শৈশব আমার কাছে খুব প্রিয় একটি বিষয়।
কারণ আমার শৈশবে আমি ছিলাম এক রূপকথার রাজ্যের মানুষ---
সাধারণ কোন হেঁজিপেজি মানুষ নয়---আমি ছিলাম এক রাজকুমার!
আমার শৈশবে আমি তেপান্তরের মাঠ পেরুতাম প্রতিদিন, প্রতিদিন আমার তলোয়ারের ঘায়ে লুটিয়ে পড়তে মরদানবের লাশ, বিনাশ হত শত্রুপক্ষ--আর দিন শেষে, অতি-অবশ্যই, লাল টুকটুকে এক রাজকণ্যে আমার আপন হত। শৈশবের আমি কখনো ভাস্কো-ডা-গামা, কখনো ক্যাপ্টেন কুক, কোনো কোনোদিন ঘনাদা, কখনো প্রফেসর শঙ্কু, আর অনেকটা সময়েই ফেলুদা!
আমি বেশ একাকী একটা শৈশব কাটানোর 'সৌভাগ্য' পেয়েছিলাম। নিজের মত করে বড় হবার কারণে বাস্তব পৃথিবী নিয়ে আমার খুব একটা পরিষ্কার ধারণা ছিল না। বাইরের দুনিয়াটা নিয়ে মনের ভেতরে নিজের মতন করে একটা ধারণা করে নিয়েছিলাম। আমার আরো অনেক 'নিজস্ব' ধারণার মত, এই ধারণাটিও পরবর্ত্তীকালে ব্যাপক আকারে ব্যর্থতার আস্বাদ নিয়েছে।
আজ বহুদিন পর মার্টিন স্করসেইজি-র নতুন ছবি হুগো (Hugo) দেখতে গিয়ে আমার সেই হারানো একাকী শৈশবটাকে কাছে ফিরে পেলাম। বিশাল সিনেমা হলের আলো-আঁধারীর মায়ায় আমার পাশের সীটে আমার শৈশবটাকে বসে থাকতে দেখলাম, খুশিতে খিলখিল করে হেসে উঠতে দেখলাম, দু'একবার আড়চোখে তাকিয়ে জামার হাতায় চোখ মুছতেও দেখলাম।
মার্টিন স্করসেইজি খ্যাত নামা পরিচালক। 'অসংখ্য নামকরা ছবি তৈরী করেছেন' এমন বাক্য বলার চেয়ে 'অসংখ্য স্মরণীয় ছবির নির্মাতা' বলাটা মনে হয় তাঁর ক্ষেত্রে উপযুক্ত। "The Departed"(পাঁচ পাঁচটি বার নমিনেশান পাবার পরে এই ছবিটিতে গিয়ে ভাগ্যে অস্কারের শিকে ছিঁড়ে ছিল), "The Aviator", "The Goodfellas", "The Gangs of New York", "Raging Bull", "Taxi Driver"---একের পর এক অসামান্য চিত্রকল্প! যারা 'মার্টি'র ছবির সাথে পরিচিত তারা জানেন--জীবনকে ভীষন ভাবে কাছে থেকে দেখা একজন লোকের ক্যামেরায় মার্টি ছবি তুলতে ভালবাসেন। তাঁর ছবিতে যে জীবন উঠে আসে সেটা নির্মম, নৃশংস, নৈর্ব্যক্তিক। তাঁর ছবি গুলোর নায়কেরা অধিকাংশই প্রশ্নসাপেক্ষ নৈতিকতার অধিকারী। গোলাপ-ফুল ছড়ানো পথে তার ক্যামেরা কখনো চলেনি, তারপরেও ভীষন কাব্যিক আর ভীষন অন্তর্ভেদী তার চিত্রকল্প। বাস্তব মানুষের বহিরস্থ পাশবিকতা আর কাঠিণ্যের পাশাপাশি অন্তর্লীন মানবিকতার বোধটুকু মোমের আলোর বিষন্নতায় মার্টি ধরে দেন।
এহেন Gritty ছবির নির্মাতা মার্টির কাছ থেকে শিশুমনের উপযোগী ছবি প্রত্যাশা করাটা সম্পূর্ণ বাতুলতা নাহলেও কিঞ্চিত বিপদজনক। হলে ঢুকে একরাশ শিশু আর তাদের বাবা-মা কে দেখে অস্বস্তি আরো বাড়ল। বার বার মনে পড়ছিল "The Departed" আর "The Goodfellas" ছবির নানান দৃশ্যের কথা যেখানে 'f-word' মুড়ি-মুড়কির মত, খৈ এর মত ফুটছিল। 'কাঠ-খোট্টা' মার্টি শেষ পর্যন্ত পারবেন তো বাচ্চাদের মন-ভোলাতে?
