অনেক সয়েছে রাতুল।
আজ একটা হেস্তনেস্ত না করলেই নয়।
ছোট বলে কি তার মান-ইজ্জত কিছু নেই নাকি? বিশেষ করে পাশের বাসার রাসেলের সামনেই কথাটা বলতে হবে কেন? এত বড় হয়েছে মা-টা, কিন্তু এইটুকু বুদ্ধি নেই? সেই কখন থেকে সে গাল ফুলিয়ে বসে আছে, একবার বলতেও আসলো না যে রাতুল সোনার মুখটা ভার কেন? এমন তো না যে পরের মা। একেবারে নিজের মা। সে-ও যদি এমন করে তাহলে আর রইল বাকী কী?
ছোট্ট একতলা ঘরের লম্বা বারান্দাটার যে কোনাটায় রাতুল বসে গজগজ করছে, সেইখানটায় দুপুরের রোদ এসে পৌছায়না তেমন। কিন্তু তিনটের পরেই এইখানে আর বসা যাবে না। কড়া রোদ এসে সব তাতিয়ে দিয়ে যাবে। এই বারান্দাটা রাতুলের খুব প্রিয়। সকাল বেলা বারান্দাটা এক রকম লাগে, দুপুর বেলা আরেক রকম। কোনো কোনো দিন যখন ঝুম বৃষ্টি নামে, আর তাদের টিনের চালে ঝমঝমিয়ে পানির ফোঁটা পড়তে থাকে তখন বারান্দাটায় কেমন একটা ভিজে ভিজে ওম আসে। বিকেলে খেলা শেষ করে ঘরে ফিরলে যখন দেখে বারান্দার শেষ মাথায় বাবা বসে পরীক্ষার খাতা দেখছে মন দিয়ে, তখন বারান্দাটা কেমন জানি বাবার মত গম্ভীর হয়ে থাকে। আর কারেন্ট চলে গেলে এই চেনা বারান্দাটাই কেমন জানি গা ছম ছমে লাগে। যত প্রিয়ই হোক---বারান্দার সাথে রাতুলের সম্পর্ক আজ শেষ। আজ বাসার সবকিছুর সাথে রাতুলের সম্পর্ক শেষ। রাতুল এই বাসায় আর থাকবেই না। যে বাসায় রাতুলের কদর নেই--সেখানে সে রইবে না।
আজই সেই দিন!
রাতুল ঠিক জানতো এমন একটা দিন আসতে যাচ্ছে তার জীবনে। নানুভাই গতবছর যখন লাল টুকটুকে সুটকেসটা কিনে দিয়েছিল তখন সে খুব খুশি হয়েছিল। নানুভাইকে অবশ্য মা বলছিল, শুধু শুধু এতগুলো টাকা খরচ করে ওর জন্যে সুটকেস কিনে আনতে গেলেন কেন? ওর তো অনেক গুলো ব্যাগ রয়েছেই। নানুভাই বরাবরের মত দরাজ গলায় হেসে বলেছিলেন, রাতুল সোনা তোমাদের উপর রাগ করে যখন আমাদের ওখানে থাকতে আসবে তখন এই সুটকেসে করে তার কাপড়-চোপড় নিয়ে আসবে। আর আমিও দূর থেকে সুটকেস দেখেই বুঝতে পারব রাতুল আসছে আমাদের বাড়ি। নানাভাইয়ের বুদ্ধি দেখে রাতুল খুব অবাক হয়েছিল। আর সুটকেসে করে কাপড় গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ার আইডিয়াটাও তার খুব মনে ধরেছিল। ভেবে রেখেছিল--মায়ের সাথে পরে যখনি কোন বড় ঝগড়া হবে, তখনি সে এই সুটকেসে সকল কিছু গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়বে। তবে রাতুল নিজেও কম চালাক নয়। সে জানে নানুভাইয়ের বাসায় গেলে ঠিক সন্ধ্যে বেলায় মা গিয়ে নিয়ে আসবে। এমন কোথাও যেতে হবে যেখানে মা খুঁজে পাবে না। বাবাও জানবে না।
