানোর পর দলীয় কারণ, রাজনৈতিক কিংবা ধার্মিক কারণে কিছু মানুষ যুদ্ধ করতে থাকেই তখন তাদের করুণা করা কিংবা কটু কথা বলার ব্যাপারটি ঘটতে পারে। সচলায়তনে ব্যাপারটির ফ্রিকোয়েন্সী বাড়তে দেখা যাচ্ছে ইদানীং। অনিকেত ছাড়াও এটাতে অনেকে একমত। সেটা অনেকে মন্তব্যে জানিয়েছেন এবং অনেকে রেটিং করে জানিয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু অনিকেত শুধু মাত্র কয়েকজনের ক্ষমা চেয়েছেন। যেটা আমি মনে করি কোন সমাধান নয়। বছরের পর বছর একসাথে থাকলে একে অপরের ভুল ত্রুটি গুলো চোখে পড়ে। অনেক ব্যক্তিগত দূর্বলতা জানা হয়ে যায়। কথা কাটা-কাটিতে, ঝগড়া-ঝাটিতে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তাই আজ যারা ভুল করেছেন শুধু তারা ক্ষমা চাইলেই বিষয়টির সমাধান হবে না।

বিষয়টি সমাধানের জন্য আসুন আমরা আমাদের সবার নিজের অবস্থানের দিকে তাকাই এবং মনে মনে বলি আমি আমার বক্তব্যে, বিবেচনা এবং ব্যক্তিত্বে আরেকটু সংযম ধারণ করব। ঝগড়া হোক, তর্ক বির্তক চলুক, মন কষাকষি হোক - কেউ যেন আমরা নিজেদের সীমা অতিক্রম না করি। দিন শেষে যেন আবার নিজেদের সাথে মিশে যেতে পারি। শুধু বললেই হবে না এই কথাটা বিশ্বাসও করতে হবে নিজেকে। নইলে হাজার হাজার পোস্টে ক্ষমা চাইলেও আসলে কাজের কাজ কিছু হবে না।

আমাদের আরও মনে রাখতে হবে যে আমাদের মূল উদ্দেশ্যে এক। বাংলা ভাষার প্রসার, স্বাধীনতা যুদ্ধের সপক্ষে কিছু করা, বাংলাদেশের জন্য কিছু করা, কিছু সমমনা মানুষের বন্ধুত্ব এই সব মিলিয়ে আমরা একত্র হয়েছি। বাইরে কিছু ধর্মীয় লেবাসধারী শকুন, কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারী হায়েনা, এবং কিছু সাহিত্যবেশ্যা সচলায়তনের একতা ও এর নেতৃস্থানীয় ভূমিকা সহ্য করতে পারছে না। তারা হাঁ করে চেয়ে আছে সচলায়তনের ধ্বংসের জন্য। আসুন আমরা আর তাদের হাসির খোরাক না যোগাই।

পোস্টে মন্তব্য বন্ধ করে দেয়া যেত। কিন্তু আমি অনুরোধ করব আপনার এখন থেকেই এই অভ্যেস শুরু করুন। কোথায় থামতে হবে সেটা নির্ধারণ করুন নিজেরাই এবং সে অনুযায়ী মন্তব্য বন্ধ করুন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রেনেট এর ছবি

মুর্শেদ ভাইয়ের এই মন্তব্যটা খুব পছন্দ হলো চলুক
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

যুধিষ্ঠির এর ছবি

মন্তব্যে টু থাম্বস আপ।

স্নিগ্ধা এর ছবি

মুর্শেদ, চরমভাবে একমত!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ।

শরতশিশির এর ছবি

চলুক

এবং মুর্শেদের এই বক্তব্যটাই আসল।

আমাদের আরও মনে রাখতে হবে যে আমাদের মূল উদ্দেশ্যে এক। বাংলা ভাষার প্রসার, স্বাধীনতা যুদ্ধের সপক্ষে কিছু করা, বাংলাদেশের জন্য কিছু করা, কিছু সমমনা মানুষের বন্ধুত্ব এই সব মিলিয়ে আমরা একত্র হয়েছি। বাইরে কিছু ধর্মীয় লেবাসধারী শকুন, কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারী হায়েনা, এবং কিছু সাহিত্যবেশ্যা সচলায়তনের একতা ও এর নেতৃস্থানীয় ভূমিকা সহ্য করতে পারছে না। তারা হাঁ করে চেয়ে আছে সচলায়তনের ধ্বংসের জন্য। আসুন আমরা আর তাদের হাসির খোরাক না যোগাই।