পৃথিবীর কঠিনতম দর্শক হল শিশুরা! অনেকে হয় ভাববেন বাচ্চা বলে গোঁজামিল দিয়ে পার পেয়ে যাওয়া হয়ত সোজা। ভুল, ভীষন ভুল। বাচ্চা বলেই তারা একরকম অমলিন সততা নিয়ে ছবি দেখে। সেই সততা কল্পনাকে প্রশ্রয় দেয়--মিথ্যাচারকে নয়। সারা বিশ্বজুড়ে সবাই মার্টিকে এক মহৎ চলচ্চিত্রকার বলে মেনে নিলেও---বাচ্চাদের কাছে তাঁর ক্ষমতার যাচাই এখনো হতে বাকি।
'হুগো' ছবিটা ছিল শিশুমনের কাছে মার্টির প্রথম পরীক্ষা।
হুগো ছবিটার নায়ক হল হুগো ক্যাব্রে নামের এক বিষন্ন একাকী বালক। তিরিশের দশকের প্যারিসে এক ট্রেন স্টেশনের অন্ধ ঘুপচির ভেতরে হুগো প্রতিদিন একলা বাঁচে। স্টেশনের সবগুলো ঘড়িতে দম দিয়ে বেড়ানো একলা বালক হুগো একটা স্বপ্ন বুকে নিয়ে বাঁচে। ঘড়ি-নির্মাতা বাবার অসম্পূর্ণ এক স্বপ্ন-পূরণের দায় স্বেচ্ছায় ছোট্ট কাঁধটিতে বয়ে নিয়ে বেড়ায় হুগো। তার স্বপ্ন---একদিন বাবার রেখে যাওয়া 'কলের মানুষ'টা (Auotomaton) সে ঠিক মেরামত করতে পারবে, আর তখন সেই ভাঙ্গা কলের মানুষটা তাকে বলতে পারবে এমন কিছু কথা যা হয়ত তার অকালপ্রয়াত বাবা তাকে বলে যেতে চেয়েছিলেন। স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ভীষন শীতল ক্রুর এক সময়ে হুগো বাঁচতে থাকতে আশায় আশায়।
স্টেশনে এক পুতুলের দোকানের নিয়মিত চোর সে। তার সেই ভাঙ্গা কলের মানুষটা ঠিক করতে যেসব যন্ত্রপাতি দরকার সেইগুলো সে মাঝে মধ্যেই ঐ দোকান থেকে চুরি করে। চুরি করে বেড়ায় বলে, একা একা থাকে বলে-- মনে তার সকল সময়ে ভয়। বিশেষ ভয় হল স্টেশানের ইন্সপেক্টর সাহেব আর তার ডোবারম্যান কুকুরটাকে। যুদ্ধে গিয়ে পঙ্গু হয়ে ফেরা ইন্সপেক্টর (সাশা ব্যারেন কোহেন এই চরিত্রটি জীবন্ত করে তুলেছেন) সারা পৃথিবীর প্রতি নিষ্ঠুর মন নিয়ে ঘুরে ফেরেন। তার রাগ স্টেশানের সকল অনাথ দুস্থ বালকদের প্রতি-- 'ছিঁচকে চোর' প্রতিপন্ন করে মাঝে মাঝে ধরে বেঁধে অনাথাশ্রমে পাঠানোর মাঝে তার একমাত্র পরিতৃপ্তি। এহেন নিষ্ঠুর লোকটির মনে মাঝে মাঝে ফাগুন হাওয়া বয়ে যায় যখন সে স্টেশনের ফুলওয়ালীকে দেখে দৈনিক হাসিমুখে ফুলের পসরা সাজাতে। নিজের দৈহিক পঙ্গুত্ব তার মনটাকেও হয়ত পঙ্গু করে রাখে।তাই ভাললাগার কথা বলার সাহস আসে না মুখে। সেই অক্ষমতাই কি পোড়ায় তাকে নিরন্তর?
