আগের পর্বে আমরা জেনেছি মৌলিক কণাদের বিষয়ে। আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও জেনেছি সেই সাথে। যেমন, এই দুনিয়াদারীর সকল কণা সমুহকে দুইটা ভাগে ভাগ করা যায়-ফার্মিওন আর বোসন। আমরা জেনেছি ফার্মিওন নাম রাখা হয়েছে এনরিকো ইগলেসিয়াস থুক্কু, ফার্মির নামে আর বোসন নামটা এসেছে এই বাংলার ছেলে সত্যেন বোসের নামে যিনি কিনা অনেক দিন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়িয়ে গেছেন। একটা জিনিস গত পর্বে বলা হয় নি সেইটা হল কী কারণে ফার্মিওন আর বোসন আলাদা। সেইটে জানাটা তেমন জরুরি নয় তবে পোলাও এর সাথে স্যালাদ মনে করে খেয়ে নিন।
ফার্মিওনদের স্বভাব হল 'পীর' দের মত! পীরবাবাজীদের মত তারা কখনোই এক ঘরে দুইজন থাকতে পছন্দ করেন না--সব সময়ে বলেই চলেছেন-- ক্যা, এক ঘর মে দো পীর? কভি নেহি! আমাদের এত লক্ষ্মী শান্ত সুবোধ ইলেক্ট্রন তলে তলে কিন্তু 'পীরমিওন' থুক্কু, ফার্মিওন। কাজেই এক ঘরে দুই ইলেক্ট্রন রাখা অসম্ভব। বোসনদের এত দেমাক নেই। তারা সবাই মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করে। বোসনদের কথা হল--যদি হয় সুজন, তবে তেতুল পাতায় ন'জন! বোসনদের এই সবাই মিলে ঘোঁট পাকিয়ে থাকার 'সু-অভ্যাস' অনেক অদ্ভুতুড়ে ঘটনার জন্ম দেয়। যেমন মনে করুন হিলিয়াম। হিলিয়াম পরমানু হল গিয়ে আপনার একটা বোসন। তো, তাকে যখন ঠান্ডা করা শুরু করা হয় তখন -২৭১ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে গিয়ে এই 'তরল' (কোথায় জমে বরফ হবে, তা না, হিলিয়াম তখন হয়েছে তরল!) হিলিয়াম পরিনত হয় সুপার তরলে (Superfluid)--যে কোন পাত্রেই রাখা হোক না কেন তাকে আটকে রাখার উপায় নেই। সে সকল বাঁধা ছিন্ন করে বেরিয়ে আসবে। শুধু কি তাই, আমরা গত পর্বে জেনেছি আলো কণিকাদের নাম হল ফোটন, সেই ফোটন ও দেখা যায় মাঝে মাঝে জোট বাঁধে, একাট্টা হয়--তখনই জন্ম হয় লেজার (LASER) রশ্মির। কে না জানে লেজার রশ্মি কী ভীষন একমুখীন। টর্চের আলো থেকে যেমন আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে লেজারের বেলায় কিন্তু তা নয়---তারা সবাই এক রেখা বরাবর চলে।
কাজেই বুঝতে পারছেন বোসনদের ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা। আমাদের হিগস বোসনও তাই 'স্পেশাল'---আসলে খুব বেশিই 'স্পেশাল'।
চলুন জেনে নেয়া যাক--
হিগস বোসন কেন এত ভনভন করে আমাদের মনটন উচাটন করে দিচ্ছে সেটা বুঝতে হলে, আমাদের আরো অল্প কিছু গল্প শুনে নিতে হবে। এই গল্প গুলো পুরাণের কাহিনীর মত অনেকটা। দেবতার মত চরিত্র আছে, ময়দানবেরা আছে। আছে মিলন-বিরহ, সেন্টিমেন্টাল মেন্টালিটি, 'সামাজিক একশন'---কী চাই আপনার? সবই পাবেন এতে।
গল্প শুরু করব আমরা---ধানের ক্ষেত থেকে। বাংলাদেশের মানুষ হয়ে কেউ যদি বলেন যে উনি ধানের ক্ষেত জীবনে দেখেন নি, তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া দরকার। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যগুলোর মাঝে একটা হল ধানের ক্ষেতের উপরে যখন বাতাস বয়ে যায়---সাধে কী আর ডি এল রায় লিখেছেনঃ
এমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে
ধানের ক্ষেতের ঢেঊ দেখলে খেয়াল করবেন যেন সবুজের এক হিল্লোল বয়ে যাচ্ছে প্রান্তর জুড়ে। একটু আগেই নিথর হয়ে থাকা সবুজের ক্ষেত্রটি যেন হঠাৎ প্রান খুঁজে পেয়েছে! এই যে সবুজের নয়ন-মনোহর ঢেউ, যদি প্রশ্ন করি এই ঢেউটি কিসের? উত্তরটা হবে ধানের। ধানগাছগুলো বাতাসের দোলা পেয়ে তাদের মাথা নাড়ছে---সেইটে দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ঢেউ। একই জিনিস দেখবেন পুকুরের মাঝে। ঝপাৎ করে একটা ঢিল ছুঁড়ুন পুকুরে--দেখবেন কী চমৎকার ঢেউ উঠেছে জলে। যদি আরো একটু মজা দেখতে চান তবে ঢিল ছোঁড়ার আগে পানিতে কিছু সাদা কাগজ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিন। এরপর ছুঁড়ুন ঢিল। দেখবেন কাগজের টুকরো গুলো কিন্তু যার যার জায়গায় ঠিকই বসে আছে কিন্তু ঢেউটা ধীরে ধীরে পুকুরের মাঝখান থেকে ছড়াতে ছড়াতে এসে তীরে পৌঁছেছে। এইটা থেকে একটা ভীষন জরুরি জিনিস আপনি জেনে গেলেন। ঢেউ তৈরী করতে হলে জলের কণাগুলোকে আসলে কেবল উঁচু-নীচু হয়ে দুললেই চলে---তাদেরকে ঢেউ পুকুরের পারে 'বয়ে নিয়ে' আসতে হয় না। অর্থাৎ কিনা আপনি টের হয়ত পাননি আপনি একটা মহা জটিল জিনিস এর মাঝেই জেনে ফেলেছেনঃ
ধানের ক্ষেতের ঢেউয়ের পেছনে যেমন আছে ধানগাছ, ঠিক তেমনি হিগস ক্ষেত্রের মাঝে কিছু তৈরী হলে সেটার পেছনে আছে হিগস বোসন!
জানি, জানি আপনারা অনেকেই তেড়ে-ফুড়ে উঠেছেন--হিগস ক্ষেত্র আবার কী জিনিস বে?
