কারে দেখাব মনের দুঃখ--

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: সোম, ১৩/১২/২০১০ - ২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর পনেরো আগের কথা।

তখন কুমিল্লার একটা প্রত্যন্ত গ্রামে চাকরী করি।ভাঙ্গাচোরা একটা সরকারী কলেজ। দূর থেকে দেখে বড় জোর হাইস্কুল মনে হয়। সেইখানে পদার্থবিজ্ঞান পড়ানোর অপচেষ্টা করি। ক্লাসে গোটাবিশেক ছাত্র ছাত্রী। তাদের মুখগুলো সব সময়ে আনন্দে উৎসাহে ঝলমল করছে। আমি কেন জানি এইসব দেখে উৎসাহ বোধ করি না খুব একটা। প্রতিদিন সকালে যাই। টিচারদের কমন্স রুমে বসে পত্রিকা পড়ার চেষ্টা করি। ঢাকা থেকে আসেন আরো কিছু শিক্ষক। তাদের সাথে মাঝে মধ্যে একটা দু'টো কথাবার্তা। সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক (ভদ্রলোকের নাম ভুলে গেছি--কিন্তু চেহারাটা আজও পরিষ্কার মনে আছে--দশাসই চেহারা, তার সাথে মানান সই কন্ঠ) কমন রুমে ঢুকেই দরাজ গলায় ডেকে উঠতেন, 'কি খবর তারেক আজিজ সাহেব? আজ মন ভাল তো?' তারপর উত্তরের অপেক্ষা না করেই বেয়ারা আরব আলীকে হাঁক দিতেন,

'আরব আলী, প্যান্টটা একটু ছেড়ে দাও দেখি--'

প্রথম যেদিন শুনেছিলাম, সেদিন বিষম-টিষম খেয়ে নাজেহাল অবস্থা। ইংরেজীর হায়দর ভাই পাশে বসে ছিলেন। চোখ টিপে জানালেন এখানের অনেকেই 'প' আর 'ফ' এর মাঝে তেমন একটা তফাৎ করতে পারেন না। আমাদের একজন ম্যাডাম ছিলেন যার নাম ছিল ফারজানা। ভীষন মিশুকে একজন মানুষ। উনিও খুব সম্ভবত সমাজবিজ্ঞানেরই শিক্ষিকা হবেন। তো আমাদের সেই প্রথমোক্ত ভদ্রলোক একদিন প্রিন্সিপাল স্যারের রুম থেকে বেরিয়ে এসে আরব আলীকে জানালেন,

'আরব আলী, তুমি একটু পারজানা ম্যাডাম কে স্যারের রুমে ফাটিয়ে দাও তো--'

হাসি থামানোর জন্যে সেদিন আমাকে কমন রুমের বাথরুমে আত্মগোপন করতে হয়েছিল। আরো ছিলেন অংকের মান্নান স্যার। সর্বদা পান ঠাসা মুখ। পাশে দিয়ে গেলে জর্দার ভুর ভুর গন্ধ আসত। দুপুরের দিকে সব ক্লাস শেষ হলে একটা খালি ক্লাসে বসে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে টিউশনি করতেন। তখন পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে শোনা যেত স্যার রোষকষায়িত লোচনে ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন,

'বুইঝলা কিনা, AB আর CD পরস্পরকে E বিন্দুতে ছেদ কইরেসে--'

'E বিন্দুতে ছেদ' বলার সময়ে স্যার প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি জোর দিতেন। ঐসময় স্যারের ভাঁটার আগুনের মত জ্বলজ্বলে চোখ, মুখের কষ বেয়ে নেমে আসা রক্তরাঙা তাম্বুলরস আর মাথার আলু-থালু কেশ---সবমিলিয়ে কেমন যেন একটা ভ্যাম্পায়ারের মত দেখাত। আড়চোখে চেয়ে দেখেছি ওই সময়ে ছাত্র-ছাত্রীরাও ভয়ে খানিকটা শিউরে উঠত। অবসর সময়ে আমরা সবাই মান্নান স্যারের মত চোখ পাকিয়ে 'AB আর CD পরস্পরকে E বিন্দুতে --' প্র্যাক্টিস করতাম।

দুপুরে বুয়ার রান্না করা বিস্বাদ ভাত-তরকারী গলাধঃকরণ করা, সন্ধ্যে হয়ে আসলে ইংরাজির হায়দর ভাই, কেমিস্ট্রির বশির ভাই আর অর্থনীতির আরিফ ভাই কে নিয়ে গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে বেরুনো---এই ছিল আমার রুটিন! সারা গ্রামে একটা মাত্রই চারতলা বিল্ডিং। ছাত্রদের হোস্টেল হিসেবে বানানো হয়েছিল। সেখানে আমাদের এই চার ব্যাচেলর শিক্ষককে থাকতে দেয়া হয়েছিল।

