সবাই নিশ্চয়ই রকমারি-র নাম জানেন। বাংলাদেশের এই অনলাইন পোর্টালটি সাম্প্রতিক কালে বেশ নাম করেছে। রকমারি সব জিনিস-পত্রের সাথে তারা হালের সব বইপত্রও অনলাইনে বিক্রিবাটার সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। আমাদের অনেক চেনাজানা সচল এবং অ-সচল লেখকদের বই রকমারিতে বিক্রি হয়। চরম উদাস, তারেক অণু, অভিজিৎ রায়, রায়হান আবীর সহ এই সময়ের বহু আলোচিত লেখকদের একেবারে সদ্য বইমেলায় বেরুনো বই এইখানে পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে যারা থাকেন তারা অনেক সময়েই প্রয়োজনের সময়ে বইপত্র কিনতে গিয়ে নানান বিপত্তির সম্মুখীন হোন। রকমারি তাদের জন্যে একটা আশীর্বাদ হয়েই এসেছে। অন্তত তাদের সাইটে গেলে দেখবেন নানান 'সন্তুষ্ট' ক্রেতাদের জবানীতে রকমারির গুণ-কীর্তন। এদের বেশির ভাগই সত্যি হবার কথা--কারণ আমার সাথে দুয়েকজন ক্রেতার আলাপ হয়েছে যারা বলেছেন যে তারা রকমারির সার্ভিসে প্রীত।
এহেন রকমারি পোর্টালটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনার কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
ঘটনা কী?
ঘটনা খুবই সামান্য। ফারাবী শাফিউর রহমান নামে অনলাইনে তথা সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় এক ছাগুকন্ঠ রকমারিতে গিয়ে অভিজিৎ রায় এবং রায়হান আবীরের কিছু বইয়ের বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চেয়েছেন। তার বক্তব্য হলঃ
'অনলাইনে বই বিক্রি করার খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রকমারি ডট কম ওয়েবসাইট টি বর্তমানে সারাদেশে নাস্তিক্যতাবাদ বিষয়ক বইগুলি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। এই রকমারি ডট কম ওয়েবসাইটটি নির্লজ্জের মত অভিজিৎ রায়ের “বিশ্বাসের ভাইরাস,” “অবিশ্বাসের দর্শন” এই বইগুলি তাদের ওয়েবসাইটের ১ম পৃষ্ঠায় রেখে মানুষ কে কিনতে উৎসাহ দিচ্ছে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা অভিজিৎ রায়ের বস্তাপচা যে বইগুলি কেউ টাকা দিয়ে কিনা তো দূরের কথা ইবুক হিসাবেও ১০০ টা ডাউনলোড হয় না আর সেই বইগুলি এই রকমারি ওয়েবসাইটের কল্যানে হাজার হাজার কপি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সৈয়দ আবুল মকসুদ, ফারুক ওয়াসীফের বইয়ের বিজ্ঞাপনও এই রকমারি ওয়েবসাইটের ১ম পৃষ্ঠায় থাকে না কিন্তু ঠিকই অভিজিৎ রায়/ভাইরাস জিৎ রায়ের বইগুলির বিজ্ঞাপন রকমারি ওয়েবসাইটের ১ম পৃষ্ঠায় থাকে।'
এরপরই ফারাবী তার অনুসন্ধিৎসু মনের পরিচয় দিয়েছেন! তিনি খুঁজে বের করেছেন রকমারি-র মালিক আসলে কে। তার বয়ান মতেঃ
"এই রকমারি ডট কমের মালিক মাহমুদুল হাসান সোহাগ বুয়েট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পাস করে কোন ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় না যেয়ে খৃস্টান মিশনারিদের টাকা খেয়ে দেশে নাস্তিক্ত্যবাদ প্রচারের মিশনে নেমেছে। সানরাইস ও ওমেগা কোচিং সেন্টারের সব ডাটা চুরি করে এই মাহমুদুল হাসান সোহাগ উদ্ভাস কোচিং সেন্টার টি চালু করেছে।"
এইসবের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু কথা ফারাবি বলেছেনঃ
"আপনারা যারা উদ্ভাসে ক্লাস করেন তারা স্পষ্ট ভাবে সোহাগকে জানিয়ে দেন যে সে যদি তার রকমারি ওয়েবসাইটে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা অভিজিৎ রায়ের বইয়ের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করে তাইলে তাকেও থাবা বাবার ন্যায় করুন পরিনিতি বরন করতে হবে। খুব সুক্ষাতিসূক্ষ ভাবে এই রকমারি ওয়েবসাইটের মালিক মাহমুদুল হাসান সোহাগ আমাদের সমাজের ভিতরে নাস্তিক্যতাবাদ বিষয়ক বইগুলির বিজ্ঞাপন প্রচার করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার ব্যাপারে সাধারন মানুষ কে উৎসাহ দিচ্ছে। ............মতিঝিল আরামবাগে যারা থাকেন তাদের দায়িত্ব হল এই রকমারি ওয়েবসাইটের অফিসে আক্রমণ করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা অভিজিৎ রায়ের বইগুলির বিজ্ঞাপন প্রচারে বাধা দেওয়া। আর তা না হলে আমাদের সবাইকে কাল আখিরাতের ময়দানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে লজ্জিত হতে হবে।"
ঘটনার পরের অংশটুকু হয়ত অনেকের জানা, অনেকে হয়ত অনুমান করতে পারছেন। যারা এখনো জানেন না বা অনুমান করতে পারছেন না অথবা অনুমান করতে চাইছেন না তাদের জন্যে বলছি---- এই রকম পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি কী করতেন?আপনি যদি দোকানের মালিক হোন তাহলে দুইটা জিনিস করতে পারেনঃ
আপনার সিদ্ধান্তটা কী হতো?