এর পরে আমাদের আর কোন কথা থাকতে পারে না।

মতামতের ভিন্নতা থাকবে, তা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। তবে, সেটার পক্ষে-বিপক্ষে বলাটা যেন হয় সুচিন্তিত যুক্তি দিয়ে, অসুস্থ তর্ক-বিতর্ক করে নয়। খামোখা তর্ক টেনে নিয়ে যাবো না। কোথায় এবং কেন থামতে হবে, সেটা যেন আমরা সময়মতো অনুধাবন করি।

অন্যের মতামত সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে, ধৈর্য্য রাখতে হবে আর করতে হবে নিজেকে এবং অন্যদেরকে সম্মান। দলবেঁধে 'র‌্যাগিং' কোনমতেই কাম্য নয়।

স্বাধীনতা বিরোধীদের ছাড় দেওয়া হবে না কোনমতেই। এবং যারা ছদ্মবেশী জামাতী, তাদেরকে অতিসত্বর চিহ্নিত করে বের করে দেওয়া উচিত। এখানে একদম 'জিরো টলারেন্স'।

আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, দিনের শেষে সচলায়তন একটি লেখক সমাবেশ, একটি সুধী ব্লগ। আমরা সবাই এখানে লেখতে, ভাল লেখা পড়তে আর তা নিয়ে আলোচনা করতে আসি। কাজেই, যা কিছুই হোক না কেন সচলের পাতায় পাতায়, আমরা সবাই (একমাত্র স্বাধীনতা বিরোধী আর সুযোগসন্ধানীরা ছাড়া) যেন পরের দিন আবারও একই সমাবেশে দেখতে পারি নিজেদেরকে, আর সুস্থ বিতর্কে মন খুলে অংশগ্রহণ করতে পারি প্রতিদিন। সেটা যেন আমরা ভুলে না যাই।

ভাল থাকবেন সবাই। শুভ রাত্রি। হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

মারলাম গুলি!
লাগলো কলা গাছে,
হাটু ফেটে রক্ত বেরোয়
চোখ গেলোরে বাবা!
আর এখন আমার দাঁত ব্যেথা (বানান মনে নাই) করতেছে!


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

অমিত এর ছবি

দাঁত ব্যাথা ? (আমারও বানান মনে নেই, কিংবা হয়ত জানতামই না ) তাহলে চশমা দেই ? ভাল শুনতে পাবেন হাসি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই পোষ্ট তো দেখছি শেষপর্যন্ত পাদ্রী সাহেবের কনফেস কক্ষ হয়ে গেছে। যীশুতে প্রনাম ফাদার !

পাদ্রী সাহেবদের যেমন নিজস্ব চরিত্র থাকে, পাপীদের ও নিজস্ব কিছু থাকে। সচলায়তন এই পাপীদের জায়গা হয়েই থাক না হয়। আজন্ম পাপীদের ধরে বেঁধে, পিটিয়ে পুড়িয়ে, নিস্পাপ- করে নাকো ফুঁসফাস বানানো যায়না।

অত্যন্ত স্পষ্টভাবেই কিছু কিছু বিষয় আছে- যেখানে সচলায়তন পাদ্রী সাহেব হবেনা, ঈশ্বরপুত্র হতে পারবেনা।

সচলায়তন যদি সচলায়তন হয়ে থাকে, তাহলে আজকে হিমু, কালকে আরেক জন, পরশু অন্য কেউ এইভাবে পাপীদের ভূমিকায় থাকবে। এই ভূমিকা জরুরী। এই জরুরী ভূমিকায় যদি আর কেউ না থাকে সেদিন সচলায়তন সচলায়তন থাকবেনা। পিরিয়ড।

যীশুতে প্রণাম পুণঃ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসিব এর ছবি

২১১ নাম্বার মন্তব্যে সেইটাই বললাম । কাউরে না কাউরে কাদা ঘাটতে হয় এবং এই কাদা ঘাটার লোক সবসময় দরকার । এদের না হলে দালান গড়া যায় না ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

এখন কী তাহলে? খেল খতম পয়সা হজম??
মডুদের কাউকে এই পোস্টে মন্তব্য নেয়া বন্ধ করার অনুরোধ জানাই।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