নজরুল তার সৃষ্টিশীল পর্যায়ে প্রায় তিনহাজারের মত গান লিখেছিলেন।
নানান ভাবের, নানান রসের।
অসাম্প্রদায়িকতার জন্যে যে লোকটি তার জীবনপাত করেছিলেন--উত্তরকালে সেই নজরুলের সাহিত্যকর্ম ভাগাভাগি হয়ে গেল হিন্দু-মুসলিমের মাঝে। হিন্দু-মুসলমানের 'গালাগালি'-কে তিনি 'গলাগলি'-তে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। নজরুলের নিজের ভাষায়ঃ
কেউ বলেন আমার বাণী যবন, কেউ বলেন কাফের। আমি বলি, ও দু’টোর কোনটাই নয়। আমি কেবলমাত্র হিন্দু-মুসলমানকে এক জায়গায় ধরে এনে হ্যান্ডশেক করাবার চেষ্টা করেছি; গালাগালিকে গলাগলিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছি। সে হাতে হাত মিলানো যদি হাতাহাতির চেয়ে অশোভনীয় হয়ে থাকে, তাহলে ওরা আপনি আলাদা হয়ে যাবে। আমার গাঁটছড়ার বাঁধন কাটতে তাদের কোন বেগ পেতে হবে না। কেননা, একজনের হাতে আছে লাঠি, আরেকজনের আস্তিনে আছে চুরি । হিন্দু-মুসলমানে দিনরাত হানাহানি, জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ, যুদ্ধ-বিগ্রহ ।মানুষের জীবনে এক দিকে কঠোর দারিদ্র-ঋণ-অভাব; অন্যদিকে লোভী অসুরের যক্ষের ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা পাষাণ স্তুপের মত জমা হয়ে আছে। এ অসাম্য ভেদজ্ঞান দূর করতেই আমি এসেছিলাম।
হায় নজরুল!
বেচারার 'অসাম্য ভেদজ্ঞান দূর' করার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে আমরা তার সকল সাহিত্য কর্ম ভাগাভাগি করে নিলাম। ১৯৪৭ এর পর বাংলাদেশে 'মুসলিম সাহিত্য' বলে একধরণের নতুন চীজের আবির্ভাব হল। এই ভাবধারার সাহিত্যিকদের মনে হয়েছিল 'মুসলমানের কৃষ্টি, মুসলমানের তমুদ্দুন, মুসলমানের সমাজ-ব্যবস্থা, মুসলমানের জীবনযাত্রা প্রণালী সাহিত্যে রূপায়িত করতে হবে এবং তাতেই হবে মুসলমানের সাহিত্য সাধনার সার্থকতা'। আগে যেসব সাহিত্য রচিত হয়েছে সেগুলো 'খুবই উন্নত সাহিত্য' বলে মেনে নিয়ে আবুল মনসুর আহমদ বলেন, ' এটা বাঙলার মুসলমানের সাহিত্য নয়---সে কারণ এই যে, এ সাহিত্যের স্রষ্টাও মুসলমান নয়, এর বিষয়বস্তুও মুসলমান নয়; এর স্পিরিটও মুসলমানী নয়; এর ভাষাও মুসলমানের নয়।' তথাকথিত 'হিন্দু সাহিত্য' থেকে বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টায় এবং বড়-সড় মুসলমান লেখকের খোঁজে বেরিয়ে পড়া সন্ধানী দলের হাতে ধরা পড়ে গেলেন নজরুল। নজরুল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ১৯৪২ থেকেই। কাজেই বলতে গেলে তার জীবদ্দশাতেই তার সমক্ষে তার কাঁটাছেড়া চলল। এই বাংলা নিয়ে নিল তার মুসলমানী সাহিত্য কর্ম গুলো---ঐ বাংলা রইল তার হিন্দুয়ানী সাহিত্য নিয়ে। ঐ বাংলায় কীর্তন আর শ্যামা সঙ্গীত আপন হল, তো এই বাংলায় তাঁর লেখা হামদ, নাত আর ইসলামী গজল। বঙ্গভঙ্গের পর অন্নদাশংকর রায় বলেছিলেনঃ
ভুল হয়ে গেছে বিলকুল
আর সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে
ভাগ হয়নিকো নজরুল
কথাটা পুরোপুরি হয়ত ঠিক ছিল না!
