নানা কারণে কম্পিউটারকে আমার হিংসা হয়।
প্রথমেই যেটা ঈর্ষনীয় লাগে (অন্তত আমার কাছে) সেটা হল তার স্মৃতিশক্তি! কী বিশ্রী রকমের ভাল স্মৃতিশক্তি তার। কিছুই ভোলে না!
আমার নিজের স্মৃতিশক্তি নেহায়েত খারাপ না। কবে-কখন-কোথায় কে আমাকে গালি দিয়েছিল, বকেছিল, কোন বালিকা পাত্তা দিতে গিয়েও দেয় নি---সেসব আজো জ্বলজ্বল করে মনের মণিকোঠায়। কিন্তু এটাও সত্যি --আমি ভুলেও গেছি অনেক কিছু। বেশির ভাগ সময়ে ভুলে গেছি আমার নিজের যথাকিঞ্চিত সুখের মূহুর্তগুলো। ভুলে গেছি প্রথম বার ললিপপ খেতে কেমন লেগেছিল। কিন্তু মনে আছে দোকান থেকে মাত্র একটা ললিপপ কিনে নিয়ে আসার কথা। সেইটা আমরা সকলে মিলে খাওয়ার কথা। একজন একটু চেটে, তারপর ধুয়ে অন্যজনকে দিচ্ছিলাম। মহার্ঘ্য বস্তু ছিল সেটা তখন। টিভিতে কোজাক নামের এক ডিটেক্টিভ সিরিয়াল দেখাতো তখন। টাক মাথার মারকুটে গোয়েন্দা।তার কারণেই দেশে যেকোন টেকো লোকের 'জেনেরিক' নাম হয়ে দাঁড়িয়েছিল কোজাক! মুখে তার সর্বদাই একটা ললিপপ। গুন্ডা-বদমাশদের একধার থেকে পিটিয়ে সিধে করে দেবার পরও মুখ থেকে ললিপপ হারিয়ে যায় না। সেই টাক মাথা কোজাকের প্রিয় ললিপপ যখন প্রথমবার বাজারে এল---সে কী তার আগুন দাম! সবার জন্যে একটা একটা করে জুটল না। বরং সবার জন্যে একটা জুটল। মা বলে দিল তুই একটু খেয়ে সেইটা ধুয়ে তারপর বোনকে দিস।
আজ এতদিন পর, আমার মনে নেই প্রথম ললিপপের স্বাদের কথা---কিন্তু কেন জানি মনে রয়ে গেছে ভাগ করে এক ললিপপ খাওয়ার কথা। আজ চাইলে আমার ঘরের উঠোন ভাসিয়ে দিতে পারি মুঠো মুঠো ললিপপ কিনে এনে---আজ হাজার ললিপপ কেনার সামর্থ্য হল আমার, কিন্তু যাদের সাথে ভাগ করে নেবার কথা, তারা কেউ কাছে নেই।
কম্পিউটারের দ্বিতীয় যে জিনিসটা খুব হিংসা লাগে সেটা হল--তার কোন মন-খারাপের দিন নেই। এমন কি কেউ কোনদিন শুনেছেন যে আপনার ল্যাপি স্টার্ট দিতে গেলেন আর সে বলে বসল আজ আমার মন ভাল নেই। আজ কে 'অন' হচ্ছি না! কিংবা গুগল সার্চ করতে দিলেন কিছু--ল্যাপি বলে উঠল, দেখো মন-মেজাজ ভাল নেই আমার--কিচ্ছু খুঁজে এনে দিতে পারব না! পারলে নিজে খুঁজে বের করো!!
