বড় হবার একটা জরুরি অনুষঙ্গ হল--বড়দের মত করে ভাবতে শেখা, বড়দের মত করে কথা বলতে শেখা, বড়দের মত করে আচরণ করতে শেখা। এই তিনটে জিনিস করতে না পারলে সঠিকভাবে 'বড়' হওয়া যায় না---এই কথাটা ছোটবেলায় মা বলে দিয়েছিল।
ছোট্ট আমি তখন আমার ছোট্ট মাথাটা ভীষন চুলকে জিজ্ঞেস করেছিলাম--বড়রা কী রকম করে ভাবে, মা?
মা বলেছিল--আস্তে আস্তে শিখে যাবি--
আমি প্রথমেই যেটা শিখেছিলাম সেটা হল, কারো বাসায় বেড়াতে গিয়ে নাস্তা খাবার সময় হাভাতের মত খেতে নেই। খাবার সময়ে একটা বিস্কিট নিতে হয়। পরে অনেক বার সাধলে-- আরেকটা। ব্যাস! এর বেশি নেয়াটা হাভাতে-গিরি--সে তোমার যতই খিদে লাগুক না কেন, বা ঐ বিস্কিটটা যতই ভাল লাগুক না কেন। একই জিনিস খেলনার ক্ষেত্রেও খাটে। কারো বাসায় বেড়াতে গিয়েই ওদের বাচ্চাদের খেলনা নিয়ে খেলাধুলা করা ঠিক না। ওরা যদি খেলতে ডাকে তবে ঠিক আছে। সবচেয়ে বড় জিনিস হল, বাসায় ফেরার সময় ওদের খেলনা সাথে করে নিয়ে আসার জন্যে কান্না করা চলবে না। ঐটা চুড়ান্তরকম বাজে ব্যাপার। খুব ছোটরা এইরকম করলে ঠিক আছে। বড়রা এমন করে না! বড়দের বুঝতে হয়।
বড়দের বুঝতে হয়--
বড়দের ভাবতে হয়--
বড়দের সব কথা বলতে নেই--
সব কথা বলা বারণ!
আমি প্রাণপনে বড় হবার চেষ্টা করতে লাগলাম।
একটা সময় পরে আমাকে তখন আর কারো বলে দিতে হত না কী করা উচিত বা কী বলা উচিত। আমি বুঝে গিয়েছিলাম। আমি আমার বিস্কিটের প্রতি লোভ সামলাতে শিখে নিয়েছিলাম। খেতে খুব ভাল লাগলেও কঠিন মুখে ভদ্র হেসে 'না' বলা শিখে নিয়েছিলাম। বন্ধুদের খেলনা দূর থেকে দেখে দীর্ঘশ্বাস গোপন করা শিখে নিয়েছিলাম। রাতের বেলা ঘুমের মাঝে স্বপ্নে সেইসব খেলনা সাথে নিয়ে ঘুমুতাম আর সকালে উঠে খালি বিছানা দেখে সবার আড়ালে চোখ মোছা শিখে নিয়েছিলাম।
আমি বড় হয়ে উঠছিলাম।
বিস্কিট আর সুজির হালুয়াকে না বলার কষ্টের চাইতে বেশি কষ্ট হচ্ছিল কিছু কথা বলতে না পারার জন্যে। আমি বাসার সব থেকে ছোট বলে সবারই কিছু না কিছু উপদেশ দেবার ছিল। সে আমার তিন বছরের বড় বোন থেকে শুরু করে বাবুর্চি ভাই, ফেরিওয়ালা, দুধওয়ালা, ইস্কুলের বেয়ারা, মা, বাবা--সবাই! 'এই রকম করে বলতে হয় না', 'এত কথা বলিস কেন', 'এত প্রশ্ন করতে হয় না', 'বড়দের সাথে এত কথা বলতে হয় না'---প্রায় সবারই দেখা গেল আমার কথা বলা নিয়ে কিছু না কিছু অনুযোগ আছে। কেউ মনে করেন আমি বেশি কথা বলি, কেউ ভাবেন আমি বেয়াদপ হয়ে যাচ্ছি, কেউ মনে করেন স্থান-কাল-পাত্র বুঝে কথা বলতে পারি না।
আমি বুঝে গেলাম, আমার কথা বলা বারণ--
আমি নিবিষ্ট ভাবে পর্যবেক্ষন করা শুরু করলাম--- কিভাবে বড়রা কথা বলেন, কোন সময়ে তারা কিভাবে প্রশ্নের উত্তর দেন। এইখানে একটা সমস্যা হয়ে গেল। দেখা গেল, একেক 'বড়' মানুষ একেক রকম ভাবে কথা বলেন। উদাহরণ?
প্রথম উদাহরন, বাবা। বাবা পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়ে ব্যস্ত। কাছে গিয়ে বললাম, বাবা, সাতটার সময় 'টারজান' আছে, দেখি?
বাবার উত্তর- হুঁ।
দ্বিতীয় উদাহরণ, মা। একই প্রেক্ষাপট--টারজান দেখা। 'মা, সাতটায় একটু টারজান দেখি?'
'তোর হোমওয়ার্ক শেষ হয়েছে? ঐটা শেষ না করে কোন কিছু দেখাদেখি নেই।'
'বাবা বলেছে তো দেখতে'
'বাবা বলেছে? দাঁড়া দেখাচ্ছি তোর বাবা কে--'
এরপরেই উচ্চকন্ঠে বাবাকে উদ্দেশ্য করে---" এ্যাই, তুমি নাকি ওকে টারজান দেখতে বলেছ?" আবারো বাবার অন্যমনষ্ক "হুঁ" শোনা গেল। "সে কিন্তু হোমওয়ার্ক এখনো শেষ করে নি!"
"হুঁ"
" কী তখন থেকে হুঁ হুঁ করছ?"
"হুঁ"
ব্যস, মা রেগেমেগে ছুটলেন বাবার আপিসঘরের দিকে। সেদিনকার মত টারজান দেখার ইতি।
সবকিছু দেখে শুনে আমি বুঝে গেলাম কিছু জরুরি জিনিসঃ
১) বড়রা অধিকাংশ সময়েই কনফিউজড থাকেন।
২) তারা যে কনফিউজড, এইটা তাদেরকে বলা বারণ।
৩) সাতটার সময়ে টারজান থাকলে, কাউকে না বলে টারজান দেখা শুরু করে দেয়া ভাল। পরে ধরা পড়লে ফিফটি ফিফটি সম্ভাবনা আছে মার খাবার।
৪) পরীক্ষার আগে টারজান দেখা নিয়ে কোনরকম প্রশ্ন করা সমুহ বিপদজনক!
আরো একটু বড় হয়ে যাবার পর আমার 'বলা বারণ'-এর লিষ্টিতে ক্রমেই যোগ হচ্ছিল নানান রকমের জিনিসঃ
---পাশের বাসার নীলু আপু যখন সন্ধ্যায় বারান্দার অন্ধকারে সাদেক ভাইকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছিল--সেইটা নিয়ে কাউকে কিছু বলা বারণ!
---পরীক্ষার হলে উত্তম যখন নকল করে, সেইটা স্যারদের বলা বারণ!
--- মতি মামা যখন মাঝে মাঝে তার গাড়িতে করে ঘুরতে নিয়ে যান, তখন বার বার সামনের সিটে বসতে চাওয়ার কথা বলা বারণ।
---রাতে বাবা যখন বিবিসি শোনে, তখন কথা বলা বারণ।
---খুব রেগে গেলেও কাউকে 'কুকুরের বাচ্চা'/'শুয়োরের বাচ্চা' বলা বারণ।
বলা বারণ---বলা বারণ---বলা বারণ---বলা বারণ-------
এত কিছু 'বলা বারণ' হবার পরও একদিন সন্ধ্যে বেলায় আজ** চাচার বাসায় যাবার সময়ে হঠাৎ করে জানালা দিয়ে যখন দেখে ফেলি চাচা মারছেন তার স্ত্রীকে---তখন সেটা 'বলা বারণ' এর লিস্টিতে থাকলেও কেন জানি বাসায় এসে বলে ফেলি---শুনে গম্ভীর হয়ে যেতে দেখি বাবা-মা কে---এরও অনেকদিন পর সেই আজ** চাচা যখন হাসিমুখে আমার সাথে কথা বলতে আসেন, তখন কেন জানি ঠিকই মুখের উপর 'কুত্তার বাচ্চা' বলতে পারি না---কারন? বলা বারণ!
আমি যত বড় হই, আমার 'বলা বারণ' এর লিস্টিতে কেবলই যোগ হতে থাকে নতুনতর জিনিস। কৈশোরে সিলেটের জিন্দাবাজারে নতুন হওয়া লন্ডন ম্যানশনে বেড়াতে গিয়ে চোখ আটকে যায় নীল ফ্রক পরা এক কিশোরির দিকে। বিকেলের আলো-আঁধারির ছায়ায় তাকে মনে হচ্ছিল স্বর্গ হতে পথ ভুলে চলে আসা কোন অপ্সরা। ইচ্ছে করছিল তার হাত ধরে তাকে বলি----বলা হয় না, কারণ তখন জেনে গেছি, এইসব কথা বলা বারণ! রাজশাহী কলেজে পড়ার সময়ে ঊষা নামের যে মেয়েটি ক্যাল্কুলাসের ক্লাসে আমার সামনে বসত, যার হাসিতে ভোর আসত প্রতিদিন--তাকেও বলা হয় নি কিছুই--কারণ, বলা বারণ! কিছুদিন পরেই মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেল।
সব সময়ে যে বলা বারণ মেনেছি এমনও না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েই যে মেয়েটিকে খুব ভাল লাগত তাকে বলে ফেলেছিলাম মনের কথা যদিও জানতাম ওটা বলা বারণ। এমন সময়ে বলা, যখন তারও বিয়ের তোড়জোড় চলছে বাসায়। আমি জানতাম এই সময়ে মেয়েটাকে এইসব কথা বলার কোন মানে হয় না। তার কষ্ট, আমারও কষ্ট। তাও বোকার মত বলে ফেলা। মেয়েটা সব শুনে চুপ করে গিয়েছিল। বলেছিল, আগে বলো নি কেন? তাকে বলা হয় নি যে আমি আটকে ছিলাম আমার 'বলা বারণ' এর লিস্টে---
বিদেশে এসে পৌঁছাই ২০০০ সালের অগাস্টের এক ঝিরঝিরে বৃষ্টি হওয়া ভোর রাতে। সেই ভোর রাতে বিদেশের আকাশের বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে খুব দ্রুত বুঝে ফেলি--আমি কত বড় ভুল করে ফেলেছি। আমার সকল সময় দেশের বৃষ্টিতেই ভেজার কথা---
কিছু কিছু ভুল শোধরানো যায় না।
কিছু কিছু ভুল থেকে ফেরা যায় না।
যায় শুধু এগিয়ে যাওয়া।