আমি যখন নজরুলের গান শোনা শুরু করি খুব ছোটবেলাতে তখন থেকেই এই বিভেদটা নজরে পড়ছিল। নজরুলের শ্যামা সঙ্গীত, মাতৃ-সঙ্গীত বলতে গেলে প্রায় শোনাই যেত না। নজরুলের কীর্তনগুলোও তেমনি সমাদর পায় নি বলেই মনে হয়েছিল। অদ্ভূত ব্যাপার হল, রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান কিন্তু সেই তুলনায় অনেক জনপ্রিয় ছিল। নজরুলের শ্যামা সঙ্গীতের সাথে পরিচয় হয়েছিল প্রথমে বইয়ের পাতায়। নজরুলকে নিয়ে লেখা প্রবন্ধ সংকলন ছিল বাসায়। সেইটা পড়তে গিয়ে দেখলাম তার শ্যামা সঙ্গীতের উপর আলোচনা। তখন আমি ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ছি। চিন্তা করুন আমার কৈশোর প্রায় অতিক্রান্ত অথচ সেইসব গানের সাথে আমার তখনো পরিচয়ই হয় নি। তখন পর্যন্ত শোনা হয় নি সেই বিখ্যাত 'আমার কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন' কিংবা 'বল রে জবা বল' কিংবা 'মহাবিদ্যা আদ্যাশক্তি' গানগুলো! আমি কোমর বেঁধে লেগে পড়লাম এই গানগুলো খুঁজে বের করার জন্য। বিটিভিতে নজরুলের আর রবীন্দ্রনাথের গানের অনুষ্ঠান হয় তখন সপ্তাহে একটা করে। সেইসব অনুষ্ঠানে সবাই বাঁধা-ধরা গান করেন। সেই একঘেঁয়ে ভাবে গেয়ে যাওয়া 'বুলবুলি নীরব নার্গিস বনে', 'গুল বাগিচার বুলবুলি আমি', ' আমি চিরতরে দূরে চলে যাব' ইত্যাদি। কিন্তু কদাচিৎ কাউকে গাইতে শুনলাম 'হে গোবিন্দ রাখো শরণে', 'এল নন্দের নন্দন নব ঘনশ্যাম'। এই গানগুলো প্রথম আমার শোনা হল অনুপ জালোটার কৃপায়। পরে আরো শোনা হয়েছে মানবেন্দ্র, ধীরেন বসু, অধীর বাগচী, ইলা বসু, শিপ্রা বসু, ড. অঞ্জলি মুখার্জী, অনুপ ঘোষাল, পন্ডিত অজয় চক্রবর্ত্তী প্রমুখ। মজার ব্যাপার হল, এইখানেও আমি একটা বিভাজন দেখলাম। ঐ বাংলায় 'মুসলমানী' গান গুলো তেমন গাওয়া হয় না (ব্যতিক্রম ড. অঞ্জলি মুখার্জী)।
সব দেখে শুনে মনে হল, আমাদের দেশ থেকে একটা বাচ্চা যদি পশ্চিম বঙ্গে গিয়ে নজরুলের গান শুনতে বসে, তাহলে হয়ত চমকে উঠে ভাববে---সে কি, এই গান আমি আগে শুনিনি কেন? এবং প্রায় একই রকম শক পাবেন হয়ত ওপারের লোকেরা এপারে এলে।
আমার জানা মতে বাংলাদেশে নজরুলের কীর্তন জনপ্রিয় করার পেছনে ঐকান্তিক নিষ্ঠা নিয়ে যিনি কাজ করেছিলেন---তিনি নীলুফার ইয়াসমিন। অত্যন্ত গুনী একজন শিল্পী। মায়ায় ভরা কন্ঠ। কোন এক অদ্ভূত কারণে কীর্তনের কাজগুলো তার গলায় বড় ভাল ফুটত। তার গাওয়া 'বাজে মঞ্জুল মঞ্জির রিনিকিঝিনিক' বা ' আমি কী সুখে লো গৃহে রব' ---এখনো কানে লেগে আছে। বেঙ্গল থেকে তার একটা কীর্তনের ক্যাসেট বেরিয়েছিল। কী যে অসাধারণ সংকলন হয়েছিল সেইটি। বর্তমানে আমাদের দেশে যে কয় জন পুরোধা নজরুল শিল্পী রয়েছেন তাদের মাঝে আছেন, আবু হেনা মোস্তফা কামালের সুযোগ্য পুত্র সুজিত মুস্তাফা (এঁর গায়কিটা আমার কাছে অসাধারণ লাগে), খায়রুল আনাম শাকিল, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, ফেরদৌস আরা এবং আরো অনেকে। খুব সম্প্রতি শুনেছি শারমীন সাথী ইসলামের গান। যারা নজরুলের গানের ভক্ত তারা এর গান না শুনলে খুব বড় একটা কিছু মিস করে যাবেন। নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মাঝে দেখছি নজরুলের গানের খন্ডিত রূপটা অনেকটাই মিলিয়ে যাচ্ছে। এইটে হল একটা বড় আশার কথা। আমরা আংশিক নয়, সম্পূর্ণ, অখন্ডিত নজরুল পেতে চাই!