হে হে হে , এতক্ষনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে--
গতপর্বে আপনারা জেনেছেন যে মৌলিক কণারা আসলে ১২ টি। এই ১২টি কণার মাঝের ঝগড়া-ঝাঁটি, মিলন-বিরহ ব্যাখ্যা করার জন্যে বিজ্ঞানীরা একটা মডেল তৈরী করেছেন। মডেলের নাম আদর্শ মডেল বা স্ট্যান্ডার্ড মডেল (Standard Model)। নামে স্ট্যান্ডার্ড হলেও আসলে ব্যাপক ঝামেলা আছে এই মডেলে। পদার্থবিজ্ঞানীরা খুব বেশি খুশি না এইটে নিয়ে। তবে কি না এখন পর্যন্ত এই মডেলটা বেশ কিছু ভবিষ্যতবানী করেছে যেগুলো মিলে গেছে সুন্দর। এর চেয়ে 'সুন্দর' মডেল আরো আছে (দড়ি,থুক্কু স্ট্রিং থিওরীর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন)--তবে এর মত এতটা সফল ভবিষ্যতবানী করতে পারে নি আর কেউ। দুধ দেয়া গরু লাথি মারলেও সয়ে নিতে হয়--সেইটা জেনে নিয়ে পদার্থবিজ্ঞানীরা তেমন আর উচ্চবাচ্চ্য করেন না। স্ট্যান্ডার্ড মডেল দেখতে কেমন সেটার একটা আন্দাজ পাবেন নীচের ছবিটা দেখলেঃ
স্ট্যান্ডার্ড মডেলের জয়জয়কার শুরু হয়েছিল সত্তুরের দশকে এবং শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে এখনো জোরে শোরেই সে এগিয়ে চলেছে। তবে এত যার সাফল্য, তার কী আর দুয়েকটা ব্যর্থতা নেই? নেই আবার? বিশা-আ-আ-আল ব্যর্থতা রয়েছে! আর সেই জন্যেই ব্যাটা এখনো 'মডেল' হয়ে রয়েছে---'থিওরী' হয়ে উঠতে পারেনি। ব্যর্থতাটা কী? আসলে বেশ ক'টি 'ঝামেলা' আছে, যেমন আগেই বলেছিলাম। একে তো দেখতে সুন্দর নয় খুব (আমরা পদার্থবিজ্ঞানীরা আবার খুব সুন্দরের পূজারী, একটা থিওরী, কী ফর্মুলা দেখতে সুন্দর বা ইংরাজী কেতা ধার করে নিয়ে বললে, 'Elegant' না হলে আমাদের খুঁতখুঁতুনি থেকে যায়)। সৌন্দর্য্যের কথা যদি বাদও দিই, উপরের ছবিতে যেমন দেখেছেন, ১৮টা পরামিতি বা 'প্যারামিটার' আছে ওতে (কী? জ্বর আসছে বুঝি? থার্মোমিটার লাগবে??) যেগুলো কিছু সুনির্দিষ্ট মান বহন করে। প্রশ্ন হল এই মান গুলো নির্দিষ্ট হল কেমন করে? আমাদের আদর্শ মডেল একেবারে আদর্শ উত্তর দেয় এইসব ক্ষেত্রে---'জানিনা'! এসবের চাইতেও সবচেয়ে বড় আরো একটা ঘাপলা রয়েছে এই মডেল নিয়ে। আর এই ঘাপলার শুরু একেবারে শুরুতে--বিগ ব্যাং এর সময়ে!
একেবারে শুরুতে আপনিও ছিলেন না, আমিও ছিলাম না, পিটার হিগসও ছিলেন না। 'মহান দুড়ুম' অর্থাৎ বিগ ব্যাং এর পর পরই ছিল কেবল শক্তি আর শক্তি। এখনকার মত ছিলনা কোন ছায়াপথ, নক্ষত্র-মন্ডলী, সূর্য বা গ্রহ-উপগ্রহ। সেই বিপুল শক্তিপুঞ্জ তখন ছড়িয়ে পড়ছে চতুর্দিকে আলোর বেগে। ঠিকই 'তখনই' (এই 'তখনই'-টা আসলে হলো মহান দুড়ুমের এক পিকোসেকেন্ড পর--বুঝলেন না? মহান দুড়ুমের এক ট্রিলিয়ন ভাগের এক সেকেন্ড পর!!) একটা অদ্ভূত ঘটনা ঘটল! হঠাৎ করেই শক্তিপুঞ্জের ভেতর থেকে বস্তু কণা তৈরী হতে শুরু করল। শক্তির গর্ভে যেন জন্ম নিল বস্তু। ধীরে ধীরে আমাদের চেনা মৌলিক কণাগুলো তৈরী হলঃ ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন। তৈরী হতে লাগল আমাদের চেনা গ্যাসগুলো। তারও বিলিয়ন বছর (কারো কারো হিসেব মতে ১৩.৭ বিলিয়ন বছর) পরে আমি ল্যাপটপে এইসব নিয়ে বকবকানি শুরু করলাম। বিজ্ঞানীরা আজ বলেন যে ঐ মহান দুড়ুমের এক পিকো-সেকেন্ড পরে একটা শক্তির ক্ষেত্র তৈরী হয়েছিল---যার নাম হিগস ক্ষেত্র। এই সর্বব্যপী ক্ষেত্র-টির একটা অদ্ভূত ধর্ম আছে। এই ক্ষেত্রটি জন্ম নেবার আগে ছিল কেবল শক্তি-কণা--খানিকটা আমাদের চেনা আলোর কণা ফোটনের মত। ফোটনের মতই তারা ছিল বন্ধন-হীন, সংসার-হীন, ভর-হীন, ওজন হীন! আর তাই তারা সবাই ছুটছিল ফোটনের মতই আলোর বেগে। কিন্তু যেই আমাদের হিগস ক্ষেত্র জন্ম নিল সাথে সাথে ঐ কণা গুলো যেন পাকা রাস্তা থেকে এক হাঁটু কাদা-জলে গিয়ে পড়ল। স্বভাবতই এদের বাঁধন-হারা দৌড়োদৌড়ির দিন শেষ হয়ে এল। কাঁদা-মাটি ভেঙে দৌড়ুতে গিয়ে অনেকে হোঁচট খেয়ে (কখনো এক হাঁটু কাঁদা পানিতে দৌড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকলে বুঝবেন আমি কি বলছি) সারা গায়ে কাঁদা-টাদা মেখে একসা!! যাদের গায়ে খুব কাদা লাগল তারা হল 'ওজন-দার' কণা (Massive Particles) আর কেউ কেউ ভাগ্যবানের মত এইসব কাদাজল এড়িয়ে যেতে পেরেছিল--তারা রয়ে গেল আগের মতই ভরহীন, ওজন-হীন!! এমনি একজন আমাদের পরিচিত আলোর কণা ফোটন। বাকীরা হিগস ক্ষেত্রের কাঁদা গায়ে মেখে দাদা বনে গেলেন--এদের কেউ হলেন কোয়ার্ক, সেখান থেকে হলেন প্রোটন, কেউ হলেন ইলেক্ট্রন।
এই হল গিয়ে মোদ্দা কথা।
এক কথায় যদি বলি তাহলে ব্যাপারটা হল এমন---সৃষ্টির শুরুতে ছিল কেবল শক্তি, এক পিকো সেকেন্ড পরে হিগস ক্ষেত্র জন্ম নেয় এবং তার সাথে জন্ম দেয় নানাবিধ বস্তুকণার যার ফলশ্রুতিতে পরবর্ত্তীতে আমরা পেয়েছি এই ব্রহ্মাণ্ড, বিশ্ব চরাচর এবং আমাদের এই সসাগরা বসুন্ধরা! কাজেই, আপনার কথা জানিনা, এই সমস্ত কিছুর জন্যে আমি ব্যক্তিগত ভাবে হিগস ক্ষেত্রের কাছে ভীষন কৃতজ্ঞ!
