আমার বন্ধু-ভাগ্য খুব ভাল।
কোথা থেকে না জানি চমৎকার চমৎকার সব বন্ধু জুটে যায়।
আমার বন্ধু ভাগ্য আবার খুব খারাপও।
কেমন করে জানি সেইসব চমৎকার বন্ধুরা এক সময় হাওয়ায় উবে যায়।
সাধারণ মানুষের চাইতে আমি মনে হয় একটু বেশি স্বার্থপর। তাই হয়ত বন্ধুগুলো এক সময় আমার পাশে আর থাকতে চায় না। আমি দুই হাত ভরে ওদের কাছ থেকে নিয়েই চলি। ফিরিয়ে দেবার কথা মনেও হয়না।
কে থাকবে এমন একজন লোকের সাথে? আমি নিজেই হয়ত থাকতাম না।
ইদানিং, জানিনা বয়েসের কারণেই কিনা, খুব করে মনে পড়ে হারিয়ে ফেলা সেই হীরের টুকরোগুলোর কথা।
সবচাইতে পুরোনো যে বন্ধুটির কথা মনে পড়ে---তার নাম জয়নাল। আমার ক্লাস সিক্সের বন্ধু। তখন আমরা নরসিংদীতে থাকি। জয়নাল ছিল ব্রাহ্মন্দী কে কে এম গভর্মেন্ট হাই স্কুলে আমার সহপাঠি। হ্যাংলা-পাতলা শরীর। একটা বেমানান রকমের বড় মাথা। সে মাথায় অস্বাভাবিক রকমের জ্বলজ্বলে দুটো চোখ। এইটুকুনই কেবল মনে আছে। জয়নাল খুব চুপচাপ রকমের ছেলে ছিল। ক্লাসে পেছনের বেঞ্চে যারা বসে, তারা সাধারনতঃ যে রকম মার-কাটারী হয়---জয়নাল ছিল একেবারেই তার উলটো। ঐ স্কুলে আমি দুই বছর কাটিয়ে ছিলাম। ঐ সময়ে আমার বন্ধু মহলে যারা ছিল তারা সবাই আমার মতই ছিল। আমার মতই চঞ্চল। আমার মতই ভীতু। আমার মতই সচ্ছল। জয়নাল আমাদের মত ছিল না। তাই জয়নাল আমার বন্ধু ছিল না। গোটা দুই বছর নরসিংদীতে কাটানোর পর আমরা যখন আবার বদলী হচ্ছি তখন জয়নাল একদিন এসে আমাকে বলল, আমাকে তার নাকি খুব ভাল লাগে। এই দুই বছরে জয়নালের সাথে আমার কথা হয়েছে বড়জোর তিন-চার বার। এমন একজন যখন হঠাৎ করে এসে বলে----আমাকে খুব পছন্দ করে, তা উত্তরে কী বলতে হয়?