সবচেয়ে ভাল হয় নিরুদ্দেশের দেশে যেতে পারলে। 'নিরুদ্দেশের দেশ' কথাটা প্রথমে শুনেছিল জামিল ভাইয়ের কাছে। জায়গাটা কোথায় জিজ্ঞেস করায় জামিল ভাই বলেছিল যে দেশের ঠিকানা জানা নেই সেইটা হল নিরুদ্দেশের দেশ। রাতুল তার নিজের বাসার ঠিকানা ভাল করে জানেনা---তার মানে কি তার বাসাটাও নিরুদ্দেশের দেশে? বড়দের বুদ্ধিশুদ্ধি নিয়ে রাতুলের মনে সংশয় আছে। জামিল ভাইকে আরো চেপে ধরায় তিনি বলেছিলেন--যেখানে গেলে তোকে কেউ খুঁজে পাবে না সেইটা হল নিরুদ্দেশের দেশ। রিক্সা করে বাবা-মার সাথে সে অনেক দূর বেড়াতে গেছে। ট্রেনে করে গেছে চিটাগং (ট্রেন চড়তে তার খুব ভাল লাগে) আর ঢাকা। নাহ, ওসব জায়গায় যাওয়া যাবে না। ওখানে অনেক লোক তাদের চেনে। এমন কোথাও যেতে হবে যেখানে বাবা-মা কেউই যায় নি। সেইরকম একটা জায়গা নিরুদ্দেশের দেশ হতে পারে।
এইসব চিন্তা করতে করতে রাতুলের কেমন যেন একটু খিদে-খিদে পেয়ে যায়। রাতুল দুপুরের খাবার খেয়েছে সেই কখন। অন্যসময় হলে মায়ের কাছে গিয়ে বললেই ফ্রিজ থেকে নাহয় উঁচু আলমারির তাকের থেকে কিছু একটা নামিয়ে খেতে দিত। কিন্তু আজ মায়ের সাথে কথা নেই। আজ রাতুল খুব রাগ করেছে। মাকে আজ সে উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়বে। এইসব ভাবতে ভাবতে রাতুল একবার আড়চোখে তাকিয়ে দেখল মা কী করছে। মা বারান্দায় ইজি চেয়ারটায় দিব্যি পা ঝুলিয়ে দিয়ে গুনগুন করে কি জানি পড়ছে। এইটে দেখে রাতুলের কেন জানি খুব রাগ হল। একটা ছোট ছেলে---তাও নিজের ছেলে-- রাগ করে কখন থেকে বারান্দার কোনায় বসে আছে---একবার রাগ ভাঙ্গাতেও আসল না, একবার জিজ্ঞেস করতেও আসল না? নাহ, এইটা তার নিজের মা হতেই পারে না। হয়ত আপুর কথাটাই সত্যি---ওকে আসলেই হয়ত ওরা ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পেয়েছে!
নাহ, রাতুল যতবার ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছে ততবার তার ছোট্ট মাথাটা গরম হয়ে যাচ্ছে। আর দেরী করা যায় না। আরেকটু পরেই আপু ফিরবে স্কুল থেকে আর তার আধা ঘন্টা পরেই ফিরবে বাবা । এরা আসার আগেই তাকে বেরিয়ে পড়তে হবে। বেরিয়ে পড়তে হবে নিরুদ্দেশ-যাত্রায়। তড়াক করে রাতুল উঠে পড়ে। মায়ের সামনে দিয়ে গট গট করে হেঁটে চলে যায় তার নিজের ঘরে। তার খাটের নীচে যেখানে কার্পেটটা শেষ হয়েছে--সেইখান থেকে অন্ধকারের শুরু। দিনের বেলাতেও মাঝে মাঝে খাটের নীচে তাকাতে তার ভয় লাগে। আজ অবশ্য ভয় পেলে চলবে না। তার লাল সুটকেসটা যে ওইখানেই রাখা। চোখ বন্ধ করে হাতড়ে হাতড়ে সুটকেসটা শেষ পর্যন্ত পেয়ে যায় রাতুল। বাইরে বের করে এনে দেখল সুটকেসের ওপরে বেশ ঝুল জমেছে। হঠাৎ করেই দুষ্টু