কিছুখনের জন্যে আপনাকে মাইক্রোস্কোপের নীচ থেকে সরিয়ে রকমারির কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আসি। সোহাগ নিজে থেকে ফারাবীর ঐ থ্রেডে গিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন সেটা হলঃ
"--- কিছুদিন আগে আমার এক ছাত্র আমাকে বিষয়টি জানায় এবং আমি তখন ই অফিস এ কল করে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত দের কে বলি যে এই ধরণের বই যেন হোমপেজ এ না থাকে এবং কোন বিজ্ঞাপন এ না যায়। তারপর থেকে সেটা মানা হচ্ছে বলেই আমি জানি। এখানে উল্লেখ্য যে, হোমপেজ এ কোন বই গুলো দেখাবে তার একটা Algorithm আছে। তাই যে কোন বই ই চলে আসতে পারে, তবে চাইলে আমরা manually বাদ দিতে পারি। যে সব বই শুধু ধর্মীয় অনুভুতিতে না, অন্য issue তেও যদি controvertial হয়, আমরা সেগুলো বাদ দেওয়ার নীতিতে চলি। তবে ৮০০০০ বই অল্প কিছু মানুষ দিয়ে manage করতে গেলে কিছু ভুল হয়ে যেতেই পারে। আমরা বলি না যে আমরা ভুল করি না, কিন্তু এট বলতে পারি যে ভুল হলে সেটা অনুধাবন করে সংশোধন করতে আমাদের কার্পণ্য নেই।"
আমার যত ক্ষোভ যত বিস্ময় সব এই জায়গাটাতে। যে কোন বই যদি কোন একটা বিষয় নিয়ে বিতর্কমূলক অবস্থান নেয়---আমরা কি সেই বই প্রচার করা বন্ধ করে দেব, লেখকের কন্ঠরোধ করব, প্রকাশকের বাড়িতে আগুন দেব, বিক্রেতা কে খুনের হুমকি দেব?? ধর্ম নিয়ে আমাদের দেশের অধিকাংশের আলাদা বাড়াবাড়ি আছে--সেটা নতুন কিছু নয়। 'বিতর্কিত' বই লেখার অপরাধে যেদিন থেকে আমরা তসলিমাকে দেশ ছাড়া করেছি সেদিন থেকেই আমাদের কপালে এই কলঙ্কের তিলক স্থায়ী হয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে বাংলাদেশ কেবল দুর্নীতি পরায়ন, দুর্যোগ প্রবন, দরিদ্র দেশ নয়--এইটি এমন একটি দেশ যে দেশটি থেকে একজন লেখিকাকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে একটি বই লেখার অপরাধে।
সেই থেকে শুরু।
এরপর ধর্মান্ধদের নানান ছোট-বড় সাফল্যের ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের ইতিহাসের অংশ। দেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মভীরু এবং সরল বলে সহজে ধর্মান্ধদের হঠকারীতা তাদের চোখে ধরা পড়ে না। প্রাথমিক আবেগে সবাই ভেসে যায় এবং যুক্তি ও মানবিকতা বানের পরে পলিমাটির মত ভেসে উঠতে যে সময় নেয় ততখনে অনেকদূর ধ্বংস পথ গড়ায়। এর মাঝে ঘর পোড়ে হিন্দুর, প্রাণ যায় বৌদ্ধের, গীর্জা ভাঙ্গে খ্রীষ্টানের।
এতকিছুর পরও এই বাংলায় জন্ম নেয় সাহসী মানুষ। কপটতা, ভন্ডামীর মুখোশ উন্মোচন করেন তারা যুক্তির কষাঘাতে, স্বীয় জীবনাচরণে তারা ধারণ করেন যুক্তিবাদের পরিচ্ছদ। হাজার হাজার মুখ-হীন মানুষের ভীড়ের মাঝে হঠাৎ আলোর ঝলকানি নিয়ে আসেন একজন আহমেদ শরীফ, একজন হুমায়ুন আজাদ। যাবতীয় সামাজিক ও ধার্মিক ভন্ডামী ক্ষুদ্রতার বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠ হয়ে থাকা হুমায়ুন আজাদকে বেশিদিন সহ্য করা হয়ে ওঠে না আমাদের। এক শুক্লপক্ষ রাতে তার উপরে নেমে আসে উদ্যত কৃপান। আমরা হারাই আরো একটি মুক্তকন্ঠস্বরকে।
ধর্মান্ধদের হুমকি-ধামকি বহাল থাকে এরপরেও। হুমায়ুন আজাদের খুনিরা বুক ভরে নিশ্বাস ফেলে এই বাংলায়। কত সহজেই তার কন্ঠকে থামিয়ে দিতে পেরেছে এইটা ভেবে কোন কোন রাতে তৃপ্তির ঢেকুর হয়ত তোলে তারা।