অবশ্য আমাদের মত তারও শরীর খারাপ হয় বৈকি। নানান 'সামাজিক' সাইটে ঘোরাঘুরি করে নানান ট্রোজান ভাইরাস ম্যালওয়ার অন্দিসন্ধিতে জমিয়ে রাখলে এম্নিতেই দেখবেন তার কাজে গড়িমসি হচ্ছে। কোন কিছু করতে দিলে দুই সেকেন্ডের কাজ তিরিশ সেকেন্ড লাগিয়ে করছে--
কিন্তু করছে! কখনো বলছে না যে করব না।
সেই তুলনায় আমার প্রায় হররোজ মন-খারাপের দিন লেগেই আছে। প্রতিদিন সকালে (ভোর সাড়ে চারটে---এই সময়টা দীর্ঘদিন ধরে ছিল আমার ঘুমুতে যাবার সময়) উঠেই মনে হয়--কাজে যাব না। আজ যেতে ইচ্ছে করছে না। কী হয় আজ কাজে না গেলে?! আধা ঘন্টা ধরে নিজেকে বুঝাতে হয়। বিছানার নানান প্রান্ত থেকে নিজেকে কুড়িয়ে তুলে আনতে হয়। ক্লান্ত চোখে আয়নায় নিজের রুখু-সুখু প্রতিবিম্ব দেখতে দেখতে ভাবি--তুমি কে হে? তোমাকে তো ঠিক চিনলাম না।
যেদিন হুমায়ুন আহমেদ মারা গেলেন সেদিন আমি কাজে গেলাম না। আমার কাজটা এমন যে, যেদিন কাজ করি না সেদিন টাকা পাই না। কাজে না যাওয়াটা সেই অর্থে নিজের ক্ষতি এবং বেশ মোটা অংকের ক্ষতি। আমি সেইসব পাত্তা না দিয়ে শুধুমুদু রাস্তায় ঘুরে বেড়তে লাগলাম। সারাদিন ধরে মাথার ভেতর হু হু করে বয়ে যেতে থাকল নানান দৃশ্যপট, নানান বাক্যবন্ধ। মনে হতে লাগল প্রথমবার 'ময়ুরাক্ষী' পড়ার অনুভূতির কথা। নদীর নাম জিজ্ঞেস করায় হড়বড় করে আড়িয়াল খাঁ বলে হিমুর রাম-চড় খাবার কথা। মনে হতে লাগল ঐ প্যারাগ্রাফ দুই দুইবার করে পড়ে গলা উঁচু করে ঠা ঠা করে হাসার কথা--মা এসে মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করছিলেন এমন পাগলের মত করে হাসছিস কেনো রে ? হাসতে হাসতে তখন চোখে পানি এসে গিয়েছিল, সেইটা মুছতে মুছতে বলছিলাম, মা, একজনকে তার স্যার জিজ্ঞেস করেছেন নদীর নাম বলতে আর সে কোনকিছু ভেবে না পেয়ে বলেছে আড়িয়াল খাঁ এর কথা-- হা হা হা --হো হো হো---
মা স্মিত মুখে আমার মাথার চুল এলোমেলো করে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। হয়ত ভাবছিলেন কী পাগল ছেলে তার।
মা যদি সেদিন দুই মিনিট পরে এসে আবার ঘুরে যেতেন--দেখতেন তার ছেলের চোখে তখনো জল--না, সেই আড়িয়াল খাঁর অংশ তৃতীয়বার পড়ে হাসার জন্যে নয়। বরং ঠিক তার পরের প্যারাগ্রাফটা পড়ার জন্যে। সে প্যারাতে দেখি, ছাত্রকে চড় মেরে শিক্ষকের মনটা খারাপ হয়ে আছে। সারাটা ক্লাস কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা হিমুকে কাছে ডেকেছেন মফিজ স্যার। বিষন্ন গলায় বলছেন, এখনো কান ধরে আছিস কেন? পরে আরো অনুতপ্ত স্বরে বলেছেন--'তোকে শাস্তি দেয়াটা অন্যায় হয়েছে, খুব অন্যায়। তোকে নদীর নাম বলতে বলেছি, তুই বলেছিস। আয় আরো কাছে আয়, তোকে আদর করে দিই।'
পরের অংশটুকু হুবহু তুলে দিচ্ছি ময়ুরাক্ষী থেকেঃ
" স্যার এমন ভঙ্গিতে মাথায় এবং পিঠে হাত বুলাতে লাগলেন যে আমার চোখে পানি এসে গেল। স্যার বিব্রত গলায় বললেন, আমি তোর কাছে থেকে সুন্দর একটা নদীর নাম শুনতে চেয়েছিলাম আর তুই বললি আড়িয়াল খাঁ। আমার মেজাজটা গেল খারাপ হয়ে। আচ্ছা এখন সুন্দর একটা নদীর নাম বল।
আমি শার্টের হাতায় চোখ মুছতে মুছতে বললাম, ময়ূরাক্ষী।
ময়ুরাক্ষী? এই নাম তো শুনিনি। কোথাকার নদী?
জানি না স্যার।
এই নামে আসলেই কি কোনো নদী আছে?