আমার জানা ছিল না।
আমি তাই কিছু বলি নি।
জয়নাল কিছুখন চুপ থেকে বলেছিল, তোমাদের নতুন জায়গাটার ঠিকানা দেবে? আমি তোমাকে মাঝে মাঝে চিঠি দেব। আমি বলেছিলাম, আমার ঠিকানাটা মুখস্থ নেই। কাল জেনে এসে জানাব।
পরের দিন দুপুরে ট্রেনে চেপে রওনা সিলেটের পথে। আমার বাবার নতুন বদলীর জায়গা। নতুন জায়গায় যাবার আনন্দে বুঁদ হয়ে থাকা আমার মনে জয়নালের কোন স্থান ছিল না। তাকে ঠিকানা না দেবার জন্যে কোন অপরাধবোধও ছিল না।
সিলেটে এসে যখন খুব জমে গিয়েছি আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধু-বান্ধবের ভীড়ভাট্টায়---তখনি এক দুপুরে পিয়ন বাসায় একটা চিঠি নিয়ে এল। আমার চিঠি। লিখেছে জয়নাল।
আমি জানিনা সে কী করে আমার ঠিকানা জোগাড় করেছিল।কিন্তু এইটা জানি---সে চিঠি পেয়ে খুশি হবার বদলে আমি কেন জানি খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। কোন এক অদ্ভূত কারণে, কিছুটা ভয়ও পেয়েছিলাম।জয়নালের সে চিঠিতে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না। প্রচুর বানান ভুলের মাঝে সে জানিয়েছিল, আমার জন্যে তার মন পুড়ে। সে চিঠির কোন উত্তর আমি দেইনি।
মাস খানেক পরে জয়নালের আরেকটা চিঠি আসে। সেখানে সে জানায়---তার মনটা খুব খারাপ। নাহ, আমার জন্যে নয়। তার পাঁচ বছর বয়েসী ভাইটা মারা গেছে। ঘরের ছাঁদ থেকে ফ্যান খুলে পড়েছিল ওর উপর। এইটুকুই খবর।
আমার মনে আছে, আমি সেই চিঠিটার উত্তর দিয়েছিলাম। আমি তখন জানতাম না, কী করে মানুষকে দুঃখে সান্ত্বনা দিতে হয়।তাই মা কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মা বলে দিয়েছিল। আমি লিখে দিয়েছিলাম।
জয়নাল আর আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।
তারপর বহু বছর কেটে গেছে। জয়নালের চেহারাটা আস্তে আস্তে আমার মন থেকে মুছে গেছে। মুছে যায়নি শুধু সেই উজ্জ্বল চোখ দুটো---আর কান্না ভেজা চিঠিটা।সেই চিঠিটার কিছু কিছু অক্ষর পানিতে ভেসে গিয়েছিল।
জয়নাল কি কাঁদছিল চিঠিটা লেখার সময়?
জানিনা,
জানা হয়নি----
আমি জানিনা জয়নাল আমার উপর অভিমান করেছিল কি না। আমি জানিনা জয়নাল আমাকে কোন অভিশাপ দিয়েছিল কি না। কারণ এর পর থেকে আমি বারবার বন্ধু পেয়েছি--কিন্তু হারিয়েছি তারচেয়েও বেশিবার। যাদেরকেই বন্ধু বলে কাছে টেনেছি---কিছুদিন পর কোন এক কারণে তারা সরে গেছে আমার কাছ থেকে। আমার দিক থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা সত্ত্বেও সেই সম্পর্কগুলো আর জোড়া লাগেনি। বারবার প্রিয় বন্ধু হারানোর বেদনায় ভাসতে হয়েছে আমাকে। যতবার আমার কোন প্রিয়বন্ধু আমাকে ছেড়ে চলে গেছে--ততবার আমি টের পেয়েছি বিশাল দুটি চোখে কে যেন অবজ্ঞা ভরে, করুণা ভরে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমি টের পেয়েছি কী এক অভিশপ্ত জীবন আমি বয়ে নিয়ে চলেছি।
জয়নাল আমাকে অভিশাপ দিয়েছে। আমি তাই এক 'জয়নাল' হয়ে উঠেছি--যাকে হেলা ভরে ফেলে দেয়া যায়, ভুলে যাওয়া যায়,'ঠিকানা দেব' বলে না দিয়ে চলে আসা যায়। আজ আমি যখন কোন বন্ধুর দেখা পাই, সন্তপর্নে একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করি। আজ আমি হৈ-হুল্লোড় ভরা যেকোন আসরে হঠাৎ করেই ম্লান হয়ে যাই। কেননা আমি আজ জানি---এইসব হাসি-গান আমার জন্যে নয়, এইসব স্বর্নকমল আমার জন্যে নয়। মানুষ আমার বন্ধু হবে, আমার প্রিয় হবে কেবল আমাকে একসময় ফেলে যেতে হবে বলেই। বন্ধুরা আমার বাগানে ফুলের গায়ে জমা রাতের সেইসব শিশিরবিন্দুর মত---যারা সূর্যের প্রথম দেখাতেই মিলিয়ে যায় উদাস হাওয়াতে।
আমি এখন মানুষকে বন্ধু বানানোর চেয়ে শত্রু করে রাখতে পছন্দ করি। বন্ধুরা ছেড়ে যায়---শত্রুরা যায় না। আজ আমি বন্ধু হারাতে হারাতে প্রায় নিঃস্ব বলা চলে। কেবল দু'একটি হীরকখন্ড এখনো রয়ে গেছে আমার ঝুলিতে। এদের আমি আগলে রাখি যক্ষের ধনের মত। এদের সাথে যোগাযোগ রাখিনা বলতে গেলেই। এদের কারো কারো সাথে কথা হয় না কত বছর। থাক না এই মানুষ গুলো আমার বন্ধু হয়ে। কী দরকার ওদের কাছে গিয়ে পর হবার??