বুদ্ধি খেলে যায় তার মাথায়। চেয়ারের ওপরে রাখা আপুর তোয়ালেটা দিয়ে ভাল করে তার ধুলোমাখা সুটকেসটা সাফ করে। আপু বাসায় ফিরে নোংরা তোয়ালে দেখে কী চেঁচামেচিটাই না করবে---আর এইটা যে রাতুলের কাজ সেটা বুঝতে ওর দেরী হবার কথা নয়---কিন্তু রাতুলকে ওরা পাচ্ছে কোথায়? আর কিছুখনের মাঝেই রাতুল হাওয়া! এইটে ভেবে রাতুল নিজে নিজেই বেশ খানিকটা মিটিমিটিয়ে হেসে নিল।
কিন্তু তার আর দেরী করলে চলবে না। আপু আর বাবা আসার আগেই তাকে বেরিয়ে পড়তে হবে। নিরুদ্দেশের দেশে যেতে হলে ঠিক কী কী নেয়া লাগে---রাতুলের ঠিক জানা নেই। রাতুল আলনাতে রাখা তার কাপড় থেকে পছন্দের নীল গেঞ্জিটা নিল। গত ঈদে যে পাঞ্জাবীটা পেয়েছিল ঐটাও নেয়া যেত---কিন্তু সেটা আলমিরাতে। আর আলমিরার চাবি মায়ের কাছে। মায়ের কথা মনে পড়তেই রাতুল ছোট্ট মুখটা শক্ত হয়ে আসে। দরকার নেই তার পাঞ্জাবীর। তার বদলে সে স্পাইডারম্যানের গেঞ্জিটা বরং নিয়ে নেবে। দুটো গেঞ্জি আর দুটো প্যান্ট ভরতেই সুটকেসটা কেমন যেন ভরে উঠল। আর কি নেয়া যায়? গতমাসে বাবা কিনে দিয়েছিল রুশ দেশের রূপকথা। রোজ রাতে ঘুমুবার আগে একটা করে গল্প পড়ে শোনায়। কী যে সুন্দর সুন্দর গল্প--মারুশকা, ইভাঙ্কা আর আরো কত কত অদ্ভূত নাম। সব তার মনেও থাকে না। রাতুল এখনো বানান করে পড়তে পারে না। তাই গল্প শোনার জন্যে বাবা-মা আর আপুই ভরসা। দুপুর বেলা আপু গল্প শোনায়---আর আপুর সাথে ঝগড়া হলে মা। কিন্তু রোজ রাতে বাবা তাকে গল্প শোনায়। বিছানায় বাবার কোলে গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকে রাতুল। বাবা গমগমে গলায় কিন্তু খুব মজা করে গল্প বলে। মাঝে মাঝে মা এসে যোগ দেয় তাদের সাথে। মজার জায়গাগুলোতে মা খিলখিল করে হাসে--বাবাকে বলে আবার জায়গাগুলো পড়তে--এইসব শুনতে শুনতে কখন যে রাতুল ঘুমের দেশে হারিয়ে যায়, মনেই থাকে না। রাতের গল্প শোনার কথা মনে করে রাতুলের মনটা একটু খারাপ হল। নিরুদ্দেশের দেশে গেলে নিশ্চয়ই কেউ তাকে গল্প বলে শোনাবে না। তা তে কী, রাতুল নিজেই একদিন পড়া শিখে নেবে। তার ক্লাসের মিস বলেছেন, রাতুল খুব 'ইন্টেলজেন্ট'---তার মানে হল, সে খুব শিগগীর গল্পের বই পড়া শিখে যাবে। রাতুল বইটা সুটকেসে ভরে নিল। নিরুদ্দেশের দেশে গেলে খেলনা পাবে কি না সেই নিয়ে রাতুল খানিক চিন্তা করল। খেলনা না পাবারই কথা। সাতপাঁচ ভেবে জন্মদিনে পাওয়া বাজনা-ওয়ালা ঘড়িটাই নিল--যেটাতে দম দিলে নানান আলো জল্বতে থাকে, নানান গানের সুর বেরুতে থাকে কিন্তু সময় নাকি সবসময় একই দেখায়। রাতুল এখনো সময় দেখতে জানেনা। জামিল ভাই তার ঘড়ি দেখে খুব হেসেছিল--বলছিল, ভাল ঘড়ি পেয়েছিস রে, দিনে অন্তত দুইবার ঠিক সময় দেবে। সেইটা শুনে বাকিদের সে কী হাসি! রাতুল কিছুতেই বুঝে উঠতে পারল না এতে এত হাসির কী হল।