তাও জানি না স্যার।
স্যার হালকা গলায় বললেন, আচ্ছা থাক। না থাকলে নেই। এইটা হচ্ছে তোর নদী। যা জায়গায় গিয়ে বোস। এমনিতেই তোকে শাস্তি দিয়ে আমার মনটা খারাপ হয়েছে। তুই তো দেখি কেঁদে কেঁদে আমার মন-খারাপটা বাড়াচ্ছিস। আর কাঁদিস না"
এই অংশটুকু যখন আমি প্রথমবার পড়ি, তখন আমার চোখে জল টলমল করছিল। অথচ এই আমিই দু'মিনিট আগে হাসছিলাম হিমুর চড় খাওয়া নিয়ে। কী অদ্ভূত ক্ষমতা নিয়েই না এসেছিল এই লোক! এক মুহুর্তে হাসিয়ে দিয়েই পরক্ষণে চোখে জল এনে দেয়া!!
মনে পড়ে আমার আছন্ন হয়ে ভাবার কথা--ইসস কী মজাই না হত যদি নিজের এইরকম একটা নদী থাকত! মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা কাকচক্ষু জলের নদী। যখনি চারপাশের পৃথিবী আমার উপর বিরাগ ভাজন হবে, আমিও তখন হিমুর মত চট করে নিজের মাঝে গুটিয়ে গিয়ে বের করে নিয়ে আসব নদীটাকে। আমার চারপাশে হেঁটে যাবে নাগরিক জীবন, পায়ের নীচে ক্রমশ ম্লান হয়ে আসবে দিনের আলো, মাথার চুল এলোমেলো করে দিয়ে বয়ে যাবে মাতাল জোছনার হাওয়া---আর আমি সবকিছু থেকে নিজেকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেব ময়ুরাক্ষীর তীরে!
হিমুর পরের গল্পগুলোতে ময়ুরাক্ষী প্রসঙ্গ আর আসে নি (আমার জানা মতে)। ময়ুরাক্ষীর অপেক্ষায় থেকে থেকে একসময় আমি মাথা নীচু করে ফিরে চলে এসেছি নাগরিক জীবনে। দূরে চলে গিয়েছি হুমায়ুন থেকে। এখনো যেকোন বিকল দিনে, যদি হুমায়ুন পড়তে যাই, আমার হাতে উঠে আসে ময়ুরাক্ষী --যে বইটা লিখে কেবল আমার মাঝে নয়, আমার ধারণা আরো অনেকের ভেতরে অলৌকিক এক নদী এনে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।
হুমায়ুনের মৃত্যুদিনে এক বিজন পাহাড় ঘেরা জন-মনিষ্যিহীন প্রান্তরে বসে ভেজা চোখে আমি অনবরত খুঁজে ফিরছিলাম সেই নদীটাকে যার সাথে আমার কখনো দেখা হয়নি।
আমি নিশ্চিত কম্পিউটারকে এই যন্ত্রণায় যেতে হয় না কোন দিন। কোনদিন তাকে বলতে হয় না--আমার প্রিয় এক লেখক মারা গেছেন তাই আজ আমার সমস্ত কিছু পন্ড মনে হচ্ছে। এই লোকটা আমাকে শাদা গাড়ির গল্প শুনিয়েছিল যেখানে ভীষন অসুস্থ আর ভীষন রোগা একজন তরুণ একটা শাদা গাড়িতে বসে বৃষ্টির নীচে ভিজতে ভিজতে ভ্রুঁ কুঁচকে ভাবে, পৃথিবীর মানুষ এত সুখী কেন। এই লোক আমাকে একটা নীল বোতামের গল্পে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন রঞ্জুর সাথে আর এশার সাথে--বলেছিলেন ভীষন রকম সাধারণ এক মানুষের অসম্ভব কিছু পেতে যাওয়ার সংগ্রামের কথা, তার স্বপ্ন দেখার কথা, তার হেরে যাবার কথা। পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন পৃথিবীর সবচাইতে পুরোনো রসিকতার সাথে---এই পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ স্বপ্ন দেখবে অসম্ভব কিছুর জন্যে, লড়াই করবে সে স্বপ্নটির জন্য, অনেকেই দুরন্ত ষাড়ের চোখে বাঁধবে লাল কাপড়, একশো আটটা নীল পদ্মের খোঁজে বেরিয়ে অনেকেই হয়ত আর ফিরবেনা বাড়ি---আর বাকী সকলে দিন শেষে ঘরে ফিরবে অপূর্ণতা সাথে নিয়ে। হুমায়ুন যেমন বলেন 'একটি নীল বোতাম'-এর শেষ স্তবকেঃ
আমি ফিরে যাচ্ছি আমার খুপরি ঘরে। অন্যসব রাতের মতো আজ রাতেও হয়ত ঘুম হবে না।বালিশের নীচ থেকে নীল বোতাম বের করে আজো নিশ্চয়ই দেখব। এই পরিবারটির কাছ থেকে একটা নীল বোতামের বেশি পাওয়ার যোগ্যতা আমার ছিল না। এই সহজ সত্যটি আজ রাতেও আমার মাথায় ঢুকবে না। আজ রাতেও বোতামটিকে মনে হবে একটি অপরাজিতা ফুল
কম্পিউটারকে যদি কোন কারণে আমি সবচাইতে বেশি হিংসা করে থাকি--তবে সেটা হল রিসেট বাটনের জন্যে! কোন প্রোগ্রাম চালাতে গিয়ে কম্পুবাবা হ্যাং করেছে, কোনকিছুতেই সাড়া দিচ্ছে না, এক্কেবারে নট-নড়ন-চড়ন? কোন চিন্তা নেই। খুঁজে বের করুন তার রিসেট বাটন। এক টেপাতেই দেখবেন কম্পু আবার স্টার্ট হচ্ছে নতুন করে। আবার জমছে মেলা বটতলা-হাটতলা---
ঝামেলা, রিসেট, ঝামেলা, রিসেট---
আরো আছে উইন্ডোজের সিস্টেম রিস্টোর---হয়ত আজকের দিনে এমন কিছু করেছেন যে কম্পুর ভেতরটা গেল বিগড়ে। মুষড়ে পড়ার কোন কারণ নেই। সিস্টেম রিস্টোর ব্যবহার করে ফিরে যান আগের কোন এক দিনের কনফিগারেশানে, যেদিন সব ঠিকঠাক ছিল---
আমি কম্পুর স্মৃতিশক্তির দূর্বলতা (বা সবলতা) নিয়ে আক্ষেপ করি, তার মন-খারাপ না হওয়া নিয়ে অবাক হই---কিন্তু আমার শরীরের কোথাও কোন রিসেট বাটন না থাকা নিয়ে মুহ্যমান হই, বেদনার্ত হই সবচেয়ে বেশি। নিজেকে কেন জানি প্রতারিত মনে হয়। যে আমরা সৃষ্টি করলাম কম্পিউটার, তাকে কী সুন্দর একটা রিসেট বাটন দিয়ে দিলাম--অথচ নিজেদের বেলায় অষ্টরম্ভা?! এতদিনেও একটা রিসেট বাটন আবিষ্কার করতে পারলাম না?
আমার তো মনে হয় মানুষের সমস্ত জ্ঞান-শক্তি-প্রাচুর্য্য কেন্দ্রীভূত করা উচিত কেবল মাত্র এই একটা কাজে--
একটা রিসেট বাটন আবিষ্কারের কাজে---
একটা রিসেট বাটন হলে আমি প্রয়োজন মত নিজেকে রিসেট করে নিতাম। প্রিয় লেখকের মৃত্যু আমাকে যখন ক্রমশ টেনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করত স্মৃতির অতলে, আমি চট করে রিসেট বাটন চেপে ফিরে আসতাম স্বাভাবিক অবস্থায়। যে দিনটা শুরু করার পর থেকে প্রতিটা ক্ষণ কাটছিল নিদারুণ ব্যর্থতায়, একের পর এক পরাজয়, অপমান আর গ্লানি এসে ডুবিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল মানবিক সত্ত্বা--রিসেট বাটন থাকলে কেবল ছোট্ট একটা আঙ্গুল স্পর্শে ফিরিয়ে নিয়ে আসতাম উজ্জ্বল এক শুরুতে। হয়ত নতুন করে শুরু করতে পারতাম সবকিছু। যে ক্ষণটা পার করে দিয়েছিলাম ক্ষমাহীন নিশ্চুপতায়--রিসেট বাটন চেপে ফেরত এসে শব্দগুচ্ছে সাজিয়ে দিতাম দৃশ্যপট।
আমি জানি, আমি জানি---
রিসেট বাটন থাকলে আমি হয়ত হয়ে উঠতাম আরো বড় এক তস্কর। যতবার ইচ্ছা মানুষকে আঘাত করতে পারতাম--এই জেনে যে, আমি তো 'রিসেট' করে দিতেই পারি যখন তখন। লোকজনের গরু মেরে আমাকে জুতোটা পর্যন্ত দান করতে হতো না। কেবল রিসেট করে দিতে হত সুযোগমত। নিজের পছন্দমত দৃশ্যাবলী না সাজলে, রিসেট করে দিতাম, রিসেট করতে থাকতাম, যতখন না সবকিছু মন মতো হয়। মোদ্দা কথা, রিসেট বাটন আমাকে করে দিতো হয়ত ঈশ্বর!
পৃথিবীতে যদি সবচেয়ে গ্লানিকর কোন কাজ থাকে--তবে সেটা ঈশ্বরের কাজ।
দরকার নেই বাবা, এর চেয়ে বরং বেঁচে থাকুক সর্দি-কাশি, বেঁচে থাকুক আমার মন-খারাপি হাওয়া--
না হয় বোকা মানুষের মত বাঁচলাম কিছুদিন বোকামি করে, ভুল করে, ভুল খেয়ে, ভুল পরে
রিসেট বাটন ওয়ালা যন্ত্র বা ঈশ্বর হওয়ার চেয়ে আমার এই ভ্রান্তিময়, ক্লান্তিময়, গ্লানিময় জীবনটাই থাকুক---
মন্তব্য
চমৎকার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই
শুভেচ্ছা নিরন্তর
হুম বস, দিলেন তো মনটা খারাপ করে!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দুঃখিত বস, মন খারাপ করিয়ে দেবার জন্যে--
অবশ্য আমাদের চরম'দা লেখা দিয়েছেন--সেইটায় কাটাকাটি হয়ে যাবার কথা---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
সেইটা পড়েই দেখি আপনার লেখা। হাসি হাসি মুখটা মুহূর্তে মিলায়ে দিলেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কি দারুন লাগল কথাগুলো !
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ বস
শুভেচ্ছা নিরন্তর
খুব ভাল, খুব ভাল।
আহা কি ভাল যে লাগলো।
আমাদের অবসর জীবন কাটানোর বাড়ীটি নদীর পাশে কেনার ইচ্ছে ।
অটঃ তুমি কি পুকিপ্সি নাকি অলবেনীর কাছে থাক। আমার বাসা ভালুক পর্বতের কাছে, রকল্যান্ড এ।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ নীলকমলিনী'দি!
আমি থাকি পাটনাম ভ্যালিতে। সেটা অলবেনি-র দিকে যাবার পথে পড়ে।
আর সেদিন তো আমরা সবাই জোট বেঁধে আপনার ভালুক পাহাড় দেখে এলাম---আপনি থাকলে আপনার ঐখানেও ঢুঁ মেরে আসা যেত হয়ত----
ভাল থাকুন সকল সময়ে---
আমার কিন্তু কম্পু বেচারার জন্য ভীষণ মায়া হয়; কোন কিছু ভুলতে পারে না; যে কাজ দেই, যখন দেই, আপত্তি করার সুযোগ নেই। মাঝে মাঝে
একটু গাইগুই করে অবাধ্য হতে চায় বেচারা, তখন রিসেট বাটন টিপলেইতো জারিজুরি শেষ, সোজা লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য।
লেখা ভাল লেগেছে ।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ এক জোনাকি
শুভেচ্ছা নিরন্তর
দারুণ
আমি অন্তত একখান আনডু বাটন হৈলেও খুশি হৈতাম, এই ধরেন পাঁচ ঘর পর্যন্ত যাওয়া যায় সেরাম আনডু বাটন
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ সত্যপীর সাহেব!
আনড্যু বাটনের আইডিয়াটাও খারাপ না---
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
খুব চমৎকার লাগলো তো পড়তে, কিন্তু মনটা কেমন খারাপ করে দিলেন।
কম্পুর নাহয় মন খারাপ হয়না, আমার তো হয়, কত কাজ ছিল ল্যাবে- মন খারাপ নিয়ে কাজ হয়?
প্রিয় লেখকের মৃত্যু আমাকেও হ্যাং করে দিয়েছিল বেশ অনেকদিন ।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ সাফিনাজ আরজু
সেই তো হল আসল কথা---এইখানটাতেই কম্পুরা জিতে গেল!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
ভালো লিখেছেন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ সবুজ পাহাড়ের রাজা
শুভেচ্ছা জানবেন
তারা দাগাতে লগালাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
থ্যাঙ্কুশ তিথী
****************************************
আহা! কি কথা। সে রকমইতো বেঁচে আছি।
ধন্যবাদ প্রৌঢ় ভাবনা
শুভেচ্ছা নিরন্তর
একটা রিসেট বাটন আসলেই দরকার। অনেক সময় খুব অভাব অনুভব করি এইরকম একটা বাটনের।
অনেক ভালো লিখেছেন, অনিকেত দা। ভালো থাকুন সবসময়।
অমি_বন্যা
অনেক ধন্যবাদ অমি_বন্যা
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
দারুণ লাগলো।
রিসেট বাটন কিন্তু আছে নিজের কাছে। একটু কষ্ট তবে অসম্ভব না মাঝে মাঝে রিসেট করা।
ধন্যবাদ উদাস বস
প্রায় লাফিয়ে পড়ে জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলাম 'কোথায়?' পরে কী না কী উত্তর দেন সেইটা ভেবে আত্মসংবরন করলাম--হে হে হে
ভাল থাইকেন বস
শুভেচ্ছা নিরন্তর
অতিশয় চমৎকার।
অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নখুঁজি
শুভেচ্ছা জানবেন
দারুণ লাগলো। রিসেট হয় কিন্তু, সচেতনভাবেই হোক আর আনমনেই হোক রিসেট করে ফেলি আমরা, মানুষ সব পারে। শুভকামনা।
ধন্যবাদ তানিম
শুভেচ্ছা নিরন্তর
রিসেট বোতামটা দরকার- আমারো মাঝে মাঝে এইরকম মনে হইতো যে না তা না, কিন্তু পড়তে পড়তেই ভাবছিলাম কি বলবো আপনাকে। শেষের দিকে এসে দেখি নিজেই বলে দিলেন
ভালো থাইকেন অনিকেত'দা। এই সময়্টা কেমন জানি। এখন ভালো থাকাটা খুব দরকার
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
অনেক ধন্যবাদ বস
তোমার জন্যেও রইল অফুরান শুভেচ্ছা---
কালকে রাতে লেখা পড়ে আচ্ছন্ন হয়ে ছিলাম। মন্তব্য তাই করা হয় নি। আজ মন্তব্য করতে ঢুকলাম। এমন লেখেন কী করে?
রিসেট বাটন মাঝে মাঝে যে পেতে ইচ্ছে করে না তা না। তবে শেষপর্যন্ত আমারো একই অভিমত, যা আছি ভালো আছি। সব পারফেক্ট হয়ে গেলে আর মজা কী? ভুল করবো, কষ্ট পাবো, তবেই না আনন্দের তীব্রতা বুঝবো।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
অনেক ধন্যবাদ টিউলিপ
চুপি চুপি , ললিপপ নাই তো এইটা চাখেন
ধন্যবাদ কৌস্তুভ'দা।
ভাল থাকুন সকল সময়ে---
আপনার চিন্তাভাবনার সাথে আমার ভীষণ মিল। মনে হচ্ছিল লেখাটা যেন আমিই লিখেছি। পরে ভুলে গেছি।
অথচ আপনি আরেকটা মানুষ। মৃদুল আহমেদ তো আপনি নন।
আপনি লম্বা, আমি বেঁটে। আপনি কুচকুচে কলির কৃষ্ণ, আমি আধাসাদা ময়দাচোর বেড়াল। আপনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, আমি ইঞ্জিন বানান জানি না।
তাহলে এমন হল কেন?
কারণটা এই যে, আপনি একজন দারুণ লেখক। ভালো যেকোনো লেখা পড়লে সেটা নিজের বলে মনে হয়।
এটাকে লেখকের সার্থকতা বলব না, বলব এটা হৃদয়বান লেখকের লক্ষণ।
প্রতিভাধর লেখক, পারঙ্গম লেখক, দুর্দান্ত লেখক এসব অভিধা অন্য কারো জন্য থাকুক।
আপনি হৃদয়বান লেখক। আরো স্পষ্ট করে বললে বলা যেতে পারে, হদয়বান মানুষ।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ধন্যবাদ মিদুল বস। আপনার সাথে দেখা না করতে পারার শোধটা এইভাবেই তুললেন? লোক সমক্ষে আমার নামে এইসব কথা বার্তা বলতে আপনার একটুও বুক কাঁপল না চৌধুরী সাহেব?
হা হা হা --
অনেক ধন্যবাদ বস। আপনার লেখা মিস করতে করতে দিশেহারা হবার মত অবস্থা। একটু কষ্ট করে নতুন লেখাটেখা দেন বস---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
হুমায়ুন আহমেদের সব চেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে; আপনার মত কিছু নির্শত-মুগ্ধ-
পাঠক তৈরী করে যাওয়া, যারা ময়ুরাক্ষীর দৃষ্টিতে হুমায়ুন আহমেদকে সব সময় দেখবে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ পুতুল--
ভাল থাকুন সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে---
আপনার লেখাটা পড়ে চোখে জল এসে গেছে। আবার মনে পরে গেলো যেদিন হুমায়ূন আহমেদ মারা গেলেন সেদিন কী ভীষণ কেঁদেছিলাম আমি। আমার খুব প্রিয় কেউ চলে গেছে এমন মনে হয়েছিল! সত্যি আমিও কতদিন ভেবেছি আমার একটা নদী কেন নেই? নিজের কথা মুখ ফুটে বলতে না পারার যে কষ্ট আমি সব সময় পাই একটা নদী থাকলে সব কিছু তার কাছে উজার করে বলতাম হয়ত!
তবে আমি যে জীবন পার করছি সেই একই জীবন রিসেট করে আবার চাই না। খুব তাড়াতাড়ি জীবনের সমাপ্তি ঘটে যদি নতুন আরেকটা জীবন আসে আমি তাতেই বরং বেশি খুশী হবো।
খুব চমৎকার লেগেছে লেখা। অনেক শুভকামনা।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ধন্যবাদ মেঘা
ভাল থাকুন সকল সময়ে---
বেশি না, দাঁতে দাঁত খিইচ্যা আর মাত্র শ' দেড়েক বছর বাঁইচা থাকতে পারলেই হয়। তারপর টাইম মেশিনটা হাতে বাগাইয়া মনমতো সময়ে গিয়া টাইম মেশিনটা ভাইঙা কটকটি ওয়ালার কাছে বেইচা দিয়ে সরিষা ক্ষেতের আলের ধারে বসে কটকটি খাবো কটকট করে। কী আছে জীবনে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেইটাই কথা ধুগো বস!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
মাঝে মধ্যে আসলেই রিসেট বাটনের অভাব খুব বোধ হয়...
তারপর আবার পরক্ষণেই ভাবি, ধুস্শালা, যা আছি ভালোই আছি..
হুমায়ুন আহমেদ শেষের দিকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন, তার বইও তেমন আর পড়া হতো না। কিন্তু তিনি মারা যাবার পর কয়েকদিন এতো শূণ্য মনে হতো সবকিছু। সেই শূণ্যতার অনুভূতি পার করা কষ্টসাধ্য...
লেখা ভাল্লাগলো খুব.. ভালো থাকবেন
ধন্যবাদ নৃ
শুভেচ্ছা জানবেন
ময়ূরাক্ষী বইটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম বন্ধুর কাছ থেকে। অনেকদিন পরে প্রথমবার পড়ার অনুভূতি কিছুটা অনুভব করলাম-- অসাধারণ লেখা। আপনার লেখাটিও কোথায় যেন ছুঁয়ে গেল--হৃদয়ে বা মনে বা মস্তিষ্কের কোন কোষে বোধ করি।
অনেক ধন্যবাদ পিপি'দা
ভাল থাকুন সকল সময়ে---
আমেরিকাতে যখন সপরিবারে মুভ করি, টাকার প্রচন্ড কষ্ট ছিল। না খেয়ে কখনো কাটাতে হয়নি ঠিক, কিন্তু প্রত্যেকটা সেন্ট হিসাব করে খরচ করতে হতো। আমি খুব ভাগ্যবানদের একজন, কারণ ওই দুঃসময়েও নিশ্চিত থাকতে পেরেছিলাম যে আমাদের সময় ফিরবে। দুঃসময় জিনিষটা খুব মূল্যবান, এর মধ্যে দিয়েই মানুষ নিজেকে বেশি ভালোভাবে চিনতে পারে, নিজের শক্তিগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া যায়।
আমি রিসেট বাটন চাই না। জীবনে অনেক বড় বড় ভুল করেছি, সময় অপচয় করেছি, ভুল মানুষকে খুশি করতে ব্যস্ত থেকেছি। যত যাই হোক এক জায়গায় পড়ে তো আর নাই। সবসময়ই আরো সুন্দর একটা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বেচে আছে। সেটাই বড়।
ধন্যবাদ রু
চমৎকার লাগল কথাটা
শুভেচ্ছা নিরন্তর
মন্খারাপ্কর্তেছেন্ক্যান?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কেকৈলমঙ্খারাপকর্সি?
আজকেই ওর সাথে কথা হচ্ছিল। বলছিল, যদি পারতাম, জীবনটাকে এখানেই পজ করে দিয়ে নতুন করে শুরু করতাম।
আমি বললাম, হুম। কিন্তু তোমার জীবন কি শুধু তোমার একার ? তোমার ভাই, বাবা, তোমার বন্ধু, পরিচিত আধা পরিচিত -- এদেরকে নিয়েই তো জীবন। তুমি না হয় রিসেট করলে, তোমার কাছের মানুষজন যদি রিসেট করতে না চায়, তখন?
অথবা, ধর, তুমি যাকে ফিরে পাবার জন্য জীবনটাকে আবার রিসেট করলে, সেখানে গিয়ে যদি দেখ, সেও অন্য কাউকে পাবার জন্য জীবনটাকে রিসেট করে ফেলেছে, তখন ?
ও হতভম্ব হয়।
হতভম্ব আমিও হই। কেন, কে জানে !
আপনার লিখাটা ওকেও পড়তে দিলাম। ভালো করসি না ?
অনেক ধন্যবাদ সাত্যকি বস।
সেরাম প্রশ্ন বস--!
শুভেচ্ছা নিরন্তর
সেটাই। মাঝে মাঝে রিসেট বাটন টাকে পেতে ইচ্ছে করলেও পরক্ষনেই আবার মনে হয় নাহ , যেমন আছি তাই থাকি। সবকিছু রিসেট করা যাবে জানলে কোন কিছু করেই হয়ত আর আনন্দ পেতাম না।
তবে একটা আনডু বাটন খুব মিস করি আমি প্রায়ই।
পড়ারা জন্যে ধন্যবাদ ধুসর জলছবি।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্যানার্জি--!
অনিকেত দা,
১। আমি আপনার লেখা এবং গান, দুটোরই ভয়াবহ রকমের ভক্ত। আপনার কিছু কিছু লেখা পড়ে সত্যি সত্যিই চোখ ভিজে গেছে। ময়ূরাক্ষী নিয়ে আমার ঘটনা টা অনেকটা একই রকম। নিশ্চুপ পাবলিক লাইব্রেরী তে হো হো করে হেসে উঠেছিলাম, পরোক্ষনেই চোখে পানি!
২। আপনি শুধু মনখারাপ করা লেখা লিখেন কেন?
ভালো থাকবেন সব সময়। সকাল, দুপুর, বিকেল, রাত্রি......
সুপ্রিয় ভেগাবন্ড,
১। অনেক ধন্যবাদ বস।
২। কেন জানি মন-ভালো করা লেখা কিছুতেই লিখতে পারি না---চেষ্টা করব যদি কিছু মন-ভালো করা লেখা লিখতে পারি, কোনো দিন! ততদিন আপনার মনটা ভাল থাকুক--এই কামনা রইল--
অসাধারণ লিখেছেন ভাই,মনে হচ্ছে নিজেরই কথা।বলতে না পারা,জমে থাকা কথা।
জীবন কতোটা সুন্দর।জন্মান্তরবাদে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে
--আসলেই তাই!
অনেক ধন্যবাদ অর্ণব, শুভেচ্ছা জানবেন--
"কম্পিউটারকে যদি কোন কারণে আমি সবচাইতে বেশি হিংসা করে থাকি--তবে সেটা হল রিসেট বাটনের জন্যে! কোন প্রোগ্রাম চালাতে গিয়ে কম্পুবাবা হ্যাং করেছে, কোনকিছুতেই সাড়া দিচ্ছে না, এক্কেবারে নট-নড়ন-চড়ন? কোন চিন্তা নেই। খুঁজে বের করুন তার রিসেট বাটন। এক টেপাতেই দেখবেন কম্পু আবার স্টার্ট হচ্ছে নতুন করে। আবার জমছে মেলা বটতলা-হাটতলা---" ... ... ...মানুষের রিসেট বাটনের দরকার নেই ,যা চলতে চায় না তা সেট করার দরকার কী ... মানুষ অপরিমেয় মেধা নিয়ে 'নতুন' কিছু উদ্ভাবন করে তা সেট করে চলতে পারে ... এ ক্ষমতা কেবল মানুষেরই ... ... ... ... ... ...হুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধাঞ্জলী ... ... আর লেখকের জন্য শুভ কামনা ... এবং আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় ...
আফরিন আহমেদ
অনেক ধন্যবাদ আফরিন--
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
নতুন মন্তব্য করুন