কিছুদিন আগে নজরুলের জয়ন্তী গেল। ইচ্ছে ছিল সেই সময় কিছু লেখার। আলসেমী আর এতদসংক্রান্ত নানা কারণে লেখাটা হয়ে ওঠেনি। গতকাল হঠাৎ করেই ঝোঁকের মাথায় একটা নজরুল গীতি করলাম। সেইটেও শেয়ার করতে মন চাইল আপনাদের সাথে।
আপনাদের ভাল লাগলে, আমারও ভাল লাগবে।
গানটি নজরুলের শ্যামা সঙ্গীত বা মাতৃ-সঙ্গীত গোত্রের। গানটি যতদূর জানি রাগ দরবারীতে নিবদ্ধ। যারা রাগ দরবারী শুনেছেন তারা জানেন---রাগটা খুবই 'গর্জিয়াস'---মানে অনেক 'গর্জায়' আর কি! হে হে হে ---
বরাবরের মত যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা,কন্ঠঃ অনিকেত
অহর্নিশ শুভেচ্ছা
মন্তব্য
মাঝে-মাঝেই ভাবি, রবীন্দ্র-নজরুল কী করে এত রাজনৈতিক হয়ে গেল, কী করে এত সাম্প্রদায়িক হয়ে গেল? 'ধর্মীয়' নেতারা এত স্পর্ধা কোথায় পায় ওদের নিয়ে 'বাণী' পয়দা করার? অত্যন্ত ঘৃণার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, দেশের একশ্রেণীয় প্রগতিশীল ভেকধারী বুদ্ধিজীবির মাঝেও এমন প্রবণতা!! এ আমার ভাষা নয়!!
নীলুফার ইয়াসমিন আজও শুনি, আশা ভোস্লে, মানবেন্দ্র, মোহাম্মদ রাফীতে রস পাই সমান তালে। সাম্প্রতিক শিল্পীদের মাঝে সুজিত মুস্তফাকে ভাল্লাগে বেশি, ফেরদৌস আরাও। ফাতেমা-তুজ-জোহরার লাস্ট এ্যালবামে (সে আসবে রূদ্র বীণায়) নজরুল ফিচারিং টাইপের ডিজে মিউজিক শুনে যারপরনাই হতাশ!
বরাবরের মতোই চমৎকার লাগলো আপনার লেখাটি, সেই সঙ্গে গানটিও, ডাউনলোড করে রাখলাম।
ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা সময় নিয়ে পড়ার জন্য, গানটা শোনার জন্য।
আপনার নিকটা খুব চমৎকার লেগেছে
শুভেচ্ছা নিরন্তর
এহেম্জ...নিক বলতে কী স্বঘোষিত নাম বোঝায়?
এ যে আমার আসল নাম ভাইয়া
ওহ, তাই??? তাহলে এমন দুর্দান্ত একটা 'আসল নাম' এর জন্যে আরো অনেক শুভেচ্ছা রইল!
নামটা আসলেই সুন্দর
১
সংক্ষেপে প্রয়োজনীয় কথাগুলো গুছিয়ে বলেছেন অনিকেতদা।
ঢাকা রেডিওতে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করায় আমাদের কিছু বুদ্ধিজিবী প্রতিবাদী হয়ে রবীন্দ্র প্রেমী হয়ে গেলেন।
তাঁরা কেউই নজরুল বিদ্বেষী তখনও ছিলেন না এখন ও নন। আপনি আমি হলেও হয়তো তাই করতাম। আপনি নিজেই ভাল বুঝবেন; খুব বেশী (পেশাদারী) রবীন্দ্র সংগীত করলে নজরুল গীতি কণ্ঠে উঠে না। তাদের বয়সও হয়ে গেছে। নতুন করে আর নজরুল গীতি কখন শিখবেন!
অসাম্প্রদায়ীক হিসাবে এই মানুষগুলো অনেক অগ্রগামী। কিন্তু বেশীর ভাগ সময় কাটালেন শুধু রবীন্দ্র চর্চায়।
তাদের রবীন্দ্র ভক্তি দেখে নাকী মোনায়েম খাঁ, সৈয়দ আলী আহসান ( আমার পূর্ববাংলা কবিতার কবি)-কে বলেছিলেন; "আপনারা এতকিছু পারেন রবীন্দ্র সংগীত লিখতে পারেন না!"