আমাদের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের সবচেয়ে বড় ঘাপলাটা ছিল এই যে, হঠাৎ করে শক্তি কণা গুলো কেমন করে বস্তু কণায় পরিনত হচ্ছিল--তার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছিল না। আর সেটা না জানলে পরের কোন ঘটনার কোন হিসেব মিলছিল না। এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন পিটার হিগস ১৯৬৫-৬৬ সালের দিকে, আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনায় বসে। ১৯৬৫ এর সেপ্টেম্বরে লাইব্রেরীতে বসে কাজ করছিলেন তিনি এই 'ওজনদার' সমস্যাটি নিয়ে। ২৪ তারিখে খবর আসে তিনি পুত্রসন্তানের জনক হয়েছেন। আর নভেম্বরেই তিনি লেখেন সেই বিখ্যাত পেপারটি যার কারণে দিকবিদিকে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা--ফলশ্রুতিতে জনক হয়ে দাঁড়ান হিগস বোসন নামের কণিকাটির! হিগস বোসন আর কিছুই নয়-- যেমন ধান খেত যদি তৈরী হয় ধান গাছ দিয়ে, তেমনি হিগস ক্ষেত্র তৈরী হয় হিগস বোসন দিয়ে।
বিজ্ঞানীরা হিসেব-টসেব করে বের করলেন যে যদি হিগসের কথা ঠিক হয় এবং যদি কোনভাবে সৃষ্টি-মুহূর্ত্তের সেই বিশেষ ক্ষণটি ফিরিয়ে আনা যায় এই ধুলার ধরণীতে তবে আমরা হিগস বোসনের দেখা পেলেও পেতে পারি। যদি তার দেখা পাই তবে চিনব কী করে? প্রথম কথা হল--হিগস বোসন যদি থেকেও থাকে, তবে সে হবে ভীষন লাজুক! সহজে ধরা দেবার পাত্র (বা পাত্রী) সে নয়! তার উপরে ভীষন ক্ষন-স্থায়ী! দেখা গেছে এই রকমের কণাগুলোর জীবৎ-কাল খুব অল্প হয়। সৃষ্টির পর পরই তারা ভেঙ্গে যায়, পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। যাব্বাবা! তাহলে কেম্নে কী!
একটা উপায় আছে। অনেক আগে এই বাংলার এক মরমী গায়ক একটা এলবাম বের করেছিলেন--এলবামের শিরোনাম ছিল 'দাগ থেকে যায়' (খুব সম্ভবত আইয়ুব বাচ্চু বা জেমস হবেন সেই শিল্পী)। কথা খুব সত্য। এই কণা গুলো হারিয়ে গেলেও তারা দাগ রেখে যায়। তারা যখন ভাঙ্গে তখন আরো কিছু বিশেষ বিশেষ কণাতে তারা রূপান্তরিত হয়। সেইসব কণা দেখে আমরা টের পাই 'উনি' এসেছিলেন আমাদের মাঝে!
আমাদের সাধের LHC তৈরী হয়েছিল এই লক্ষ্যটা সামনে রেখে--হিগস বোসন যদি থেকে থাকে, তবে ধরবেই তাকে!
আর সেই ধরার একটা খবর আমরা পেলাম এই মাত্র কয়েকদিন আগে। বিজ্ঞানীদের হিসেব বলছিল যদি হিগস বোসন বাবাজী থেকে থাকেন তবে তার ওজন হওয়া উচিত একটা প্রোটোনের ওজনের হয় ১২২ থেকে ১৬৮ গুন অথবা ১৮৭ থেকে ১৯৭ গুনের মাঝে। গত ৪ জুলাই LHC থেকে অফিসিয়ালী যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে তারা প্রোটনের ওজনের ১২৬ গুণ ওজনদার একটি কণার দেখা পেয়েছেন। স্পষ্টতঃই এইটা বিজ্ঞানীদের হিসেব করা সীমার ভেতরেই পড়েছে। নীচের ছবি দুইটি আপনাদের বোঝার জন্যে যত না জরুরি তার চেয়ে বেশি জরুরি দেখার জন্যে--ছবি দুটি হল ৪ জুলাইতে LHC কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত অফিসিয়াল প্লট যা তাদের রেজাল্ট ব্যাখ্যা করছেঃ
ছবি-১ CMS result
ছবি-২ ATLAS result
ছবিতে উল্লিখিত CMS এবং ATLAS হচ্ছে LHC পরিচালিত ৬টি বিশেষ পরীক্ষার দুইটি যাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল হিগস বোসন আবিষ্কার করা।
এইবার কিছু প্রশ্ন আর তাদের উত্তরঃ
-- আমরা হিগস বোসনের মত 'কিছু একটা' পেয়েছি (পড়ুন--আমরা খুব সাবধানে অগ্রসর হচ্ছি এইবার, মাস ছয়েক আগের 'আলোর চেয়ে গতিশীল নিউট্রিনো' মত ঝামেলায় পড়তে চাইছিনা আর বলাই বাহুল্য ঐটা ভুল প্রমানিত হয়েছে কিছুদিন আগেই)। আমরা 'সুনিশ্চিত' যে একটা কিছু নতুন আমরা পেয়েছি এইখানে। দুইটি ভিন্ন ভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট (CMS আর ATLAS) প্রায় একই পরিমান 'নিশ্চিতি'র সাথে ব্যাপারটা
সুনিশ্চিত করেছে।
-- কণা পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটা স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করা হয় পরীক্ষার ফলাফল পরখ করার জন্য। একে তারা বলেন ৫-সিগমা টেস্ট। যারা পরিসংখ্যান পড়েছেন তারা এই সিগমা বা স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশান এর সাথে পরিচিত আছেন নিশ্চয়ি। সহজ করে বললে বলা যায়, ধরেন আপনি যদি একটা 'গলতিমুক্ত' ও 'নিরপেক্ষ'(মানে টস করলে হেড বা টেল ওঠার সম্ভাবনা সমান সমান) কয়েন টস করেন বেশ কয়েকবার তাহলে পর পর ২০ বার হেড আসার মত ঘটনাকে ৫ সিগমা লেভেলের টেস্ট বলে। বুঝেন তাহলে, বিজ্ঞানীরা কী পরিমান সুনিশ্চিত এই রেজাল্ট নিয়ে!!