সাম্প্রতিক কালে অনলাইনে মতামত প্রকাশের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা স্বস্তি এবং অস্বস্তি নিয়ে দেখেছি অনেক উচ্চকিত কন্ঠের উল্লম্ফন। কিছু কিছু কন্ঠ অপরিশীলিত, কিছু কিছু কন্ঠ উদাত্ত, কিছু কন্ঠ স্রেফ পথভ্রষ্ট গন্তব্যহীন---আবার কিছু কিছু কন্ঠ যুক্তির বাঁধনে বাধা, মন্দ্রিত উচ্চারণে স্পষ্ট বাক্যে জানিয়ে দেয় তাদের মতাদর্শটিকে। তর্কে-বিতর্কে জমে ওঠে প্রাঙ্গন। জাতীয়তাবোধ, ধর্মবোধ--কোনকিছুই বাদ পড়েনা এই বিতর্কের আসরে। এই আসরে জিততে হলে আপনাকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েই আসতে হবে---আসেও অনেকে। তবে আমরা খুব দ্রুত দেখি যে ভাগ হয়ে যাচ্ছে মানুষের দল আবারো। কিছু কিছু মানুষ সবকিছুর পরও অন্ধকারকেই ভালবেসে পড়ে থাকতে চায়---সেইটা তার অধিকার। আর কিছু কিছু লোক মশাল জ্বেলে বেরিয়ে পড়ে পথে---সেইটেও তার অধিকার।
আমাদের কারো এই অধিকার নেই --এদের কাউকে নিষেধ করার। যে যেভাবে তাদের জীবন-যাপন করতে চায়--সেইটে একান্তই তার নিজের ইচ্ছা। আমি হুজুর বলে পাশের বাড়ির নাস্তিক লোককে সকাল বিকাল খুন করে ফেলার হুমকি দেব, অথবা আমি নাস্তিক বলে পাশের বাড়ির হুজুরকে নিয়ে রাস্তাঘাটে ব্যঙ্গ করে বেড়াব---এর কোনটাই কাম্য নয়।
এর কোনটাই কাম্য হয়ত নয়--কিন্তু এর সবটাই হচ্ছে এখন। খুব দ্রুত অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে যা জানতে পারলাম সেটা হল এই ফারাবী একজন প্রায় মানসিক রোগী--তার আচরন অদ্ভুত। সে কিছুদিন পর পর নানা জন কে হুমকি দিয়ে বেড়ায়। খুব সম্ভবত নিজেকে ইসলাম ধর্মের প্রাথমিক কোন রক্ষক ভেবে থাকবে। অনলাইনে যাদের লেখা তার কাছে সমীচীন মনে হয় না--সে নিয়ম করে তাদের হুমকি দিয়ে থাকে। তার হুমকির তালিকায় মসজিদের ইমাম (!) থেকে শুরু করে ব্লগার, নাট্যকর্মী, এমন কি জজ কোর্টের জজ পর্যন্ত আছেন। এহেন ফারাবীর কথায় রকমারির কর্তাব্যক্তিটির যে থরিহরি কম্পমান অবস্থা দেখলাম তাতে আমার কাছে দুইটা জিনিস উঠে আসলঃ
প্রশ্ন হলো---এই রকমারির মালিক কি এই ধারাটি দেখিয়ে ঐ মানসিক বিকারগ্রস্ত লোকটির বা তার সঙ্গীদের নিবৃত্ত করার উদ্যোগ নিতে পারতেন না? সেইটিই কি তার যথাযথ পদক্ষেপ হতো না?? তার বদলে তিনি বেছে নিলেন কাপুরুষের পথ। তিনি ধর্মীয় এবং যেকোন বিতর্কিত বিষয়ের বইপত্র সরানোর ব্যাপারে খড়গহস্ত হবার প্রতিস্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলেন ফারাবীর কাছে।
লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হলো--- অনেক লেখকেরাই এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। চরম উদাস জানিয়েছেন যদি অভিজিৎ রায়, রায়হান আবীরের বই সরিয়ে ফেলা হয়, তবে তার বইটিও যেন সরিয়ে ফেলা হয় ঐ সাইট থেকে। আমি তার এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে এইটিও বলতে চাই---এটা কোন সমাধান নয়। ফারাবীদের বক্তব্যের প্রতিবাদে যদি মুক্তকন্ঠস্বরের মানুষরা ক্ষোভে-প্রতিবাদে বই সরিয়ে ফেলেন--একদিক থেকে সেইটা ফারাবীদেরই জয়।
জীবজগতে মানুষ মেরুদণ্ডী প্রাণীর কাতারে সামিল। কিন্তু মানুষের মেরুদন্ড আসলে দুইটি। শারীরিক মেরুদন্ডটি সাথে নিয়ে জন্মালেও মানসিক মেরুদন্ডটি মানুষের সারা জীবনে কষ্ট করে করে তৈরী করে নিতে হয়। মানসিক মেরুদন্ড তৈরির একমাত্র উপায় হল যথাবিহিত শিক্ষা। একজন মানুষ যত জ্ঞান লাভ করবে তার মানসিক মেরুদন্ডটি ততই তৈরী হতে থাকবে। আর এই জ্ঞান লাভ হতে হবে সর্বাঙ্গিন ও সম্যক। কেবল একদিকের জ্ঞান লাভ একচক্ষু হরিণী তৈরী করে--তৈরী করে বেসামাল মানুষ।
আমাদের সত্যিকার জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন ঘটুক, আমরা যেন আমাদের মানসিক মেরুদন্ডটি খুঁজে পাই--চরমপন্থী উগ্র ধর্মান্ধতার হাতে যেন বাঁধা না পড়ে আমার স্বদেশ ও স্বজন---এই একমাত্র কামনা!
মন্তব্য