সুটকেসটা গুছিয়ে নিয়ে ঘর থেকে বেরুবার আগেই মনে পড়ল মায়ের কথা---বাইরে যাবার আগে চুল আঁচড়িয়ে বেরুতে হয়। চট করে সুটকেস নামিয়ে রেখে সে দৌড় দিল বাবা-মায়ের ঘরে। ড্রেসিং টেবিল্টার সামনে দাঁড়িয়ে চিরুণি দিয়ে মাথার সিথি ঠিক করতে গিয়েই মনে পড়ল---সে তো মায়ের উপর রাগ করেই বেরিয়ে যাচ্ছে। চুল আঁচড়ানোর কী দরকার। বাম হাত দিয়ে ইচ্ছেমত চুলগুলো এলোমেলো করে দিল রাতুল। সবচেয়ে কঠিন কাজটা অবশ্য এখনো বাকী। জুতো পরতে হবে। ফিতে বাঁধাটা বড় কষ্টের। বাবা সবসময় বেঁধে দেয়। থাক, সে স্যান্ডেল পরেই যাবে।
সুটকেস হাতে বারান্দায় এসে মায়ের দিকে তাকিয়ে রাতুল পরিষ্কার গলায় বলল, মা, আমি যাচ্ছি। মা পত্রিকা থেকে চোখ সরিয়ে ওকে এক নজর দেখল। মনে হল একটু মুখ টিপে হাসলও বোধ হয়। রাতুল প্রায় হতভম্ব হয়ে গেল। সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে চিরদিনের জন্য---আর তার মা কি না হাসছে। রাগের চোটে কেন জানি তার চোখে পানি চলে এল। কিন্তু মা নির্বিকার।
-কই যাচ্ছিস?
-বলব না।
-সুটকেসে কী?
-বলব না।
এইবার মা ফিক করে হেসে ফেলল। রাগের মাঝেও রাতুলের মনে হল--তার মায়ের হাসিটা খুব সুন্দর। পরক্ষণেই মনে হল, এইটা তার নিজের মা নাও হতে পারে। নিজের মা হলে কি কেউ এমন করে?
-কবে ফিরবি?
-ফিরব না।
-আচ্ছা যা।
রাতুল দ্বিতীয়বারের মত হতভম্ব হল। রাগ চলে গিয়ে বুকের মাঝে কেমন জানি একটা কিছু দলা পাকিয়ে উঠছে। রাতুল আর অপেক্ষা না করে সুটকেস হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।
রাতুলদের বাসার গেট সবুজ রঙের। বাবা কলেজ থেকে ফিরে গেট খোলার আগে সবসময় খুক খুক করে কাশবে। ঐটা শুনলেই সে বুঝতে পারে বাবা এসেছে। আজ গেটটা খুলে বাইরে বেরিয়ে দেখল সামনের রাস্তা টা একেবারে খাঁ খাঁ করছে। এম্নিতেও রাস্তাটা সবসময়েই ফাঁকা থাকে। কেবল সকাল বেলা আর বিকেল বেলায় মাঝে মধ্যে দুয়েকটা রিক্সা আসে পথ ভুলে। রিক্সা ধরতে হলে তাদের হেটে অনেকদূরে গিয়ে মূল রাস্তায় উঠতে হয়। অথবা কাউকে পাঠাতে হয় সেখানে রিক্সা নিয়ে আসার জন্যে। মাথায় অলস দুপুরের রোদ আর দুই চোখে টইটম্বুর জল নিয়ে রাতুল ভাবছে নিরুদ্দেশের দেশে কিভাবে যাবে। শার্টের ছোট্ট হাতায় জল মুছেছে দু' একবার। কেন জানি কিছুতেই কান্না থামাতে পারছে না।
রাতুল অপেক্ষা করছে একটা রিক্সার---যে তাকে নিরুদ্দেশের দেশে নিয়ে যাবে।
--কী রে রাটলু, তুই বাইরে দাঁড়িয়ে কি করিস?