-- ওহ, তার কারণ হল এখনো অনেক লক্ষণবিচার বাকী রয়ে গেছে। সেই গুলো নিয়ে কাজ চলছে। তবে আসল যে যে শর্তগুলো পূরণ করলে একে হিগস বলা যেত, সেগুলো প্রায় সবই পূরণ করেছে। তবে ঐযে বললাম বিজ্ঞানীরা সাবধানী--তারা অপেক্ষা করছেন পুরোপুরি নিঃসন্দেহ হবার জন্যে!
--সবকিছুতে চাউলের দাম নিয়া আসলে তো মুস্কিল ভাইজান। পৃথিবীতে চাউলের দাম কমানো যেমন জরুরি, হিগস বোসনের অস্তিত্ব আবিষ্কার করাটাও তেমনি জরুরি। তবে কিনা এর আবিষ্কারের সরাসরি ফলাফল আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে হয়ত কোন প্রভাব ফেলবে না। নিউটন যখন গ্র্যাভিটি আবিষ্কার(!) করেছিলেন, তারপরে কিন্তু চাউলের দাম কমেছিল বলে জানা যায় নাই। পৃথিবীতে আমাদের কিছু কিছু জিনিস করতে হয় ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্যে, আর কিছু করতে হয় সভ্যতার রথ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। হিগস বোসনের আবিষ্কারটা হইল শেষেরটার মতন কাজ!
-- ছোট্ট উত্তর হল, না। এখনো আমাদের যেতে হবে আরো কিছুদূর। তবে এইটার সবচাইতে বড় ইম্প্যাক্টটা হল এইযে, আমরা অন্তত একটা সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা পেয়েছি এখন। আমরা আগে কিঞ্চিত বিহবল ছিলাম--"কোন বা পথে নিতাই গঞ্জ যায়" টাইপের অবস্থা ছিল আর কি। এখন আমরা বুঝতে পারছি যে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বেশ অনেক কিছু সঠিক। এইটাকে আরো একটু মেরামত করতে হবে। ভুলে যাবেন না, আমাদের চারপাশের যা কিছু দেখি সবকিছু শাসন করে চারটি মূল বলঃ
এখন পর্যন্ত আমরা কেবল দুইনম্বর আর তিন নম্বর বলকে এক করে দেখাতে পেরেছি। আমাদের বাকী রয়ে গেছে চার নম্বরকে এদের সাথে এক করার। আর সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হল অভিকর্ষটাকে যোগ করা। এই চারটি বল একীভূত ছিল সৃষ্টির শুরুতে। আমরা যদি একটা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের মত মডেল নিয়ে আসতে পারি যেখানে এই চারটি বলকে এক করে দেখাতে পারব--তখনি কেবল বলতে পারব আমরা ঈশ্বরের মনের কথাটা জানতে পেরেছি!
-- ঘটনা কিছু না। ঘটনা হইল এই নীচের ছবিটা দেখেনঃ
নোবেল লরিয়েট লিওন লেডারম্যান একটা বই লিখেছিলেন এই হিগস নিয়ে। বইয়ের নাম দিতে চেয়েছিলেন "The Goddamn Particle"---আর কোন কারনে না--এরে খুঁজে পাওয়া শক্ত সেইজন্যে এমন নাম দেয়া। তো পাব্লিশারের মাথায় হাত! বইয়ের শিরোনামে গালি-গালাজ সুস্থ রুচির পরিচায়ক নয় বলে শিরোনাম পালটে 'The God particle' রাখা হল। পরের কথা তো ইতিহাস!!
আজ আপাতত এইখানেই শেষ করছি আলোচনা।
আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি ব্যাপারটা সহজ ভাবে বলার। আমি নিজেও অনেক কিছু জানিনা। যতটুকু জানি ততটুকু আপনাদের কাছে পরিবেশন করার চেষ্টা করেছি।
ভবিষ্যতে চেষ্টা করব এই বিষয় নিয়ে আরো বিস্তৃত আঙ্গিকে কিছু লেখার।
ততদিন সবাই কুশলে থাকুন, বিজ্ঞানমনষ্ক থাকুন!!
জয় হিগস!!!
মন্তব্য
আবারো মডুদের বরাবরে দরখাস্ত করছি।
আমি ঠিক ছবিগুলো পোষ্ট করতে পারছিনা। আপনারা সাহায্য করলে বড্ড উপকার হয়।
মূল লেখাতে ছবির লিঙ্ক দিয়েছি। কোন কারণে পোষ্টে আসছে না।
আর যে মডু ভ্রাতা আগের লেখাটার ছবি ঠিক করে দিয়েছেন তাকে হাজারো ধন্যবাদ।
এবং ভবিষ্যতে আপনাদের ঝামেলা কমানোর জন্যে আমার উদ্দেশ্যে কোন টিপস থাকলে দিতে পারেন।
আবারো অনেক ধন্যবাদ।
ফটু দেখতে পারলুম না।।।যদিও কিছু কিছু ব্যাপার মাথার উপ্রে দিয়া গেল,তবুও খুব ভাল লাগল।আমাদের মত ম্যাংগো জনতা খানিকটা হলেও ব্যাপারটা বুঝবে।
সুবর্ণনন্দিনী
পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ সুবর্ণনন্দিনী!