সেই গ্রামে আমি দীর্ঘ দুই বছর ছিলাম। সময় হিসেবে দুই বছর হয়ত খুব একটা বেশি সময় নয়। কিন্তু আমার মনে হত আমি যেন কোন এক অন্ধকার জগতে আটকা পড়ে আছি অনাদিকাল হতে। আমার কোন নিস্তার নেই, কোন উত্তরণ নেই, কোন নির্বাণ নেই। সন্ধ্যার পর সে গ্রামে প্রানস্পন্দন থেমে যেত। তখন মনে হত আমাকে যেন কোন এক তেপান্তরের মাঠে নির্বাসন দেয়া হয়েছে। আশে পাশে কিচ্ছুটি নেই। বিশাল একটা মাঠ, এক পাশে মজা পুকুর, দরমার বেড়া দেয়া স্কুলঘর---আর এদের পেছন থেকে মাঝে মাঝে উঠে আসত এক অলৌকিক চাঁদ। মাঝে মাঝে রাতে যখন হাঁটতে বেরুতাম-- তীব্র এক বিষাদ আমাকে গ্রাস করে নিত। একা একা হাঁটতাম গ্রামে পথে পথে। তখন আবার সন্ধ্যা হলেই কারেন্ট চলে যেত। কোন কোন রাতে কারেন্ট আসত--কোন কোন রাতে আসতই না। অন্ধকার সে রাতগুলোয় বিশাল স্কুল মাঠে চেয়ার পেতে বসে থাকতাম আমরা চারটি প্রানী। বশির ভাই প্রবল বিক্রমে ঘন্টাখানেক প্রিন্সিপাল স্যারের বদনাম করে শেষে চুপ করে যেতেন।

কেউ কোন কথা না বলে বসে রইতাম ঘন্টার পর ঘন্টা। সেইসব আলোহীন প্রাণহীন রাতে মাঝে মাঝে কানে ভেসে আসত অপার্থিব কিছু সুর। আমাদেরই কলেজের একটা ছেলে। বখাটে হিসেবে তার বেশ নামডাক। প্রতিবার এইচ এস সি পরীক্ষার সময় নকল করে ধরা পড়ত। ফেল করত। মাঝে মাঝে আমাদের 'সাইজ' করে দেবার হুমকি ধামকি দিত। আবার গ্রামের হাটে দেখা হলে রিক্সা থেকে লাফ দিয়ে নেমে রিক্সাটা দিয়ে দিত---শতবার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও। কোনবার তাকে বিশ্বাস করানো যায়নি যে আমরা স্রেফ হাঁটতে বেরিয়েছি---রিক্সার দরকার নেই।

সেই ছেলেটা জোছনা রাতে মাতাল হয়ে গান ধরত। ঘাড়ে-গর্দানে চেহারা, মুখে সব সময় একটা ক্রুর হাসি ঝুলছে---সেই ছেলেটা জোছনা রাতে মাতাল হত। যার হাঁকেডাকে কলেজের অধ্যক্ষ থেকে বেয়ারা অবধি সবাই তটস্থ রইত---সেই ছেলে জোছনা রাতে গান ধরত। রুপালী আলোয় ভেসে যাওয়া চরাচর, মজা পুকুরে থির হয়ে ভাসা চাঁদ তার বুক ভেঙ্গে বের করে নিয়ে আসত এক বড় দুঃখী মানুষ কে। সে দুঃখী ছেলে গাইত

'কারে দেখাব মনে দুঃখ আমি বুক চিরিয়া
অন্তরে তুষেরি অনল জ্বলে গৈয়া গৈয়া--'

সিলেটের ভাটি অঞ্চলের রাধারমন দত্ত সেই সব অলৌকিক রাতে তার কন্ঠে ভর করতেন। আমরা চারটি প্রানী নিস্তব্ধ হয়ে শুনতাম---দিনের বেলার দানব তার সকল অস্ত্র চাঁদের আলোয় বিসর্জন দিয়ে শোনাচ্ছে কোন এক হৃদয়হীনার কথা---যার কাছে সে নিহত হয়েছে বারংবার---

আমি আজ সে গ্রাম থেকে অনেক দূরে।
সেই মাঠ, সেই মজা পুকুর আমি দেখিনা কতদিন---
হায়দর ভাই, বশির ভাই, আরিফ ভাই, আমি---আমরা সকলেই ছিটকে গেছি একেক দিকে সময়ের টানে--
সময় হয়ত বদলে দিয়েছে আমার সেই ছোট্ট গ্রামটাকেও। হয়ত এখন আর সেই মাঠ নেই, নেই সে পুকুর, নেই প্রিন্সিপাল স্যারের রুমের পাশের সে কাঁঠাল চাঁপার গাছ---
এক সময় যে জায়গাটাকে মনে হত দুর্বিসহ শ্বাসরুদ্ধকর কয়েদখানা, আজ শুধু সেই জায়গাটা এক পলক দেখার জন্যে, শুধু একবার সেই মাঠে জোছনা রাতে ফেরার জন্যে বিকিয়ে দিতে রাজী আমার আত্মা--ঈশ্বর কিংবা শয়তানের হাতে--