নজরুল ইনষ্টিটিউট মনে প্রাণে চেষ্টা করে আমাদের উপহার দিলেন একজন মুসলিম জাগরনের কবি-কে। ভারতের একজন মুসলমানকে ঢাকায় এনে বাংলাদেশের জাতীয় কবি বানালেন। জাতীয় সংগীতের কবি-কে হিন্দু বলে বাংলাদেশের জাতীয় কবি করা গেল না। আরো আরো অনেক শিল্পী-কবি-লেখকদের কথা আর বললামনা। এভাবে আমরা কমবেশী দু'জনকেই ছোট করেছি।
নজরুল ভক্ত এখন গোলাম আযম। জামাতে ইসলামী নজরুলের জন্মবার্ষিকীতে মিলাদ মাহফিল করে আর " দোলে শিশু ইসলাম দোলে" গায়।
২
ভোকালে দরবারী কখনো শুনিনি। নিখিল ব্যানার্জীর সেতারে শুনেছি। "আর আমায় যারা দেয় মা ব্যথা" -শুনেছি ডঃ অঞ্জলী মুখার্জীর কণ্ঠে। খুব ভাল লেগেছিল। এখন আর সেই সিডিটা আমার কাছে নেই। গুগল করে ডঃ অঞ্জলী মুখার্জীকে পাই নি।
ল্যাপটপের শব্দকলে যা শুনলাম তাতে অনেকটা শ্রীকান্ত আচার্য্যের কণ্ঠে "আনন্দ ধারা বহিছে ভূবনে" রবীন্দ্র সংগীতে যতটুকু মালকোষের আমেজ আছে, আপনার "আমায় যারা দেয় মা ব্যাথা"-তে ততটুকুই বা একটু বেশী দরবারীর আমেজ আছে।
তার কারণ সম্ভবত যন্ত্রযোগ। সম-এর জায়গাটা ঠিক আসছে না। খুব বেশী মীড়ের কাজ মনে হল। স্পষ্ট করে সব সুর আসে নি বা আমি শুনতে পাই নি। ঢেউ তীরে ধাক্কা লাগার মতো হলে সম-টা আরো ভাল লাগত।
আশা করি আপনার কণ্ঠে নজরুলের আরো অনেক অনেক গান শুনতে পাব।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অনেক ধন্যবাদ পুতুল মন্তব্যের জন্য।
আমি তো আর ঠিক সেই অর্থে গায়ক নই। একটু আধটু চেষ্টা চরিত্র করি কেবল। আপনার পরামর্শটুকু মাথায় রইল।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
ভালো লেগেছে লেখা এবং গান দুটোই।
ধন্যবাদ ছাইপাঁশ---ভাল থাকুন সকল সময়
আগেও একবার বলেছি আরেকবার বলি, এটা আপনার সেরাগুলোর একটি। অনবরত বাজছে আমার ঘরে...
[অট. "হে প্রিয়তমা আমি তো তোমার বিদায় কখনো দেবনা" এই গানটি কয়েক হাজার বছর ধরে খুঁজছি। আপনার কাছে আছে?]
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক ধন্যবাদ সঙ্গীত!
গানটা আমার কাছে খুব সম্ভবত আছে। পেলেই পাঠিয়ে দেব।
ভাল থেকো বস
বস দুর্দান্ত হয়েছে। আগে শুনিনি, তাই ভুল হলেও হতে পারে-- শুরুর দিকে "আমায় যারা ... উচ্চারণটা কি "জারা" হয়ে গেছে? নাকি এরকমই হবে? পরের দিকে কয়েক জায়গায় ঠিক আছে মনে হল। অন্যদের কী মতামত?
দেরীতে হলেও লিখলেন-- তাই আবারো হাজার তারা দিলাম।
ধন্যবাদ পিপি দা!
" আমায় যারা" হবে। আপনার কথা শুনে গানটা আবার শুনলাম। আমার তো কেন জানি মনে হল ঠিকই আছে।
সে যাক গে, অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা মন দিয়ে শোনার জন্যে।
ভাল থাকুন
বরাবরের মতোই ভালো লেগেছে লেখা এবং গান দুটোই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথী। তোর নতুন লেখা কই???
পাগলকে যে সাঁকো নাড়াতে বলে সেও কি আর ভাল?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লাফাংকি আশ্চর্য! কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম দরবারী রাগের উপর কোনো যন্ত্রসংগীত করার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাবো আর আজকেই আপনার এই গান! অতি চমৎকার লাগলো অনিকেতদা। আরো কিছু রাগপ্রধান গান আসুক আপনার কাছ থেকে। পোষ্টে গুগল প্লেক্স সংখ্যক তারা দিলাম।
love the life you live. live the life you love.
অনেক ধন্যবাদ পল
তোমার নতুন বাজনা কবে দিচ্ছ??
শুভেচ্ছা নিরন্তর
সঠিক বলেছেন অনিকেতদা, এ বড় ব্যথার জায়গা!!!!
কী নির্মম বাস্তবতা, কিন্তু আসলেই তাই ঘটবে!!!! আপনার মত আমিও দাবি রাখলাম ভবিষ্যৎ শিল্পী-গবেষকদের কাছে
আর গানটার কথাঃ আমি গানের ব্যাকরণ জানি না আসলে, গানকে বিচার করি নিজের মত করে, আবেগ-শ্রুতিমাধুর্য-উচ্চারণ-সঙ্গীতায়ন সহ আরো কিছু দিয়ে; সবগুলোতেই আপনার গায়কী অসাধারণ আর অসাধারণ লাগল!!!! এখনও গানটিতে আবিষ্ট আছি, মাদকতাময়...................নিয়মিত আপনার গান শুনতে চাই অনিকেতদা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মৃত্যুময়! কিছু মনে না করলে একটা কথা জিজ্ঞেস করি? এমন মন-খারাপি নাম কেন রে ভাই?