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ভালো লাগল অনিকেত'দা। দু'পর্বই আগ্রহ নিয়ে পড়েছি।
এই অংশটা কি রূপক অর্থে দিয়েছেন? অনেকেই হয়ত ভুল বুঝতে পারে।
_________________
[খোমাখাতা]
হিলিয়াম-৪ মনে হয় কমপোসিট বোসন
প্রথমেই পড়ার জন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি নিটোল।
আসলে কথাটা রূপকার্থে বলিনি। হিলিয়াম পরমানু আসলেই বোসন। আপনি হয়ত জানেন প্রকৃতিতে অনেক মৌল আইসোটোপ হিসেবে থাকে--অর্থাৎ তাদের প্রোটোন সংখ্যা সমান থাকলেও তাদের নিউট্রন সংখ্যায় ভেদাভেদ থাকতে পারে। হিলিয়াম প্রকৃতিতে দুইটি আইসোটোপ নিয়ে বিরাজমান। সংখ্যাগুরু আইসোটোপটি হল হিলিয়াম-চার বা 4He। এর মানে হল এই হিলিয়াম পরমানুর নিউক্লিয়াসে আছে দুইটি প্রোটন আর দুইটি নিউট্রন। আপনি যদি এদের স্পিন যোগ করেন এবং যেহেতু এরা ১/২ স্পিনের ফার্মিওন কাজেই এরা এমন ভাবে জোট বাঁধে যে নিউক্লিয়াসের সামগ্রীক স্পিন হয়ে দাঁড়ায় শূন্য! ঘটনা এখানেই শেষ নয়। নিউক্লিয়াসের বাইরে ইলেক্ট্রন আছে দুইটি। কাজেই তারাও জোট বেঁধে মোট স্পিন দিচ্ছে শূণ্য। আর আমরা জানি স্পিন শূন্য (অথবা পূর্ণ রাশি বা Integer) হওয়াটা বোসন হবার অন্যতম শর্ত। এইজন্যেই হিলিয়াম পরমানুকে বোসন বলেছিলাম। আমি খুব খুশি হয়েছি আপনি ব্যাপারটা সামনে নিয়ে আসার জন্যে।
ভাল কথা হিলিয়ামের অন্য যে আইসোটপ রয়েছে, সেটিতে শুধুমাত্র একটি নিউট্রন থাকায় সেটি বোসন না হয়ে ফার্মিওন হয়েছে।
সিরিজটা চমৎকার! ছবিগুলো ঠিক হলে আবার পড়ব।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ, স্যাম।
ছবি ঠিক করে দিয়েছি।
শুভেচ্ছা জানবেন।
ছবিগুলা আস্তেসে না, আসলে নিশ্চিত ভাবেই অনেক ক্লিয়ার হইতো বিষয়টা।
আমি আগের পর্ব পড়ে এই পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম। বিষয়টা মোটামুটি ক্লিয়ার হইসে এই কয়দিন কয়েকটা আর্টিকেল পড়ে। আপনার প্রবন্ধের সবচে উল্লেখযোগ্য দিক ছিলো আমার মতে বাংলা প্রতিশব্দ গুলো। বিশাল দুড়ুম যেমন
অনেক ধন্যবাদ বস সময় নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্যে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
নমস্য!
নিয়মিত বিজ্ঞান না লেখার অপরাধে আপনার ফাঁসি হওয়া উচিত! :।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হা হা হা, সঙ্গীত বাবাজী তোমার গানটা আমারে আর পাঠাইলা না!
এইটার অপ্রাধে তোমার দৈনিক দুইবার ফাঁসী খাওয়া উচিত
লেখাটা পড়ার জন্যে এবং উৎসাহ দেবার জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা
শুভেচ্ছা নিরন্তর
ভালো হইছে। তয় একটা জিনিষ বুঝলাম না। হঠাৎ কইরা কেনু হিগস ক্ষেত্র তৈয়ার হইলো? কেনু? কেনু?
বাকিসব মাশল্লাহ বুঝছি। শ্বশুরবাড়িতে ভাব নিতে পারমু
___
আইলসা
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
কেন যে হিগস ক্ষেত্র তৈরী হল--সেইটাই হল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এই সময়ের। আমরা জানি যে বিশাল দুড়ুমের এক পিকো সেকেন্ড পরে হিগস ক্ষেত্র প্রথমবারের মত শ্বাস নিতে শুরু করেছিল---এর আগে সকল কিছু এক চরম প্রতিসাম্য (Symmetry) নিয়ে ছিল--অর্থাৎ কে রাজা কে উজীর এই নিয়ে কোন ভেদাভেদ ছিল না। এক পিকো সেকেন্ড পরে বিজ্ঞানীরা বলেন যে এক রকমে স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিসাম্য ভাঙ্গন প্রক্রিয়া (Spontaneous symmetry breaking) শুরু হয়। অর্থাৎ কিনা হঠাৎ করে রাজা নিজেকে রাজা আর ফকির নিজেকে ফকির করে চিনতে শুরু করে---এই সময়টায় হিগস ক্ষেত্রের জন্ম। কিন্তু ঠিক কি কারণে সে হঠাৎ করে এইসব শ্রেনী সংগ্রাম শুরু করেছিল সেইটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিঃসন্দেহ নন পুরোপুরি।
শুভেচ্ছা জানবেন।
আপনার মতো এইভাবে বুঝাইলে ইন্টারে ফিজিক্সকে হার্পিসের মতো এড়ায় চলতাম না। আপনার আর অনার্য সঙ্গীতের মতো মানুষ আমাদের পাঠ্যবইগুলো লিখলে অনেক ভালো হোত। লেখার জন্য ধন্যবাদ।
হিগস ক্ষেত্র কিভাবে সৃষ্টি হয় ওইটা আমিও ঠিক বুঝি নাই। আরেকটু বুঝিয়ে বলবেন?
লেখাটা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মারভিন। ধন্যবাদ আপনার সদয় মন্তব্যের জন্যেও।
উপরে অতিথি লেখক 'আইলসা'র প্রশ্নের জবাবে হিগস ক্ষেত্রের জন্ম নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেছি। ব্যাপারটা বিজ্ঞানীদের কাছেও ঠিক পরিষ্কার নয় এখনো। দেখা যাক--সামনে সময় নিশ্চয়ই নতুন ব্যাখ্যা নিয়ে আসবে।
ততদিন আগ্রহটা জিইয়ে রাখুন--আর ভাল থাকুন...
সবচেয়ে মজা পেলাম প্রশ্নোত্তর পর্বে- আপনি কিন্তু এই স্টাইলটা ফলো করতে পারেন পরবর্তী বিজ্ঞান লেখাগুলোর ক্ষেত্রে। একটু রসিকতাও হয়, আবার সহজভাবে কঠিন কঠিন সব তথ্যও দেয়া যায়।
এসব বিজ্ঞান-টিজ্ঞান লিখে নিশ্চয়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। একটা গান গাইবেন নাকি? অনেকদিন শুনি না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অনেক অনেক ধন্যবাদ গৌতম'দা!
আপনার কথা রাখার জন্যে হলেও গান একটা দেবো কিছুদিনের মাঝে।
ভাল থাকুন দাদা...অনেক অনেক ভাল......