আজ আমি পৃথিবীর উলটো পাশে এক নাম-না-জানা শহরে হেঁটে বেড়াই। প্রতিদিন কিছু মুখস্থ মানুষ দেখি। পনেরো বছর আগের যে জীবন আমার কাছ থেকে পালিয়ে গেছে অচিনলোকে তাকে মনে প্রাণে ভুলে যেতে চাই।

কেবল মাঝে মাঝে আকাশ জুড়ে ওঠে এক বিশাল রুপোর থালা---আর আচমকা আমার চারপাশ বদলে যায়। আমার ঘরের বাতি নিভিয়ে জানালা খুলে দিই। জানালা দিয়ে ঘরে নরম পায়ে আসে চাঁদের আলো----তার সাথে আসে কিছু কাঠাল চাঁপার গন্ধ, এক বিশাল মাঠ, জোছনার আলোয় প্লাবিত চরাচর-- আর একটা মাতাল কন্ঠ---

আমার তখন নিশ্বাস ফেলতেও ভয় করে--যদি ভেঙ্গে যায় এই স্বপ্ন আমার--

রাধারমনের এই গানটা আমার সেই হারিয়ে যাওয়া সময়গুলোর জন্যে, সেই মাতাল ছেলেটার জন্যে আর সেইসব অলৌকিক রাতগুলোর জন্যে--

কথা- রাধারমন দত্ত
সুর- প্রচলিত
সঙ্গীতায়োজন, কন্ঠঃ অনিকেত

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA


মন্তব্য

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

আহা!

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ গ্রহচারী---

নৈষাদ এর ছবি

চলুক – লেখায় এবং গানে...।

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ নৈষাদ'দা--
ভাল থাকুন সকল সময়--

ফ্রুলিক্স [অতিথি] এর ছবি

আমিও ফিরতে চাই ফেলে আসা শৈশবে।

চাইলেই ফিরে যাওয়া যায় না কেন :(।

অনিকেত এর ছবি

চাইলেই ফিরে যাওয়া যায় না কেন :(।

সেইটাই তো কথা----
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ফ্রুলিক্স
ভাল থাকুন, সকলকে নিয়ে সকল সময়ে-

শাহনাজ এর ছবি

ছুঁয়ে গেল।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ--

শুভেচ্ছা অহর্নিশ

সুরঞ্জনা এর ছবি

এত সুন্দর গান করেন আপনি!
কেমন সুন্দর কন্ঠস্বর
লেখাটাও গানের সাথে মানানসই সুন্দর।

............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে এবং এমন সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ সুরঞ্জনা
শুভেচ্ছা নিরন্তর--

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার মাঝে নস্টালজিয়াকে আটকে ফেলা আপনার জন্য কত সহজ! বন্দি সে নস্টালজিয়া পাঠককে গ্রাস করার জন্য অপেক্ষা করে থাকে।

বি

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্য আর এমন সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ 'বি'--
ভাল থাকুন সকল সময়

আহমেদ রাকিব এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো লেখাটা। ভাল থাকবেন।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ আহমেদ রকিব
আপনিও ভাল থাকুন সকল সময়ে সকলকে নিয়ে---

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে [অতিথি] এর ছবি

অনিকেত দা,
অনেক দিনের পর দেখলাম আপনাকে। ভাল আছেন তো?
সামারা কেমন আছে?
ওর নতুন গান কবে শোনাবেন আমাদের?

এবারের লেখাটা অসাধারন লাগল।
সিলেট যাচ্ছি ঘুরতে, তাই গান টা এখনি শুনতে পারছিনা বলে খারাপ লাগছে। ঢাকা ফিরেই শুনবো।

আচ্ছা একটা কথা,
আপনার গান আর লেখা নিয়ে আরেকটু ঘন ঘন আসা যায় না?

ভাল থাকুন, অনেক ভাল। সবসময়।।

অনিকেত এর ছবি

লেখাটা পড়ার জন্যে আর এমন মায়াভরা মন্তব্যের জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বাউন্ডুলে---

সামারা নতুন গান শিখছে--কাজেই নতুন গান এল বলে---

ভাল থাকো সকল সময়--

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ লেখা।

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ শান্ত
শুভেচ্ছা নিরন্তর

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

সবে দেশ ছেড়েছি। দিলেন তো সবকিছু নড়বড় করে। শুনেছি পি.এইচ.ডি. আর কেয়ামতের মধ্যে কোনটা আগে হবে কেউ বলতে পারেনা। দেখি কতদিনে ফেরত যেতে পারি।

অনিকেত এর ছবি

শেহাব,
মন খারাপ করে দিয়ে থাকলে দুঃখিত--
একটা সময় গেছে যখন আমি প্রতিটা দিন মন খারাপ করে রইতাম---কখন ফিরতে পারব আমার সেই পরিচিত দৃশ্যপটে, সেই চিন্তায় বিভোর হয়ে রইতাম---

ভুল বললাম--
আমি এখনো মন খারাপ করেই থাকি--
কিন্তু আপনার প্রবাসজীবন স্বস্তিকর হোক, পড়াশোনা ঠিকঠাক চলুক--এই কামনা রইল ---