রাতুল চমকে তাকিয়ে দেখে সত্যি একটা রিক্সা থেমেছে তার কাছে, আর সেটা থেকে নামছে তার আপু আর বাবা। তার আপু দৌড়ে এসে তাকে কোলে তুলে নিতেই রাতুলের সব বাঁধ ভাঙ্গল। ভেউ ভেউ করে কেঁদে ওঠে রাতুল। তার বোন গলা তুলে ডাকতে থাকে, ও মা, দেখে যাও তুমি, রাটলু-টা সুটকেস-টুটকেস নিয়ে কোথায় জানি যাচ্ছে---ও মা-আ-আ-আ-আ-আ, শুন-ছো-ও-ও-ও
বোনের কথা শেষ হবার আগেই রাতুল টের পায় দুটো শক্ত হাত তাকে বুকের মাঝে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। চোখের জলে সব ঝাপসা হয়ে আছে রাতুলের কাছে--তবু ঠিক টের পায় এ হাত দুটো বাবার। একদম বুকের কাছে নিয়ে বাবা বলে, বাবাই-সোনা, আমাকে না বলেই চলে যাচ্ছ তুমি? কোথায় যাচ্ছ তুমি? রাতুল কিছুই বলতে পারে না --হু হু করে কাঁদতে থাকে আর ঠিক এমনি সময় কোথা থেকে জানি মা এসে চুমোয় চুমোয় তার গাল ভরিয়ে দেয়---বলতে থাকে, ইসস তুই চাইলেই তোকে যেতে দেব বুঝি? এক হাতে চোখ মুছে রাতুল দেখে তার একটু-আগেও-দেখা-হাসি-খুশি মা-টার চোখে জল। সবাই মিলে হৈ হৈ করতে করতে রাতুলকে নিয়ে ঘরে যেতে থাকে।
রাতুল মনে মনে নিরুদ্দেশে যাওয়াটা আরো কিছুদিনের জন্যে পিছিয়ে দেয়।
মন্তব্য
পুরো গল্পটা পড়তে পড়তে ভয় পাচ্ছিলাম শেষ টা না অন্য রকম হয়ে যায়। আজ মনটাই খারাপ। অন্য রকম হলে ছোট্ট রাতুলের মতো আমার চোখেও জল চলে আসত
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ অনিন্দিতা।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
চোখে জল আসল তো
-লাবণ্যপ্রভা
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ লাবণ্যপ্রভা।
ভাল থাকুন সকল সময়ে--
অনেক অনেক সুন্দর রে ভাই...
কড়িকাঠুরে
অনেক অনেক ধন্যবাদ রে ভাই কড়িকাঠুরে
শুভেচ্ছা নিরন্তর
বাহ্! ভালো লেগেছে গল্পটা।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সুমিমা
ভাল থাকুন সকল সময়ে---
বাহ খুব সুন্দর হয়েছে।
-----
তমাল
অশেষ ধন্যবাদ তমাল
শুভেচ্ছা জানবেন।
ভাল লিখেছেন। মনে করেছিলাম শেষমেশ চলেই জায় কিনা? ভালো লাগলো।
অমি_বন্যা
অনিকেত'দা দারুন লাগল পড়ে। লিখুন না মাঝে মাঝে এমন গল্প।
আর একটা কথা সুমনের একটা গান রেকর্ড করার আবদার রইলো।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ বস, আর আবদারের কথা মাথায় রইল বস।
অনেক অনেক ভাল থাকো--
ছোটকালে আমিও এইরকম বাগ নিয়ে নিরুদ্দেশ যাত্রা করসিলাম|বলাবাহুল্য সফল হই নাই|
আতাহার
হে হে হে ---আমিও করেছিলাম---
সেটা নিয়েই গল্প
ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
শুভেচ্ছা অহর্নিশ
মায়া মায়া মানুষের মায়া মায়া গল্প...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথী----ভাল থাকিস সকল সময়ে---
খুব ভালো অনিকেত।
কিন্তু আপু আর বাবা একসঙ্গে ফিরলো কেন?
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে রিটন ভাই।
আপুকে মনে হয় স্কুল থেকে নিয়ে বাবা সেদিন একসাথে ফিরেছিল। ভাগ্যিস একসাথে ফিরেছিল--হে হে হে
শুভেচ্ছা জানবেন ---
ভাগ্যিস একসাথে ফিরেছিলো!
ছোটদের এরকম মনস্তত্ত্ব এবং বাড়ি ছাড়ার প্ল্যান নিয়ে আমার একটা ছড়া আছে। তোমাকে পাঠিয়ে দেবো তারেক অনিকেত।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
নিশ্চয়ই রিটন ভাই----অপেক্ষায় রইলাম!