Analogy গুলো এতো চমৎকার হয়েছে যে মুগ্ধ হয়ে গেলাম বস । আপনি যে নিয়মিত বিজ্ঞাননির্ভর পোস্ট দেন না এটা কিন্তু আসলেই অন্যায় হয়ে যাচ্ছে অনিকেতদা ।
_____________________
Give Her Freedom!
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি আমার।
এখন থেকে মাঝে মাঝে বিজ্ঞান নিয়ে লেখা দেবার চেষ্টা করব।
অনেক শুভেচ্ছা
বদ্দা, ...... অসাধারণ। জটিল বিষয় এত সহজ করে রত্না মডু ছাড়া আর কেউকে দেখিনি। আপনি তো আরও চরম। আগেও কৈছি এখনো কই, আপনে আসলেই বস লুক। এইবার নিউক্লিয়ার ফিজিক্স নিয়ে কিছু একটা হয়ে যাক।
[ অটঃ গানটা বাকী আছে কিন্তু ]
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক ধন্যবাদ তাপস বস!
গান্দিমু শিগগীরই একটা----
ভাল থাইকো বস
(গুড়)
আর আপনি বলেছিলেন আমার লেখা পড়ে আপনার মাথার চুল পড়ে গেছে ! মিয়া মস্করারও বোসন ক্ষেত্র আছে!
facebook
হা হা হা ----
অনেক ধন্যবাদ বস, লেখাটা পড়ার জন্যে
শুভেচ্ছা নিরন্তর
দারুণ! জটিল বিষয় সহজ করে লিখেছেন। মনে হয় বুঝতে পেরেছি। হেহেহে।
পড়ার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, প্রৌঢ় ভাবনা
ভাল থাকুন সকল সময়ে সকলকে নিয়ে---
খুব ভাল লেখা। এদ্দিনে বুঝলাম যে কেন আমাকে কেউ নোবেল দেয় না। এসব নিয়ে আমি কোনোদিন কিছু ভাবিই নি।
শুধু ছবি গুলো দেখতে পেলাম না। ঃ(
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ বুনান।
এখন জোরসে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিন--নোবেল কমিটিকেও আমি খবর দিয়ে দিচ্ছি আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্যে---হা হা হা ---
শুভেচ্ছা জানবেন
দারুণ লেখা, অপূর্ব! ধন্যবাদ অনিকেত। ছবিগুলো দেখতে পাইলে আরো ভালো লাগতো।
শুধু একটা জায়গাতেই আমার খটকা, লেখাটাতে না, এমনি। টপ কোয়ার্ক নিজেই প্রায় ১৭৪ GeV ম্যাসওয়ালা, এদিকে এদের যে ম্যাস ধার দেয় সেই ইউনিভার্সাল মহাজন ফিল্ডের কোয়ান্টা মাত্র ১২৬ GeV !!!
১২৬ টাকা ওয়ালা মহাজন কীকরে ১৭৪ টাকা ধার দিতে পারে? তবে জটিল কলকৌশল হয়তো কিছু আছে, বুঝতে পারি না।
এইসব ব্যাপারে রয়েসয়ে এগোনো ভালো, হয়তো দেখা যাবে মর্জিনার মতন সব দেয়ালেই টিক মেরে রেখেছে। ১২৬, ১৮৬, ২১৬, ২৮৭, ৩২৪, ৪২৫ --- সবেতেই স্ট্রং পীক দেখা যাবে, মানে ঐ ঐ ম্যাসএর কণারা সব আছেন।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তাইলে একটা টপ কোয়ারক এর ভাগে কয়টা হিগস পড়ল??
পড়ার জন্যে এবং দারুণ একটা মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ তুলিরেখা। বিষয়টা আমার নিজের কাছেও তেমন পরিষ্কার নয়। তবে যেটা বুঝতে পেরেছি সেইটা কিছু আপনাকে জানাতে পারি। হিগস ক্ষেত্র যেভাবে অন্যসব কণাদের সাথে আচরন করে সেটা খানিকটা নিম্নরূপঃ
ধরুণ আমাদের কণা'র নাম X আর তার ভর হল M_x। এখন হিগসের নিয়ম বলছে
M_x = g_e X M_h
এখানে g_e হল হিগস আন্তঃক্রিয়া কোয়েফিশিয়েন্ট আর M_h হল আমাদের হিগস বোসনের ভর। কাজেই ভিন্ন ভিন্ন কণা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে হিগস ক্ষেত্রের সাথে আন্তঃক্রিয়া (interaction) করছে। কে কী ভাবে ইন্টারেকশান করছে সেটা নির্ধারণ করে দিচ্ছে আমাদের কোয়েফিশিয়েন্টের মান। যেমন ধরুন ইলেক্ট্রন। ইলেক্ট্রনের ভর হল ০.০০০৫ জিইভি (প্রোটনের ভর প্রায় ১ জিইভি)। তার মানে হল g_e = 3.96 x 10^-6 ঠিক একই ভাবে ফোটনের ক্ষেত্রে দেখা যাবে g_e= 0!