শুভেচ্ছা নিরন্তর

শেহাব [অতিথি] এর ছবি

ধুর মিয়া কি বলেন। আসলে আমি ২০০০ সাল থেকে ঘরের বাইরে। চট্টগ্রামের মানুষ। শাবিতে গেলাম আন্ডারগ্র্যাডের জন্য। ৫ বছর। তার চাকরীর জন্য ঢাকা। ৪ বছর। এখন বাল্টিমোর। কমপক্ষে ৫ বছর। তারপর জানিনা কই যাবো। এটা ঠিক আমার আত্মা আমার এখনকার জীবনটা খুব উপভোগ করছে। আমি যা করছি এখন সারাজীবন এটাই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার অতীতও আমার কাছে খুব উপভোগ্য ছিল। কাজেই এক জীবন থেকে যখন আরেক জীবনে লাফ দিলাম মায়াটা আর ছেড়ে আসতে পারি নাই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অসাধারণ মায়াময় একটা লেখা। হাজার তারার নয়, একটা মাতাল করা জ্যোৎস্নাভরা রাত আপনার জন্য থাকলো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিকেত এর ছবি

পান্ডব'দা,
আপনার এমন মায়াভরা কথাগুলো শুনে চোখটা বিনা কারণেই ঝাপসা হয়ে এল---
যতটুকু ভাল থাকলে 'ভাল থাকা' বলে, তার চাইতেও অনেক অনেক ভাল থাকুন--

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অসাধারণ বর্ণনা অনিকেত ভাই। এগুলোই আসলে সোনালী দিন যেগুলোর জন্যে অনেক পরে এসেও পরান পোড়ে অহর্নিশি।

সঙ্গীতায়োজন আর গানও হয়েছে অসাধারণ।

======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনিকেত এর ছবি

পড়া-শোনার (পড়া ও শোনা) জন্যে অনেক ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়
শুভেচ্ছা অহর্নিশ

জাহামজেদ এর ছবি

এসব গান শুনে শুনেই ছোট থেকে বড় হয়েছি। তারপরও আপনার গানটা শুনে পুরোপুরি নতুন করে মুগ্ধ হলাম। লেখা এবং গান দুটোই অসাধারন...

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ জাহামজেদ ভাই
ভাল থাকুন সকল সময়

অতিথি লেখক এর ছবি

এইতো শুনছি আপনার গান।
আর লিখছি আপনাকে।
তারা দিতে না পারার অক্ষমতা এই প্রথম আমাকে একটু পোড়াল।

সাত্যকি

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ সাত্যকি
ভাল থাকুন সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে

তিথীডোর এর ছবি

অসম্ভব মায়ায় ভরা লেখা, তেমনি অদ্ভুত গান!!
গুরু গুরু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তিথী
ভাল থাকিস সকল সময়---

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গানটা শুনে কতক্ষন তাব্দা লাইগা থাকলাম, তাছাড়া লেখা দিয়ে আপনে একটা মায়াবী পরিবেশ তৈরি করেছেন, তাছাড়া গানটাও দারুণ হয়েছে! পুরোটা মিলেই অসাধারণ লাগল! তাই পাণ্ডবদার কমেন্টে কপি-পেষ্ট!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বস---
শুভেচ্ছা নিরন্তর

অদ্রোহ এর ছবি

অনিকেতদা, অসম্ভব একটা মাদকতাময় গান, তবে শেষে এসে টেম্পো বেড়ে যাওয়ায় একটু কেমন যেন লেগেছে এই যা।

লেখার ব্যাপারে কিছু নাই বলি না হয় হাসি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে আর গানটা শোনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ অদ্রোহ---
শুভেচ্ছা নিরন্তর

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ, লেখা আর গান, দুটোই। অনেক দরদ মেশানো।

কামরুল হাসান রাঙা

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ কামরুল
ভাল থাকবেন সকল সময়

তারানা_শব্দ এর ছবি

কী সুন্দর স্মৃতিচারণ... কী সুন্দর গান...

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অনিকেত এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ তারানা
ভাল থাকুন সকলকে নিয়ে সকল সময়ে

সৌমেন এর ছবি

এই গানটা নামাবো কিভাবে?

অনিকেত এর ছবি

সৌমেন'দা,

দুইটা উপায়ে নামাতে পারেনঃ

এক) এই লিঙ্কে যান। এখানে ডাউনলোডের লিঙ্ক দেয়া আছে।
দুই) আমাকে আপনার ইমেইল দিতে পারেন। মেইল করে দেব।

ভাল থাকুন

হাম্মাদ আলি [অতিথি] এর ছবি

আর কিছুদিন পর দেশে ফিরছি, তাতেই গানটা শুনে আর আপনার লেখা পড়ে মনটা কেমন জানি করছে। ভাইয়া, গানটা একটু আমাকে মেইল করে দিবেন?