এই উগ্রবাদী ফারাবীকে অবিলম্বে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। এই রকম লোক মানুষের মানবাধিকার আর মুক্তচিন্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। সে, নিজেই আসলে 'ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের একটা ভাইরাস'।
আশা করি, এই উগ্রবাদির একদিন বোধদয় হবে যে, সে কি করছে---
---------------------------শেহজাদ আমান------------------------------------
আমার মনে হয় না তার বোধোদয় হবে বলে---- আর তার চেয়েও সবচাইতে জরুরি জিনিস হল বাকীদের বোধোদয়ের
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ, শেহজাদ!
দেশের এত এত খারাপ সংবাদের মধ্যে যে ব্যাপারগুলো নিয়ে দিন দিন আশাবাদী হয়ে উঠছিলাম। রকমারি তার মধ্যে অন্যতম। মানুষ সহজে বই সংগ্রহ করতে পারছে, পড়তে পারছে, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে?
কিন্তু তাদেরকে এভাবে টলে যেতে দেখে খুব হতাশ হয়েছি।
আশা করছি রকমারি খুব দ্রুত তাদের ভুল সংশোধন করবে। এবং ফারাবিছাগুর ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর তা যদি না করে তাহলে আর কী করা? হতাশার তালিকাটা আরেকটু বাড়বে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কি আশা করতে পারেন সোহাগের কাছে? যে ফারাবির এক হুমকিতে নিজেকে সাচ্চা মুসলিম প্রমাণ করতে কোন যুক্তি ছাড়া অভিজিৎ আর রায়হান আবীরের বইগুলো সরিয়ে ফেললো, তার কাছে আপনি কি আশা করতে পারেন? দেশীয় কোন আইনে নিষিদ্ধ নয় এমন বইকে একজনের হুমকিতে যে সরিয়ে ফেলতে পারে তার কাছে আমি কিছু আশা করি না।
মাসুদ সজীব
সহমত
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমি চরম উদাসের বই সরিয়ে নেওয়ার সাথে সম্পূর্ণ সহমত। মৌলবাদিদের সাথে আপোষকারীদের সাথে আপোষ করার কোন অর্থ হয় না। রকমারির কাছে আশা করার কিছু নেই, তাদের লেজ বেরিয়ে পড়েছে। আর রকমারি ছাড়া যে কেউ বই পড়তে পারবে না তা নয়। বই মানুষ আগেও পড়েছে, ভবিষতেও পড়বে। আর রকমারির মতো সার্ভিস নিয়ে আরো একটি বই ক্রয়ের সাইট আসছে কয়েকদিনের মাঝে। মৌলবাদকে যারা দুধ কলা খাইয়ে আপোষ করতে যায় তাদের থেকে কোন বই নয়। আসুন রকমারি বর্জন করি।
মাসুদ সজীব
সহমত
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ স্পর্শ।
আমি ব্যাপারটা যে ভাবে দেখছি সেটা হল আমাদের বাকী সবার মাঝে আরো একটু মানসিক মেরুদন্ড গজানো বা সেটাকে একটু দৃঢ়তা দেয়া। এছাড়া আমাদের কোন পরিত্রাণ নেই।
ঘটনাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উগ্রচিন্তার আগ্রাসনে আমাদের শুভবুদ্ধি হার মানছে, সমঝোতা করতে শিখছে। হতাশ হবো না কেন?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সেইটাই রে--
এখানে একমত নই। রকমারি নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে বই সরিয়ে ফেলবে আর রাজাকারদের লেখা বই বেচে বেড়ায়--এসব জানবার পরও যদি লেখকরা রকমারিতে বই রেখে দেন তবে ওরা একধরনের কম্প্রোমাইজ অর্জন করলো, ওদেরই জয়। তারা যা করেছে এর পরে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কোন ধৈর্য ধরবার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করিনা।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
সহমত
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অত্যন্ত দুঃখজনক কাহিনীগুলিতে আর একটি সংযোজন হল এই রকমারি কাহিনী। নজরে আনার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অনিকেত। তবে আমি চরম উদাসের নেওয়া পদক্ষেপের সপক্ষে। সেই সাথে আশা/আকাঙ্খা রাখি রকমারির আদর্শের বিপরীতের কোন সংস্থার আবির্ভাব ও প্রসারে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ এক লহমা দাদা---
আশা করি আমরা একদিন এইসব কাটিয়ে উঠতে পারব!
দাঁড়ান দেখি কী হচ্ছে ! পুরাই স্পীকার হয়ে গেলাম, এমন চললে আমার বইও হটিয়ে ফেলতে বলব, এই ব্যাপারে আপোস নাই।
facebook
সাবাস ত্রাকানু--শুভেচ্ছা রইল!
রকমারি থেকে মনে হয় আর বই কিনব না
তাহসিন রেজা
তাহসিন রেজা
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
বইপড়ুয়ায় পোস্টটা ফলো করছিলাম। এভাবে সরাসরি হুমকি দেবার পর ও এই লোকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে এরে লাই দিয়ে মাথায় তোলা হচ্ছে কেন বুঝতে পারলাম্না, তার সাথে ঐ পোস্টে লাইকদাতার সংখ্যা দেখে আমি বিস্মিত।
সেইটাই বন্দনা'দি!
ভাবলে অবাক হতে হয় যে একটা মানসিক বিকারগ্রস্তের কন্ঠস্বর কতদূর ছড়িয়ে যায় কত দ্রুত--আর আমাদের কন্ঠস্বর বুঁজে থাকে হতাশায় ক্ষোভে দীনতায়---
হালাল বুকস্টোর রকমারীর সর্বাঙ্গীন সুফল কামনা করি।
..................................................................
#Banshibir.
সেইরাম সত্যপীর বস!
শুভেচ্ছা জানবেন--
ফারাবী বা অভিজিত রায় বাদ দেন। কেউ প্রিন্সিপল নিয়ে প্রশ্নই তুলছেন না।
১) রকমারির নীতিমালার বাইরে গিয়ে কি দুজন লেখকের বই প্রমোট করা হয়েছল?
২) সোহাগ সাহেব কি এই দুই লেখকের বই পড়েছেন?
৩) তিনি কি না পড়েই বইগুলো ওয়েবসাইটে রেখেছিলেন?
৪) না পড়লে কিভাবে বুঝলেন এগুলো কি ধরনের বই? কিসের ভিত্তিতে তিনি বললেন এধরণের বই আমরা প্রমোট করি না।
৫) আমার ফেসবুক আইডি অন্তত ১৫ জন চেনে। তাদের চেনে আরো অন্তত ১৫ জন করে। আমি যদি ২/৩ ঘন্টার মধ্যে অন্তত ২০০/২৫০ লাইক জোগাড় করে হুমকি দেই "সোলেমানী খাবনামা" বইটা প্রত্যাহার করতে হবে, সোহাগ সাহেব শুনবেন কি? নাকি শুধু ধর্মীয় মৌলবাদীদের জন্যই বিশেষ কনসেশন?
----ইমরান ওয়াহিদ
যথার্থ প্রশ্ন!