কেন জানি নিজেকে Ancient Mariner এর সেই মৃত এলবাট্রস গলায় ঝুলিয়ে থাকা অভিশপ্ত নাবিক মনে হয়।
সে নাবিকের শাপ মোচন হয়েছিল---আমার হবে কি??
মন্তব্য
আপনার সম্পর্কে পুরানো একটা বিশেষণ মনে পড়লো- বিষাদের পয়গম্বর।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হা হা হা ---
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা
অহ্, আরেকটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম।
লেখাটা ভালো লেগেছে। গত লেখাটার মতোই চমৎকার
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আবারো ধন্যবাদ বস!
আমার বন্ধুদের নিয়ে আর নিজের বন্ধুপ্রেম নিয়ে বেশ একটা অহংকার ছিলো আমার মধ্যে। কিন্তু আজকাল মনে হয় আমি আসলে ভুল। আমাকে কেউ দেখতে পারে না। কেউই না।
আমার বেলায়ও...
কোথাও কিছু একটা ঝামেলা আছে। ঠিক করা দরকার।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ইয়ে, সোনার ডিম টিম নিয়ে কি আপনার স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী কোন কোর্স করা আছে? না করা থাকলে জলদি করে ফেলুন। কাজে আসবে
হে নামহীন অতিথি, এই কোর্সে কী শেখানো হয়?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সে নাকি হাঁসা হাঁসির ব্যাপার। আমরা বাইরের মানুষ কি জানি তার। তবে শুনেছি জবাই হবার আগ পর্যন্ত ভাল খাতির পাওয়া যায় ঐ সাট্টিফিকেট থাকলে
তা যা বলেছেন!
তবে যারা গেছে তাদের সবাই যে স্বার্থপর, সুযোগসন্ধানী তা কিন্তু নয়। ভুল বোঝাবুঝি আর ইগোর কারণেও দূরত্ব তৈরি হয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখাটা পড়ার জন্যে আর বানান-শুদ্ধির জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা নিরন্তর
আহা!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অশেষ ধন্যবাদ সঙ্গীত!
এক সময় মাসকাওয়াথ আহসান সাহেবের "বিষন্নতার শহর " পড়ে মন খারাপ হত- এখন আবার আপনার লেখা পড়ে মন খারাপ হল।
আপনার শত্রু হলাম।
বিপ্লব কর্মকার
মনটা খারাপ করিয়ে দিয়ে থাকলে দুঃখিত বিপ্লব'দা।
লেখাটা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
মঙ্গল হোক---
কিছু বলার নাই ভাইয়া। তবে একটা জিনিস যা শিখেছি তা হলো, আমাকে অন্য কেউ কখনই কষ্ট দিতে পারবেনা আর যদি দেয় তাহলে বুঝবো সেটা আমার প্রাপ্য ছিলো কারণ আমিই তাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছি! আর জেনেবুঝে এই সুযোগ করে দিবো? নেভভার! ভালো থাকো! দুঃখ করোনা, কোনওকিছু নিয়েই, আর মন খারাপ থাকলে তোমার সামারাতো আছেই!