hammad2099@yahoo.com

অনিকেত এর ছবি

গান পাঠিয়ে দিয়েছি হাম্মাদ
ভাল থাকুন সকল সময়
দেশে প্রত্যাবর্তন আপনার সুখকর হোক, আপনজনেরা ঘিরে রাখুক আপনাকে সারাখন---এই কামনা রইল--

তাসনীম এর ছবি

দেরিতে পড়লাম আর শুনলাম। অসাধারণ দুটোই...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
ভাল থাকুন সকল সময়--

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গুরু গুরু
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বস----
শুভেচ্ছা নিরন্তর

তুলিরেখা এর ছবি

গান শুনতে পেলাম না, এই কম্পুটায় সাউন্ড নাই। মন খারাপ

পড়লাম একবার, দুইবার, তিনবার, ......। মনে হলো কিছুতেই যেন আশ মিটে না। ঐ চন্দ্রমায়ায় আবিষ্ট হয়ে গেলাম, ডুবে গেলাম, এ কী অলৌকিক লেখা লিখলেন! রেণু রেণু হয়ে জ্যোৎস্নায় মিশে যাবার একটা অনুভব যেন। কোথায় ছিলো আমার ঘরবাড়ী, কোথায় কুমিল্লার সেই গ্রাম, কোথায় সেই জ্যোৎস্নারাতের একলা পাগল আর মুগ্ধ কয়টা মানুষ আর কোথায় বসে এখন সব মিলিয়ে দিয়ে এমন পাগল করা লেখা লিখলেন আপনি আর কোথায় বসে পড়লো আপনার পিয়াসী পাঠকেরা! এ এক বিচিত্র পাওয়া। হাসি

গান শুনে কী হবে কেজানে! হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিকেত এর ছবি

প্রিয় তুলিরেখা,
আপনি এমন ভাবে বলে তো লজ্জায় ফেলে দিলেন--
আপনার ভাল লেগেছে--এইটাই আমার জন্যে অনেক পাওয়া--

ভাল থাকুন--অনেক অ--নে--ক ভাল

পুনশ্চঃ গানটা শুনতে পেলে জানায়েন কেমন লাগল--

সবজান্তা এর ছবি

বহুদিন পর একটা লেখা পড়ে শুধু একটা কথাই বলতে পারলাম-

আমি মন্ত্রমুগ্ধ !


অলমিতি বিস্তারেণ

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বস ......
শুভেচ্ছা নিরন্তর!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এই মন্তব্য এবং জবাব বিষয়ক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলাম দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভাইয়া, গান্টা আমাকে মেইলাও!

লেখার ব্যাপারে আর কিছু না বলি। শুধু একটা কথা ছাড়া। তুমি মানুষ ভালো নাঃ(আব্জাব আউলফাউল কথাবার্তা লিখে মাথার মাঝে কিসব পেজগি লাগায় দাও! মন খারাপ :|

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অনিকেত এর ছবি

গান পাঠিয়ে দিয়েছি রে---
অনেক ভাল থাকিস, অনেক অ-নে--ক ভাল

ওডিন এর ছবি

ঠিকনা, এইসব একদম ঠিকনা। মন খারাপ

যাই কুমার বিশ্বজিত শুনে মন ভালো করে আসি।

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ওডিন

শুভেচ্ছা নিরন্তর

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আহ্, কী দারুণ সুন্দর... অসাধারণ

মাঝে মধ্যেই আপনার মেঘ বলেছে যাবো যাবোটা শুনি চুপ চাপ... আপনার গানগুলোর মধ্যে ঐটা দারুণ সেরা...

আবার আপনার পাইরেট বেঙ্গলটাও অন্যরকম মজা লাগে...

আপনার কম্পোজিশনগুলোর একটা আলাদা মজা আছে... তাল বাদ্যের ব্যবহার দারুণ লাগে।

যাহোক সেসব কথা, দেশে আসলে আপনি গুরু আমি শিষ্য... চুক্তির কথা মনে আছে তো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা
বস অনেক ধন্যবাদ আপনার সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে
আমারে একটা চাকরী দেন--আমি এখনই দেশে আইসা পড়ুম--

মাহফুজ খান [অতিথি] এর ছবি

বস, অদ্ভুৎ, অসাধারণ, দারুন, কি সুন্দর বর্ণনা জোৎস্নালোকিত রাতের, কি রসালো ঘটনাবহুল অভিজ্ঞতা...কিছুক্ষনের জন্য অতীতে হারিয়ে গিয়েছিলাম।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ মাহফুজ
শুভেচ্ছা অহর্নিশ

অতিথি লেখক এর ছবি

ইদানিং এই গানের কাছে মাউস খুব দৌড়াচ্ছে কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত এরে শান্ত করি। কিন্তু আপনি আর সুযোগ দিলেননা। আমাকেও নিয়ে গেলেন সেই মায়াভরা অদ্ভুত জোৎস্নার কাছে যাকে অনেক দিন ধরে খুজছি।

অনন্ত

অনিকেত এর ছবি

আপনার এমন মায়াভরা মন্তব্যের জন্যে আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, অনন্ত!
অনন্ত সুখ আপনার সঙ্গী হোক---এই কামনা রইল

মৃত্তিকা এর ছবি

অসাধারণ লাগলো লেখা!!
আর গান? নূতন করে কি বলবো! খুউব ভালো লেগেছে......

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মৃত্তিকা
শুভেচ্ছা অহর্নিশ

অতিথি লেখক এর ছবি

কি মায়ামায়া আর বিষন্ন একটা লেখা! ভীষণ ভালো লাগলো গান এবং লেখা দুটোই
- মেঘলা

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মেঘলা
ভাল থাকুন সকল সময়ে সকলকে নিয়ে--

সচল জাহিদ এর ছবি

ভয়াবহ ব্যস্ততার কারনে ইদানিং ব্লগে আসা হচ্ছেনা, ভাগ্যিস ফেইসবুকে লিঙ্ক দিয়েছিলেন। না হলে এরকম অসাধারণ একটি লেখা পড়া হতোনা। আর গানের প্রসংগ কি বলব, অপূর্ব!! আপনার মিউজিক পরিচালনায় একবার গাইবার ইচ্ছে জ্ঞাপন করছি ঐ গানটা, " সখি ভাবনা কাহারে বলে সখি যাতনা কাহারে"। পরে কথা বলব এই নিয়ে। ভাল থাকবেন অনিকেতদা।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনিকেত এর ছবি

এত ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে নিয়ে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ জাহিদ।
আর গানের যেকোন কিছুর ব্যাপারে আমি এক পায়ে খাড়া সে তো বুঝতেই পারো। তোমার সময় সুযোগ অনুযায়ী নক করো। আমার মনে হয় একটা দারুণ কাজ হবে তোমার গানটা করতে পারলে---

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

এত সম্মোহনী ক্ষমতা লুকিয়ে আছে লেখাটার মধ্যে যে আমাকে মুহুর্তেই টেনে নিয়ে গেল জ্যোৎস্নালোকিত কোন এক গ্রামের পথে।
অসাধারণ লেখা অনিকেত।
লেখাটা গানটাকেও যেন ছাড়িয়ে গেল................

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অনিন্দিতা।
আপনার সদয় মন্তব্যগুলো সব সময়েই আমাকে অনুপ্রেরনা দেয়--
ভাল থাকুন সকল সময়ে--সকলকে নিয়ে---

তারাপ কোয়াস এর ছবি

অদ্ভুদ সুন্দর আর বিষাদমাখা লেখা আর গানের কম্বিনেশন এই পোষ্ট।

(অট: অনিকেতদা, মিউজিক থিওরি সম্পর্কে কিছু জানার আগ্রহ ছিলো, আপনার মেইল আইডি পাওয়া যাবে? আমারটা paul1900bcএ্যাট জিমেল ডট কম)


আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা


love the life you live. live the life you love.

অনিকেত এর ছবি

থ্যাঙ্কু বস।

অ.ট. আমার ইমেইল হল tarequeaziz এট জিমেইল ডট কম।
আর মিউজিক থিওরির আমি তো কিছু জানিনা রে ভাই (সত্যি সত্যিই--)। কাজেই তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব কি না জানিনা তবে তুমি তোমার প্রশ্নগুলো জানালে আমিও খানিক ভাবনাচিন্তার খোরাক পাবো।

কথা হবে তাহলে

শুভেচ্ছা অহর্নিশ

মেফিস্টো [অতিথি] এর ছবি

ভালা নাইগছে
-মেফিস্টো

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ মেফিস্টো
ভাল থাকুন সকল সময়

বিপ্লব কুমার কর্মকার এর ছবি

সন্ধ্যার পর সে গ্রামে প্রানস্পন্দন থেমে যেত। তখন মনে হত আমাকে যেন কোন এক তেপান্তরের মাঠে নির্বাসন দেয়া হয়েছে। আশে পাশে কিচ্ছুটি নেই। বিশাল একটা মাঠ, এক পাশে মজা পুকুর, দরমার বেড়া দেয়া স্কুলঘর---আর এদের পেছন থেকে মাঝে মাঝে উঠে আসত এক অলৌকিক চাঁদ। মাঝে মাঝে রাতে যখন হাঁটতে বেরুতাম-- তীব্র এক বিষাদ আমাকে গ্রাস করে নিত। একা একা হাঁটতাম গ্রামে পথে পথে। তখন আবার সন্ধ্যা হলেই কারেন্ট চলে যেত। কোন কোন রাতে কারেন্ট আসত--কোন কোন রাতে আসতই না। অন্ধকার সে রাতগুলোয় বিশাল স্কুল মাঠে চেয়ার পেতে বসে থাকতাম আমরা চারটি প্রানী। বশির ভাই প্রবল বিক্রমে ঘন্টাখানেক প্রিন্সিপাল স্যারের বদনাম করে শেষে চুপ করে যেতেন।

ঠিক যেন অনিকেতভুষনের বর্ননা। পড়ে মুগ্ধ।

বিপ্লব কুমার কর্মকার

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বিপ্লব
ভাল থাকুন সকল সময়---

তানভীর এর ছবি

এমন একটা গ্রামে এখন আমিও যেতে চাই।
কার কাছে আত্মা বিক্রি করতে হবে- খোঁজ দেন হাসি

লেখাটা আসলে গানটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। আমার মনে হয় আপনার অন্যতম সেরা লেখা। অভিনন্দন!

অনিকেত এর ছবি

বস,
অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে এবং সেইটা নিয়ে সদয় মন্তব্য করার জন্যে।

ভাল থাকুন সকলকে নিয়ে সকল সময়ে--

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার হাত চমৎকার আপনার। আসলে আমরা কোন সময়ই নিজেদের বতমান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারিনা।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা জানবেন--

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কথা ছিল হাতের কাজ গুছিয়ে নিয়ে, আরাম করে চেয়ারে পা তুলে বসে গত সপ্তাহখানেকের সব লেখা এই বিজয় দিবসের ছুটিতে আরাম করে পড়ব, শুনবোও (অবশ্যই আদৌ যদি আমার কর্মপিষ্ট জীবন থেকে রেহাই মেলে)! তো বালিকার যা কাজ, করেছে কী, মেইল করে দিয়েছে গানখানা। আর যাবে কোথায়, এই বিকেল বেলায় কাজ টাজ সব মাথায় উঠল, গানের লুপে পরে গেলাম!
আমিও ওডিন দাদার মতোই বলি, ঠিক না! একদমই ঠিক না এইসব! দেঁতো হাসি
আমার আবার সঙ্গীতজ্ঞান খুব কম, কিন্তু একতারার আওয়াজ কী করে তৈরি করলেন তাই ভাবছিলাম। সত্যি বলব - মিউজিক কম্পোজিশন শেষের দিকে একটু কেমন যেন লেগেছে, শেষের ঐ তালটা ঠিক মনমতো হয় নাই আরকি (স্রেফ নিজের কথা বলছি), শুরুতে যে আবেশ তৈরি করেছিল মনে আপনার উদার আওয়াজ তা কেমন যেন কেটে গেল। কিন্তু লেখাটা মারাত্মক ভালো পেলুম, আপনার গায়কীও, আর এমন একটা গান তুলে ধরার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। হাসি
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ যাযাবর--
গানটা নিয়ে আসলে একটু এক্সপেরিমেন্টের মত করতে গিয়েছিলাম। সেজন্যেই শেষের দিকের দ্রুতলয়ের ব্যাপারটা এসেছিল। তোমার কথা শুনে এখন আমারো মনে হচ্ছে যে ঐটা না থাকলেই হয়ত আরেকটু ভাল হত!! অসুবিধা নাই, পরেরটার সময়ে মাথায় রাখব--

সময় নিয়ে মন্তব্য করার জন্যে আবারো ধন্যবাদ

শুভেচ্ছা নিরন্তর

মাহবুব রানা এর ছবি

মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
কন্ঠটা আরেকটু ছাড়তে পারতেন কি?

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ মাহবুব--
আপনার পরামর্শটা মাথায় রইল--পরের বার নিশ্চিত ভাবেই চেষ্টা করব--

শুভেচ্ছা জানবেন

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমি আপাতত হাতের প্রশংসাটা করি, ঐটা খানিকটা বুঝি। লিখাটায় কি যেন মিশিয়ে দিছেন অনিকেত, বুঁদ হয়ে রইলাম। শেষ করার পরেও ঐ গ্রাম থেকে বেরুতে পারছিলাম না।

অফ-বিটের গান আমার এমনিতেই শুনতে অন্যরকম একটা ভাল লাগে। তবে গলাটা নিয়ে কিপ্টেমী আরেকটু কম করলে হইত। রক গানে গলা চাপলে উপকার আছে, ফোক ঘরাণায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে (ভাওয়াইয়া ভাটিয়ালি ইতছাদি কিছু বাদে) গলাটা ছেড়ে গাইলেই বেশি মউজ হয়।

তবে দুইটা মিলায়ে আপনি ১০/১০; লেখায় ১১ আর গানে ৯ হাসি
অনেক ভাল লাগল! ভাল থাকেন।

অনিকেত এর ছবি

মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আরেফীন ভাই!
আপনার পরামর্শটা মাথায় রইল---

ভাল থাকুন সকল সময়ে সকলকে নিয়ে---

রাহিন হায়দার এর ছবি

গানের ব্যাপারে তো আগেই বলেছি। লেখাটাও অতি অসাধারণ হয়েছে! চলুক
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বস

শুভেচ্ছা নিরন্তর

অতিথি লেখক এর ছবি

অনিকেত ভাই আমার গ্রামের কথা মনে পড়ে গেল। একটা সময় আমার গ্রামের চিত্রটা আপনার বর্ণনার মত ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে অনেকেই বিসিএস শিক্ষা বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে গ্রামের কলেজে চলে যায়। তাদের জীবনটাও আপনার বর্ণনার মত।

ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

অনিকেত এর ছবি

মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ কামরুজ্জামান ভাই
ভাল থাকুন সকল সময়--

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অনিদা, লেখা তো কালকেই পড়েছিলাম- গানটা আজ শুনলাম...

আমার মনে হয়েছে যন্ত্রের সুরটা কণ্ঠকে ঢেকে দিয়েছে। মাঝে মাঝেই গায়কের গলা আড়ালে চলে যাচ্ছিলো...

আমার তাই লেখাই ভালো লাগলো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে আর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ সুহান

শুভেচ্ছা নিরন্তর

পাগল মন এর ছবি

প্রথম কিছুটা লেখা পড়ে ভাবলাম হয়তো মজার কোন স্মৃতিচারণ করেছেন কিন্তু শেষে এসে মনটা সেই খারাপই হল। মন খারাপ দেশের জন্য এমনিতেই সারাক্ষন মনটা আনচান করে, তারউপরে যদি এরকম কষ্টমাখা কিন্তু অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা পড়ি তাহলে সব ছেড়েছুড়ে দেশে চলে যেতে ইচ্ছা করে।
গানটা অসাধারণ লাগলো। আরো এরকম অসাধারণ গান শুনতে চাই আপনার কাছে থেকে।
ভাল থাকবেন।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অনিকেত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পাগল মন
ভাল থাকুন সকল সময়ে--

বাউলিয়ানা এর ছবি

আপনার মত আমারও ঢাকা থেকে অনেক দূরে এক জায়গায় চাকুরি করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। অল্প দুএকজন বন্ধু নিয়ে কাটানো সেখানকার সময়টাও অনেক স্মৃতিময় আমার জন্য। আহা কী অদ্ভুত মায়া নিয়ে আপনি লিখলেন সেই সময়ের কথাগুলো, যেন আমিও ফিরে গেলাম আমার অতীতে। অসাধারন অনিকেত'দা। আর গানের কথা কী বলব, সুর-সঙ্গীতায়োজনেতো আপনি বরাবরই দুর্দান্ত।

অনিকেত এর ছবি

ধন্যবাদ বাউলিয়ানা
লেখা-গান ভাল লেগেছে শুনে আমার নিজের খুব ভাল লাগল
যেকোন পোষ্ট ছেড়েই আমি কয়েকজনের কমেন্টের জন্যে হা-পিত্যেশ করে বসে থাকি---আপনি নিশ্চিত ভাবেই তাদের একজন--

ভাল থাকুন সকল সময়

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অদ্ভুত ভালো লাগলো লেখা ও গান। হাসি

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ইশতি---
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনার গানের গলা ভাল। কিন্তু লেখার হাত অ-সা-ধা-র-ণ। গুল্লি

লেখার শেষ কয়েক প্যারা পড়ে মাতাল হয়ে গেলাম।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে এবং এমন সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ ফাহিম
অনেক ভাল থাকুন

শুভেচ্ছা নিরন্তর

আশালতা এর ছবি

অনিকেত, আপনার এই লেখাটা কতবার যে আমি পড়েছি। আর কদিন বাদে 'আমার নাম আশালতা, আমি একটি গল্প বলব'এই জাতীয় কম্পিটিশনে মুখস্ত বলতে পারব নিশ্চয়। তবু ভালো লাগা ফুরোয় না। আজ আমার ভীষণ রকম মন খারাপ। সেই উপলক্ষে আরও একবার পড়ে ফেললাম। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অনিকেত এর ছবি

আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসা পাওয়া আমার জন্য বিরাট সৌভাগ্যের!
আমার অধিকাংশ লেখাই 'মন-খারাপী' লেখা। মন খারাপ থাকলে আমার লেখা না পড়াই হয়ত ভালো।
অবশ্য এমনও হতে পারে--বিষে বিষক্ষয় হল, হা হা হা ---
আশালতা, আশা করি আপনার মন-খারাপ ভাবটা শিগগীরই কেটে যাবে।
অনেক অনেক ভাল থাকুন

তারেক অণু এর ছবি

অমানুষিক লেখা।

স্মৃতি রঙিন কাঁচের ভিতর দিয়ে অতীতকে সুন্দর দেখায়- বুদ্ধদেব বসু

আপনের লেখা নিজের ভিতর থেকে টান মেরে আনতে চাইল অনেক অনেক স্মৃতি- জনতার এবং নির্জনতার, ঝকঝকে এবং ম্রিয়মাণ, --- সার্থক আপনার লেখনী।

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বস--আর সবার সামনে লজ্জায় মাথা হেঁট করিয়ে দেওয়া মন্তব্যের জন্যে বাকীতে কিছু উত্তম-মধ্যম তোলা রইল---

শুভেচ্ছা নিরন্তর

ইয়াসির এর ছবি

লেখার শিরোনাম দেখে ঢুকে পড়েছিলাম, অসম্ভব ভালো লাগলো

অনিকেত এর ছবি

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ইয়াসির।
ভাল থাকুন সকল সময়ে---

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।