খুব শান্তি পেলাম।
অনেক ধন্যবাদ অমিতাভ
শুভেচ্ছা নিরন্তর
চোখ ভিজিয়ে দিলেন অনিকেত দা।
এরকম চোখ আরেকবার ভিজে উঠেছিল ভেরা পানোভার 'পিতা পুত্র' পড়ে।
আরো বেশি বেশি ছোটদের গল্প লিখুন না দাদা !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পড়ার জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা কীর্তি
পরামর্শটা মাথায় রাখলাম বস।
তোমার কাছ থেকেও গল্প চাইইইই-----
তুমি ভাল থেকো, সকল সময়ে
এইরকম আমিও একবার চলে যাচ্ছিলাম। হেহেহেহে
কি কমু, খালি বলতো আমাকে নাকি বাড়ির পাশের শিশু হাসপাতাল থেকে কুড়ায়া নিয়া আসছে। আর আমি বিশ্বাস করবোই বা না কেনো? আমাদের গুষ্টির সবাই হলো ফর্সা, চিকন (আর বোকা!) আর আমি ছিলাম কালো, মোটা (আর বুদ্ধিমান!)।
এখনো মাঝে মাঝে মনে হয় আমি আসলেই অ্যাডপটেড।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমরা সবাই মনে হয় কোন একটা সময়ে এই Phase এর মধ্যে দিয়ে যাই।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ওডিন----
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
আমি নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া যেখান খেকে শুধু গল্পে, ভেবেছিলাম শেষে রাতুলকে হয়েতো না ফেরার দেশে পাঠাবেন। ভাগ্যিস খুন করেন নি।
ভালো লাগলো। আমি হলে হয়তো বা শেষটায় সত্যি সত্যি নিরুদ্দেশ করতাম , যেখান থেকে কেই ফেরে না।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ক্রেসিডা।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
এরকম সমাপ্তিই আমার ভাল্লাগে
অনেক ধন্যবাদ পিপিদা
ভাল থাকুন সকল সময়ে---
বেশ মায়া মায়া লাগলো লেখাটা পড়ে। ভালো হয়েছে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ অরফিয়াস!
শুভেচ্ছা জানবেন---
চমৎকার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
শুভেচ্ছা নিরন্তর
চমৎকার গল্প, এরকম আরো লিখুন
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ইয়াসির
শুভেচ্ছা নিরন্তর
ভালৈছে।
অশেষ ধন্যবাদ নিঃসঙ্গ গ্রহচারী
শুভেচ্ছা জানবেন
পুরো চোখের সামনে ফুটে উঠতে দেখলাম অনিকেতদা।
দারুণ লাগল।
আর হ্যাঁ তাপসদার দাবীতে আমিও সমর্থন জানালাম।
অনেক দিন হল গান শোনাচ্ছেন না কিন্তু।
অনেক ধন্যবাদ প্রদীপ্ত'দা
গান নিয়ে শিগগীরি আসছি।
শুভেচ্ছা অহর্নিশ
চমৎকার লাগলো।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ মানিক'দা
ভাল থাকুন সকল সময়ে---
লগ ইন করতে বাধ্য হলাম!
আমি বেশ কয়েকবার এইরকম করেছিলাম বলে শুনেছি। দুই একটা মনেও আছে। মা'য়ের সাথে রাগ করে নিরুদ্দেশ যাত্রা অথবা বাবার কাছে চলে যাওয়ার চেষ্টা (বাবা ঢাকায় থাকতেন, আমি মা-দাদু-ঠাকুমার সাথে গ্রামে)। ঢাকায় আসার পরও একবার মনে দুঃখে চলে গিয়েছিলাম! শৈশবের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে দিলে কী প্রাঞ্জল ভাবে। অনেক ধন্যবাদ!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
পড়ার জন্যে আর এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ স্বপ্নহারা
শুভেচ্ছা নিরন্তর
সব গল্পের শেষটায় শুধুই আনন্দ থাকুক
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
তাই যেন হয়, সকল সময়---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
ছোটবেলায় কতবার ভেবেছি এভাবে চলে যাবো, নয় একবারে মরেই যাবো। একবার তো ইঁদুর মারার টোপই খেয়ে ফেলতে চেয়েছি অভিমান করে।কিসব দিন ছিল সেগুলা।আপ্নার লেখায় নিজেকে ও দেখতে পেলাম যেন ভাইয়া।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বন্দনা
ভাল থাকুন সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে--
ভী
খুবই খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ তারিক হামিদ
শুভেচ্ছা নিরন্তর--
কী মিষ্টি একটা গল্প!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কি সুন্দর গল্প লিখেছিলে তুমি অনিকেত! খুব ভাল লাগল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বাহ, দারুন গল্প
[সত্যপীর এই গল্পডা ক্যাম্নে লেখত ভাবতেছি ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন