আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি তাদের মন সাধারনতঃ যেকোন উৎসব পার্বণে খুব খারাপ থাকে। প্রিয়জনদের সব সময়েই মিস করি। কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিন গুলো যেমন, পহেলা বৈশাখে, পৌষ সংক্রান্তিতে, ঈদে-পুজোয়-পার্বণে--মনটা অতিরিক্ত খারাপ হয়। আমি দেশের বাইরে ঈদ করছি আজ এগারো বছর হয় প্রায়। মাঝ খানে একবার দেশে গিয়েছিলাম এবং ভাগ্যের ফেরে একটা ঈদ পেয়েও গিয়েছিলাম। বহুদিন পর আমি ছোটবেলার মতন খুশি হয়েছিলাম সেদিন। ঐ একটি উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বাদ দিলে--বাকী সব ক'টি ঈদ আমার এই দুস্তর পারাবারে কেটেছে।
এই দিনগুলোতে দেশ আর দেশের মানুষকে বেশি মিস করি বলেই হয়ত, ঈদ উপলক্ষ্যে বাঙালীরা একেবারে যুদ্ধংদেহী রূপ ধারণ করেন। প্রায় উন্মত্তের মত নানা জায়গায় দাওয়াত খেয়ে (আমার ক্ষেত্রে) অথবা দিয়ে বেড়াতে থাকেন। এ যেন নিজেকে কোন ভাবে ভুলিয়ে রাখা যে আসলে আমরা কিন্তু তেমন কিছুই মিস করছি না---বলা যায় না, দেশের চেয়ে হয়ত ভালই ঈদ করছি এইখানে। রাত-ভর আড্ডা দিয়ে গলা ফাটিয়ে হেসে-নেচে-গেয়ে একসময় যার যার ডেরায় ফিরি। আমি ঠিক জানি --এই সময়টাতেই সবাই মন খারাপ করেন সবচাইতে বেশি। হঠাৎ করেই সকলে হয়ত টের পান--যত যাই করি না কেন---দেশের স্বাদ এই বিদেশের ঘোলে মেটবার নয়।
আমি পশ্চিমে বসে পূবের দিকে মুখ করে থাকা এক মানুষ। আমার মতন এমন গৃহকাতর হয়ত খুব কম লোকই আছেন। ঈদে দেশে ফোন করতে ভয় লাগে। মায়ের-বাবার বিষন্ন গলা, বোনের জোর করে খুশি হয়ে থাকা গলা শোনার মত কষ্টের জিনিস খুব কম আছে। তারচেয়েও বেশি কষ্টের হল--নিজের গলায় সুখের ভাব টেনে আনা--ওদের বলা খুব আনন্দেই ঈদ কেটেছে। ওরা হয়ত টের পায়--হয়ত পায় না। আমি মন খারাপ করে সারা দিন বসে থাকি। কোন আড্ডাতে গেলেও একসময় একা হয়ে যাই। মন হু হু করে ছুটে যায় সাত সাগর পেরিয়ে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এক ছোট্ট দেশের ছোট্ট কোনায়। সেখানে ভোরের বাতাসে ঈদের সুবাস, টেবিলে সেমাই ,চটপটি, মালপোয়া নিয়ে খালি প্লেটে বসে থাকা মা, ঈদ সংখ্যার আড়ালে মুখ লুকিয়ে থাকা বাবা আর নিজের ঘরে একলা হয়ে থাকা বোন----এইতো আমার জীবন, আমাদের জীবন।
হুমায়ুন আজাদের খুব প্রিয় কবিতা 'ভালো থেকো ফুল,মিষ্টি বকুল' আমার কাছে এক চিরন্তন আর্শীবানী যেন। আমি প্রার্থনায় বিশ্বাস করি না।
তবুও এই দিনগুলো এলে মনের অজান্তেই বলে উঠিঃ
ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা
ভালো থেকো পাখি, সবুজ পাতারা
ভালো থেকো চর, ছোটো কুঁড়েঘর, ভালো থেকো।
ভালো থেকো চিল, আকাশের নীল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো পাতা, নিশির শিশির
ভালো থেকো জল, নদীটির তীর
ভালো থেকো গাছ, পুকুরের মাছ, ভালো থেকো
ভালো থেকো কাক, ডাহুকের ডাক, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মাঠ, রাখালের বাঁশি
ভালো থেকো লাউ, কুমড়োর হাসি
ভালো থেকো আম, ছায়াঢাকা গ্রাম, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ঘাস, ভোরের বাতাস, ভালো থেকো।
ভালো থেকো রোদ, মাঘের কোকিল
ভালো থেকো বক, আড়িয়ল বিল
ভালো থেকো নাও, মধুমাখা গাঁও, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেলা, লাল ছেলেবেলা, ভালো থেকো।
ভালো থেকো, ভালো থেকো, ভালো থেকো।
এই কবিতাটিতে সুরারোপ করে গাইবার চেষ্টা করেছি। শুনে দেখুন কেমন লাগে।
বরাবরের মত যন্ত্রানুষঙ্গ আয়োজন,বাদনঃ অনিকেত
কথাঃ হুমায়ুন আজাদ, সুরঃ অনিকেত
সবাই ভাল থাকুন, সবাই কে ঈদের শুভেচ্ছা।
মন্তব্য
আমি এই প্রথম দেশের বাইরে ঈদ করছি। সারা ক্যম্পাসে আমি একা বাংলাদেশি। সামার চলছে এবং অল্প কিছুদিন হলো এসেছি তাই কোন মুসলিম স্টুডেন্ট এর খোঁজ ও পাই নি। শুধু ভাল আছি এটুকু জানাতে বাসায় ফোন করেছিলাম। শুধু একজন বন্ধুর সাথে খুব কষ্ট করে কথা বলেছি।সারাদিন খুব কষ্ট করে কান্না আটকে রেখেছিলাম কিন্তু আপনার লেখা পড়ে আর পারলাম না।
আপনার মন্তব্যটা পড়ে আমারো চোখ ঝাপসা হয়ে এল। বহুদিন হয়ে গেছে কিন্তু তারপরও এই কষ্টগুলোর তীব্রতা কমে না। আপনার প্রবাস জীবন সহনীয় হয়ে উঠুক ধীরে ধীরে এই কামনা রেখে গেলাম।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ঈদে দেশে ফোন করতে ভয় লাগে। মায়ের-বাবার বিষন্ন গলা, বোনের জোর করে খুশি হয়ে থাকা গলা শোনার মত কষ্টের জিনিস খুব কম আছে। তারচেয়েও বেশি কষ্টের হল--নিজের গলায় সুখের ভাব টেনে আনা--ওদের বলা খুব আনন্দেই ঈদ কেটেছে। ওরা হয়ত টের পায়--হয়ত পায় না। আমি মন খারাপ করে সারা দিন বসে থাকি। কোন আড্ডাতে গেলেও একসময় একা হয়ে যাই। মন হু হু করে ছুটে যায় সাত সাগর পেরিয়ে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এক ছোট্ট দেশের ছোট্ট কোনায়। সেখানে ভোরের বাতাসে ঈদের সুবাস, টেবিলে সেমাই ,চটপটি, মালপোয়া নিয়ে খালি প্লেটে বসে থাকা মা, ঈদ সংখ্যার আড়ালে মুখ লুকিয়ে থাকা বাবা আর নিজের ঘরে একলা হয়ে থাকা বোন----এইতো আমার জীবন, আমাদের জীবন।
#আপনার প্যাকেটভর্তি আবেগপূর্ণ লেখার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে প্রিয় অনিকেত ভাই, যতোই বলুননা কেন ভালো আছেন উনারা ঠিকই জানেন আপনি কেমন আছেন আর আপনিও ভালোভাবেই জানেন আপনি কেমন আছেন।
#আপনাদের লেখা শুধু পড়েই গেলাম, সচলের মিলনমেলার অপেক্ষায় আছি,যদিও জানি তা কখনো সম্ভব নয়, সম্বব নয় সকলকে একসাথে পাওয়ার, সকলকে দেখার খুব ইচ্ছে আছে, ভাল থাকুন সবসময়, ঈদ শুভেচ্ছা
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ কবীর ভাই।
কোনো এক সময় দেখা হয়ে যাবে নিশ্চিত।
ভাল থাকুন--
"আমি পশ্চিমে বসে পূবের দিকে মুখ করে থাকা এক মানুষ"
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ছাইপাশ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর--
যদিও মা-বাবা, ভাই-বোন সবাইকে নিয়েই বাইরে ঈদ করছি। কিন্তু দেশের মতো আমেজটা নেই। টাইম মেনে আড্ডা, উঠা-বসা। দেশের উৎসবগুলো মিস করি।
--ফ্রুলিংক্স
সেইটাই বস। সবাই সাথে থাকলেও, যতখন না দেশটাও সাথে থাকছে ততখন মনটা খালি-খালিই লাগবে। কারণ আমাদের সবার বুকের মাঝে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের একটা শূন্যতা রয়ে গেছে যে--
শুভেচ্ছা নিরন্তর
আমার ক্ষেত্রেও এ জিনিসটা হয়, তবে প্রেক্ষাপট আলাদা। আমি যখন ঈদের ছুটিতে বাড়ি যেতে পারি না, তখন ঢাকাকেও আমার কেমন প্রবাস প্রবাস লাগে। আর বাড়ি যাওয়ার দুঃখ ভুলতে আপনার মত করেই অনেক প্রোগ্রাম ঠিক করে ফেলি, কিন্তু সব শেষে না যেতে পারার ব্যাথাটা ঠিকই রয়ে যায়।
একদম সত্যি বলেছেন, অনিকেতদা। এ যেন কস্টের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।
পরিশেষে প্রাসঙ্গিক লেখাটার জন্য ধন্যবাদ! আপনাকে সহ পুরো সচল পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা!
পড়ার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ কাজী_মামুন। সাথে রইল আপনাদের সবার জন্যে ঈদের শুভেচ্ছা।
গানটা অসাধারন লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ ছাইপাশ!
আবেগময় লেখা। তবু বলবো, প্রবাসে ভাল থাকুন।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ প্রৌঢ় ভাবনা।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
চুপচাপ পড়ে আর শুনে গেলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ রে তিথী
ভাল থাকিস সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে---
বলতে ইচ্ছে হল-
ভালো লেখো, ভালো গেয়ো, ভালো থেকো অনিকেত - এমন করে
অনেক ধন্যবাদ স্যাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
নিঠুর করুণ বাস্তবতা! এই তো জীবন, এই তো জীবন!!
-অয়ন
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ অয়ন।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
ঈদ মোবারক ভাইয়া!!
ঈদ মুবারাক সুলতান---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
আমিতো ভাই বত্রিশ বছর বাইরে, এরমাঝে দুবার কোরবানি ঈদে দেশে ছিলাম।
এবার আমিও দেশের ঈদ করার আনন্দ মিস করেছি। গত কয়েকদিন যখনি ফোন করেছি, ভাই, বোন মার সাথে কথা বলে মন খারাপ হয়ে গেছে।
এইপ্রথম প্রবাসেও মেয়েদের ছাড়া ইদ করেছি।
পরের ঈদে আমি নুইইয়র্ক থাকলে এসো।
ব-ত্রি-শ বছর??!!!!
কী সর্বনাশ!
পরের ঈদে চলেন একসাথে সবাই দেশে ফিরে যাই--আইডিয়াটা কেমন নীলকমলিনী'দি?
অনিকেত, চল যাই। আমিও আগামী বছর দেশে রোজার ঈদ করার কথা ভাবছিলাম।
প্রবাসে যারা আছেন, যারা যাই যাই করছেন এবং যাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে প্রাণপাত করছেন, তাঁদের জন্য আমার অদ্ভুত এক ধরণের কষ্ট হয়।
যাঁরাই গেছেন বা যান বা যেতে চান, স্বপ্নপূরণের দায় নিয়েই যান। নিজের, পরিবারের। নিজের একান্ত আপন মানুষগুলোকে ফেলে দূরের দেশে থাকার অবশ্যম্ভাবী কষ্ট তাঁদের পেতেই হয়। বিনিময়ে তাঁরা ক্ষণিক সুখ পান, স্বাচ্ছন্দ পান, জীবনযাত্রায় বাড়তি পাওনাটুকু বুঝে নেন।
কে জানে, কীসের দোনমনায় পড়ে তাঁদের সামনে যখন দেশ বা প্রবাস বেছে নেয়ার সুযোগটা আসে তাঁরা প্রবাসকেই বেছে নেন!
জানি না অত, কিন্তু কেন জানি প্রবাসকেই নিজের করে নেয়া মানুষগুলোকে ফিরে আসার অনুরোধ করতেই ইচ্ছা করে! আমাদের দেশটায় সম্পদের প্রাচুর্য নেই হয়ত, সুযোগের সম্ভার নেই হয়ত, নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেই হয়ত- তাতে কি? এটাই তো আমাদের দেশ- নয়? ওঁরা যেমন দূরে থেকে দেশের টানে মরেন, দেশটারও নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয় ওঁদের জন্য। দূর থেকে আরো দূরে গিয়ে সে কষ্ট বাড়ানোর মানেটা আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারলাম না!
যাঁরা এ কষ্টটুকু টেরই পান না, তাঁদের কথা আলাদা। আপনাদের মত যাঁরা পান, ফেরার বদলে তাঁরাও কেন দূরেই সরতে থাকেন?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
প্রবাসে যারা আছেন, যারা যাই যাই করছেন এবং যাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে প্রাণপাত করছেন, তাঁদের জন্য আমার অদ্ভুত এক ধরণের কষ্ট হয়।
যাঁরাই গেছেন বা যান বা যেতে চান, স্বপ্নপূরণের দায় নিয়েই যান। নিজের, পরিবারের। নিজের একান্ত আপন মানুষগুলোকে ফেলে দূরের দেশে থাকার অবশ্যম্ভাবী কষ্ট তাঁদের পেতেই হয়। বিনিময়ে তাঁরা ক্ষণিক সুখ পান, স্বাচ্ছন্দ পান, জীবনযাত্রায় বাড়তি পাওনাটুকু বুঝে নেন।
কে জানে, কীসের দোনমনায় পড়ে তাঁদের সামনে যখন দেশ বা প্রবাস বেছে নেয়ার সুযোগটা আসে তাঁরা প্রবাসকেই বেছে নেন!
জানি না অত, কিন্তু কেন জানি প্রবাসকেই নিজের করে নেয়া মানুষগুলোকে ফিরে আসার অনুরোধ করতেই ইচ্ছা করে! আমাদের দেশটায় সম্পদের প্রাচুর্য নেই হয়ত, সুযোগের সম্ভার নেই হয়ত, নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেই হয়ত- তাতে কি? এটাই তো আমাদের দেশ- নয়? ওঁরা যেমন দূরে থেকে দেশের টানে মরেন, দেশটারও নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয় ওঁদের জন্য। দূর থেকে আরো দূরে গিয়ে সে কষ্ট বাড়ানোর মানেটা আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারলাম না!
যাঁরা এ কষ্টটুকু টেরই পান না, তাঁদের কথা আলাদা। আপনাদের মত যাঁরা পান, ফেরার বদলে তাঁরাও কেন দূরেই সরতে থাকেন?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এই প্রশ্নটার উত্তর আমি নিজেও খুঁজে ফিরছি মর্ম।
বিষয়টা বোধ হয় এতো সাদা আর কালো না @ মর্ম
চমৎকার একটা মন্তব্য!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই নিয়ে তৃতীয় ঈদ-উল-ফিতর করছি দেশের বাইরে। বাবা-মায়ের ধর্ম ইসলাম নয় আর আমি কোনো ধর্মেরই না। ঈদকে জাতীয় উৎসব হিসাবেই ভাবি, কোনো নির্দষ্ট ধর্মাবলম্বিদের নয়। দেশে থাকতে প্রাণখুলে খুলে আনন্দ করতাম, বন্ধুরা আমাকে নিয়ে টানাটানি করত। এখন আর তেমন কিছুই করা হয় না। ঈদের দিন দুপুরে পান্জাবী পড়ে আলম ভাইয়ের বাসাতে গেলাম আর বাকিটা সময় এপার্টমেন্টে চুপচাপ করে বসে কাটালাম। বাবা-মা অনেকদিন থেকেই নিজেদের মতো করে ঈদ পালন করে, সেমাই-বিরান হয়। এই ঈদে তাঁদেরকে ফোন দিতে চেয়েও দেয়া হয়নি। বন্ধুদেরও ফোন দিতে ইচ্ছা করল না। পুরোটা সময় আন্তরে বৃষ্টি ঝড়তে থাকল। আর সন্ধ্যার পরে যখন আপনার লেখাটা পড়লাম, তখন সেই বৃষ্টি আর ভেতরে আটকে রাখতে পারিনি। আর মনে মনে বলাল -
ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো...
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ অরণ্য।
শুভেচ্ছা নিরন্তর---
যাক, এই পোস্টের জন্য সব সাউন্ডমেঘে আপনার সব অসাধারণ ট্র্যাকগুলো শুনে ফেললাম। ভালো থাকুন ।
সারাজীবন
আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা রইল হে 'অতিথি লেখক'........
অসাধারণ, কত বার যে পড়লাম, আর গানটা শুনলাম।
facebook
অনেক অনেক ধন্যবাদ বস---ঈদের শুভেচ্ছা রইল তোমার জন্যে---
আমার হয়েসে আরেক যন্ত্রণা, কেউ থাকে দেশে, কেউ থাকে বিদেশে, এবার ও অন্য ধরনের মন খারাপ.
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ জাকারিয়া
শুভেচ্ছা নিরন্তর
প্রবাসে থাকার সময় ঘরে ফেরার আকুতি সবারই থাকে, নিজ দেশ থেকে যদি কাউকেই বাইরে গিয়ে থাকতে না হতো তাহলে কতো ভালো হতো চিন্তা করি। অনিকেতদা গান আর সুর ভালো লাগলো। ভালো থাকুন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অনেক ধন্যবাদ অরফিয়াস
শুভেচ্ছা অহর্নিশ--
কাল থেকেই গানটা বহুবার শুনতেছি!! কাতরতা টুকু ছুঁয়ে যায়..............
_____________________
Give Her Freedom!
অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় কবি!
বিমোহিত!
ধন্যবাদ সুমিমা'পু---
শুভেচ্ছা জানবেন।
দেশে ফিরে যেতে চাই শুনে কারো কাছ থেকে এখনো অভিনন্দন পেলাম না.........ওই এক কথা, কেন ফিরে আসবে? দেশের অবস্থা কত খারাপ জান না?
দূরের বন বোধ হয় সব সময় সবুজই হয়।
কবিতাটাকে গানে রূপান্তরিত করার জন্য কৃতজ্ঞ থাকলাম অনিকেত'দা।
অনেক ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ 'অতিথি লেখক' (পরের বার নামটা দিয়েন)।
শুভেচ্ছা রইল।
ভাই, সবাই বলে দেশ কে মিস করে, তবে কেন ফেরত যান না। আমি নিজেও বাইরে আছি, এবং জানি যে এই সব এর পর ও আপনারা যাবেন না এবং আপনাদের ছেলেমেয়েরা দেশের বদনাম ই করবে। দ্য়া করে মিছে আবেগ কি না দেখালেই নয়!
ভাই, আপনি দেশের বাইরে আছেন--আপনাকে রেখে দেশে ফিরতে মন চাইছে না। এইজন্যে দেশে ফেরত যাচ্ছি না!
আমার আবেগ সত্যি না মিথ্যে সেইটা বিচারের ভার আপনাকে কেউ দেয় নি। আর সত্যি বলতে কী আপনার সেটা বুঝতে পারার কথাও নয়।
যাই হোক, আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।
দূর এবং দূরত্বে আপনার গান...
দূরে না গেলে কেউ বুঝবে না দূরত্ব কী জিনিস!
ঈদ মোবারক অনিকেত'দা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঈদ মোবারাক সঙ্গীত---
মুগ্ধ হয়ে শুনলাম...