৮০ হাজার বই (কোথায় যেন দেখলাম রকমারির স্টকের এরকম তথ্য!) এর সব তিনি পড়বেন এটা কেউ আশা করেনা । কিন্তু যেই দ্রুততার সাথে ফারাবীর ওয়ালে কেন্দে দিলেন এবং বই প্রত্যাহারের ঘোষনা দিলেন !! অথচ খুব ভাল করেই বলতে পারতেন তিনি পড়ে দেখেননি বইটি, পড়ে যদি আপত্তিজনক লাগে তবে প্রত্যাহার করবেন।
এরকম ২/১ টা রকমারি না থাক্লে কিচ্ছু যাবে আসবেনা।
চরম উদাস এর সিদ্ধান্ত এবং অনিকেত দার লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
চমৎকার প্রশ্নগুলো উত্থাপনের জন্যে ইমরানকে ধন্যবাদ! আপনার পঞ্চম প্রশ্নটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হল---এবং দুখের সাথে বলতে হচ্ছে এর উত্তরটাও বোধহয় আপনার আমার জানা---
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
দু:খটা সেখানেই। শুভেচ্ছা।
----ইমরান ওয়াহিদ
ভার্চুয়ালী হাটু গেড়ে, হাত জোড় করে, একজন উচ্চশিক্ষিত সেবাপ্রযুক্তি ব্যাবসায়ী, ফারাবীর মত একজন অর্ধশিক্ষিত লুম্পেনকে বলছে,
তার কোন ক্ষতি যেন না করা হয়, সে নিয়মিত নামাজ পড়ে, প্রতিদিন তর্জমা তাফসির সহ কোরান পড়ে
ভাবতেই শরীরের মধ্যে ঘিনঘিন করছে।
----ইমরান ওয়াহিদ
রকমারি আসলে এমন একটা পছন্দের জায়গায় চলে গিয়েছিল, যে সেখান থেকে তাদের এই পতন এবং তারচেয়ে কষ্টকর ফারাবির মত মানুষের ওখানে গিয়ে এমন করে পায়ে পড়া! অদ্ভুত!
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ রিশাদ!
আমি এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম যে রকমারি ইতোমধ্যে নিজেকে একটা প্রতিষ্ঠিত জায়গায় নিয়ে গেছে---সেই জায়গায়, যেখানে তাকে হয়ত দিন-আনি-দিন-খাই অবস্থায় পড়তে হয় না। একটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থার যে কাষ্টমার বেইজ থাকে সেটার উপর নির্ভর করেও তো মালিকের একটা মানসিক দৃঢ়তা দেখানো উচিত ছিল। সেইটা যখন তিনি দেখান নি---তার মানে হল হয়ত ধর্মান্ধরাই তার মূল ক্রেতাগোষ্ঠী যাদের তিনি নাখোস করতে চাইছেন না??!!
ক'দিন আগে আবারো রকমারি সাইটে ঢুঁ মেরে দেখেছিলাম যে, ২০১১তে শুদ্ধস্বর থেকে প্রকাশিত আমার মুক্তচিন্তাপ্রসূত প্রবন্ধের সংকলনটাই কেবল তাদের তাকে শোভা পাচ্ছে। তাই একটু ফান করেই ফেবুতে বলেছিলাম যে আমার বাকি সাতটা বইয়ের কী হবে ! রকমারি থেকে আমিও বই আনিয়েছি, ঢাকায় অবস্থান করার কারণেই সরাসরি বই সংগ্রহের সুযোগ থাকায় রকমারি থেকে কেবল দুটো বই-ই আনিয়েছি দুবারে। রকমারি সম্পর্কে ধারণাটা খুব উঁচু পর্যায়েই রেখেছিলাম। কম্পু থেকে অনলাইনে ইদানিং একটু কম ঢুকছি, যা একটু ঢুকি তাও মোবাইলে, অফলাইনে চার্বাক ও ভারতীয় দর্শন বিষয়ক একটু বড় আকারের গবেষণামূলক কাজটা সম্পন্ন করতে। কিন্তু গতকাল মোবাইলের মাধ্যমেই বিষয়টা জেনে এবং আজ তার ব্যাপকতা দেখে হতাশ হলাম ! তাই আমারও মনে হলো, যা ফেবুর স্ট্যাটাসে আজ বিকেলে মোবাইলেই লিখেছিলাম-
বহু ঝামেলা সয়েই আমাদেরকে মুক্তচিন্তার খোরাক যুগিয়ে অকপটে লিখতে হয় এই দেশে এই কালে। তাই নির্ভরতার আশ্রয়গুলোকে এমন পলকা দেখলে তাদের থেকে দূরে সরে যাওয়াই উত্তম মনে করি। এক রকমারি গেলে তাতে আমাদের তেমন ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না। ওরকম বহু সাইট ঠিকই তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু রকমারি বুঝলো না, যে ডুবলো সে ডুবলোই ! ভেসে থাকার জন্যেও সাহসের দরকার হয়।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
--লাখ কথার এক কথা !
ধন্যবাদ রণ'দা---
শুভেচ্ছা জানবেন!
রকমারীর অফিশিয়াল বক্তব্য দেখুন।
কত্তবড় ফাজিল!!
____________________________
সেইটাই প্রোফেসর সাহেব, সেইটাই!!