ফোটনের g_e=0 নাকি ফ্যাক্টোরিয়াল 0 ? সেক্ষেত্রে 0! = 1 কিন্তু!! আশ্চর্যবোধক চিহ্নটা কনফিউজিং হয়ে গেছে
হ হ- ভালু পুস্ট- পইড়া মজা পাইছি-
খালি ছবি দেহার লিগা পেজ কয়বার রিলুড কইরা দেহি পুস্টে ছবি আহে নাই-
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ কড়িকাঠুরে
ছবি দিসি, এহন দ্যাহেন--
দুর্দান্ত! না বুঝার কোন অবকাশই ছিলো না।
তবে কিছু কথা।
১। হিগস ক্ষেত্র হিগস কণা দিয়ে তৈরী, এটা বেশি সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। কণা কীভাবে একটি শক্তিক্ষেত্র তৈরী করে, আমার সেটা জানার আগ্রহ হচ্ছে।
২। পাঁচ সিগমা পার্টিক্যাল ফিজিক্সের জন্য স্ট্যান্ডার্ড। তবে দুইটা গ্রুপেরই ফলাফলের সিগনিফিকেন্স ৪.৯ সিগমা, দুইটার ফলাফল মিলিয়ে, আর বাড়তি কিছু কাজকর্ম করে ৫ সিগমায় পৌঁছানোর ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, এমনটাই জানতাম। মানে বলতে চাচ্ছি, ৫ সিগমায় এখনো পৌঁছানো বাকি। ঠিক কিনা?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পড়া ও মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ সজল।
উত্তর দেবার চেষ্টা করছিঃ
১) হিগস কণা কিন্তু ক্ষেত্র তৈরী করছে না। বরং হিগস ক্ষেত্র আছে বলেই হিগস কণা গুলো আছে। লেখাতে আমি উল্লেখ করেছি যে বিশাল দুড়ুমের এক পিকো সেকেন্ড আগে পর্যন্ত সকল বল মিলেমিশে একাকার হয়েছিল। এক পিকো সেকেন্ড পরে কোন এক কারণে তাদের মাঝে মনোমালিণ্য তৈরী হল--জন্ম নিল হিগস ফিল্ড। এই হিগস ফিল্ড ভিন্ন ভিন্ন কণার সাথে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ইন্টার্যাক্ট করে। মনে করুন আপনি আর আমি দুই জনেই এক হাটু কাদাজলে নেমে দৌড়ুতে শুরু করলাম এখন আমি মোটাসোটা মানুষ বলে সুবিধে করে উঠতে পারব না বেশি, বেশি কাদা জল মাখব, বেশি হোঁচট খাব। আর আপনি হালকা পাতলা বলে আমার চেয়ে কম হোচট খাবেন, কম কাদা মাখবেন। ঠিক এই ঘটনাই ঘটছে হিগস ফিল্ডে। যে কণা বেশি ইন্টারেক্ট করবে সে তত ম্যাসিভ হবে, যে ততটা করবে না সে হবে হালকা। আর যে একেবারেই করবে না সে হবে আমাদের ফোটনের মত ভর-হীন! হিগস ফিল্ড যেসব কণার মাধ্যমের অন্যদের সাথে ইন্টারেক্ট করে--সেইসব কনারা হল হিগস বোসন। অর্থাৎ আমাদের কাদা-মাটির ক্ষেতে কাদা হল হিগস বোসনের মত--আমাদের গায়ে লেগে আমাদের 'ভারী' করে তোলে---
২) From CERN's press release:
“We observe in our data clear signs of a new particle, at the level of 5 sigma, in the mass region around 126 GeV. The outstanding performance of the LHC and ATLAS and the huge efforts of many people have brought us to this exciting stage,” said ATLAS experiment spokesperson Fabiola Gianotti, “but a little more time is needed to prepare these results for publication.”
"The results are preliminary but the 5 sigma signal at around 125 GeV we’re seeing is dramatic. This is indeed a new particle. We know it must be a boson and it’s the heaviest boson ever found,” said CMS experiment spokesperson Joe Incandela. “The implications are very significant and it is precisely for this reason that we must be extremely diligent in all of our studies and cross-checks."
অনেক সহজ করে লিখেছেন, ভালো লাগলো
ধন্যবাদ রাব্বানী
শুভেচ্ছা নিরন্তর
বুঝলাম।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ পিপি দা
হিগস এর সাথে বোসন কিভাবে যোগ হল, সেই গলপ জানতে মনচায়
৫ সিগমা লেভেলের মুগ্ধতা জানিয়ে দিলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
শুভেচ্ছা নিরন্তর
অসাধারণ! অসাধারণ! অসাধারণ!
..................................................................
#Banshibir.
অনেক ধন্যবাদ বস
ভাইরে দারুন একটা লেখা পড়লাম।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক ধন্যবাদ বস পড়ার জন্যে
সতত শুভেচ্ছা
আপনার পর্ব ২ পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম। অনেক ভাল লাগলো। নিয়মিত লেখার অনুরোধ জানিয়ে গেলাম। শুভেচ্ছা।
পড়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ CannonCarnegy
শুভেচ্ছা জানবেন
পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছি, এর পুরো কৃতিত্বই আপনার। এতকিছু জানতাম না, শুধু "এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস" আর পত্রিকায় এলেইচসি নিয়ে যে লেখাগুলো আসত সেগুলো পড়ে বোঝার চেষ্টা করেছি। অনেক শূণ্যস্থান পূরন হয়েছে আপনার এই লেখা পড়ে।
জনাব হিগস এর সাথে আমাদের বিজ্ঞানী জনাব বসুর একসাথে কাজের বিষয়ে আপনার ল্যাপটপ থেকে একটা লেখা আসলে মনে হয় আরো ভালো হত।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ব্যাঙের ছাতা
সামনে এই রকম আরো কিছু লেখা দেবার ইচ্ছা আছে
ভাল থাকুন সকল সময়ে
সুন্দর , চমৎকার লিখা।
ইদানিং কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা আর বলবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করছিলাম; ব্রায়ান কক্স ও জেফ ফরশ্য এর "দ্য কোয়ান্টাম ইউনিভার্স", আর্থার বেইসার এর "কন্সেপ্ট অফ মডার্ন ফিজিক্স", মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর "কোয়ান্টাম মেকানিক্স" সহ বিবিসি'র "দ্য বিগ ব্যাং মেশিন", "অ্যাটম", "দ্য হান্ট ফর হিগস" প্রামাণ্য অনুষ্ঠান গুলো নিয়ে বুদ হয়ে ছিলাম, তখন থেকেই হিগস এর গুরুত্ব টা যে অন্যরকম বুঝতে পারছিলাম, আর এর মধ্যেই চার জুলাই এর কনফারেন্স এ ঘোষণা এল "হিগস এর মত কিছু" দেখতে পাওয়ার। কাকতালীয় বটে!
এখানে ৫সিগমা অথবা সিগমা৫ এর সাধারণের বোধগম্য ব্যাখ্যা পড়লাম সার্ন-অ্যাটলাস এর পদার্থবিদ ব্রায়ান কক্স এর টুইট এ, উনি বলেন এর অর্থ হল পরীক্ষায় "হিগস" পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯৯৯%।
তবে বেশ কিছু বাংলাদেশি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে একে লিখা হচ্ছে "হিগস-বোসন" হিসেবে , এতে মনে হওয়াটা স্বাভাবিক যে "বিশেষ করে এই কণা এর তত্ব" প্রদানে প্রফেসর হিগস এর সাথে প্রফেসর বোস এর গবেষণা রয়েছে- এবং পদার্থবিদ্যা তথা কোয়ান্টাম, আধুনিক ও কণা পদার্থবিদ্যা'র চর্চাকারী ছাড়া সাধারণ পাঠক রা তা-ই মনে করছেন। শুদ্ধ ভাবে লিখতে গেলে একে "হিগস বোসন" (মাঝ খানের হাইফেন ট বাদ দিয়ে) লিখা উচিত, অর্থাৎ এই কণাটি বোসন(যা বোস-আইন্সটাইন পরিসংখ্যান মেনে চলে) কণাগুলোর একটি যা প্রফেসর হিগস এর গবেষণা থেকে গাণিতিক রূপ লাভ করেছে ও এখন পরীক্ষণের মাধ্যমে নিশ্চিতি (প্রায়!) পেয়েছে।
আর "ঈশ্বর কণা" শব্দবন্ধটি যেকোন পদার্থবিদের কাছেই প্রায় "ছুড়ে ফেলে দেওয়া" শব্দ হওয়ার পরও মিডিয়া এটাকেই মাথায় তুলে নাচানাচি করছে।
সার্ন এর ওয়েবসাইটে চার জুলাই এর কনফারেন্স ও পরবর্তি সংবাদ সম্মেলন এর পুর্ণ ভিডিও আপলোড করা আছে, উৎসাহীদের জন্য অবশ্য(প্রায়) দর্শনীয়!