-----------------------------------------------------------------------------------
হাসির উপরে দুইন্যাতে কিছু আছে? আজ সারারাত হাসবো, অনেকদিন হাসা হয়না। এই আমি শুরু করলাম... "হাহাহাহোহোহোহিহিহি!" এক্কেবারে বইয়ের ভাষায় ব্যাকরণ মেনে হাসবো! সত্যি বলছি, দেখে
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বালিকা
ভাল থাকিস, অনেক অনেক ভাল
লেখাটা চমৎকার লেগেছে!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মুর্শেদ।
ভাল থাকুন সকল সময়
চমৎকার কথাটায় সুর মেলালাম আমিও
পড়ার জন্যে এবং এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অতীত।
নতুন বছরটা আপনার জন্যে স্বপ্ন পূরণের বছর হোক
একদম শৈশবে আমরা একটা সরকারী কলোনীতে থাকতাম। খেলার মাঠে আমি খুবই ঝগড়াটে ছিলাম নিশ্চয়ই- কারণ খেলার বন্ধুদের চেয়ে শত্রুদের সংখ্যা বেশিই ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে যখন সেই পুরোনো 'শত্রু'দের কয়েকজনের দেখা পেলাম- খুবই অবাক হলাম তখন। কী চমৎকার মানুষ একেকজন। বরং খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো- ছেলেবেলার বন্ধুরাই বদলে গেছে।
শৈশবের মানুষদের একটু বড় হয়ে অপরিচিত রুপ দেখে মন খারাপ হয়েছিলো।
... ভুল আমি দ্বিতীয়বার করিনি। কৈশোরে আমার বন্ধুর সংখ্যা অনেক- এবং তাদের নিয়ে গর্ব করতে আমার বাধে না।
অনিকেতদার বিষাদিত লেখাটা একটু শৈশব ভ্রমণ করিয়ে দিলো।
_________________________________________
সেরিওজা
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সুহান।
নতুন বছরটা তোমার স্বপ্ন পূরনের বছর হোক, এই কামনা
শুভেচ্ছা নিরন্তর
এখন পর্যন্ত বন্ধুভাগ্য বেশ ভাল বলেই মানি, বাসা ছেড়েছি আজ প্রায় চার বছর হতে চলল, বন্ধুদের সঙ্গেই তো নিত্য ওঠাবসা। তবে অমোঘ সত্যটা আমিও জানি(যদিও এখন নাইবা মানি), এই ভার্সিটি লাইফের শেষেই আমরা অনেকেই নানাদিকে ছিটকে পড়ব। তখন না হয় লেখাটা আরেকবার পড়ব খন...
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আমি প্রার্থনা করি এই কথাটা আপনি যেন সারাটা জীবন বলতে পারেন
আপনার বন্ধু-ভাগ্য অটুট থাকুক চিরটা কাল
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ অদ্রোহ।
হয়েছে কী, আমি মানুষকে সহজে পছন্দ করতে পারি না। কিন্তু কাদেরকে আমার পছন্দ হবে তা শুরুতেই বেশ ভালো বুঝতে পারি। আর আমি চাইলে খুব দ্রুত খাতির করে ফেলতে পারি। আর বন্ধুত্ব হয়ে গেলে আমি বেশ আঠার মতো লেগে থাকতে পারি সেই বন্ধুত্বের জন্যে, মানে আমাকে খসানোবেশ মুশকিল। কিন্তু আমি বেশ অত্যাচারী বন্ধু। মানে আমার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় অনেক। আমার কিম্ভুত চিন্তাভাবনা, মেজাজ খারাপ করা, মুখের উপর অপ্রিয় কথাটা বলে দেয়া, তাদের মুড খারাপ করে দেয়া, এই টাইপ। আর আমার মুড অফ থাকলে আমি বেশ ক্যাচাল করতে পারি। তার উপর পুরনো বন্ধুরা, মানে স্কুলের যারা, তাদের কাছে আমি একেবারেই বাচ্চা, মানে পাত্তাই দেয় না আমাকে!