মা ফোনে সব সময়ে অনুযোগ করে--তুই বাইরে থেকে থেকে একদম নির্দয় হয়ে গেছিস। তোর মনটা কঠিন হয়ে গেছে। তোর মায়া-দয়া কমে গেছে। মাকে বলা হয় না যে বাইরে এসে নিজেকে বাঁচানোর জন্যে আমি সবকিছু থেকে পালাতে শিখে গেছি। যে সকল জিনিস, যে সকল কথা, যে সকল মানুষ আমাকে দেশের কথা মনে পড়িয়ে দেয়--তাদের থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করি। কারণ আমি জানি, আমি কতটা দুর্বল। আমি জানি আমার মা তেমন করে ডাক দিলে এক লহমায় সব ফেলে চলে যাব তার কাছে। তাই মায়ের সাথে কথা কম বলি। কঠিন হৃদয়ের কাঠ-খোট্টা একজন হয়ে থাকার চেষ্টা করি। 'কেমন আছো মা, ভালো তো? আমিও ভালো!' এই জাতীয় কথা বলে আলাপ সারার চেষ্টা করি। আমার বোকা মা বুঝে উঠতে পারে না, তার একদা নরম-সরম ছেলেটা এমন হয়ে গেল কেন।
আমি মা কে বলি না--কারণ, বলা বারণ!
এইবার সাত বছর পর আমার বাবার সাথে আমার দেখা হল। সাত বছর পর দেখা হল বোনের সাথে। বুকের মাঝে কত কথা, কত কান্না দলা পাকিয়ে উঠল---কিন্তু আমি এখন বড় হয়ে গেছি। তাই আমি আমার সব কথা হড়বড় করে বলি না। আমি বাথরুমে গিয়ে কল ছেড়ে দিয়ে কান্না করা শিখে গেছি। আমি শিখে গেছি চল্লিশ বছরের পুরুষদের দশ বছরের শিশু হয়ে যেতে নেই, তাদের মত সব কথা বলতে নেই।
আমার বলা বারণ!
কোনদিন আমরা চারটি প্রাণী একসাথে হবো এই আশায় আমি IKEA থেকে কিনে এনেছিলাম চারটা চেয়ার আর একটা টেবিলের ছোট্ট একটা সেট। এবার বাবা-মা-বোন সবাই আমাকে দেখতে আসায় সেই স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে। যেদিন বাবা-মা-বোন কে নিয়ে আসি আমার বাসায় তার আগের সন্ধ্যায় দাওয়াত ছিল সচলের নীল কমলিনী'দি-র বাসাতে। নীলুদির সাথে আমার তখনো দেখা হয়নি। ফোনে কথা হয়েছে দুয়েক বার। একজন মানুষ যে কী ভীষন আন্তরিক হতে পারেন--যারা নীলুদি-কে দেখেনি, তারা জানবে না। প্রায় অজানা এই আমাকে নীলুদি স-পরিবারে নিমন্ত্রণ দিয়েছেন তাঁর বাসায়। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার সে কী বিশাল আয়োজন! আমার কোন লেখায় পড়েছেন যে পাবদা মাছ খুব পছন্দ করি---সেইজন্যে আলাদা করে পাবদা মাছ রেঁধেছেন মায়া ভরে। এমন মায়াময় একজন মানুষ নিমেষের মাঝে আমার বাবা-মা-বোন কে আপন করে নিয়েছেন---কিছুখনের মাঝে মনে হতে লাগল--নীলুদি আমার কত যুগের চেনা মানুষ! খাওয়াদাওয়া শেষে জমাট গানের আসর--আড্ডার আসর। নীলুদির স্বামী আশরাফ ভাই মন্দ্রিত কন্ঠে শোনালেন অপূর্ব কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত। সবকিছু শেষে যখন ঘরে ফিরছি, নীলুদি তখন চুপি চুপি করে হাতে তুলে দিয়েছেন কিছু খাবার। তার মায়ের মন। ঠিকই বুঝেছেন--হয়ত বাসায় আমার তেমন কিছু রান্না করা নেই। প্রথমবারের মত বাসায় নিয়ে যাচ্ছি এদের--যদি ঝামেলায় পড়ি। এইসব মমতায় খুব দ্রুত আমার গলা ধরে আসে, চোখে পানি চলে আসে। মুখ ফুটে ভাল করে ধন্যবাদও তাঁকে দিতে পারিনি।
পরের দিন সকালে আমরা চারটি প্রাণী যখন টেবিলটা ঘিরে বসলাম----আমার মনে হল, এরচেয়ে সুখের মূহুর্ত আমার জীবনে খুব কম এসেছে। আমি বাবার জন্যে একটা খেলনা হেলিকপ্টার কিনে এসেছিলাম। সেইটা দেখে বাবার চমকে ওঠা, সেইটা ঘরের মাঝে ওড়ানো--প্রতিটি দৃশ্য আমার মনে জ্বলজ্বল করছে। প্রতিটি দৃশ্য চোখে জল এনেছে। কিন্তু আমি বলিনি কিছুই---
কারণ, বলা বারণ---
একসময় যেএফকে এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিয়ে এসেছি তাদেরকে। মা সিকিঊরিটিতে ঢোকার আগে পর্যন্ত আমার হাত ধরেছিল। যে লোকটা মায়ের হুইলচেয়ার ঠেলছিল--তার চোখেও পানি দেখেছি আমার মায়ের কান্না দেখে।
কিন্তু আমি কাঁদিনি।
আমার কান্না বারণ--
মাকে,বাবাকে, বোনকে জড়িয়ে ধরে আমার কিছু কথা বলার ছিল--বলা হয় নি--
আমার বলা হয় না---
আমার বলা বারণ--
মন্তব্য
মনটা ভার হয়ে ওঠলো। আমরা সবাই বড় হতে চেয়েছি একটা সময়, তা না বুঝেই হয়তো। কিন্তু এখন মনে হয় এভাবে কি বড় হতে চেয়েছিলাম !
মানুষের জীবনে বড় হয়ে যাওয়াটা আসলেই সংশোধনের অযোগ্য সেই ভুল, যা আবার অনিবার্যও। এভাবে বড় হতে হতে একদিন এতো বেশি বড় হয়ে যাবো যে, কেউ দেখবে না আর------
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা, কথাটা একেবারে প্রাণস্পর্শ করে গেলো--
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে আর এত সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্যে--
শুভেচ্ছা অফুরান--
অনিকেত'দা, খুব ভাল লাগল লেখাটা পড়ে। কিছুক্ষণ আগে স্কাইপে মা'র সাথে কথা বলছিলাম। বাবার সাথেও মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়। তাদের কখনও বলতে পারি নি, তাদের ভালবাসি এ কথাটি। ভালবাসি কথাটি বলা বারণ ছোটবেলা থেকে জানছি।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
অনেক ধন্যবাদ বস পড়ার জন্যে---
-সেই তো রে ভাই---
শুভেচ্ছা অহর্নিশ--
পাশের বাসার নীলু আপু যখন সন্ধ্যায় বারান্দার অন্ধকারে সাদেক ভাইকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছিল
তোমার কপাল ভালো তসলিমা নাসরিন সচল পড়ে না, তাহলে তোমার খরব ছিলো।
তোমার লেখায় নারী জাতীকে ছোট করে উপস্থাপন করা হয়েছে। তুমি সত্য গুপুন করেছো। সাদেক ভাই যে জাপটে ধরে নীলু আপাকে চুমু খাচ্ছিল, সেইটা না বলে সব দোষ তুমি নীলু আপার ঘাড়ে চাপিয়েছো। নীলু নামের আর একজন মহিলা তোমাকে যে এতো আদর যত্ন করলো, তারপরও তুমি নীলু আপাকে একটুও রহম করলে না?
ভালো লেগেছে লেখাটা।
--------------------------------------------------------------------------------
হা হা হা ---
থ্যাঙ্কু মেহবুবা ভাবী---শুভেচ্ছা অহর্নিশ---
এই মাঝরাতে কিছু 'একটা লেখায় তাড়ায়' মনটা ভারাক্রান্ত হলো আপনার লেখা পড়ে! সেটাও বলা বারণ!
সাথে এও ভাবছি, আপনার লেখা পড়ে যতোজন ভারাক্রান্ত হবে, এরপরে এ ধরনের লেখা আপনার জন্য বারণ হয়ে যায় কিনা!
বস পড়ার জন্যে আর এই সুন্দর মন্তব্য করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ--
শুভেচ্ছা নিরন্তর---
এই বারণটাকে সবাই মিলে ভাঙা যায় না ? শুভ কামনা অফুরান
আফরিন আহমেদ
ধন্যবাদ আফরিন মন্তব্যের জন্যে
শুভেচ্ছা জানবেন--
পড়তে পড়তে অজান্তেই চোখে অশ্রু চলে আসছিল। কেন? কারন বলা বারণ।
লেখাটা অসম্ভব ভালো লাগলো - এই কথাটা কি বলা বারণ? হলেও মানি না। বলে ফেললাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব
আমার অশেষ শুভকামনা জানবেন--
আচ্ছা বেশ, আপনি বড় হয়ে উঠুন, যখন আমার ভাগের বিস্কুটের দিকে আর একদম লোভ করবেন না তখন কোনোদিন দেখা হবে।
তথাস্তু কৌস্তুভ'দা--
শুভেচ্ছা অহর্নিশ--
মন-কেমন-করা লেখা ! খুব অভিমানী উচ্চারণ ! আসলেই ছোটবেলায় আমরা সবাই শুধু বড় হতে চাই, না বুঝেই । সব বারণ ঝেড়ে ফেলে অনেক সময় অনেক কথা বলে ফেলতে হয়, অনিকেত'দা ! আমাদের ভিতরের যে সত্যিকারের আমি, তার অভিমানের কথা মাঝে মাঝে আমলে নিলে বাইরের মুখোশ-আমিই কিন্তু ভালো থাকব ।
আসলেই তাই---
পড়ার জন্যে আর মন-কেমন-করা অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ মসীলক্ষণ পন্ডিত।
শুভেচ্ছা নিরন্তর--
বড় হওয়ার কষ্ট, কিন্তু ছোট হতেও আর ইচ্ছে করেনা । আবার কষ্ট করে বড় হতে হবে যে
কী যে ভীষন সত্যি এই কথাটা--!!
অনেক ধন্যবাদ ছন্দা মাহবুব
শুভেচ্ছা নিরন্তর
বারণ মানি না, মানবো না।
বলা বারণ এর চক্রে পরে আছি - এই কথাটাও বলা বারণ।
ছোট বোনটা বিদেশে আছে প্রায় দেড় বছর। তাকে বলতে পারি না যে মাঝরাতে ঘুম ভেংগে গেলে তার শুন্য ঘরে গিয়ে বসে থাকি। বলতে পারি না যে বাবা এখন প্রতিদিন ক্রিকেট দেখে - এক সময় যে ছোটমেয়ের ক্রিকেট ভক্তিতে চুরান্ত বিরক্ত ছিল। মা কিছুক্ষন পর পর এলবাম খুলে ছবি দেখে। কিছুই বলতে পারি না..... কারন "বলা বারণ"।
মন্তব্যটা আমাকে আরো এমনি কিছু দৃশ্যের কথা মনে পড়িয়ে দিল--মন থেকে অজান্তেই বেরিয়ে আসল একটা হাহাকার--"আহা রে"---
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ইফফাত--
অনন্ত শুভকামনা আপনাদের সবার জন্যে--
আহা!!! কি সুন্দর লেখা!!! কত সুন্দর করেই না আপনি লিখেছেন আমার মনের কথাগুলি, আমার অনুভুতি গুলি!!!
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ মনের রাজা-কে---
শুভেচ্ছা অহর্নিশ
খুব ভালো লাগলো
ধন্যবাদ হে নামহীন অতিথি লেখক-- শুভেচ্ছা জানবেন
আপনার প্রতিটি লেখায় এক ধরণের অদ্ভুত বিষণ্ণতা ছড়িয়ে থাকে, এটাও তার ব্যতিক্রম নয় ।
'বলা বারণ' নিয়েই 'বড়' দের জীবন পার করতে হয় যেমন, তেমনি সব 'বলা বারণ' মানতে গেলে জীবন এক অদ্ভুত গোলক ধাঁধার ভিতর আটকে হাঁসফাঁস করতে থাকে এটাও সত্যি, যা অর্থহীন ।
ভাল থাকুন আপনি ও আপনার পরিবার ।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে আর মন্তব্য করার জন্যে সাবেকা---
শুভেচ্ছা জানবেন---
উঁহু। এমনে লিখলে 'খেলতাম না'
আমি একসাথে এক বাড়িতে থাকি সপরিবারে। কিন্তু বাবা মাকে বলে উঠতে পারিনি আমি তাঁদের কতটা ভালোবাসি। ঐ যে বলা বারণ... এই লিস্টি অনেক লম্বা হবে, কিন্তু শেষ হবে না
এই লেখাটার প্রতিটি শব্দ যে কিভাবে মূর্ত হয়ে উঠেছে সেটা আপনাকেও বলা বারণ বদ্দা...
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক ধন্যবাদ এমন মায়াময় কমেন্টের জন্যে বস
শুভেচ্ছা অহর্নিশ---
অনিকেত, সচল পড়ার প্রথম থেকেই আমি তোমার লেখার ভক্ত। লেখার বিষণ্ণতার মাঝে কি এক যাদুও আছে। যার জন্যে পড়ে মন খারাপ লাগলেও এত সুন্দর লেখা পড়ে ভালও লাগে অনেক। আমি আসলে বাবা মা বোনকে নিয়ে তোমার লেখার আশায় ছিলাম।
আমিতো দেখেছি তোমরা চারজন কত ক্লোজ। বিদেশে থাকার এই যে টানা পোড়ন এর থেকে আমাদের মুক্তি নেই। ভাল থেকো।
অনেক ধন্যবাদ নীল কমলিনী দি---আপনার কাছে আমার অনিঃশেষ ঋণ---
অনন্ত শুভেচ্ছা জানবেন---
গানটা শুনতে পেলাম না তো। চন্দ্রবিন্দুর ঐ গানটা-- অপরাজিতা, বলা বারণ? মেইলে পাঠান। হুকুম।
'আমারো নেই ঘর, আছে ঘরের দিকে যাওয়া...'
লেখা নিয়ে আর কিছু বলার নেই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি শুনতে পেয়েছি, লেখাটা পড়ে এসে গানটা শুনে অন্যরকম লাগল যা আগে শুধু গান শোনার সময় লাগেনি।
গান কি এম্পি৩ করে পাঠাবো নাকি রে? জানাস--
লেখা পড়ার জন্যে থ্যাঙ্কুশ বিষাদপুরীর রাজকণ্যে---
আমারও চাই।।।।
এত সহজে চোখে পানি এনে দিতে পারেন কীভাবে? মনটা খারাপ করে দিলেন অনিকেতদা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মন খারাপ করিয়ে দেবার জন্যে দুঃখিত বস
কোন একদিন তোমার, তোমাদের মন ভাল করে দিতে পারব সেই আশাতে আছি---
অনন্ত শুভেচ্ছা জেনো--
মনটা দিলেন তো উদাস করে! এত চমৎকার লিখেছেন যা বলাটা আশা রাখি বারণ নয়!
অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যে জন্যে মনি শামীম---
শুভেচ্ছা অহর্নিশ
প্রথমেই একটা বারণ ছুঁড়ে ফেলে যাক কাম্বারল্যান্ড নদীর জলে। বয়সে আমি নীল কমলিনী দিদি-র থেকে বড়-ই হব মনে হয় (ব্লগ-এর দুনিয়ায় আমার বয়সী মানুষেরা খুব একটা সক্রিয় ভাবে খুব বেশী সংখ্যায় আসেন না বলে যে ধারণা আছে আমার তার থেকেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান; ঠিক-ভুল যাচাই-এর সুযোগ কোনদিন পাওয়া গেলে চমৎকার হবে)। পুরানা জমানায় বয়স দিয়ে বিচার হত সম্বোধনের রকমফের-এর। আমি সেই জমানার লোক, ভাল-লাগা মানুষদের সেই রীতি অনুসারে ডাকতেই বেশী স্বচ্ছন্দ, বেশী সহজ বোধ করি। কিন্তু ভয় থাকে, আজকের তরুণ-তরুণীরা তাতে আমায় তাদের বৃত্তের বাইরে রেখে দেবে। তাদের আছে সেই সাহস যাতে তারা সম্পর্কের চড়াই-উৎরাই-কে বিচার করে সরাসরি, যোগ্যতার নিরীখে। ফলে একটা সচেতন দূরত্বর 'বাফার' (কি হত ঠিকঠাক বাংলাটা এর?) রেখে চলি। আপনি করেই বলি। কারো কারো সঙ্গে এই 'বাফার'-টাকে রাখা যায়না। ভেঙ্গে ফেলতে লাগে (যেমন ফেলেছি জোহরা-র সাথে; তার প্রথম যে লেখা আমি পড়লাম তার পরে তাকে আর 'তুমি' সম্বোধনে ডাকা বোন হিসেবে ছাড়া নিতে পারি নি। আমার সৌভাগ্য সে আমায় সেভাবে ডাকতে দিয়েছে)। এই লেখা পড়ার পর এবার-ও ঐ আপনি-টাকে বিলকুল বাদ করে দিয়ে বলি, অপূর্ব লিখেছ তুমি।
বলা বারণ তো থাকেই, আবার সময় মত কোনটা বলা বারণ - না শিখলেও চলেনা। বারণ না মেনে অনেক বিপদে পড়েছি। অন্য দিকে এমন-ও হয়েছে, না মানার তেজে বলে দিয়েছি; আজ পিছনে তাকিয়ে মনে হয় , না বললেও হত - খামখাই কষ্ট দিয়েছিলাম। তবে, সে-সব-এর জন্য তোমার লেখার মূল সুরের কোন হেরফের হবে না। আমাদের জীবন জুড়ে 'বারণ ছিল'-র নষ্ট চাঁদের আলো।
এত ভাল লেখার জন্য একটা উপহার দিতেই লাগে। আমার যেমন সাধ্য:
বারণ ছিল
মুখের উপর বলা যায়নি-
কেমন মানুষ? হাতটা সরান;
জনম গেল, সারাটা গা কাদায় কাদা।
বারণ বলা এক্কেবারে
আমার এ দেশ, বুঝব আমি;
দাসের জীবন, আষ্টেপৃষ্ঠে শেকল বাঁধা।
বারণ ছিল বলা তখন -
অংক আমার ভাল্লাগেনা।
চাকরী করি, দুবেল খাই, বেঁচেই থাকি।
বারণ ছিল বলতে পারা-
ভালবাসার মানুষ আছে
কান্না-কলস বুকের মাঝে, ডুবতে থাকি।
- একলহমা
আপনি অবশ্য অবশ্যই আমাকে তুমি করে বলবেন। আমি স্নেহের কাঙ্গাল-টাইপ মানুষ। একটু মায়া দেখালেই চোখে পানি-টানি এসে যায়--এই রকম অবস্থা। আপনি আমার দাদা না দিদি হবেন সেইটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না--তবে এইটুকু বলে রাখি--আপনারে মন্তব্য পেয়ে আমার মনটা এক রকমের প্রশান্তিতে ভরে গেছে---
আপনার উপহার আমি মাথা পেতে নিলাম এবং নিজেকে গর্বিত মনে করছি--
অনেক ধন্যবাদ এই অভাজনকে এই অযাচিত স্নেহটুকু দেখানোর জন্যে--
অনন্ত শুভেচ্ছা রইল--
প্রিয় অনিকেত, আশা করি তোমার আরো অনেক লেখায় মন্তব্য করার সুযোগ পাব। যত দিন নিশ্চিতভাবে নিশ্চিত হওয়ার দরকার না হচ্ছে আমায় দাদা/দিদি যখন যেমন খুশী ডাকতে পার। দেখি লিঙ্গ-ভিত্তিক ধ্যান-ধারণার বারণগুলিকে কতদিন পাত্তায় না রেখে চালিয়ে দেওয়া যায়! অনেক ভালবাসা আর স্নেহ রইল।
- একলহমা
আবারো অনেক ধন্যবাদ একলহমা দাদা/দিদি
কথা হবে আপনার সাথে---
মনে হয় এসব বারণ মানতে হয় দেখেই মানুষ এড়িয়ে চলি। কেবল যাদের বেলায় বারণ মানতে হয় না তাদেরই আপন লাগে। তবু বাবা মায়ের কাছে লুকোতে ঠিক বারণ নয় অন্য কি যেন আটকে দেয়। বিশেষ করে বাবাকে বলা হয় না অনেকি কিছুই, কেবল মনে হয় বাবা ঠিকই জানেন, মুখ ফুটে বললে কেবল বিব্রত করা হবে।
মনে মনে নানা হিসাব কষছি কিভাবে ৫ বছর পর ছোট ভাই আর আব্বা আম্মাকে নিয়ে একটা ঈদ কাটাব! স্বপ্ন সত্যি হোক এই জন্য দোয়া চাই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
স্বপন আপনার সত্যি হোক এই কামনা রইল--
অফুরান শুভেচ্ছা---
অনেকদিন পর আপনার মন কেমন করা লেখা পড়লাম।এই মুহুর্তে আমি ভীষণ আনন্দে আছি, কারণ আমার বোনেরা আসছে কদিন পরেই, তবে ওরা চলে যাবার পর মনে হয় আমাকে ও এমন একটা পোষ্ট লিখতে হবে।
অনেক ভালো থাকুন ভাইয়া।
বন্দনা, আপনার আনন্দটা অক্ষয় হোক এই কামনা করি
অফুরান শুভ কামনা---
দাদা আপনার লেখা আগে যতগুলো পড়েছি তার সবগুলো থেকে আজকের লেখাটা আমার কাছে বিশেষ হয়ে থাকবে। কতটা ভালো হয়েছে সেটা আর বলবো না ।।কারণ বলা বারণ!!!
আশা করি বুঝতে পারবেন।
ভালো থাকবেন।।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অর্ক দাদা---
অফুরান শুভকামনা রইল তোমার জন্যেও (বয়েসে ছোট ধরে নিয়ে তুমি করে বলছি--আশা করি রাগ করছ না)
ভীষণ রাগ করেছি এখন শাস্তি হিসেবে আপনার গাওয়া একটা পাঠাতে হবে আমাকে!!!!
এমন লেখা শুধুমাত্র অনিকেত্দাই লিখতে পারেন! আপনার লেখা পড়তে বাদ রাখি না কখনই তবে মন্তব্য করা হয়ে ওঠে না সচলে আজকাল তেমন আর। ভালো থাকবেন।
মিলুউউউউউউউ---
তোমাকে বড্ড মিস করি বস এইখানে---এমন করে হারিয়ে যেতে হয়??
কবে তোমার নতুন বাজনা শোনাবে? কবে তোমার লেখা পাব??
অনেক অনেক ভাল থেকো বস----
অনিঃশেষ শুভকামনা--
এই লেখা পড়া শেষ করে মনে মনে অনেক কথা ভাবছিলাম লিখবো বলে। কিন্তু তারপর সেই যে ইলেক্ট্রিসিটি গেলো! সে আর আসেই না কিছুতে তাই আমার মন্তব্য করতেও দেরী হয়ে গেলো। তবে সারাক্ষণ লেখাটা মাথায় ঘুরেছে। কত কিছু বলতে, করতে আর ভাবতে বারণ ছিলো সেটা মনে করেই মন কেমন যেন বিষণ্ণ হয়ে ছিলো। মন খারাপ হয়েছে ভাইয়া খুব মন খারাপ হয়েছে এই লেখাটা পড়ে। নিজের কত বলা বারণের কথা যে এবার বলে ফেলতে ইচ্ছে করছিলো! কিন্তু এখনও সব বলা বারণ
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মন খারাপ করিয়ে দেবার জন্যে দুঃখিত মেঘা----
আমি সকল সময়ে দুখের লেখাই লিখি---কিন্তু মনেপ্রাণে চাই আমার বন্ধুরা যেন সকল দুখের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলতে পারে---
দুঃখ যেন কখনো তোমাকে ছুঁতে না পারে--এই কামনা করে গেলাম--
শুভেচ্ছা নিরন্তর--
আপনার প্রায় সব লেখা পড়েই আমার প্রথম যে অনুভূতি হয় তা হল এগুলো তো আমারই কথা, আপনি কি চমৎকার করে গুছিয়ে লিখে দিলেন। ভাগ্যিস আপনারা ছিলেন, তাই অন্তত আমার না বলা অনেক কিছু বলতে না পারলেও লেখা হয়ে যায়। বলা বারণ এর এই ঘোরপ্যাঁচে যে কবে থেকে পড়ে আছি, আদৌ কেউ বারণ করেছিল নাকি আমি মানুষটাই এমন তাও এখন মনেও করতে পারি না আর। তবে এমন অবস্থা হয়েছে এখন বলতে বারণ না থাকলেও, এমন কি বলার দরকার থাকলেও বলতে পারি না অনেক কিছু বিশেষ করে ভালবাসার মানুষগুলোকে।
পড়ার জন্যে আর এমন মায়াভরা মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ ধুসর জলছবি
ভাল থাকুন সকল সময়ে---সকলকে নিয়ে---
শুভেচ্ছা অহর্নিশ---
চোখে পানি আয়া পড়লো!
এই বলা বারণ আমারেও খাইসে, সবকিছু গলার মাঝে আইসা জটলা পাকায় যায়
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
পড়ার জন্যে আর এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা মরুদ্যান--
ভাল থাকুন সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে---
তুমি অনেক ভালো লেখো।
অনেক ভালো লেখো তুমি।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই, আপনার এত বড় প্রশংসার যোগ্য আমি নই----
আপনার আর্শীবাণীটুকু মাথায় নিয়ে রাখলাম----
অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা--
শুভেচ্ছা নিরন্তর--
যা বলতে চাই তার সবই বলা বারণ। বেশি প্রশংসা করলে নাকি মানুষ মাথায় উঠে যায়।
কিন্তু কি জানেন, আপনি মাথায় করে রাখার মতই লেখেন
লেখাটা পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ইয়াসির ভাই---
আপনার এত প্রশংসার যোগ্য আমি নই---তবুও আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এই অভাজনকে এমন করে উৎসাহ দেবার জন্যে----
ভাল থাকুন সকল সময়ে--সকলকে নিয়ে---
লেখা সবসময়ের মতই দারুণ।
মন খারাপ করার টাইম নাই, তাই করলাম না
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্যে উদাস'দা--
--হা হা হা ----
আমার খুব ইচ্ছে--একদিন আপনার সাথে বসে জমাট আড্ডা দিব---আমার কেন জানি মনে হয়, আপনার সাথে একদিন ভাল করে আড্ডা দিতে পারলে আমার এইসব দুখী দুখী ভাব চিরজনমের মত বিদায় নেবে---
ভাল থাকুন বস---সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে---
মন খারাপের সময়ে আপনার লেখাটা পড়ে মন আরও আর্দ্র হলো। এই মুহূর্তে খুব বেশি কিছু আসলে বলতে পারছি না, তবে এটুকু বলতে পারি, অনেকদিন পর কোনো লেখা এত ছুঁয়ে গেল। গানটা অসম্ভব ভালো লাগে। লেখাটাতেও সেটা মিশিয়ে দিয়েছেন পুরোপুরি। ভালো থাকবেন সবসময়।
খুব ভাল লাগল অপ্র তোমার কমেন্ট দেখে----তুমি এত অনিয়মিত এখানে---এর মাঝে হঠাৎ হঠাৎ ঈদের চাঁদের মত উকি দাও---তখন খুব ভাল লাগে--
ভাল থাকো বস--
শুভেচ্ছা নিরন্তর---
গত কিছুদিন সচলায়তনে ঢোকা হয়নি। আজ ভেবেছিলাম অনেকগুলো ব্লগ পড়বো।
কিন্তু এটা পড়ার পর আর কিছুই পড়তে ইচ্ছে করছে না
অসাধারণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থ্যাঙ্কু নজু দা---
ভাল থাইকেন সকল সময়---
অনি'দা, সব না বলা কথা মনে করিয়ে দিলেন। আপনারে অনেক ভালো পাই।
অনেক ধন্যবাদ হে নামহীন অতিথি---
ভাল থাকুন সকল সময়ে---
প্রথমদিন আপনার লেখা পড়ে আউলে যাবার কথা মনে পড়ে গেলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার লেখা পড়া ছেড়ে দিব, হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভাল লাগে না আর, বারংবার।
রাজশাহী কলেজে পইড়তেন নাকি গো মামুর বুটা! জবের ব্যাপার, বুইললেন না ক্যানে?
facebook
হ রে মামুর বুটা--আগে জিগাইলি না ক্যান??
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বস--শুভেচ্ছা নিরন্তর--
হলেও বলা বারণ
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ নীল পদ্ম--
শুভেচ্ছা নিরন্তর--
অসাধারণ! এর বেশি কিছুই বলতে পারছি না কারণ, বলা বারণ!
অনেক অনেক শুভ কামনা। শুভেচ্ছা।
পড়ার জন্যে আর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ অজানা পথিক
শুভেচ্ছা নিরন্তর---
ওরে দুষ্টু... বাথরুমে কানলে চলপে? এখন তো কান্দাও বারণ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সচলে আমরা আছিনা? এইখানে কোনকিছু বলা বারণ নাই। নীলু আপু সাদেক ভাইয়ের কাহিনী দিয়ে শুরু করেন
অট. গান শুনবো। প্রঙ্গণে মোর শিরিষ শাখায়... এইটা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শুরুটা যথেষ্ট ভালো লেগেছিল। ছোট দের বড় হয়ে ওঠার সময়টা বড্ড যন্ত্রণার। সে বয়সটা চোখে ভাসছিল আমার। টারজান দেখা নিয়ে এই পয়েন্টটা পারফেক্ট লেগেছে --
৩) সাতটার সময়ে টারজান থাকলে, কাউকে না বলে টারজান দেখা শুরু করে দেয়া ভাল। পরে ধরা পড়লে ফিফটি ফিফটি সম্ভাবনা আছে মার খাবার।
তবে শেষটা, লেখার শেষের অনুভব গুলো মনকে ভারী করে তোলে।
পরিবার ছাড়া প্রবাসটা বড্ড বাজে লাগে সে যারা থেকেছেন তারাই ভালো জানেন। তবুও এই শুভকামনা করতেই পারি আপনার সময় গুলো যতটা সম্ভব আনন্দেই কাটুক।
==========
অপর্ণা মম্ময়
কেন এভাবে লিখেন অনিকেতদা? কিভাবেই বা লিখেন?
মনটা এত ভার হয়ে গেল।
আপনার লেখা অসম্ভব ভাল লাগে। আপনার জন্য
শ্রদ্ধা নিয়েন আর ভাল থেকেন আর একটু কম মন খারাপ করেন আর ......... না আর বলব না, বলা বারন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
নতুন মন্তব্য করুন