শুভেচ্ছা জানবেন
এসবের কিছুই জানা ছিল না ভাইয়া! জানাবার জন্য ধন্যবাদ।
রণদার মন্তব্যে বিপ্লব! উদাসদা এবং আপনাকে
ধন্যবাদ আয়নামতি
শুভেচ্ছা নিরন্তর
যতই সময় গড়াচ্ছে ততই বাংলা ই-বুক রিডারের এবং ই-বুকের প্রয়োজনীয়তাটা প্রকট হচ্ছে । এই ব্যপারে একেবারেই কম জ্ঞান থাকার কারনেই হয়তো এতটা সাদামাটাভাবে প্রশ্নটা করে ফেলছি । বাংলা ই-বুক রিডার ডেভেলপ করা কিংবা প্রকাশকদের ই-বুক পাবলিশ করায় উৎসাহী উদ্যোগটা কতটা কঠিন ? এই ব্যপারে কারো বিশদ ধারনা থাকলে তুলে ধরার অনুরোধ করছি ।
আর রকমারির ব্যপারে বেশি কিছু বলার নেই । আজ ফারাবী হুমকি দিয়েছে । ফারাবীর তাও একটা বাস্তব অবয়ব আছে, সেটা যতটা বিকারগ্রস্থই হোক না কেন । কাল থেকে অবয়বহীন ভুয়া ফেইসবুক আইডি থেকে হুমকি শুনে যদি রকমারির স্বত্তাধিকারী প্যান্ট ভিজিয়ে ফেললে তাতেও খুব একটা আশ্চার্য হব না ।
===================
দস্যু ঘচাং ফু
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ দস্যু ঘচাং ফু!
ই-বুক প্রকাশের একটা প্রয়াশ নিয়েছে বইদ্বীপ প্রকাশনী।
http://www.boidweep.com
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাল সংবাদ।
সুবোধ অবোধ
বড়দা, অবাক হওয়ার কিছু নেই। সোহাগ সাহেব সম্পর্কে যেটুকু শুনেছি তাতে তিনি তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক কাজটিই করেছেন।
সেইটাই তো কষ্টের বিষয় অলয়'দা--যে এখন এইসব স্বাভাবিক ঘটনাই আমাদের জীবনের অনুষঙ্গ হতে চলেছে--
শুভেচ্ছা জানবেন গুরুভাই!
একজন সেবা ব্যাবসায়ী যখন ভোক্তাদের একাংশকে উপেক্ষা করে ব্যাবসার স্বার্থগত সিদ্ধান্ত নেন। তখন উপেক্ষিত ভোক্তারা সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি কোন ভক্তি, সহমর্মীতা বা সহযোগীতা দেখান না। তারা বিকল্প খোজেন। মাত্র দু'বছর হয় রকমারী এসেছে, দু'মাস হলো আন্তর্জাতিক সেবা চালু করেছে। দুই মাস বা বছরে কারো বিশ বছরের অভ্যাস পরিবর্তন হয় না। আমরা অধিকাংশ পাঠক, প্রবাসী এবং দেশে অবস্থানকারী, রকমারি'র প্রতি সম্পূর্ণ নির্ভরশীল কখনোই ছিলাম না। দোকানে গিয়ে বই কেনার অভ্যাস আমাদের রক্তে মিশে আছে।
----ইমরান ওয়াহিদ
সুবোধ অবোধ
ফারাবির সেই পোস্টে লাইকের সংখ্যা ১০১৭, শেয়ার হয়েছে ৯৭বার। তালিয়া!
রকমারি থেকে নিজে বই কিনিনি আগে কখনো। দরকার পড়েনি বলেই আর কী।
ভবিষ্যতে কখনো কেনা হবে না, এটাও জানা থাকল, যত দরকারই পড়ুক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সেইটাই রে তিথী---
ভাল থাকিস!
অবাক হওয়ার কি আছে আপু? বাঁশের কেল্লার লাইক সংখ্যা লাখ ছাড়ানো!!! এরা এরাই তো। সেই হিসেবে তো লাইক শেয়ার কমই...!!!!
সুবোধ অবোধ
কাণ্ডকারখানা দেখে প্রচণ্ড হতাশ ও বিরক্ত হইছি। দুইদিন পরপর যদি খতিবের পায়ে গিয়ে চুমু খেয়ে আসা দেখতে আপত্তি না থাকতো তবে ব্লগে না লিখে মতির পদতলেই গিয়েই লেখালেখি করতাম। অফলাইন মাধ্যমের ভণ্ডামি আর সুশীলপনা অনলাইনেও এসে গেল।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে, আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে।
..................................................................
#Banshibir.
সোহাগ সাহেবের 'আন্তরিকতা' দেখে চোখে পানি চলে আসল ---!
আমার মনে হয়েছে বস এইটা সময়ের ব্যাপার মাত্র! সামগ্রিক ভাবে আমাদের মেরুদন্ড না গজালে এরচেয়ে আরো বহু ভয়াবহ ঘটনা আমাদের জন্যে অপেক্ষা করে আছে!
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ উদাস'দা!
নালিশ দাখিল আর তদানুযায়ী পদক্ষেপ, দুটোর মাঝে সময়ের ব্যবধান বেশ কম।
আহা, দেশটা যদি এরকম তড়িৎকর্মা লোকে ভরে যেত!
(সার্কাজম)
এখন তো তাও অন্ততঃ অভিজিৎ রায় এবং রায়হান আবীরের বইগুলি বাজারে আছে। নাহলে বাংলাদেশের আদালতের যে অবস্থা, বিষয়টা আদালতে গেলে দেখা যেত তথাকথিত ধরমানুভুতিতে আঘাতের দায়ে আদালতের আদেশে এই বইগুলির প্রচার এবং বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে।
Emran
নির্বাক হয়ে আছি আসলে। এরকম যে হতে পারে সেটাই মাথায় ঢুকছে না একেবারে।
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
এই ফারাবীকে না গারদে ঢোকানো হইছিল রাজীব হত্যার পর? ছাগলটা বের হইছে কবে।
ব্যবসা বানিজ্য বড় খেলুড়ে জিনিস। রকমারি ডট কম রজ্জুকে সর্প বলে ভ্রম করলেও আমি দোষ দিতে পারছিনা। রকমারি ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্যই বই সরিয়েছে। কারণ বাংলাদেশে ফারাবীর মতো কেঁচোও অনেক সময় বিষাক্ত সাপ ডেকে আনে।
কিন্তু কথা হলো, এই প্রবণতাটা ভয়ংকর। রকমারী বা অন্য বইয়ের দোকান, সেটা অফলাইন বা অনলাইন হোক না কেন, যে দোকানে আমার অপছন্দের বই থাকবে, সে দোকানে গিয়ে কি আমি বলতে পারি যে বইটা সরিয়ে দেন, নইলে কিন্তু দোকান পুড়িয়ে দেবো? পারি না।
সুতরাং এরকম দুঃসাহসী বদমাশী বন্ধ করার জন্য আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। কেউ বললে সাধ্যমত কান ধরে চটকানা দিতে হবে। কিন্তু আইনী ব্যবস্থার কি হবে?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
-হক কথা--লোকজন ভয়টা পায় সেইজন্যেই!
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ নীড়'দা
কাণ্ডকারখানা দেখে আসলে কিছুক্ষণ অবাক হয়ে বসেছিলাম। রকমারি কর্তৃপক্ষের আচরণ দেখে আসলে বুঝতে পারছিলাম না যে যা দেখছি তা সত্যি কিনা। কারণ আর কিছু নয়, রকমারি সম্পর্কে একটি পজিটিভ ধারণা জন্মে যাওয়া। দেশের আনাচে-কানাচে যেখানে চাহিদামাফিক বই খুঁজে পাওয়া যায় না যেখানকার পাঠক খুব সহজে অনলাইনে বই অর্ডার করে ঘরে বসেই তা পেতে পারছেন এই সাইটটির মাধ্যমে। কিছুদিন হলো ওরা দেশের বাইরের পাঠকদের কথা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক সেবাও চালু করেছিল। বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে ওদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। অনেক জায়গায় প্রমোট করা হচ্ছিল। যদিও আমি নিজে কখনো ওদের কাছ থেকে বই কিনিনি কিন্তু মাঝে মাঝে ঢুকে বিভিন্ন বইয়ের প্রকাশক কারা এটা জেনে নিতাম। কিন্তু আর নয়। সেলাম। তারা হালাল ব্যবসা করুক- সার্টিফায়েড বাই ফারাবী।
কড়িকাঠুরে
খুব বাজে উদাহরণ তৈরী করল রকমারি। ফারাবী শাফিউর রহমানকে পুলিশ এখনো কিছু করছে না কেনো!
রকমারি কাঁটাবনের মোড়ে অফিস নিলেই পারে এখন।
mukto-mona.com/bangla_blog/?p=40189
এই লিঙ্কে ফারাবীর আরও কিছু ফাতরামীর খোঁজ পাবেন।(মোবাইল দিয়ে লিঙ্ক এড করতে পারছি না)
আমি যতটা না ফারাবীর কাজে বিরক্ত, তারচেয়ে বেশি সোহাগ সাহেবের ছাগলামি দেখে বিরক্ত!
রকমারি কে বয়কট করাটাই উপযুক্ত কাজ মনে করি। এই ঘটনার মাত্র ৩ দিন আগেই হিমু ভাই এর সাথে কথা বলে, পরামর্শ নিয়ে কিছু বইয়ের লিস্ট তৈরি করেছিলাম। ৩ টা বই অর্ডারও করেছিলাম। সেটাই হবে শেষ ডিল হয়ত। গতকাল বইমেলা নামের আরেকটা সাইট দেখলাম বই বিক্রির। আরও তৈরি হয়ে যাবে আশা করি ....
একটি বেকুবি প্রশ্ন : আইসিটি ৫৭ ধারা দিয়ে কি খায় না হাগে???
সুবোধ অবোধ
নতুন মন্তব্য করুন