এত কিছু বলছি, তার কারণ, আমার বন্ধুভাগ্য আসলে বেশ ভালো। আমার অনেক অনেক অদ্ভুত অত্যাচার সহ্য করেও তারা কেউ কেউ আমার সাথে টিকে থাকে, আমাকে ক্ষমা করে দেয়, বিপদে আমাকে অবাক করে দিয়ে পাশে থাকে, আমি আজব সব সময়ে উদ্ভট সব কাজে ডাকলে সাড়া দেয়। আপনার লেখাটা পড়ে তাই আবার মনে হল আমি সত্যি কত লাকি! একটা বছর, অনেক ছোট বেলায় প্রায় একটা বছর নতুন একটা পরিবেশে সম্পূর্ণ বন্ধুহীন ছিলাম। বন্ধুহীন হয়ে পড়ার ভীতিটা তাই আমাকে খুব ভাবায়।
গত বছরটা মনে হয় ছিল বন্ধুত্বের বছর! ভাইরে ভাই, কত্ত নতুন বন্ধু যে হয়েছে, আর তারা সবাই যে কত্ত কত্ত মেধাবী বিভিন্ন দিকে!
খালি সত্যি কয়জন আছে, অনেক বেশি কাছে চলে এসেছিল জীবনে অনেক আচমকাই। দূরেও সরে গেছে সেভাবেই, স্বেচ্ছায়, অনিচ্ছায়। সহজে তাদের খোঁজ পাবার উপায় নাই আমার। খালি ঘুরে ফিরে তারা ঠিকই থেকে গেছে আমার অস্তিত্বের সাথে। আমি শুধু এটুকুই জানি, যেখানেই থাক, আমার কাছ থেকে যত দূরেই সরে যাক, তারা আছে, এই বিশাল পৃথিবীর কোন না কোন আনাচ কানাচে, সুস্থ, আনন্দে, হাসিতে, এটুকুই আমার জন্যে অনেক।
ভালো থাকুন। আর দুঃখ বিলাস বাদ দিয়ে নতুন গান বান্ধেন, মানে রেকর্ড করে পোস্টান।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পড়ার জন্যে আর সুন্দর কমেন্টের জন্যে অনেক ধন্যবাদ যাযাবর।
কি কন মিয়া! বিষে যদি বিষ ক্ষয় হইয়া থাকে, তাহলে সেই সমীকরণে আপনের শাপে শাপ কাটার সম্ভাবনা আছে একটা, চেষ্টা কইরা দেখতে পারেন। এই জয়নাল আবার জয়নাল হাজারী নাতো? তাহলে কইলাম দেখবেন কুন্দিন তার পেপারে আপনার নাম কুকীর্তি ছবি সহ ছাপা হইছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা হা, সেইটা হইলে একেবারে আক্ষরিক অর্থেই আমাকে শাপগ্রস্ত বলতে হবে---
বস্ চমৎকার একটা লেখা। আপনার এই বন্ধুহীনতা কি আসলেই অভিশাপের ফল, নাকি এটাই সত্য এবং স্বাভাবিক সবার জন্য? আমরা কি কেউ আসলে ধরে রাখতে পেরেছি আমাদের বন্ধুদেরকে অথবা যাদের আমরা বন্ধু ভাবতাম? আমরা কি সবাই জয়নাল নই ক্ষেত্র বিশেষে? আমার মনে হয় আজকে আমরা সবাই স্বার্থের সুতায় একজন আরেকজনের সাথে আবদ্ধ, এই সূতায় একটু টান লাগলে যে যার দিকে দৌড়ানো শুরু করি, কাজেই এখানে চিরস্থায়ী নিঃস্বার্থ বন্ধু পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার চেয়েও বেশী কঠিন। বস মন খারাপ কইরেন না, আপনার মত এমন হতভাগার সংখ্যাই বেশী এই সংসারে।
লেখাটা পড়ার জন্যে আর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ মাহফুজ