স্টেশানে ইন্সপেক্টর ছাড়া দ্বিতীয় নিষ্ঠুরতম লোকটি হলেন পুতুলের দোকানের মালিক (অসামান্য বেন কিংস্লে ছবিটিতে আরো একবার প্রমান করেছেন কেন তিনি এই পৃথিবীতে হেঁটে-চলে বেড়ানো অভিনেতাদের মাঝে শীর্ষতম)। চুরি করতে গিয়ে তাঁর কাছে ধরা খেয়ে আমাদের হুগো হারায় তার সকল আশার চাবিকাঠিটি---তার বাবার রেখে যাওয়া নোটবই! এই নোটবইটি দেখে দেখে হুগো তার কলের মানুষটিকে ঠিক করত। এখন বইটি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় হুগোর ছোট্ট পৃথিবীটা মুহূর্তের মাঝে ধুলিস্ম্যাৎ হয়ে পড়ে। হুগোর চোখের জল, অনুনয়-বিনয় কোনকিছুই সেই পুতুলের দোকানের মালিকের মনটা ভেজায় না। বরং পরের দিন বুক-ভাঙ্গা হুগোর সামনে এনে রাখেন কিছু পোড়া ছাই---তার নোটবইয়ের পোড়া ছাই!!
কিন্তু পৃথিবী কেবল নিষ্ঠুর মানুষের সরাইখানা নয়-- ভগ্ন-মনোরথ হুগোর আত্মিক এবং স্বাপ্নিক বিপর্যয়ের মুখে পরিচয় হয় তারই কাছাকাছি বয়েসের একটি মেয়ের সাথে। হুগোর সাথে তার ভীষন তফাত। সে হুগোর মতন একলা নয়, বিষন্ন নয়, মলিন নয়। হুগোর মত কেবল একটা ভাঙ্গা কলের মানুষ ঠিক করার স্বপ্ন তার চোখে নেই। বরং সে একটু এডভেঞ্চার প্রিয়। দুঃখী এই একাকী বালকটিকে সে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। বিনিময়ে তার চাওয়া শুধু এডভেঞ্চার। হুগো তাকে বিমুখ করে না। হাসি-খুশি বালিকা আর দুঃখী বালক এডভেঞ্চারে যায়---বিনা টিকিটে ছবি দেখতে! এই হাসিখুশি বালিকা আর কেউ নয়--আমাদের নিষ্ঠুর পুতুল দোকানের মালিকের পালিতা কণ্যা! তার কাছ থেকে হুগো জানতে পারে---দোকানের মালিক, যার নাম জর্জ ম্যাইলিস, তার নোটবইটি আসলে পোড়াননি! হুগোর বুকে আশা জেগে ওঠে। আশা আছে, আশা আছে এখনো! শুধু তাই নয়-- সে আরো আবিষ্কার করে ইসাবেল (হাসিখুশি মেয়েটি) একটা লকেট গলায় নিয়ে ঘুরে যেটা তার সেই ভাঙ্গা কলের মানুষটা ঠিক করার জন্যে অপরিহার্য্য এক চাবি! কিন্তু ইসাবেলের কাছে এমন চাবি আসল কী করে?!
রহস্যের পর রহস্য, আর তার ফাঁকে ফাঁকে আমাদের ছোট্ট হার-না-মানা বালক হিরোর স্বপ্ন-পূরণের সংগ্রাম চলতে থাকে। চলতে থাকে তার একলা বাঁচা, ইন্সপেকটরের তাড়া খেয়ে খেয়ে পালিয়ে বাঁচা। এরই ফাঁকে একসময় সে ইসাবেল-কে জানায়---নানান যন্ত্রপাতি ঘেঁটে ঘেঁটে তার মনে হয়েছে কোন যন্ত্রেই আসলে বাড়তি কোন কলকব্জা থাকেনা। সকল পুতুল, সকল ঘড়ি একেবারে প্রয়োজন-মাফিক পার্টস দিয়ে তৈরী। কোথাও কোন বাড়তি কিছু নেই। সকল কলের মাঝে, প্রতিটা পার্টস যত ছোটই হোকনা কেন, তার একটা দায় আছে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করার! এইসব ভেবে হুগোর মনে হয়েছে এই বিশ্বটা আসলে একটা বিশাল কল---আর সে এই বিশাল কলের একটা ছোট্ট অংশ। হতে পারে সে অনুল্লেখ্য--কিন্তু সে যেহেতু 'আছে', কাজেই তার একটা নির্দিষ্ট দায়িত্বও নিশ্চয়ই আছে! এখনো সে হয়ত জানেনা দায়িত্বটা কি --হতে পারে তার কাজ হল, স্টেশানের সকল ঘড়ির দম দেয়া, হতে পারে তার কাজ হল এই ভাঙ্গা কলের মানুষটিকে সারিয়ে তোলা। ছোট্ট মানুষের নিজের মত করে এই আপাত উদভ্রান্ত জীবনের মানে বের করার মুহূর্তটি এক কথায় অসামান্য!