অনিকেতদা, কিছু মনে কেন করবো বলেন দেখি!!!! আসল কারণ হল মাঝে মাঝে দুয়েকটা অ-কবিতা লেখার অপচেষ্টা করি, এবং সেই সুবাদে কিছু শব্দের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে, তেমনি 'মৃত্যুময়' শব্দটা আমার খুব ভালো লাগে, আর এখানে তো সবারি একেকটা চমৎকার-বিচিত্র নিক আছে, তাই আমিও আমার পছন্দের একটা দিয়ে দিলাম!!! 'মন-খারাপি' হয়ে গেছে বুঝি, কিন্তু মৃত্যুই জন্ম দেয় প্রশস্ত সবুজ প্রাণময়। এভাবে চিন্তা করলে কেমন হয়।
শুভেচ্ছা অনন্ত ভাইয়া।
আহ! কী চমৎকার একটা পোস্ট। গান শুনে মুগ্ধ হলাম। আর ভালো লাগলো সংগীতের প্রতি আপনার প্যাশন দেখে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অনেক অনেক ধন্যবাদ ফাহিম!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
চমৎকার লাগল অনিকেত ভাই।
ধন্যবাদ অমিত
অনেক অনেক ভাল থাকুন
গানটা কেন জানি আসছেনা আমার এখানে, মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে!
খুব ভালো লাগলো - বক্তব্য, বিশ্লেষন আর ফোকাস টুকু। খুব ভালো লাগলো।
আপনার ইচ্ছেরা সব প্রাণ পাক!! শুভেচ্ছা,
অনেক ধন্যবাদ তানিম।
গানটা শুনতে পেলে জানিয়েন, না পেলেও জানিয়েন। মেইল করে দিতে পারি।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
খুবই দুর্দান্ত একটা লেখা দিলেন বস।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই অবজারভেশনটা আমারও হয়েছিলো কিছুটা ছোটবেলায় থাকতে। অনুপ জালোটার একটা ক্যাসেটে আপনার বলা এই গানগুলি সব শুনেছিলাম- কিন্তু এই গানগুলি কখনো টিভিতে বা দেশি কোন শিল্পীর গলায় শুনিনি। গানের সাথে ধর্মের যোগের ব্যাপারটা টের পেয়েছিলাম। আপনার লেখাটা খুবই সুখপাঠ্য লাগলো। দারুণভাবে সাবলীল।
খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক, তবুও বলি- গতকাল রাতেই কমলকুমার মজুমদারের একটা লেখা পড়ছিলাম (অপ্রকাশিত রচনাবলীর), লেখার বিষয়বস্তু শাস্ত্রীয় সংগীতের শ্রোতা তৈরি করা নিয়ে। লেখকের বক্তব্য ছিলো, শাস্ত্রীয় সংগীতের যোগ্য শ্রোতা তৈরি করার দায়িত্ব অনেকটাই অনুষ্ঠানের আয়োজকের। আর সেখানে আরেকটা কথা ছিলো, রাগ সংগীত ভালো মতো বুঝতে হলে শুদ্ধ রাগ শোনার দিকে মনোযোগ দিতে হবে, মিশ্র রাগের বদলে অর্থাৎ কিনা মিশ্র রাগ কাফি কানাড়া শোনার পরিবর্তে শুদ্ধ রাগ কাফি কিংবা কানাড়া শোনা দিয়ে আগে শুরু করতে হবে। এই কথাগুলি বলা এই জন্যই যে, আমার মনে হলো আপনার মতো আরো যারা আছেন সংগীতপ্রেমী, বোদ্ধা- তাঁরা একটু এগিয়ে আসলে কিন্তু আমাদের এই মূর্খতা আর থাকে না
গাওয়া গানটাও ভালো লাগলো। একটু অসামঞ্জস্যপূর্ণ লাগলো সংগীতায়োজনটা, তবে সুদূর বিদেশে বসে আপনার সীমাবদ্ধতাটুকু বুঝতে পারি, তাই এইটা খুব একটা বাঁধা মনে হলো না। আপনার এই চমৎকার গান শোনানো জারি থাকুক।
অলমিতি বিস্তারেণ
অনেক অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা তোমার বিশদ মন্তব্যটার জন্য।
আমি নিজে গানের তেমন কিছু জানি না। তবে জানার উৎসাহ আছে অনেক---এইটে বলতে পারি। অল্প বিস্তর যা জেনেছি সেগুলো নিয়ে মাঝে মধ্যে টুকটাক কিছু লেখার ইচ্ছে আছে। দেখা যাক--
অনেক ভাল থেকো বস, আর ভালো ভালো গান শোনো--
শুভেচ্ছা নিরন্তর
লেখাটার বিষয়বস্তু আর প্রকাশ খুব চমৎকার লাগলো। ...
গানটাও ভালো লাগলো বস। এই আয়োজন চলতে থাকুক।
অনেক ধন্যবাদ সুহান !