নতুন বছরটা তোমার জন্যে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ শান্তি
ছোট্ট একটি ঘটনা বলি,
আমি তখন দ্বিতীয় বর্ষে। টার্মের ঠিক শেষ সপ্তাহে আমার চিকেন পক্স ধরা পড়ল। চিকেন পক্সের কারনে ভীত ছিলামনা, ভীত ছিলাম সামনে পরীক্ষার জন্য। ডাক্তার জানিয়ে দিল হল ছাড়তে হবে না হয় রোগ ছড়াবে। আমি কাকুতি মিনতি করে দুইটা দিন থাকার অনুমতি নিলাম, কারন ল্যাব কোর্সগুলোর ফাইনাল পরীক্ষা টার্মের শেষ সপ্তাহে হয়, না দিতে পারলে ফেল। যাই হোক ঢাকায় আপা থাকত, ফোন দিয়ে বললাম ক্লাশের শেষ দিন বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বাসায় চলে আসব। আপনি নিশ্চয় জানেন বুয়েটে টার্মের শেষ ক্লাশের দিন সাধারণত কনসার্ট এর মত কিছু একটা থাকে প্রায়ই, সেদিনও ছিল। অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল সবাই মিলে আনন্দ করব, বিশেষত টার্মের চাপের পরে এই অনুষ্ঠানগুলি অসাধারণ লাগত। আমার আর থাকা হলোনা। প্রিয় বন্ধুগুলো আমাকে একটি অটোরিক্সায় বাক্স প্যাটরা বেঁধে উঠিয়ে দিল। অটোরিক্সা ছেড়ে দিয়েছে, কই আমি নিজের পরিবারে যাচ্ছি সেজন্য মন ভাল হবে তা না রাজ্যের যত কান্না আমাকে গ্রাস করছে।
এই হলো বন্ধুত্ত্ব, যে বন্ধুদের একদিন না দেখলে মনে হত পৃথিবীটা খুব শুন্য সেই বন্ধুরা কেউ পাশে নেই আজ অনেক বছর হলো। মাঝখানে দেশে গিয়ে একবার দেখা হয়েছিল, ব্যাস এতটুকুই।
অনিকেতদা আমরা সবাই বন্ধুহীন, আমাদের সেই সময়টা আমরা হারিয়ে ফেলেছি, এখন তাই ফেইসবুক, ব্লগে বন্ধু খুঁজে বেড়াই, কখনো পাই, কখনো পাইনা। এমনকি যাদেরকে কখনই দেখিনি তাদেরকেও বন্ধু ভাবি, হয়ত আগের মত সেই আবেগ তাদের জন্য কাজ করেনা তবে সেটাই হয়ত ভাল, হারালেও কষ্ট পাবনা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ, তোমার এই কথাটা এমন করে বুকে বিঁধল, কী বলব!
খুবই সত্যি কথা বলেছ বস।
অনেক ভাল থাকো বস।
নতুন বছরটা বয়ে আনুক অনিঃশেষ সুখ-শান্তি
শুভেচ্ছা নিরন্তর
আসলেই আমরা সেই সময়টি পেরিয়ে এসেছি…এখন আর বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাড়ি ফেরার মত বন্ধু পাওয়া যাবে না…জীবনের করাল গ্রাস কেড়ে নিয়েছে আবেগের সেই অর্থহীনতা । এখন শুধু social network এর বন্ধুত্ব । তবুও কখনো আকাশের তারাদের দেখে “টিলু এক্সপ্রেস” খেলা বন্ধুদের কথা মনে পড়ে যায় । জীবন আসলেই এক “হাইড এন্ড সিক” খেলা … তবুও আমরা মানুষ, বন্ধু ছাড়া জীবন চলে না …
অনিকেত, আপনার লেখা খুব ভাল লাগল, বরাবরের মতই । নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক অনেক ধন্যবাদ জোহরা ফেরদৌসী!
আপনার এই মমতা মাখানো মন্তব্য আমার হৃদয়স্পর্শ করেছে
নতুন বছরটা অনেক অনেক ভাল কাটুক---এই কামনা
দূরের তারার মতন আমার বন্ধুরা, যারা কোনোদিন আর ছেড়ে যেতে পারবে না। বনফুলের গল্পের সেই ফেরিওয়ালার কথা মনে পড়ে, এক জায়গায় বেশীদিন থাকলে তার মনখারাপ হয়ে যেতো, মানুষের গিল্টি বেরিয়ে পড়তো। তাই সে কেবলি ঘুরে ঘুরে বেড়াতো।
নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি নিজের মধ্যে অজস্র ত্রুটি, বন্ধুর বেশী কাছে গেলেই সব ভেঙে যাবার ভয়ে দূরে দূরে থাকি আর তাই তাদের হারাই না। ঝগড়া করে বন্ধু হারানোর চেয়ে ঝগড়ার আগেই দূরে থাকা ভালো।
" ভালোবাসিব বলে ভালোবাসি নে / কাছে আসিব বলে দূরে থাকি যে "
ধূলাঘর ভুলঘরের পৃথিবী ছাড়িয়ে যে বিরাট, সেখানে আমরা মিলবো একদিন। সেখানে হারানোর ভয় নাই।
ভালো থাকবেন অনিকেত, অনেক শুভেচ্ছা দিলাম।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখা,
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে আর এমন সহৃদয় মন্তব্যের জন্যে
নতুন বছরটা আপনার জন্যে অমিত সম্ভাবনার ডালি মেলে ধরুক---এই কামনা রইল---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
এযে আমার ও উপলব্ধি!
জানেন তুলিরেখা জীবনের এ পর্যাযে এসে বন্ধুত্ব নিয়ে আমার এই উপলব্ধি হচ্ছে
এটা কোন কবিতার লাইন?
@ অনিকেত, বিষাদের পয়গম্বর হিসেবে এমন লেখাই দেবেন এ আর নতুন কী?
মন খারাপ করা কিছু জিনিস যে সব সময় টানে লেখাটা তারই প্রমাণ।
এটা আসলে আমাদের সকলেরই কথা।
জয়নাল যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ অনিন্দিতা
নতুন বছরটা আপনার অপার আনন্দে কাটুক, এই কামনা রইল
বন্ধু খোয়ানোর ক্ষমতা আমার মত আর কারো আছে কিনা জানিনা। আমি মানুষটা এম্নে খারাপ না, কিন্তু আমার চারদিকে একটা অদৃশ্য বাবল আছে। বাবলের ভিতরে কেউ আসতে চাইলে তাকে দূর দূর করে দূরে ঠেলে দিই। এখন কিছু মানুষের সাথে এক-দু'বছরের পরিচয় থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আমার বাবল হুমকির মুখে পড়ে যায় (বাপ-মা'কেও ইদানিং সহ্য করতে পারিনা)। এমতাবস্থায় ভবিষ্যতে ঠেকায় পড়ে বিয়ে-শাদি যদি করেও ফেলি, সেটা কিভাবে টেকানো যাবে সেটা নিয়ে অলরেডি চিন্তায় আছি
একটা বাবল-ওয়ালা বউ বিয়া করো। তারপর দুইটা বাবল পাশাপাশি আসলে মার্জ হয়ে একটা বড় বাবল তৈরী হবে। সায়েন্টিফিক সলিউশন দিলাম।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সাবিহ ওমর,
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে।
রীতিমত চমকে উঠেছিলাম এই কথাটা পড়ে। আমার অনেক দিনের ধারণা, প্রতিটি মানুষ আসলে একেকটা নিউক্লিয়াস ছাড়া কিছু নয়। সমাজের বিস্তৃত ক্রিস্টাল সাইটে আটকা পড়ে আছি আমরা সবাই---আমাদের মাঝে এক ধরনের আকর্ষনী বল কাজ করে। কিন্তু যেই আমরা একটা নির্দিষ্ট দূরত্বের ভেতরে এসে পড়ি তখনি শুরু হয় বিকর্ষন---
ভাল থাকুন
আপনার নিজের ব্লগে একদিন এই লেখাটা পড়েছিলাম। আমার নিজেরও একটা কলম-বন্ধু ছিল, কবে থেকে জানি যোগাযোগ বন্ধ। কত বন্ধু ঝরে যায়, তার সব হিসাব কি আর রাখা যায়!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
লেখাটা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সজল
ভাল থাকুন সকলকে নিয়ে সকল সময়ে
শুভেচ্ছা নিরন্তর
Are you sure, যে জয়নাল সেদিন অন্য কিছু বোঝাতে চায়নি??
;)
না অল কিডিং এসাইড,
লেখা ভালো লেগেছে......... পড়েছি জানিয়ে গেলাম।
হা হা হা ---এইটা দারুন বলেছেন। এইটা তো ভাবা হয় নি হা হা হা --
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার বন্ধুভাগ্য আসলেই খুব ভালো। কিন্তু বন্ধু হিসাবে আমি খুব খারাপ। আপনার লেখাটা অসাধারন লাগলো।
-রু
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ রু
ভাল থাকুন সকল সময়
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা
love the life you live. live the life you love.
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বস।
তোমার চিঠির একটা উত্তর পাঠিয়েছি কিন্তু--
অসাধারণ লেখা.......
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
অনেক ধন্যবাদ সংসপ্তক--
ভাল থাকুন সবাইকে নিয়ে
লেখাটা চমৎকার। জয়নালের জন্য মন খারাপ লাগছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই
নতুন বছরটা আপনার জন্যে ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে ধরা দিক--
-এই কামনা রইল
আরে মন খারাপ করেন কেন অনিদা, এইযে সচলে এত এত আপনার শুভাকাংক্ষী- আমরা সবাইতো আপনার বন্ধু।
আপনার বন্ধুভাগ্যের কপালে রাজতিলক উঠুক এই কামনা করি।
বাউলিয়ানা,
তোমার কথাগুলো আমার হৃদয় স্পর্শ করল---
শুভ কামনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ
অনেক অনেক ভাল থাকো
শুভেচ্ছা নিরন্তর
এভাবে মনের কথা পড়ে ফেলেন আপনি! এটা ত সমস্যা..!
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ কাঠপুতুল
শুভেচ্ছা নিরন্তর
'কেন জানি নিজেকে Ancient Mariner এর সেই মৃত এলবাট্রস গলায় ঝুলিয়ে থাকা অভিশপ্ত নাবিক মনে হয়।'
'এই লেখাটা অনেকবার পড়েছি...আরো হয়তো অসংখ্যবার পড়বো...মাঝে মাঝে ভুলে যাই, লেখাটা আমার নয়...'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ তিথী
তোর নতুন লেখা কই??????
একজন মানুষের বন্ধু সংখ্যাই নাকি বলে দেয় মানুষটা কেমন ।
বন্ধু পাওয়াই আজকাল ভাগ্যের ব্যাপার, বন্ধু ধরে রাখা না রাখাটা অনেক সময় পকেটের উপর নির্ভর করে
লেখা পড়ে মন খারাপ হয়েছিলো তাই একটু...।
আপনার চেয়ে আমার কেন যে জয়নালের জন্য বেশি মন খারাপ হল...
মোহনা'
অ
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, মোহনা
ভাল থাকুন সকল সময়ে সকলকে নিয়ে
অনিকেত ভাই, আপনের "সামারা" কে নিয়ে লেখা পড়তে পড়তে এইখানে চলে আসি। এসে হটাৎ করে আবিস্কার করলাম, প্রায় একই রকম একটা অভিশাপ আমিও বয়ে বেড়াচ্ছি। এই রকম একটা মিল খুঁজে পেয়ে সেই আট বছরের পুরানো সৃতি মনে পরে গেল। আমি মারাক্তক লিখেন।
ধন্যবাদ শ্রীকৃষ্ণ!
ভাল থাকুন সকল সময়ে
নতুন মন্তব্য করুন