ছবির কাহিনী যত এগুতে থাকে রহস্য আরো বাড়তে থাকে। আমরা জানতে পারি পুতুলের দোকানের মালিক আসলে কোন যে সে মানুষ নন। ইনি হচ্ছেন সেই বিখ্যাত জর্জ ম্যাইলিস যাকে সাই-ফাই চলচ্চিত্রের জন্মদাতা বলা হয়। চলচ্চিত্রের অনেক স্পেশাল-ইফেক্টের(stop trick, or substitution, multiple exposures, time-lapse photography) উদাগাতা হিসেবে 'সিনেম্যাজিশিয়ান' নামে খ্যাত এই লোকটি আসলে কোন কাল্পনিক চরিত্র নন। বরং ভীষনরকম বাস্তব এক ট্রাজিক চরিত্র। আর ঠিক এই জায়গায় এসে 'হুগো' হয়ে ওঠে জাদু-বাস্তবতার ছবি। বাস্তব এক ট্র্যাজিক চরিত্রের সাথে দেখা হয়ে যায় কল্পলোকের একাকী কিশোরের! ছবিটার বাকী অংশটুকু এই দুই জগতের অলৌকিক মেল-বন্ধনের গল্প। বাস্তবতা আর কল্পনা বার বার এসে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় আমাদের সামনে। হুগো'র সামনে এখন কেবল একটি ভাঙ্গা কলের মানুষ নয়---তার সামনে এখন আরেকটি ভাঙ্গা মানুষ। আমাদের ছোট্ট একাকী বালক তার সকল সাধ্যকে এক করতে চায় এক প্রায়-অসম্ভব একটি সাধ পূরণের জন্যে। সে ঠিক করতে চায় এই দুই ভাঙ্গা মানুষকেই!!
শেষ পর্যন্ত সে কি সফল হয়? নাকি ইন্সপেক্টরের হাতে ধরা পড়ে পৌঁছে যায় কোনো নাম-না-জানা অনাথাশ্রমে? কল্পনার বালক হিরো কি বাঁচাতে পারে বাস্তবের পরাজিত কোন ট্রাজিক হিরোকে?
মার্টি তার হাতের আস্তিনে লুকিয়ে রাখেন সকল প্রশ্নের উত্তর। ছবির শেষ পর্যন্ত টান-টান উত্তেজনা বজায় ছিল এমনটা বলা হয়ত যাবে না। তবে মার্টির সবচাইতে বড় সফলতা বোধকরি এইখানটায় ---এক হল ভর্তি বিভিন্ন বয়েসের মানুষকে এক সুতোয় বেঁধে রাখতে পেরেছিলেন। এই ছবি দেখে ফেরার সময় কল-কল করতে থাকা শিশুদের মুখ, আর তাদের হাত ধরে থাকা মায়ের 'চোখ মুছতে গিয়ে অপ্রস্তুত মুখ' দেখে বুঝতে পারলাম মার্টি সব বয়েসী মানুষের মনের কলকাঠি নাড়তে জানেন।
হুগো ছবিটি পরিচালনা করেছেন মার্টিন স্করসেইজি, আর চিত্রনাট্য লিখেছেন জন লোগান। 'The invention of Hugo Cabret' নামের ব্রায়ান সেলজনিকের চিত্রোপন্যাস (graphic novel) থেকে অনুসৃত এই ছবিটি রিলিজ করেছে প্যারামাউন্ট পিকচারস। ছবিটির দৈর্ঘ্য ২ ঘন্টা ৬ মিনিট।
মন্তব্য
হুগো আলোচনা সুন্দর হয়েছে, সময় করতে পারলে তাড়াতাড়ি দেখবো
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ রাব্বানী। ছবিটা দেখুন---আমি নিশ্চিত আপনার ভাল লাগবে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
চমতকার রিভিউ , ছবিটা দেখতে যাব এই সপ্তাহে।
ধন্যবাদ বস! তোমার 'ডেথ ইজ বিউটিফুল' লেখাটা আমি পড়েছি বস! এক কথায় অসাধারন!! এই ছবিটা পারলে দেইখ (সরি তুমি করে বলে ফেললাম....আশা করি রাগ করছ না!)
তুমি বলায় আরো ভালো লাগলো । আমি ছবির পোকা, কোনো ছবিই মিস দেই না, মার্টি, কোহেন ( নাকি কোয়েন) ভাই, নোলান, টারেন্টিনো এদের ছবি তো মিস করার প্রশ্নই আসে না।
বেশ সুন্দর রিভিউ। সহসাই দেখার ইচ্ছা আছে।
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
আমি ছবিটি কেবলমাত্র আপনার আসামান্য রিভিউটির জন্যই দেখব । খুব ভাল লাগল আপনার চিত্রালোচনা
পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ, দ্য রিডার। ছবিটা দেখুন--আপনার ভাল লাগবে আশা করি।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
দেখার ইচ্ছা জাগলো
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দেখে ফেলুন বস, আশা করি ভাল লাগবে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
দারুণ রিভিউ। ... স্কোরসেজের ছবি বলে কথা, দেখবো।
সুহাননননন......আমার প্রিয় গল্পকার!! অনেক ধন্যবাদ বস পড়ার জন্য!
ছবিটা দেখে ফেল--- আর নতুন গল্প কই?????
ভাল থেকো সকল সময়ে--
পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
বহুদিন পর আবারও অনবদ্য অনিকেতদা। কোথায় হারিয়ে যান?
কী খবর মিলু? আমি ঠিক করেছি, তোমার নতুন গান না আসা পর্যন্ত এইরকম মাঝে মাঝেই ডুব দেব--!
নতুন গান কবে দিচ্ছ??? ভাল আছো তো?
শুভেচ্ছা নিরন্তর
হা হা হা! ভাই, জীবনযুদ্ধের কঠিন দৌড়ে অনেক কিছুই আর আগের মত করা হয়ে উঠছে না। সারাদিনে সামান্য কিছু সময় শুধু সচলে আসার জন্য বের করতে পারি। আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
থিয়েটারে যেয়ে ছবি দেখা হয়না। তবে বউ টওয়াইলাইট দেখতে যেতে চায় - তাই আমি ভাবছিলাম ঐ সময়টায় আমি কোন সিনেমা দেখতে পারি। এখন ভাবছি হুগোই দেখব
হুগো নিশ্চিতভাবে বেটার চয়েস! দেখে ফেলো বস!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
দেখব খুব তাড়াতাড়ি!
facebook
পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ তারেক অণু!
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
'হুগো' আর 'টিনটিন' এক বসায় দেখব...খুব শিঘ্রি।
আপনার লেখাটা এক্কেবারে মনের মত হয়েছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ, উচ্ছলা!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
অনবদ্য রিভিউ! অবশ্যই দেখতে হবে।
অট: অনিকেত'দা, গানের পোষ্ট তাড়াতাড়ি চাই
love the life you live. live the life you love.
অনেক ধন্যবাদ পল। গানের কিছু একটা দেব খুব শিগগরি। তোমার গানের খবর কী?
সেদিন আইএমডিবি-তে অন্য কিছু খুঁজতে গিয়ে এই সিনেমার লিঙ্কটা চোখে পড়ল। তারপর দেখি এটা মার্টিন স্করসিজের সিনেমা! দেখার ইচ্ছা জাগলো তখনই। এখন ভালো প্রিন্টের অপেক্ষায় আছি। যাই হোক, আপনার রিভিউ পড়ে তো সিনেমাটা দেখার আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে। জানাবো পরে, কেমন লাগলো।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ বস। দেখে জানাইও কেমন লাগল।
দেখলাম। অসাধারণ! এত্ত সুন্দর সিনেমাটোগ্রাফি! মিউজিকও চমৎকার। সব মিলায়ে খুবই ভালো লাগলো সিনেমাটা।
খুব ভাল লাগল শুনে বস!
অসাধারণ ছবিটা, অনেকদিন পর মুগ্ধ হয়ে এই ছবিটা দেখলাম, ওয়াল-ঈ এর পরে এই ছবিটা গভীরভাবে দাগ কেটেছে, টানা ২৪ ঘন্টা দেখতে পারব এই ছবি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আসলেই তাই---
নতুন মন্তব্য করুন