শুভেচ্ছা নিরন্তর
বাহ! দারুণ! লেখা আর গান- দুটোই!
নিটোল
অশেষ কৃতজ্ঞতা নিটোল!
ভাল থাকুন সকল সময়ে
গানটি খুবই ভালো লাগলো! ধন্যবাদ অনিকেতদা।
নজরুলকে নিয়ে নির্মোহ আলোচনা করা খুবই মুশকিল - বিভিন্ন মহল খেপে ওঠে যা অতীতে দেখেছি। তাঁর চরিত্রটি আসলেই ট্র্যাজিক এবং এই চরিত্রের সাথে রয়েছে বাঙালির আন্তর-চরিত্রের মিল। তিনি কখনো উন্মাতাল বিপ্লবী, কখনো কাতর প্রেমিক, কখনো বাউল বৈষ্ণব, কখনো জোশে-ইসলামী। "আল্লাহ্ আমার প্রভু, আমার নাহি নাহি ভয়/ আমার নবী মোহাম্মদ, যাঁহার তারিফ জগৎময়" এর পাশাপাশি 'তোর রাঙা পায়ে নে মা শ্যামা আমার প্রথম পূজার ফুল" - এটাকে কি অসাম্প্রদায়িক বলবো, নাকি স্ববিরোধীতা? স্ববিরোধীতা বাঙালির জাতীয় বৈশিষ্ট্য, নজরুলে সেই চরিত্র প্রকটভাবে আছে বলে মনে হয়। এই স্ববিরোধীতার সুযোগ নিয়েছে সবাই - নজরুলকে নিয়ে মৌলবাদী- সাম্যবাদী-জাতীয়তাবাদী সবাই রাজনীতি করতে পারে, সবার জন্যেই তিনি কিছু না কিছু ব্যবহারযোগ্য সাহিত্যকর্ম রেখে গেছেন। সে হিসেবে তিনি এবং তার সাহিত্যকর্ম আমাদের 'জাতীয়' সম্পদ।
অনেক ধন্যবাদ সুমন মন্তব্যের জন্য।
আমি নজরুলের এই আচরনটা অসাম্প্রদায়িক বলব। কারণ মূল লেখাতে নজরুলের একটি উদ্ধৃতিতে দেখিয়েছি, নজরুল সচেতন ভাবেই চেয়েছেন আমাদের মাঝের বিভেদ যেন ঘুঁচে যায়। নজরুল বুঝতে পেরেছিলেন ধর্মের ভেদাভেদ আমাদের মাঝে কৃত্রিমভাবে হলেও জিইয়ে রেখেছিল ইংরাজ সরকার--তাদের নিজেদের শাসন প্রক্রিয়া সুমসৃণ করার জন্যে।
দুঃখটা এইখানেই যে নজরুলের সচেতন প্রয়াসটা এখন সচেতনভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে তাকে খন্ডিত করে উপস্থাপন করার কাজে।
শুভেচ্ছা রইল
বলা যায়, অনিকেত দা এট হিজ বেস্ট! লেখা, গান দুই ক্ষেত্রেই অসামান্য একটি পোস্ট। আপনি কেন যে প্রতি সপ্তাহে লিখেন না!
অনেক ধন্যবাদ ফারুক ভাই
আপনি নিজেও তো অনেক দিন ধরে লাপাত্তা।
আপনার নতুন কবিতা কই???
শুভেচ্ছা নিরন্তর
দাদা অসাধারন লাগল
ধন্যবাদ সায়মা!