অঃটঃ প্রফেসর ব্রায়ান গ্রীন এর "টেড টক" এ এই অদ্ভুত কিন্তু চিন্তার খোরাক বিষয় টি জানলাম, উনি বলেন, যেহেতু মহাবিশ্ব ক্রমবর্ধমান ত্বরণে সম্প্রসারণশীল সেহেতু এমন এক সময় আসবে যখন আমাদের গ্যালাক্সির পরিপার্শ্বের সকল কিছু এত দূরে এত বেশি গতিতে (ত্বরণে) সরে যাবে যে সেখান থেকে আলো আর কখনই আমাদের কাছে এসে পৌছুবে না। এমনকি আলো যদি সবচেয়ে দ্রুত গতি (অর্থাৎ কিনা আলোর গতিতেই) ভ্রমণ করে তবুও না, কাজেই যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা নয় বরং পদার্থবিদ্যার সূত্র মেনেই দূর ভবিষ্যতের জ্যোতির্বিদ্গণ আমাদের চারদিকের মহাবিশ্বকে "এক অসীম, নিকষ কালো, স্থির, একাকী, অন্ধকার শুন্যতা" হিসেবে দেখতে পাবেন। এবং তারা সিদ্ধান্তে আসবেন মহাবিশ্ব স্থির, অপরিবর্তনীয় এবং শুধমাত্র তাদের পরিপার্শ নিয়েই গঠিত, যা কিনা "নিশ্চিত ভাবেই একটি ভুল ধারণা" হবে। তারা হয়ত বহু প্রাচীন যুগের (আমাদের এই সময়ের) জ্যোতির্বিদদের রেখে যাওয়া নথি তে দেখতে পাবেন মহাবিশ্ব সুবিশাল, সম্প্রসারণশীল। কিন্তু তারা কি সেই অতি প্রাচীন যুগের তথ্য মেনে নেবেন নাকি তাদের অত্যাধুনিক,"স্টেট অফ দ্য আর্ট" প্রযুক্তি দিয়ে যে স্থির, অন্ধকার, শুন্য মহাবিশ্ব দেখছেন তাকেই মেনে নেবেন। খুব সম্ভব তারা তাদের পর্যবেক্ষণ কেই বিশ্বাস করবেন! কাজেই প্রফেসর গ্রীন এর মতে আমরা এক সুবর্ণ সময় অতিক্রম করছি, যখন আমরা মহাবিশ্বের সঠিক রূপ কে দেখতে পারছি, নাকি ইতোমধ্যেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে গেছে আমাদের নাগালের বাইরে ?!
প্রথমেই মাহমুদ ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে এবং এমন সুন্দর মন্তব্য করার জন্যে। আপনার 'অফটপিকে' উল্লিখিত বিষয়টি ভীষন চমকপ্রদ। আমি আগে কখনো ভাবিনি এমন করে। বেশ কেমন জানি একটা দুর্দান্ত সাই-ফাইয়ের প্লট দেখতে পারছি এখানটায়!
আবারো অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
"আসলেই দাগ থেকে যায়" !!
ভালো হয়েছে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ বস!
ইয়ার্কিমেশানো লঘু স্টাইলে বেড়ে হয়েছে
শুক্রিয়া জনাব...
প্রিন্ট নিচ্ছি- লেমনেড খাইতে খাইতে আরাম করে পড়ুম। মুহুহুহুহু
সিরিয়াসলি, এইরকমভাবে লেখালেখি জারি রাখেন অনিকেত'দা। একদিন একটা ছাপানো বই হাতে নিয়ে দেখার আশা করি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হে হে হে----ঠিক হায় বস ওডিন
একই আবদার তোমার কাছেও রইল কিন্তু!
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
দুটো পর্ব একটানা পড়ে ফেললাম। চমৎকার সহজ করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রিয় সচলদের বিজ্ঞান নিয়ে লেখা পড়ে মাঝে মাঝেই মনে হয় এরকম লেখা আমাদের স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে কেন নেই?
টুইটার
পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ নিয়াজ ভাই
শুভেচ্ছা নিরন্তর
এত মজা করে লিখেন কিভাবে?
একজন অ-পদার্থ(পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র না)হয়েও বেশ ভালই বুঝলাম আপনার চমেত্কার লেখার গুণে
বিজ্ঞানের যাবতীয় পাঠ্যবই আপনাদের মত মানুষদের দিয়ে লেখানো উচিত।
পড়ার জন্যে এবং উৎসাহ দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ তানজিনা।
ভাল থাকুন সকল সময়ে---
onek bhalo lAglo
ধন্যবাদ তাজ
যত টুকুই বুঝেছি তা আপনার লেখার গুণেই । আরো অনেকের সাথে সুর মিলিয়ে বলছি আপনি বিজ্ঞানের লেখা আরো বেশী বেশী লিখুন প্লীজ ।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ সাবেকা
আপনার অনুরোধটা মাথায় রইল।
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
এত সুন্দর ভাষায় এত সুন্দর করে কিভাবে লেখেন দাদা !!
এ বিষয়ে অনেক পড়েও যে ধারণাটা পরিষ্কার করতে পারছিলাম না, এবারে আপনার লেখাটা পড়ে সেটা হল। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। এককথায় অসাধারণ একটি পোষ্ট। চিরকালীন বুকমার্ক।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ প্রদীপ্ত'দা।
ভাল থাকুন সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে---
এত সহজ সুন্দর পদার্থবিজ্ঞানের লেখা অনেকদিন পড়ি নি। সহজ করে জটিল বিষয়টি তুলে ধরার জন্য আপনার অসংখ্য ধন্যবাদ প্রাপ্য। আরও লিখুন, সম্ভব হলে নিয়মিত। আমার মনে হয় অনেকের উপকার হবে তাতে। ভালো থাকুন
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ইয়াসির
শুভেচ্ছা নিরন্তর
অসম্ভব মজা পেলাম। এরকম মজা করে কোয়ান্টাম মেকানিক্সটা বুঝেয়ে দিবেন প্লীজ
নতুন মন্তব্য করুন