ধন্যবাদ কড়িকাঠুরে
শুভেচ্ছা নিরন্তর
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি আরো বেশী বেশী করে গান গান না কেন???
উত্তর-- মূল কারণ হল সচল থেকে খেদিয়ে দিতে পারে-- --তার পর প্রাণের উপর হুমকি তো রয়েছেই---হে হে হে
শুভেচ্ছা নিরন্তর
এ এক অদ্ভুত টানাপড়েন , পরবাসে শরীর আর স্বদেশে মন। দেশ থেকে দূরে এসে প্রতি মুহূর্তে যেন আরও বেশি করে অনুভব করছি দেশকে কত ভালবাসি। বিশেষ করে উৎসবের দিনগুলোয় মনে হয় সবকিছু ছেড়েছুড়ে ফিরে যাই, কি আর এমন হবে? হয়তো একদিন সত্যি ফিরব আমার সবচে
প্রিয় জায়গা, সবচে প্রিয় মানুষগুলোর কাছে, ততদিন "ভাল থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভাল থেকো"।
অনিকেতদা, আপনি এত মায়াময় করে লেখেন আর গান করেন, কেমন করে?
মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ এক জোনাকি।
এই প্রবাসের দিনগুলো আপনার কাছে সহনীয় হয়ে উঠুক ক্রমে ক্রমে সেই প্রার্থনা করলাম।
শুভেচ্ছা নিরন্তর----
অনেক ভালো লাগলো,আপনার লেখা আর গান দু'টোই, মনে হলো আমারই মনের কথা।
শাহানা (সোমার বনধু,চ,বি)
ধন্যবাদ আপু পড়ার জন্যে
শুভেচ্ছা নিরন্তর---
ঈদের চাঁদ এখনো আছে। তাই দেরীতে হলেও কমেন্ট করে যাচ্ছি।
ঈদের বন্ধের সময় নেট ব্লগ সবকিছু থেকে দূরে থাকার কারণে এই পোষ্টটা মিস হয়েছিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো গানটা ছুটির সময় পেয়েছি অপ্রত্যাশিত একটা সুত্র থেকে। আপনার লেখায় বরাবর মুগ্ধ, কিন্তু এই গান গায়ক হিসেবেও আপনার খ্যাতিতে আরেকটা পালক জুড়ে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে বলতে পারি আমাদের পরিবারের চারখানা মোবাইলেই এই গানটা কপি হয়েছে। অতীব সুন্দর গায়কীর জন্য অভিনন্দন অনিকেতদা!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ নীড়দা
শুভেচ্ছা নিরন্তর--
অগ্রিম নিমন্ত্রণ । দেশে আসার এবং ঈদের ।লেখাটা পড়ে আমি আপ্লুত ! এর বেশি কিছু আর বলতে পারছি না ।
মন খারাপের রাতে, আপনার গান শুনছি অনিকেতদা, আরও যে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
এত সুন্দর গান করেন কিভাবে???
অসাধারন লাগলো।
এই গান যে কত হাজার বার শুনলাম ! ইস
facebook
কবিতাটি সব সময় আমার প্রিয় ছিলো,আজো আছে,আজীবন থাকবে।অনিকেত ভাই আপনার লিখাটা পড়ে কষ্টসিক্ত মুগ্ধ হলাম।আগামি বছর দুয়েক পর হয়তো আমি ও প্রবাসি হবো।এই বাঙলার নদী,জল,ধুলোবালি,কাদা,মেঠো পথ আর সবুজ ধানক্ষেত ছেড়ে আমাকে ও একদিন প্রবাসি হতে হবে,হয়তোবা আপনার মতো এমন স্মৃতিময় পিছনের দিনগুলোর কথা লিখতে হবে।আপনার লিখাটা পড়ে নিজের ভবিষৎকে চোখের সামনে দেখতে পেলাম আর নীরবে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম।ভালোথাকুক দূরে কাছে সব মানুষেরা,ভালোথাকুক বাংলা উদার প্রকৃতি আর চিরচেনা পথের চেনা অচেনা সাথীরা।
নতুন মন্তব্য করুন