ভাল থাকুন সকলকে নিয়ে--
অনিকেতদা,
আপনার কথা পুরোপুরি সত্য। কলকাতার ‘তারা মিউজিক’ চ্যানেলটি রোজ ‘আজ সকালের আমন্ত্রণে’ নামে একটা অনুষ্ঠান করে। এবারের 'নজরুল জয়ন্তী' নিয়ে তারা ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু অনুষ্ঠান করেছে যার বেশীরভাগ জুড়েই ছিল শ্যামা সংগীত ও কির্তন। আর ‘হামদ’ ও ‘নাত’ একেবারেই শোনা যায়নি। মনে আছে, একবার কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি ‘এনসাইক্লোপিডিয়া’র ‘বাংলা সাহিত্য’ সাহিত্য বিষয়ক চাপ্টার উল্টাতে গিয়ে নজরুলকে খুঁজে পাইনি, যদিও ‘বাংলা সংগীত’ বিষয়ক চাপ্টারে নজরুল দয়া করে রাখা হয়েছিলো।
আবার, এদিকে আসছে রমজান মাসে, বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতেও নিশ্চিতভাবেই রাত-দিন ‘হামদ’ ও ‘নাত’ শোনা যাবে। সত্যি বলতে কি, যে নজরুল সারা জীবন অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার জয়গান গেয়েছেন, সেই নজরুলকে নিয়েই সবচেয়ে বেশী সাম্প্রদায়িকতার চর্চা হচ্ছে, বিশেষত বাংলাদেশে। বিএনপি-জামাত তো ‘হিন্দু’ ও ‘ভারতীয় কবি’ রবীন্দ্রনাথের বিপরীতে ‘মুসলমান’ ও ‘বাংলাদেশী’ কবি নজরুলকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একপ্রকার ‘আন্দোলন’ চালিয়ে যাচ্ছে! অথচ নজরুলের সাহিত্যে যেভাবে ‘হিন্দু’ ধর্ম এসেছে, তা কি অনেক হিন্দু সাহিত্যিককেও ছাড়িয়ে যায় না? আর যে যুক্তিতে ‘রবীন্দ্রনাথ’ ভারতীয় কবি হন, সে একই যুক্তিতে ‘নজরুল’ও কি ভারতীয় কবি নন? নজরুল কি রবীন্দ্রনাথের চেয়ে বেশী-কাল বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন? নজরুল জন্মেছেন পশ্চিমবঙ্গে, বিয়ে করেছেন একজন ‘হিন্দু’ ধর্মাবলম্বীকে, তার সন্তানেরাও কলকাতায় বসবাস করেছেন এবং তার প্রপৌত্র-গনও বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠিত নাগরিক।
সুতরাং, নজরুলকে ‘রবীন্দ্রনাথের’ চেয়ে বেশী ‘বাংলাদেশী’ বানানো এবং এভাবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা নিছক বোকামি। নজরুলকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে তাঁর উদারতা, অসাম্প্রদায়িকতা, এবং মানব-প্রেমকেই উচ্চে তুলে ধরতে হবে। কারন নজরুলের আসল সৌর্ন্দয যে এখানেই লুকানো।
অনেক ধন্যবাদ মামুন, আপনার মন্তব্যের জন্যে।
এটাই হল লাখ কথার এক কথা!!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
অনিকেতদা,
অনেক ভাল একটা গান শুনলাম। লেখাটা পড়েও অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমার মত যারা নজরুল সঙ্গীতের বিষয়ে তেমন কিছুই জানেনা তাদের জন্য আরো কিছু লিখবেন।
অনেক ধন্যবাদ সাইফ জুয়েল। নিশ্চয়ই নজরুল নিয়ে আরো কিছু লেখার চেষ্টা করব।
ভাল থাকুন সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে---
অনেক ধন্যবাদ হে পাঠক!!!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
চমৎকার লেখা , চমৎকার গান , চমৎকার কণ্ঠ ...।
বলে প্রকাশ করতে পারবো না বস ... কাজেই চুপ মেরে যাই
ভাই পছন্দনীয়,
ফাঁকিবাজী হচ্ছে বুঝি? আমরা বুঝি টের পাই না? অ্যাঁ? এসব চলবেনা শিগগির বলতে হবে কোন কোন জায়গা খারাপ হয়েছে---হা হা হা ---
ভাল থাকো ভাই আমার---
অনিঃশেষ শুভ কামনা
এই প্রথম আপনার গাওয়া গান শুনলাম অনিকেতদা। অসাধারণ লাগলো।
লেখাতেও
অলস সময়
অনেক ধন্যবাদ বস---!!
দারুণ লাগলো, লেখা এবং গান দুটোই।
শারমীন সাথী ইসলামের গানগুলো কোথায় পেতে পারি বলতে পারেন?
অনেক ধন্যবাদ অর্ক রায় চৌধুরী।
শারমীন সাথী ইসলামের একটা সিডি বেরিয়েছে বেঙ্গল থেকে। এলিফ্যান্ট রোডের গানের ডালিতে খোঁজ করলেই পাবেন।
এক মানুষে এত গুন!!! (গুড়)
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড়'দা আপনি এইভাবে লজ্জা দিলে কেম্নে কী
অসংখ্য ধন্যবাদ বস!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
হ..
দুইন্যায় ইনসাফ বলে কিছু নাই আসলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নজরুলের গান এদেশেও তুলনামূলকভাবে অজনপ্রিয়। তার কৃতিত্ব দেশীয় এড়ে গলার খ্যাতিমান কয়েকজন নজরুল শিল্পী। আমি নিজেও নজরুল শুনতে যেতাম না, যদিনা অনুপ জলোটার সেই ক্যাসেটটার সন্ধান না পেতাম। ওখানে 'খেলিছ এ বিশ্বলয়ে' গানটি দিয়েই আমার নজরুল যাত্রা। ওই ভলিউমের কথাই বোধহয় আপনিও বলেছেন। অসাধারণ গেয়েছিল অনুপ জলোটা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনুপের ঐ ক্যাসেটের নাম ছিল 'মন জপ নাম' (মানে যেখানে 'খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে' গানটা ছিল)। নজরুলের মাতৃ সঙ্গীতের একটা আলাদা এলবাম করেছিলেন উনি---নাম হল 'আমার কালো মেয়ে'। এই গানটাও ঐখানে পাবেন।
ভাল থাকুন নীড়'দা--আরো অনেক নজরুল শুনুন!
বিষয়বস্তু বা গানের গুণাগুণ নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা নেই বলে চুপ থাকাই ভালো মনে করছি। একটা অন্য কথা বলি বরং, গানের গলাটা আপনার শুনে কেমন অবাক লাগলো, ছবির সাথে কিছুতেই মেলাতে পারলাম না কেন যেন। তবে গান শুনতে ভালো লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অনেক ধন্যবাদ আশালতা!
সাম্প্রদায়িকতার বাষ্প আমাদের উবিয়ে দিবে বাতাসের মতই
সেইটে যেন না হয় সেইজন্যি আসলে আরো বেশি করে নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনাটার দিকে আমাদের নজর দেয়া উচিত।
পড়ার জন্যে, মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ প্রখর-রোদ্দুর
আরেব্বাস! আমি বুঝতেই পারি নাই এইটা আপনার গলা! ইদানিং মিয়া গলা নিয়াও জারিজুরি শুরু করলেন! গানটা ঢিলা হওয়ায় ঠিক চুলচেরা বিশ্লেষন করতে পারলাম না, আমার এই ধরনের গান নিয়া বিশ্লেষন করার যোগ্যতা বা ক্ষমতাও নাই, শুনতে ভালো লাগল এইটুক বলতে পারি। লেখার কথা আলাদা কইরা বলার দরকার পড়ে না, আপনে আগে থিকাই জানেন!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমি জানি বস এইটা ঠিক তোমার লাইনের গান না। তারপরেও আমার জন্য তুমি গানটা শুনেছ, এতেই খুশি আমি। অনেক ধন্যবাদ!!
ফটু-ব্লগ ছাড়ো একটা বস। অনেক দিন হয়ে গেল।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
আমারে নিয়া যে এত্তোবড় পোস্ট দিছেন, পারমিশন নিছিলেন?
গানটা কালকে শুনুম... তবে নিশ্চিত জানি ভালো হইছে... লেখা তো ফাটাফাটি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই
খুবই অদ্ভুত ব্যাপার... সাম্যবাদী কবিকে নিয়ে জোর করে এই পার্থক্য করার ব্যাপারটা বেশ ইরিটেটিং একটা বাতিক।
কিন্তু এই গানটার মতন গান বেশি শুনি নাই। ভালো মতন না বোঝার কারণেই অন্তরে অনুধাবন করতে পারছি না মনে হয় সেইভাবে... নজরুল প্রিয় কবি, নজরুল সঙ্গীতও প্রিয়... তবে এপারে প্রচারিত গুলোই...। রোযা আর ঈদ চলে আসলো তো, টিভিতে এখন বেশি বাজবে... শুনতে ভালো লাগে... ছোট থেকে রোযা-ঈদের সাথে এই গানগুলো মিশে আছে বলেই মনে হয়...!! আপনার গাওয়া নিয়ে কিছু বললাম না, গানের ব্যাপারে আমার জ্ঞান চরম সীমাবদ্ধ।
ফেরদৌস আরার নজরুল সঙ্গীত ভালো লাগে, কিন্তু ফাতেমা-তুজ-জোহরার গান নাকিসুরে মনে হয়...!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার।
আনন্দে কাটুক দিন
ক্লাস সেভেন/এইট পড়ুয়া অনিকেত নজরুলের যেসব গান শুনেননি বলে আক্ষেপ করেছেন। আয়নামতির তা কবরে এক পা রেখেও শোনা হয়নি যে! আপনার কী উচিৎ না ঐসব গানগুলো গেয়ে শোনানো? সময় নষ্ট না করে কাজে নেমে পড়ুন দেখি ভাইয়া...এটা আয়নামতির বায়না। খুব বেশি চাইলাম বলেন?
এখানে যে গানটা করেছেন সেটা খুউব ভালো লাগলো(আগে শুনিনি)! গানটা গাইবার সময় আপনার কী মনে হয়েছিলো গানের কিছু কথা আপনাকে লক্ষ্য করেই লেখা? শব্দেরা খেলে যাক আপনার আঙুল ছুঁয়ে, কন্ঠজুড়ে। গানে আর লেখায়
অনেক ধন্যবাদ আয়নামতি। আপনার নামটা খুব চমৎকার লাগে আমার কাছে।
এই গানটা ভাল আপনার লেগেছে জেনে আমারও খুব ভাল লাগল।
আমি তো আসলে সে অর্থে শিল্পী নই। আর নজরুলের গান গাওয়া আরো কঠিন একটা ব্যাপার (অবশ্য আমার কাছে সব গানই কঠিন মনে হয়)। তবে ইচ্ছে আছে সামনে হয়ত আরো কিছু গান করার।
অনেক অনেক ভাল থাকুন, অনেক ভাল ভাল গান শুনুন
শুভেচ্ছা নিরন্তর
নতুন মন্তব্য করুন